Author: admin

  • দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে শহর সমন্বয় কমিটির বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত।

    দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে শহর সমন্বয় কমিটির বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত।

    দিনাজপুরের ফুলবাড়ী পৌরসভার উদ্যোগে শহর সমন্বয় কমিটির বিশেষ সভা ও ২০২১-২০২২ অর্থ বছরের প্রাক বাজেট আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    বুধবার সকাল ১১টায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে পৌর মেয়র মাহমুদ আলম লিটন এর সভাপতিত্বে পৌরসভা মিলনাতয়নে শহর সমন্বয় কমিটির (টিএলসিসি) এই বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

     আয়োজিত সভায় প্রায় ৮৮ কোটি টাকার খসড়া বাজেট উপস্থাপন করেন পৌর পরিষদের কোষাধ্যক্ষ শেখ সাহার আলী। প্রাক বাজেট আলোচনায় রাজস্ব খাতে ৫ কোটি ৫০ লাখ ১ হাজার ৩৯০ টাকা এবং উন্নয়ন খাতে ৮২ কোটি ৩১ লাখ ৩১ হাজার ৯৬২টাকা আয় নির্ধারণ করে নাগরিক সেবার মান উন্নয়নে বিভিন্ন পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন পৌর মেয়র মাহমুদ আলম লিটন।

    এসময় পৌরসভার সচিব মো: মাহবুবর রহমান,সহকারী প্রকৌশলী মো: লুৎফুল হুদা চৌধুরী লিমন, প্রশাসনিক কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম,প্যানেল মেয়র মো: মামুনুর রশীদ চৌধুরী,পৌর কাউন্সিলর হারান দত্ত,কাউন্সিলর আব্দুল জব্বার মাসুদ, কাউন্সিলর সৈয়দ সামিউল ইসলাম সোহেল সহ পৌর পরিষদের সকল পদস্থ কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ, সাংবাদিক,রাজনৈতিক, সামাজিক ও পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন ।

     

  • উল্লাপাড়ায় আ’লীগের গৌরবময় ৭২ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন।

    উল্লাপাড়ায় আ’লীগের গৌরবময় ৭২ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন।

    সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের উদ্যোগে বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে সারাদেশে ন্যায় আওয়ামিলীগের গৌরবময় ৭২ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করা হয়েছে।

    এ উপলক্ষ্যে বুধবার (২৩ জুন) সকালে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য মধ্য দিয়ে কর্মসুচির উদ্বোধন করেন স্থানীয় সাংসদ তানভীর ইমাম।পরে এইচটি ইমাম পৌর মুক্ত মঞ্চে প্রতিষ্ঠান বার্ষিকীর কেক কর্তন করা হয়।

    উল্লাপাড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ফয়সাল কাদের রুমির সভাপতিত্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।এতে প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন সাংসদ তানভীর ইমাম।

    অন্যান্যর মধ্যে বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফা, পৌর মেয়র ও পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি এস এম নজরুল ইসলাম, সাধারন সম্পাদক এস এম আমিরুল ইসলাম আরজু,ভাইস চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান পান্না প্রমূখ।

  • লক্ষ্মীপুরে এডিবি’র বরাদ্ধে নিয়ে দীঘির বালু লুট বাজার সেট নির্মান বন্ধে মামলা।

    লক্ষ্মীপুরে এডিবি’র বরাদ্ধে নিয়ে দীঘির বালু লুট বাজার সেট নির্মান বন্ধে মামলা।

    লক্ষীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার চন্ডিপুর গ্রামে বকুলতলা বাজার সেট নির্মান করতে এডিবি তিন লক্ষ টাকা বরাদ্ধ নিয়ে প্রভাবশালী ব্যক্তিরা ব্যক্তি মালিকানা দীঘির বালু লুট করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভুক্তভুগি আলমগীর হোসেন স্থানীয় ভাবে কোন প্রতিকার না পেয়ে লক্ষীপুর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ( রামগঞ্জ) আদালতে মিছ মামলা দায়ের করেছে।

    মামলার এজাহার সুত্রে জানায়,উপজেলার ৫২ নং চন্ডিপুর মৌজার আর.এস ৩০৯১ ও ১০০০নং খতিয়ান এবং ৯৫৬ দলিল মুলে ব্যক্তি মালিকানা দীঘির ১.৫৪ একর ভুমির মালিক আলমগীর হোসেন গং। স্থানীয় প্রভাবশালী মহল দীঘ্র কয়েক মাস যাবত দীঘির বালু লুট করার পায়তানা করে। মামলার বাদি আলমগীর হোসেন বলেন,অধিকাংশ মালিকদের ম্যানেজ করতে না পেয়ে প্রবাসী জাকির হোসেন ও তার ভাই মনির হোসেনকে মোটা অংকের টাকা দিয়ে ম্যানেজ করে ড্রেজিং মেশিন দিয়ে কয়েক দিন যাবত রাত-দিন বালু উত্তোলন করে।

    এতে বাধা দিলে প্রাননাশের হুমকি-ধমকি প্রদান করে প্রভাবশালী মহল। বাধ্য হয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেছি। এব্যাপারে অভিযুক্ত প্রবাসী জাকির হোসেনের স্ত্রী জাহানারা বেগম বলেন,আমার স্বামী বিদেশ রয়েছে। স্থানীয় ফয়েজ ও ফারুক সহ কয়েকজন ব্যক্তি বকুলতলা বাজারে সেট নিমার্নের উদ্যোগ নেয়।

    গ্রামে ভালো মানের কোন বাজার না থাকায় আমার স্বামীর নামে লিজ থাকায় সম্পত্তি ও দীঘির বালু উত্তোলন করতে দেয়। চন্ডিপুর ইউনিয়ন ভুমি কর্মকর্তা হারুনুর রশিদ এসে বালু উত্তোলন বন্ধ রাখতে জানিয়ে গেছে।

    স্থানীয় ফয়েজ আহমেদ বলেন,বাজার সেট নির্মান কিংবা বালু উত্তোলনের বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। চন্ডিপুর ইউনিয়ন ভুমি কর্মকর্তা হারুনুর রশিদ বলেন,দীঘির পাড়ে বসবাড়ি এবং সরকারী পাকা সড়ক রয়েছে। ড্রেজিং দিয়ে বালু উত্তোলনে সড়ক ক্ষতি হতে পারে।

    তাছাড়া বালু উত্তোলন সংক্রান্ত আদালতে মামলা দায়ের হয়েছে। চন্ডিপুর ইউপি চেয়ারম্যান কামাল হোসেন ভুইয়া বলেন,বকুলতলা বাজারে সেট নির্মানে উপজেলা পরিষদ থেকে এডিবি ২০২০-২১ অর্থ বছরে তিন লক্ষ টাকা বরাদ্ধ হয়েছে।

    বাজার কমিটি সম্পত্তি দিলে সেট নির্মান হবে। দীঘির বালু উত্তোলন কে বা কারা করছে তা জানি না।

  • শাহজাদপুর প্রেস ক্লাবের দ্বি-তল ভবনের কাজ উদ্বোধন করলেন-এমপি স্বপন।

    শাহজাদপুর প্রেস ক্লাবের দ্বি-তল ভবনের কাজ উদ্বোধন করলেন-এমপি স্বপন।

    সিরাজগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী শাহজাদপুর প্রেস ক্লাবের দ্বি-তল ভবনের কাজ উদ্বোধন করেছেন শাহজাদপুরের মাটি ও মানুষের নেতা, সাবেক শিল্প-উপমন্ত্রী, বীরমুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব হাসিবুর রহমান স্বপন এমপি।

    বুধবার (২৩ জুন) বেলা ১১ টায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ফলক উম্মোচনের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রেস ক্লাবের দ্বি-তল ভবন উদ্বোধন করেন করেন স্থানীয় এমপি আলহাজ্ব হাসিবুর রহমান স্বপন।

    এ উপলক্ষে শাহজাদপুর প্রেস ক্লাবের নবনির্মিত দ্বি-তল ভবন হলরুমে প্রেস ক্লাবের সভাপতি বিমল কুন্ডুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, শাহজাদপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান প্রফেসর আজাদ রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মুস্তাক আহমেদ, উপজেলা আ.লীগের যুগ্ম-সাধারন সম্পাদক সাইফুল ইসলাম,প্যানেল মেয়র তৌহিদুর রহমান এ্যাপোলো, থানার অফিসার ইনচার্জ শাহিদ মাহমুদ খান প্রমূখ। এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রেস ক্লাবের সাধারন সম্পাদক শফিকুজ্জামান শফি ও সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন সিনিয়র সহ-সভাপতি আবুল কাশেম এবং উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক আশিকুল হক দিনার প্রমুখ।

    প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্থানীয় এমপি আলহাজ্ব হাসিবুর রহমান স্বপন উপস্থিত গণমাধ্যমকর্মীদের বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশের আহবান জানিয়ে বলেন, ‘প্রেস ক্লাবের উন্নয়নে সব ধরনের সহযোগীতা প্রদান করা হবে এবং শাহজাদপুরের সাংবাদিকবৃন্দ যাতে প্রধানমন্ত্রীর তরফ থেকে বিশেষ অর্থ সহায়তা পান তার ব্যবস্থা করা হবে।

    উক্ত অনুষ্ঠানে শাহজাদপুরে কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দসহ সুধীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

  • আজ ২৩ জুন ঐতিহাসিক পলাশী ট্রাজেডি দিবস।

    আজ ২৩ জুন ঐতিহাসিক পলাশী ট্রাজেডি দিবস।

    বাঙালি জীবনের ইতিহাসে যেমন আছে আলো ঝলমল অধ্যায় তেমনি আছে অন্ধকারাচ্ছন্ন অধ্যায়। আলো আর অন্ধকারেই বাঙালির হাজার বছরের ইতিহাস।২৩ জুন পলাশী ট্র্যাজেডি দিবস। বাঙ্গালীর ইতিহাসের এক কালো অধ্যায়।

    ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেওয়ার দিন। এ দিনটিতে বাংলার স্বাধীনতার সূর্য অস্তমিত হয়েছিল মীর জাফর আর ঘষেটি বেগমের প্রেতত্নাদের ষড়যন্ত্রে।

    ২৩ জুন ১৭৫৭। বাংলার রাজধানী মুর্শিদাবাদের অদূরে পলাশী নামক গ্রামের প্রান্তরে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির কর্নেল রবার্ট ক্লাইভের সেনাবাহিনী ও বাংলা-বিহার-উড়িষ্যার নবাব সিরাজদৌল্লার বাহিনী একে অন্যের মুখোমুখি অবস্থান নেয়।

    সকাল নয়টায় যুদ্ধ শুরু, বিকেল চারটার মধ্যেই যুদ্ধ শেষ হয়। এ যুদ্ধের আপাতত ফলাফল ক্লাইভের জয়, সিরাজদ্দৌলার পরাজয়। পলাশী নামক স্থানে যে যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল তাই পলাশীর যুদ্ধ নামে পরিচিত।

    বিখ্যাত পর্তুগিজ ঐতিহাসিক বাকসার পলাশীর যুদ্ধকে গুরুত্বের দিক থেকে পৃথিবীর সেরা যুদ্ধগুলোর অন্যতম মনে করেন।

    ইতিহাস পাঠে জানা যায়, ১৭৫৭ সালের ২৩ জুন এক প্রাসাদ ষড়যন্ত্রে যুদ্ধের প্রহসন হয়েছিল ভাগীরথী নদী তীরে পলাশীর আমবাগানে।

    পলাশী যুদ্ধের ওপর বিভিন্ন গ্রন্থ, প্রবন্ধ ও নিবন্ধ থেকে জানা যায়, ষোল শতকের শেষের দিকে ওলন্দাজ, পর্তুগীজ ও ইংরেজদের প্রাচ্যে ব্যাপক বাণিজ্যের প্রসার ঘটে। এক পর্যায়ে ইংরেজরা হয়ে যায় অগ্রগামী। এদিকে বাংলার সুবাদার-দিওয়ানরাও ইংরেজদের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তোলেন। ১৭১৯ সালে মুর্শিদকুলী খাঁ বাংলার সুবাদার নিযুক্ত হন। তার মৃত্যুর পর ওই বছরই সুজাউদ্দিন খাঁ বাংলা-বিহার-উড়িষ্যার সিংহাসন লাভ করেন। এই ধারাবাহিকতায় আলীবর্দী খাঁর পর ১৭৫৬ সালের ১০ এপ্রিল সিরাজউদ্দৌলা বাংলা-বিহার-উড়িষ্যার সিংহাসনে আসীন হন। তখন তার বয়স মাত্র ২২ বছর। তরুণ নবাবের সঙ্গে ইংরেজদের বিভিন্ন কারণে দ্বন্ধের সৃষ্টি হয়। এছাড়া রাজ সিংহাসনের জন্য লালায়িত ছিলেন বিশ্বস্ত অনুচর মীর জাফর ও খালা ঘষেটি বেগম। ইংরেজদের সঙ্গে তারা যোগাযোগ স্থাপন ও কার্যকর করে নবাবের বিরুদ্ধে নীলনকশা পাকাপোক্ত করে।

    দিন যতই গড়াচ্ছিল এ ভূখণ্ডের আকাশে ততই কালো মেঘ ঘনীভূত হচ্ছিল। নবাব বুঝতে পারলেন, সেনাপতিরাও এই ষড়যন্ত্রে শামিল।

    বিদ্রোহের আভাস পেয়ে সিরাজ মিরজাফরকে বন্দি করার চিন্তা বাদ দিলেন। তিনি মিরজাফরকে ক্ষমা করে তাকে শপথ নিতে বললেন। মিরজাফর পবিত্র কুরআন স্পর্শ করে অঙ্গীকার করলেন যে, তিনি শরীরের একবিন্দু রক্ত থাকতেও বাংলার স্বাধীনতাকে ক্ষুণ্ন হতে দেবেন না। গৃহবিবাদের মীমাংসা করে তিনি রায়দুর্লভ, ইয়ার লতিফ, মিরজাফর, মিরমদন, মোহনলাল ও ফরাসি সেনাপতি সিনফ্রেঁকে সৈন্য চালানোর দায়িত্ব দিয়ে তাদের সঙ্গে যুদ্ধযাত্রা শুরু করলেন।

    ২৩ জুন সকাল থেকেই পলাশীর প্রান্তরে ইংরেজরা মুখোমুখি যুদ্ধে অবতীর্ণ হওয়ার জন্য প্রস্তুত হলো। ১৭৫৭ সালের ২২ জুন মধ্যরাতে রবার্ট ক্লাইভ কলকাতা থেকে তাঁর বাহিনী নিয়ে পলাশী মৌজার লক্ষ্মবাগ নামে আম্রকাননে এসে তাঁবু গাড়েন। বাগানের উত্তর-পশ্চিম দিকে গঙ্গা নদী। এর উত্তর-পূর্ব দিকে দুই বর্গমাইলব্যাপী আম্রকানন। বেলা নয়টায় হঠাৎ করেই মিরমদন ইংরেজবাহিনীকে আক্রমণ করেন। তাঁর প্রবল আক্রমণে টিকতে না পেরে ক্লাইভ তার সেনাবাহিনী নিয়ে আমবাগানে আশ্রয় নেন। ক্লাইভ কিছুটা বিচলিত হয়ে পড়েন। মিরমদন ধীরে ধীরে অগ্রসর হচ্ছিলেন। কিন্তু মিরজাফর, ইয়ার লতিফ, রায়দুর্লভ যেখানে সৈন্যসমাবেশ করেছিলেন সেখানেই নিস্পৃহভাবে দাঁড়িয়ে থাকলেন। তাদের সামান্য সহায়তা পেলেও হয়ত মিরমদন ইংরেজদের পরাজয় বরণ করতে বাধ্য করতে পারতেন। দুপুরের দিকে হঠাৎ বৃষ্টি নামলে সিরাজদ্দৌলার গোলা বারুদ ভিজে যায়। তবুও সাহসী মিরমদন ইংরেজদের সাথে লড়াই চালিয়ে যেতে লাগলেন। কিন্তু হঠাৎ করেই গোলার আঘাতে মিরমদন মৃত্যুবরণ করেন।

    গোলান্দাজ বাহিনীর প্রধান নিহত হওয়ার পর সিরাজদ্দৌলা মীরজাফর ও রায় দুর্লভকে তাঁদের অশ্বারোহী বাহিনী নিয়ে তীব্র বেগে অগ্রসর হতে নির্দেশ দেন। কিন্তু উভয় সেনাপতি তাঁর নির্দেশ অমান্য করলেন। তাঁদের যুক্তি হলো গোলন্দাজ বাহিনীর আশ্রয় ছাড়া অগ্রসর হওয়া আত্মঘাতী ব্যাপার। কিন্তু কোম্পানি ও নবাবের বাহিনীর মধ্যে তখন দূরত্ব মাত্র কয়েক শথ গজ। বিকেল পাঁচটায় সিরাজদ্দৌলা বাহিনী নির্দেশনার অভাবে এবং ইংরেজ বাহিনীর গোলন্দাজি অগ্রসরতার মুখে যুদ্ধ বিরতি ঘোষণা করেন অর্থাৎ পরাজয় স্বীকার করেন। সেদিন তরুণ নবাব সিরাজউদ্দৌলা পরাজিত হওয়ার মাধ্যমে বাংলার স্বাধীনতা সূর্য অস্তমিত হয়। এ পরাজয়ের মাধ্যমে ভারতবর্ষে ইংরেজ শাসন প্রতিষ্ঠার পথ সূচিত হয়। সেই সাথে বাংলার স্বাধীনতার লাল সূর্য পৌনে দুদশ বছরের জন্য অস্তমিত হয়।

    ইতিহাস থেকে দেখা যায়, নবাব সিরাজের সঙ্গে, দেশের সঙ্গে যারা বিশ্বাসঘাতকতা করেছিল, ইতিহাস তাঁদের কাউকেই ক্ষমা করেনি, চক্রান্তকারীদের ভোগ করতে হয়েছে মর্মান্তিক পরিণতি। তাঁদের করুণ পতন ঘটেছে।

    ২৩ জুন আমাদের জাতীয় জীবনে যেমন এক কলঙ্কের দিন, তেমনি তা এক শিক্ষণীয় দিবসও বটে। বাংলার ইতিহাসে এই পলাশী অধ্যায় যেমন ন্যক্কারজনক হৃদয়বিদারক ঘটনা, তেমনি আমাদের জাতীয় জীবনে এর মাশুল দিতে হয়েছে দীর্ঘ ২০০ বছরের গোলামির জিঞ্জির। ২৩ জুনের পলাশীর ইতিহাস, কিছু বিশ্বাসঘাতক চক্রান্তকারীর যোগসাজশে দেশের স্বাধীনতা বিদেশি বেনিয়াদের হাতে তুলে দেওয়ার ইতিহাস। ২৩ জুনের ইতিহাস প্রকৃত সোনার বাংলাকে শ্মশানে পরিণত করার ইতিহাস।

    পরিশেষে একটা কথাই বলতে হয়, স্বাধীনতা দেশের সবচেয়ে বড় সম্পদ। দেশপ্রেম দেশের সবচেয়ে বড় আমানত। এই সত্যটা জীবনের প্রতিটা ক্ষেত্রে প্রত্যেক নাগরিককে আমাদের সর্বদাই মনে রাখতে হবে। প্রত্যেকে প্রত্যেকের অবস্থান থেকে দেশকে ভালোবাসতে হবে।

    লেখকঃ-
    মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন।

    দৈনিক জনসংগ্রাম পত্রিকা
    প্রকাশক ও সম্পাদক।

    ইকরামুল মুসলিম ফান্ডেশন
    শ্রীমঙ্গল উপজেলা সহ সভাপতি।

    বাংলাদেশ প্রেসক্লাব
    শ্রীমঙ্গল উপজেলা সাধারণ সম্পাদক।

  • সিরাজগঞ্জের তাড়াশে আওয়ামীলীগের ৭২ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন।

    সিরাজগঞ্জের তাড়াশে আওয়ামীলীগের ৭২ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন।

    সারাদেশের ন্যায় সিরাজগঞ্জের তাড়াশে আওয়ামীলীগের ৭২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করা হয়েছে। ২৩ জুন বুধবার সকালে উপজেলা আওয়ামীলীগের উদ্যোগে দলীয় কার্যালয়ে দলের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জিত কর্মকারের সভাপতিত্বে এ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করা হয়।

    সংগ্রাম ও অর্জনের গৌরবময় পথ চলায়,দুর্বিপাকে ও দুর্যোগে আওয়ামীলীগ সর্বদা মানুষের পাশে থাকার প্রত্যয় নিয়ে আওয়ামীলীগের ৭২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্যবৃন্দ, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক কমিটির সকল সদস্যবৃন্দ, মহিলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক,ইউপি আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক,যুবলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক,জাতীর শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধাগন,

    স্বেচ্ছাসেবকলীগসহ দলের অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের সকল নেতৃবৃন্দ। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন উপজেলা আওয়ামীলীগের নেতা মোজাম্মেল হক মাসুদ।

     

  • কালীগঞ্জে এসেন্ড প্রজেক্ট ইউকেএইডের অর্থায়নে গোদ রোগের ঔষধ বিতরণ।

    কালীগঞ্জে এসেন্ড প্রজেক্ট ইউকেএইডের অর্থায়নে গোদ রোগের ঔষধ বিতরণ।

    (২৩ জুন) বুধবার গোপালরায় পঞ্চপথি কমিউনিটি ক্লিনিক এ জাতীয় ফাইলেরিয়াসিস কর্মসূচীতে আইসিডিডিআর,সি এর বাস্তবায়নে ফাইলেরিয়া (গোদ) রোগের ঔষধ বিতরণ করা হয়।

    গোদ রোগে সঠিক উপায়ে যত্ন নিলে বিকলাঙ্গতা থেকে মুক্তি মেলে এই স্লো গানে এসেন্ড প্রজেক্ট ইউকেএইড এর অর্থায়নে ফাইলেরিয়াসিস (গোদ) রোগের ঔষধ বিতরণ করা হয়।

    বিতরণের সময় উপস্থিত ছিলেন ৮নং কাকিনা ইউ পি এর সদস্য জনাব আতাউজ্জামান রঞ্জু। এলাকার সকল ফাইলেরিয়াসিস (গোদ) রোগে আক্রান্ত সকল রোগিদের মাঝে এ ঔষধের একটি করে প্যাকেজ বিতরণ করা হয়, যাতে ছিলো আক্রান্ত স্থানে ব্যবহার করার জন্য ক্রিম, ধৌত করার জন্য স্যাভলন সাবান, পরিস্কারের জন্য বিভিন্ন ঔষধ তোয়ালে সহ খাওয়ার ঔষধ প্রদান করা হয়।

    ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ জানান ঔষধ শেষ হলে পুনরায় আবার ঔষধ দেওয়া হবে, বিতরনকৃত ঔষধ সঠিক নিয়মে ব্যবহার করলে ফাইলেরিয়া (গোদ) রোগ নির্মূল করা সম্ভব।

    ঔষধ বিতরণ শেষে রোগীদের বুঝিয়ে দেওয়া হয় কিভাবে তারা এ ঔষধ ব্যবহার বা সেবন করবেন। এবং পরবর্তী ঔষধ প্রদানের সময় পর্যন্ত নিয়ম মেনে যেন তারা এ ঔষধ ব্যবহার করেন তার পরামর্শ দেন।

  • রাজশাহীর তানোর বাধাইড় ইউপিতে উন্নয়নের জোয়ার চেয়ারম্যান আতাউর রহমান।

    রাজশাহীর তানোর বাধাইড় ইউপিতে উন্নয়নের জোয়ার চেয়ারম্যান আতাউর রহমান।

    রাজশাহীর তানোর উপজেলার বাধাইড় ইউপির মাত্র পাঁচ বছরে জনসাধারণের জীবন মানোন্নয়ন ঘটাতে সক্ষম হয়েছেন তরুণ চেয়ারম্যান আতাউর রহমান।

    চেয়ারম্যান আতাউর রহমান একমাত্র ব্যক্তি যে খুব অল্প সময়ের মধ্যে অবহেলিত নিপিড়ীত ইউপি বাসীর জীবন মানোন্নয়নে দেয়া প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করতে সক্ষম হয়েছে। বাধাইড় ইউনিয়ন পরিষদে অতীতে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির একাধিক চেয়ারম্যান আশা যাওয়া করলেও তাঁরা তেমন কোন ইউপি বাসীর মানোন্নয়ন করতে পারেনি। বাধাইড় ইউনিয়ন একটি খরা প্রবণ এলাকা।

    এই ইউনিয়নের প্রধান সমস্যা ছিলো পানি। এখানে পানির জন্য একপ্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে লাইন ধরে যেতে হতো পানি নিতে। এমনকি অনেকে পুকুরের পানি ফুটিয়ে রান্না বান্না, গোসল ও খাওয়ার জন্য ব্যবহার করতো। যা বর্তমানে নিরসন হয়েছে।

    জানা গেছে, বাধাইড় ইউপির তরুণ চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান আওয়ামী লীগ দলীয় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে তার ইউপি বাসীর জন্য দিনরাত স্থানীয় সাংসদ ওমর ফারুক চৌধুরীর দিকনির্দেশনা অনুযায়ী নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে আজ বাধাইড় ইউনিয়ন পরিষদকে একটি মডেল ইউনিয়ন পরিষদ হিসেবে গড়ে তুলেছেন চেয়ারম্যান আতাউর রহমান।

    বাধাইড় ইউপির বেশ কয়েকটি গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে, যেসব গ্রামে একসময় পানির তীব্র সংকট ছিলো সেইসব গ্রামে এখন দু’চারটা বাড়ি পরপর পানির মটার পাম্প স্থাপন করে দিয়েছেন চেয়ারম্যান আতাউর রহমান। ফলে বাধাইড় ইউপিতে এখন আর খরা মৌসুমে পানির জন্য আহাকার করতে হয়না ইউপি বাসীকে। শুধু পানির সমস্যা নিরসন না পাশাপাশি করেছেন পাড়া মহল্লার ভিতরে যাতায়াতের ছোট বড় কাঁচা রাস্তা গুলো ইট সলিং সহ হেরিংবন্ড রাস্তা নির্মান।

    জলবায়ু নিষ্কাশনের জন্য রাস্তার পাশ দিয়ে করা হয়েছে ডেন কালভার্টের ব্যবস্থা এবং বিদ্যুৎ ঘরে ঘরে হয়েছে শতভাগ।

    এতে করে খুব অল্প সময়ের মধ্যে প্রথম বারের তরুণ চেয়ারম্যান আতাউর রহমানের উন্নয়ন মূলক কাজ দেখে ব্যাপক সস্তি পেয়েছে ইউপি বাসী। বাধাইড় ইউপির বেশ কয়েকজন বলেন, যে জনপ্রতিনিধিকে রাত-দিন বিপদে পড়লে ফোন বা বাসায় গিয়ে ডাকা মাত্র ছুটে আসেন বিপদ থেকে উদ্ধার করতে। সেইতো প্রকৃত জনপ্রতিনিধি।

    যেমন চেয়ারম্যান আতাউর রহমান একমাত্র ব্যাক্তি যে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে এক আঁধারে ইউপি বাসীর পাশে থেকে এখন পর্যন্ত জনসাধারণের সেবা করে চলেছেন। চেয়ারম্যান আতাউর রহমান বলেন, আমি ইউপি বাসীর ভালোবাসায় এই চেয়ারে বসে সেবা করার সুযোগ পেয়েছি। যতদিন বেঁচে থাকবো ততদিন ইউপি বাসীর পাশে থেকে তাদের সেবা করে যাবো।

    যদি ইউপি বাসীর পাশে থেকে তাদের সেবাই না করতে পারি তাহলে আমি কিসের জনপ্রতিনিধি। আমি প্রতিনিয়ত আমাদের এমপি ওমর ফারুক চৌধুরীর দিকনির্দেশনায় ইউপির উন্নয়নে এগিয়ে যেতে চাই বলে জানান তিনি।

  • রায়গঞ্জে গণস্বাস্থ্য সেবা সুরক্ষা এ্যাওয়ার্ড পেলেন ইউপি চেয়ারম্যান মাসুম।

    রায়গঞ্জে গণস্বাস্থ্য সেবা সুরক্ষা এ্যাওয়ার্ড পেলেন ইউপি চেয়ারম্যান মাসুম।

    সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে “বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন পরিষদচ্ কর্তৃক বাংলাদেশ গণস্বাস্থ্য সেবা সুরক্ষা এ্যাওয়ার্ড-২০২১ ও সম্মাননা সনদপত্র পেলে ৬নং ধানগড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও ধানগড়া ইউনিয়ন আ:লীগের সাধারণ সম্পাদক মীর ওবায়দুল ইসলাম মাসুম।

    মহামারি করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় গণস্বাস্থ্য সেবা সুরক্ষা এবং সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধিতে বিশেষ অবদান রাখায় তাকে এ সম্মাননা প্রদান করা হয়।

    গত ৯ জুন ২০২১ তারিখে বাংলাদেশ জাতীয় যাদুঘর, প্রধান মিলনায়তন,শাহবাগ, ঢাকায় এই এ্যাওয়ার্ড তার হাতে তুলে দেয়া হয়। এক প্রশ্নের উত্তরে ইউপি চেয়ারম্যান মীর ওবায়দুল ইসলাম মাসুম বলেন, শুধু গণস্বাস্থ্য সেবা সুরক্ষা এ্যাওয়ার্ড নয়, ইউনিয়ন বাসীর সার্বিক উন্নয়নে কাজ করার জন্য আমি বঙ্গবীর জেনারেল ওসমানী স্মৃতি পদক-
    ২০১৬, মহান বিজয় সম্মাননা পদক-২০১৬, সত্যজিৎ রায় সম্মাননা পদক-২০১৬, মানবাধিকার শান্তি পদক-২০১৬ এবং পরিকল্পিত পরিবার, সুরক্ষিত মানবাধিকার থেকে শ্রেষ্ঠ ইউনিয়ন পরিষদ পুরস্কার লাভ করেছি।

    আমার এই অর্জন সকল ইউনিয়নবাসীর, আমার একার জন্য নয়। আমি আমার চিন্তা শক্তি ও মেধা শক্তি কে কাজে লাগিয়ে পিছিয়ে পড়া সাধারণ মানুষের ভাগ্য কিভাবে উন্নয়ন করা যায়, সে লক্ষে কাজ করে যাচ্ছি।

  • সিরাজগঞ্জে ডিবি পুলিশের হাতে ২ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার।

    সিরাজগঞ্জে ডিবি পুলিশের হাতে ২ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার।

    সিরাজগঞ্জ জেলা গোয়েন্দা শাখা ( ডিবি পুলিশ) ১’শ পিচ ইয়াবা ট্যাবলেট ও ১’শ ৫০ গ্রাম গাঁজা সহ ২ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে ।
    মঙ্গলবার (২২জুন) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে সদর উপজেলার খোকসাবাড়ী ইউনিয়নের চর শৈলাবাড়ী গ্রাম হতে মাদকব্যবসায়ী (১) মোঃ মারুফ মন্ডল (২৮) -পিতা মোঃ শাহজামাল, সাং-ঘোড়াচরা, সিরাজগঞ্জ সদর থানা, সিরাজগঞ্জ। (২) কামরুল হাসান শুভ (৩২)পিতা -এস,এম,কামাল হোসেন, -সাং – চক মোহনবাড়ী, থানা-রায়গঞ্জ, সিরাজগঞ্জ। উক্ত আসামী ২ জনকে জেলা গোয়েন্দা শাখার( ডিবিপুলিশ) পৃথক অভিযানে -এস,আই -মোঃআরিফুল ইসলাম এবং তার সঙ্গীয় অফিসার ফোর্সদের সহায়তায় -মাদক কারবারি আসামীদের কাছ থেকেন ১০০ (একশত) পিচ ইয়াবা ট্যাবলেট ও ১৫০ গ্রাম গাঁজা সহ আটক করেন ।

    এ সংক্রান্তে সিরাজগঞ্জ থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা রুজু হয়েছে।