Author: admin
-
ঠাকুরগাঁও-২ আসনের সাতবারের সাবেক এমপি দবিরুল ইসলাম গ্রেফতার।
ঠাকুরগাঁও-২ আসনের (বালিয়াডাংগী, হরিপুর, রাণীশংকৈল) সাতবারের সাবেক সংসদ সদস্য দবিরুল ইসলামকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।সাবেক সংসদ সদস্য দবিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে ঠাকুরগাঁওয়ে চাঁদাবাজি, জমি দখল ও হত্যার দুটি মামলা রয়েছে। এই দুটি মামলার প্রধান আসামি তিনি।বুধবার (২ অক্টোবর) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রুহিয়া থানা আওয়ামী লীগ নেতা আলমগীর হোসেনের বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।বিষয়টা নিশ্চিত করে ঠাকুরগাঁও পুলিশ সুপার শেখ জাহিদুল ইসলাম জানান, রুহিয়া থানার রামনাথ বাজারের একজন আওয়ামী লীগ নেতার বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বালিয়াডাঙ্গী থানার একটি মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই মামলায় তিনি প্রধান আসামি।দবিরুল ইসলাম ঠাকুরগাঁও-২ আসনের সাতবারের সাবেক সংসদ সদস্য, ঠাকুরগাঁও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ছিলেন।পুলিশ সূত্রে জানা যায় ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর থেকে আত্মগোপনে ছিলেন দবিরুল ইসলাম। বুধবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।উল্লেখ্য, গত ৩ সেপ্টেম্বর ১০ কোটি টাকার চাঁদাবাজি ও জমি দখলের অভিযোগে ঠাকুরগাঁওয়ের বিচারিক হাকিম রহিমা খাতুনের আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন ব্যবসায়ী হাবিবুর রহমান বাবলু। এই মামলাটি এজাহার হিসেবে নথিভুক্ত করার জন্য জেলার বালিয়াডাঙ্গী থানার ওসিকে নির্দেশ দেন আদালত। এই মামলার ২৮ জনের মধ্যে ১ নম্বর আসামি করা হয় সাবেক এ এমপিকে।এদিকে গত ২৫ সেপ্টেম্বর শিক্ষার্থী মাহাবুব আলম হত্যার ঘটনায় ঠাকুরগাঁওয়ের সিনিয়র জুডিশিয়াল আমলি আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন নিহত শিক্ষার্থীর বাবা আব্দুল জব্বার। আদালত মামলাটি তদন্ত করে বালিয়াডাঙ্গী থানার ওসিকে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। এই মামলার ৩৮ জন জনের মধ্যে ১ নম্বর আসামি করা হয় সাবেক এমপি দবিরুল ইসলামকে।এছাড়াও ৫ আগস্ট ঠাকুরগাঁও সদরের পৌর শহরের ছিট চিলারং এলাকায় সাবেক কমিশনার একরামুদ্দৌলার বাড়িতে অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা চারজন নিহত হয়। এ ঘটনায় দায়ের করা হত্যা মামলায় তিনিও আসামি। -
প্রকাশ্যে ক্লাসরুমে ধূমপানের অপরাধে চার ছাত্রকে বহিষ্কার করায় মাদরাসায় হামলা।
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার মুহাম্মদিয়া ফাজিল (ডিগ্রি) মাদরাসায় শ্রেণিকক্ষে ধূমপানের অপরাধে চার ছাত্রকে সাময়িক বহিষ্কার করায় মাদরাসায় হামলার ঘটনা ঘটেছে। বুধবার ০২ অক্টোবর ২০২৪ ইং, দুপুরে বড়লেখা পৌর শহরের বড়লেখা মুহাম্মদিয়া ফাজিল (ডিগ্রি) মাদরাসায় এ ঘটনা ঘটে।মাদরাসা সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি শ্রেণিকক্ষে বসে মাদরাসার চার শিক্ষার্থীর ধূমপানের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় মাদরাসা পরিচালনা কমিটি চার ছাত্রকে সাময়িক বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নেয়। বহিষ্কার হওয়া চার শিক্ষার্থী ছাত্রদলের কর্মী হওয়ায় ১০-১৫ জনের একটি গ্রুপ নিয়ে উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব আরিফুল ইসলাম মাদরাসায় যান। একপর্যায়ে মাদরাসার ছাত্রদের সঙ্গে তাদের কথা কাটাকাটি হলে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা হামলা চালিয়ে মাদরাসায় ভাঙচুর করেন। পরে পুলিশ ও সেনাসদস্যরা এসে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।হামলাকারী বহিরাগতরা হলেন- আরিফুল ইসলাম, শাহরিয়ার ফাহিম, আব্দুল কাদির পলাশ, সাকিব আফনান, সামিদ, আজাদ, জালাল প্রমুখ।মাদরাসার সহকারী অধ্যাপক আব্দুল কাদির বলেন, শৃঙ্খলাবিরোধী কাজের জন্য কিছু ছাত্রকে বহিষ্কার করা হয়। সেই ঘটনায় কিছু লোক মাদরাসায় আসেন। তারা আসলে আমরা বলি অধ্যক্ষ জেলা শহরে গেছেন, তিনি আসলে বুঝা যাবে। এ ঘটনায় তারা মাদরাসার ছাত্রদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। কে কোন রাজনীতি করেন আমরা তো তাদের চিনি না।বড়লেখা উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব আরিফুল ইসলাম বলেন, আমরা খবর পেয়েছি এখানে ছাত্রশিবির অবস্থান করে ফরম কাটাচ্ছে এবং কিছু অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটেছে। তাই আমরা এসেছিলাম। আসার পর তারা আমাদের ওপর হামলা চালালে আমরা পাল্টা হামলা করি।বড়লেখা উপজেলা ছাত্রশিবিরের সভাপতি সাজু আহমদ বলেন, ধূমপান করায় শিক্ষার্থীদের অভিযোগে ৪ জনকে বহিষ্কার করে মাদরাসা কর্তৃপক্ষ। বহিষ্কৃতরা ছাত্রদলের কর্মী হওয়ায় উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব বিষয়টি নিয়ে মাদরাসায় এসে শিক্ষকদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেন। ছাত্র সংসদের ভিপি আব্দুর রহমান এবাদ এটার প্রতিবাদ করলে তার সাথেও খারাপ ব্যবহার করা হয়। পরে শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদ করলে তারা ভাংচুর চালায়। পরে শিক্ষার্থীদের প্রতিরোধে ছাত্রদলের নেতারা পালিয়ে যায়। এখানে ছাত্রশিবিরের কোন সংশ্লিষ্টতা নেই।বড়লেখা উপজেলা জামায়াতের নায়েবে আমির ফয়ছল আহমদ বলেন, একটা অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে। বহিরাগতরা মাদরাসায় এবং শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করেছে। ঘটনাটি শুনে আমরা মাদরাসায় যাই। সেখানে সেনাবাহিনী ও পুলিশ ছিল। বিএনপি নেতারা বলেছেন তারা বিষয়টির উপযুক্ত সমাধান করে দেবেন। এরপর আমরা শিক্ষার্থীদের শান্ত করি। তবে মাদরাসা কর্তৃপক্ষ যাদের বহিষ্কার করেছে তাদের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হয়নি। এ ঘটনায় ইন্ধনদাতা ছিলেন বিএনপি নেতা আব্দুল কাদির পলাশ।দক্ষিণবাগ (উত্তর) ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুল জব্বার বলেন, আমরা ঘটনা শুনে সেখানে যাই। সেখানে ছাত্রদল আর ছাত্রশিবিরের ছেলেরা ছিল। সেখানে গিয়ে শুনেছি ধূমপানের বিষয়ে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে ছাত্রদল আর শিবিরের মধ্যে ইটপাটকেল নিক্ষেপ হয়। পরে দুই পক্ষ অবস্থান নিলে আমরা তাদের সঙ্গে কথা বলে সমাধানের চেষ্টা করি। সেখানে পুলিশ ও সেনাবাহিনী ছিল। ফয়ছল ভাই আর আমি মিলে দুই পক্ষকে সরিয়ে দেই।তিনি বলেন, আগামীকাল আমরা বসে দুই পক্ষের মধ্যে যে ভুল বুঝাবুঝি হয়েছে সেটা সমাধান করে দেব। সেখানে অধ্যক্ষ ও প্রশাসন থাকবে।বড়লেখা মুহাম্মদিয়া ফাজিল (ডিগ্রি) মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মোঃ আলিম উদ্দিন বলেন, যে ছাত্রগুলোকে বহিষ্কার করা হয়েছে তারা আগে থেকেই সমস্যা তৈরি করে আসছিল। তারা ক্লাসে বসে ধূমপান, ছাত্রী ও শিক্ষকদের সঙ্গে খারাপ আচরণও করেছিল। এজন্য তাদের বহিষ্কার করা হয়। আজ আমি ডিসি অফিসে ছিলাম। পরে শুনেছি ওই শিক্ষার্থীদের পক্ষ হয়ে বহিরাগতরা মাদরাসায় একটা অনাকাঙ্ক্ষিত পরিবেশ তৈরি করে। দুই পক্ষের মধ্যে যে ভুল বুঝাবুঝি হয়েছে বিষয়টি সমাধান করা হবে।এবিষয়ে বড়লেখা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আব্দুল কাইয়ুম বলেন, খবর জানার সঙ্গে সঙ্গে আমরা ফোর্স পাঠাই। সেনা সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন। বিষয়টি সবার উপস্থিতিতে বড়লেখা উপজেলা জামায়াতের নায়েবে আমির ফয়ছল আহমদ ও বিএনপি নেতা আব্দুল জব্বার সামাধান করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ ঘটনায় বহিরাগতদের পক্ষে ছিলেন আব্দুল কাদির পলাশ। বর্তমানে এখানে কোনো ঝামেলা নেই। পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে বলে জানান তিনি। -
ঠাকুরগাঁওয়ে ৩ দিনব্যাপী ইজতেমা,সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন।
ঠাকুরগাঁওয়ে জেলা ইজতেমার মাঠ প্রস্তুত হয়েছে। ইজতেমাকে ঘিরে এরই মধ্যে ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের উদ্দীপনা লক্ষ করা গেছে। জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে লোকজন এসে ইজতেমার মাঠে মিলিত হচ্ছেন।
জেলার গোবিন্দনগরে ঠাকুরগাঁও-রুহিয়া সড়কের পাশে প্রয়াত আনোয়ার হোসেন লাল মিয়ার পুরাতন ইটভাটা মাঠে বৃহস্পতিবার ফজরের নামাজের পর বয়ানের মধ্য দিয়ে ইজতেমার আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হবে। শনিবার জোহরের নামাজের আগে আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে ইজতেমার কার্যক্রম শেষ হবে।
ঠাকুরগাঁও জেলা ইজতেমার মিডিয়া সমন্বয়ক মো. সায়েম বলেন, ‘আমরা ইতিমধ্যে জেলা প্রশাসকের কাছ থেকে ইজতেমার অনুমতিপত্র পেয়েছি। ঢাকার কাকরাইল মসজিদের মুকিম মাওলানা মুহাম্মদ উল্লাহ ১২ জনের প্রতিনিধি দল নিয়ে সন্ধ্যার মধ্যে ইজতেমা মাঠে উপস্থিত হবেন।
‘এ ছাড়াও ইন্দোনেশিয়া থেকে তাবলিগের ৮ জনের একটি প্রতিনিধি দল ইজতেমা মাঠে উপস্থিত হয়েছে। আগামীকাল ফজরের পর বয়ানের মধ্য দিয়ে ইজতেমার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এখানে ইজতেমাকে ঘিরে মুসল্লিদের মাঝে উদ্দীপনা রয়েছে। সবার সহযোগিতায় মাঠ ও ইজতেমার যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।’
এ সমন্বয়ক আরও বলেন, ‘ইজতেমা চলাকালীন প্রত্যেক নামাজের ওয়াক্তের পরে বয়ান করা হবে। মুসল্লিদের যাতে ইজতেমা মাঠে কোনো অসুবিধা না হয়, এর জন্য পানিসহ প্রয়োজনীয় সকল বন্দোবস্ত করা হয়েছে।
‘শুক্রবার জুমার নামাজে জেলা প্রশাসকের প্রতিনিধি দল ইজতেমায় অংশগ্রহণ করার কথা আছে। এ ছাড়াও জেলা পুলিশ সুপারসহ বিভিন্ন দলের রাজনীতিক নেতারাও উপস্থিত হবেন। ইজতেমা মাঠর সার্বিক সহযোগিতা ও নিরাপত্তার বিষয়ে ঠাকুরগাঁও প্রশাসন সহযোগিতা করবে।
-
উল্লাপাড়ায় আওয়ামীলীগ নেতা সহ ৭ আসামি গ্রেফতার।
উল্লাপাড়া(সিরাজগঞ্জ)প্রতিনিধি: সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় একাধিক মামলায় আওয়ামীলীগ নেতা সহ ৭ আসামিকে গ্রেফতার করেছে মডেল থানা পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে এ সমস্ত আসামিদের আটক করা হয়।
আাসামিরা হলেন-উপজেলার বড়হর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আঃ আজিজ সরকার (৫৬),বড়হর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোঃ শফিকুল ইসলাম বাবু (৪০),বড়হর ওয়ার্ড আওয়ামিলীগের সভাপতি মোঃ হাবিবুর রহমান (৫০),মোঃ আলাউদ্দিন (৪২), আ’লীগ নেতা মোঃ লেলিন খোরশেদ মামুন (৪৮)।
এছাড়াও পৌর শহরের ঝিকিড়া মহল্লার নজু মিয়ার ছেলে রুবেল (৪০) ও উপজেলার বড়ঘোনা গ্রামের সোমেজুলের ছেলে মঞ্জুরুল ইসলাম(৪৩) আদালতের ওয়ারেন্টভুক্ত ২ আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়।
উল্লাপাড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: রাকিবুল ইসলাম জানান, উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে দুটি নিয়মিত মামলার ৫ আসামি ও আদালতের ওয়ারেন্টভুক্ত ২ আসামিকে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
-
পীরগঞ্জ সীমান্তে মানবপাচারকারীসহ ৪ জন গ্রেফতার।
ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলার চান্দের হাট সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারত থেকে বাংলাদেশে আসার সময় দুই মানবপাচারকারীসহ চার বাংলাদেশিকে আটক করেছে বিজিবি। আজ বুধবার ভোরে সীমান্তে ৩৩৩ -এর ৩ এস পিলার এলাকায় পশ্চিম ভবানীপুর গ্রাম থেকে তাদের আটক করা হয়। পরে তাদের পীরগঞ্জ থানায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।আটক হওয়া ব্যক্তিরা হলেন-দিনাজপুর জেলার বোচাগঞ্জ থানার রামপুর গ্রামের পবেনের ছেলে নিশিত (৩৬), বিরল উপজেলার কাশিডাঙ্গা গ্রামে মৃত গোপাল মোহন্তের ছেলে রিন্টু মোহন্ত (৪১), পীরগঞ্জ উপজেলার ভবানীপুর গ্রামে মৃত আব্দুল আজিজের ছেলে ওবায়দুর রহমান (৫৪) এবং ইন্দ্রেইল গ্রামের শামসুদ্দিনের ছেলে অবায়দুর (৩৪)।চান্দের হাট বিজিবি ক্যাম্পের ইনচার্জ নায়েক সুবেদার মামুনুর রশিদ জানান, অবৈধভাবে ভারত থেকে বাংলাদেশে আসার পথে সীমান্তে তাদের আটক করা হয়। এদের মধ্যে ওবায়দুর রহমান ও আবায়দুর রহমান মানব পাচারকারী এবং আপর দুই জন সাধারণ নাগরিক। তাদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করা হয়েছে।পীরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল আনাম ডন মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। -
ডিমলায় প্রাথমিক শিক্ষকদের বৈষম্য নিরসনে এক দফা এক দাবীতে মানবন্ধন।
ডিমলা (নীলফামারী) প্রতিনিধিঃ নীলফামারীর ডিমলায় মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা বাস্তবায়নে শতভাগ পদোন্নতিসহ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের ১০ম গ্রেড ও প্রধান শিক্ষকদের ৯ম গ্রেড বাস্তবায়নের দাবিতে ডিমলা উপজেলা পরিষদের সামনে এক দফা এক দাবীতে মানববন্ধন করেছেন উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষক সংগঠন সমন্বয় পরিষদ। “প্রধান ও সহকারী শিক্ষক ঐক্য গড়ি, নায্য দাবি আদায় করি” এই স্লোগানকে সামনে রেখে ০২ অক্টোবর বুধবার বিকালে উপজেলা পরিষদের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশ গ্রহন করেন উপজেলার বিভিন্ন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ও প্রধান শিক্ষকগন। মানব বন্ধনে বক্তব্য রাখেন প্রাথমিক শিক্ষক সংগঠন সমন্বয় পরিষদের সমন্বয়ক মুহাম্মদ তাজউদ্দিন, আমজাদদুল হক, রায়হান ইবনে আবেদীন, নুর আলম, হাসিম উল ফারুক ডলার, শামসুল হক,শাহেদ অদনান, হাসান শাহরিয়ার, আসাদুজ্জামান কমল, অলিয়ার রহমানসহ প্রমূখ। মানবন্ধন শেষে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বরাবরে বৈষম্য নিরসনে প্রাথমিক শিক্ষক সংগঠন সমন্বয় পরিষদের সমন্বয়কবৃন্দ উপজেলা নির্বাহী অফিসার উম্মে সলমা এর নিকট লিখিত স্মারকলিপি প্রদান করেন।
-
রাণীশংকৈলে ২ হাজার ৪’শ’ পিস ইয়াবাসহ মাদক ব্যবসায়ী ইমরান গ্রেফতার।
ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে ২ হাজার ৪’শ পিস ইয়াবাসহ মাদক ব্যবসায়ী ইমরান আলী(৩২)কে গ্রেফতার করেছে জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর।
বুধবার (২ অক্টোবর) সকালে উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নের লধাবাড়ী এলাকার ইমরান আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়। এ সময় তার ঘর তল্লাশি করে ২৪০০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত মাদককারবারী ইমরান উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নের আরাজী চন্দনচহট লধাবাড়ী গ্রামের হায়দার আলীর ছেলে।
গ্রেপ্তারের ঘটনায় বুধবার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক মো.ফরহাদ আকন্দ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে রাণীশংকৈল থানায় মামলা দায়ের করেন।পরে তাকে ঠাকুরগাঁও বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করেছেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঠাকুরগাঁও মাদকদ্রব্য অধিদপ্তরের একটি দল বুধবার (০২ অক্টোবর ) সকালে লধাবাড়ী গ্রাম থেকে ইমরান আলীর নিজ বাড়ীতে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে। আটকের পর তার ঘরে তল্লাশি করে ছোট একটি লাল কাপড়ের ব্যাগের ভিতরে ১২টি আলাদা প্যাকেট থেকে ২৪০০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। যার আনুমানিক মুল্য ১২ লক্ষ টাকা।
এ ঘটনায় জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক মো. ফরহাদ আকন্দ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দিয়ে বুধবার দুপুরে ঠাকুরগাঁও বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করেছেন। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৮ এর ৩৬(১) সারণীর ১০(ক) ধারায় অবৈধ মাদকদ্রব্য ইয়াবা ট্যাবলেট বিক্রি করার উদ্দেশ্যে নিজ হেফাজতে রাখার অপরাধে এ মামলা করা হয়।
এ ব্যাপারে জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের (পরিদর্শক)ফরহাদ আকন্দ বলেন,মাদককারবারি ইমরান দীর্ঘদিন ধরে সীমান্তবর্তী বিভিন্ন এলাকা থেকে মাদকদ্রব্য সংগ্রহ করে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রি ও সরবরাহ করে আসছিলেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে ইমরান আলীকে ২৪০০ পিস ইয়াবাসহ আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। আসামীকে বিজ্ঞ আদালতে পাঠানো হয়েছে।রাণীশংকৈল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জয়ন্ত কুমার সাহা বলেন,মাদকসহ ইমরান আলী নামের এক মাদক কারবারিকে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের একটি টিম গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তারের ঘটনায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা হয়েছে।
-
ঠাকুরগাঁওয়ে ৮ মাসে বিয়ে বিচ্ছেদ ১১’শ-এগিয়ে নারীরা।
কোনো দম্পতির বিয়ের বয়স ছয় মাস, কারও দু’বছর, আবার কারও পাঁচ বছর পেরিয়েছে। অনেকের বিয়ের বয়স এক দশক পেরিয়ে হয়েছেন দুই-এক সন্তানের অভিভাবক। স্বামী-স্ত্রীর এমন দীর্ঘদিনের সম্পর্ক শেষ হয়ে যাচ্ছে নিমিষেই। কয়েক বছর আগেও বিয়ে বিচ্ছেদের এমন ঘটনা ঠাকুরগাঁওয়ে কম শোনা গেলেও বর্তমানে বিচ্ছেদের হার বৃদ্ধি পেয়েছে।প্রতিদিন গড়ে বিয়ে বিচ্ছেদ হচ্ছে চারটি করে। বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক, সংসারে বনিবনা না হওয়া, যৌতুকের দাবিতে নির্যাতনের কারণে দিন দিন বেড়ে চলছে বিবাহ বিচ্ছেদের ঘটনা।জেলা রেজিস্ট্রার অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত গত ৮ মাসে জেলায় বিয়ে বিচ্ছেদ হয়েছে ১১শ। এর মধ্যে নারীর মাধ্যমে বিচ্ছেদ হয়েছে ৬০০টি, ছেলের মাধ্যমে হয়েছে ৩০০টি আর পারিবারিকভাবে হয়েছে ২০০টি।স্থানীয় সমাজকর্মী আবু মহিউদ্দিন বলেন, বিয়ে বিচ্ছেদ সমাজে একটি ব্যাধির মতো হয়ে গেছে। বিয়ে বিচ্ছেদ প্রতিকারের জন্য সচেতনতা জরুরি। বর্তমান সমাজে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের কারণেই বেশিরভাগ সম্পর্ক শেষ হয়ে যাচ্ছে। একটি পরিবারের সুন্দর সম্পর্কের যে প্রয়োজনীয়তা এসব নিয়ে সমাজের সবাইকে সচেতন করা দরকার। বিয়ে বিচ্ছেদ কমানোর জন্য ধর্মীয় মূল্যবোধ বৃদ্ধি করতে হবে।ঠাকুরগাঁও পৌরসভার ৭ ও ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাজী রফিকুল ইসলাম বলেন, বর্তমানে বিয়ে বিচ্ছেদ অনেক বেড়ে গিয়েছে। বিয়ে বিচ্ছেদ বা তালাকের জন্য অনেকগুলো কারণ থাকে। আমি গত ১ মাসে যতগুলো তালাক করেছি বেশিরভাগই মেয়েপক্ষ থেকে হয়েছে। ছেলেপক্ষ থেকে বা উভয়পক্ষ থেকে তালাক খুবই কম। আর মেয়েপক্ষ থেকে বিচ্ছেদের অনেকগুলো কারণ রয়েছে। এর মধ্যে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক, সংসারে বনিবনা না হওয়া ও যৌতুকের জন্য নির্যাতন প্রধান কারণ। আমরা চেষ্টা করি একটি বিচ্ছেদের আগে যেন কোনোভাবে সেটাকে আটকানো যায়, কিন্তু তারপরও তা সম্ভব হয় না। আর একটি বিচ্ছেদের জন্য অনেকগুলো মানুষকে সেটার কুফল ভোগ করতে হয়।ঠাকুরগাঁও শহরের হাজিপাড়া এলাকার বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম বলেন, আমি বিয়ে করেছি প্রায় ৪০ বছর। স্ত্রী আর আমি দুজন মিলে বিয়ের এতদিন পার করলাম। সংসারে অনেক ঝগড়া-বিবাদ হয়। আমরা সেগুলো নিজেদের মধ্যো আলোচনা করে ঠিক করে নেই। কিন্তু কোনো দিনও বিচ্ছেদ হবে এমনটা আমরা চিন্তাও করিনি। আমাদের সন্তানদেরও একই শিক্ষা দিয়েছি।ঠাকুরগাঁও সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. আবু বকর সিদ্দিক বলেন, পরিবারে স্বামী-স্ত্রী একসঙ্গে সব সমস্যার সমাধান করবে। কিন্তু এখন দেখা যায়, সামান্য সমস্যা হলেই ডিভোর্স হয়ে যাচ্ছে। আমাদের পরিবারের বাঁধনগুলো এখন খুবই দুর্বল। তাই আমাদের সবার প্রয়োজন পরিবারের যে গুরুত্ব এটা বোঝা এবং সবাইকে এ সম্পর্কে শিক্ষা দেওয়া।জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদিন বলেন, আদালতে এখন যতগুলো বিচ্ছেদের জন্য আসে তার মধ্যে মেয়েপক্ষ থেকে বেশি আসে। সংসারে স্বামী-স্ত্রী মিল না হওয়ার কারণেই তালাক হচ্ছে। তবে আমি মনে করি, সংসার জীবনে সমস্যাগুলো সমাধান করে একে অপরের ভুলত্রুটি মেনে নিয়ে চলাই জীবন।জেলা সাবরেজিস্ট্রার কার্যালয়ের রেজিস্ট্রার হেলাল উদ্দিন বলেন, বিবাহবিচ্ছেদ বা তালাক সাধারণত তিন প্রকার। ছেলেপক্ষ থেকে তালাক, মেয়েপক্ষ থেকে তালাক ও উভয়পক্ষ থেকে তালাক। এ বছর মেয়েপক্ষ থেকে তালাক বেশি হয়েছে। পারিবারিকভাবে তালাকের সংখ্যা খুবই কম। -
বেলকুচিতে শারদীয় দূরর্গাপূজা উদযাপন উপলক্ষে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত।
সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে শারদীয় দূর্গাপূজা উপলক্ষে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার সকালে বেলকুচি উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়াম এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।উক্ত সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আফিয়া সুলতানা কেয়া।
সভায় সহকারী কমিশনার (ভূমি) প্রতিক মন্ডল, সিনিয়র এস এরাফিউর রহমনা রাফি, সেনাবাহিনীর দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মেজর এস এম তবিবুর রহমান, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাকেরিয়া হোসেন, বেলকুচি প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম, উপজেলা জামায়তের আমীর আরিফুল ইসলাম সোহেল, পৌর বিএমপির সভাপতি আলতাফ হোসেন প্রামানিক, বাংলাদের পূজা উদযাপন পরিষদের উপজেলা শাখার সভাপতি বৈদ্যনাথ রায়, সাধারণ সম্পাদক অমৃত নারায়ন দে, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের উপজেলা শাখার সভাপতি জয়শংকর সাহা, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উপজেলা সমন্বয়ক মুছা হাসেমী সহ আরো অনেকেই বক্তব্য রাখেন।
এ সময় বক্তারা বলেন, আজান ও নামাজের সময় মাইক ও বাদ্যযন্ত্রের ব্যবহার বন্ধ রাখতে হবে। থানা পুলিশের পক্ষ থেকে প্রতিটি পূজামণ্ডপ এলাকায় সর্বোচ্চ আইনশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে। পুলিশ ও আনসারের পাশাপাশি নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক দিয়ে নিরাপত্তা নিশ্চিত করাসহ পূজার নিরাপত্তার সার্বিক বিষয়ে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়।
-
রামপালের খেজুরমহল টি আর আলিম মাদ্রাসার প্রভাষককে পদত্যাগের দাবিতে মানববন্ধন।
রামপাল(বাগেরহাট)প্রতিনিধিঃবাগেরহাটের রামপালে খেজুরমহল টি.আর আলিম মাদ্রাসার প্রভাষক ইয়াহিয়া’র পদত্যাগের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে।মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১১ টায় উপজেলার বাইনতলা ইউনিয়নের কুমলাই ছাত্র সমাজ ও সাধারণ জনগণের আয়োজনে মাদ্রাসার সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।মানববন্ধনে বিক্ষুব্ধ জনতা অভিযোগ করে বলেন, প্রভাষক ইয়াহিয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ভাগার মোড়ে সাধারণ ছাত্রদের বিপক্ষে অবস্থান নেন। সেখান থেকে ফিরে জনৈক কাজী রোকনকে দিয়ে যেসব ছাত্ররা আন্দোলনে গিয়েছিল তাদের নামের তালিকা তৈরি করে। বিগত দিনে রাসুল (সাঃ) এর কটূক্তিকারী নাস্তিক মহেশ্বরের পক্ষ নিয়ে গোটা মুসলমান জাতির বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়। আমতলা মাঠে তাফসীরুল কোরআন মাহফিল বন্ধ করে দেয়। তার মাদ্রাসা ছাত্র হাফেজ আমির হামজা ছাত্র শিবির করার কারণে তাকে বেধড়ক মারধর করে। এছাড়া আরেক ছাত্র ফকির আয়াজকে ছাত্র লীগের নেতাদের সামনে এনে বেধড়ক মারধর করে। এছাড়া তিনি পবনতলা বাইতুন নূর জামে মসজিদের নামে জেলা পরিষদের বরাদ্দকৃত ২ লক্ষ টাকা গাবতলা বাইতুন নূর জামে মসজিদের নামে ভূয়া রেজুলেশন ও বিল ভাউচার করে টাকা আত্মসাত করে। গাবতলা মসজিদে ১৫ বছরের অধিক পুরানো কমিটি না ঠিক রেখে ক্ষমতায় অপব্যবহার করে। এছাড়াও তিনি প্রভাব খাটিয়ে কয়েকজন মুসল্লীকে মসজিদে আশা থেকে বিরত রাখে।মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন বিএনপি নেতা তরফদার জিল্লুর রহমান, সরদার বাকী বিল্লাহ, সরদার মারুফ, খান লুৎফর রহমান, ছাত্রদল নেতা শেখ হাফিজ, মোঃ মেহেদী হাসান, খান তানভীর, মোঃ সোহেল, মোঃ জুয়েল।এ বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক মোঃ ইয়াহিয়া বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে সকল অভিযোগ আনা হচ্ছে তা মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও বানোয়াট। আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে তা সঠিক নয়। কিছু লোক ব্যক্তিগত আক্রোশে আমার বিরুদ্ধ অপপ্রচার চালাচ্ছে। আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, আইন অনুযায়ী আমি যদি কোন অপরাধ করে থাকি তাহলে আইন আমাকে যে শান্তি দেয় তা মেনে নিবো। এছাড়া আমি এ সকল মিথ্যা অভিযোগের তীব্র নিন্দা জানাই।