Author: admin

  • নাগরপুরে অবৈধ বালু উত্তোলনে হুমকির মুখে শেখ হাসিনা সেতু।

    নাগরপুরে অবৈধ বালু উত্তোলনে হুমকির মুখে শেখ হাসিনা সেতু।

    আব্দুল্লাহ খিজির,স্টাফ রিপোর্টারঃ টাঙ্গাইলের নাগরপুরে মোকনা ইউনিয়নের কেদারপুর এলাকায় প্রবাহমান ধলেশ্বরী নদীর দুই পাড়ে অবাধে সারা বছর বালু উত্তোলনের ফলে বর্তমান বন্যা পরিস্থিতিতে ব্যাপক এলাকা জুড়ে তীব্র ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। এতে বড় ক্ষতির আশংকা তৈরি হচ্ছে এই ধলেশ্বরী নদী উপর নির্মিত শেখ হাসিনা সেতুর (কেদারপুর সেতু)।

    সরেজমিনে, গিয়ে দেখাযায়, সেতুর দুই পাড়ে বিস্তৃত এলাকা নদী গর্ভে চলে গেছে এবং সেতুর পিলারের ভুগর্ভস্থ মাটি সরে যাচ্ছে। স্থানীয় এলাকাবাসী কাশেম মিয়া বলেন।

    শুকনা মৌসুমে দিনে-রাতে এখানে অবাধে বালু উত্তোলন চলে, এতে বন্যা আসলে আশেপাশের ফসলি জমিসহ ধীরে ধীরে সব ভেঙ্গে নদীতে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। দীর্ঘ দিন যাবৎ কেদারপুর, মামুদনগর, মোকনা ও পাকুটিয়া এলাকা থেকে অবৈধ বালু উত্তোলনের সাথে জড়িত জহিরুল নামক ব্যক্তির সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও যোগাযোগ সম্ভব হয়নি।

    উল্লেখ্য জহিরুলের বিরুদ্ধে সরকারি জায়গা থেকে বালু উত্তোলনের জন্য বেশ কয়েকটি মামলা চলমান রয়েছে। গুরুত্ব বিবেচনায় ধলেশ্বরী নদীর উপর এই শেখ হাসিনা সেতু ব্যবহার করে নাগরপুর, মামুদনগর, কেদারপুর, দেলদুয়া, মির্জাপুরসাটুরিয়া সহ সরাসরি ঢাকা যাতায়াত সাধিত হয়।

    অবৈধ বালু উত্তোলনের ফলে সেতুসহ নদী এলাকার আশেপাশের বসত বাড়ি হুমকির মুখে পড়ে গেছে। সেতু, আবাদি জমি এবংবসত এলাকায় অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধ করতে জোড়ালো দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী।

    নাগরপুর উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, অবৈধ বালু উত্তোলনের বিরুদ্ধে অভিযান প্রতিনিয়ত চলমান থাকে। এর আগেও কয়েকবার অভিযান চালিয়ে জেল-জরিমানা করা হয়েছে।

    উক্ত বিষয়ে নাগরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সিফাত-ই-জাহান বলেন,কেদারপুর শেখ হাসিনা সেতু এলাকার অবৈধ বালু উত্তোলনের বিষয়ে আমরা খোঁজ-খবর নিয়ে দ্রুত আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করবো।

  • তাড়াশে প্রবাসীর তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রীর রহস্যজনক মৃত্যু।

    তাড়াশে প্রবাসীর তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রীর রহস্যজনক মৃত্যু।

    সিরাজগঞ্জের তাড়াশে এক প্রবাসীর তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রীর রহস্যজন ভাবে মৃত্যু হয়েছে।

    নিহত রোজিনা খাতুন তাড়াশ পৌরসভার জাহাঙ্গীরগাঁতী মহল্লার প্রবাসফেরত নাজিম উদ্দিনের তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী ও তাড়াশ দক্ষিণপাড়া গ্রামের মৃত মোসলেম উদ্দিনের মেয়ে।শুক্রবার গভীর রাতে নিহত রোজিনা খাতুনের প্রবাসফেরত স্বামীর বাড়িতে ঝুলন্ত লাশ পাওয়া যায়।

    স্থানীয়দের মাধ্যমে সংবাদ পেয়ে তাড়াশ থানা পুলিশ শনিবার সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে নাজিম উদ্দিনের বাড়ি থেকে রোজিনার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।

    পুলিশ সূত্রে জানা যায় বৃহস্পতিবার নাজিম উদ্দিনের তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী রোজিনা তার বাড়িতে এসে ওই বাড়িতে অবস্থান নেয়।শুক্রবার গভীর রাতে নাজিম উদ্দিনের বসতবাড়ির বারান্দায় ওড়না পেচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। ঝুলন্ত লাশ দেখে প্রতিবেশিরা তাড়াশ থানায় খবর দেন। শনিবার সকালে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতের লাশ উদ্ধার করে।

    এ তথ্য নিশ্চিত করে তাড়াশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফজলে আশিক জানান স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে।তদন্ত রিপোর্ট আসার পর মৃত্যুর রহস্য জানা যাবে।

  • উল্লাপাড়ার চাঞ্চল্যকর গণধর্ষণ মামলার ৩ আসামি গ্রেফতার।

    উল্লাপাড়ার চাঞ্চল্যকর গণধর্ষণ মামলার ৩ আসামি গ্রেফতার।

    উল্লাপাড়া(সিরাজগজ্ঞ) প্রতিনিধিঃ সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ার চাঞ্চল্যকর গণধর্ষণ মামলার মূল আসামি আব্দুল হাই (৫২),আরিফ সরকার (৩১)ও ফরিদুল ইসলাম (২০) কে গ্রেফতার করেছে উল্লাপাড়া মডেল থানা পুলিশ।

    গত বুধবার রাতে গোপন সাংবাদের ভিত্তিতে উল্লাপাড়া মডেল থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কর্মকর্তা( ওসি) দীকপ কুমার (দাস পিপিএম) একদল চৌকশ পুলিশ নিয়ে রাজশাহী চারঘাট থানার নন্দনগাছী বাজার এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে আব্দুল হাই কে গ্রেফতার করে এবং গত বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার রাতে অভিযান চালিয়ে আরিফ সরকার (৩১)ও ফরিদুল ইসলাম (২২)কে গ্রেফতার করে আদালতে মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে।

    উল্লাপাড়া মডেল থানার অফিসাস ইনচার্জ ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দীপক কুমার দাস (পিপিএম) জানান, উল্লাপাড়া থানাধীন সলপ বাজার এলাকা থেকে গত ২২ আগষ্ট সন্ধ্যায় এক চায়ের দোকান থেকে (৩২) বছর বয়সী এক গৃহবধুকে বেতকান্দি গ্রামের মৃত জহুরুল হকের ছেলে বকুল (৩৩) ও একই গ্রামের চৈতন্য খা’র ছেলে আমিরুল খাঁ নামের দুই ব্যক্তি তুলে নিয়ে বেতকান্দি গ্রামের তাল বাগানে নিয়ে যায়। এ সময় ওই দুই ব্যক্তিসহ ভদ্রকোল গ্রামের ময়েন আকন্দের ছেলে আব্দুল হাই (৫২), বেতকান্দি গ্রামের হায়দার আলীর ছেলে ফরিদুল (২২) ও মাটিকোড়া গ্রামের দুলাল (৩৫) নামের ৫ জন পালাক্রমে মেয়েটিকে জোড়পূর্বক ধর্ষণ করে। ২য় ধাপে আমিরুল খাঁ মেয়েটিকে জোরপূর্বক তুলে পাশ্ববর্তী আমবাগানে নিয়ে গিয়ে আবারও অপর সঙ্গীদের সঙ্গে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।

    ধর্ষিতার মামাতো বোনের সঙ্গে কথা হলে এব্যাপারে তিনি জানান, ধর্ষনের স্বীকার ওই নারী এখনও মানষিক ভারসাম্যহীন অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছে।

  • তাড়াশে এক নারীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার।

    তাড়াশে এক নারীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার।

    তাড়াশ(সিরাজগঞ্জ)প্রতিনিধিঃ সিরাজগঞ্জের তাড়াশে এক নারীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। হত্যা করেছে না আত্মহত্যা হয়েছে এ নিয়ে চলছে জনগনের মাঝে গুঞ্জন।

    ৪ সেপ্টেম্বর  শনিবার ভোরে উপজেলার তাড়াশ পৌর সভার  জাহাঙ্গীরগাঁতী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। জানা গেছে ওই গ্রামে নাজেম সরকারের বাড়িতে তার স্ত্রী রোজিনা খাতুন(৩০) বারান্দার ডাবের সাথে গলায় কাপরের  ফালি নিয়ে ফাঁসিতে ঝুলছে।

    রোজিনা তাড়াশ সদরের  দক্ষিন পাড়ার মৃত মোসলেম উদ্দিনের মেয়ে। প্রায় ১৫ বছর আগে জাহাঙ্গীরগাঁতী মৃত গোলাম সরকারের ছেলে নাজেম সরকারের সাথে বিয়ে হয়। তাদের একটা  ১৩ বছর বয়সের প্রতিবন্ধী কন্যা সন্তান আছে।

    ওই গ্রামের বাসিন্দা পৌর কাউন্সিলর মোস্তাফিজুর রহমান জানান, বেশ কিছু দিন আগে  গ্রাম্য সালিশে নাজেম সরকার ও রোজিনা খাতুনের তালাকের ব্যবস্থা করা হয়।

    গ্রাম্য সালিশে তালাক প্রাপ্ত স্ত্রীকে ভোরন পোষনের টাকা এবং প্রতিবন্ধী মেয়েকে তার বাবা নাজেম সরকার ১ বিঘা জমি ও ১লক্ষ টাকা দিবেন মর্মে প্রতিশ্রুতি দেন। ওই দিনই স্ত্রীর ওই টাকা পরিশোধ করেন। বাকি থাকে মেয়ের প্রতিশ্রুতি। এদিকে রোজিনা খাতুন তাড়াশে তার ভাই শহিদুল ইসলামের বাসায় আশ্রয় নিয়েছিল।

    এ দিকে নাজেম সরকারের ভাই নওয়াব সরকার সেই মেয়ের  টাকা ও জমি দেওয়ার নাম করে রোজিনা খাতুনকে ডেকে নিয়ে যায়। পরে প্রতিবন্ধী মেয়ের টাকা ও জমি না পেয়ে লাশ হয়ে ফেরেন তাড়াশ থানা পুলিশের হেফাজতে। এ ঘটনার পর নাজেম সরকার সহ ওই পরিবারের সকল সদস্য পলাতক রয়েছে।

    মৃত রোজিনার ভাই শহিদুল ইসলাম বলেন, আমার বোনকে ডেকে নিয়ে মেরে ফেলেছে। এর সঠিক বিচার চাই।

    এ ব্যাপারে তাড়াশ থানা অফিসার ইনচার্জ ফজলে আশিক বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে লাশ থানায় আনা হয়েছে। ইডি মামলা করে ময়না তদন্তের জন্য সিরাজগঞ্জ মর্গে পাঠানো হচ্ছে।

  • ময়মনসিংহ বন্দুকযুদ্ধের পর চার জঙ্গি সদস্য আটক।

    ময়মনসিংহ বন্দুকযুদ্ধের পর চার জঙ্গি সদস্য আটক।

    ময়মনসিংহে র‍্যাবের-১৪’র অভিযানে বন্দুকযুদ্ধের পর চার জঙ্গি সদস্যকে আটক করা হয়েছে। ওই জঙ্গি সদস্যরা জেএমবির সদস্য বলে জানিয়েছে র‍্যাব।
    ৪ সেপ্টেম্বর শনিবার ভোর ৫ টার সময় নগরীর খাগডহর এলাকার ব্রহ্মপুত্র নদীর তীরে বন্দুক যুদ্ধের ঘটনা ঘটে।

    র‍্যাব-১৪’র অধিনায়ক রোকনুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান গোপন সূত্রে জঙ্গি সংগঠন জেএমবি’র তৎপরতা ও অবস্থান জানতে পেরে র‍্যাব-১৪’র একটি অভিযানিক দল নগরীর খগডহর নদী এলাকায় অভিযান পরিচালনার সময় জেএমবির সদস্যরা র‍্যাবকে লক্ষ্য করে গুলি ছড়ে।আত্মরক্ষার্থে র‍্যাবও পাল্টা গুলি ছড়ে। ওই বন্দুক যুদ্ধে কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। পরে চার জঙ্গি সদস্যকে আটক করা হয়।এ সময় তদের নিকট থেকে বিদেশি পিস্তল, ম্যাগজিন,গুলি, ৮ টি ককটেল ও বেশ কিছু দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
    তাৎক্ষণিক জঙ্গিদের নাম পরিচয় জানা যায়নি।এ বিষয়ে বিস্তারিত গণমাধ্যমকে পরে জানানো হবে বলে জানান তিনি।

    সূত্রঃ বাংলাদেশের খবর

  • যৌন উত্তেজক ঔষধ সেবনে যৌনপল্লীতে;ফিরলেন লাশ হয়ে।

    যৌন উত্তেজক ঔষধ সেবনে যৌনপল্লীতে;ফিরলেন লাশ হয়ে।

    যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট খেয়ে মনে ক্ষুধা মিটাতে দেশের সবচেয়ে বড় যৌনপল্লীতে যান নবাবপুর এলাকার ব্যবসায়ী দেলোয়ার হোসেন(৫০)। মনের ক্ষুধা নিবৃত্ত করতে অতিরিক্ত যৌন উত্তেজক ট্যবলেট সেবন করে সকাল না হতেই যৌনপল্লী থেকে লাশ হয়ে বের হলেন। শুক্রবার ভোর সোয়া ৫ টার দিকে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ যৌনপল্লীর যৌনকর্মী জ্যোৎনার ঘরে এ মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।

    নিহত ব্যবসায়ী ঢাকার নবাবপুর থেকে বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজবাড়ী দৌলদিয়ার যৌনপল্লীতে আসেন।দোকান থেকে যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট নিয়ে ভিতরে ঢকেন। রাতে আনোয়ারার ভাড়াটিয়া বাসায় জ্যোৎসনা(২৫) নামের পতিতার কাছে রাত যাপন করার পর ভোরে তার মৃত্যু হয়।

    এতথ্য নিশ্চিত করে গোয়ালন্দ থানার উপ-পরিদর্শক দেওয়ান শামীম আহমেদ জানান যৌনপল্লীতে এক ব্যাক্তির নিহতের খবর পেয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে তার পকেট থেকে একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা করা হয়।ওই ফোন থেকে তার পরিবারের সাথে যোগাযোগ করে নিহতের সংবাদ দেওয়া হয়। শুক্রবার দুপুর ১২ টার দিকে নিহতের স্ত্রী দুই সন্তানসহ স্বজনেরা থানা আসেন।

    সূত্রঃ ডেইলী বাংলাদেশ

  • সিরাজগঞ্জে পৃথক দু’টি ঘটনায় ডাকাত দলের ৫ সদস্য আটক।

    সিরাজগঞ্জে পৃথক দু’টি ঘটনায় ডাকাত দলের ৫ সদস্য আটক।

    সিরাজগঞ্জে পৃথক দুটি ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে।এ ঘটনায় ডাকাত দলের ৫ সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ।ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত ধারালো অস্ত্রও উদ্ধার করা হয়েছে।

    পুলিশ সূত্রে জানা যায় গতকাল ২ সেপ্টেম্বর গভীর রাতে এনায়েতপুর থানার খুকনী পালপাড়া গ্রামের কাঙ্গাল কর্মকারের বাড়িতে একদল ডাকাত ডাকাতির উদ্দেশ্যে হানা দেয়। এ সময় স্বপন কর্মকার বাঁধা দিলে ডাকাত দলের সদস্যরা তাকে কুপি রক্তাত্ব জখম করে গুরুতর আহত করে।

    পরে এলাকাবাসী জানতে পেরে ডাকাতদের ঘেরাও করে এবং ডাকাত দলের এক সদস্য সবুজ সরকার(২৮)কে আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন। ডাকাত সবুজ শাহজাদপুর উপজেলার রতনকান্দি গ্রামের আব্দুর রহিম সরকারের ছেলে।

    এ তথ্য নিশ্চিত করে এনায়েতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আনিছুর রহমান জানান খুকনী গ্রামে ডাকাতির সংবাদ পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে তাকে আটক করা হয়।এ সময় ধারালো অস্ত্র একটি ছোড়া উদ্ধার করা হয়।সকল আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

    অপর দিকে চৌহালী উপজেলা উমারপুর ইউনিয়নের চরবাউসা গ্রামের রফিকুল ইসলাম,শফিকুল ইসলাম,সাদ্দাম হোসেন ও শাহিনূর ইসলাম নামের ডাকাত দলের চার সদস্যকে আটক করেছেন চৌহালী থানা পুলিশ।

    চৌহালী থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায় আটককৃতদের বিরুদ্ধে ২০১৭ সালে করা ডাকাতি মামলার আসামি। দীর্ঘদিন হলো আসামিরা পলাতকছিলো।গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ৩ সেপ্টেম্বর শুক্রবার ভোরে রাজধানীর আশুলিয়া থানা এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।

  • কামারখন্দে জুয়া খেলার অপরাধে ৮ জুয়ারী আটক।

    কামারখন্দে জুয়া খেলার অপরাধে ৮ জুয়ারী আটক।

    সিরাজগঞ্জের কামারখন্দে জুয়া খেলার সময় ৮ জুয়ারীকে আটক করেছে কামারখন্দ থানা পুলিশের সদস্যরা।

    আটকৃতরা হলেন উপজেলার রায়দৌলুতপুর ইউনিয়নের জটিবাড়ী গ্রামের মোঃ আব্দুল মজিদের ছেলে মোঃ লিটন মন্ডল(৩০), মোঃ আব্দুর রশিদ সরকারের ছেলে মোঃ নূর ইসলাম(২৬),মৃত ইসমাইল সরকারের ছেলে মোঃ শামীম সরকার(৪০),মৃত শামসুদ্দিনের ছেলে মোঃ মোখলেছুর রহমান (২৮),মৃত আবুল হোসেন সরকারের ছেলে মোঃ ইব্রাহিম সরকার(২৮),মৃত মোকাব্বার সরকারের ছেলে মোঃ স্বপন সরকার(২৮),মৃত ইমান আলী সরকারের ছেলে মোঃ মোঃ মজনু আলী সরকার(৩৮) ও মোঃ আব্দুল হালিমের ছেলে মোঃ আলী আশরাফ মন্ডল(৩০)।

    কামারখন্দ থানার ফেসবুক স্ট্যাটাসে উল্লেখ করেন সিরাজগঞ্জ পুলিশ সুপারের দিক নির্দশনায় গোপন সূত্রে জানতে পেরে গতকাল ২ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১১ টার সময় জোটিবাড়ী গ্রামে ইব্রাহিম সরকারে বসতবাড়িতে জুয়া বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে জুয়া খেলা অবস্থায় উল্লেখিত জুয়ারীদের আটক করা হয়।

    এ সময় জুয়া খেলার আসর থেকে ৩ বান্ডিল তাস ও ৩ হাজার ৩’শ টাকা উদ্ধার করা হয়। আটককৃতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

  • তাড়াশে বাড়ির উঠানে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু।

    তাড়াশে বাড়ির উঠানে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু।

    শাহিনুর রহমান শাহিন,তাড়াশ প্রতিনিধিঃ

    সিরাজগঞ্জের তাড়াশে বাড়ীর উঠানে পানিতে ডুবে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। ৩ সেপ্টেম্বর  শুক্রবার দুপুরে উপজেলার মাগুড়া বিনোদ ইউনিয়নের ঘরগ্রাম পুর্ব পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।

    জানা গেছে ওই গ্রামের আব্দুস সাত্তারের ছেলে সোহাগ আলী (২) বাড়ীর উঠানে খেলতে খেলতে সবার অজান্তে পানিতে পরে যায়। অনেক ক্ষন বাচ্চাকে না দেখে মা চিৎকার শুরু করে। মায়ের চিৎকারে প্রতিবেশীরা এসে তাকে খুজাখুজি করে বাড়ির উঠানে বন্যার পানি থেকে তাকে উদ্ধার করে। পরে শিশুটিকে তাড়াশ সদর হাসপাতালে আনলে কর্তব্য রত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন।

  • শাহজাদপুরে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন এমপি স্বপন।

    শাহজাদপুরে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন এমপি স্বপন।

    শাহজাদপুর ( সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধিঃশাহজাদপুরের উজ্জল নক্ষত্র,লাখো প্রাণের হৃদয়ের স্পন্দন, সিরাজগঞ্জ-৬(শাহজাদপুর) আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য সাবেক শিল্প উপ-মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব হাসিবুর রহমান স্বপন(৬৭) সবাইকে শোক সাগরে ভাসিয়ে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন প্রিয় জন্মভূমি শাহজাদপুরে।

    শুক্রবার বাদ জুম্মা শাহজাদপুর হাই স্কুল মাঠে দ্বিতীয় জানাযা অননুষ্ঠিত হয় তার। এসময় এমপিকে চিরকালের জন্য বিদায় দিতে এবং জানাযায় অংশ নিতে হাজার হাজার মানুষের ঢল নামে শাহজাদপুরে। জানাযা শেষে শাহজাদপুর চুনিয়াখালি পাড়া শাহ মখদুম কবরস্থানে তাকে সমাহিত করা হয়। এর আগে এদিন শেষবারের মতো শাহজাদপুরের দ্বারিয়াপুরের বাসায় আনা হয় গণ মানুষের নেতা আলহাজ্ব হাসিবুর রহমান স্বপনকে। কফিনে মোড়ানো নিথর দেহে শুক্রবার বেলা ১১ টার দিকে সামরিক হেলিকপ্টার যোগে প্রথমে বেড়া খালেকুজ্জামান স্টেডিয়ামে ল্যান্ড করেন এবং সেখান থেকে ফ্রিজিং এম্বুলেন্সে করে শাহজাদপুরের দ্বারিয়াপুর বাসায় আনা হয়।

    শেষবারের মতো তাঁকে দেখতে সেখানে ভীড় করেন হাজার হাজার মানুষ। অভিভাবক হারানোর বেদনা বুকে নিয়ে হাজার হাজার নেতাকর্মী এবং স্বজনরা স্তব্ধ নির্বাক হয়ে দেখতে থাকেন প্রিয় নেতাকে। সেখানে চোখের জলে সিক্ত হন শাহজাদপুরের আপামর জনতা। এমনভাবে তারা অভিভাবক হারা হবেন, মেনে নিতে পারেননি কেউই।

    জুলাই মাসে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ঢাকার একটি হাসপাতালে বেশ কিছুদিন চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে তুরস্ক নেওয়া হয়। স্তাম্বুল মেমোরিয়াল হসপিটালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার ভোরে মারা যান তিনি।চরম দুঃসংবাদটি পাওয়ার পর থেকেই প্রিয় ও শ্রদ্ধাভাজন অভিভাবককে একনজর দেখার জন্য ব্যাকুল হয়ে প্রতীক্ষা করছিলেন শাহজাদপুরের মানুষ।

    হাসপাতালের সকল প্রক্রিয়া শেষে বিমানে করে শুক্রবার ভোরে ঢাকায় আনা হয় তার লাশ। সেখানে মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় স্পিকার এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে বনানীতে প্রথম জানাযা অননুষ্ঠিত হয়। এরপর ঢাকা থেকে সামরিক হেলিকপ্টার যোগে বেড়া হয়ে স্বজনদের দেখানোর জন্য দ্বারিয়াপুরের বাসায় রাখা হয়। এদিন বাদ জুম্মা শাহজাদপুর হাই স্কুল মাঠে দ্বিতীয় জানাযা শেষে শাহজাদপুর চুনিয়াখালিপাড়া শাহ মখদুম কবরস্থানে বাবা-মায়ের কবরের পাশে সমাহিত করা হয় এমপি স্বপনকে।

    তিনি ১৯৯৬ সালে বিএনপি থেকে প্রথম এমপি নির্বাচিত হন। এরপর ১৯৯৮ সালে আওয়ামীলীগে যোগদান করে শিল্প উপ-মন্ত্রী হন। এর আগে তিনি ১৯৮৬ সালে তৎকালিন শাহজাদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ১৯৯২ সালে শাহজাদপুর পৌরসভার প্রথম চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। তিনি ২০০৯ সালে শাহজাদপুর উপজেলা চেয়ারম্যান,২০১৪ ও ২০১৬ সালে পরপর দুইবার আওয়ামীলীগের নৌকা প্রতীক নিয়ে এমপি নির্বাচিত হন। শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগের আগ পর্যন্ত তিনি সিরাজগঞ্জ-৬(শাহজাদপুর) আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য ও শাহজাদপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ছিলেন।