Author: admin

  • রাজবাড়ীতে প্রধানমন্ত্রীর উপহার ঘর নির্মান প্রকল্প পরিদর্শন করলেন ইউএনও।

    রাজবাড়ীতে প্রধানমন্ত্রীর উপহার ঘর নির্মান প্রকল্প পরিদর্শন করলেন ইউএনও।

    রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার উজানচর ইউনিয়নের নতুনপাড়া গ্রামে মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার আশ্রায়ন প্রকল্পের আওতায় ঘর নির্মানে প্রকল্প ৩ জুলাই শনিবার বিকেলে পরিদর্শন করলেন উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা আজিজুল হক।

    জানা যায়, নতুনপাড়ার নতুন ব্রীজ সংলগ্ন এলাকায় মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া উপহার ২১ টি ঘর নির্মান করা হয়েছে। প্রতিটি ঘর মালিকের জন্য ২ শতাংশ করে জায়গা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

    উক্ত আশ্রণ প্রকল্প পরিদর্শনের সময় আরোও উপস্থিত ছিলেন, উপজেলার পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলার আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আলহাজ্ব মোস্তফা মুন্সি,উজানচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল হোসেন ফকির, দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান মন্ডল,পৌর ছাত্র লীগের সভাপতি রাতুল আহমেদ, ও সাধারণ সম্পাদক আকাশ সাহা প্রমুখ।

  • তাড়াশে গ্রাম্য সালিশে প্রধানদের হুমকিতে এক বৃদ্ধ আহতঃহাসপাতালে ভর্তি।

    তাড়াশে গ্রাম্য সালিশে প্রধানদের হুমকিতে এক বৃদ্ধ আহতঃহাসপাতালে ভর্তি।

    সিরাজগঞ্জের তাড়াশে গ্রাম্য সালিশে প্রধানদের  হুকুমে এক বৃদ্ধ মারপিট খেয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার তালম ইউনিয়নের নামো সিলেট গ্রামে।

    জানা গেছে ওই গ্রামের মৃত মন্তাজ আলীর ছেলে আসাদ আলী (৫০) গ্রামের প্রধান ৬নং ওয়ার্ড  আ’লীগের সাধারন সম্পাদক রাজু আহম্মেদ’র  নিকট  একই গ্রামের ইসরাফিল হোসেনের মেয়ে ইসরাত খাতুন মোহনার বিরুদ্ধে সালিশের আরজি জানালে গ্রাম্য প্রধানগন ২ জুলাই শুক্রবার বিকালে ওই গ্রামেই গোলাম রাব্বানীর বাড়িতে সালিশে বসে।

    সালিশে উভয় পক্ষের জিজ্ঞাসাবাদ শোনা হলে সালিশী রায়ের পূর্ব মুহুর্তে  ইসরাত খাতুন মোহনার ছোট ভাই দুলাল হোসেন প্রধানদের নিকট তার বোনের ব্যাপারে কথা বলতে চাইলে প্রধান রাজু আহম্মেদ হুকুম দিয়ে দুলাল হোসেনকে মারতে বলে। এমন সময় দুলাল দৌড় দিয়ে পালায়। তখন  আসাদ আলী (৫০) পিতা মৃত মন্তাজ আলী,সাত্তার আলী পিতা: মৃত খাজী পাগলা,নুরুল ইসলাম (২৫) পিতা সাত্তার আলী,শাহিন রহমান (৩৫) পিতা আকবর আলী, মোন্নাফ হোসেন(২৫) পিতা: আসাদ আলী, হাশেম ও হোসেন সহ একটি দল তার পিতা বৃদ্ধ ইসরাফিল হোসেন (৭০)কে মারপিট করে আহত করে।

    বাবার চিৎকারে মেয়ে ইসরাত খাতুন মোহনা কাছে আসিলে প্রধানগন তাকেও হ্যাস্ত ন্যাস্ত করে। মেয়ে বাবার অবস্থা খারাপ হতে দেখে তাকে নিয়ে তাড়াশ সদর হাসপাতালে এনে ভর্তি করেন। বর্তমানে সে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। এ বিষয়ে তাড়াশ থানায় একটি অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। প্রধানগনের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মোর্তজা হোসেন,আমিনুল ইসলাম, আব্দুল মতিন, রফিজ উদ্দিন, সাইদুল মোহরীসহ অনেকে।

    তালম ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য হাবিবুর রহমান হিরণ বলেন, সালিশে আমি উপস্থিত ছিলাম। শান্তিপূর্ন ভাবেই সালিশ চলতে ছিলো। হঠাৎ করে তর্ক বিতর্ক করতে গিয়ে হাতাহাতি হয়। আমি এ হট্টগোল থামানোর চেষ্টা করেছি। দু একজন বৃদ্ধ মানুষটিকে মারার কারনে সে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছে। উভয় পক্ষকেই মিমাংসা করার চেষ্টা করছি।

    এ ব্যাপারে অফিসার ইনচার্জ ফজলে আশিক বলেন,অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

  • তৃতীয় দিনের লকডাউনে কঠোর নজরদারিতে উল্লাপাড়া উপজেলা প্রশাসন।

    তৃতীয় দিনের লকডাউনে কঠোর নজরদারিতে উল্লাপাড়া উপজেলা প্রশাসন।

    তৃতীয় দিনের লকডাউনে কঠোর নজরদারিতে ছিলো উল্লাপাড়া উপজেলা প্রশাসন।বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসের ক্রান্তিলগ্নের দ্বিতীয় ঢেউয়ের প্রাক্কালে সর্বাত্বক লকডাউনে উপজেলার বিভিন্ন হাট ও বাজারে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, বডার গার্ড ও পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের সাথে নিয়ে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন দুই নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দেওয়ান মওদুদ আহমেদ ও সহকারী কমিশনার( ভূমি) নাহিদ হাসান খাঁন।

    শনিববার ৩ জুলাই নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাহিদ হাসান খাঁন এর ভ্রাম্যমাণ আদালত হাটিকুমরুল, দবিরগঞ্জ ও বাঙ্গালার হাট ও বাজার এলাকায় স্বাস্থ্যবিধি না মেনে দোকান খোলা রাখার অপরাধে তিন ব্যবসায়ীকে ৪’শ টাকা জরিমানা করেন।

    অপর দিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দেওয়ান মওদুদ আহমেদ বোয়ালিয়া, বন্যাকান্দি,সলপ ষ্টেশন,কৃষকগঞ্জ ও জনতার হাট ও বাজারে ব্যবসায়ীদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকানপাট বিকেল ৫ টা পর্যন্ত খোলা রাখার পরামর্শ দিয়েছেন। এ সময় মুখে মাস্কপড়া ও লোক জমায়েত না হওয়ার প্রতি গুরুত্ব আরোপ করেন।

    এ সময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাহযোগিতায় উপস্থিত ছিলেন পঞ্চক্রোশী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তৌহিদুল ইসলাম ফিরোজ।

  • করোনা ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণে লকডাউন বাস্তবায়নে টহল দিচ্ছে শিবগঞ্জের ইউএনও।

    করোনা ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণে লকডাউন বাস্তবায়নে টহল দিচ্ছে শিবগঞ্জের ইউএনও।

    কোভিড-১৯ সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণে সারাদেশের ন্যায় বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলাতেও ৭ দিনের সর্বাত্মক লকডাউন শুরু হয়েছে। ১ সপ্তাহের লকডাউনের ৩য় দিন শনিবার (৩ জুলাই) সকাল থেকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উন্মে কুলসুম সম্পার নেতৃত্বে পুলিশ, আনসার সদস্যদের পাশাপাশি সেনাবাহিনীর সদস্যরা টহলে নেমেছে।

    জানা যায়, এবারের লকডাউন বাস্তবায়নে ‘আর্মি ইন এইড টু সিভিল পাওয়ারথ বিধানের আওতায় মাঠপর্যায়ের কার্যকর টহল নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় সংখ্যক সেনা মোতায়েন রয়েছে।

    এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় মহাস্থান বাজারের সরেজমিনে দেখা যায়, চলমান লকডাউন কার্যকরে রুক্ষ তৎপর চালাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
    প্রথমে মহাস্থান হাটবাজার আর অলিগলিতে ভিড় জটলা লেগে ছিল। পরে সেনাবাহিনী ও উপজেলা অফিসারের টহল দেখে এসব এলাকায় জরুরি প্রয়োজনে বের হওয়া লোকজন দ্রুত সরে যেতে দেখা যায়। সেই মূহুর্তে মহাস্থান শিবগঞ্জ রাস্তার গুরুত্বপূর্ণ মোড় ও প্রধান সড়ক ছিল প্রায় ফাঁকা।

    তবে কিছু কিছু দোকানদার সার্টার অর্ধেক খোলা রেখে দোকানদারি করছে। আবার আইনশৃঙ্খলা বাহীনির সাড়া শব্দ পেয়ে তাঁদের দ্রুত সার্টার মেনে অভিনব কায়দায় শটকে যেতেও দেখা যায়।। জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের দায়িত্ব পালন করছেন উপজেলা পর্যায়ে দায়িত্বরত নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উন্মে কুলসুম সম্পা ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মৌলি মণ্ডল। তাঁরা গতকাল মহাস্থান মাজার গেট এলাকায় স্বাস্থ্যবিধি ভঙ্গের দায়ে মামলা এবং জরিমানা আদায় করেছেন।

    এবিষয়ে শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ম্যাজিস্ট্রেট উন্মে কুলসুম সম্পা জানিয়েছেন, সরকারি প্রজ্ঞাপনের নির্দেশনা অনুযায়ী সর্বাত্মক বিধি নিষেধ বা লকডাউন বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। সেনাবাহিনী, পুলিশ ও আনসার বাহিনী শিবগঞ্জ উপজেলায় সার্বক্ষণিক মাঠে রয়েছে।

    কঠোর লকডাউনের ৩য় দিনে জনগণকে সচেতন করতে কঠোরভাবে কাজ করছেন তারা। রায়নগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম শফি জানিয়েছেন, এই ইউপির মহাস্থান বাজার ও বন্দর এলাকায় জরুরি প্রয়োজন ছাড়া অপ্রয়োজনীয় দোকানপাট বন্ধসহ অযথা জনগণকে বাহিরে ঘোরাফেরা না করতে এলাকায় মাইকিং করা হয়েছে।
    সবাই স্বাস্থ্য বিধি মেনে চললে তড়িৎ করোনা ভাইরাস থেকে মুক্তি পাব।।

  • কলাপাড়ায় মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর পায়ের রগ কর্তনঃ এ ঘটনায় ২ জন গ্রেপ্তার।

    কলাপাড়ায় মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর পায়ের রগ কর্তনঃ এ ঘটনায় ২ জন গ্রেপ্তার।

    পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় মো.শামীম গাজী (২৪) নামে এক মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে কুপিয়ে তার বাম পায়ের রগ কর্তন করা হয়েছে । এসময় তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাথাড়ি ভাবে কুপিয়ে জখম করা হয় ।

    শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে উপজেলার মিঠাগঞ্জ ইউনিয়নের পশ্চিম মধুখালী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আশংকা জনক অবস্থায় তাকে প্রথমে কলাপাড়া হাসপাতালে নিয়ে আসার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাকে রেফার করে ।

    এ ঘটনায় পুলিশ মো.ফয়সাল বারী (২৫) ও হাসিব হাওলাদার (২৫) নামে দুথজনকে আটক করেছে । আহত শামীমের বাবা কাঞ্চন গাজী বাদী হয়ে শুক্রবার রাতে ৬ জনকে আসামী করে কলাপাড়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন ।

    মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ উপ-পরিদর্শক মো.মাসুম জানান, জমি-জমা সংক্রান্ত বিরোধ কে কেন্দ্র করে কাঞ্চন গাজী এবং আবদুল জব্বার গ্রুপের সাথে দীর্ঘদিন ধরে জমি-জমা সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিল ।

    এ বিরোধের জের ধরে শামীম গাজীকে কুপিয়ে জখম করে প্রতিপক্ষরা ।ঘটনার পর পরই স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে রাতে উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি করে ।

    কলাপাড়া স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা.সায়মা সুলতানা জানান, শামীমের বাম পায়ের রগ কর্তন করা হয়েছে । এ ছাড়া তার ডান পা এবং দুথহাতে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে ।

    আহত শামীমের বাবা মো.কাঞ্চন গাজী জানান,শামীম পটুয়াখালী ওয়াজেদিয়া মাদ্রাসার কামেলের ছাত্র । করোনা ভাইরাসের প্রকোপ থাকায় শামীম বাড়ীতে আসে । ওৎ পেতে থাকা সন্ত্রাসীরা তাকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে কুপিয়ে জখম করে ।

    কলাপাড়া থানার ওসি (তদন্ত) মো.আসাদুর রহমান জানান, আসামীদের দুথজনকে আটক করা হয়েছে । বাকীদের আটকের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

  • গোদাগাড়ীতে র‍্যাব-৫ এর অভিযানে শীর্ষ নারী মাদক ব্যবসায়ী মুক্তি গ্রেফতার।

    গোদাগাড়ীতে র‍্যাব-৫ এর অভিযানে শীর্ষ নারী মাদক ব্যবসায়ী মুক্তি গ্রেফতার।

    রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে র‍্যাব-৫ এর অভিযান পরিচালনা করে শীর্ষ নারী মাদক ব্যবসায়ী মুক্তি পারভীনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এসময় ওই নারী মাদক ব্যবসায়ীর নিকট থেকে ৬’শ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করেছে র‍্যাব-৫ এর সদস্যরা।ওই নারী মাদক ব্যবসায়ী গোদাগাড়ী পৌরশহরের শ্রীমন্তপুর গ্রামের মোখলেছুর রহমানের মেয়ে।

    র‍্যাব-৫ জানায়,গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে রাজশাহীর সিপিএসসি, মোল্লাপাড়া ক্যাম্পের একটি অঅভিযানিক দল গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) রাত সাড়ে ৯ টার সময় গোদাগাড়ী উপজেলার গোপালপুর এলাকায় মাদক ক্রয়বিক্রয়ের সময় হেরোইনসহ মুক্তিকে গ্রেফতার করা হয়।এসময় ৬’শ গ্রাম হেরোইন,টি মোবাইল সেট ও ১টি সীমকার্ড উদ্ধার করা হয়।

    স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে,মাদক ব্যবসায়ী মুক্তি দীর্ঘদিন যাবৎ এলাকায় মাদক ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে।তাছাড়া বড় বড় মাদক গডফাদারদের সাথে তার সু-সম্পর্ক রেখে রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় মাদক সরবরাহ করে আসছিলো। এই মাদক ব্যবসা করে অল্প দিনে প্রচুর টাকা পয়সার মালিক হয়েছে।
    উদ্ধার হওয়া আলামতসহ তার বিরুদ্ধে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা রজু করে গোদাগাড়ী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে র‍্যাব-৫ নিশ্চিত করেছেন।

  • ঢাকার আশুলিয়ায় পাওনা টাকা না পেয়ে এক বৃদ্ধকে শ্বাসরোধ করে হত্যা।

    ঢাকার আশুলিয়ায় পাওনা টাকা না পেয়ে এক বৃদ্ধকে শ্বাসরোধ করে হত্যা।

    ঢাকার আশুলিয়ায় পাওনা টাকা না পেয়ে করে জয়নাল আবেদীন(৬০) নামের এক বৃদ্ধকে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে ভাড়াটিয়া এক তরুণের বিরুদ্ধে। ঘটনার পর থেকে ঘাতক তরুণ পলাতক রয়েছে।

    শুক্রবার ( ২ রা জুলাই ) আশুলিয়ার ভাদাইল এলাকার হাজী লাল মিয়া মসজিদের সামনে লতিফ ভান্ডারীর ভাড়া বাড়িতে এ হত্যার ঘটনা ঘটেছে।

    পরে পুলিশ ভোর রাতে তার মরদেহ উদ্ধার করেছে। এঘটনায় নিহতের ছেলে আবু তালেব (২৬) বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়েরের করেছেন।নিহত জয়নাল আবেদীন রংপুর জেলার পীরগাছা থানার ষাটভিটা এলাকার মৃত বারোমনছেরের ছেলে।

    ছেলে, মেয়ে ও স্ত্রীকে নিয়ে তিনি ওই এলাকায় ভাড়া থেকে গাজার ব্যবসা করতো বলে জানিয়েছে পুলিশ। তবে ঘাতক ওই তরুণের নাম পরিচয় পাওয়া যায়নি। সে নিহতের ছেলে আবু তালেবের বন্ধু ছিল।

    স্থানীয়দের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায় নিহত জয়নাল ওই তরুণের কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা ধার নিয়েছিলেন। এই টাকা ফেরত চাইলে টালবাহানা করেন জয়নাল। টাকার বেশি চাপ দিলে গাজা বিক্রির কথা ফাঁস করে দিয়ে পুলিশে ধরিয়ে দেওয়ার হুমকি দিত জয়নাল। ধারের ২০ হাজার টাকা না পেয়ে সুযোগ বুঝে রাতের কোনো এক সময় শ্বাসরোধে জয়নালকে হত্যা করেছে। ঘটনার পরেই ওই তরুণ পালিয়ে যায়।

    আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক মিলন ফকির জানান খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এঘটনায় নিহতের ছেলে তালেব বাদী হয়ে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। আসামি ওই তরুণের বিস্তারিত পরিচয় শনাক্তসহ তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

  • করোনা রোগীদের জরুরী স্বেচ্ছাসেবা প্রদান করছে দক্ষ ডাক্তার নার্স আইসিএ ও আইসিইউ বয়।

    করোনা রোগীদের জরুরী স্বেচ্ছাসেবা প্রদান করছে দক্ষ ডাক্তার নার্স আইসিএ ও আইসিইউ বয়।

    এই বৈশ্বিক মহামারি করোনা ভাইরাস সময়ে মানুষ যখন চিকিৎসার অভাবে মৃত্যুর পথযাত্রী ঠিক তখনি তাঁদের পাশে কয়েকজন দক্ষ ডাক্তার নার্স এবং আই,সি,এ দ্বারা বাড়ি বাড়ি গিয়ে যত্ন সহকারে অক্সিজেন সার্পোট, রেসপাইরেটরী থেরাপি সহ রাইস টিউব, ক্যাথেটার, ক্যানুলা এবং এ্যান্টিবায়োটিক ডোজ সহ স্টিজ ব্যান্ডেজ ও ড্রেসিং সুগার পালস, ব্লাডপ্রেশার, টেম্পারেচার, মনিটরিং সহ আরও অন্যান্য সেবা প্রদান করা হয়।

    বিঃদ্রঃ দেশের যেকোন জেলায় কোভিড-১৯ রোগী ছাড়াও জেনারেল,রোগীদের চিকিৎসার জন্য আলাদা মেডিকেল টিম এর সু- ব্যবস্থা রয়েছে।
    বিস্তারিত জানতে যোগাযোগ করুন!!

    শরিফ আহমেদ( আই.সি.এ এবং ডি.এম.এস সিএমএইচ ঢাকা) ০১৭৩৫৫৬৪২৩৬
    সুমন মিয়া(আই.সি.এ) ০১৭৪৯৪৫৫৯৯৯

    হুমাইয়ারা(সিনিয়র স্টাফ নার্স) ০১৭০৫৯০৬১২০
    মাহবুবুর রহমান (সিনিয়র স্টাফ নার্স) ০১৭০৪২৬৭৪৩৯
    ফাইজুল করিম(আই.সি.এ )০১৭০৯০১৬৭৭৯
    রায়হান আলী (আই.সি.ইউ বয়)০১৯২৩০৬৪৯৮৭

  • সরকারি খালে বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ;কয়েক হাজার একর কৃষিজমিতে জলাবদ্ধতা।

    সরকারি খালে বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ;কয়েক হাজার একর কৃষিজমিতে জলাবদ্ধতা।

    পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় স্লুইজগেট সংলগ্ন সরকারি খালে দুথটি বাধঁ দিয়ে এটি দখল করে মাছ চাষ করছে। অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় প্রভাবশালী মহল মাছ চাষ করার জন্য বাঁধ দিয়েছে। এর ফলে এলাকার তিনটি গ্রাম পানির নিচে তলিয়ে রয়েছে। সৃষ্টি হয়েছে স্থায়ী জলাবদ্ধতা। এলাকার কৃষকরা প্রায় হাজার হাজার একর জমি চাষাবাদ করতে পারছে না।

    স্থানীয়রা জানিয়েছেন. পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় ধূলাসার ইউনিয়নের অনন্তপাড়া গ্রামের দীর্ঘ দশ কিলোমিটার অনন্তপাড়া খাল। বর্ষা মওসুমে অনন্তপাড়া,পশ্চিম ধূলাসার ও খেয়াঘাটসহ তিনটি গ্রামের পানি নিস্কাশন হয়।এলাকার একটি প্রভাবশালী মহল খালের ওপর দুথটি বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ করছে। এর ফলে শুষ্ক মওসুমে স্লুইজ গেট খুলে লবন পানি উঠিয়ে মাছ চাষ করে। বর্ষা মওসুমে স্লুইজ গেট বন্ধ করে রাখার কারনে বর্ষার পানি নামতে পারছে না। ফলে ওই তিন গ্রামের হাজার হাজার একর কৃষি জমি অনাবাদী হয়ে পড়ে রয়েছে।

    পশ্চিম ধূলাসার গ্রামের বাসিন্দা মো.হুমায়ুন কাজী বলেন, ধূলাসার ইউনিয়ন শ্রমিকলীগ সভাপতি বশির মৃধা, হান্নান গাজী, রিপন গাজী, ইলিয়াজ ও জুন্নুন খালের ওপর বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ করছে। এ কারনে শুস্ক মওসুমে লবন পানি প্রবেশ করান। ফলে এলাকার কৃষি জমিতে লবনাক্ততা বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং বর্ষার পানি নামতে পারছে না।

    অনন্তপাড়া গ্রামের গৃহবধূ নার্গিস বেগম বলেন, লবন পানি উঠানোর কারনে এলাকার কৃষি জমি লবনাক্ত হয়ে যায়। গবাদিপশুর খাওয়ানোর জন্য মাঠে ঘাস পর্যন্ত জন্মাতে পারে না। বর্ষা মওসুমে জলাবদ্ধতায় বাড়ির উনুন পর্যন্ত পানির নিচে তলিয়ে থাকে। ফলে রান্নাবান্না করতে পারছে না।

    শতবছরের বৃদ্ধ শওকত আলী চৌকিদার বলেন, এলাকায় লবনাক্ততার কারনে এলাকায় সবজি পর্যন্ত জন্মাতে পারছে না। এর প্রতিবাদ যখন যে করে প্রভাবশালী মহলের সন্ত্রাসী বাহিনী তাদেরকে মারধর করে। এমনকি মিথ্যা মামলা দিয়ে তাদেরকে জেল খাটতে হয়েছে। গত ২৯ জুন এর প্রতিবাদ করায় বাবলা তলা বাজারে শফিক পাটোয়ারীকে ইট দিয়ে পা থেতলীয়ে দেয় । এ ঘটনায় শফিক মহিপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

    এ ব্যাপারে তদন্তকারী কর্মকর্তা মহিপুর থানার এস আই সাইদুল ইসলাম বলেন, অভিযোগ পেয়েছি।
    তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যাবস্থা নেয়া হবে।

    এ ব্যাপারে অভিযুক্ত ধূলাসার ইউনিয়ন শ্রমিকলীগ সভাপতি বশির মৃধা বলেন, খালটি লিজ নেয়া হয়নি। তবে এলাকার দুথটি মাদ্রাসার লিল্লাহ বোর্ডিং-এ বছরে এক লাখ টাকা দিচ্ছেন বলে দাবি করেন। কোনো প্রকার লবন পানি উত্তোলন কিংবা জলাবদ্ধতা সৃষ্টির জন্য পানি আটকিয়ে রাখার বিষয়টি অস্বীকার করেন।

    কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহীদুল হক বলেন, কৃষি জমিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি করে মাছ চাষ করার কোনো সুযোগ নেই। আমি ধূলাসার ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানকে জলাবদ্ধতা দূর করার লক্ষ্যে দ্রুত ব্যাবস্থা নেয়ার জন্য বলে দিচ্ছি।

  • পটুয়াখালী লকডাউনের দ্বিতীয় দিনে ১৩ জনকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অর্থদন্ড।

    পটুয়াখালী লকডাউনের দ্বিতীয় দিনে ১৩ জনকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অর্থদন্ড।

    পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় (দুই জুলাই) শুক্রবার চলমান সর্বাত্মক লকডাউনের দ্বিতীয় দিনে কভিট-১৯ এর বিধিমালা ও স্বাস্থ্যবিধি না মানায় কলাপাড়া পৌর শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে, কুয়াকাটা মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে এবং উপজেলার নীলগঞ্জে অভিযান চালিয়ে ১৩ জনকে অর্থদণ্ড দেয়া হয়েছে।

    এ সময় কলাপট্টি খেয়া ঘাটে চলমান লকডাউন উপেক্ষা করে খেয়া পরিচালনা করায় চানমিয়া মাঝিকে এক হাজার টাকা, খেয়ার যাত্রীদের, দোকান খোলা রাখা এবং মোটরসাইকেল নিয়ে রাস্তায় বের হওয়ায় আরও ১২ জনকে মোট ১৩টি মামলায় ৭ হাজার ৯’শ টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু হাসানাত মো.শহীদুল হক।

    উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু হাসানাত মো.শহীদুল হক জানান, কলাপাড়া উপজেলার করোনা পরিস্থিতি খারাপ অবস্থায় আছে।

    উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। পুলিশের পাশাপাশি মাঠে কাজ করছে সেনাবাহিনী। বিনা কারনে বাইরে বের হলে করা হচ্ছে জরিমানা আদায়।
    সাংবাদিকদের তিনি আরও জানান, কারো যদি খাবার অভাব থেকে থাকে তবে আপনারা জানাবেন আমি সেখানে খাবার পৌঁছে দেব।