লক্ষ্মীপুরের দুইজন নারী ইউএনও’র মধ্যে একজন রায়পুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা সাবরীন চৌধুরী, অন্যজন রামগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা তৃপ্তি চাকমা। এ দুই জন আজ বুধবার সকালে পরিবার পরিজন রেখে ঈদ উদযাপন করেছেন আশ্রয় কেন্দ্রের অসহায় বাসিন্দাদের সাথে। সকালেই দুই উপজেলার দুটি আশ্রয়ণ কেন্দ্রে ছুটে গিয়ে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করে নিয়ে নিজেদের আনন্দ উপভোগ করেন।
উপজেলার এ দুই মমতাময়ী নারী কর্মকর্তাদের কাছে পেয়ে ঈদের আনন্দ কয়েকগুণ বেড়ে গেছে আশ্রয়ের বাসিন্দাদের। নিজেদের হাতে কুরবানির গোশত বিলি করেছেন আশ্রয়ণের প্রত্যেক পরিবারের মাঝে।
আনন্দ থেকে বাদ পড়েনি শিশুরাও। রায়পুর ইউএনওথর দেওয়া ঈদ সেলামী পেয়ে উচ্ছসিত ‘সুখ আলয়থ নামক আশ্রয় কেন্দ্রের শিশুরা।
দুইজনেই আনন্দময় মুহুর্তের ছবি ধারণ করে পোস্ট করেছেন অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে। লোকজনও পোস্টের মধ্যে তাদেরকে ধন্যবাদ জানিয়ে ইতিবাচক মন্তব্য করছেন।
ইউএনও রায়পুর লক্ষ্মীপুরথ নামক ফেসবুক পেজে ইউএনওথর ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা জানিয়ে লিখা পোস্ট থেকে জানা গেছে, বুধবার সকালে উপজেলার দক্ষিণ চরবংশীতে মুজিববর্ষ উপলক্ষে গৃহ ও ভূমিহীনদের জন্য দেওয়া প্রধামমন্ত্রীর উপহারের নির্মিত ‘সুখ আলয়থ নামক আশ্রয়কেন্দ্রে ঈদ উদযাপন করেন ইউএনও সাবরীন চৌধুরী।
তাঁর উপস্থিতিতে উপজেলা প্রশাসন থেকে বাসিন্দাদের জন্য উপহার স্বরূপ দেওয়া একটি গরু কুরবানী দেওয়া হয়।
এ সময় প্রধানমন্ত্রীর ঈদের উপহার নতুন শাড়ি পড়ে আনন্দে বিমোহিত উপকারভোগী সকলে একযোগে কোরবানির মাংস কাটাকাটি করে এবং সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান এবং মেম্বারসহ তাদের মধ্যে মাংস বন্টন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাবরীন চৌধুরী।
এছাড়া আশ্রয়ণের ছোট ছোট শিশুদের সাথে ঈদ আনন্দ উপভোগ করার পাশাপাশি তাদের মাঝে ঈদের সেলামি (ঈদি) বিতরণ করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। এ সময় উপকারভোগীদের হাতের রান্না (সেমাই) খেয়েই ঈদ যাত্রা শুরু হয়।
এদিকে সকালে ঈদ উদযাপন করতে নিজের শিশুপুত্রকে নিয়ে একটি আশ্রয় কেন্দ্রে যান রামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাপ্তি চাকমা।
উপজেলার ইছাপুর ইউনিয়নে প্রধানমন্ত্রীর উপহার গৃহহীন ও ভূমিহীন দের জন্য নির্মিত ‘স্বপ্নের ঠিকানাথ বাসীর জন্য দেয়া উপহার খাসি জবাই পূর্বক ২০ টি পরিবারের মাঝে সমহারে মাংস বন্টন করেন তিনি।এসময় তিনি স্বপ্নের ঠিকানার ছোট ছোট শিশু