প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের নিঃর্শত মুক্তি ও দায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি জানিয়ে মহাস্থান প্রেসক্লাব থেকে অগ্নিঝড়া বিবৃতি দেয়া হয়েছে। অবিলম্বে তার মুক্তির দাবি জানানো হয়।
বুধবার (১৯মে) সকালে এক জরুরী কার্যনির্বাহী সভায় বগুড়ার মহাস্থান প্রেসক্লাবের সভাপতি আনিছুর রহমান মিটু ও সাধারণ সম্পাদক এসআই সুমন বিবৃতিতে সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের উপর নির্যাতনের ঘটনা উদ্বেগজনক। মুক্ত ও অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার ওপর চরম আঘাত মন্তব্য করে বলেন, পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে একজন সাংবাদিককে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সেবা বিভাগে ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে রেখে নির্যাতন ও হেনস্তা করে তাকে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে, যা সাংবাদিক সমাজকে ভাবিয়ে তুলেছে।আমরা অবিলম্বে সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের মুক্তির ও ঘটনায় জড়িতদের শাস্তি দাবি জানাচ্ছি।
একই সময় বিবৃতিতে সাধারণ সম্পাাদক এসআই সুমন বলেন, পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় ইআরএফ সদস্য রোজিনা ইসলামকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে পাঁচ ঘণ্টা আটকে রেখে হেনস্তা ও শারীরিকভাবে লাঞ্ছনা অত্যন্ত অমানবিক দুঃখজনক।প্রজাতন্ত্রের কতিপয় কর্মকর্তা কর্মচারীর এধরনের আচরণ জনগণের তথ্য পাওয়ার সাংবিধানিক অধিকারকে বাধাগ্রস্ত এবং গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধের অপচেষ্টা করা হয়েছে।
যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোলাম রব্বানী শিপন বলেন,সিএমজেএফ মনে করে, এটি কোনো বিছিন্ন ঘটনা নয়। বিভিন্ন সময়ে রাষ্ট্রের সম্পদ লুণ্ঠন নিয়ে আমলাদের বিরুদ্ধে গণমাধ্যমে উঠে আসা প্রতিবেদনের কারণে দুর্নীতিবাজ আমলাদের পুঞ্জীভূত ক্ষোভের বিস্ফোরণ এটি। তিনিও অবিলম্বে মামলা প্রত্যাহার করে রোজিনা ইসলামকে নিঃশর্ত মুক্তি দেয়ার দাবি জানিয়ে রোজিনার নির্যাতনের ফুটেজ দেখে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে প্রয়োজনে বিচারের দাবিতে রাজপথে নামা হবে।
একই দাবিতে মত পোষন করেন, মহাস্থান প্রেস ক্লাবের কোষাধ্যক্ষ নুরনবী রহমান, দপ্তর সম্পাদক আজিজুল হক বিপুল, ক্রীড়া ও সাহিত্য সম্পাদক সোহাগ মাহবুব, প্রচার সম্পাদক সেলিম উদ্দিন, প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আব্দুল বাছেত, নির্বাহী সদস্য সোহেল রানা, অধ্যক্ষ ইকবাল হোসেন, রহেদুল ইসলাম, সদস্য আমিনুল ইসলাম, সদস্য সাফায়াত সজল, গোলজার রহমান, আব্দুল বারী, তাহেরা জামান লিপি, আবু বক্কর সিদ্দিক বাদশা প্রমূখ।