Author: admin

  • রামপালে আনন্দ উল্লাসে বাংলা নববর্ষ উদযাপন।

    রামপালে আনন্দ উল্লাসে বাংলা নববর্ষ উদযাপন।

    রামপাল(বাগেরহাট)প্রতিনিধিঃ
    বছর ঘুরে আবার দরজায় হাজির হয়েছে পহেলা বৈশাখ। ঋতুরাজ বসন্তের উদাস হাওয়া বৈশাখের ঝড়ো হাওয়াকে স্বাগত জানিয়েছে। ‘এসো হে বৈশাখ, এসো এসো।’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে বাগেরহাটের রামপালে আনন্দ উল্লাসের মাধ্যমে বাঙালির প্রাণের উৎসব বাংলা নববর্ষ ‘১ লা বৈশাখ-১৪৩১’ উদযাপন করা হয়েছে।
    বাংলা নববর্ষ ১৪৩১ জাঁকজমকপূর্ণভাবে উদযাপনের লক্ষ্যে উপজেলা প্রশাসন ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করে।
    রবিবার (১৪ এপ্রিল) সকাল ১০ টায় উপজেলার সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা কর্মচারী, বিভিন্ন এনজিও প্রতিনিধিবৃন্দ, উপজেলা ফায়ার স্টেশনের সদস্যবৃন্দ, আনসার বাহিনীর সদস্যবৃন্দ ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের নিয়ে  পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে মঙ্গল শোভাযাত্রার র‌্যালি বের করা হয়। র‌্যালিটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে উপজেলা অডিটোরিয়ামে গিয়ে শেষ হয়। এরপর বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের সম্মিলিত কন্ঠে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করা হয়। তারপর সকলের সম্মিলিত কন্ঠে পহেলা বৈশাখের গান পরিবেশ করা হয়।
    উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রহিমা সুলতানা বুশরার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রামপাল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, উপজেলা চেয়ারম্যান সেখ মোয়াজ্জেম হোসেন।
    অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ নুরুল হক লিপন ও রামপাল থানার অফিসার ইনচার্জ সোমেন দাস।
    এসময় উপস্থিত ছিলেন রামপাল কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) সমীর কুমার বিশ্বাস, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ সুকান্ত কুমার পাল, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এস এ আনোয়ার উল-কুদ্দুস, ইউপি চেয়ারম্যান তপন কুমার গোলদার, কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা অলিউল ইসলাম, সমাজসেবা অফিসার মোঃ শাহিনুর রহমান, উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ সাদী প্রমুখ।
    অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন প্রভাষক মোঃ মোস্তফা কামাল পলাশ।
  • চায়ের রাজধানীতে পর্যটকদের উপচেপড়া ভিড়।

    চায়ের রাজধানীতে পর্যটকদের উপচেপড়া ভিড়।

    মৌলভীবাজার প্রতিনিধিঃ

    পবিত্র ঈদুল ফিতরের ছুটিতে চায়ের রাজধানী মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলের পর্যটন কেন্দ্র গুলোতে দর্শনার্থীদের পদচারনায় মুখর হয়ে উঠে। পর্যটকদের উপচেপড়া ভিড় জমেছে ঈদের দিন নামাজের পর থেকেই আনন্দ উপভোগ করতে দর্শনার্থীরা আসতে শুরু করেন। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পর্যটকের আনাগোনায় শ্রীমঙ্গল এলাকা মুখর হয়ে উঠে। ঈদের দ্বিতীয় দিনেও লক্ষণীয় ভিড় ছিল শহরের বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে।

    সরেজমিনে দেখা গেছে, ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে নয়াভিরাম প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি শ্রীমঙ্গলের বিভিন্ন পর্যটন স্পটে ভিড় করছেন হাজারও মানুষ। কমলগঞ্জের লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে ঈদের দিন ও আজ বিকেল পর্যন্ত   রাজধানী সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কয়েক হাজার দর্শনার্থী ছুটে আসেন । এখানকার প্রান প্রকৃতি ও জীববৈচিত্র্য ঘুরে ঘুরে দেখে তাদের ঈদের আনন্দ উপভোগ করেন তারা। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্নপ্রান্ত থেকে পর্যটকরা পরিবার পরিজন নিয়ে ছুটিতে বেড়াতে এসেছেন এখানে।

    দুপুরের পর থেকে উপচেপড়া ভিড়ে মুখরিত হয়ে উঠে চা বাগান, ৭১ বধ্যভূমি, চা গবেষণা ইনস্টিটিউট, টি মিউজিয়াম এবং সিতেশ বাবুর চিড়িয়াখানাসহ দর্শনীয় স্থানগুলো। হৈ-হুল্লোড় আর নাচ-গানে আনন্দঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়।

    এদিকে চা বাগানসহ জেলার দর্শনীয় স্থানগুলোতে উপচেপড়া ভিড় সামাল দিতে হিমশিম খেতে হয়েছে টুরিস্ট পুলিশসহ প্রশাসনকে। তবুও দর্শনাথীদের নিরাপত্তা দিতে মোড়ে মোড়ে ছিল কঠোর নজরদারি। ফরিদপুর থেকে সপরিবার নিয়ে ঘুরতে আসা রুকশানা আক্তার বলেন, ঈদের ছুটিতে পরিবারের সবাইকে সময় দেওয়া যায়। তাই লাউয়াছড়া, মাধবপুর লেক ও গতকাল মাধবকুণ্ড ঘুরে আসলাম।

    মৌলভীবাজার জেলায় এত সুন্দর প্রকৃতি পরিবেশ যে কাউকে মুগ্ধ করবে এখানে একবার এসে এখন বারবার মন চাইবে এখানে ছুটে আসতে।

    ট্যুরিস্ট পুলিশ শ্রীমঙ্গল জোনের উপপরিদর্শক প্রবাল সিনহা বলেন, পুলিশের সার্বক্ষণিক নজরদারির কারণে এখানে কোনো ধরনের প্রতিবন্ধকতা ও হয়রানী ছাড়াই পর্যটকরা আনন্দ উপভোগ করে বাড়ি ফিরছেন। প্রতিটি পর্যটন স্পটে ট্যুরিস্ট পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

    লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের সহ-ব্যবস্থাপনা কমিটির অফিস সহকারী আফজাল হোসেন বলেন, ঈদের দিন,ও শুক্রবার আজ শনিবার উদ্যানে প্রায় পাঁচ হাজার সাতশত জন পর্যটক প্রবেশ করেছেন। এতে রাজস্ব আয় হয়েছে ‘দুই লক্ষ উনসত্তর হাজার টাকার । আশা করছি আগামী কয়েকদিনে অনেক পর্যটকের আগমনে হবে। এতে সরকারের রাজস্ব আয় বাড়বে।

  • রামপালে বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সাইফুজ্জামানের মসজিদে নগদ অর্থ বিতরণ।

    রামপালে বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সাইফুজ্জামানের মসজিদে নগদ অর্থ বিতরণ।

    রামপাল(বাগেরহাট)প্রতিনিধিঃ

    বাগেরহাটের রামপালে বিশিষ্ট ব্যবসায়ী শেখ সাইফুজ্জামান ও শেখ শফিকুল ইসলাম(সোহাগ) রামপাল সদর ইউনিয়নের নিউমার্কেট জামে মসজিদের উন্নয়ন কাজে নগদ অর্থ বিতরণ করেছেন।

    শনিবার (১৩ এপ্রিল) বিকাল ৫.০০ টায় সাইফুজ্জামান ও শফিকুল ইসলাম সোহাগ শ্রীফলতলা নিউমার্কেট জামে মসজিদ কমিটির সভাপতি শেখ আব্দুল ওহাবের হাতে দানের এ ২০ হাজার টাকার চেক তুলে দেন।
    এসময় মসজিদ কমিটির নেতৃবৃন্দ ও এলাকার ধর্মপ্রাণ মুসলমানেরা উপস্থিত ছিলেন।
    ব্যবসায়ী শেখ সাইফুজ্জামান বলেন, ইসলাম মানবতার ধর্ম। এক মুসলমান অপর মুসলমানের ভাই। মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত ও বিপদগ্রস্ত হলে তাদের পাশে দাঁড়ানো, বিপদ মুক্তির জন্য সাহায্য করা ইসলামের শিক্ষা। তাদের দুর্দিনে আর্থিক সহায়তা,খাবার, ত্রাণ এবং চিকিৎসা সেবায় এগিয়ে আসা ঈমানের দাবি। নামাজ, রোজা, হ্জ্ব, যাকাতের মতো অসহায়-দুর্গত মানুষদের সাহায্য করাও ইবাদত। তাই আমি ও আমার ভাই প্রতি বছর রমজান মাসে পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে গরীব ও অসহায়দের মাঝে শাড়ি ও লুঙ্গি ও নগদ অর্থ বিতরণ করে থাকি। বছরের বিভিন্ন সময়ে নিজ এলাকা ও বাইরের বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে নগদ অর্থ বিতরণ করে থাকি। আমরা সকলের দোয়া চাই, আমরা যেন ভবিষ্যতে আমাদের এ কার্যক্রম ধরে রাখার আল্লাহ তৌফিক দান করেন।
  • ঠাকুরগাঁওয়ে মোটরসাইকেল মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত-২,আহত-৩।

    ঠাকুরগাঁওয়ে মোটরসাইকেল মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত-২,আহত-৩।

    ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ
    ঠাকুরগাঁওয়ে মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে দুই যুবকের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন আরও তিনজন মোটরসাইকেল আরোহী। মুমূর্ষু অবস্থায় আহতদের রংপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
    শনিবার (১৩ এপ্রিল) বিকালে সদর উপজেলার জগন্নাথপুর ইউনিয়নের বড় খোঁচাবাড়ীর এলাকার দৌলতপুর নামক স্থানে এ দূর্ঘটনাটি ঘটে।
    দূর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেন সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এবিএম ফিরোজ ওয়াহিদ।
    নিহতরা হলেন- জগন্নাথপুর  ইউনিয়নের দৌলতপুর এলাকার নুর ইসলামের ছেলে নয়ন  ইসলাম (১৪) ও বেগুনবাড়ী এলাকার রিয়াজুল ইসলামের ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান(২৬)।
    পুলিশ জানায়, বিকেলে নিহত নয়ন বাড়ি থেকে মোটরসাইকেলে করে খোঁচাবাড়ি বাজারে যাচ্ছিলেন। একই সময় বেগুনবাড়ি এলাকার বাসিন্দা মোস্তাফিজুর রহমান মোটরসাইকেল নিয়ে তার তিন বন্ধুসহ বাড়ির দিকে যাচ্ছিলেন। পথে দৌলতপুর এলাকায় পৌঁছালে ওই দুটি মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই নয়ন মারা যায়।
    এ সময় স্থানীয় লোকজন মোস্তাফিজুর ও তার সঙ্গীদের উদ্ধার করে ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পর মোস্তাফিজুরকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। এ ঘটনায় গুরুতর আহত তিন মোটরসাইকেল আরোহীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেলে পাঠিয়ে দেন চিকিৎসক।
    ঠাকুরগাঁও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এবিএম ফিরোজ ওয়াহিদ জানান,আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
  • মৌলভীবাজারের বিভিন্ন এলাকায় সৌদির সঙ্গে মিল রেখে ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত।

    মৌলভীবাজারের বিভিন্ন এলাকায় সৌদির সঙ্গে মিল রেখে ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত।

    নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
    সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদুল ফিতর উদযাপন করছেন মৌলভীবাজারের বিভিন্ন এলাকার সহস্রাধিক পরিবার। ঈদের জামাত শেষে মুসল্লিরা একে অন্যের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় ও কোলাকুলি করেছেন।
    বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ ইং, সকাল ৭টার সময় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির মধ্যে সার্কিট হাউস এলাকার আহমেদ শাবিস্থ নামক বাসায় এ ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। জামাতে স্থানীয় এলাকার বাসিন্দারা ছাড়াও দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত নারী ও পুরুষরা অংশ নেন।
    নামাজে ইমামতি করেন আব্দুল মাওফিক চৌধুরী (পীর সাহেব, উজান্ডি)। নামাজ শেষে দেশ ও বিশ্ব মুসলিম উম্মার শান্তি কামনা করে মোনাজাত করা হয়।
    ঈদের নামাজে আশা কয়েকজন মুসল্লি জানান, সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে রোজা ও ঈদ পালন করে আসছি। এটা কুরআনের আইন। এটা বাকি জীবনও পালন করার চেষ্টা করবো। সমগ্র মুসলিম উম্মাহকে যেন আল্লাহ বুঝার তাওফিক দিন।
    ঈদ উদযাপন কমিটি প্রধান (পীর সাহেব উজান্ডি) ইমাম আব্দুল মাওফিক চৌধুরী বলেন, আমরা শুধু সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে নয়। বিশ্ব মুসলমানদের সঙ্গে ঈদ করেছি। ইজমার ভিত্তিতে আজ শাওয়াল মাসের এক তারিখ। ঈদ এক তারিখেই করতে হবে।
    উল্লেখ্য, আব্দুল মাওফিক চৌধুরীর (পীর সাহেব উজান্ডি) অনুসারীরা ২০০৭ সাল থেকে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদ উদযাপন করে আসছেন। এ ছাড়া জেলার কুলাউড়া, বড়লেখা ও শ্রীমঙ্গলেও পৃথক পৃথক স্থানে পবিত্র ঈদুল ফিতরের ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।
  • ঠাকুরগাঁওয়ে বৈশাখী মেলা বন্ধের প্রতিবাদে মানববন্ধন।

    ঠাকুরগাঁওয়ে বৈশাখী মেলা বন্ধের প্রতিবাদে মানববন্ধন।

    ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ
    মুখে কালো কাপড় বেঁধে মানববন্ধন ও মৌন প্রতিবাদ সমাবেশ কর্মসূচি পালন করেছে ঠাকুরগাঁওয়ের সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
    বুধবার দুপুরে শহরের চৌরাস্তায় সমবায় মার্কেটের সামনে সংস্কৃতিবান্ধব সরকারের আমলে অদৃশ্য কারণে ঠাকুরগাঁওয়ে ৩৯ বছরের ঐতিহ্য আলপনা সংসদের আয়োজনে বৈশাখী মেলা বন্ধের প্রতিবাদে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
    এ সময় বক্তারা বলেন,  শহরের পাবলিক ক্লাব মাঠে ৩৯ বছরের ঐতিহ্য প্রতি বছরই বৈশাখী মেলা উদযাপন করা হয় কিন্তু এ মেলা হঠাৎ বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে যার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
    বক্তারা আরো বলেন, পহেলা বৈশাখী মেলা বাঙ্গালীদের ঐতিহ্যের একটা রূপকার। এই মেলার মাধ্যমে আমরা বিভিন্ন সংস্কৃতি মনা প্রতিভাবান ব্যক্তিদের প্রতিভা মানুষের সামনে তুলে ধরতে পারি। আর এই মেলা কোন এক অদৃশ্য শক্তির মাধ্যমে এ বছরে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। আমরা আজকের এই মানববন্ধন ও মৌন প্রতিবাদ সমাবেশের মাধ্যমে প্রশাসন সহ সকলকেই জানিয়ে দিতে চাই বাঙালিদের ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে প্রতি বছরের ন্যায় ঠাকুরগাঁওয়ে বৈশাখী মেলা করার অনুমতি প্রদান করা হোক।
    এ সময় উপস্থিত ছিলেন, ঠাকুরগাঁও সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি অনুপম মনি, সাধারণ সম্পাদক পার্থ সারথী দাস, আল্পনার সভাপতি সফিকুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক আখতারুজ্জামান, জাতীয় রবীন্দ্র সংগীত সম্মিলন পরিষদের সভাপতি আবু মুহীউদ্দীন, উদীচির সভাপতি সেতারা বেগম, সাধারণ সম্পাদক সম্পা সাহা, কর্ণেট সাংস্কৃতিক সংসদের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম প্রবাল সহ জেলা উপজেলার বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
  • মাধবপুরে বাড়ছে পলিথিনের ব্যবহার-রয়েছে অসাধু সিন্ডিকেট।

    মাধবপুরে বাড়ছে পলিথিনের ব্যবহার-রয়েছে অসাধু সিন্ডিকেট।

    মাধবপুর (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ
    হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলায় পলিথিন ব্যাগের ব্যবহার বেড়েছে। বিভিন্ন উদ্ভিদ ও প্রাণী দেহে পলিথিনের ক্ষতিকর উপাদান প্রবেশ করেছে। হাত বাড়ালেই হাতের কাছে পলিথিন। চাল,ডাল থেকে শুরু করে যে কোন কিছু কিনতে গেলেই তা নিষিদ্ধ পলিথিনে ভড়ে হাতে ধরিয়ে দিচ্ছে। পলিথিনের ব্যবহারে পরিবেশ দূষণের পাশাপাশি মাটির উর্বরতা শক্তি ও নষ্ট হচ্ছে। দেশে ২০০২ সালে পলিথিন উৎপাদন, ব্যবহার ও বাজারজাত করনের ব্যাপারে আইন প্রণয়ন করে পলিথিন উৎপাদন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা অভিযান পরিচালনা করে পলিথিন উৎপাদন ও বাজারজাত কারী দের বিরুদ্ধে  জেল জরিমানা সহ বিভিন্ন রকমের শাস্তির ব্যবস্থা করে থাকেন। মাধবপুর উপজেলায় নিষিদ্ধ পলিথিনের বিরুদ্ধে প্রশাসন নিয়মিত কোন ব্যবস্থা না নেওয়ায় একটা সিন্ডিকেট অবাধে এই নিষিদ্ধ পলিথিন পুরো মাধবপুর উপজেলায় নির্বিঘ্নে সরবরহ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে,যা মানব দেহের জন্য ক্ষতিকর ।
    সরজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, মাধবপুর পৌর শহরের পুরাতন গরুর বাজারে রীতিমত গোডাউন ভাড়া করে নির্বিঘ্নে এই নিষিদ্ধ পলিথিনের রমরমা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে একটি সিন্ডিকেট। নিষিদ্ধ পলিথিনের অবাধ সরবরাহ সম্পর্কে মুঠো  ফোনে  জানতে চাইলে সিন্ডিকেট সদস্য মোহন মিয়া প্রতিবেদককে বলেন “গত ২৬ বছরে কোন সাংবাদিক পলিথিন নিয়ে কথা বলতে আসেনি। অথচ আপনি ?  এই বলে তিনি লাইন কেটে দেন। পলিথিনের ভয়াবহতা সম্পর্কে প্রশ্নের জবাবে  খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ ও বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক আবদুল্লাহ হারুন চৌধুরী প্রতিবেদককে বলেন ” বিভিন্ন গবেষণায় মাটি ও পানিতে মাইক্রো প্লাস্টিকের উপস্থিতি পাওয়া গেছে।বিভিন্ন উদ্ভিদ ও প্রাণীদেহে মিলেছে এর উপস্থিতি। পলিথিনের ব্যবহারের কারণেই এমনটা হচ্ছে।এই মাইক্রো প্লাস্টিক মানুষের শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। এমন পরিস্থিতিতে পলিথিনের ব্যবহার বন্ধের আহবান জানা তিনি।পলিথিনের ভয়াবহতা সম্পর্কে জানতে চাইলে হবিগঞ্জ পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা আক্তারুজ্জামান টুকু বলেন এ ব্যাপারে আমি মাধবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ এর সাথে কথা বলে শীঘ্রই অভিযান পরিচালনা করব।জানতে চাইলে মাধবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রকিবুল ইসলাম খাঁন বলেন,এ ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট তথ্য পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
    এ বিষয়ে মাধবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ,কে,এম ফয়সাল জানান,এ ব্যাপারে পরিবেশ অধিদপ্তরে কথা বলেওদের পরিদর্শক নিয়ে শীঘ্রই মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে।
  • রামপাল রক্তদান ক্লাবের উদ্যোগে অসহায়দের মাঝে ঈদ সামগ্রী বিতরণ।

    রামপাল রক্তদান ক্লাবের উদ্যোগে অসহায়দের মাঝে ঈদ সামগ্রী বিতরণ।

    রামপাল(বাগেরহাট)প্রতিনিধিঃ বাগেরহাটের রামপালে অরাজনৈতিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন রামপাল রক্তদান ক্লাব’র পক্ষ থেকে অসহায়দের মাঝে ঈদ সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।
    মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার রামপাল সদর ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে সুবিধাভোগীর বাড়িতে এ ঈদ সামগ্রী পৌঁছে দেন সংগঠনের সদস্যরা। এসময় তারা শতাধিক মানুষের বাড়িতে এ সামগ্রী পৌঁছে দেন।
    সংগঠনের এক সদস্য জানান, প্রতি বছরের ন্যায় এবারও আমরা আমাদের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের পক্ষ থেকে অসহায় ও নিম্ন আয়ের মানুষের মাঝে আমাদের এ উপহার সামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছি। আমাদের প্রতিটি উপহারের প্যাকেটে থাকছে চাউল, চিনি, সেমাই,  তেল ও ডাল।
    সংগঠনের আরেক সদস্য জানান, প্রতি বছরের ন্যায় এবছরও আমাদের সংগঠনের পক্ষ থেকে সুবিধা বঞ্চিতদের মাঝে ঈদ সামগ্রী বিতরণ করেছি। আমাদের সংগঠনের পক্ষ থেকে প্রতি বছর রমজানে ইফতার সামগ্রী, ঈদুল ফিতরে  খাদ্য সামগ্রী, শীত মৌসুমে শীত বস্ত্র, অসহায় অসুস্থ মানুষের মাঝে চিকিৎসা সহায়তা, রক্তদানসহ বিভিন্ন সামাজিক সেবামূলক কাজ করে থাকে। আমাদের একটাই লক্ষ্য অসহায় মানুষের সেবা করা সুখ দুঃখে তাদের পাশে দাঁড়ানো। আমরা যতদিন আছি মানুষের জন্য সেবামূলক কাজ করে যাবো ইনশাআল্লাহ।
  • ঠাকুরগাঁওয়ের দুই সীমান্তে ভারতের কাছ থেকে ৯১ বিঘা জমি উদ্ধার।

    ঠাকুরগাঁওয়ের দুই সীমান্তে ভারতের কাছ থেকে ৯১ বিঘা জমি উদ্ধার।

    ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:
    দীর্ঘ ৭০ বছর ভারতের দখলে থাকার পর ঠাকুরগাঁও জেলার রাণীশংকৈল উপজেলার জগদল ও বালিয়াডাঙ্গী বেউরঝাড়ি  সীমান্তবর্তী ৯১ বিঘা বাংলাদেশি জমি অবশেষে উদ্ধার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
    ঠাকুরগাঁও ৫০ বিজিবি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যেমে এ তথ্য নিশ্চিত করেন । উদ্ধার করা জমিতে সাদা পতাকা (নিশানা) টানিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশি সীমান্তরক্ষী বাহিনী।
    সরকারের খাস খতিয়ানভুক্ত ৯১ বিঘা জমিতে প্রবেশের অধিকার ফিরে পাওয়ায় সীমান্তবর্তী মানুষের মধ্যে আনন্দের বন্যা বইছে। জমিগুলো উদ্ধারে গত প্রায় ১ মাস আগে কাজ শুরু করে বিজিবি।
    বাহিনীটি জানিয়েছে, ঠাকুরগাঁও ব্যাটালিয়ন (৫০ বিজিবি) এর সুচারু পরিকল্পনা এবং সময়োপযোগী উদ্যোগে বাংলাদেশ ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তর এর প্রতিনিধি দলের সাথে প্রয়োজনীয় যোগাযোগ ও সমন্বয় সাধন করে তারা।
    সেই হিসাবে অধীনস্থ রাণীশংকৈল উপজেলার জগদল এবং বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার  বেউরঝাড়ি বিওপির দায়িত্বপূর্ণ সীমান্ত এলাকায় বাংলাদেশ-ভারতের সার্ভে বিভাগের যৌথ জরিপের মাধ্যমে ভারতের দখলে থাকা জগদল বিওপির দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় প্রায় ১৫ বিঘা জমি এবং বেউরঝাড়ি বিওপির দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় প্রায় ৭৬ বিঘা জমি (মোট  ৯১ বিঘা) উদ্ধার করা হয়। বাংলাদেশের অনুকূলে প্রাপ্ত জমির মধ্যে ৭৭ বিঘা আবাদি জমি, ১১ বিঘা চা বাগান ও ৩ বিঘা নদীর চর রয়েছে।
    ঠাকুরগাঁও ব্যাটালিয়ন স্ট্রীপ ম্যাপ পর্যালোচনা করে পূর্ব থেকেই নিশ্চিত ছিলো জমিগুলো বাংলাদেশের। বিজিবির আহ্বানে বিজিবি ও ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের মধ্যে অনুষ্ঠিত পতাকা বৈঠকে জমিগুলো বাংলাদেশের বলে বিজিবির পক্ষ হতে জোরালো দাবী উপস্থাপন করা হয়। পরে বিজিবির পক্ষ হতে আরও বলা হয় যে, বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য সার্ভেয়ারের মাধ্যমে যৌথ জরিপের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।
    উল্লিখিত ঘটনার প্রেক্ষিতে গত ৬ ও ৭ মার্চ  বাংলাদেশ ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের সহকারী জরিপ ও চার্জ অফিসার এবং ভারতীয় সার্ভে বিভাগের সহকারী চার্জ অফিসার এর সমন্বয়ে— বিজিবি-বিএসএফ এর উপস্থিতিতে ঠাকুরগাঁও ব্যাটালিয়নের অধীনস্থ জগদল এবং বেউরঝাড়ি বিওপির দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় সীমানা নির্ধারণের লক্ষ্যে যৌথ জরিপ ও পরিদর্শন অনুষ্ঠিত হয়। সেই  কার্যক্রমের অংশ হিসেবে গত ৬ মার্চ জগদল বিওপির দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় জরিপ কার্যক্রম পরিচালনা করে প্রায় ১৫ বিঘা ভারতের দখলে থাকা জমি বাংলাদেশের অনুকূলে পাওয়া যায় এবং অপরদিকে প্রায় ৭ দশমিক ৫ বিঘা বাংলাদেশের দখলে থাকা জমি ভারত পায়। এরপর গত ৭ মার্চ বেউরঝাড়ি বিওপির দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় জরিপ কার্যক্রম পরিচালনা করে প্রায় ৭৬ বিঘা ভারতের দখলে থাকা জমি বাংলাদেশের অনুকূলে পাওয়া যায়। অপরদিকে প্রায় ১৬ বিঘা বাংলাদেশের দখলে থাকা জমি ভারত পায়।
     উল্লেখ্য, উক্ত জরিপে বাংলাদেশের প্রাপ্ত জমির পরিমান ৯১ বিঘা এবং ভারতের প্রাপ্ত জমির পরিমান ২৩ দশমিক ৫ বিঘা।
    বাংলাদেশ ও ভারতের সার্ভে বিভাগের যৌথ জরিপের মাধ্যমে প্রাপ্ত বাংলাদেশি জমিগুলো স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমে প্রকৃত মালিকের নিকট হস্তান্তরের লক্ষ্যে ঠাকুরগাঁও ব্যাটালিয়ন (৫০ বিজিবি) এর পক্ষ হতে ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসনের সাথে প্রয়োজনীয় সমন্বয় করা হয়েছে।
    রাণীশংকৈল উপজেলার জগদল সীমান্তবর্তী এলাকার ৭০ বছর বয়সী বৃদ্ধ আনসারুল ইসলাম বলেন, “আমি ছোটকাল থেকেই দেখে আসছি এই জমিগুলো ভারতের অধীনে এবং ভারতের লোকজন এগুলাতে চাষ করে আসছে। কিছুদিন আগেই জমিতে একজন বাংলাদেশি যাওয়ার কারণে তাকে গুলি করে মারা হয়। প্রায় ৭০ বছর পর আমরা জমিগুলো ফিরে পেয়েছি। এতে আমাদের মধ্যে অনেক বেশি আনন্দ-উৎসাহ বিরাজ করছে। আজকে থেকেই জমিগুলো আমরা চাষবাদ করতে পারব এবং এইগুলো বাংলাদেশের জমি, যেগুলো এতদিন ভারতের মানুষ ভোগ করে আসছিল।”
    বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার বেউরঝাড়ি গ্রামের সীমান্তবর্তী বাসিন্দা ফয়সাল বলেন, “এই যে গম ক্ষেত এটা ভারতের। আমি ছোটকাল থেকেই দেখতেছি। আমরা কখনো এই জমিতে যেতে পারি না। এই জমিতে ভারতের লোকজন চাষবাদ করে। আমাদেরকে কখনো যেতে দেয় নাই। এখন শুনতে পেয়েছি যে এই জমি নাকি বাংলাদেশ পেয়েছে। এতে আমাদের এলাকার মধ্যে এক ধরনের আনন্দ উৎসব চলছে। সবার মনে অনেক আনন্দ। এখানে প্রায় ৭৬ বিঘা জমি পেয়েছে বাংলাদেশ। এগুলোতে আমাদের স্থানীয় লোকজন চাষবাদ করতে পারবে। নদী ভাঙতে ভাঙতে বাংলাদেশের দিকে আসছে। এর ফলে নদীর ওইপারে যে জমিগুলো রয়েছে সেগুলো বাংলাদেশের। জমিগুলো ভারত দখল করে নিয়েছিল। এখন বাংলাদেশ বিজিবি এটি উদ্ধার করেছে।”
    ঠাকুরগাঁও ৫০ বিজিবির অধিনায়ক লেঃ কর্নেল তানজীর আহম্মদ বলেন, “আমরা প্রাথমিকভাবে বুঝতে পারি যে এই জমিগুলো বাংলাদেশের এবং জগদল ও বেউরঝাড়ি সীমান্তের কিছু অংশ বাংলাদেশের জমি হিসাবে আমরা ধারণা করি। তারই প্রেক্ষিতে আমরা ভারতের সাথে কথা বলি এবং জরিপ করার জন্য আহ্বান জানাই। তাদেরকে আমরা অনুরোধ করি তারা যেন প্রকৃতপক্ষেই জমির মাপের কাজটি করা হয়। বাংলাদেশ বিজিবি এবং বিএসএফের যৌথ জরিপের মাধ্যমে আমরা এই জমিগুলো পেয়েছি।
  • ঈদে দুস্থদেন জন্য  “আমাদের বাঘা” গ্রুপের ব্যতিক্রমি উদ্যোগ।

    ঈদে দুস্থদেন জন্য  “আমাদের বাঘা” গ্রুপের ব্যতিক্রমি উদ্যোগ।

    বাঘা (রাজশাহী) প্রতিনিধিঃ 
    আমারা চাইলেই বড় স্টেজ করে বক্স নিয়ে বাঘা উপজেলার ৭ টি ইউনিয়ন ও ২টি পৌরসভার দুস্থ ব্যাক্তিদের হাতে এই  “ঈদ ফুড প্যাক” বিতরণ করতে পারতাম। করিনি, কারণ আমরা ধুমধাম চাই না, প্রচার চাই না, প্রসার চাই।
    সেই স্টেজ, বড় বক্স ভাড়ার টাকা দিয়ে ঈদ ফুড প্যাক বিতরণের মাধ্যমে কিছু মানুষের মুখে হাঁসি ফুটাতে পারছি। এইটা যে মনে কত আনন্দ কাজ করে তা বলে বুঝাতে পারবো না। এমনটাই ভাবনার কথা জানান ”আমাদের বাঘা” ফেসবুক গ্রুপের এডমিনরা।
    বিগত ১১ বছর ধরে ’’আমাদের বাঘা’’ ফেসবুক গ্রুপের মাধ্যমে বাঘা  উপজেলায় বিভিন্ন সমাজকল্যাণমূলক কার্যক্রম করে আসচ্ছে। তবে এই ব্যতিক্রম উদ্যোগ  ‘’ঈদ ফুড প্যাক বিতরণ’’   গত ৪ বছর ধরে করছে।
     বিগত বছর গুলোর ন্যায় এই বছরেও রাজশাহীর বাঘা উপজেলার সবচেয়ে বড় অনলাইন কমিউনিটি “আমাদের বাঘা” ফেসবুক গ্রুপ কর্তৃক গৃহীত ঈদ ফুড প্যাক বিতরণ কর্মসূচি সফলভাবে শেষ হয়েছে।
    গ্রুপের সম্মানিত উপদেষ্টামন্ডলী ও গ্রুপের সম্মানিত সকল শুভাকাঙ্ক্ষীদের সার্বিক সহযোগিতায় এবং গ্রুপের পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টার মাধ্যমে বাঘা উপজেলার ৭ টি ইউনিয়ন এবং ২ টি পৌরসভার প্রায় ২৮০ টি পরিবারের হাতে পৌঁছে দিয়েছে এই ঈদ ফুড প্যাক ।
    “উৎসবে-দুর্যোগে, নিঃশ্বাসে-বিশ্বাসে আমাদের বাঘা আপনার পাশে” এই স্লোগানকে ধারণ করে এই ঈদে ঈদ ফুড প্যাক বিতরণ কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয় বাজুবাঘা ইউনিয়নের জোতরাঘব উচ্চ বিদ্যালয়ে।
    সেখানে কিছু সুবিধাবঞ্চিত মানুষের হাতে ঈদ ফুড প্যাক তুলে দেওয়ার পর ইউনিয়ন প্রতিনিধিরা নিজ নিজ ইউনিয়নের বাছাইকৃত অসহায় মানুষদের হাতে হাতে পৌঁছে দিবে বলে প্রতিটি উইনিয়নে ভ্যান যোগে এই ঈদ ফুড প্যাক পাঠানো হয়।
    উপস্থিত এডমিনরা বলেন, গ্রুপের সিনিয়র এডমিন সুমন কুমার কর্মকার সিনিয়র সহকারী জজ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ , মুঞ্জু হাসপাতালের কর্ণধার মিঠুন কুমার, এস আর সাকিব রহমান এবং তুষার আহমেদ উপদেষ্টা মন্ডলী এবং গ্রুপের পরিচালনা পর্ষদের সাথে সমন্বয়ের মাধ্যমে সার্বিক কর্মসূচির মূল্যবান দিকনির্দেশনা দিয়েছেন।