সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় হামিদা বেগম(৪০) নামের এক গৃহবধূ গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।নিহত হামিদা বেগম উপজেলার সলপ ইউনিয়নের কাশিনাথপুর গ্রামের চাদঁ আলীর স্ত্রী।
জানা যায় হামিদার ২০/২২ বছর পূর্বে কাশিনাথপুর গ্রামের চাঁদ আলীর সাথে পারিবারিক ভাবে হামিদার বিয়ে হয়।ইতিমধ্যে সে তিন সন্তানের মা হয়েছেন। বিয়ের ক’বছর পরে স্বামীর দারিদ্রতার কারনে বাবার বাড়ি চলে আসে।এতেও তাদের অভাব অনটন শেষ হয় না। তাদের দাম্পত্য জীবনে অশান্তির ছায়া নেমে আসে।ছেলে মেয়ে নিয়ে অভাব অনাটনের কারনে শুরু হয় কলহ ঝগড়া বিবাদ। অভাবের তারোনায় মনের কষ্ট ও দুঃখে মঙ্গলবার দুপুরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন।
এ ঘটনা নিশ্চিত করে উল্লাপাড়া মডেল থানার উপ-পরিদর্শক মাহবুব আলম জানান স্থানীয়দের মাধ্যমে জানতে পারি উপজেলার কাশিনাথপুর গ্রামে এক গৃহবধূর আত্মহত্যা করেছে।
দেড়টার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতের লাশ উদ্ধার করা হয়।আপতত থানায় একটি ইউডি মামলা করা হয়েছে।আগামীকাল বুধবার ৩০ জুন লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হবে।
মঙ্গলবার ২৯ জুন ভোরে লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম উপজেলার জগতবেড় ৩ নং ওয়ার্ড কানিরবাড়ী সীমান্তের মেইন পিলার নম্বর ৮৬২ এলাকায় বিএসএফ’র গুলিতে ঘটনাস্থলে বাংলাদেশি এক গরু ব্যবসায়ীর মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
নিহত ওই যুবকের নাম রিফাত হোসেন (৩২)। পিতার নাম ইসলাম হোসেন।বাড়ী একই ইউনিয়নের মুন্সিরহাট নাজিরগোমানী।গরু ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত রিফাতের লাশ ভারতীয় বিএসএফ টেনে হেঁচড়ে নিয়ে গেছে।
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় মাস্ক না পড়া এবং এক ইউপি সদস্যের মোটর সাইকেল ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকায় ১৮ জনকে এক হাজার ৮ শত টাকা জড়িমানা করেছে ভ্রাম্যমান আদালত । মঙ্গলবার (২৯ জুন) দুপুরে পৌরশহরের নতুন বাজার এবং সদর রোড এলাকায় পথচারীদের এ জরিমানা করা হয় ।
অর্থদন্ড প্রাপ্ত ১৭ জন পথচারীকে মাস্ক না পড়ার কারনে জন প্রতি ৫০ টাকা করে এবং মোঃ মিজানুর রহমান নামে চাকামইয়া ইউনিয়নের এক ইউপি সদস্যের মোটর সাইকেল ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকার দায়ে এক হাজার টাকা জরিমানা করা হয় । এসময় অপর ৫০ জন পথচারীকে বিনামূল্যে একটি করে মাস্ক বিতরন করা হয় । ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি ) জগৎবন্ধু মন্ডল।
করোনা কালে অন্যন্য মৌসুমি ফলের পাশাপাশি লাল টসটসে মিষ্টি রসালো মৌসুমী ফল আনারসে জমে উঠেছে দিনাজপুরের ফুলবাড়ী ফলের বাজার। পাহাড়ের পরিবেষ্টিত সিলেটের শ্রীমঙ্গলের জলডুঙ্গী ও টাঙ্গাইলের মধুপুরের কেলেন্ডার জাতের আনারসের। দেশে ব্যাপক পরিচিতি রয়েছে এই দুই জাতের আনারসের।
ব্যবসায়ীরা জানান,দেশের বিভিন্ন পাহাড়ি এলাকায় নানা জাতের আনারস জন্মালেও সিলেটের শ্রীমঙ্গলের জলডুঙ্গী ও টাঙ্গাইলের মধুপুরের কেলেন্ডার জাতের আনারস খেতে যেমন স্বাদ তেমনি মিষ্টি ও ঘ্রাণের দিক থেকেও অদ্বিতীয়।
শ্রীমঙ্গলে বাণিজ্যিকভাবে আনারসের চাষাবাদ শুরু হয় ৭০-এর দশক থেকে। শ্রীমঙ্গলের বিভিন্ন পাহাড়ি দুর্গম এলাকার টিলায় সারি সারি বাগানে প্রচুর পরিমান জলডুঙ্গী জাতের আনারসের ফলন হয়। এসব বাগান থেকে মওসুম ছাড়াও সারা বছর আনারস উৎপাদিত হয়। সেখান থেকে সারা দেশের ফলব্যবসায়ীদের মতো ফুলবাড়ীর ফল ব্যাসায়ীরাও হাজার হাজার আনারস সংগ্রহকরে ট্রাকে করে বাজারে নিয়ে এসে খুচড়া এবং পাইকাড়ি বিক্রয় করছেন।
ফুলবাড়ী বাজারের ফল ব্যাবসায়ী সাদেক আলীসহ একাধিক ব্যাবসায়ী বলেন, জ্যৈষ্ঠ মাসের শুরু থেকেই শ্রীমঙ্গলের এই আনারস আসতে শুরু করে আষাড় মাস পর্যন্ত পাওয়া যায়, অন্যান্য বছরের চেয়ে এবার রেকর্ড পরিমাণ আনারস উৎপাদন হয়েছে। ফলে মধু মাসে অন্যান্য মওসুমী ফলের পাশাপাশী শ্রীমঙ্গলের জলডুঙ্গী জাতের আনারসে বাজার ভরে উঠেছে।
এখন শ্রীমঙ্গলের জলডুঙ্গী জাতের এই আনারস প্রায় শেষের পথে। জলডুঙ্গী জাতের আনারস খেতে যেমন মিষ্টি তেমনি স্বাদও রয়েছে।
অন্যান্য জাতের আনারস জোড়া হিসেবে বিক্রি হলেও এ জাতের আনারস ওজনে বিক্রি হয়। যা প্রতি কেজি আনারস বাজারে বিক্রি হয় খুচরামুল্য ৬০টাকা থেকে ৮০টাকা কেজি পর্যন্ত। এর পাশাপাশি বাজারে উঠতে শুরু করেছে টাঙ্গাইলের মধুপুরের কেলেন্ডার জাতের আনারস। এ জাতের আনারস প্রতি জোড়া বিক্রি হয় ৮০-১শ টাকা পর্যন্ত।
ফলকিনতে আসা দিলশাদ হোসেন বলেন করোনার কারনে বাইরে বের হওয়া অনেকটাই ঝুকিপুর্ন কিন্তু চিকিৎসকারা বলছেন এসময় পুষ্টি জাতীয় খাবার খেতে তাই ফল কিনতে এসেছি। অন্য অরেক ক্রেতা রাহাদ গাজী বলেন বর্তমান পরিস্থিতিতে প্রতিদিন অন্যান্য খাবারের সাথে কিছু ফল খাওয়া প্রয়োজন তাই ফল নিতে এসেছি।
প্রতি বছরের মতো মধু মাসের ফল ক্রয় করতে বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রতিদিন ক্রেতারা আসছেন ফুলবাড়ী ফল বাজারে।পুর্বে রাতদিন ফল বেচা কেনা করলেও করোনার কারনে বর্তমান সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত ফল বিক্রি করতে পারছেন বলে জানিয়েছেন ব্যাবসায়ীরা। এতে তাদের কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। তবে পর্যাপ্ত ফল কেনাবেচার উপযুক্ত সময় এখনই । ফলের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে তাই এর পরেও জমে উঠেছে ফলের বাজার, ক্রেতারাও কিনছে তাদের পছন্দের ফলটি।
মাত্র পনে তিন শতক জমির উপর মাথা গজার ঠাঁই হিসাবে ঘর তুলেছিলেন রিনা বিবি। পাঁচ বছর যাবৎ বসবাস করলেও স্থানীয়দের বিচার শালিশের নামে জায়গা দখল বা জমির পরিবর্তন করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে সবসময়।
সর্বশেষ গত রবিবার (২৭জুন)স্থানীয় বাসিন্দা লোকমান হোসেন(৫০)ও তার দুই ছেলে আসাদুল ইসলাম (৩০) ও আরিফ হোসেন (২১)কে সাথে নিয়ে রিনা বেগমের বাড়ীর চারপাশ দিয়ে বেড়া দিয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হয়। প্রতিবাদ করলে প্রান নাশেরও হুমকি দেওয়া হয়। কাঁদতে কাঁদতে এমনটি বলছিলেন রীনা বিবি (৪৫)।
এমন ঘটনা ঘটেছে নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলার ব্রহ্মপুর ইউনিয়নের সরকুতিয়া গ্রামের তালতলা বাজারে। ভুক্তভুগি রিনা বিবি ও দেলবর হোসেন মন্ডল জানান,২০১৬ সালে দলীল নং ৪১৯৬/১৬ অনুযায়ী স্থানীয় বাসিন্দা আকরাম হোসেন,এবাদুল ইসলাম ও আব্দুল মান্নান এর নিকট হতে. ০১০০ একর . ০১০০ একর ও . ০০৬৭ একর জমি ক্রয় করেন।
ভুক্তভোগীরা বিক্রয় কবলা দলীল অনুযায়ী দাবি করে বলেন, ৮১৪৮ নং দাগে বাগান ১০৭ শতাংশের কাত ৮ শতাংশ তাহার কাত পূর্ব দিকে দুই শতাংশ বাদে দহ্মিনে কায়েমের অংশ সংলগ্ন . ০২৬৭ একর জমি ক্রয় করেন। এবং ২০-২১ পর্যন্ত খাজনা খারিজ করেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, লোকমান হোসেন তার ছেলেদের নিয়ে ঐ জমির কিছু অংশের মালিক দাবি করে তাদের সাথে বিবাদে জড়ায় এবং জমি দখলের নামে তাদের বারবার উচ্ছেদের চেষ্টা করে। এ বিষয়ে গ্রাম্য শালিশের মাধ্যমে সমাধানের চেষ্টা করা হলেও তা বেশিদিন টিকেনি।
এ বিষয়ে লোকমান হোসেন ও আরিফ হোসেনের সাথে কথা বলতে গেলে তারা বলেন,”আমার জায়গা আমি বেড়া দিছি”। এ বিষয়ে ৩নং ওয়ার্ড সদস্য ইয়াকুব আলী সরদার জানান,এই জমি নিয়ে পূর্বেও সমাধানের চেষ্টা করা হলেও তা স্থায়ী হয়নি। কিন্তু সর্বশেষ লোকমান হোসেনের বেড়া দিয়ে রিনা বেগম ওদেলবর মন্ডলকে অবরুদ্ধ করার বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না।
একই কথা জানালেন ৪ নং ওযার্ড সদস্য রফিকুল ইসলাম-তিনি জানান স্থানীয় ভাবে এ বিষয়ে একাধিকবার মীমাংসা করা হয়েছে কিন্তু তা বেশিদিন টিকেনি।
নলডাঙ্গা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম মৃধা জানান, এ বিষয়ে কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হব।
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় প্রায় দেড় হাজার ফলজ, বনজ ও ঔষধি গাছের চারা রোপন ও বিতরন করেছে যুবলীগের নেতাকর্মীরা। মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের নেতৃত্বে দেশ ব্যাপী বৃক্ষ রোপন কর্মসূচীর অংশ হিসেবে সোমবার দুপুরে কলাপাড়া উপজেলা ও পৌর যুবলীগ এ কর্মসূচীর আয়োজন করে।
পৌর যুবলীগের সভাপতি ও কাউন্সিলর জাকি হোসেন জুকু’র নেতেৃত্বে পৌর শহরের এতিমখানা হাফিজিয়া মাদ্রাসা, গোরস্থানসহ বিভিন্ন স্থনে এসব বৃক্ষ রোপন করা হয়। এছাড়া পৌর ও ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা কর্মীদের মাঝে তিনটি করে ফলজ, বনজ ও ঔষধি গাছের চারা বিতরন করেছে।
এসময় কলাপাড়া উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান মো. শফিকুল আলম বাবুল, মহিপুর থানা যুবলীগ আহবায়ক মো.মিজানুর রহমান বুলেট, উপজেলা যুবলীগ যুগ্ন সাধারন সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, পৌর যুবলীগের সংগঠনিক সম্পাদক আলাআমিন হাওলাদার, গোলাম হায়দার মিঠু, যুবলীগ নেতা মো. মারুফ সহ যুবলীগের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
কলাপাড়া পৌর যুবলীগের সভাপতি ও কাউন্সিলর জাকি হোসেন জুকু বলেন, কেন্দ্রীয় কমিটির নির্দেশে এ কর্মসূচী পালন করেছি। এ ধারা অব্যাহত থাকবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার দপ্তিয়র ইউনিয়নের খাষ ভূগোলহাট বাজার সংলগ্ন ২৫ মিটার ব্রীজটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। ২০০১ সালে ১৪ লক্ষ ৪৯ হাজার ৮ শত ৩৮ টাকা ব্যয়ে ব্রীজটি নিমার্ণ করা হয়। স্থানীয় কাজী মাও. মো. খলিলুল রহমান ওই ব্রীজের নিচ থেকে মাটি উত্তোলন করে নিজের বসত বাড়ী ভরাট করেন। মাটি উত্তোলনের ফলে এবারের বন্যায় ব্রীজটি ভেঙ্গে যেতে পাড়ে এমন আশংকা করছেন এলাকাবাসী ।
সরেজমিনে দেখা যায়, ইতি মধ্যে ব্রীজের দক্ষিন পাশের মাটি ধসে পড়ে চলাচলের অন-উপযোগী হয়ে যায়। স্থানীয়রা নিজ উদ্যোগে বস্তা ফেলে চলাচলের ব্যবস্থা করেন। ওই ব্রীজ দিয়ে প্রতিদিন শত শত গাড়ি ও দপ্তিয়র ইউনিয়ন সহ কয়েক গ্রামের মানুষ যাতায়েত করেন। ব্রীজের মাঝে পিলারে নিচের অংশের মাটি সরে গিয়েছে। বড় কোন গাড়ি পার হইতে গেলে ব্রীজটি কেঁপে উঠে। বাড়ি সংলগ্ন ব্রীজ হওয়ায় দপ্তিয়র ইউনিয়নের কাজী মো. খলিলুল রহমান প্রভাব খাটিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ব্রীজের নিচ থেকে মাটি উত্তোলন করেন।
স্থানীয় জনগণ জানান, ব্রীজটি এমনিতেই খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। তার মধ্যে খলিল কাজী ব্রীজের নীচ থেকে মাটি উত্তোলন করায় এবারের বন্যায় ব্রীজটি ভেঙ্গে পড়ার আশংকা রয়েছে। এটি আমাদের একমাত্র চলাচলের মাধ্যম।
কাজী খলিলুর রহমান বলেন, বৃষ্টিতে আমার বাড়ীর মাটি ধসে যায় আমি সেই মাটি পূর্ণরায় উত্তোলন করি।
নাগরপুর উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. মাইনুল হক বলেন, উপজেলা প্রকৌশলী অফিসার ও সহকারী অফিসার সহ ব্রীজটি পরিদর্শন করি এবং ঝুঁকিপূর্ণ ব্রীজ হিসেবে সদর দফতরে একটি প্রতিবেদন পাঠাই। সেই সাথে স্থানীয় ওই কাজী কে ব্রীজের নীচ থেকে মাটি না কাটার জন্য নিষেধ করি।
ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার কয়ড়া ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের রতনদিয়ার দিয়ারপাড়া গ্রামে আব্দুল কাদের বাড়িতে। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায় ৭/৮ বছর পূর্বে আব্দুল কাদের তার ছেলে নবির হোসেনকে এরোংদহ গ্রামের মমতা খাতুনের সাথে পারিবারিক ভাবে বিয়ে করান।ইতিমধ্যে তাদের কোলে তিনটি সন্তানের জন্ম হয়।
পরিবারের অজান্তে আপন ছোট দেবর আকরামের সাথে বড় ভাবি মমতা খাতুনের পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সে থেকে তাদের মধ্যে অনাবিল পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছিলো। হঠাৎ তাদের পারিবারের মধ্যে কলহের সৃষ্টি হয়। শ্বশুর বাড়ির লোকজনকে ফাঁসাতে রোববার(২৭ জুন) রাত সাড়ে ১১ টার সময় পরকীয়া প্রেমিক আকরামকে শারিরীক সম্পর্কের আলিঙ্গন করে বড় ভাবি মমতা খাতুন। রাতের অন্ধকারে শারীরিক সম্পর্ক করার সময় কৌশলে ভাবি তার পরকীয়া প্রেমিক আকরামের পুরুষাঙ্গ কর্তন করে দেয়া। এ সময় তার চিৎকারে বাড়ির লোকজন উঠে পরে এবং অবস্থা অবনতি দেখে রাতেই উল্লাপাড়া ৩০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে আসে।হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অবস্থার আরোও অবনতি দেখে বগুড়া জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন।
এঘটনা নিশ্চিত করে কয়ড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হেলাল উদ্দিন জানান মমতা খাতুন শ্বশুর বাড়ির লোকজনকে ফাঁসাতে দেবর আকরামের সাথে নেক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছে। মমতা ঘটনার ২ দিন আগে স্বামী নবিরের গোয়ালের তিনটি গরু পরিকল্পিত ভাবে বাপের বাড়িতে রেখে আসে। তিন মাস আগেও প্রতিবেশি নাঈমের সাথে পরকীয়ার পর একই কৌশলে পরুষাঙ্গ কর্তনের ঘটনা ঘটিয়েছিলো মমতা। ঘটনার পরের দিন সোমবার সকালে মমতা উল্লাপাড়া মডেল থানায় একটি সাধারন ডায়রি করেছে। এ ঘটনায় শ্বশুর আব্দুল কাদেরও পুত্রবধূ মমতার বিরুদ্ধে উল্লাপাড়া মডেল থানায় অভিযোগ করেছে । আকরাম হোসেন বগুড়া জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে।
পটুয়াখালীর কলাপাড়ার হাজীপুরে সংরক্ষিত বনের কোল ঘেষে স-মিল স্থাপন করা হয়েছে। স-মিলের নেই সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের কোনো অনুমোদন। ফলে জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব পড়ছে। স-মিলে কাঠ জোগান দিতে গিয়ে উজাড় হচ্ছে বন বিভাগের গাছ। সরকারও বঞ্চিত হচ্ছে মোটা অংকের রাজস্ব থেকে। বন ও পরিবেশ বিভাগের তদারকি ও যথাযথ পদক্ষেপের অভাবে অবৈধভাবেই হাজিপুর সংরক্ষিত ফাতরা বনের পাশেই নিমার্ণ করা হয়েছে এ স-মিলটি।
কলাপাড়া উপজেলার হাজিপুর ইউনিয়নের সোনাতলা নদীর তীরে সংরক্ষিত বনাঞ্চলের পাশেই স-মিলটির অবস্থান। সূত্র মতে, স-মিল স্থাপনের জন্য বন বিভাগের লাইসেন্স প্রাপ্তির পর নিতে হয় পরিবেশ অধিদফতরের ছাড়পত্র। স-মিল লাইসেন্স বিধিমালা ২০১২-র আইনে সুস্পষ্টভাবে বলা রয়েছে, করাত কল স্থাপন বা পরিচালনার জন্য লাইসেন্স ফি বাবদ ২০০০ টাকা ‘১/৪৫৩১/০০০০/২৬৮১ (বিবিধ রাজস্ব ও প্রাপ্তি)থ খাতে বাংলাদেশ ব্যাংক বা যেকোন সরকারি ট্রেজারিতে জমাপূর্বক উহার ট্রেজারি চালান আবেদনপত্রের সহিত সংযুক্ত না করলে আবেদনপত্র গ্রহণযোগ্য হবে না।
সরকারি অফিস-আদালত, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, স্বাস্থ্যকেন্দ্র, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, বিনোদন পার্ক, উদ্যান ও জনস্বাস্থ্য বা পরিবেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ কোনো স্থানের ২০০ মিটারের মধ্যে স-মিল স্থাপন করা যাবে না। সকাল ৬টার আগে এবং সন্ধ্যা ৬টার পরে সমিল চালানো যাবে না। বিধিমালায় আরো বলা আছে, এ আইন কার্যকর হওয়ার আগে কোনো নিষিদ্ধ স্থানে স-মিল স্থাপন করা হয়ে থাকলে আইন কার্যকর হওয়ার তারিখ থেকে ৯০ দিনের মধ্যে সেগুলো বন্ধ করে দিতে হবে। যদি তা না করা হয় তবে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তা বন্ধের জন্য আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবেন।
অথচ কলাপাড়ায় কোনো নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে যত্রতত্র গড়ে উঠেছে অবৈধ স-মিল। বন ও পরিবেশ বিভাগের তদারকি ও যথাযথ পদক্ষেপের অভাব এ সংকট সৃষ্টি করেছে বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর।
কলাপাড়া রেঞ্জ কর্মকর্তা আবদুস ছালাম বলেন, স-মিল নিমার্ণে অনুমতির জন্য আমার কাছে কোন লিখিত আবেদন দেয়নি। চলমান লকডাউনের সুযোগ নিয়ে মিলটি স্থাপন করেছে। তদন্ত পূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ কর হবে।
পটুয়াখালী জেলা সহকারী বন কর্মকর্তা তরিকূল ইসলাম জানান, বনবিভাগের নীতিমালা অনুসারে শীঘ্রই আইনগত ব্যাবস্থা নেয়া হবে।
সোস্যাল মিডিয়ার কল্যাণে পরিবেশ ও সংবাদকর্মী ফজলে রাব্বীর সহযোগিতায় পরিবর পরিজনকে ফিরে পেলে হারিয়া যাওয়া নাবালক ছেলে আব্দুল আলিম। তখন ঘড়ির কাটায় শুক্রবার(২৫ জুন) দুপুর ৩টা ছুঁই ছুঁই ভাব। নাটোরের নলডাঙ্গার মাধনগর রেল স্টেশনের প্লাটফর্মের পূর্বদিকে টিউবয়েলে পানি পান করছিলো,আব্দুল আলিম(১২) নামের এক বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী ছেলে।
বিষয়টি নজরে আসে,পরিবেশ ও সংবাদকর্মী ফজলে রাব্বীর। প্লাটফর্মে অবস্থানরত নারী- পুরুষরা ছেলেটিকে দেখছিলো আর হাসিঠাট্টায় মগ্নছিলো। প্রতিবন্ধী ছেলেকে অনেকেই বিরক্ত করতো। ব্যবসায়ী মোমিন ও ভ্যান চালক সাবাস ইসলামকে ছেলেটির প্রতি খেয়াল রাখার কথা বললেন সংবাদকর্মী ফজলে রাব্বী।
ছেলেটি শুধু বলতে পারে-তার নাম আলিম,বাবা-রহিম,বাড়ি-রুপসা’এছাড়া কিছুই বলতে পারে না। এইটুকু তথ্য নিয়েই শুরু হয় তার পরিবারের খোঁজ করা। ফজলে রাব্বী তার ফেসবুকে পোষ্টসহ,ছেলেটিকে তার পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিতে বিভিন্ন মিডিয়া গ্রুপের মাধ্যমে সহযোগিতা চাওয়া হয়। জানানো হয়-নলডাঙ্গা উপজেলা প্রসাশনকে।
বিষয়টি জানার পর,উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন,ছেলেটির অবস্থা সম্পর্কে সবসময় খোঁজ খবর রাখেন।
অসহায় আলিমকে নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দেওয়ার পর সবাই যোগাযোগ করতে থাকেন।
পরিশেষে,রাজবাড়ীর একটি ফেসবুক মিডিয়া গ্রুপে আলিমের পরিবারের খোঁজ মেলে। তার বাড়ি রাজবাড়ী জেলার কালুখালী উপজেলার রতনদিয়া ইউনিয়নের রুপসা গ্রামে। তার পিতার নাম,আব্দুল রহিম,দাদা আক্কাস আলী শেখ।
জানা যায়,ছেলেটি মঙ্গলবার(১৫ জুন) হারিয়ে যায়,পরনে ছিলো লুঙ্গি। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পরিবারটি হারানো বিজ্ঞত্তি দেন। রাজবাড়ী জেলার কালুখালী উপজেলার রতনদিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও মেম্বাররা নিখোঁজের বিষয়টির সত্যতা স্বীকার করেন। অনেকে মনে করেন,ছেলেটি ভুল করে ট্রেনে চলে আসছিলো,লকডাউনে ট্রেন বন্ধ থাকায় সে আর বাড়িতে ফিরতে পারেনি।
শনিবার(২৬ জুন) আলিমের পরিবারকে খবর দেওয়া হয়। আলিমের পরিবার ও রতনদিয়ার চেয়ারম্যানের সাথে আলোচনা করে,আলিমকে নলডাঙ্গা থানায় হস্তান্তর করা হয়।আলিমকে তার পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিতে,নলডাঙ্গা থানা পুলিশ কালুখালী থানার সাথে যোগাযোগ করেন।রবিবার(২৭ জুন) দুপুরে নলডাঙ্গা থানা পুলিশ আলিমকে পিতা আব্দুর রহিম ও দাদির কাছে হস্তান্তর করেন।
নলডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, বিষয়টি অত্যন্ত মানবিক। আলিমকে তার পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিতে এমন মানবিক কাজে সহায়তার হাত বাড়ানোর জন্য পরিবেশ ও সাংবাদকর্মী, পুলিশ প্রসাশনকে ধন্যবাদ জানান তিনি।