Author: admin

  • কলাপাড়ায় এক ব্যবসাীর চোখে মরিচের গুঁড়ো ছিটিয়ে টাকা ছিনতাই।

    কলাপাড়ায় এক ব্যবসাীর চোখে মরিচের গুঁড়ো ছিটিয়ে টাকা ছিনতাই।

    পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় এক ব্যবসায়ীর চোখে মুখে মরিচের গুঁড়ো ছিটিয়ে টাকা ছিনতাই করে নিয়ে গেছে ছিনতাইকারীরা।

    শুক্রবার রাত দশটার দিকে উপজেলার লতাচাপলী ইউনিয়নের আছালতপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীর নাম আজিজুর রহমান মুকুল। তিনি ধুলাস্বার ইউনিয়নের চাপলী বাজারে পাইকারি মুদি দোকান ব্যবসায়ী।

    ব্যবসায়ী আজিজুর রহমান মুকুল বলেন, ‘প্রতিদিনের মতো দোকান বন্ধ করে মোটরসাইকেল নিয়ে বাড়ি আসি। বাসার সামনে দরজার গেটের কাছে পৌঁছা মাত্র আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা দুইজন ছিনতাইকারী আমার চোখে মরিচের গুঁড়ো ছিটিয়ে দেয়। আমি মোটরসাইকেল নিয়ে পড়ে গেলে ছিনতাইকারীরা টাকার ব্যাগ নিয়ে পালিয়ে যায়। আমি কাউকে চিনতে পারিনি। তবে তার ব্যাগে কত টাকা ছিল সঠিক করে বলতে পারেননি ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী। তবে তার ধারনা টাকার পরিমান আনুমানিক ২ থেকে ৩ লাখ টাকা হতে পারে।

    মহিপুর থানার উপ-পরিদর্শক  ইব্রাহিম বলেন, খবর পেয়ে ওই ব্যবসায়ীর বাসায় এসেছি। তিনি কাউকে শনাক্ত করতে পারেননি। এ ঘটনায় তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

  • লালমনিরহাট রিপোর্টার্স ইউনিটির ৫১ সদস্য বিশিষ্ট কার্য্য নির্বাহী কমিটি গঠন।

    লালমনিরহাট রিপোর্টার্স ইউনিটির ৫১ সদস্য বিশিষ্ট কার্য্য নির্বাহী কমিটি গঠন।

    লালমনিরহাট রিপোর্টার্স ইউনিটির ৩ বছর মেয়েদী কার্যনির্বাহী কমিটি গঠিত হয়েছে। এতে মোঃ ইউনুস আলী (দৈনিক নওরোজ) কে সভাপতি, রবিউল ইসলাম বাবুল (দৈনিক ভোরের কাগজ), কে সাধারণ সম্পাদক, মেহেদী হাসান জুয়েল (আমার কাগজ)কে সিনিয়র সহসভাপতি, সাফিউল ইসলাম প্রধান, শাহিনুর ইসলাম শাহিন ও তাহ্ হিয়াতুল হাবীব মৃদুলকে সাংগঠনিক সম্পাদক করে ৫১ সদস্যের কার্যকরী কমিটি গঠন করা হয়।

    শনিবার (২৯ মে) দুপুরে লালমনিরহাট রিপোর্টার্স ইউনিটির অস্থায়ী কার্যালয় (হাতীবান্ধায়) এ কমিটি গঠন করা হয়।

    লালমনিরহাটের রিপোর্টার্স ইউনিটির আহবায়ক অধ্যক্ষ বাবু ধনঞ্জয় কুমার রায় বিপুলের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন হাতীবান্ধা প্রেসক্লাবের সদস্য ফারুক হোসেন নিশাদ, প্রেসক্লাবের সদস্য ও দৈনিক ইত্তেফাকের উপজেলা প্রতিনিধি জাহাঙ্গীর আলম রিকো, পাটগ্রাম রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি মোঃ সাফিউল ইসলাম প্রধান, হাতীবান্ধা রিপোর্টার্স ক্লাবের সদস্য সচিব মোঃ ইউনুস আলীসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলার সাংবাদিকগন।
    মোবাইল ফোনের অডিও কলে বক্তব্য রাখেন, রংপুর সাংবাদের সম্পাদক ও নিউজ ২৪ এর বিভাগীয় প্রতিনিধি উপদেষ্টা রেজাউল করিম মানিক এবং ডিবিসি নিউজের লালমনিরহাট প্রতিনিধি ও উপদেষ্টা মাজেদ মাসুদ।

    কার্যকরী কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন, সহ সভাপতি, মিনহাজুল হক বাপ্পি, লিখন হোসাইন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নুর আলমগীর অনু, কাজী আসাদুজ্জামান খোকন। পরিমল চন্দ্র বসুনিয়া (অর্থ সম্পাদক), মাহির খান (দপ্তর সম্পাদক), অর্পিতা দেব ( নারী বিষয়ক সম্পাদক), ওসমান গণি (প্রচার সম্পাদক), মিনহাজ পারভেজ (উপ প্রচার সম্পাদক), সেলিম সম্রাট (তথ্য প্রযুক্তি সম্পাদক), হাসমত উল্ল্যাহ (ক্রীড়া সম্পাদক), জেসমুন হোসাইন শুভ ( সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক), মিঠু মুরাদ (প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদ), দীপু আহসান (ধর্ম বিষয় সম্পাদক), ফারুক আলম (সমাজ কল্যাণ সম্পাদক), শফিকুল ইসলাম (আপ্যায়ন সম্পাদক), সহিদুল ইসলাম (ত্রাণ ও দুর্যোগ বিষয়ক সম্পাদক), ফরিদুল ইসলাম রানা ( তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক) কার্যকরী সদস্য, আমিনুর রহমান, তাহমিনা বেগম স্মৃতি, শেখ রনদ সিমান্ত, তৌহিদ আলম, আল আমিন বাবু, আতিকুল ইসলাম নয়ন, জিএম রাব্বি, রাশেদুল ইসলাম, নুর মোহাম্মদ উজ্জ্বল, নাজিউর রহমান রিজভী প্রমূখ।

    দুপুরে খাবার বিরতির পর সকল সদস্যের সম্মতিক্রমে ৩ বছর মেয়াদি ৫১ সদস্য বিশিষ্ট কার্যকরী কমিটি গঠন করা হয়।

  • কাজিপুর সদর ইউনিয়ন পরিষদের ২০২১-২২ অর্থ বছরের উন্মুক্ত বাজেট ঘোষণা।

    কাজিপুর সদর ইউনিয়ন পরিষদের ২০২১-২২ অর্থ বছরের উন্মুক্ত বাজেট ঘোষণা।

    সিরাজগঞ্জের কাজিপুর সদর ইউনিয়ন পরিষদের ২০২১-২২ অর্থ বছরের উন্মুক্ত বাজেট সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২৭ মে বৃহস্পতিবার অএ পরিষদ মিলনায়তনে  অনুষ্ঠিত বাজেট সভায় সভাপতিত্ব করেন  কাজিপুর সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান টি এম আতিকুর রহমান নান্নু।

    এসময় তিনি গত ২০২০-২১ অর্থবছরের রাজস্ব ও উন্নয়ন প্রকল্পের বিবরণী তুলে ধরেনএবং ২০২১-২০অর্থ বছরের বাজেট পেশ করেন।

    অএ ইউনিয়নে ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটে রাজস্ব এবং উন্নয়নসহ মোট সম্ভাব্য আয় ধরা হয় ২কোটি ৫৪লাখ ৭ হাজার ৬৪টাকা ও ব্যয় ধরা হয় ২ কোটি ৫৩লাখ ৪৬হাজার ১২২ টাকা। বাজেটে উদ্বৃত্ত দেখানো হয় ৬০হাজার৯ শত৪২ টাকা।

    সদর ইউনিয়নের ইউপি সচিব মাহবুব কবির তাং সহ স্থানীয় রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব , শিক্ষক, কৃষক, ব্যবসায়ী ইউপি সদস্যসহ জনসাধারণ এ সময় উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ যে   অনুষ্ঠানটি ছিল  অংশগ্রহণ মূলক কর্মপরিকল্পনা প্রনয়ন, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতামুলক।

  • দৌলতদিয়া পদ্মা নদীতে জয়নাল হাওলদারের জালে সাড়ে ৩১ কেজি ওজনের বাগাইর মাছ আটক।

    দৌলতদিয়া পদ্মা নদীতে জয়নাল হাওলদারের জালে সাড়ে ৩১ কেজি ওজনের বাগাইর মাছ আটক।

    রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া পদ্মা নদীতে জয়নাল হাওলাদারের জালে সাড়ে ৩১ কেজি ওজনের একটি বাগাইর মাছ ধরা পড়েছে। শনিবার ভোরে ৫ নং ফেরি ঘাটের সামনে পদ্মা নদীতে জাল ফেলে জয়নাল হাওলদার। জাল তোলার সময় বড় আকৃতির মাছটি জালে আটকা পড়ে।

    পরে মাছটি দৌলতদিয়া বাইপাস সড়কের পাশে দুলাল মন্ডলের আড়তে বিক্রির উদ্দেশ্যে নিয়ে আসে।পরে ফেরি ঘাটের স্থানীয় মাছ ব্যবসায়ী চান্দু মোল্লা মাছটি উন্মুক্ত নিলামে উঠলে ১২৫০ টাকা কেজি দরে মোট ৩৯ হাজার ৩’শ ৭৫ টাকায় মাছটি ক্রয় করেন।বিশাল আকৃতির মাছটি এক নজর দেখতে স্থানীয় জনতা ভীড় করেন।

    মাছ ব্যবসায়ী চান্দু মোল্লা জানান,বাগাইড় মাছটি ১২’শ ৫০ টাকা কেজি দরে কিনে নিয়ে ১৪’শ টাকা কেজি দরে ঢাকার এক ব্যাবসায়ীর কাছে মোট ৪৪ হাজার ১’শ টাকায় মাছটি বিক্রি করে দিয়েছি। অনেক দিন হল বড় মাছ পাইনা, আজকে এ মাছটি পেয়ে ভালই লাগছে।

    এ প্রসঙ্গে গোয়ালন্দ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. রেজাউল শরীফ জানান, এখন পদ্মায় নদীতে ইলিশ মাছের আকাল থাকলেও বড় বড় বাগাইড়, বোয়াল, কাতল, রুই, পাঙ্গাস সহ নানান মাছ পাওয়া যাচ্ছে। তবে মিঠা পানির সুস্বাদু এত বড় মাছ নদীতে এখন খুব একটা দেখা যায় না। এ ধরনের মাছ সাধারণত ফ্যাসন, দশন, কৌনা, কচাল ও চাকা ওয়ালা ঘাইলা ব্যার জালে ধরা পড়েছে।

  • উল্লাপাড়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় অলিম্পিক কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধি’র মৃত্যু।

    উল্লাপাড়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় অলিম্পিক কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধি’র মৃত্যু।

    সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় অলিম্পিক কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধি সাগড় হোসেন(২৬)’র মৃত্যু হয়েছে। নিহত সাগড় জয়পুরহাট সদর উপজেলার নাকোরিয়া গ্রামের হারুনর রশিদের ছেলে ও অলিম্পিক কোম্পানির উল্লাপাড়া উপজেলার বিক্রয় প্রতিনিধি(এস আর)হিসেবে দায়িত্বরত কর্মকর্তা। কিন্তু ভাগ্যের কি? নির্মম পরিহাস শুক্রবার রাতে বগুড়া-নগরবাড়ী মহাসড়কের যুগলিদহ ব্রীজ সংলগ্ন এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় তার মৃত্যু হয়।

    জানা যায় শুক্রবার(২৮ মে)রাত ৮ টার সময় নিহত সাগর হোসেন অটোভ্যান যোগে উল্লাপাড়া রেলস্টেশনে তাগাদা শেষ করে শাহজাদপুর তাগাদার উদ্দেশ্যে যাচ্চিছিল।ঘটনাস্থলে অটোভ্যান উল্টে সে পাঁকা সড়কের উপর পড়ে যায়।এসময় দ্রুতগামী একটি ট্রাক তাকে চাপা দিয়ে পালিয়ে যায়।এতে ঘটনাস্থলেই সাগরের মৃত্যু হয়।

    উল্লাপাড়া হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার অফিসার্স ইনচার্জ শাহজাহান আলী এ ঘটনার নিশ্চিত করে জানান,শুক্রবার রাতে সড়ক দুর্ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতের লাশ উদ্ধার করে। পরে গভীর রাতে পরিবারের নিকট নিহতের লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে। ঘাতক ট্রাকটি আটক করা সম্ভব হয়নি।

  • কম্বাইন হারভেষ্টারের সহযোগী মেশিন উদ্ভাবন করলেন কৃষক আনোয়ার হোসেন।

    কম্বাইন হারভেষ্টারের সহযোগী মেশিন উদ্ভাবন করলেন কৃষক আনোয়ার হোসেন।

    দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলা সদর থেকে ৫ কিলোমিটার অদূরে বাসুদেবপুর গ্রামের পল্লী চিকিৎসক আনোয়ার হোসেন তার নিজের প্রচেষ্টায় দেশীয় প্রযুক্তি ব্যবহার করে কৃষিকের সুবিধার জন্য একের পর এক সময় সাশ্রয়ী বিভিন্ন কৃষি কৃষিযন্ত্র উদ্ভাবন করেছেন । এর ফলশ্রুতিতে পেয়েছেন জাতীয় পুরস্কার।

    আনোয়ার হোসেন এবার তৈরি করেছেন ধান কাটার হারভেষ্টার মেশিনের সহযোগী মেশিন। এই মেশিন দিয়ে কৃষকরা হারভেষ্টার মেশিন থেকে স্বল্প খরচে ধান পরিবহণ ও বস্তাজাত করতে পারছেন।

    জানা গেছে, ধান কাটা মাড়াই মৌসুমে শ্রমিক সংকটের কারণে কৃষকরা নানা সমস্যার সম্মুখিন হয়। তাই কৃষকদের কাটা মাড়াই সুবিদার্থে কৃষি দপ্তরের অধিনে ভুর্তকি মূলে ধান কাটা মাড়াইয়ের জন্য অত্যাধনিক হারভেষ্টার মেশিন সরবরাহ করেন। ওই হারভেষ্টার দিয়ে কৃষকরা দ্রুত সময়ে জমির ধান কাটা ও মাড়াই কাজ সম্পন্ন করতে পারেন। কিন্তু হারভেষ্টার মেশিন দিয়ে ধান কাটা মাড়াইয়ের সময় একটি মেশিনে ধান সংগ্রহের ধারণ ক্ষমতা থাকে ২৫ মন। কাটা মাড়াইর পর জমি থেকে কৃষকের সুবিধা জনক স্থানে ওই ধান আনলোড কিংবা বস্তাজাত করতে গেলে সময়ের প্রয়োজন এবং হারভেষ্টারের জ্বালনী খরচ ও রক্ষণা বেক্ষণ খরচ অনেক বেশী।

    আবার জমি থেকে কৃষক ওই ধান বস্তা জাত করতে লেবার ব্যবহার করলে তার খরচও অনেক বেশী। এই চিন্তা ধারা থেকে কৃষক আনোয়ার উদ্ভাবন করেছেন হারভেষ্টা সহযোগী একটি পরিবহণ যন্ত্র। যা দিয়ে এক একর জমির ধান হারভেষ্টার থেকে কৃষকের সুবিধাজনক স্থানে পরিবহণ করতে সময় লাগে কম এবং খরচ হয় মাত্র ৬ থেকে ৭ শত টাকা। অথচ একই পরিমাণ জমি ধান শ্রমিক দিয়ে পরিবহণ করতে খরচ হয় ৩ হাজার টাকা।

    উপজেলার বাসুদেবপুর গ্রামের কৃষক ইমরান হোসেন জানান, তিনি চলতি বছর সাড়ে ৭ একর জমিতে ইরি-বোরো ধান চাষ করেছে। ধান কাটা মাড়ার আধুনিক যন্ত্র হারভেষ্টার দিয়ে ভাড়ায় ধান কাটা মাড়াই সম্ভব হলেও জমি থেকে ধান পরিবহণের সমস্যা। তাই তিনি আনোয়ারের উদ্ভাবিত হারভেষ্টার সহযোগী যান দিয়ে ধান পরিবহণ করছেন। তাতে তার সময় কম লাগছে এবং খরচ কম হচ্ছে।

    উপজেলার হরগোবিন্দপুর গ্রামের কৃষক সাখাওয়াত দেখতে এসেছেন ধান কাটা মাড়াই ও পরিবহণ ব্যবস্থার। তিনি জানান এভাবে ধান কাটা মাড়াই ও পরিবণ করলে আমাদের খরচ সাশ্রয়ী হবে।

    বাসুদেবপুর গ্রামের ২টি হারভেষ্টারের মালিক মো. গোলাম মোস্তফা লিখন জানান, তিনি সরকারের ভুর্তকিতে দু’টি হারভেষ্টার নিয়েছেন। কিন্তু হারভেষ্টা দিয়ে ধান কাটা মাড়াই দ্রুত হয়। তবে পরিবহনের ক্ষেত্রে হারভেষ্টারের রক্ষণা বেক্ষণ ও জ্বালানী খরচ অনেক বেশী। সব মিলে কৃষকের কাছে হারভেষ্টরের ভাড়া বেশী চাইলে কৃষকেরও সমস্যা। তাই আনোয়ারে তৈরি হারভেষ্টর সহযোগী যান ব্যবহার করলে কৃষক উপকৃত হবে। আরো ভালো হয় সরকার হারভেষ্টরের সাথে এই সহযোগী যানও যদি ভুর্তকিতে কৃষকদের সরবরাহ করতে পারেন।

    উদ্ভাবক আনোয়ার হোসেন জানান, সরকার কৃষ‌কের লা‌ভের কথা চিন্তা ক‌রে বি‌দেশ থে‌কে উচ্চ মূ‌ল্য দি‌য়ে ধান কাটার কম্বাইন্ড হার্ভেস্টার মে‌শিন কিন‌ছে। কিন্তু এ হা‌র্ভেস্টার মে‌শি‌নের ধান সংগ্র‌হের ভান্ডার‌টি তুলনা মূলক ছোট হওয়ায় ১০/১৫ মি‌নিট পর পর ধান আনলোড কর‌তে হয়। এ‌তে য‌থেষ্ট সময় নষ্ট হয়। একইসাথে ধান আনলোড কর‌তে রাস্তায় কিংবা শুক‌নো উঁচু‌ জ‌মিতে যাতায়াত কর‌তে হা‌র্ভেস্টার মে‌শি‌নের তেল খরচ ও রক্ষণা-বেক্ষণ খরচ অ‌নেক বে‌শি হয়। এ সমস্যা সমাধা‌নের জন্য ধা‌নের জ‌মি থে‌কেই ধান সংগ্র‌হের বিকল্প হি‌সে‌বে এই সহ‌যোগী মে‌শিন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখ‌ছে।

    তিনি আরো বলেন, হা‌র্ভেস্টার সহ‌যোগী মে‌শি‌নটি ধান পরিবহন ছাড়া, জ‌মি চাষ করা, হা‌র্ভেস্টার মে‌শিন‌কে প‌রিবহন করা, ধা‌নের বস্তা প‌রিবহন ইত্যা‌দি কা‌জেও ব্যবহার করা যায়।

    আনোয়ার হোসেন সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করে বলেন, সরকারিভাবে আমাকে সহযোগিতা করলে আমি এই সহযোগি যন্ত্রটি কৃষকের ঘরে ঘরে পেঁৗছে দিতে পারব। এতে কৃষক কম খরচেই স্বল্প সময়ে জমি থেকে ধান ঘরে তুলতে পারবে। অন্য সময় ওই যন্ত্রের মাধ্যমে জমি চাষ করতে পারবে এবং হারভেষ্টার পরিবণ করতেও পারবে। যন্ত্রটির মূল্য সম্র্পকে তিনি বলেন প্যাকেজ হি‌সে‌বে এর মূল্য সা‌ড়ে ছয় থে‌কে সাত লক্ষ টাকা মাত্র।

    প্রসঙ্গত আ‌নোয়ার হো‌সেন ২০১৪ সালে দেশীয় প্রযুক্তি ব্যবহার করে কম্বাইড হারভেষ্টার মেশিন তৈরি করে জাতীয় পুরস্কার লাভ করেন। তার তৈরী কম্বাইন্ড হা‌র্ভেস্টার মেশিনের মূল্য মাত্র আট লাখ টাকা। অথচ বিদেশ থে‌কে এই মে‌শিন আমদা‌নি কর‌তে খরচ হয় অনেক বেশী।

  • তাড়াশে সাবেক এমপি আমজাদ হোসেন মিলনের কুলখানী ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠান।

    তাড়াশে সাবেক এমপি আমজাদ হোসেন মিলনের কুলখানী ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠান।

    সিরাজগঞ্জের তাড়াশে সাবেক এমপি আলহাজ্ব গাজী ম,ম আমজাদ হোসেন মিলনের কুলখানী ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    ২৮ মে শুক্রবার দুপুরে জুম্মা বাদ উপজেলার মাগুড়া বিনোদ ইউনিয়নের তার জন্মস্থান মাগুড়া বিনোদ নিজ গ্রামে সাবেক এমপি আলহাজ্ব গাজী ম,ম আমজাদ হোসেন মিলনের কুলখানী ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

    মারা যাওয়ার প্রায় ২মাস আগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজবুরের আদর্শ গড়া সংগঠনের নেতা কর্মীদের প্রত্যক্ষ ভোটে  ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২১ সালে উপজেলা আওয়ামীলীগের কাউন্সিলে সভাপতি পদে নির্বাচিত হয়েছিলেন। ১৮ এপ্রিল ২০২১ সালে  সকাল ১১.৩০টায়  খাজা ইউনুস আলী হাসপাতাল (এনায়েতপুর) লাইফ সাপোর্টে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন।

    মারা যাওয়ার ৪০দিন পুরন হওয়ায় তার বড় ছেলে জার্জিয়ান মিলন জাকির হোসেন জুয়েল ও ছোট ছেলে জর্জিয়াস মিলন রুবেলের আয়োজনে ও দলীয় নেতা কর্মীদের সহযোগীতায় এ কুলখানী ও  দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেন।

    এ সময় উপস্থিত ছিলেন সিরাজগঞ্জ জেলা শাখা আওয়ামীলীগের সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) বীর মুক্তিযোদ্ধা গাজী কে এম হোসেন আলী হাসান, সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযাদ্ধা আবু ইউসুফ সুর্য,বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব ইসাহাক আলী, বিমল কুমার দাস, ৬৪ সিরাজগঞ্জ ৩ জাতীয় সংসদ সদস অধ্যাপক ডাঃ আব্দুল আজিজ,  সিরাজগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের প্রচার প্রকাশনা সম্পাদক শামসুজ্জামান আলম, তাড়াশ উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জিত কর্মকার, সাবেক সভাপতি আব্দুল হক, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মনিরুজ্জামান মনি, রায়গঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যার এ্যাডভোকেট ইমরুল হাসান ইমন, তাড়াশ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন খান,প্রভাষক মর্জিনা ইসলাম,সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শাহিনুর রহমান লাবু, ,জেলা পরিষদের সদস্য হোসনেআরা নাসরিন লাভলী, তমাল ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান আব্বাস-উজ-জামান,যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ আলী প্রমূখ।

    এ কুলখানী ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে সাবির্ক সহযোগীতা করেন মরহুমের পরিবারের সদস্য, মাগুড়া বিনোদ ও মুকন্দ গ্রাম বাসীর সকল জনসাধারণ।

    সাবেক এমপি মরহুম আলহাজ্ব গাজী ম,ম আমজাদ হোসেন মিলনের কুলখানী ও দোয়া মাহফিল পরিচালনা করেছেন তাড়াশ সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত সুপার ও কেন্দ্রীয় মার্কাস জামে মসজিদের প্রেস ইমাম মাওলানা  আনিছুর রহমান।

  • লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ কামনাশীষ দুর্নীতি ও অপকর্মে শ্রেষ্ঠ।

    লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ কামনাশীষ দুর্নীতি ও অপকর্মে শ্রেষ্ঠ।

    ডাক্তার কামনাশীষ মজুমদার লক্ষ্মীপুর জেলার রামগতি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা বা কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। এর পূর্বেও তিনি একই প্রতিষ্ঠানে ‘মেডিকেল অফিসার’ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।

    জানা গেছে, ডাক্তার কামনাশীষ মজুমদার একই উপজেলার ৮নং বড়খেরী ইউনিয়নের স্থায়ী বাসিন্দা। সরকারী বিধি মোতাবেক স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের জি ও অনুসারে সরকারি কোন কর্মকর্তা তার নিজ এলাকায় পোস্টিং সম্পূর্ণরূপে বেআইনি ও চাকরিবিধি পরিপন্থী। কিন্তু তিনি তৎকালীন স্বাস্থ্য বিভাগের সচিব আবদুল মান্নানকে প্রভাবিত করে তার এলাকায় অবৈধভাবে নিজ উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা হিসেবে পোস্টিং নেন।

    অনুসন্ধানে জানা গেছে, একই প্রতিষ্ঠান মেডিকেল অফিসার হিসেবে থাকা কালে পুরনো টিনশেড হাসপাতাল থাকাকালে টিন, আসবাবপত্র, ও মোটা মোটা রেইনট্রিসহ মূল্যবান গাছ বিনা টেন্ডারে বিক্রি করে দেন। এই নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়।

    ডাক্তার কামনাশীষ মজুমদার একই প্রতিষ্ঠানে কর্মরত মেডিকেল অফিসার,সেকমোদের সাথে অসদাচারণ করেন বলে জানা গেছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে অনেকে জানিয়েছেন-‘চিকিৎসকদের বিভিন্ন স্থানে প্র্যাকটিস করার অবৈধ সুবিধা দিয়ে বেতন উত্তোলনের সময় কামনাশীষ চিকিৎসকদের কাছ থেকে অর্থনৈতিক সুবিধা গ্রহণ করেন।’ চিকিৎসকদের অন্যত্র বদলি হলে স্বাক্ষর করার সময় অর্থ দাবি করেন এবং অর্থ না পেলে রিলিজ পেপারে স্বাক্ষর না করে গড়িমসি করেন। শুধু তাই নয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসা ইনডোর রোগীদের কাছ থেকে অর্থের বিনিময়ে ভর্তি ও চিকিৎসা করান বলেও জানা গেছে। তিনি স্থানীয় হওয়ার সুবাদে চিকিৎসক ও কর্মচারীদের সাথে অসদাচরণ করেন। ভুক্তভোগী অনেকেই তার ভয়ে মুখ খুলতে নারাজ।

    সেবাপ্রাপ্তির জন্য এলে গরীব অসহায় রোগীদের নোয়াখালীর বিভিন্ন প্রাইভেট হাসপাতালে রেপার করেন ও প্রাইভেট ল্যাব থেকে সুবিধা নিয়েও নানা পরীক্ষা নিরীক্ষা দিয়ে রোগীদের সর্বশান্ত করেন বলে জানা গেছে। ডাক্তার কামনাশীষ মজুমদার সার্টিফিকেট দিয়েও মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নেন। নামে-বেনামে বিভিন্ন ভাইচার বানিয়ে সরকারি অর্থ লুটপাট করেন বলেও জানা গেছে। কামনা শীষ মজুমদার রামগতিতে প্রশাসনিক বলয় সৃষ্টি করে যা ইচ্ছে তা করে যাচ্ছেন।

    উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার কামনাশীষ মজুমদার শর্ট মেয়াদের ঔষধ টেন্ডারে ক্রয় করে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের এক কর্মকর্তার যোগসাজশে তা রেজিস্টারে অন্তর্ভুক্ত করে তা পরবর্তীতে দ্রুত সময়ের মধ্যে ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র সমূহের মাধ্যমে নিরীহ অসহায় রোগীদের মাঝে বিতরণ করেন। এতে করে টেন্ডারের মোটা অংকের টাকাও লুটে নেন এই কর্মকর্তা।

    কোভিড-১৯ এ রোগীদের চিকিৎসা ব্যয় ৩ লাখ টাকা, পরিবহন ব্যয় ১ লাখ টাকা, প্রশিক্ষণ ব্যয় দেড় লাখ টাকা বরাদ্দ পাওয়ার পরেও রামগতি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কোভিড নাইন্টিনের কোন চিকিৎসা না করিয়ে জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। অন্যদিকে নামেমাত্র প্রশিক্ষণ দেখিয়ে বাকি টাকা আত্মসাৎ করেন ভূয়া ভাউচারের মাধ্যমে।

    রামগতি স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার কামনাশীষ মজুমদারকে উপরোক্ত বিষয়ে বারবার মুঠোফোনে কল করেও না পাওয়ায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

    এ বিষয়ে স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ)জেলা সভাপতি ডাক্তার মোঃ জাকির হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক ডাক্তার রত্নদ্বীপ পাল বলেন-‘ডাঃ কামনাশীষ মজুমদারের দুর্নীতি অনিয়ম ও চিকিৎসায় অবহেলার কারণে স্বাচিপ জেলা শাখা প্রশ্নবিদ্ধ হতে হয়। এর আগেও তার অনিয়ম ও দুর্নীতির খবর একাধিক পেপার পত্রিকায় এসেছে। সে ওখানে পোস্টিং নেয়ার পর থেকে গাছ কাটা, হাসপাতালের টিন আসবাবপত্র বিক্রি করে অর্থ হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে। আমরা বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করিয়েছি।

    এ বিষয়ে জেলা সিভিল সার্জন ডাক্তার আব্দুল গফফার বলেন-‘অনিয়মের বিষয়ে খতিয়ে দেখা হবে। প্রমাণিত হলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

     

  • দৌলদিয়ায় এক ব্যবসায়ী জাল টাকাসহ গোয়ালন্দ ঘাট পুলিশের হাতে আটক।

    দৌলদিয়ায় এক ব্যবসায়ী জাল টাকাসহ গোয়ালন্দ ঘাট পুলিশের হাতে আটক।

    রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া থেকে বৃহস্পতিবার (২৭ মে) রাত সাড়ে ১০টার দিকে জাল টাকার নোট সহ এক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে গোয়ালন্দ ঘাট থানা পুলিশ।

    আটককৃত জাল টাকার নোট ব্যবসায়ী হলো, ময়মনসিংহের গফুরগাও উপজেলার রাওনা ইউনিয়নের ধোপাঘাট গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে হারুন-অর-রশিদ (১৯)।

    এসআই সুকুমার বিশ্বাস ও অফিসার ফোর্স সহ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া যৌনপল্লীর প্রধান গেইটের সামনে ইটের রাস্তার উপর থেকে হারুন-অর-রশিদকে ৬ হাজার টাকার জাল নোট সহ আটক করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্য মতে যৌনপল্লীর পাশে রেল স্টেশন সংলগ্ন নর্থ বেঙ্গল আজাদ বোডিংয়ে তার ভাড়া করা ৮ নং কক্ষের তোষুকের নিচে আরও ৪১ হাজার ৫থশ টাকার জাল নোট পাওয়া যায়। এ নিয়ে তার কাছ থেকে মোট ৪৭ হাজার ৫থশ টাকার জাল নোট উদ্ধার করা হয়।

    শুক্রবার (২৮ মে) দুপুরে নিশ্চিত করেন গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল তায়াবীর।

    এ সময় তিনি আরো জানান, আটককৃত আসামীর বিরুদ্ধে এসআই সুকুমার বিশ্বাস বাদী হয়ে বিশেষ ক্ষমতা আইন ১৯৭৪ এর ২৫-অ ধারায় মামলা দিয়ে শুক্রবার দুপুরে রাজবাড়ীর আদালতে পাঠানো হয়েছে।

  • উল্লাপাড়ায় অনশনের ৫ দিনের মাথায় কলেজ ছাত্রী ময়না’র বিয়ে পূর্ণতা পেল ভালবাসার।

    উল্লাপাড়ায় অনশনের ৫ দিনের মাথায় কলেজ ছাত্রী ময়না’র বিয়ে পূর্ণতা পেল ভালবাসার।

    সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে ৫ দিন অনশনের পর বিয়ে হলো প্রেমিক প্রেমিকার। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার বাঙ্গালা ইউনিয়নের দক্ষিণ গাইলজানি গ্রামে।

    এই গ্রামের আব্দুল খালেকের ছেলে কলেজ ছাত্র মোঃ রানাথর (২০) সাথে দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছিল একই গ্রামের আব্দুল কাদেরের কলেজ পড়ুয়া মেয়ে ময়না খাতুনের সঙ্গে। তারা দুজনই স্থানীয় ঘোনা কুচিয়ামারা ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থী।

    স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রানার সঙ্গে ওই কলেজ ছাত্রী ময়না’র বেশ কিছুদিন ধরে প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছিল। প্রেমের সূত্র ধরে গত রোববার রাতে রানা তার প্রেমিকার সাথে দেখা করতে তাদের বাড়িতে আসে।

    বিষয়টি মেয়ের বাড়ির লোকজন টের পেয়ে রানাকে আটকের চেষ্টা করে। পরে রানা কৌশলে মেয়ের বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। এই বিষয়টি এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। ওইদিন রাতেই বিয়ের দাবিতে প্রেমিক রানার বাড়িতে অনশনে বসে কলেজ পড়ুয়া ছাত্রী ময়না।

    এই ঘটনার পরপরই প্রেমিকা তার প্রেমিক রানার বাড়িতে হাজির হলে রানাসহ বাড়ির লোকজন পালিয়ে যায়। ৫ দিন আগে সে প্রেমিকের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে অনশনে বসে।

    এই সময় গ্রামের লোকজন কৌতুলী হয়ে তাকে এক নজর দেখার জন্য ভিড় করে প্রেমিকের বাড়িতে। অনেকেই নিজের বাড়ি থেকে খাবার নিয়ে এসে ময়নাকে খেতে দেয়। রানার সাথে বিয়ে না হলে ময়না আত্মহত্যা করারও হুমকি দেয়।

    এ বিষয়ে বাঙ্গালা ইউপি চেয়ারম্যান সোহেল রানা জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ওই ছেলের বাড়িতে গিয়ে মেয়ে ও ছেলের পরিবারের সাথে কথা বলে তাদের দুজনের বিয়ের ব্যবস্থা করেন।

    ১০ লাখ টাকা কাবিনের মাধ্যমে বৃহস্পতিবার রাতে তাদের বিয়ে দেওয়া হয়। আর এতেই অনশনে বসা প্রেমিকার ভালোবাসার পূর্ণতা পায়।