Author: admin

  • আসুন মানুষ বাঁচাতে ঐক্যবদ্ধ হই: আব্দুর রহমান-ভোরের কণ্ঠ।

    আসুন মানুষ বাঁচাতে ঐক্যবদ্ধ হই: আব্দুর রহমান-ভোরের কণ্ঠ।

    নিজস্ব প্রতিবেদকঃবাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য মো. আব্দুর রহমান বলেছেন, ৭১’ এর শকুনেরা পিছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় আসার ষড়যন্ত্র করছে।

    মঙ্গলবার (৪ মে) সকালে রাজধানীর খামারবাড়িতে কেআইবি মাঠে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঈদ উপহার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

    আব্দুর রহমান বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বের গুণের কারণেই বিশ্বের করোনার এই অবস্থায়ও বাংলাদেশ ভালো আছে। তিনি করোনার প্রথম থেকে দেশের প্রতিটি মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে সাহায্য সহযোগিতা করে যাচ্ছেন এবং নগদ অর্থ বিতরণ করেছেন। তার নির্দেশে আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা করোনায় মৃত ব্যক্তির লাশ দাফন থেকে শুরু করে সবকিছু করে যাচ্ছেন। এমনকি শেখ হাসিনার নির্দেশে কৃষকের ধান কেটে ঘরে তুলে দিয়েছেন নেতাকর্মীরা।

    কিছু মৌলবাদী সংগঠন সংগঠিত হয়ে শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটাতে চক্রান্ত করে যাচ্ছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, শেখ হাসিনা তাদেরকে ভয় পায় না, দেশের জনগণকে তার সঙ্গে আছে।

    আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, যারা সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে তাদের ষড়যন্ত্র খড়কুটার মতো ভেসে যাবে। কেউ চাইলেই শেখ হাসিনার উপর কালো ছায়া ফেলতে পারবে না। এই করোনা মধ্যে তিনি জনগণের জীবন ও জীবিকা রক্ষা করতে কাজ করে যাচ্ছেন। তার সঙ্গে দেশের মানুষের দোয়া ও আশীর্বাদ আছে; তাই কোনো ষড়যন্ত্রই সফল হবে না।

    বাংলাদেশ কৃষক লীগের সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট উম্মে কুলসুম স্মৃতি এমপি। বিশেষ অতিথী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম।

    এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক বাবু সুজিত রায় নন্দী, দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, কৃষক লীগের সহ সভাপতি শেখ জাহাঙ্গীর আলম, মাকসুদুল ইসলাম, সাখাওয়াত কাসেম, নজরুল ইসলাম, হুসনে আরা এমপি, আকবর আলী চৌধুরী, যুগ্ম সম্পাদক শামীমা শাহরিয়ার এমপি প্রমুখ।

  • কলাপাড়ায় বালিয়াতলী খেয়াঘাটে টোল আদায়ের নামে চাঁদাবাজি-ভোরের কণ্ঠ।

    কলাপাড়ায় বালিয়াতলী খেয়াঘাটে টোল আদায়ের নামে চাঁদাবাজি-ভোরের কণ্ঠ।

    কলাপাড়ায় আলোচিত বালিয়াতলী খেয়া পারাপারে নির্দেশিত টোল চার্ট উপেক্ষা করে যান্ত্রিক নৌকায় জনপ্রতি ৪ টাকার পরিবর্তে ১০টাকা, মোটর সাইকেল ১০ টাকার পরিবর্তে ৪০ টাকা, অটো রিক্সা-ভ্যান ৬ টাকার পরিবর্তে খালি ও পন্য বোঝাই প্রতি ১০০-১০০০ টাকা পর্যন্ত আদায় করা হচ্ছে।

    এছাড়া বাই সাইকেল, ছাগল, ভেড়া, গরু, মহিষ ও অন্যান্য মালামাল পারাপারে ইচ্ছেমত টাকা আদায় করা হচ্ছে। যেন বালিয়াতলী খেয়াঘাটে প্রকাশ্যে চলছে এ চাঁদাবাজি। নেপথ্যে রয়েছে প্রভাবশালী নেতা এবং তার পেছনে খুঁটি হিসেবে রয়েছে একজন প্রভাবশালী আমলা। যার দরুন খেয়া পারাপারের এ চাঁদাবাজি বন্ধে জনতার অভিযোগ, আবেদন, স্মারকলিপি কিংবা মানববন্ধন কোনটাই কাজে আসছেনা।

    স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আলোচিত এ খেয়াটি এবার ইজারাদার নিয়োগ না দিয়ে সরকারী খাস কালেকশনে নেয়ায় প্রায় কোটি টাকরা রাজস্ব বঞ্চিত হয়েছে সরকার। ১৪২৭ সালে খেয়াটির দরপত্র আহবানে ৮৯ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার দরপত্র জমা পড়লেও ১৪২৮ সালে রহস্যজনক ভাবে দু’বার একটি দরপত্র না পড়লেও তৃতীয় দরপত্র আহবানে জমা পড়ে ৯ লক্ষ টাকার ইজারা দরপত্র। এরপর পরিকল্পিত ভাবে খেয়াটি খাস কালেকশনে নেয় প্রভাবশালী আমলা।

    এতে আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠে খেয়া ঘাটের টোল আদায়কারীরা। অথচ জনগনকে জিম্মি করে খাস কালেকশনে আদায়কৃত অর্থের সঠিক কোন হিসেব নেই, যার সিকি ভাগ সরকারী কোষাগারে জমা পড়লেও সিংহ ভাগ যাচ্ছে কয়েকজনের পকেটে। আর টোল আদায়ের নামে চাঁদাবাজি বন্ধ হচ্ছে না কোন কিছুতেই।

    সম্প্রতি মোস্তফা জামান সুজন নামের একজন সাংস্কৃতিক কর্মী তার ফেসবুক আইডিতে টোল আদায়ের নামে এ চাঁদাবাজির সাথে জড়িতদের নাম সহ প্রকাশ্যে এ চাঁদাবাজি বন্ধের জন্য ষ্ট্যাটাস দিয়েছেন।

    তিনি লিখেছেন দীর্ঘদিন যাবৎ এর প্রতিকার চাইলেও ফলাফল শূন্য। টোল নিয়ে কথা বললেই লাঞ্চিত হয় যাত্রীরা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের এ প্রতিবাদ কোন কাজে না আসায় ২রা মে তিনি ইউএনও কলাপাড়াকে বিষয়টি লিখিত ভাবে জানিয়ে প্রতিকার চেয়েছেন।

    স্থানীয়দের অভিযোগ, এখানে চলে কলাপাড়া উপজেলা প্রশাসনের নিয়ন্ত্রিত কালেকশন ! কিন্তু চাঁদাবাজি বন্ধ হয়নি। গড়ে প্রতিদিন যদি ২০০ মোটরসাইকেল পারাপার হয় এই পথে। তাতে খাস কালেকশনে আদায় হচ্ছে প্রতিদিন চার হাজার টাকা। মাসে এক লাখ কুড়ি হাজার, বছরে ১৪ লক্ষাধিক টাকা শুধু মোটরসাইকেল ভাড়া। এরপর মানুষ পারাপার, বাই সাইকেল, ছাগল, ভেড়া, গরু, মহিষ ও অন্যান্য মালামাল পারাপার তো আছেই।

    উপজেলা প্রশাসন সবসময় বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। শুধু বালিয়াতলী খেয়াঘাটে নয়, সব ক’টি খেয়াঘাটেই এখন অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। যেন খেয়া ঘাটে চলছে চাঁদাবাজির মহোৎসব। এ যেন বেড়ায় ক্ষেত খাবার অবস্থা।

  • উল্লাপাড়ায় স্বামী স্ত্রীসহ জামায়াত শিবিরের ৮ নেতাকর্মি আটক-ভোরের কণ্ঠ।

    উল্লাপাড়ায় স্বামী স্ত্রীসহ জামায়াত শিবিরের ৮ নেতাকর্মি আটক-ভোরের কণ্ঠ।

    সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় নাশকতা পরিকল্পনার অপরাধে জামায়াত শিবিরের ৮ নেতাকর্মীকে আটক করেছে মডেল থানা পুলিশের সদস্যরা।সোমবার (৩ মে)পৌর শহরের ঝিকিড়া মহল্লায় রাতে নাশকতা পরিকল্পার বৈঠক করছেন এ সময় পুলিশ তাদের ঘটনাস্থল থেকে আটক করেন। এ সময় তাদের নিকট থেকে জিহাদী বই উদ্ধার করা হয়।

    আটককৃত জামায়াত শিবিরের নেতাকর্মিরা হলে শাহজাদপুর উপজেলার মৃত রহিজ উদ্দিনের ছেলে মোঃরিয়াজ উদ্দিন(৩৬),সলংগা থানার পুস্তিগাছা গ্রামের মৃত আবু তাহেরের ছেলে মোঃ আফছার আলী(৪৭), উল্লাপাড়া উপজেলার পৌর শহরের ঝিকিড়া মহল্লার হাজী আবুল হোসেন সরকারের ছেলে মোঃ সাইফুল ইসলাম(৪৪) ও তার স্ত্রী এলিজা পারভীন(৩০), উল্লাপাড়া পশ্চিমপাড়া গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে শায়েক মাহমুদ(২৭),কয়ড়া কৃষ্ণপুর গ্রামের গাজীউর রহমানের ছেলে মোঃ রায়হান আলী(৪১), পঞ্চক্রোশী ইউনিয়নের রামকান্তপুর গ্রামের আব্দুল গফুরের ছেলে মোঃ হাফিজুল ইসলাম(৩০), বেতকান্দি ফকিরপাড়া গ্রামের মাজেম আলী ফকিরের ছেলে মোঃ শাহিন দুলাল(৪৫)।

    এ ঘটনা নিশ্চিত করে উল্লাপাড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দীপক কুমাড় দাশ জানান গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারি পৌর শহরের ঝিকিড়া গ্রামে জামায়াত শিবির নাশকতার জন্য গোপন বৈঠক করছে এমন সংবাদ পেয়ে পুলিশ অভিযান পরিচালনা করে ঘটনাস্থল থেকে ৮ জামায়াত শিবিরের নেতাকর্মীকে আটক করে। আটককৃতরা দলের দায়িত্বশীল পদে দায়িত্ব পালনের ভূমিকায় রয়েছেন। এ সময় তাদের নিকট থেকে জিহাদী বই উদ্ধার করা হয়েছে। আটককৃতদের বিরুদ্ধে মামলা রজু করে মঙ্গলবার সকালে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

  • ইউপি চেয়ারম্যান নবীদুল ইসলামের ঈদ উপহার সামগ্রী  বিতরন- ভোরের কণ্ঠ।

    ইউপি চেয়ারম্যান নবীদুল ইসলামের ঈদ উপহার সামগ্রী  বিতরন- ভোরের কণ্ঠ।

    সিরাজগঞ্জ সদর-কামারখন্দ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডাঃ হাবিবে মিল্লাত মুুুুন্না’র নির্দেশনায় – সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার সয়দাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের সুযোগ্য চেয়ারম্যান , দানবীর, আলহাজ্ব মোঃ নবীদুল ইসলাম এর নিজস্ব অর্থায়নে-পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে ও করোনা প্রকোপে দুস্থ কর্মহীন গরীব অসহায় সয়দাবাদ ইউনিয়নের হাজারো নারী পুরুষকে ঈদুল ফিতরের ঈদ উপহার করেছেন। ঈদ উপহার সামগ্রীর মধ্যে ছিলো শাড়ী, লুুঙ্গী ,পাঞ্জাবী,চাউল ও নগদ অর্থ। মাহে রমজানের প্রথম থেকে পথিক, সমাজিক দুরত্ব নিশ্চিত করে ছোট ও বড় আকারে লোক সমাগম করে এ সকল উপহার দিয়ে আসছেন দানবীর এই চেয়ারম্যান।

    এর ধারা বাহিকতায় শনিবার সকালে সয়দাবাদ ইউনিয়নের হাটসারটিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে হাটসারটিয়া এবং দুখিয়াবাড়ীর পাড়ায় পাড়ায় ঘুরে ঘুরে মোট ৪১০ জন গরীব ও অসহায় নারীদের মাঝে শাড়ী কাপড় বিতরণ করেন। এ সব ঈদ উপহার ও খাদ্যসামগ্রী বিতরন কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছেন।

    এসব ঈদ উপহার পেয়ে সয়দাবাদ ইউনিয়নের গরীব, দুস্থ, অসহায় মানুষেরা ভীষণ খুশি হয়ে বাড়ী ফিরছেন। হাসিমুখে হাটসারটিয়া গ্রামের ৭৫ বছরের সালেহা বেওয়া, ফুলকুনি (৭০), প্রমেলা খাতুন (৬৮) টুলু বেওয়ারা বলেন, নতুন শাড়ী কাপড় পড়ে ঈদের দিন আনন্দ করবেন বলে জানান। নবীদুল চেয়ারম্যান খুব ভালো মানুষ তার জন্য আমরা সবাই দোয়া করবো। এ চেয়ারম্যান সব সময় আমাদের পাশে থাকে এবং সাহায্য সহযোগিতা করেন।

    এসময় ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ নবীদুল ইসলাম বলেন, করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় সবাইকে মাস্ক পরতে হবে, ঘন ঘন সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে। স্বাস্হ্যবিধি মেনে চলার আহবান জানান। ঈদ উপহার বিতরন কালে উপস্থিত ছিলেন, সয়দাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান ইউপি সদস্য আব্দুল মোমিন তালুকদার, ইউনিয়ন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক স্বাধীন সুজন, ইউনিয়ন ছাত্রলীগের অর্থসম্পাদক সবুজ তালুকদার প্রমুখ।

  • রাজধানীর সাভার বংশী নদীতে অজ্ঞাত যুবকের লাশ উদ্ধার-ভোরের কণ্ঠ।

    রাজধানীর সাভার বংশী নদীতে অজ্ঞাত যুবকের লাশ উদ্ধার-ভোরের কণ্ঠ।

    রাজধানীর সভার বংশী নদী থেকে অজ্ঞাত( ২৫ ) এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে সাভার মডেল থানার পুলিশ।

    সোমবার ( ৩ মে ) সকালে সাভার পৌর এলাকার কাতলাপুরের বংশী নদী থেকে ওই অজ্ঞাত নামে যুবকে লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

    পুলিশ সূত্রে জানা যায় সোমবার সকালে কাতলাপুরের বংশী নদীর কিনারে এক যুবকের লাশ ভাসতে দেখে স্থানীয়রা থানা পুলিশকে সংবাদ দেন। পরে সাভার মডেল থানা ও নৌ পুলিশ খবর পেয়ে নদী থেকে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে। পরে ময়নাতদন্তের জন্য রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়ে দেয়া হয়।

    নিহত যুবকের সারা শরীরে ধারালো অস্ত্রের চিহ্ন দেখা যায়। পুলিশের ধারনা দুর্বৃত্তরা তাকে হত্যা করে লাশ গুম করার জন্য নদীতে ফেলে রেখে গেছে।

    এ বিষয়ে সাভার মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) সাইফুল ইসলাম জানান, অজ্ঞাত ওই যুবকের নাম পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে। এছাড়া এঘটনায় সাভার মডেল থানায় একটি ইউডি মামলা হয়েছে।

  • কালিয়াহরিপুরে জেলে সম্প্রদয়ের মাঝে ভিজিএফের চাল বিতরণ-ভোরের কণ্ঠ।

    কালিয়াহরিপুরে জেলে সম্প্রদয়ের মাঝে ভিজিএফের চাল বিতরণ-ভোরের কণ্ঠ।

    “মুজিব বর্ষে শপথ নেবো, জাটকা নয় ইলিশ খাবো”। এ শ্লোগান নিয়ে-জাটকা আহরণ নিষিদ্ধকালীন সময়ে জাটকা আহরণে বিরত থাকার জন্য জেলে সম্প্রদায় অসহায় মানুষের মাঝে ভিজিএফ কর্মসূচির আওতায়-সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার কালিয়াহরিপুর ইউনিয়নের ৯২ জন মৎস্য শিকারীদের মধ্যে (প্রতি মাসে ৪০ কেজি হারে এপ্রিল-মে, ২ মাসের জন্য) ৮০ কেজি করে চাউল বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়েছে। ভিজিএফ চাউল বিতরণ কার্য্যক্রম অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ আনোয়ার হোসেন।

    এ সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন আমাদের গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার ঝাটকা শিকার করা নিষেদ। আপনাদের পরিবার পরিজনের কথা মাথায় রেখে সরকার ভিজিএফ কার্ডের ব্যবস্থা করেছে।

    এসময় উপস্থিত ছিলেন,ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আব্দুস সবুর সেখ সহ সদর উপজেলার সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা, ক্ষেত্র সহকারী, লিফ ও সুধীবৃন্দ।

  • বগুড়ায় অটোভ্যান চালাতে গিয়ে লাশ হয়ে ফিরলেন মোখলেছের-ভোরের কণ্ঠ।

    বগুড়ায় অটোভ্যান চালাতে গিয়ে লাশ হয়ে ফিরলেন মোখলেছের-ভোরের কণ্ঠ।

    সারারাত পরিবার পরিজনদের নিয়ে বেশ চিন্তায় থাকতো অসহায় দরিদ্র মোখলেছুর রহমান (৬০)। করোনাকালে পরিবারের মুখে আহার তুলে দিতে ভাড়া খাটতে সকালে বেড়িয়ে পড়তো তাঁর বহনকৃত অটোভ্যান নিয়ে।

    অন্যান্য দিনের মত(২মে)রবিবারও ভাড়া খাটতে বের হয় মোখলেছুর রহমান। তবে সকালে নয় অটোবহনটি নিয়ে বের হয় বিকালে।সে বিকালে বেড়িয়ে গেল আর ফিরে আসে নাই। পরিবারের সদস্যরা মনে করে ছিলেন কর্তা আজ অনেক দূরের ভাড়া ধরেছে তাই হয় তো বাড়ি ফিরতে দেরি হচ্ছে।

    কিন্তু না সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসছে তাঁর কোন সাড়া নেই। তাঁরপর রাত! না তাও ফিরলো না। ফোন করা হলো মোখলেছুর রহমানের নাম্বারে। ডায়াল করার পরপরই তাঁর নাম্বারটি বন্ধ দেখাচ্ছে। তাতেও তার পরিবার আতঙ্কিত নয়। ভাবছিল ফোনের চার্জ হয়তো বা ফুরিয়ে গেছে। এবার রাত গভীর গভীর ভাব না সে তো ফিরলো না।

    ফোনটা একেবারেই বন্ধ। এবার চারিদিকে খোঁজাখুঁজি আর কান্নাকাটির রোল। আত্মীয় স্বজনসহ অনেক সম্ভাব্য স্থানে তালাশ করেও সন্ধান মেলেনা মোখলেছুর রহমানের। পরিবারের একজন উপার্জনক্ষম ব্যক্তি নিখোঁজ হৈচৈ কে বা গরীব অসহায় পরিবারে এসে শান্তনা দেবে। মোখলেছুর রহমানের পরিবারের এভাবেই রাত কেটে যায়।

    এরপর সোমবার (৩মে) সকালে লোকমুখে বলাবলি করে পাটক্ষেতে একটি গলাটাকা লাশ পড়ে আছে। সংবাদটি শুনে প্রথমে আতঁকে ওঠে মোখলেছুর রহমানের পরিবার। তাঁর বাড়ি থেকে স্বল্প দূরত্বের পথ পায়ে হেটেই রওনা দিলেন মোখলেছের পরিবার। এগুতে থাকে শিবগঞ্জ উপজেলার ময়দানহাটা ইউনিয়নের উত্তর কৃষ্টপুর পোল্লারপার গ্রামে। সেখানে দেখা যায় হাজার হাজার নারী-পুরুষ লাশটিকে ঘিরে আছে। হাজার মানুষের ভিড় টপকে পাটক্ষেতে পরিত্যক্ত লাশের গায়ের কাপড় দেখেই শনাক্ত করে এটাই মোখলেছুর রহমান। সঙ্গে সঙ্গে আহাজারিতে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে স্ত্রী সন্তান। এই হৃদয়বিদারক ঘটনাটি ঘটেছে বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার কিচক ইউনিয়নে।

    নিহত মোখলেছুর রহমান উপজেলার কিচক ইউনিয়নের তালপুকুরিয়া আখাঁবা‌ড়ি গ্রামের মৃত আলী ফকিরের ছেলে। পরে এলাকাবাসী শিবগঞ্জ থানা পুলিশ কে খবর দেয়। খবর পেয়ে শিবগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সিরাজুল ইসলামসহ সঙ্গীয় ফোর্স ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পরে সুরতহাল রিপোর্ট শেষে লাশ ময়না তদন্তের জন্য বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ পাতালে পাঠায়।

    এ বিষয়ে শিবগঞ্জ অফিসার ইনচার্জ ওসি সিরাজুল ইসলাম বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জনয় মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে তাঁকে হত্যা করে দূর্বৃত্তরা তার অটোভ্যান ও মোবাইল ফোনটি ছিনিয়ে নিয়ে গেছে। তাঁর অটোভ্যান উদ্ধার ও ছিনতাইকারীদের আটক করতে মাঠে নেমেছে শিবগঞ্জ থানা পুলিশ।

  • সিরাজগঞ্জে পুকুরের পানিতে ডুবে এক শিশুর মৃত্যু-ভোরের কণ্ঠ।

    সিরাজগঞ্জে পুকুরের পানিতে ডুবে এক শিশুর মৃত্যু-ভোরের কণ্ঠ।

    সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার ছোনগাছায় পুকুরের পানিতে ডুবে সানজিদ (৪) নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।

    সোমবার (৩ মে) দুপুরে ছোনগাছা ইউনিয়নের টুকরো ছোনগাছা গ্রামে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। শিশু সানজিদ ওই গ্রামের সোনা উল্লাহর ছেলে।

    ছোনগাছা ইউপি সদস্য সেলিম হোসেন নিহতের চাচা আলী হাসানের বরাত দিয়ে জানান, দুপুরের দিকে বাড়ীর পাশে পুকুরে অন্যান্য শিশুদের সঙ্গে গোসল করতে নামে সানজিদ।
    গোসলের এক পর্যায়ে সবার অজান্তে পানিতে ডুবে যায়। অনেক খোঁজাখুজির এক পর্যায়ে শিশু সানজিদের মরদেহ ভেসে ওঠে। তাৎক্ষনিক পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জ বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।

    এই মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

  • সিরাজগঞ্জে মহাসড়কে যানজট নিরসনে পুলিশের মতবিনিময় সভা-ভোরের কণ্ঠ।

    সিরাজগঞ্জে মহাসড়কে যানজট নিরসনে পুলিশের মতবিনিময় সভা-ভোরের কণ্ঠ।

    আসন্ন পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে মহাসড়কে যানজট নিরসনে খানাখন্দ মেরামতকল্পে সিরাজগঞ্জ পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    সোমবার (৩ মে) বেলা সাড়ে ১১টার সময় সিরাজগঞ্জ  পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে পুলিশ সুপার হাসিবুল আলম, বিপিএম,এর সভাপতিত্বে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় উপস্থিত কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্য বলেন সরকার ঈদ উল ফিতরে ঘরমুখো মানুষের ভোগান্তি নিরসনের জন্য এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমরা যার যার অবস্থান থেকে সরকারি নির্দেশ যথাযথ পালন করবো।

    উক্ত,মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন, নির্বাহী প্রকৌশলী সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর , জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, সহকারী পুলিশ সুপার, সহ সকল থানার অফিসার ইনচার্জ, ট্রাফিক ইনস্পেক্টর, ডিআইও-১ সিরাজগঞ্জসহ জেলার অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

  • মোংলা বন্দরে উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন উদ্ধারকারী জাহাজ ক্রয়ের পরিকল্পনা-ভোরের কণ্ঠ।

    মোংলা বন্দরে উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন উদ্ধারকারী জাহাজ ক্রয়ের পরিকল্পনা-ভোরের কণ্ঠ।

    মোংলা বন্দর চ্যানেল ও বহির্নোঙ্গরে দুর্ঘটনায় কবলিত জলযান ও জনবল দ্রুত উদ্ধার করার জন্য একটি উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন উদ্ধারকারী জলযান সংগ্রহের কথা জানিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। বন্দরের ২৪ টি ভবিষ্যৎ উন্নয়ন প্রকল্পের মধ্যে ১৬ নম্বর প্রকল্পে উদ্ধারকারী জাহাজ সংগ্রহের বিষয়টি উল্লেখ রয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

    বন্দরের হারবার বিভাগ সুত্রে জানা গেছে,বন্দর চ্যানেলে প্রায়ই কয়লাবাহী কার্গো জাহাজসহ অন্যান্য জাহাজ ডুবির ঘটনা ঘটে। এতে করে একদিকে যেমন সুন্দরবনের ক্ষতি হয় তেমন পরিবেশের উপর মারাত্বক প্রভাব পড়ে।

    বন্দর চ্যানেলের অভ্যন্তরে কোন জাহাজ ডুবে গেলে তাৎক্ষনিক বন্দর কর্তৃপক্ষের কিছুই করার থাকেনা। অনেক সময় দেখা যায় কোন জাহাজ ডুবে গেলে সেটা উদ্ধার করার তৎপরতা দেখায় না মালিকপক্ষ বা সংশ্লিষ্ট কোম্পানী। এতে করে বন্দর চ্যানেল হয়ে পড়ে অরক্ষিত। সুতরাং বন্দর চ্যানেল সার্বক্ষণিক নিরাপদ রাখতে হলে অবশ্যই উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন জলযান প্রয়োজন।

    মোংলা বন্দর ব্যবহারকারী ও আমদানিকারকরা জানান, বন্দরে উদ্ধারকারী জাহাজ সংগ্রহের বিষয়টি ২০১৫ সাল থেকেই শোনা যাচ্ছে। এখনো আলোর মুখ দেখেনি প্রকল্পটি। তৎকালীন বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ সর্বপ্রথম উদ্ধারকারী নৌযান সংগ্রহের বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেছিলেন কিন্তু এই জলযানের রক্ষণাবেক্ষন ব্যয় অনেক বেশি হওয়ায় প্রকল্পটি ওই সময়ে বাতিল হয়ে যায়।

    মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ সুত্রে জানা গেছে,চলতি বছর থেকে আগামী ২০৪০ সাল পর্যন্ত ২৪ টি উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। এসব প্রকল্পের মধ্যে একটি উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন উদ্ধারকারী জাহাজ কেনার পরিকল্পনা রয়েছে এবং সেটি ২০২৫ – ২০৩০ সালের মধ্যে সংগ্রহ করা সম্ভব হবে বলে আশা প্রকাশ করেছে সংস্থাটি।

    বন্দর কর্তৃপক্ষ আরো জানায়, ২০০৯ সালে বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর ১২ বছরে এই বন্দরের অনেক উন্নয়ন হয়েছে।অনেকগুলো উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে যার সুফল পাচ্ছে মোংলা বন্দর তথা দক্ষিণ- পশ্চিমাঞ্চলের মানুষ। ধারাবাহিক উন্নয়ন অব্যাহত থাকায় দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে এ বন্দর।

    জানতে চাইলে বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মোহাম্মদ মুসা বলেন, বন্দর চ্যানেল নিরাপদ রাখা এবং নাব্যতা রক্ষা আমাদের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। বর্তমানে আমাদের ইনারবারে ড্রেজিং কার্যক্রম চলছে এবং উদ্ধারকারী জাহাজ যত দ্রুত সম্ভব আমরা সংগ্রহ করবো। তিনি আরো বলেন, মোংলা বন্দরে ব্যাপক উন্নয়নের কারনে এ অর্থবছরে প্রায় ১ হাজার জাহাজ আগমনের রেকর্ড ছাড়িয়ে যাবে। বন্দরের উন্নয়নে সকল প্রকল্প ধাপে ধাপে বাস্তবায়ন করা হবে।