Author: admin

  • টাঙ্গাইলে ১০ ডাক্তার ও ৩৮ নার্সসহ ২৯০ জন করোনায় আক্রান্ত।

    টাঙ্গাইলে ১০ ডাক্তার ও ৩৮ নার্সসহ ২৯০ জন করোনায় আক্রান্ত।

    টাঙ্গাইলে গত ২৪ ঘন্টায় ৭১৭টি নমুনা পরীক্ষায় টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের ১০ জন ডাক্তার ও ৩৮ জন নার্সসহ ২৯০জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং করোনা ও উপসর্গ নিয়ে জেলায় ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এনিয়ে জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ৯ হাজার হাজার ৮৬৫ জন।

    শুক্রবার (৯ জুলাই) টাঙ্গাইলের সিভিল সার্জন অফিস জানান, ঢাকায় পাঠানো গতকালের নমুনা থেকে প্রাপ্ত ফলাফলে ১০ ডাক্তার ও ৩৮ নার্সসহ নতুন করে আরও ২৯০ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে এবং চিকিৎসাধীন অবস্থায় ও উপসর্গ নিয়ে আরো ৫জনের মৃত্যু হয়েছে। এনিয়ে জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ৯ হাজার ৮৬৫ জন। এ পর্যন্ত জেলায় মোট মৃত্যুবরণ করেছেন ১৫০জন। আক্রান্ত ব্যক্তিরা বিভিন্ন হাসপাতালের করোনা ডেডিকেটেড ইউনিটে এবং নিজ বাড়িতে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

  • মাকে সালাম করে এগিয়ে যাচ্ছেন সাভার থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পিয়ন লিটন।

    মাকে সালাম করে এগিয়ে যাচ্ছেন সাভার থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পিয়ন লিটন।

    মাকে সালাম করে মায়ের দোয়া নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে পিয়ন লিটন। সে এখন লাখপতি তবে খুব শীঘ্রই কোটিপতি হওয়ার পথে। সাভার থানার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অনিয়ম আড়াল করার জন্য স্বাস্থ্য কর্মকর্তা তার পিয়ন লিটন কে দিয়ে অপকর্ম ঢাকার জন্য ঘুষ লেনদেনের ভিডিও মাতৃজগত পত্রিকার গণমাধ্যমকর্মির হাতে পৌছেছে।

    গণমাধ্যমের তথ্যানুসন্ধানে, সাভার থানা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার পৌষ্য চামচা লিটন ও এর সাথে শওকত, শাহজাহান, পারভেজ, নুরুজ্জামান ও সুলতানা জাহান মাঠ কর্মীদের নাম উঠে এসেছে।

    সাভার থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন – এই লিটন একজন জাতীয় ঘুষখোর হয়ে উঠেছে। এর বিরুদ্ধে বলে কোন লাভ হবে না। সে সকল কিছুই ম্যানেজ করার দক্ষতা নিয়ে জন্মেছে। এছাড়াও লিটনের বিরুদ্ধে যারা মুখ খোলে তাদের জন্য রয়েছে তার নিজেস্ব সন্ত্রাসী বাহিনী।

    এই নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক কর্মকর্তা আরো বলেন – এরকম দুর্নীতি চলতে থাকলে সরকার যতই উন্নয়ন করতে চায় না কেন তা ব্যর্থ হবে। এই অপকর্মের ব্যাপারে লিটনের সাথে কথা বলতে সাভার থানার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স গিয়ে লিটনকে খুজে পাইনি গণমাধ্যম কর্মীরা।

  • দৌলতখানে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে স্টুডিও ব্যবসায়ীর রুবেলের মৃত্যু।

    দৌলতখানে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে স্টুডিও ব্যবসায়ীর রুবেলের মৃত্যু।

    দৌলতখানে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে রুবেল (২৮) নামে এক স্টুডিও ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়েছে।

    শুক্রবার (৯জুলাই)দুপুরে দৌলতখান পৌরসভা ৭ নম্বর ওয়ার্ডের একটি ভাড়া বাসায় ডিল মেশিন দিয়ে কাজ করার সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
    নিহত রুবেল উপজেলা চরখলিফা ইউনিয়নের সরদার আলী বেপারী বাড়ির মৃত আব্দুল মন্নান মিয়ার ছেলে।

    তিনি দৌলতখান পৌর শহরের দক্ষিণ মাথায় সাজ স্টুডিও নামে একটি প্রতিষ্ঠানের মালিক ছিলেন।
    স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার দুপুরে ভাড়া বাসায় ডিল মেশিন দিয়ে ওয়ালে কাজ করছিলেন রুবেল। এ সময় ডিল মেশিন থেকে তার বের হয়ে বিদ্যুতায়িত হন তিনি। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার পথে রুবেল মারা যান।

    দৌলতখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বজলার রহমান জানান, কোনো অভিযোগ না থাকায় মরদেহ ময়নাতদন্ত ছাড়াই পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

  • তাড়াশে করোনা পজেটিভ রোগীদের মানবিক সহায়তা দিলেন চেয়ারম্যান।

    তাড়াশে করোনা পজেটিভ রোগীদের মানবিক সহায়তা দিলেন চেয়ারম্যান।

    সিরাজগঞ্জের তাড়াশে নিজের তহবিল থেকে মানবিক সহায়তা দিয়ে করোনা পজিটিভ রোগীর পাশে দাঁড়ালেন বারুহাস ইউনিয়নের সুযোগ্য বার বার নির্বাচিত চেয়ারম্যান প্রভাষক মোক্তার হোসেন মুক্তা।

    ৯ জুলাই শুক্রবার সকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মেজবাউল করিমের নির্দেশনায় উপজেলার বিনসাড়া গ্রামের করোনা পজিটিব রোগী  সাবেক ইউপি সদস্য খলিলুর রহমানের বাসায় গিয়ে এই মানবিক সহায়তা দেন।(মানবিক সহায়তার মধ্যে ছিল চাল,ডাল,তেল,লবন ও আটাসহ অন্যান্য সামগ্রী ) জানা  যায় গত ৮ জুলাই তারিখে তাড়াশ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করোনা পরিক্ষা করলে উপজেলার মধ্যে ৭জনের পজিটিভ হয়।

    এর মধ্যে বিনসাড়া গ্রামের খলিলুর রহমানের নাম থাকায় প্রশাসনের পক্ষ তাকে তার নিজ ভবনে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়। মানবিক সহায়তা দেওয়ার সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা জাকের পার্টির সভাপতি ইদ্রিস আলী, ইউপি সদস্য ইলিয়াস হোসেন, সাবেক ইউপি সদস্য আবু বক্কার,ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল হান্নান সরকার,সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম,ইউনিয়ন চার নেতা পরিষদের সভাপতি বজলুর রহমান,সাধারণ সম্পাদক আলমামুদ হোসেন প্রমুখ।

  • নন্দীগ্রামে কর্মহীন মানুষের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করলেন মেয়র আনিছুর।

    নন্দীগ্রামে কর্মহীন মানুষের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করলেন মেয়র আনিছুর।

    করোনা মোকাবেলায় বগুড়ার নন্দীগ্রামে পৌরসভায় কর্মহীন, অসহায়, দু:স্থ্য মানুষের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন পৌর মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনিছুর রহমান। তিনি করোনা দ্বিতীয় ঢেউয়ের শুরু থেকেই খাদ্য সামগ্রী বিতরণ অব্যাহত রেখেছেন। এছাড়া

    করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে পৌরসভার পক্ষ থেকে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন।বৃহস্পতিবার  সকালে পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডের অসহায়, দু:স্থদের মাঝে চাল, ডাল, তেল, আলু বিতরণ করা হয়। এ সময় কাউন্সিলর সাইদুল ইসলাম, শাহিরুল ইসলাম, রফিকুল ইসলাম, আবু সাঈদ মিলন, নুরন্নাহার মিষ্টি উপস্থিত ছিলেন।

    পৌরসভা সূত্রে জানা গেছে, নন্দীগ্রাম পৌরসভার উদ্যোগে প্রতিটি ওয়ার্ডে মাস্ক ও সচেতনামূলক লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া সরকারি ভাবে ২৫ লাখ ৭৯ হাজার ৪৫০ টাকা বরাদ্দ পায়। বরাদ্দকৃত টাকা দিয়ে পৌরসভার কর্মহীন ও অসহায় পরিবারের মধ্যে চাল, আলু, ডাল, তেলসহ নগদ অর্থ বিতরণ করা হয়।

    এছাড়া পৌরসভার নিজস্ব উদ্যোগে আরও এক হাজার ৫০০ পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী প্রদান করা হয়েছে। জানতে চাইলে পৌরসভার মেয়র আনিছুর রহমান বলেন, সরকারি ও পৌরসভার নিজস্ব উদ্যোগে অসহায় মানুষদের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী প্রদান করা হচ্ছে।
    পৌরসভায় খেটে-খাওয়া লোকের সংখ্যা অনেক। তবুও অনেক যাচাই-বাছাই করে প্রকৃত কর্মহীন-দু:স্থদের মধ্যে খাদ্য সহায়তা দেয়া অব্যাহত রয়েছে।

     

     

  • উল্লাপাড়ায় দুই গ্রামের মানুষের যাতায়াতে বাঁশের সাঁকোই একমাত্র ভরসা।

    উল্লাপাড়ায় দুই গ্রামের মানুষের যাতায়াতে বাঁশের সাঁকোই একমাত্র ভরসা।

    সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় আবহমান ফুলজোড় নদীতে পারাপারের বাঁশের সাঁকোইএকমাত্র ভরসা। উপজেলার সদর ইউনিয়নের বজ্রাপুর ও ছাপড়াপাড়া গ্রামের প্রায় ৫ হাজার মানুষ প্রতিদিন যাতায়াত করে থাকেন ফুলজোড় নদীর উপর নির্মিত বাঁশের সাঁকো দিয়ে।

    নিজস্ব অর্থায়নে বাঁশের সাঁকোটি নির্মাণ করেছেন ছাপড়াপাড়ার গ্রামবাসি। ভরাট হয়ে যাওয়া ফুলজোড় নদীটি নতুন করে পুণঃখননের ফলে নদী দুথপারের মানুষের চলাচলের এমন অসুবিধা সৃষ্টি হয়েছে। নদীর উপর একটি ব্রীজ নির্মিত হলে বদলে যাবে নদী পার এলাকার বসবাসকারী মানুষের জীবনযাত্রারমান।

    সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, করতোয়া নদীর শাখা ফুলজোড় নদী উল্লাপাড়া পৌরশহরের পাট বন্দর হইতে উপজেলার সদর ইউনিয়নের মধ্যদিয়ে নদীটি শাহজাদপুরের করতোয়ায় নদীতে গিয়ে মিলিত হয়েছে। দীর্ঘদিন নদীটি সংস্কারের অভাবে ভরাট হয়ে মরা নদীতে পরিণত হয়েছিল।

    স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড গত অর্থবছরে উল্লাপাড়া সদর ইউনিয়নের বজ্রাপুর ও ছাপড়াপাড়া গ্রামের মধ্যদিয়ে ফুলজোড় নদীর আংশিক পুণঃখনন করলে উপজেলা শহরের সাথে এ দুটি গ্রামের বাসিন্দাদের যাতায়াতের নতুন করে সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে বলে এলাকাবাসি অভিযোগ করেন।

    ছাপড়াপাড়া গ্রামের বাসিন্দা কাঠ ব্যবসায়ী নুর ইসলাম জানান, ভরাট হয়ে যাওয়া ফুলজোড় নদী পুঃণখননের পূর্বে এলাকার মানুয়ের উপজেলা শহরের সঙ্গে নির্বিগ্নে যাতায়াত করেছে। নদীটি পুণঃখননের ফলে পুরাতন সমস্যা আবার নতুন করে দেখা দিয়েছে। ফলে গ্রামবাসি চাঁদা দিয়ে ৭০ হাজার টাকা ব্যয় করে নদীর উপর যাতায়াতের জন্য কাঠের খুঁটি দিয়ে ৬০ ফিট দীর্ঘ একটি বাঁশের সাঁকো তৈরি করেছে। ভ্রাম্যমান এ সাঁকো দিয়ে বর্তমানে দুথপারের মানুষ যাতায়াত করছে। তিনি আরো জানান সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার বিনির্মাণে এই এলাকায় একটি ব্রীজ নির্মাণ করে জনগণের যাতায়াত ব্যবস্থা নিশ্চিত করবেন বলে তাদের প্রত্যাশা।

    উল্লাপাড়া সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ আবু সালেক জানান, চলতি বছরে ফুলজোড় নদী পুণঃখনন করার ফলে ইউনিয়নের বজ্রাপুর ও ছাপড়াপাড়া গ্রামবাসির মধ্যে নদী পারাপারের নতুন করে সমস্যা দেখা দিয়েছে। ইতিমধ্যে নদীতে ব্রীজ নির্মাণের জন্য উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার মাধ্যমে ত্রাণ ও দুযোর্গ মন্ত্রণালয়ে অর্থ বরাদ্দ চেয়ে আবেদন করা হয়েছে।

    উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ইঞ্জিনিয়ার মাহবুবুর রহমান ভুইয়া জানান, আগামী অর্থবছরে অর্থ বরাদ্দ পাওয়া সাপেক্ষে উপজেলার বজ্রাপুর এলাকায় ফুলজোড় নদীর উপর প্রস্তাবিত ব্রীজটি নির্মাণ করা যেতে পারে।

  • ঈদুল আযহায় গরু নিয়ে আশঙ্কায় উল্লাপাড়ার খামারী ও ক্রেতাসাধারণ।

    ঈদুল আযহায় গরু নিয়ে আশঙ্কায় উল্লাপাড়ার খামারী ও ক্রেতাসাধারণ।

    আসন্ন ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় কোরবানির জন্য প্রস্তুত করা ষাঁড় গরু বিক্রি নিয়ে আশঙ্কায় করছেন খামারীরা। পক্ষান্তরে কোরবানির জন্য গরু ক্রয় করা নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছে ক্রেতাসাধারণ। ঈদের সময় যত ঘনিয়ে আসছে সমস্যা ততো ঘনীভূত হচ্ছে। সব মিলে উভয় পক্ষের মধ্যে চলছে দদোল্যমান অবস্থা।চলমান কঠোর লকডাউনের সময় বেড়ে যাওয়ায় এই আশঙ্কা ও দুশ্চিন্তার তিব্রতা আরোও বেড়ে গেছে।

    উপজেলার প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্য মতে ১৩ টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় ছোট বড় খামারী ও পারিবারিক ভাবে কোরবানির ঈদ উপলক্ষ্যে প্রায় ৩২ হাজার ষাঁড় গরু বিক্রির জন্য প্রস্তত করা হয়েছে। চলমান লকডাউনের মধ্যে প্রস্তুত করা গরুগুলো সঠিক সময়ে ন্যায্য মূল্যে বিক্রি করতে পারবে কি না এনিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন গরু মালিকেরা।

    একাধিক খামারী ও পরিবার গণমাধ্যমকে জানান প্রতি বছর ঈদের ২০-২৫ দিন পূর্বে ঢাকার গরু ব্যবসায়ীগণ খামারে বা পারিবারিক ভাবে পালন করা গরু দামাদামি করে প্রায় অর্ধেক পরিমান কিনে নিয়ে যায়। লকডাউনের কারনে সেই কেনাবেচাটা এ বছরে বন্ধ রয়েছে। ঈদের আর ক’দিন বাকী রয়েছে। ঢাকার কোন ব্যবসায়ী গরু কেনার জন্য অদ্যবদি পর্যন্ত কোন খামার বা পরিবারে আসেন নাই।

    কাজিপাড়া গ্রামের নূরে আলম জানান তার প্রায় ৩ মণ ওজনের একটি ষাড় গরু কোরবান ঈদ উপলক্ষ্যে বিক্রির জন্য প্রস্তুত করতে সব মিলিয়ে প্রায় ৫৬ হাজার টাকা ব্যয় হয়েছে।গরুটি ৬০-৬৫ হাজার বিক্রির আশা করছেন।কিন্তু এ পর্যন্ত কেউ কেনার মত করে দাম করছে না।লকডাউন থাকায় গরু হাটে নিয়ে দাম যাচাই করার মতো সুযোগ নাই। গরুর দাম ও বিক্রি নিয়ে সে আশঙ্কায় রয়েছে বলে জানান।

    ফেন্সি ডেইরি এ্যাগ্রো ফার্ম লিমিটের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাইমুল আলম হৃদয় জানান আমার খামারে সিন্ধি, বার্মা, শাহীয়াল ও দেশী জাতের ৪২ টি ষাঁড় গরু কোরবানি ঈদ উপলক্ষ্যে বিক্রির জন্য প্রস্তুত করেছি। গত বছরের তুলনায় এ বছর গরুর বৃদ্ধির পরিমার বেশি হয়েছে,কোন সমস্যা নাহলে ৫০ থেক ৬০ লাখ টাকা মতো বিক্রির আশা করছি। গরুগুলোর ছবি ও ভিডিওতে ওজনসহ অনলাইনে বিক্রির জন্য চাহিদা দিয়েছি। অনলাইনে এপর্যন্ত আশানুরূপ সাড়া পাচ্ছি না। তবে ছোট বড় মিলে ৮ টি গরু অনলাইনে বিক্রি করতে পেরেছি।
    লকডাউনের জন্য ঢাকার ব্যবসায়ীরা গরু কেনার জন্য খামারে আসতে পারছে না পক্ষান্তরে স্থানীয় পশুর হাট বন্ধ থাকলে আমার খামারে লোকশান গুনতে হবে।এগুলোর পাশাপাশি দুগ্ধখামার জন্য ক্রস, শাহীয়াল,বার্মা,সিন্ধি জাতের ৩০ টি গাভীন গরু রয়েছে। এছাড়াও বাঘাবাড়ী, শাহজাদপু, মোহনপুর ও ভাঙ্গুড়ায় দুগ্ধ সংগ্রহের জন্য চিলি সেন্টার করেছি । বাহির থেকে দুধ আমদানি করে কোম্পানির চাহিদা পূরন করতে হয়। বাহিরের পাশাপাশি নিজ উদ্যোগে দুগ্ধখামারের চিন্তা করি। আশানুরুপ ফলাফল পাবো সেই আত্মবিশ্বাস নিয়ে কাজ করছি।এতে করে কোম্পানিরও ভালো টার্নওভার পাবো বলে আশা করছি।

    এবিষয়ে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাক্তার মোঃ মোর্শেদ উদ্দীন আহম্মদ জানান উপজেলায় ছোট বড় ৫ হাজার খামারী ২৬ হাজার ষড় গরু কোরবানির ঈদ উপলক্ষ্যে বিক্রির জন্য প্রস্তুত করেছে। পারিবারিক ভাবে আরোও ৬ হাজার গরু বিক্রির জন্য প্রস্তুত করেছেন। দেশের মহামারি করোনা ভাইরাস প্রদুর্ভাবে পশুর হাট না থাকায় আমাদের সিরাজগঞ্জ জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা সার্বিক জেলার জন্য অনলাইনে গরু বিক্রির www.poshorhut.gov.bd একটি ওয়েবসাইট খুলেছেন।কোন খামারী ইচ্ছা করলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করে এই ওয়েবসাইটে গরু বিক্রির জন্য নাম,ঠিকানা ও কন্ট্রাক নাম্বারসহ গরুর ছবি ও ভিডিও আপলোড করতে পারবেন। তাছাড়া উপজেলার খামারীদের সার্বিক সুবিধার জন্য ulo ullapara নামে একটি ফেসবুক পেজ খুলে গরু কেনাবেচার ব্যবস্থা করা হয়েছে।খামারীরা ইচ্ছা করলে আমাদের সাথে কথা বলে এখানেও গরু বিক্রির জন্য ছবি ও ভিডিও আপলোড করতে পারেন।

  • লকডাউনে বগুড়ার সকল উপজেলায় কঠোর সতর্কতা থাকলেও নন্দীগ্রামের চিত্র ভিন্ন।

    লকডাউনে বগুড়ার সকল উপজেলায় কঠোর সতর্কতা থাকলেও নন্দীগ্রামের চিত্র ভিন্ন।

    করোনা ভাইরাস বিস্তার রোধে সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউনে বগুড়া জেলার সকল উপজেলা কঠোর সর্তকতা অবলম্বন করলেন নন্দীগ্রাম উপজেলার চিত্র ভিন্নতা পরিলক্ষিত হয়।

    সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সামাজিক দূরত্ব বজায় না রেখে নন্দীগ্রাম বাসস্ট্যান্ড থেকে নির্বিঘ্নে শত শত যাত্রী বহন করে চলেছে সিএনজি-অটোরিকশা গুলো।

    পৌর মেয়র আনিসুর রহমানের কঠোর নির্দেশনায় পৌর এলাকায় লকডাউনের কিছুটা ছোঁয়া লাগলেও লকডাউন এর ছোঁয়া লাগেনি ইউনিয়নের বাজার মহল্লায়। সবকিছু অনেকটাই আগের মত স্বাভাবিক। মাঝে মধ্যে প্রশাসনের টহল দেখা গেলেও লকডাউন বাস্তবায়নে তা কোন কাজে আসছেনা।

    সচেতন জনগন বলছেন, করোনা ভাইরাস বিষয়ে সচেতনতার অভাবে সাধারণ জনগণের মধ্যে মাক্স পড়া সহ লকডাউনের নিয়ম কানুন মেনে চলার প্রবণতা নেই বললেই চলে। আগের মতই বাজার হাটে জনসমাগম ও ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান খুলে রাখার বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসনের তৎপরতার অভাবকেই দায়ী করেন অনেকেই।

  • সিরাজগঞ্জের তাড়াশে ঢাকিদের জীবন চলছে দুর্বিসহর মধ্যে।

    সিরাজগঞ্জের তাড়াশে ঢাকিদের জীবন চলছে দুর্বিসহর মধ্যে।

    সিরাজগঞ্জের চলনবিলের তাড়াশে ঢাকিদের জীবন চলছে দুর্বিসহ। “কোভিড ১৯ ” করোনা ভাইরাসের কারনে সারা বিশ্বের মানুষ যখন স্তম্ভিত হয়ে পরেছে।

    ঠিক সেখান থেকে বাদ যায়নি বাংলাদেশের খেটে খাওয়া অভাবী  ও অন্যান্য পেশায় নিয়োজিত জনগোষ্ঠী। এমন টাই দেখা গেছে উপজেলার বারুহাস ইউনিয়নের বিনসাড়া গ্রামে বসবাসরত ঢাক ঢাকি বাজানো বাদ্যকর জনগনের চিত্র। বর্তমানে তারা অভাব ,অনাটনে বসবাস করছেন। ২ বছরের অধিক “কোভিড ১৯ ” করোনা ভাইরাসের কারনে সারা দেশের মানুষের পাশাপাশি তারা অসহায়ত্ব জীবন নিয়ে হতাশায় দিনাতিপাত করছেন।

    এই পরিস্থিতিতে অন্য পেশায় নিয়োজিত মানুষদের কোন না কোন একটা কাজ কর্ম নিয়ে সংসার পরিচালনা করা কষ্টে হলেও চালাচ্ছেন। কিন্তু ঢাকিরা কোন ভাবেই চালাতে পারছেন না তাদের সংসার। তাদের সংসার চলতো বিয়ে, জন্মদিন, খেলাধুলা,পুজাসহ নানা ধরনের অনুষ্ঠানে ঢাক ঢোল বাজিয়ে।

    করোনা ভাইরাসের কারনে এলাকায় কোন ধরনের অনুষ্ঠান না থাকায় তাদের কোন আয় হচ্ছেনা বরং তাদের বাজানো যন্ত্রপাতি গুলো অকেজ হয়ে যাচ্ছে। বছরে শুধু সনাতন ধর্মের পুজা গুলোতে কটা দিন ঢাকের বোল তুলে ৮ থেকে ৮০ বছরের সকলের মনে আনন্দের ঢেউ তোলেন, কিন্তু তাদের সারা বছর দুবেলা দুমুঠো  অন্য জোটে না।

    ঢাকের বোল তুলে মানুষের মনে আনন্দ দান করলেও সারা বছর নিজেরা থাকেন নিরানন্দে। তাই আর্থিক অনটনে থাকায় তাদের অন্য পেশায় কাজ করতে গেলেও হিমর্শিম খেতে হয়।

    পুজোর সময় দুটো পয়সা উপার্জন করলেও বছরের বাকি সময় গুলোয় পরিবার নিয়ে তারা থাকেন চরম অর্থকষ্টে। তাই এই সময় তাদের পরিবার তাকিয়ে থাকে তাদের দিকে। পুজোর ক’টা দিন কাঁধে ঢাক নিয়ে মন্ডপে মায়ের আরাধনায় ঢাক বাজিয়ে পুজোর সম্পূর্ণতা ফুটিয়ে তোলা ঢাকিরা পান ৪ থেকে ৫ হাজার টাকা।

    বাকী সময় চরম আর্থিক অনটনে দিন কাটে তাদের। অন্যান্য পেশায় নিয়োজিত মানুষদের সরকারী বিভিন্ন বরাদ্দ আসলেও এই বাদ্যকর পেশায় থাকা মানুষ গুলো পায় নি সরকারী কোন সহায়তা। তাই তারা সরকারের কাছে সহযোগীতা পাওয়ার জন্য অনুরোধ জানান।

    বিনসাড়া গ্রামের ঢাকি শ্যামল বাদ্যকর বলেন, সরকার অন্যান্য বাদ্যকরদের শিল্পী ভাতা প্রদান করছেন। আমরা ঢাক বাজাই, আমরাও  শিল্পী অথচ সরকার আজও আমাদের শিল্পীর মর্যাদা দেননি। স্থানীয় সরকার ইউপি চেয়ারম্যান  কিছুটা ২/১বার সহযোগীতা করলেও বড় কোন সহায়তার জন্য কেউই ফিরে তাকাননি আমাদের দিকে। আরও অভিযোগ করে বলেন, ভোটের ঢাকে কাঠি পড়লেই এই ঢাকি পাড়ায় তখন আসেন অনেকেই। হাজারও আশ্বাসের বানী শুনে রাজনৈতিক নেতারা ভোট নিয়ে চলে যান। এভাবেই দিন যায়। আমরা সেই দুর্দশার মধ্যেই দিন কাটাই। তাই সরকারের কাছে অনুরোধ আমাদের দিকে তাকিয়ে যেন সহযোগীতা করেন।

    শ্রী গোপাল বাদ্যকর জানান, বিগত ২ বছর যাবত আমরা খুব কষ্টে আছি। শুনেছি সরকার বিভিন্ন জনকে সহযোগীতা করেছেন তবে আমাদেরকে দেন নাই। অনুষ্ঠানাদি না থাকায় আমরা অভাবে আছি। পারছি না জন বাচ্চা নিয়ে সংসার চালাতে।

    এ বিষয়ে বারুহাস ইউপি চেয়ারম্যান প্রভাষক মোক্তার হোসেন বলেন, বিনসাড়া গ্রামের বাদ্যকরদের সংসার চলতো ঢাক ঢোল বাজিয়ে। বাপ দাদাদের আমল থেকেই তারা এই পেশার সাথে জড়িত। করোনার কারনে সকল কাজ কর্ম কমে যাওয়ায় তাদেরও কাজ কর্ম কমে গেছে। ফলে তাদের সংসার চালাতে কষ্ট হচ্ছে। আমি মাঝে মধ্যেই তাদের কিছু সহযোগীতা দিয়ে আসছি। এবার ঈদের সামনে আবারো সহযোগীতা দেওয়া হবে। তবে তাদের পূর্নবাসনের জন্য সরকারী সহযোগীতা করা প্রয়োজন।

     

  • টাঙ্গাইলে করোনা ও করোনা উপসর্গ নিয়ে ১১জনের মৃত্যু।

    টাঙ্গাইলে করোনা ও করোনা উপসর্গ নিয়ে ১১জনের মৃত্যু।

    টাঙ্গাইলে গত ২৪ ঘন্টায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৭জন ও উপসর্গ নিয়ে আরো ৪ জনসহ মোট ১১জনের মৃত্যু হয়েছে এবং ৬৪৬ টি নমুনা পরীক্ষায় ২৫৪ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। এনিয়ে জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ৯ হাজার ৫৭৫জনে।

    বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই) টাঙ্গাইলের সিভিল সার্জন অফিস জানান, ঢাকায় পাঠানো গতকালের নমুনা থেকে প্রাপ্ত ফলাফলে নতুন করে আরও ২৫৪ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে এবং চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৭জন ও উপসর্গ নিয়ে আরো ৪ জনসহ মোট ১১জনের মৃত্যু হয়েছে। এনিয়ে জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ৯ হাজার ৫৭৫জন। এদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৫ হাজার ৫৯ জন।

    এ পর্যন্ত জেলায় মোট মৃত্যুবরণ করেছেন ১৪৬জন। আক্রান্ত ব্যক্তিরা বিভিন্ন হাসপাতালের করোনা ডেডিকেটেড ইউনিটে এবং নিজ বাড়িতে চিকিৎসা নিচ্ছেন।