Author: admin

  • মনিপুরী সম্প্রদায়ের বৃহত্তর ধর্মীয় উৎসব মহারাস উদযাপন।

    মনিপুরী সম্প্রদায়ের বৃহত্তর ধর্মীয় উৎসব মহারাস উদযাপন।

    মৌলভীবাজার প্রতিনিধি : কমলগঞ্জে  রাখাল নৃত্যের ও বাতাসা ছিটানো  মধ্য দিয়ে মনিপুরী সম্প্রদায়ের বৃহত্তম ধর্মীয় ও ঐতিহ্যবাহী মহারাস উৎসব উদযাপন  হয়েছে।
    শুক্রবার  (১৫শে নভেম্বর) সকাল থেকে কমলগঞ্জ  উপজেলার অধীনে মাধবপুর ইউনিয়নের শিববাজার উন্মুক্ত মঞ্চে ঢাক-ঢোল, খোল-করতাল আর শঙ্খ ধ্বনির মধ্য দিয়ে শ্রী কৃষ্ণ ও তার সখি রাধার লীলাকে ঘিরে এ উৎসব শুরু হয়।
    কমলগঞ্জ উপজেলার মাধবপুর ইউনিয়নের জোড়া মণ্ডপে বিষ্ণুপ্রিয়া (মণিপুরী) সম্প্রদায়ের ১৮২তম এবং আদমপুর ইউনিয়নে মণিপুরী কালচারাল কমপ্লেক্স প্রাঙ্গণে মীতৈ (মণিপুরী) সম্প্রদায়ের ৩৯তম মহারাস উৎসব পালন করছে ।
    জানা যায়, মণিপুরের রাজা ভাগ্যচন্দ্র মণিপুরে প্রথম এই রাসমেলা প্রবর্তন করেছিলেন। মণিপুরের বাইরে ১৮৪২ সালে কমলগঞ্জের মাধবপুরে প্রথম মহারাস উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। রাস উৎসবে সকালবেলা ‘গোষ্ঠলীলা’ বা ‘রাখাল নৃত্য’ হয়। গোধূলি পর্যন্ত চলে এই রাখাল নৃত্য। এরপর সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও আলোচনা সভা শেষে রাত সাড়ে ১১টা থেকে শুরু হয় রাস উৎসবের মূল পর্ব শ্রী শ্রী কৃষ্ণের মহারাসলীলা অনুসরণ। মণিপুরীদের ঐতিহ্যবাহী নৃত্যের পোশাকে নেচে গেয়ে কৃষ্ণবন্দনা ভোর পর্যন্ত চলে রাসলীলা। রাসনৃত্যে শ্রীকৃষ্ণ,রাধা ও প্রায় ৪০-৪৫ জনের মতো গোপী থাকেন।
    এই মহারাস উৎসবে বসেছে নানা রকমের মেলা।সারারাত ব্যাপী চলবে এ উৎসবের আমেজ।  মনিপুরী সম্প্রদায়ের লোকজনের পাশাপাশি বিদেশি পর্যটকসহ হাজার হাজার মানুষ সমাগমের মধ্যদিয়ে পরিণত হয়েছে মিলনমেলায়।
    এ মহারাত্রির আনন্দের পরশ পেতে সমাগত হয়েছেন নারী-পুরুষ, শিশু-কিশোর, কবি-সাহিত্যিক, সাংবাদিক, দেশি-বিদেশি পর্যাটকসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। তাদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠছে মাধবপুর ও আদমপুরের মণ্ডপ প্রাঙ্গণ।
    মহারাস উৎসবকে ঘিরে মাধবপুর ও আদমপুরের মণ্ডপগুলো সাজানো হয়েছে সাদা কাগজের নকশার নিপুণ কারুকাজে। করা হয়েছে আলোকসজ্জাও।
    এ উৎসব মনিপুরীদের সংস্কৃতির এক বিশাল মিলন মেলায় পরিণত হয়েছে কমলগঞ্জ উপজেলা।
    আয়োজক কমিটি পক্ষ থেকে জানা যায়  রাত ১২টা দিকে জোড়া মণ্ডপে অনুষ্ঠিত হবে মহারাসের মূলপর্ব  মহারাসলীলা।
  • কঠিন রোগে আক্রান্ত ৮ বছরের শিশু রিয়াদ বাঁচতে চায়।

    কঠিন রোগে আক্রান্ত ৮ বছরের শিশু রিয়াদ বাঁচতে চায়।

    নীলফামারীর ডিমলার পূর্ব ছাতনাই ইউনিয়নের বারবিশা গ্রামের হতদরিদ্র ভ্যান চালক শরিফুল ইসলাম ও গৃহিনী আজিজা বেগম দম্পতির একমাত্র সন্তান রিয়াদ (৮) বাঁচতে চায় । জটিল রোগে আক্রান্ত রিয়াদের অবস্থা আশঙ্কাজনক। সে স্কুলে যেতে চায়, বন্ধুদের সাথে খেলতে চায়। কিন্তু দারিদ্র্যের কারণে চিকিৎসা করাতে না পারায় তার স্বপ্ন ধুলিস্যাৎ হয়ে যাচ্ছে।

    জটিল রোগে আক্রান্ত রিয়াদ তার বাবাকে কাঁদতে কাঁদতে বলেছে, “আব্বা, আমি আর সহ্য করতে পারছি না। আমাকে যেভাবেই হোক চিকিৎসা করে বাঁচাও।” হতদরিদ্র পরিবারের একমাত্র সন্তানটি ছাতনাই ১নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির মেধাবী ছাত্র।

    দীর্ঘ ছয় মাস ধরে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে মেধাবী ছাত্র রিয়াদ। দিনরাত বিছানায় শুয়ে শুধু চিৎকার করছে আর বাঁচার আকুতি জানাচ্ছে। সারা শরীরে ব্যথা, হলুদ চোখ, কালো হয়ে যাওয়া শরীর, এবং কঙ্কালসার দেহ – রিয়াদের অবস্থা ভাল না। তার হার্টে ছিদ্র, দুইটি বাল্বের একটি অকোজ এছাড়া হার্টের রক্তনালী বন্ধ থাকায় তার সারা শরীর কালো হয়ে গেছে। হাঁটাচলার শক্তিটুকুও আস্তে আস্তে নিঃশেষ হয়ে যাচ্ছে। এখন কোন কিছু খেতে পারে না। দরিদ্র বাবার যা সম্পদ ছিল সব বিক্রি করে প্রায় ৪/৫ লাখ টাকা খরচ করে ছেলের চিকিৎসা করিয়েছেন। বর্তমানে বাড়ির দুই শতাংশ জায়গাটুকুই তার শেষ সম্বল। ছেলের চিকিৎসার জন্য অনেক অর্থের প্রয়োজন। কিন্তু দরিদ্র পিতার পক্ষে চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন করা আর সম্ভব হচ্ছেনা। তাহলে কি অর্থের অভাবে মেধাবী ছাত্র রিয়াদের জীবন প্রদীপ নিভে যাবে?

    জানা যায়, ২০২০ সালের জুলাই মাসে হঠাৎ করে রিয়াদের শ্বাসকষ্ট শুরু হলে স্থানীয় চিকিৎসকের পরামর্শে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায় পরিবার। পরবর্তীতে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতালে নিয়ে গেলে জানা যায়, রিয়াদের হৃদপিণ্ডে ছিদ্র, একটি বাল্ব অকেজো এবং হৃদপিণ্ডের রক্তনালী শুকিয়ে গেছে।

    ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতালের সহকারি অধ্যাপক ডাঃ মো. নুরুল আক্তার হাসান জানান, রিয়াদের জীবন বাঁচাতে দ্রুত সময়ের মধ্যে দুটি জটিল অপারেশন করাতে হবে, যার খরচ প্রায় ১২ লাখ টাকার বেশি।

    রিয়াদের বাবা শরিফুল ইসলামের কণ্ঠে ভেসে উঠছে হাহাকার। অর্থের অভাবে ছেলের জীবন রক্ষাকারী চিকিৎসা করাতে না পারায় তিনি মর্মাহত। কান্না জড়িত কণ্ঠে শরিফুল ইসলাম বলেন, “আমার ছেলেকে নিয়ে অনেক স্বপ্ন ছিল। এখন আর কোন স্বপ্ন নেই। আমার ছেলেটা বাঁচলেই আমি খুশি।”

    পূর্ব ছাতনাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ খান গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, রিয়াদের চিকিৎসার জন্য অর্থের প্রয়োজন। তিনি বলেন, “রিয়াদের পরিবার খুবই দরিদ্র। তাদের পক্ষে এত বড় অঙ্কের টাকা জোগাড় করা সম্ভব নয়। তাই আমি দেশের সকল সহৃদয় ব্যক্তি ও বিত্তবানদের কাছে রিয়াদের চিকিৎসায় সহযোগিতা করার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।”

    ডিমলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাসেল মিয়া বলেন, রিয়াদের অসুস্থতার কথা তিনি শুনেছেন।  শিশুটি যাতে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা পায়, সে ব্যাপারে প্রশাসনের পক্ষ থেকে যতটুকু সম্ভব সহযোগিতা করা হবে।

    অসুস্থ রিয়াদের চিকিৎসা সহায়তার জন্য এগিয়ে আসুন। (রিয়াদের বাবা)

    *বিকাশ ০১৭৭৩৯৯০২৪৫* নগদ ০১৭৭৭৯৪৬১৪৭ আপনার আর্থিক সহযোগিতা রিয়াদের জীবন বাঁচাতে সাহায্য করবে।

  • মৌলভীবাজারে বিএনপি’র নবগঠিত আহ্বায়ক কমিটির প্রথম সভা অনুষ্ঠিত।

    মৌলভীবাজারে বিএনপি’র নবগঠিত আহ্বায়ক কমিটির প্রথম সভা অনুষ্ঠিত।

    নিজস্ব প্রতিবেদকঃ মৌলভীবাজার জেলার সাত উপজেলা ও পাঁচটি পৌরসভায় বিএনপির কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে। শুক্রবার ১৫ নভেম্বর ২০২৪ইং, বিকেলে শহরের রেস্ট ইন হোটেল কনফারেন্স হল রুমে মৌলভীবাজার জেলা বিএনপি’র নবগঠিত আহ্বায়ক কমিটির প্রথম সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
    মৌলভীবাজার জেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক ফয়জুল করিম ময়ুনের সভাপতিত্বে ও জেলা বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমানের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় বিএনপি’র নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক (সিলেট বিভাগ) জি কে গউস।
    তিনি বলেন, আজ থেকে মৌলভীবাজার জেলার সকল উপজেলা বিএনপি ও পৌর বিএনপি কমিটি বিলুপ্ত করা হয়। পরবর্তীতে আহবায়ক কমিটির মাধ্যমে মৌলভীবাজার জেলার সকল উপজেলা, পৌর, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড বিএনপির কমিটি সম্মেলন ও কাউন্সিলের মাধ্যমে গঠন করা হবে। আহবায়ক কমিটির দায়িত্ব তাদেরকেই দেওয়া হবে যারা বিগত স্বৈরাচারী সরকারের আমলে আন্দোলন-সংগ্রাম করেছেন, সাংগঠনিক দক্ষতা রয়েছে, দলের জন্য ত্যাগ স্বীকার করেছেন।
    তিনি আরও বলেন, দল ও তৃণমূল নেতৃত্বকে সুসংগঠিত করার লক্ষ্যে অবশ্যই মৌলভীবাজার জেলা বিএনপিকে ঢেলে সাজানো হবে। অপশক্তি ও ফ্যাসিবাদের সব ষড়যন্ত্রকে উপেক্ষা করে জনগণের ভোটাধিকারের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকারের মাধ্যমে দেশ গঠনে বিএনপি কাজ করে যাবে। উপস্থিত নেতারা আগামীতে কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে পরামর্শ দিয়েছেন।
    এ সময় বিএনপি মৌলভীবাজার জেলা শাখার আহ্বায়ক কমিটির প্রথম সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন, কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক (সিলেট বিভাগ) মিফতা সিদ্দিকী, কেন্দ্রীয় বিএনপি নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য এম নাসের রহমান, কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও জেলা বিএনপির সদস্য আলহাজ্ব মুজিবুর রহমান চৌধুরী (হাজী মুজিব)।
    জেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক কমিটির নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- জেলা বিএনপির সদস্য ও সদর থানা বিএনপির সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন মাতুক, আব্দুর রহিম রিপন, মোশাররফ হোসেন বাদশা, অ্যাডভোকেট আবেদ রাজা, মৌলভী আব্দুল ওয়ালি সিদ্দিকি, নাছির উদ্দিন মিঠু, আশিক মোশারফ, আব্দুল মুকিত, ফখরুল ইসলাম, মুহিতুর রহমান হেলাল, আব্দুল হাফিজ, মাহমুদুর রহমান, হেলু মিয়া, জেলা বিএনপির সদস্য ও পৌর বিএনপির সদস্য সচিব মনোয়ার আহমেদ রহমান, বকশী মিছবাউর রহমান, মতিন বক্স, মাহাবুব ইজদানী ইমরান, অ্যাডভোকেট বকশী জুবায়ের আহমেদ, আবুল কালাম বেলাল, জিতু মিয়া, স্বাগত কিশোর দাশ চৌধুরী, গাজী মারুফ আহমেদ, আব্দুল হক, দুরুদ আহম্মদ, আশরাফুজ্জামান খাঁন নাহাজ, সেলিম মোহাম্মদ সালাউদ্দিন, আনিসুজ্জামান বায়েছ।
  • গোদাগাড়ীতে গৃহবধূর আত্মহত্যার অভিযোগ।

    গোদাগাড়ীতে গৃহবধূর আত্মহত্যার অভিযোগ।

    গোদাগাড়ী(রাজশাহী)প্রতিনিধিঃ রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে সুমি খাতুন (২৮)নামের এক গৃহবধূ বাড়ির ছাদের সিড়ি ঘরে দড়ি টাঙ্গিয়ে গলাই ফাস দিয়ে আত্মহত্যার অভিযোগ উঠেছে । নিহত গৃহবধূ ঐ একই উপজেলার চাপাল গ্রামের সাইফুল ইসলামের স্ত্রী ।নিহত সুমির দুইটি কন্যা সন্তান রয়েছে। একটির বয়স ১২ ও অপরটির বয়স ৫। স্থানীয়রা জানাই ১৬ই নভেম্বর বেলা অনুমানিক ১১ টার দিকে সুমি পরিবারের অজান্তে পাকা বাড়ির ছাদের সিঁড়ি ঘরে দড়ি টানিয়ে আত্মহত্যা করে। বিষয়টি আশেপাশের লোকজন টের পেয়ে। প্রেমতলী পুলিশ ফাঁড়িকে খবর দেয় , খবর পেয়ে প্রেমতলি ফাঁড়ি পুলিশ এসে লাস শনাক্ত করে । এ সময় নিহতের পরিবারের কোন অভিযোগ না থাকাই লাশ দাফনের অনুমতি দেয় ফাড়ি পুলিশ।

    এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে প্রেম তলি ফাঁড়ি পুলিশের ইনচার্জ জানান নিহত সুমি মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন । উল্লেখিত সুমি এর আগেও তার নিজের বাবার বাড়িতে একবার আত্মহত্যার চেষ্টা চালিয়েছিল।ওই সময় সুমির পরিবারের লোকজন টের পাওয়াই সে সময় সুমি প্রাণে বেঁচে যায় বলে স্থানীয়রা জানাই।এই ঘটনায় গোদাগাড়ী মডেল থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।

  • ডিমলায় বি.এন.পি’র বিশাল জনসমাবেশ।

    ডিমলায় বি.এন.পি’র বিশাল জনসমাবেশ।

    নীলফামারীর ডিমলায় বিশাল জনসমাবেশ করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি। ১৬ নভেম্বর (শনিবার) সন্ধ্যায় ডিমলা ইসলামিয়া ডিগ্রী কলেজ মাঠে কয়েক হাজার নেতাকর্মীর উপস্থিতিতে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

    দীর্ঘ কয়েক বছর পর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির জনসমাবেশ ঘিরে উপজেলার পশ্চিম ছাতনাই, বালাপাড়া, ডিমলা, খগাখড়িবাড়ী, গয়াবাড়ী, নাউতারা, টেপাখড়িবাড়ী, খালিশা চাপানী, ঝুনাগাছ চাপানী ও পূর্ব ছাতানাই ইউনিয়ন থেকে আগত ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি, সাধারন সম্পাদক ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও নেতাকর্মীদের স্বতঃস্ফুর্ত অংশগ্রহন, আনন্দ ও উৎসবমুখর পরিবেশ জনসমাবেশকে সফল ও সাফল্য মন্ডিত করেছে।
    জনসমাবেশে উপজেলা বিএনপির সভাপতি অধ্যক্ষ মো. মনোয়ার হোসেন এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালী বক্তব্য রাখেন সাবেক সংসদ সদস্য ও নীলফামারী জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার শাহরিন ইসলাম চৌধুরী তুহিন।
    এসময় উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. গোলাম রব্বানী প্রধানের সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন নীলফামারী জেলা বিএনপির সভাপতি আ.খ.ম আলমগীর কবির, সাধারণ সম্পাদক জহুরুল হক, উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. আরিফুল ইসলাম লিটন, সাধারন সম্পাদক বদিউজ্জামান রানা, ডিমলা সদর ইউনিয়নের বিএনপির সভাপতি মো. জাহাঙ্গীর আলম, বালাপাড়া ইউনিয়নের বিএনপির সভাপতি মো. হামিদুল ইসলাম, যুবদলের আহবায়ক সহিদুল ইসলাম, যুগ্ম আহবায়ক সোহাগ খান লোহানী, স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক মো. মিজানুর রহমান সবুজ, ছাত্রদলের আহবায়ক লিমন, সাগরসহ আরো অনেকে। এছাড়াও উপজেলার দশটি ইউনিয়নের বিএনপির সভাপতি, সাধারন সম্পাদক ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও নেতাকর্মীরা সমাবেশে বক্তব্য রাখেন।

  • অসহায় পরিবারের গবাদি পশু সন্ত্রাসীদের কব্জায়-ফেরত পেতে সংবাদ সম্মেলন।

    অসহায় পরিবারের গবাদি পশু সন্ত্রাসীদের কব্জায়-ফেরত পেতে সংবাদ সম্মেলন।

    রামপাল(বাগেরহাট)প্রতিনিধিঃ বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার কাশিপুর এলাকায় একটি অসহায় পরিবারের গবাদিপশু সন্ত্রাসীদের কব্জায় নেয়া ও মারধরের অভিযোগ উঠেছে।

    শনিবার (১৬ নভেম্বর) সকালে অসহায় পরিবার তাদের গরু-ছাগল ফেরত পেতে ও মারধরের বিচার পেতে ‘রামপাল প্রেসক্লাব’ এ এক সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী কাশিপুর এলাকায় মৃত এসকেন্দার হাওলাদার’র স্ত্রী পারভীন বেগম(৪৩)। এছাড়াও তিনি রামপাল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

    সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি জানান, একই এলাকার মোল্যা কামরুজ্জামান বাবু(৪৮), লাবনী বেগম(৩৭), ফকির তারেক(৩৫) ও ফকির দিদার(৪৭) পরসম্পদলোভী, এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী, আওয়ামীলীগের দোসর ও আইন অমান্যকারী ব্যক্তি।

    গত ০৬-১১-২০২৪ তারিখ লাবনী বেগম আমাদের বাড়িতে এসে আমার ছেলে আল আমিন (১৭)কে ছাগল চুরির অপবাদ দিয়ে আমাদের গালিগালাজ করে এবং আমার ছেলেকে তার বাড়িতে নিয়ে যেতে বলে। আমি তাদের কথামতো তাদের বাড়িতে ছেলেকে নিয়ে হাজির হলে কামরুজ্জামান ও তার সাথের লোকজন আমাকে এবং আমার ছেলেকে মারধর করে। এসময় তারা আমার গলায় থাকা স্বর্ণের চেইন নিয়ে যায়। মারধরের পরে তারা আমার ছেলেকে একটি ছাগল দিয়ে শোলাকুড়া এলাকায় বিক্রি করে এনে দিতে বলে। তাদের সাজানো লোক দিয়ে আমার ছেলেকে আবারো মারধর করে এবং তাকে এলাকা ছেড়ে চলে যেতে বলে। পরবর্তীতে কামরুজ্জামান’র স্ত্রী লাবনী বেগম কয়েকজন মহিলাকে সাথে নিয়ে আমার বাড়িতে এসে বড় আকৃতির একটি গরু ও তিনটি ছাগল জোরপূর্বক নিয়ে যায়। যার আনুমানিক মূল ২ লক্ষ ৫৫ হাজার টাকা।

    তিনি আরো জানান, বিগত দিনে তারা বাইনতলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের ছত্রছায়ায় থেকে এলাকায় সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়েছে এখনো চালিয়ে যাচ্ছে। আমি একজন অসহায় নারী আমি আমার গরু-ছাগল ও আমার পরিবারের নিরাপত্তা চাই। আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি, তারা যেকোনো সময় আমাদের বড় ধরনের ক্ষতি করতে পারে।

    এ বিষয়ে অভিযুক্ত কামরুজ্জামান বাবু উল্লেখিত সকল বিষয় অস্বীকার করে বলেন, আমি ও আমার পরিবারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে এ অভিযোগ আনা হয়েছে। আমি কারো গরু-ছাগল আনি নাই, সকল অভিযোগ মিথ্যা। আমি এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই।

    এ বিষয়ে রামপাল থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি সেলিম রেজা জানান, পারভীন বেগম একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত করবে এবং অভিযোগ সত্য হলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

  • শ্রীমঙ্গল জামায়াত ইসলামের যুব বিভাগীয় সেশনের সেটাপ সম্পন্ন।

    শ্রীমঙ্গল জামায়াত ইসলামের যুব বিভাগীয় সেশনের সেটাপ সম্পন্ন।

    নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর যুব সংগঠন, মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলা যুব বিভাগের ২০২৫-২০২৬ সেকশনের জন্য নতুন কমিটি দেওয়া হয়েছে।
    শুক্রবার ১৫ নভেম্বর ২০২৪ইং, সকাল দশটার সময় শুরু হয় সাড়ে এগারোটা পর্যন্ত শ্রীমঙ্গল কলেজ রোড একটি প্রাইভেট কোচিং সেন্টারের হলরুমে এ কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
    নবগঠিত কমিটির শ্রীমঙ্গল উপজেলা যুব বিভাগের ২০২৫-২০২৬ সেশনের সদস্যরা হলেন- সভাপতি মোঃ তারেক মাহফুজ, সহসভাপতি-১ মোঃ মাহবুবর রশিদ নিহাদ, সহসভাপতি-২ মোঃ রাজুজ্জামান, সেক্রেটারি মোঃ আকরাম হোসাইন, সহকারী সেক্রেটারি-১ মোঃ হারুন মিয়া, সহকারী সেক্রেটারি-২ মোঃ আব্দুল কাইয়ুম, বায়তুলমাল সম্পাদক মোঃ রুবায়েদুল হক, সাংগঠনিক সম্পাদক হাফেজ মোঃ আব্দুন নুর, মিডিয়া সম্পাদক মোঃ জালাল উদ্দিন।
    এছাড়া প্রত্যেক ইউনিয়ন এর সভাপতি সেক্রেটারির নাম ঘোষণা করে আংশিক কমিটি দেয়া হয়, আগামী ৩০ নভেম্বর এর মধ্যে পুর্নাঙ্গ ইউনিয়ন কমিটি গঠন করে তালিকা জমা দেওয়ার জন্য নবগঠিত সভাপতি সেক্রেটারিকে নির্দেশ প্রদান করা হয়।
  • ডিমলায় কবিতা,চিত্রাঙ্কন ও শিশু সাংবাদিকতা বিষয়ক সেমিনার।

    ডিমলায় কবিতা,চিত্রাঙ্কন ও শিশু সাংবাদিকতা বিষয়ক সেমিনার।

    নীলফামারীর ডিমলায় কবিতা, ছড়া, চিত্রাঙ্কন, বিতর্ক এবং শিশু সাংবাদিকতা বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০ টার সময় উপজেলার ছাত্র-সুরক্ষা পরিষদের আয়োজনে  উপজেলা অডিটোরিয়াম হলরুমে  উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের নিয়ে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের স্পিরিট ধারন করা সামাজিক সংগঠনের সেমিনারটি অনুষ্ঠিত হয়।

    সেমিনারে বক্তারা কবিতা, ছড়া লেখা ও আবৃত্তি, সংবাদ প্রতিবেদন বিষয়ে প্রশিক্ষণমূলক বক্তব্য দেন। সেমিনারে স্কুল শিক্ষার্থীদের লেখা কবিতা, ছড়া, প্রবন্ধ, চিত্রাঙ্কন ইত্যাদি নিয়ে আঞ্চলিক মাসিক শিশু প্রত্রিকা এক্কা দোক্কা প্রকাশের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

    ছাত্র-সুরক্ষা পরিষদের আহ্বায়ক শাকিল প্রধানের সভাপতিত্বে সদস্য সচিব জাফর হোসেন জাকির এর সঞ্চালনায় শুরুতে শিক্ষার্থীরা কবিতা ও ছড়া আবৃত্তি করেন। এ সময় সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ছাত্র-সুরক্ষা পরিষদ গবেষণা সেলের সদস্য রাশেদুজ্জামান রাশেদ, উপদেষ্টা ও গীতিকবি মুন্সি সাদিক সালেহ্, যুগ্ম আহ্বায়ক মিলন ইসলাম, সাংবাদিক মাসুদ পারভেজ রুবেল, শিক্ষক বেলাল হোসেন, আনোয়ার হোসেন, সদস্য আলিফ ইসলাম, লিয়ন ইসলাম, সামিউল, মজিবুল, নয়নসহ স্থানীয় সাংবাদিকবৃন্দ।

    এ সময় বক্তারা বলেন, শিশুদের সাংস্কৃতিক মনা তৈরি করতে প্রশিক্ষণমূলক সেমিনার, শিশুদের পত্র-পত্রিকা পড়া-লেখা ও প্রকাশের বিকল্প নেই। বর্তমানে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানগুলো চোখে পড়ার মতো না থাকার কারণে সমাজে মাদক থেকে শুরু করে অপরাধমূলক কর্মকান্ডগুলো বেড়েই চলেছে। শিশু সাংবাদিকতার মধ্য দিয়ে সৃজনশীল মনোভাব, সত্য প্রকাশের সাহসীকতা ও মানসিকতা তৈরি হবে। ফলে আজকের শিশুরা আগামীতে কূপমন্ডুকতা, কুসংস্কার, দুর্নীতি, সন্ত্রাস থেকে বেড়িয়ে এসে সমাজকে বিজ্ঞানভিত্তিক-জনকন্যালণমূখী-বৈষম্যহীন সমাজ ।বির্নিমাণে ভুমিকা রাখবে।

  • গোদাগাড়ীতে বাস চাপায় ২ মোটরসাইকেল আরোহী নিহত।

    গোদাগাড়ীতে বাস চাপায় ২ মোটরসাইকেল আরোহী নিহত।

    গোদাগারী(রাজশাহী)প্রতিনিধিঃ রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে বাস চাপায় দুই মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন।শুক্রবার (১৫ নভেম্বর)বিকেল সাড়ে ৩ টার সময় উপজেলার অভয়া-কামারপাড়া সড়ক এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের গোদাগাড়ী স্টেশনের ফায়ার ফাইটার মাহবুবুর রহমান নয়ন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

    নিহতরা হলেন-চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার কমলাকান্তপুর কাজীপাড়া গ্রামের হুমায়ুন কবীরের ছেলে আশরাফুল ইসলাম (৪২) এবং একই গ্রামের মো.কালুর ছেলে নাজমুল হক (৩০)।

    নিহত আশরাফুল ও নাজমুল একই মোটরসাইকেলে রাজশাহী থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরে যাওয়ার পথে পেছন থেকে একটি যাত্রীবাহী বাস তাদের মোটরসাইকেলকে চাপা দিয়ে পালিয়ে যায়।

    তিনি আরোও জানান সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেলের দুই আরোহী ঘটনাস্থলে মারা যায়। সড়ক দুর্ঘটনার সংবাদ পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধার  কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে গোদাগাড়ী থানা-পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

  • রাণীশংকৈলে ৩০ হাজার টাকার স্ট্রিট লাইট লক্ষাধিক টাকায় ক্রয়।

    রাণীশংকৈলে ৩০ হাজার টাকার স্ট্রিট লাইট লক্ষাধিক টাকায় ক্রয়।

    ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি: বর্তমান বাজারে একটি সোলার স্ট্রিট লাইট (সড়কবাতি) স্থাপনে সর্বোচ্চ ৩০ হাজার টাকা খরচ হলেও ঠাকুরগাঁও রাণীশংকৈল পৌরসভায় একটি স্ট্রিট লাইট স্থাপনে ব্যয় ধরা হয়েছে ১ লাখ ৩৩ হাজার ২৬৯ টাকা। এনিয়ে বেশ সমালোচনা পৌরসভাজুড়ে। এদিকে স্ট্রিট লাইট স্থাপনেও ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে ঠিকাদারের বিরুদ্ধে।
    জানা গেছে, ২০২২-২৩ অর্থ বছরে পরিবেশ,বন ও জলাবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অধীনে বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্টের আওতায় গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ কমানোর লক্ষ্যে রাণীশংকৈল পৌর এলাকায় সৌর বিদ্যুতায়িত সড়কবাতি স্থাপন প্রকল্পে ১৫০টি লাইটের দরপত্র আহ্বান করে কর্তৃপক্ষ।
    কাজটির জন্য  চুক্তিবদ্ধ হয় এনার্জিয়ন বাংলাদেশ লিমিটেড নামের একটি প্রতিষ্ঠান। ১৫০টি স্ট্রিট সোলার লাইট স্থাপনে মোট ১ কোটি ৯৯ লাখ ৯০ হাজার ৪৯৯ টাকায় চুক্তিবদ্ধ হয় ওই কোম্পানিটি।
    বাজারের ৩০ হাজার টাকার একটি স্ট্রিট লাইট পৌরসভার বরাদ্দে ধরা হয়েছে ১ লাখ ৩৩ হাজার ২৬৯ টাকা। বাজার থেকে প্রায় এক লাখ টাকা বেশি ব্যয় ধরা হয়েছে। এতে ১৫০টি লাইটে প্রায় দেড় কোটি  টাকা গচ্চা যাচ্ছে সরকারের।
    বিষয়টি নিয়ে সমালোচনা সৃষ্টি হলে এই প্রতিবেদক অনুসন্ধানে নামেন। এই সময় পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী জাবেদ আলী লাইট স্থাপনের এস্টিমেট বা কাজের ধরন সম্পর্কে তথ্য দিতে সময় ক্ষেপণ করেন। একপর্যায়ে অপারগতা জানান।
    পরে পৌর প্রশাসক ইউএনও রকিবুল হাসানের সঙ্গে কথা বললে তিনি প্রথমে তথ্য দিতে অপারগতা জানালেও দুদিন পরে লাইট স্থাপনের ডিজাইনসহ এস্টিমেটের দুটি ছবি প্রতিবেদকে দেন। তবে এলএডি লাইট, সোলার প্যানেলসহ অন্য মালামাল কোনোটার কেমন দাম ধরা হয়েছে সেটির কোন তথ্য প্রকৌশলী বা ইউএনও কেউই দেননি।
    পৌর প্রশাসকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী সোলার স্থাপনে ৩ ফুট মাটি খনন করে ৫ ইঞ্চি সিসি ঢালাই দিয়ে ২ ফুট বাই ২ ফুট আরসিসি বেজ ঢালাই দেওয়ার নিয়ম।কিন্ত সেটি করছেনা ঠিকাদার কিংবা পৌরসভা কর্তৃপক্ষ। তারা সিসি ঢালাই বাদ দিয়ে সর্ব্বোচ ১৬ ইঞ্চির একটি স্লাব দিয়ে সোলারের গোড়া বসিয়ে মাটিচাপা দিয়ে ওপরে আবার ১৪ থেকে ১৫ ইঞ্চির খোয়া ঢালাই দিচ্ছে।
    ১৬৫ ওয়াটের সোলার প্যানেল দেওয়ার বিধান থাকলেও তারা কোথাও ৮৫ ওয়াটের প্যানেল ও নিন্মমানের এলইডি লাইট স্থাপন করছে বলে অভিযোগ  উঠেছে।
    দুইবছর আগে উপজেলা পরিষদের আওতায় রাণীশংকৈল উপজেলার আঞ্চলিক সড়কের ধারে জাইকার প্রকল্পে শতাধিক সোলার স্ট্রিট লাইট স্থাপনে ব্যয়  ধরা হয়েছিলো ৪৫ হাজার টাকা।
    পৌরসভার কয়েকজন বাসিন্দা বলেন, ‘ভালো লাইট যেখানে ৩০ হাজার টাকায় স্থাপন সম্ভব। সেখানে পৌরসভা এত অতিরিক্ত টাকায় কেন বর্তমানে লাইট স্থাপন করছে তা আমাদের বোধগম্য নয়।’ তারা বলেন, ‘সরকার বা রাষ্ট্র অযথায় প্রায় কোটি টাকা গচ্চা দিচ্ছে।’ বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে তদন্ত করে ব্যবস্থা নিয়ে দেখার আহ্বান জানান তারা।
    পৌরসভার ৭ ও ৮ নম্বর ওয়ার্ডের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আব্দুস সামাদ বলেন, ‘স্ট্রিট লাইট নিয়ে অনিয়ম হচ্ছে। যেসব মালামাল স্থাপন হচ্ছে এগুলো নিম্নমানের। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।’ তা ছাড়া বিভিন্ন সময় লাইটের দাম নিয়েও অনেকে তার কাছে অভিযোগ করছেন বলে তিনি মন্তব্য করেন।
    পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী জাবেদ আলী বলেন, ‘ইতিমধ্যে শতাধিক লাইট স্থাপন হয়েছে। স্ট্রিট লাইটের বিষয়ে মন্ত্রণালয় যা অনুমোদন দিয়েছে, তা আমরা বাস্তবায়ন করছি। কাজে কোন অনিয়ম হলে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।’
    বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্টের সহকারী পরিচালক (রংপুর) মোস্তফা রায়হান মোবাইল ফোনে বলেন, ‘সোলার লাইট স্থাপনের ব্যয় যাচাই বাছাই করে ধরা হয়েছে। সোলার স্ট্রিট লাইট স্থাপনে অনিয়ম হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
    ইউএনও এবং পৌর প্রশাসক রকিবুল হাসান বলেন, সিসি ঢালাই বা অনিয়মের বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া হবে।