Author: admin

  • রাণীশংকৈলে জতীয় কন্যা শিশু দিবস উদযাপন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত।

    রাণীশংকৈলে জতীয় কন্যা শিশু দিবস উদযাপন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত।

    ‘কন্যা শিশুর স্বপ্নে গড়ি আগামীর বাংলাদেশ’এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলা প্রশাসন ও মহিলা বিষয়ক অফিসের আয়োজনে সেমবার (৩০ সেপ্টেম্বর)সকালে উপজেলা পরিষদ চত্তর থেকে একটি র‌্যালি বের হয়। র‌্যালিটি উপজেলা পরিষদ চত্তর প্রদক্ষিণ করে পরিষদে ফিরে আসে। পরে উপজেলা পরিষদ সভা কক্ষে জাতীয় কন্যা শিশু দিবস উদযাপন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    সভায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রকিবুল হাসানের সভাপতিত্বে বক্তব্য উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আর্ণিকা আক্তার।

    সভায় বক্তারা বলেন,শিশুদের প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা, পুষ্টি,চিকিৎসা, শিক্ষা,নিরাপত্তা ও সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিতের মাধ্যমে বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।

    সময় উপস্থিত ছিলেন পৌর  বিএনপির সভাপতি অধ্যাপক শাহাজান আলী, অধ্যক্ষ মহাদেব বসাক, উপজেলা প্রকৌশলী আনিসুর রহমান, শিক্ষা কর্মকর্তা রাহিম উদ্দিন, শিক্ষিকা মেহবুবা আখতার,থানার প্রতিনিধি এসআই আনোয়ার হোসেন, ইএসডিও কর্মকর্তা খায়রুল আলম প্রমুখ।

    এসময় বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ ও মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের নারী সংগঠনের বিভিন্ন সমিতির  সভানেত্রী ও সদস্য,স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

    অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন উপজেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের অহফিস সহকারি গোলাম রব্বানী।

    সভা শেষে শিক্ষার্থীদের মধ্যে পোশাক বিতরণ করা হয়।

  • ওয়াজ মাহফিলে জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে হামলা করতেন পুলিশ কর্মকর্তা বিচারের দাবীতে মানববন্ধন।

    ওয়াজ মাহফিলে জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে হামলা করতেন পুলিশ কর্মকর্তা বিচারের দাবীতে মানববন্ধন।

    রামপাল(বাগেরহাট)প্রতিনিধিঃবাগেরহাটের রামপালে উপ-পুলিশ পরিদর্শক (সিআইডি)’র মোল্যা লুৎফর রহমানের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
    সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১ টায় রামপাল উপজেলার বিক্ষুব্ধ জনতা রামপাল প্রেসক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে। অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তার বাড়ি বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার বাইনতলা ইউনিয়নের কাশিপুর এলাকায়।
    মানববন্ধনে ভুক্তভোগীরা জানান, ২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর, রাজধানী ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশস্থলে স্থানীয় নেতা-কর্মীদের ওপর চড়াও ও গুলির হুমকি, আওয়ামী পুলিশ লীগ হয়ে নেতা-কর্মী ও সাধারণ জনগণের উপর হামলা-মামলা, নির্যাতন ও অর্থ আত্মসাৎসহ মসজিদের সভাপতি থাকাকালীন মক্তবের প্রস্তাবিত এবং বায়নাকৃত সম্পত্তি নিজ নামে আত্মসাৎ ও অবৈধভাবে বিপুল সম্পদের পাহাড় গড়েছেন তিনি।
    একাধিকবার স্থানীয় মসজিদে বাৎসরিক মাহফিলে জোরপূর্বক সভাপতি হয়ে মাহফিল চলাকালীন সময়ে “জয় বাংলা ” স্লোগান দিয়ে মাহফিলের ভাবমূর্তি নষ্ট ও ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করেন তিনি।
    ‘কাশিপুর এলাকার ভুক্তভোগী সরদার জাহাঙ্গীর বলেন, আমি গরীব মানুষ, আমি বিএনপিকে ভালোবাসি। ২৩ সালের ২৮ অক্টোবরে নিজের ব্যাটারি চালিত ভ্যানের ব্যাটারি বিক্রি করে  বিএনপির সমাবেশে যাই। মালিবাগ মোড়ে ক্ষমতাচ্যুত সরকারের দালাল মোল্লা লুৎফর আমাকে দেখে চড়াও হয়। সে বলে তোরা নাস্তিক, তোরা সরকার পতন করাতে এখানে এসেছিস। তোরা যদি এই মুহুর্তে এখান থেকে চলে না যাস, তাহলে তোদের গুলি করবো।’
    ‘ভুক্তভোগী মোঃ সুমন জানান, আমরা জীবন বাঁজি রেখে বিএনপির সমাবেশে গেছিলাম। সেখানে আওয়ামী লীগ সরকারের দালাল হয়ে লুৎফর আমাদের বলে তোরা যদি এখন এখান থেকে চলে না যাস তোদের গুলি করে মেরে ফেলবো। আমরা প্রাণভয়ে স্থান ত্যাগ করি। পরবর্তীতে লুৎফর ছুটিতে বাড়ি এসে আমাদের নানান হুমকি ধামকি দেয়। আমরা তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। আমরা রামপাল মোংলার নির্যাতিত জনগণ তার ফাঁসির দাবি জানাই।’
    আরেক ভুক্তভোগী শেখ সাইফুল ইসলাম বলেন, ইলিয়াস আহমেদ বলেন, পুলিশ লুৎফর কাশিপুর দক্ষিণপাড়া জামে মসজিদের সভাপতি। সে মসজিদের পাশে মক্তবের বায়নাকৃত সম্পত্তি সে গোপনে দলিল করে নিয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকার কারণে সে পুলিশ লীগ হয়ে এলাকায় অনেক অপকর্ম করেছে। সে একজন নারী লোভী। এতদিন সাধারণ মানুষ জেল খাটার ভয়ে কেউ মুখ খোলেননি। আমরা মোল্যা লুৎফর রহমানের ফাঁসি চাই।
    মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি নেতা সরদার মাহফুজুর রহমান চিক, শেখ আসাবুর রহমান, সরদার বিদার হোসেন, শেখ সাইফুল ইসলাম, শেখ মাছুদ পারভেজ প্রমুখ।মানববন্ধনে বিক্ষুব্ধ জনতা ফাঁসি ফাঁসি চাই, লুৎফর মোল্লার ফাঁসি চাই বলে স্লোগান দেন।
    এ বিষয়ে অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তা মোল্যা লুৎফর রহমানের ব্যবহৃত মুঠোফোনে একাধিকবার কল করলেও তিনি ফোন রিসিভ না করে লাইন কেটে দিয়েছেন।
  • ঠাকুরগাঁও ১ আসনের সাবেক মন্ত্রী রমেশ চন্দ্র সেন কারাগারে।

    ঠাকুরগাঁও ১ আসনের সাবেক মন্ত্রী রমেশ চন্দ্র সেন কারাগারে।

    ঠাকুরগাঁও ১ আসনের সংসদ-সদস্য, সাবেক মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য রমেশ চন্দ্র সেনকে
    হত্যা, বোমা বিস্ফোরণ ও ছাত্র-জনতার ওপর হামলার অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলায় কারাগারে পাঠানো হয়েছে
    সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকালে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তোলা হলে বিচারক নিত্যানন্দ সরকার জামিন নামঞ্জুর করেন।
    এ সময় আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোস্তাক আলম টুলু জানান, যে হত্যা মামলা করা হয়েছে তা হচ্ছে আগুনে পুড়ে মারা যাওয়ার। তবে দুটি মামলায় পূর্ণ গ্রেপ্তার দেখিয়ে বিচারক জামিন নামঞ্জুর করেন। তবে এ মামলায় রমেশ চন্দ্র সেন কোনোভাবেই জড়িত ছিলেন না।
    বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের একটি মামলায় গত ১৬ আগস্ট রাতে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রুহিয়া নিজ বাসভবন পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। তখন থেকেই তিনি কারাগারে আছেন। এরপর ঠাকুরগাঁও রোডের ঘটনায় দুইজন বাদী হয়ে তার নামে দুটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। যেহেতু রমেশ চন্দ্র সেন আগে থেকেই গ্রেপ্তার ছিল তাই হত্যার দুটি মামলায় আজ তাকে পুনঃগ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
    উল্লেখ্য, গত ৫ আগস্টে ঠাকুরগাঁও রোড এলাকায় ৪ জন নিহত হওয়ার ঘটনায় রমেশ চন্দ্র সেনকে প্রধান আসামি করে গত ২১ আগস্ট রাতে সদর থানায় ৭৭ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতপরিচয় ২০০ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন সদর উপজেলার আরাজি পাইক পাড়া গ্রামের জাকির হোসেন।
    একই ঘটনায় ২ সেপ্টেম্বর দুপুরে সদর উপজেলা হরিনারায়নপুর মোল্লাপাড়া এলাকার মৃত আব্দুল গফুরের ছেলে জামায়াত নেতা মো. ফজলে আলম ওরফে রাসেদ ঠাকুরগাঁও চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আরো একটি অভিযোগ দায়ের করেন। পরবর্তীতে অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দেন আদালত।
  • উল্লাপাড়ার সদাই গ্রামের নবনির্মিত কালর্ভাট ধ্বসে পড়ে চলাচল বন্ধ সৃষ্টি হয়েছে দুর্ভোগ।

    উল্লাপাড়ার সদাই গ্রামের নবনির্মিত কালর্ভাট ধ্বসে পড়ে চলাচল বন্ধ সৃষ্টি হয়েছে দুর্ভোগ।

     

    উল্লাপাড়া(সিরাজগঞ্জ)প্রতিনিধিঃ সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার পঞ্চক্রোশী ইউনিয়নের সদাই গ্রামের মাঝ দিয়ে প্রবাহিত সদাইয়ের রাঘ থেকে ফুলজোর নদীর সংযোগ খালের উপর নবনির্মিত কালভার্টটি ধ্বসে পড়েছে। ফলে উভয় পাড়েরর লোকজনের যাতায়াত বন্ধ হয়ে গেছে।গবাদি পশু নিয়ে বিপাকে পরেছে সাধারন মানুষ। পঞ্চক্রোশী ইউনিয়ন পরিষদের ইউনিয়ন পরিষদ উন্নয়ন সহায়তা তহবিলের প্রকল্প থেকে ২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরে ৩ লাখ টাকা ব্যয়ে ১৮ ফুট দৈর্ঘ্য ও ১৪ ফুট চওড়া ৭ ফুট উচু ভীকল পদ্ধতিতে কালর্ভাটটি নির্মান করা হয়।

    ৩ মাস আগে এই কালর্ভাটটি স্থানীয় লোকজনের চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়। কালর্ভাট নির্মান প্রকল্পের সভাপতি ছিলেন পঞ্চক্রোশী ইউনিয়ন পরিষদের ৬ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য আব্দুল আলীম।

    স্থানীয়দের অভিযোগ অনিয়ম দুর্নিতী ও নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে কালভার্টটি তৈরি করায় এটি ভেঙ্গে পড়েছে। প্রকল্প সভাপতি বলছেন প্রবল বৃষ্টির কারণে দুই পাশ ও নিচের মাটি সরে যাওয়ায় কালভার্টটি ধ্বসে পড়েছে।

    সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের বাসিন্দা আব্দুস সালাম শেফালী বেগম, আনোয়ার হোসেন,আবু সালেক,আরজান আলী ইসলামাইল হোসেন সবুজ আলী ও বেলাল হোসেন অভিযোগ করেছেন, পঞ্চক্রোশী ইউনিয়ন পরিষদ থেকে এই ওয়ার্ডের পাশাপাশি সদাই ও রাঘবড়িয়া গ্রামের লোকজনের যাতায়াতের সুবিধার্থে চলতি অর্থ বছরে সদাই গ্রামের মাদ্রাসা মাঠ মসজিদ ও মজিবরের বাড়ী সংলগ্ন এলাকায় কালভার্টটি নির্মাণ করা হয়। মাত্র ৩ মাস আগে এটির কাজ সম্পন্ন হবার পর জনগণের চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়।

    ইউনিয়ন পরিষদের কথিত তহবিলের প্রকল্পের প্রথম কিস্তি থেকে এটি নির্মানের জন্য ৩ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। এই প্রকল্পের কাজের সভাপতি ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আব্দুল আলীম।

    তিনি নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার এবং সময় মতো কাজের তদারকি না করায় এটি নির্মানের ৩ মাসের মধ্যেই সামান্য বৃষ্টিতে ধ্বসে গেল। তারা অবিলম্বে এই বক্স কালভার্ট নতুন করে নির্মানের দাবি জানিয়েছেন ইউনিয়ন পরিষদের প্রতি।

    এ ব্যাপারে পঞ্চক্রোশী ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য ও উক্ত প্রকল্পের সভাপতি আব্দুল আলীম তার বিরুদ্ধে আনিত নিম্নমানের নির্মানের সামগ্রী ব্যবহার করে কালভার্ট নির্মানের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন,তিনি উন্নত সামগ্রী ব্যবহার করেছেন এ কাজে। কিন্তু প্রবল বৃষ্টির কারণে খালের দুই পাশের মাটি এবং নিচের অংশের কিছু মাটি ধ্বসে যাওয়ায় কালভার্টটি ভেঙ্গে পড়েছে। বর্তমানে খালে অনেক পানি। আগামী দু এক মাস পরে পানি কমে গেলে তিনি এই ভেঙ্গে যাওয়া কালভার্টটি সংস্কারের ব্যবস্থা করবেন।

    এ বিষয়ে পঞ্চক্রোশী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তৌহিদুল ইসলাম ফিরোজ জানান, ৩ লাখ টাকায় এই জাতীয় কালভার্ট যথাযথভাবে নির্মান করা কখনই সম্ভব নয়। তারপরেও স্থানীয় জনগণের সমস্যা সমাধানে তার সদস্য এটি তৈরি করেছিলেন। নতুন করে কালভার্টটি নির্মান করার জন্য দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

  • উজানের ঢলে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি দুর্ভোগে মানুষ, তিস্তার পানি বিপৎসীমার ওপরে।

    উজানের ঢলে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি দুর্ভোগে মানুষ, তিস্তার পানি বিপৎসীমার ওপরে।

    নীলফামারীর ডিমলায় উজানের ঢল আর টানা বৃষ্টিপাতে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নদীর তীরবর্তী উপজেলার সাতটি ইউনিয়নের গ্রামগুলো প্লাবিত হয়েছে। এসব এলাকার বসত ভিটায় পানি প্রবেশ করায়  দূর্ভোগে পড়েছে প্রায় পাঁচ হাজার মানুষ ভোগান্তির শেষ নেই।
    রবিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ছয়টায় তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমা অতিক্রম করে তিস্তা ব্রীজের ডালিয়া পয়েন্টে বিপদসীমার দুই সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। তবে সকাল ৯টায় ৩ সেন্টমিটার কমে বর্তমানে বিপদসীমার ১ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি নিয়ন্ত্রণে তিস্তা ব্রীজের সব কটি (৪৪টি) জলকপাট খুলে দিয়েছে ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) কর্তৃপক্ষ।
    পানি উন্নয়ন বোর্ড নীলফামারীর ডালিয়া ডিভিশনের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানায়, গত শনিবার সকাল ৯ টায় তিস্তা পয়েন্টে নদীর পানি বিপদসীমার ১৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়। এরপর বেলা ১২টা থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত ১০ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বর্তমানে বিপদসীমার ৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হলেও রাতে ১২টায় বিপদসীমা অতিক্রম করে আজ সকাল ছয়টা পর্যন্ত বিপদসীমার দুই সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হতে থাকে। তবে রবিবার সকাল ৯টায় পানি তিন সেন্টিমিটার কমে বর্তমানে বিপদসীমার এক সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তিস্তা ব্যারাজের নীলফামারী ডালিয়া পয়েন্টে নদীর পানির বিপদসীমা ৫২ দশমিক ১৫ মিটার।
    এদিকে তিস্তার পানি বৃদ্ধির ফলে নদীর তীরবর্তী উপজেলার পশ্চিম ছাতনাই, পূর্বছাতনাই, টেপাখড়িবাড়ি, খালিশা চাপানী, ঝুনাগাছ চাপানী, খগাখড়িবাড়ি, গয়াবাড়ি ইউনিয়নের গ্রামগুলোতে পানি প্রবেশ করে। পরিবার গুলোর বসতভিটায় পানি প্রবেশ করায় ভোগান্তির শঙ্কায় রয়েছেন এসব নিম্নাঞ্চলের প্রায় পাঁচ সহস্ত্রাধিক মানুষজন। এছাড়াও এসব গ্রামের জমির আমন ধান ক্ষেত বন্যার পানিতে তলিয়ে আছে। তবে বর্তমানে পানি হ্রাস পাওয়ায় সেই শঙ্কা কাটবে বলে জানান স্থানীয় কৃষকরা।
    পানি উন্নয়ন বোর্ড নীলফামারীর ডালিয়া ডিভিশনের নির্বাহী প্রকৌশলী (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. আতিকুর রহমান বলেন, গত চার দিন ধরে  টানা মাঝারি ও ভারি বৃষ্টিপাত আর উজানের ঢলে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। গত শনিবার বেলা ১২টার পর থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে নদীর পানি বিপদসীমার পাঁচ সেণ্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হলেও রাতে ১২টায় তা বিপদসীমা অতিক্রম করে সকাল ৬টায় পর্যন্ত বিপদসীমার দুই সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। এরপর সকাল ৯টায় কমে বর্তমানে বিপদসীমার এক সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্রীজের সব কটি (৪৪টি) জলকপাট খুলে দেওয়া হয়েছে। আমরা সতর্কাবস্থায় রয়েছি। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। আগামী ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত নদীর পানি ক্রমান্বয়ে হ্রাস পাবে।
    ডিমলা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মো. মেজবাহুর রহমান বলেন, স্থানীয় চেয়ারম্যানদেরকে বন্যা কবলিত এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের তালিকা তৈরির কথা বলা হয়েছে। আগামীকাল ত্রাণ প্রাপ্তি সাপেক্ষে বিতরণ করা হবে।
  • মৌলভীবাজার সাহিত্য সাংস্কৃতিক সংসদের আয়োজনে নাটিকা হৃদয়ে চব্বিশ,মৌসাসাস’ বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক।

    মৌলভীবাজার সাহিত্য সাংস্কৃতিক সংসদের আয়োজনে নাটিকা হৃদয়ে চব্বিশ,মৌসাসাস’ বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক।

    মৌলভীবাজার সাহিত্য সাংস্কৃতিক সংসদের আয়োজনে মঞ্চস্থ হলো হৃদয়ে চব্বিশ নাটিকা। নাটিকায় আয়না ঘরের দৃশ্য, জুলাই আন্দোলনে শহীদ আবু সাইদ, শহীদ মুগ্ধসহ নির্মম হত্যাকাণ্ড ও ৫ আগস্টের বিজয়ের ঘটনা ফুটে ওঠে। যা দেখে দর্শকরা আপ্লুত হয়ে পড়েন।
    নাটিকায় অভিনয় করে মৌলভীবাজার সাহিত্য সাংস্কৃতিক সংসদ, মৌলভীবাজার সাংস্কৃতিক সংসদ (মৌসাস), জলপ্রপাত শিল্পীগোষ্ঠী ও মনু কালচারাল গ্রুপ। হৃদয়ে চব্বিশ নাটিকা রচনা করেন তোফায়েল ইসলাম।
    হৃদয়ে চব্বিশ নাটিকার অভিনয় শিল্পী সাইফ উদ্দিন বলেন, চব্বিশ সাল হচ্ছে বাংলাদেশিদের জন্য ঐতিহাসিক একটি বছর। এই বছরেই বাংলাদেশিরা ফিরে পেয়েছে তাদের দ্বিতীয় স্বাধীনতা। এর ফলে ফিরে পেয়েছে বাঁচার অধিকার, কথা বলার অধিকার। যা আমাদের শহীদ আবু সাইদ, মুগ্ধ সহ আহত-নিহতদের ত্যাগের মাধ্যমে অর্জিত হয়। নাটিকায় এই বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে।
    শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) রাতে মৌলভীবাজার জেলা শিল্পকলা একাডেমির অডিটোরিয়াম শুরুতে বক্তব্য রাখেন মৌলভীবাজার ইম্পেরিয়াল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মামুনুর রশীদ। এরপর একে একে শুরু হয় হামদ-নাত, ইসলামী গান, দেশের গান, কাওয়ালি, কাজী নজরুল ইসলামের বিদ্রোহী কবিতা, মায়ের গান ও নাটিকা।
    গানে গানে মেতে উঠে পুরো শিল্পকলা একাডেমি। একের পর এক গান আর অভিনয়ে মুগ্ধ হন দর্শক। সহস্রাধিক দর্শকে ভরপুর ছিল পুরো অডিটোরিয়াম। মৌসাসের খুদে শিশু শিল্পীদের পরিবেশনা সবাইকে আকর্ষিত করে।
    মৌলভীবাজার সাহিত্য সাংস্কৃতিক সংসদের সভাপতি সিনিয়র সাংবাদিক সৈয়দ রুহুল আমীন ও সেক্রেটারি মোঃ শহিদুল ইসলামের উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মৌলভীবাজার সাহিত্য সাংস্কৃতিক সংসদের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার শাহেদ আলী, মহাসচিব ইয়ামীর আলী, বিশিষ্ট সমাজ সেবক ইঞ্জিনিয়ার সৈয়দ মনসুরুল হক, মৌলভীবাজার শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি আলাউদ্দিন শাহ, অ্যাডভোকেট শাখাওয়াত হোসাইন প্রমুখ।
    অনুষ্ঠানে সবার নজর কাড়েন সিলেট থেকে আসা জীবনমুখী ও সুফি গানের জনপ্রিয় শিল্পী শালীন আহমদ। তিনি তার বিখ্যাত মায়ের গান পরিবেশন করে মুগ্ধ করেন দর্শকদের।
    অনুষ্ঠান উপভোগ করতে আসা ব্যবসায়ী রাসেল মজুমদার বলেন, আমি আমার পরিবার ও সন্তান নিয়ে এসেছি এই অনুষ্ঠান দেখতে। অনুষ্ঠানে গানসহ বিভিন্ন পরিবেশনা খুব ভালো লেগেছে। বিশেষ করে ভালো লেগেছে হৃদয়ে চব্বিশ নাটিকা। নাটিকায় জুলাই আন্দোলনে স্বৈরাচার এর হামলা তুলে ধরা হয়েছে। যা দেখে আমি আপ্লুত হয়ে পড়েছি। কীভাবে জুলাই মাসে অত্যাচার চালিয়েছে তৎকালীন স্বৈরাচার সরকার।
    শিক্ষার্থী তারেক আজিজ বলেন, এই প্রথম আমি এ রকম সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে এসেছি। পুরো অনুষ্ঠান মাতিয়ে রাখেন শিল্পীরা। হৃদয়ে চব্বিশ নাটিকা দর্শক মাতিয়েছে। আয়না ঘরের দৃশ্য মনে দাগ কেটেছে। খুব সুন্দরভাবে আয়না ঘরের দৃশ্য ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। স্বৈরাচার সরকারের বিভিন্ন অপকর্ম নিয়ে নতুন নতুন নাটিকা মঞ্চস্থ হলে জনগণ বুঝতে পারবে। আর এই অনুষ্ঠানগুলোর মাধ্যমে ফুটে উঠবে বিগত অপকর্ম।
    অনুষ্ঠানের অন্যতম আয়োজক স্থানীয় মৌলভীবাজার সমাচার পত্রিকার সম্পাদক ও বিশিষ্ট ছড়াকার আবদাল মাহবুব কোরেশি বলেন, অনুষ্ঠানে মূল আকর্ষণ ছিল হৃদয়ে চব্বিশ নাটিকা। নাটিকায় তুলে ধরা হয়েছে শহীদ আবু সাইদ, শহীদ মুগ্ধ, জুলাই হত্যাকাণ্ড এবং বর্বর স্বৈরাচার ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের আয়না ঘরের কাহিনী। নাটিকা দেখে দর্শক খুব উপভোগ করেছেন। অনেকেই মাতোয়ারা হয়েছেন আবার অনেকেই আপ্লূত হয়েছেন।
    সভাপতির বক্তব্যে মৌলভীবাজার সাহিত্য সাংস্কৃতিক সংসদের সভাপতি সৈয়দ রুহুল আমীন বলেন, আমাদের আজকের এই অনুষ্ঠান জানি না কতটুকু আনন্দ দিতে পেরেছে দর্শকদের। এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মৌলভীবাজারে অন্যরকম একটি যাত্রা শুরু হলো। আমরা চাই সুস্থ সাংস্কৃতিক চর্চা গড়ে উঠুক, আকাশ সংস্কৃতি মুক্ত হোক দেশ। ভবিষ্যতে দর্শকদের মাতাতে আমরা আরও নতুন নতুন পরিবেশনা নিয়ে আসব বলে তিনি জানান।
  • ডিমলায় উজানের ঢল ও টানা বৃষ্টিতে নিম্নাঞ্চল  প্লাবিত।

    ডিমলায় উজানের ঢল ও টানা বৃষ্টিতে নিম্নাঞ্চল  প্লাবিত।

    নীলফামারীর ডিমলায় উজান থেকে নেমে আসা ঢল আর টানা বৃষ্টিতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। তিস্তা ও বুড়িতিস্তার পনি বিপদসীমার ছুঁইছুঁই অবস্থা। এদিকে ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ড তিস্তা ব্রীজের ৪৪টি জলকপাট খুলে দিয়েছে।

    শনিবার সকাল থেকে তিস্তা নদীর পানি বেড়ে বিপৎসীমার ৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রভাবিত হচ্ছে। এতে তিস্তাপাড়ের চর ও নিম্নাঞ্চলে পানি ঢুকে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে বেশ কয়েকটি গ্রাম ডুবেছে আমন ধানের ক্ষেত, সবজী বাগান সহ বিভিন্ন ফসল। এদিকে বুড়িতিস্তার পানি বাড়ায় দুই ধারে আমন ধানের ক্ষেত নষ্ট হওয়ার আশংকা রয়েছে।

    ডালিয়া পাউবোর উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মো. রাশেদীন বলেন উজানের ঢল ও টানা বৃষ্টিতে তিস্তা নদীর পানি বেড়েছে ব্রীজের সবকটি জলকপাট খুলে দেওয়া হয়েছে। যে কোন সময় পানি আরো বাড়তে পারে। ডিমলা আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ আব্দুস সবুর বলেন, গত ৪৮ ঘন্টায় উপজেলায় ১৫০ কিলোমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। শনিবার রংপুর বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারী থেকে ভারী বৃষ্টি হতে পারে।

  • রাণীশংকৈলে সাংবাদিকদের সাথে জামায়াতে ইসলামী নেতৃবৃন্দের মতবিনিময়।

    রাণীশংকৈলে সাংবাদিকদের সাথে জামায়াতে ইসলামী নেতৃবৃন্দের মতবিনিময়।

    কোটা বিরোধী আন্দোলনের পথ ধরে গণ অভ্যুত্থান পরবর্তী চলমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বৈষম্যহীন সমাজ গঠনের লক্ষ্যে আমাদের করণীয় বিষয়ে সংবাদকর্মীদের সাথে মত বিনিময় করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঠাকুরগাঁও জেলার রাণীশংকৈলের নেতৃবৃন্দ।
    ২৮ সেপ্টেম্বর শনিবার দুপুরে রাণীশংকৈল জামায়াতে ইসলামীর দলীয় কার্যালয়ে এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। উপজেলায় কর্মরত ইলেক্ট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় কর্মরত সাংবাদিকরা মতবিনিময় সভায় অংশ গ্রহণ করেন। ওই মতবিনিময় সভায় শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের দায়িত্বশীল ব্যক্তিরাও উপস্থিত ছিল।
    মতবিনিময় সভায় উপজেলা আমীর মাওলানা রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও উপজেলা জামায়াত ইসলামীর সেক্রেটারী মাওলানা রজব আলীর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি ছিলেন ঠাকুরগাঁও জেলা নায়েবে আমীর অধ্যাপক বেলাল উদ্দিন।
    মতবিনিময় সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রেস ও মিডিয়া সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ শাহজালাল জুয়েল, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক মতিউর রহমান,
    পৌর আমীর আলহাজ্ব আব্দুল মতিন ও পৌর সাধারণ সম্পাদক মো. মোকাররম হোসেন, রাণীশংকৈল উপজেলার এ্যাসিস্ট্যান্ট সম্পাদক মিন্নাতুল্লাহ পাঠান,উপজেলা কর্মপরিষদ সদস্য রমিজউদ্দিন ও শ্রমিক কল্যান ফেডারেশনের সভাপতি মো.রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।
    প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক বেলাল উদ্দিন বলেন, সাংবাদিকরা সমাজের চতুর্থ স্তম্ভ। সেই স্তম্ভটা অত্যন্ত মজবুত। কারও চোখের দিকে, মুখের দিকে তাকিয়ে সাংবাদিকতা হয় না। সাংবাদিকতা জিনিসটা একেবারেই ভিন্ন। এখানে তিনটি জিনিস লাগে। একটি হচ্ছে সত্যসন্ধানী মন, দ্বিতীয়টি হচ্ছে সাহস এবং তৃতীয় হচ্ছে যথাযথ সময়ে চেষ্টা। আপনাদের কাছে অনুরোধ আমাকে বা অন্য কাউকে ফেভার বা ডিজফেভার করার প্রয়োজন নেই। আপনাদের কাছে যেটা সত্য সেটাকেই তুলে ধরবেন।
    ফ্যাসিবাদ সরকার মুক্ত গণমাধ্যমকে মত প্রকাশে বাধা দিয়ে রেখে ছিল। আজ সাংবাদিকরা ও গণমাধ্যম মুক্ত স্বাধীন। তিনি দল মত নির্বিশেষে সঠিক তথ্য প্রচারের জন্য সকল সাংবাদিকদের আহ্বান জানানোর পাশাপাশি আরও বলেন, জামায়াতে ইসলাম বাংলাদেশের একটি রাজনৈতিক দল। জামায়াতে ইসলাম গত ১৬ বছর তথ্য সন্ত্রাসের শিকার হয়েছে। আমরা ভালোবাসা দিয়ে মানুষের হৃদয়ে পৌঁছাতে পেরেছি।
    আসুন ছাত্র শিক্ষক জনতা সাংবাদিক পেশাজীবী, শ্রমিক এক কাতারে এসে নতুন বাংলাদেশ গড়ায় অগ্রণী হই। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এক্ষেত্রে আপনাদের সহযোগী হয়ে বাংলাদেশকে শান্তি ও সমৃদ্ধির মডেল হিসেবে উপস্থাপন করি। আমরা সকলে  দল মত ভুলে অতীতের বৈষম্যমুলক মানসিকতা ঝেড়ে ফেলে সকলে মিলে প্রত্যয়ী হই। তাহলে সুফল আসবে।
    ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে স্বৈরাচারের পতন হলেও এর শিকড় রয়ে গেছে।এর উৎপাটন না করা পর্যন্ত আন্দোলনের সুফল ঘরে তোলা সম্ভব হবেনা। এজন্য দেশের সকল স্তরের লোকজনকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। তাহলেই সমৃদ্ধ ও শান্তিপূর্ণ এবং বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়তে পারব। এক্ষেত্রে সংবাদকর্মীদের ভূমিকা সবচেয়ে বেশি। তারাই পারবে কলমকে শানিত করে মুক্ত লেখনির মাধ্যমে প্রকৃত চিত্র তুলে ধরে পরাজিত শক্তির অপপ্রচার রোধ করে জাতিকে আশ্বস্ত করতে।একটি সুশীল, সভ্য, সুস্থ এবং শান্তিপূর্ণ সমাজ গঠনে আপনাদের কলম হোক মুক্ত।
    বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও তাদের পরামর্শ গ্রহণ এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়সহ নানা ক্ষেত্রে হামলা ও নৈরাজ্য বিষয়ে সৃষ্ট গুজব অপনোদন করে নিরাপত্তার আশ্বাস প্রদানের লক্ষ্যে ধারাবাহিক মতবিনিময়ের অংশ হিসেবে অপরদিকে রাণীশংকৈল খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সকলের সাথে শান্তা কমিউনিটি সেন্টার বিকালে আরেকটি মতবিনিময় সভার আয়োজন করেন জামায়াতে ইসলামীর নেতৃবৃন্দরা।
  • রামপালে পূজা উদযাপন পরিষদের সাথে উপজেলা প্রশাসনের মতবিনিময় সভা।

    রামপালে পূজা উদযাপন পরিষদের সাথে উপজেলা প্রশাসনের মতবিনিময় সভা।

    বাগেরহাটের রামপালে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দূর্গাপূজা উপলক্ষে  উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাথে উপজেলা প্রশাসনের আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ক এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
    বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১ টায় রামপাল উপজেলা নির্বাহী অফিসার রহিমা সুলতানা বুশরা’র সভাপতিত্বে উপজেলা অডিটোরিয়ামে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
    মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা মেজর আব্দুল্লাহ আল মেহেদী, সহকারী কমিশনার (ভূমি) আফতাব আহমেদ, সাব ইন্সপেক্টর রিফাজ উদ্দিন, উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক শেখ হাফিজুর রহমান তুহিন, উপজেলা যুব জামায়াতের সভাপতি সাবেক শেখ আসাদুজ্জামান(আসাদ), ইউপি চেয়ারম্যান তপন কুমার গোলদার, আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা তারিকুল ইসলাম, উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের আহ্বায়ক অজয় কুমার ও রামপাল প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি এফ এম আতিয়ার রহমান।
    এ বছর রামপাল উপজেলার ৩৭ টি মণ্ডপে শারদীয় দূর্গোৎসব পালিত হবে। সকল মন্দিরে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হবে। পাশাপাশি পূজা নির্বিঘ্নে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা যে কোন প্রয়োজনে পূূজা উদযাপন পরিষদের পাশে থাকবে বলে ঘোষণা দেয়া হয়।
    সভায় পূজা উদযাপন পরিষদ, হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান  ঐক্য পরিষদের সদস্যরা এবং সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
  • রামপালে আসামি গ্রেফতার না করার অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন।

    রামপালে আসামি গ্রেফতার না করার অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন।

    বাগেরহাটের রামপালে মামলা দায়েরের পরেও আসামিদের গ্রেফতার করা হচ্ছে না বলে দাবি করে মামলার বাদি আবু তালহা শেখ এক সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
    বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রামপাল প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে মামলার বাদি আবু তালহা শেখ অভিযোগ করে জানান, আমি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বাগেরহাট জেলার সদস্য ছিলাম। গত ১৩ আগস্ট, সকালে আমি হুড়কা ইউনিয়নে ছিদামখালী এলাকায় আমাদের মালিকানাধীন মৎস্য ঘেরে কাজের জন্য যাই। এসময় একই এলাকার আঃ আজিজ শেখ আমার ঘেরের বেড়িবাঁধের ওপর গরু চরাইতে থাকে। আমি তাকে বেড়িবাঁধের ওপর গরু চরাইতে নিষেধ করি। সে আমার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে পড়ে। কিছুক্ষণ পরে আমার মা জেসমীনা বেগম, বাবা সফরুল শেখ ও ভাই আবু সাঈদ তাকে তার গরু নিয়ে চলে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করেন।
    সে আমাদের সবাইকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি শুরু করে স্থান ত্যাগ করে। এ ঘটনার কিছুক্ষণ পরে আজিজ শেখ তার আত্মীয় রফিকুল ইসলাম, আবু বকার রুমি, নুরুল শেখ, মুছা শেখ ও হারুন শেখ ঘটনাস্থলে এসে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে এসে আমাদের ওপর হামলা করে।
    তিনি আরো জানান, তারা আমার মাকে খুন করার উদ্দেশ্যে লোহার রড দিয়া মায়ের মাথার তালুতে আঘাত করে। তারা আমার পিতাকে খুন করার উদ্দেশ্যে হাতে থাকা ধারালো দাঁ দিয়া পিতার মাথায় কোপ দিয়া গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে। আমার ভাইয়ের মাথায় দা দিয়ে কোপ দিয়ে জখম করে এবং আমাকে লাঠিসোঁটা নিয়ে বেধড়ক মারধর করে।
    আমাদের ডাক চিৎকার শুনে স্থানীয় লোকজন আমাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। আমার মায়ের শরীরে অনেক জখম হওয়ার কারণে তাকে খুলনা মেডিকেলে পাঠানো হয়।
    এরপর আমি হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়ে আমার মামার সহযোগিতায় গত ১৯ আগস্ট, রামপাল থানায় আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করি। মামলা দায়েরের অনেকদিন পার হলেও পুলিশ এখনো পর্যন্ত কোন আসামি ধরতে সক্ষম হয়নি। বাদি লিখিত অভিযোগে আরো জানান যে, আাসামিরা এলাকায় প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এছাড়া আসামিদের সহযোগী ছিদামখালী এলাকার রুহুল আমিন, মোঃ রাজু শেখ, মাসুম মল্লিক আমাদের নিয়মিত হুমকি ধামকি দিচ্ছে। তারা আমাদের বাড়ির সামনে এসে বলতেছে মামলা উঠিয়ে ফেলো। তা নাহলে হলে তোদের জীবনে শেষ করে দিব। এছাড়া তারা আমাদেরকে ও আমার পরিবারের লোকদের বেকায়দায় ফেলার উদ্দেশ্যে স্থানীয় লোকদের জমি দেওয়ার কথা বলে কাগজে স্বাক্ষর গ্রহণ করতেছে। তারা স্বাক্ষর দিয়া আমাদের নামে মিথ্যা অভিযোগ দেওয়ার পায়তারা করছে। আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আমরা আসামিদের আটক করার জন্য প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
    এ বিষয়ে রামপাল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সোমেন দাস জানান, পুলিশ আসামি ধরছে না এ কথাটি সম্পুর্ন ভুল। আমরা চেষ্টা চালাচ্ছি আসামিদের আটক করার জন্য। আইন সবার জন্য সমান, আমরা অল্প সময়ের মধ্যে আসামিদের ধরতে সক্ষম হবো বলেও জানান ওই পুলিশ কর্মকর্তা।