Author: admin

  • ডিমলায় কৃষকের আমন ধানের বীজতলা ক্ষতিগ্রস্থ্য।

    ডিমলায় কৃষকের আমন ধানের বীজতলা ক্ষতিগ্রস্থ্য।

    ডিমলায় কৃষকের আমন ধানের বীজতলা ক্ষতিগ্রস্থ্য।

    মোঃ হাবিবুল হাসান হাবিব, ডিমলা (নীলফামারী) প্রতিনিধি ঃ নীলফামারীর ডিমলার কৃষকেরা চলতি মৌসুমে বিভিন্ন হাটবাজার থেকে ক্রয় ও নিজের উৎপাদিত সংরক্ষিত আমন ধানের বীজ দিয়ে আমন ধানের বীজতলা তৈরী করে বপন করে। কিন্তু এবারের আবহাওয়া অনুকুল না থাকায় কয়েকদিনের টানা ভারি বৃষ্টিতে স্থানীয় কৃষকদের আমন ধানের বীজতলা ক্ষতিগ্রস্থ্য হয়েছে।

    এতে ক্ষতিগ্রস্থ্য হয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন স্থানীয় কৃষকেরা। সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার দশটি ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের কৃষকদের আমন ধানের বীজতলা অতিবৃষ্টি ফলে ক্ষতিগ্রস্থ্য হয়েছে। বালাপাড়া ইউনিয়নের স্থানীয় কৃষক কামরুল হাসান হেলাল জানান আমি ৫ একর জমির বীজতলা তৈরী করে বীজ বপন করেছি বর্তমানে সেই বীজ দিয়ে ২ একর জমি রোপন করা সম্ভব হবে না।

    উপজেলার স্থানীয় অনেক কৃষকের এই একই অবস্থা। উত্তর তিতপাড়া গ্রামের বাদশা সেকেন্দার ভুট্টু জানান, বীজতলা তৈরী করে আমন ধানের বীজ রোপন করেছি টানা বৃষ্টির ফলে চারা নষ্ট হয়ে গেছে পূণরায় বীজতলা তৈরী করে আমন ধানের বীজ বপন করেছি। রবিবার (১৯ জুন) বিকেলে ডিমলা বাবুরহাটে দেখা যায়, আমন ধানের বীজতলা ক্ষতিগ্রস্থ্য হওয়ায় অনেক কৃষক বাজারে এসেছেন আমন ধানের বীজ ক্রয় করতে।

    এসময় কথা হয় সুন্দর খাতা গ্রামের কৃষক শাহজালাল এর সাথে তিনি বলেন, আমিসহ এলাকার স্থানীয় কৃষকেরা আমন ধানের চারা বপন করেছি ঘনঘন বৃষ্টির কারনে অনেকের বীজতলা নষ্ট হয়ে গেছে বাজার থেকে আবারো ধানের বীজ ক্রয় করতে এসেছি। বীজের দাম একটু বেশি ! বাজারে কেজি প্রতি ৪০ থেকে ৫০ টাকা দরে স্বর্ণা, মালি, গুটিস্বণা জাতের ধানের বীজ বিক্রি হচ্ছে । হাইব্রীড জাতের ধানের বীজের দাম আরো বেশি ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা।

    শাহজালালের মত অনেকে হাটে এসেছে আমন ধানের বীজ ক্রয় করতে। এবিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবীদ সেকেন্দার আলী বলেন, অতিবৃষ্টির ফলে নিচু এলাকায় অনেক কৃষকের আমন ধানের বীজতলা ক্ষতিগ্রস্থ্য হয়েছে।

    সরকারী প্রনোদনার বীজ বরাদ্ধ হলে উপজেলা কৃষি অফিস থেকে ক্ষতিগ্রস্থ্য কৃষকদের মাঝে আমন ধানের বীজ বিতরন করা হবে। কৃষকেরা ব্রিধান-৭১, ব্রিধান-৭৫, ব্রিধান-৮৭, ব্রিধান-৯৫, বিনা ধান-১৭, বিনা ধান-২২ উন্নত জাতের আমন ধান চাষ করলে আগাম ফলন পাবে এবং ঐ জমিতে রবিশস্য সরিষা, সূর্য্যমূখী, ভুট্টা, আলু, বাদাম ও বোরো ধান রোপন করতে পারবে।

  • ত্রাণের জন্য হাহাকার,পানিবন্দি লক্ষাধিক মানুষ।

    ত্রাণের জন্য হাহাকার,পানিবন্দি লক্ষাধিক মানুষ।

    ত্রাণের জন্য হাহাকার,পানিবন্দি লক্ষাধিক মানুষ।


    ভারী বর্ষন ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল এবং কুশিয়ারা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলার প্রায় শতাধিক গ্রাম বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে। এতে উপজেলার এক লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। এমন অবস্থায় জরুরী আশ্রয় কেন্দ্র্রে উঠছেন পানিবন্দি এলাকার বাসিন্দারা। আত্মীয়স্বজন বা পরিচিতজনদের উচুঁ বাড়িতে বা বহুতল ভবনে আশ্রয় নিচ্ছেন অনেকেই। আর যারা কোথাও যাওয়ার জায়গা পাচ্ছেন না, তারা ছুটছেন আশ্রয়কেন্দ্রে। কিন্তু সরকারি সহায়তা না পৌঁছায় আশ্রয়কেন্দ্রের বাসিন্দারা ভুগছেন খাদ্যসংকটে। গত ৪ দিন ধরে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় ত্রাণের জন্য অপক্ষোয় রয়েছেন পানিবন্দি মানুষ। রবিবার সকাল পর্যন্ত সরকারি ভাবে কোন ত্রান সহায়তা বন্যাক্রান্তদের হাতে পৌছায়নি। উপজেলার উচুঁ স্থানে সরকারি সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে আশ্রয় কেন্দ্র খোলার তাগিদ দিচ্ছেন স্থানীয়রা।

    জানা গেছে, অতি বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতির চরম অবনতির হচ্ছে।

    কুশিয়ারা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে ডাইকের উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে কয়েকটি ইউনিয়নের সবকটি এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে চরম দূূর্ভোগ পেয়াচ্ছেন প্রায় লক্ষাধিক বাাসিন্দারা। বেশিরভাগ আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘরও পানিতে তলিয়ে গেছে। আশ্রয়ন প্রকল্পের বাসিন্দারা আশ্রয়কেন্দ্রে উঠছেন। অব্যাহত পানিবৃদ্ধিতে উপজেলার উমরপপুুর, সাদিপুুর, গোয়ালাবাজার ও পশ্চিম পৈলনপুর ইউনিয়নেরর সব এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এছাড়া উপজেলার বাকি ইউনিয়ন গুলার বেশির ভাগ এলাকার মানুষও রয়েছেন পানিবন্দি। ফলে পানি বন্দি মানুষের মধ্যে দেখা দিয়েছে ত্রাণের সংকট। বন্যার পানিতে টিউব ওয়েল তলিয়ে যাওয়ায় বিশুদ্ধ পানির সংকটও দেখা দিয়েছে।

    উপজেলা প্রশাসনের তথ্য অনুসারে, বন্যাক্রান্তদের জন্য ২৫টি আশ্রয় কেন্দ্রে গত তিন দিনে ৭২৫টি পরিবার আশ্রয় নিয়েছেন। উপজেলায় বন্যাক্রান্তদের জন্য ৮ টন চাল ও নগদ ১ লক্ষ টাকা বরাদ্ধ দিয়েছে সরকার। গতকাল রবিবার উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে এই বরাদ্ধ বন্ঠন করা হয়েছে বলে উপজেলা প্রশাসন সূত্রে নিশ্চিত করেছে। তবে, বাস্তবে বন্যাক্রান্ত পরিবারের সংখ্যা আরো বেশি বলে স্থানীয় সূত্রে নিশ্চিত করেছে। কয়েকেটি বহুতল ভবনেও বন্যাক্রান্ত সাধারণ মানুষকে আশ্রয় নিতে দেখে গেছে। তবে এর নির্দিষ্ট কোন তথ্য উপজেলা প্রশানের কাছে নেই।

    উপজেলার সাদিপুর ইউনিয়নের শাহিন মিয়া বলেন, বন্যার পানি অব্যাহত বৃদ্ধি পাওয়ায় ৪ দিন থেকে পরিবার নিয়ে দূর্ভোগে রয়েছি। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে আশ্রয়কেন্দ্রই যেতে হবে। ঘরে যা খাবার ছিলো তা শেষ। সরকারি বা বেসরকারি উদ্যোগে ত্রাণ সহায়তা চেয়েছেন তিনি। শাহিনের মতো পানিবন্দি অনেকেই সরকারি বা বেসরকারী উদ্যোগে ত্রাণ সহায়তা চাচ্ছেন।

    উমরপুর ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মারতি নন্দন ধাম জানিয়েছেন, উমরপুর ইউনিয়নের প্রায় ৮০ ভাগ এলাকা বন্যাক্রান্ত রয়েছে। ত্রাণ সহায়তার জন্য উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়ছে।

    তাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান অরুনোদয় পাল ঝলক বলেন, তাজপুর ইউনিয়নের ৬৫ ভাগ এলাকা পানিবন্দি রয়েছে। আমার নিজ উদ্যোগে বন্যাক্রাদের মধ্যে শুকনো খাবার ও বিশুদ্ধ পানি বিতরণ করছি। সরকারি ত্রাণ হিসাবে তাজপুর ইউনিয়নে একটন চাল এসছে জেনেছি। তা সঠিক ভাবে বন্ঠন করা হবে।

    উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মিলন কান্তি রায় বলেন, সরকারি উদ্যোগে ৮টন চাল ও নগদ ১ লাখ টাকা ত্রান সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। পর্যাপ্ত ত্রানের জন্য উর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রতিবেদন প্রেরণ করা হবে।

  • সুদ ব্যবসায়ী কাজল রেখা ও তার স্বামীর অত্যাচারে সর্বশান্তের অভিযোগ। 

    সুদ ব্যবসায়ী কাজল রেখা ও তার স্বামীর অত্যাচারে সর্বশান্তের অভিযোগ। 

    সুদ ব্যবসায়ী কাজল রেখা ও তার স্বামীর অত্যাচারে সর্বশান্তের অভিযোগ। 


    সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে সুদ ব্যবসায়ী কাজল রেখা ও তার সহযোগী স্বামী আব্দুল্লাহ আল মামুনের অত্যাচারে অনেকেই সর্বশান্ত হয়েছেন। সুদ ব্যবসায়ী কাজল রেখা উপজেলার পৌর ক্ষিদ্রমাটিয়া গ্রামের মৃত মকবুল ফকিরের মেয়ে এবং রাজাপুর গ্রামের মৃত ফজলুল হকের ছেলে আব্দুল্লাহ আল মামুম।

    আব্দুল্লাহ আল মামুনের বাড়ি রাজপুর হলেও তিনি কাজল রেখার বাড়িতে জাগিড় থাকতেন। তারপর কাজল রেখাকে বিয়ে করে ক্ষিদ্রমাটিয়া তে স্থায়ী ভাবে বসবাস শুরু করেন। সম্পদ বলতে ৯ শতাংশ জমি ছাড়া তাদের তেমন কোন সম্পদ ছিলো না। তার স্বামী পেশায় একজন ক্ষুদ্র হোমিওপ্যাথি ঔষধ ব্যবসায়ী। কিন্তু ঔষধ ব্যবসার আড়ালে কাজল রেখা ও আল মামুন এলাকার অসহায় সাধারণ মানুষদের অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে চক্রবৃদ্ধি হারে চড়া সুদে মানুষকে হয়রানী ও সর্বশান্ত করে আসছে। তাদের সুদের জালে জড়িয়ে এ পর্যন্ত ভিটে মাটি বিক্রি করে সর্বশান্ত হয়েছেন এলাকার অনেকেই। আবার সুদ আসল সহ টাকা পরিশোধের পরেও সুদ ব্যবসায়ীর অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে বেশ কয়েকজন ঢাকা পাড়ি জমিয়ে মানবতর জীবন যাপন করছেন।

    অনুসন্ধানে জানা যায়, পাঁচ-ছয় বছর আগেও উপজেলার ক্ষিদ্রমাটিয়া গ্রামে নিজ বাড়িতে কাজল রেখার একটা টিন সেট ঘর ছাড়া অন্য কোনো ঘর ছিলো না। সুদের কারবার করে কাজল রেখা শূন্য থেকে এখন কোটিপতি। সাধারণ মানুষকে নিঃস্ব করে পথে বসিয়ে বিপুল সম্পদের মালিক হয়েছেন। ক্ষিদ্রমাটিয়া গ্রামের একটি বিলাসবহুল বাড়ি নির্মাণ করেছেন। তাতে নির্মাণ খরচ ব্যয় হয়েছে প্রায় ৬০ লক্ষ টাকা। শুধুমাত্র ব্যক্তিগতভাবে সুদের কারবার করে হঠাৎ করেই তারা আঙুল ফুলে কলাগাছ হয়ে উঠেছেন। তাছাড়াও ক্ষিদ্রমাটিয়া গ্রামে আরও ২ দুটি বাড়ি ও অসংখ্য জমিজমাও ক্রয় করেছেন।

    একাধিক সূত্র জানায়, হঠাৎ জরুরি প্রয়োজনে যারা টাকার জন্য দিশেহারা হয়ে পড়েন তাদেরকেই মূলত টার্গেট করেন। অর্থ সংকটে পড়া বিপদগ্রস্ত এসব মানুষজন তাৎক্ষণিক ফাঁকা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর টিপ সই দিয়ে চড়া সুদে তাদের কাছ থেকে নগদ টাকা গ্রহণ করেন। এ ছাড়া অনেকের কাছ থেকে বিভিন্ন ব্যাংকের ব্লাঙ্ক চেক, জমির দলিলপত্র নিয়েও টাকা দিয়ে থাকেন। বিনিময়ে নিয়ে থাকেন মোটা অঙ্কের সুদ। প্রতি সপ্তাহে মূল ১ হাজার টাকায় সর্বনিম্ন ২০ টাকা হারে সুদ নেয় যা বছর শেষে সেটা শুধু লাভ দাড়ায় ১ হাজার ৪০ টাকা। এই সুদের টাকা দিতে না পারলে তার উপর চলে অত্যাচার আর নির্যাতন।

    নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েক জন এলাকাবাসি বলেন, সময় মতো সুদের টাকা পরিশোধ করতে না পারলে আগেই নিয়ে রাখা ফাঁকা স্ট্যাম্প ও ব্যাংক চেকে তিনি তার ইচ্ছামতো টাকা বসিয়ে উকিল নোটিশ পাঠান।

    সুদের টাকা নিয়ে নিঃস্ব হওয়া উপজেলার ক্ষিদ্রমাটিয়া গ্রামের মৃত মোহাম্মদ মোল্লার ছেলে গোলাম মোল্লা বলেন, আমি বিপদে পরে সুদ ব্যবসায়ী কাজল রেখার কাছ থেকে ৯০ হাজার টাকা নিয়ে ছিলাম। সেই টাকা পরিশোধ ও দুই গুন লাভ দিয়েও ঋণের হাত থেকে রেহাই পাইনি। পরে সুদ শোধ করতে আমার ভাই জামিন নিয়ে আরো ১০ হাজার টাকা দিয়ে পরিশোধ করে।

    ক্ষিদ্রমাটিয়া উত্তর পাড়া গ্রামের মৃত বক্কার শেখের ছেলে চাঁন শেখ বলেন, ২ বছর আগে ২ লক্ষ টাকা নিয়ে ছিলাম। আসলসহ ৩ লক্ষ টাকা দেওয়ার পরেও বাড়ির জায়গাটুকু জোর করে লিখে নেই। ভিটে মাটি হাড়িয়ে এখন ঢাকায় থাকি।

    ক্ষিদ্রমাটিয়া পূর্বপাড়া গ্রামের তারা বানু জানান, এলাকার সুদখোর কাজল রেখার কাছ থেকে হাজারে ২০ টাকা লাভে সুদ নেই। চক্রবৃদ্ধিহারে সুদ দিতে দিতে ভিটে মাটি হারানোর উপক্রম হচ্ছে।

    এ বিষয়ে সহযোগী আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, সুদের সাথে তিনি জড়িত না। তবে তার স্ত্রী কাজল রেখা বেশ কিছু দিন আগে সমিতির সাথে জড়িত ছিলো।

    এ বিষয়ে সুদ ব্যবসায়ী কাজল রেখার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি সুদ ব্যবসায়ী বিষয়টা সমিতির উপর দিয়ে গড়িয়ে দেন।

    এ বিষয়ে বেলকুচি থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) গোলাম মোস্তফা জানান, কাজল রেখা ও তার স্বামী যে সুদের ব্যবসার সাথে জড়িত এটা আমি অবগত। কিন্তু লিখিত অভিযোগ না পাওয়ায় এখন পর্যন্ত ব্যবস্থা নিতে পারছি না। অভিযোগ পেলে এদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    বেলকুচি উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আনিসুর রহমান জানান, সুদের ব্যবসা করার কোন ধরনের সুযোগ নেই। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

  • তাড়াশে অসহায় ও হত দরিদ্র বৃদ্ধদের মাঝে ফল বিতরণ।

    তাড়াশে অসহায় ও হত দরিদ্র বৃদ্ধদের মাঝে ফল বিতরণ।

    তাড়াশে অসহায় ও হত দরিদ্র বৃদ্ধদের মাঝে ফল বিতরণ


    সিরাজগঞ্জের তাড়াশে বৃদ্ধদের ফল দিয়ে আত্মশুদ্ধি করলেন তরিকায় আত্মশুদ্ধি ও মানব কল্যাণ সংঘ। উপজেলার ৪ নং মাগুড়া বিনোদ ইউনিয়নের ঘরগ্রামে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।

     

    ১৭ জুন শুক্রবার সন্ধ্যায় ওই গ্রামের ইয়া হক দরবার শরীফে তরিকায় আত্মশুদ্ধি ও মানব কল্যাণ সংঘ’র সভাপতি ও মাগুড়া বিনোদ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক জয়নাল অবেদনী ওয়ারেছীর সভাপতিত্বে ২য় বার অসহায় হত দরিদ্র ২১জন বৃদ্ধ/বৃদ্ধা হাতে এ ফলের ঝুড়ি তুলে দেন। (ফলের মধ্যে ছিল আম,কাঁঠাল,আনারস,কলা,পিয়ারা)।

     

    এছাড়াও বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়। এর মধ্যে উলেস্নখযোগ্য ভক্তদের ফল সেবা, সান্ধ্যকালীন চালপানি সেবা,আসনে বাতি জ্বালানো,ভক্তি-সালাত আদায়,সর্ব ত্বরিকা মতে জিকির আজকার,মিলাদ ও দোয়া মাহফিল,রাতের অন্নসেবা গ্রহন,তবারক বিতরণ,আত্মশুদ্ধি সমন্ধে তত্ত্বালোচনা,সামা-কাওয়ালী/বাউল গানের আসর।

     

    এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ৪ নং মাগুড়া বিনোদ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও বর্তমান আওয়ামীলীগের সভাপতি আতিকুল ইসলাম বুলবুল। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট সমাজসেবক গোলাম আজম,তরিকায় আত্মশুদ্ধি ও মানব কল্যাণ সংঘ’র উপদেষ্টা জহুরম্নল ইসলাম মাস্টার,সাধারণ সম্পাদক আনান বাউল,সদস্য আলম সরদার,জীবন সাধু,আলী আশরাফসহ অনেকে। এ অনুষ্ঠানটির সাবির্ক ব্যবস্থাপনাসহ পরিচালনা করেন শাহ্‌সুফি আয়নাল হক আল-চিশ্‌তী।

  • ডিমলায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ্যদের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ।

    ডিমলায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ্যদের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ।

    ডিমলায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ্যদের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ।

    অবিরাম বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে  নীলফামারীর ডিমলা উপজেলায় তিস্তা নদীর পানি অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পায়। নদীর তীব্র স্রোতে মসজিদ পাড়া গ্রামের স্বপন বাঁধটি প্রায় ৫০ ফিট রাস্তা ভেঙ্গে বিস্তীর্ণ এলাকা তিস্তা নদীর পানিতে প্লাবিত হয়। আর পানিবন্দি হয়ে পড়ে তিন শতাধিক পরিবার। ক্ষতিগ্রস্ত হয় ফসলি জমি ও মাছের ঘের। বসত ভিটায় উঠে কোমর ও হাঁটু পানি। বসতবাড়িতে পানি উঠায় অনেকে আশ্রয় নেয় উঁচু গাইড বাঁধে।
    শনিবার (১৮ই জুন) সকালে ডিমলা উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে টেপাখড়িবাড়ি ইউনিয়নের তেলির বাজার (মসজিদ পাড়া) গ্রামের পানিবন্দি মানুষের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ এবং নদী ভাঙ্গন ও বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার বেলায়েত হোসেন।
     এ সময় তিনি পানিবন্দি হওয়া দেড় শতাধিক পরিবারের মাঝে ২০ কেজি চাল, শুকনা খাবার, খাওয়ার স্যালাইন, পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট বিতরণ করেন।
     এছাড়া বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের জন্য পানিবন্দি এলাকায় ডিমলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী অধিদপ্তর কর্তৃক একাধিক টিউবওয়েল বসানো হয়েছে।
    এবারের বন্যায় ডিমলা উপজেলার পূর্ব ছাতনাই, পশ্চিম ছাতনাই, খগা খড়িবাড়ি, টেপাখড়িবাড়ি, খালিশা চাপানি, ঝুনাগাছ চাপানি এবং গয়াবাড়ি ইউনিয়নের একাংশের প্রায় তিন হাজারের অধিক পরিবার নদী ভাঙন ও বন্যায় ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন।
    এসময় তার সঙ্গে ছিলেন, টেপাখড়িবাড়ি ইউপি চেয়ারম্যান মইনুল হক, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মেজবাহুর রহমান, উপ-সহকারী প্রকৌশলী ফেরদৌস আলমসহ অত্র ইউনিয়নের সকল ইউপি সদস্যবৃন্দ।
     উপজেলা নির্বাহী অফিসার বেলায়েত  হোসেন বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ আসবেই, আসতেই পারে। আমাদের নিকট পর্যাপ্ত ত্রাণ সামগ্রী মজুদ আছে। একজন মানুষও অভুক্ত থাকবে না। এটাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অঙ্গীকার।
  • খাদ্য শস্যের ব্যবসা করতে লাইসেন্সের আওতায় আসতে হবে-উপসচিব মর্জিনা আক্তার।

    খাদ্য শস্যের ব্যবসা করতে লাইসেন্সের আওতায় আসতে হবে-উপসচিব মর্জিনা আক্তার।

    খাদ্য শস্যের ব্যবসা করতে লাইসেন্সের আওতায় আসতে হবে-উপসচিব মর্জিনা আক্তার।


    সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে চালের পাইকারী দোকান পরিদর্শন করেছেন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মর্জিনা আক্তার। পরিদর্শন কালে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক এস এম সাইফুল ইসলামকে সাথে নিয়ে তিনি ধান চাল ব্যবসায়ীদের সতর্ক করে বলেন, ১ মেঃটন বা ১০০০ কেজি মজুত রেখে খাদ্যশস্য ব্যবসা করতে চাইলে খাদ্যশস্যের লাইসেন্সের আওতায় আসতে হবে। সেই সাথে প্রতিটি চালের দোকান মিল ও মোকাম থেকে ক্রয়ের ক্যাশমেমো সংরক্ষণ এবং খুচরা বিক্রেতাদের দোকানে মূল্যতালিকা থাকতে হবে।

     

    শনিবার বিকালে উপজেলার পলাশ মার্কেটে পাইকারী চালের দোকান পরিদর্শন শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের তিনি এ সব কথা বলেন।

    খাদ্য উপসচিব আরো বলেন, সকল ধান চাল ব্যবসায়ীকে অনতিবিলম্বে ফুডগ্রেইন লাইসেন্সের আওতায় নিয়ে আসার তাগিদ এবং ব্যবসায়ীদের ডাটাবেজ তৈরির নির্দেশনা উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রককে প্রদান করা হয়েছে।
    এ সময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা ফাহাদ ইবনে সালাম প্রমূখ।

  • তাড়াশে দোকান পুড়ে ২ লাখ টাকার ক্ষতি।

    তাড়াশে দোকান পুড়ে ২ লাখ টাকার ক্ষতি।

    তাড়াশে দোকান পুড়ে ২ লাখ টাকার ক্ষতি।


    সিরাজগঞ্জের তাড়াশে আগুনে ১টি দোকান ভস্মীভূত হয়ে প্রায় ২ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে মোটর সাইকেল মেকারের। বুধবার শেষ রাতে উপজেলার বারম্নহাস ইউনিয়নের বস্তুল বাজারে আবু হানিফের দোকান ঘরে এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। বাজারের পাশের বাসিন্দা সেলিম হোসেন বলেন, হঠাৎ করে ভোরে জনগনের চিৎকার শুনে বাজারে এসে দেখি আগুন ধরে দোকান ঘর পুড়ছে। আগুনের বিষয়টি ফোনে বাজারের বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের জানাই। প্রথমদিকে বাজারের ব্যবসায়ী ও আশেপাশের বাসিন্দারা ছুটে এসে আগুন নেভানোর চেষ্টা চালায়। আগুন লাগার খবর পেয়ে তাড়াশ ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট এসে এক ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।

    তাড়াশ দমকল বাহিনীর সাব অফিসার রেজাউল করিম বলেন, ভোর ৫টার দিকে খবর পেয়ে আমার সেখানে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রন করেছি। আগুনের সূত্রপাত বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে হয়েছে। এ ছাড়া আগুনে পুড়ে ওই দোকানের প্রায় ২ লাখ টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়েছে।

  • বালিয়াডাঙ্গীতে পরকীয়ার জেরে যুবককে হত্যার অভিযোগ।

    বালিয়াডাঙ্গীতে পরকীয়ার জেরে যুবককে হত্যার অভিযোগ।

    বালিয়াডাঙ্গীতে পরকীয়ার জেরে যুবককে হত্যার অভিযোগ।


    ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের জেরে সলিম উদ্দীনকে (৪৬) হত্যার অভিযোগ উঠেছে রফিকুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। বুধবার (১৫ জুন) সন্ধ্যায় মৃতের ছেলে বাবু রানা এ অভিযোগ করেন। এর আগে গত মঙ্গলবার বিকেলে বালিয়াডাঙ্গী বাজারে এ ঘটনা ঘটে।

    মৃত সলিম উদ্দীন বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার বড় পলাশবাড়ী ইউনিয়নের বুনিয়াডাঙ্গী গ্রামের মৃত আবুল কাশেমের ছেলে।

    অভিযুক্ত রফিকুল ইসলাম একই এলাকার খেজু মোহাম্মদের ছেলে।

    জানা গেছে, গত চার বছর ধরে রফিকুল ইসলামের সঙ্গে সলিম উদ্দীনের স্ত্রী আকলিমার বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে। বিষয়টি জানার পর স্থানীয়দের মাধ্যমে একাধিকবার বিচার-সালিস করা হলেও সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন হয়নি। গত মঙ্গলবার সকালে সলিমের বাড়িতে গেলে রফিকুলকে আটকে রেখে স্থানীদের কাছে পুনরায় বিচার চান।

    মৃতের ছেলে বাবু রানা বলেন, মঙ্গলবার দুপুরে রফিকুল ইসলাম আমার বাবাকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে বাড়ি থেকে চলে আসেন। এরপর বিকেলে বাবা বালিয়াডাঙ্গী বাজারে গেলে তাঁকে জোর করে গ্যাসের ট্যাবলেট খাওয়ানো হয়। পরে ইজিবাইকে করে হাসপাতালে পৌঁছে দিয়ে রফিকুল পালিয়ে যান। খবর পেয়ে বাবাকে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে মারা যান তিনি।

    বাবু রানা আরও বলেন, ‘আমি ও আমার পরিবারের লোকজন বাবার মরদেহ নিতে এসেছি। ময়নাতদন্ত শেষ মরদেহ নিয়ে বাড়িতে ফিরব। এ ঘটনায় রফিকুল ইসলামসহ জড়িত কয়েকজনকে আসামি করে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি।’

    অভিযোগের বিষয়ে জানতে রফিকুল ইসলামের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি। তিনি ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছেন।

    বালিয়াডাঙ্গী থানা পরিদর্শক (ওসি) খায়রুল আনাম ডন বলেন, ঠাকুরগাঁও সদর থানার পুলিশ মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করছে। এ ঘটনায় সলিম উদ্দীনের পরিবারের লোকজন বালিয়াডাঙ্গী থানায় অভিযোগ দিলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

  • নন্দীগ্রামের বুড়ইল ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী জিয়া বিজয়ী

    নন্দীগ্রামের বুড়ইল ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী জিয়া বিজয়ী

    নন্দীগ্রামের বুড়ইল ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী জিয়া বিজয়ী।


    বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার বুড়ইল ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী জিয়াউর রহমান জিয়া বেসরকারী ভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি অটোরিকশা প্রতীকে ১১২৭০ ভোট পেয়ে বেসরকারি ভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল মালেক (চশমা) পেয়েছেন ৬৯১৮। প্রাপ্ততথ্যে আরও জানা যায়, বিভাজন জটিলতা কাটিয়ে ১৫ই জুন বুড়ইল ইউনিয়ন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।

    নির্বাচনে ৬ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী ভোটযুদ্ধে অংশ গ্রহন করেন। তাদের মধ্যে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী ভবেশ চন্দ্র সরকার (ঘোড়া প্রতীক) ৩৯২৯ ভোট, আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী মোফাজ্জল হোসেন মন্ডল (নৌকা) ১৮৩৬ ভোট,স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী আহসানুল হক (মোটরসাইকেল) ৪৮৩ ভোট এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী রুহুল আমিন হিমেল (আনারস) ২৪৯ ভোট পেয়েছেন। ভোটগ্রহন চলাকালে কোথাও কোনো অপপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। ইউনিয়নের ১৬টি কেন্দ্রে ইভিএমে শান্তিপূর্ণভাবে ভোটাররা তাদের ভোট প্রদান করেন। ইউনিয়নের মোট ভোটার ৩০ হাজার ৩২৬। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ১৫ হাজার ৫৬জন ও নারী ভোটার ১৫ হাজার ২৭০জন। ২৪ হাজার ৬৮৫জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন।

    উল্লেখ্য, বিভাজন জটিলতা কারনে বুড়ইল ইউনিয়নের নির্বাচন স্থগিত ছিল, অবশেষে উক্ত ইউনিয়নে নির্বাচন সম্পন্ন হল।

  • ভারতে মহানবী (সা.)কে কটূক্তির প্রতিবাদে রাণীশংকৈলে বিক্ষোভ।

    ভারতে মহানবী (সা.)কে কটূক্তির প্রতিবাদে রাণীশংকৈলে বিক্ষোভ।

    ভারতে মহানবী (সা.)কে কটূক্তির প্রতিবাদে রাণীশংকৈলে বিক্ষোভ

    ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপীর মুখপাত্র নুপুর শর্মাসহ দুই নেতা মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সঃ) ও নবীর সহধর্মিণী মা আয়শা (রাঃ)কে নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্যের
    প্রতিবাদে ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে  রাষ্ট্রীয়ভাবে নিন্দা জানানোর দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা করা হয়।
    মুসলিম সমাজের বিভিন্ন সংগঠনের ব্যানারে
    হাজার হাজার স্থানীয় মুসল্লি এ কর্মসূচি পালন করে। এতে প্রায় ঘন্টাব্যাপী শহরের সড়কগুলোতে যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকে।
    সোমবার (১৩ জুন) বিকাল ৩ টার সময় প্রথমে শেখ রাসেল মিনি স্টোডিয়াম হ্যালিপ্যাড মাঠ থেকে মিছিল সহকারে চতুর্দিক থেকে পৌর শহরের অভিমুখে জমায়েত হতে শুরু করে। সকলে একত্রিত হয়ে রাণীশংকৈল,বালিয়াডাঙ্গী, হরিপুর  সম্মিলিত উলামা পরিষদের আহবানে শহরের একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন মুসল্লিরা।
    প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে বন্দর চৌরাস্তা মোড়ে মানববন্ধনে অংশ নিয়ে এক প্রতিবাদ সমাবেশ করেন।
    পরে সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে স্থানীয় মুসুল্লিরা বক্তব্য রাখেন। এতে মসজিদের ইমাম ও সম্মিলিত উলামা পরিষদের ওলামাসহ হাজার হাজার মুসুল্লিগণ অংশগ্রহন করেন। এসময় তারা ভারতে মহানবী হযরত মোহাম্মাদ (সা:) কে কটুক্তির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ এবং ধিক্কার জানান। নুপুর শর্মা’র বিচারের দাবী জানান তারা।
    মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, আমরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানাই আমাদের প্রিয় নবীকে অপমান এর জন্য, তিনি যেন রাষ্ট্রীয়ভাবে এর তীব্র নিন্দা জানান। যখন গোটা বিশ্ব নবীর অবমাননার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে । তখন আমাদের উচিত প্রতিবাদ জানানো। সেই সাথে নুপুর শর্মা ও নাভিন কুমার জিন্দালালের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি করছি।
    এ সময় মানববন্ধনে বক্তারা আরো বলেন, ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপী সরকারের মুখপাত্র নুপুর শর্মা ও নাভিন কুমার জিন্দালাল মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) সম্পর্কে কটুক্তি করেছে । তাদের এমন কর্মকাণ্ডে আমরা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
    ভারতের মত একটি সভ্য রাষ্ট্রে দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা মহানবী হযরত মোহাম্মাদ (সা:) কে নিয়ে কুরুচিকর মন্তব্য করে গোটা বিশ্বের মুসলিমকে আঘাত করেছে। যা কোনভাবেই মেনে নেয়া সম্ভব নয়। আজ শুধু বাংলাদেশ নয় গোটাবিশ্বে তাদের প্রতি ঘৃণার জন্ম নিয়েছে। এখন পর্যন্ত ভারত সরকার তাদের বিরুদ্ধে কার্যত প্রদক্ষেপ গ্রহন করেনি।
    অবিলম্বে তাদের শাস্তি নিশ্চিত করা না হওয়া পর্যন্ত ভারতের সকল পণ্য বয়কট করার আহবান জানান তারা।
    এছাড়া বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে এখনো পর্যন্ত কোন প্রতিবাদ না করায় ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করা হয় । মহানবীকে নিয়ে অবমাননাকারির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া না হলে আরও কঠোরতম কর্মসূচি দেয়ার হুশিয়ারি উচ্চারণ করেন মুসলিম সংগঠনের নেতারা।
    এসভায় তিন দফা দাবী বাস্তবায়নের জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানানো হয় ।
    দাবীগুলো হলে, রাসুলে করিম (সঃ) ও মা আয়শা (রাঃ)কে নিয়ে কটুক্তি করার প্রতিবাদে রাস্ট্রীয়ভাবে তিব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করা, ভারতীয় রাস্ট্রদুতকে তলব করে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে প্রতিবাদ জানানো, রাস্টীয়ভাবে ভারতীয় পন্য বর্জন করার ঘোষনা দেয়া হয় ও এ দুই কুলাঙ্গার অপরাধীদের গ্রেফতার পুর্বক দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তির জন্য বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে প্রতিবাদসরুপ ভারত সরকারকে চাপ প্রয়োগ করর আহবান জানানো হয়।
    পরে  মুসল্লিরা মোনাজাতের মাধ্যমে তাদের কর্মসূচি শেষ করেন।
    প্রসঙ্গত; সম্প্রতি ভারতের একটি টেলিভিশন বিতর্কে অংশ নিয়ে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) ও তাঁর স্ত্রী আয়েশা (রা.) সম্পর্কে অবমাননাকর বক্তব্য দেন নুপুর শর্মা। পরে এই বিষয়ে টুইটারে পোস্ট দেন নাভিন কুমার জিন্দালাল। যা মুসলিম সমাজে ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে। ইতিমধ্যে এ ঘটনায় বিশ্বের অনেক মুসলিম দেশ প্রতিবাদ জানিয়েছে।