Author: admin

  • সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে ট্রাকচাপায় দুই ভাইয়ের মৃত্যু।

    সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে ট্রাকচাপায় দুই ভাইয়ের মৃত্যু।

    সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে বালুভর্তি ট্রাকচাপায় দুই ভাইয়ের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (৫ জুলাই) দুপুরের দিকে উপজেলার চালা সাতরাস্তার মোড় এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন, উপজেলার চালা বানিয়াপাড়া এলাকার আব্দুস সামাদের ছেলে রাব্বি (১৩) ও সাব্বির (১০)।

    বেলকুচি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মোস্তফা এ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, সোমবার দুপুরের দিকে চালা সাতরাস্তার মোড় এলাকায় দুই ভাই দাঁড়িয়ে ছিল। এ অবস্থায় বালুভর্তি একটি ট্রাক তাদের চাপা দেয়ার পর পাশের খালে পড়ে যায়। এ ঘটনায় ঘটনাস্থলেই মারা যায় ওই দুই ভাই। খবর পেয়ে পুলিশ নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে। তবে ট্রাকটিকে জব্দ করা গেলেও চালক ও হেলপার পলাতক রয়েছেন। তাদের আটকের জন্য পুলিশের অভিযান চলছে।

  • শাহজাদপুর পোরজনায় দুই’শ মিটার কাঁচা সড়কের জন্য হাজারো মানুষের দূর্ভোগ।

    শাহজাদপুর পোরজনায় দুই’শ মিটার কাঁচা সড়কের জন্য হাজারো মানুষের দূর্ভোগ।

    সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার পোরজনা ইউনিয়নের জামিরতা পূর্বপাড়া গ্রামের ২’শ মিটার কাঁচা সড়কে প্রায় তিন হাজার মানুষের চলাচলে চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বিশেষ করে বর্ষাকালে ৪ থেকে ৫ মাস পানির নীচে ডুবে থাকে গ্রামবাসীর একমাত্র চলার পথটি। গ্রামবাসীর চলাচলের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই সড়ক দিয়ে মসজিদ, মাদ্রাসা, স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীসহ প্রায় ৩ হাজার মানুষ প্রতিনিয়ত যাতায়াত করে থাকে।

    উপজেলার পোরজনা ইউনিয়নের জামিরতা পূর্বপাড়ায় রয়েছে ‘জামিরতা পূর্বপাড়া হযরত বেলাল (রাঃ) হাফিজিয়া মাদ্রাসা’ ও মুসল্লীদের নামাজ আদায়ের জন্য রয়েছে একটি মসজিদ। এই হাফিজিয়া মাদ্রাসায় ৫৫ জন শিক্ষার্থী রয়েছে যার মধ্যে ৩০ জন শিক্ষার্থী দুঃস্থ এতিম ও অসহায়। এছাড়াও এই সড়ক দিয়ে স্কুল কলেজে পাঁচ শতাধিক ছাত্রছাত্রী নিয়মিত যাতায়াত করে।

    এলাকাবাসী জানান, আমাদের মসজিদের যাতায়াতের এই একটি সড়কে বন্যার পানি আসলেই আমরা মসজিদে যেতে পারি না মাদ্রাসাটিও বন্ধ হয়ে যান রাস্তা ডুবে থাকার কারনে, ছেলে-মেয়েরা স্কুল,কলেজে যেতে পারে না। অপরিমেয় দূর্ভোগে পড়তে হয় এই সামান্য রাস্তা উচু না হওয়ার কারনে।

    এ ব্যাপারে মাদ্রাসা ও মসজিদ কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব গোলাম মোস্তাফা বলেন, আমাদের পুরো গ্রামবাসির এই একটি মাত্র মসজিদ এবং মাদ্রাসা করা হয়েছে। কিন্তু একটু বৃষ্টি ও বন্যা হলেই প্রায় ৪-৫ মাস মুসুল্লিরা নামাজে আসতে পারেনা এবং বেশি বন্যা হলেই মাদ্রাসা বন্ধ করে দেওয়া হয়। তাই যদি স্থানীয় সরকার বা ব্যাক্তিগত ভাবে হোক সড়কটি উঁচু করে দিলে অন্তত মুসলমানদের ধর্মীয় কাজ ইবাদত করতে পারবে এবং ছাত্র ছাত্রীরা স্কুল কলেজে যেতে পারবে।

    এ ব্যাপরে পোরজনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আনোয়ার হোসেন বাবু জানান, প্রকল্পের মাধ্যমে খুব দ্রুতই রাস্তাটি উঁচু করে পাকাকরণের পরিকল্পনা রয়েছে। করোনা মহামারি শেষ হলেই সংস্কার করে জনগণের দূর্ভোগ লাঘব করা হবে।

  • ঢাকার আশুলিয়ায় অস্ত্র তৈরির কারখানার সন্ধান, সরঞ্জামসহ আটক ২।

    ঢাকার আশুলিয়ায় অস্ত্র তৈরির কারখানার সন্ধান, সরঞ্জামসহ আটক ২।

    ঢাকার সাভার আশুলিয়ার গুমাইল এলাকার অস্ত্র তৈরির কারখানার সন্ধান পেয়েছে আশুলিয়া থানা পুলিশ।এখানে রাত ব্যাপি অভিযান চালিয়ে অস্ত্র তৈরির দুই কারিগরসহ বিপুল পরিমাণ অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে।

    শনিবার ৩ জুলাই গভীর রাত পর্যন্ত এই উদ্ধার অভিযান চালিয়ে তাদের অস্ত্রসহ তাদের আটক করা হয়।

    আটককৃতরা হলেন রাজু ও রঞ্জু তারা দুজনই অস্ত্র তৈরির কারখানায় কাজ করে।নিয়মিত অস্ত্র তৈরি করে বলে পুলিশের ধারনা।পুলিশ আটককৃতদের সম্পর্কে বিশাদ ভাবে তদন্ত করছেন।

    আশুলিয়া থানার তদন্ত(ওসি) জিয়াউল হক জানান শনিবার রাত সাড়ে ১২ টার সময় কিছু অস্ত্র ব্যবসায়ী অবস্থান করে। খবর পেয়ে আশুলিয়ার থানার পুলিশ ওই অস্ত্র কারখানায় অভিযান চালায়। অভিযানের এক পর্যায়ে দুজনকে আটক করা হয়। পরে তাদের অবস্থান নেয়া একটি ঘর থেকে তৈরি বেশকিছু অস্ত্র ও অস্ত্র তৈরির সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়।

    আটককৃতরা ওই এলাকায় অবস্থান করে অস্ত্র তৈরি করে বিএনপি নেতা দেলোওয়ার হোসেন সরকারে কাছে নিয়মিত সরবরাহ করত বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে।

    আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক ইউনুস মিয়া জানান তারা দীর্ঘদিন ধরে পুলিশ প্রশাসনের চোখে ধূলো দিয়ে এই অস্ত্র তৈরি এ কাজ চালিয়ে আসছিলো।

  • এনায়েতপুরে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করায় ৫০ হাজার টাকা জরিমানা।

    এনায়েতপুরে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করায় ৫০ হাজার টাকা জরিমানা।

    সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলার এনায়েতপুরের উরাপাড়া নামক যমুনা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করায় একজনকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। মো: সাহেব আলী নামের বালু ব্যবসায়ীকে বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০-এর ৪-ধারা মতে এ জরিমানা করা হয়।

    আজ রবিবার ৪ জুলাই বিকেলে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহিদ আল হাসান ৷

    আদালত সূত্র জানায়, চৌহালী উপজেলার এনায়েতপুর থানার সদিয়া চাঁদপুর ইউনিয়নের উরাপাড়া নামক স্থানে যমুনা নদী এলাকায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে এক ব্যবসায়ী।

    এ খবর জানতে পেরে অভিযান চালান ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় সাহেব আলী (৪০) নামের বালু ব্যবসায়ীকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করায় ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। তাৎক্ষণিকভাবে জরিমানা পরিশোধ করেন ওই ব্যবসায়ী।

    একই আদালতে মাস্ক না থাকার অপরাধে ১৮৬০ এর ২৬৯ ধারায় উপজেলার এনায়েতপুর থানার সদিয়া চাঁদপুর ইউনিয়নের ৬ জনকে ৫০০০টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

    চৌহালী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহিদ আল হাসান বলেন, এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

  • কলাপাড়ায় লকডাউনের চতুর্থ দিনে ১৮ জনকে ভ্রাম্যমান আদালতের অর্থদণ্ড।

    কলাপাড়ায় লকডাউনের চতুর্থ দিনে ১৮ জনকে ভ্রাম্যমান আদালতের অর্থদণ্ড।

    পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় করোনা সংক্রমন প্রতিরোধ আইনে ১৮ জনকে ৩৪ হাজার ৮০০ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমান আদালত । লকডাউন এর চতুর্থ দিন ৪ জুলাই রবিবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত কলাপাড়া পৌর শহর নতুন বাজার,পাখিমারা বাজার ও শেখ কামাল সেতু সংলগ্ন এলাকায় পথচারি ও ব্যবসায়ীদের এ জরিমানা করা হয়।নিয়ম ভাঙ্গলেই করা হচ্ছে অর্থ দন্ড। ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন, নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) জগৎবন্ধু মন্ডল ।

    এ সময় লকডাউনের চতুর্থ দিনে কলাপাড়া পৌর শহরে সেনা বাহিনীর টহল ছিল,ছিল পুলিশ বাহিনীর টহল।

    অর্থদন্ডকৃতরা হচ্ছে এ.জে ইলেকট্রনিক্স ১২হাজার টাকা, অশোক এন্ড ব্রাদ্রার্সকে পাঁচ হাজার টাকা, সাব্বির টেইলার্স তিন হাজার টাকা,ইয়াস বস্ত্রালয় পাঁচ হাজার টাকা অর্থদন্ড প্রদান করে।

    এছাড়া ১৪জন পথচারিকে বিনা কারনে বাইরে বের হওয়ায় ৯ হাজার ৮থশত টাকা অর্থদন্ড প্রদান করে ভ্রাম্যমান আদালত।

    উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) জগৎবন্ধু মন্ডল জানান, সংক্রমন রোগ প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রন ও নির্মূল আইন ২০১৮ এর ২৪ (১) ধারা লঙ্গনে ২৪ (২) ধারা মতে ১৪ পথচারী ও ৪ ব্যবসায়ীকে ৩৪ হাজার ৮ শত টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

  • সিরাজগঞ্জ তাড়াশে বর্ষার আনাগোনা মাছ শিকারে ধুন্দির চাহিদা ব্যাপক।

    সিরাজগঞ্জ তাড়াশে বর্ষার আনাগোনা মাছ শিকারে ধুন্দির চাহিদা ব্যাপক।

    সিরাজগঞ্জের চলনবিল তাড়াশে ছোট মাছ ধরার জন্য এটাই শ্রেষ্ঠ কৌশল বলে মনে করেছেন কৃষক পেশার জনগন। এই কৌশল উপকরণ টির নাম বিভিন্ন এলাকায় চাই নামে পরিচিত থাকলেও এই অঞ্চলে এর নাম ধুন্দি বা ধিয়াল নামে পরিচিত।

    চলনবিল অধ্যুষিত তাড়াশ উপজেলায় বন্যার পানি আগমনের সাথে সাথে গ্রামের খাল বিল হাওড়-বাওড় কিংবা নদীতে মাছ ধরার  মহা উৎসব শুরু হয়েছে। মাছ ধরতে বিভিন্ন উপকরন ব্যবহার হলে ও চলনবিল অঞ্চলে ছোটমাছ ধরার জন্য ব্যবহৃত হয়ে থাকে পুরনো পদ্ধতির  বাঁশের তৈরী (চাঁই ) যা তাড়াশ অঞ্চলে এর নাম  ধুন্দি বা ধিয়াল।

    এই ধুন্দি কেউ বা তৈরী করে  আবার কেউ বা কিনে সেটা দিয়ে মাছ ধরে বিলাঞ্চলের  বিভিন্ন কৃষক পেশার মানুষ সহ বিভিন্ন আয়ের  মানুষ জীবন যাপন করছেন।

    সরেজমিনে  উপজেলার  নওগা হাটে গিয়ে দেখা যায়  বিভিন্ন এলাকা থেকে বিক্রেতারা শত শত ধুন্দি নিয়ে সারি বদ্ধ হয়ে বিক্রি  করছে। এক একটি ধুন্দি বিক্রি করা হচ্ছে ৩শ থেকে ৪শ টাকায়। তবে বিক্রেতা ও ক্রেতারা খাজনা নিয়ে পরছেন বিপাকে। তবুও নিজেদের চাহিদা মিটাতেই ভির জমছে হাট গুলোতে।

    বর্ষা শুরু হলেই বিশেষ পদ্ধতিতে বাঁশ দিয়ে তৈরী ওই সমস্ত ধুন্দি খাল, বিল ,নদী- নালায় ১০-১৫ হাত ফাঁকে ফাঁকে বানা দিয়ে বসিয়ে মাছ ধরা হয়। এতে চিংড়ি, মোয়া, পুঁটি, বেলে, টেংরাসহ বিভিন্ন ধরনের ছোট মাছ ধরা পরে। এতে সাধারণ জনগনের মাছ কেনা লাগে না । মাছে ভাতে বাঙ্গালীর ঐতিহ্য কথাটি ধরে রাখতেই সবাই এই সময় মাছ মারেন আবার কেউ কেউ টাকা আয়ও করেন।

    ধুন্দি তৈরীর কারিগর ভাদাশ গ্রামের আজম আলী  জানান, বঁাশ দিয়ে ধুিন্দ বাধতে হয় অনেক কষ্ট হলেও এটা টেকসই। বর্তমানে বাঁশের কাঠির পরিবর্তে শুধু বাঁশের চটা দিয়ে তৈরী ফ্রেমে জাল দিয়েও ধুন্দি বানানো হচ্ছে। তবে জালের তৈরী ফাঁদ অনেক সময় ছিঁড়ে যাওয়া বা কাঁকড়া কেটে ফেলার সম্ভবনা থাকে। তাই বিলাঞ্চলের মানুষ বাশের তৈরী ধুন্দি বেশী পছন্দ করে। বাঁশের ধুন্দির চাহিদা পুর্বে  যেমন ছিল বর্তমানে আর ও বেরেছে।

  • খানখানাপুর বাজারে কেউ মানছেনা স্বাস্থ্যবিধি সচেতন মহল প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষন।

    খানখানাপুর বাজারে কেউ মানছেনা স্বাস্থ্যবিধি সচেতন মহল প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষন।

    রাজবাড়ী সদর উপজেলার খানখানাপুর বাজারে বেশিরভাগ মানুষ মানছেনা স্বাস্থ্যবিধি উপছে পড়া জনতার ভীর চলছে ৭ দিনের কঠোর লকডাউন।

    বিশেষ করে কাঁচা বাজারগুলোতে মানুষ গাদাগাদি করে বেচাকেনায় ব্যস্ত সরকারের বেধে দেওয়া সময়,স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখার কোন বালাই তাদের মধ্যে নেই।ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয়ে মাস্ক ছাড়াই বেচাকেনা করতে দেখা গেছে। অনেকের মাস্ক থাকলেও ব্যবহারে উদাসীন।

    সরেজমিনে খানখানাপুর বাজারে গিয়ে দেখা যায়, সবজি, মাছ, মুদি, ফল বিক্রেতাসহ অধিকাংশ দোকান মালিকরাই মাস্ক ছাড়া পণ্য বিক্রি করছেন। একই সঙ্গে মাস্ক ছাড়াই কেনাকাটা করছেন ক্রেতারা।

    ক্রেতাদের কারোর মুখে মাস্ক থাকলেও বেশির ভাগ বিক্রেতার মুখে মাস্ক নেই। অনেকের মুখে মাস্ক পরলেও থোতার নিচে নামিয়ে রাখতে দেখা গেছে৷ এছাড়া বাজারে চায়ের দোকানগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দুরত্বের কোন বালাই নেই।

    এ বিষয়ে বাজারের এক মুদির দোকানি জানান, লকডাউনের খবরে মানুষ গত দুই দিন মানুষ আখেরি কেনাকাটা করেছে। তবে আজকে অনেকটাই কম। ক্রেতাকে বলেও স্বাস্থ্যবিধি মানানো যায় না,কার আগে কে সদাই নেবে প্রতিযোগিতায় সবকিছু ভুলে যায়। যদিও বলা হয় দূরত্ব বজায় রাখতে কিন্তু এতে কোনো লাভ হয় না।

    আর সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হলে দীর্ঘ লাইন পড়ে যায়। তখন পাশের দোকানগুলোর সমস্যা হয়। আমি মাস্ক না পরলে বলি ভাই মাস্কটা পরে পণ্য নেন ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখুন। জনসাধারণকে স্বাস্থ্যবিধি মানাতে হলে সরকারকে আরো কঠোর হতে হবে।

    বাজারের মুদির দোকান মালিক ছালাম সেখ জানান, কাজের সময় স্বাস্থ্যবিধি মানা ও মানানো অনেকটাই কঠিন। নিজে সচেতন না হলে এটা সম্ভব না। এতে পেঁয়াজ, আদা, আলু ও চালের দাম বেড়ে গেছে। তবে অন্যান্য পণ্যের দাম স্বাভাবিক রয়েছে বলেও জানান তিনি।

    ক্রেতা নাজমুল হাসান জানান, আমি প্রতিদিন সকলে কাঁচা বাজার করি। আজকে বাজারে ভালোই ভিড় । কিন্তু গত দুইদিনেও মানুষ প্রচুর কেনাকাটা করেছে। ফলে জিনিস পত্রের দাম বেড়ে গেছে৷ ভিড় থাকলেও স্বাস্থ্যবিধি মানছে না অনেকেই। অনেকেই মাস্ক ব্যবহার করছেন না ও সামাজিক দুরত্বও বজায় রাখছে না। সরকারি নির্দেশনা মানার জন্য প্রশাসনকে ব্যবস্থা নিতে হবে। নয়তো সাধারণ মানুষ এভাবেই চলবে। করোনা বাড়লেও অনেকের সংক্রমণের ভয় নেই। চায়ের দোকানগুলোতে অযথা আড্ডা বন্ধ করতে হবে।

    এদিকে লকডাউনে বাজারে বেড়েছে বিভিন্ন পণ্যের দাম। বাজারগুলো ঘুরে দেখা গেছে, তিনদিন আগের ১৮ থেকে ২০ টাকায় যে আলু বিক্রি হতো এখন সেই আলু প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ২২ থেকে ২৫ টাকা দরে। ৩৫ টাকার পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকায়, ৬০ টাকা কেজির আদা বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকা দরে। একই সঙ্গে দাম বেড়েছে সব ধরনের চালের। বিক্রেতারা প্রতিকেজি চালে ২ থেকে ৩ টাকা বেশি নিচ্ছেন। পাশাপাশি বেড়েছে ডিমের দাম। গত সপ্তাহে প্রতি হালি ডিম ২৮ থেকে ৩০ টাকায় বিক্রি হলেও এখন বিক্রি হচ্ছে ৩২ থেকে ৩৫ টাকা হালি।

    এ বিষয়ে খানখানাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল করিম লাল বলেন আমরা জনগণকে সর্বক্ষণ মাইকিং করে বলে দিচ্ছি ঘরের বাইরে বের হলে অবশ্যই মাক্স ব্যবহার করবেন অযথা ঘরের বাইরে বের হবেন না।আমরা সর্বক্ষণ মাঠে কাজ করছি এবং এই কাজ অব্যাহত থাকবে

  • উজানচর ইউনিয়নে গ্রামীণ সড়ক উন্নয়ন কাজের ধীর গতি; অভিযোগ ঠিকাদারের গাফিলতি।

    উজানচর ইউনিয়নে গ্রামীণ সড়ক উন্নয়ন কাজের ধীর গতি; অভিযোগ ঠিকাদারের গাফিলতি।

    রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে উজানচর ইউনিয়নের গ্রামীণ উন্নয়ন সড়কের কাজের ধীর গতিকে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের গাফিলতি বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর। মাখন রায়েরপাড়া থেকে দৌলতদিয়া ইউনিয়নের জিতু মাতবরপাড়া ভায়া আজিমউদ্দিন সরকার পাড়ার আনছার মেম্বারের দোকান পর্যন্ত ১৭০০ মিটার কাচা রাস্তা পাকাকরণে ঠিকাদারের অবহেলার কারণে কাজের ধীরগতি হচ্ছে বলে জনগনের দাবী।

    এই এলাকার রাস্তার উন্নয়ন কাজ শুরু হয় হেলাল এন্টারপ্রাইজ নামক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের নামে প্রায় তিন মাস আগে। রাস্তাটির উন্নয়নে কাজের ব্যয় ধরা হয়েছে ৬৮ লক্ষ টাকা।রাস্তাটি ইটের সলিং এর কাজ ।

    দৈনিক বিশ্ব মানচিত্র পত্রিকার একটি টিম সরজমিনে গিয়ে রাস্তাটি পরিদর্শন করলে দেখা যায় বিভিন্ন জায়গায় ছোট বড় গর্তের পরিণত হয়েছে । ফলে এলাকাবাসীর চলাচলের ব্যাপক দুর্ভোগের মধ্যে পড়েছে। এলাকায় রিকশা ও অটোগাড়ীর চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে শুধু রাস্তাটির কারণে।রাস্তা খানাখন্দের কারনে কোন রোগী হাসপাতালে নেওয়ার সময় ঘটতে পারে মৃত্যুর মতো দুর্ঘটনাও।

    শফিকুল ইসলাম নিকবার শহীদুল ইসলাম খাঁ, আলাউদ্দিন সরদার কেরামত শেখ, বিল্লাল হোসেন বলেন, আমাদের এলাকার রাস্তার উন্নয়ন কাজ বন্ধ আছে শুধু ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের অবহেলার কারনে।

    তারা আরোও বলেন এই রাস্তার সাথে সংশ্লিষ্ট সকল প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের অনুরোধ জানাই আপনারা সরোজমিনে এসে এ রাস্তা পরিদর্শন করেন এবং এ রাস্তা যেন দ্রুত সুন্দর একটি রাস্তা হয় সে ব্যবস্থা করেন।

    দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুর রহমান মন্ডল বলেন,আমি ওই এলাকার রাস্তা পরিদর্শনে গিয়েছিলাম। রাস্তার বেহাল দশা সৃষ্টি হয়েছে সেজন্য ঠিকাদারকে ফোন দিয়েছি ঠিকাদার ফোন ধরেনি। আমি রাস্তার দূরত্ব সমাধান চাই।

    ঠিকাদার হেলাল জানান, বালির সমস্যা টাকার সমস্যা করোনাকালীন সময়ে শ্রমিকের সমস্যা সে জন্যই এ রাস্তার কাজ বন্ধ রয়েছে। তবে খুব তাড়াতাড়ি রাস্তার কাজ শুরু হবে এবং দ্রুত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ হবে।

  • ঢাকার আশুলিয়ার পোশাক কারখানায় জ্বীনের আচরে ২২ শ্রমিক আতংকিত।

    ঢাকার আশুলিয়ার পোশাক কারখানায় জ্বীনের আচরে ২২ শ্রমিক আতংকিত।

    ঢাকা সাভারের আশুলিয়ার একটি পোশাক কারখানায় অজানা জ্বীনের আতঙ্কে প্রায় ২২ জন শ্রমিক অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। শ্রমিকদের দাবী ওয়াশরুম থেকে ফিরে এসেই সবাই অসুস্থ হয়ে পড়েছে। তাদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাবিব ক্লিনিক ও নারী শিশু স্বাস্থ্য কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে।

    শনিবার ( ৩ জুলাই ) বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে আশুলিয়ার পলাশবাড়ি এলাকার ডংলিয়ান ফ্যাশন বিডি লিমিটেড কারখানায় এই ঘটনা ঘটে।এঘটনায় অমান্য শ্রমিকরা ভয়ে কারখানা থেকে বাসায় চলে গেছেন।

    শ্রমিকরা জানায় বেলা ১১ টার সময় এক শ্রমিক প্রকৃতি ডাকে সাড়া দিতে কারখানার ফ্লোরের একটি শৌচাগারে যায়।সেখান থেকে ফিরে এসে তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। পরবর্তীতে আরো দুই একজন ওই শৌচাগারে গেলে তারাও জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন।

    এই ঘটনা ছড়িয়ে পড়লে আতঙ্কে আরও ১২ থেকে ১৫ জনসহ মোট ২২ জন অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাদের উদ্ধার করে স্থানীয় ক্লিনিকে নেওয়া হয়।

    নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শ্রমিক জানান গত রমজান মাস থেকে কারখানার ওই ফ্লোরে এই জ্বীনের আতঙ্ক বিরাজ করছে। এর আগেও দুই একজন এমন অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। কিন্তু আজ তো অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। সব শ্রমিক আতঙ্কে রয়েছে।

    কারখানার এইচ আর এডমিন ম্যানেজার রফিকুল ইসলাম জানান কারখানায় এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে। তারা জ্বীন আতঙ্কে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আমাদের কারখানায় কিছুদিন আগে কারখানার নতুন ইউনিট খোলা হয়েছে। যেখানে দেড় শতাধিক শ্রমিক কাজ করছিলেন। সবাই জ্বীন আতঙ্কে বাসায় চলে গেছেন।

    বর্তমানে ১০ থেকে ১২ জন শ্রমিক কারখানায় আছেন। তিনি আরো জানান প্রথম যিনি অসুস্থ হয়েছেন তার অবস্থা একটু খারাপ। তার চিকিৎসা চলছে আমরা ৮ জনকে হাবিব ক্লিনিকে পাঠিয়েছি।

    বাংলাদেশ বস্ত্র ও পোশাক শিল্প শ্রমিক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সরোয়ার হোসেন বলেন, খবর পেয়ে ওই কারখানার সামনে আমার প্রতিনিধিকে পাঠিয়েছিলাম। তবে কোন শ্রমিকই মুখ খুলতে রাজি নয়। তারা কিভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন এ ধরনের কোন যৌক্তিক তথ্য পাওয়া যায়নি। তারা শুধু বলেছে ওয়াশরুম থেকে বের হয়েই সবাই অসুস্থ হয়ে পড়ছেন।

  • কঠোর লকডাউনের তৃতীয় দিনে কলাপাড়া ভ্রাম্যমাণ আদালতের অর্থদণ্ড।

    কঠোর লকডাউনের তৃতীয় দিনে কলাপাড়া ভ্রাম্যমাণ আদালতের অর্থদণ্ড।

    পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় করোনা সংক্রমন প্রতিরোধ ২৫ জনকে ২৩ হাজার ৩’শ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমান আদালত । লকডাউনের তৃতীয় দিন ৩ জুলাই শনিবার সকাল ১০ টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত কলাপাড়া পৌরশহর সহ আলীপুর ও মহিপুর এলাকায় পথচারী ও ব্যবসায়ীদের এ জরিমানা করা হয় ।

    নিয়ম ভাঙ্গলেই করা হচ্ছে অর্থ দন্ড। ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন, নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) জগৎবন্ধু মন্ডল । এ সময় লকডাউনের তৃতীয় দিনে কলাপাড়া পৌর শহরে সেনা বাহিনীর টহল ছিল,ছিল পুলিশ বাহিনীর সদস্যরাও।

    ভ্রাম্যমাণ আদালত চলাকালীন সময় উপস্থিত হন কলাপাড়া উপজেলা চেয়ারম্যান এস এম রাকিবুল আহসান তিনি সকলের উদ্দেশ্যে বলেন বিনা প্রয়োজনে ঘরের বাহিরে বের হবেন না। স্বাস্থ্যবিধি না মানলে প্রচলিত আইনের আওতায় তাদের বিচারের কাঠ গড়ায় দাঁড়াতে হবে। অতএব সরকারের স্বাস্থ্যবিধির আইন নিজে মানি অন্যকে মানার পরামর্শ দেই।আপনাদের এই পরামর্শে বেঁচে যেতে পারে বাংলার হাজার মায়ের সন্তান।

    উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) জগৎবন্ধু মন্ডল জানান, সংক্রমন রোগ প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রন ও নির্মূল আইন ২০১৮ এর ২৪ (১) ধারা লঙ্গনে ২৪ (২) ধারা মতে পথচারীসহ ২৫ ব্যবসায়ীকে জরিমানা করা হয়েছে।