Author: admin

  • কাজিপুরে চরাঞ্চলে লেগেছে অবকাঠামো উন্নয়নের ছোয়া-ভোরের কণ্ঠ।

    কাজিপুরে চরাঞ্চলে লেগেছে অবকাঠামো উন্নয়নের ছোয়া-ভোরের কণ্ঠ।

    নদী বিধৌতা প্রমত্ত যমুনা নদী বিভক্ত করেছে সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলা ১২টি ইউনিয়নের ০৬টি ইউনিয়নকে। এপারের ০৩টি ইউনিয়নের বেশ কিছু অংশ নদী গর্ভে বিলীন। ওপারের ০৬টি ইউনিয়ন প্রতি বছর বন্যায় রাস্তাঘাটসহ অবকাঠামোগত ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি সাধিত হয়। ফলে কৃষি শস্য ভান্ডার খ্যাত চরাঞ্চলের মানুষ রাস্তা ঘাটের অভাবে চলাচলসহ পণ্য পরিবহনে দুর্ভোগ পোহাতে হত।

    এভাবেই জীবন-যাপনে অভ্যস্ত সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার  যমুনা চরের ৬ ইউনিয়নের পৌণে দুই লাখ মানুষ। গত এক দশকের মধ্যে কিছু পাকা রাস্তা নির্মিত হয়েছে। কিন্তু প্রতি বছর বন্যার ছোবলে বারবার ওই রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। মানুষের সেই দুঃখ দুঃদশার্ দূভোর্গ হ্রাস করার লক্ষে চলতি ২০১০-২১ইং অর্থ বছরে গ্রামীণ অবকাঠামোগত (কাবিটা) কর্মসূচীর আওতায় কাজিপুরের সাংসদ প্রকৌশলী তানভীর শাকিল জয়ের (এমপি বরাদ্দ) উপজেলা চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান সিরাজীর মাধ্যমে যথাযথ ব্যবহারের ফলে টেকশই উন্নয়ন পরিকল্পনা মাফিক রাস্তা-ঘাটের প্রভুত উন্নত সাধিত হয়েছে। তারপরেও এই অঞ্চলের মানুষের চলাচলের সুবিধার জন্যে এ বছর  নেয়া হয়েছে বেশ কিছু প্রকল্প। তারই ধারাবাহিকতায় শুধুমাত্র মনসুর নগর ইউনিয়নেই ১০ টি প্রকল্প হাতে নিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।

    কাজিপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয়সূত্রে জানা গেছে, কাজিপুরের মূল ভূখন্ড থেকে বিচ্ছিন্ন যমুনার চরে অবস্থিত ছয়টি ইউনিয়নের রাস্তাঘাট নির্মাণে বেশ কিছু প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। টিআর, কাবিখা, কাবিটা’র মাধ্যমে এই প্রকল্পের মাধ্যমে এ বছর নির্মিত মাটির রাস্তাগুলো বন্যার লেভেল থেকে উঁচু করা হচ্ছে। এতে করে রাস্তাগুলো টেকসই হবে, জনগণের পণ্য পরিবহন ও চলাচলে সুবিধা হবে। এরই মধ্যে মনসুর নগরের দশটি প্রকল্পের মাধ্যমে প্রায় চল্লিশ কিলোমিটার কাঁচা রাস্তার কাজ আশিভাগ শেষ হয়েছে। এতে এ পর্যন্ত ব্যয় হয়েছে ৪৩ লক্ষ টাকা। এর মধ্যে টিআর বরাদ্দ ১৯ লক্ষ টাকা আর কাবিখার মাধ্যমে ১৬ লক্ষ টাকা ব্যয় হয়েছে।

    বুধবার (১৯ মে) উপজেলার মনসুর নগর, চরগিরিশের ৮ টি এবং নাটুয়ারপাড়া ইউনিয়নের ৪ টি  চলমান রাস্তাঘাট নির্মাণের প্রকল্পগুলোর অগ্রগতি ঘুরে দেখেন কাজিপুর উপজেলা চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান। এসময় তিনি জানান,নাসিমের মতো এমপি তানভীর শাকিল জয় কাজিপুর বাসীর নিবেদিত প্রাণ তার নির্দেশে রস্তাঘাট নির্মাণে দায়িত্ব প্রাপ্ত নেতাকর্মীরা শতভাগ কাজের সভলতা অর্জন করেছে। শুধু সরকারী বরাদ্দ নয়, এলাকার নেতাকর্মিগণও নিজেদের টাকায় এই কাজে সহায়তা করছে। ইউনিয়নের সকল রাস্ত-ঘাটই এখন দৃশ্যমান। চরবাসির একটা স্বপ্ন পুরন হতে চলেছে।

    মনসুর নগর ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম জানান, এমপির সকল বরাদ্দ উন্নয়নমূলক কাজে শতভাগ ব্যবহার করা হয়েছে উপজেলা চেয়ারম্যানের সহযোগিতায়। এতে প্রয়োজন হলে কোন দলীয় নেতাকর্মীরাও অর্থ দিয়ে সহযোগিতা করব। ইতিপূর্বে এই রাস্তা-ঘাটগুলো হওয়াতে জনগণের যাতায়াতে অনেক সুবিধা হবে।

    এছাড়াও সহসভাপতি কামাল উদ্দিন মাস্টার জানান, আমাদের ইউনিয়নে এবার ৪ টি নতুন রাস্তা নির্মাণ করা হচ্ছে। রাস্তা নির্মাণের জন্যে আমরা নিজেরা বিনে পয়সায় জায়গা দিয়েছি। একটি প্রকল্পের সভাপতি আব্দুল আওয়াল লেবু সরকার জানান আমাদের এলাকার উন্নয়নের সার্থে এই রাস্তায় নির্ধারিত বাজেট ব্যবহার করার পরেও নিজেরা অর্থ দিযে সহযোগীতা করেছি। এই রাস্তাট হওয়ার ফলে এলাকার আত্মসামাজিক ব্যবস্থা পাল্টে যাবে বলে আমার বিশ্বাস।

    কাজিপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা একে এম শাহা আলম মোল্লা জানান, ‘ বন্যার লেভেল থেকে উঁচু করে এই রাস্তাগুলো নির্মাণ করা হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে বরাদ্দপ্রাপ্তি সাপেক্ষে প্রকল্পগুলোর কাজ চলমান রয়েছে। কাজিপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাহিদ হাসান সিদ্দিকী জানান,এবারই প্রথম ফ্লাড লেভেলের চিন্তা করে চরের ছয় ইউনিয়নে রাস্তা নির্মাণ করা হচ্ছে। এরইমধ্যে চরে বিদ্যুত সঞ্চালন লাইন নির্মাণ শেষ। এছাড়া আরও অনেক উন্নয়ন হয়েছে। এখন রাস্তাগুলোর নির্মাণ কাজ শেষ হলে চরের চেহারাই পাল্টে যাবে।

    মনসুর নগর ইউনিয়নের ছালাল গ্রামের জয়নালের পুত্র ইছহাক উদ্দিন জানান, এই রাস্তাগুলো হওয়ার ফলে যানবাহন নিয়ে ছালাল থেকে শালদহ, শালগ্রাম হয়ে সরিষাবাড়ী পর্যন্ত যাওয়ার সুযোগ হয়েছে। শালদহ গ্রামের সোনারুদ্দিনের মেয়ে আখি আক্তার জানান, আমার বিয়ে হয়েছে সরিষাবাড়িতে, আগে রাস্তার অভাবে আমাকে হেটে আসতে হত, এখন রাস্তা হওয়ার কারণে যানবাহনে করে যাতায়াত করতে পারি, এতে আমরা খুব খুশি।

     

  • নিখোঁজের ৪ দিন পর শাহজাদপুরে অর্ধগলিত যুবকের লাশ উব্ধার-ভোরের কণ্ঠ।

    নিখোঁজের ৪ দিন পর শাহজাদপুরে অর্ধগলিত যুবকের লাশ উব্ধার-ভোরের কণ্ঠ।

    নিখোঁজের ৪ দিন পর সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে অর্ধগলিত যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে শাহজাদপুর থানা পুলিশ।

    রবিবার (২৩ মে) উপজেলার বেলতৈল ইউনিয়নের গুপিনাথপুর গ্রামের ফসলি জমিতে অর্ধগলিত এক যুবকের লাশ পড়ে আছে দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা শাহজাদপুর থানা পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, (শাহজাদপুর সার্কেল) মোঃ হাসিবুল ইসলাম ও শাহজাদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহিদ মাহমুদ খানের নেতৃত্বে পুলিশ ঘটনা স্থলে গিয়ে নিহত যুবকের লাশ উব্ধার করে।

    প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে নিহত যুবকের লাশটি ৪ দিন আগে নিখোঁজ হওয়া আব্দুর রহমানের। সে উপজেলার চর-বেলতৈল গ্রামের মৃত শামসুল হকের ছেলে। পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হয় গত ১৯মে রাতে কে বা করা আব্দুর রহমান(৩৯)কে ফোন করে ডেকে নিয়ে যায় । ওই রাতে সে বাড়ীতে ফিরে না আসায় তার ভাই গত ২০ মে শাহজাদপুর থানায় একটি নিখোঁজের সাধারন ডাইরি করেন।

    তার পরেও তার ভাই আব্দর রহমান খোঁজ। সম্ভব্য সকল আত্মীয় স্বজন ও তার বন্ধদের সাথে যোগাযোগ করেও পাওয়া যায়নি। রবিবার সকালে আমরা জানতে পারি ফসলি জমিতে কে বা করা আব্দুর রহমানকে মেরে ফেলে রেখেছে।

    এ বিষয়ে শাহজাদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ শাহিদ মাহমুদ খান জানান নিহতের পরিচয় শনাক্ত করা গেছে।উদ্ধার হওয়া লাশটি নিখোঁজ আব্দুর রহমানের। লাশটি ময়না তদন্তের জন্য সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিশ্চিত হওয়ার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। এঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

  • ফুলবাড়ীতে কলেজে শিক্ষার মান উন্নয়নে মত বিনিময় সভা-ভোরের কণ্ঠ।

    ফুলবাড়ীতে কলেজে শিক্ষার মান উন্নয়নে মত বিনিময় সভা-ভোরের কণ্ঠ।

    দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে কলেজ পর্যায়ে শিক্ষার মান উন্নয়ন বিষয়ক মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
    করোনা কালে কলেজ পর্যায়ে শিক্ষার মান উন্নয়নের লক্ষে শনিবার  সকাল ১১ টায় উপজেলার ঐতিহ্যবাহী প্রাচীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান “ফুলবাড়ী সরকারী কলেজের অধ্যক্ষের কার্যালয়ে এই সভার আয়োজন করা হয় ৷

    এতে সভাপতিত্ব করেন সাবেক সচিব, দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ড ও ফুলবাড়ী সরকারি কলেজের নবাগত অধ্যক্ষ, প্রফেসর মো: আমিনুল হক সরকার। তার উদ্যোগে ফুলবাড়ী উপজেলার কলেজ পর্যায়ের সকল অধ্যক্ষ গণের উপস্থিতিতে এই মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয় ৷

    করোনা বিস্তারের কারণে শিক্ষার্থীদের শিখন ঘাটতি পূরণ ও শিক্ষার মান উন্নয়ন বিষয়ক সভায় উপস্থিত ছিলেন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও ফুলবাড়ী মহিলা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মো: খুরশিদ আলম মতি, শহীদ স্মৃতি আদর্শ ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মো: জিল্লুর রহমান, পার্বতীপুর সরকারি ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মো: গোলাম রসুল মন্টু, ফুলবাড়ীস্থ বঙ্গবন্ধু সরকারি ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মো: মাসুদুর রহমান সরকার মাসুদ, মাদিলা হাট কলেজের অধ্যক্ষ মো: মোস্তাফিজার রহমান, পুখুরী স্কুল এন্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো: সাজ্জাদ হোসেন সাজু, ফুলবাড়ী সরকারি কলেজের উপাধ্যক্ষ মো : আহসান হাবিব ডিজু, ফুলবাড়ী মহিলা ডিগ্রি কলেজের উপাধ্যক্ষ মোছা: রহিদা বেগম ও ফুলবাড়ী মহিলা কলেজের ইতিহাস বিষয়ের প্রভাষক মো: মঞ্জুরুল ইসলাম শাহ প্রমুখ ৷

  • কলাপাড়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু-ভোরের কণ্ঠ।

    কলাপাড়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু-ভোরের কণ্ঠ।

    কলাপাড়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে দেলোয়ার প্যাদা(৪০) নামের এক নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার বেলা সাড়ে এগারোটার দিকে বালীয়াতলী ইউপির বলিপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। বিদ্যুৎস্পৃষ্টের পরপরই স্থানীয়রা আহতকে উদ্ধার করে কলাপাড়া হাসপাতালে নিয়ে এলে দায়ীত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত: ঘোষনা করে। নিহত দেলোয়ার ছয় সন্তানের জনক এবং ওই ইউপির বৈদ্যপাড়া গ্রামের মৃত: আবুল কাশেম প্যাদার ছেলে।

    প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঘটনার সময় মৃতের বোন জামাতা রেজাউল মিয়ার বাড়ির একতলার ছাদে ইমারত নির্মাণ শ্রমিকের কাজ করছিলেন দেলোয়ার। এসময় অসাবধানতায় ভবনের ছাদের উপর দিয়ে যাওয়া বিদ্যুৎ সংযোগের মেইন তারের সাথে স্পর্শ লেগে ছিটকে পড়ে।

    কলাপাড়া থানার ওসি তদন্ত আসাদুর রহমান জানান, বিদ্যুৎস্পৃষ্টে এক শ্রমিকের মৃত্যুর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এবিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

  • রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে এক গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু-ভোরের কণ্ঠ।

    রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে এক গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু-ভোরের কণ্ঠ।

    রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার উজানচর ইউনিয়নের বাহাদুরপুরের কালুর মোড় এলাকায় আকলিমা বেগম(৩৫)নামের এক গৃহবধূর রহস্যজন মৃত্যু হয়েছে। নিহত আকলিমা বাহাদুরপুর এলাকাট আক্কাছ শেখের স্ত্রী।

    গতকাল শুক্রবার (২১ মে) রাত ১১টার দিকে তার নিজ বাড়ির বাঁশ বাগানে ওই গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনাটি ঘটে বলে জানা যায়। শনিবার (২২ মে) গোয়ালন্দ ঘাট থানা পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে রাজবাড়ী মর্গে পাঠিয়েছে।

    প্রতিবেশী সূত্রে জানা যায়, আকলিমার স্বামী আক্কাছ শেখ পরকীয়া প্রেমে আসক্ত ছিল। ওই পরকীয়ার বিষয়টি স্ত্রী আকলিমা বেগম জানার পর থেকেই তাদের সংসারে শুরু হয় ঝুট-ঝামেলা। তারই জের ধরেই এই রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনা ঘটতে পারে বলে মনে করছেন এলাকাবাসী।

    এই রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনা সম্পর্কে জানার জন্য তার পরিবারের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। আকলিমার স্বামী আক্কাছ শেখের মুঠোফোনে ফোন করেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি এবং তাকে বাড়িতে পাওয়া যায়নি।

    এ ব্যাপারে গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি আব্দুল্লাহ্-আল-তায়াবীর জানান, আপাতত দৃষ্টিতে আত্মহত্যা বলে মনে হচ্ছে। ঘটনাস্থল থেকে গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজবাড়ী মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার আগেই আত্মহত্যার ব্যাপারে নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছে না।

  • সিরাজগঞ্জ তাড়াশে পুকুরের পানিতে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু-ভোরের কণ্ঠ

    সিরাজগঞ্জ তাড়াশে পুকুরের পানিতে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু-ভোরের কণ্ঠ

    সিরাজগঞ্জের তাড়াশে  পুকুরের পানিতে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু  হয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় উপজেলার তালম ইউনিয়নের তারটিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ধারনা  বিকালে ঝড় আসার পর ওই গ্রামের মোক্তার হোসেনের একমাত্র মেয়ে মুক্তি খাতুন (৮) ও একই জেলার কাজিপুর উপজেলার সোনামুখী গ্রামের নকুল ইসলামের একমাত্র ছেলে আশিক ইসলাম (৭) আম কুড়াতে গেলে পুকুর পাড়ে থেকে পরে পানিতে ডুবে যায়।

    স্থানিয় সুত্রে জানা যায় , ওই দিনেই বিকাল৩ টার দিকে কাজিপুর উপজেলার সোনামুখী গ্রামের নকুল ইসলামের ছেলে আশিক ইসলাম তালম ইউনিয়নের তারটিয়া গ্রামে তার খালুর বাড়ি বেড়াতে আসে। খালাতো বোন মুক্তি খাতুনের সাথে ঝরের পরে আম কুড়াতে বের হয়।

    সন্ধ্যার আগে যখন তারা ফিরে আসে নাই তখন খোঁজ করতে বের হলে তাদের পাওয়া না গেলে মসজিদের মাইকে ঘোষণা  দেন ২ টা শিশুকে পাওয়া যাচ্ছে না। আশে পাশের লোকজন যখন বলে ওরা এই পুকুর পাড়ে আম কুড়াতে ছিল। তখন সন্দেহ হয় হয়তোবা পুকুরের পানিতে পরছে।

    কয়েকজন পুকুরের পানিতে নেমে খোঁজ করতে লাগলে ২ জনকেই এক সাথে মৃত্যু  অবস্থায় পাওয়া যায় । শিশু ২ টির মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমেছে। শিশু ২ টির মৃত্যুর বিষয় নিশ্চিত করেছেন তালম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্বাস-উজ

  • দৌলতদিয়া যৌনপল্লীতে কিশোরী যৌনকর্মী উদ্ধার ঘটনায় কনক গ্রেপ্তার-ভোরের কণ্ঠ।

    দৌলতদিয়া যৌনপল্লীতে কিশোরী যৌনকর্মী উদ্ধার ঘটনায় কনক গ্রেপ্তার-ভোরের কণ্ঠ।

    রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া যৌনপল্লীতে কিশোরী উদ্ধার ঘটনায় পতিতালয়ের বাড়ীর মালিক কনক মন্ডলকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ওই কিশোরী যৌনকর্মীকে বন্দী দশা অবস্থায় খোদ্দের দিয়ে অনিচ্ছার সত্বেও জোড় পূর্বক যৌন মিলনে বাধ্য করার অপরাধে যৌনপল্লীর বাড়ীর মালিককে গ্রেফতার করা হয়েছে। বুধবার সকালের দিকে এক খদ্দেরের মোবাইল হতে তরুনী গোপনে থানায় ফোন করলে পুলিশ যৌনপল্লীতে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে কনককে আটক করে। কনক গোয়ালন্দ বাজার আড়ৎপট্টির মোশাররফ মন্ডলের ছেলে। তার মা প্রয়াত কল্পনা বেগম পতিতাপল্লীর বাড়ীওয়ালী ছিলেন। এ ঘটনায় তরুণী নিজেই বাদী হয়ে গোয়ালন্দ ঘাট থানায় মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনে মামলা দায়ের করেছেন।

    মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, উদ্ধার হওয়া তরুনীর বাড়ি ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার বাসিন্দা। ৪ বছর আগে পাশ্ববর্তী এলাকায় তার বিয়ে হয়। দরিদ্র স্বামীর সংসারে অনটন লেগেই থাকত। সম্প্রতি এক অজ্ঞাত মহিলার সাথে ওই তরুনীর পরিচয় হয়।অজ্ঞাত মহিলা মূলত নারী পাচারকারী চক্রের একজন সদস্য। ভালো বেতনে চাকরির কথা বলে তরুনীকে গত ২৭ মার্চ বিকেলে দেশের সর্ববৃহৎ দৌলতদিয়া পতিতাপল্লীতে নিয়ে আসে। পরে সে বাড়ীওয়ালা কনকের কাছে তরুণীকে মোটা অংকের টাকায় বিক্রি করে পালিয়ে যায়। কনক তরুণীকে তার বাড়ীর একটি কক্ষে তালাবদ্ধ করে রাখে এবং তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে খোদ্দের পাঠিয়ে জোরপূর্বক দেহ ব্যাবসা করে। কনক তরুণীর ব্যাক্তিগত মোবাইল ফোনটিও ভেঙে ফেলে। গত ১৯ মে বুধবার সকালে তার কক্ষে এক খদ্দের পাঠায়। এ সময় তরুনী কৌশলে ওই খোদ্দেরের মোবাইল দিয়ে গোয়ালন্দ ঘাট থানায় ফোন করে তাকে উদ্ধারের আকুতি জানায়। এরপর থানা পুলিশের একটি দল যৌনপল্লীতে গিয়ে তরুণীকে কনকের বাড়ী থেকে তাকে উদ্ধার করে কনককেও গ্রেফতার করে।

    গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল তায়াবীর জানান, এ ঘটনায় বাড়ীওয়ালা কনক ও পাচার করে আনা অজ্ঞাত মহিলার বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। গ্রেফতারকৃত কনককে আদালতের মাধ্যমে রাজবাড়ীর কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অজ্ঞাত মহিলাকে খোঁজা হচ্ছে।

  • বর্ষার আনাগোনা শুরু নৌকা তৈরির কাজে ব্যস্ত সময় পাড় করছে মিস্ত্রিরা-ভোরের কণ্ঠ।

    বর্ষার আনাগোনা শুরু নৌকা তৈরির কাজে ব্যস্ত সময় পাড় করছে মিস্ত্রিরা-ভোরের কণ্ঠ।

    বর্ষার আগমনকে ঘিরে নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলার বিভিন্ন নদ-নদী বাড়ছে পানি। বর্তমানে উপজেলার নৌকার কারিগরদের মহাব্যস্ততা, বিভিন্ন পাড়া মহল্লায় তৈরী হচ্ছে নৌকা। পানি আরেকটু বেশি হলে আরো কদর বাড়বে এসব নৌকার। তাই বসে নেই নৌকা তৈরীর কারিগররা। চলছে নৌকা তৈরী ও মেরামতের ধুম। গ্রাম এলাকায় মৌসুমি ডিঙ্গি নৌকা তৈরিতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে মাঝি ও কারিগররা। নৌকা তৈরির এমন দৃশ্য চোখে পরবে,উপজেলার পিপরুলের বাঁশভাগ গ্রামে।

    গত কয়েক দিনের বর্ষণে পানি প্রবেশ করেছে,নদ-নদীতে। বারনই নদীতে মাছ ধরা, এক গ্রাম থেকে আরেক গ্রামে যাতায়াতের জন্য ব্যবহার করা হয় নৌকা। নদীতে নতুন পানি আসার সাথে সাথে বিল অঞ্চলে ধুম পড়েছে, নতুন নৌকা বানানোর তোর-জোর। নৌকার পাশাপাশি জেলে সম্প্রদায়ের লোকেরা এখন ব্যাস্ত সময় পার করছে জাল বুনানোর কাজে। নতুন নৌকা আর জাল দিয়ে মাছ ধরতে নামবেন জেলেরা। তাই তো নৌকায় যেন জেলেদের আশা আকাঙ্ক্ষা আর সংসার চালানোর একমাত্র হাতিয়ার।

    নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলার হাপানিয়া গ্রামের নৌকা তৈরির কারিগর এনামুল হক বলেন,এখন ব্যস্ত থাকতে হচ্ছে,জেলেদের মাছ ধরার নৌকা বানানোর কাজে । চাহিদা মোতাবেক ছোট,বড় বিভিন্ন রকম নৌকা বানানো হয়। নৌকাগুলো ৬ থেকে ৭ হাজার টাকায় বিক্রি হয়।

    বাঁশভাগ গ্রামের আসাদুল ইসলাম(৪০) বলেন,আমি ছোট থেকেই নৌকা তৈরির কাছে জড়িত। নৌকা তৈরি করি পাশাপাশি নদীতে মাছ করে চলছি।

    মাধনগরের মৃধাপাড়া এলাকার আতাউর খাঁ(৫০) বলেন, আগে ভালো ভালো কাঠ দিয়ে নৌকা তৈরি করা হতো। এখন কড়ই,বাবলা দিয়েই বেশি নৌকা তৈরি করা হয়। নৌকা তৈরিতে কাঠ ছাড়াও মাটিয়া তৈল,আলকাতরা, তারকাঁটা,গজাল, পাতাম ইত্যাদি লাগে,যা নৌকাকে দীর্ঘদিন টেকসই রাখে।

    শহীদ নজমুল হক সরকারি কলেজের অধ্যাপক মামুনুর রশিদ তোতা বলেন,বর্ষার শুরুতে নৌকা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করে মিস্ত্রিরা। এক সময় পণ‌্য পরিবহন ও যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম ছিল নলডাঙ্গার বুক চিরে বয়ে চলা বারনই নদী। তবে কয়েক বছর থেকে সেই দৃশ্য তেমন আর চোখে পড়ে না।

  • সাংবাদিক রোজিনা’র মুক্তির দাবিতে বানিয়াচং মডেল প্রেসক্লাবের প্রতিবাদ সভা।

    সাংবাদিক রোজিনা’র মুক্তির দাবিতে বানিয়াচং মডেল প্রেসক্লাবের প্রতিবাদ সভা।

    প্রথম আলো পত্রিকার অনুসন্ধানী জৈষ্ঠ্য সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হেনস্তা,নির্যাতনের তীব্র নিন্দা ও মুক্তির দাবিতে প্রতিবাদ সভা করেছে বানিয়াচং মডেল প্রেসক্লাব।

    শুক্রবার (২১ মে) বেলা ১১ টায় কার্যালয়ে বানিয়াচং মডেল প্রেসক্লাবের সভাপতি সর্দার আজিমুল হক স্বপনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শিব্বির আহমদ আরজুথর সঞ্চালনায় প্রতিবাদ সভায় উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র সহ-সভাপতি জীবন আহমেদ লিটন,সহ-সভাপতি দেওয়ান শোয়েব রাজা,যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শামিম চৌধুরী, কোষাধ্যক্ষ আব্দুল মিয়া,প্রচার সম্পাদক ইমদাদুল হক মাসুম,আইন বিষয়ক সম্পাদক দিলোয়ার হোসেন,দপ্তর সম্পাদক তানজিল হাসান সাগর,নির্বাহী সদস্য-রায়হান উদ্দিন সুমন,শেখ শফিকুল ইসলাম শফিক,আব্দুল মালেক,জয়নাল আবেদীন,ইমতিয়াজ আহমেদ লিলু,এম এ কাদির বাবুল ও শাহরিয়ার বিলাস।

    প্রতিবাদ সভায় বক্তারা বলেন,সচিবালয়ের মতো একটি গুরুত্বপুর্ণ জায়গায় একজন সিনিয়র সাংবাদিককে ঘন্টার পর ঘন্টা আটকে রেখে হেনস্তা ও নির্যাতন স্বাধীন গণমাধ্যমের উপর চরম আঘাত। এছাড়া তাকে মিথ্যা মামলায় আটক করে কারাগারে প্রেরণের ঘটনায় গোটা সাংবাদিক সমাজ আজ ক্ষুব্ধ ও মর্মাহত।

    সিনিয়র সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের মুক্তির পাশাপাশি ও ঘটনার সাথে জড়িত ব্যক্তিদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবি জানানো হয়।

  • সিরাজগঞ্জে মেডিকেল কলেজের কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন করলেন- ডাঃ মিল্লাত এমপি।

    সিরাজগঞ্জে মেডিকেল কলেজের কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন করলেন- ডাঃ মিল্লাত এমপি।

    শহীদ এম, মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কাজের অগ্রগতি ও বহির্বিভাগ পরিদর্শন করেছেন সিরাজগঞ্জ-২ (সদর-কামারখন্দ) আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব অধ্যাপক ডাঃ মোঃ হাবিবে মিল্লাত মুন্না।

    শুক্রবার (২১ মে) সকাল ১১ টায় সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার শিয়ালকোলস্থ শহীদ এম, মনসুর আলী মেডিকেল কলেজে এমপি ডাঃ হাবিবে মিল্লাত মুুৃন্না পৌঁছলেই তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

    এরপর প্রশাসনিক ভবনে হাসপাতালের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় করেন ডাঃ মিল্লাত মুন্না এমপি। এ সময় হাসপাতালের সমস্যাগুলো শোনেন এবং খুব শীঘ্রই সেসব সমস্যার সমাধান করার জন্য আশাবাদ ব্যক্ত করেন। পাশাপাশি দ্রুত বহির্বিভাগ চালুর জন্য সবাইকে নির্দেশ প্রদান করেন। পরে হাসপাতালের বহির্বিভাগ পরিদর্শন করেন তিনি।

    এসময় শহীদ এম, মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ ডাঃ আমিনুল ইসলাম, প্রকল্প পরিচালক কৃষ্ণ কুমার পাল, সিরাজগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি হেলাল উদ্দীন, সিরাজগঞ্জ জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক একরামুল হক, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আহসান হাবিব খোকাসহ হাসপাতালের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

    হাসপাতাল পরিদর্শন শেষে এমপি হাবিবে মিল্লাত বলেন, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই হাসপাতালের কাজ শেষ হবে। সার্বক্ষণিক হাসপাতালের কাজ মনিটরিং করা হচ্ছে। এছাড়াও যেকোনো প্রয়োজনে তাকে জানানোর জন্যও বলেন।

    এবিষয়ে শহীদ এম, মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ ডাঃ আমিনুল ইসলাম বলেন, এমপি মহোদয় আমাদের বহির্বিভাগ পরিদর্শন করে দেখলেন উদ্বোধনের উপযোগী কি না। এছাড়াও তিনি নানান বিষয়ে নানান দিকনির্দেশনা ও পরামর্শ দিয়েছেন।