Author: admin

  • কুয়াকাটায় টোয়াকের উদ্যোগে আলোচনা সভায় পর্যটন চালু রাখার দাবী।

    কুয়াকাটায় টোয়াকের উদ্যোগে আলোচনা সভায় পর্যটন চালু রাখার দাবী।

    কুয়াকাটায় করোনাকালীন সময় পর্যটন বন্ধ থাকায় পর্যটন নির্ভর ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন সমস্যা ও উত্তোরণ  শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার সকাল ১০টায় ট্যুর অপারেটর এসোসিয়েশন অব কুয়াাকাটা (টোয়াক)  এর উদ্যোগে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

    টোয়াক সদস্য বাংলা ভিশন প্রতিনিধি জহিরুল ইসলাম মিরনের সঞ্চালনায় রুমান ইমতিয়াজ তুষার’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুয়াকাটা পৌর মেয়র আনোয়ার হোসেন হাওলাদার। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ জোন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সোহরাব হোসাইন, কুয়াকাটা হোটেল মোটেল ওনার্স এসোসিয়েশন’র সাধারণ সম্পাদক মোতালেব শরীফ, কুয়াকাটা প্রেসক্লাব সভাপতি নাসির উদ্দিন বিপ্লব, কাউন্সিলর শহিদ দেওয়ান, আবুল হোসেন, টোয়াকের সাধারন সম্পাদক আনোয়ার হোসেন আনুসহ  কুয়াকাটা পর্যটন নির্ভর বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিরা এতে উপস্থিত ছিলেন ।

    এসময় বক্তারা বলেন, চরম সমস্যায় দিন কাটাচ্ছেন পর্যটনের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। করোনার লকডাউনের কারনে দুই মাস ধরে বন্ধ রয়েছে পর্যটন সংশ্লিষ্ট সকল ব্যাাবসা প্রতিষ্ঠান। এ সময় সকল শিল্প কল-কারখানা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ন্যায় স্বাস্থ্য বিধি মেনে পর্যটন চালু রাখার দাবী জানান তারা।

    কুয়াকাটা প্রেসক্লাব সভাপতি নাসির উদ্দিন বিপ্লব  বলেন, করোনার মধ্যে সবকিছু স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলতে পারলে পর্যটন কেনো চলতে পারবেনা। স্বাস্থ্য বিধি মেনে পর্যটকদের সেবা দিতে প্রস্তুত রয়েছে হোটেল-মোটেল রিসোর্টগুলোর কর্মীরা।

    কুয়াকাটা পৌর মেয়র আনোয়ার হোসেন গনমাধ্যমকে বলেন, আমার পৌরসভা পর্যটন এলাকার মধ্যে, তাই পর্যটন বন্ধ থাকায় আমার স্টাফদের বেতন ভাতা দিতে পারছিনা। তার কারণ আমি কোনো প্রতিষ্ঠানের ট্যাক্স পাইনা। তাই দ্রুত পর্যটন কেন্দ্র স্বাস্থ্য বিধি মেনে খুলে দেয়ার দাবী জানান তিনি।

  • শাহজাদপুরে মারুটিয়া-চকহরিপুর আঞ্চলিক সড়কটি  চলাচলে অনপোযোগী।

    শাহজাদপুরে মারুটিয়া-চকহরিপুর আঞ্চলিক সড়কটি  চলাচলে অনপোযোগী।

    সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে কায়েমপুর ইউনিয়নের মরুটিয়া-চকহরিপুর আঞ্চলিক কাঁচা সড়কটি দীর্ঘদিন ধরে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে আছে।

    কায়েমপুর ইউনিয়ন পরিষদ,উত্তরবঙ্গের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ তালগাছি গরুর হাট ও বাজারসহ বিভিন্ন স্থানে হাজারোও মানুষ প্রতিদিন জনগুরুত্বপূর্ণ এই আঞ্চলিক কাঁচা সড়ক দিয়ে অতিকষ্টে চলাচল করে। তা ছাড়াও এই অঞ্চলের প্রায় ৩ শতাধিক হেক্টর আবাদি জমির ফসল আনা-নেওয়া জন্য এই একটি মাত্র রাস্তা। বর্তমানে এই কাঁচা সড়ক দিয়ে পায়ে হেঁটে চলাচল করা দুরূহ। একজন অসুস্থ রোগীকে কাঁধে করে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়।

    বিভিন্ন সময় ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের উদ্যোগে মাটির কাজ করানো হলেও তা কোনই কাজেই আসছে না। কাঁচা মাটি পানির স্পর্শ পেয়ে রাস্তায় হাটু অবদি কাঁদার সৃষ্টি হয়েছে। ফলে জনজীবনে কষ্টের দূর্ভোগ নেমে এসেছে। অনুপায় হয়ে এ অঞ্চলের মানুষ আদিম যুগের পদ্ধতি মহিষের গাড়ি এবং ঘোড়ার গাড়ি দিয়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী আনা/নেওয়া করছে।

    স্থানীয় কৃষক শামসুল হক আক্ষেপ করে বলেন,দুঃখজনক হলেও সত্য দীর্ঘদিন হলো এই সড়কটির করুন দশার খবর নেয় না।অথচ ভোটের সময় আসলে সকল দলের নেতাকর্মিরা সড়কটি পাঁকাকরন করে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েও ভোট শেষে আর কেউ দেখতেও আসে না।

    ভাবতেও লজ্জা হয়আধুনিক যুগে বাজার থেকে মালামাল আনতে হয়ে আদিম যুগের মানুষের মতো ঘোড়া/মহিষের গাড়ি দিয়ে। সবচেয়ে বড় কষ্ট হচ্ছে রক্ত ঘামানো উৎপাদিত ফসল তুলে ঘরে আনতে ফসলের বড় একটি অংশ চলে যাচ্ছে পরিবহনে। শুষ্ক ও বর্ষা উভয় মৌসুমে এই রাস্তার অবস্থা পরিবর্তন হয় না বর্তমান বেহাল দশার মতোই বিরাজমান।

    কায়েমপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাসেবুল হক হাসান জানান, গ্রামের মানুষের চলাচলের একমাত্র এই রাস্তাটিতে বিভিন্ন সময় মাটির কাজ করা হলেও বর্ষা মৌসুমে কর্দমাক্ত হয়ে যায়। জনপ্রতিনিধি হিসেবে এমপি মহোদয়ের মাধ্যমে আবেদন করেছি রাস্তাটি পাঁকা করনের জন্য। অন্ততো পক্ষে রাস্তাটি সাবমার্সেবল হলে এলাকার মানুষের দুঃখ ও কষ্ট লাঘব হবে সেই সাথে জনদুর্ভোগ কমবে।

    উপজেলা প্রকৌশলী আহমেদ রফিক বলেন, এই রাস্তাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ইতোমধ্যেই মরুটিয়া থেকে চিনাধুকুরি পর্যন্ত রাস্তা টেন্ডার হয়েছে। খুব দ্রুত চিনাধুকুরিয়া থেকে চকহরিপুর পর্যন্ত সাবমার্সেবল রাস্তার কাজ করা হবে। দ্রুত স্থানীয়দের দাবি পূরন হব।

  • উল্লাপাড়ায় অটোভ্যান ও মোটরসাইকেল সংঘর্ষে নিহত-১।

    উল্লাপাড়ায় অটোভ্যান ও মোটরসাইকেল সংঘর্ষে নিহত-১।

    সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় অটোভ্যান ও মোটসাইকেল সংঘর্ষে শাহজাদপুর রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিস সহকারী রফিকুল ইসলাম(২৮) মারা গেছে।

    নিহত রফিকুল ইসলাম সলপ ইউনিয়নের নলসোন্দা গ্রামের আলহাজ মোঃ রওশন আলীর ছেলে।সে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে অফিস সহকারী পদে চাকুরী করত।

    শুক্রবার সকাল সোয়া দশটার সময় বগুড়া-নগরবাড়ী মহাসড়কে উপজেলার জংলিপুর জোড় ব্রীজ সংলগ্ন এলাকায় অটোভ্যানের সাথে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে আরহী রফিকুল দূরে ছিটকে পড়ে যায় এবং গুরুতর আহত হয়।

    উল্লাপাড়া ফায়ারসার্ভিসের স্টেশন অফিসার নাদির হাসান জানান সড়ক দুর্ঘটনার সংবাদ পেয়ে ফায়ারসার্ভিসের উদ্ধারকর্মিরা দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে গুরুতর আহত অবস্থা নিহতকে উদ্ধার করে উল্লাপাড়া ৩০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসে। এ সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন।

     

  • উল্লাপাড়ায় পৃথক স্থানে বজ্রপাতের ঘটনায় ২ ভ্যান শ্রমিকের মৃত্যু।

    উল্লাপাড়ায় পৃথক স্থানে বজ্রপাতের ঘটনায় ২ ভ্যান শ্রমিকের মৃত্যু।

    সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় পৃথক স্থানে বজ্রপাতের ঘটনায় সেলিম রেজা(৩০) ও আব্দুল আলিম(৩৬) নামের ২ ভ্যান শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছেন।

    নিহত ভ্যান শ্রমিক সেলিম রেজা উপজেলার বাঙ্গালা ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের মোড়দহ গ্রামের মৃত আব্দুর রহিমের ছেলে।

    এ ঘটনা নিশ্চিত করে বাঙ্গাল ইউনিয়নের ইউপি সদস্য সিরাজুল ইসলাম (লিটন)জানান বৃহস্পতিবার বিকেল ৬ টার দিকে আলীগ্রামের ফসলি মাঠ থেকে কাটা ধান অটোভ্যান যোগে বাড়িতে নিয়ে আসার পথে বৃষ্টি শুরু হয়। ভ্যান নিয়ে আলীগ্রাম ছেড়ে কিছু দূর আসার পর বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে।এতে ঘটনাস্থলেই সেলিমের মৃত্যু হয়।

    অপর দিকে নিহত আব্দুল আলিম বড়পাঙ্গাসী ইউনিয়নের হওড়া মধ্যেপাড়া গ্রামের মৃত লালচাঁদ প্রামাণিকের ছেলে।

    এ ঘটনা নিশ্চিত করে বড়পাঙ্গাসী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হুমায়ন কবির লিটন ভোরের কণ্ঠ প্রতিবেদককে জানান বৃহস্পতিবার সন্ধার পূর্বে হওড়া বাজার থেকে দুধের দুই ব্যাপারিকে তার অটোভ্যানে তুলে নিয়ে লাহিড়ী মোহনপুরের উদ্দেশ্য রওনা হয়। শ্রীপাঙ্গাসী ব্রীজ সংলগ্ন এলাকায় আসার পর বৃষ্টি শুরু হয়। এ সময় বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় চালক ও ভ্যানযাত্রী উভয় অজ্ঞান হয়ে সড়কে উপর পরে যায়। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে উল্লাপাড়া ৫০ শয্যা বিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান ভ্যান চালক আব্দুল আলিম পথে মধ্যেই মারা গেছেন। অপর দুজন সুস্থ্য রয়েছে।

  • বগুড়া সদরে আম পাড়তে গিয়ে বিদ্যুৎ এর তারে জড়িয়ে এক রংমিত্রীর মৃত্যু।

    বগুড়া সদরে আম পাড়তে গিয়ে বিদ্যুৎ এর তারে জড়িয়ে এক রংমিত্রীর মৃত্যু।

    বগুড়ার সদর উপজেলার গোকুল ইউনিয়নের ছোট ধাওয়াকোলা গ্রামে আম পাড়তে গিয়ে বিদ্যুতের হাই ভোল্টেজের তারে জড়িয়ে আরিফ হাসান (২২) নামের এক রংমিস্ত্রির মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।

    নিহত আরিফ ওই গ্রামের মৃত বেলাল সাকিদারের পুত্র।

    এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টায় আরিফ বাড়ির পাশে একটি আম গাছে উঠে আমপাড়া কাঁচা বাঁশের তৈরী (টোপা) দিয়ে আম পাড়তে গেলে গাছের ওপর দিয়ে উচ্চধারণ সম্পন্ন বৈদেশিক হাই ভোল্টেজের তারে অসাবধানতা বসত লেগে যায়। মৃত্যু নিশ্চিত হলে কিছুক্ষণ পর গাছ থেকে মাটিতে পড়ে যায়।

    এ বিষয়ে গোকুল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সওকাদুল ইসলাম সরকার সবুজ মৃত্যুর বিষয় নিশ্চিত করে বলেন, শুনেছি আরিফ গাছে উঠে পাঁকা আম পড়তে ছিল। কিন্তু তাঁর হাতে কাঁচা বাঁশটি উঁচু এসটি তারে লেগে প্রথমে একটি ঘরের উপর পরে মাটিতে পড়ে যায়।

    এরপর স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে একটি চিকিৎসালয়ে নিলে চিকিৎসক তাঁরে মৃত ঘোষনা করেন। আরিফের অনাকাঙ্খিত মৃত্যুর ঘটনা দুঃখজনক। আরিফের মৃত্যুতে এলাকা জুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছ।

  • গ্রামীন অর্থনৈতিক সক্ষমতা বৃদ্ধিতে কাজ করছে বেসরকারি সংস্থা কারিতাস।

    গ্রামীন অর্থনৈতিক সক্ষমতা বৃদ্ধিতে কাজ করছে বেসরকারি সংস্থা কারিতাস।

    কারিগরী প্রশিক্ষনের মাধ্যমে স্কুল থেকে ঝড়ে পরা যুবকদের দক্ষ জনশক্তিতের রূপান্তরিত করে পারিবারিক স্বচ্ছলতা এবং গ্রামীন অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখার পাশাপাশি টেকসই জীবনধারণ নিশ্চিতকরণে ব্যাতিক্রমী কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

    বৃহস্পতিবর দুপুরে মহিপুর কারিতাস মিলনায়তনে সামাজের পিছিয়ে পরা যুবকদের দক্ষতা বৃদ্ধি করনণর মাধ্যমে অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং টেকসই জীবনধারণ নিশ্চিকরণ বিষয়ক প্রকল্পের অবহিতকরণ অনুষ্ঠানে এই প্রকল্প বিষয়ে ধারনা প্রদান করেন কর্তকর্তাগণ।

    এক বছর মেয়াদে ‘ভেসটিনেকটি-০২ প্রকল্পেরথ আওতায় বে-সরকারি এনজিও কারিতাস এর উদ্যোগে ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত এক বছর মেয়াদে ১২৫ জন বেকার যুবকদের প্রশিক্ষনের মাধ্যমে আত্মনির্ভরশীল হওয়ার প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হচ্ছে।

    এই প্রকল্পের আওতায় উপজেলার ডালবুগঞ্জ, মিঠাগঞ্জ, টিয়াখালী এবং নীলগঞ্জ ইউনিয়নে এই কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এই কার্যক্রমের আওতায় ১২৫ জন বেকার যুবককে মোবাইল সার্ভিসিং প্রশিক্ষণ, টেইলারিং এন্ড ড্রেস মেকিং প্রশিক্ষণ, ইলেকট্রিক এন্ড হাউজ ওয়ারিং প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।

    প্রকল্প অবহিত করণ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কারিতাস এর বরিশাল আঞ্চলিক পরিচালক ফ্রান্সিস বেপারী। প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন কলাপাড়া উপজেলা চেয়ারম্যান এস,এম রাকিবুল আহসান।

    বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো. শফিকুল ইসলাম বাবুল, শাহিনা পারভিন সীমা, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মোসাঃ তাসলিমা আক্তার, কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল মামুন, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. ফেরদাউস রহমান, সাংবাদিক জসীম পারভেজ প্রমূখ।

    উপকূলীয় কলাপাড়ার অর্থনৈতিক উন্নয়ন টিকসই করার জন্য দক্ষ জনশক্তি গড়ার এই প্রকল্পটি আরো বিস্তৃতি করণ এবং মেয়াদ বৃদ্ধির দাবি করেন সমাজের বিভিন্ন স্তরের সুশীল সমাজ প্রতিনিধিরা।

  • নারীদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে বিনামূল্যে সেলাই মেশিন বিতরণ।

    নারীদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে বিনামূল্যে সেলাই মেশিন বিতরণ।

    সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় নারীদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও জীব যাত্রার মান উন্নয়নের লক্ষ্যে দুস্থ শিক্ষিত বেকার নারীদের মাঝে বিনামূল্যে সেলাই মেশিন বিতরণ করা হয়েছে।

    এলজিএসপি-৩ প্রকল্পের আওতায় বৃহস্পতিবার(৩ জুন) সকালে উপজেলার পূর্ণিমাগাঁতী ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে ৮৫ জন দরিদ্র নারীদের মধ্যে এ সেলাই মেশিন বিতরণ করা হয়।

    উল্লাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দেওয়ান মওদুদ আহমেদ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে সেলাই মেশিন বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।

    সেলাই মেশিন বিতরণ অনুষ্ঠানে পূর্ণিমাগাঁতী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আল আমিন সরকারের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, উল্লাপাড়া উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান ভুইয়া, পূর্ণিমাগাঁতী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল মোমিন ভুইয়া প্রমুখ।

    পূর্ণিমাগাঁতী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আল আমিন সরকার এ সময় বলেন, নারীদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নসহ দুস্থ শিক্ষিত বেকার নারী যারা কোন কর্মের সাথে জড়িত নয়, তাদের জীবন যাত্রার মান উন্নয়ন ও বেকারমুক্ত করার লক্ষ্যেই এলজিএসপি-৩ অর্থায়ণে বিনামূল্যে সেলাই মেশিন বিতরণ করা হয়েছে।

  • রাজবাড়ী প্রথম মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি সংরক্ষণ জাদুঘর ২০০১ সালে প্রতিষ্ঠিত ।

    রাজবাড়ী প্রথম মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি সংরক্ষণ জাদুঘর ২০০১ সালে প্রতিষ্ঠিত ।

    রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার ছোটভাকলা ইউনিয়নে কাশিমা( কাটাখালি) গ্রামে (২০০১)সালে জনপদের দেশের প্রথম মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি সংরক্ষণ জাদুঘরটি ব্যক্তি উদ্যোগে গড়ে ওঠে।

    জাদুঘরের প্রতিষ্ঠাতা মুক্তিযোদ্ধা, গোয়ালন্দ উপজেলার আওয়ামী লীগের সাবেক তিন বার এর সফল সাংগঠনিক সম্পাদক, মুক্তিযুদ্ধের উপর লেখক রাজবাড়ী জেলার কিশোর মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, রাজবাড়ী জেলার লোকসংস্কৃতি বইয়ের তথ্য সংগ্রাহক, রক্ত খসড়া পংক্তি ও বুলেট বিদ্ব বাংলাদেশ কবিতা কাব্যগ্রন্থ বইয়ের লেখক, বঙ্গবন্ধুর আদর্শের নিরর্ভীক ত্যাগীকর্মী, মুক্তিযোদ্ধার বান্ধব চেতনার মানুষ।

    জাদুঘরটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।জাদুঘরের স্কুল কলেজে ও গ্রামের কৃষক শ্রমিক সর্বস্তরের সাধারণ মানুষ পরিদর্শনে আসে, জাদুঘরটিতে ৫ শতাধিক মুক্তিযুদ্ধের আলোকচিত্র, প্রমাণ্য দলিল, মুক্তিযুদ্ধের সময় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ব্যবহারকৃত দুর্লভ্য তথ্য, রয়েছে মুক্তিযুদ্ধাদের সময়ের দেশে-বিদেশে পত্র পত্রিকার কাটিয়ে যা শিক্ষানীয় কার্যক্রম।

    জাদুঘরটি পরিদর্শনে গিয়ে স্হানীয় বেশ কয়েক মুক্তিযোদ্বার সাক্ষাৎ হয়,এ বিষয়ে কথা বলে জানাযায়,তারা বলেন, এই জাদুঘরের আমরা যে মুক্তিযোদ্ধা ছিলাম নতুন প্রজন্মের সকলেই চিনে, বিভিন্ন জায়গা থেকে স্কুল কলেজের ছাত্র ছাত্রী সহ পরিবার এখানে ঘুরতে আসো শিক্ষা সফর করে।

    এই জাদুঘরে মাননীয় এমপি মহোদয়, জেলা প্রশাসক, উপজেলার নির্বাহি কর্মকর্তা, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, রাজবাড়ীর সহ রাজনৈতিক নেতা-নেত্রীবৃন্দ।মুজিব বর্ষে জাদুঘরটি সংস্কার হওয়া জরুরী মনে করে স্হানীয় সাধারণ মানুষের প্রাণের দাবি।

  • ফুলবাড়ীতে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন অবহিতকরণ ও কর্মপরিকল্পনা সভা।

    ফুলবাড়ীতে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন অবহিতকরণ ও কর্মপরিকল্পনা সভা।

    দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উদ্যোগে জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন অবহিতকরণ ও কর্মপরিকল্পনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সভাকক্ষে আয়োজিত অবহিতকরণ ও কর্মপরিকল্পনা সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. মশিউর রহমান।

    সভায় মেডিকেল অফিসার ডা. সাজেদুল ইসলামের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রিয়াজ উদ্দিন। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মঞ্জু রায় চৌধুরী, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোসাম্মৎ হাসিনা ভঁূইয়া।

    এছাড়াও বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মামুনুর রশিদ, থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) মো. আরিফুজ্জামান, ফুলবাড়ী প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ওয়াহিদুল ইসলাম ডিফেন্স, ইপিআই টেকনিশিয়্যান সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।

    উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. মশিউর রহমান বলেন, ৬ থেকে ১১ মাস ২৯ দিন বয়সি শিশুকে নীল ক্যাপসুল এবং ১ থেকে ৫ বছরের শিশুকে লাল ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। উপজেলার প্রায় ১৩ হাজার ৫শ শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। এরমধ্যে ৬ থেকে ১১ মাস ২৯ দিন বয়সি এক হাজার ৫শ শিশুকে এবং ১ থেকে ৫ বছরের ১২ হাজার শিশুকে। আগামী ৫ জুন থেকে শুরু করে ১৯ জুন পর্যন্ত এই ক্যাম্পেইন চলবে। এছাড়াও অন্য জেলা বা উপজেলার শিশুরা আসলেও তাদেরকেও এই ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।

  • মেঘনার বাঁধ নির্মাণ প্রকল্পের অনুমোদন; প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা ও আনন্দ মিছিল।

    মেঘনার বাঁধ নির্মাণ প্রকল্পের অনুমোদন; প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা ও আনন্দ মিছিল।

    লক্ষ্মীপুর রামগতি উপজেলার কমলনগরের মেঘনা নদীর তীর রক্ষা বাঁধ নির্মাণ প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানিয়ে আনন্দ মিছিল করেছে রামগতি উপজেলা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

    আজ বুধবার বিকেলে উপজেলা, পৌর ও কলেজ ছাত্রলীগের উদ্যোগে উপজেলার আলেকজান্ডার বাজারে মিছিল শেষে প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে বক্তব্য দেন আওয়ামীলীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।পরে নেতাকর্মীদের মাঝে মিষ্টি বিতরণ করা করা হয়।

    রামগতি উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আকবর হোসেন সুখীর সভাপতিত্বে এবং উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ সাদ্দাম হোসাইন সঞ্চালনায় এতে অংশ নেন রামগতি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু নাছের, উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক মেজবাহ্ উদ্দিন ভিপি হেলাল, যুগ্ম আহ্বায়ক শাহ্ মোঃ রাকিব, এম. সোয়াইব হোসেন খন্দকার, রামগতি পৌর যুবলীগের আহ্বায়ক জিয়া উদ্দিন জিপু, রামগতি উপজেলা যুব ধারার সভাপতি মোঃ জাফর পাটোয়ারী, রামগতি উপজেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আজমির হোসেন সুমন, রামগতি উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সম্মানিত সদস্য মোঃ হেলাল উদ্দিন, রামগতি উপজেলা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি মুশফিকুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম রকি, রামগতি পৌর ছাত্রলীগের আহ্বায়ক শেখ ফরিদ পাটোয়ারী, যুগ্ম আহ্বায়ক অভিজিৎ চৌধুরী মুন্না, সজিবুর রহমান সংগ্রাম, আরিফ হোসেন রাব্বী, আ স ম আবদুর রব সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের আহ্বায়ক আবদুর রহিম সুমন, যুগ্ম আহ্বায়ক ওয়াহিদ উজ জামান শাহেন শাহ, রামগতি পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক রিয়াজ উদ্দিন রাজু, মোঃ রাকিবুল ইসলাম প্রমুখ।

    মিছিলকারীরা বলেন, মেঘনা নদীর ভাঙনে রামগতি-কমলনগর বিলীন হয়ে যাচ্ছে। ভাঙনের কবলে পড়ে ভিটেমাটি হারিয়ে কয়েক লাখ মানুষ ভূমিহীন হয়ে পড়েছে। এছাড়া উপকূলীয় বাসিন্দারা ভাঙনের মুখে রয়েছে। দীর্ঘদিন থেকে উপজেলাবাসী টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণের দাবি জানিয়ে আসছিলো। সে দাবির প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাঁধ নির্মাণের প্রকল্প অনুমোদন দেন। প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে রামগতি ও কমলনগর উপজেলার নদী তীরবর্তী ভাঙনের হাত থেকে রক্ষা পাবে। বাঁধ নির্মাণ প্রকল্প পাশ হওয়ায় তাই এ দুই উপজেলার মানুষের মধ্যে আনন্দ বিরাজ করছে। প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে তাই ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে আমরা আনন্দ মিছিলের আয়োজন এবং মিষ্টি বিতরণ করি।