Author: admin

  • উল্লাপাড়ায় আউসের মাহে রমজানের উপহার সামগ্রী বিতরণ-ভোরের কণ্ঠ।

    উল্লাপাড়ায় আউসের মাহে রমজানের উপহার সামগ্রী বিতরণ-ভোরের কণ্ঠ।

    সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় অনলাইন ভিত্তিক সামাজিক সংগঠন আমরা উল্লাপাড়ার সন্তান (আউস) এর পক্ষ থেকে মাহে রমজানের উপহার সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।

    শুক্রবার (১৬ এপ্রিল) বেলা ৯ টার সময় পৌর শহরের পশ্চিমপাড়া ২ শতাধিক অসহায় দুস্থ্য মানুষের মাঝে মাহে রমজানের উপহার সামগ্রীর মধ্যে চিনি,ছোলা,সয়াবিন তেল,মুড়ি বিতরণ করা হয়।

    অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন আমরা উল্লাপাড়ার সন্তান (আউস) এর প্রতিষ্ঠাতা এবং সভাপতি প্রকৌশলী আব্দুর রহমান (মুক্তার) রত্নগর্ভা মা মোছাঃ জোহরা খাতুন।

    এসময় উপস্থিত ছিলেন বগুড়া জেলা সেটেলমেন্ট কর্মকর্তা (উপসচিব) হাফিজুর রহমান, সিরাজগঞ্জ ভেটেনারি কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল ডাঃ শেখ মতিন,খাতুন ই জান্নাত,প্রকৌশলী রুহুল আমিন,উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা গোলাম মোহাম্মদ সহ সংগঠনের সদস্যা।

    আমরা উল্লাপাড়ার সন্তান (আউস) এর মাধ্যমে উল্লাপাড়ায় বিভিন্ন সামাজিক কার্যক্রম করে আলোচিত হয়েছে। আউসের সভাপতি প্রকৌশলী আব্দুর রহমান (মুক্তা) তিনি উল্লাপাড়ার অসহায় দুস্থ্য মানুষের পাশে বিভিন্ন দুর্যোগ মোকাবেলায় পাশে দাড়িয়েছে।

    গরীব মেধাবী শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া করার সুযোগ দিয়েছেন। এছাড়াও আউসের পক্ষ থেকে রমজান, এবং কোরবানি ঈদে বাজারসামগ্রী,ঈদ বস্ত্র বিতরণ করা হয়।

  • উল্লাপাড়ায় ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতির উপর সন্ত্রাসী হামলা-ভোরের কণ্ঠ।

    উল্লাপাড়ায় ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতির উপর সন্ত্রাসী হামলা-ভোরের কণ্ঠ।

    সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় বড়পাঙ্গাসী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি নাঈম হাসান এর উপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

    জানা যায় উপজেলার বড়পাঙ্গাসী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি নাঈম মোহনপুর বাজারে ১৬ এপ্রিল শুক্রোবার সকাল ৯ টার দিকে সাংসারিক প্রয়োজনে বাজারঘাট করছিলো। পূর্ব শক্রতার জের ধরে পূর্ব থেকে অতপেতে থাকা কিছু সন্ত্রাসী তার উপর অতর্কিত হামলা চালায়। এতে নাঈম গুরুতর আহত হয়ে মাটিতে লুটে পরে।

    আহত নাঈমকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠান।বর্তমানে সে সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

    এ ঘটনা নিশ্চিত করে বড়পাঙ্গাসী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হুমায়ন কবির লিটন জানান আমার বড়পাঙ্গাসী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি নাঈমের উপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা শুনে ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ সময় তিনি বর্বরচিত সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবী জানান।

    এ বিষয়ে উল্লাপাড়া উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সারোয়ার হোসেন (সবুজ)জানান বড়পাঙ্গাসী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি নাঈম হাসানের উপর সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। ঘটনার তদন্ত পূর্বক দোষীদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবী জানাচ্ছি। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

  • আজ ঐতিহাসিক আঁখিরা গণহত্যা দিবস-ভোরের কণ্ঠ।

    আজ ঐতিহাসিক আঁখিরা গণহত্যা দিবস-ভোরের কণ্ঠ।

    আজ ১৭ এপ্রিল শনিবার দিনাজপুরের ফুলবাড়ী ঐতিহাসিক আঁখিরা গণহত্যা দিবস। ১৯৭১ সালের আজকের এই দিনে উপজেলার আলাদীপুর ইউনিয়নের বারাইহাট থেকে ১০০ গজ দূরে আঁখিরা নামক একটি পুকুর পাড়ে বর্বর খান সেনাদের হাতে নিমর্ূমভাবে প্রাণ হারান ভারতে আশ্রয় নিতে যাওয়া ফুলবাড়ী, নবাবগঞ্জ, পার্বতীপুর ও বদরগঞ্জ উপজেলার প্রায় ৫শতাধিক নারী-পুরুষ ও শিশু। আজও অনেকে এই ঘটনার বেদনাবিধুর স্মৃতি নিয়ে বেঁচে আছেন।

    ঐত্যিহাসিক স্থানটি তথা এর মর্মান্তিক কাহিনী সম্পর্কে যাতে পরবর্তী প্রজন্ম জানতে পারে সে কারনে এই সৃতি ধরে রাখতে দেশ স্বাধীনের পর থেকে আঁখিরা বধ্যভূমিটি সংরক্ষণসহ সেখানে বীর ওইসব শহীদদের স্মৃতি উদ্দেশ্যে স্মৃতিসৌধ নির্মাণের জন্য মুক্তিযোদ্ধা সংসদের পক্ষ থেকে একাধিকবার উদ্যোগ নেয়া হলেও শুধুমাত্র অর্থের অভাবে সেই কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। এরপর বিষয়টি আমলে নিয়ে স্বাধীনতার ৫০ বছর পর চলতি বছরের জানুয়ারী মাসে অত্র এলাকার সাংসাদ প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাবেক মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা এ্যাড: মো. মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার এমপির ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় সেই বধ্যভূমিতে স্মৃতিস্তম্ভের নির্মাণ কাজ শুরু করে গণপূর্ত বিভাগ। যা বর্তমানে চলমান। ভবিষ্যতে আঁখিরা বধ্যভূমিটি সাধারণ মানুষের কাছে স্বরণীয় হয়ে থাকবে।

    মুক্তিযোদ্ধা ও প্রত্যক্ষদর্শীদের নিকট জানা গেছে, মুক্তিযুদ্ধ চলাকালিন সময়ে ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল পাক হানাদার বাহিনীর হাত থেকে রক্ষা পেতে ফুলবাড়ী উপজেলার রামভদ্রপুর, নবাবগঞ্জ উপজেলার খোশলামপুর ও পার্বতীপুর উপজেলার হামিদপুর ইউনিয়নের বাধদিঘী গ্রামের এবং রংপুর জেলার বদরগঞ্জ উপজেলার ফুলবাড়ী সংলগ্ন গ্রামগুলোর প্রায় ৫শতাধিক হিন্দু সম্প্রদায়ের নারী, পুরুষ ও শিশুদের নিয়ে ভারতে আশ্রয় নেয়ার জন্য চেষ্টা করলে রামভদ্রপুর গ্রামের কুখ্যাত রাজাকার কেনান সরকার তাদেরকে ভারতে পৌছে দেয়ার কথা বলে তাদের নিকট থেকে সোনা-দানা ও নগদ অর্থ হাতিয়ে নিয়ে যাত্রা শুরু করেন। ৫ শতাধিক মানুষের এই দলটি শিবনগর ইউনিয়নের শিবনগর গ্রামের মধ্য দিয়ে সমশেরনগর গ্রাম হয়ে বারাইহাট পার হয়ে আঁখিরা পুকুরপাড়ে পৌছা মাত্র কুখ্যাত রাজাকার কেনান সরকার ও তার সঙ্গীরা এই নিরীহ মানুষদেরকে পাক হানাদার বাহিনীর হাতে তুলে দেয়। পাক হানাদার বাহিনী সদস্যরা এই ৫ শতাধিক মানুষকে এক লাইনে দাঁড় করিয়ে ব্রাশ ফায়ার করে হত্যা করে। ভাগ্যের জোরে বেঁচে যান ওই দলের সহযাত্রী উপজেলার লক্ষ্মীপুর গ্রামের বাসিন্দা রাখাল চন্দ্র (৬২)। তিনি জানান, কুখ্যাত রাজাকার কেনান সরকারের কথায় বিশ্বাস করে যাত্রা শুরু করেছিল ৪ উপজেলার প্রায় ৫শতাধিক মানুষ। কিন্তু তাদের বিশ্বাস এভাবে ধ্বংস হয়ে যাবে তারা বিন্দুমাত্র বুঝতে পারেননি।

    এদিকে  আখিঁরা গণ হত্যা বর্ণনা করতে গিয়ে প্রত্যক্ষদর্শী বারাইহাট বাজারের পল্লী চিকিৎসক অনিল কুমার (৬৭) বলেন এই গণহত্যার সময় তিনি পাশ্বেবর্তী বড়গাছা গ্রামে একটি ঝোপে লুকিয়ে পড়েন। এরপর খান সেনারা চলে গেলে তিনি এসে দেখতে পান শত শত নারী-পুরুষ ও শিশুর গুলি বিদ্ধ মৃতদেহ। এ সময় একটি এক থেকে দেড় বছর বয়সে শিশু তার মৃত্যু মায়ের স্তন পান করছিল বলে তিনি জানান। এরপর অনেক লোক সেখানে এসেছে তাদের মধ্যে কেউ জীবিত বাচ্ছাটিকে নিয়ে গিয়েছেন। একই কথা বলেন আর এক প্রত্যক্ষদর্শী বড়গাছা গ্রামের আব্দুল খালেক, তিনি বলেন বহু দিন পর্যন্ত এই পুকুরটিতে মানুষের হাড় ও মাথার  খুলি পড়ে ছিল। সে দিনের সেই স্মৃতি তার চোখের সামনে আজও ভেসে ওঠে।

    ফুলবাড়ী উপজেলা সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা লিয়াকত আলী বলেন, ফুলবাড়ীর যে কয়টি ঘৃনিত কু-কর্মের অধিকারী রাজাকার ছিল তাদের মধ্যে কেনান সরকার অন্যতম। সে শুধু ওই ৫শতাধিক ব্যক্তির প্রাণই নেয়নি তার হাতে নিহত হয়েছে ফুলবাড়ীসহ কয়েকটি উপজেলার কয়েক হাজার নিরীহ মানুষ। এ জন্য যুদ্ধ শেষ হওয়ার আগেই মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে তার মৃত্যু হয়েছে। তার অনেক সঙ্গী এখন ফুলবাড়ী থেকে বিতাড়িত। এই ঐতিহাসিক আখিরা বদ্ধ ভূমিটিতে সৃতি স্তম্ভ নির্মান কার্যক্রম শুরু হওয়ায় তিনি সকল মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষ থেকে স্থানীয় সাংসদ বীর মুক্তিযোদ্ধা এ্যাড: মোস্তাফিজুর রহমান এর প্রতি বিশেষ কৃতঙ্গতা প্রকাশ করেছেন।

  • তাড়াশে লগডাউন উপেক্ষা করে জমজমাট হাট-ভোরের কণ্ঠ।

    তাড়াশে লগডাউন উপেক্ষা করে জমজমাট হাট-ভোরের কণ্ঠ।

    সিরাজগঞ্জের তাড়াশে লকডাউন উপক্ষো করে জমজমাট হাট বসানো হয়েছে। গত ১৪ এপ্রিল থেকে সারাদেশে কঠোর লগডাউন সপ্তাহ ব্যাপি শুরু হয়েছে। সরকারের সেই সিদ্ধান্তকে অমান্য করে উপজেলার নওগাঁ ইউনিয়নের সাপ্তাহিক হাট  ১৫ এপ্রিল বৃস্পতিবার দিন ব্যাপি  বসানো হয়।

    সরকারী বিজ্ঞপ্তীতে বলা হয়েছে যেখানে জরুরী প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাহির হওয়া যাবে না। প্রয়োজনে ‘মুভমেন্ট পাস’ নিয়ে বাইরে যাওয়ার কথা থাকলেও এ কোন পাশ নিয়ে হাটে হাজার হাজার জনগনের সমাগম হলো।

    এ নিয়ে এলাকায় আলোচনার ঝড় উঠেছে। জানা গেছে-সরকারী বিধি নিষেধ অমান্য করে চলছে হাট। অধিকাংশ লোকের মুখে নাই মাস্ক । নাই কোন সামাজিক দুরুত্ব। নাই কোন স্বাস্থ্য বিধি।

    সরেজমিনে দেখা গেছে হাটের অফিস কক্ষে  হাট কমিটির সভাপতি ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হাই , স্থানীয় এমপির ভাই এ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম ও আবু সাইদ, নওগঁা ইউনিয়ন আ’লীগের সাবেক সভাপতি শামচ্ছুজ্জামান আলমসহ অনেকই এই হাট পরিচালনা করছেন।

    এ ব্যাপারে তাড়াশ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মেজবাউল করিম বলেন,  সরকারী সিদ্ধান্ত কঠোর লকডাউন অমান্য করে  হাট লাগানো  যাবে না।  বিষয়টা আমি দেখছি।

     

  • ফুলবাড়ী হিমাগারে আলু রাখার জায়গা না থাকায়: লোকাসানে চাষিরা-ভোরের কণ্ঠ।

    ফুলবাড়ী হিমাগারে আলু রাখার জায়গা না থাকায়: লোকাসানে চাষিরা-ভোরের কণ্ঠ।

    দিনাজপুরে ফুলবাড়ীসহ পার্শবর্তি সাতটি উপজেলায় আলুর বাম্পার ফলন হলেও সংরক্ষণের জন্য একটি মাত্র হিমাগার ফুলবাড়ী কোল্ড স্টোরেজ, সেখানে সংরক্ষণের জায়গা না থাকায় চরম লোকসানের মুখে পড়েছেন আলু চাষিরা। বাধ্য হয়ে কমদামে আলু বিক্রি করতে হচ্ছে তাদের।

    খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দিনাজপুর দক্ষিণাঞ্চলের ফুলবাড়ী উপজেলাসহ পার্শবর্তী বিরামপুর, নবাবগঞ্জ, হাকিমপুর, ঘোড়াঘাট, পার্বতীপুর, চিরিরবন্দর উপজেলার ১০ হাজারেরও বেশি আলু চাষি প্রতি বছর তাদের উৎপাদিত আলু এবং আলুর বীজ, সংরক্ষণের জন্য অত্র এলাকায়, একটি মাত্র হিমাগার ফুলবাড়ী কোল্ড স্টোরেজ। এই হিমাগারে নির্দিষ্ট পরিমাণ আলু ও আলু বীজ সংরক্ষণ করতে পারলেও জায়গা সংকুলান না হওয়ায় আলু নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন চাষিরা। সংরক্ষণ করতে না পেরে বাধ্য হয়ে চাষিরা উৎপাদন খরচের চেয়ে কম দামে আলু বিক্রি করে দিচ্ছেন ব্যবসায়ীদের কাছে। এতে তাদের লোকশান গুনতে হচ্ছে।

    দিনাজপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, জেলার ৭ উপজেলায় আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৪ হাজার ৩৪৪ হেক্টর জমি। কিন্তু চাষিরা চাষ করেছেন ১৪ হাজার ৬৭০ হেক্টর জমিতে। এতে উৎপাদন হয়েছে ৩ লাখ ৯ হাজার ৩০৭ মেট্রিক টন,যা লক্ষ্য মাত্রার  অধিক।

    উপজেলা ভিত্তিক আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ফুলবাড়ীতে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ হাজার ৮২০ হেক্টর। কিন্তু চাষ হয়েছে ২ হাজার ১৫ হেক্টর জমিতে, চিরিরবন্দরে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২ হাজার ৭৯০ হেক্টর। কিন্তু চাষ হয়েছে ২ হাজার ৯৫০ হেক্টর জমিতে, বিরামপুরে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ হাজার ৮৬৯ হেক্টর। কিন্তু চাষ হয়েছে ১ হাজার ৬৫০ হেক্টর জমিতে, নবাবগঞ্জে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ হাজার ৪৪৯ হেক্টর। কিন্তু চাষ হয়েছে ১ হাজার ৩৯০ হেক্টর জমিতে, হাকিমপুরে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৮৯০ হেক্টর। কিন্তু চাষ হয়েছে ৯০৫ হেক্টর জমিতে, ঘোড়াঘাটে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ হাজার ৫৫০ হেক্টর। কিন্তু চাষ হয়েছে ১ হাজার ৬০০ হেক্টর জমিতে, পার্বতীপুরে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩ হাজার ৯৭৬ হেক্টর। কিন্তু চাষ হয়েছে ৪ হাজার ১৬০ হেক্টর জমিতে। এতে উৎপাদন হয়েছেন ৩ লাখ ৯ হাজার ৩০৭ মেট্রিক টন। উল্লেখিত ৭ উপজেলার মধ্যে ১টি মাত্র হিমাগার আলু সংরক্ষণের জন্য রয়েছে। যার আলু সংরক্ষণের সক্ষমতা ৬০ কেজি ওজনের ১ লাখ ৫৬ হাজার বস্তা।

    জানা যায়, উল্লেখিত ৭ উপজেলার আলু সংরক্ষণের জন্য একমাত্র ফুলবাড়ী কোল্ড স্টোরেজই চাষিদের আলু সংরক্ষণের ভরসা। ফুলবাড়ী উপজেলা গোপালপুর গ্রামের আলু চাষি সুবাস চন্দ্র ও লালপুর পাঠকপাড়া গ্রামের প্রদীপ কুমার বলেন, গত বছর আলুর দাম ভালো পাওয়ায় এবছর এলাকার কমবেশি সব কৃষকই বেশি বেশি করে আলু চাষ করেছেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকাসহ প্রাকৃতিক কোন দুর্যোগ না আসায় আলুর বাম্পার ফলন হয়েছে। প্রথম দিকে বাজারে আলুর একটু আশানুরুপ দাম পাওয়া গেলে এখন দাম পড়ে গেছে। তবে আলু এবং আলু বীজ হিমাগারে সংরক্ষণ করতে পারলে আগামীতে ভালো দাম পাওয়া যেতো। কিন্তু হিমাগারে জায়গা না থাকায় বাধ্য হয়ে তারা তাদের আলু বিক্রি করে দিয়েছেন।

    রাজারামপুর গ্রামের আলু চাষি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, অনেক চেষ্টা করে ৩০০ বস্তা আলু হিমাগারে সংরক্ষণ করতে পেরেছেন। গত বছরগুলো আলু সংরক্ষণ করেছেন ১ হাজার থেকে ১ হাজার ৫০০ বস্তা পর্যন্ত। কিছু আলু বাড়ীতে বিশেষ ব্যবস্থায় সংরক্ষণের চেষ্টা করেছেন।

    ফুলবাড়ী কোল্ড স্টোরেজের সুপারভাইজার মোজাম্মেল হক বলেন, ‘হিমাগারে ১ লাখ ৫৬ হাজার বস্তা আলু সংরক্ষণের ধারণ ক্ষমতার পুরোটাই ভরে গেছে। হিমাগারে প্রধান গেট বন্ধ করে দেওয়া হলেও চাষিরা আলু নিয়ে এসে ভিড় করছেন। কিন্তুু হিমাগারে তো আর জায়গা নেই, নিরুপায় হয়ে তাদেরকে ফিরিয়ে দিতে হচ্ছে। তবে এ বছর ব্যবসায়ীদের চেয়ে কৃষকদের আলু বেশি সংরক্ষণের সুযোগ দেওয়া হয়েছে।

    দিনাজপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো. তৌহিদুল ইকবাল বলেন, ‘এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় কৃষকরা বাম্পার ফলন পেয়েছেন। আলু বীজের দাম বেশি থাকায় আলুর উৎপাদন খরচও বেড়েছে। গত বছর আলুতে আশানুরূপ লাভবান হওয়ায় কৃষকরা এ বছর বেশি জমিতে আলু চাষ করেছেন। ব্যবসায়ীরা আলু রপ্তানিতে ভূমিকা রাখলে কৃষকরা সন্তোষজনক দাম পাওয়ার সম্ভাবনা ছিল।

  • লক্ষ্মীপুরে স্বামীর টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে সুন্দরী গৃহবধূ উধাও-ভোরের কণ্ঠ।

    লক্ষ্মীপুরে স্বামীর টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে সুন্দরী গৃহবধূ উধাও-ভোরের কণ্ঠ।

    লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চররুহিতার ৪ নং ওয়ার্ডে আলী দরবেশ এর বাড়ীর সৌদি প্রবাসী আব্দুস সাত্তারের এর স্ত্রী সাবিনা আক্তার হ্যাপি নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে উধাও হয়ে গেছে।ঘটনার ২৫ দিন পরেও উদ্ধার হয়নি এই গৃহবধূ।

    প্রবাসী আবদুস সাত্তারের মা শামসুন্নাহার গণমাধ্যমকর্মীদের জানান, ২০১৬ সালের আগস্ট মাসের ২৬তারিখে, ৬ লক্ষ টাকা দেনমোহর ধার্য করিয়া ইসলামী শরীয়া মোতাবেক বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন তার ছেলে আব্দুস সাত্তার। বড় শখ করে বিয়ের দিনে দশ ভরি স্বর্ণালংকার দিয়ে নববধূকে ঘরে তুলে নেন তারা।

    স্ত্রীর আচার-আচরণ অনেক সুন্দর দেখে তারা তাদের ব্যাংক একাউন্ট পর্যন্ত নববধূ সাবিনা আক্তার হ্যাপির নামে করেন। বিয়ের চার মাস পরেই আব্দুস সাত্তার জীবিকা নির্বাহের তাগিদে প্রবাসে পাড়ি জমান। এরই ফাঁকে তার অন্যান্য ছেলেরা ও প্রবাসে টাকাপয়সা যা পাঠিয়েছে সবগুলো পুত্রবধূর একাউন্টে জমা রাখতো। তাদের টাকা পয়সা দেখে সাবিনা আক্তার হ্যাপির পিতা কুয়েত যাওয়ার কথা বলে ছয় লক্ষ টাকা নগদে ধার নিয়েছেন।

    স্ত্রীর ভালো আচরণ ও শ্বশুর-শাশুড়ির যত্ন দেখে সকলে তাকে এক চোখে বিশ্বস্ত ব্যক্তি হিসেবে জানতো। শামসুন্নাহার ও কিছু স্বর্ণ অলংকার জমা রাখেন সাবিনা আক্তার হ্যাপির কাছে। তাদের বাড়ির জায়গা জমিনের কাগজ পত্র ও অন্যান্য জরুরী প্রয়োজনীয় কাগজপত্র তার কাছে জমা রেখেছিল।

    অন্যদিকে সুন্দরি বধুর কথা শুনে সকল টাকা-পয়সা সাবিনা আক্তার হ্যাপর অ্যাকাউন্টে পাঠাতো। সুন্দরী বধু সাবিনা আক্তার হ্যাপির কথায় ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড ১০ লক্ষ টাকার একটি বীমা করেন।

    প্রবাসী আবদুস সাত্তারের পিতা সেকান্তর মিয়া অঝোরে চোখের পানি ফেলে গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, আমরা সাবিনা আক্তার হ্যাপিকে নিজের মেয়ের চেয়েও বেশি ভেবেছিলাম। সে যে আমাদের সাথে এত বড় প্রতারণা করবে তা আমরা কল্পনাও করি নাই। তিনি গণমাধ্যমকর্মীদের সর্বমোট স্বর্ণ অলংকার ও নগদ টাকাসহ ৩১ লক্ষ ৪৫ হাজার টাকা স্টেটমেন্ট তুলে ধরেন। সম্পূর্ণ স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ টাকার হিসাব রয়েছে তাদের হাতে।

    ঘটনার সত্যতা জানতে গিয়ে গণমাধ্যমকর্মীরা যায় সাবিনা আক্তার হ্যাপির বাড়িতে। সাবিনা আক্তার হ্যাপি লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুরের ৭ নং ওয়ার্ড এর বাড়ী জবেদালি হাজীবাড়ি ওরফে (ছৈয়াল বাড়ী)র শাহজাহান ও রাশিদা খাতুন এর মেয়ে।

    গণমাধ্যমকর্মীরা সাবিনা আক্তার হ্যাপিদের বাড়িতে গেলে সাবিনাকে খুঁজে না পেয়ে তার মা রাশিদা খাতুন এর সাথে কথা বললে তিনি বলেন, তাঁর মেয়ে কোথায় গেছে তিনি জানেন না। গণমাধ্যম কর্মীরা তাকে থানায় নিখোঁজ ডায়েরি ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, থানায় গিয়েছি অথচ আমাদের কোন অভিযোগ রায়পুর থানা পুলিশ নেয়নি। তাৎক্ষণিক গণমাধ্যমকর্মীরা থানায় ফোন দিলে রায়পুর থানার ওসি বলেন, এ ধরনের কোনো কিছু নিয়ে কেউ আমাদের কাছে অভিযোগের জন্য আসেননি, আসলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নিতাম।

    সাবিনা আক্তার হ্যাপির কয়েকজন প্রতিবেশীরা বলেন, সাবিনার মা রাশিদা আক্তার তাকে লুকিয়ে কোথাও রেখেছে। প্রতিবেশীরা আরো বলেন, আমাদের কোন মেয়ে হারানো গেলে আমরা কান্নাকাটি কিংবা বিমর্ষ অবস্থায় থাকতাম কিন্তু তাদের মধ্যে এই ধরনের কোন কিছু আমরা আজও দেখি নাই। প্রতিবেশীরা বলেন, আমরা সাবিনার মার চলাফেরা কথাবার্তা থেকে বুঝে নিয়েছি যে তার মেয়ের তার আশ্রয় আছে।

    প্রবাসী আব্দুস সাত্তার মুঠোফোনে গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, সাবিনা আমার জীবন শেষ করে দিয়েছে। আমার অর্জিত যত সম্পত্তি আছে সবকিছু নিয়ে গেছে। আমি দেশবাসীর কাছে বিচার চাই। তাকে বিশ্বাস করা কি আমার অপরাধ ছিল? এভাবে আমার স্বর্ণালংকার ও ব্যাংক থেকে নগদ টাকা তুলে নিয়ে আমার জীবন ধ্বংস করে দিয়েছে।

    তিনি আরও বলেন, যে ব্যক্তি সাবিনা আক্তার হ্যাপি কে খুঁজে দিতে পারবে আমি তাকে পুরস্কৃত করবো। এছাড়াও তিনি প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেন।

  • কলাপাড়ার ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল উজাড় হয়ে পুড়ছে ইটভাটায়-ভোরের কণ্ঠ।

    কলাপাড়ার ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল উজাড় হয়ে পুড়ছে ইটভাটায়-ভোরের কণ্ঠ।

    পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপকূলীয় এলাকার পরিবেশ ও প্রতিবেশ এখন হুমকীর মুখে পড়েছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগের কবল থেকে মানুষের জীবন ও সম্পদ রক্ষা কারী বৃক্ষরাজি উজাড়ে এ হুমকী সৃষ্টি হয়েছে। ইটভাটা মালিক, করাত কল মালিক, ইমারত ভবন নির্মানকারী কাজের সাথে জড়িত প্রভাবশালীরা বন উজাড়ে সক্রিয় থাকায় বন আইন স্পর্শ করছে না তাদের ।

    একটি সংঘবদ্ধ বনদস্যু চক্র গাছ পাচারের নেট ওয়ার্ক গড়ে তুলেছে সমগ্র উপকূল জুড়ে। যারা গঙ্গামতি, ফাতরা, নিশানবাড়িয়া, কাটাভাড়ানি সহ মহিপুর ও কলাপাড়া রেঞ্জের বনাঞ্চল থেকে ম্যানগ্রোভ প্রজাতির গাছ কেটে অবাধে বিক্রী করে দিচ্ছে ইটভাটা ও করাতকল গুলোতে।

    এতে প্রতিনিয়ত পরিবেশ বিপন্ন হলেও বনবিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তার এ বিষয়ে কোন বক্তব্য নেই। তবে পটুয়াখালীর উপকূলীয় বন সংরক্ষক বললেন করাতকল গুলোতে আমাদের বনাঞ্চলের গাছ চেরাই করা হলে আপনারা আমাদের লিখিত ভাবে জানান। তখন আমরা এটি দেখবো।

    নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, পায়রা সমুদ্র বন্দর, তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র, নৌ-ঘাঁটি  সহ সরকারের হাজার হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন কর্মযজ্ঞ চলায় কলাপাড়ায় কদর বেড়েছে ইট ভাটার। সরকারী ও ব্যক্তি মালিকানাধীন উন্নয়ন কর্ম যজ্ঞে প্রায় অর্ধ-শতাধিক ইটভাটা ইটের সরবরাহ করেও চাহিদার যোগান দিতে পারছেনা। কয়লার পরিবর্তে ইটভাটা গুলোতে দেদারছে পুড়ছে গাছ। ইমারত নির্মান কাজের লেইনটিন, ছাদ ঢালাইয়ের সেন্টারিং, কলাম, ভিম তৈরীতে লোহার সরঞ্জামাদির পাশাপাশি ব্যবহার বেড়েছে বাঁশ ও কাঠের।

    এসব কাঠ সাইজ অনুযায়ী তৈরীতে সংরক্ষিত বনাঞ্চলের গাছ কেটে সংঘবদ্ধ বনদস্যু চক্র জড়ো করছে চিহ্নিত কয়েকটি করাতকলে। যা দিয়ে সেন্টারিংয়ের কাঠ তৈরী করে পৌঁছে দেয়া হচ্ছে নির্মান সাইডে। এসব কিছুই হচ্ছে বন কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জ্ঞাত সারে।

    মাঝে মধ্যে বনকর্মকর্তাদের চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখালে তখন দেখতে পান তারা। অবস্থা এমন হয়ে দাড়িয়েছে যেন বেড়ায় ক্ষেত খাওয়ার মত অবস্থা।

    সূত্রটি আরও জানায়, কলাপাড়ার চাকামইয়া ইউনিয়নের আনিপাড়া এলাকা থেকে প্রকাশ্য দিবালোকে বড় বড় সাইজের প্রায় অর্ধশত ছইলা, কেওড়া, বাইন ও গোমা প্রজাতির গাছ কেটে বিক্রীর জন্য স্বমিলে উঠায় একটি চক্র। এরা আড়পাঙ্গাসিয়া নদীর অপর পাড় আঙ্গারপাড়া, চাউলা পাড়া গ্রাম সংলগ্ন জঙ্গল থেকে বন কর্মীদের উপস্থিতিতেই গাছ কেটে মাহেন্দ্র গাড়ীতে তুলে রাতের আঁধারে পৌঁছে দিচ্ছে ইটভাটায়।

    একই ভাবে ফাতরা বনাঞ্চল থেকে প্রকাশ্যে গাছ কেটে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে করাত কল ও ইটভাটায়। অথচ গাছ কাটা চক্রের মদদ দাতারা বরাবরই থেকে যাচ্ছে ধরা ছোঁয়ার বাইরে। দু’একটি মামলা হলে হচ্ছে চুনোপুটির নামে। মহিপুর ইউনিয়নের নজিবপুর, সুধিরপুর, নিজামপুর, নীলগঞ্জ ও চাকামইয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় গড়ে ওঠা বনদস্যু চক্রের সদস্যদের কর্মকান্ড জানলেও বন আইনের খড়গ কখনও স্পর্শ করছেনা তাদের।

    কলাপাড়া বনবিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা আ: ছালাম’র কাছে সংরক্ষিত বনাঞ্চলের গাছ কাটার বিষয়ে জানতে চাইলে তার কোন বক্তব্য নেই বলে এড়িয়ে যান তিনি।

    পটুয়াখালী উপকূলীয় বন সংরক্ষক মো: আমিনুল ইসলাম বলেন, ’ইট পোড়ানো আইন অনুয়ায়ী ইট ভাটায় গাছ পোড়ানো হলে সেটি ডিসি সাহেব ও ইউএনওকে জানাতে হবে। এছাড়া করাতকল গুলোতে আমাদের বনাঞ্চলের গাছ চেরাই করা হলে আপনারা আমাদের লিখিত ভাবে জানান। তখন আমরা এটি দেখব।

     

  • লক্ষ্মীপুরে পাঁচটি উপজেলায় সরকারের জারিকৃত নির্দেশনা-ভোরের কণ্ঠ।

    লক্ষ্মীপুরে পাঁচটি উপজেলায় সরকারের জারিকৃত নির্দেশনা-ভোরের কণ্ঠ।

    করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণের বিদ্যমান পরিস্থিতি মোকাবেলায় সরকার কর্তৃক জারিকৃত নির্দেশনাসমূহ প্রতিপালন নিশ্চিতকরণের নিমিত্তে লক্ষ্মীপুর জেলা সদরের বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেন জনাব মোঃ আনোয়ার হোছাইন আকন্দ, জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, লক্ষ্মীপুর। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জনাব মোহাম্মদ মাসুম, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, সদর, লক্ষ্মীপুর, জনাব মোঃ মামুনুর রশীদ, সহকারী কমিশনার(ভূমি), সদর, লক্ষ্মীপুর, জনাব রাসেল ইকবাল, এনডিসি, লক্ষ্মীপুর, জনাব মোঃ জসিম উদ্দীন, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, লক্ষ্মীপুর মডেল থানা, লক্ষ্মীপুর।

    এ সময় তিনি সরকার কর্তৃক জারিকৃত নির্দেশনাসমূহ যাতে কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করা যায় সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সকলকে নির্দেশনা প্রদান করেন। লক্ষ্মীপুর জেলার পাঁচটি উপজেলায় সরকার কর্তৃক জারিকৃত নির্দেশনাসমূহ বাস্তবায়নের নিমিত্তে পরিচালিত ৮টি অভিযান পরিচালনা করে ১,৫৫,০০০ টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়। ঘরের বাহিরে মাস্ক পড়ুন, করোনা মুক্ত থাকুন; ঘরে থাকুন, নিরাপদে থাকুন।

     

  • কলাপাড়ায় গৃহবধু ধর্ষণে সহযোগিতার অভিযোগে যুবক গ্রেফতার-ভোরের কণ্ঠ।

    কলাপাড়ায় গৃহবধু ধর্ষণে সহযোগিতার অভিযোগে যুবক গ্রেফতার-ভোরের কণ্ঠ।

    কলাপাড়ায় এক সন্তানের জননী গৃহবধুকে ধর্ষনে সহযোগিতা করার অভিযোগে রুবেল সিকদার (২০) নামের এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার শেষ বিকেলে পূর্ব টিয়াখালী এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করলে আদালত তাকে জেল হাজতে প্রেরনের নির্দেশ দেয়। এ ঘটনায় গতকাল সকালে গৃহবধুর পিতা বাদী হয়ে বারেক সিকদার (২৮) কে প্রধান আসামী করে দুই জনের নামে কলাপাড়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।

    স্থানীয় ও মামলা সূত্রে জানা যায়, ৪ এপ্রিল রাত ৮টার দিকে গৃহবধু পূর্ব টিয়াখালী গ্রামের তার স্বামীর বাড়িতে বসে রান্না করতেছিল। এ সুযোগে ঘর ফাকা পেয়ে বারেক সিকদার তাদের রান্না ঘরে প্রবেশ করে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষন করে। এসময় রুবেল ঘরের দরজার সামনে দাড়িয়ে পাহাড়া দেয়। পরে গৃহবধুর ডাকচিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে তারা দৌড়ে পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে কলাপাড়া হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য পটুয়াখালী হাসপাতালে প্রেরন করেন। গৃহবধুকে সুস্থ করে তুলতে মামলা করতে দেরি হয়েছে বলে তার পিতা উল্লেখ করেন।

    কলাপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান এ প্রতিবেদককে জানান, গ্রেফতারকৃত আসামীকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে এবং প্রধান আসামী বারেককে গ্রেফতারের জোর চেষ্টা চলছে।

  • নওগাঁয় দ্বিতীয় দিনের লকডাউনে প্রশাসনের কড়া নিরাপত্তা-ভোরের কণ্ঠ।

    নওগাঁয় দ্বিতীয় দিনের লকডাউনে প্রশাসনের কড়া নিরাপত্তা-ভোরের কণ্ঠ।

    নওগাঁয় দ্বিতীয় দিনের লকডাউনে প্রশাসনের কড়া নিরাপত্তা চলছে। নওগাঁ জেলার সুযোগ্য পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান মিয়ার সুপরিকল্পীত দিকনির্দেশনায় মহামারি করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে আজ বৃহস্পতিবার ১৫ এপ্রিল রয়েছে পুলিশের কঠোর নজরদারি। ১৪ এপ্রিল থেকে আগামী ২১ এপ্রিল পর্যন্ত সরকারি বিধি-নিষেধ কঠোরভাবে কার্যকর করতে সার্বক্ষণিক মাঠে আছে জেলা পুলিশের সদস্যরা।

    করোনা ভাইরাস সংক্রমণের দ্বিতীয় ধাপ মোকাবেলায় সারা দেশব্যাপী সরকার ঘোষিত ১৪ এপ্রিল থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত এক সপ্তাহের কঠোর লকডাউনের দ্বিতীয় দিন আজ। সূর্যোদয়ের সাথে সাথে নওগাঁ জেলার গুরুত্বপূর্ণ স্থান সমূহে উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও অফিসার ফোর্সের সমন্বয়ে নিয়মিত টহলের মাধ্যমে সর্বসাধারণকে ঘরমুখী করতে কাজ করে যাচ্ছে জেলা পুলিশের ইউনিটগুলো।

    এছাড়াও নওগাঁ জেলার প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ প্রবেশমুখে বসানো হয়েছে পুলিশ চেকপোস্ট।করোনা সংক্রমণ হতে সর্বসাধারণকে সচেতন করতে সচেতনতামূলক মাইকিং। একই সাথে পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে বাড়ানো হয়েছে জেলার সার্বিক নিরাপত্তা। নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি প্রতিরোধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে চলছে নিয়মিত মার্কেট মনিটরিং। যদি কোন ব্যক্তির নিতান্তই জরুরি কাজে ঘরের বাইরে যেতে হয় তবে অবশ্যই তাকে বাংলাদেশ পুলিশের মুভমেন্ট পাস নিয়ে বের হতে হবে এবং সেটা অবশ্যই মাস্ক পরিহিত অবস্থায়। এসময় পুলিশ সুপার জনাব আব্দুল মান্নান মিয়া করোনা দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় জেলাবাসীকে আতঙ্কিত না হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, সরকার সর্বদা জনগণের পাশে রয়েছে। করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ কঠোর অবস্থানে নওগাঁ জেলা পুলিশ।

    করোনা ভাইরাসের সংক্রমন প্রতিরোধে সকলকে ঘরে অবস্থানের জন্য অনুরোধ করেন। অযথা কেউ ঘরের বাহিরে বের হয়ে আইন অমান্য করলে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

    আসুন আমরা মহামারী করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় আরো বেশি সচেতন হই, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলি, বিনা কারণে ঘরের বাইরে না যাই এবং নিজে মাস্ক পরি ও অপরকে মাস্ক ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করি।