Author: admin

  • কালের বিবর্হাতনে হারিয়ে যাচ্ছে গ্রামীণ সন্ধ্যাবাতি হারিকেন।

    কালের বিবর্হাতনে হারিয়ে যাচ্ছে গ্রামীণ সন্ধ্যাবাতি হারিকেন।

    নলডাঙ্গা(নাটোর)প্রতিনিধিঃ হারিকেন গ্রামীণ ঐতিহ্যের প্রতীকগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি। বিদ্যুৎবিহীন গ্রামের আলোর চাহিদা মিটানো বা অন্ধকার দূর কারার একমাত্র অবলম্বন ছিল হারিকেন সেই হারিকেন আজ বিলুপ্তির পথে।

    বাঙ্গালীর জীবনে রাতের অন্ধকার দূর করতে এক সময় গ্রামের মানুষের অন্যতম ভরসা ছিল হারিকেন। যার অন্যতম জ্বালানি উপাদান ছিল কেরোসিন। তখনকার সময় এসব জ্বালিয়ে গ্রামাঞ্চলে রাতে বিয়ে,যাত্রাগান,ওয়াজ মাহফিল ইত্যাদি অনুষ্ঠান করা হতো। হারিকেন জ্বালিয়ে বাড়ির উঠানে বা ঘরের বারান্দায় ছাত্র-ছাত্রীরা বসে একসাথে পড়াশোনা করতো।

    আধুনিকতার ছোঁয়ায় বদলে গেছে সব। সেই হারিয়ে যাওয়ার ধারাবাহিকতায় হারিয়ে গেছে এক সময়ের রাতের সঙ্গী হারিকেন।কয়েক দশকের বেড়ে ওঠা মানুষের স্মৃতির সাথে জড়িয়ে আছে হারিকেন।

    সন্ধ্যা হলেই বাংলার ঘরে ঘরে জলে উঠতো হারিকেন। তার আগে গৃহিণীরা এর চিমনি খুলে পরিষ্কার করে রাখতেন। এতে আলো একটু ভালো পাওয়া যেতো। আজকের প্রজন্মের অনেকেই চিনতেই পারবে না এই প্রযুক্তিটি।

    হারিকেন কেবল ঘরে আলো দেওয়ার কাজেই ব্যবহার করা হতো না। অন্ধকারে কোথাও যাওয়া আসার জন্যও হাতে হারিকেন ঝুলিয়ে
    নিতেন। আলোও হতো বেশ। যদিও এখনকার সাদা আলোর মতো হতো না। কিন্তু তখন তো এই আলোই ছিল যথেষ্ট।

    নাটোরের এখন আগের মতো আর হারিকেনের ব্যবহার দেখা যায় না। দোকানগুলোতেও পাওয়া যায় না হারিকেন। মাঝের মধ্যে ভ্যান গাড়ী হারিকেন চোখে পরে।

    নলডাঙ্গার ব্রহ্মপুর গ্রামের রাশেদ আলম স্মৃতিচারন করে বলেন,খুব মনে পড়ে সেদিনের কথা,যখন ছোট ছিলাম ,ইলেক্ট্রিসিটি ছিলো না ঘরে। দুই ভাইবোন একটি হারিকেন নিয়ে সাঁজ বেলাতে পড়তে বসতাম। তারপর ঝগড়া করতাম। আমি বলতাম হারিকেনের আলো আপু বেশি পাচ্ছে আর আপু বলতো আমি বেশি পাচ্ছি। আর মা রান্নাঘর থেকে শাসনের স্বরে দুজনকে বুঝানোর চেষ্টা করত। আর তাও না হলে মা রান্নাঘর থেকে তার রান্নার কুপি এনে আমাকে দিতো। আর একটু ঝড়,বৃষ্টি হলে হারিকেন আর কুপির আলোয় নিভু নিভু করতো তখন পড়া থেকে বেঁচে যেতাম। খুব মজা লাগতো। আবার খাবার সময় বাবা মা ভাই বোন সবাই একসঙ্গে খেতাম হারিকেনের আলোতে। আর ঘুমানোর সময় হারিকেন হালকা জ্বালিয়ে রেখে ঘুমিয়ে পড়তাম। এখন এগুলো কথা মনে পড়লে খুব মজা লাগে কতো না সুন্দর সময় ছিল।
    নবাব সিরাজ উদ্-দৌলা সরকারি কলেজের স্নাতক বর্ষে রবিউল ইসলাম বলেন,এক সময় বিদ্যুৎ ছিলোনা কিংবা লোডশেডিং হলে হারিকেনই ছিলো প্রধান আলোক বাহন।

    হাইস্কুলে থাকতে হারিকেনের আলোয় অনেক পড়াশোনা করেছি। হারিকেনের আলোতে খাওয়া দাওয়া,রাতে ভ্যান গাড়ি,নৌকা চালতে দেখেছি,দেখেছি,হারিকেন জ্বালিয়ে পথ চলতে হয়েছে। সবচেয়ে বড় স্মৃতি আমরা ২০১৮ সালে স্কাউট ক্যাম্প কমডেকায় গিয়েছিলাম একটা প্রোগ্রাম আছে হাইকিং বা অজানার উদ্দেশ্য যাত্রা রাতে ম্যাপ দেখে গন্তব্যে যেতে হয়,সেখানে হ্যারিকেন দিয়ে যাওয়া বাধ্যতামূলক ছিলো। কাউকে ব্যাথার ছেক দিতে হারিকেন ব্যবহার হতো,হারিকেন জ্বালিয়ে সারারাত অনুষ্ঠান চলতো।

    দোকানিরা বলেন,নিতান্তই প্রত্যন্ত এলাকার
    মানুষ অথবা নৌকায় ব্যবহারের জন্য হারিকেন কিনে নিয়ে যায়। দুই ধরনের হারিকেন রয়েছে দোকানে। আকার ভেদে ১৩০ টাকা থেকে শুরু করে ২৫০ টাকা পর্যন্ত দাম। একসময় হারিকেনের রমরমা ব্যবসা ছিল। এখন মাসের পর মাস হারিকেন বিক্রিও হয় না।

    নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উড়তি বয়েসি এক লেখক বলেন,হারিকেন! আতকে উঠার কিছু নেই,ভয় পাবারো কিছু নেই। এটা নয় সাইক্লোন ঝড়,নয় ঝড় হারিকেন। তবে হারিকেন আমাদের চৌদ্দ পিড়ির আলোকবর্তিকার নিদর্শন। বাহারী সব আলোক ধারায়,পথ হারায়,জায়গা হয়েছে নিরালায়।

    নবাব সিরাজ উদ-দৌলা সরকারি কলেজের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের ৩ বর্ষের ছাত্র হুমায়ুন রশিদ বলেন, হারিকেন গ্রাম বাংলার অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ছিলো কিন্তু কালের বিবর্তনে আধুনিকতার ছোঁয়ায় তা আর চোখে পরেনা। আমরা যখন নানার বাড়িতে সব ভাই বোন এক সাথে মিলিত হতাম তখন হারিকেনের আগুন জ্বালানো,শলতে পরানো ও হারিকেন সেট করা এসব বেপার নিয়ে প্রতিযোগিতা হতো যা শুধু এখন স্মতিচারন।

    বড়াইগ্রামের জোনাইল ইউনিয়নের চৌমুহন গ্রামের মোঃ সিপন আলী বলেন,হারিকেনের মাঝে মিশে আছে শৈশবের স্মৃতি। যখন ছোট ছিলাম তখন গ্রামে বিদ্যুৎ ছিল হাতেগোনা কয়েকজন ধনী শ্রেণীর মানুষের বাসায়। তখন আমাদের পড়াশোনার জন্য একমাত্র অবলম্বন ছিল হারিকেন। হারিকেনকে দেখলেই শৈশবের স্মৃতি গুলো মনে পড়ে যায়। আরো একটা কথা মনে পড়ে যায়,একদিন বিকেলে মা আমাকে ২০ টাকা দিয়ে হারিকেনের কেরোসিন তেল কিনতে দিয়েছিল রাতে হারিকেন জ্বালানোর জন্য কিন্তু আমি খেলাধুলা করার নেশায় তেলটা না কিনে খেলাধুলা করে এসে দোকানে গিয়ে দেখি কেরোসিন তেল দোকানে নেই। সেদিন কতজনের বাসায় ঘুরে ছিলাম,একটু কেরোসিনের তেল হাওলাত করার জন্য,অবশেষে পেয়েছিলাম যা দিয়ে হারিকেনটি জ্বালিয়ে পড়াশোনা করেছিলাম।

    এক সময় হারিকেন জালিয়ে রাস্তার পাশে দোকান করার দৃশ্য ছিল নিয়মিত। এখন এলইডি বাল্বের আলোয় হারিকেন ব্যবহার উঠে গেছে। কালের গর্ভে হারিয়ে গেছে এক সময়ের অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি অনুষঙ্গ।

  • সভারে ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে জখমের ঘটনায় কিশোর গ্যাংয়ের ২ সদস্য আটক।

    সভারে ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে জখমের ঘটনায় কিশোর গ্যাংয়ের ২ সদস্য আটক।

    সাভার আশুলিয়ায় থানায় ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে যখমের ঘটনায় কিশোর গ্যাং এর ২ সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ।ওই কিশোর গ্যাং এর সদস্যরা আহত ব্যবসায়ীর নিকট লক্ষাধিক টাকা চাঁদা না পেয়ে কুপিয়ে জখম করেছে কিশোর গ্যাং সদস্যরা। এ ঘটনায় দুই কিশোর গ্যাং সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ।

    শুক্রবার (২৭) দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন আশুলিয়া থানার উপ- পরিদর্শক (এস আই) সামিউল ইসলাম। এর আগে সোমবার রাতে আশুলিয়ার শিমুলতলা এলাকায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে ওই ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে জখম করা হয়।

    এলাকাবাসী জানায়- দীর্ঘদিন ধরে আশুলিয়ার আকিজ কোম্পানির প্লাস্টিক ডিলারের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন রাসেল খান নামের ( ৩৫ ) এক ব্যবসায়ী। পরে ব্যবসা করতে হলে প্রকাশ্যে তার কাছে কয়েক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে কিশোর গ্যাং সদস্যরা। এক পর্যায়ে ২৬ আগস্ট রাতে চাঁদার টাকা দিতে অস্বীকার করলে কিশোর গ্যাং সদস্য আফজাল, শাহেদ মীর ও সিমি শিমুলতলা এলাকায় তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে মৃত ভেবে পালিয়ে যায়। পরে তাকে স্থানীয়রা দ্রুত উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতালে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে ( আই সিইউ ) ভর্তি করে। সেখানে তার চিকিৎসা সেবা চলছে।

    এঘটনায় ওই ব্যবসায়ীর বাবা আবু দায়েন খান কিশোর গ্যাং সদস্য সদস্য আফজালকে প্রধান আসামি করে দুইজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করে আশুলিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
    পুলিশ প্রধান আসামি কিশোর গ্যাং সদস্য আফজাল ও শাহেদ মীরকে আটক করতে পারলে ও তৃতীয় ব্যক্তি সিমিকে আটক করতে পারেনি এখনো। এঘটনায় ভুক্তভোগীর পরিবার কিশোর গ্যাং সদস্যদের কঠোর শাস্তির দাবি করেছেন।

    এ বিষয়ে আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সামিউল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় দুই আসামিকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। মামলার তিন নম্বর আসামিকেও আটকের চেষ্টা চলছে।

  • সিরাজগঞ্জে মাদ্রাসার ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগে শিক্ষক গ্রেফতার।

    সিরাজগঞ্জে মাদ্রাসার ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগে শিক্ষক গ্রেফতার।

    সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় কুমাজপুর দারুল আবরার ক্বওমী হাফিজিয়া মাদ্রাসার ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগে অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেফতার করেছে র‍্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটিলিয়ান র‍্যাব-১২’র সদস্যরা।

    ঘটনা সূত্রে জানা যায় নলছিয়া গ্রামের মাসুদ রানা তার ছেলে অলিউল্লাহকে দ্বীনি শিক্ষার জন্য কুমাজপুর দারুল আবরার ক্বওমী মাদ্রাসায় ভর্তি করেন।

    শিক্ষার্থী অলিউল্লাহ মাদ্রাসায় আবাসিকে থেকে গত এক বছর যাবত পড়া লেখা করে আসছিল। গত ১১ আগস্ট রাতে মাদ্রাসার শিক্ষক আবু রায়হান শিক্ষার্থী অলিউল্লাহকে তার কাছে ডেকে নিয়ে ইচ্ছার বিরদ্ধে বলাৎকার করে। বলাৎকারের বিষয়টি প্রকাশ করলে শিক্ষক তাকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়।

    এভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে একাধিকবার ছাত্রটিকে বলাৎকার করে। কয়েক দিন পর আবার কু-কর্মকরার প্রস্তাব দিলে শিক্ষার্থী অলিউল্লাহ তার প্রস্তাবে রাজি না হলে পর দিন সকালে তাকে মারধর করে। মারধরের ঘটনার পর শিক্ষার্থী অলিউল্লাহ ছুটি চায় শিক্ষক ছুটি না দিলে শিক্ষার্থী অলিউল্লাহ গোপনে ১৯ আগস্ট নিজ বাড়ি চলে যায়।

    শিক্ষার্থী অলিউল্লাহ বাড়ি গিয়ে শিক্ষক আবু রায়হানের কু-কর্মের কথা তার পরিবারের কাছে খুলে বলে এবং জোড়পূর্বক ভাবে একাধিকবার বলাৎকার করার ঘটনাও খুলে বলে।

    পরবর্তীতে শিক্ষার্থীর অভিভাবকেরা মাদ্রাসা ম্যানেজিং কমিটির কাছে বিষয় টি জানালে কমিটির লোকজন উচিৎ বিচারের আশ্বাস দেয়। কিন্তুু আসামী আবু রায়হান আত্ম গোপন করে। উক্ত ঘটনাটি এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি করে এবং স্থানীয় জনগনের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি করে।

    পরবর্তীতে শিক্ষার্থী’র পরিবার সলঙ্গা থানায় মামলা দায়ের করে এবং র‍্যাব-১২ এর কাছে আসামীকে গ্রেফতারের আকুতি জানায়। র‍্যাব-১২ র‍্যাব-১২ বিষয়টি আমলে নিয়ে র‍্যাব-১২’র স্পেশাল কোম্পানীর সহকারী পুলিশ সুপার মি. জন রানার নেতৃত্বে গোয়েন্দা তথ্য ও আধুনিক তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে আত্ম গোপনকারী আসামী আবু রায়হানকে ঢাকার ভাটারা থানার বাড্ডা এলাকা থেকে ২৭ আগস্ট শুক্রবার ভোর সোয়া ৫ টার সময় গ্রেফতার করে।

    গ্রেফতারকৃত আসামী মোঃ আবু রায়হান (২৪), সলঙ্গা থানার খোলাপাড়া গ্রামের মোঃ হাসেন আলীর ছেলে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামী ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে।
    গ্রেফতারকৃত পলাতক আসামীকে সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

  • বেলকুচিতে করোনায় ক্ষতিগ্রস্তদের খাদ্য সামগ্রী বিতরণ।

    বেলকুচিতে করোনায় ক্ষতিগ্রস্তদের খাদ্য সামগ্রী বিতরণ।

    সবুজ সরকার বেলকুচি (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে ব্যক্তি উদ্যোগে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।

    শুক্রবার সকালে বেলকুচি পৌর এলাকার সূবর্ণ সাড়া বাস স্ট্যান্ড সলগ্ন এলাকায় উপজেলা ও পৌরসভার প্রায় ৯ শতাধিক অসহায় পরিবারকে নিজ অর্থায়নে খাদ্য সহায়তা প্রদান করেন বনানী থানা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক মীর মোশারফ হোসেন।

    ত্রাণ বিতরণী অনুষ্ঠানে আরোও উপস্থিত ছিলেন, পৌর আ’লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মীর সিরাজুল ইসলাম, বেলকুচি উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি গোপাল চন্দ্র প্রামানিক,বানানী থানা ছাত্রলীগের সহ -সভাপতি আশিকুর রহমান,জেলা ছাত্রলীগের সহ সম্পাদক সোহেল মির্জা,সাবেক ছাত্রলীগের সভাপতি জাহিদ হাসান মসরু, সাবেক কাউন্সিলর আব্দুস ছোবাহান মন্ডল,সাবেক ওয়ার্ড সভাপতি আবুল কালাম মন্ডল, যুবলীগ নেতা সাগর সরকার,সেচ্ছাসেবক লীগ নেতা ইয়াসিন মন্ডল, সোহেল রানা,সহ আরো অনেকেই।

  • সিরাজগঞ্জে ডিসেন্ট ও এস.এস.কে ইলেকট্রনিকের পরিচিতি সভা।

    সিরাজগঞ্জে ডিসেন্ট ও এস.এস.কে ইলেকট্রনিকের পরিচিতি সভা।

    সিরাজগঞ্জে ডিসেন্ট ইলেকট্রনিক ও এস.এস.কে ইলেকট্রনিক এর আয়োজনে অভিজাত্যের ছোঁয়া বিশ্ব আমার বৈদ্যুতিক সামগ্রী উৎপাদন ও বিপণনে সম্ভাবনায় নব দিগন্ত স্লোগানকে সামনে রেখে আলোচনা ও পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    শুক্রবার (২৭ আগস্ট) সকাল ১১টার সময় সিরাজগঞ্জ শহরের ই বি রোডে পৌর ভাসানী মিলনায়তন,ডিসেন্ট ইলেকট্রিশিয়ান কনফারেন্স ও এস.এস.কে আয়োজনে পবিত্র কোরআন তেলোয়াতের মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়।

    উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট সমাজ সেবক আমার মা ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও ডিসেন্ট ইলেকট্রনিকস লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর মোঃ শফিকুর রহমান।
    অনুষ্ঠানের উদ্বোধক বীরমুক্তি যোদ্ধা ও সিরাজগঞ্জের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার হাসিনুল ইসলাম খান।

    বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্যে রাখেন,সিরাজগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি হেলাল আহমেদ, যুগ্ন – সাধারন সম্পাদক সিরাজগন্জ প্রেসক্লাব ও দৈনিক যমুনা প্রবাহ পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক ও আব্দুল মজিদ সরকার, ই,বি রোডস্থ ব্যবসায়ি মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব রিজভী আহমেদ, বিশিষ্ট ব্যাবসায়ি, চেয়ারম্যান মিশাম এ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ লিঃ,শফিকুল ইসলাম খান, বিশিষ্ট সমাজ সেবক,সাংস্কৃতিক ব্যাক্তিত্ব ও ব্যাবসায়ী তপু সিরাজী,সহসভাপতি বাংলাদেশ ফার্টিলাইজার এসোসিয়েশন ইঞ্জিনিয়ার নজরুল ইসলাম খান,ফার্মাসিস্ট এন্সেসিয়াল ড্রাগস বাংলাদেশ সরকারের একমাত্র উৎপাদন ঔষধ উৎপাদন কারী শাহেদ খান,সিরাজগঞ্জ জেলা শাখা ইলেকট্রিশিয়ান সমিতির এর সভাপতি জুবায়ের, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল খালেক।

    এ সময়ে বক্তৃরা বলেন, ডিসেন্ট ইলেকট্রনিক পন্য সামগ্রি সকল প্রকার গুনে ও মান সম্মত ভালো। আপনার ব্যবহার করলে বুঝতে পারবেন ডিসেন্ট ইলেকট্রনিক আমাদের সকল পন্য সেবা আপনাদের সহযোগিতা প্রতিটি পাড়া মহল্লা আপনাদের মাধ্যমে পৌঁছে দিব।

    অনুষ্ঠানটি সঞ্চালন করেন, মডিবেশনাল ইস্পিকার বিজনেন্স ট্রেনার রোকনুজ্জামান সহ প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।

  • টিকা নেওয়ার পরও করোনায় আক্রান্ত ডা.হাবিবে মিল্লাত মুন্না এমপি।

    টিকা নেওয়ার পরও করোনায় আক্রান্ত ডা.হাবিবে মিল্লাত মুন্না এমপি।

    করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে দ্বিতীয় ডোজ করোনা টিকা নেওয়ার সাড়ে ৪ মাস পর করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন সিরাজগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা.মোঃ হাবিবে মিল্লাত মুন্না এমপি।

    বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) সকালে নিজের ফেসবুক পেজে করোনা শনাক্তের বিষয়টি জানিয়ে সবার নিকট দোয়া চান তিনি। একই সঙ্গে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন গ্রহণ করার পাশাপাশি স্বাস্থ্য সুরক্ষা মেনে নিজেকে এবং নিজের পরিবারকে নিরাপদ রাখার জন্যও তিনি সবাইকে অনুরোধ করেছেন।

    তিনি আরও জানিয়েছেন,বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব প্রিভেন্টিভ অ্যান্ড সোশ্যাল মেডিসিনে (নিপসম) করোনা টেস্টের জন্য র‍্যাপিড অ্যান্টিজেন্ট টেস্ট পরীক্ষায় করোনা শনাক্ত হয়।তিনি ঢাকার গুলশানের বাসায় আইসোলেশনে রয়েছেন।

    উল্লেখ যে,গত ৭ ফেব্রুয়ারি টিকার প্রথম ডোজ গ্রহণের মাধ্যমে সিরাজগঞ্জে টিকা কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন সিরাজগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা.মোঃ হাবিবে মিল্লাত মুন্না।

    এরপর ৮ এপ্রিল জাতীয় সংসদ ক্লিনিক থেকে দ্বিতীয় ডোজ টিকা গ্রহণ করেন তিনি।

  • তানোর মডেল প্রেসক্লাবের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন।

    তানোর মডেল প্রেসক্লাবের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন।

    রাজশাহীর তানোর মডেল প্রেসক্লাবের ১১ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার(২৬আগস্ট) তানোর গোল্লাপাড়া বাজার মর্ডান মার্কেটে তানোর মডেল প্রেসক্লাবের স্থায়ী কার্যালয়ে এ ১১সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়। এতে সর্ব সদস্যদের সম্মতিক্রমে আমাদের রাজশাহী পত্রিকার প্রতিনিধি আলিফ হোসেন সভাপতি ও মনিরুজ্জামান মনি(উপচার)কে সাধারণ সম্পাদক হিসাবে নির্বাচিত করা হয়েছে।

    এছাড়াও কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন, সিনিয়র সহসভাপতি আব্দুস সবুর (লাখো কষ্ঠ ও জি নিউজ) সহসভাপতি আবুল কাসেম বাবু(দৈনিক পুনরুত্থান ও সূর্যের আলো), যুগ্ম সম্পাদক সারোয়ার হোসেন(দৈনিক ঢাকার ডাক ও স্বদেশ বাণী) সাংগঠনিক সম্পাদক সোহানুল হক পারভেজ(মানবজমিন ও জনতার বিবেক টিভি)

    দপ্তর সম্পাদক শানাউল্লাহ স্বপন(বাংলার নবকষ্ঠ ও এই বাংলা), নির্বাহী সদস্য-আব্দুল হান্নান(দৈনিক সংগ্রাম) নুর হাসান মাহমুদ রাজা(সূর্যের আলো) গোলাম মোস্তফা লাল্টু(অপরাধ বার্তা) সৈয়দ মাহমুদ শাওন (আলোকিত৭১সংবাদ ও টপ নিউজ২৪ অনলাইন) কে সদস্য নির্বাচিত করা হয়েছে।

    কমিটির সর্ব সদস্যেরে মতামতের ভিত্তিতে আগামী ২বছরের জন্য তানোর মডেল প্রেসক্লাবের কমিটি গঠন করা হয়েছে।

  • শার্শা গোগা সীমান্তে সিরাজি কবুতার ও বিদেশি রাজা হাঁস আটক।

    শার্শা গোগা সীমান্তে সিরাজি কবুতার ও বিদেশি রাজা হাঁস আটক।

    যশোরের শার্শা গোগা সীমান্ত এলাকা দিয়ে বাংলাদেশ থেকে ভারতে পাচারের সময় ২৪ টি সিরাজি কবুতর ও ৬ টি রাজা হাঁস আটক করেছে বিজিবি।তবে এ সময় কোন পাচারকারীকে আটক করা সম্ভব হয়নি বলে জানান বিজিবি।

    ২৬ আগস্ট বৃহস্পতিবার ভোরে এ গুলো আটক করা হয়।আটকৃত রাজা হাঁস ও কবুতরের মূল্য প্রায় ১৩ লাখ টাকা বলে জানান বিজিবি’র সদস্যরা।

    গোগা বিজিবি ক্যাম্পের সুবেদার মোস্তফা কামাল জানান.গোপন সংবাদে ভিত্তিতে নায়েক সুবেদার সাইদুর রহমানের নেতৃত্বে প্রায় ১৩ লাখ টাকা মূল্যের ৬ টি বিদেশি রাজা হাঁস এবং ২৪ টি বিদেশি সিরাজি কবুতার পরিত্যক্ত জায়গা থেকে উদ্ধার করা হয়।আটক কবুতর ও রাজা হাঁস খুলনা ব্যাটালিয়ন সদরে জমা করা হয়েছে।

    এদিকে এলাকাবাসী জানান একটি চোরাচালানীকারী সিন্ডিকেট দীর্ঘদিন যাবত গোগা সীমান্ত দিয়ে পাখি ,কবুতর ও রাজা হাঁস ভারতে পাচার করে আসছে। এই সিন্ডিকেটের সদস্য কারা স্থানীয় প্রশাসন তাদের নাম ঠিকানা সব জানলেও তাদের আটক করছে না।

    স্থানীয়দের ধারনা প্রশাসন তাদের সাথে হাত মিলিয়ে অর্থের বিনিময়ে সহযোগিতা করে থাকে। তাদের দাবি এ সমস্ত সিন্ডিকেট প্রধানদের আটক করে আইনে আওতায় আনা হলে বন্ধ হবে ভারতে পাচারের ব্যবসা।

  • সিরাজগঞ্জে রেলচালুর দাবীতে রেল বাঁচাও আন্দোলন কমিটির মানববন্ধন।

    সিরাজগঞ্জে রেলচালুর দাবীতে রেল বাঁচাও আন্দোলন কমিটির মানববন্ধন।

    সিরাজগঞ্জ-ঢাকা রুটে চলাচলকারী আন্তঃ নগর সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেন বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।পুনরায় চালুর দাবীতে রেল বাঁচাও আন্দলোন কমিটির উদ্যোগে সিরাজগঞ্জে মানববন্ধন করা হয়েছে।

    বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট)সকাল১০ টার দিকে সিরাজগঞ্জ পৌর শহরের বাজার ষ্টেশনে অ্যাডভোকেট মাহবুব এ-খোদা টুটুলের সভাপতিত্বে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।এ মানববন্ধন অনুষ্ঠানে জেলার বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ ও সচেতনমহল অংশ গ্রহন করেন।

    মানববন্ধন অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় মহিলা আওয়ামীলীগের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক ড. জান্নাত আরা তালুকদার (হেনরী), সিরাজগঞ্জ জেলা কমিউনিষ্ট পার্টির সাধারন সম্পাদক কমরেড ইসমাইল হোসেন,বাসদ নেতা নব কুমার, বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোমিন বাবু,সিরাজগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌস রবিন,সাংবাদিক ইসমাঈল হোসেন,বীর মুক্তিযোদ্ধা আশরাফুল ইসলাম জগলু,সিরাজগঞ্জ সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ কুমার গৌর,নাট্য ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ফরিদুল ইসলাম সোহাগ,সাবেক পৌর কাউন্সিলর শাহাদৎ হোসেন প্রমূখসহ বিভিন্ন সামাজিক,সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ।

    এ সময় বক্তরা বলেন,একসময় সিরাজগঞ্জ ছিলো রেলের শহর।ব্রিটিশের সময় সিরাজগঞ্জ শহরেই চারটি রেলষ্টেশন ছিলো। এখান থেকে কলকাতা পর্যন্ত রেল সংযোগ ছিলো। ধীরে ধীরে সিরাজগঞ্জ থেকে কমতে থাকে ট্রেন। এর পর সিরাজগঞ্জ বাসীর এক যুগের আন্দোলনের ফলে সিরাজগঞ্জ থেকে ঢাকাগামী সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেস চালু করা হয়। কিন্তু করোনার মধ্যে ট্রেন বন্ধ থাকার সময় গোপনে এই ট্রেন বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।অবিলম্বে সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেস চালু করার দাবি জানান বক্তরা। ১০ দিনের মধ্যে ট্রেন চালু করা না হলে বৃহত্তর কর্মসুচী দেয়া হবে বলেও হুঁশিয়ারী দেয়া হয় মানববন্ধন থেকে।

  • এশিয়া এনার্জিকে অবিলম্বে বহিস্কার ও ৬ দফা পূর্ণবাস্তবায়নের দাবী।

    এশিয়া এনার্জিকে অবিলম্বে বহিস্কার ও ৬ দফা পূর্ণবাস্তবায়নের দাবী।

    এশিয়া এনার্জিকে অবিলম্বে বহিষ্কার ও ৬ দফা পূর্ণবাস্তবায়নের দাবীতে অধ্যাপক আনু মুহম্মদ বলেন, এলাকাবাসীর প্রতিবাদ ও প্রতিরোধের মুখে এশিয়া এনার্জি ফুলবাড়ী কয়লা সম্পদ লুটপাট করতে পারছে না। তাই তারা আবারও ষড়যন্ত্র করছে। ফুলবাড়ী নিয়ে নতুন কোনো ষড়যন্ত্র করলে, তাদের প্রতিহত করতে সেদিনের চেও আরো ভয়াবহ আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। খনি বিরোধী আন্দোলনকে নস্যাৎ করতে আন্দোলনকারি নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। অবিলম্বে নেতাকর্মীদের নামে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার,এশিয়া এনার্জিকে দেশ থেকে বহিস্কারসহ ৬ দফা ফুলবাড়ী সমঝোতা চুক্তির পূর্ণবাস্তবায়ন করতে হবে।

    বৃহস্পতিবার সকালে দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে তেল গ্যাস খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির উদ্যোগে কয়লাখনি বিরোধী ফুলবাড়ী ট্রাজেডি দিবসে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তেল গ্যাস খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব অধ্যাপক আনু মুহম্মদ।

    অধ্যাপক আনু মুহম্মদ বলেন, বর্তমান প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা (তৎকালিন বিরোধী দলীয় নেত্রী) সেই সময় বলেছিলেন ৬ দফা চুক্তি বাস্তবায়ন না করলে পরিস্থিতি ভয়াবহ হবে। কিন্ত তারা বর্তমানে ক্ষমাতায় থাকলেও এখন পর্যন্ত তা বাস্তবায়ন হয়নি। তিনি আরো বলেন,এশিয়া এনার্জির মতো জালিয়াতি কোম্পানিকে দেশ থেকে অবিলম্বে বহিস্কার করতে হবে।

    দিবসটি উপলক্ষ্যে তেল গ্যাস খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির উদ্যোগে বৃহস্পতিবার সকালে সংগঠনের সদস্য সচিব অধ্যাপক আনু মুহাম্মদের নেতৃত্বে পৌর শহরে শোক র‌্যালী বের করা হয়। র‌্যালী শেষে নিহতদের স্মরণে নির্মিত শহীদ বেদীতে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করা হয়। পরে সেখানে তেল গ্যাস জাতীয় কমিটির ফুলবাড়ী উপজেলা শাখার আহবায়ক সৈয়দ সাইফুল ইসলামে জুয়েল এর সভাপতিত্বে কয়লাখনি বিরোধী প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

    আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন তেল গ্যাস খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব অধ্যাপক আনু মোহাম্মদ। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন নান্নু, সমাজতান্ত্রিক মজদুর পার্টির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক সামছুল আলম, তেল গ্যাস খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি ফুলবাড়ী শাখার সদস্য সচিব জয় প্রকাশ গুপ্ত, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও স্থানীয় খনি আন্দোলনের নেতা আমিনুল ইসলাম বাবলু,তেল গ্যাস খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্য খনি আন্দোলনের নেতা হামিদুল হক,এসএম নূরুজ্জামান জামান, এমএ কাইয়ুম, শফিকুল ইসলাম শিকদার, সঞ্জিত প্রসাদ জিতু প্রমূখ।

    এদিকে ফুলবাড়ী পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব মাহমুদ আলম লিটন এর নেতৃতে পৌর পরিষদসহ শোক র‌্যালি নিয়ে শহীদ বেদীতে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন। এ সময় তিনি বলেন, ২৬ আগষ্ট ফুলবাড়ীতে উন্মুক্ত পদ্ধতিতে কয়লা খনির বিরোদ্ধে আমরা ছিলাম, আজও আছি, আগামীতেও ফুলবাড়ীবাসীর সাথে থাকব।

    অপরদিকে সাবেক পৌর মেয়র ও খনি আন্দোলনের নেতা মুরতুজা সরকার মানিকের নেতৃত্বে এক শোক র‌্যালী বের হয়ে শহীদ বেদীতে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন এবং কয়লা খনির বিরুদ্ধে শপথ বাক্য পাঠ করেন।

    এছাড়াও দোকান কর্মচারি ইউনিয়ন,মটর শ্রমিক ইউনিয়ন,রংমিস্ত্রি শ্রমিক,লেদ শ্রমিক,হোটেল কর্মচারি ইউনিয়নসহ বিভিন্ন রাজনৈতিকসহ পেশাজীবী সংগঠন পৃথক পৃথক কর্মসূচির মাধ্যমে দিবসটি পালন করেন।