Author: admin

  • উল্লাপাড়ায় উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের বিশেষ বর্ধিত সভা।

    উল্লাপাড়ায় উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের বিশেষ বর্ধিত সভা।

    সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের বিশেষ বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    ১৫ সেপ্টেম্বর বুধবার সকালে উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের আয়োজনে উপজেলা আওয়ামীলীগ কার্যালয়ে এই বিষেশ বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়।

    আওয়ামী যুবলীগের বিশেষ বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিরাজগঞ্জ জেলা আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি মুজিববাদী তরুণ নেতা মোঃ রাশেদ ইউসুফ জুয়েল।

    বিশেষ বর্ধিত সভায় উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের আহবায়ক মীর আরিফুল ইসলাম উজ্জ্বলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী যুবলীগের সাধারন সম্পাদক মোঃ একরামুল হক।

    এ সময় অন্যানোর মধ্যে বক্তব্য রাখেন উল্লাপাড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ফয়সাল কাদের রুমি, সাধারন সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফা, উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক সরকার আজিজুল ইসলাম শাহআলম,তোফায়েল ইসলাম বকুল ও আওয়ামী যুবলীগ নেতা হায়দার আলীসহ উপজেলার ১৪ ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি ও সম্পাদক মন্ডলী।

    অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি রাশেদ ইউসুফ জুয়েল বলেন, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও দেশ গঠনের জন্য দেশে আওয়ামী যুবলীগকে শক্তিশালী ভুমিকা রাখতে হবে। আগামী দিনে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে একটি সুখী, সমৃদ্ধ ও সোনার বাংলা গড়ে তোলার জন্য সকলকে প্রাণপন চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।

    এগিয়ে যেতে আওয়ামী যুবলীগের তৃণমূলের সংগঠনকে হতে হবে অধিক শক্তিশালী। প্রতিটি ইউনিয়নের ওয়ার্ডে দলের নিবেদিত কর্মীদের নিয়ে শক্তিশালী ওয়ার্ড কমিটি গঠন করে ইউনিয়ন ও উপজেলা কমিটি গঠন করতে হবে। যেন যে কোন আন্দোলন, সংগ্রাম ও নির্বাচনে তারা বিজয়ী হতে পারে। তিনি আরো বলেন, দেশে আর কোন মানুষ বেকার থাকবে না। ছোট ছোট উদ্যোক্তা গড়ে তুলে দেশে হরেক রকম কর্ম সংস্থান গড়ে তোলা হবে।

  • তাড়াশের স্যানিটারি ইন্সেপেক্টর রন্টুকে গণধলাই। 

    তাড়াশের স্যানিটারি ইন্সেপেক্টর রন্টুকে গণধলাই। 

    আজিজুর রহমান মুন্না,সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধিঃ সিরাজগঞ্জ জেলার তাড়াশ উপজেলার ধামাইচ হাটে ভেজাল পণ্যের অভিযোগ তুলে হাটের ব্যবসায়ীদের কাছে ঘুষ দাবি করায় তাড়াশে স্যানিটারি ইন্সেপেক্টর ও তার এক সহযোগীকে উত্তেজিত জনতা গণধোলাই দিয়ে আটকে রাখার ঘটনা ঘটেছে।

    পরে পুলিশ গিয়ে তাদের কে জনতার কবল উদ্ধার করে । ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার (১৪ সেপ্টেম্বর)বিকেল চারটার সময় উপজেলার ধামাইচ হাটে।

    পুলিশ ও ব্যবসায়ীরা জানান, তাড়াশ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্মরত স্যানিটারি ইন্সেপেক্টর এস.এম. শহিদুল ইসলাম রন্টু ও নৈশ প্রহরী গোরাচাঁদ ধামাইচ হাটে গিয়ে ভেজাল পণ্যের অভিযোগ তুলে, ব্যবসায়ীদের নিকট থেকে মোটা অংকের ঘুষ দাবি করেন। এ সময় ব্যবসায়ীরা ঘুষ দিতে অস্বীকার করলে, তাদের কে জেল জরিমানার ভয় দেখিয়ে খারাপ ব্যবহার করেন।

    এসময় উত্তেজিত জনতা তাদের কে গণ পিটুনি দিয়ে আটকে রাখে। পরে পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে স্যানিটারি ইন্সেপেক্টর এস.এম. শহিদুল ইসলাম রন্টু ও নৈশ প্রহরীগোরাচাঁদ কে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।

    ধামাইচ বাজারের হোটেল ব্যবসায়ী রাশিদুল ইসলাম বলেন,স্যানিটারি ইন্সেপেক্টর এস.এম. শহিদুল ইসলাম রন্টু প্রায়ই হাট বাজারে গিয়ে ব্যবসায়দের ভয়ভিতি দেখিয়ে মোটা অংকের টাকা ঘুষ নিয়ে থাকেন। বিকেলে ধামাইচ হাটে এসে অনেক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে টাকা নেন। আমার দোকানে এসেও তিনি টাকা দাবি করেন।
    স্যানিটারি ইন্সেপেক্টর এস.এম. শহিদুল ইসলাম রন্টুর সাথে যোগাযোগ করলে , তিনি কথা বলতে রাজি হোননি।

    তাড়াশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: ফজলে আশিক জানান, খরব পেয়ে পুলিশ পাঠিয়ে ধামাইচ হাট থেকে স্যানিটারি ইন্সেপেক্টর এস.এম. শহিদুল ইসলাম রন্টু ও নৈশ প্রহরী গোরাচাঁদ কে উদ্ধার করা হয়। পরে রাত আটটার সময় মুচলেকা দিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা তার জিম্মায় নিয়ে যান।

    তাড়াশ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো: জামাল মিয়া শোভন বলেন, মুঠোফোনে খবর পেয়ে তাদের কে উদ্ধারের ব্যবস্থা করি। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
    হাসপাতালে নারী ও মাদক সেবীদের নিয়ে অনৈতিক কর্মকান্ডে লিপ্ত থাকার অভিযোগ রয়েছে নৈশ প্রহরী গোরাচাঁদের বিরুদ্ধে

  • সিরাজগঞ্জে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের মানববন্ধন অনু্ষ্ঠিত।

    সিরাজগঞ্জে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের মানববন্ধন অনু্ষ্ঠিত।

    আজিজুর রহমান মুন্না,সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধিঃ

    আন্তর্জাতিকমানের ৪ বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষাকোর্সকে ৩ বছরে রূপান্তরে অযৌক্তিক ও আত্মঘাতী উদ্যোগ বন্ধ ,বিএনবিসি -২০২০ এর জনস্বার্থবিরােধী সংজ্ঞা ও ধারা উপধারা সংশােধন,ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষার সীমাহীন সংকটের সমাধান ও ছাত্র শিক্ষক পেশাজীবীদের পেশাগত সমস্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুত ও নির্দেশিত ৪ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।

    বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বেলা ১২ টায় দিকে সিরাজগঞ্জ গণপূর্ত অফিস সংলগ্ন রোডস্থ ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার, ছাত্র শিক্ষকদের অংশগ্রহণে এ মানববন্ধন আয়োজন করা হয়েছে।

    অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে অংশ গ্রহণ করেন সিরাজগঞ্জ জেলা শাখার আইডিইবি’র সভাপতি নওশের আহমেদ তামান্না,সহ সভাপতি রবীন্দ্রনাথ মহন্ত, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল জব্বার, সিরাজগঞ্জ গণপূর্ত বিভাগের উপ সহকারী প্রকৌশলী মোঃ নাজমুল করিম,সিরাজগঞ্জ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ইন্সট্রাক্টর মোঃ সহিদুল ইসলাম,সদস্য সচিব জুনিয়র ইন্সট্রাক্টর মোঃ জহুরুল ইসলাম,যুগ্ম আহবায়ক তানভীর আহমেদ,মোঃ মেহেদী হাসান ,শিক্ষা প্রকৌশলী অধিদপ্তরের মোঃ মোর্শেদ মিয়া,ছাত্র প্রতিনিধি আবু তালহা সরকার ,এহসান আহমেদ প্রান্ত প্রমূখ।

    মানববন্ধন শেষে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার ছাত্র শিক্ষক পেশাজীবীদের পক্ষ থেকে সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসকের নিকট স্মারকলিপি প্রদান করা হয় ।

  • সেনা বাহিনীতে চাকুরীর সৌভাগ্য হলো না সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত রুবেলের।

    সেনা বাহিনীতে চাকুরীর সৌভাগ্য হলো না সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত রুবেলের।

    বাংলাদেশ সেনা বাহিনীতে চাকুরী করার সৌভাগ্য হলো না সদ্য নিয়োগ প্রাপ্ত সিরাজগঞ্জ উল্লাপাড়ার শ্রীকোলা গ্রামের সাইফুল ইসলামের ছেলে রবিউল ইসলাম রুবেল(১৯) এর। কয়েক দিন আগে সেনা বাহিনীতে চাকুরী হয়,প্রশিক্ষণের দিনখন ঠিকও হয়েছে। কিন্তু ভাগ্যের কি! নির্মম পরিহাস আজ ১৫ সেপ্টেম্বর বুধবার সকাল সাড়ে ৬ টার দিকে বাড়ির পাশে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যায় সে। তার সাথে মারা যায় আরো এক ভ্যানযাত্রী শ্রীকোলা গ্রামের মৃত আফের উদ্দিনের ছেলে ফরজ আলী (৪৮)।

    জানা যায় অটোভ্যান যোগে নিহতরা উল্লাপাড়া পৌর শহরে যাচ্ছিলো। বুধবার সকাল সাড়ে ৬ টার সময় বগুড়া-নগরবাড়ি মহাসড়কের শ্রীকোলা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় পৌছালে,পিছন থেকে ট্রান্সপোর্টের কাভারভ্যান যাত্রী বোঝাই অটোভ্যানটিকে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলে পৌরশহরের শ্রীকোলা গ্রামের সাইফুল ইসলামের ছেলে রবিউল ইসলাম রুবেল(১৯) ও মৃত আফের উদ্দিনের ছেলে ফরজ আলী(৪৯) মারা যায়।

    এ ঘটনায় একই গ্রামের মৃত রফিকুল ইসলামের ছেলে আবু হানিফ(২৫)ও লুৎফর রহমানের ছেলে মাহবুবুল ইসলাম(৩৫) গুরুতর আহত হয়। আবু হানিফকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

    এ ঘটনা নিশ্চিত করে হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাজাহান আলী জানান সড়ক দুর্ঘটনার সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে দ্রুত পুলিশ পাঠিয়ে নিহতদের লাশ উদ্ধার করে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। কিছুক্ষণ উৎসুক জনতা রাস্তায় গাছে গুলুম ফেলে অবরোধ করার চেষ্টা করে।উত্তাপ্ত জনতার সাথে কথা বলে রাস্তা থেকে তাদের উঠিয়ে দিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করা হয়।

  • বিয়ের প্রলোভনে নারীর নগ্ন ভিডিও ধারনের প্রতারক প্রেমিক আটক।

    বিয়ের প্রলোভনে নারীর নগ্ন ভিডিও ধারনের প্রতারক প্রেমিক আটক।

    গোলাম রব্বানী শিপন,বিশেষ প্রতিনিধিঃ বগুড়া জেলা শেরপুর থানা এলাকার এক দিনমজুরের মেয়ে (ছদ্দনাম) নাম ন্যান্সি বয়স (২৬)। তিনি এক সন্তানের জননী। সংসারের অভাব অনাটনের তাড়নায় পাড়ি জমাতে বাধ্য টাকার শহর রাজধানী ঢাকায়। চাকুরী পায় ঢাকা জেলার সাভার থানার হেমায়েতপুরের একটি সুনাম ধন্য গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিতে। কিন্তু তাতেও অভাগিনির পোড়া কপালে সুখ সইল না স্বামী আরেকটি বিয়ে করে তাকে ডিভোর্স দেয়। স্বামীহারা হয়ে মানুষিক ভাবে ভেঙ্গে পরলেও একমাত্র সন্তানের ভবিষৎ এর কথা চিন্তা করে বেঁচে থাকার স্বপ্ন দেখে ন্যান্সি। এভাবেই চলছিল তাঁর দিন। এরই ধারাবাহিকতায় গত কয়েক মাস আগে একটি অপরিচিত মোবাইল নম্বর থেকে কল আসে ন্যান্সির নাম্বরে। পরিচয় দেয় তাঁর শুভাকাঙ্ক্ষী।

    পরবর্তীতে ন্যান্সিকে বিভিন্ন সময়ে কল দিতে থাকে অচেনা ওই যুবক।। মিষ্টি মিষ্টি কথাবার্তার এক পর্যায়ে ধুরন্ধর ছেলেটি তার স্বার্থ হাসিলের জন্য ন্যান্সিকে তার কিছু নগ্ন ছবি ও ভিডিও দেওয়ার জন্য অনুরোধ করে। তাহার এই ধরনের প্রস্তাবে রাগান্বিত হয় ন্যান্সি। এক সময় যোগাযোগ বন্ধ করে দেয় সেই অচেনা ব্যক্তিটির সঙ্গে। অচেনা ব্যক্তিটি তার স্বার্থ হাসিলের জন্য আটঘাট বেধে লেগে পরে এবং জানায় সে অবিবাহিত এবং ন্যান্সিকেই বিয়ে করবে। ন্যান্সি সরল বিশ্বাসে তার সন্তানের ভবিষৎ এর কথা চিন্তা করে অচেনা অজানা প্রতারকের কথায় রাজি হয়ে যায়। এবং তার কথামত নিজের নগ্ন ভিডিও মোবাইলে ধারণ করে নিজের ব্যবহৃত ডযধঃংধঢ়ঢ় এর মাধ্যমে প্রতারকের ডযধঃংধঢ়ঢ় এ পাঠিয়ে দেয়। কিন্ত কথায় আসে না “অভাগা যেদিকে যায় সেদিকে সাগর শুকিয়ে যায়চ্। নগ্ন ভিডিও পাঠিয়ে দেওয়ার সাথে-সাথেই সেই ভিডিও ডাউনলোড করে ন্যান্সিকে পাঠিয়ে টাকা দাবি করা শুরু করে এবং টাকা না পেলেই নগ্ন ভিডিওটি ছড়িয়ে দিবে সোস্যাল মিডিয়ায়। হতভাগী ন্যান্সি উপায়ন্তর না দেখে সিদ্ধান্ত নেয় আত্মহত্যার।, কিন্তু সন্তানের মুখের দিকে তাকিয়ে সেটা তাঁর সম্ভব হয়ে উঠে না।

    সর্বশেষ এক নিকট আত্মীয়ের মাধমে হাজির হয় বগুড়া জেলা পুলিশের অভিভাবক পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী (বিপিএম) সেবার নিকট। পুলিশ সুপারের নির্দেশনায়, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) আলী হায়দার চৌধুরীর তত্ত্বাবধানে কাজ শুরু করে জেলা গোয়েন্দা শাখা, বগুড়ার “সাইবার টিম। তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় খুব দ্রুত সময়ের মধ্যেই শনাক্ত করতে সক্ষম হয় অচেনা অজানা প্রতারককে।

    তারই ধারাবাহিকতায় ডিবি, বগুড়াথর ইনচার্জ সাইহান ওলিউল্লাহ এর নেতৃত্বে ১৪ সেপ্টেম্বর ১১.৪৫ মিনিটে নিখুঁত গোয়েন্দা তথ্য ও প্রযুক্তিগত সহায়তার ভিত্তিতে ঢাকা জেলার সাভার থানাধীন হেমায়েতপুর, বড়ারী এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আটক করা হয় সাইবার প্রতারক সেই মনির হোসেন (২৯), কে। মনির হোসেনের পিতার নাম রিয়াজ উদ্দিন প্রাং। সাং- মহিষভাঙ্গা, পোস্টঃ হারোয়া, থানাঃ বড়াইগ্রাম, জেলাঃ নাটোরকে। আটককালে তার হেফাজত থেকে উদ্ধার করা হয় ১টি অপপ কোম্পানীর স্মার্ট মোবাইল ফোন ও বিভিন্ন কোম্পানীর ৪ টি সিমকার্ড।

    প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃত আসামী মনির হোসেন জানায়, সে ইতিপূর্বেও প্রতারনার মাধ্যমে একাধিক বিয়ে করেছে। বাদীনি যে প্রতিষ্ঠানে চাকুরী করে সেই একই প্রতিষ্ঠানে সিকিউরিটি গার্ডের চাকুরীর সুবাদে বাদীনিকে দেখতে পায় প্রতারক মনির। তাকে দেখে মনিরের খুব পছন্দ হলে গোপনে তার মোবাইল নাম্বর সংগ্রহ করে এবং তাহার নাম্বরে ফোন দিয়ে মিথ্যা পরিচয়ে কথা বলতে থাকে। কথা বলার এক পর্যায়ে মনির বাদীনিকে তাহার কিছু অশ্লিল ছবি ও ভিডিও দেওয়ার জন্য বললে বাদীনি অসম্মতি জানায়, এবং মনিরের সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়।

    পরবর্তীতে আসামী মনির অসহায় বাদীনিকে বিবাহের প্রলোভন দেখিয়ে বাদীনি আসামী মনিরকে সরল বিশ্বাসে তাহার একটি নগ্ন ভিডিও তাহার ব্যবহৃত ডযধঃংধঢ়ঢ় এর মাধ্যমে আসামী মনিরের ডযধঃংধঢ়ঢ় এ পাঠায়। আসামী মনির তাৎক্ষনিক উক্ত ভিডিও তার মোবাইলে ডাউনলোড করে বাদীনিকে পাঠায় এবং মোবাইল ফোনে জানায় তাকে ২০ হাজার টাকা দিতে হবে, অন্যথায় তার নগ্ন ভিডিও ইন্টারনেটে ভাইরাল করে দিবে। বাদীনি মনিরের হুমকিতে ভিতূ হয়ে বিভিন্ন সময়ে বিকাশে ৮হাজার টাকা প্রেরণ করে। উল্লেখ্য যে, মনির বাদীনিকে দেখিয়াছে কিন্তু বাদীনি কখনো আসামী মনিরকে দেখে নাই, সেই সুযোগ টাই কাজে লাগিয়ে স্বার্থ হাসিল করিয়াছে প্রতারক মনির।

    প্রকাশ থাকে যে, তাহার মোবাইল ফোন প্রাথমিক বিশ্লেষনে জানা যায়, বাদীনিসহ, একাধিক মেয়েদের সাথে এই ধরনের সাইবার অপরাধ করিয়াছে ।

    আটককৃত আসামী মনির হোসেন নিজের পরিচয় গোপন করে বিবাহের প্রলোভন দেখিয়ে বাদীনির নগ্ন ভিডিও সংগ্রহ করিয়া উক্ত ভিডিও তাহার মোবাইলে সংরক্ষন করিয়া বাদীনির সামাজিক মর্যাদা হানি করা ও ভয়ভীতির মাধ্যমে অর্থ আদায় করার লক্ষ্যে ইন্টারনেটে ছাড়িয়া দিবে বলিয়া বাদীনির নিকট টাকা দাবি ও গ্রহন করায় আটককৃত আসামীর বিরুদ্ধে বগুড়া শেরপুর থানায় পর্ণগ্রাফি নিয়ন্ত্রন আইনে মামলা দায়ের পূর্বক বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

  • মৌলভীবাজারে প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ এর অভিযোগে মানববন্ধন।

    মৌলভীবাজারে প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ এর অভিযোগে মানববন্ধন।

    মৌলভীবাজার সংবাদদাতাঃ দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে রাজনগর উপজেলা অধীনে প্রেম নগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা লুৎফে আরা কে অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন করা হয়েছে।

    ১৪ ই সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার সকাল ১০টায় স্কুলের সামনে রাস্তায় ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবকদের ব্যানারে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

    ম্যানেজিং কমিটির সদস্য  তাহের মিয়ার   সভাপতিত্বে ও ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর আলমের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট মুরব্বি ও অভিভাবক  বিলাল মিয়া, আতাউর রহমান, মঞ্জুর মিয়া প্রমুখ।

    বক্তারা বলেন প্রায় বিশ বছর থেকে প্রধান শিক্ষিকা লুৎফে  আরা এই স্কুলে আছেন। তিনি দীর্ঘদিন থেকে প্রতিষ্ঠানের অর্থ আত্মসাৎ করে মনগড়া  বিল ভাউচার তৈরি করে  টাকা উঠিয়ে এবং ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদেরকে কোন হিসাব না দিয়েই চালিয়ে যাচ্ছেন। বিভিন্ন সময় শিক্ষা অফিস, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে আবেদন করে কোন সুরাহা পাওয়া যায়নি,তাই আজকে আমরা মানববন্ধন করছি। এই দুর্নীতিবাজ প্রধান শিক্ষককে এই স্কুল থেকে অপসারণ করা না হলে আমরা আমাদের কোমলমতি ছাত্র ছাত্রীদেরেকে  আর  স্কুলে পাঠাবো না।  বক্তারা খুব দ্রুত এই প্রধান শিক্ষিকাকে স্কুল থেকে সরানোর আহ্বান জানান।

    অভিযোগের ব্যাপারে রাজনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রিয়াঙ্কা পাল জানান আমার দপ্তরে এ সংক্রান্ত কোন অভিযোগ আছে কি না আমার জানা নেই। এ ব্যাপারে শিক্ষা অফিসারের সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

  • সন্তান রেখে প্রেমিকের সাথে ঘুরতে গিয়ে প্রেমিকার মৃত্যু,প্রেমিক আটক।

    সন্তান রেখে প্রেমিকের সাথে ঘুরতে গিয়ে প্রেমিকার মৃত্যু,প্রেমিক আটক।

    বিশেষ প্রতিনিধিঃ নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার ৪ সন্তান জননী গৃহবধূ জেসমিন আক্তার (৩০) প্রেমিকের সঙ্গে ঘুরতে গিয়ে মোটরসাইকেল থেকে পড়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।

    সোমবার রাতে নেত্রকোনার কেন্দুয়া-আঠারবাড়ি সড়কে উপজেলার স্বলফ কমলপুর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

    নিহত জেসমিন আক্তার কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলার মানিকদী গ্রামের মৃত মাহফুজ মিয়ার স্ত্রী।

    এঘটনায় পুলিশ প্রেমিক জোবাইদ মিয়া (৩৫) অরফে মুরসালিন মিয়াকে আটক করেছে। জোবাইদ একই উপজেলার কৃষ্ণনগর গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে।

    কেন্দুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কাজী শাহ নেওয়াজ জানান, নিহত জেসমিন আক্তারের ৪ জন সন্তান রয়েছে। আটক প্রেমিক জোবাইদের স্ত্রী ও ৩ জন সন্তান রয়েছে।

    প্রেমের সম্পর্কের জেরে তারা সুনামগঞ্জের তাহেরপুর শিমুল বাগানে ঘুরতে যাচ্ছিলেন। কিশোরগঞ্জ থেকে সরাসরি যাওয়ার সুযোগ না থাকায় কেন্দুয়া ঘুরে তাহেরপুর শিমুল বাগানে তাঁরা যাচ্ছিলেন। পথের মধ্যে স্বলফ কমলপুর নামক স্থানে পৌঁছলে ওই গৃহবধূ মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়েে যান।

    পরে স্থানীয় লোকজন ওই গৃহবধূকে উদ্ধার করে কেন্দুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

    এদিকে খবর পেয়ে প্রেমিক জোবাইদকে আটক করে পুলিশ। ওই নারীর স্বজনরা এসে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে বলে পুলিশ জানায়।

  • বগুড়ার বইকচু বিভিন্ন জেলায় রপ্তানি সৃষ্টি হয়েছে নারী-পুরুষের কর্মস্থা।

    বগুড়ার বইকচু বিভিন্ন জেলায় রপ্তানি সৃষ্টি হয়েছে নারী-পুরুষের কর্মস্থা।

    গোলাম রব্বানী শিপন, বিশেষ প্রতিনিধিঃ বগুড়া শিবগঞ্জ উপজেলায় ২০০ হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে বইকচু। এমনই দৃশ্য মিলেছে বগুড়ার ঐতিহাসিক মহাস্থানহাটে। প্রতিদিন এই হাটে আশেপাশের কৃষকদের উৎপাদিত ছড়া কচু অর্থাৎ বইকচুর প্রচুর আমদানিতে ভরপুর।

    বগুড়া জেলার চাহিদা মিটিয়ে যাচ্ছে, চট্টগ্রাম, ফেনী, কারওয়ান বাজার, যাত্রাবাড়ী ছাড়াও দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে রপ্তানি করা হচ্ছে। আর কচু পরিচর্যা কাজে কর্মস্থান যুগিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন এলাকার শতশত নারী-পুরুষ।

    বর্তমান সময়ে কচুর মৌসুমে বগুড়ার মাটি ও আবহাওয়া ছড়া কচু চাষের জন্য অত্যন্ত উপযোগী হওয়ায় এ অঞ্চলে ফলনও ভালো হয় বলে জানিয়েছেন শিবগঞ্জ উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ।

    মঙ্গলবার সকাল ৯টায় মহাস্থান হ্টের সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,রায়নগর ইউনিয়নের টেপাগাড়ী এলাকার কৃষক ফজলুর রহমান জানান, তিনি বইকচু চাষ করে লাভবান হয়েছেন। প্রায় ৩ বছর ধরে কচু চাষ করেন তিনি। এ বছর ৪বিঘা জায়গায় কচু চাষ করেছেন। তবে এবছর বইকচুর দাম কিছুটা কম। তারপরও ফলন খরচ বাদে লাভ হবে বলে তিনি আশাবাদী।

    সদরের নামুজা ইউনিয়নের কৃষক হাফিজুর রহমান, একটি অটোভ্যান যোগে প্রায় ৫বস্তা কচু বিক্রি করতে হাটে এসেছেন। তিনি বলেন, কচু চাষে উৎপাদন সময় একটু বেশি লাগলেও বাজার দর যদি ভাল হয় তাহলে অন্য ফসলের তুলনায় সময় পুষে যাবে।

    অন্যান্য ফসল বৈরী আবহাওয়ার কারণে নষ্ট হলেও কচু ফসলে তেমন বিরূপ প্রভাব পড়ে না। তিনি পুজিঁ উঠিয়ে বর্তমান সফল লাভের স্বপ্ন দেখছেন। তিনি প্রতিবছরই এই কচু চাষ করে বেশ লাভবান বলে জানান। গত প্রায় ৮ বছর ধরে বগুড়ার কৃষকরা বাণিজ্যিক সম্ভাবনার হাত ধরে বিকশিত হয়েছে ঝুকে পড়েছেন এই কচু চাষে৷

    মহাস্থানহাট থেকে কচু ক্রেতা আড়ৎ ব্যবসায়ী পাইকাড়, মুনছুর রহমান, তোফাজ্জল হোসেন, আব্দুর রশিদ, ও তোতা মিয়ার সাথে কথা বললে তারা জানান, কচু মৌসুমে তাঁরা শুধু এই বইকচুর ব্যবসা করেন। দূরের জেলার ব্যবসায়ীদের সাথে তাঁদের লেনদেন।তাঁরা মহাস্থান হাটের কচু কিনেন।

    এরপর এই কচুগুলো মহাস্থান মাহীসওয়ার ডিগ্রী কলেজের উত্তরপাশে “বিশাল সবজি আড়ৎ ভান্ডার” নামক আড়তে মজুদ করেন। সেখানে প্রায় শতাধিক নারী-পুরুষ শ্রমিক এই কচু বাচাই কাজে নিয়োজিত রয়েছে। তাঁরা এই বইকচু মাড়াই করে ছোট-বড় ধরণ আলাদা করছেন।

    মঙ্গলবার মহাস্থানহাটের কচুর চলতি বাজার ছিল ৪০ থেকে ৭ শত টাকা প্রতি মণ। মহাস্থান বিশাল সবজি ভান্ডার ঘুরে দেখা যায়, নানা বয়সের নারী-পুরুষেরা কচু বাচাইয়ের কাজ করছেন। তাদের সাথে কথা বললে তাঁরা জানান, সকাল ৭টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত কাজ করতে হয়। আর এ কাজে বেতন হিসেবে তাঁরা ২’শ থেকে ৩ শ টাকা পর্যন্ত প্রতিদিন পায়।

    সল্প সময়ে এ কাজ করে নগদ টাকা বুঝে পেয়ে অনেকের সংসারে সচ্ছলতা ফিরে এসেছে বলে তাঁরা ব্যক্ত করেন।

    এবিষয়ে বগুড়া শিবগঞ্জ উপজেলার উপ-সহকারী কৃষি অফিসার এজাজুল কামালের সাথে কথা বললে তিনি জানান, এবছরে ২শ হেক্টর জমিতে বইকচুর চাষ করা হয়েছে।

    আবহাওয়া ভালোর কারণে কচুগুলো বর্ধমান৷ বই কচু চাষ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বইকচু একবার চাষ করলে জমির উর্বরতা কমে যায়। তবে প্রচুর পরিমাণ জৈব সার ব্যবহার করে পরের বছর কচু চাষ উপযোগী করে তুলতে হবে।

    পানি সেচের ব্যবস্থা থাকলে ফাল্গুন মাস (ফেব্রুয়ারি) বীজ বপনের সবচেয়ে ভালো সময়। কিন্তু যদি সে সুযোগ না থাকে তাহলে বৃষ্টির জন্য অপেক্ষা করতে হবে এবং প্রথম বৃষ্টিপাতের পরপরই বীজ লাগিয়ে ফেলতে হবে। তবে বৈশাখের পর (এপ্রিলের পর) বীজ লাগালে ফলন খুব একটা ভালো হবে না।

  • জাবি ছাত্রকে মারধরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঢাকা আরিচা মহাসড়ক অবরোধ।

    জাবি ছাত্রকে মারধরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঢাকা আরিচা মহাসড়ক অবরোধ।

     

    স্মৃতি রানি, স্টাফ রিপোর্টারঃ সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে ঘুরতে গিয়ে অনিয়মের প্রতিবাদ করায় আনসার সদস্যদের দ্বারা বেধড়ক মারধরের শিকার হয়েছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ( জাবি ) প্রাণীবিদ্যা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র নুর হোসাইন।

    এ ঘটনার প্রতিবাদে মঙ্গলবার ( ১৪ সেপ্টেম্বর ) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকা আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করেন নুর হোসাইনের বড় ভাই, বন্ধু, ছোট ভাই ও সহপাঠীরা।

    এর আগে বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীরা মহাসড়কের পাশে এক বেষ্ঠনির মধ্য দিয়ে মানববন্ধন করে। মানববন্ধন থেকে বক্তারা দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন।

    জানা যায় গতকাল আনুমানিক দুপুর ২ টার সময় সাভার নবীনগরে অবস্থিত জাতীয় স্মৃতিসৌধে নুর হোসাইনকে কয়েকজন আনসার সদস্য ব্যাপক মারধর করেন।
    পরে ৯৯৯ এ ফোন করলে নিকটস্থ থানা থেকে পুলিশ এসে তাদের উদ্ধার করে সাভার এনাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। তার অবস্থা গুরুতর হওয়ায় সেখান থেকে নিউরোসায়েন্স ইন্সটিটিউটে স্থানান্তর করা হয়েছে।

  • দেশের ১০ টি দৈনিক পত্রিকার ঘোষনাপত্র বাতিল করা হয়েছে।

    দেশের ১০ টি দৈনিক পত্রিকার ঘোষনাপত্র বাতিল করা হয়েছে।

    দেশের ৯ টি দৈনিক জাতীয় বাংলা পত্রিকা ও একটি ইংরেজি দৈনিক পত্রিকার ঘোষনাপত্র বাতিল করা হয়েছে। ঢাকার জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের স্বাক্ষরে গত ৮ সেপ্টেম্বর এ বিষয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে বলে সরকারের পক্ষ থেকে আজ মঙ্গলবার এক তথ্য বিবরনিতে জানানো হয়েছে।

    ওই প্রজ্ঞাপণে উল্লেখ করা হয় দৈনিক জনসেবা,গণ আওয়াজ,জাতির কণ্ঠ,ঢাকা প্রকাশ,এই দেশ এই দিন,কিষাণ,সময়ের পাতা,পূর্ব আলো,ও রিপোর্টার এবং দি ফাইনান্সিয়াল ডেইলির ডিক্লারেশন বাতিল করেছেন ঢাকা জেলা ম্যাজিস্ট্রেট। অর্থাৎ এখন থেকে উল্লেখিত পত্রিকাগুলো প্রকাশ বা প্রচারের অনুমতি রইলো না।

    ১৯৭৩ সালের ছাপাখানা ও প্রকাশনা আইনের ৯(১) এর ৩(ক) ধারা মোতাবেক পত্রিকাগুলো প্রকাশ তথ্য বিবরণীতে বলা হয়, ১৯৭৩ সনের ছাপাখানা ও প্রকাশনা (ঘোষণা ও নিবন্ধন) আইনের ৯ (১) এর (৩) (ক) ধারা ভঙ্গ এবং পত্রিকাগুলোর প্রকাশক ও সম্পাদক চুক্তিপত্রের শর্ত পুরন করতে না পাড়ায় তাদের ঘোষনাপত্র বাতিল করা হয়েছে বলে কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছেন।

    যে সকল পত্রিকা নিয়মিত প্রকাশ হচ্ছে না, সে সকল পত্রিকা গুলো চিন্হিত করে সরকারের পক্ষ থেকে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। এ কথা গত মাসের শেষ ভাগে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ পরিস্কার বলে দিয়েছেন।

    সূত্র রিদ্মিক নিউজ