Author: admin

  • সি এন্ড এফ এজেন্ট স্টাফ এসোসিয়েশন উদ্যোগে বেনাপোলে অক্সিজেনের বিতরণ।

    সি এন্ড এফ এজেন্ট স্টাফ এসোসিয়েশন উদ্যোগে বেনাপোলে অক্সিজেনের বিতরণ।

    কোভিড -১৯ প্রতিরোধে সি এন্ড এফ এজেন্ট স্টাফ এসোসিয়েশনের নিজ উদ্যোগে অক্সিজেন সেবা দিয়ে যাচ্ছেন।

    বিশ্বে মহামারী করোনা ভাইরাসে সারা পৃথিবী জুড়ে ভয়াবহ অবস্থা তাই রোজ সোমবার (২৭) জুন থেকে তারা বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্ট স্টাফ এসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে তারা সামান্য কিছু অক্সিজেন সিলিন্ডার ব্যবস্থা করা হয়েছে শুধুমাত্র স্টাফ এসোসিয়েশনের সদস্যদের জন্য।

    করোনা কালীন সময়ে নিরাপত্তা ঝুঁকি থাকা স্বত্বেও, নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্ট স্টাফ এসোসিয়েশনের ২৫৭৩ জন সদস্য কাজ করে যাচ্ছেন সরকারি কর্মকর্তা সাথে হাত রেখে যাচ্ছেন।

    এ সময় স্টাফ এসোসিয়েশনের কার্যনির্বাহী সদস্য মোঃ আব্দুল সাত্তার, বলেন, কোভিড -১৯ সময়ে আমার সদস্য ভাইরা তারা তাদের জীবন ও পরিবার দিকে না তাকিয়ে তারা দিনরাত কাজ করে যাচ্ছেন, সদস্য ভাইদের কোন সমস্যা হলে, তারা যেন বেনাপোল সিএন্ডএফ স্টাফ অ্যাসোসিয়েশ অবশ্য যোগাযোগ করেন যেন।

    আমরা যতটুকু সাহায্য করার করব, ও অক্সিজেন এর দরকার হলে আমরা তাদেরকে আমাদের স্টাফ অ্যাসোসিয়েশন থেকে সাহায্য করবে ।

    আরো বলেন, জীবন আগে কাজ পরে ,আপনি যদি আপনার জীবনকে না বাঁচিয়ে কাজ করেন, সেই কাজের আমাদের কোন দরকার নেই, তাই আমি বলবো আমার সদস্য ভাইরা সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ও মাক্স মুখে দিয়ে, ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার হাতে দিয়ে সুরক্ষা থেকে কাজ করবেন।

  • পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় নির্মাণাধীন সেতু ভেঙ্গে পড়ল খালে।

    পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় নির্মাণাধীন সেতু ভেঙ্গে পড়ল খালে।

    পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় নির্মাণাধীন গার্ডার ব্রীজ ভেঙ্গে খালে পড়ে গেছে। কুয়াকাটা পৌরসভার দোখাসীপাড়া খালের উপর নির্মিত গার্ডার সেতুটি রোববার সকালে ভেঙ্গে পরে যায়। দূর্ঘটনার পর পরই নির্মাণ শ্রমিকরা পালিয়ে যায়। ফলে দুই ইউনিয়নের সাথে কুয়াকাটা পৌরসভার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পরে ভোগান্তিতে পরেছে কয়েক হাজার মানুষ।

    সংশ্লিষ্ট সূএানুসারে,২০ মিটার দৈর্ঘ্য ও ৫.৫ মিটার প্রস্থের সেতুটি দুই গার্ডারের মধ্যখান দিয়ে ভেঙ্গে যায়। ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরে ২ কোটি ২৬ লাখ ১৫ হাজার ৮শ’৮৩ টাকা ব্যয়ে বাংলাদেশ সরকারের (জিওবি’র) অর্থায়নে কুয়াকাটা উন্নয়ন কতর্ৃপক্ষের আওতায় পৌরসভার দরপত্রের মাধ্যমে কাজটি চলমান রয়েছে। সেতুর প্রায় ৮০ ভাগ কাজ শেষ পর্যায়ে ছিল। ২৬ জুন ২০২১ এর কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। কুয়াকাটা পৌর কতর্ৃপক্ষ ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানিয়েছেন পৌর কতর্ৃপক্ষ।

    স্থানীয়রা জানান, সেতুর স্থানে একটি আয়রন সেতু ছিল। সেই আয়রণ সেতুটি ভেঙ্গে গিয়ে দীর্ঘদিন পরে ছিল। সেখানে গার্ডার ব্রীজের কাজ চলছিল। তবে এবিষয়ে কথা বলতে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের কাউকেই পাওয়া যায়নি।

    কাগজ কলমে এর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মোসার্স সৈয়দ মোঃ সোহেল এ্যান্ড দীপ এন্টারপ্রাইজের নাম থাকলেও মুলত মামুন নামে এক ঠিকাদারের কাছে বিক্রি করে দেয় এ কাজটি। এই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের মালিক পটুয়াখালীর টাউন কালিকাপুরের মোঃ আজাদুল ইসলাম বলে জানা যায়। স্থানীয়দের অভিযোগ, সেতুটির নির্মাণ কাজের শুরু থেকেই নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী,সিমেন্ট কম ব্যবহারসহ ওয়ার্ক অর্ডার অনুযায়ী কাজ না করার কারনে এমনটি হয়েছে। নির্মাণ কাজ নিয়ে বিভিন্ন সময়ে স্থানীয়রা প্রকৌশলী ও পৌর মেয়রের কাছে অভিযোগ করে আসলেও তারা এতে কর্ণপাত করেনি।

    দোখাসীপাড়ার বাসিন্দা মান্নান বলেন, সেতুটির মাঝখানে কোন পিলার নেই। দুটি গার্ডারের ওপর সেতুটি নির্মণ করা হয়েছে, তাই ভেঙ্গে পড়েছে বলে তাদের ধারণা। স্থানীয় পল্লী চিকিৎসক আঃ হালিম অভিযোগ করেন নির্মাণ কাজ শেষ হবার আগেই সেতুটি ভেঙ্গে পড়ায় গোটা কাজ নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে এলাকাবাসীর।

    সিপিপির লতাচাপলী ইউনিয়ন টিম লিডার মোঃ শফিকুল আলম বলেন, অপরিকল্পিত নকশা ও নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে  তড়িঘড়ি করে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কাজ করার কারনে সেতুটি ভেঙ্গে পরেছে। তিনি বলেন, এ সেতু দিয়ে প্রতিদিন ১ থেকে দেড় হাজার মানুষ প্রতিদিন চলাচল করে থাকে। এই সেতু দিয়ে মিশ্রিপাড়া, লতাচাপলী, ধুলাসারসহ পায়রা বন্দরে যাতায়াত করে থাকে। দোখাসীপাড়া মাদ্রাসা ও মুসুল্লীয়াবাদ ফাজিল মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা এখান দিয়ে চলাচল করে থাকে। সেতুটি ভেঙ্গে পরায় এখন এসব মানুষদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হবে।

    এ বিষয়ে কুয়াকাটা পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী মোঃ মিজানুজ্জামান জানান, তিনি গত ২১ জুন ২০২১ কুয়াকাটা পৌরসভায় যোগদান করেছেন। সেতুর নির্মাণ কাজের বিষয়ে তার কিছুই জানা নেই। কি কারনে সেতুটি ভেঙ্গে পরেছে তা তদন্ত ছাড়া বলা যাচ্ছে না। তদন্ত শেষে বলা যাবে। এ বিষয়ে একটি তদন্ত টিম গঠন করা হচ্ছে।

    প্রকল্প প্রকৌশলী মো.ফজলুর রহমানকে ০১৭১১২৪২৪১৫ নাম্বারে ফোন দিলে ফোন রিসিপ করার পর সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে কথা না বলে কেটে দিয়ে বন্ধ করে রাখে।

    এ ব্যাপারে কুয়াকাটা পৌর মেয়র আনোয়ার হাওলাদার বলেন, কুয়াকাটা উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় সেতুর নির্মাণ কাজ চলমান ছিল। নির্মাণ কাজ শেষ হবার আগেই কেন সেতুটি ভেঙ্গে পরেছে তা বলতে পারবেন এ প্রকল্পের প্রকৌশলীরা। তাদেরকে এ বিষয়ে জবাব দিহিতার জন্য বলা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, সংশ্লিষ্ঠ ঠিকাদারের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে ।

  • সিরাজগঞ্জ পুলিশের উদ্যোগে করোনা প্রতিরোধে র‍্যালী ও মাস্ক বিতরণ।

    সিরাজগঞ্জ পুলিশের উদ্যোগে করোনা প্রতিরোধে র‍্যালী ও মাস্ক বিতরণ।

    ‘মাস্ক পড়ার অভ্যাস করি, করোনা মুক্ত বাংলাদেশ গড়ি এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে জনসচেতনতায় করোনায় দ্বিতীয় ধাপে সিরাজগঞ্জ পুলিশের উদ্যোগে শহরে র‍্যালি ও মাস্ক বিতরণ করা হয়েছে।

    রবিবার (২৭ জুন) বিকেল ৫ টার দিকে জেলা পুলিশের আয়োজনে- এ র‍্যালী ও মাস্ক বিতরণ করেন, জেলা পুলিশ সুপার হাসিবুল আলম বিপিএমথর নেতৃত্বে পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সামনে থেকে একটি র‍্যালী বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে আবারও একই স্থানে গিয়ে শেষ।

    এসময় র‍্যালীতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফাহিমুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) নুরে আলম সিদ্দিকী, রায়গঞ্জ সার্কেল ইমরান হোসেন, সদর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বাহাউদ্দিন ফারুকী, গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মানিকুজ্জামান, বঙ্গবন্ধু পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোসাদ্দেক হোসেন, ইন্সপেক্টর (অপরাধ) পুলিশ অফিস জেড জেড তাজুল হুদা, সিরাজগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি হেলাল আহমেদসহ জেলা পুলিশের কর্মকর্তা ও পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

    র‍্যালী চলাকালে শহরের বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ মাঝে মাস্ক বিতরণ এবং মহামারী করোনা ভয়াল থাবা থেকে সবাইকে সচেতন থাকার আহবান জানান পুলিশ সুপার হাসিবুল আলম বিপিএম।

  • নাগরপুরে যৌতুকের বলি লাভলী হত্যার বিচারের দাবীতে মানববন্ধন।

    নাগরপুরে যৌতুকের বলি লাভলী হত্যার বিচারের দাবীতে মানববন্ধন।

    টাঙ্গাইলের নাগরপুরে যৌতুকের বলি লাভলী হত্যার সুষ্ঠ তদন্ত ও ন্যায় বিচারের দাবীতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার সকালে উপজেলার কোকাদাইর এলাকাবাসীর উদ্যোগে নাগরপুর উপজেলা মোড়ে এ মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।  এ সময় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন নিহতর বাবা  মো. চাঁন মিয়া (৬৫) মাতা সুজিয়া খাতুন (৫০) মো. শহিদুল ইসলাম ও মো. ফিরোজ মিয়া প্রমুখ। এ সময় নিহতের পরিবারসহ এলাকার শত শত নারী পুরুষ মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন।

    নিহতর বাবা চাঁন মিয়া সুষ্ঠ তদন্ত, ন্যায় বিচার ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী করেন। তিনি আরো বলেন, লাভলীর স্বামী মো. লুৎফর রহমান এ হত্যাকান্ডের মূল আসামী আমরা তার ফাঁসির দাবী করছি।

    নিহতর মাতা সুজিয়া খাতুন বলেন, আসামী লুৎফর রহমানের পরিবারের পক্ষ থেকে প্রতিনিয়ত আমাদের হুমকি দিয়ে আসছে। আমি আমার মেয়ের হত্যাকারীর ফাঁসি চাই। প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমার আবেদন আর কোন মেয়ের যেন এরকম হত্যার শিকার না হয়।

    উল্লেখ্যঃ-যৌতুকের কারনে তিন সন্তানের জননী লাভলী আক্তারকে গত বছর ১৫/১১/২০২০ তারিখে উপজেলার গয়হাটা ইউনিয়নের রসুলপুর বনগ্রামের স্বামী বাড়ীর লোক হত্যা করে লাশ নাগরপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ফেলে  পালিয়ে যায়।

  • সিরাজগঞ্জের তাড়াশে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত ইমামদের সম্মেলন অনুষ্ঠিত।

    সিরাজগঞ্জের তাড়াশে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত ইমামদের সম্মেলন অনুষ্ঠিত।

    সিরাজগঞ্জের তাড়াশে উপজেলা পর্যায়ে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত ইমামদের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২৭ জুন রবিবার সকালে উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের আয়োজনে ও উপজেলা প্রশাসনের সহযোগীতায় এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

    উপজেলা নির্বাহী অফিসার মেজবাউল করিমের সভাপতিত্বে উপজেলা পর্যায়ে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত ইমামদের সম্মেলন  ২০২১ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মনিরুজ্জামান মনি।

    এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন খান ,থানা  ওসি তদন্ত হাবিবুল্লাহ, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সুপারভাইজার শাহীন সরকার, উপজেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শাহিনুর রহমান শাহিন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মডেল কেয়ারটেকার এম এ মাজিদসহ ৬০জন প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত ইমাম।

    এ অনুষ্ঠানে দেশ ও জাতীর কল্যাণ কামনায় দোয়া পরিচালনা করেন মাওলানা মোঃ সাইফুল ইসলাম।

  • লক্ষ্মীপুরে কমলনগরে ইজাড়াদারের বিরুদ্ধে কুচক্র মহলের অপপ্রচার! 

    লক্ষ্মীপুরে কমলনগরে ইজাড়াদারের বিরুদ্ধে কুচক্র মহলের অপপ্রচার! 

    লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার তোরাবগঞ্জ বাজারের ঔষধ ব্যবসায়ী ও বাজার ইজাড়াদার মোঃ বেলালের বিরুদ্ধে একটি কুচক্রী মহল অপপ্রচার চালাচ্ছে।

    জানা গেছে, বাজারের দীর্ঘ দিনের পুরনো ব্যবসায়ী মোঃ বেলাল সম্প্রতি বাজার ইজাড়া নিয়ে সরকার প্রদত্ত টোল আদায় করছিলেন। ১৪২৮ বাংলা সনের ১ বছরের জন্য ৬০ লাখ ১০ হাজার টাকা, সাথে সরকারের ১২ পার্সেন্ট  রাজস্ব ও ২৫ পার্সেন্ট ব্যাংক ড্রাফটসহ মোট ৭২ লাখ টাকায় ইজাড়া নেন। সরকার প্রদত্ত নির্ধারিত গরু-মহিষে ১২২ টাকা, ছাগল ও ভেড়ায় ৫০ টাকা করে আদায় করা হচ্ছে বলে জানা গেছে।

    ইজাড়াদার এর নিকট কিছুদিন ধরে চাঁদা দাবি করে না পেয়ে একটি কুচক্রী মহল অপপ্রচার চালাচ্ছে। যা বাস্তবের সাথে কোন সাদৃশ্যতা নেই।

    এ বিষয়ে মোঃ বেলাল হোসেন বলেন-‘অবৈধ সুবিধা দাবি করি না পাওয়ায় আমার বিরুদ্ধে একটি মিথ্যা প্রচার করছে। আমি এর তীব্র নিন্দা ও ঘৃনা জানাই।’

    শাহ আলম নামের অপর এক ইজাড়াদার বলেন-‘প্রতি বাজারে কিছু দুষ্কৃতিকারী আমাদের কাছে অবৈধভাবে অর্থ দাবি করে। না দেয়ায় তারা আমাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন নামসর্বস্ব পত্রিকা ও ফেসবুকে মিথ্যা, বানোয়াট, উদ্দেশ্যপূর্ণ খবর প্রচার করে। যা মোটেও সত্যি নয়।

    এমন অপপ্রচারের তোরাবগঞ্জ বাজার ব্যবসায়ীরা মিথ্যা প্রচারের প্রতিবাদে ক্ষোভ ও নিন্দা প্রকাশ করেন। এদের বিরুদ্ধে মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানান ব্যবসায়ীরা।

     

  • ফুলবাড়ীতে কৃষি অধিদপ্তর কৃষকদের সূর্যমুখী চাষে উদ্ভুদ্ধ করছে।

    ফুলবাড়ীতে কৃষি অধিদপ্তর কৃষকদের সূর্যমুখী চাষে উদ্ভুদ্ধ করছে।

    বিকেলে গ্রামের মেঠো পথ ধরে হাঠছিলাম। রাস্তার চারিদিকে ইরি-বোরো সবুজ ধান ক্ষেত। চলতে চলতে হঠাৎ চোখ পড়লো, দেখে মনে হলো সবুজের বুকে হলদে হাসী! সবুজ গাছের চূড়ায় বড় বড় হলদে ফুল। গোলাকার ফুলগুলো চেয়ে আছে সূর্যের দিকে। সূর্য যেদিকে থাকে ফুলগুলোও সেদিকেই হেলে পড়ে। নাম তার সূর্যমুখী।

    দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলা কৃষি প্রধান হলেও এখানকার কৃষকের প্রধান ফসল ধান। এর পাশাপাশী কৃষক তার জমিতে নানা রকমের ফসল ফলায়। তেমনিভাবে এবার ফুলবাড়ীর কৃষকরা প্রথমবার চাষ করছে সূর্যমুখী ফুল।

    সৌন্দর্যের জন্য নয়, বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে এবং ভোজ্য তেলের চাহিদা মেটাতে বর্তমানে চাষ হচ্ছে সূর্যমুখী ফুল। দেশে ভোজ্যতেলের সংকট নিরসনে সরকারী উদ্যোগ্যে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে সূর্যমুখী চাষে কৃষকদের উৎসাহিত করা হচ্ছে। বিনা মূল্যে প্রণোদনায় উপজেলার কৃষকদের বিতরণ করা হয়েছে সূর্যমুখী বীজ ও রাসায়নিক সার। কৃষকরা উদ্বুদ্ধ হয়ে এরই অংশ হিসেবে এ উপজেলার বেশ কিছু এলাকায় চাষ করেছে সূর্যমুখী ফুল।

    এতে করে দেশে সূর্যমুখীর তেলের বাজার বড় হচ্ছে,বাড়ছে চাহিদা। রূপ আর তেল দুই-ই ঢেলে দিচ্ছে এই সূর্যমুখী ফুল।

    ফুলবাড়ীতে এই সূর্যমুখীর খবর ইতোমধ্যেই সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ায়,বাগান দেখতে অনেকেই ঘুরতে আসছেন প্রতিদিন সূর্যমুখীর সুন্দর্য রূপ আস্বদন করতে।

    আলাদীপুরের কৃষক ভবেন্দ্র নাথ বম্র্মন বলেন, ‘আমি সাড়ে ২২ শতাংশ জমিতে সূর্যমুখী ফুলের চাষ করছি। খরচ খুব কম। তেমন কোন খাটুনি নেই। সূর্যমুখীর সাথে সাথী ফসল হিসেবে লাউ চাষ করছি। উপজেলা কৃষি দপ্তর থেকে প্রণোদনার বীজ পেয়ে এবং তাদের পরামর্শেই সূর্যমুখী ফুল চাষ  করেছি। আশানুরুপ ফলন পেলে আগামীতে আরো বেশী জমিতে সূর্যমুখী চাষ করব।

    সূর্যমুখী চাষী মানিক চন্দ্র সরকার বলেন, ভবেন্দ্রনাথ বম্র্মনের পরামর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে তার কাছে পরামর্শ নিয়ে সাড়ে ২৫ শতাংশ জমিতে সূর্যমুখী চাষ করেছি। ফল ভালো এসেছে। এখন ফলন ভালো হলে পরের বার বেশী জমিতে চাষ করব। তবে এবার প্রথম চাষ করছি ফুল ফোটার সাথে সাথে ফুল প্রেমীদের সূর্যমুখী খেতে আনাগোনা বেড়েছে। অনেকে ফুল ছিড়ছে এটাই একটু সমস্যা। কারণ সব সময়তো পাহারা রাখা সম্ভব নয়। তবে সূর্যমুখীর চাষ বাড়লে এই সমস্যা হবে না।

    সূর্যমুখী খেতে দেখা হলো পাশের উপজেলা থেকে আসা কয়েজনের সাথে। কথা হয় তাদের সঙ্গী অনিকেত সাহার সাথে। সে বলে বিরামপুরে সূর্যমুখীর চাষ হয়েছে কিনা জানি না। তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইস বুকে ছবি দেখে দেখতে এসেছি সূর্যমুখীর হাসি। অনেক সুন্দর। ভাল লাগছে।

    সূর্যমুখী দেখতে আসা ফুলবাড়ী পৌর শহরের সুজাপুর  রাজ বংশী পাড়ার জয়া, গুপিকা বম্র্মন, মনিকা বম্র্মনের দেখা হয়। কথা হয় অনার্স তৃতীয় বর্ষে পড়–য়া ছাত্রী জয়া’র সাথে সে বলে ছবিটা একদম অন্য রকম। সবুজের বুকে একখন্ড হলুদ জমিন। ফুলবাড়ীতে বিনোদনের  তেমন জায়গা নেই তাই বন্ধুদের কাছে শুনে ঘুরতে এসেছি সূর্যমুখীর জমিতে। খুব ভাল লাগছে যে আমাদের উপজেলার নাম ফুলবাড়ী। আর ফুলবাড়ীতে এমন সূর্যমুখীর অপরূপ সুন্দর একটা পরিবেশ।

    উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ রুম্মান আক্তার জানান, উপজেলায় সূর্যমুখী ফুলের চাষাবাদ একেবারেই নতুন। তেল জাতীয় ফসলের উৎপাদন বাড়াতে প্রণোদনা হিসেবে উপজেলার ১৩৫ জন কৃষককে এক কেজি করে সূর্যমুখী বীজ বিতরণ করা হয়েছে। উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নেই চাষ হচ্ছে সূর্যমুখী। প্রকিটি সূর্যমুখী গাছে এখন ফুল এসেছে,কদিন বাদেই ফলন পাবে কৃষক। জাত ভেদে প্রতি বিঘায় (৩৩ শতাংশ) ২০০ থেকে ২৫০ কেজি সূর্যমুখী বীজ পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

  • অপসাংবাদিকতার দিন ফুরিয়ে আসছে!অ আ আবীর আকাশ।

    অপসাংবাদিকতার দিন ফুরিয়ে আসছে!অ আ আবীর আকাশ।

    সংবাদ লেখা ও সাংবাদিকতায় সারাদেশে চাটুকার, প্রতারক, মিথ্যাবাদী ও অশিক্ষিত, মূর্খরা অনুপ্রবেশ করছে। এই নিয়ে প্রকৃত সংবাদ ও সাংবাদিকতা প্রশ্নাতীতভাবে জৌলুস হারাচ্ছে এবং নানা প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে। শহরের তুলনায় এর প্রভাব জেলা-উপজেলা পর্যায়ে সবচেয়ে বেশি লক্ষণীয়। আবার জেলার চেয়ে উপজেলা সমূহে আধিপত্যতা বেশি। কারণ জেলাতে প্রশাসনিক চাপের মুখে অপসাংবাদিকতা টিকতে পারেনা। উপজেলা পর্যায়ে গ্রামাঞ্চলে, চরাঞ্চলে নদনদীর দুর্গম এলাকা কেন্দ্রিক অপসাংবাদিকতা, মিথ্যাবাদী, প্রতারকগোষ্ঠীরা সঙ্গবদ্ধ হয়ে তাদের অসৎ কার্যকলাপ চালিয়ে যায়।

    ‘সাংবাদিকতা বা সাংবাদিক কাকে বলে’এর নূন্যতম কাণ্ডজ্ঞান না থাকলেও নিজেদের সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে স্বার্থ হাসিল করার ধান্দায় তারা এত চটুল, ঠিক, প্রতারণার আশ্রয় নেয় যে তাদের কাছে সকল সাংবাদিক গণমাধ্যম কোণঠাসা। এমন ভাবে তারা নিজেদের উপস্থাপন করে যে, তাদের ভাবসাব দেখলে মনে হবে দেশের সকল গণমাধ্যম তাদের কথায় উঠবস করে। আসলে এসব পাকনা কথা তারাই বলে যারা প্রকৃত অর্থে মিথ্যাবাদী, ভুয়া অপসাংবাদিকতা করছে।

    এরা সংবাদ সাংবাদিকতার বাহিরে রাজনৈতিক কথাবার্তাই বেশি বলে। নিজেদের অমুক নেতা, তমুক নেতার কাছের লোক বলে পরিচয় দেয়। আবার মাঝেমধ্যে নিজেরাও রাজনৈতিক পদে আসীন বলে জানান দেয়। এরা যে সত্যিকারের ভুয়া, প্রতারক সাংবাদিক তার প্রমাণ এগুলোতেই যথেষ্ট। কারণ প্রকৃত সাংবাদিক কোনো দলের নয়। সে কখনো কোনো ব্যক্তি বা দলের কোনো পরিচয় বহন করবে না। অমুকের আত্মীয় বা কাছের লোক বলে পরিচয় দেবে না। এসব একমাত্র প্রতারকরাই করে থাকে।

    অশিক্ষিত, মূর্খ সাংবাদিকতা দিন ফুরিয়ে শিক্ষিত, স্মার্টদের হাতে যাচ্ছে তৃণমূল সংবাদ ও সাংবাদিকতা। আইন পাস হয়েছে, বাস্তবায়ন হতে সময়ের ব্যাপার মাত্র। স্নাতক পাস ছাড়া কেউ আর সাংবাদিকতা করতে পারবে না। ইতোমধ্যে যারা ভুয়া কাগজপত্র সৃজন করে ঢাকার অখ্যাত বিখ্যাত পত্রিকার জেলা উপজেলা প্রতিনিধি সেজেছে তাদেরও কাগজপত্র যাচাই-বাছাই হবে স্ব-স্ব প্রতিষ্ঠান থেকে প্রকৃত কাগজপত্র তলব হতে পারে বলে একটি বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে।

    কিছু সুবিধা দিয়ে কার্ড এনে গলায় ঝুলিয়ে যাকে-তাকে হেনস্থা করার দিন আর নেই। ভুয়া অপসাংবাদিকতার দিন শেষ। যারা সংবাদ লিখতে জানেনা, ভাষা ব্যবহার জানে না, ন্যূনতম সাহিত্যের যোগ নেই, কথায় রস নেই, পুরো আঞ্চলিকতায় কথা বলে, শুদ্ধ করে কথা বলার চর্চা নেই বা পারে না, তাদের মুখোশ খুলে পড়ছে কেবলই। চোর, বাটপার, চিটার, টাউটের দিন শেষ।

    মফস্বল সাংবাদিকতায় এতদিন সরাসরি শিক্ষিত, স্মার্ট তরুণ-তরুণীরা না এলেও ক্রমান্বয়ে আসতে দেখে অনেক বুড়া-জোয়ান এর গায়ে জ্বালা ধরেছে। কারণ তারা এতদিন পত্রিকা, টিভি চ্যানেল আঁকড়ে ধরে আরেকজনের লেখা কপি করে, আরেকজনকে দিয়ে ভিডিও ফুটেজ তৈরি করে নিজের নামে স্ব-স্ব প্রতিষ্ঠানে চালিয়ে দিতেন। সে কপি করার দিন শেষ! এবার শিক্ষিত তরুণ-তরুণীর দিন শুরু। নতুনেরে করে দিতে হবে স্থান। স্মার্ট, শিক্ষিতদের দিন শুরু।

    শিক্ষিত, স্মার্ট নতুনের আগমনে অনেকের গা জ্বালা শুরু হয়েছে বৈকি। তারা নতুনদের হুমকি মনে করে। এজন্য নতুনদের পত্রিকা, টিভি চ্যানেল বা অনলাইন ও প্রতিদিনকার ঘটনা নিয়ে সংবাদ থাকা সত্বেও তাদের ‘ভুয়া সাংবাদিক’ বলে চাপিয়ে দিতে চায় বা নানা ঝামেলা সৃষ্টি করে দমিয়ে দিতে চায়। আসলে বৃথা চেষ্টা করে লাভ কী! এই নতুনেরা সব জেনেশুনে বুঝেই এসেছে যে, সংবাদ সাংবাদিকতায় প্রচুর ঝুঁকি রয়েছে। হুমকি-ধামকির ঝামেলা এমনকি মামলা-হামলাও রয়েছে। তারা এসব কে ‘কুচপরোয়া না করেই’ এই জগতে পা রেখেছে। তাই নতুনেরা জয় করবেই করবে। নিপাত যাবে যত অসৎ, অসভ্য, অশিক্ষিত সাংবাদিকের বাগাড়।

    যত্রতত্র হাওয়া মারা, তেল মারা, কথার হুল ফোটানো, ভুয়া, সাংবাদিক নামধারীরা গ্রামাঞ্চলে চষে বেড়ায়। কেউ কেউ আবার গোষ্ঠী সৃষ্টি করে সাধারণ জনগণকে হুমকি-ধামকির উপরে রাখে। এইসব অপদার্থদের প্রতিহত করার জন্য আইন প্রণয়ন হয়েছে। প্রতিহত করতে হবে শিগগিরই। সাংবাদিক না হয়েও যারা নিজেদের সাংবাদিক পরিচয় দিচ্ছে, তাদের প্রতিহত করার জন্য বাংলাদেশ সরকার আইন জারি করেছে। সঠিক তথ্য পেলে এসব ভুয়া ও অশিক্ষিত সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে প্রস্তুত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তথা প্রশাসন।

    সাধারণ জনগণ বুঝে গেছে, ‘কাক ময়ূরপুচ্ছ লাগালে ময়ূর হয়ে যায় না।’ যার ভিতরে আলো নেই তার বাহিরের বেশভূষায় সাধারণকে আকৃষ্ট করার বৃথা চেষ্টা করে লাভ কি!

  • সরকারী দলের পরিচয়ে ফসলি জমির মাটি ইটভাটায় বিক্রির উৎসব। 

    সরকারী দলের পরিচয়ে ফসলি জমির মাটি ইটভাটায় বিক্রির উৎসব। 

    লক্ষীপুর সরকারী দলের পরিচয়ে ফসলি জমির মাটি কেটে ইটভাটায় বিক্রির মহা উৎসব শুরু করেছে। রাঙ্গাখাঁ ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকার ফসলি জমির উপরিভাগের মাটি কেটে ইটভাটায় নেওয়া হচ্ছে। নগদ টাকার আশায় জমির মালিকরা মাটি বিক্রি করে দিচ্ছেন। ফলে জমিগুলো অনুর্বর হয়ে পড়ছে। এতে পরিবেশ বিপর্যয়ের পাশাপাশি কৃষি উৎপাদনে মারাত্মক ঝুঁকি বাড়ছে। এরপরও মাটি খেকোদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা না নিয়ে রহস্যজনকভাবে নিরবতা পালন করে চলেছে প্রশাসন।

    সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, বাঙ্গাখাঁ ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় কৃষি জমির উপরিভাগের উর্বর অংশ কেটে ট্রাক-ট্রলি করে মাটি সরিয়ে নেয়া হচ্ছে।

    এসব মাটি যাচ্ছে প্রায় ২০টির ও বেশি ইটভাটায়। তাছাড়া বসতভিটা ও পুকুর ভরাট কাজেও মাটির ব্যাপক চাহিদা বেড়েছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মাটি কাটার গভীরতার পরিমাণ ২ থেকে ১০ ফুট পর্যন্ত ছাড়িয়ে যাচ্ছে।

    অথচ ২০১৩ সনের ৫৯ নং আইন ৫(১) ধারাই বলা হয়েছে, আপাতত বলবৎ অন্য আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, কোন ব্যক্তি ইট প্রস্তুত করিবার উদ্দেশ্যে কৃষিজমি বা পাহাড় বা টিলা হইতে মাটি কাটিয়া বা সংগ্রহ করিয়া ইটের কাঁচামাল হিসাবে উহা ব্যবহার করিতে পারিবেন না।

    কৃষি বিজ্ঞানের ভাষায় যে কোনো ফলনযোগ্য জমির উৎপাদন শক্তি জমা থাকে মাটির ৬ থেকে ১৮ ইঞ্চি গভীরতায়। মাটির এই অংশেই যে কোনো ফসল বেড়ে উঠার গুণাগুণ সুরক্ষিত থাকে। বীজ রোপণের পর এই অংশ থেকেই ফসলটি প্রয়োজনীয় উপাদান গ্রহণ করে। এই অংশটি একবার কেটে নিলে সে জমির আর প্রাণ থাকে না। এমনকি ওই জমিতে ৫ থেকে ১০ বছরের মধ্যে কোনো ফসল বেড়ে উঠবে না। এতে জমিটি পরিত্যক্ত হয়ে যায়।

    জানা যায়, কৃষি জমির টপ সয়েল কেটে নেয়ার কারণে ফসলের প্রধান খাদ্য নাইট্রোজেন, ফসফরাস, আয়রন, জিংক, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, পটাসিয়ামসহ বিভিন্ন জৈব উপাদানের ব্যাপক ঘাটতি হচ্ছে।

    অন্যদিকে, চলাচলে নিষেধ থাকলেও মাটি ভর্তি ভারি ট্রাক ও ট্রলি চলাচল করায় গ্রামীণ রাস্তাঘাট ভেঙে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে।

    ইটভাটার এক তত্ত্বাবধায়ক জানান, মাটি ব্যবসায়ীরা তাদের ইটভাটার মাটি সরবরাহ করে থাকে। ভাটা মালিকরা কেউ টপ সয়েল কাটায় সরাসরি জড়িত নয়।

    স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ ও ভূমি আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে স্থানীয় প্রভাবশালী নেতারা এসব জমির মাটি সরবরাহ করছেন ইটভাটায়।

    নাম না প্রকাশে এক কৃষক আক্ষেপ করে বলেন, আগে আমার জমিতে যা ধান  উৎপন্ন হত তা দিয়ে আমার পরিবারের সারা বছরের আয় হয়ে যেত। পাশের জমির মাটি কাটার ফলে আমার জমি ক্ষতিগ্রস্থ হলে আমার জমির ও মাটি কেটে ফেলি। এখন আমার জমিতে ৬ মাস ফসল উৎপাদন হয় যা আগের তুলনায় এক তৃতীয়াংশ।

    বিশেষজ্ঞরা অতিরিক্ত ইটভাটা গড়ে উঠার কারণে চরম ভাবে পরিবেশ বিপর্যয়ের সম্মুখীন হওয়ায় ফলমূল ও ফসলের উপর বিরূপ প্রভাব দেখা দিচ্ছে বলে জানিয়েছেন।

    কৃষি জমির মূল্যবান এই মাটি ‘টপ সয়েলথ কেটে নিয়ে গেলেও উপজেলা কৃষি প্রশাসন রহস্যজনকভাবে নিরবতা পালন করে চলেছে। ফসলি জমির টপ সয়েল বিনাশের কারনে ফসলি জমির ফসল উৎপাদন মারাত্মকভাবে হুমকির মুখে পড়ছে। সাম্প্রতিক সময়ে বাংগাখাঁ  ইউনিয়নের প্রায় সকল এলাকায় জমি থেকে প্রায় ২-১০ ফুট গভীর কূপ খনন করে মাটি সংগ্রহ করা হচ্ছে। এতে আসন্ন বর্ষা মৌসুমে ভয়াবহ রকম পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। তাছাড়া এই মাটি গ্রামীণ সড়কের উপর দিয়ে পরিবহণ করার ফলে সড়কে মাটি স্তর জমার কারণে সামান্য বৃষ্টিতে সড়কগুলো মারাত্মক পিচ্ছিল হয়ে ঝুকিপূর্ণ হয়ে ওঠছে।

     

  • প্রধানমন্ত্রীর ত্রান তহবিল থেকে টুইস্টিং শ্রমিকদের নগদ অর্থ প্রদান

    প্রধানমন্ত্রীর ত্রান তহবিল থেকে টুইস্টিং শ্রমিকদের নগদ অর্থ প্রদান

    মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিল হতে সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোভিড-১৯ সংক্রমণে ক্ষতিগ্রস্ত জেলার জড়ি ও টুইস্টিং মিলের ২৬০ জন শ্রমিক এবং অন্যান্য শ্রেণী পেশার আরো ৫০ জন সহ মোট ৩১০ জনকে নগদ অর্থ প্রদান করা হয়েছে।

    বুধবার (৫ মে ২০২১) সকালে সিরাজগঞ্জ শহরের শহীদ এম. মনসুর আলী অডিটোরিয়ামে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে অর্থ উপহার প্রদান করেন, জেলা প্রশাসক ড. ফারুক আহাম্মদ।

    এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(শিক্ষা ও আইসিটি) মোহাম্মদ মনির হোসেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, সিরাজগঞ্জ সদর, নেজারত ডেপুটি কালেক্টর, সিরাজগঞ্জ কালেক্টরেটের সহকারী কমিশনারবৃন্দ, সিরাজগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি হেলাল আহমেদ এবং বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।