Author: admin
-
ঈদুল ফিতর উপলক্ষে গোয়ালন্দে ভিজিএফ’র চাউল বিতরণ।
রাজবাড়ী প্রতিনিধিঃপবিত্র ঈদ-উল ফিতর উপলক্ষে রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ উপজেলার চারটি ইউনিয়ন পরিষদে সরকারের দেওয়া অসহায় দিনমজুর হতদরিদ্রদের মাঝে ভিজিএফ চাল বিতরণ করা হয়েছে।বুধবার (৩ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার উজানচর ইউনিয়ন পরিষদ চত্ত্বরে গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী অফিসার জ্যোতি বিকাশ চন্দ্র এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। এরপর দৌলতদিয়া, দেবগ্রাম ও ছোট ভাকলা ইউনিয়ন পরিষদে এ চাউল বিতরণ করা হয়।উজানচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ গোলজার হোসেন মৃধা, ট্যাগ অফিসার লক্ষন কুমার রায়, উজানচর ইউনিয়ন পরিষদের সচিব ইব্রাহিম সরদারসহ উজানচর ইউনিয়নের প্রত্যেক ওয়ার্ডের ইউপি সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী অফিসার জ্যোতি বিকাশ চন্দ্র জানান, পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে উপজেলার চার ইউনিয়ন পরিষদে ৭ হাজার ৭৩৫ জন দুস্থ হতদরিদ্র নিম্ন আয়ের পরিবারের মাঝে ১০ কেজি করে ভিজিএফ চাল বিতরণ করা হয়েছে। -
ঢাকাস্থ গোয়ালন্দ উপজেলা ছাত্র কল্যান সমিতির ইফতার ও দোয়া মাহফিল।
রাজবাড়ী প্রতিনিধিঃপবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষ্যে রাজধানীর বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যায়নরত শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে গঠিত ঢাকাস্থ গোয়ালন্দ উপজেলা ছাত্র কল্যান সমিতি’র” উদ্যোগে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।সোমবার (১ এপ্রিল) রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডের একটি চাইনিজ রেষ্টুরেন্টে এ ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।এদিন বিকেলে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা হয়।অনুষ্ঠানে এসময় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ পারমাণবিক শক্তি কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান জালাল উদ্দিন মিয়া, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সোহরাব হোসেন,জাতীয় জাদুঘরের প্রশাসনিক কর্মকর্তা জহিরুল হক লাভলু,মোস্তফা মেটাল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড এর চেয়ারম্যান মামুন মুন্সী, দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান মন্ডল, সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী এডভোকেট সফিকুল ইসলাম সফিক।ইফতার মাহফিলে সভাপতিত্ব করেন ঢাকাস্থ গোয়ালন্দ উপজেলা ছাত্রকল্যাণ সমিতির নব-নির্বাচিত সভাপতি শেখ আয়নাল আহসান। সঞ্চালনা করেন নব- নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ স্বপন।এছাড়াও অনুষ্ঠানে দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী ও গোয়ালন্দের বিশিষ্ট ব্যাক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন৷ -
গোয়ালন্দ ফাউন্ডেশন’র উদ্যোগে শতাধিক পরিবার পেলো ঈদ উপহার সামগ্রী।
রাজবাড়ী প্রতিনিধিঃ
“ঈদ হোক সবার” এই প্রতিপাদ্যে রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ উপজেলার ” “গোয়ালন্দ ফাউন্ডেশন” নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সামাজিক সংগঠন প্রতি বছরের ন্যায় এবারও ১৮ রোজা থেকে শতাধিক অসহায় পরিবারের মাঝে ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ শুরু করা শুরু করেছে।
জানা যায়, গোয়ালন্দ ফাউন্ডেশনের স্বেচ্ছাসেবকেরা ১৮ রোজা থেকে এ ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ শুরু করে এই কার্যক্রম চলবে চাঁদ রাত পর্যন্ত। শতাধিক অসহায়, দরিদ্র পরিবারের মধ্যে দেয়া হচ্ছে এ ঈদ উপহার সামগ্রী। গোয়ালন্দ ফাউন্ডেশন এর স্বেচ্ছাসেবকেরা নিজ উদ্যোগে এই ঈদ উপহার সামগ্রী অসহায় দরিদ্রের বাড়ি বাড়ি গিয়ে পৌঁছে দিচ্ছে।
ঈদ উপহার সামগ্রীর প্রতিটি প্যাকেটে রয়েছে ৫ কেজি চাউল, ১ কেজি ডাউল, হাফ লিটার সয়াবিন তেল, ১ কেজি লবণ, ৫০০ গ্রাম মুড়ি, ১ প্যাকেট সেমাই, ৫০০ গ্রাম চিনি, ১০০ গ্রাম গুড়া দুধ, ১ পিছ সাবান।
ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ কার্যক্রমে গোয়ালন্দ ফাউন্ডেশন এর স্বেচ্ছাসেবক আশরাফুল আলম বলেন, ঈদের আনন্দকে সকলের মাঝে ভাগাভাগী করতেই গোয়ালন্দ ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আমরা গোয়ালন্দ উপজেলার মধ্যে স্বেচ্ছাসেবকদের মাধ্যমে অসহায়, দরিদ্রদের চিহ্নিত করে তাদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে ঈদ উপহার পৌঁছে দিচ্ছি। আমাদের এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
গোয়ালন্দ ফাউন্ডেশনের আরেক স্বেচ্ছাসেবক শোয়েব হাসান বলেন, প্রতি বছরের ন্যায় এবারও শতাধিক অসহায় পরিবারের মাঝে ঈদ সামগ্রী উপহার দিচ্ছি আমরা। গোয়ালন্দের মানবিক মানুষের আর্থিক সহযোগীতায় এই ঈদ উপহার গুলো আমরা অসহায় মানুষের মাঝে বিতরন করতে পারছি।
ঈদ উপহার সামগ্রী পেয়ে পরিবারগুলো সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন এবং সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ ও দোয়া প্রার্থনা করেন।
-
বোরো ধানে দেখা দিয়েছে পাতা ব্লাস্ট ও পোকার আক্রমনে দিশেহারা কৃষক।
ডিমলা (নীলফামারী) প্রতিনিধিঃ
নীলফামারীর ডিমলায় চলতি মৌসুমে বোরো ধানের চারা রোপন করেছে উপজেলার দশটি ইউনিয়নের স্থানীয় কৃষকরা। হাড় ভাঙ্গা পরিশ্রম করে একমুঠো ভাতের আশায় ও জীবনের সুখ সাচ্ছন্দ উপভোগ করার জন্য ধার-দেনা করে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে কৃষি জমিতে মনের আনন্দে বোরো ধান রোপন করেছেন কৃষকেরা । রোপনকৃত বোরো ধানগাছ গুলো এখন যৌবনে ভরপুর। কিছুদিনের মধ্যেই ধান গাছের ডগার বুক চিরে বের হবে সবুজ কচি ধানের শীষ। রোপনকৃত জমিতে ভালো ফলনের স্বপ্ন দেখছেন স্থানীয় কৃষকেরা । ঠিক সেই সময় দেখা দিয়েছে পাতা ব্লাস্ট , গিট ব্লাস্ট ও নেক ব্লাস্টসহ বিভিন্ন ধরনের পোকার আক্রমন। ক্ষতিগ্রস্থ্য কৃষকেরা হতাশ ও দিশেহারা। এমন পরিস্থিতিতে কৃষকেরা বালাইনাশক ঔষুধ ব্যবহার করলেও কোন প্রতিকার পাচ্ছে না। নুতন নুতুন রোগ সম্পর্কে কৃষকেদের ধারনাও অজানা। এতে বোরো ধান চাষে বাড়তি খরচ গুনতে হচ্ছে কৃষকদের।
উপজেলার মধ্যম সুন্দর খাতা গ্রামের আব্দুল হামিদের পুত্র কৃষক পাষান আলী জানান, আমি ছয় বিঘা জমিতে হাইব্রীড জাতের বোরো ধান রোপন করেছি। চারা জমিতে রোপনের পর বর্তমান পর্যন্ত ২-৩ বার বালাইনাশক ঔষুধ স্প্রে করেও ধান ক্ষেতে কোন প্রতিকার পাওয়া যাচ্ছে না। এর মধ্যে কিছু যায়গায় ধানের চারাগুলো হলুদ বর্ণ হয়ে ধানের গাছ গুলো বিবর্ণ হয়ে খাটো হয়ে পাতা মরে যাচ্ছে। ডগডগে ধানগাছ গুলো আগুনে পোড়ার মতো দিনদিন শুকিয়ে খড়ে পরিনত হচ্ছে। এই খড় কেটে গৃহপালিত পশুকে খাওয়ানো উচিত হবে না জানান তিনি। এখন যে স্বপ্ন ও বুক ভরা আশা নিয়ে বোরো ধান চাষ করেছি তা এখন গুড়ে বালী হওয়ার উপক্রম।
একই গ্রামের কৃষক সহিদুল ইসলাম বলেন, কৃষি অফিস হতে কোন অফিসার এদিকে আসেনা নামও জানি না। তার রোপনকৃত বোরো ধানের জমিতে ঔষুধ ব্যবহারে কথা জিজ্ঞেস করলে তিনি জানান এ পর্যন্ত দুই বার ঔষুধ ব্যবহার করেছি পোকার আক্রমণ থেকে রক্ষা পাচ্ছি না।
কৃষক মহিকুল ইসলাম জানান, চারা রোপনের পর ধান গাছগুলো ভালোই ছিল কয়েকবার ঔষুধ ব্যবহার করেছি কিন্তু হঠাৎ করে আমার ধানের গাছগুলো খাটো হয়ে পাতা খড়ের মত হচ্ছে। এক বিঘা জমিতে বোরো ধান চাষাবাদ করতে প্রায় ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা খরচ। এভাবে পোকার আক্রমন দেখা দিলে ফসল ঘরে তোলার আগেই আমাদের স্বপ্ন গুলো বিলীন হবে।
বালাপাড়া ইউনিয়নের ৮নং ব্লকের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা শাহিনুর রহমান মুঠো ফোনে বলেন, সরেজমিনে গিয়ে যার যার এরকম ক্ষতি হয়েছে টিট্রমেন্ট দিব, এ পর্যন্ত কোন কৃষক আমাকে জানায় নি। আপনার মাধ্যমে জানলাম।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবীদ মোঃ সেকেন্দার আলী ও কৃষি সম্প্রসারন অফিসার মোঃ খোরশেদ আলম এর মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও ফোন ধরেন নি।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, নীলফামারীর উপপরিচালক ড.এস.এম. আবু বকর সাইফুল ইসলাম সাথে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, উপজেলা কৃষি অফিস হতে মাঠ পর্যায়ে বোরো ধান চাষে কিভাবে ভাল ফলন পাওয়া যায় সে বিষয়ে পরিচর্যা, রোগ প্রতিকার সম্পর্কে স্থানীয় কৃষকদের পরামর্শ ও লিফলেট বিতরন করা হয়েছে।
-
গুইমারায় দুই বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার।
খাগড়াছড়ি প্রতিনিধিঃ
খাগড়াছড়ির গুইমারায় মাদক মামলায় ২ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামি আকাশকে গ্রেফতার করছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) ভোরে টিম গুইমারা থানার উপ-পরিদর্শক মোঃ জহিরুল ইসলাম, সহকারী উপ-পরিদর্শক মোঃ বেল্লাল হোসেনের নেতৃত্বে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে আসামী মোঃ আকাশ(১৯) কে গ্রেপ্তার করেছে গুইমারা থানা পুলিশ। বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন গুইমারা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ আরিফুল আমিন।
গ্রেফতারকৃত মো: আকাশ গুইমারা ইউনিয়ন পরিষদের ৫নং ওয়ার্ড মুসলিম পাড়া এলাকার বাসিন্দা ফজলুল হকের ছেলে।
পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার ভোর রাতে টিম গুইমারা থানা বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে চট্টগ্রাম পাহাড়তলী থানাধীন সাগরিকা মোড় হতে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ০২ (দুই) বছরের সশ্রম কারাদণ্ড প্রাপ্ত ও ছিনতাই সহ একাধিক মামলার আসামি মো: আকাশ কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ওসি মোঃ আরিফুল আমিন বলেন, আসামী আকাশ কে যথাযথ আইনানুগ প্রক্রিয়ায় বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
-
ট্রাফিক পুলিশের পা ধরে কান্না-বিষয়টি নাটকীয়তা দাবি করে পুলিশ সুপারের সংবাদ সন্মেলন।
ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃঠাকুরগাঁওয়ে ট্রাফিক পুলিশের পা ধরে কান্না করার বিষয়টি ভিত্তিহিন ও নাটকীয়তা দাবি করে সংবাদ সম্মেলন করেছে জেলা পুলিশ।মঙ্গলবার সকালে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এমনি দাবি করেন পুলিশ সুপার উত্তম প্রসাদ পাঠক।এসময় তিনি বলেন, গত ৩১ মার্চ ট্রাফিক ফোর্স চেক পোস্টের অপারেশন চলাকালীন দুপুর ১টায় একজন যুবক ট্রাফিক আইন অমান্য করে। এসময় তাকে থামানো হলে তার থেকে কোন প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না পাওয়া ও ড্রাইভিং লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হয়ে যাবার কারণে তাকে জরিমানা করা হয়।জরিমানা করার ২০ মিনিট পরে মোটরসাইকেল আরোহী অন্য একজনকে সঙ্গে নিয়ে কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। সেই সাথে মায়ের চিকিৎসার জন্য ঔষুধ কিনবেন এমন নাটকীয়তা করে ট্রাফিকের পা ধরে রাখার একটি সাজানো ভিডিও ফেসবুকে আপলোড করা হয়। পরিস্থিতিটি পুরোটাই সাজানো এবং পূর্বপরিকল্পিত ছিল।পুলিশ সুপার উত্তম প্রসাদ বলেন, জরিমানাকৃত ও যুবককে জরিমানা করার ২০ মিনিট পরে সে অন্য আরেকজনকে সাথে নিয়ে এসে এমন ঘটনা ঘটিয়েছে। তার বাসা পঞ্চগড়ের বোদায়। সে তার মায়ের চিকিৎসার জন্য ঔষুধ নিতে এসেছিলো এটি মিথ্যা কথা। মূলত জনগণের চোখে পুলিশকে হেয় করতে মিথ্যা ও বানোয়াট এবং উদ্দেশ্যমূলক নাটকীয়ভাবে প্রচার করা হচ্ছে। এটা পুলিশের বিরুদ্ধে নেতিবাচক মনোভাব সৃষ্টির অপচেষ্টা মাত্র। তাই জনগণকে এ বিষয়ে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। -
লক্ষ্মীপুরে কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়া এনজিও কর্মীর হামলার শিকার নারী গ্রাহক।
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধিঃ
লক্ষ্মীপুরে পৌর শহরে প্রত্যাশি ব্যাক এনজিও’র এক কর্মীর বিরুদ্ধে কিস্তি আদায় করতে গিয়ে টাকা না পাওয়ায় এক নারী গ্রাহকে মা’রদোর করে হাসপাতালে পাঠানোর অভিযোগ উঠেছে। গত ২৮ মার্চ বৃহস্পতিবার বিকেলে পৌর সাহাপুর ডাক্তার বাড়িতে (ভাড়াবাসায়) এ ঘটনা ঘটে।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, প্রত্যাশি ব্যাক এনজিও থেকে রেখা আক্তার ৬০ হাজার টাকা কিস্তি নিয়ে নন্দনপুরে জাহাঙ্গীর কে দিয়েছে। জাহাঙ্গীর ও সঠিক সময়ে পরিশোধ না করাতে এনজিও কর্মী সোহাগ সাহাপুর এলাকার মমিনের স্ত্রী রেখা আক্তারের ভাড়া বাসায় এসে খারাপ ব্যবহার করতে থাকে এতে খারাপ ব্যবহার করতে নিষেধ করলে এনজিও কর্মী সোহাগ রেখা আক্তার কে এলোপাথাড়ি মা’র দর শুরু করে। রেখা আক্তার শোরচিক্কারেৎ আশেপাশের লোকজন এগিয়ে এলে সোহাগ পালিয়ে যায়। আহত অবস্থায় রেখা আক্তার কে উদ্ধার করে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।
রেখা আক্তার বলেন , আমি একা বাসায় থাকার সুযোগে এনজিও কর্মী সোহাগ বিভিন্ন সময় আমাকে কুপ্রস্তাবে দেয় রাজি না হওয়া সে। খারাপ আচরণ করতে নিষেধ করায় সোহাগ আমাকে এলোপাথাড়ি মা’র দর শুরু করে। আমার একটি মোবাইল ফোন ও একটি কানের ঝুমকা সোহাগ নিয়ে যায়।
রাত দশটার সময় প্রত্যাশি ব্যাক এনজিও অফিস থেকে কয়েক টা মোটরসাইকেল আরো কয়েকজন এনজিও কর্মী এসে বিভিন্ন হুমকি দেন এই বিষয়ে যেন আর কাউকে কিছু না বলতে ।
এই বিষয়ে অভিযুক্ত সোহাগের কাছে জানতে চাইলে তিনি সংবাদ কর্মী দের কে হুমকি দিয়ে বলেন, আমিও থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি রেখা আক্তার আমার সাথে খারাপ আচরণ করেছে। আমার মুঠোফোন কেড়ে নিয়ে গেছে। আপনার সঠিক নিউজ করবেন না হলে আপনাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রত্যাশি ব্যাক দালাল বাজার শাখার ফিল্ড অফিসার মোঃ আবুল বাশার বলেন,একজন নারী গ্রাহকের গায়ে হাত দেওয়া সোহাগের ভূল হয়েছে। আমি চুটিতে আছি আপনি পরে আমার অফিসে আসলে এই বিষয়ে কথা হবে।
লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার (ওসি) মোঃ সাইফুদ্দিন আনোয়ার বলেন, রেখার আক্তার এনজিও কর্মীর হাতে হামলার শিকার হয়েছে এ বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
-
ঈদুল ফিতর উপলক্ষে গোয়ালন্দে সমন্বয় সভা-নানা উদ্যোগ গ্রহণ।
রাজবাড়ী প্রতিনিধিঃআসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ঘাটের সুষ্ঠ ব্যবস্থাপনা ও যাত্রীদের চলাচল নির্বিঘ্ন করার লক্ষে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।সোমবার (১ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকেউপজেলা পরিষদের সভাকক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।উপজেলা নির্বাহী অফিসার জ্যোতি বিকাশ চন্দ্রের সভাপতিত্বে সভায় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ মোস্তফা মুন্সী, গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি প্রাণবন্ধু চন্দ্র বিশ্বাস, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ আসাদুজ্জামান চৌধুরী, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নার্গিস পারভীন, বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মো. সালাহউদ্দিন, বিআইডব্লিউটিএর আরিচা কার্যালয়ের সহকারী প্রকৌশলী নিশাদ আহম্মেদ, দৌলতদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আঃ রহমান মন্ডল, দৌলতদিয়া নৌ পুলিশের এসআই মো. ফরিদ উদ্দিন, জেলা সড়ক পরিবহন ও বাস মালিক সমিতির কার্যনির্বাহী সদস্য সুকুমার ভৌমিক, আরিচা লঞ্চ মালিক সমিতির অফিস সেক্রেটারী জুয়েল রানা, পরিবহন নেতা তোফাজ্জেল হোসেন, হাসেম খান, সহ থ্রি হুইলার সমিতিসহ ঘাট সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।সভায় জানানো হয়, আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে যাত্রীদের যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে দৌলতদিয়া ও পাটুরিয়া নৌপথে ফেরী ও লঞ্চ সংখ্যা বাড়ানোসহ ঘাট প্রস্তুত রাখা, যাত্রীদের সুবিধার্থে সড়ক ও ঘাট এলাকায় পর্যাপ্ত লাইটিং এর ব্যবস্থা, লুচ কালেকশনের নির্ধারিত পোশাক পরিধান করা, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা বাড়ানো, ঈদকে সামনে রেখে যাতে অপরাধীদের অপতৎপরতা বেড়ে না যায় সেদিকে নজরদারি বাড়ানো, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে চলাচলরত ফেরীতে ঈদের সময় জুয়া, ছিনতাইকারী, ডাকাতির দল সক্রিয় হয়ে উঠে নৌপুলিশ সদস্যদের এ ব্যাপারে আরো বেশি তৎপর হওয়ার অনুরোধ জানানো হয়।সভায় আরো জানানো হয়, ঈদ যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে ছোট-বড় মিলিয়ে ১৫টি ফেরিতে যাত্রী ও যানবাহন পারাপার করবে এছাড়াও যাত্রী পারাপারের জন্য ফেরীর পাশাপাশি ছোট-বড় মিলিয়ে ২০টি লঞ্চ চলাচল করবে এই নৌরুটে। ফেরিতে জুয়ারি চক্রের তৎপরতা বৃদ্ধি, ডাকাতি, ঘাটে অতিরিক্ত বাস – প্রাইভেটকারের কাউন্টার বসিয়ে কতিপয় নেতা ও জনপ্রতিনিধির অনৈতিক সুবিধা আদায়,ছিনতাই, অবৈধ ও ফিটনেস বিহীন যানবাহন চলাচল বন্ধ, বাড়তি ভাড়া আদায় বন্ধ, ঘাটে যাত্রীদের সুবিধার্থে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধিকরন, লঞ্চ ও ফেরির সংখ্যা বাড়ানো,প্রশাসনের কঠোর নজরদারি বাড়ানো, নদীতে অবৈধ ট্রলার, স্পীড বোট,বলগেট চলাচল বন্ধ সহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা ও সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এছাড়াও আসন্ন ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে ঈদের আগে ও পরে মোট ছয় দিন জরুরি পণ্য ও সেবা ব্যতীত সব পণ্যবাহী ট্রাক এবং কাভার্ডভ্যানের ফেরি পারাপার বন্ধ থাকবে। এ ছাড়াও ৬ এপ্রিল থেকে ১৬ এপ্রিল পর্যন্ত পদ্মা নদীতে বালুবাহী বাল্কহেড চলাচল বন্ধ থাকবে এবং পর্যাপ্ত সংখ্যক আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েনসহ বিভিন্ন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বলেন, মহাসড়ক ব্যবহার করে সরাসরি ঘাটে চলে যাওয়া বা ফেরিতে উঠে যাওয়া যানবাহন হতে যে কোন ধরনের টোল বা চাঁদা আদায় অবৈধ। অন্তত ৬ ঘন্টা টার্মিনাল ব্যবহার না করলে টার্মিনাল চার্জ আদায়েরও বিধান নেই। ইতুপূর্বেও আমার কাছে এ বিষয়ে অভিযোগ এসেছে। সংশ্লিষ্টদের এ ধরনের টোল আদায় বন্ধের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তারপরও না মানলে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্হা নেয়া হবে।উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ মোস্তফা মুন্সী ঘাট সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি স্ব-স্ব দায়িত্ব পালন করার জন্য অনুরোধ জানান। ঘরে ফেরা মানুষ যেন নির্বিঘ্নে ঈদ উদযাপন করতে পারে এবং ঘাটে যেন যাত্রী হয়রানীর শিকার না হয় সে জন্য সংশ্লিষ্ট তিনি সকলের প্রতি আহবান জানান।উপজেলা নির্বাহী অফিসার জ্যোতি বিকাশ চন্দ্র বলেন, এ বছর ঘাট দিয়ে ঈদে ঘরমুখো মানুষ যেন কোন রকম ভোগান্তি ছাড়াই বাড়ী পৌছাতে পারে তার সু-ব্যবস্থা করা হবে। কোন ধরনের বিশৃঙ্খলা যেন না হয় সে সকল বিষয়ে সকল প্রস্তুতি গ্রহণ করা হচ্ছে।তিনি আরও বলেন, দৌলতদিয়া ঘাটে যাত্রী হয়রানী ও ভাড়া মনিটরিংয়ের জন্য মোবাইল কোর্ট পরিচালিত করবে উপজেলা প্রশাসন। এমনকি যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষে ঘাট এলাকাসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে পর্যাপ্ত সংখ্যক আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা মোতায়েন থাকবে। -
মৌলভীবাজারে অগ্নিকাণ্ডে ঘুমন্ত অবস্থায় দগ্ধ হয়ে বৃদ্ধ নারীর মৃত্যু।
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলায় বসতঘরে অগ্নিকান্ডে ঘুমন্ত অবস্থায় দগ্ধ হয়ে বৃদ্ধ নূরজাহান বেগম (৭০)নামের এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। এসময় পরিবারের পাঁচজন সদস্য বের হতে পারলেও বৃদ্ধা বের হতে পারেননি।সোমবার ১ এপ্রিল ভোরে রাজনগর উপজেলার পূর্ব কদমহাটায় প্রবাসী মিন্টু মিয়ার বাড়ির তত্বাবধায়ক ময়না মিয়ার বসতঘরে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, সোমবার ভোরে ময়না মিয়ার পরিবারের সবাই সেহেরী খেয়ে ঘুমানোর পর বসতঘরে আগুন লাগে। এসময় প্রাণে বাঁচতে পরিবারের সবাই ঘরের বাইরে চলে আসলে অসুস্থ নূরজাহান বেগম ঘর থেকে বেরিয়ে আসতে পারেন নি। তিনি ঘরের ভেতরেই দগ্ধ হয়ে মারা যান। তাদের নিজ গ্রামের বাড়ি কুমিল্লায়।ছয় সদস্যদের পরিবার নিয়ে প্রবাসীর বাড়িতে একটি টিনশেডের বাড়িতে থাকতেন বৃদ্ধা নূরজাহান বেগম।এ ঘটনার পর প্রতিবেশীরা ফায়ার সার্ভিসে কল দিলে তারা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এসময় ঘরের ভেতর থেকে নূরজাহান বেগমের মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকর্মীরা।এ বিষয়ে মৌলভীবাজারের ফায়ার সার্ভিসের উপ সহকারী পরিচালক মোঃ আলাউদ্দিন জানান, প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে, কয়েল কিংবা সিলিন্ডারের গ্যাস বা বিদ্যুৎ থেকে আগুন লাগতে পারে।এ ঘটনার বিষয়ে রাজনগর থানার ওসি আব্দুস ছালেক বলেন, অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে সাথে সাথেই পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আমরা জেনেছি, নিহত নারী প্যারালাইজডে আক্রান্ত ছিলেন। যে কারণে আগুন লাগার পর তড়িঘড়ির মধ্যে তিনি বের হতে পারেন নি। ফলে, দগ্ধ হয়ে ভেতরেই মারা যান নূরজাহান বেগম। -
গোয়ালন্দে নিরাপদ খাদ্য ব্যবস্থাপনা সমন্বয় কমিটির সভা অনুষ্ঠিত।
রাজবাড়ী প্রতিনিধিঃরাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলা নিরাপদ খাদ্য ব্যবস্থাপনা সমন্বয় কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (১ এপ্রিল)বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ রাজবাড়ী জেলা অফিসের আয়োজনে এবং গোয়ালন্দ উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।সভায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার জ্যোতি বিকাশ চন্দ্রের সভাপতিত্বে এসময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. মাসুদুর রহমান, জেলা নিরাপদ খাদ্য অফিসার মো. আছিফুর রহমান সহ ব্যবসায়ীবৃন্দ প্রমুখ।এ সময় নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতকরনে উপজেলা পর্যায়ে খাদ্য উৎপাদন, আমদানি, প্রক্রিয়াকরন, মজুদ, সরবরাহ, বিপণন ও বিক্রয় সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম সমন্বয়ের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রন করার পরিকল্পনা করা হয়। নিরাপদ খাদ্য ব্যবস্থাপনার বর্তমান পরিস্থিতি নিরুপন, নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সমস্যাসমূহ চিহ্নিতকরন, চিহ্নিত স্থানীয় সমস্যা সমূহের অগ্রাধিকার নির্নয়, অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিদ্যমান সমস্যা দূরীকরন, উপজেলায় নিরাপদ নিরাপদ খাদ্য ব্যবস্থাপনা বিষয়ক জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে প্রচারনা এবং সর্বোত্তম পন্থা অবলম্বন করে স্থানীয়ভাবে সমাধানের বিষয়গুলো তুলে ধরা হয়।