Author: admin

  • উল্লাপাড়ায় যৌতুকের দাবি পূরন করতে না পাড়ায় গৃহবধুকে গলা কেটে হত্যার চেষ্টা।

    উল্লাপাড়ায় যৌতুকের দাবি পূরন করতে না পাড়ায় গৃহবধুকে গলা কেটে হত্যার চেষ্টা।

    সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় স্বামীর যৌতুকের দাবি পূরণ করতে না পারায় পারভীন নামের গৃহবধুকে গলা কেটে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে । স্বামী নাঈম হোসেন তার স্ত্রীকে হত্যা করার চেষ্টা করলে প্রতিবেশীদের প্রতিরোধের মুখে স্ত্রী পারভীন রক্ষা পেয়েছেন।

    ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার সকালে উপজেলার মাঝিপাড়া গ্রামে। পারভীন বানিয়াকৈড় গ্রামের মৃত গোলবার হোসেনের মেয়ে। গোলবার হোসেন পারভীনকে ২ বছর বয়সে রেখে মারা যান। বাবা মারা যাবার পর পারভীনের মায়ের অন্যত্র বিয়ে হয়। পরে চাচা সোলায়মান হোসেন পারভীনকে প্রতিপালন করে বিয়ে দেন।

    গৃহবধু পারভীন গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে অভিযোগ করেন, ৩ বছর আগে বাঙ্গালা ইউনিয়নের মাঝিপাড়া গ্রামের হাসান আলীর ছেলে নাঈম হোসেনের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। নাঈম তার খালাতো ভাই। বিয়ের সময় যৌতুক হিসেবে নগদ ১ লাখ টাকা ও ৮ আনা সোনার গহনা দেওয়া হয় তার স্বামীকে। কিন্তু বিয়ের কিছুদিন পর থেকে তার স্বামী ও স্বামীর পরিবার পারভীন খাতুনের বাবার কিছু পরিমান জমি অতিরিক্ত যৌতুক হিসেবে স্বামীর নামে লিখে দেবার জন্য চাপ সৃষ্টি করেন। পারভীনের পরিবার থেকে এতে আপত্তি তোলায় মাঝে মাঝেই স্ত্রীকে অমানুষিক নিযার্তন করতো স্বামী নাঈম হোসেন।

    এনিয়ে দাম্পত্য জীবনে তাদের মধ্যে চরম কলহ চলে আসছিল। ক’দিন ধরে নাঈম হোসেন তাদের দাবিকৃত জমির পরিবর্তে নগদ ১ লাখ টাকা বাড়তি যৌতুক হিসেবে দাবি করে পারভীন খাতুনের কাছে।

    পারভীনের পরিবার এই অর্থ দিতে ব্যর্থ হলে নাঈম হোসেন শুক্রবার সকালে তার স্ত্রী পারভীন খাতুনকে ধারালো চাকু দিয়ে নিজের শোবার ঘরে জবাই করার চেষ্টা করে। চাকু দিয়ে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানেও আঘাত করা হয়। এতে গুরুতর আহত হন পারভীন। পারভীনের আর্তচিৎকারে প্রতিবেশীরা ঘটনাস্থলে এগিয়ে এলে নাঈম পালিয়ে যায়। বর্তমানে পারভীন খাতুন স্থানীয় একটি হাসপাতালে চিকৎসাধীন রয়েছেন।

    এ ব্যাপারে পারভীনের চাচা সোলায়মান হোসেন শুক্রবার দুপুরে উল্লাপাড়া থানায় নাঈম হোসেন ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে হত্যা চেষ্টার একটি অভিযোগপত্র দায়ের করেন।

    এ বিষয়ে উল্লাপাড়া মডেল থানার ডিউটি অফিসার উপ পরিদর্শক আশরাফী খাতুন নিযার্তিত পারভীনের পক্ষ থেকে অভিযোগপত্র পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, পুলিশ বিষয়টি দ্রুত তদন্ত করে কার্যকর ব্যবস্থা নেবে।

  • সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে স্বামীর অত্যাচারে স্ত্রীর আত্মহত্যা।

    সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে স্বামীর অত্যাচারে স্ত্রীর আত্মহত্যা।

    সিরাজগঞ্জ বেলকুচি উপজেলার ভাঙ্গাবাড়ি ইউনিয়নের স্বামীর অত্যাচার সইতে না পেরে চার সন্তানের জননী আসমা খাতুন (৩৮) নামের এক গৃহবধূর আত্মহত্যার অভিযোগ উঠেছে ।

    শুক্রবার (২৮মে) সকাল ৬ টার দিকে উপজেলার ভাঙ্গাবাড়ি ইউনিয়নের পিড়ারচর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত আসমা খাতুন পিড়ার চর গ্রামের সরবেশ আলীর মেয়ে।

    পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ২০০৪ সালে একই ইউনিয়নের গাবগাছি গ্রামের মোকাদ্দেছ মোল্লা ছেলে নুরু ইসলাম মোল্লা সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিক বিষয় নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এ বিষয় নিয়ে স্থানীয় ভাবে কয়েকবার সালিশী বৈঠক করে মিমাংসা করা হয়। গত ২ মাস আগে নুরইসলাম মোল্লা ৪ সন্তানকে রেখে বাবার বাড়ি পাঠিয়ে দেই। মাঝে মাঝে তার সন্তানদের দেখতে স্বামীর বাড়ি গেলে স্বামী নুরইসলাম বিভিন্নভাবে অত্যাচার করে।

    এরপর গত সপ্তাহে সন্তানরা তার মা আসমা খাতুনকে দেখতে আসলে স্বামী নুরইসলাম তাদেরকে ভয়ভীতি দেখিয়ে বাড়িতে নিয়ে যায়। এই দুঃখ যন্ত্রনা সয্য করতে না পেরে শুক্রবার সকালে আসমা খাতুনের বাবার বাড়ি শয়নঘরে ধর্নার সাথে ওরনা পেছিয়ে আত্মহত্যা করে।

    বেলকুচি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) গোলাম মোস্তফা ভোরের কণ্ঠ প্রতিবেদক এই আত্মহত্যার বিষয়ে জানতে চাইলে একটু পরে কথা বলার বলে ফোন কেটে দেন। পরে যোগাযোগের চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

  • বগুড়ায় শিবগঞ্জ থানা পুলিশের হাতে ভুয়া সিআইডি অফিসার গ্রেপ্তার।

    বগুড়ায় শিবগঞ্জ থানা পুলিশের হাতে ভুয়া সিআইডি অফিসার গ্রেপ্তার।

    বগুড়ায় শিবগঞ্জ থানা পুলিশের হাতে শফিকুল ইসলাম(৩৪) নামের ভূয়া বাংলাদেশ(ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট) সিআইডি অফিসার গ্রেপ্তার। এ সময় ভুয়া সিআইডি অফিসারের পরিচয়পত্র সহ বেশকিছু দপ্তরিক উচ্চ পদস্থের আইডি কার্ড উদ্ধার করা হয়েছে।

    ধৃত ভুয়া সিআইডি অফিসার উপজেলার বুড়িগঞ্জ ইউনিয়নের চকঝিনাহার গ্রামের বাসিন্দা ও মৃত সিরাজুল ইসলামের পুত্র৷

    জানা যায়, ভুয়া (ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট) সিআইডি অফিসারের পরিচয়দানকারী শফিকুল ইসলাম সে দীর্ঘদিন উপজেলার আনাচে-কানাচেতে ঘুরে এলাকার সাধারণ মানুষকে বিপদের ভয় দেখিয়ে হাতিয়ে নিত মোটা অঙ্কের টাকা। এরই ধারাবাহিকতায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার জামতলী বাজার থেকে ভুয়া সিআইডির এই কর্মকর্তা কে আটক করে থানায় নেয় পুলিশ।

    এবিষয়ে শিবগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সিরাজুল ইসলাম বলেন, আটককৃত ভুয়া সিআইডি পরিচয়দানকারী ব্যক্তি সে কুড়াহার গ্রামের মৃত মোহিন উদ্দিনের ছেলে নুরুল ইসলামকে কৌশলে সিআইডি অফিসারের পরিচয় দিয়ে ১৫ হাজার টাকা চাঁদাদাবি করে।

    বিষয়টি তাৎক্ষণিক তদন্ত করে দেখা যায়, সে একজন ভুয়া প্রতারক সিআইডি কর্মকর্তা। পরে তাকে আটক করে থানায় নেয়া হয়। এসময় তার কাছে থাকা ভুয়া (ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট) সিআইডির আইডি কার্ডসহ আরও বেশকিছু সরকারি দপ্তরের আইডি কার্ড উদ্ধার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

  • পূর্ণিমাগাঁতী ইউনিয়ন পরিষদের ২০২১-২২ অর্থ বছরের উন্মুক্ত বাজেট ঘোষণা।

    পূর্ণিমাগাঁতী ইউনিয়ন পরিষদের ২০২১-২২ অর্থ বছরের উন্মুক্ত বাজেট ঘোষণা।

    সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ার পূর্ণিমাগাঁতী ইউনিয়ন পরিষদের ২০২১-২২ অর্থ বছরের উন্মুক্ত বাজেট ঘোষনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    বৃহস্পতিবার (২৭ মে) সকালে ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চেয়ারম্যান আল আমিন সরকারের সভাপতিত্বে ২০২১-২২ অর্থ বছরের বাজেট পেশ করেন ইউনিয়ন পরিষদের সচিব আমিরুল ইসলাম।
    ২০২১-২২ অর্থ বছরের বাজেট পেশ করার সময় তিনি বলেন ৫ কোটি ৪৯ লাখ ৯৭ হাজার ৬’শ ৪ টাকা আয় এবং ৫ কোটি ৪৯ লাখ ৫ হাজার ৪’শ ৪ টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। পাশাপাশি বাজেটে ৯২ হাজার ২’শ টাকা উদ্বৃত্ত রাখা আছে ।

    এসময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আনোয়ার হোসেন, মেডিক্যাল অফিসার করোনা ফোকাল পারসোন ডাঃ আলামিন সরকার,পূনিমাগাঁতী ইউনিয়ন আওয়ামীলিগের সাংগঠনিক সম্পাদক মমিন ভুইয়া,প্রচার সম্পাদক তাকমিদুর রহমান দুলাল প্রমুখ।

    এ অনুষ্ঠানে ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের সাধারন মানুষ অংশ নিয়ে উন্মুক্ত বাজেট সভায় তাদের মতামত তুলে ধরে খোলামেলা বক্তব্য দেন। এসময় বাজেট নিয়ে সাধারন মানুষের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন ইউপি চেয়ারম্যান আলআমিন সরকার । সভার মাধ্যমে সাধারণ মানুষের মতামত নিয়ে উন্নয়ন কর্মকান্ড সহ যাবতীয় সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

  • নাটোরের নলডাঙ্গায় কালের বিবর্তনে হারিয়ে যাচ্ছে ঐতিহ্য বেতশিল্পের কাজ।

    নাটোরের নলডাঙ্গায় কালের বিবর্তনে হারিয়ে যাচ্ছে ঐতিহ্য বেতশিল্পের কাজ।

    নাটোরের নলডাঙ্গায় কালের বিবর্তনে হারিয়ে যাচ্ছে ঐতিহ্য বেতশিল্পের কাজ। বেতের তৈরি পণ্যের আর কদর নেই বললেই চলে। ঐতিহ্য হারাতে বসেছে এই শিল্পটি।

    এক সময় গ্রামীণ জনপদের মানুষ গৃহস্থালি, কৃষি ও ব্যবসা ক্ষেত্রে বেত ও বাঁশের তৈরি সরঞ্জামাদি ব্যবহার করা হলেও এখন বিলুপ্তির পথে এ শিল্পটি।

    বাসা-বাড়ি, অফিস-আদালত সবখানেই ব্যবহার করা হতো বাঁশ ও বেতের তৈরি আসবাবপত্র। এখন সময়ের বিবর্তনে বদলে গেছে চিরচেনা চিত্র।

    সরেজমিনে দেখা যায়, প্লাস্টিক সামগ্রীর কদর বেড়ে যাওয়া এই কুটির শিল্পের চাহিদা এখন আর নেই। তাছাড়াও দুষ্প্রাপ্য হয়ে পড়েছে এ শিল্পের কাঁচামাল বাঁশ ও বেত। বাজারগুলো দখল করেছে প্লাস্টিক ও এলুম্যানিয়াম। দেখা মিলে না আর বাঁশ ঝাড়। তাছাড়াও প্লাস্টিক পণ্য টেকসই ও স্বল্পমূল্যে পাওয়ায় সাধারণ মানুষের চোখ প্লাস্টিক সামগ্রীর ওপর।

    জানা যায়, এক সময় দেশের বিস্তীর্ণ জনপদে বাঁশ-বেত দিয়ে তৈরি হতো গৃহস্থালী ও সৌখিন পণ্যসামগ্রী। ঘরের কাছের ঝাড় থেকে তরতাজা বাঁশ-বেত কেটে গৃহিনীরা তৈরি করতেন হরেক রকমের পণ্য। এসব বিক্রি করেই চলতো তাদের জীবনযাপন। তবে এখনো গ্রামীণ উৎসব ও মেলাগুলোতে বাঁশ ও বেতজাত শিল্পীদের তৈরি খোল, চাটাই, খালুই, ধামা, টোনা, পাল্লা, মোড়া, বুক সেল্ফ কদাচিৎ চোখে পড়ে।

    যেখানে তালপাতার হাত পাখারই কদর নেই, সেখানে এসব পণ্য পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার! যতই দিন যাচ্ছে ততই কমে যাচ্ছে এই হস্তশিল্পের চাহিদা। মূল্যবৃদ্ধি, বাঁশ-বেতের দুষ্প্রাপ্যতা আর অন্যদিকে প্লাস্টিক, সিলভার ও মেলামাইন জাতীয় হালকা টেকসই সামগ্রী নাগরিক জীবনে গ্রামীণ হস্তশিল্পের পণ্যকে হটিয়ে দিয়েছে।

    উপজেলার মাধনগরে বেত শিল্প বিক্রি করতে আসা দুলাল দাস(৫৯) বলেন, ২০ বছর থেকে আমি এই কাজের সাথে জড়িত। বেত শিল্পের দুর্দিনে হাতে গোনা কিছু সংখ্যক পরিবার বেতশিল্পকে আঁকড়ে ধরে আছেন। অনেকে এ পেশা বদলে অন্যপেশায় গেলেও পূর্বপুরুষের হাতেখড়ি পেশাকে কিছুতেই ছাড়তে পারেননি তারা। তাদের তৈরি কিছু পণ্য গ্রাম-গঞ্জে নিয়ে ঘোরাফেরা করলে কিছু সৌখিন মানুষরা তাদের পণ্য কিনেন। বেলা শেষে যা বিক্রি হয় তা দিয়ে তয়-তরকারি কিনে বাড়ি ফেরেন তারা।

  • নবাগত ইউএনও’র সাথে মহাস্থান প্রেসক্লাব সাংবাদিকদের  মত বিনিময়।

    নবাগত ইউএনও’র সাথে মহাস্থান প্রেসক্লাব সাংবাদিকদের মত বিনিময়।

    বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলায় সদ্য দায়িত্ব প্রাপ্ত (নবাগত) নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উম্মে কুলসুম স্বপ্নার সাথে মহাস্থান প্রেসক্লাবের সাংবাদিকদের মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    বৃহস্পতিবার (২৭মে) বিকাল, ৪ টায় আনুষ্ঠানিকভাবে উপজেলা কার্যালয়ে মতবিনিময় সভায় (ইউএনও) বলেন, শিবগঞ্জ উপজেলায় আমি নতুন মানুষ। এই এলাকায় সন্ত্রাস, মাদক, জঙ্গীবাদ, বাল্যবিবাহ, ইভটিজিং, সিন্ডিকেট অসাধু ব্যবসায়ী, ভূমি ও বালুদস্যু প্রতিরোধ সহ মহাস্থান প্রেসক্লাবের সাংবাদিকদের কাছে সর্বাত্মক সহযোগিতা কামনা করে তিনি আরও বলেন, একজন সাংবাদিকের কাছে প্রত্যাঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য থাকে। তারা জনগনের সাথে নিবিড়ভাবে মিশে অন্যায়কারীদের নাড়ীর খবরও বের করে আনতে পারেন। আবার কোন এলাকায় বাল্য বিবাহ বা ভেজাল বিরোধী ও আইনী অপরাধ মূলক অভিযানে অপরাধীকে আমরা ধরে আনার পর সেটা প্রকাশ হলে অন্যান্যরা সেটা জানতে পেরে শাস্তির ভয় পায়।

    এজন্য অবশ্যই আপনারা আমাদের সহযোগীতা করবেন। আপনাদের কাছে থাকা গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো আমাদের জানালে তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়া সঠিক স্বনির্ভরশীল বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পালনকালে সাংবাদিকরা বাধার সম্মুখীন হলে আমাদের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ সহযোগীতা করা হবে।

    পরে নবাগত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে মহাস্থান প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়।
    এসময় উপস্থিত ছিলেন, মহাস্থান প্রেসক্লাবের সভাপতি আনিছুর রহমান মিটু, সহ-সভাপতি সৈয়দ আব্দুর রহিম সাজু, সাধারন সম্পাদক এসআই সুমন, যুগ্ন সাধারন সম্পাদক ওবায়দুর রহমান, যুগ্ম সম্পাদক গোলাম রব্বানী শিপন, প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আব্দুল বাছেদ, নির্বাহী সদস্য ইকবাল হোসেন, আব্দুল বারী প্রমূখ।

  • আদমদীঘিতে ছাগল ফুল গাছের পাতা খাওয়ায় ২ হাজার টাকা জরিমানা। 

    আদমদীঘিতে ছাগল ফুল গাছের পাতা খাওয়ায় ২ হাজার টাকা জরিমানা। 

    বগুড়ার আদমদিঘী উপজেলা চত্বরে লাগানো ফুল গাছের পাতা খাওয়ায় ছাগলকে আটকে রেখে তার মালিকের অনুপস্থিতিতে ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে দুই হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এমনই অভিযোগ উঠেছে বগুড়া আদমদীঘি উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা সীমা শারমিনের বিরুদ্ধে।

    শুধু তাই নয়, ছাগলের মালিক এই জরিমানা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে ছাগলটিকে পাঁচ হাজার টাকায় বিক্রি করে জরিমানার টাকা আদায়ের অভিযোগ করেছেন এই ছাগলের মালিক। ছাগলের মালিক সাহারা বেগম (৪৯) উপজেলা পরিষদের পাশেই থাকেন। তার স্বামী ঢাকায় সিকিউরিটি গার্ডের চাকরি করেন। দুই ছেলেও থাকেন বাইরে।

    সাহারা বেগম সাংবাদিকদের বলেন, গত ১৭ মে থেকে ছাগলটি খুঁজে পাচ্ছিলাম না। পরে জানতে পারি ছাগলটি উপজেলায় আটকে রাখা হয়েছে। সেদিনই আমি ছাগল আনতে গেলে ইউএনও আমার সঙ্গে দেখা করেননি। তিন দিন পরে ইউএনওর কাজের মেয়ে আমাকে খবর দেয় যে আমার দুই হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। দুই হাজার টাকা দিয়ে আমি যেন ছাগল নিয়ে আসি। তিনি আরও বলেন, দুই হাজার টাকা দেওয়ার সামর্থ্য আমার নেই। আমি এর পরে বহুবার উপজেলায় গেছি কিন্তু আনসার সদস্যরা আমাকে বলেছেন যে স্যার (ইউএনও সীমা শারমিন) ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে দুই হাজার টাকা জরিমানা করেছেন। টাকা দিয়ে ছাগল নিয়ে যেতে হবে।

    এরপরেও আমি গেছি, কিন্তু আমাকে দূর দূর করে তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অফিস থেকে। আমার আর্থিক অবস্থা ভালো না। ছাগল ফেরত পাওয়ার আশায় আমি উপজেলা চেয়ারম্যানের গেলে তিনি আশ্বাস দিয়েছেন যে ছাগল ফেরত নিয়ে দিবেন, যোগ করেন সাহারা বেগম।

    আদমদীঘি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম রাজু খান বলেন, ওই ছাগলের মালিক অভিযোগ করেছেন যে তার ছাগল গত কয়েকদিন ধরে আটকে রেখেছে।

    সাহারা বেগম বলেন, পরে আমি জানতে পারি যে স্থানীয় একজনের কাছে ছাগলটি পাঁচ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়েছে। আমি গরিব মানুষ। ছাগল ফিরে না পেলে কিছুই করার সাধ্য না। আমি শুধু আল্লাহর কাছে বিচার দিলাম। তিনি আরও বলেন, ছাগলটি সরকারি খোয়াড়ে দিলে ৫০ বা ১০০ টাকা দিয়ে ফেরত আনতে পারতাম। কিন্তু জরিমানা করেছে দুই হাজার টাকা। এত টাকা কোথায় থেকে দেব, জরিমানা করার সময় তিনি উপস্থিত ছিলেন কি না জানতে চাইলে সাহারা বেগম বলেন, আমার সামনে কোনো জরিমানা করা হয়নি।

    নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক সাহারা বেগমের এক প্রতিবেশী বলেন, সাহারা বেগমের ছাগলটি এর আগেও উপজেলা পরিষদের গাছ খেয়েছে কয়েকবার। উপজেলা পরিষদ থেকে তাকে বেশ কয়েকবার সর্তক করা হয়েছে। সম্প্রতি তার ছাগলটি আটকে দুই হাজার টাকা জরিমানা করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। জরিমানার টাকা পরিশোধ করে ছাগলটি আনতে খবরও দেওয়া হয়েছিল সাহারা বেগমকে। কিন্তু তিনি এতো টাকা দিয়ে ছাগল নিতে পারবেন না বলে জানান। এরপরে কী হয়েছে তা জানি না।

    বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে আদমদীঘি নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সীমা শারমিন বলেন, বিকেল সাড়ে চারটার দিকে উপজেলা চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম খান, স্থানীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ও গণ্যমাণ্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে ওই নারীকে ছাগল ফেরত দেওয়া হয়েছে। জরিমানা টাকা আমি দিয়েছি। তাকে সংশোধনের জন্য জরিমনা করেছিলাম; শাস্তি দেওয়ার জন্য নয়।

    বগুড়া জেলা প্রশাসক জিয়াউল হকের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, যেকোনো বিষয় গণ উপদ্রব সৃষ্টি করলে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে শাস্তি দেওয়ার বিধান আছে। আমি যতটুকু শুনেছি, ছাগল মালিকের উপস্থিতেই এই জরিমানা করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। এখানে আইনের কোনো ব্যত্যয় ঘটেনি। মালিকের অনুপস্থিতিতে ছাগল বিক্রি করে জরিমানা আদায় করা যায় কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ছাগলটি বিক্রি করা হয়েছে কি না সেটা আমার জানা নেই। তবে কেউ জরিমানার টাকা দিতে না পারলে জব্দকৃত মালামাল বিক্রি করে সেই টাকা আদায়ের বিধান আছে।

  • উল্লাপাড়ায় খেয়াঘাটের যাত্রী ছাউনির বেহাল অবস্থায় জনদুর্ভোগ।

    উল্লাপাড়ায় খেয়াঘাটের যাত্রী ছাউনির বেহাল অবস্থায় জনদুর্ভোগ।

    সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া পাটবন্দর-সলপ রেলওয়ে স্টেশন আঞ্চলিক সড়কের মাঝে করতোয়া নদীতে বেতবাড়ী পূর্ব সাতবাড়ীয়া খেয়াঘাটের যাত্রী ছাউনিটি এখন ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। উপরের চালের টিনগুলো ফুটো হয়ে গেছে। ভেঙ্গে গেছে চারপাশের দেয়াল ও টিনের বেড়া।

    ফলে বৃষ্টির দিনে ছাউনির ভিতর পানি পড়ে। এতে সেখানে দাঁড়াতে পারে না খেয়াঘাটে পারাপার হওয়া লোকজন। যাত্রী ছাউনির নিচের হাফ ওয়ালও নস্ট হয়ে গেছে। ফলে এই ছাউনিটি এখন এলাকার মানুষের কোন উপকারে আসছে না।

    এই পথে চলাচলকারী স্থানীয়রা জানান, খেয়াঘাটে বিশেষ করে বর্ষা বৃষ্টির দিনে পারাপার হওয়া লোকজনের অপেক্ষার জন্য কোন ছাউনি ছিল না। চরম ভোগান্তি সইতে হয়েছে এই পথের যাত্রীদেরকে।

    এই খেয়াঘাট পার হয়ে প্রতিনিদিন কয়েক হাজার শিক্ষার্থী উপজেলা শহরে অবস্থিত সরকারি আকবর আলী কলেজ, উল্লাপাড়া মার্চেন্টস পাইলট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ, উল্লাপাড়া বিজ্ঞান কলেজ, এইচ টি ইমাম গার্লস স্কুল এন্ড কলেজ, মোমেনা আলী বিজ্ঞান স্কুল, উল্লাপাড়া কালিম মাদ্রাসা, এইচ টি ইমাম ডিগ্রি কলেজ, উল্লাপাড়া সানফ্লাওয়ার স্কলে লেখাপাড়া করে থাকে।

    বছর সাতেক আগে পঞ্চক্রোশী ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোগে এখানে ছোট আকারের একটি যাত্রী ছাউনি তৈরি করা হয়।কিন্ত সেসময় নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে এটি তৈরি করায় অল্প কয়েক বছরের মধ্যে ছাউনিটি নষ্ট হয়ে যায়। বর্তমানে এটি ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এই খেয়াঘাটের গুরুত্ব অনুযায়ী এখানে বড় আকারের একটি যাত্রী ছাউনি তৈরি করা প্রয়োজন।

    এই যাত্রী ছাউনির পাশে একটি বটগাছ রয়েছে। স্থানীয়দের দাবি বটগাছের চারিদিকে ইট দিয়ে বেঁধে দিলে এখানেও অনেক পারাপারের অপেক্ষমান লোকজন বসার সুযোগ পাবেন।

    এ বিষয়ে পঞ্চক্রোশী ইউপি চেয়ারম্যান তৌহিদুল ইসলাম ফিরোজ জানান, বেতবাড়ী পূর্ব সাতবাড়ীয়া খেয়াঘাটে বড় আকারের একটি যাত্রী ছাউনি তৈরি করা প্রয়োজন।খুব দ্রুত এ ব্যাপারে একটি প্রকল্প তৈরি করে তিনি উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয়ে পাঠাবেন।

    এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ইঞ্জিনিয়ার মাহবুবুর রহমান ভুইয়া জানান, উক্ত খেয়াঘাটের যাত্রী ছাউনির বেহাল অবস্থার বিষয়টি তিনি শুনেছেন।

    পঞ্চক্রোশী ইউপি চেয়ারম্যানের সঙ্গে যোগাযোগ করে অবিলম্বে এই ছাউনি যথাযথভাবে সংস্কারের ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বসার জন্য বটগাছের গোড়ায় ইট দিয়ে বেঁধে দেওয়া হবে।

  • কাজিপুর চালিতাডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের বাজেট ঘোষণা সভা অনুষ্ঠিত।

    কাজিপুর চালিতাডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের বাজেট ঘোষণা সভা অনুষ্ঠিত।

    সিরাজগঞ্জের কাজিপুরের ২ নং চালিতাডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের ২০২১-২২ অর্থ বছরের উন্মুক্ত বাজেট সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২৭ মে বৃহস্পতিবার অএ পরিষদ চত্বরে অনুষ্ঠিত বাজেট সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন কাজিপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক খলিলুর রহমান সিরাজী।

    সভাপতিত্ব করেন  চালিতাডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান মুকুল । এসময় তিনি গত ২০২০-২১ অর্থবছরের রাজস্ব ও উন্নয়ন প্রকল্পের বিবরণী তুলে ধরেন এবং ২০২১-২২ অর্থ বছরের বাজেট পেশ করেন। অএ ইউনিয়নে ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটে রাজস্ব এবং উন্নয়নসহ মোট সম্ভাব্য আয় ধরা হয় ৪ কোটি ৮২ লাখ ৮৮ হাজার ২৭০ টাকা ও ব্যয় ধরা হয় ৪ কোটি ৮১ লাখ ৪৮ হাজার ২৭০ টাকা। বাজেটে উদ্বৃত্ত দেখানো হয় ১লাখ ৪০ হাজার টাকা।প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য উপস্থাপন করেন  ইউএনও জাহিদ হাসান সিদ্দিকী। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান দ্বীন মোহাম্মদ বাবলু, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শাপলা খাতুন। ইউনিয়ন আঃলীগের সাধারন সম্পাদক রন্জু তরফদার সহ স্থানীয় রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব , শিক্ষক, কৃষক, ব্যবসায়ী ইউপি সদস্যসহ জনসাধারণ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

    অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন, ইউপি সচিব খোরশেদ আলম। উল্লেখ যে অনুষ্ঠানটি ছিল  অংশগ্রহণ মূলক কর্মপরিকল্পনা প্রনয়ন, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতামুলক।

  • ঘূর্নীঝড় ইয়াস’র মধ্যেই আশ্রয়কেন্দ্রে ফুটফুটে পুত্র সন্তানের জন্ম।

    ঘূর্নীঝড় ইয়াস’র মধ্যেই আশ্রয়কেন্দ্রে ফুটফুটে পুত্র সন্তানের জন্ম।

    পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় ঘূর্নিঝড় ইয়াসের প্রভাবে অস্বাভাবিক জোয়ারে ভাঙা বেড়িবাঁধ দিয়ে পানি প্রবেশ করে ভেসে যাচ্ছে গ্রামের পর গ্রাম। লালুয়া ইউনিরয়নের এসব বানভাসী  মানুষ ছুটে যাচ্ছে আশ্রয়কেন্দ্রে সেই মুহুর্তে সানজিদা (২২) নামের এক গৃহবধু প্রসববেদনায় কাতরাতে থাকে। খবর পেয়ে স্থানীয় কমিউনিটি ক্লিনিকের স্বাস্থকর্মীরা ছুটে যায় চান্দুপাড়া সকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কাম সাইক্লোন শেল্টারের আশ্রয় কেন্দ্রে। সেখানে গৃহবধু প্রথমবারের মতো একটি ফুটফুটে পুত্র সন্তানের জন্ম দেন। তার এ সন্তানের নাম রাখা হয়েছে বেল্লাল বলে জানা গেছে।

    স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত মঙ্গলবার থেকে ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে অস্বাভাবিক জোয়ারে পানি প্রবেশ করে চান্দুপাড়া গ্রাম প্লাবিত হয়। এসময় গর্ভবতী স্ত্রী সানজিদাকে নিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ে যান তার স্বামী নুর-আলম শরীফ। পরে বুধবার সকালে তার প্রসব বেদনা উঠলে স্থানীয় কমিউনিটি ক্লিনিকের স্বাস্থকর্মীদের সহযোগীতায় তিনি প্রথমবারের মতো একটি ফুটফুটে পুত্র সন্তানের জন্ম দেন। বর্তমানে মা ও ছেলে দুজনেই সুস্থ্য রয়েছে।

    লালুয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শওকত হোসেন তপন বিশ্বাস বলেন, খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে ছুটে যাই। গিয়ে দেখি মা ছেলে দুজনই সুস্থ্য আছে। ওদের ঘরবাড়ি পানিতে নিমজ্জিত হওয়ায় ওরা এখনও ওই আশ্রয় কেন্দ্রেই রয়েছে। তবে আমি সারাক্ষন তাদের খোজ খবর রাখছি।

    উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. চিনময় হাওলাদার বলেন, বিষয়টি আমরা জানার পর স্থানীয় স্বাস্থ্যকর্মীর সহযোগীতায় স্বাভাবিকভাবে বাচ্চা প্রসাব করানো হয়েছে। এখন মা ছেলে খুব ভালো আছে। দায়িত্বরত চিকিৎসক প্রতিমূহুর্তে মা এবং বাচ্চার খোজ খবর নিচ্ছে বলে তিনি সাংবাদিকদের জানান।