Author: admin

  • কাজিপুরে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অভিযানে অর্থদন্ড।

    কাজিপুরে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অভিযানে অর্থদন্ড।

    সিরাজগঞ্জের কাজিপুরে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অভিযান পরিচালনা করেছে। ১৪ জুন (সোমবার) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ও জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক(অ‌তি‌রিক্ত স‌চিব) মহোদয়ের অর্পিত ক্ষমতাবলে এবং জেলা প্রশাসক, সিরাজগঞ্জ মহোদয়ের সার্বিক নির্দেশনায় কাজিপুর উপজেলার নির্বাহি অফিসার মহোদয় এর সহযোগিতায় সিরাজগঞ্জ জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোঃ মাহমুদ হাসান  কর্তৃক কাজিপুর এ আলমপুর চৌরাস্তা বাজার ও ঢেকুরিয়া বাজারে মেয়াদ উত্তীর্ণ  দই, পানি রাখার জন্য একটি রেস্টুরেন্টে ১০ হাযার টাকা সহ ফার্মেসিতে পিজিশিয়ান স্যাম্পল ও মেয়াদ উত্তীর্ণ মেডিসিন  ও  ঢেকুরিয়াতে নোংরা পরিবেশে কাপড়ের রঙ দিয়ে চানাচুর জাতিয় পন্য  তৈরি করা ছাড়াও পাউরুটি কেক এ বানানো হচ্ছে।

    এখানে তদারকিমূলক অ‌ভিযান পরিচালনা করা হয়, এবং ভোক্তা অধিকার লংঘন জনিত কারনে  ৫ টি প্রতিষ্ঠান কে ৪৩, ৪৫ এবং ৫১ ধারায় ৩৮ হাজার টাকা জরিমানা আরোপ করা হয়।উপ‌জেলার বাজার এলাকায় বিভিন্ন পণ্যের পাইকারী ও খুচরা প্রতিষ্ঠানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে দোকান/ প্রতিষ্ঠানে পণ্যের মূল্য পরিবীক্ষন করা হয়।

    জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কর্তৃক ভোক্তা ও ব্যবসায়ীবৃন্দের করণীয় বিষয়ক প্রচারপত্র বিতরণ করা হয়।  ‘মাস্ক পরিধান করুন-সুস্থ থাকুনথ স্লোগানকে সামনে রেখে ব্যবসায়ী ও ভোক্তাসাধারণের মাঝে মাস্ক বিতরণ ও স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কে সচেতন করা হয় এবং সকলকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ক্রয়-বিক্রয় করার অনুরোধ জানানো হয়।
    উক্ত তদারকিতে   সহ‌যো‌গিতা ক‌রেন জেলা বাজার কর্মকর্তা, ক্যাব সদস্য ও  পুলি‌শ লাইনের এক‌টি চৌকস টিম।

  • সিরাজগঞ্জের তাড়াশে প্রধান শিক্ষক আব্দুল খালেকের মৃত্যু।

    সিরাজগঞ্জের তাড়াশে প্রধান শিক্ষক আব্দুল খালেকের মৃত্যু।

    সিরাজগঞ্জের তাড়াশে এক প্রধান শিক্ষকের মৃত্যু হয়েছে। ১৪ জুন সোমবার উপজেলার রঘুনীলি মঙ্গলবাড়ীয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল খালেক  ঢাকা হার্ড ফাউন্ডেশনে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন ( ইন্নালিল্লাহি —- রাজিউন) ।

    তিনি বেশ কিছুদিন ধরে হার্টের সমস্যায়  ভুগছিলেন।মৃত্যু কালে তার বয়স হয়েছিল ৫৭ বছর। তিনি তাড়াশ পৌর সভার চকজয়কৃঞ্চপুর গ্রামের মৃত আজিম উদ্দিনের ছেলে। মৃত্যুকালে স্ত্রী, ১ছেলে ১ মেয়ে সহ অসংখ্য আত্নীয় স্বজন ও গুনগ্রাহী রেখে গেছেন।

    বাদ আছর নিজ গ্রাম চকজয়কৃঞ্চপুর মাদ্রাসা ময়দানে নামাজে জানাজা শেষে সামাজিক কবরন্থানে দাফন করা হয়।

  • কাজিপুরে সুদ ও দাদন ব্যবসায়ী হামিদের ফাঁদে নিঃস্ব শত শত পরিবার।

    কাজিপুরে সুদ ও দাদন ব্যবসায়ী হামিদের ফাঁদে নিঃস্ব শত শত পরিবার।

    কাজিপুরে দাদন ব্যবসায়ী হামিদের সুদের কারবারের ফাঁদে পড়ে সর্বশান্ত প্রায় কয়েক’শ পরিবার। হামিদ উপজেলার চালিতাডাঙ্গা ইউনিয়নের সাতকয়া গ্রামের মৃত আবুল মন্ডলের পুত্র। সাধারণ মানুষদের দারিদ্র্য ও অসহায়ত্বের সুযোগে ঋণ দেওয়ার সময় সাদা চেকে সইসহ হাতিয়ে নেয় জমির দলিল। সুদের টাকা দিতে না পারলে চেকে ইচ্ছামতো মোটা অঙ্কের টাকা বসিয়ে মামলা দিয়ে হয়রানি করে সাধারণ কৃষক থেকে রাতারাতি কোটিপতি বনে  গেছেন দাদন ব্যবসায়ী হামিদ। সরজমিন ও একাধিক ভূক্তভোগীর সূত্রে জানা যায়,

    সমবায় ভিত্তিক কার্যক্রমের অনুমোদন ছাড়াই দীর্ঘ দিন ধরে ব্যক্তিক ভাবে চড়া সুদে অবৈধ ভাবে চলছে হামিদের এই সুদের কারবার। সুদসহ টাকা পরিশোধের পরেও চেক ফেরত না দিয়ে উল্টো ইচ্ছামত টাকার পরিমাণ বসিয়ে হয়রানির অসংখ্য অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। সুদের জালে আটকে অনেকেই হারিয়েছে বসত ভিটা, আবার অনেকে ছেড়েছে এলাকা। হামিদের অনুমোদনহীন অবৈধ সুদের কারবার ও ঋণের নামে সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারণা বন্ধে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন স্থানীয় সচেতন মহল।

     ভূক্তভোগী ছালাভরা গ্রামের মৃত সেকেন্দার আলী’র পুত্র ঝুট ব্যবসায়ী আশাদুল আলম জানান, কয়েক বছর আগে ব্যবসায়িক জরুরি প্রয়োজনে আব্দুল হামিদের নিকট থেকে ৩’লক্ষ টাকা সুদ প্রদানের শর্তে খালি চেকে স্বাক্ষরের মাধ্যমে গ্রহণ করি। শর্তমত সুদসহ সমস্ত টাকা পরিশোধ করলেও চেক ফেরত না দিয়ে উল্টো নতুন করে আমার নিকট থেকে ৮’লক্ষ টাকা দাবি করে। 

    শুধু আশাদুল আলম নয় আব্দুল হালিম, নাসির উদ্দীন সহ  অসংখ্য মানুষের রয়েছে হামিদের বিরুদ্ধে এ রকম প্রতারণার অভিযোগ।

    অভিযোগের বিষয়ে দাদন ব্যবসায়ি আব্দুল হামিদ বলেন, আমি সাধারণত ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের টাকা ঋণ স্বরুপ দিয়ে থাকি খালি চেকে স্বাক্ষর নিয়ে। চেকে স্বাক্ষর থাকলে পাওনা টাকা তুলতে সহজ হয়। কেননা চেকের মামলাগুলো অনেক জটিল হয়।

    খালি চেকে স্বাক্ষর নিয়ে পরে ইচ্ছেমত টাকার পরিমাণ বসিয়ে নেওয়ার বিষয়ে অকপট স্বীকার করে  তিনি বলেন, চেকের মামলা দায়ের করলে টাকার পরিমাণ কিছুটা বাড়িয়ে দেওয়া হয়। কেননা মামলা চলমান রাখতে বিভিন্ন ধরনের খরচ যেমন  উকিলের ফ্রি, যাতায়াত খরচ এসব কিছু যোগ করে টাকার পরিমাণ বসিয়ে দেওয়া হয়।

  • কলাপাড়ায় সুপেয় পানি এবং স্বাস্থ্যসম্মত ল্যাট্রিন নিশ্চিতের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন।

    কলাপাড়ায় সুপেয় পানি এবং স্বাস্থ্যসম্মত ল্যাট্রিন নিশ্চিতের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন।

    সুপেয় পানি এবং স্বাস্থ্যসম্মত ল্যাট্রিনের জন্য প্রতিবছর প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দের দাবি জানিয়ে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা উত্তরণ সোমবার বেলা ১১টায় কলাপাড়া প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছে। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন উত্তরণ পরিচালক গাজী জাহিদুর রহমান।

    স্বাগত ও সমাপনি বক্তব্য রাখেন কলাপাড়া প্রেসক্লাবের সভাপতি মোঃ হুমায়ুন কবির। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন প্রজেক্ট অফিসার হেদায়েতুল্লাহ মুকুল, হাসিবউজ জামান, ফিল্ড ফ্যাসিলিটেটর শাহিন ইকবাল প্রমূখ।

    লিখিত বক্তব্যে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সাতক্ষীরা, খুলনা, বরগুনা ও পটুয়াখালী জেলার মানুষের সুপেয় পানির সঙ্কট তুলে ধরা হয়েছে। সুপেয় পানি সংগ্রহ করতে প্রতিদিন পরিবারের একজনকে তিন/চার ঘন্টা ব্যয় করতে হয়।

    পানির স্তর নিচে নেমে গেছে। পানির সঙ্কট ক্রমশ বাড়ছে ফলে মানুষের জীবন-জীবিকায় ও বসবাসে মারাত্মক সঙ্কট সৃষ্টি হচ্ছে বলে দাবি করা হয়েছে।

    এজন্য ভূ-গর্ভস্থ জলাধারের অবস্থান নির্নয়ে হাইড্রোলজিক্যাল অনুসন্ধান করা, দরিদ্র-হতদরিদ্র শ্রেণির মানুষের জন্য জেলা-উপজেলা পর্যায়ে পয়ঃনিষ্কাশন ও পানি খাতে বিশেষ বরাদ্দ রাখা, এলাকার জলাশয় দীঘি, পুকুর খাল দূষণমুক্ত ও খননের দাবি করা হয়েছে।

  • ফুলবাড়ীতে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী শিক্ষার্থীদের মাঝে বাইসাইকেল বিতরণ।

    ফুলবাড়ীতে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী শিক্ষার্থীদের মাঝে বাইসাইকেল বিতরণ।

    দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে বিশেষ এলাকার জন্য উন্নয়ন সহায়তা শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী শিক্ষার্থীর মাঝে বাইসাইকেল বিতরণ করা হয়েছে।

    গতকাল সোমবার বেলা ১২টায় উপজেলা পরিষদ চত্বরে উপজেলার ১০ জন ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী শিক্ষার্থীর এই বাইসাইকেল বিতরণ করা করা হয়। প্রধান অতিথি হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী শিক্ষার্থীর মাঝে বাইসাইকেল তুলে দেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আতাউর রহমান মিল্টন।

    বিতরণ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রিয়াজ উদ্দিন। এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কানিজ আফরোজ, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোছাম্মত হাসিনা ভূঁইয়া প্রমুখ।

    বিতরণকালে প্রধান অতিথি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আতাউর রহমান মিল্টন তার বক্তব্যে বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার পাশাপাশি তাদের নিরাপদে যাতায়াতের জন্য এই বাইসাইকেল প্রদান করছেন। শেখ হাসিনা সরকার দেশের উন্নয়নের পাশাপাশি সকলকে উন্নয়নের সামিল করতে বিভিন্নভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি চান সকল গোষ্ঠীকে সাথে নিয়ে দেশকে এগিয়ে নিতে।

  • রাজধানীর সাভার পৌরসভার রাস্তার বেহাল দশা জনদুর্ভোগ চরমে।

    রাজধানীর সাভার পৌরসভার রাস্তার বেহাল দশা জনদুর্ভোগ চরমে।

    রাজধানীর সংনিকটে ঢাকা আরিচা মহাসড়কে সাভার পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ড উলাইল থেকে ময়লার মোড় (মাদ্রাসার মোড় ) পর্যন্ত এক কিলোমিটার রাস্তার বেহাল দশা জনদুর্ভোগ চলছে  ৪ বছর হলো। এ অবস্থা দেখার যেন কেউ নেই।

    শিলা বৃষ্টি এবং বর্ষার সময় রাস্তায় চলাচলের জন্য একেবারেই অনুপযোগী হয়ে পড়ে। তখন রাস্তায় যেন মাছের পোনা ছাড়ার মৌসুম হয় বলে জানান সাভার পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ডের বাসিন্ধারা।

     সাভার পৌর বাসিন্ধারা আরো জানান যে- এলাকায় বড় বড় শিল্প প্রতিষ্ঠান ও সরকারি বেসরকারি অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন হাজারো মানুষ চলা করে।

    এমনকি এই রাস্তাতে প্রতিদিন অটোরিকশা ও নানা রকমের ছোট – বড় ভারী যানবাহন চলাচল করে। এতে করে ভাঙা রাস্তায় দীর্ঘ জ্যাম ও ভোগান্তিতে মানুষের জন- জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। খেটে খাওয়া শ্রম জীবি মানুষ গুলোর কষ্ট দেখার মতো কি কেউ নেই।

    নাম প্রকাশে অনইচ্ছুক স্থানীয় কিছু বাসিন্ধা জানান – সাভার পৌরসভায় যোগাযোগ করে কোনো কাজ হয়নি। এখন সাভার পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ডের সাধারণ মানুষের গণদাবি হয়ে দাঁড়িয়েছে উলাইল থেকে ময়লার মোড় ( মাদ্রাসার মোড় ) পর্যন্ত রাস্তাটি যেন অতি দ্রুততম সময়ের মধ্যে সংস্কার ও পুননির্মাণ করা হয়।

  • শাহজাদপুরে ‘আলোকবর্তিকা’র উদ্যোগে সবুজ সমারহ বৃদ্ধির জন্য বৃক্ষ রোপন।

    শাহজাদপুরে ‘আলোকবর্তিকা’র উদ্যোগে সবুজ সমারহ বৃদ্ধির জন্য বৃক্ষ রোপন।

    জলবায়ু ও মাটির গুণে আদিকাল থেকেই সবুজের সমারহের জন্য সুপ্রসিদ্ধ বাংলাদেশ।আর এ সমারহ শুধুমাত্র গাছের সংখ্যাধিক্যে সীমাবদ্ধ ছিলনা বরং প্রজাতির বৈচিত্রেও ছিল সমৃদ্ধ। পরিবেশগত ভারসাম্য রক্ষার্থে একটি দেশের আয়াতনের শতকরা ২৫ ভাগ এলাকায় বনভূমী থাকা একান্ত প্রয়োজন রয়েছে বলে বিশেজ্ঞরা মনে করেন ।

    কিন্তু বাংলাদেশের আয়তনের তুলনায় বনাচ্ছাদিত এলাকার পরিমান মাত্র ৭.৭ ভাগ এবং ভুমি এলাকার তুলনায় ১৪ শতাংশ বনাঞ্চল । এছাড়া জনসংখ্যার বৃদ্ধির সাথে সাথে চলছে অপরিকল্পিত বৃক্ষ নিধন। ফলে বজ্রপাত সহ নানা প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের শিকার হতে হচ্ছে।

    এই বিপর্যয় থেকে উত্তরনের জন্য বৃক্ষ রোপনের তাগিদ অনুভব করেন পরিবেশ সচেতন মানুষ। সেই তাগিদ থেকেই সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে শিক্ষা ও সেবা মূলক সংগঠন ‘আলোকবর্তিকা’র উদ্যোগে বৃক্ষ রোপন করা হয়েছে।

    সোমবার সকালে বিভিন্ন প্রজাতির ৩ শতাধিক গাছ লাগিয়ে শাহজাদপুর সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে কর্মসূচির সূচনা করা হয়। কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বৃক্ষ রোপনের উদ্বোধন করেন

    শাহজাদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিদ মাহমুদ খান। এছাড়া অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ‘আলোকবর্তিকা’র প্রতিষ্ঠাতা ও সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক সুমনা আক্তার শিমু, প্রেসক্লাব শাহজাদপুরের সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক, মাই টিভি প্রতিনিধি জাকারিয়া মাহমুদ, আমার সংবাদ প্রতিনিধি জহুরুল ইসলাম, আজকালের খবর প্রতিনিধি মাসুদ মোশাররফ এবং আলোকবর্তিকার আলোকছটারা।

  • ব্যাংক ঋণের কমিশনে দুর্নীতি করে শত শত কোটি টাকা ও বিপুল সম্পদের মালিক কাশেম।

    ব্যাংক ঋণের কমিশনে দুর্নীতি করে শত শত কোটি টাকা ও বিপুল সম্পদের মালিক কাশেম।

     

    ব্যাংকের ঋনের কমিশনের দুর্নীতিতে শত শত কোটি টাকা ও সম্পদ অর্জন করেন কাশেম।

    অনুসন্ধানে জানা যায়,লোহাগাড়া থানার আধুনগর সিপাহীর পাড়ার মৃত আবদুর রশিদের ছেলে মোহাম্মদ আবুল কাশেম,কয়েক বৎসর পুর্বে কিছুই ছিলোনা। কোন চাকরী বা ব্যবসা করতেন না। গত কয়েক বৎসরে বর্তমান ক্ষমতাসীন দলীয় প্রভাবশালী কিছু নেতার নাম ব্যবহার করে,নোমান গ্রুপের প্রতিষ্ঠান জাবের-জুবাইয়ের ফ্রেব্রিক্স,নাইস ডেনিম,নোমান টেরি টাওয়েল,নাইস ফ্রেব্রিকস,সাদ টেক্সটাইল,নোমান টেক্সটাইল এবং গুলশান অফিস নুরুল ইসলাম হাউসসহ আরো কিছু কিছু প্রতিষ্ঠানের নামে সোনালী ব্যাংক,রুপালী ব্যাংক,অগ্রনী ব্যাংক,জনতা ব্যাংক,বেসিক ব্যাংকের হেড অফিসের ম্যানেজারদের সাথে জোগসাজশের মাধ্যমে অবৈধভাবে মোটা অংকের কমিশনের বিনিময়ে,নোমান গ্রুপের তথ্য গোপনের মাধ্যমে নোমান গ্রুপের একই জায়গা এবং একই শিল্প প্রতিষ্টানের নামে উপরে উল্লেখিত সরকারি ব্যাংক থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা ঋন নেন।
    যা বাংলাদেশ সরকারের অর্থনীতির জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।

    এছাড়াও নোমান গ্রুপের আরো অন্যান্য শিল্প প্রতিষ্ঠান দেখিয়ে বেসরকারি ব্যাংক থেকেও জালিয়াতি তথ্য গোপনের মাধ্যমেও হাজার কোটি টাকা ঋন নেন,যা প্রতিষ্টানের মুল্য থেকে অনেক গুন বেশি। কোন সময় নোমান গ্রুপ দেউলিয়া ঘোষিত হইলে দেশের অনেক প্রতিষ্ঠান ও ব্যাংক বন্ধ হওয়ার উপক্রম হবে বলে জানা যায়।

    অনুসন্ধানে আরো জানাযায়, কাসেমের সাথে রাকিব নামে এক লোক যোগ হয়ে সেও এই ব্যাংক দুর্নীতির অনিয়মে রাতারাতি বড় লোক হয়ে অনেক টাকা পয়সা গাড়ী বাড়ীর মালিক হয়ে যায়। অন্যদিকে কাশেম এই ব্যাংক গুলোর মোটা অংকের কমিশনের দুর্নীতি ও অন্যান্য চাঁদাবাজীসহ আরো অনেক অনিয়মের টাকায় রহস্যজনকভাবে রাতারাতি আংগুল ফুলে কলাগাছ বনে গিয়ে শত শত কোটি কোটি টাকার মালিক হয়ে কাসেম থেকে আবুল কাসেম চৌধুরী বলে নিজেকে পরিচয় দেন।

    অথচ তিনি বর্তমান ক্ষমতাসীন দলের কোন পদ পদবীতে নেই। তিনি রুপগঞ্জের ভুলতা গাউছিয়া মার্কেটে গ্রাউন্ড ফ্লোরে ১০/১২টা দোকান এর মালিক, যার গুলিস্তান ফুলবাড়িয়া জাকির সুপার মার্কেট ও ফুলবাড়িয়া সিটি সুপার মার্কেটে কয়েকটা দোকান,যার অনুমানিক মুল্য ২কোটি ৫০ লক্ষ টাকা।ধানমন্ডিতে কলাবাগানে অত্যাধুনিক বিশাল ফ্ল্যাট যার অনুমানিক মুল্য ২ কোটি টাকার উপরে।

    বান্দরবান জেলার লামা উপজেলার আজিজনগর ষ্টেশনে অবস্থিত রয়েল টেক্সটাইল লিমিটেড হঠাৎ সে প্রতিষ্ঠানে কোটি কোটি টাকার অত্যাধুনিক মেশিন এবং সেখানে বিশাল ৪ তলা বিশিষ্ট নবনির্মিত অত্যাধুনিক দুটি মার্কেট রয়েল মার্কেট ও কাসেম শপিং কম্পেলেক্স।

    বিশাল গরুর ফার্মসহ সব মিলিয়ে যার অনুমানিক মুল্য শত কোটি টাকার উপরে । তিনি লেন্ড ক্রুজার প্রাডু ও রাড়ু সহ বিভিন্ন নতুন মড়েলের নিত্য-নতুন গাড়ি নিয়ে চলা-ফেরা করেন। নিজ গ্রামে চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় আধুনগর সিপাহীর পাড়ায় লোক দেখানো অনেক অর্থ খরচের মাধ্যমে বিরাট মাদ্রসা ও বাড়ী নির্মানকাজ চলমানসহ আরো নামে বেনামে অনেক অবৈধ সম্পদ অর্জন ও ব্যাংক ব্যালেন্স রয়েছে যার কোন হিসাব নেই বলে জানা যায়।

    সাংবাদিকদেরকে স্থানীয় কিছু সচেতন মহল জানান কাসেম আগে কোন টাকা পয়সা ধন সম্পদ, গাড়ী-বাড়ীর মালিক ছিলনা সত্য, কিন্ত সে বর্তমানে বড় লোক হয়ে এলাকায় অনেক টাকা পয়সা দান সদকা করে এটিও সত্য।কাসেমের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি এই বিষয়ে কিছুই মন্তব্য করতে রাজী হন নাই।সরকারি ব্যাংকের ঋনের কমিশনের দুর্নীতিতে শত শত কোটি টাকা ও অবৈধ সম্পদ অর্জন করেন চট্রগ্রামের লোহাগাড়ার কাশেম নামে এক লোক।

  • ফুলবাড়ীতে ১৩ তম গ্রেডে বেতন থেকে বঞ্চিত শিক্ষকদের অবস্থান ধর্মঘট।

    ফুলবাড়ীতে ১৩ তম গ্রেডে বেতন থেকে বঞ্চিত শিক্ষকদের অবস্থান ধর্মঘট।

    দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে ১৩তম গ্রেডের বেতন বঞ্চিত সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা উপজেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তার টালবাহানা ও অনিয়মের অভিযোগ এনে অবস্থান ধর্মঘট পালন করেছেন।

    গতকাল রোববার সকাল সাড়ে ১১টায় উপজেলা পরিষদ চত্তরে এই অবস্থান কর্মসূচী ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেন উপজেলার প্রায় ৫শতাধিক শিক্ষক।

    উপজেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তার অনিয়ম ও টালবাহানার কারণে দীর্ঘদিন ধরে সরকারী বর্ধিত বেতনের অংশ পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ উপজেলার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের। এ ঘটনায় বঞ্চিতদের মাঝে অনেকটা ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তারা বিষয়টি ইতিমধ্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা,উপজেলা চেয়ারম্যানসহ বিভিন্ন দপ্তরে অবহিত করেও কোন প্রতিকার না পেয়ে এই অবস্থান কর্মসূচী ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেন।

    প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোছা: হাসিনা ভূইয়া বলেন, ফুলবাড়ী উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার ১১০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রায় পাঁচশ শিক্ষক রয়েছে। ২০১৯ সালে দেশব্যাপী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা তাদের উন্নিত গ্রেড-স্কেল পাওয়ার দাবীতে আন্দোলন শুরু করেন। এরই ধারাবাহিকতায় ২০২০ সালের ৯ ফেব্রুয়ারী দেশের সকল বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের ১৩তম গ্রেডে উন্নিত করার নির্দেশ দেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। কিন্তু অন্যান্য উপজেলায় ১৩ তম গ্রেডের কাজ সমাপ্ত হলেও এ উপজেলায় শেষ হয়নি। শিক্ষকরা তাদের এই সমস্যার কথা আমাকে জানালে বিষয়টি নিয়ে হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তার সাথে কথা বলেছি তিনি জানিয়েছেন কিছু কাজ হয়েছে বাকি গুলো চলমান রয়েছে,কাগজের জটিলতার কারনে সময় লাগছে।

    ফুলবাড়ী প্রাথমিক শিক্ষক ঐক্য পরিষদের আহব্বায়ক এস কে মোহাম্মদ আলী ও সদস্য সচিব আব্দুল আলিমসহ ধর্মঘটে অংশ নেওয়া শিক্ষকরা অভিযোগ করে বলেন, মন্ত্রণালয়ের নির্দেশের পর দিনাজপুর জেলার অন্যান্য উপজেলায় ইতিমধ্যে ১৩ তম গ্রেডের কাজ সমাপ্ত করা হয়েছে এবং উপকার ভোগীরা এর সুফলও পাচ্ছেন অথচ ফুলবাড়ী উপজেলার সকল শিক্ষকরা তাদের উন্নিত গ্রেড পেতে প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র উপজেলা হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তার কার্যালয়ে জমা দিলেও তিনি নানা অজুহাতে কালক্ষেপন করছেন।

    অবস্থান কর্মসূচী ও প্রতিবাদ সমাবেশে আন্দোলনকারী শিক্ষকরা বলেন, হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তার অফিসে গেলে তিনি তাদের সাথে অসাদাচারন করেন এবং তিনি কারও নির্দেশ পালন করতে বাধ্য নয় বলেও জানান। উপজেলা হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তার হয়রানির শিকার শিক্ষকরা টাকা ছাড়া সেখানে কোন কাজ করতে পারেননা। বলা যায় উপজেলা হিসাব কার্যালয়টি এক প্রকার দুর্নীতির আখড়ায় পরিনত হয়েছে। সম্প্রতি ওই কর্মকর্তার একটি দালাল চক্রের মাধ্যমে গ্রেড উন্নতির কাজের জন্য প্রত্যেক শিক্ষকের কাছে এক হাজার টাকা করে ঘুষ দাবী করেন। ওই চক্রের দাবী না মানায় দীর্ঘদিন ধরে নানা ভাবে হয়রানির শিকার হচ্ছেন তারা এমনটিই তাদের বক্তব্যে জানান। তাই দূনর্ীতিবাজ ওই কর্মকর্তার অপসারন দাবী করে অবস্থান ধর্মঘট ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেন তারা। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: রিয়াজ উদ্দিন এর হস্তক্ষেপে ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নেন শিক্ষকরা।

    এসব বিষয়ে, জানতে চাইলে উপজেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা ফাতেমা জোহরা বলেন,শিক্ষকদের এসব অভিযোগ মিথ্যে,ভিত্তিহীন ও বানোয়াট। তিনি কখনই কোন শিক্ষকের কাছে টাকা দাবী করেননি,তার অফিসের কেউ যদি টাকা চেয়ে থাকেন সেটিও তাকে জানাননি শিক্ষকরা। তিনি বলেন,উপজেলার ৪৮২টি শিক্ষকের বইয়ের মধ্যে তার অফিসে জমা হয়েছে ১৮০টি বই। এরমধ্যে তিনি ৭০টি বইয়ের কাজ ইতিমধ্যে সম্পন্ন করেছেন,৬০টি বইয়ের কাজ চলছে এবং ১০৩টি বইয়ের সমস্যা থাকায় ফেরত পাঠানো হয়েছে, বর্তমানে কাজ চলমান রয়েছে।

    উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: রিয়াজ উদ্দিন জানান,প্রাথমিক শিক্ষকদের ১৩ তম গ্রেডে উন্নিত করণের বিষয়ে যে জটিলতা তৈরী হয়েছিল এটি ভূল বোঝাবুঝির কারনে হয়েছে। আগামী সপ্তাহের মধ্যে এই সমস্যার সমাধান হবে এবং শিক্ষকরাও তাদের বর্ধিত বেতনের অংশ পাবেন বলে জানান তিনি।

     

  • কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সোহাগ বানভাসি ক্ষতিগ্রস্থদের খাদ্য ও নগদ অর্থ প্রদান।

    কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সোহাগ বানভাসি ক্ষতিগ্রস্থদের খাদ্য ও নগদ অর্থ প্রদান।

    পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় বানভাসি মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাড.ড.শামীম আল সাইফুল সোহাগ। রবিবার দুপুরে তিনি উপজেলার লালুয়া ইউনিয়নের চান্দুপাড়ার কুড়িকানি গ্রামের বিধ্বস্ত বেরি বাঁধ পরিদর্শন করেছেন।

    এছাড়া ঘর্নিঝড় ইয়াস ও পূর্নিমার প্রভাবে জেয়ারের পানিতে ডুবে যাওয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখেন ও  বানভাসি ক্ষতিগ্রস্থ পাঁচ শতাধিক পরিবারের মাঝে খাদ্য সহয়তা ও নগদ অর্থ প্রদান করেন। তিনি ভাঙ্গা বাঁধ যাতে দ্রুত মেরামত করা হয় এজন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ সরকারের উর্ধ্বতন মহলে অবহিত করবেন বলে ক্ষতিগ্রস্থ্য মানুষকে আশ্বাস দেন।

    এসময় মহিপুর থানা যুবলীগের আহবায়ক মো. মিজানুর রহমান বুলেট, উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ জাকির হোসেন, কলাপাড়া পৌর যুবলীগের সহ-সভাপতি শেখ যুবরাজ, যুবলীগ নেতা অহিদুজ্জামান মুছা, সোহাগ হাওলাদার, রেজাউল করিম খোকন, তুহিন সহ স্থানীয় যবলীগ নেতাকমর্ীরা উপস্থিত ছিলেন।

    কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাড.ড.শামীম আল সাইফুল সোহাগ বলেন, ঘর্নিঝড় ইয়াস ও পূর্নিমার প্রভাবে সমুদ্র পাড়ের এই এলাকার রামনাবাদ চ্যানেলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ভাঙ্গা বাধ দিয়ে গ্রামের পর গ্রাম জোয়ারের পানিতে দফায় দফায় প্লাবিত হচ্ছে। এসব গ্রামের মানুষ আবার স্বাভাবিক জীবন যাপন করবে এমন প্রত্যাশা করছেন তিনি।