Author: admin

  • সিরাজগঞ্জের তাড়াশে জি আর ও ভিজিএফথর নগদ অর্থ বিতরণ-ভোরের কণ্ঠ।

    সিরাজগঞ্জের তাড়াশে জি আর ও ভিজিএফথর নগদ অর্থ বিতরণ-ভোরের কণ্ঠ।

    সিরাজগঞ্জের তাড়াশে মাগুড়া বিনোদ ইউনিয়নের উদ্যোগে প্রধানমন্ত্রীর উপহার সামগ্রী  হতদরিদ্র ও দৃঃস্থদের মাঝে নগদ অর্থ বিতরণ করা হয়েছে।

    সোমবার ১০ মে সকালে উপজেলার মাগুড়া বিনোদ ইউনিয়ন পরিষদ ভবন চত্বরে পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে এ অর্থ বিতরণ করা হয়। ২০২০-২১ অর্থ বছরে সরকারী বরাদ্দ থেকে হতদরিদ্র পরিবার ও দুঃস্থদের মাঝে জি আর থেকে ৫’শ জনকে ৫’শ টাকা করে ও ভিজিএফথর বরাদ্দ থেকে ১ হাজার ৪’শ ৯৪জনকে নগদ অর্থ ৪’শ ৫০টাকা করে বিতরণ করেন ইউপি চেয়ারম্যান প্রভাষক আতিকুল ইসলাম বুলবুল।

    এ সময় উপস্থিত ছিলেন ট্র্যাগ অফিসার উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান, ইউপি মহিলা সংরক্ষিত আসনের সদস্য জয়নব খাতুন, ওয়ার্ড সদস্য আলতাব হোসেন প্রমুখ।

     

  • পলাশবাড়ী কোচ ড্রাউভার সমবায় সমিতি উদ্যোগে ঈদ উপহার বিতরণ-ভোরের কণ্ঠ।

    পলাশবাড়ী কোচ ড্রাউভার সমবায় সমিতি উদ্যোগে ঈদ উপহার বিতরণ-ভোরের কণ্ঠ।

    গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী কোচ ড্রাইভার সমবায় সমিতি রেজি নং-২৬/১৯ এর উদ্যোগে পলাশবাড়ী উপজেলার অসহায় কর্মহীন শ্রমিকদের মাঝে ঈদ উপহার বিতরণ করা হয়েছে।

    আজ ১০ মে সোমবার পলাশবাড়ী পৌরসভার অফিসের সামনে সংগঠনটির কার্যালয়ে পলাশবাড়ী কোচ ড্রাইবার সমিতির সভাপতি ফজলে রাব্বির সভাপতিত্বে ঈদ উপহার বিতরণ ও আলোচনা সভায় অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন মোহনা ক্লিনিক এন্ড নাসিং হোম এর সত্বাধিকারী আব্দুল মোত্তালিব সরকার বকুল ।

    অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সাগরিকা পরিবহনের মালিক সেলিম মিয়া । এছাড়াও আরো উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির সহ সভাপতি শেখ রাজু মিয়া,সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল ইসলাম, সহ সাধরণ সম্পাদক শামিম ড্রাইভার,সাংগঠনিক সম্পাদক রিপন প্রধান, ক্যাশিয়ার রাজু মিয়া,প্রচার সম্পাদক হযরত আলী স্বপন, কার্যকারি সদস্য আয়নাল হক, মামুন,আলামিন,শাওন, জুয়েল,তারিকুল ইসলাম,আরিফুল ইসলাম,লিটন মন্ডল, হাফিজুর রহমান, মোস্তাফিজার রহমান,মোজাহারসহ অন্যান্যরা।

    শেষে করোনা কালিন সময়ে করোনা মহামারি হতে রক্ষায় দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনা করে দোয়া পরিচালনা করা হয়। উল্লেখ্য, দেশের চলমান বিভিন্ন দুর্যোগে গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলায় অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে মানবিক সেবা মুলক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।

  • সিরাজগঞ্জে গোল্ডেন ক্রাউন তরমুজ চাষে লাভের আশা দেখছেন তরুণ উদ্যাক্তা-ভোরের কণ্ঠ।

    সিরাজগঞ্জে গোল্ডেন ক্রাউন তরমুজ চাষে লাভের আশা দেখছেন তরুণ উদ্যাক্তা-ভোরের কণ্ঠ।

    মাসুদ রানাঃ সিরাজগঞ্জ কামাখন্দ উপজেলার কলেজ পাড়ায় ক’জন তরুণ উদ্যাক্তা পরিক্ষামুলক ১০ শতক জায়গা বর্গা নিয়ে গোল্ডেন ক্রাউন তরমুজ চাষ করে লাভের স্বপ্ন গুনতে শুরু করেছেন।

    জানা যায় ক’জন তরুণ বিভিন্ন মিডিয়ায় গোল্ডেন ক্রাউন তরমুজের চাষাবাদ ও লাভের কথা শুনে নিজেরা পরিক্ষামুল ভাবে চাষ করার উদ্যোগ গ্রহন করেন।

    দু’জন উদ্যাক্তা ভোরের কণ্ঠকে জানান গোল্ডেন ক্রাউন তরমুজ তরকারি আবাদের মতই গাছ বড় হলে বাঁশ ও সুঁতা দিয়ে মাচা/জানলা দিতে হয়। লাউ কুমড়ার মত জানলায় গাছ ছেয়ে যায়। এপ্রিল থেকে গাছে ফল ধরতে শুরু করেছে। কয়েক দিন পর থেকে তরমুজ বাজারজাত করন করা যাবে। ১০ শতক জায়গাতে তরমুজ চাষ করতে যে পরিমান খরচ হয়েছে, ফলন ভালো হওয়ার আশা করছি আমাদের ৪/৫ গুন লাভ হবে। যত্ন ও কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শ নিয়ে চাষ করলে অন্যান্য ফসলের তুলুনায় কৃষক গোল্ডেন ক্রাউন তরমুজ চাষে লাভবান হবে।

    তারা আরোও বলেন চুয়াডাঙ্গা থেকে উন্নতজাতের গোল্ডেন ক্রাউন তরমুজের বীজ আনা হয় । পরে জমিকে বীজ বোপণের উপযোগী করে বীজ বোপণ করা হয়। ফলন ভালো হয়েছে কিন্তু পোকাড় জন্য কিছু তরমুজ নষ্ট হয়েছে।

    কামারখন্দ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আনোয়ার সাদাত জানান উন্নতজাতের গোল্ডেন ক্রাউন তরমুজ একটি অর্থকারী ফসল। তরুণ উদ্যাক্তাদের এমন উদ্যোগকে ভালদিক হিসেবে মনে করেছেন তিনি। এই তরমুজ সফল ভাবে চাষ করতে পারলে তারা তাদের বেকারত্ব দুর করে স্বাবলম্বী হতে পারবে।মাসি পোকাড় জন্য কিছু তরমুজ নষ্ট হয়েছে। এ পোকা দমনের জন্য ফেরোমন ফাঁদ ব্যবহার করার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

  • নওগাঁ পৌরসভার অসহায় দুস্থ পরিবারের মাঝে ঈদ সামগ্রী বিতরণ-ভোরের কণ্ঠ।

    নওগাঁ পৌরসভার অসহায় দুস্থ পরিবারের মাঝে ঈদ সামগ্রী বিতরণ-ভোরের কণ্ঠ।

    নওগাঁ সদর পৌরসভায় ৪,নং ওয়ার্ডে ঈদ সামগ্রী বিতরণ করেন খোহাজ শেখ ১০ মে শনিবার সকাল ১০ টায় ৪ নংওয়ার্ডের এসময় উপস্থিত ছিলেন আব্দুল মালেক খোয়াজ শেখ সহ বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

    অসহায় পরিবারকে ঈদ সামগ্রী বিতরণ কালে আব্দুল মালেক খোয়াজ শেখ বলেন, করোনা ভাইরাসের এ মহামারীতে কর্মহীন হয়ে পড়া গরীব দুস্থ মানুষ কে তার নিজস্ব উদ্যোগে বিভিন্ন ভাবে খাদ্য সহায়তা ও আর্থিক সহায়তা দিয়ে যাচ্ছেন তিনি।

    মানুষকে খাদ্য সহায়তা প্রদান করার কথা উল্লেখ করেন আব্দুল মালেক খোয়াজ শেখ এ রমযানের শুরু হতে বিভিন্ন ভাবে পৌরবাসীর পাশে দাঁড়ানোর চেষ্ঠা করে যাচ্ছি। ঈদকে সামনে রেখে এ মহামারীতেও অসহায় মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পৌরসভার ৪ ওয়ার্ডে মাঝে ঈদ সামগ্রী পেয়ে ৪ নং ওয়ার্ডের সেলিম এবং লাটাপারা ৪ নং ওয়ার্ডের ,তার অনেক খুশি হয়ে খোয়াজ শেখ এর সুস্থতা এবং দীর্ঘায়ু কামনা

  • রায়নগড় ইউনিয়নবাসীক চেয়ারম্যান প্রার্থী মটুর ঈদ শুভেচ্ছা-ভোরের কণ্ঠ।

    রায়নগড় ইউনিয়নবাসীক চেয়ারম্যান প্রার্থী মটুর ঈদ শুভেচ্ছা-ভোরের কণ্ঠ।

    মুসলমানদের সর্ব বৃহত্তম উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন উপলক্ষে ১২নং রায়নগর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের পক্ষ থেকে, চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ও নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মনিরুজ্জান মটু সকল ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠন সহ ইউনিয়নের সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।

    মনিরুজ্জামান মটু বলেন, “দীর্ঘ এক মাস সিয়াম সাধনার পর আমরা উদযাপন করতে যাচ্ছি পবিত্র ঈদুল ফিতর”।

    পবিত্র ঈদুল ফিতর আমাদের ধনী-দরিদ্র, উঁচু-নীচুর ভেদাভেদ ভুলে সকল মানুষকে এক কাতারে দাঁড়ানোর শিক্ষা দান করে”।

    দেশের দুঃস্থ, দরিদ্র ও সঙ্গতিহীন মানুষের প্রতি ভ্রাতৃত্ব ও সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়ে সমাজের বিত্তবান শ্রেণীর জনগণ ঈদের এই আনন্দকে সকলের মাঝে ছড়িয়ে দেবেন বলে আমি আশা প্রকাশ করছি।

    তিনি করোনা পরিস্থিতি নিয়ে বলেন, “দেশ এখন ভয়াল করোনার থাবায় খুব কঠিন সময় পার করছে। করোনা ভাইরাসের এই ভয়াল সংক্রমণ রুখতে আমাদের সকলকে সচেতন হতে হবে।

    তাই দেশনেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে আমরা এবারের ঈদের নামাজ সামাজিক দূরুত্ব বজায় রেখে একে ওপরের সাথে ঈদের নামাজ মসজিদে আদায় করব।

    তিনি সকলকে অনুরোধ করে আরও বলেন, আপনারা এবারের ঈদটি নিজ নিজ বাড়িতে পরিবারকে নিয়ে উদযাপন করুন। আমাদের সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় করোনার এই ভয়াল সংক্রমণকে রুখে দিতে পারব। ইনশাআল্লাহ।।

  • শিক্ষার্থীদের নিয়ে অসহায় পরিবারের মাঝে ঈদ বাজার দিলেন শিক্ষক সুমনা।

    শিক্ষার্থীদের নিয়ে অসহায় পরিবারের মাঝে ঈদ বাজার দিলেন শিক্ষক সুমনা।

    শিক্ষার্থীদের মধ্যে মানবিক মূল্যবোধ সৃষ্টি এবং মানব কল্যানে অনুপ্রাণিত করতেই শাহজাদপুর সরকারি মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা সুমনা আক্তার শিমু গড়ে তুলেছেন শিক্ষা ও সেবা মূলক সংগঠন “আলোকবর্তিকা”। শিক্ষিকা শিমু এই সংগঠনের সদস্যদের ভালবেসে ডাকেন আলোকছটা নামে। সমস্ত বাধা-বিপত্তি আর ঠাট্টা-বিদ্রুপকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিয়ে এই আলোকছটাদের সাথে নিয়ে করে যাচ্ছেন একের পর এক মানবিক কাজ।

    এরই ধারাবাহিকতায় ঈদ উপলক্ষে সোমবার সকালে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর সরকারি মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় চত্বরে “আলোকবর্তিকা”র ব্যানারে ৩’শ দুস্থ অসহায় পরিবারের মাঝে ঈদ বাজার বিতরণ করেন। ঈদ সামগ্রীর মধ্যে ছিল, চাউল, ডাউল, সেমাই, আলু, চিনি, লবন ও তেল। বিতরণকালে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শাহজাদপুর উপজেলা নির্বাহি অফিসার শাহ মোঃ শামসুজ্জোহা। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এস এম সাইফুল ইসলাম, ” আলোকবর্তিকা”র প্রতিষ্ঠাতা সুমনা আক্তার শিমু এবং সংগঠনের আলোকছটারা। .

  • বিশ্ব মানচিত্র পত্রিকার সম্পাদক এড.রাশেদ উদ্দিনের ঈদ সামগ্রী বিতরণ-ভোরের কণ্ঠ।

    বিশ্ব মানচিত্র পত্রিকার সম্পাদক এড.রাশেদ উদ্দিনের ঈদ সামগ্রী বিতরণ-ভোরের কণ্ঠ।

    নারায়ণগঞ্জ জেলা কনজ্যুমার প্রোটাক্ট রাইট সিকিউরিটি (সি পি আর এস) মানবাধিকার সংগঠন ও জাতীয় দৈনিক বিশ্ব মানচিত্র পত্রিকার সম্পাদক ড.রাশেদ উদ্দিনের উদ্যোগে ২ শতাধিক কর্মহীন ও অসহায় পরিবারের মাঝে ঈদ সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।

    শনিবার (৮মে )দুপুর ১২ টায় নারায়ণগঞ্জ নাগ বাড়ির মোড় সি পি আর এস ও দৈনিক বিশ্ব মানচিত্র পত্রিকার প্রধান কার্যালয়ে।

    জেলা সভাপতি সি পি আর এস ও জাতীয় দৈনিক বিশ্ব মানচিত্র পত্রিকার সহকারী সম্পাদক মোহাম্মদ আলীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে অসহায় গরীবদের মাঝে ঈদ সামগ্রী বিতরণ করেন। সি পি আর এস চেয়ারম্যান ও জাতীয় দৈনিক বিশ্ব মানচিত্র পত্রিকার প্রধান সম্পাদক এডভোকেট রাশেদ উদ্দিন।

    এর আগে তিনি তার সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বলেন
    কেন্দ্রীয় কর্মসূচি হিসেবে সমগ্র বাংলাদেশে সি পি আর এস জেলা থানা কমিটির নেতৃবৃন্দ দের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল অসহায় ও গরিব মানুষের পাশে দাঁড়ানোর তারই ফলশ্রুতিতে আজকে নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির উদ্যোগে প্রায় দুইশত অসহায় পরিবারের মাঝে ঈদ খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হচ্ছে।এ সময় তিনি আরো বলেন আমাদের দেশে বিত্তবানদের এখন উচিত অসহায় গরীবদের পাশে দাঁড়ানো।

    কারণ এ ভয়াবহ করুণায় ও লকডাউনে নিম্নআয়ের মানুষ খুব কষ্টের মধ্যে জীবন যাপন করছেন বিশেষ করে মধ্যবিত্তের পরিবারগুলো যারা সহজে কারও কাছে হাত পাততে পারে না তাই আমরা মনে করি আমাদের দেশের বিত্তবানরা যদি এই অসহায় মানুষগুলোর পাশে থেকে সাহায্য সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয় তাহলে তাদের কষ্ট কিছুটা হলেও লাঘব হবে বলে আমরা মনে করি।

    এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন বিশেষ অতিথি হিসেবে কেন্দ্রীয় জাসদের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্যও নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহর (আলী চৌধুরী) নারায়ণগঞ্জ জেলা সি পি আর এস সভাপতি ও দৈনিক বিশ্ব মানচিত্র পত্রিকার সহকারী সম্পাদক (মোহাম্মদ আলী ) সহ-সভাপতি (তোফাজ্জল হোসেন ),সহ-সভাপতি (আনিসুর রহমান) রনি ,সাংগঠনিক সম্পাদক (সারোয়ার হোসেন) বাবু ,বিডি অল নিউজ২৪ সম্পাদক (সানি হোসেন) নাথগঞ্জ জেলা দৈনিক বিশ্ব মানচিত্র পত্রিকার ফটোসাংবাদিক শাহ আলী প্রমূখ।

  • লকডাউনে উল্লাপাড়ায় ক্ষতিগ্রস্ত দর্জি ব্যবসায়ীরা দুর্ভোগে দিনযাপন করছে-ভোরের কণ্ঠ।

    লকডাউনে উল্লাপাড়ায় ক্ষতিগ্রস্ত দর্জি ব্যবসায়ীরা দুর্ভোগে দিনযাপন করছে-ভোরের কণ্ঠ।

    প্রতি বছরই ঈদের আগে টেইলার্সে শার্ট, প্যান্ট, পায়জামা পাঞ্জাবি,সলোয়ার কামিজসহ বিভিন্ন ডিজাইনের পোশাক তৈরির জন্য ধুম পড়ে যেত টেইলারিং দোকানগুলোতে। গেল বছর থেকে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে লকডাউনে প্রায় সব ধরনের দর্জির দোকান বন্ধ থাকায় কাস্টমার গ্রামাঞ্চলের মহিলা ও পুরুষ দর্জির দিকে ঝুঁকে পড়েছে। ঈদের কালক্ষন ঘনিয়ে এলেও মানুষের মধ্যে ঈদ উদযাপনের আমেজ নেই। প্রতিবছর ঈদের আগে ছেলে মেয়েরা দোকান থেকে পাঞ্জাবি পায়জামা ও থ্রী পিচ কিনে টেইলার্সের দর্জিদের কাছে গাঁয়ের মাপযোগ দিয়ে সুন্দর করে পোশাক তৈরির জন্য জমজমাট পরিবেশ দেখা যেত। বর্তমান দূর্যোগপূর্ণ প্রেক্ষাপটে টেইলারিং দোকানগুলো প্রায় ফাঁকা দেখা যায়। কারখানার কারিগররা নির্বেকারে চেয়ে আছে কাস্টমারের দিকে।

    কাজিপাড়া গ্রামের মাদ্রাসা পড়ুয়া ছাত্র হাফেজ আল আমিন জানান ঈদ ঘনিয়ে এলো লকডাউনের কথা চিন্তা করে শহরাঞ্চলের টেইলার্সে না গিয়ে গ্রামাঞ্চলের মহিলা দর্জি দিয়ে ঈদের পায়জামা পাঞ্জাবি তৈরি করলাম। যদিও তৈরি করা ওতো সুন্দর হয় নাই তাবুও সন্তুষ্ট।

    ঝিকড়া গ্রামের নবম শ্রেণির ছাত্রী চৈতির সাথে কথা হলে প্রতিবেদককে বলেন ঈদের আনন্দ নেই বল্লে চলে। আগে ঈদের ১০/১২ দিন পূর্বে মার্কেট থেকে ভালো মানের থ্রি পিচ কিনে ভালো দর্জি দিয়ে নিজেদের মনের মতো করে কোয়ালেটি সম্পন্ন জামা তৈরি করে নিতাম।কোভিড-১৯ এর প্রভাবে করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। করোনা বিস্তারে মহামারী ঠেকাতে সরকার দিয়েছে লকডাউন।দর্জির পেশায় নিয়োজিত অধিকাংশ দর্জি দোকান বন্ধ করে বেকারত্বের ঘানি টানছে আমরা বঞ্চিত হচ্ছি ঈদ আনন্দের সুন্দর ডিজাইনের পোশাক তৈরী থেকে।

    সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া পৌরশহরের নিউমার্কেটে ফাইভ স্টার টেইলার্সের মালিক পুলক কুন্ডু জানান বিগত ঈদে টেইলার্সগুলোতে ছেলে মেয়েদের শার্ট, প্যান্ট, পায়জামা পঞ্জাবি, সালোয়ার কমিজসহ অত্যাধুনিক ডিজাইনের পোশাক তৈরির ধুমপড়ে যেত। কর্মচারিরা রাত ১২টা পর্যন্ত কাজ করে কাজ শেষ করতে পারতো না। করোনার প্রভাবে আর লকডাউনে মানুষের কর্ম না থাকার ফলে তাদের হাতে টাকা পয়সার অভাবে ইচ্ছার সত্বেও ছেলে মেয়ের চাহিদা মতো পেশাক কিনে দিতে পারছে না। লকডাউনে দোকান বন্ধ থাকায় অধিকাংশ কাস্টমার মনের মতো করে পোশাক তৈরি করতে না পারলেও গ্রামের বাড়িতে গিয়ে মাহিলা ও পরুষ দর্জি দিয়ে পোষক তৈরি করে নিচ্ছে। ফলে দোকানে কেনাবেচা নেই বল্লে চলে।যতটুকু হয় তা দিয়ে দোকান ভাড়া,বিদ্যুৎ বিলের পয়সা হয় না।দোকান কেনাবেচা না থাকায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে টেইলার্সের মালিক বেকার হয়ে পড়েছে কারিগর। তারা দুর্চিন্তার মধ্যে রয়েছে কিভাবে স্ত্রী সন্তান নিয়ে ঈদ করবে।

    মুন্না ও শহিদুল ইসলাম নামের দুই কারখানার কারিগরের সাথে কথা হলে তারা জানান মোহাজন কাজ পায় না বিধয় আমাদের কাজ দিতে পারে না। আগে ৫ জন কারিগর ঈদের আগমুহূর্তে রাত ১২ টা পর্যন্ত কাজ করেও কাজ শেষ করতে পারতাম না। করোনায় লকডাউনে দোকান বন্ধ ছিলো,বেশির ভাগ কাস্টমার গ্রামাঞ্চলের দর্জি দিয়ে পোশাক তৈরি করে নিচ্ছে।কেউ বা রেডিমেড দোকান থেকে পোষাক কিনে নিচ্ছেন। কাজ না থাকায় ৩ জন কারিগর চলে গেছে। ছেলে মেয়ের ঈদের জামাকাপড় কেনা নিয়ে দুর্চিন্তার মধ্যে আছি।

     

  • লক্ষ্মীপুরে জমে উঠেছে ঈদ বাজার,কেউই মানছেনা স্বাস্থ্যবিধি-ভোরের কণ্ঠ।

    লক্ষ্মীপুরে জমে উঠেছে ঈদ বাজার,কেউই মানছেনা স্বাস্থ্যবিধি-ভোরের কণ্ঠ।

    লক্ষ্মীপুরে জমে উঠেছে ঈদ বাজার,ক্রেতা-বিক্রেতা কেউই মানছেনা  স্বাস্থ্যবিধি। প্রতিটি মার্কেটে  উপচেপড়া ভিড়। স্যানিটাইজার ও স্বাস্থ্যসুরক্ষা সামগ্রীর কোন ব্যবস্থা নেই বল্লেই চলে। সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বাধ্যবাধকতা থাকলেও কারও মাঝে নেই কোন সচেতনতা। এতে করে করোনা সংক্রমন বাড়ার আশংকা করছেন স্থানীয়রা।

    স্থানীয় সূত্র জানা যায়, লক্ষ্মীপুরের ৫টি উপজেলা ও চন্দ্রগঞ্জ থানা এলাকাসহ জেলা শহরের পৌর বিপনী বিতান, পৌর সুপার মার্কেট. মসজিদ মার্কেট, আউট লুক, মুক্তিযোদ্ধা মার্কেট, বুটিক হাউজ,জিয়া শপিং কমপ্লেক্স,রামগঞ্জ নিউমার্কেট, সিটি প্লাজা, নূুর প্লাজা, গাজীকমপ্লেক্স, সোহাগ, সুচয়ন ও অঙ্গশোভাসহ প্রত্যেকটি  মার্কেটে দেখা গেছে উপছে পড়া ভিড়। কেউ মানছেনা স্বাস্থ্যবিধি। যে যার মত করে মার্কেট ও শপিংমল বেচা-কিনা করছে।

    এ দিকে ব্যবসায়ী মোস্তাফিজুর রহমান বাবু, লিঠন, রাশেদ আলম,  ও জিয়াউর রহমানসহ অনেকেই জানান, ঈদ বাজার আগের চেয়ে জমে উঠেছে। বিক্রিও অনেক ভালো। পাশাপাশি স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রতিষ্ঠান চালানোর কথা বললেও বাস্তবে তার চিত্র উল্টো। আবার অনেক ব্যবসায়ী ক্রেতাদের দায়ী করে বলছেন, বারবার স্বাস্থ্যবিধি ও মাস্ক ব্যবহারের বিষয়ে বললেও ক্রেতারা তা মানছেনা বলে অভিযোগ করেন ব্যবসায়ীরা।

    ক্রেতা নুর নাহার,আমেনা বেগম ও ইউসুফ হোসেন জানান, সরকার স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকান-পাট খোলা রাখার নির্দেশনা দিলেও কোন ব্যবসায়ী তা মানছেনা। বেশিরভাগ মার্কেটে নেই স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা। যে যার মত করে চলাফিরা ও বেচা-কিনা করছে। কেউ মানছেনা লকডাউনের নিয়ম কানুন। প্রতিটি মার্কেটে সামাজিক দূরত্ব মেনে চলতে বললেও তার নূনতম মানা হচ্ছেনা। এতে করে করোনা সংক্রমন আরো বাড়ার আশংকা করছেন ক্রেতারা।

    জেলা প্রশাসক মো. আনোয়ার হোসেন আকন্দ ও পুলিশ সুপার ড.এএইচএম কামরুজ্জামান বলেন, লকডাউন ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে কঠোর অবস্থানে রয়েছে প্রশাসন। মাকের্টগুলো যেন স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলে সেদিকে প্রশাসনের নজর রয়েছে। যারা স্বাস্থ্যবিধি ও বা লকডাউন মানবেনা তাদের বিরুদ্ধে প্রতিনিয়ত ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে। এটি অব্যাহত রাখার ঘোষনা দেন এ দুই কর্মকর্তা।

     

  • তানিশা হত্যার ঘাতক নিশানের জবানবন্দী সত্য নয়,দাবী নিহতের ফুফুর-ভোরের কণ্ঠ।

    তানিশা হত্যার ঘাতক নিশানের জবানবন্দী সত্য নয়,দাবী নিহতের ফুফুর-ভোরের কণ্ঠ।

    জালাল উদ্দিনঃ গত বৃহস্পতিবার (৬ মে) রাত সাড়ে ৮টার দিকে ফেনীর সদর কালীদহ গ্রামের মৃত আলি আহম্মদ ভূইয়া বাড়ীর শহীদুল ইসলামের মেয়ে কিশোরী তানিশা ইসলাম (১১)কে নির্মমভাবে গলা কেটে হত্যার দায় স্বীকার করেছে তার জেঠাতো ভাই আক্তার হোসেন নিশান (১৭)। ৮ মে শনিবার দুপুর ১২টার সময় জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেন পুলিশ সুপার খোন্দকার নুরুন্নবী।

    তিনি জানান, ব্যক্তিগত জীবনে নিশানের বাবা জীবিত না থাকায় তানিশার পরিবার তাদের কথায় কথায় তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করতো। এ আক্রোশের জেরে রাগে-ক্ষোভে সে তানিশাকে হত্যা করে।

    তবে তানিশা ও ঘাতক নিশানের ফুফু কামরুন নাহার রবিবার( ৯মে)সকালে ফেনীর শক্তিকে জানায়, পুলিশের কাছে দেওয়া নিশানের জবানবন্দি সত্য নয় ৷নিশানের মায়ের সাথে আমার ভাইয়ের বিবাহ হয় পাকিস্তানে৷ বিবাহের পাঁচ মাস পর আমার ভাই মৃত্যুবরণ করলে নিশানের মা পাকিস্তান থেকে তার বাবার বাড়ি চট্টগ্রামের বারইয়ারহাট চলে আসেন৷ নিশানের জন্মের তিন বছর পর তিনি নিশানকে নিয়ে আমাদের বাড়িতে আসলে আমার মা তাদেরকে পারিবারিক স্বীকৃতি ও বাড়িতে আশ্রয় দেন ৷ তানিশার বাবা শহীদুল ইসলাম তাদের ভরোন পোষনের দায়িত্ব নেন এবং পরবর্তী এক বছর পর্যন্ত তার নিজ ঘরে নিশানদের থাকার ব্যবস্থা করেন৷আমার মা ও তানিশার বাবা ও আরেক ভাই সবুজসহ আমরা নিশানদের জন্য টিনের ঘর নির্মানের ব্যবস্থা করে দেই৷পরবর্তীতে তারা সেখানে বসবাস শুরু করে৷

    পারিবারিক ভাবে পৈতৃক সম্পদের তিন ভাগের এক ভাগ নিশানদের বুঝিয়ে দেওয়া হয়৷ আমার প্রবাসী দুই ভাই গিয়াসউদ্দীন সবুজ ও শহীদুল ইসলাম (তানিশার বাবা) নিশানদের নিয়মিত খোঁজখবর রাখতেন ৷ নিশান যে পারিবারিক অবহেলার কথা বলেছে এটা মোটেই সত্য নয় ৷ নিশানদের সাথে আমাদের বেশ পারিবারিক মিলমিশ ছিল৷

    তিনি আরও বলেন, নিশান কিছুটা বখাটে৷গত কয়েক মাস পূর্বে তানিশাদের ঘরে চুরি হয়৷ ঘরে থাকা তিনটি আলমারির যেটিতে অর্থ ও গয়না ছিল সেটি ভেঙে নগদ ২ লাখ টাকা ও ১৫ ভরি স্বর্ণ চুরি হয়৷ উক্ত ঘটনার পর নিশানদের অর্থনৈতিক অবস্থার আমূল পরিবর্তন দেখে নিশানদের সন্দেহ করা হয়৷ কেননা নিশানরা অর্থনৈতিকভাবে অসচ্ছলও এই ঘটনায় তাদের সন্দেহ করা হলেও পারিবারিক সম্পর্ক নষ্ট হওয়ার আশংকায় নিশানদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় না ৷ এরপরেও বেশ কয়েকবার চুরির ঘটনা ঘটে। এমনকি তানিশা হত্যার দিনও তাদের ঘর থেকে ২০ হাজার টাকা ও চারটি স্বর্ণের আংটি চুরি হয় ৷ যা পরেরদিন বাড়ির আমগাছতলায় পাওয়া যায়৷ পরিববারের দাবী চুরি করতে দেখে ফেলায় তানিশাকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে নিশান৷

    তারা আরও দাবী করেন এই হত্যাকান্ডে নিশান একা নয় তার সাথে অন্যকেউ জড়িত আছে ৷ নিশানকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসা করলে প্রকৃত ঘটনা বেরিয়ে আসবে ৷

    নিহতের ফুফু আক্ষেপ করে আরও বলেন, আমার জানা মতে পিতাহীন নিশানকে আমার প্রবাসী দুই ভাই নিজের সন্তানের মতো মানুষ করার চেষ্টা করতেন ৷ তারা নিশানকে একটি মাদ্রাসায়ও ভর্তি করিয়ে দেন৷ কিন্তু নিশান বখে যায়৷ আমার ভাইয়েরা এতদিন দুধলা দিয়ে সাপ পুষলেন! নিশান যদি এতদিনের স্নেহ ও দয়ার অস্বীকার করে হত্যার মিথ্যা কারন হিসেবে পারিবারিক অবহেলাকে দর্শায়, তবে আমি পুলিশ ও সাংবাদিকদের এলাকায় এসে চেয়ারম্যান মেম্বারসহ স্থানীয়দের নিকট সত্যতা যাচাইয়ের আহ্বান জানাচ্ছি ৷

    সর্বেশষ নিহত তানিশা ও ঘাতক নিশানের ফুফু কামরুন নাহার জানান, শ্রীঘ্রই সংবাদ সম্মেলন করে বখে যাওয়া নিশানের প্রকৃত সত্য জাতিকে জানিয়ে দেওয়া হবে৷

    নিহত তানিশার চাচা গিয়াসউদ্দিন সবুজ, পিতা শহীদুল ইসলাম, বড় ভাই ও মামলার বাদী আশরাফুল ইসলাম তানিশার হত্যাকান্ডের সুষ্ঠ বিচার দাবী করেন৷