Author: admin

  • ঢাকার সাভারে আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষার মতবিনিময় সভা।

    ঢাকার সাভারে আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষার মতবিনিময় সভা।

    ঢাকা জেলা সাভারে আইন শৃংখলায় রক্ষায় সৎ ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করায় বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যদের সাথে মত বিনিময় সভা করে বিশেষ পুরুস্কার দেওয়া হয়েছে।

    শুক্রবার ( ২৫ জুন ) সকালে সাভার উপজেলা পরিষদদের হলরুমে সাভার উপজেলা আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর উদ্যোগে এ আলোচনা সভা ও পুরুস্কার বিতরণ করার আয়োজন করা হয়।

    এতে সাভারে বিভিন্ন ব্যক্তি মালিকানী ও সরকারি প্রতিষ্ঠানে দায়িত্বরত নারী ও পুরুষসহ কয়েক’শ আনসার ভিডিপি সদস্য যোগদান করেন।

    প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন – ঢাকা জেলা আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর জেলা কমান্ড্যান্ট পিভিএমএস আফজাল হোসেন।

    আলোচনা সভা শেষে আইন শৃংখলা রক্ষায় বিশেষ অবদান রাখার আনসার সদস্যদের সেলাই মেশিন, বাইসাইকেলসহ নানা পুরুস্কার দেওয়া হয়।

    সাভার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও মাজহারুল ইসলামের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় এসময় সাভার উপজেলা কৃষি অফিসার নাজিয়াত আহমেদ, সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাজী মাইনুল ইসলামসহ আরো অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।

  • ভয়ঙ্কর ‘বিবাহ’প্রতারণার ফাঁদ,চট্টগ্রামে আটক স্বামী-স্ত্রী।

    ভয়ঙ্কর ‘বিবাহ’প্রতারণার ফাঁদ,চট্টগ্রামে আটক স্বামী-স্ত্রী।

    চট্টগ্রামে ঘটক ও পাত্রী সেজে অসংখ্য মানুষকে প্রতারণার ফাঁদে ফেলার অভিযোগে দুই নারীপুরুষকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ (২৪ জুন) ভোর রাতে চট্টগ্রামের সহকারী পুলিশ সুপার (রাউজান রাঙ্গুনিয়া সার্কেল) মোঃ আনোয়ার হোসেন শামীম’র নেতৃত্বে জেলার রাউজান উপজেলাধীন গচ্ছি নয়া হাট এলাকায় ঝটিকা অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করা হয়।

    সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, রাউজান উপজেলার গচ্ছি নিবাসী মৃত মাওলানা মোঃ হারুন-এর পুত্র ওকার উদ্দিন ওরফে আরিফ (৩৬) এবং তার স্ত্রী সেলিনা আক্তার ওরফে শিরিন আক্তার ওরফে শেলি (৩২)সহ একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্র দীর্ঘ দিন ধরে বিভিন্ন ধনাঢ্য ব্যক্তিকে টার্গেট করে সুন্দরী মেয়ে বিয়ে করানোর প্রলোভন দেখিয়ে তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন কৌশলে বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছিল। একজন প্রবাসী ভিক্টিম এই চক্রের কাছে প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ টাকা হারানোর পর গত ১৬ জুন এ বিষয়ে রাউজান থানায় একটি মামলা দায়ের করে। সে অনুযায়ী আজ ভোরে অভিযুক্ত চক্রের মূল হোতা স্বামী-স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। মধ্যরাত হতে ভোর পর্যন্ত টানা এ পুলিশি অভিযানে মোবাইল ডিভাইসসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় অনুসন্ধান চালিয়ে তাদের বিপুল প্রতারণার তথ্যপ্রমাণও সংগ্রহ করা হয়। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন এসআই শাহাদাত এবং এসআই অনুপমসহ রাউজান থানা পুলিশের একটি টিম।

    গ্রেপ্তারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বামী-স্ত্রী দুইজনই নিজেদের প্রতারণার কথা স্বীকার করে নেয়। এসময় উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তাদের জিজ্ঞাসাবাদে তারা তাদের প্রতারণার অভিনব কৌশলের কথাও প্রকাশ করেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী প্রথমে স্বামী ওকার উদ্দিন তার এক সহযোগীকে নিয়ে বিভিন্ন এলাকায় ঘুরেঘুরে ডিভোর্সড বা স্ত্রী মারা গেছে এমন বিত্তশালী মানুষ, বিশেষ করে বিদেশ ফেরত ও ধনাঢ্য মধ্যবয়সী ব্যক্তিদের টার্গেট করতেন।

    তারপর কৌশলে তাদের সাথে পরিচিত হয়ে ঘনিষ্টতার একপর্যায়ে টার্গেট ব্যক্তিদেরকে জানাতেন যে, তাদের হাতে সুন্দরী ও বড়লোক বাবার মেয়ে পাত্রীর সন্ধান রয়েছে এবং চাইলে তারা পাত্রী দেখানো এবং বিয়ের উদ্যোগ নিতে পারেন। টার্গেট রাজি হলে প্রতারকেরা তাদেরকে বিভিন্ন এলাকায় নিয়ে গিয়ে বেশকিছু পাত্রী দেখাতেন এবং কৌশলে জেনে নিতেন কোন পাত্রীকে সবচেয়ে বেশি পছন্দ হয়েছে।

    কয়েকদিনের মধ্যেই টার্গেটের মোবাইলে সেই পছন্দকৃত পাত্রীর পরিচয় দিয়ে কল করতেন প্রতারক চক্রের সদস্য সেলিনা (ওকার উদ্দিনের স্ত্রী)। দুয়েকদিন অন্তরঙ্গ কথা চালিয়ে যাওয়ার পর বলতেন, তিনি তার মায়ের মোবাইল থেকে কথা বলেন, তাই সবসময় কথা বলা সম্ভব হয় না এবং জরুরিভিত্তিতে তার একটি মোবাইল ফোন কেনা প্রয়োজন। কয়েকদিন পর বলতেন যে, তিনি অসুস্থ, ডাক্তারের কাছে যেতে হবে, বিভিন্ন ব্যয়বহুল টেস্ট করতে হবে, টাকা দরকার। এভাবে বিভিন্ন অজুহাতে বিপুল টাকা হাতিয়ে নেওয়ার পাশাপাশি দুজনের অন্তরঙ্গ আলাপ রেকর্ডও করে রাখা হতো। অনেকবার এভাবে টাকা দেওয়ার পর ভিকটিমরা যখন বুঝতে পারতো যে সে প্রতারিত হয়েছে, তখন তাদেরকে হুমকি দেওয়া হত যে, যদি তারা এই বিষয়ে পুলিশ কিংবা অন্য কাউকে কিছু বলে, তাহলে তার আত্মীয়স্বজনের কাছে রেকর্ডকৃত অন্তরঙ্গ কথোপকথন পাঠিয়ে দেওয়া হবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখকে ফাঁকি দেওয়ার জন্য তারা মোবাইল কলের বদলে অনলাইনভিত্তিক বিভিন্ন অ্যাপের মাধ্যমে যাবতীয় যোগাযোগ ও আলাপচারিতা সম্পন্ন করতেন।

    পুলিশ সূত্রে জানা যায়, প্রতারক চক্রের মূল হোতা ওকার উদ্দিন নিজেও ২০০১ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত দীর্ঘ দিন দুবাই প্রবাসী ছিলেন। কিন্তু তাতেও ভাগ্য ফেরাতে ব্যর্থ হয়ে ২০১৪ তে দেশে ফিরে চট্টগ্রামের বোয়ালখালির মেয়ে সেলিনা আক্তারকে বিয়ে করে স্বামী-স্ত্রী এবং অন্য কয়েকজন সহযোগীকে সঙ্গে নিয়ে গড়ে তোলেন অভিনব এই প্রতারণার ফাঁদ।

    এ প্রসঙ্গে অভিযানের নেতৃত্বে থাকা চট্টগ্রামের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মোঃ আনোয়ার হোসেন শামীম বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই আমরা এই চক্রটির গতিবিধি মনিটর করে আসছিলাম। সম্প্রতি এ বিষয়ে একটি মামলা হওয়ার পর গতকাল রাতে অভিযান চালিয়ে আমরা অভিযুক্ত স্বামীস্ত্রীকে গ্রেপ্তার করি। এই চক্রে জড়িত অন্যান্যদেরকেও অতি শীঘ্র আইনের আওতায় আনা হবে।

  • ঢাকার সাভার মডেল থানা বিট নং-২ এর শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠান।

    ঢাকার সাভার মডেল থানা বিট নং-২ এর শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠান।

    পুলিশ জনতার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক নিয়ে এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ। সাভার মডেল থানার আয়োজনে উঠান বৈঠক বিট পুলিশ নং -২ সাভার পৌরসভা ২ নং ওয়ার্ডে অনুষ্ঠিত হয়।

    উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন – জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শের সৈনিক মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আস্থা ভাজন রাজ পথের লড়াকু যোদ্ধা সাভার পৌর আওয়ামীলীগের সর্বস্তরের নেতা কর্মিদের প্রিয় ব্যক্তিত্ব সাভার পৌরবাসীর অত্যন্ত আস্থা ভাজন প্রিয় মানুষ সুযোগ্য অভিভাবক সাভার পৌরসভার প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাম মানিক মোল্লা।

    প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন – সাভার পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাভার পৌরসভার মেয়র জনাব জনাব হাজী আব্দুল গণি।

    বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন – সাভার মডেল থানার সম্মানিত অফিসার ইনচার্জ জনাব কাজী মাইনুল ইসলাম পিপি এম।

    উক্ত অনুষ্ঠানে বিট পুলিশিং এবং এর কার্যক্রমকে কিভাবে আরো জনবান্ধব করা যায় সেই বিষয়ে সুস্পষ্ট আলোচনা পেশ করা হয়।

    অনুষ্ঠানে সাভার পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাম মানিক মোল্লা বলেন – চুরি- ডাকাতি, ছিনতাই – ইভটিজিং, মাদক – সন্ত্রাস ও কিশোর গ্যাংসহ বিভিন্ন অপরাধ ধরনের সাভারবাসীর সহযোগিতা চেয়েছেন।

  • বেলকুচিতে ব্র্যাকের উদ্যোগে অভিবাসন বিষয়ে উপজেলা কর্মশালা অনুষ্ঠিত।

    বেলকুচিতে ব্র্যাকের উদ্যোগে অভিবাসন বিষয়ে উপজেলা কর্মশালা অনুষ্ঠিত।

    বিশ্বের সর্ববৃহৎ উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাকের আয়োজনে জড়ুধষ উধহরংয এর আর্থিক সহযোগিতায়- সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে “নিরাপদ অভিবাসন ও বিদেশ ফেরতদের- পুনরেকত্রীকরণ” বিষয়ে এক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    শুক্রবার (২৫ জুন)সকালে বেলকুচি উপজেলা পরিষদের সভাকক্ষে -উক্ত কর্মশালার সভাপতিত্ব করেন, বেলকুচি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আনিসুর রহমান।

    অতিথি হিসেবে আরো বক্তব্যে রাখেন, বেলকুচি উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ ইউসুফ আলী, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রত্না খাতুন, থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তদন্ত নুরে আলম প্রমুখ ।

    এসময় বেলকুচি প্রেস ক্লাব সভাপতি মোঃ সাইদুর রহমান, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কল্যাণ প্রসাদ পাল, সমবায় কর্মকর্তা মোঃ সিরাজুল ইসলাম, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মোঃ রেজাউল করিম এবং বেলকুচি সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মোস্তাফিজুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

    ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের সোশিও- ইকোনোমিক রিইন্টিগ্রেশন অব রিটার্নি মাইগ্রেন্ট ওয়ার্কার্স অব বাংলাদেশ প্রকল্পের আওতায় উপজেলা কর্মশালায় নিরাপদ অভিবাসন ও বিদেশ ফেরদের-পুনরেকত্রীকরণ বিষয়ে সরকারি-বেসরকারি ব্যাক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ভুমিকা ও করনীয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।

    ৩ বছর মেয়াদী প্রকল্পটি ( জানুয়ারী, ২০২০ থেকে নভেম্বর,২০২২) সিরাজগঞ্জ জেলার ৪ টি উপজেলাসহ বাংলাদেশের অভিবাসন প্রবণ ১০ টি জেলার ৪০ টি উপজেলায় বাস্তবায়ন হচ্ছে।

    প্রকল্পের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্থ বিদেশ ফেরত অভিবাসীদের মনোসামাজিক কাউন্সেলিং, প্রয়োজনীয় রেফারেল সার্ভিস প্রদান, অর্থনৈতিক পুনরেকত্রীকরণ সহায়তাসহ নিরাপদ অভিবাসনে সচেতনতা বৃদ্ধি ও সুশাসন নিশ্চিত করণে মাঠ পর্যায়ে কাজ করছে ।

    ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের অনুপ্রেরনা -২ প্রকল্পের কাউন্সেলর মো:শাহরিয়ার কালাম বসুনিয়া এর সঞ্চালানায় কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন ব্র্যাক ডিস্ট্রিক্ট কো-অর্ডিনেটর মোঃ রইসউদ্দিন এবং পাওয়ার পয়েন্ট এর মাধ্যমে কর্মশালার মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনা করেন ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের ডিস্ট্রিক্ট কো-অর্ডিনেটর মোঃ আঃ মাজেদ। কর্মশালায় অভিবাসনের সাথে সম্পৃক্ত সরকারি-বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধি, সাংবাদিক, নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি, ‘বিদেশ ফেরত অভিবাসী ও তাদের পরিবারের সদস্যগন উপস্থিত থেকে মূল্যবান মতামত প্রদান করেন।

    দেশের অগ্রগতি, উন্নয়ন ধারা অব্যহত রাখতে উপস্থিত সকলে নিরাপদ অভিবাসন ও রেমিটেন্স যোদ্ধাদের জন্য সহযোগিতার বিষয়ে একমত পোষন করেন। সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন উপজেলার অনুপ্রেরনা-২ প্রকল্পের ফিল্ড অর্গানাইজার মোকাররম হোসেন, প্রত্যাশা প্রকল্পের জুয়েল রানা এবং স্বেচছাসেবক মনির হোসেন।

    কর্মশালায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: আনিসুর রহমান বলেন ব্র্যাক ২০০৬ সাল থেকে অভিবাসন নিয়ে কাজ করে আসছে। বিমান বন্দরে বিদেশ ফেরতদের জরুরী সহায়তা কার্যক্রম প্রসংশা পাওয়ার মত। তিনি বলেন- আরো নিরাপদ অভিবান নিশ্চিত করা গেলে বিদেশ ফেরতদের টেকসই পুনরেকত্রীকরণ সম্ভব। তিনি ভাষা শিক্ষা এবং দক্ষতামুলক প্রশিক্ষণের উপর গুরুত্ব প্রদান করেন। করোনায় ক্ষতিগ্রস্থ বিদেশ ফেরতদের পাশে থাকার জন্য সকলকে আহবান জানান। তিনি বলেন করোনায় দেশের অর্থনীতির চাকাকে সচল রেখে চলছে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্স। তাদের প্রতি আমারদের অনেক করনীয় আছে।

  • ফুলবাড়ীতে ১০ দিনের কঠোর বিধি নিষেধ আরোপ নিষেধাজ্ঞা মানছে না অনেকেই।

    ফুলবাড়ীতে ১০ দিনের কঠোর বিধি নিষেধ আরোপ নিষেধাজ্ঞা মানছে না অনেকেই।

    দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ও মৃত্যুর হার আশঙ্খাজনক ভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় উপজেলা করোনা সংক্রমন প্রতিরোধ কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক ১০ দিনের কঠোর বিধি নিষেধ আরোপ করা হলেও নিষেধাজ্ঞা মানছেননা অনেকেই।

    বৃহস্পতিবার (২৪জুন) বিকেল সাড়ে ৫ টায় উপজেলা সভাকক্ষে অয়োজিত উপজেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির জরুরী সভায় গতকাল শুক্রবার ২৫ জুন সকাল ৮টা থেকে ৪ জুলাই রাত ১২টা পর্যন্ত ১০ দিনের এই কঠোর বিধি নিষেধ ঘোষনা করা হয়।

    বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ রিয়াজ উদ্দিন। তার স্বাক্ষরিত এক গণবিঙ্গপ্তিতে এই বিধি নিষেধ ঘোষনা করা হয়েছে।

    গণবিঙ্গপ্তিতে বলা হয়েছে জরুরী সেবার বাইরে মার্কেট,রেষ্টুরেট,সেলুন,বিউটি পার্লার,চায়ের দোকানসহ সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান  ও অন্যান্য দোকান পাট ও সাপ্তাহিক হাট বন্ধ থাকবে। শুধুমাত্র কাঁচাবাজারে নিত্য প্রয়োজনিয় পণ্যের দোকান পাট (মুদি দোকান) সকাল ৮টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত বিধি নিষেধ মেনে খোলা থাকবে। এসময় প্রয়োজন ব্যাতিত কেউ এসব স্থানে যেতে ও ঘোরা ফেরা করতে পারবে না।

    এতে আরো বলা হয়েছে বিধিনিষেধ চলাকালিন কোনো প্রকার যানবাহন ফুলবাড়ী উপজেলায় প্রবেশ করতে পারবে না। উপজেলার ভিতর সকল প্রকার পরিবহন /গণপরিবহন রিক্সা,ভ্যান অটো রিক্সা, মোটর সাইকেল, বাইসাইকেল, বাস ও মাইক্রো বাস,ইত্যাদী চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। পর্যটন কেন্দ্র,কমিনিটি সেন্টার, সিনেমা হল ও বিনোদন কেন্দ্র বন্ধ থাকবে।

    এছাড়াও গণ জামায়েত হয় এই রুপ সামাজিক, রাজনৈতিক,ধর্মিয়,অনুষ্ঠানের আয়োজন করা যাবে না। সন্ধা ৭টা হতে পরের দিন সকাল ৬টা পর্যন্ত জরুরী প্রয়োজন যেমন ঔষধ ক্রয়,চিকিৎসা সেবা গ্রহন,মৃত দেহ দাফন,/সৎকার ব্যাতিত বাড়ীর বাইরে যাওয়া যাবেনা।

    এদিকে সরেজমিনে গতকাল শুক্রবার পৌর শহর ঘুরে দেখা গেছে সকাল থেকে প্রশাসন কঠোর নজর দারী দিয়ে বিধি নিষেধ পর্যবেক্ষণ করছেন। থানা পুলিশের পক্ষ থেকে টহল জারি রয়েছে।

    অপরদিকে প্রশাসনের দেয়া এসব বিধি নিষেধ উপেক্ষা করে অনেককেই মোড়ে মোড়ে আড্ডা করতে দেখা গেছে,অনেকেই আবার গোপনে সুযোগ বুঝে দোকান খোলা রাখতে দেখা গেছে,কিছু কিছু হোটেলের ভেতরে গাদাগাদি করে লোকজন বসিয়ে খাওয়াতে দেখা গেছে। কাচাঁ বাজারে এবং মাছ বাজারে স্বাস্থ্য বিধি খুব একটা মানছেনা মানুষ। মটর সাইকেল,ভ্যান, রিস্কাসহ অন্যান্য যান চলাচল করতেও দেখা গেছে। এছাড়াও প্রয়োজন ব্যাতিত নানা অযুহাতে অনেককেই বাইরে আড্ডাসহ ঘোরা ফেরা করতে দেখা গেছে।

    কথা হয় রিক্সা চালক ফিরোজ এর সাথে তিনি বলেন আমরা প্রতিদিন যা আয় করি তা দিয়ে সংসার চালাই,রিক্সা বন্ধ থাকলে খাবো কি? কিস্তি চালাবো কি করে।

    হোটেল ব্যাবসায়ী উজ্জল বলেন আগের দিনের যা রান্না করা খাবার ছিলো সেগুলো শেষ করতে অল্প কয়জন লোক বসিয়ে খাওয়াচ্ছেন,এগুলো শেষ হলে কাল থেকে আর বসিয়ে খাওয়াবেন না।

    উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: মোঃ মশিউর রহমান বলেন দিন দিন এ উপজেলায় করোনা সংক্রমনের হার বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত ২৪ ঘন্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ৪৯ জনের, এর মধ্যে ২৪ জন সনাক্ত হয়েছে। মোট সনাক্ত হয়েছে ২৯৪ জন, এর মধ্যে সুস্থ্য হয়েছেন ২০১জন,মৃত্যু হয়েছে ৯ জনের,বর্তমান রোগী ৮৪জন। আক্রান্তের হার শতকরা ৪৫ পারছেন্ট।

    এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: রিয়াজ উদ্দিন এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের  হার আশঙ্খাজনক ভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায়, উপজেলা সংক্রমন প্রতিরোধ কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক ১০ দিনের জন্য কঠোর বিধি নিষেধ আরোপ করা হয়েছে। যদি কেউ বিধি নিষেধ অমান্য করে তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী জরিমানাসহ কঠোর ব্যাবস্থা নেয়া হবে।

     

  • সমুদ্রগামী প্রশিক্ষিত ট্রলার মাঝিদের মাঝে লাইফ জ্যাকেট বিতরণ।।

    সমুদ্রগামী প্রশিক্ষিত ট্রলার মাঝিদের মাঝে লাইফ জ্যাকেট বিতরণ।।

    পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় সমুদ্রগামী ট্রলার মাঝিদের জীবনমান উন্নয়নে ও সামুদ্রীক জীববৈচিত্র্য রক্ষায় তিনদিন ব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা সম্পন্ন হয়েছে। বৃহস্পতিবার প্রশিক্ষিত ট্রলার মাঝিদের মাঝে লাইফ জ্যাকেট বিতরণ করা হয়।

    উপজেলার মহিপুর কো-অপারেটিভ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের হল রুমে এনহ্যান্সড্ কোস্টাল ফিশারিজ ইন বাংলাদেশ ইকোফিশ-২ অ্যাক্টিভিটি’র উদ্যোগে ওয়ার্ল্ডফিশ ও মৎস্য অধিদপ্তর তিন দিনের কর্মশালার আয়োজন করে। বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নাসির উদ্দিন বিপ্লবের সভাপতিত্বে সমাপনি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা।

    অন্যানের মাঝে উপস্থিত ছিলেন কুয়াকাটা নৌ-পুলিশ ফারির ইনর্চাজ এ এস আই কামরুল ইসলাম,কলাপাড়া প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মেজবাহউদ্দিন মাননু, সাধারণ সম্পাদক মোশারেফ হোসেন মিন্টু, কুয়াকাটা খানাবাদ কলেজের সহকারী অধ্যাপক খান এ রাজ্জাক সহ আরো অনেকে। সামুদ্রীক জীববৈচিত্র্য ও জেলেদের সচেতনতা বক্তব্য রাখেন, ইকোফিস-২ প্রকল্পের পটুয়াখালী সহকারী গবেষক সাগরিকা স্মৃতি। তিন দিনের এ কর্মশালা পরিচালনা করেন কুয়াকাটা ট্যুর অপারেটর এসোসিয়েশনের সভাপতি রুমান ইমতিয়াজ তুষার।

  • সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে ফ্রি মেডিক্যাল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত

    সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে ফ্রি মেডিক্যাল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত

    সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে ফ্রি মেডিক্যাল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়েছে।উপজেলার যমুনা নদীর তীরে অসহায় ও হতদরিদ্র রোগীদের মাঝে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আয়োজনে ফ্রি মেডিক্যাল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়।

    শুক্রবার (২৫ জুন) সকাল ১১টায় যমুনা অববাহিকার ঠুটিয়া উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজে আয়োজিত এই মেডিক্যাল ক্যাম্পে প্রধান চিকিৎসক হিসেবে রোগী দেখেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাঃ রাকিব হাসনাত, ডাঃ একেম সাইফুল্লাহ।

    এছাড়াও এস.এ.সি.এম.ও দুইজন, স্বাস্থ্য সহকারী দুজন ও সি.এইচ.পি ১জন ক্যাম্পে সহযোগীতা করেন। এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম বলেন, যমুনা তীরের সুবিধাবঞ্চিত রোগীদের জন্য করোনাকালীণ সময়ে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে মেডিক্যাল ক্যাম্প করা হয়েছে। যেখানে বিশেষজ্ঞ দুজন ডাক্তার রোগী দেখছেন। পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন ইউনিয়নে এই মেডিক্যাল ক্যাম্প স্থাপন করা হবে।

  • পাবনার সাঁথিয়ায় র‍্যাব-১২’ র অভিযানে ইয়াবাসহ ১ মাদক ব্যবসায়ী আটক।

    পাবনার সাঁথিয়ায় র‍্যাব-১২’ র অভিযানে ইয়াবাসহ ১ মাদক ব্যবসায়ী আটক।

    সিরাজগঞ্জ র‍্যাব-১২ বিশেষ অভিযানে ২৪ জুন
    বৃহপতিবার দুপুর ১১.৫০ ঘটিকায় সময় র‍্যাব-১২ এর এ্যাডজুটেন্ট ও অপ্স অফিসার সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান নেতৃতে র‍্যাব-১২ এর সদর কোম্পানীর একটি চৌকষ আভিযানিক দল পাবনা জেলার সাঁথিয়া থানাধীন পাটগাড়ী গ্রামস্থ সিরাজগঞ্জ টু-পাবনা মহাসড়কের পশ্চিম পাশের্ব ৮ নং পাটগাড়ী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে এক মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে ৪৯২ পিচ ইয়াবা ট্যাবলেট সহ ০১ জন শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে। এসময় তাহার নিকট থেকে মাদক ক্রয়-বিক্রয় এর কাজে ব্যবহৃত ০১ টি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।

    গ্রেফতারকৃত আসামী পাবনা জেলার সাঁথিয়া থানার পাটগাড়ি গ্রামের মৃত আলহাজ্ব রিয়াজ উদ্দিন ফকির এর ছেলে জাকাত ফকির (৩৭)

    প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, এই মাদক ব্যবসায়ীরা দীর্ঘদিন যাবŤ আইন প্রয়োগকারী সংস্থার চোখ ফাঁকি দিয়ে পাবনা জেলার বিভিন্ন এলাকায় অবৈধ নেশাজাতীয় মাদকদ্রব্য ক্রয়-বিক্রয় করে আসছিল।

    গ্রেফতারকৃত মাদক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে ২০১৮ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনের ৩৬(১) সারনীর ১০(ক) ধারার মামলা দায়ের করত উদ্ধারকৃত আলামতসহ তাকে পাবনা জেলার সাঁথিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

  • বেলকুচিতে মাদ্রসা বন্ধ করে মার্কেট নির্মাণ, ভাড়ার টাকা আ’লীগ নেতার পকেটে।

    বেলকুচিতে মাদ্রসা বন্ধ করে মার্কেট নির্মাণ, ভাড়ার টাকা আ’লীগ নেতার পকেটে।

    সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে ব্রিটিশ আমলের একটি কওমি মাদ্রাসা বন্ধ করে মার্কেট নির্মাণ ও এর ভাড়ার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে রাজাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম মোহাম্মদ আকন্দের বিরুদ্ধে।

    স্থানীয়রা বলছেন, রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে সাত বছর ধরে মাদ্রাসা ও সরকারি জায়গায় মার্কেট বানিয়ে ভাড়া তুলছেন গোলাম আকন্দ।

    তারা আরোও জানান, সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার প্রবেশদ্বার সমেশপুর বাজারে ব্রিটিশ আমলে সরকারি জায়গায় সমেশপুর দারুল উলুম কওমী মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর হাজী আজগড় আলী নামে স্থানীয় এক ব্যক্তি মাদ্রাসার পাশে থাকা তার ২০ শতক জায়গা দান করেন।

    এছাড়াও বিভিন্ন জায়গায় এলাকাবাসী আরও ৪৫ শতক জায়গা এই মাদ্রাসাকে দান করেন। মাদ্রাসার উন্নয়ন আর খরচ জোগাতে বেলকুচি-কড্ডার মোড় আঞ্চলিক সড়কের সঙ্গে ১২টি দোকান করে ভাড়া দেয় মাদ্রাসা কমিটি। ধীরে ধীরে মাদ্রাসার লেখাপড়ার মান ভালো হলে বাড়তে থাকে ছাত্রসংখ্যা।একটি টিনেরচালা ঘরে মাদ্রাসার চার জন শিক্ষক প্রায় ২০০ শিক্ষার্থীকে পড়াতে ও আবাসিক সুবিধা দিতে সমস্যার মুখে পড়েন।

    এর সমাধানের কথা বলে হাজী আজগড় আলীর দান করা ২০ শতক জায়গার ওপর একটি তিনতলা মাদ্রাসার ভবন নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেন কমিটির সভাপতি বদিউজ্জামান এবং সাধারণ সম্পাদক ও রাজাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম মোহাম্মদ আকন্দ।

    স্থানীয়দের অভিযোগ, মাদ্রাসার নামে থাকা ৪৫ ডিসিমাল জায়গা ২০ লাখ টাকায় বিক্রি করে কাজ শুরু করেন ওই দুই নেতা। এরই মধ্যে সরকারিভাবে ও স্থানীয়দের অনুদান মেলে আরও ২৮ লাখ টাকা। ২০১৩ সালের ডিসেম্বরে এই ভবনটি নির্মাণের কথা বলে সাময়িকভাবে মাদ্রাসা বন্ধ করে দেয় কমিটি।

    তারা বলছেন, মাদ্রাসা ভবনের নিচতলা নির্মাণ শেষ হলে সেখানে শ্রেণিকক্ষ না বানিয়ে মার্কেট হিসেবে ২৮টি দোকান করে মোটা অংকের টাকা নিয়ে ভাড়া দেন মাদ্রাসা কমিটির সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোহাম্মদ আকন্দ।

    সমেশপুর গ্রামের মনিরুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা ছোটবেলায় এই মাদ্রাসায় মক্তব পড়েছি। উন্নয়নের কথা বলে নেতারা মাদ্রাসা বন্ধ করে দিয়ে মার্কেট বানিয়ে প্রতিমাসে ভাড়া তুলে ভাগ বাটোয়ারা করে খাচ্ছে। অথচ মাদ্রাসা চালু করছে না। স্থানীয় এমপির মদদে তারা এসব অপকর্ম করতে পারছে।থ

    রাজাপুর গ্রামের আক্তার হোসেন বলেন, ‘মানুষ বিভিন্ন জায়গা থেকে ভিক্ষা করে টাকা তুলে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান করে সওয়াবের আশায় আর এরা প্রতিষ্ঠান বিলুপ্তি করে মার্কেট নির্মাণ করে মাদ্রাসার নামে প্রকল্প এনে লুটেপুটে খাচ্ছে। এরা মারা গেলে কবরে কী জবাব দেবে? আমরা দ্রুত এই মাদ্রাসা চালু দেখতে চাই।থ

    মাদ্রাসা মার্কেটের দোকানদার সঞ্জয় সাহা প্রতিবেদকে বলেন, ‘সমেশপুর দারুল উলুম কওমী মাদ্রাসা নেই, তবুও মার্কেটের দোকানের অ্যাডভান্স ও সব ভাড়া নেন আওয়ামী লীগ নেতা গোলাম মোহাম্মদ আকন্দ। আমি প্রতিমাসে আড়াই হাজার টাকা ভাড়া দেই আর অ্যাডভান্স দিয়েছি দুই লাখ টাকা।

    আরেক দোকানদার সামাদ ভুঁইয়া বলেন, ‘আমরা সরকারের কাছ থেকে লিজ নিয়ে এসেছি, তবুও নেতাকে ভাড়া দিতে হয় প্রতি মাসে। আমার কাছ থেকে দুইবার মাদ্রাসার ঘর নির্মাণের কথা বলে দেড় লাখ টাকা অ্যাডভান্স নিয়েছে। আমরা এখানে অসহায়। ব্যবসা-বাণিজ্য করে খাই, তাদের সাথে ঝগড়া করে তো এখানে থাকতে পারব না। তাই তাদের কথামতোই চলতে হয়।থ

    মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সাবেক সদস্য আব্দুল হাকিম প্রতিবেদকে বলেন, ‘এই মাদ্রাসা ভবন নির্মাণের কাজ শুরু হওয়ার পর থেকে একবারও কমিটি নিয়ে কোনো মিটিং করেনি। পরে আমরা কমিটির সাথে তিন বার মিটিং করার জন্য সাধারণ সভা করি। এতে কমিটির সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোহাম্মদ আকন্দ উপস্থিত হননি।

    তিনি বলেন, ‘মাদ্রাসা ভবন নির্মাণের আয়-ব্যয় সম্পর্কে আমরা কিছুই জানিনা। সে এখন মাদ্রাসা চালু করবে কিনা তাও জানিনা। কারণ সে আমাদের কমিটি থেকে বাদ দিয়ে দিয়েছে।মার্কেটের টাকা আত্মসাৎ নিয়ে সংবাদ প্রচার করলে অনেক খারাপ পরিণতি হবে বলেও হুমকি দেন সাংবাদিককে।

    অভিযোগের বিষয়ে মাদ্রাসা কমিটির সাধারণ সম্পাদক, রাজাপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান এবং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম মোহাম্মদ আকন্দ প্রতিবেদকে বলেন, ‘আমিই খাচ্ছি সকল টাকা, তাতে কী? মার্কেটের দোতালায় মাদ্রাসা নির্মান করা হবে সময় হলে। এমপি কিছু টিআর বরাদ্দ দিয়েছে। বাকি টাকা হলে কাজ শেষ করে মাদ্রাসা চালু করা হবে।থ

    তিনি বলেন, ‘আমি এই মাদ্রাসার মার্কেট নির্মাণ করতে গিয়ে অনেক টাকা ঋণ করেছি। ঋণ শোধ করে মার্কেটের দোতালায় যে পিলার দেখছেন সেখানে ছাদ করেই মাদ্রাসা চালু করব। আমাকে নিয়ে এসব লিখে-টিকে কিছুই করতে পারবেন না।

    রাজাপুর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান সোনিয়া সবুর আকন্দ প্রতিবেদকে বলেন, ‘মাদ্রাসা নেই তবুও সরকারি অনুদান ও মার্কেটের সকল টাকা আত্মসাৎ করছেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও মাদ্রাসা কমিটির সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোহাম্মদ আকন্দ।

    তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে বিভিন্ন জায়গায় অভিযোগ দিয়েও কোনো প্রতিকার পাচ্ছিনা। স্থানীয় এমপির ছত্রছায়ায় থাকায় তারা নিজেদের ইচ্ছেমতো যা খুশি তাই করে বেড়াচ্ছে। আমি বারবার চেষ্ট করেও এই কমিটির কোনো মিটিং করাতে পারিনি।

    ‘তাই বাধ্য হয়ে জেলা প্রশাসকসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। আমরা চাই এই ঐতিহ্যবাহী মাদ্রাসাটি দ্রুত চালু হোক।থ

    বিষয়টি নিয়ে কথা বলার জন্য স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ আব্দুল মমিন মণ্ডলকে তার মোবাইল নম্বরে ফোন দিলে তিনি রিসিভ করেন নি।

    বেলকুচির সহকারী কমিশনার (ভূমি) এস এম রবিন বলেন, ‘আমি নতুন এসেছি তাই ভালো করে জানিনা। তবে এলাকাবাসী ও স্থানীয় চেয়ারম্যানের কিছু লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। ইউএনও স্যারের সাথে কথা বলেছি। আমরা যৌথভাবে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেব। তিনি বলেন, ‘যদি মাদ্রাসা না থাকে তাহলে অবৈধ স্থাপনা ভেঙে দেয়া হবে।

    বেলকুচি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আনিছুর রহমান বলেন, ‘বিষয়টি আমি এখনও অবগত নই। সহকারী কমিশনারকে পাঠিয়ে তদন্ত করে দেখছি। ঘটনা সত্য হলে আইন মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

  • রাজবাড়ী-কুষ্টিয়া মহাসড়কে দূরপাল্লার বাসযাত্রীদের ভাড়া নিয়ে ভোগান্তির অভিযোগ।

    রাজবাড়ী-কুষ্টিয়া মহাসড়কে দূরপাল্লার বাসযাত্রীদের ভাড়া নিয়ে ভোগান্তির অভিযোগ।

    রাজবাড়ী-কুষ্টিয়া মহাসড়কে দূরপাল্লার বাসযাত্রীদের ভাড়া নিয়ে ভোগান্তির অভিযোগ।সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী ৬০% বেশি ভাড়া আদায় করার কথা থাকলেও রাজবাড়ী-কুষ্টিয়া মহাসড়কে দূরপাল্লার বাসে ৯০ থেকে ১০০% বেশি ভাড়া আদায়ের অভিযোগ করেছে বাসযাত্রীরা।

    বুধবার (২৬ মে) সরেজমিন দেখা যায়, স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব মেনেই চলছে গণপরিবহন। তবে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের সত্যতা মিলেছে কাউন্টার মাস্টারদের কাছ থেকে।

    এ বিষয়ে রাজবাড়ী পরিবহন ও বিআরটিসি পরিবহনের কাউন্টার মাস্টার মোঃ আকবর আলী বলেন, কুমারখালী থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী বাসগুলায় আগে ভাড়া নেয়া হতো ২৭০ থেকে ২৮০ টাকা, বর্তমানে নেয়া হচ্ছে ৫৫০ টাকা এবং বিআরটিসি পরিবহনে পাংশা থেকে বরিশাল আগে নেয়া হতো ৩৫০ টাকা, বর্তমানে নেয়া হচ্ছে ৬০০ টাকা। পাংশা থেকে রংপুর নেয়া হতো ৬০০ টাকা, বর্তমানে নেয়া হচ্ছে এক হাজার টাকা। তিনি আরো বলেন, পরিবহনের দুটি আসন মিলে একটি আসন করায় অতিরিক্ত ভাড়া নেয়া হচ্ছে।
    এছাড়াও লালন পরিবহনে আগে কুমারখালী থেকে নেয়া হতো ৩৫০ টাকা, বর্তমানে নেয়া হচ্ছে ৫৫০ টাকা। রাবেয়া পরিবহনে কুমারখালী থেকে আগে নেয়া হতো ৩৫০ টাকা, বর্তমানে নেয়া হচ্ছে ৫৫০ টাকা ‍এবং সৌহাদ্য পরিবহনে আগে নেয়া হতো ৩৩৩ টাকা, বর্তমানে নেয়া হচ্ছে ৫৫০ টাকা।

    এ বিষয়ে রাজবাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মাদ আলী বলেন, এখন পর্যন্ত সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ পাইনি। পেলে অবশ্যই আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।