Author: admin

  • কালিহাতীতে যাত্রীবাহী বাস খাদের পানিতে পড়ে এক যাত্রীর মৃত্যু।

    কালিহাতীতে যাত্রীবাহী বাস খাদের পানিতে পড়ে এক যাত্রীর মৃত্যু।

    টাঙ্গাইল প্রতিনিধিঃ টাঙ্গাইলের কালিহাতি উপজেলার টাঙ্গাইল-ভূঞাপুর আঞ্চলিক সড়কে একটি যাত্রীবাহী বাস খাদে পড়ে এক যাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে ১৫ জন। নিহত বাসযাত্রী ছায়েদ আলী(৬২)নওগাঁর পোরশা উপজেলার কোচপুর গ্রামের মৃত নূর মোহাম্মদের ছেলে।

    আহতদের উদ্ধার করে টাঙ্গাই জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে।

    মঙ্গলবার(২১ সেপ্টেম্বর )ভোরে টাঙ্গাইল-ভূঞাপুর আঞ্চলিক সড়কের নারান্দিয়া ইউনিয়নের যাদুরপাড়া এলাকায় এই মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে।

    নিহতের স্বজনদের সূত্রে জানা যায় নিহত ছায়েদ আলী তার তিন নিকট আত্মীয় নিয়ে সোমবার রাতে নওগাঁ থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হন।বাসটি বঙ্গবন্ধু সেতু পাড় হয়ে মহাসড়ক দিয়ে না গিয়ে ভূঞাপুর হয়ে আঞ্চলিক সড়ক দিয়ে ঢাকা যাওয়ার সময় যাদুপাড়া এলাকায় বাসটি সড়কের বাক ঘোড়ার সময় নিয়ন্ত্রণ হাড়িয়ে খাদের পানিতে পড়ে যায়।

    এ সময় একাধিক যাত্রী জানান গাড়ির চালক ঘুমিয় বাস চালাচ্ছিলেন।বারবার তাকে সতর্ক করার পরেও এই নির্জণ এলাকায় এসে সড়ক দুর্ঘটনার কবলে পড়লো সেই সাথে ঝড়ে গেল এক বৃদ্ধর প্রাণ। ঘটনার পর বাসের চালক,সুপারভাইজার ও হেলপারদের পাওয়া যায়নি।

    টাঙ্গাইল ফায়ার সার্ভিসের উপ সহকারী পরিচালক আলাউদ্দিন জানান দুর্ঘটনার সংবাদ পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধার কর্মীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে একজনের মৃতদেহ উদ্ধার করে স্বজনদের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়।বাসটি সড়কের বাক ঘুরতেই নিয়ন্ত্রণ হাড়িয়ে খাদের পানিতে পড়ে দুর্ঘটনার কবলে পরে এবং একজন নিহত হয়।

  • কাজিপুরের নাটুয়ারপাড়ায় মটরসাইকেলসহ চোর আটক।

    কাজিপুরের নাটুয়ারপাড়ায় মটরসাইকেলসহ চোর আটক।

    কাজিপুরের নাটুয়ারপাড়ায় মটরসাইকেলসহ চোর আটক।

    কাজিপুর(সিরাজগঞ্জ)প্রতিনিধিঃ সিরাজগঞ্জের কাজিপুরে মটরসাইকেলসহ এক মোটরসাইকেল চোরকে আটক করেছে নাটুয়ারপাড়া ফাঁড়ি পুলিশ।

    ২১ শে সেপ্টেম্বর (মঙ্গলবার) সকাল ১০টায় উপজেলার নাটুয়ারপাড়া ইউনিয়নের মগবাজার এলাকা হতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওই মোটরসাইকেল চোর চক্রের সদস্যকে আটক করা হয়েছে।
    আটককৃত আব্দুস সালাম (৪৫) নাটুয়ারপাড়া ইউনিয়নের ঘোড়াগাছা গ্রামের মৃত হযরত আলীর পুত্র।

    আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে নাটুয়ারপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ তসলিম উদ্দিন জানান,চোরাই গাড়ি কেনা-বেচার সাথে সম্পৃক্তদের আইনের আওতায় আনতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে এবং গ্রেফকারকৃত আসামীর ব্যাপারে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে ব্যবস্হা নেওয়া হবে।

    তিনি আরও বলেন-এই চোরাই চক্রের সাথে একটি সক্রিয় গ্যাঙ জড়িত আছে বলে প্রাথমিক জিঙ্গাসা বাদে জানা যায়।

  • লক্ষ্মীপুরে ‘স্বপ্নযাত্রা’ এ্যাম্বুলেন্স সেবা পাবেন চরাঞ্চলের মানুষ।

    লক্ষ্মীপুরে ‘স্বপ্নযাত্রা’ এ্যাম্বুলেন্স সেবা পাবেন চরাঞ্চলের মানুষ।

    সোহেল হোসেন,লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধিঃ প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন ‘আমার গ্রাম, আমার শহরথবাস্তবায়নে লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে ‘স্বপ্নযাত্রা’ নামে একটি এ্যাম্বুলেন্স সেবা চালু করা হয়েছে।এ্যাপস এর মাধ্যমে এ্যাম্বুলেন্সটির সেবা গ্রহণ করতে পারবে রামগতির চরবাদাম এলাকার বাসিন্দারা।

    জেলা প্রশাসন ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সহযোগিতায় এবং এলজিএসপি-৩ কর্মসূচীর আওতায় উপজেলার চরবাদাম ইউনিয়নবাসীর জনগণের স্বাস্থ্য সেবায় এ্যাম্বুলেন্স সেবার উদ্বোধন করেন লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক মো. আনোয়ার হোছাইন আকন্দ।

    জানা গেছে, এলজিএসপি-৩ কর্মসূচীর আওতায় ১১ লাখ, স্থানীয় এমপির আড়াই লাখ, জেলা প্রশাসকের এক লাখ এবং বিভিন্ন গণ্যমান্য ব্যক্তিদের আর্থিক সহযোগিতায় এ্যাম্বুলেন্সটি ২১ লাখ ৭৪ হাজার টাকা ব্যয়ে ক্রয় করা হয়েছে।

    চরবাদাম ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রের মাধ্যমে যেকোন ব্যক্তি জরুরী প্রয়োজনে এ্যাপস এর মাধ্যমে সীমিত খরচে এ্যাম্বুলেন্সটির সেবা গ্রহণ করতে পারবে।
    সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে আনুষ্ঠানিকভাবে এ্যাম্বুলেন্স সেবার উদ্বোধন করা হয়েছে।

    উপজেলার একটি চাইনিজ রেষ্টুরেন্টে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক মো. আনোয়ার হোছাইন আকন্দ।

    এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. নুর-এ আলম, রামগতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আব্দুল মোমিন, রামগতি পৌরসভার মেয়র মেজবাহ উদ্দিন মেজু, রামগতি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. সোলাইমান, রামগতি উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুল ওয়াহিদ মুরাদ, সিনিয়র সহ-সভাপতি ড.আশরাফ আলী চৌধুরী সারু।

    চরবাদাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাখাওয়াত হোসেন জসিমের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান রাহিদ হোসেন,মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফাতেমা ফারুক,চররমিজ ইউপি চেয়ারম্যান মোজাহিদুল ইসলাম দিদার,রামগতি উপজেলা সাংবাদিক ইউনিটির সভাপতি রিয়াজ মাহমুদ বিনু ও সাধারণ সম্পাদক আমানত উল্যাহ সোহেল হোসেন আরজেএফ লক্ষ্মীপুর জেলা শাখার দপ্তর সম্পাদক প্রমুখ।

  • দাসেরহাটে ড্রেন নির্মাণে বিবদমান দুই পক্ষের উত্তেজনা সংঘর্ষের আশঙ্কা।

    দাসেরহাটে ড্রেন নির্মাণে বিবদমান দুই পক্ষের উত্তেজনা সংঘর্ষের আশঙ্কা।

    সোহেল হোসেন,লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধিঃ লক্ষ্মীপুরে চন্দ্রগঞ্জ থানাধীন দাসেরহাট বাজারে ব্যক্তি মালিকানাধীন দ্বিতল ভবনের ময়লা পানি নিষ্কাশনের জন্য ড্রেন খোঁড়াখুঁড়িকে কেন্দ্র করে মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছেন দুইপক্ষ। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে যে কোনো সময় দাঙ্গা হাঙ্গামার আশঙ্কা করছেন বাজারের ব্যবসায়ী ও এলাকাবাসী।

    বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়ভাবে একাধিকবার শালিস বৈঠক হলেও এখন পর্যন্ত কোনো সুরাহা হয়নি বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। এদিকে রাস্তা কেটে ড্রেন নির্মাণের জন্য খোঁড়াখুঁড়ি করার দুই মাসেও কাজ শেষ না হওয়ায় সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন ব্যবসায়ীসহ সাধারণ মানুষ।

    সরেজমিনে জানা যায়,দাসেরহাট বাজারের ব্যাংক রোডে একটি দ্বিতল ভবনের মালিক কাজল ও নুর হোসেন বাবুল নামে স্থানীয় দুই প্রভাবশালী ব্যক্তি সম্প্রতি তাদের ভবনের সেফটিক ট্যাংকি ও গৃহস্থালী কাজে ব্যবহৃত ময়লা পানি অপসারণের জন্য বাজারের সওজ বিভাগের মালিকানাধীন রাস্তা কেটে ড্রেন নির্মাণ করে,এরপর ওই ড্রেনের ভেতর দিয়ে আরেকটি পাইপ লাইন বসাতে খোঁড়াখুঁড়ি করা হয়। এই পাইপ লাইনটি স্থানীয় রূপাচরা সফিউল্যা উচ্চ বিদ্যালয় ও একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে দিয়ে পাশ্ববর্তী খালে ময়লা ফেলার জন্য ড্রেন নির্মাণ কাজে বাঁধা দেয় বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। অথচ এ ড্রেনে আগ থেকে আরো ২১/২২টি সংযোগ থাকলেও তখন বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বাধা না দেওয়ায় এলাকায় এখনকার কর্মকান্ড নিয়ে তাদের বিষয়ে নানা প্রশ্নের সৃষ্টি হয় বলে জানা গেছে।

    অপরদিকে সড়ক বিভাগের অনুমতি না নিয়ে রাস্তা কেটে ড্রেন নির্মাণ করায় সড়কের পাশে অবস্থিত পল্লী বিদ্যুতের একটি খুঁটি ভেঙ্গে পড়ে। এতে ওই খুঁটি থেকে সংযোগকৃত তিনটি মিটার ভেঙে যায়। পরে ওই ভবনের মালিক ক্ষতিপূরণ দিলে পুনরায় লাইন মেরামত করে সংযোগ চালু করেন পল্লী বিদ্যুৎ বিভাগের লোকজন।

    পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির চন্দ্রগঞ্জ সাব-জোনাল অফিসের সহকারী জেনারেল ম্যানেজার (এজিএম) কাজী মোহাম্মদ মহসীন বলেন,সড়কের পাশে ড্রেন খোঁড়ার কারণে বিদ্যুতের খুঁটি পড়ে গিয়েছিল। পরে ভবন মালিকের পক্ষথেকে ক্ষতিপূরণ বাবদ অর্থ জমা দিলে ঠিকাদারের লোকজন লাইনটি মেরামত সম্পন্ন করে।

    স্থানীয় রূপাচরা সফিউল্যা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহবুবুর রহমান অভিযোগ করে বলেন, একটি ব্যক্তি মালিকানাধীন ভবনের সেফটিক ট্যাংকির বর্জ্য অপসারণের জন্য বিদ্যালয়ের সামনে দিয়ে ড্রেন নির্মাণ এবং সেই ড্রেনের ভেতরে পাইপ বসিয়ে ময়লা বিদ্যালয় সংলগ্ন খালে ফেলা হলে পরিবেশের মারাত্মক বিপর্যয় হবে। বিদ্যালয়ের কয়েক হাজার ছাত্র-ছাত্রীর স্বাস্থ্য ঝুঁকির মধ্যে ফেলে আমি এমন কাজ করতে দিতে পারি না। তাই বিষয়টি আমি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাসুম ও চন্দ্রগঞ্জ থানায় অবহিত করেছি। এরপর প্রশাসন কাজটি বন্ধ করে দেয়। প্রধান শিক্ষক আরো বলেন,গত ১১ সেপ্টেম্বর বিষয়টি নিয়ে চন্দ্রগঞ্জ থানায় বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু প্রশাসনিক একটি জুম মিটিংয়ের কারণে আমি ওই বৈঠকে যেতে পারিনি।

    নুর হোসেন বাবুলের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ,তার কয়েকজন সাঙ্গপাঙ্গদের কয়েকজন ব্যাক্তিগ আক্রোশ অবৈধ ও ব্যাক্তিগত সুবিধা না পেয়ে নানা ভাবে ষড়যন্ত্র ও হয়রানি করে আসছে। অথচ এ ড্রেনে বিদ্যালয়েরই নিজস্ব ময়লা অপসারনের পাইপ সংযুক্ত লাইন সহ আরো ২১/২২ টি সংযোগ লাইন রয়েছে। কেবল তার লাইনটি কেবল ছাত্রছাত্রীদের ক্ষতি ও পরিবেশের বিপর্যয় ঘটবে।তবে ভবনের মালিক নুর হোসেন বাবুল বলেন,সেফটিক ট্যাংকি পুরে যাওয়ার কারণে আমরা নিজস্ব খরচে বাজার বণিক সমিতির অনুমতি নিয়ে ড্রেন নির্মাণ কাজ শুরু করি। কিন্তু রূপাচরা সফি উল্যা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহবুবুর রহমান উপজেলা প্রশাসনকে অভিযোগ করে কাজটি বন্ধ করে দেয়। পাশাপাশি আমাদের লাখ টাকা ব্যয় করে বসানো পিভিসি পাইপ লোকজন দিয়ে ভেঙ্গে ফেলেন তিনি। এখন বিষয়টি নিয়ে চন্দ্রগঞ্জ থানায় বেশ কয়েকবার বৈঠক হয়েছে,কিন্তু এখনো সমাধান হয়নি।

    স্থানীয় চরশাহী ইউপি চেয়ারম্যান ও দাসেরহাট বাজার বণিক সমিতির সভাপতি গোলজার মোহাম্মদ বলেন, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো মাহবুবুর রহমান নিজের কর্তৃত্ব বহির্ভুতভাবে ড্রেন নির্মাণের কাজটি বন্ধ করেছেন। এটি তার এখতিয়ারের মধ্যে পড়েনা। কারণ,ড্রেনটি বাজারের সুবিধার্থে করা হচ্ছে। পাশাপাশি এই ড্রেনটি বিদ্যালয়ের সীমানার বাইরে। তাহলে,তিনি কীভাবে কাজটি বন্ধ করার জন্য প্রশাসনকে ব্যবহার করলেন?

    এ ব্যাপারে চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) একে ফজলুল হক জানিয়েছেন,দাসেরহাটে পয়ঃনিষ্কাশনের জন্য ড্রেন নির্মাণ নিয়ে থানায় একটি অভিযোগ হয়েছে। তবে বিষয়টি মিমাংসার জন্য এখনো কোনো বৈঠক হয়নি।তিনি বলেন, স্থানীয় চেয়ারম্যান ও বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে নিয়ে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করা হবে।

  • উল্লাপাড়ায় করতোয়ায় এইচটি ইমাম স্মৃতি ফাইনাল নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা।

    উল্লাপাড়ায় করতোয়ায় এইচটি ইমাম স্মৃতি ফাইনাল নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা।

    আজিজুর রহমান মুন্না,সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধিঃ মুজিব জন্ম শতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় সোনতলায় করতোয়া নদীতে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী এইচটি ইমাম স্মৃতি ফাইনাল নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    প্রতিযোগি নৌকার মাঝিমাল্লারা প্রতিযোগিতার সময় -হৈও – হৈও ধব্বনিতে করে আর মাল্লারা জারি সারি গান-নাচ করে এ নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা মুখরিত করে তোলে

    সোমবার(২০সেপ্টেম্বর)করতোয়া নদীতে উপজেলার দুর্গানগর ও সলপ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদ্বয় এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করেন।

    এতে স্থানীয় সংসদ সদস্য তানভীর ইমাম (এমপি) প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ফাইনাল নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন।

    এইচটি ইমাম স্মৃতি ফাইনাল নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতার প্রধান অতিথি তানভীর ইমাম (এমপি) বক্তব্যে বলেন,বর্ষা মৌসুম এলেই গ্রামে গ্রামে বাংলার ঐতিহ্যবাহী নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। অতীত সংস্কৃতির ধারাবাহিকতায় এখনও গ্রামের সৌখিন ব্যক্তিরা বড় বড় পানসি নৌকা তৈরি করে বর্ষা মৌসুমে জনগণকে বিনোদন দিয়ে থাকেন। এটা খুবই খুশির বিষয়। আমরা বাঙ্গালী সর্বদাই বিনোদন প্রেমী।

    উল্লাপাড়া উপজেলার সোনতলার করতোয়া নদীতে ৪ দিনব্যাপী এইচটি ইমাম স্মৃতি নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতার আয়োজন করায় বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনা ও আনন্দঘন পরিবেশে লাখো দর্শনার্থী শিশু-কিশোর,যুবক-যুবতী,বৃদ্ধ-বৃদ্ধা মানুষেরা আনন্দের সহিত এ নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা উপভোগ করেছেন।

    দুপুর হতে নদীর পাড়ে উপচেপড়া মানুষের ঢল নামে সোনাতলা পাকা বড় ব্রীজের উপর দুটি মঞ্চ করা হয়। সেখান থেকে নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা উপভোগ করেন অতিদ্বয় সহ পুরো ব্রীজে ছিলো মানুষ আর মানুষে পরিপূর্ণ।

    সোমবার বিকেলে ফাইনাল প্রতিযোগিতায় অংশ নেয় পাবনার সাথিয়া উপজেলার রেশমবাড়ির বাংলার বাঘ এক্সপ্রেস ও পাবনার সুজানগর উপজেলার শাড়ির ভিটা এক্সপ্রেস নামের দু’টি নৌকা। প্রতিযোগিতায় বিজয় হয় শাড়ির ভিটা । সন্ধ্যায় বিজয়ী নৌকার মালিকের হাতে প্রথম পুরস্কার হোন্ডার চাবি তুলে দেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি স্থানীয় সংসদ সদস্য তানভীর ইমাম।

    এ সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দেওয়ান মওদুদ আহমেদ,উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফয়সাল কাদের রুমি,সাধারন সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফা,উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান পান্না,উল্লাপাড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ হুমায়ুন কবির, আয়োজক কমিটির সভাপতি ও সলপ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার শওকাত ওসমান, সাধারণ সম্পাদক ও দুর্গানগর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ আফছার আলী,পূর্ণিমাগাঁতী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলামিন সরকার,কয়ড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হেলাল উদ্দিন,বিশিষ্ট সমাজ সেবক সুলতান হাফিজ খাঁন,সলপ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী এহসানুল হক সন্টু,এমপি তানভীর ইমামের একান্ত সহকারি মীর আরিফুল ইসলাম উজ্জল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

  • জাতীয় উন্নয়নে শিক্ষায় উদার দৃষ্টিভঙ্গি প্রয়োজন।

    জাতীয় উন্নয়নে শিক্ষায় উদার দৃষ্টিভঙ্গি প্রয়োজন।

    জুলফিকার বকুল
    শিক্ষক, ঢাকা ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিভার্সিটি স্কুল, গাজীপুর।
    ——————————————————

    উন্নত জাতি ও দেশ গঠনে শিক্ষার গুরুত্ব অনস্বীকার্য এ কথা আমরা প্রায় প্রতিনিয়ত শুনে থাকি।একটি দেশের জনসমষ্টিকে শিক্ষিত ও দক্ষ করে গড়ে তোলা মানেই মানব সম্পদের উন্নয়ন। মানব সম্পদ জাতির জন্য আশীর্বাদ স্বরুপ। যতক্ষণ তা অর্জিত না হয় ততক্ষণ এর বিরুপ প্রভাব জাতির জন্য বোঝা স্বরুপ।তাই জাতীয় উন্নয়নে মানব সম্পদ উন্নয়নের বিকল্প নেই।আর মানব সম্পদ উন্নয়নে শিক্ষাই একমাত্র প্রধান ভূমিকা রাখে।

    বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ পল জে মায়ার এর মতে, The greatest natural resource of our country is its people.

    আধুনিক অর্থনীতিবিদগণ মনে করেন যে,অন্যান্য সম্পদের মত মানুষও জাতীয় সম্পদ।বিভিন্ন অর্থনৈতিক সমীক্ষা ও বিশ্লেষণ থেকে জানা গেছে যে, একটি দেশের জাতীয় আয় ( GNP) যেমন- সে দেশের প্রাকৃতিক সম্পদের সাথে সম্পর্কযুক্ত ঠিক তেমনি দেশের মানুষের গুণগত মানের সঙ্গেও সম্পর্কযুক্ত।সমাজের উন্নয়নে প্রকৃতপক্ষে অর্থ ও বস্তুসম্পদের মত ব্যবহৃত হচ্ছে মানব সম্পদ।

    বিশিষ্ট সমাজবিজ্ঞানী কার্ল মার্কস মানুষকে তাই মানবীয় মূলধন ( Human capital ) হিসেবে বিবেচনা করেছেন। এই মানবিক মূলধনকে আধুনিক পরিভাষায় মানব সম্পদ ( Human resource) বলা হয়।মানব শক্তি তখনই মানব সম্পদে রুপান্তরিত হয়, যখন তাকে সুপরিকল্পিতভাবে পরিচালনা করা হয়।

    তাহলে দেখা যাচ্ছে যে,পরিকল্পনা,উন্নয়ন, পরিবর্তন, পরিবর্ধন সব কিছুতেই মানুষের সম্পৃক্ততা প্রতীয়মান হচ্ছে। এখন প্রশ্ন হলো মানুষকে কীভাবে উন্নত করা যায়?
    মানুষ তো এমনিতেই সৃষ্টির সেরা এবং উন্নত জীব। তাহলে আর উন্নত হওয়ার প্রয়োজন আছে কি?

    অবশ্যই আছে।কারণ, যে জাতি শিক্ষায় যতটা এগিয়েছে সে জাতি ততটাই বিশ্বদরবারে মাথা উচু করে দাঁড়িয়েছে।পরিবার থেকে শুরু করে জাতি উন্নয়নের  জন্য প্রয়োজন আগে মানবিক মূল্যবোধ সম্পন্ন মানুষ হওয়া।যা মানুষ প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা থেকে গ্রহন করে বাস্তবিক জীবনে প্রয়োগ করে।

    তাই অবকাঠামোগত ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রয়োজন থাকলেও মানুষ তৈরির বিষয়টাকে কিন্তু অবহেলা কিংবা ক্ষুদ্র দৃষ্টিতে দেখার বিন্দুমাত্র অবকাশ নেই। কারণ, মানুষ উন্নয়ন করে আবার মানুষই তা ভোগ করে।তাই উন্নয়ন করা ও তা ভোগ করার মেধা-দক্ষতাও অর্জন করতে  হয়।
    এক ভদ্রলোকের প্রচুর জমিজমা ও নগদ অর্থ ছিল। কিন্তু সন্তানদের সুশিক্ষা নিয়ে সে কখনোই ভাবতো না।সন্তানরাও এই অর্থ সম্পদকে পুঁজি করে গা ভাসিয়ে চলত।অবশেষে লোকটির মৃত্যুর কিছুদিন পর দেখা গেল তার সন্তানরা সব সম্পত্তি নষ্ট করে দরিদ্র হয়ে গেল।এক্ষেত্রে লোকটির সন্তানদের মধ্যে অভাব ছিল শুধু প্রকৃত শিক্ষার।
    যেখানে আজকের শিশু আগামী দিনে দেশ,জাতি তথা বিশ্বকে নেতৃত্ব দিবে সেখানে প্রাথমিক আনুষ্ঠানিক শিক্ষা থেকেই তাকে দক্ষ মানব সম্পদ হিসেবে গড়ে তোলার ভিত্তি স্থাপন করা একান্ত প্রয়োজন। এজন্য শিক্ষা ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ মহলের সর্বোচ্চ অনুকূল দৃষ্টি ও আন্তরিকতা এ মহৎ কাজকে যথাযথভাবে এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। আমাদের দেশে শিক্ষকতার মত মহৎ পেশায় মেধাবীরা আসতে অনাগ্রহ প্রকাশ করে। তার কারণ, সম্মানীভাতা তো নয়ই বেতন দেওয়া হয় তাও প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম। কিন্তু অন্যান্য সেক্টরে যার পরিমান বেশি।

    ফলে সামাজিক মর্যাদার ক্ষেত্রেও বিত্তবান, অর্থশালীদের চেয়ে শিক্ষকদের মূল্যায়ন কম করা হয়।একজন শিক্ষক শুধু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই শিক্ষা দান করেন না,সমাজেরও একজন শিক্ষক বটে। কিন্তু যখন মানুষকে অর্থের মানদণ্ডে বিচার করা হয় তখন শিক্ষক সমাজ অসহায় হয়ে যায়। তাঁর নীতিকথাগুলো সাধারণ মানুষের কাছে মূল্যহীন হয়ে যায়। এভাবে চলতে থাকলে একসময় সমাজ কেবল বিত্তশালীদের দ্বারা পরিচালিত হবে।ফলে শিক্ষিত ব্যক্তিরা মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে অর্পিত দ্বায়িত্ব যথাযথ পালন থেকে বিচ্যুত হয়ে যাবে। যে কারণে প্রাথমিক শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করা হয়েছে তা যেমন ব্যাহত হবে তেমনি মাধ্যমিক শিক্ষার উপরও নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।

    বাংলাদেশ অর্থনীতি, অবকাঠামোতে অদম্য এগিয়ে চলেছে, যা বিশ্ববাসীর কাছে প্রশংসিত। সময় এসেছে প্রাথমিক-মাধ্যমিক শিক্ষাকে যুগোপযোগী করার।শিক্ষকদের যথাযথ মূল্যায়ন ও সামাজিক মর্যাদা বৃদ্ধি করে শিক্ষা উন্নয়নের দায়বদ্ধতায় ফেলা প্রয়োজন।  হয়তো সময় লাগবে।কিন্তু ইতিবাচক পরিবর্তন অবশ্যই আসবে। ভাল নতুন কিছু পরিবর্তনে বাঁধা থাকলেও তা কখনও থেমে থাকেনি।ইতিহাস এমনটিই সাক্ষ্য দেয়।প্রয়োজন শুধু সৎসাহসী, দৃঢ় মনোবল সম্পন্ন মানসিকতা। শিক্ষক কেউ কখনও হয়ে আসেনা,শিক্ষক হতে হয় বা তৈরি করতে হয়। শিক্ষার মানোন্নয়নে দক্ষ, সৃজনশীল মর্যাদাপূর্ণ শিক্ষক তৈরি হোক এমনটি প্রত্যাশা করছি।

  • কানাইঘাটে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের বিরোদ্ধে ধর্ষণ অভিযোগে প্রতিবাদ সভা।

    কানাইঘাটে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের বিরোদ্ধে ধর্ষণ অভিযোগে প্রতিবাদ সভা।

    কানাইঘাট(সিলেট)প্রতিনিধিঃ সিলেটের কানাইঘাট দিঘীরপার ইউনিয়নের মুক্তিযোদ্ধা কামান্ডার মাস্টার আনোয়ারুল হক চৌধুরী সহ তার ছেলে ও ভাতিজাদের বিরুদ্ধে সাজানো ধর্ষনের অভিযোগ দিয়ে হয়রানীর চেষ্টাসহ মানহানির প্রতিবাদে সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্টিত হয়েছে।

    উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডের উদ্যোগে গতকাল রবিবার দুপুর ১২টায় কানাইঘাট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে এ প্রতিবাদ সভা অনুষ্টিত হয়। সিলেট জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কামান্ডার ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ সিরাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল হেকিম শামিমের পরিচালনায় বিপুল সংখ্যক মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে প্রতিবাদ সভায় মুক্তিযোদ্ধারা বলেন মাস্টার আনোয়ারুল হক চৌধুরী এলাকার একজন প্রবীন মুরব্বী অবসর প্রাপ্ত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও একজন সৎ বীর মুক্তিযোদ্ধা।

    তিনি উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কামান্ডের ডেপুটি কমান্ডার ছিলেন, পাশাপাশি মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাচাই কমিটির সাথে সম্পৃক্ত রয়েছেন। জমি জমা সংক্রান্ত পূর্ব বিরোধ নিয়ে তাঁরই বাড়ীর পারভীন বেমগ নামে একজন মহিলা ৭২ বছর বয়সী এ বীর মুক্তিযোদ্ধা সহ তার ২ ছেলে ও ভাই-ভাতিজাদের নামে থানায় সাজানো ধর্ষণের অভিযোগ দিয়ে মামলা করতে চাইলে কানাইঘাট সার্কেল এ.এস.পি আব্দুল করিম ও থানার ওসি তাজুল ইসলাম পি.পি এম এলাকার সরজমিনে গিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ মিথ্যা বলে প্রমাণ পান।

    তার পর ও এই মহিলা এবং তার সাথে থাকা কুচক্রি মহল বীর মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ারুল হক চৌধুরী সহ তার পরিবারের সদস্যদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানীর চেষ্টা করলে উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধাগন ও তাদের সন্তানরা যে কোন ধরনের কর্মসূচি গ্রহণ করতে বাধ্য হবেন।

    সেই সাথে প্রতিবাদ সভা থেকে এ সাজানো ধর্ষণের ঘটনার সাথে যারা জড়িত রয়েছে তাদের চিহ্নিত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য থানা পুলিশের প্রতি সভা থেকে আহব্বান জানানো হয়।

    প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সদস্য উপজেলা আওয়ামীলীগের মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক সুবেদার আফতাব উদ্দিন, উপজেলার সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কামান্ডার নাজমুল হক, নজমুল হক, সাবেক ডেপুটি কামান্ডার খলিলুর রহমান, লক্ষীপ্রসাদ পশ্চিম ইউনিয়নের মুক্তিযোদ্ধা কামান্ডার সামছুল হক সহ বিভিন্ন ইউনিয়নের মুক্তিযোদ্ধা কামান্ডারগন। প্রতিবাদ সভা শেষে একটি মিলিছ শহীদ মিনার থেকে শুরু হয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় সহ থানার সামনে প্রদক্ষিণ শেষে প্রশাসন চত্তরে গিয়ে শেষ হয়।

  • মাহফুজকে ছেড়ে নতুন সংসার বাঁধলেন গায়িকা ইভা।

    মাহফুজকে ছেড়ে নতুন সংসার বাঁধলেন গায়িকা ইভা।

    বিনোদন ডেস্কঃ সুনামধন্য বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল এটিএন বাংলার চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান ইভাকে গায়িকা হিসাবে তৈরি করেন। বিভিন্ন উপায়ে তাকে দেশের সেরা সিঙ্গার হিসাবে পরিচিতি লাভ করিয়ে বিয়ে করে নিজের ঘরনি করেন। ইভা রহমান মাহফুজকে ছেড়ে দিয়ে আবার বিয়ে করে নতুন সংসার জীবন শুরু করার বিষয়টি ইভা নিজেই সাংবাদিকদের জানিয়েছে। এ সময় আরো বলেন এটিএন বাংলার চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমানের সাথে তার বিবাহ বিচ্ছেদ অনেক আগেই হয়েছে।

    গত রবিবার ১৯ সেপ্টেম্বর রাজধানীর গুলশানের বাসায় দুই পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে নতুন জীবন সংগী বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সোহেল আরমানের সাথে আনুষ্ঠানিক ভাবে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হলেন। এ সময় ইভার কাছের আত্মীয় স্বজনদের দাওয়াত করে বিয়ের কাজ সম্পন্ন করেছেন এবং দম্পতি জীবন যেন সুখী হয় সে জন্য দোয়া চেয়েছেন।

     

  • কলাপাড়ায় মৎস্য অবতরন কেন্দ্রের উদ্বোধন।

    কলাপাড়ায় মৎস্য অবতরন কেন্দ্রের উদ্বোধন।

    সৈয়দ মোঃ রাসেল,কলাপাড়া (পটুয়াখালী)প্রতিনিধিঃ

    পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার আলীপুর ও মহিপুর মৎস্য অবতরন কেন্দ্রের উদ্বোধন করা হয়েছে । সোমবার দুপুর ২ টার সময় ফিতা কেটে ফলক উন্মোচন করে এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ সরকারের মৎস্য ও প্রানী সম্পদ মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রী শ.ম রেজাউল করিম এম.পি।

    এর আগে দুপুর ১ টার দিকে তিনি কলাপাড়া পৌরশহরে অবস্থিত বি.এফ.আর আই এর আওতাধীন নদী-উপকেন্দ্রের অফিস কাম গবেষনাগার ভবন উদ্বোধন করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রীর একান্ত সচিব ড.আবু নঈম মুহাম্মদ আবদুস ছবুর, জনসংযোগ কর্মকর্তা মো.ইফতেখার হোসেন , বি.এফ.ডি.সি’র চেয়ারম্যান কাজী হাসান আহমেদ, প্রকল্প পরিচালক জামাল হোসেন মজুমদার, পরিচালক মনজুর হাসান ভুইঁয়া ,কলাপাড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এস,এম রাকিবুল আহসান, কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহিদুল হক।

    এছাড়া স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও মৎস্য ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন। পরে মন্ত্রী বিকেল পৌনে তিন টার দিকে তাঁর পরবর্তী সফর হিসেবে কুয়াকাটার উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন। মন্ত্রীর মৎস্য অবতরন কেন্দ্রের উদ্বোধনে খুশি এলাকার হাজারো জেলে সহ স্থানীয় মৎস্য ব্যবসায়ীরা । এতে করে সরকারের রাজস্ব আয়ের ক্ষেত্রে সহায়ক হবে বলে ব্যবসায়ীরা উল্লেখ করেন।

    আলীপুর মৎস্য অবতরন কেন্দ্রটি ১৫ কোটি ৪৬ লাখ টাকা ব্যয়ে ১ একর ১০ শতাংশ জমির উপর নির্মিত হয় । অপরদিকে, মহিপুর অবতরন কেন্দ্রটি ১৩ কোটি ৫০ লাখ টাকা ব্যয়ে ১ একর ৯ শতাংশ জমির উপর নির্মিত হয়েছে । এতে হাজার হাজার জেলে এবং মৎস্য ব্যবসায়ীদের মাছ ক্রয়-বিক্রয় সহ ট্রলার থেকে সরবরাহে অনেক সহজ হবে বলে স্থানীয় মৎস্য ব্যবসায়ী ও মহিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো.ফজলুর রহমান গাজী জানিয়েছেন।

  • তাড়াশে রাজমিস্ত্রীদের ৪ দিন ব্যাপি প্রশিক্ষণ উদ্বোধন।

    তাড়াশে রাজমিস্ত্রীদের ৪ দিন ব্যাপি প্রশিক্ষণ উদ্বোধন।

    তাড়াশ প্রতিনিধিঃ সিরাজগঞ্জের তাড়াশে রাজমিস্ত্রিদের ৪ দিন ব্যাপী এক প্রশিক্ষণের উদ্বোধন করা হয়েছে।

    ২০ সেপ্টেম্বর সোমবার সকালে উপজেলা পরিষদের আয়োজনে তাড়াশ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মেজবাউল করিমের সভাপতিত্বে রাজমিস্ত্রিদের দক্ষতা উন্নয়নের জন্য এই প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়।

    উপজেলা যোগাযোগ ও ভৌত অব কাঠামো উন্নয়ন কমিটির বাস্তবায়নে ও স্থানীয় সরকার বিভাগ ও জাইকার অর্থায়নে সিরাজগঞ্জ জেলার তাড়াশ উপজেলায় কর্মরত সকল রাজমিস্ত্রিদের দক্ষতা উন্নয়নের জন্য এ প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে।এ সময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মনিরুজ্জামান মনি।

    এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন খান, প্রভাষক মর্জিনা ইসলাম ও জাইকার কর্মকর্তা।