Author: admin

  • কলাপাড়ায় তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ওজনে-বিপাকে সাধারণ ক্রেতা-ভোরের কণ্ঠ।

    কলাপাড়ায় তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ওজনে-বিপাকে সাধারণ ক্রেতা-ভোরের কণ্ঠ।

    পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় পবিত্র রমজান উপলক্ষে রোজাদারদের ইফতারিতে পানিয় তৃপ্তি মেটাতে মৌসুমী ফল তরমুজের ব্যাপক চাহিদা থাকলেও তা এখন সাধারণ ক্রেতার নাগালের বাইরে। গরম এবং মৌসুম শেষ হওয়ায় এর দাম বেড়েছে। তবে ওজন ব্যতীত তরমুজ বিক্রি করলে লোকসান গুনতে হবে বলে ব্যবসায়ীরা জানিয়েছে ।

    স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, মৌসুম শেষ হওয়ায় অধিকাংশ কৃষকের ক্ষেতের তরমুজ বিক্রি প্রায় শেষের পথে। ফলে হঠাৎ করে এর চাহিদা বেড়ে গেছে। অপরদেেিকে , প্রচন্ড গরম এবং রমজান চলমান থাকায় মানুষ ঝুঁকে পড়েছে তরমুজের দিকে। তবে বাজারে গিয়ে অনেক ক্রেতা হোচট খাচ্ছে তরমুজের দাম শুনে । ওজনে তরমুজ বিক্রির আগে ৫ কেজি একটি তরমুজের দাম ছিল ৮০ থেকে ৯০ টাকা । বর্তমানে ওজনে ৫০ টাকা কেজি দরে তা বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ৩০০ টাকায় ।  এ ছাড়া ৮/ ১০ কেজি একটি তরমুজ ওজন ছাড়া আগে বিক্রি হতো ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা । যা এখন ওজনে বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকায় । এদিকে, ওজনে তরমুজ বিক্রি করা নিয়ে ক্রেতা -বিক্রেতার মধ্যে বাক-বিতন্ডা লেগেই আছে প্রতিদিন । এতে ক্রেতা -বিক্রেতারা উভয়ই বিপাকে পড়েছে ।

    এ ব্যাপারে তরমুজ ক্রেতা মো.হায়দার গাজী জানান, রমজান বলে তরমুজ কিনেছে । তবে ওজনে জীবনে এই প্রথম কিনলাম ।

    রহমান নামের এক ক্রেতা জানালেন, ১৫ দিন আগে, যে সাইজের তরমুজ ৮০ টাকায় কিনেছি, বর্তমানে ওজনে ৩০০ টাকায় কিনতে হয়েছে ।

    এদিকে,বিক্রেতা মো.ফরিদ হোসেন জানান, ক্ষেতে যেহেতু তরমুজ নাই, আগের চেয়ে বেশী দামে কিনতে হচ্ছে । এতে ওজনে বিক্রি  না করে আগের মত গোটা হিসেবে বিক্রি করলে আসল টাকা  উঠবে না বলে তিনি উল্লেখ করেন।

    অপর এক বিক্রেতা মো.জয়নাল হোসেন জানান, এক কৃষকের ক্ষেত কিনেছি আড়াই লাখ টাকায় , তাতে হিসেব করে দেখেছি, ওজন ছাড়া বিক্রি করলে অর্ধেক দামও পাওয়া যাবে না বলে তিনি উল্লেখ করেন ।

    এদিকে, ওজনে তরমুজ বিক্রি শুরু করায় তরমুজ প্রিয়দের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে । তারা অবিলম্বে ওজনে তরমুজ বিক্রি বন্ধের দাবি জানান।

  • রানা প্লাজা ধসে দুই পা হাড়িয়ে পুঙ্গ রেবেকা পেল বাড়ি-ভোরের কণ্ঠ।

    রানা প্লাজা ধসে দুই পা হাড়িয়ে পুঙ্গ রেবেকা পেল বাড়ি-ভোরের কণ্ঠ।

    রানা প্লাজা ভবন ধসে দুই পা হারিয়ে চিরতরে পঙ্গুত্ববরণ করেছেন দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার আলাদীপুর ইউনিয়নের বারাই চেয়ারম্যানপাড়া গ্রামের গৃহবধূ রেবেকা খাতুন।

    গতকাল ছিল বিভীষিকাময় সেই দুর্ঘটনার দিন। গত ৮ বছর আগে এই দিনটাতেই রেবেকা তার মা, দুুই দাদী ও দুই চাচাতো ভাই ও বোনসহ  হারিয়েছেন তার দুইটি পা। গতবছরগুলো এইদিনটা রেবেকা জীবনে কালোমেঘে ছেঁয়ে অশ্রুজলে ভাসলেও, এবছরটা ছিল একদমই ভিন্ন। নতুন পাকা বাড়ি পেয়ে দুঃস্বপ্নের এই দিনটিকে ভুলে, খুশিতে আত্মহারা হয়ে কেঁদেফেলেছেন রেবেকা বেগম।

    বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাক হিউম্যানিটারিয়ান প্রোগ্রামের সার্বিক সহযোগিতায় রানা প্লাজা দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের জন্য নির্মিত বাসস্থান হিসেবে ৭ লাখ ২১ হাজার টাকা ব্যয়ে একটি নতুন পাকা বাড়ি পেলেন দুই পা হারানো পঙ্গু রেবেকা খাতুন।

    গতকাল শনিবার সকাল ১১টায় আলাদীপুর ইউনিয়নের বারাই গ্রামে আনুষ্ঠানিকভাবে ফিতা কেটে বাড়ির উদ্বোধন করে রেবেকা খাতুনের হাতে বাড়ির চাবি তুলেদেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রিয়াজ উদ্দিন।

    নবনির্মিত রেবেকার বাড়ি চত্বরে আয়োজিত ভাচুর্য়াল আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন দিনাজপুর জেলা প্রশাসক খালেদ মোহাম্মদ জাকি।

    ব্র্যাক হিউমেনিটরিয়ান প্রোগ্রামের ডেপুটি ম্যানেজার তারিকুল ইসলাম নাহিনের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রিয়াজ উদ্দিন, ব্রাকের আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক (দাবি) মো. আশরাফ হোসাইন, আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক (প্রগতি) সবুজ সাহা, এলাকা ব্যবস্থাপক (দাবি) মো. আব্দুর রাজ্জাক, এলাকা ব্যবস্থাপক (প্রগতি) মনোরঞ্জন রায়, কন্সট্রাকশন প্রকৌশলী মো. লোকমান হোসেন,শাখা ব্যবস্থাপক (দাবি) এটিএম মোমিনুল ইসলাম মণ্ডল, শাখা ব্যবস্থাপক (দাবি) শাহাজান হোসাইন, শাখা ব্যবস্থাপক (বিসিইউপি) ফরিদুল ইসলাম প্রমুখ।

    পঙ্গুত্ববরণকারী রেবেকা খাতুন বলেন, আমার শ্বশুরের পঁাচ ছেলে। চার শতক জমিতে পঁাচভাইয়ের সংসার ছিল। জরাজীর্ণ মাটির ঘরে থাকতে হতো। ব্র্যাকের বিভিন্ন সহায়তা ইতোপূর্বে পেয়েছিলাম। তাই ব্র্যাকের ভাইদের কাছে একটা বাড়ির আবেদন করি। পরে তারা আমার জমির ওপর পাকা বাড়ি বানিয়ে দেন। আজকের দিনে নতুন বাড়ি পেয়ে, অনেক খুশি। এখন সুখে শান্তিতে স্বামী ও দুই ছেলে মেয়েকে নিয়ে বসবাস করব।

    ব্রাকের আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক (দাবি) মো. আশরাফ হোসাইন বলেন, রানা প্লাজা দুর্ঘটনায় পঙ্গুত্ববরণকারীদেরকে ব্র্যাকের পক্ষ থেকে বাড়ি বানিয়ে দেওয়া হয়েছে। রেবেকার আবেদনে তাকেও বাড়ি বানিয়ে বাড়ির চাবি হস্তান্তর করা হলো।

    দিনাজপুর জেলা প্রশাসক খালেদ মোহাম্মদ জাকি বলেন, রানা প্লাজা দুর্ঘটনায় রেবেকা খাতুন তার দুইটি পা হারিয়েছেন কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর তহবিল থেকে একটি পা হারানোর টাকা পেয়েছেন। তার বঞ্চিত হওয়া পাওনা টাকা ফিরিয়ে দিতে, উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।

     

  • উল্লাপাড়ায় চাঁদাবাজি মামলায় সন্ত্রাসী আন্নু গ্রেফতার-ভোরের কণ্ঠ।

    উল্লাপাড়ায় চাঁদাবাজি মামলায় সন্ত্রাসী আন্নু গ্রেফতার-ভোরের কণ্ঠ।

    সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় একাধিক চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের অভিযোগে আনোয়ার হোসেন আন্নু (৩৫) নামের এক যুবককে গ্রেফতার করেছে মডেল থানা পুলিশ। সন্ত্রাসী ওই যুবক উপজেলার কালিয়াকৈর গ্রামের ছাত্তার প্রামাণিকের ছেলে।

    শনিবার (২৪ এপ্রিল) সকালে উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়নের কালিয়াকৈর গ্রামের ঠান্ডু সরকার চাঁদাবাজির অভিযোগ এনে গ্রেফতারকৃত যুবকের নামে থানায় মামলা করেন। আন্নুর বিরুদ্ধে এর আগেও থানায় একাধিক চাঁদাবাজির অভিযোগ হয়েছে।

    স্থানীয়রা জানায়,উপজেলার লাহিড়ী মোহনপুর ইউনিয়নের কালিয়াকৈর গ্রাম প্রত্যান্ত এলাকা হওয়ায় আন্নু এখানে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। পাবনা জেলার ফরিদপুর, ভাঙ্গুড়া, চাটমোহর থানার পাশাপাশি হওয়ায় প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে এই এলাকায় বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করেন আন্নু ও তার লোকজন ।

    এখানে রয়েছে আন্নুর নিজস্ব বাহিনী। কালিয়াকৈর সহ আশে পাশের গ্রামে আন্নু বাহিনী নানা অপরাধমুলক কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে। আন্নু গ্রেপ্তারের ঘটনায় এলাকার মানুষ স্বস্তি ফিরে পেয়েছে। আন্নু বাহিনীর সদস্যরা এলাকার সাধারণ মানুষের জমি দখল,বাড়ি দখল,চুরি, ছিনতাই, মারপিট,ভেজাল দুধের ব্যবসা সহ বিভিন্ন অপরাধ মুলক কর্মকান্ড পরিচালনা করে। এই বাহিনীর অত্যচারে এলাকাবাসী চরম আতঙ্কে রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুললেই তার উপর চালানো হয় নির্যাতন নিপিড়ন। আন্নুর বিরুদ্ধে একাধিক ডজন খানেকের উপর মামলা রয়েছে বলে স্থানীয়রা জানায়।

    এ বিষয়ে উল্লাপাড়া মডেল থানা উপ-পরিদর্শক ইব্রাহীম খলিল জানান আন্নুুর বিরুদ্ধে একাধিক চাঁদাবাজি ও মানুষের বাড়ি জমি দখলের অভিযোগ রয়েছে। শনিবার নিজ এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

  • বগুড়ার শেরপুরে ট্রাক-সিএনজি সংঘর্ষে নিহত-১,আহত-৩/ভোরের কণ্ঠ।

    বগুড়ার শেরপুরে ট্রাক-সিএনজি সংঘর্ষে নিহত-১,আহত-৩/ভোরের কণ্ঠ।

    বগুড়ার শেরপুরের ট্রাক-সিএনজির সংঘর্ষে মিজানুর রহমান (৩৫) নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো তিনজন। নিহত মিজানুর রহমান শেরপুর উপজেলার শেরুয়া বটতলা এলাকার আবু তালেবের ছেলে।শুক্রবার(২৩ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে বগুড়া-ঢাকা মহাসড়কে শেরপুর উপজেলার দশমাইল নামক স্থানে দুর্ঘটনাটি ঘটে।

    জানাগেছে, ৪জন যাত্রী নিয়ে সিএনজি চালিত একটি অটোরিক্সা শেরপুর যাচ্ছিল। দশমাইল এলাকায় ঢাকাগাসী একটি ট্রাক পিছন থেকে চাপা দিয়ে পালিয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই অটোরিক্সার যাত্রী মিজানুর রহমান মারা যান এবং অপর তিনজন আহত হন।

    শেরপুর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার রতন হোসেন বলেন খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আহতদের উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে দেয় এবং নিহতের মরদেহ পু্লিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

  • পল্লীবিদ্যুতের সংযোগ দেয়ার নামে টাকা উত্তোলনের অভিযোগ-ভোরের কণ্ঠ।

    পল্লীবিদ্যুতের সংযোগ দেয়ার নামে টাকা উত্তোলনের অভিযোগ-ভোরের কণ্ঠ।

    পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় পল্লীবিদ্যুতের সংযোগ পাইয়ে দেয়ার নামে চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে সাবেক এক ইউপি সদস্য ও এক প্রভাবশালী ব্যক্তির বিরুদ্ধে। বিদ্যুতের খুঁটি ও মিটার দেয়ার নাম করে প্রায় ৬০ থেকে ৭০ টি পরিবার থেকে ৭থশ টাকা থেকে শুরু ৬ হাজার টাকা পর্যন্ত উত্তলোন করা হয়েছে বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।

    তবে এসব চাঁদা উত্তলোনের টাকা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে খুশি করতেই নেয়া হয়েছে বলে দাবী অভিযুক্তদের। শেখ হাসিনার উদ্যোগ, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ এ স্লোগান নিয়ে মুজিব বর্ষে শতভাগ মানুষের ঘরে বিদ্যুৎ পৌছেঁ দেয়ার লক্ষে কাজ করছে বর্তমান সরকার। আর এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে উপজেলার মিঠাগঞ্জ ইউপির আলীগঞ্জ গ্রামে চলছে দর কষাকষি বিদ্যুৎ বানিজ্য। ৪ নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য লালন মিয়া ও মো. হুমায়ুন খান এর নেতৃত্বে বিভিন্ন পরিবারের কাছ থেকে হাতিয়ে নেয়া হয়েছে মোটা অংকের টাকা ।

    বিদ্যুৎ সুবিধা প্রাপ্তির লক্ষে এসব টাকা দেয়ার কয়েক মাস অতিবাহিত হলেও এখনো মিটার পাইনি বলে ক্ষুব্ধ ভুক্তভোগীরা। ওই এলাকার গৃহিনী শাহানাজ বেগম জানান, তার ঘরে বৈদ্যুতিক সংযোগ স্থাপনের জন্য হুমায়ুন খানের কাছে খুঁটি ও মিটার বাবদ ৬ হাজার টাকা দিয়েছি, কিন্তুু এখন পযর্ন্ত মিটার পায়নি।

    তবে এতো টাকা কেনো দিয়েছেন জানতে চাইলে গৃহিনি বলেন, টাকা না দেয়ায় খুঁটি আমার বাড়ি থেকে দুরে সরে গিয়েছিলো। তাই বাধ্য হয়ে টাকা দিয়েছি। আর এক গৃহিনি জানান, সবুজথর নামে বিদ্যুতের মিটার পেতে লাইন ও মিটার বাবদ ৩ হাজার টাকা দিয়েছি। এখনও মিটার পাইনি।

    ব্যবসায়ী আল-আমিন মৃধা জানান, অফিস খরচ ও মিটার বাবদ ৩ হাজার টাকা দিয়েছি দেড় মাস আগে, এখন পর্যন্ত মিটার পাইনি। একই অভিযোগ শহীদুল, কাঞ্চন আলীসহ অনেক পরিবারের।এবিষয়ে চাঁদা উত্তোলনকারী হুমায়ুন বলেন, আমার এলাকায় অনেক পরিবার বিদ্যুৎ পায়নি।

    এলাকার লোকজন আমাকে বিদ্যুৎ অফিসে যোগাযোগ করতে বলায় আমি পটুয়াখালী বিদ্যুৎ অফিসের উপদেষ্টা ডিজাইন ও লাইন পরিদর্শক আবদুল কাদেরের সাথে যোগাযোগ করি। তিনি আরো বলেন অফিসার বলেছে টাকা দিলে লাইন তারাতারি পাবে, টাকা না দিলে লাইন পেতে ছয়-সাত মাস লাগবে। আমি তাদের কথামতো গ্রামের বিভিন্ন পরিবারের কাছ থেকে টাকা তুলে তাদের কাছে দিয়েছি।

    সাবেক ইউপি সদস্য লালন বলেন,আমি মানুষের কাছ থেকে যে টাকা নিয়েছি তা থেকে সামান্য খরচা রেখে বাকিটা অফিসে জমা দিয়েছি। তবে আপনি টাকা নেয়ার কে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি এরিয়ে যান। অভিযুক্ত কর্মকর্তা পটুয়াখালী পল্লীবিদ্যুৎ উপদেষ্টা ডিজাইন ও লাইন পরিদর্শনকারী আঃ কাদের বলেন, আমি বিদ্যুৎ সংযোগ ও মিটার বাবদ কোন টাকা নেইনি। আমার বিরুদ্ধে আভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা।

    কলাপাড়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডিজিএম শহীদুল ইসলাম জানান, বিদ্যুৎ সংযোগ বাবদ কোন টাকা নেয়া হয়না। এছাড়া আবদুল কাদের নামে কলাপাড়া অফিসে কোনো কর্মকর্তা নেই। তিনি আরো বলেন, এর আগেও লালনের নামে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ রয়েছে।

    তবে এ ব্যাপারে আমার কাছে এখনো পর্যন্ত কেউ অভিযোগ নিয়ে আসেনি। ভুক্তভোগীদের অফিসে যোগাযোগ করার অনুরোধ করেন তিনি।

  • অপসাংবাদিকতার দিন ফুরিয়ে আসছে!অ আ আবীর আকাশ

    অপসাংবাদিকতার দিন ফুরিয়ে আসছে!অ আ আবীর আকাশ

    সংবাদ লেখা ও সাংবাদিকতায় সারাদেশে চাটুকার, প্রতারক, মিথ্যাবাদী ও অশিক্ষিত, মূর্খরা অনুপ্রবেশ করছে। এই নিয়ে প্রকৃত সংবাদ ও সাংবাদিকতা প্রশ্নাতীতভাবে জৌলুস হারাচ্ছে এবং নানা প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে। শহরের তুলনায় এর প্রভাব জেলা-উপজেলা পর্যায়ে সবচেয়ে বেশি লক্ষণীয়। আবার জেলার চেয়ে উপজেলা সমূহে আধিপত্যতা বেশি। কারণ জেলাতে প্রশাসনিক চাপের মুখে অপসাংবাদিকতা টিকতে পারেনা। উপজেলা পর্যায়ে গ্রামাঞ্চলে, চরাঞ্চলে নদনদীর দুর্গম এলাকা কেন্দ্রিক অপসাংবাদিকতা, মিথ্যাবাদী, প্রতারকগোষ্ঠীরা সঙ্গবদ্ধ হয়ে তাদের অসৎ কার্যকলাপ চালিয়ে যায়।

    ‘সাংবাদিকতা বা সাংবাদিক কাকে বলে’এর নূন্যতম কাণ্ডজ্ঞান না থাকলেও নিজেদের সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে স্বার্থ হাসিল করার ধান্দায় তারা এত চটুল, ঠিক, প্রতারণার আশ্রয় নেয় যে তাদের কাছে সকল সাংবাদিক গণমাধ্যম কোণঠাসা। এমন ভাবে তারা নিজেদের উপস্থাপন করে যে, তাদের ভাবসাব দেখলে মনে হবে দেশের সকল গণমাধ্যম তাদের কথায় উঠবস করে। আসলে এসব পাকনা কথা তারাই বলে যারা প্রকৃত অর্থে মিথ্যাবাদী, ভুয়া অপসাংবাদিকতা করছে।

    এরা সংবাদ সাংবাদিকতার বাহিরে রাজনৈতিক কথাবার্তাই বেশি বলে। নিজেদের অমুক নেতা, তমুক নেতার কাছের লোক বলে পরিচয় দেয়। আবার মাঝেমধ্যে নিজেরাও রাজনৈতিক পদে আসীন বলে জানান দেয়। এরা যে সত্যিকারের ভুয়া, প্রতারক সাংবাদিক তার প্রমাণ এগুলোতেই যথেষ্ট। কারণ প্রকৃত সাংবাদিক কোনো দলের নয়। সে কখনো কোনো ব্যক্তি বা দলের কোনো পরিচয় বহন করবে না। অমুকের আত্মীয় বা কাছের লোক বলে পরিচয় দেবে না। এসব একমাত্র প্রতারকরাই করে থাকে।

    অশিক্ষিত, মূর্খ সাংবাদিকতা দিন ফুরিয়ে শিক্ষিত, স্মার্টদের হাতে যাচ্ছে তৃণমূল সংবাদ ও সাংবাদিকতা। আইন পাস হয়েছে, বাস্তবায়ন হতে সময়ের ব্যাপার মাত্র। স্নাতক পাস ছাড়া কেউ আর সাংবাদিকতা করতে পারবে না। ইতোমধ্যে যারা ভুয়া কাগজপত্র সৃজন করে ঢাকার অখ্যাত বিখ্যাত পত্রিকার জেলা উপজেলা প্রতিনিধি সেজেছে তাদেরও কাগজপত্র যাচাই-বাছাই হবে স্ব-স্ব প্রতিষ্ঠান থেকে প্রকৃত কাগজপত্র তলব হতে পারে বলে একটি বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে।

    কিছু সুবিধা দিয়ে কার্ড এনে গলায় ঝুলিয়ে যাকে-তাকে হেনস্থা করার দিন আর নেই। ভুয়া অপসাংবাদিকতার দিন শেষ। যারা সংবাদ লিখতে জানেনা, ভাষা ব্যবহার জানে না, ন্যূনতম সাহিত্যের যোগ নেই, কথায় রস নেই, পুরো আঞ্চলিকতায় কথা বলে, শুদ্ধ করে কথা বলার চর্চা নেই বা পারে না, তাদের মুখোশ খুলে পড়ছে কেবলই। চোর, বাটপার, চিটার, টাউটের দিন শেষ।

    মফস্বল সাংবাদিকতায় এতদিন সরাসরি শিক্ষিত, স্মার্ট তরুণ-তরুণীরা না এলেও ক্রমান্বয়ে আসতে দেখে অনেক বুড়া-জোয়ান এর গায়ে জ্বালা ধরেছে। কারণ তারা এতদিন পত্রিকা, টিভি চ্যানেল আঁকড়ে ধরে আরেকজনের লেখা কপি করে, আরেকজনকে দিয়ে ভিডিও ফুটেজ তৈরি করে নিজের নামে স্ব-স্ব প্রতিষ্ঠানে চালিয়ে দিতেন। সে কপি করার দিন শেষ! এবার শিক্ষিত তরুণ-তরুণীর দিন শুরু। নতুনেরে করে দিতে হবে স্থান। স্মার্ট, শিক্ষিতদের দিন শুরু।

    শিক্ষিত, স্মার্ট নতুনের আগমনে অনেকের গা জ্বালা শুরু হয়েছে বৈকি। তারা নতুনদের হুমকি মনে করে। এজন্য নতুনদের পত্রিকা, টিভি চ্যানেল বা অনলাইন ও প্রতিদিনকার ঘটনা নিয়ে সংবাদ থাকা সত্বেও তাদের ‘ভুয়া সাংবাদিক’ বলে চাপিয়ে দিতে চায় বা নানা ঝামেলা সৃষ্টি করে দমিয়ে দিতে চায়। আসলে বৃথা চেষ্টা করে লাভ কী! এই নতুনেরা সব জেনেশুনে বুঝেই এসেছে যে, সংবাদ সাংবাদিকতায় প্রচুর ঝুঁকি রয়েছে। হুমকি-ধামকির ঝামেলা এমনকি মামলা-হামলাও রয়েছে। তারা এসব কে ‘কুচপরোয়া না করেই’ এই জগতে পা রেখেছে। তাই নতুনেরা জয় করবেই করবে। নিপাত যাবে যত অসৎ, অসভ্য, অশিক্ষিত সাংবাদিকের বাগাড়।

    যত্রতত্র হাওয়া মারা, তেল মারা, কথার হুল ফোটানো, ভুয়া, সাংবাদিক নামধারীরা গ্রামাঞ্চলে চষে বেড়ায়। কেউ কেউ আবার গোষ্ঠী সৃষ্টি করে সাধারণ জনগণকে হুমকি-ধামকির উপরে রাখে। এইসব অপদার্থদের প্রতিহত করার জন্য আইন প্রণয়ন হয়েছে। প্রতিহত করতে হবে শিগগিরই। সাংবাদিক না হয়েও যারা নিজেদের সাংবাদিক পরিচয় দিচ্ছে, তাদের প্রতিহত করার জন্য বাংলাদেশ সরকার আইন জারি করেছে। সঠিক তথ্য পেলে এসব ভুয়া ও অশিক্ষিত সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে প্রস্তুত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তথা প্রশাসন।

    সাধারণ জনগণ বুঝে গেছে, ‘কাক ময়ূরপুচ্ছ লাগালে ময়ূর হয়ে যায় না।’ যার ভিতরে আলো নেই তার বাহিরের বেশভূষায় সাধারণকে আকৃষ্ট করার বৃথা চেষ্টা করে লাভ কি!

  • তানোরে বোরো ধান কাটার ধুম,বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসি-ভোরের কণ্ঠ।

    তানোরে বোরো ধান কাটার ধুম,বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসি-ভোরের কণ্ঠ।

    রাজশাহীর তানোরে পুরোদমে ধুম পড়েছে বোরো ধান কাটার। এবার আবহাওয়া ভালো থাকার কারণে সুষ্ঠু ভাবে বোরো ধান বাড়িতে তুলতে পারবে বলে কৃষক বলে ধারণা করা হচ্ছে। অন্য বছরের তুলনায় এবার বোরো ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা শতভাগ দেখা যাচ্ছে। তবে এবার রমজার মাসের মধ্যে বোরো ধান কাটা মাড়াই শুরু হওয়ায় নতুন মাত্রায় যোগ হয়েছে শ্রমিক সংকট।

    এতে করে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন বোরো চাষিরা। চাষিরা বলছেন, বর্তমানে পুরো উপজেলা জুড়ে বোরো ধান কাটা মাড়াই শুরু হলেও বিভিন্ন এলাকায় শ্রমিক সংকটের কারণে কৃষকরা তাদের বোর ধান কাটতে পারছেনা। ফলে,যেকোন সময় হঠাৎ আকাশে বৃষ্টির কারণে বোরো ধানের জমিতে পানি জমে বোরো ধানের ক্ষতি হওয়ারও সম্ভাবনা রয়েছে। এতে শুধু শ্রমিক সংকটে কৃষকরা তাদের পাকা বোরো ধান কাটতে না পারলে চাষিদের কষ্টের্জিত ফসল নষ্ট হয়ে যেতে পারে বলে সংস্কা রয়েছে।

    উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, পুরো উপজেলায় ১৬ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো ধানের চাষাবাদ করা হয়েছে। আগাম বোরো ধান বৈশাখ মাসের প্রথম সপ্তা থেকে কাটা শুরু হয়েছে। কৃষকরা বোরো ধানের দিকে দৃষ্টি রাখছেন। কিন্তু শ্রমিক সংকট নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় ভুগছেন।

    তানোর পৌর এলাকার তালন্দ বাজারের কৃষক মামুন জানান, তিনি এবার ৩৫,বিঘা জমিতে বোরো ধান চাষ করেছেন। ফলনও ভালো হয়েছে। তিনি ১৫বিঘা জমির ধান কেটে রেখেছেন, আরো ২০বিঘ জমির ধান শ্রমিক সংকটে কাটতে পারছেন না।

    পৌর এলাকার চাপড়া গ্রামের আনসার আলী বলেন, আগাম বোরো ধান কাটা শুরু হয়েছে। শ্রমিক সংকটের কারণে ধান কাটা নিয়ে চিন্তায় আছি। ধান মাড়াইয়ের পর পাকা অবস্থায় আগাম বোরা ধান বিঘা প্রতি জমিতে ৩০ থেকে ৩৫ মণ (পাকি) ফলন হয়েছে।

    উপজেলা কৃষি অফিস জানান, আগাম বোরো ধান ভাল হয়েছে। তবে একদিনের ঝড়ের কারণে অনেক ধান পড়ে গেছে। তার পরেও ফলন ভালো হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

  • মোংলায় রাতের অন্ধকারে দখলের উদ্দেশ্য চিংড়ি ঘেরে হামলা-ভোরের কণ্ঠ।

    মোংলায় রাতের অন্ধকারে দখলের উদ্দেশ্য চিংড়ি ঘেরে হামলা-ভোরের কণ্ঠ।

    বাগেরহাটের মোংলা উপজেলায় প্রায় ৩৫ একর ঘেরের জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে কিছু দুর্বৃত্তদের উপর।শুক্রবার(২৩ এপ্রিল) মোংলা থানায় এক অভিযোগে এসব কথা উল্লেখ করেন আঃ ছালাম মোল্লা।

    তিনি তার অভিযোগের মাধ্যমে জানান,দীর্ঘ দিন যাবৎ আঃ ছালাম মোল্লা মোংলা থানাধীন জয়মনিতে ওয়েস্টার্ন ইঞ্জিনিয়ারিং এর প্রায় ৩৫ একর ঘেরের জমি দেখাশোনার দায়িত্বে আছেন।কিন্তু ঐ জমি জোর পূর্বক দখলের জন্য অনেকদিন যাবৎ জয়মনি এলাকার ময়েন শেখ এর দুই ছেলে মোঃ ইলিয়াছ,মোঃ রেজাউল এবং মোঃ নুরা এর ছেলে মোঃ শহিদ পায়তারা চালায়।তারা অত্যন্ত উশৃংখল ও দাঙ্গাবাজ।১নং বিবাদী এলাকায় ভূমিদস্যু নামে ক্ষ্যত।

    বিবাদীরা বিভিন্ন সময় তার সাথে বিরোধ সৃষ্টি করে তাকে বিভিন্ন ভয় ভিতি ও খুন জখমের হুমকি দেয়।বিষয়টি আমি স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিদের অবহিত করি।তারই ধারাবাহিকতায় গত শনিবার (২২এপ্রিল) আনুমানিক রাত ৯.৩০মিঃ উক্ত ঘেরে থাকা অবস্থায় উক্ত বিবাদীরা একজোট হয়ে আমাকে খুন করার উদ্দেশ্য ঘেরের ভিতর জোর পূর্বক ঢুকতে গেলে ঘেরে থাকা আলমগীর ও রিয়াজুল বাধা দিলে তাদেরকে এলোপাথাড়ি মারপিট করে আমার দিকে এগিয়ে আসলে আমি প্রানের ভয়ে ঘটনাস্থল থেকে দৌড়ে পালিয়ে যাই।

    এ বিষয়ে কর্তব্যরত পুলিশ কর্মকর্তা জানান অভিযোগ পেয়েছি।তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

  • তাড়াশে এলজিএসপি’র ৩ প্রকল্পের উপকরণ বিতরণ-ভোরের কণ্ঠ।

    তাড়াশে এলজিএসপি’র ৩ প্রকল্পের উপকরণ বিতরণ-ভোরের কণ্ঠ।

    সিরাজগঞ্জের তাড়াশ বারুহাস ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোগে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের মাঝে এলজিএসপি ৩ প্রকল্প’র  উপকরণ বিতরণ করা হয়েছে। ২২ এপ্রিল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার আগে উপজেলার বারুহাস ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে ইউপি চেয়ারম্যান প্রভাষক মোক্তার হোসেন মুক্তার সভাপতিত্বে আনুষ্ঠানিক ভাবে এ উপকরণ সমূহ বিতরণ করেন ৬৪ সিরাজগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডাঃ মোঃ  আব্দুল আজিজ।

    ২০২০-২০২১ অর্থ বছরের বরাদ্দ থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ১০ জোড়া ফাইবার বেঞ্চ, ১০জন প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের মাঝে ১০টি হুইল চেয়ার, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৫টি ষ্টিলের আলমারী ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ২৭টি সেলিং ফ্যান বিতরন করা হয়। এছাড়াও ১শ ৫০জনকে ৫টি করে সাবান,৫টি করে মাস্ক ও ১কেজি করে ব্লিচিং পাউডার দেওয়া হয়।

    এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মনিরুজ্জামান মনি, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান  আনোয়ার হোসেন খান, প্রভাষক মর্জিনা ইসলাম, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি আব্দুল হক, মাকড়শোন জহির উদ্দিন বিজ্ঞান কলেজের অধ্যক্ষ আবু সাইদ,তাড়াশ মহিলা কলেজের প্রভাষক জালাল উদ্দিন, বারুহাস ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রানা,উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আনিছ প্রধান, বর্তমান সভাপতি ইকবাল হাসান রুবেল,পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি আতিকুল ইসলাম আতিক,বারুহাস ইউপি সচিব হেলাল উদ্দিন,সদস্য আতাউর রহমান, আব্দুল করিম,ফরিদুল ইসলাম,মহসিন আলী, শফিকুল ইসলাম সহ অনেকে।

  • শাহজাদপুরে ঋণের টাকায় কেনা ২টি ষাঁড় গরু বজ্রপাতে মৃত্যু-ভোরের কণ্ঠ।

    শাহজাদপুরে ঋণের টাকায় কেনা ২টি ষাঁড় গরু বজ্রপাতে মৃত্যু-ভোরের কণ্ঠ।

    সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে চরবেতকান্দি গ্রামে কালবৈশাখী ঝড়ের সময় ঋনের টাকায় কেনা ২টি ষাঁড় গরু বজ্রপাতে মৃত্যু হয়েছে। ঋণ নিয়ে কেনা গরু দুটির মৃত্যুতে অসহায় কৃষক পরিবারে চলছে আহাজারি।

    বুধবার (২১ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৯ টার দিকে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার চরবেতকান্দি গ্রামের এ ঘটনা ঘটে। ষাড় দুটি আনুমানিক মূল্য প্রায় ১ লাখ টাকা।

    ফরিদ হোসেন জানান, তিনি অন্যর জমিতে দিনমজুর শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। চলতি বছরে এনজিও থেকে ৬৫ হাজার লোন নিয়ে আর সঞ্চিত কিছু টাকা দিয়ে ৭৪ হাজার টাকা দিয়ে ষাঁড় গরু দুটো কেনেন। সন্ধ্যা থেকে হঠাৎ করেই আকাশ কালো মেঘে আচ্ছন্ন হয়ে প্রবল বৃষ্টি শুরু হয়। বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে বিকট শব্দ হয়৷ এ সময় তারা গোয়াল ঘরে ঢুকে দেখতে পান দুটি গরু ঝলসে গিয়ে মাটিতে পড়ে আছে। আশেপাশে লোকজন দ্রুত আসলেও তার আগেই একটি গরু মারা যায়। অন্য কালো ষাঁড়টি নড়াচড়া করতে করতেই কিছুক্ষণ পর মারা যায়।

    এদিকে ঘটনার পর থেকে ফরিদের স্ত্রী মমতা কান্নাকাটি করছেন। কিভাবে কিস্তির টাকা পরিশোধ করবেন। অন্যদিকে তার ছেলে কিডনি রোগে আক্রান্ত। সব মিলিয়ে একটি পরিবারের স্বপ্ন শেষ হয়ে গেলো।

    এখন যদি কোন সহৃদয়বান ব্যক্তি এই অসহায় পরিবারটির পাশে দাঁড়ান তাহলে আবারও ঘুরে দাঁড়াতে পারবে ফরিদ হোসেন, পরিশোধ করতে পারবে কিস্তির টাকা।