Author: admin

  • নরসিংদীতে মাসব্যাপী বাণিজ্য মেলার উদ্বোধন।

    নরসিংদীতে মাসব্যাপী বাণিজ্য মেলার উদ্বোধন।

    নরসিংদী প্রতিনিধিঃ নরসিংদীতে চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজের উদ্যোগে মাসব্যাপী শিল্প ও বাণিজ্য মেলার উদ্বোধন করা হয়েছে।

    শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) সকাল ১১টায় নরসিংদী শহরের পৌর পার্কে এই মেলার উদ্বোধন করা হয়। নরসিংদী চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট রাশেদুল হাসান রিন্টুর সভাপতিত্বে মেলার উদ্বোধন করেন নরসিংদী জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিট্রেট মোহাম্মদ রাশেদ হোসেন চৌধুরী। এসময় উপস্থিত ছিলেন চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজের ভাইস প্রেসিডেন্ট হাসিব আহমেদ মোল্লা, পরিচালক নাজমুল হক ভূঞা, দেলোয়ার হোসেন দুলাল, নাসির আহমেদ রিগান, সারোয়ার হোসেন ভূঞা, ইফরান আহমেদ মোল্লা, এনায়েত সারজিদ প্রমুখ। মেলায় মোট ১০৫টি বিভিন্ন পণ্যের স্টল রয়েছে। মাসব্যাপী এই মেলা প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত দর্শনার্থীদের জন্য খোলা থাকবে।

  • কালিয়াকৈরে বিএনপির কর্মী সভা অনুষ্ঠিত।

    কালিয়াকৈরে বিএনপির কর্মী সভা অনুষ্ঠিত।

    কালিয়াকৈর(গাজীপুর)প্রতিনিধিঃ

    গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার ৭ নং ওয়ার্ড বিএনপির ও অঙ্গ সংগঠনের উদ্যোগে শুক্রবার বিকালে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশ নায়ক তারেক রহমান কর্তৃক ঘোষিত ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষে কর্মী সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    কর্মী সভার সভাপতিত্ব করেন কালিয়াকৈর পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও কর্মী সভা প্রস্তুতি কমিটির আহবায়ক রেজভী আহমেদ দুলাল।
    অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন
    কেন্দ্রীয় বিএনপির শ্রম বিষয়ক সহ সম্পাদক ও ভারপ্রাপ সাধারণ সম্পাদক বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন মোঃ হুমায়ুন কবির খান। সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কালিয়াকৈর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল লতিফ ।

    বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন , কালিয়াকৈর পৌর বিএনপির সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন, গাজীপুর জেলা বিএনপির সহ সভাপতি মোখলেছুর রহমান, গাজীপুর জেলা বিএনপির সহ সভাপতি হযরত আলী মিলন, গাজীপুর জেলা বিএনপির সদস্য খন্দকার পাভেলুর রহমান, কালিয়াকৈর পৌর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক মোঃ সাহাবুল্লাহ,।

  • ডেলিগেটারের ভোটে বি.এন.পি’র কমিটি গঠনের দাবিতে জনসমাবেশ।

    ডেলিগেটারের ভোটে বি.এন.পি’র কমিটি গঠনের দাবিতে জনসমাবেশ।

    রামপাল(বাগেরহাট)প্রতিনিধিঃ বাগেরহাটের রামপালে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ ও মাদকের বিরুদ্ধে এবং তৃণমূল পর্যায়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র কমিটি ভোটের মাধ্যমে গঠনের দাবিতে এক বিক্ষোভ মিছিল ও জনসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
    শুক্রবার(২৪ জানুয়ারি) বিকেলে উপজেলা বিএনপি’র আয়োজনে উপজেলার ফয়লা বাজার বাসস্ট্যান্ডে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
    এদিন দুপুর থেকে উপজেলার ১০ টি ইউনিয়ন থেকে রনসেন মোড়ে জড়ো হতে থাকে নেতা-কর্মীরা। পরে হাজার হাজার নেতা-কর্মী মিছিল সহকারে ফয়লা বাজারের সমাবেশে যোগদান করেন।
    উপজেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক শেখ হাফিজুর রহমান তুহিন’র সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপি’র জাতীয় নির্বাহী কমিটির গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক কৃষিবিদ শামীমুর রহমান (শামীম)।
    প্রধান অতিথির বক্তব্যে কৃষিবিদ শামীম বলেন, দীর্ঘদিন দেশে সীমাহীন অনিয়ম-দুর্নীতি করেছে আওয়ামী লীগ সরকার। জনগণের ভোটাধিকার হরণ করছে। গত ৫ আগস্ট ছাত্রজনতার গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে স্বৈরাচার শাসক হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়েছে। স্বৈরাচার পালিয়ে গিয়েও দেশ ধ্বংসের চক্রান্তে লিপ্ত আছে। পতিত স্বৈরাচারের দোসররা এখন বিএনপির ঘাড়ে চাপতে চাচ্ছে। তারা বিএনপির কমিটিতে আসার জন্য নানান কৌশলে এগোচ্ছে। এতদিন যারা আওয়ামী দুঃশাসনের যাতাকলে পড়ে হামলা, মামলা ও কারাবরণ করেছেন তাদেরকেই কমিটিতে আনতে হবে। কোন আওয়ামী লীগের দোসরকে কমিটিতে জায়গা দেয়া হবেনা। গনতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে গিয়ে প্রকৃত বিএনপির কর্মী সংগ্রহ করে ভোটের মাধ্যমে কমিটি গঠন করতে হবে।
    এসময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপি নেতা মোল্লা আঃ ছত্তার, মিলন আকুঞ্জি, মঞ্জুর ফারাজি, রুহুল আমিন, আকবর হোসেন, ইসমাঈল মোল্লা খোকন, ফরিদ উদ্দীন, শেখ শারাফাত, তরফদার জিল্লুর রহমান, আল আমিন, রফিকুল ইসলাম, হিরক মনি টুলু, শহিদুল ইসলাম, হুমায়ুন আহমেদ, সৈয়দ কুদরতি ইলাহি, এ্যাডঃ কামাল হোসেন প্রমুখ।
  • শীতের দাপটে কাবু ছিন্নমূল মানুষ,ঘনকুয়াশার চাদরে ঢাকা সড়ক পথ বিপাকে যানবাহন চালক।

    শীতের দাপটে কাবু ছিন্নমূল মানুষ,ঘনকুয়াশার চাদরে ঢাকা সড়ক পথ বিপাকে যানবাহন চালক।

    ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:
    উত্তরের জেলা ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে কনকনে শীতের কারণে চরম বিপাকে পড়েছে নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষরা।
    গত কয়েকদিন থেকে এ উপজেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে হিমেল হাওয়া। পড়েছে বৃষ্টির মত পড়ছে শিশির বিন্দু। ঘন কুয়াশার কারণে মাঠ ঘাট, পথঘাট সব ঢাকা পড়েছে। বেলা বেড়েছে তবুও দেখা নেই সূর্যের।
    শুক্রবার রংপুর আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের তথ্যমতে ঠাকুরগাঁও জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়  ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাপমাত্রার পারদ বাড়লেও কমেনি শীতের তীব্রতা।
    সরেজমিনে দেখা যায়, কয়েকদিন থেকে এ উপজেলার সকল এলাকা কুয়াশায় আচ্ছাদিত হয়ে রয়েছে। বিভিন্ন সড়কে যানবাহন চলাফেরা করছে হেডলাইট জ্বালিয়ে। একদিকে কনকনে শীত অন্যদিকে হিমেল হাওয়া বয়ে যাওয়ার কারণে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। শুধু মানুষই নয় এই শীতের প্রভাব পড়েছে কৃষি ও প্রাণিজগতেও৷
    এদিকে ঘন কুয়াশা আর হিমেল হাওয়ায় দিনমজুর ও খেটে খাওয়া মানুষও নাকাল হয়ে পড়েছে। কুয়াশার চাদর ভেদ করে সূর্যের আলোর উত্তাপ পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে কমছে না শীতের তীব্রতা। অনেককে খড়কুটো, কাঠ খড়ি জ্বালিয়ে শীত নিবারণ করতে দেখা গেছ।
    ঘনকুয়াশার চাদরে ঢাকা ঠাকুরগাওয়ের গ্রামাঞ্চল।
    এ বিষয়ে কথা হয় ভবান্দপুর এলাকার বাসিন্দা নাইম ইসলামের সাথে। তিনি বলেন, কনকনে শীতের কারণে আমার শিশু সন্তান অসুস্থ হয়ে পড়েছে। তাকে আমি হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছি। শীতবস্ত্রের অভাবে মানবেতর জীবনযাপন করতে হচ্ছে আমাদের।
    অন্যদিকে হোটেল শ্রমিক নিতাই চন্দ্র বলেন, মানুষ শীতেই বাড়ি থেকে বের হয় না। এই শীতের কারণে আমরা তেমন কাজকর্ম করতে পারছি না। আমাদের আয় কমে গেছে। কেউ আমাদের খোঁজ খবর নেয় না।
    নেকমরদ এলাকার জুতা ব্যবসায়ী  সেকেন্দার আলী বলেন, হঠাৎ করে কয়েকদিন ধরে আবার দেখা দিয়েছে ঘন কুয়াশা ও শীত। কুয়াশার কারণে কোনো দিকে কিছু দেখা যাচ্ছে না। শীত প্রতিবছরই আমাদের জন্য দুর্ভোগ নিয়ে আসে।
    কয়েকজন গাড়ি চালক বলেন, কুয়াশার কারণে সড়কে চলা তাদের জন্য কষ্টকর হয়ে পড়েছে। ১০-১৫ গজ দূরে গাড়ির লাইটের আলোও কাজ করছে না।
    রিকশাচালক বসির উদ্দীন বলেন, ঠান্ডার কারণে এখন মানুষজন রিকশায় উঠতে চায় না। এ কারণে আমাদের আয়-রোজগার কমে গেছে। সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
    এবিষয়ে রাণীশংকৈল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা  (ইউএনও) রকিবুল হাসান  বলেন, প্রতিবছরের মত এবারও শীতের প্রস্তুতি আমরা গ্রহণ করেছি। যারা প্রকৃত গরিব, অসহায় ও শীতার্ত মানুষ তাদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে এবং তা অব্যাহত রাখা হয়েছে। আমরা সংশ্লিষ্ট দপ্তরে ও আবেদন করেছি শীতবস্ত্রের জন্য আবারও। আমরা চেষ্টা করছি প্রতিটি শীতার্ত মানুষ যেন শীত বস্ত্র পান এবার।
    এছাড়াও বিত্তবানদের শীতার্তদের পাশে এগিয়ে আশার আহ্বান জানান তিনি।
  • গাজীপুর কালিয়াকৈরে সড়কের পাশে বৃদ্ধর মরদেহ উদ্ধার।

    গাজীপুর কালিয়াকৈরে সড়কের পাশে বৃদ্ধর মরদেহ উদ্ধার।

    স্টাফ রিপোর্টার
    গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার সূত্রাপুর উত্তর গজারিয়া এলাকার ঢাকা টাঙ্গাইল মহাসড়কের পাশ থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় একজন বৃদ্ধের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।  নিহত হলেন, কুড়িগ্রাম জেলার রাজার হাট উপজেলার আব্দুল জলিলের ছেলে সাহেব আলী(৬০)  এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্র জানা যায়, বৃহস্পতিবার সকাল ছয়টার দিকে সূত্রাপুর গজারিয়া এলাকায় ঢাকা টাঙ্গাইল মহাসড়কের পাশে অজ্ঞাত ব্যাক্তির মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে হাইওয়ে পুলিশে খবর দেয় এলাকাবাসী ।
    পুলিশ খবর পেয়ে সকাল নয়টার দিকে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর মর্গে পাঠায় নাওজোড় হাইওয়ে পুলিশ ।এসময় নিহতের সাথে থাকা ভোটার আইডি কার্ডে থাকা পরিচয় পত্রের মাধ্যেমে ওই ব্যাক্তির পরিচয় সনাক্ত করে পুলিশ ।
    নাওজোর হাইওয়ে পুলিশের উপ-পরির্দশক আল আমিন জানান মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে ।নিহতের স্বজনদের খবর পাঠনো হয়েছে ।প্রাথমিক ভাবে ধারনা করা হচ্ছে সড়ক র্দূঘটনায় নিহত হতে পারে শরীরের বিভিন্ন স্থানে ক্ষতের চিহৃ রয়েছে ।এ বিষয়ে আইনত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াদীন ।
  • হবিগঞ্জে পূর্ব বিরোধের জেরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নারীসহ আহত ৬, বসতবাড়ি লুট।

    হবিগঞ্জে পূর্ব বিরোধের জেরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নারীসহ আহত ৬, বসতবাড়ি লুট।

    মাধবপুর (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি:
    হবিগঞ্জের মাধবপুরে জমি নিয়ে পূর্ব বিরোধের জেরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নারীসহ ৬ জন আহত হয়েছেন। এসময় বাড়িঘর লুটপাটের ঘটনাও ঘটেছে।,
    বুধবার সকালে উপজেলার চৌমুহনী ইউনিয়নের কমলানগর গ্রামে এই ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনে। আহতদের মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।,
    আহতরা হলেন কমলানগর গ্রামের নাজিম উদ্দিন শাহ (৬০), একই গ্রামের আব্বাছ উদ্দিন শিমুল (২৬), শাহেনা বেগম (৪০), পারভীন আক্তার (৪০), মাসুক মিয়া ৩৭), সাবিনা বেগম (৩৬)।
    পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, কমলানগর গ্রামে নাজিম উদ্দিন শাহ ও জহুর আলীর মধ্যে জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। বুধবার সকালে বিরোধপূর্ণ জমি নিয়ে উভয়পক্ষ দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রসহ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এতে উল্লেখিতরা আহত হন। সংঘর্ষের পর কমলানগর আসাদ আলীর বাড়িঘর লুটপাটের ঘটনা ও ভাঙচুর হয়েছে।,
    এ বিষয়ে ওসি আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। কোনো পক্ষই এখনো অভিযোগ দেয়নি।
  • মৌলভীবাজারে যুবদল নেতা নোমান হত্যা মামলার দুই আসামি গ্রেপ্তার।

    মৌলভীবাজারে যুবদল নেতা নোমান হত্যা মামলার দুই আসামি গ্রেপ্তার।

    নিজস্ব প্রতিবেদক:মৌলভীবাজারের বড়লেখায় যুবদল নেতা নোমান হোসেন (৩৪) হত্যা মামলার দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার ২২ জানুয়ারি ২০২৫ ইং, দিবাগত গভীর রাতে উপজেলার বর্ণি এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
    গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- উপজেলার সুজানগর ইউনিয়নের দশঘরি গ্রামের ছবির মিয়ার ছেলে মারজান আহমদ (২৩) ও কালাইউরা গ্রামের আব্দুস সহিদের ছেলে রায়হান আহমদ রেহান (২৪)।
    জানা যায়, পাওনা টাকা চাওয়ার জেরে গত শনিবার (১৮ জানুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় উপজেলার বাড্ডা বাজারে যুবদল নেতা নোমানকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়।
    ঘটনার পর হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। নোমান উপজেলার সুজানগর ইউনিয়নের রাঙ্গিনগর গ্রামের লেচু মিয়ার ছেলে। তিনি সুজানগর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
    এই ঘটনায় নিহত নোমানের বাবা লেচু মিয়া গত সোমবার (২০ জানুয়ারি) বাদি হয়ে দশঘরি গ্রামের মারজান আহমদ, কালাইউরা গ্রামের রায়হান আহমদ রেহান, দশঘরি গ্রামের আবেদ আহমদ, নাঈম আহমদ ও জাকির আহমদের নামোল্লেখ এবং ২-৩ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে বড়লেখা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
    মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, নোমান হোসেন সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালানোর পাশাপাশি আগর-আতর ব্যবসা করতেন। নোমান রায়হান আহমদ রেহানের নিকট আগর ব্যবসার ২০ হাজার টাকা পান। কিন্তু রায়হান দীর্ঘদিন ধরে পাওনা টাকা না দিয়ে নোমানকে ঘোরাচ্ছিলেন। আসামিদের কাছ থেকে টাকা আদায় করতে না পেরে নোমান এলাকার মুরব্বিদের নিকট বিচার প্রার্থী হন।
    বিচার প্রার্থী হওয়ায়  আসামিরা ক্ষিপ্ত হয়ে নোমানকে প্রাণে হত্যার সুযোগ খুঁজে। ঘটনার দিন গত শনিবার (১৮ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টার সময় নোমান উপজেলার বাড্ডা বাজারের জনৈক জায়েদ আহমদের দোকানের সম্মুখে দাঁড়িয়ে পান খাচ্ছিলেন। বিষয়টি জানতে পেরে আসামি মারজান আহমদ ও রায়হান আহমদ রেহান একটি মোটরসাইকেলে এবং আসামি নাঈম আহমদ, আবেদ আহমদ ও জাকির আহমদ অপর আরেকটি মোটরসাইকেল যোগে বাড্ডা বাজারে এসে পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী নোমান হোসেনের চারিদিকে ঘিরে ধরে তাকে ছুরিকাঘাত করে দ্রুত পালিয়ে যায়। পরে নোমানকে গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে পৌঁছার পর নোমান হোসেনকে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।
    বড়লেখা থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল কাইয়ূম বলেন, নোমান হোসেন হত্যা মামলার দুই আসামিকে বুধবার গভীর রাতে আটক করা হয়েছে। তাদের আজকে আদালতে প্রেরণ করা হবে বলে তিনি জানান।
  • পিলখান হত্যাকাণ্ডে ১৬ বছর পর ছেলের মুক্তি দেখে যেতে পরলো না বাবা।।

    পিলখান হত্যাকাণ্ডে ১৬ বছর পর ছেলের মুক্তি দেখে যেতে পরলো না বাবা।।

    (ঠাকুরগাঁও)প্রতিনিধি:

    ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ভানোর ইউনিয়নের নেংটিহারা গ্রামের মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে রবিউল ইসলাম। স্থানীয় হাইস্কুল থেকে ম্যাট্রিক পাস করে বাবা-মায়ের স্বপ্ন পূরণে বিডিআর বর্তমানে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশে (বিজিবি) যোগ দেন। তার মা-বাবাও সেদিন স্বস্তির হাসি হেসেছিলেন। কিন্তু ছেলের চাকরিতে যোগ দেওয়ার ২৬ দিনের মাথায় ঢাকার পিলখানা হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় রবিউলের বাবা-মায়ের স্বপ্ন ভেঙে চুরমার হয়ে যায়।

    ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি ঢাকার পিলখানায় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদর দপ্তরে বিদ্রোহের ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে মামলার আসামি হন রবিউল। সেই মামলায় তার সাজা হয়। তবে তার বাবা আব্দুর রহমানের বিশ্বাস ছিল যেহেতু ছেলে নির্দোষ, সে একদিন মুক্তি পাবেই। জমি-জায়গা বিক্রি করে ছেলের মুক্তির জন্য আদালতের চক্কর কেটেছেন দীর্ঘ দিন। এক সময় ছেলের চিন্তায় অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি।

    অবশেষে পিলখানা হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বিস্ফোরক মামলায় ২৫০ জনের জামিন মঞ্জুর করেন কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থাপিত অস্থায়ী আদালতে ঢাকার বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১। ২৫০ জনের মধ্যে রবিউল ইসলামও রয়েছেন। দীর্ঘ ১৬ বছর পর আজ বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) কারামুক্তি পেয়েছেন রবিউল। তাকে এক পলক দেখার অপেক্ষায় রয়েছেন তার স্বজনরা। কিন্তু যে বাবা দীর্ঘ ১৬ বছর ছেলের মুক্তির জন্য সংগ্রাম করেছেন তিনি আর নেই। গত ৩ মাস আগে মারা গেছেন। ছেলের জন্য লড়াই করলেও আদুরের রবিউলকে শেষবারের মতো দেখে যেতে পারলেন না আব্দুর রহমান।

    গত ৫ আগস্ট স্বৈরাচার শেখ হাসিনা পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নেন। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের কয়েকদিন পর সারাদেশে পিলখানা ট্র্যাজেডির ঘটনায় বিস্ফোরক ও হত্যা মামলার নিরপরাধ বিডিআর জোয়ানদেন মুক্তির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন ও মানববন্ধন করেন তাদের স্বজনেরা। রবিউলের বাবাও ছেলের মুক্তির জন্য অসুস্থ শরীর নিয়েও রাস্তায় নামেন। আশায় বুক বেঁধেছেন। কিন্তু তার আশা পূরণ হলেও ছেলেকে আর দেখা হলো না।

    পিলখানা হত্যাকাণ্ডের প্রায় ১৬ বছর কারামুক্তি পাবেন রবিউল ইসলাম (৩৪)। গত রোববার কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থাপিত অস্থায়ী আদালতে ঢাকার বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১ যে ২৫০ জন বিডিআর সদস্যকে খালাস দিয়েছে, তার মধ্যে একজন রবিউল ইসলাম।

    রবিউলের ভাই শাহাজাহান আলী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।  রবিউলের কারামুক্তির খবরে খুশি মা, ভাই পরিবার-আত্মীয়স্বজন এবং গ্রামের লোকজন। বৃহস্পতিবার কেরানীগঞ্জ কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে শুক্রবার সকালে বাড়ীতে ফেরার কথা রয়েছে তার। ১৬ বছর তার ফেরার খবরে পরিবারের সাথে গ্রামের লোকজন তাকে একনজর দেখার অপেক্ষায় রয়েছেন।

    আজ বিকালে রবিউলের বাড়ীতে গিয়ে জানা গেছে, এসএসসি পাশ করার পর চাকরি হয় রবিউলের। প্রশিক্ষণ শেষ করে যোগ দেন পিলখানায় বিডিআর সদর দপ্তরে। ২৬ দিনের মাথায় ঘটে পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনা। এরপর থেকে কারাগারে রবিউল। প্রথমে একটি মামলায় ৭ বছর সাজাভোগ করেছেন রবিউল। সাজা খেটে বের হওয়ার কিছুদিন পরে আবার বিস্ফোরক আইনের একটি মামরায় গ্রেফতার দেখিয়ে তাকে কারাগারে রাখা হয়েছে।

    রবিউলের ভাই শাহাজাহান আলী জানান, চাকরি পাওয়ার পর বাবা ও মা খুব খুশি হয়েছিলেন। কিন্তু এক মাস যেতে না যেতেই সব খুশি ম্লান হয়ে যায়। চাকরি করে উপার্জন করে রবিউল আমাদেরকে অর্থনৈতিক ভাবে সহযোগিতা করার কথা ছিল। কিন্তু তার উল্টো হয়েছে। রবিউল কারাগারে থাকা অবস্থায় তাকে প্রতি মাসে ৫ হাজার টাকা খাওয়া খরচ। কিছুদিন পর পর কাপড়-চোপড় কিনে দেওয়া, আদালতপাড়ায় অনেক খরচ করতে হয়েছে। তার পিছনে খরচ করতে করতে পুরো পরিবার প্রায় নি:স্ব।

    রবিউলের চাচা রেজাউল করিম জানান, ছেলের জন্য নানা দুশ্চিন্তায় অসুস্থ্য হয়ে পড়েছিলেন রবিউলের বাবা আব্দুর রহমান। ফিরবে ফিরবে বলে অপেক্ষায় থাকতে থাকতে গত অক্টোবর মাসে মারা গেছেন। তার মা সালেহা খাতুন এখনও অসুস্থ, বোনের বাড়ীতে ঠাকুরগাঁও শহরে রেখে চিকিৎসা করাচ্ছেন। আজ যদি রবিউলের বাবা বেঁচে থাকতেন, রবিউলের বাড়ীর ফেরার খবরে সবচেয়ে বেশি খুশি হতেন।

    রবিউলের স্বজনদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, রবিউল আর ফিরবে না, এমনটা ধরে নিয়েছিল পুরো পরিবার। গত ০৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান ফলে রবিউল ফিরছে বাড়ীতে। ছোট সেই ছেলেটা এখন কত বড় হয়েছে, কেমন আছে। সেটা দেখার জন্য কবে ফিরবে, এমন খোঁজ খবর নিতে রবিউলের বাড়ীতে লোকজনের আসা যাওয়ার শুরু হয়েছে।

    রবিউলের দাদী জমেলা বেগম জানান, ‘ছুয়াডা কোন অপরাধে নি করে, তাহু ছুয়াডাক ১৬ বছর জেলত থাকিবা হইল। এতদিন বাড়ীত থাকিলে বেহা করিলেহে, ওয়ার বাপ-মা নাতি-পুতির মুখ দেখিবা পারিলেহে।’

    রবিউল ইসলামকে পুনরায় চাকরিতে পুনবর্হাল, একই সাথে দীর্ঘদিন বিনা অপরাধে কারাগারে থাকা এবং তার পেছনে খরচ করতে গিয়ে আর্থিক ভাবে যে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারটি। তার ক্ষতিপুরণ সরকারের কাছে দাবি করেছেন রবিউলের ভাই শাহাজাহান আলী।

  • গাজীপুরের নাওজোরে ফুটপাত দখল করে চলছে রমরমা ব্যবসা।

    গাজীপুরের নাওজোরে ফুটপাত দখল করে চলছে রমরমা ব্যবসা।

    স্টাফ রিপোর্টার
    গাজীপুরের নাওজোরের বাসস্ট্যান্ড এবং রিয়াজ পাম্পের সংকল্পে ফ্লাইওভারের নিচে মহাসড়কের বিভিন্ন অংশ ও রাস্তার দুই পাশের ফুটপাত দখল করে চলছে রমরমা ব্যবসা বাণিজ্য । শুধু কিছু অসাধু ব্যক্তির হাত ধরে হকার ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নয়,বিভিন্ন পরিবহণের দখলেও রয়েছে মহাসড়কের গুরুত্বপূর্ণ কিছু পয়েন্ট । এর ফলে দুর্ঘটনা সহ সৃষ্টি হচ্ছে নানা রকমের ভোগান্তি ।
    সরেজমিনে দেখা গেছে,মহাসড়কের পাশে নাওজোর বাসস্ট্যান্ড, রিয়াজ পাম্পের সংকল্পে ফ্লাইওভারের নিচে থেকে বাইপাস মোড় থেকে গাজীপুর চৌরাস্তা বাজার থেকে কড্ডা, ও বাইমাল পর্যন্ত । এছাড়া বিভিন্ন স্থানে মহাসড়ক দখল করে রাস্তার পাশে ফুটপাতে দোকান করে গড়ে উঠেছে শতশত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান । এই সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালামাল ও পণ্যবাহী যানবাহনের দখলে রয়েছে মহাসড়কের সার্ভিস লাইনগুলো । মহাসড়কের দুইপাশের ফুটপাত ও সার্ভিস লাইনের কয়েক কিলোমিটার অংশ দখল করে গড়ে উঠেছে ফলের দোকান,জামা-কাপড়,গ্যারেজ,জুট গুদাম,রেন্ট কারসহ বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান । দুইপাশের সার্ভিস লাইন দখলে থাকায় ছোট ছোট যানবাহনগুলো বাধ্য হয়েই প্রধান সড়কে চলাফেরা করে । এর ফলে হরহামেশাই ঘটছে নানা রকম দুর্ঘটনা ।
    সরজমিনে গিয়ে লোক মারফত শোনা যায় ,কিছু অসাধু ব্যাক্তির হাত ধরে হাইওয়ে পুলিশের সঙ্গে যোগসাজশে মহাসড়কের কিছু গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে স্থাপনা বসিয়ে মাসিক চাঁদা আদায় করে যাচ্ছে । এইসব স্থানে বলে হাইওয়ে পুলিশের চলাচল থাকলেও মহাসড়ক দখল বাজদের অপরাধ এর দিকে কোন নজরদারি নেই । সড়ক দখল করে থাকা অবৈধ এই সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিকরা জানান,পুলিশকে মোটা অংকে মাসোহারা দিয়ে তাদের ব্যবসা চালাতে হয় ।
    সালনা হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ রইছ উদ্দিন এই ব্যাপারে তিনি বলেন, আমার কাছে কোন ফুটপাতের ব্যাবসায়ী লোক আসে নাই এইসব মিথ্যা কথা, মহাসড়কে এসব স্থাপনা ও মহাসড়ক দখল করে কোন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চালানো যাবে না।কোথাও এই রকম ঘটনা ঘটে থাকলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
  • সাবেক উপমন্ত্রী আব্দুস সালাম পিন্টুর সাথে রবিউল আওয়াল লাভলুর সৌজন্য সাক্ষাৎ।

    সাবেক উপমন্ত্রী আব্দুস সালাম পিন্টুর সাথে রবিউল আওয়াল লাভলুর সৌজন্য সাক্ষাৎ।

    স্টাফ রিপোর্টার: টাঙ্গাইলের ভুয়াপুর-গোপালপুর আসন থেকে নির্বাচিত এমপি সাবেক উপমন্ত্রী টাঙ্গাইল জেলা বিএনপি’র সাবেক প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক,মজলুম জননেতা আব্দুস সালাম পিন্টু স্বৈরাচারের রোষানলে দীর্ঘ ১৭ বছর পর কারাগার থেকে মুক্ত হওয়ায় তাঁর সাথে বুধবার (২২ জানুয়ারি) নিজ বাসভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন টাঙ্গাইল -৬ (নাগরপুর -দেলদুয়ার) আসনে সংসদ সদস্য হিসেবে বিএনপি থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী সাবেক সহ সভাপতি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল, সাবেক আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক কেন্দ্রীয় ছাত্রদল,সাবেক সহ সভাপতি টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির সিনিয়র সম্মানিত সদস্য নাগরপুর উপজেলা বিএনপি সম্মানিত সদস্য রবিউল আওয়াল লাভলু।

    এ সময় বিএনপি নেতা লাভলু নাগরপুর ও দেলদুয়ার উপজেলা বিএনপির কার্যক্রমকে ঐক্যবদ্ধভাবে সুসংগঠিত ও গতিশীল করা সহ বিভিন্ন বিষয়ে সাবেক মন্ত্রী সালাম পিন্টুকে অবগত করেছেন।

    এসময় উপস্থিত ছিলেন সহধর্মিণী মনোয়ারা মুকুল।