Author: admin

  • ভারতের মণিপুর রাজ্যের গহীন জঙ্গলে অস্ত্রাগারের সন্ধান।

    ভারতের মণিপুর রাজ্যের গহীন জঙ্গলে অস্ত্রাগারের সন্ধান।

    ভারতের মণিপুর রাজ্যের চূড়াচাঁদপুর ও কাংপোকপি জেলার গহীন জঙ্গলে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে একটি ‘অস্ত্রাগারের’ সন্ধান পেয়েছে ভারতের সেনাবাহিনীর নেতৃত্বাধীন যৌথ বাহিনী। সেখান থেকে বেশ কিছু যুদ্ধাস্ত্রও উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি।

    শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সেনাবাহিনীর জনসংযোগ দপ্তর থেকে দেয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “ভারতীয় সেনাবাহিনী, মনিপুর পুলিশ, কেন্দ্রীয় এলিট ফোর্স সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্স (সিআরপিএফ) এবং সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) সদস্যদের যৌথবাহিনীর টানা ৪৮ ঘণ্টার অভিযানে চূড়াচাঁদপুর ও কাংপোকপি জুড়ে বিস্তৃত গহীন জঙ্গলে ওই গোপন অস্ত্রাগারটির সন্ধান পাওয়া যায়। এ সময় অস্ত্রাগার থেকে বেশ কিছু যুদ্ধাস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে।

  • হরিপুরে তোররা বালিকা বিদ্যালয়ের ১৭ জনই প্রধান শিক্ষকের আত্মীয়!

    হরিপুরে তোররা বালিকা বিদ্যালয়ের ১৭ জনই প্রধান শিক্ষকের আত্মীয়!

    ঠাকুরগাঁওয়ের একটি বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে পরিবার ও আত্মীয়দের নিজ বিদ্যালয়ে নিয়োগ দুর্নীতির মাধ্যমে চাকরি দিয়ে বিদ্যালয়টিতে ‘পরিবারতন্ত্র’ তৈরি করার অভিযোগ উঠেছে।

    এ ঘটনায় অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি।

    অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষকের নাম লুৎফর রহমান। তিনি হরিপুর উপজেলায় তোররা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।

    স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, তোররা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষক থেকে আয়া পর্যন্ত ২১ জন কর্মরত। তাদের মধ্যে ১৭ জনই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক লুৎফর রহমানের পরিবার সদস্য ও নিকটাত্মীয়। সম্প্রতি নতুন করে চতুর্থ শ্রেণির দুইজন কর্মচারী নিয়োগ দেওয়ায় ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এসব নিয়োগের ক্ষেত্রে তিনি কোনো নিয়মনীতির তোয়াক্কা করেননি বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে এই স্কুলে থাকা প্রধান শিক্ষক লুৎফর রহমান ক্ষমতার অপব্যবহার করে এমন নিয়োগ দিয়েছেন বলে অভিযোগ আছে।

    জানা গেছে, ঠাকুরগাঁও জেলার হরিপুর সদর ইউনিয়নের তোররা বাজারে অবস্থিত তোররা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়টি ১৯৯৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। ২০০০ সালে এটি এমপিওভুক্ত হয়।  নিজের আধিপত্য বিস্তারের জন্য কোনো নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে প্রধান শিক্ষক নিজের ভাই, স্ত্রী, মামাশ্বশুর, ভাইয়ের ফুফুশাশুড়ি ও ভাগ্নেসহ আত্মীয়দের বিভিন্ন পদে নিয়োগ দেন।

    এর মধ্যে রয়েছেন স্ত্রী পারভীন আকতার বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক, ছোট ভাই কাঞ্চন রহমান অফিস সহায়ক, সহকারী মৌলভী শিক্ষক আবেদ আলী চাচাতো ভাই, শিক্ষক মহসিন চাচাতো ভাই, সহকারী শিক্ষক মসলিম উদ্দিনও চাচাতো ভাই,কম্পিউটার অপারেটর জসিমউদদীন চাচাতো ভাই, অফিস সহকারী ইউসুফ আলী চাচাতো ভাই, সহকারী শিক্ষক মোছা. সাবিনা খাতুন চাচাতো বোন, সহকারী শিক্ষক জয়নাল আবেদিন আপন চাচাতো ভগ্নিপতি, সহকারী শিক্ষক হোসনেয়ারা চাচাতো ভাইয়ের ফুফু শাশুড়ি, সহকারী শিক্ষক জসিমউদদীন চাচাতো বোনের চাচা শ্বশুর, সহকারী শিক্ষক (শরীরচর্চা) আমিনুল ইসলাম মামাশ্বশুর, কৃষি শিক্ষক আব্দুর রউফ আত্মীয়, সহকারী শিক্ষক (গণিত) একরামুল আত্মীয়, ভাগনে আলাউদ্দিন সহকারী শিক্ষক, ভাগনে আবদুস সালাম এমএলএস,ভাগনে মসিউর রহমান পিয়ন, আয়া কহিনুর বেগমও আত্মীয়, এবং পরিচ্ছন্নতাকর্মী আকতারুল ইসলামও নিকটাত্মীয়।

    কয়েকদিন আগে নিয়োগবিধির ব্যত্যয় ঘটিয়ে দুই আত্মীয়কে চতুর্থ শ্রেণির পদে চাকরি দেন লুৎফর রহমান, যা বাতিলের দাবি জানিয়ে ঠাকুরগাঁও আদালতে মামলা করেছিলেন বিদ্যালয়টির সাবেক সভাপতি বেলাল উদ্দীন।

    শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের অভিযোগ, রাজনীতি ও বিদ্যালয়ে পারিবারিক বলয় সৃষ্টির কারণে বিদ্যালয়ের শিক্ষার মান ক্রমশই নিম্নগামী। বিদ্যালয় পরিচালনায় নানা অব্যবস্থাপনা, অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে প্রধান লুতফর রহমান বিপুল পরিমাণ অর্থ-বিত্তের মালিক হয়েছেন। তাই অবিলম্বে প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগ চান শিক্ষার্থী ও স্থানীয়রা।

    এ বিষয়ে বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক
    লুৎফর রহমান বলেন, নীতিমালা অনুযায়ীই প্রত্যেকের নিয়োগ হয়েছে। নিজের পরিবারের সদস্যদের মধ্য থেকে নিয়োগ দেওয়ার ব্যাপারে কথা বললে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

    হরিপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার রায়হানুল ইসলাম মিয়া বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    লুৎফর রহমানের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগের বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো.আরিফুজ্জামান গণমাধ্যমকে জানান, সঠিক নিয়মে নিয়োগ হয়েছে কিনা খতিয়ে দেখা হবে যদি কোন অনিয়ম পরিলক্ষিত হয় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

  • বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশ নিয়ে চিকিৎসার বিষয় মেডিকেল বোর্ডের পর্যালোচনা।

    বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশ নিয়ে চিকিৎসার বিষয় মেডিকেল বোর্ডের পর্যালোচনা।

    দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য দ্রুততম সময়ের মধ্যেই বিদেশে পাঠানোর বিষয়টি মেডিকেল বোর্ড পর্যালোচনা করছেন।

    বৃহস্পতিবার দুপুরে নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন এ তথ্য জানান।
    জাহিদ হোসেন বলেন, খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। গত ২১ আগস্ট তাকে বাসায় নিয়ে আসা হয়। কিন্তু বুধবার রাতে তাকে ফের হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে।

    তিনি বলেন, খালেদা জিয়াকে আস্তে আস্তে সংকটাপন্ন একটা অবস্থায় নেয়াই হাসিনা সরকারের সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনার অংশ ছিল। বিএসএমএমইউতে তাকে সঠিকভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়নি। যার কারণে তাকে কয়েকদিন পরপরই হাসপাতালে নিতে হচ্ছে।

    চিকিৎসক আরো বলেন, ‘খালেদা জিয়ার অসুস্থতা নিয়ে অনেকের প্রশ্ন তাকে দেশের বাইরে নেয়া হচ্ছে না কেন? আসলে কাউকে বাইরে নিতে হলে শারীরিক সুস্থতা প্রয়োজন। প্লেনে উঠতে হলে নেগেটিভ প্রেসার সহ্য করার মতো সুস্থতা থাকতে হয়। মেডিকেল বোর্ড বিষয়গুলো বিবেচনায় নিয়ে দেশি-বিদেশি সদস্যরা আলোচনা করছেন।

    খালেদা জিয়ার কিছু রোগের সৃষ্টি হয়েছে, যেগুলো দেশের বাইরের আধুনিক সেন্টারে নিয়ে দেখানো ছাড়া এবং তাদের (বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের) পরামর্শ নেয়া ছাড়া আর উপায় নেই বলেও উল্লেখ করেন জাহিদ হোসেন।

     

  • বিগ ব্যাশ টি-টোয়েন্টি লিগে খেলার সুযোগ পেল লেগ স্পিনার রিশাদ।

    বিগ ব্যাশ টি-টোয়েন্টি লিগে খেলার সুযোগ পেল লেগ স্পিনার রিশাদ।

    অস্ট্রেলিয়ার বিগ ব্যাশ টি-টোয়েন্টি লিগে খেলার সুযোগ পেল স্পিনার রিশাদ হোসেন। রোববার (১ সেপ্টেম্বর) অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে বিগ ব্যাশ ড্রাফটের চতুর্থ রাউন্ড থেকে রিশাদকে দলে নিয়েছে বিগ ব্যাশের দল হোবার্ট হারিকেন্স।

    যে দলে হেড অব স্ট্র্যাটেজির দায়িত্বে আছেন তাসমানিয়ার সবচেয়ে বিখ্যাত ক্রিকেটার রিকি পন্টিং। এর আগে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের মধ্যে শুধু সাকিব আল হাসানই বিগ ব্যাশে খেলেছেন।

    বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) অনাপত্তিপত্র পেলে বিগ ব্যাশের আগামী মৌসুমে কিছু ম্যাচ হলেও খেলতে চান রিশাদ। এ বছরের ১৫ ডিসেম্বর শুরু হতে যাওয়া বিগ ব্যাশ শেষ হবে আগামী বছরের ২৭ জানুয়ারি। একসময় বিপিএলও হওয়ার কথা। তাই স্বাভাবিকভাবেই রিশাদের জন্য খেলাটা সহজ হবে না।

    গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি স্পিনার রিশাদ হোসেন। দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে সবার নজর কেড়েছেন এই ডানহাতি বোলার। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ১৪টি উইকেট নেন রিশাদ হোসেন। টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারির তালিকায় তিনি ছয়ে ছিলেন। এছাড়া ছিলেন আসরের ফ্যান্টাসি সেরা একাদশে।

    রিশাদ ছাড়াও আরও বেশকজন ক্রিকেটার নিলামে নাম দিয়েছেন। তারা হলেন হাসান মাহমুদ, জাকের আলী অনিক, রনি তালুকদার, শামীম হোসেইন, তাইজুল ইসলাম, তানজিদ হাসান তামিম, তানজিম হাসান সাকিব এবং মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। তারা কেউ দল পান কিনা, সেটাই এখন দেখার বিষয়।

     

  • শেখ হাসিনাকে ফেরত দেয়া প্রসঙ্গে যা বললেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

    শেখ হাসিনাকে ফেরত দেয়া প্রসঙ্গে যা বললেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

    সদ্য ক্ষমতাচ্যুত প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে দেয়া প্রসঙ্গে বাংলাদেশের বর্তমান সরকারের সঙ্গে কূটনৈতিক চ্যানেলের মাধ্যমে কাজ করছেন বলে জানিয়েছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।

    স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) জার্মানির বার্লিনে জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে করা প্রশ্নের জবাবে জয়শঙ্কর এ কথা বলেন।

    সংবাদ সম্মেলনে এক সাংবাদিক ভারতে আশ্রয় নেওয়া বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরত পাঠানোর বিষয়ে প্রশ্ন করেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষ বলছে, তারা সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ চাইবে। ভারত কি এমন অনুরোধ বিবেচনা করবে?

    জয়শঙ্কর বলেন, ‘আপনারা জানেন, বাংলাদেশে সরকার পরিবর্তন হয়েছে। আমরা স্পষ্টতই এই সরকারের সঙ্গে কাজ করছি। এটি আমরা কূটনৈতিক চ্যানেলের মাধ্যমে করি, গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে নয়।’

    উল্লেখ্য, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। তিনি এখন ভারতেই অবস্থান করছেন।

  • প্রকল্প বাস্তবায়নে সব চেয়ে বেশি ব্যায় ধরা হয়েছে বাংলাদেশে-শিক্ষা উপদেষ্টা।

    প্রকল্প বাস্তবায়নে সব চেয়ে বেশি ব্যায় ধরা হয়েছে বাংলাদেশে-শিক্ষা উপদেষ্টা।

    অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পরিকল্পনা ও শিক্ষা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ বলেন এই মুহূর্তে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করে অর্থনীতি স্থিতিশীল রাখা। সে চেষ্টাই করছে সরকার। তবে প্রচলিত ধারণা অনুযায়ী শুধু জিডিপি (মোট দেশজ উৎপাদন) বাড়লেই অর্থনীতি ভালো হয় না। এজন্য টেকসই প্রবৃদ্ধি অর্জনের পাশাপাশি কর্মসংস্থান সৃষ্টি করাই সরকারের লক্ষ্য। তিনি বলেন, উন্নয়ন প্রকল্পের দুর্নীতির বিষয়টি দেখা হবে। কেননা বিশ্বের সবচেয়ে বেশি ব্যয় করা হয়েছে এদেশের প্রকল্প বাস্তবায়নে। এ কাজে একটু সময় লাগবে।

    গতকাল বুধবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে অবস্থিত তার কার্যালয়ে একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন।

    প্রশ্ন : উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর বিষয়ে আপনারা কী ভাবছেন?
    ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ : রাজনৈতিক সরকারের আমলের মতো দেশে আর উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রকল্প থাকবে না। গত দেড় দশকে নেওয়া বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে বিশৃঙ্খলা রয়েছে। বড় বড় প্রকল্প কেন এতবার সংশোধন করা হয়েছে, নকশা কেন সংশোধন করতে হয়েছে, বারবার সংশাধন ও ব্যয় বাড়াতে হয়েছে। কাদের স্বার্থে এগুলো করা হয়েছে। অদক্ষতা বা কিছুটা হলেও ঠিকাদারদের যোগসাজশে এসব করা হয়েছে। ভবিষ্যতে যাতে এরকম ভুল আমরা না করি সেজন্য চেষ্টা থাকবে। এজন্য একটি প্রতিবেদন তৈরি করা দরকার। সরকারের অনেক জায়গায় বড় বড় দুর্নীতি আছে। এটা আমরা সবাই জানি। যেগুলো অনেক কম খরচে হতে পারত। কিন্তু উপযুক্ত মূল্যায়ন ও উপযুক্ত বাস্তবায়নের অভাবে খরচ বেড়ে গেছে। দেশের মেগা প্রকল্পগুলোর প্রতি ইউনিট রাস্তা বা সড়ক বা বিভিন্ন অবকাঠামোতে যে ব্যয় হয়েছে তা বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। আমরা সেগুলো দেখছি। তবে সময় লাগবে।

    প্রশ্ন : কোনো প্রকল্প বন্ধ করা হবে কি না?

    ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ : বিভিন্ন সময় রাজনৈতিক স্বার্থে প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। প্রকল্প চলমান আছে বলেই যে রাখতে হবে সেটি বড় কথা নয়। যেসব প্রকল্প এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে আছে সেগুলোতে যদি মনে হয় অপচয়মূলক এবং রেখে লাভ নেই, তবে কিছুটা আর্থিক ক্ষতি সহ্য করে হলেও বাদ দিতে হবে। এজন্য দ্রুত পরীক্ষা-নিরীক্ষা হচ্ছে। যেসব প্রকল্পের আসলেই গুরুত্ব নেই সেগুলোকে মূল্যায়ন করা হচ্ছে। নতুন প্রকল্প হলে এরপরই একনেকে উপস্থাপন করা হবে। চলমান প্রকল্পে আসলে কিছুটা খরচ হয়েছে বলেই যে পুরোটা শেষ করতে হবে সেটি বড় কথা নয়, পরে আরও কত খরচ হবে সেটি দেখতে হবে। যৌক্তিক অর্থনৈতিক বিবেচনা হলো কত খরচ করেছি সেটি বড় কথা না, বাকি কত খরচ করতে হবে এবং পুরো প্রকল্প থেকে কত সুবিধা পাব। কিছু খরচ হয়েছে বলেই আমার মানসিক চাপ থাকবে যে কেন খরচ করলাম, কিছু তো হলো না তা নয়। এটা অর্থনৈতিক যুক্তিতে খাটে না। এটাকে আমরা নির্জিত ব্যয় বলি।

    প্রশ্ন : নতুন সরকারের একনেক কখন অনুষ্ঠিত হবে?
    ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ : আগামী ১৮ সেপ্টেম্বর এই সরকারের প্রথম একনেক বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অনুষ্ঠেয় বৈঠকের পর আমি অনেক কিছুই বলতে পারব। কেননা সেখানে প্রকল্প সংশ্লিষ্ট অনেক বিষয়ই আলোচনা হবে। আমরা পর্যালোচনা না করে কোনো প্রকল্প একনেক উপস্থাপন করছি না।

    প্রশ্ন : এই মুহূর্তের চ্যালেঞ্জ কী?

    ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ : জিডিপির (মোট দেশজ উৎপাদন) হিসাবে এমনিতেই সমস্যা আছে। জিডিপি বাড়লেই কি সব হয়ে গেল। বরং জিডিপির গুণগত মান অনেক বেশি দরকার। আমাদের প্রয়োজন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা। অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য জিডিপি বাড়ানোর ক্ষেত্রে অনেক বেশি ব্যয় করার চেয়ে যেটুকু ব্যয় করা হয় তা সাশ্রয় করে এমন প্রকল্প বা কৌশল গ্রহণ করা, যাতে অতিশিগগিরই কর্মসংস্থান বাড়ানো যায়। আমাদের কাছে জিডিপি বাড়ানোর চেয়ে কর্মসংস্থান বাড়ানো জরুরি। যদিও দুটি একে অপরের সঙ্গে সম্পৃক্ত। এরপরও কর্মসংস্থান বাড়ানোটা অনেক বেশি জরুরি।

    প্রশ্ন : মেগা প্রকল্প বিষয়ে কিছু বলুন?

    ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ : এর আগে প্রকল্প অনেক বেশি করতে চেয়েছি সেটা অনেকটা প্রেস্টিজ প্রকল্পের মতো। বড় বড় প্রকল্প, যাচাই-বাছাই না করে, অর্থায়নের দায় বিদেশি ঋণের দায় চিন্তা না করে গ্রহণ করা হয়েছে। ঠিকাদার বা বিভিন্ন স্বার্থগোষ্ঠীর জন্য এমনভাবে নেওয়া হয়েছে। এগুলো সুপরিকল্পিত বা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে করা হয়নি। এগুলো নিয়ে কাজ করছি। এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। এই মুহূর্তে বলার মতোও কিছু হয়নি।

    সূত্র: দৈনিক যুগান্তর

     

  • ঠাকুরগাঁওয়ে সাংবাদিকসহ আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা।

    ঠাকুরগাঁওয়ে সাংবাদিকসহ আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা।

    ঠাকুরগাঁওয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচিতে হামলা এবং হত্যার উদ্দেশ্যে মারপিট, অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায়ের অভিযোগে দুই সাংবাদিক ও ৩৫ আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীর নামে মামলা করা হয়েছে।
    মামলায় বেসরকারি যমুনা টেলিভিশনের ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি পার্থ সারথী দাস ও দেশ টেলিভিশন-আমাদের সময় পত্রিকার প্রতিনিধি শাকিল আহমেদ ও  সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অরুনাংশু দত্ত, পৌর যুবলীগের সভাপতি আমির হোসেন, জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সমীর দত্ত, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য রয়েল বড়ুয়া, পৌরসভার প্যানেল মেয়র কাইয়ুম চৌধুরীসহ আওয়ামী লীগের ৩৫ নেতা-কর্মীকে আসামি করা হয়েছে। এ মামলায় অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে আরও ১০০ থেকে ১৫০ জনকে।
    বুধবার দুপুরে শিক্ষার্থী মো. মামুন ইসলাম ঠাকুরগাঁও চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিত্যানন্দ সরকারের আদালত একটি অভিযোগ দায়ের করেন। পরবর্তীতে অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দেন আদালত।
    মামলার বাদী মো: মামুন ইসলাম (১৯) সদর উপজেলার দৌলতপুর সিঙ্গিয়া গ্রামের মো. তাজেল এর ছেলে।
    মামলার অন্যান্য আসামিরা হলেন- জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক দেবাশীষ দত্ত সমীর, ঠাকুরগাঁও পৌরসভার প্যানেল মেয়র ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী, ছাত্রলীগ নেতা রয়েল বড়ুয়া, ঠাকুরগাঁও সংরক্ষিত নারী আসনের সাবেক সংসদ সদস্য দ্রৌপদী দেবী আগরওয়ালার ছেলে ও জেলা যুবলীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক রাজীব পোদ্দার শশী, সজীব দত্ত, ল্যাংড়া সাদ্দাম, মুন্সিপাড়ার ফরহাদ, আতাউর রহমান, পূর্ব গোয়ালপাড়ার সিদ্দিক, যুবলীগ নেতা আমির হোসেন রুবেল, আট-গ্যালারি এলাকার জাকারিয়া প্রমানিক, আশ্রম পাড়ার খোকন চৌধুরী, টেংগাঁ বাবু, পশ্চিম মুন্সিপাড়ার এলাকার বাবুর্চি রানা, শিল্পকলার এলাকার তনু, আশ্রম পাড়ার মিরাজ ইসলাম, মুন্সিপাড়ার রায়হান ইসলাম, মামুস রানা, ডিসিবস্তি এলাকার সোহাগ ইসলাম, ভুল্লী কুমার এলাকার সরকার আসাদুজ্জামান, শাসলাপিয়ালা এলাকার তাজউদ্দীন, আশ্রমপাড়ার উৎপল গুহ ঠাকুরতা, মুন্সিপাড়ার মিন্টু, রানা ইসলাম, জমি দাস, সুয়েল, বাপ্পি, কলেজপাড়ার  ইকবাল, বাপ্পী, দুওসুও ইউনিয়নের নোমান (অভি) শ্রী শচীন বর্মণ ও ভুল্লীর শাসলাপিয়ালা এলাকার রফিক মিয়া।
    মামলার এজাহারে বলা হয়, গত ৪ আগস্ট ঠাকুরগাঁও শহরের চৌরাস্তায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি চলছিল। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আসামিরা লাঠিসোঁটা, লোহার রড, ককটেল, হাতবোমা নিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছাত্রদের ওপর হামরা চালান। ছাত্রদের প্রতিহত করতে ককটেল ও হাতবোমা ছোড়েন। বেলা আড়াইটার দিকে মামুন ইসলাম শহরের আর্টগ্যালারি মোড়ে পৌঁছালে আসামিরা তাঁকে ঘিরে ফেলে ককটেল ও হাতবোমা ফাটান। পরে আসামিরা রামদা, চাইনিজ কুড়াল ও পিস্তল দিয়ে মামুনকে ভয়ভীতি দেখান। আসামি মো. সিদ্দিক তাঁর প্যান্টের পকেট থেকে ৭ হাজার ৫০০ টাকা ছিনিয়ে নেন। তাজউদ্দিন নামে আরেক আসামি রামদা দিয়ে মামুনের মাথায় কোপ দেন। আসামি ফরহাদ চাইনিজ কুড়াল দিয়ে মামুনের পায়ে আঘাত করেন। ইকবাল লোহার রড দিয়ে বুকের পাঁজরে আঘাত করলে পাজরের হাড় ভেঙে যায়। পরে মামুনকে আসামিরা সমীর দত্তের চেম্বারে নিয়ে গিয়ে মামুনের বাবার কাছে ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। মামুনের বাবা ৩০ হাজার টাকা নিয়ে এলে আসামিরা তাঁর কাছ থেকে মামলা না করার শর্তে ফাঁকা নন–জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে সই নেন। পরে তাঁরা মামুনকে ছেড়ে দেন।
    এব্যাপারে মামলার বাদী মামুন ইসলামের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি মুঠোফোন রিসিভ করেননি।
    এই মামলায় যমুনা টেলিভিশনের প্রতিনিধি পার্থ সারথি দাশকে ৩০ নম্বর আসামি ও দেশ টেলিভিশনের প্রতিনিধি শাকিল আহমেদকে ৩৪ নম্বর আসামি করা হয়েছে।
    মামলা প্রসঙ্গে পার্থ সারথি দাশ বলেন, ‘আমি সাংবাদিকতা করি। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আমরা সব সময় ছাত্রদের পাশে থেকে সমর্থন দিয়ে এসেছি। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচিতে হামলা ও আন্দোলনের এক ছাত্রকে মারধর করার পর অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়ের মতো মামলায় নিজের নাম দেখে আমি বিস্মিত হয়েছি।’
    শাকিল আহমেদ বলেন, ‘মামুন ইসলাম নামের ওই শিক্ষার্থী কেন আমার বিরুদ্ধে এমন একটি মামলা করলেন, তা বুঝে উঠতে পারছি না। মামলার এজাহারে তাঁর মুঠোফোন নম্বরও নেই যে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করব। রাজনৈতিক এই মামলায় দুই সাংবাদিকের নাম দেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে সাংবাদিক মহল।
    এ বিষয়ে জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি জয়নাল আবেদিন বলেন, মামলাটি তদন্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করার জন্য ঠাকুরগাঁও সদর থানার ওসিকে নির্দেশ প্রদান করেছেন।
    সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এবি এম ফিরোজ ওয়াহিদ জানান, এখন পর্যন্ত মামলার কাগজপত্র হাতে পাইনি। পেলেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
  • আর্থিক স্থিতিশীলতা রক্ষার্থে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের টাস্কফোর্স গঠন।

    আর্থিক স্থিতিশীলতা রক্ষার্থে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের টাস্কফোর্স গঠন।

    ডেস্ক নিউজঃ দেশের আর্থিক স্থিতিশীলতা রক্ষার্থে ও ব্যাংকিং খাত সংস্কারের জন্য ৬ সদস্য বিশিষ্ট একটি টাস্কফোর্স গঠন করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।বুধবার প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

    টাস্কফোর্সের সদস্যগণ হলেন প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক বিষয়ক বিশেষ দূত ড.লুৎফে সিদ্দিকী,কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর মুহাম্মদ এ.রুমি আলী,ব্রাক ব্যাংকের চেয়ারম্যান মেহরিয়ার এম হাসান,বিশ্ব ব্যাংক গ্রুপ ঢাকা অফিসের সাবেক প্রধান ড.জাহিদ হোসেন,জেডএনআরএফ ইউনিভার্সিটি অব ম্যানেজমেন্ট সাইন্সের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. এম জুবায়দুর রহমান,হুদা ভাসি চৌধুরী এন্ড কোম্পানির পার্টনার সাব্বির আহমেদ এফসিএ।

    টাস্কফোর্স প্রধানত ব্যাংকিং খাতের বর্তমান আর্থিক পরিস্থিতি, মন্দ সম্পদ এবং প্রধান প্রধান ঝুঁকিসমূহ নিরূপণ, দুর্বল ব্যাংকগুলোর আর্থিক সূচক পর্যালোচনা, ঋণের প্রকৃত অবস্থা নিরূপণ, প্রভিশন ঘাটতি নিরূপণ, তারল্য পরিস্থিতি পর্যালোচনা, নীট মূলধন নির্ণয়, সম্পদের প্রকৃত মূল্য নির্ধারণ, সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের মন্দ সম্পদকে পৃথকীকরণ সংক্রান্ত কার্যক্রম পরিচালনা করবে।

    এছাড়াও টাস্কফোর্সের মাধ্যমে সংকটকালীন প্রতিঘাতসক্ষমতা অর্জনে ব্যাংকের সুশাসন এবং ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা শক্তিশালীকরণ প্রক্রিয়ার আওতায় রেগুলেটরি ফ্রেমওয়ার্ক উন্নয়ন, ব্যাংকের সিদ্ধান্ত গ্রহণে রাজনৈতিক এবং কর্পোরেট প্রভাব সীমিতকরণ, ব্যাংকের মালিকানা সংস্কার ইত্যাদি সংক্রান্ত প্রস্তাবনা প্রদান, প্রবলেম ব্যাংকের জন্য রিকভারি এবং রেজুলেশন ফ্রেমওয়ার্ক ও সংশ্লিষ্ট গাইডলাইন প্রস্তুতকরণ, দুর্বল ব্যাংকসমূহের জন্য বিভিন্ন নীতিগত ব্যবস্থা/পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। টাস্কফোর্স আর্থিক খাত সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন আইন যেমন ব্যাংক কোম্পানি আইন, বাংলাদেশ ব্যাংক অর্ডার, ইত্যাদি সংস্কার এবং অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি, ব্যাংক অধিগ্রহণ, একীভূতকরণ আইন প্রণয়ন, সংস্কার ও যুগোপযোগীকরণের প্রস্তাব প্রদান করবে এবং ব্যাংকিং খাতের শ্বেতপত্র প্রকাশের পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।

    উল্লেখ্য,টাস্কফোর্সের সার্বিক কার্যাবলী বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর সমন্বয় করবেন।

     

  • ঠাকুরগাঁও হাসপাতালে এক সপ্তাহে ডেঙ্গু নিয়ে ৯ জন রোগী ভর্তি।

    ঠাকুরগাঁও হাসপাতালে এক সপ্তাহে ডেঙ্গু নিয়ে ৯ জন রোগী ভর্তি।

    ঠাকুরগাঁও জেলায় হঠাৎ করেই ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় ঠাকুরগাঁও ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ২ জন রোগী ভর্তি হয়েছে। এছাড়াও গত সাত দিনে ঠাকুরগাঁও ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে ৯ জন রোগী ভর্তি হয়েছে।
    গত মাসের জুলাই থেকে থেকেই হঠাৎ করেই ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালে রোগী ভর্তির সংখ্যা বাড়তে থাকে । সেপ্টেম্বরে শুরু থেকে ৭ দিনে  মোট  ৯ জন রোগী ভর্তি হয়।
    চিকিৎসরা বলছেন, ভর্তি রোগীর মধ্যে বেশিরভাগই ঢাকা থেকে আক্রান্ত হয়ে ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতাল চিকিৎসা নিচ্ছেন। এছাড়া ঠাকুরগাঁও জেলাতেও দুইজন রোগী স্থানীয়ভাবে ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়েছেন।
    ঢাকা থেকে আক্রান্ত হওয়া মোহাম্মদ আলী  বলেন, আমি ঢাকায় ব্যবসার কাজে গিয়েছিলাম । দীর্ঘ ১ মাস পরে আমি বাসায় আসি। বাসায় আসার পরে জ্বর অনুভূত হতে থাকে। পরবর্তীতে ডাক্তার দেখালে আমার ডেঙ্গু সনাক্ত হয়। বর্তমানে আমি এখানে চিকিৎসা নিচ্ছি।
    রুহিয়া থানার অন্তর্গত শুকান্ত বর্মন বলেন, আমি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় লেখাপড়া করি। সেখান থেকে আমি আক্রান্ত হয়ে বর্তমানে ঠাকুরগাঁও হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছি।
    ঠাকুরগাঁও ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের জুনিয়র কনসানডেন্ট ডাক্তার জাহিন মিঠু বলেন, জুলাইয়ের শেষে থেকেই ঠাকুরগাওয়ে ডেঙ্গু রোগীর ভর্তি সংখ্যা বাড়তে থাকে। সেপ্টেম্বরে আসে এটির মাত্রা আরো বৃদ্ধি পায়। গত কয়েকদিনেই আমাদের এখানে ভর্তি হয়েছে ৯ জন। এছাড়াও ঠাকুরগাঁও থেকেও দুজন আক্রান্ত হয়ে আমাদের এখানে চিকিৎসা নিয়েছেন। এই ক্ষেত্রে আমাদের সবাইকে একটু সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
  • রামপালে ছাত্রদলের শান্তি-শৃঙ্খলা বিষয়ক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত।

    রামপালে ছাত্রদলের শান্তি-শৃঙ্খলা বিষয়ক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত।

    রামপাল(বাগেরহাট)প্রতিনিধিঃ বাগেরহাটের রামপালে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের শান্তি-শৃঙ্খলা বিষয়ক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
    মঙ্গলবার(১০ সেপ্টেম্বর) বিকাল সাড়ে ৫ টায় জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল বাঁশতলী ইউনিয়ন শাখার আয়োজনে গিলাতলা বাজারে বিএনপির কার্যালয়ে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
    আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আলতাফ হোসেন (বাবু)।
    বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি যুগ্ম আহ্বায়ক ফকির শাহাদাত হোসেন, এস. এম. আব্দুল্লাহ, এনামুল কবীর প্রিন্স ও মুজিবুর রহমান ও উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব এস. এম. আলমগীর কবির বাচ্চু।
    আলোচনা সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মোল্লা তরিকুল ইসলাম (শোভন)। বিশেষ বক্তার বক্তব্য রাখেন উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য মোফাজ্জল হোসাইন (বাদল) ও ইমরান হাওলাদার (তুহিন)।
    অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি মোল্লা বাকী বিল্লাহ এবং সঞ্চালনা করেন ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ ইয়াছিন আরাফাত।
    সভায় বক্তারা বলেন, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলে বিশৃঙ্খলাকারীদের কোন স্থান নেই। সবাইকে শান্ত থাকতে হবে। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি’র) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দিকনির্দেশনা অনুযায়ী সবাইকে সামনের দিকে সুসংগঠিত হয়ে এগিয়ে যেতে হবে। কোন দুষ্কৃতকারীকে দলে জায়গা দেয়া হবেনা। আলোচনা শেষে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও দেশনায়ক তারেক রহমানের সুস্থতা কামনা, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যারা শাহাদত বরণ করেছেন তাদের সকলের আত্নার মাগফিরাত এবং আহতদের দ্রুত সুস্থতার জন্য দোয়া করা হয়।