Author: admin

  • কলাপাড়ায় ছাত্রলীগের মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত।।

    কলাপাড়ায় ছাত্রলীগের মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত।।

    পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে অপপ্রচার, মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলা প্রত্যাহারের দাবীতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে ছাত্রলীগথর নেতাকর্মীরা। শুক্রবার বেলা এগারোটায় কলাপাড়া প্রেসক্লাবের সামনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে এ কর্মসূচি পালিত হয়।

    এসময় উপজেলা ছাত্রলীগ, শহর ছাত্রলীগ ও ইউনিয়ন ছাত্রলীগথর শতাধিক নেতা কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। এসময় বক্তব্য রাখেন, সরকারী মোজহার উদ্দিন বিশ্বাস অনার্স কলেজ সভাপতি আসাদুজ্জামান হিরন। উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা মিজানুর রহমান মুসা, উপজেলা যুবলীগথর সহ-সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম রকি, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা জনি সরদার , শহর ছাত্রলীগথর সম্পাদক জুয়েল রানা, শহর শ্রমিক লীগথর সাধারণ সম্পাদক রাহাত গাজী, শহর ছাত্রলীগ নেতা রিফাত, মেহদেী হাসান রাতুল, সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।

    মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়জুল ইসলাম আশিক তালুকদারের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচারসহ ষড়যন্ত্রমূলক মামলা দিয়ে হয়রানি করছে একটি কুচক্রি মহল। এতে ঐতিহ্যবাহী এ ছাত্র সংগঠনের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে। তাই দ্রুত সময়ের মধ্যে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা থেকে অব্যহতির দাবী জানান বক্তারা।

  • তাড়াশে হতদরিদ্র ও অসহায় পরিবারের মাঝে ভিজিএফ’র চাল বিতরণ।

    তাড়াশে হতদরিদ্র ও অসহায় পরিবারের মাঝে ভিজিএফ’র চাল বিতরণ।

     

    সিরাজগঞ্জের তাড়াশে পৌর সভার উদ্যোগে ভিজিএফ’র চাল বিতরণ করা হয়েছে। শুক্রবার সকালে পৌর সভার অস্থায়ী কার্যালয় চত্বরে  দায়িত্ব প্রাপ্ত পৌর প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মেজবাউল করিমের সভাপতিত্বে এ চাল বিতরণ করা হয়।

    পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে অসহায়,দুঃস্থ ও হত দরিদ্র ৩শ পরিবারের মাঝে চাল বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ৬৪ সিরাজগঞ্জ ৩ (তাড়াশ-রায়গঞ্জ) আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডাঃ মোঃ আব্দুল আজিজ।

    বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মনিরুজ্জামান মনি,ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ার  হোসেন খান,প্রভাষক মর্জিনা ইসলাম, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল হক, পৌর সচিব আশরাফুল আলম ভুইয়া, জাতীয় চার নেতা পরিষদ উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক সেরাজুল ইসলাম,পৌর আওয়ামীলীগের আহবায়ক আব্দুর রাজ্জাক, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ইকবাল হাসান রুবেল,পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি আতিকুল ইসলাম আতিকসহ পৌর সভার সকল কাউন্সিলর বৃন্দ।

  • তাড়াশ নওগাঁর পশুর হাটে অতিরিক্ত খাজনা আদায়ের অভিযোগে ২২ ইজারাদার আটক।

    তাড়াশ নওগাঁর পশুর হাটে অতিরিক্ত খাজনা আদায়ের অভিযোগে ২২ ইজারাদার আটক।

    সিরাজগঞ্জ তাড়াশ উপজেলার নওগাঁর কোরবানির পশুর হাট উপলক্ষে ক্রেতা বিক্রেতার নিকট থেকে অতিরিক্ত খাজনা আদায়ের অভিযোগে ২২ ইজারারকে বৃহস্পতিবার দুপুরে আটক করেছে র‍্যাপিড এ্যাকশান ব্যাটিলিয়ান র‍্যাব-১২’র সদস্যরা।

    জানা যায় হাট ইজারাদারা হাট ইজারা নিয়ে সরকারি নিয়মনীতি উপেক্ষা করে বৃহস্পতিবার(১৫ জুলাই) নওগাঁ গরুর হাটে গরু বিক্রয়দাতার নিকট থেকে ৫’শ ও বাঁধার জন্য ৩’শ টাকা এবং ক্রেতার নিকট থেকে ১ হাজার টাকা গরু প্রতি ১ হাজার ৮’শ টাকা খাজনা আদায় করার অপরাধে তাদের আটক করা হয়। এর আগে হাট ইজারাদারগণ সরকারি নিয়মনীতি উপেক্ষা করে খাজনা আদায়ের বিরুদ্ধে প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করেন ব্যবসায়ীদের। এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে র‍্যাব-১২’ র এক অভিযানিক দল অভিযান পরিচালনা করে ওই ২২ ইজারাদারকে আটক করেন।

    হাটে একাধিক ক্রেতা বিক্রেতা জানান চলতি বছরের শুরু থেকে সরকারি নিয়ম উপেক্ষা করে খাজনা আদায় করে আসছে।কোরবানির হাট উপলক্ষ্যে ব্যপরোয়া ভাবে আটককৃতরা গরু প্রতি ১৮’শ টাকা করে খাজনা আদায় করছে। এমন অভিযোগে র‍্যাব-১২’র সদস্যরা অভিযান পরিচালনা করে অভিযোগের সত্যতা পেয়েছেন।এলাকাবাসী এই অভিযানকে স্বাগত জানিয়েছেন এবং উচ্ছাস প্রকাশ করেন।

     

  • সিরাজগঞ্জ তাড়াশে বিল নার্সারীর উৎপাদিত মাছের পোনা চত্রার বিলে অবমুক্ত।

    সিরাজগঞ্জ তাড়াশে বিল নার্সারীর উৎপাদিত মাছের পোনা চত্রার বিলে অবমুক্ত।

    সিরাজগঞ্জ তাড়াশে বিল নার্সারীর উৎপাদিত মাছের পোনা চত্রার বিলে অবমুক্ত।

    সিরাজগঞ্জের তাড়াশে মাছের পোনা অবমুক্তকরণ করা হয়েছে। উপজেলা মৎস্য অধিদফতরের উদ্দ্যোগে ২০২০-২০২১ আর্থিক বছরে রাজস্ব বাজেট থেকে এ পোনা অবমুক্তকরণ করা হয়। ১৪ জুলাই বুধবার বিকালে উপজেলার বৃ-পাচান গ্রামের চত্রার বিলে এলাকার সুফল ভোগীদের একটি পুকুরে ২ লাখ রেনু পোনা অবমুক্তকরেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা শাহেদ আলী ।

    এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মশগুল আজাদ মৎস্য চাষী, মৎস্যজীবি , সুফল ভোগী ও ওই দপ্তরের কর্মচারী বৃন্দ।

     

     

  • পটুয়াখালীর কলাপাড়া থেকে দূর-পাল্লাসহ অভ্যন্তরীন রুটের বাস-লঞ্চ চলাচল শুরু।।

    পটুয়াখালীর কলাপাড়া থেকে দূর-পাল্লাসহ অভ্যন্তরীন রুটের বাস-লঞ্চ চলাচল শুরু।।

    সারা দেশের ন্যায় কলাপাড়ায় শুরু হয়েছে দূরপাল্লাসহ অভ্যন্তরীন রুটের সকল বাস ও লঞ্চ চলাচল। গত রাত থেকেই ছেড়ে যায় বিভিন্ন ঢাকাগামী পরিবহন। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শুরু হয়েছে অভ্যন্তরীন রুটের বাস চলাচল। এদিকে বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাচ্ছে লঞ্চ। এরমধ্যেই লঞ্চ শ্রমিকরা ধোয়া-মোছাসহ লঞ্চ চলাচলের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে।

    সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, এসব গনপরিবহনে পুরোপুরি মানা হয়নি স্বাস্থ্যবিধি, বাসের সম্মুক্ষ্য স্থানে রাখা হয়নি হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা। অনেক যাত্রীই ব্যবহার করেনি মাক্স, তবে বাসে অর্ধেক যাত্রী পরিবহন করতে দেখা গেছে।

    বাস শ্রমিক মো: শাহআলম এ প্রতিনিধিকে বলেন, ২ সপ্তাহ লকডাউন থাকায় ঘরে মজুদ থাকা খাবার বহু আগেই শেষ হয়ে গেছে, এর পরের সময় ধার-দেনা-লোন করে সংসার চালাতে হয়েছে। এখন ঈদুল-আযহা উপলক্ষে এক সপ্তাহ লকডাউন শিথিলের সময়টুকুতে কাজ করে যদি কিছটা হলেও পুষিয়ে নেয়া যায়।

    সৌদিয়া পরিবহনের কলাপাড়া রুটের পরিচালক সৈয়দ কায়েস গনমাধ্যমকে বলেন, মহামারি করোনা পরিস্থিতি ও লকডাউনের কারনে শ্রমিক-কর্মচারীদের সকল প্রকার আয়-রোজগার বন্ধ হয়ে গিয়েছিলো, কোরবানীর আগে এক সপ্তাহ শিথিলের এই সময়টাতে শ্রমিক-কর্মচারীরা কিছুটা হলেও পুষিয়ে নিতে পারবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

    কলাপাড়া লঞ্চ টার্মিনালের ইজারাদার মো: নুরজামাল খালাসি সাংবাদিকদের বলেন, মহামারি করোনা দুর্যোগের ফলে লঞ্চ শ্রমিকদের অবস্থা এখন নুন আনতে পান্তা ফুরোবার মতো, তবে ঈদুল-আযহা উপলক্ষে সরকারের দেয়া এক সপ্তাহ লকডাউন শিথিল করায় লঞ্চ শ্রমিকরা একটু হলেও স্বস্তি ফিরে পেয়েছে।

  • উল্লাপাড়ায় মোটরসাইকেল ও প্রাইভেটকারের ধাক্কায় স্কুল শিক্ষকের মৃত্যু।

    উল্লাপাড়ায় মোটরসাইকেল ও প্রাইভেটকারের ধাক্কায় স্কুল শিক্ষকের মৃত্যু।

    সিরাজগঞ্জ উল্লাপাড়ায় মোটরসাইকেল ও প্রাইভেট কারের ধাক্কায় আব্দুল বাসেদ(৩৫) নামের এক শিক্ষকের মৃত্যু হয়েছে।বুধবার সকাল ১১ টার সময় বগুড়া-নগরবাড়ী মহাসড়কের উপজেলার পাটধারী গ্রাম সংলগ্ন এলাকায় মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে।

    নিহত ওই স্কুল শিক্ষক রায়গঞ্জের নলকা ইউনিয়নের হোড়গাঁতী গ্রামের মৃত ওসমান গনির ছেলে।সে সিরাজগঞ্জ বিএল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া শেষ করে সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে যোগদান করেন তিনি। 

    উল্লাপাড়ার হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ শাহজাহান আলী জানান, ঘটনার সময় আব্দুল বাসেদ একটি ভাড়ার মোটরসাইকেলে করে উল্লাপাড়ায় যাচ্ছিলেন।

    পাটধারী গ্রাম এলাকায় পৌছালে পিছন থেকে অজ্ঞাত একটি প্রাইভেটকার তাকে ধাক্কা দেয়। এ সময় তিনি সড়কের উপর ছিটকে পড়ে যান এবং গাড়ীর চাকায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। এসময় ঘাতক প্রাইভেটকার ও মোটরসাইকেল চালক দ্রুত পালিয়ে যায়।

    স্থানীয়দের সহযোগিতায় হাইওয়ে থানা পুলিশ এই লাশটি উদ্ধার করে হাইওয়ে থানায় নিয়ে যায়। পরে তাকে দাফনের জন্য তার আত্মীয় স্বজনের কাছে লাশটি হস্তান্তর করা হয়েছে।

  • হাতীবান্ধায় সাংবাদিক সম্রাটের উপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় গ্রেফতার-৩।

    হাতীবান্ধায় সাংবাদিক সম্রাটের উপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় গ্রেফতার-৩।

    তথ্য অনুসন্ধান করতে গিয়ে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় সাংবাদিক সেলিম সম্রাটের উপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় ৩ সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করেছে হাতিবান্ধা থানা পুলিশ।

    বুধবার (১৪ জুলাই) সকালে ওই উপজেলার পারুলিয়া এলাকার তিস্তা নদীর পাড় থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করেন হাতীবান্ধা থানা পুলিশ।

    এর আগে গত রোববার ওই উক্ত উপজেলার বড়খাতা ইউনিয়নের উত্তর পাড়া এলাকায় জমি জবর দখলের তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে হামলার শিকার হন লালমনিরহাট রিপোর্টার্স ইউনিটির তথ্য প্রযুক্তি সম্পাদক ও দৈনিক বাহান্নোর আলো পত্রিকার হাতীবান্ধা উপজেলা প্রতিনিধি সাংবাদিক সেলিম সম্রাট।ওই হামলার একটি ভিডিও ভাইরাল হলে সারাদেশে সাংবাদিকদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।

    আটক ৩ জন হলেন, বড়খাতা এলাকার আব্দুর রহমানের পুত্র তাইজুল ইসলাম মুকুট (৪৮) আলী রেজা বাদল (৩০) ও তাইজুল ইসলাম মুকুটের পুত্র মিরাজুল ইসলাম হৃদয় (২৮)।

    এবিষয়ে লালমনিরহাট রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি মোঃ ইউনুস আলী বলেন, সাংবাদিক সেলিম সম্রাটের উপর হামলার ঘটনাটি আমলে নিয়ে দ্রুততম সময়ের মধ্যে তাদেরকে গ্রেফতার করার জন্য লালমনিরহাট পুলিশ প্রশাসনকে ধন্যবাদ। সেই সাথে প্রতিবাদ জানানোর জন্য দেশের সকল সংবাদকর্মী ভাইদের কাছে কৃতজ্ঞতাও প্রকাশ করেছেন তিনি।

    হাতীবান্ধা থানার (ওসি) এরশাদুল আলম এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আটক ৩ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদ যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আসমীকে আদালতে প্রেরণ করা হবে।

  • এপেক্স ক্লাব অব সিরাজগঞ্জের উদ্যোগে স্বাস্থ্য সুরক্ষায় মাস্ক ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ।

    এপেক্স ক্লাব অব সিরাজগঞ্জের উদ্যোগে স্বাস্থ্য সুরক্ষায় মাস্ক ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ।

    সেবা, সুনাগরিকত্ব, বন্ধুত্ব এই তিন মটোকে সামনে রেখে আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এপেক্স ক্লাব অব সিরাজগঞ্জ বাংলাদেশের একটি শাখা সংগঠন এপেক্স ক্লাব অব সিরাজগঞ্জের আয়োজনে বুধবার (১৪জলাই) বিকেলে শহরের হৈমবালা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে কোভিড-১৯ প্রতিরোধে স্বাস্থ্য সুরক্ষায় শহরের বিভিন্ন স্থানে মাস্ক বিতরণ করেছে সংগঠনটি এবং হত দরিদ্রদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।

    অনুষ্ঠান এপেক্স ক্লাব সিরাজগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি এপেক্সিয়ান রায়হান কবীর ( মিঠু) এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আনোয়ার পারভেজ।

    এসময় উপস্থিত ছিলেন, এপেক্স এর ফাউন্ডার প্রেসিডেন্ট ও আই পি পি এপে. হেলাল আহমেদ, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট এপে. এ এইচ এম মুহিবুল্লাহ মুহিব, জুনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট এপে. ফরিদুল হক, সেক্রেটারি এন্ড ডিনার এডিটর এপে. ফুলাদ হায়দার খান, সেবা পরিচালক এপে. আব্দুস সালাম, ট্রেজারার এপে, মজনু মোল্লা,
    সার্জেন্ট অব আর্মস এপে, আল আমিন তালুকদার, পরিচালক কামরুল ইসলাম সুইট, পরিচালক এপে. মাহমুদুল্লাহ সিরাজী, পরিচালক এপে. মাকসু্দা খাতুন, ফ্লোর মেম্বার এপে. ডাঃ আব্দুর রশিদ, এপে. ফরহাদ হোসেন, এপে. প্রদীপ রায়, স্বর্ণালী, এপে. সোহেল রানা রনি, এপে. প্রিন্সিপাল জহুরুল ইসলাম, এপে. এনামুল কবির, এপে. আবু তাহের, এপে. আশিক আহমেদ,এপে. কামরুল ইসলাম, এপে. কায়েস হেলাল ও পরিচালক মোঃ আব্দর রহিম খোকন, এবং হৈমবালা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শামীম আরা সহ সদস্য বৃন্দ, উপস্থিত ছিলেন। ত্রাণ বিতরণ কাজে সহযোগিতা করেন সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা অন্বেষণ মুক্ত স্কাউট দল।

  • সিরাজগঞ্জ তাড়াশে অনাহারী, হত-দরিদ্র ও পথ শিশুদের মাঝে  খাবার বিতরণ।

    সিরাজগঞ্জ তাড়াশে অনাহারী, হত-দরিদ্র ও পথ শিশুদের মাঝে  খাবার বিতরণ।

    সিরাজগঞ্জের তাড়াশে প্রতিদিন অনাহারী, হত-দরিদ্র ,প্রতিবন্ধী ও পথ শিশুদের মুখে দুপুরের ফুল পেট খাবার তুলে দেওয়া হচ্ছে। মহামারী করোনা ভাইরাসে সারা বিশ্বের মানুষ যখন দিশেহারা। বাংলাদেশে করোনায় আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা যখন দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। বর্তমানে করোনা ভাইরাসের কারনে  মানুষ যখন ঘর থেকে বের হচ্ছেনা।

    ঠিক এমন মুহুর্তে  ১৪ জুলাই বুধবার দুপুরে অনাহারী, হত-দরিদ্র ,প্রতিবন্ধী ও পথ শিশুদের মুখে দুপুরের ফুল পেট খাবার তুলে দিচ্ছেন  তাড়াশ ইসলামিয়া পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুস সালাম বিএসসি। উপজেলার হাসপাতাল গেটে অবস্থিত সিয়াম এন্টারপ্রাইজের প্রোপ্রাইটর সিয়াম, সিফাত ও সাঈফ মানবতা ভোজনালয় ব্যানার টাঙ্গিয়ে প্রতিদিন এ খাবার বিতরণ করছেন।

    এ আয়োজনের উদ্যোক্তা আব্দুস সালাম বিএসসি বলেন,  আমি ৯ জুলাই শুক্রবার থেকে অনাহারী, হত-দরিদ্র ,প্রতিবন্ধী ও পথ শিশুদের মুখে  খাবার তুলে দেওয়ার চেষ্টা করছি। আল্লাহ আমাকে যতদিন সামর্থ দেন আমি এ কাজ করে যাব। আল্লাহ আমাকে তিনবার মৃত্যুর হাত থেকে ফিরে এনেছেন।  তাই আল্লাহকে সন্তুষ্টি রাখার জন্য আমি আমার সাধ্যমত প্রতিদিন দুপুরে অনাহারী, হত-দরিদ্র ,প্রতিবন্ধী ও পথ শিশুদের মুখে খাবার তুলে দিবো।

    এ খাবার বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবকলীগের  সাধারণ সম্পাদক লুৎফুল কবির লিমন,উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি  আলহাজ্ব মোঃ গোলাম রাব্বারী ,সহ সভাপতি মহসীন আলী ও সাংবাদিক এম ছানোয়ার হোসেন সাজু।

  • বেনাপোলে দাদন ব্যবসায়ী হাশেম ও বিল্লালের বিরুদ্ধে বসতবাড়ী দখলের চেষ্টার অভিযোগ।

    বেনাপোলে দাদন ব্যবসায়ী হাশেম ও বিল্লালের বিরুদ্ধে বসতবাড়ী দখলের চেষ্টার অভিযোগ।

     

    যশোরের বেনাপোলে সুদ ব্যবসায়ীর (দাদন ব্যবসায়ীদের) ফাঁদে পড়ে নিঃস্ব হচ্ছে এলাকর সহজ সরল সাধারণ মানুষ। চড়া সুদের টাকা সময় মতো পরিশোধ করতে না পারায় অনেক পরিবার,ব্যবসায়ী বাড়ি-ঘর ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। সুদ ব্যবসায়ীরা কখনো সাদা কাগজে কখনো অলিখিত স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর/টিপসহি রেখে টাকা দেয়ার পর তাদের ফাঁদে আটকানোর অভিযোগ রয়েছে বেনাপোলের ভবেরবের গ্রামের বিশিষ্ট সুদ ব্যবসায়ী হাশেম আলীর বিরুদ্ধে।

    করোনাকালীন এই দুর সময়ে সুদের টাকা সময় মতো পরিশোধ না করতে পারলে কারও কারও জোর করে জমি রেজিস্ট্রি করে নিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বেনাপোল ভবারবের সহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এমন অনেক ব্যবসায়ীর খোঁজ পাওয়া গেছে। অনেকেই ঋণের টাকা পরিশোধ করতে না পেরে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, বাড়িঘর ফেলে রাতের আধাঁরে স্ত্রী, ছেলে-মেয়ে নিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। অনেকেই সুদ ব্যবসায়ীদের হুমকীর কারণে থানায় অভিযোগ করারও সাহস পাচ্ছে না।তবে শার্শা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মীর আলিফ রেজা বলেছেন অভিযোগ পেলে এসব অবৈধ ব্যবসায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

    বুধবার (১৪ই জুলাই) অনুসন্ধানে গিয়ে জানা যায়, বেনাপোলে অনেক ব্যবসায়ী নিজের ব্যবসা টিকিয়ে রাখা ও জীবিকার প্রয়োজনে দাদন ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চড়া সুদে ঋণ নেন অভাব অনটনে থাকা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, কৃষক, দিনমজুর, শিক্ষকসহ শত মত মানুষ। এসব মানুষদের কষ্টের আয়ের প্রায় সবটাই চলে যায় সুদি ব্যবসায়ীদের পকেটে। তবে একাধিক সুদি কারবারি বলেন, আমরা কাউকে জোর করে টাকা দিই না।

    নিজেদের প্রয়োজনে আমাদের কাছে এসে তাঁরা টাকা নেন। সারা দেশের মতো একই নিয়মে আমরাও টাকা আদায় করি। ক্ষতিগ্রস্থরা বলছেন, বিপদে পড়ে চড়া সুদে নগদ টাকা নিতে বাধ্য হই। এভাবে সারা মাসে ব্যবসার অর্ধেক টাকা তাদের পকেটে চলে যায়। দিনরাত পরিশ্রম করেও সংসারের অভাব-অনটন লেগেই থাকে।

    খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বেনাপোলের ভবেরবের গ্রামের ব্যাংকের পিয়ন আলী আকবার স্থানীয় দাদন (সুদ) ব্যবসায়ী হাশেমের কাছ থেকে গত ৫ বছর আগে প্রতি মাসে ৩০ হাজার টাকা সুদ দিবেন এ শর্তে ৩ লক্ষ টাকা নিয়ে একটি ব্যাবসা শুরু করেন। গত একবছরে তিনি দিন-রাত পরিশ্রম করে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা সুদ দেন। সংসারের খরচ চালিয়ে ও সুদের ঋণ পরিশোধ করতে গিয়ে প্রায় নিঃস্ব হয়ে পরেন, গত তিন বছরে ৩ লক্ষ টাকার সুদ বেড়ে ৯ লক্ষ টাকায় গিয়ে দাড়ায়। বন্ধ হয়ে যায় সুদের দেনা পরিশোধ। টাকার জন্য গত ২ বছর আগে আলী আকবারকে শার্শায় আটকে রেখে তার মাকে ডেকে নিয়ে টিপ সই নিয়ে তার জমি লিখে নেয় সুদি কারবারী হাশেম আলী। টিপ সই নেওয়ার পর আলী আকবরের পরিবার তাকে আর খুজে পায়নি।

    এই বিষয়ে আলী আকবরের মা তফুরন নেছা বলেন, টাকা জামিন্দার হিসাবে আমার একটি টিপসই নিয়েছে হাশেম আলী। আর আমি এতদিন জানতাম আমার ছেলে দেনার ভয়ে ভারতে পালিয়ে গিয়েছে কিন্তু এখন হঠাৎ করে দেখছি হাশেম আমার বসতভিটা দখল আামাদের উচ্ছেদ করতে এসেছে। আমি এবং আমার ছেলে নাকি তাকে আমার বসবাসের বসতভিটা তাকে লিখে দিয়েছি।

    এবিষয়ে আমি বেনাপোল পোর্ট থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছি। সর্বশেষ বিষয়টি আমি গণমাধ্যম কর্মীদেরকে জানায় সঠিক বিচারের আশায়। আমার স্বামীর ভিটা থেকে এখন এভাবে তারিয়ে দিলে আমি পুত্রবধূ এবং নাতি নাতনি নিয়ে কোথায় যাবো।

    আলী আকবরের মত এ রকম বহু পরিবার বেনাপোলের বিভিন্ন গ্রামে দাদন ব্যবসায়ীর ফাঁদে পড়ে নিঃস্ব হচ্ছে। হারাচ্ছেন ভিটে, বাড়ি আর সাজানো সংসার। প্রশাসনিক কোন পদক্ষেপ না থাকায় দিনের পর দিন পুরো বেনাপোল সুদ কারবারীদের দাপট বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে শিক্ষক, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, দিনমজুরসহ সাধারণ মানুষ।

    তথ্য নিয়ে জানা গেছে, বেনাপোল পৌরসভাসহ বিভিন্ন গ্রামে দাদন ব্যবসা এখন জমজমাট। শিক্ষক, হোটেল, ক্ষুদ্র ব্যবসা, দিনমজুর, ভ্যান ও রিকশা চালকসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ সংসার চালাতে গিয়ে দাদন ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে টাকা নিচ্ছেন। বেনাপোলের অপর এক ভুক্তভোগী ইলেকট্রনিক ব্যবসায়ী ফিরোজ হোসেন এ রকম অসহায়দের মধ্যে একজন। তিনিও এই সুদকারবারী হাশেম আলীর অত্যাচার আর নির্যাতনে টাকা সব পরিশোধ করতে না পেরে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এখন আর খুলতে পারছেননা।

    স্থানীয়রা বলছেন, দাদন বা সুদ ব্যবসা আইন সম্মত বা বৈধ না হওয়া সত্ত্বেও এই ব্যবসার সাথে জড়িতদেরও নানা কুট কৌশলের কারণে সমাজে এদের বিরুদ্ধে কেউ ‘টুথ শব্দটি পর্যন্ত করা পারছেনা। কিন্তু দিনে দিনে এর ক্ষতিকর প্রভাবের কারণে সাধারণ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

    প্রতিটি গ্রামে সুদের ব্যবসা ভয়াবহ বিষের ন্যায় ছড়িয়ে পরেছে। সুদ ব্যবসায়ীদের এখনই থামানো না গেলে এর ভয়াবহতা আরও বাড়বে। দাদনের ফাঁদে পড়ে একাধিক ভুক্তভোগী জানান, দাদন ব্যবসায়ীরা টাকা দেওয়ার সময় জমির দলিল, ব্যাংকের ফাঁকা চেক ও সাদা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর রাখেন। যখন কেউ টাকা ফেরত দিতে না পারে তখন ওই চেক স্ট্যাম্পে ইচ্ছেমত টাকা বসিয়ে পাওনাদারের নিকট দাবি করে। অনেক সুদি ব্যবসায়ী অন্য ব্যবসা ছেড়ে দিয়ে রাতারাতি কোটিপতি বনে যাওয়ার আশায় এই ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েছেন। এমনি একজন ব্যাক্তি হাশেম আলী যে কিনা লোক দেখানো জেনারেটর এবং সমিতি ব্যবসা থেকে এখন কোটি কোটি টাকার মালিক। তার বেনাপোল বাজারে গুরুত্বপূর্ন স্থান সহ কয়েকটি জায়গাই বাড়ী ও জমি রয়েছে সুদের টাকা ফেরত না দেতে পেরে অনেকের কাছে থেকে জোরপূর্বক এসব সম্পদ লিখে নিয়েছে বলে অনেকে মতপ্রদান করেছেন। বেনাপোলের সাধারন মানুষও তাকে সুদখোর হাশেম বলে এক নামে চেনে।

    তারা আরও বলছেন, তাদের বেঁড়া জালে বন্দী হয়ে অনেক সহজ সরল সাধারণ মানুষ জমি, ঘড়-বাড়ি থেকে শুরু করে সব কিছু হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পথে বসেছে। অনেক এলাকায় দাদন ব্যবসায়ীদের অত্যাচারে মানুষ ঘর-বাড়ি থেকে পালিয়ে গেছে তাদের অত্যাচারে বাড়ি ফিরতে পারছেনা। কেউ কিছু বলতে পারে না। ফলে সুদের বোঝা টানতে না পেরে নিরবেই কাঁদছে অনেকে। ঋণের দেনা পরিশোধ করতে না পেরে আত্মহত্যার মত ঘটনাও ঘটছে। অনেক ব্যবসায়ী মানসম্মানের ভয়ে মুখই খোলেন না।