Author: admin

  • উল্লাপাড়ায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ৩ পদে ১৮ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র দাখিল।

    উল্লাপাড়ায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ৩ পদে ১৮ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র দাখিল।

    উল্লাপাড়া(সিরাজগঞ্জ)প্রতিনিধিঃ

    ২য় ধাপে অনুষ্ঠিত সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলা পরিষদ  নির্বাচনে রোববার মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ছিল। উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন ৬ জন। এরা হলেন সেলিনা মির্জা মুক্তি, নবী নেওয়াজ খাঁন, মোঃ জহুরুল ইসলাম মিল্টন, হেদায়েত আহমেদ এলান, মোঃ ইদ্রিস আলী, মো: আকমাল হোসেন।

    ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ) পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন ৭ জন। এরা হলেন মোঃ আবু সাঈদ সরকার, মোঃ মনিরুজ্জামান পান্না, এস,এম তোফায়েল ইসলাম বকুল,মোঃ আলমগীর হোসাইন, এসএম জাহিদুজ্জামান কাকন,মোঃ সারোয়ার হোসেন, মোঃ শরিফুল ইসলাম।

    মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন ৫ জন। এরা হলেন মোছাঃ লাভলী পারভীন, সবিতা প্লাবনী সুইটি, মোছাঃ ঝর্ণা খাতুন, মোছাঃ সুমাইয়া পারভীন, মোছাঃ একা খাতুন।

    উল্লাপাড়া উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোঃ মাসুদ রানা জানান, ২য় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মোট ১৮ জন প্রার্থী অনলাইনে নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। আগামী ২৩ এপ্রিল মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই করে প্রার্থীতা চূড়ান্ত হবে। তিনি আরো জানান এবার উল্লাপাড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ইভিএমএ পদ্বতিতে ভোট অনুষ্ঠিত হবে।

  • সরকারি নির্দেশনা উপক্ষো করে বাঘা শাহদৌলা সরকারি কলেজের ক্লাস উদ্বোধন।

    সরকারি নির্দেশনা উপক্ষো করে বাঘা শাহদৌলা সরকারি কলেজের ক্লাস উদ্বোধন।

    বাঘা(রাজশাহী)প্রতিনিধিঃ
    দেশে তীব্র তাপপ্রবাহ চলছে। এর প্রেক্ষিতে সরকার সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সাত দিন ছুটি বাড়িয়ে দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেন। কিন্তু সরকারি নির্দেশনা উপক্ষো করে বাঘা শাহদৌলা সরকারি কলেজের ক্লাস উদ্বোধন করা হয়েছে।
    রোববার (২১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টায় ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) প্রথমবর্ষের রাষ্ট্রবিজ্ঞান, প্রাণিবিজ্ঞান ও উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগে ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীদের ক্লাস উদ্বোধন করা হয়েছে। এতে কলেজের অধিকাংশ শিক্ষক অংশ গ্রহণ করেনি।

    জানা যায়, ঈদের ছুটি শেষে ২১ এপ্রিল থেকে ক্লাস শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু দেশে তীব্র তাপপ্রবাহের কারনে শিক্ষার্থীদের ঝুঁকির বিষয়ে বিবেচনা করে এক সপ্তাহের জন্য ছুটি বাড়িয়ে আগামী ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় পৃথকভাবে ছুটির বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেন। এই প্রজ্ঞাপন উপেক্ষা করে বাঘা শাহদৌলা সরকারি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ শিক্ষার্থীদের মোবাইল ফোনে ১৯ এপ্রিল ম্যাসেজ দেওয়া হয়। শিক্ষার্থীরা ম্যাসেজ পেয়ে উদ্বোধনী ক্লাসে আসে। তবে এতে অধিকাংশ শিক্ষক এই উদ্বোধনী ক্লাসে উপস্থিত ছিলেন না।

    এ বিষয়ে স্নাতক (সম্মান) প্রথমবর্ষের শিক্ষার্থী শাওন আহমেদ, রুমন আলী, শাকিব হোসেন, মুসরেকুল ইসলাম, বুলবুল আহমেদ বলেন, মোবাইল ফোনে ১৯ এপ্রিল ম্যাসে পেয়ে উদ্বোধনী ক্লাসে অংশ গ্রহণ করি। কিন্তু কলেজ ছুটি, এরপরও আসতে হয়েছে।

    এ বিষয়ে কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রভাষক আমিরুল ইসলাম বলেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্ব ঘোষনা মোতাবেক ক্লাসের উদ্বোধনীর বিষয়ে আগে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল। সেই মোতাবেক শিক্ষার্থীরা উপস্থিত হওয়ায় তাদের ফিরে না দিয়ে ক্লাসের উদ্বোধন করা হয়েছে। তবে প্রজ্ঞাপন অনুয়ায়ী শিক্ষার্থীদের ক্লাসে আসার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

    প্রাণিবিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মুসলিমা খাতুন বলেন, অধ্যক্ষের নির্দেশে কলেজে এসেছিলাম। উদ্বোধনী ক্লাসে শিক্ষার্থীর উপস্থিত থাকলেও শিক্ষকের উপস্থিত ছিল কম। তবে ক্লাস উদ্বোধনী শেষে ছুটি দেওয়া হয়েছে।
    এ বিষয়ে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আবু বক্কর সিদ্দীক বলেন, আগে থেকে নোটিশ দেওয়া ছিল। সেই নোটিশ মোতাবেক শিক্ষার্থীরা কলেজে চলে আসায় ক্লাস উদ্বোধনের কাজ সেরে নেওয়া হয়েছে। আগামী ২৭ এপ্রিলের পর যথাযথভাবে ক্লাস পরিচালিত হবে।

    এ বিষয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের গনসংযোগ দপ্তরের পরিচালক মো. আতাউর রহমান বলেন, তীব্র তাপদাহের কারনে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক সিদ্ধান্ত গ্রহণ কল্পে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভূক্ত কলেজ সমূহের পরীক্ষা ছাড়া সকল ক্লাস কার্যক্রম বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এরপরও যদি কেউ ক্লাস কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকেন, তাহলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

  • ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের কাছে ক্ষমা চাইলেন মাটিরাঙ্গার রঞ্জিত বনিক।

    ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের কাছে ক্ষমা চাইলেন মাটিরাঙ্গার রঞ্জিত বনিক।

    মাটিরাঙ্গা(খাগড়াছড়ি)প্রতিনিধিঃ কারাগার থেকে জামিনে বের হয়ে নিজের ভুল শিকার করে ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করলেন মাটিরাঙ্গা বাজারের সেই স্বর্ণ ব্যবসায়ী রঞ্জিত বনিক।

    তিনি মাটিরাঙ্গা উপজেলার সনাতনী সম্প্রদায়ের সর্বোচ্চ নেতৃবৃন্দ, বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী নেতা ও মাটিরাঙ্গা উপজেলার বিভিন্ন ইসলামী সংগঠন এর নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে এই আনুষ্ঠানিক ক্ষমা প্রার্থনা করেন ।

    আজ সোমবার মাটিরাঙ্গা পৌর মেয়র কার্যালয়ে এক জরুরী মতবিনিময় সভায় এই ক্ষমা প্রার্থনা করেন রঞ্জিত বনিক ।

    এ সময় শান্তি সম্প্রতির মেলবন্ধনে সকল সম্প্রদায়ের মানুষ পার্বত্যাঞ্চলে বসবাস করে যাচ্ছে যুগ যুগ ধরে মন্তব্য করে বক্তারা ভবিষ্যতে যেনো কেউ কারো ধর্মকে আঘাত বা অবমাননা না করেন, সে বিষয়ে সকলকে সজাগ থাকার আহবান জানান। সভায় ইসলাম ধর্ম শান্তির ধর্ম, হযরত মোহাম্মদ (সা:) এর ক্ষমা ও ত্যাগের সর্বোচ্চ গুরুত্বারোপ করে মুসলিম সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দরা বলেছেন যেহেতু রনজিত বনিক তাঁর অপরাধ স্বীকার করেছেন এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের কার্যকলাপ থেকে বিরত থাকবেন বলে সকলকে আশ্বস্ত করেছেন। তাকে এবারের মতো ক্ষমা করে দিয়েছেন।

    সভায় রঞ্জিত বনিক বলেন, সকলের কাছে অনিচ্ছাকৃত এই ফেসবুক পোস্টের জন্য অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে দুঃখপ্রকাশ করছি। সেই সাথে গোটা জাতির কাছে বিনীতভাবে ক্ষমা প্রার্থনা করছি এবং ভবিষ্যতে এই ধরনের ভুল হবে না বলে প্রতিজ্ঞা করছি।

    সভায়, মাটিরাঙ্গা পৌরসভার মেয়র মোঃ শামসুল হক, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সুবাস চাকমা, পৌর কাউন্সিলর মো: শহিদুল ইসলাম সোহাগ, মিজানুর রহমান খোকন, তৌফিকুল ইসলাম, মাটিরাঙ্গা ইমাম ও ওলামা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক কাজী সলিম উল্যাহ, মাটিরাঙ্গা উপজেলা বেফাক সভাপতি মাওলানা মো: আনোয়ার হোসেন মিয়াজী, মাটিরাঙ্গা উপজেলা কওমী মাদ্রাসা ও ওলামা ঐক্য পরিষদের সভাপতি মাওলানা আক্তারুজ্জামান ফারুকী, মাটিরাঙ্গা উপজেলা খেদমাতুল উম্মাহ’র সভাপতি মুফতী আব্দুল হান্নান জুলফিকার, মাটিরাঙ্গা সম্মিলিত ইসলাম প্রচার সংস্থা’র সভাপতি মাওলানা মোঃ আবুল খায়ের। মাটিরাঙ্গা উপজেলা সনাতন সমাল কল্যান পরিষদের সাধারণ সম্পাদক প্রশান্ত কুমার সাহা, বলিটিলা শংকর মঠ ও গীতা আশ্রম এর সাধারণ সম্পাদক কৃষ্ণ দে, মাটিরাঙ্গা কেন্দ্রীয় শ্রী শ্রী রক্ষাকালী মন্দিরের সভাপতি ব্রজলাল দে সহ বিভিন্ন সম্প্রদায়ের নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

    উ‌ল্লেখ্য, গত ৫ এ‌প্রিল মুসলমা‌নদের ২য় বৃহত্তর ধর্মীয় অনুষ্ঠান প‌বিত্র ঈদুল আযহা পালনকা‌রীদের রাজাকার সন্তান আখ্যা দি‌য়ে ইসলাম ধর্মকে কটাক্ষ ক‌রে রন‌জিত ব‌নিক তার ফেসবুকে স্ট‌্যাটাস দি‌লে পু‌লিশ তা‌কে গ্রেফতার ক‌রে। প‌রে ঘটনা জানাজানি হ‌লে এলাকায় উ‌ত্তেজনা সৃ‌ষ্টি হয়। ঘটনা সামাল দি‌তে এলাকাবা‌সীর প‌ক্ষে পৌর ৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শ‌হিদুল ইসলাম সোহাগ বা‌দী হ‌য়ে থানায় মামলা ক‌রে।

    অপরদি‌কে হিন্দু সমাজ ও সামাজিক কর্মকাণ্ড হ‌তে তা‌কে স্থায়ী ব‌হিষ্কা‌রের ঘোষণা দেয়া হয়। প‌রে ৯‌ দিন কারাভো‌গের পর ১৭ এ‌প্রিল আই‌নি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে জামি‌নে বের হয়ে আজ নিজের ভুল স্বীকার করে মুস‌লিম ধর্মাবলম্বীদের কা‌ছে ক্ষমা প্রার্থনা ক‌রেন।

  • রামপালের গাঁজাসহ নারী মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার।

    রামপালের গাঁজাসহ নারী মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার।

    রামপাল (বাগেরহাট) প্রতিনিধিঃ

    বাগেরহাট গোয়েন্দা পুলিশের মাদক বিরোধী বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ৮ কেজি মাদকদ্রব্য গাঁজাসহ তমা খাতুন (১৯) নামের এক নারী মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে ডিবি পুলিশ।

    রবিবার (২১ এপ্রিল) বিকেলে বাগেরহাটের মোল্লাহাট থানার কাহালপুর এলাকায় চেকপোস্ট বসিয়ে ডিবি পুলিশের একটি চৌকস অভিযানিক দল  তমাকে গ্রেফতার করা হয়।এসময় তাকে তল্লাশি করে ৮ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়েছে।

    গ্রেফতারকৃত তমা বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার ডাকরা কালিগঞ্জ গ্রামের মৃত জাহাঙ্গীর সরদারের মেয়ে।

    ডিবি পুলিশ সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রাম থেকে খুলনাগামী যাত্রীবাহী কমফোর্ট পরিবহনের মাদক ব্যবসায়ী বিপুল পরিমাণ মাদক নিয়ে আসতেছে বলে গোপনে খবর পায়। এ সংবাদের ভিত্তিতে কাহালপুর এলাকায় অভিযানিক দলটি চেকপোস্ট বসিয়ে মাদক বাহি গাড়িটি আটক করা হয়।এসময় আটক গাড়িটি তল্লাশি করে কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়। গাড়ি তল্লাশি করার সময়ে তমা তার হাতে থাকা ট্রলি ব্যাগ নিয়ে পালানোর চেষ্টা করে। এ সময় তার ব্যাগ থেকে পলিথিনে মোড়ানো ৮টি প্যাকেট পাওয়া যায়। যার প্রতিটি প্যাকেটে ১ কেজি করে মোট ৮ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়।

    বাগেরহাট জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) অফিসার ইনচার্জ (ওসি) স্বপন কুমার রায়ের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, গোপণ সংবাদের মাধ্যমে জানা যায় বিপুল পরিমান মাদকের চালান নিয়ে বাগেরহাটে আসতেছে মাদক ব্যবসায়ীরা।

    এ সংবাদের ভিত্তিতে মোল্লাহাট থানাধীন কাহালপুর এলাকায় অভিযান চেকপোস্ট বসিয়ে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় ৮ কেজি গাঁজাসহ তমা নামের ওই নারী মাদক কারবারিকে আটক করা হয়।

  • গোয়ালন্দ উপজেলা পরিষদের ভোটে নামতে ১০ প্রার্থীর মনোনয়ন জমা।

    গোয়ালন্দ উপজেলা পরিষদের ভোটে নামতে ১০ প্রার্থীর মনোনয়ন জমা।

    রাজবাড়ী প্রতিনিধিঃ

    দ্বিতীয় ধাপে রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মোট ১০ জন প্রার্থী অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

    রবিবার (২১ এপ্রিল) বিকেল ৫ টায় গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার জ্যোতি বিকাশ চন্দ্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

    গোয়ালন্দ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. মোস্তফা মুন্সী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মো. শহিদুল ইসলাম, মো. সেলিম মুন্সী ও ফকীর আব্দুল কাদের মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছে। এছাড়াও ভাইস চেয়ারম্যান পদে উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক মো. হুমায়ন কবির পলাশ, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আসাদুজ্জামান চৌধুরী ও মো. আব্দুল বাতেন অনলাইনে মনোনয়ন জমা দেন।

    মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ছালেহা আক্তার বুলবুল, মোছাঃ নার্গিস পারভীন ও মোছাঃ আফরোজা রাব্বানী অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছে।

    দ্বিতীয় ধাপের তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ২১ এপ্রিল, মনোনয়নপত্র বাছাই ২৩ এপ্রিল, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ৩০ এপ্রিল, প্রতীক বরাদ্দ ২ মে। ভোটগ্রহণ হবে ২১ মে।

    গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার জ্যোতি বিকাশ চন্দ্র বলেন, আজ রোববার মনোনয়ন দাখিলের শেষ দিন ছিল। উপজেলা পরিষদের তিনটি পদে মোট ১০ জন প্রার্থী অনলাইনে মনোননয়ন জমা দিয়েছেন। নির্বাচন কমিশিনের তফসিল অনুযায়ী, যাচাই-বাছাই ও আপীল নিষ্পত্তি শেষে প্রার্থীদের মাঝে প্রতিক বরাদ্দ দেয়া হবে।

  • নওগাঁয় গ্রাম পুলিশের মাসব্যাপী বুনিয়াদি প্রশিক্ষণের উদ্বোধন।

    নওগাঁয় গ্রাম পুলিশের মাসব্যাপী বুনিয়াদি প্রশিক্ষণের উদ্বোধন।

    নওগাঁ প্রতিনিধিঃ
    নওগাঁ সদর উপজেলার ইউনিয়ন সমূহের গ্রাম পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের জন্য ৩০দিনের বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন করা হয়েছে। জাতীয় স্থানীয় সরকার ইনস্টিটিউটের আয়োজনে কোর্সটি বাস্তবায়ন করছে নওগাঁ সদর উপজেলা প্রশাসন। রবিবার সদর উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস. এম. রবিন শীষের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে কোর্সের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মো. গোলাম মওলা।
    অনুষ্ঠানের শুরুতেই প্রধান অতিথি প্রশিক্ষণার্থীদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেন এবং প্রশিক্ষণ উপকরণ বিতরণ করেন। উক্ত অনুষ্ঠানে ফোকাল পয়েন্ট কর্মকর্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় স্থানীয় সরকার ইনস্টিটিউটের (এনআইএলজি) উপপরিচালক খন্দকার মো: মাহবুবুর রহমান।
    এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার (ভারপ্রাপ্ত) গাজিউর রহমান, বিপিএম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) ও স্থানীয় সরকারের উপপরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) সোহেল রানা, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপপরিচালক মু: জাবেদ ইকবাল, কীর্ত্তিপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নাজমুল হক। আরও উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা প্রশাসনের অন্যান্য দপ্তরের প্রধানগন, সদর উপজেলার সকল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও সচিবগণ। উক্ত প্রশিক্ষণে সদর উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের ৪০জন গ্রাম পুলিশ অংশগ্রহণ করছেন।
    এসময় প্রধান অতিথি বলেন, প্রশিক্ষণ হলো একজন মানুষের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দেশের প্রতিটি বাড়ি যাদের চেনা তারা হলেন গ্রাম পুলিশ। তাই গ্রাম পুলিশ বাহিনী অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বাহিনী। কিন্তু এই বাহিনীর সদস্যরা তাদের দায়িত্ব সঠিক ভাবে বাস্তবায়ন করতে ভয় পান। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে দেশের গ্রাম পুলিশ বাহিনীকে আরো আধুনিকায়ন ও চৌকস করতে নানা পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করে আসছে। তাই আগামীর স্বপ্নের স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে স্মার্ট গ্রাম পুলিশ বাহিনীর কোন বিকল্প নেই। মাসব্যাপী প্রশিক্ষণ থেকে লব্ধ জ্ঞান অক্ষরে অক্ষরে পালন ও প্রয়োগ করতে গ্রাম পুলিশ বাহিনীর প্রতি নির্দেশনা প্রদান করেন প্রধান অতিথি।
  • কানাইঘাট প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সাথে চেয়ারম্যান প্রার্থী বেলাল আহমদের মতবিনিময়।

    কানাইঘাট প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সাথে চেয়ারম্যান প্রার্থী বেলাল আহমদের মতবিনিময়।

    কানাইঘাট(সিলেট)প্রতিনিধিঃ
    সিলেটের কানাইঘাটে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ঢাকার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সমাজসেবী বেলাল আহমদ এমবিএ কানাইঘাট প্রেসক্লাবে স্থানীয় সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেছেন। ২১ এপ্রিল রবিবার দুপুর ১২ টায় কানাইঘাট প্রেসক্লাব কার্যালয়ে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী বেলাল আহমদ বলেন, এলাকার সর্বস্তরের জনসাধারন,রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী, জনপ্রতিনিধি, ব্যবসায়ী, আলেম-উলামা, যুবক ও তরুণ সমাজ সহ সমাজের নানা শ্রেণি-পেশার মানুষের অকুন্ঠ সমর্থন ও ভালোবাসা নিয়ে তিনি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
    ইতিমধ্যে নির্বাচন সামনে রেখে কানাইঘাট বিভিন্ন এলাকায় সর্বস্তরের মানুষের সাথে মতবিনিময় করছেন এবং তাদের সমর্থনও পাচ্ছেন। মতবিনিময়কালে তিনি আরো বলেন, সিলেটের পূর্ব অঞ্চলের সীমান্তবর্তী অপরূপ সৌন্দর্য্য এবং প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর জনপদ হচ্ছে কানাইঘাট। মহান স্বাধীনতা সংগ্রামে এ অঞ্চলের মানুষের গৌরব উজ্জ্বল ভূমিকা রয়েছে। পাশাপাশি যুগ যুগ ধরে অসংখ্য পীর-মাশায়েখ, আলেম-উলামা, জ্ঞানী-গুণী, প্রতিযশা ব্যক্তিদের পূণ্যভূমি হচ্ছে কানাইঘাট। কিন্তু সিলেট জেলার মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উপজেলা হিসেবে সম্পদে ভরপুর থাকা সত্ত্বেও উন্নয়ন-শিক্ষা-সংস্কৃতি, যোগাযোগ,কৃষি, শিল্পায়ন, কর্মসংস্থান থেকে অনেকটা পিছিয়ে রয়েছে কানাইঘাট। কানাইঘাটের একজন নাগরিক হিসেবে এ জনপদের মানুষের প্রত্যাশা প্রাপ্তি পূরণে এবং সবদিক থেকে এ অঞ্চলকে একটি সমৃদ্ধশালী এলাকায় পরিনত করতে তিনি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। এ ক্ষেত্রে প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দ, স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মী সহ সকলের সমর্থন ও সহযোগিতা কামনা করেছেন।
    বেলাল আহমদ বলেন, জনগণের ভোটে নির্বাচিত হলে প্রথমে কানাইঘাট উপজেলার গ্রামীণ পাকা-আধাপাকা ও কাঁচা সড়কগুলো ব্যাপক উন্নয়নের মাধ্যমে যোগাযোগ ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন, কানাইঘাটবাসীর প্রধান সমস্যা নদী-ভাঙ্গন প্রতিরোধ, অবকাঠামোগত ব্যাপক উন্নয়ন, মান-সম্পন্ন শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা সহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোর উন্নয়নে ব্যাপক পরিকল্পনা গ্রহণ, প্রবাসী অধ্যুষিত কানাইঘাটবাসীর জন্য প্রবাসী সেল গঠনের মাধ্যমে একটি গাড়ী দিয়ে বিমানবন্দর থেকে যাতায়াতের জন্য ফ্রি ব্যবস্থা করণ, মানুষের দীর্ঘদিনের দাবী গ্যাস সংযোগ স্থাপনে মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করন, কৃষকদের কল্যাণে নানামুখী পরিকল্পনা গ্রহণ, মানুষের একমাত্র কর্মসংস্থান লোভাছড়া পাথর কোয়ারী পুণরায় চালু এবং ভারতের সাথে ব্যবসা-বাণিজ্যের আমূল পরিবর্তনের লক্ষ্যে সীমান্ত এলাকায় স্থলবন্দর নির্মাণ, ছোট-বড় মাঝারি খামার গড়ে তোলে বেকার জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থানের মাধ্যমে সাবলম্বি করার জন্য সরকারের কাছে জোর দাবী তুলে ধরব এবং বাস্তবায়নে সর্বাত্মক চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ। এক্ষেত্রে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে দলমতের উর্ধ্বে উঠে সর্বস্তরের মানুষের সাহায্য ও সহযোগিতা কামনা করেন চেয়ারম্যান প্রার্থী বেলাল আহমদ।
    তিনি আরো বলেন, কানাইঘাটের একজন নাগরিক হিসেবে বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ত থেকে সব-সময় কানাইঘাটের মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করেছেন। ইমেজ ফাউন্ডেশন এর মতো সেবা মূলক সামাজিক সংগঠন প্রতিষ্ঠা করে উক্ত সংগঠনের মাধ্যমে দীর্ঘদিন থেকে নানা ধরনের মানবিক কাজ করে যাচ্ছি। আমার এসব কাজে সাংবাদিক সমাজ সহ সবাই অকুন্ঠ সমর্থন ও প্রেরনা দিয়েছেন।
    সব-সময় এলাকার মানুষের খোঁজ-খবর নিয়েছি এবং কানাইঘাটের সমস্যা ও সম্ভাবনা চিহ্নিত করেছি। মানুষের পাশে দাড়িয়ে তাদের সমস্যা ও সম্ভাবনাগুলো বাস্তবায়ন করতে হলে নির্বাচনের মাধ্যমে সেগুলো অনেক ক্ষেত্রে পূরণ করা সম্ভব। এ জন্য উপজেলা নির্বাচনে তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বলে মতবিনিময়কালে চেয়ারম্যান প্রার্থী বেলাল আহমদ উল্লেখ করেন।
    মতবিনিময়কালে তার সাথে উপস্থিত ছিলেন, সাবেক ইউপি সদস্য আওয়ামীলীগ নেতা রফিক মিয়া, এলাকার মুরব্বী হেলাল আহমদ, বিলাল আহমেদ, জাপা নেতা নিজাম উদ্দিন, হাফিজ আব্দুল হালিম, যুবনেতা ফখরুল ইসলাম, নূরে আলম, নাসির উদ্দিন সহ আরো অনেকে।
    উল্লেখ্য যে, চেয়ারম্যান প্রার্তী বেলাল আহমদ বাড়ি হচ্ছে কানাইঘাট উপজেলার রাজাগঞ্জ ইউনিয়নের মইনা গ্রামে। তিনি ঢাকার একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। ইমেজ ফাউন্ডেশন গড়ে তুলে বিভিন্ন ভাবে মানবিক কার্যক্রম চালিয়ে আসছেন। পাশাপাশি জালালাবাদ এসোসিয়েশন ঢাকা এবং ঢাকা উত্তরা সিলেট সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যের দায়িত্ব পালন করছেন।
  • গোয়ালন্দে সম্মুখযুদ্ধ ও প্রতিরোধ দিবস পালিত, গণহত্যার শিকার ২২ জনের শহীদী মর্যাদা দাবি।

    গোয়ালন্দে সম্মুখযুদ্ধ ও প্রতিরোধ দিবস পালিত, গণহত্যার শিকার ২২ জনের শহীদী মর্যাদা দাবি।

    রাজবাড়ী প্রতিনিধিঃ
    রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে ২১শে এপ্রিল সম্মুখযুদ্ধ ও প্রতিরোধ দিবস -২০২৪ পালিত হয়েছে।
    এ উপলক্ষ্যে প্রতি বছরের ন্যায় এবারো ২১ এপ্রিল স্মরনে বালিয়াডাঙ্গা গ্রামে শহীদ পরিবারগুলোর উদ্যোগে শহীদদের  নামফলকে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন ও দোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। তারা নিহত ২২ জনকে শহীদী মর্যাদা দেয়ার দাবি জানান।
    এছাড়া রবিবারে উপজেলার বাহাদুরপুর গ্রামে ২১ এপ্রিল সকাল ১০ টায় গোয়ালন্দ সম্মুখ যুদ্ধ ও প্রতিরোধ দিবস স্মৃতি ভাস্কর্য পরিষদ এলাকায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন, প্রতিরোধ যুদ্ধের স্মৃতিচারন ও দোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
    প্রকৌশলী জুয়েল বাহাদুরের সভাপতিত্বে  অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন প্রতিরোধ যুদ্ধের  অন্যতম সংগঠক, রাজবাড়ী জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা ফকির আব্দুল জব্বার, রাজবাড়ীর যুদ্ধকালীন কমান্ডার বাকাউল আবুল হাসেম, যুদ্ধকালীন অপর কমান্ডার সিরাজ আহমেদ,গোয়ালন্দ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার আব্দুস সামাদ মোল্লা, প্রমূখ।
    বক্তারা গোয়ালন্দের প্রতিরোধ যুদ্ধের এই গৌরবময় দিনটি নতুন প্রজন্মের সামনে তুলে ধরতে সরকারী-বেসরকারীভাবে আরো বৃহৎ পরিসরে উদযাপন করার উপর গুরুত্তারোপ করেন। সেইসাথে এখানে নির্মানাধীন স্মৃতি ভাস্কর্যের অপূর্ণ কাজ দ্রুত শেষ করতে সরকারী-বেসরকারী পর্যায়ে সকলের সহযোগীতা কামনা করেন।
    উল্লেখ্য, মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ১৯৭১ সালের ২১শে এপ্রিল পাক হানাদার বাহিনী নদীপথে গোয়ালন্দ আক্রমন করলে স্থানীয় জনতার সহায়তায় ইপিআর, আনসার ও মুক্তিযোদ্ধারা তাদেরকে প্রতিরোধ করে। এ সময় সম্মুখযুদ্ধে আনসার কমান্ডার ফকীর মহিউদ্দিন শাহাদৎবরণ করেন।
  • যেদিকে তাকানো যায়, সেদিকেই বোরো ধানের সবুজের মায়া ঝড় ও শিলাবৃষ্টির দুশ্চিন্তায় কৃষক।

    যেদিকে তাকানো যায়, সেদিকেই বোরো ধানের সবুজের মায়া ঝড় ও শিলাবৃষ্টির দুশ্চিন্তায় কৃষক।

    নিজস্ব প্রতিবেদকঃ শীষ বেরোনো ধানখেতের দিকে তাকালে মনটা ভরে উঠছে কৃষকের। এবার ধানের ফলন ভালো হয়েছে।
    যেদিকে তাকানো যায়, বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে সবুজের মায়া। মাঝেমধ্যে একটু-আধটু হলুদ-সোনালি রঙের ছোপ আছে, এতটুকুই। এই সবুজ-সোনালি মায়ার দিকে এখন কৃষকের স্বপ্নভরা আশা চোখ। দিন শেষে মাঠের ফসলটুকু ঘরে তুলতে পারলেই তাদের স্বস্তি আাশ পূর্ণ হবে। হাওরপারের মাঠ হলেও বোরো ফসল ঘরে তুলতে পানি নিয়ে ততটা ভয়ডর নেই, যত ভয় এখন ‘পাথর’ নিয়ে তাদের ভয়। শিলাবৃষ্টিকে স্থানীয় ভাষায় ‘পাথর’ বলে। আকাশে মেঘের ঘোর হলেই পাথর বা শিলাবৃষ্টির ভয়ে কৃষকের মন শঙ্কাগ্রস্ত হয়ে পড়ছে।
    মৌলভীবাজারের ৭টি উপজেলা-সহ হাওরপারে এ রকমই স্বপ্ন-শঙ্কার মধ্যে সময় পার করছেন বোরোচাষিরা। এবার ধানের ফলন ভালো হয়েছে। শীষ বেরোনো ধানখেতের দিকে তাকালে মনটা ভরে উঠছে কৃষকের। এই সময় (বৈশাখ মাস) তাঁদের কাছে যেমন উৎসবের, তেমনি ফসল গোলায় না তোলা পর্যন্ত ভয়েরও তারা। এ রকমই বুক ধুকপুক করা সময়ের মধ্যেই গোলায় ধান তোলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন প্রায় সবাই।
    মৌলভীবাজার সদর উপজেলার আখাইলকুরা ইউনিয়নের কাউয়াদীঘি হাওরপারের গ্রাম কাদিপুরের জ্যোতি সরকার বলেন, এবার ধান ভালা অইছে (হয়েছে)। এবার কোনো জাগাত (খেতে) ধান মরা নায় (রোগাক্রান্ত না)। এই ধান নিয়া পানির বেশি ডর (ভয়) নাই। পানিখাঞ্জিতে ধান যাইতো নায় (পানিতে ধান ডুববে না)। যত উপরর পাথরের ডর (যত ওপরের শিলাবৃষ্টির ভয়)।
    তিনি বলেন, বিষ্টি অইছে, পাথরও দিছে। কিন্তু ক্ষতি অইছে না। অখন ধান পাকের (পাকতেছে)। অখনই পাথরর ডর বেশি।
    জ্যোতি সরকার জানিয়েছেন, তিনি প্রায় ছয় কিয়ার (১ কিয়ার=৩০ শতক) জমিতে বোরো ধানের চাষ করেছেন। ব্রি ধান-২৯ এবং জনক রাজ জাতের (মোটা চালের ধান) ধান রোপণ করেছেন। প্রতি কিয়ার (কানি) জমিতে হাল দেওয়া, হালিচারা রোপণ, সার দেওয়া, ধান কাটানোসহ তাঁর আনুষঙ্গিক খরচ পাঁচ থেকে সাড়ে পাঁচ হাজার টাকা।
    গত বুধবার বিকেলে মৌলভীবাজার সদর উপজেলার চাঁদনীঘাট-একাটুনা সড়ক দিয়ে যাওয়ার পথে সড়কের দুই পাশে যেদিকেই চোখ পড়েছে, সেদিকেই এখন ধানের সবুজ। উত্তরমুলাইম, মল্লিকসরাইসহ কাউয়াদীঘি হাওরপারের বরকাপন, বানেশ্রী, রায়পুর, রসুলপুর, খৈশাউড়া, গল্লা, জুমাপুর, কাদিপুর, দুর্গাপুর, জগৎপুর, কান্দিগাঁও, অন্তেহরিসহ সব গ্রামের মাঠেই বোরো ফসল, সবুজের মায়া ছড়ানো। ধানের খেতে চোখে পড়েছে বেশ কিছু কাকতাড়ুয়া। এখনো ধান পাকেনি। কোথাও একটু-আধটু হলুদ, সোনালি রঙের ছোপ ধরেছে। কোথাও ধানের শীষ বের হয়েছে। কোনো খেতে ধানের ছড়ায় দানা বাঁধছে। কোনো খেতে এখনো শুধুই ধানগাছ বাতাসে দোল খেয়ে নাচছে।
    সদর উপজেলার কাদিপুরে একজন কৃষককে জমিতে পাকা ধান কাটতে দেখা গেছে। দূরের কোনো খেত থেকে ট্রাকে করে কাটা ধান নিয়ে বাড়ি ফিরছেন একজন গেরস্ত। সূর্য ডোবার আগমুহূর্তে হাওরের দিক থেকে কাঁধভারে কাটা ধানের আঁটি নিয়ে বাড়ি ফিরছেন সাত-আটজন কৃষক। কাদিপুর, অন্তেহরিসহ দুই-তিনটি স্থানে দেখা গেছে, সড়কের পাশে, বাড়ির উঠানে ধান সেদ্ধ করা হচ্ছে। দূর থেকে ভেসে আসছিল যন্ত্রে পাকা ধান মাড়াইয়ের শব্দ।
    বুধবার সন্ধ্যার মুহূর্তে কাদিপুর ও অন্তেহরির সংযোগস্থলের কালভার্টে দাঁড়িয়ে যখন কৃষকদের সঙ্গে কথা হচ্ছিল, তখন ভ্যাপসা, তাতানো গরমের মধ্যে আকাশে মেঘ ডাকতে শুরু করেছে। এ রকম মেঘ দেখলে, মেঘের ডাক শুনলেই কৃষকের বুকটা ধুকপুক করে ওঠে।
    কাদিপুর গ্রামের নিবারণ নমশূদ্র বলেন, দিনর ঘোর খারাপ (আবহাওয়া ভালো নয়)। আমরার এ ধানরতো (বোরো ধান) এক ঘণ্টার বিশ্বাস নাই। আল্লাহ (সৃষ্টিকর্তা) যদি খাওয়ায়। এখনো ধান পাকছে না। হাওরর রং কালা রইছে (ধানের রং সবুজ রয়ে গেছে)। রং ধরছে না (পাকা ফসলের রং ধরেনি)। ধান কাটতে নিচেদি (কম করেও) আরও ৮-১০ দিন লাগবে। কিছু ধানর আরও বেশি লাগবে।
    ভানু বিশ্বাস বলেন, ধান তো ভালা অইছে দেখলাম (ভালো হয়েছে দেখতেছি)। কিন্তু এখনো কাঁচা। পাকলে বোঝা যাইব চুছা (চিটা) আছে কি না। অখন (এখন) ভগবানে কাটাইন (কাটান) যদি, তাইলেই ভালা। কোনো নিরাপত্তা নাই। যদি পাথর দেয়, তাইলে সব শেষ। এক বাইন দিছে (শিলাবৃষ্টি একপশলা হয়েছে), কোনো ক্ষতি অইছে না। ভানু বিশ্বাস এ বছর দুই কিয়ার (কানি) জমিতে ব্রি ধান-৯২ জাতের বোরো চাষ করেছেন। এতে কম করেও ৩০ মণ ধান পাওয়ার আশা করছেন তিনি।
    কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর মৌলভীবাজার জেলা কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, সদর ও রাজনগর উপজেলা নিয়ে বিস্তৃত কাউয়াদীঘি হাওর। মনু নদ সেচ প্রকল্পের আওতায় হাওরপারে সেচের সুবিধা পেয়ে যেসব জমিতে অতীতে বোরো ধান চাষ হয়নি, গত কবছর ধরে কৃষকেরা সেসব জমিতেও বোরো চাষ করছেন। এ বছর সারা জেলায় বোরো ধান আবাদ হয়েছে ৬১ হাজার ৫০ হেক্টর। এবার ব্রি ধান-৮৮, ৮৯ ও ৯২ জাতের ধান বেশি চাষ হয়েছে।
    কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর মৌলভীবাজারের উপপরিচালক কৃষিবিদ মোঃ সামছুদ্দিন আহমেদ বলেন, ধান কিছু কাটা শুরু হয়েছে। বেশি হচ্ছে হাকালুকি হাওরে। কৃষকেরা হাকালুকি হাওরের চতুর্দিকে কাটতেছে বলে তিনি জানান।
  • পুনরায় রেড-ক্রিসেন্ট ম্যানেজিং বোর্ডের সদস্য নির্বাচিত হলেন মস্তাক আহমদ পলাশ।

    পুনরায় রেড-ক্রিসেন্ট ম্যানেজিং বোর্ডের সদস্য নির্বাচিত হলেন মস্তাক আহমদ পলাশ।

    কানাইঘাট(সিলেট)প্রতিনিধিঃ বাংলাদেশ রেড-ক্রিসেন্ট সোসাইটির ম্যানেজিং বোর্ডের ২০২৪-২০২৬ বছরে ২য় বারের মতো সদস্য নির্বাচিত হলেন সিলেট জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান ও সিলেট জেলা আওয়ামীলীগ এর বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক আলহাজ্ব মস্তাক আহমদ পলাশ।

    আজ শনিবার হলি ফ্যামিলি রেড-ক্রিসেন্ট মেডিকেল কলেজ মিলনায়তনে সকাল ১১:০০ ঘটিকার সময় অনুষ্টিত ভোটের মাধ্যমে ১০৯ ভোট পেয়ে জয়লাভ করেন।
    এছাড়া ১ম স্থান অধিকারী ১১৫ ভোট পেয়েছেন। সর্বমোট ভোটার ছিলেন ১৪০ জন, কাস্টিং ১৩৩ ভোট। এছাড়া সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ২০ জন। ফলাফল ঘোষণার সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী ডাঃ রোকেয়া সুলতানা। এক বিবৃতিতে মস্তাক আহমদ পলাশ বাংলাদেশ রেড-ক্রিসেন্ট সোসাইটির সকল ইউনিটের সম্মানিত সকল ডেলিগেট ও ভোটারবৃন্দের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন এবং রেডক্রস-রেডক্রিসেন্ট আন্দোলনকে বেগবান করতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে কাজ করে যাবেন। রেড-ক্রিসেন্ট ব্যবস্থাপনা পর্ষদে মস্তাক আহমদ পলাশ সিলেট বিভাগ থেকে প্রথম প্রতিনিধিত্ব করতেছেন।