Author: admin

  • কলাপাড়ায় গ্রাম পুলিশ সদস্য হয়রানির শিকার।

    কলাপাড়ায় গ্রাম পুলিশ সদস্য হয়রানির শিকার।

    সৈয়দ মোঃ রাসেল,কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধিঃ

    পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় স্লুইজগেট দখলমুক্ত করা ও জমি সংক্রান্ত বিরোধই কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে গ্রাম পুলিশ সদস্য বাসার গাজীর। একটি মহল ক্ষিপ্ত হয়ে লালুয়া ইউপির ৮ নং ওয়ার্ডের গ্রাম পুলিশ সদস্য আবুল বাসার’র বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে এবং হয়রানি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

    প্রতি পক্ষের দায়েরকৃত একের পর এক মিথ্য মামলাসহ সংবাদ কর্মীদের ভুল তথ্য দিয়ে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশে এখন মানসিকভাবে বিধ্বস্থ হয়ে পড়েছেন ভুক্তভোগী। বর্তমানে এর থেকে পরিত্রান চেয়ে সাংবাদিকসহ বিভিন্ন দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন তিনি। উপজেলার লালুয়া ইউপির মঞ্জুপাড়া গ্রামের মস্তফা গাজীর পুত্র বাশার গাজী ২০১৭ সালে গ্রাম পুলিশ সদস্য হিসেবে চাকুরি পান । নিয়োগের পর থেকে কর্মক্ষেত্রে সুনামের সাথে দায়ীত্ব পালনে ইতোমধ্যে প্রশংসা কুড়িয়েছেন তিনি।

    তবে পারিবারিকভাবে জমিসংক্রান্ত কলহে মিথ্যমালায় জড়িয়ে তাকে হয়রানি করা হচ্ছে বলে বলে অভিযোগ করেন এ গ্রাম পুলিশ সদস্য। তার দাবী,খাল দখলসহ বিভিন্ন অনৈতিক কাজে বাধা প্রদানেই তার বিরুদ্ধে উঠে পরে লেগেছে প্রতিপক্ষরা। তিনি বলেন সর্বশেষ সংবাদকর্মীদের ভুল তথ্য দিয়ে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা এবং বানোয়াট সংবাদ প্রকাশ করানো হয়েছে।

    যেখানে উল্লেখ করা হয়েছে অসহায় মানুষকে প্রধান মন্ত্রীর দেয়া ঘরের নির্মান সামগ্রী নিয়ে আমি ঘর নির্মান করেছি। বাস্তবে আমার স্ত্রী প্রতিবন্ধী হওয়ায় তাকে সরকারী ভাবে একটি ঘর দেয়া হয়েছে। কিন্তু যাদের ঘরের ইট,রট নেয়ার কথা উল্লেখ করা হয়েছে,তাদের একমাস আগেই আমার স্ত্রীর ঘর নির্মান কাজ শেষ হয়েছে। এছাড়া তার স্ত্রীকে দেয়া সরকারী ঘরের আকৃতি পরিবর্তন করে ঘর তোলার যে অভিযোগ তোলা হয়েছে তা স্থানীয় চেয়ারম্যানের দেয়া সহায়তা ও নিজ অর্থায়নেই করা হয়েছে ।

    এবিষয়ে সরকারী সহায়তাভুগি রাজ্জাক গাজীর কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমার নাম উল্লেখ করে যেসব অনলাইন পোর্টালে নিউজ প্রকাশ করা হয়েছে তা সম্পূর্ন মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন। আমার কাছ থেকে চৌকিদার বশার কোন ইট নেয়নি। তার ঘর আমার ঘরের একমাস আগেই নির্মান করা হয়েছে। কোন সাংবাদিক লিখেছে তাও আমি জানিনা। এদিকে আবুল বাশারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি শুনেছি ২’শ ইট নিয়েছে তবে আমার কোন ইট বাশার চৌকিদার নেয়নি।

    লালুয়া ইউপি চেয়ারম্যান শওকত হোসেন তপন বিশ্বাস জানান, গ্রাম পুলিশ বাশার খুব দক্ষতার সাথে কাজ করে যাচ্ছে। এখনও পর্যন্ত আমার কাছে কোন অভিযোগ নেই।

    তবে ওর স্ত্রীর ঘর নির্মানের সময় আমি তাহাকে ১ হাজার ইট দিয়ে সহায়তা করেছি। কলাপাড়া থানার ওসি তদন্ত আসাদুর রহমান জানান, বাসারের জমিসংক্রান্ত ঝামেলা রয়েছে আমরা জানতে পেরিছি। এছাড়া তার বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ আমাদের কাছে নেই। কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবুহাসনাত মো. শহীদুল হক জানান, মূলত ওই ছেলেটা এলাকাতে ভালো কাজ করে এমন শুনাম রয়েছে।

    এছাড়া লালুয়াতে বিভিন্ন সময়ে দখলকৃত স্লুইজ ওর মাধ্যমে আমরা উন্মুক্ত করেছি। সে কারনেও বাশারের বিরুদ্ধে একটা শ্রেনী অপপ্রচার চালাতে পারে। তবে বাশারের স্ত্রী প্রতিবন্ধী হওয়ায় তাকে একটি প্রধানমন্ত্রীর ঘর দেয়া হয়েছে।

  • তানোরে ভেজাল কীটনাশক প্রয়োগে জমির ধান পুড়ে ছাই।

    তানোরে ভেজাল কীটনাশক প্রয়োগে জমির ধান পুড়ে ছাই।

    সারোয়ার হোসেন,তানোর(রাজশাহী)প্রতিনিধিঃ রাজশাহীর তানোরে ভেজাল কীটনাশক স্প্রে করে এক কৃষকের আট বিঘা জমির ধান পুড়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার সরনজাই ইউপির সরনজাই খা পাড়া ধানী মাঠে ধান পুড়ার ঘটনাটি ঘটেছে।এতে করে কৃষক দারেসের মাথায় হাত পড়েছে। ফলে ভেজাল কীটনাশক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করা সহ ক্ষতি পুরনেরও দাবি তুলেছেন স্থানীয়রা।

    জানা গেছে, উপজেলার সরনজাই ইউপির সরনজাই খা পাড়া গ্রামের মৃত রহমান শাহ্‌র পুত্র কৃষক দারেস আলী ওই ইউপির মণ্ডল পাড়া বাজারের বালাই নাশক ব্যবসায়ী মিজানের দোকান থেকে কয়েক প্রকার বিষ কিনে জমিতে স্প্রে করেন। স্প্রে করার পর থেকেই জমির ধানের পাতা পুড়ে ঝলসে গেছে।

    সরেজমিনে দেখা যায়, সরনজাই খা পাড়া গ্রামের পূর্ব দিকে বিভিন্ন স্থানে রয়েছে আট বিঘা জমিতে রোপা আমন ধান। প্রতিটি জমির ধানের পাতা পুড়ে খড়ের মত লালচে আকার ধারন করেছে। কোনভাবেই ধান গাছ স্বাভাবিক হবার না।

    কৃষক দারেস জানান, কারেন্ট পোকা ও পচনের জন্য মণ্ডল পাড়া বাজারের বালাইনাশক ব্যবসায়ী মিজানের কাছ থেকে বিষ কিনে স্প্রে করার পর আমার পুরো জমির ধান পুড়ে গেছে। এতে করে আমার প্রায় তিন লাখ টাকার মত ক্ষতি হয়েছে। জমির ধানই ছিল সংসার পরিচালনার মুল ভরসা। এখন ধানের পরিবর্তে খড় পাওয়া যাবে।দোকানীকে বলা হলে উল্টো আমাকেই দোষারুপ করছে।

    স্থানীয় কৃষকরা জানান, অন্যের জমিতে কীটনাশক ব্যবহার করা হচ্ছে কিছুই হচ্ছে না। আর দারেস জমিতে বিষ স্প্রে করে তার ধান পুড়ে গেল। অবশ্যই কীটনাশকে ভেজাল ছিল তা ছাড়া এমন হবার কথা না।

    বালাইনাশক ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান অভিযোগ অস্বীকার করে জানান আমি কৃষক দারেস কে মাজরা পোকা দমনের জন্য টেনস কোম্পানির এম গোল্ড, প্রেফ্রেগেমের ছত্রাক পি-বিন, উইনমিক্স ও কারেন্ট পোকার জন্য পাইরাজিন বিষ দেওয়া হয়েছে।তার জমি আমি সহ উপ সহকারী নাসিম পরিদর্শন করেছি। তাতে করে বোঝা গেছে অন্য কোন কীটনাশক স্প্রে করায় তার জমির ধান পুড়েছে।

    উপ সহকারী নাসিম জানান, গত সোমবারে দারেসের পুড়ে যাওয়া জমি পরিদর্শন করে বোঝা গেছে দোকানের কীটনাশকে ধান পুড়েনি। অন্য কোন বিষ স্প্রে করার জন্য এমন হয়েছে। আপনি কি ভাবে বুঝলেন দোকানির কীটনাশকে পুড়েনি, নাকি দোকানির হয়ে সাফাই গাইছেন উত্তরে জানান যেটা সঠিক সেটাই বলছি। আপনার কর্মকর্তাকে বিষয়টি জানিয়েছেন জানতে চাইলে তিনি জানান জানানো হয়নি।

    উপজেলা কৃষি অফিসার শামিমুল ইসলামের মোবাইলে ফোন দেওয়া হলে শুধু বিজি আর বিজি পাওয়া যায়।

  • মাদক সেবনে প্রতিবাদে-উল্লাপাড়ায় মা ও প্রতিবন্ধী ছেলেকে মারপিট

    মাদক সেবনে প্রতিবাদে-উল্লাপাড়ায় মা ও প্রতিবন্ধী ছেলেকে মারপিট

    নিজস্ব প্রতিবেদকঃ মাদক গ্রহনের প্রতিবাদ করায় উল্লাপাড়ায় পারুল রানী ভৌমিক (৪৬) নামের এক গৃহবধুর উপর হামলা চালিয়ে তাকে বেধড়ক মারপিট করা হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে সিরাজগঞ্জ বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। উপজেলার পূর্বদেলুয়া গ্রামে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে। হামলাকারীরা এসময় পারুলের বাক প্রতিবন্ধী ছেলে রিপন কুমারকেও (২২) বেধড়ক মারপিট করে।

    হামলার শিকার উক্ত গ্রামের মৃত মঙ্গলা ভৌমিকের স্ত্রী পারুল রানী ভৌমিক অভিযোগ করেছেন, তার প্রতিবেশী পানজিদ ভৌমিকের ছেলে গৌতম কুমার অধিকাংশ সময় মাদকাসক্ত হয়ে প্রতিবেশীদের উপরে খারাপ আচরণ করত। এর আগে র‌্যাব-১২ ক্যাম্পে ইয়াবাসহ সে ধরা পড়ে। পরে জামিনে বেরিয়ে আসে। গৌতম মাদকাসক্ত হয়ে প্রতিবেশীদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করে এবং এর আগে পারুল রানীর ছেলে বাক প্রতিবন্ধী রিপন কুমারকেও গৌতমসহ তার সহযোগীরা মারধর করে। পারুল এর প্রতিবাদ করে। একই ঘটনার জের ধরে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গৌতম ও তার সহযোগী একই গ্রামের সুদেব, বাবলু ও শ্যামসহ কয়েকজন যুবক পারুল রানীর বাড়িতে এসে তাদের উপরে হামলা করে। এসময় লোহার রড, কাঠের বাটাম ও বাঁশের লাঠি দিয়ে তারা পারুল ও তার প্রতিবন্ধী ছেলেকে বেধড়ক মারপিট করে। এই ঘটনার পর প্রতিবেশীরা গুরুতর আহত পারুল রানীকে চিকিৎসার জন্য উক্ত হাসপাতালে ভর্তি করেন।

    এ ব্যাপারে উল্লাপাড়া মডেল থানার সঙ্গে যোগাযোগ করলে ডিউটি অফিসার উপ পরিদর্শক আশরাফী খাতুন জানান, বৃহস্পতিবার রাতেই গুরুতর আহত পারুল রানী সিরাজগঞ্জ হাসপাতালে যাবার আগে ভ্যানযোগে থানায় এসে হামলাকারী উল্লিখিত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মৌখিক অভিযোগ করে গেছেন। পুলিশ এখন হামলাকারীদের খুঁজছে।

  • শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে নারীর অগ্রগতি বিশ্বে এখন রোল মডেল।

    শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে নারীর অগ্রগতি বিশ্বে এখন রোল মডেল।

    শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে নারীর অগ্রগতি বিশ্বে এখন রোল মডেল

    জহুরুল ইসলাম, শাহজাদপুর ( সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি : বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য প্রফেসর মেরিনা জাহান কবিতা বলেছেন,মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার ঐকান্তিক প্রচেষ্টা এবং বলিষ্ঠ নেতৃত্বে নারীর অগ্রগতি এবং নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশ এখন বিশ্বের রোল মডেল হয়ে উঠেছে। তিনি আরও বলেন নারীর রাজনৈতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নে বাংলাদেশের অগ্রগতি সারা বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে।

    ঘরে-বাইরে, রাষ্ট্রীয় কর্মকান্ডে সর্বত্রই নারীর অংশগ্রহণ প্রায় নিশ্চিত হয়েছে। দেশের প্রধানমন্ত্রী নারী, সংসদের মাননীয় স্পিকার নারী। এখন দূর গ্রামাঞ্চলেও নারী আর তুচ্ছ-তাচ্ছিল্যের বিষয় নয়। কর্মক্ষেত্রে নারীরা তাদের দক্ষতা প্রমাণ করছেন, কৃতিত্ব দেখাচ্ছেন। নারীরা এখন রাষ্ট্র পরিচালনা করছেন, পর্বত জয় করছেন, অগ্রণী ভূমিকা রাখছেন দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নেও।

    শুক্রবার দুপুরে উপজেলার পোরজনা ইউনিয়নের পুঠিয়া গ্রামে ইউনিয়ন মহিলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে মত বিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। একই সাথে তিনি সদ্য প্রয়াত এমপি হাসিবুর রহমান স্বপনের আত্মার শান্তি কামনা করেন এবং উপস্থিত নারীদের প্রতি আহ্বান করেন, শূন্য হওয়া এই আসনে একজন নারী সাংসদকে বেছে নেওয়ার।

    পোরজনা ইউনিয়ন মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোছাঃ আনোয়ারা বেগমের সভাপতিত্বে এবং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শ্রী অনিল কুমার ঘোষের সঞ্চালনায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, শাহজাদপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মুস্তাক আহমেদ, পোরজনা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আমজাদ হোসেন, কৈজুরি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হারুনর রশীদ, সাংবাদিক এবং মানবাধিকার কর্মী মনিরুল গনি চৌধুরী শুভ্র, ফারুক হাসান কাহার, ইউনিয়ন মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আকাশি খাতুন প্রমুখ।

  • তাড়াশে ২৬টি পরিবারের চালের কার্ড নিয়ে অভিযোগ।

    তাড়াশে ২৬টি পরিবারের চালের কার্ড নিয়ে অভিযোগ।

    তাড়াশ প্রতিনিধিঃ সিরাজগঞ্জের তাড়াশে হতদরিদ্র পরিবার গুলো কার্ডের চাল পায় নি বলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছে।

    ২২ সেপ্টেম্বর বুধবার সগুনা ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের ২৬ জন হতদরিদ্র পরিবার এ লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ সূত্রে পাওয়া গেছে, ওই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আমিরুল ইসলাম এই ২৬জন হতদরিদ্র পরিবারের ফেয়ার প্রাইজের চাল বিগত কয়েক বছর যাবত উত্তোলন করেছেন।

    চরকুশাবড়ী সবুজপাড়া গ্রামের অভিযোগকারী মৃত মেনাজ বেপারীর ছেলে ইছাহক বলেন,আমিরুল ইসলাম মেম্বরের কাছে প্রায় ৫ বছর আগে ফেয়ার প্রাইজের খাদ্য বিতরণে আমার নাম দেওয়ার  জন্য আমার আইডি কার্ডের ফটোকপি ও ৫০টাকা দিয়েছিলাম। আমার নাম ওই বিতরণের তালিকায় থাকলেও এতদিন আমাকে জানায় নি। কিছুদিন আগে আমি জানতে পারি ওই তালিকার মধ্যে আমার নাম আছে সেই নামের চাল ওই মেম্বর  আরও ২৫টি কার্ডের চাল এতদিন উত্তোলন করেছে। তাই এই কার্ডের নায্য পাও না বুঝিয়ে পেতেই অভিযোগ টি করেছি।

    এ বিষয়ে সগুনা ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আমিরুল ইসলাম বলেন, আমার নামে যে অভিযোগ করা হয়েছে তা সম্পন্ন মিথ্যা,বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। আমি  মেম্বর হওয়ার পর ফেয়ার প্রাইজের খাদ্য বিতরণের জন্য ৫৫টি কার্ডের বরাদ্দ পাই। আমি ৫৫জনকেই কার্ড করে দিয়েছি। যে  ৫৫জনকে আমি কার্ড করে দিয়েছি তারা যদি চাল না পায় তাহলে আমি এর দায়ভার নেব। বাদ বাকী কার্ড নেতা কর্মীরা দিয়েছে। সে দায়ভার আমি নিতে পারবো না।

    এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মেজবাউল করিম বলেন, পুর্নাঙ্গ অভিযোগ পায়নি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

     

  • মাদাগাস্কার গরু চুরির ঘটনায় সংঘর্ষ ৪৬ জন নিহত।

    মাদাগাস্কার গরু চুরির ঘটনায় সংঘর্ষ ৪৬ জন নিহত।

    মাদাগাস্কার গরু চুরির ঘটনায় সংঘর্ষ ৪৬ জন নিহত।
    আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ মাদাগাস্কারের একটি গ্রামের বাসিন্দাদের সঙ্গে গরু চুরি করতে আসা অস্ত্রধারীদের সংঘর্ষে অন্তত ৪৬ জন নিহত হয়েছেন। দেশটির দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চলে এ সংঘর্ষ হয়।

    সূত্র: বিবিসি

    গরু চুরির অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে দুথটি গ্রামে ১২০ জনের মতো সশস্ত্র ব্যক্তি হামলা চালান। এসময় পাল্টা হামলা চালান স্থানীয়রা।

    দু’পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ৪৬ জন নিহত হন। প্রায়ই গরু চুরি করাকে কেন্দ্র করে এ অঞ্চলের গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়।

    এ ব্যাপারে দেশটির মানবাধিকার কমিশন বলছে, তারা হামলার ঘটনার স্বাধীন তদন্ত করবে। সেই সঙ্গে তারা স্থানীয়দের নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ করবে।

  • ৯০ লাখ টাকা মূল্যে আইস মাদক ও ইয়াবার বড় চালান জব্দ।

    ৯০ লাখ টাকা মূল্যে আইস মাদক ও ইয়াবার বড় চালান জব্দ।

    ডেস্ক নিউজঃ ঢাকায় একাধিক স্থানে মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে ৯০ লাখ টাকার মূল্যের ৫৬০ গ্রাম আইস ও ইয়াবা ট্যাবলেট জব্দ করা করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি)। ডিএনসির দাবি, জব্দ করা আইস এখন পর্যন্ত আটক হওয়া আইসের সব থেকে বড় চালান।

    বৃহস্পতিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) ডিএনসির ঢাকা মেট্রো কার্যালয়ের (উত্তর) সহকারী পরিচালক মেহেদী হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।এ সময় তিনি জানান, ৯০ লাখ টাকা মূল্যের ৫৬০ গ্রাম আইস ও ইয়াবা ট্যাবলেট জব্দ করা হয়েছে।

    এটি এখন পর্যন্ত ঢাকায় আটক হওয়া আইসের সবচেয়ে বড় চালান।তবে আগামীকাল শুক্রবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সকালে তেজগাঁওয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে বলেও জানান তিনি।

    সূত্রঃ বাংলা নিউজ ২৪

  • কোভিড- ১৯ একসময় সাধারণ  ঠান্ডাজ্বর পরিণিত হবে: প্রধান সারাহ গিলাবার্ট

    কোভিড- ১৯ একসময় সাধারণ  ঠান্ডাজ্বর পরিণিত হবে: প্রধান সারাহ গিলাবার্ট

    আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ বিশ্বব্যাপী একযোগে আতঙ্ক সৃষ্টিকারী প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস একসময় সাধারণ ঠান্ডাজ্বরে রূপ নেবে বলে মনে করেন করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকা অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ফমুর্লা উদ্ভাবনকারী বিশেষজ্ঞ দলের প্রধান সারাহ গিলাবার্ট।

    যুক্তরাজ্যের রাজধানী লন্ডনে রয়্যাল সোসাইটি অব মেডিসিন আয়োজিত এক সম্মেলন একথা বলেন অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এই অধ্যাপক।

    প্রধান সারাহ গিলাবার্ট বলেন, কোভিড- ১৯ একসময় সাধারণ  ঠান্ডাজ্বর পরিণিত হব। “সার্স-কোভ-২ বা নভেল করোনাভাইরাস ছাড়াও এই গোত্রের আরও চারটি করোনাভাইরাসের আবির্ভাব পৃথিবীতে হয়েছিল এবং সেগুলো এখনও সক্রিয় আছে। মানবদেহে এসব করোনাভাইরাস সংক্রমিতও হয়; কিন্তু আমরা এখুন আর সেগুলো নিয়ে আলোচনা করি না।”

    তিনি বলেন, “সাধারণত ভাইরাসের যত বেশি বিস্তার ঘটে, ততই বেশি ভয়বহতা কমতে থাকে। আগামী দিনগুলোতে সার্স-কোভ-২ যে আরও প্রাণঘাতী পরিবর্তত ধরনে রুপান্তরিত হবে এমনটা না ভাবলেও চলবে।”

    টিকাদান কর্মসূচি বাড়লে ভাইরাসের বংশবৃদ্ধি এবং সক্ষমতা কমবে বলেও মনে করেন তিনি।

    সারাহ গিলবার্ট আরও বলেন, সময়ের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে করোনাভাইরাসের প্রাণঘাতী হয়ে ওঠার প্রবণতা কমে এসেছে। একইসঙ্গে মানবদেহের প্রতিরোধ ক্ষমতাও বেড়েছে।

    সুত্রঃ  Dhaka Tribune Bangla
    তারিখঃ ২৩-০৯-২০২১

  • গোদাগাড়ীতে খুন ও ডাকাতি মামলার রহস্য উদঘাটন, গ্রেপ্তার-৪।

    গোদাগাড়ীতে খুন ও ডাকাতি মামলার রহস্য উদঘাটন, গ্রেপ্তার-৪।

    রবিউল ইসলাম,গোদাগাড়ী (রাজশাহী)প্রতিনিধিঃ

    রাজশাহী জেলার গোদাগাড়ী থানার চাঞ্চল্যকর খুন ও ডাকাতি মামলার রহস্য উদঘাটন করে আসামি গ্রেফতার করেছে গোদাগাড়ী থানা রাজশাহী গোয়েন্দা শাখার চৌকস টিম। গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিরা বিজ্ঞ আদালতে স্বীকারক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে।

    গত ৩০ আগস্ট গোদাগাড়ী থানার রাজশাহী চাঁপাই মহাসড়ক সংলগ্ন গোগ্রাম ইউনিয়নের লালাদিঘি গ্রামের একটা পুকুরে মাসুদ রানা নামের এক ব্যক্তিকে খুন করে মাছ চুরি করে নেয়ার জন্য। এর প্রেক্ষিতে গোদাগাড়ী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের হয়। দীর্ঘ ২৪ দিন অক্লান্ত পরিশ্রম করে রাজশাহীর পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন বিপিএম( বার)দিকনির্দেশনায় জেলার বিশেষ শাখার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তীর নেতৃত্বে নওগাঁ জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে ঘটনার সাথে জড়িত চারজনকে আটক করা হয়।

    প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করলে তাদের বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়।

    বৃহস্পতিবার ২৩ সেপ্টেম্বর গ্রেফতারকৃত তিন আসামি তারা নিজেদের দোষ স্বীকার করে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় বিজ্ঞ আদালতে জবানবন্দি প্রদান করেছে। গ্রেফতারকৃতরা হলেন নওগাঁর বদলগাছী থানার ভোলার পালশা গ্রামের আব্দুল মতিনের ছেলে আব্দুল লতিব(৪০),একই এলাকার ফারাদপুর গ্রামের মৃত মন্টুর ছেলে রেজাউল করিম(৫০),নওগাঁ সদর থানার চকদেব গ্রামের ফসির উদ্দিনের ছেলে আব্দুল করিম(জনি)(২৫) ও একই থানার আরজি নওগাঁ নাপিত পাড়া গ্রামের মৃত দুলাল হোসেনের ছেলে শাহীন রেজা(৩৪)।

    উল্লেখ্য নামিক আসামি রেজাউল ইসলাম, আব্দুল করিম(জনি) ও শাহীন রেজা আজ বৃহস্পতিবার বিজ্ঞ আদালতে জবানবন্দী প্রদান করেছেন।

    তাদের ভাষ্য, তারা পেশাদার মাছ চোর। রাজশাহী, নওগাঁ, বগুড়া ও জয়পুরহাটের বিভিন্ন পুকুরে মাছ চুরি করাই তাদের পেশা। ছোট ট্রাক নিয়ে তারা ঘুরে বেড়ায় এবং সুবিধামতো স্থানে মাছ চুরি করে থাকে । ঘটনার রাতে তারা নয়জন একটা মিনি ট্রাকে করে নওগাঁর ফারাদপুর থেকে প্রায় আশি কিলোমিটার দূরে আসে মাছ চুরি করতে। অপ্রত্যাশিতভাবে মো: মাসুদ রানা ও লিটন নামের দুইজন পাহারাদারকে পেয়ে তাদের বেধে ফেলে। মাসুদ রানা মারা যায়। আটজনই ধরা বাধার কাজে অংশ নেয়। মাছ ধরা শেষ হবার আগেই লোকজন চলে এলে তারা পালিয়ে যায়।বাকি আসামিদের ধরার জন্য অভিযান চলমান রয়েছে।

  • রায়পুর ইসলামী ব্যাংকে এক চাবিতে খোলে দু’টি লকার, উধাও স্বর্ণালঙ্কার।

    রায়পুর ইসলামী ব্যাংকে এক চাবিতে খোলে দু’টি লকার, উধাও স্বর্ণালঙ্কার।

    সোহেল হোসেন,লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধিঃ লক্ষ্মীপুরে রায়পুর ইসলামী ব্যাংক শাখার লকার থেকে ৬ ভরি স্বর্ণালংকার উধাওয়ের ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

    বৃহস্পতিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ভূক্তভোগী নাজমুন নাহার বাদী হয়ে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রায়পুর আদালতে মামলা দায়ের করেন। এতে ব্যাংক ম্যানেজার ও লকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে অভিযুক্ত করা হয়।

    বাদীর আইনজীবী মারুফ বিন জাকারিয়া বলেন, আদালতের বিচারক তারেক আজিজ অভিযোগটি আমলে নিয়ে রায়পুর থানাকে এফআইআর দাখিরে নির্দেশ দিয়েছেন।

    এজাহার সূত্র জানায়, ভূক্তভোগী নাজমুন নাহার উপজেলার বামনী ইউনিয়নের বামনী গ্রামের নজির আহমেদের স্ত্রী। চলতি বছরের ৩১ জানুয়ারি ইসলামী ব্যাংক রায়পুর শাখায় তিনি একটি লকার হিসাব (হিসাব নম্বর-৬৯) খোলেন। হিসাব অনুযায়ী ১৮ নম্বর চাবি দিয়ে ১৮ নম্বর লকারে তিনি ২৮ ভরি স্বর্ণালঙ্কার জমা রাখেন। পরে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ তাকে চাবি হস্তান্তর করে। লকারে রাখা স্বর্ণালঙ্কারের দাম প্রায় ১৯ লাখ টাকা।

    গত ১৯ সেপ্টেম্বর ব্যাংকে এসে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ তিনি লকারের কক্ষে যান। এসময় দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাস্টার চাবি ও বাদীর কাছে থাকা চাবি দিয়ে ১৮ নম্বর লকার খোলেন। কিন্তু লকারে কোন স্বর্ণালঙ্কার পাওয়া যায়নি। পরে একই চাবি দিয়ে ২০ নম্বর লকার খুলে স্বর্ণের বক্স বের করেন দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। বক্সের সঙ্গে থাকা স্বর্ণের ওজনের রশিদ পাওয়া যায়নি। রশিদ কোথায় ? এমন প্রশ্নে সঠিক কোন জবাব দিতে পারেননি দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। এতে বক্স খুলে ২টি আংটি,১ জোড়া নুপুর,১ জোড়া কানের দুল ও ১ চেইন পাওয়া যায়নি।

    পরবর্তীতে নাজমুন নাহার স্বর্ণের ওজন পরিমাপ করতে গিয়ে দেখেন ৬ ভরি স্বর্ণ কম রয়েছে। উধাও হওয়ার স্বর্ণের দাম প্রায় ৪ লাখ টাকা। ভূক্তভোগী নাজমুন নাহার বলেন, আমি ১৮ নম্বর লকারে স্বর্ণ রেখেছি। কিন্তু যথাস্থানে না পেয়ে ২০ নম্বর লকার থেকে স্বর্ণের বক্স বের করে দিয়েছে দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তা। দুটি লকারেরই একই চাবি।

    এ ব্যাপারে ব্যাংক ব্যবস্থাপককে অবহিত করলে, তিনি কোন সঠিক জবাব দিতে পারেননি। ব্যাংক ব্যবস্থাপক ও লকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমার স্বর্ণালংকার আত্মসাত করেছে। আমি এর সুবিচার চাই।

    ব্যাংক ব্যবস্থাপক মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, মামলার বিষয়টি আমি শুনেছি। চার স্তরের নিরত্তাবেষ্টিত লকার থেকে স্বর্ণালঙ্কার চুরি বা উধাও হওয়ার কোন সুযোগ নেই। নাজমুন নাহার যা রেখেছেন তাই পেয়েছেন। তার অভিযোগটি সঠিক নয়।