Author: admin

  • লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ২২-২৩ ইং অর্থ বছরে বাজেট ঘোষণা।

    লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ২২-২৩ ইং অর্থ বছরে বাজেট ঘোষণা।

    লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ২২-২৩ ইং অর্থ বছরে বাজেট ঘোষণা। 


    লক্ষ্মীপুর পৌরসভায় ১১৫ কোটি ৮আট লাখ ৮৩ হাজার ৯২৬ টাকার বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে। বুধবার (২২ জুন) দুপুরে পৌর মেয়র মোজাম্মেল হায়দার মাসুম ভূঁইয়া এ বাজেট ঘোষণা করেন।

    মাসুম ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন লক্ষ্মীপুর-২ (রায়পুর ও সদরের একাংশ) আসনের সংসদ সদস্য এডভোকেট নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন।

    এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন সাবেক মোহাম্মদ উল্যা, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম ফারুক পিংকু, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ নূর-এ-আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও প্রশাসন) পলাশ কান্তি নাথ, রামগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মনির হোসেন চৌধুরী, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি এম আলাউদ্দিন ও
    সময় সংবাদ লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি সোহেল হোসেন
    লক্ষ্মীপুর প্রেস ক্লাবের সভাপতি হোসাইন আহম্মদ হেলাল ও

    বাজেট বিবৃতি থেকে জানা যায়, ২০২২-২৩ অর্থ বছরে লক্ষ্মীপুর পৌরসভায় ১১৫ কোটি ৮ লাখ ৮৩ লাখ ৯২৬ টাকা বাজেট ধরা হয়েছে। এরমধ্যে ৪৩ কোটি ৯৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা রাজস্ব খাতে ও উন্নয়ন খাতে ৭০ কোটি ২৫ লাখ টাকা আয় ধরা হয়েছে। এছাড়া প্রারম্ভিক স্থিতি ৮৫ লাখ ৩৩ হাজার ৯২৬ টাকা ধরা হয়েছে। বাজেটে ব্যয় ধরা হয়েছে ১১৪ কোটি ৭২ লাখ ৩২ হাজার ৩০০ টাকা। উদ্ধৃত্ত বাজেট ধরা হয়েছে ৩৬ লাখ ৫১ হাজার ৬২৬ টাকা।

    লক্ষ্মীপুর পৌরসভার মেয়র মোজাম্মেল হায়দার মাসুম ভূঁইয়া বাজেট সভায় বলেন, নিজস্ব জমি না থাকায় পৌর ভবনের উদ্যোগ নেওয়া যাচ্ছে না। একই সমস্যায় ওয়াটার ট্রিটম্যান্ট প্ল্যান্ট স্থাপন ও পরিচ্ছন্ন কর্মীদের জন্য আবাসন করতে পারছি না। এর জন্য প্রায় ৫ একর ভূমির প্রয়োজন। এজন্যই উন্নয়নমূলক কাজ করতে বেগ পেতে হয়।

  • নিজামতকুড়ি উত্তরপাড়া মৎস্যজীবি সমবায় সমিতির সভাপতির বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ।

    নিজামতকুড়ি উত্তরপাড়া মৎস্যজীবি সমবায় সমিতির সভাপতির বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ।

    নিজামতকুড়ি উত্তরপাড়া মৎস্যজীবি সমবায় সমিতির সভাপতির বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ।


    বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার নিজামতকুড়ি উত্তরপাড়া মৎস্যজীবি সমবায় সমিতির সভাপতির খোরশেদ আলীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় গত সোমবার (২০শে জানুয়ারী) সমিতির অধিকাংশ সদস্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সমিতির সভাপতি সদস্যদের কোন কিছু না জানিয়ে পুকুর ডাকা, মিটিং রেজুলেশন নির্বাচন, সকল কার্যক্রম একাই পরিচালনা করছে। সমিতির কোন সদস্যদের সাথে সম্পর্ক রাখার প্রয়োজনীয়তা মনে করছে না। সমিতির সকল আয় ব্যয় একাই ভোগ দখল করছে। এসব ঘটনায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণসহ সভাপতি যদি কোন পুকুর টেন্ডারে অংশগ্রহণ করে থাকে তাহলে তা বাতিলের জন্য দাবীও জানানো হয়।

    অভিযোগের বিষয়ে বাদী সমিতির সাধারন সম্পাদক মোবারক আলী ও সদস্য ইসমাইল হোসেন বলেন, সমিতির সভাপতি খোরশেদ আলী দীর্ঘ ৬ বছর যাবত সমিতির আয় ব্যয় সহ কোন কার্যক্রমে আমাদের সম্পৃক্ত করেনি। সমিতির বিষয়ে সভাপতির সাথে কথা বলতে গেলে সব সময় তাল বাহানা করত। তাই বাধ্য হয়ে সমিতির সাধারন সম্পাদক সহ ২১ সদস্য বিশিষ্ট সমিতির আমরা ১৩ জন সদস্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি। অভিযোগের বিষয়ে জানতে সমিতির সভাপতি খোরশেদ আলীর মোবাইলে ফোন করলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

    উক্ত বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শিফা নুসরাত এর সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান, অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

  • সিংড়ায় ভুয়া কাগজ দেখিয়ে পুকুর কোশিয়ার করার প্রতিবাদে মৎস্যজীবীদের মানববন্ধন।

    সিংড়ায় ভুয়া কাগজ দেখিয়ে পুকুর কোশিয়ার করার প্রতিবাদে মৎস্যজীবীদের মানববন্ধন।

    সিংড়ায় ভুয়া কাগজ দেখিয়ে পুকুর কোশিয়ার করার প্রতিবাদে মৎস্যজীবীদের মানববন্ধন।


    নাটোরের সিংড়ায় ডাহিয়া ইউনিয়নের বড় দীঘি ভুয়া কাগজ দেখিয়ে কোশিয়ার করার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে শত শত মৎসজীবি পরিবার। মঙ্গলবার দুপুরে ডাহিয়া মৎস্যজীবি সমিতি ও গ্রামবাসির অংশগ্রহণে ডাহিয়া বাজারে এ মানববন্ধন করা হয়।

    মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক ইউপি সদস্য খয়ের উদ্দিন, সাবেক ইউপি সদস্য রুহুল আমীন, বর্তমান ইউপি সদস্য রুবেল হোসেন ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আবুল কালাম প্রমুখ।

    বক্তারা ছাত্রলীগ নেতা বকুল হোসেনের কোশিয়ার বাতিল করে প্রকৃত মৎস্যজীবি পরিবারদের দেয়ার জন্য আহবান জানান।

    স্থানীয়রা জানান, বিগত দিনে ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা সরকারী রাজস্ব দিয়ে পুকুরটি ইজারা দেয়া হয়েছিলো। এবার নিয়মনীতি লংঘন করে ডাহিয়া মৌজার পুকুর ঝিনাভাতুরিয়া গ্রামের নওসেরে পুত্র বকুল হোসেন কে দেয়া হয়েছে। যে দাগ ব্যবহার করা হয়েছে। সে দাগ খাস খতিয়ানভুক্ত।

    এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এমএম সামিরুল ইসলাম বলেন, স্থানীয় এক মৎস্যজীবি পরিবারের আবেদনের প্রক্ষিতে কোশিয়ার করে দেয়া হয়। যদি প্রকৃত মৎস্যজীবি পরিবার বাদ পড়ে তাহলে বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।

  • শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে বৃক্ষরোপন ও বিতরন।

    শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে বৃক্ষরোপন ও বিতরন।

    শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে বৃক্ষরোপন ও বিতরন


    প্রাকৃতিক ভারসাম্য ও ব্যবস্থা ঠিক রাখতে গাছের কোন বিকল্প নেই। তাই নিয়মিত প্রকৃতি সংরক্ষণে নিবেদিত হয়ে কাজ করে যাচ্ছে,নাটোর জেলার শিক্ষার্থীরা।

    মঙ্গলবার ২১ জুন নাটোরের শিক্ষার্থীদের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন অনুপ্রেরণার উদ্যোগে নলডাঙ্গা উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজার ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্টানে বৃক্ষরোপণ ও গাছের চারা বিতরণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।

    কৃঞ্চচূড়া গাছের চারা রোপণের মধ্য দিয়ে শুরু হওয়া এই কার্যক্রমে শিক্ষার্থীসহ সকল স্তরের মানুষের মাঝে বিনামূল্যে বিতরণ করা হয় দুই শতাধিক গাছের চারা।

    উপস্থিত সকল শিক্ষার্থীরা জানান,গাছ ও বন্যপ্রাণী প্রকৃতির বন্ধু। তাই সকলে মিলে পৃথিবীর ভারসাম্য রক্ষায় ব্যাপক হারে বৃক্ষরোপণে ও বন্য প্রাণী পশুপাখি সংরক্ষণে কাজ করার বিকল্প নেই।

  • আল্লমা আব্দুল হালিম বোখারী (রহ.) ইন্তেকালে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার শোক প্রকাশ।

    আল্লমা আব্দুল হালিম বোখারী (রহ.) ইন্তেকালে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার শোক প্রকাশ।

    আল্লমা আব্দুল হালিম বোখারী (রহ.) ইন্তেকালে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার শোক প্রকাশ।

    দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার শীর্ষস্থানীয় বরেণ্য আলেমেদ্বীন, বেসরকারি আরবী বিশ্ববিদ্যালয় জামিয়া ইসলামিয়া পটিয়ার মহাপরিচালক, বিশিষ্ট চিন্তাবিদ, মুসলিম উম্মাহর অগ্রযাত্রার মূর্ত-প্রতীক শায়খুল ইসলাম মুফতী আব্দুল হালিম বোখারী সাহেব হুজুর আজ সকাল বেলা চট্টগ্রামের একটি বেসরকারী হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন।ইন্না লিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাইহি রাজীউন।
    আজ ২১-৬-২০২২ইং রোজ মঙ্গলবার জেলা ছদর মাওলানা মুজ্জাম্মিলুল হক ও জেলা সাধারণ সম্পাদক মাওলানা সাইফুদ্দীন দৌলতপুরী এক যৌথ বিবৃতিতে শোক প্রকাশ করেন।
    এতে,মরহুমের আত্মার মাগফেরাত কামনা ও শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।পরিবারের সবাইকে ছবরে জমীল দান করুক। আল্লাহ তা’আলা মরহুম কে কবুল করুন। ভূলত্রুটি ক্ষমা করে জান্নাতুল ফিরদাউসের সর্বোচ্চ মাকাম দান করুন, আমিন।
  • ভয়ের কিছু নেই বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে:প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    ভয়ের কিছু নেই বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে:প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    ভয়ের কিছু নেই বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে:প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    বন্যা নিয়ে ভয়ের কিছু নেই বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি করে সাহায্য-সহায়তা দেওয়া হবে।
    মঙ্গলবার (২১ জুন) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সিলেট সার্কিট হাউজে এক মতবিনিময় সভায়, সিলেট বিভাগের সাম্প্রতিক ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি পর্যালোচনা ও বন্যাদুর্গতদের পুর্নবাসন নিয়ে এ কথা বলেন তিনি।
    প্রধানমন্ত্রী বলেন, সিলেট অঞ্চলে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করে সহায়তা দেওয়া হবে। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের যত খাদ্য ও ওষুধ লাগে সব দেওয়া হবে। বন্যায় মাছচাষিরা যাতে ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারেন সেজন্য ব্যবস্থা নেবে সরকার। বন্যায় যারা কাজ করছেন তাদেরও সাবধান ও সতর্ক থাকতে হবে। বন্যার পানিতে যাতে ঠান্ডা লেগে কেউ অসুস্থ না হন।তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ও বিরোধী দল সব অবস্থাতেই সবার আগে দুর্গত মানুষের সাহায্যে এগিয়ে যায়।
    তিনি বলেন, বন্যার আশঙ্কা আগেই করেছিলাম। এবার সিলেট বিভাগে পর পর তিনবার বন্যা হলো।
    শেখ হাসিনা বলেন, পানিবন্দি মানুষের জন্য ইতিমধ্যে সব ধরনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। খাদ্য ও ওষুধ আরও যা লাগে দেয়া হবে। দুশ্চিন্তার কিছু নেই।
    আরও বলেন তিনি.এখনো বহু জায়গায় মানুষকে পানিবন্দি দেখলাম। আগামী পূর্ণিমায় কী অবস্থা হয়, সেটা খেয়াল রাখতে হবে। সাবধান থাকতে হবে।
    তিনি বলেন, এই পানি নামতে-নামতে মধ্যাঞ্চলে যাবে। দক্ষিণ অঞ্চলে পাব আরও পরে। এটা চিরাচরিত নিয়ম।
    শ্রাবণ-ভাদ্রের শেষ থেকে দক্ষিণাঞ্চল প্লাবিত হবে।
    এই বন্যা কিন্তু শেষ না। এই দুর্যোগ মোকাবিলায় আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে। এখন থেকে ব্যবস্থা রাখতে হবে।
    সিলেটের রাস্তার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখানে মাটি উঁচু করে কোনো রাস্তা হবে না। এলিভেটেড রাস্তা হবে। তাহলে সমস্যা হবে না।নদী খননের বিষয়ে তিনি বলেন, একবার প্রধান ড্রেজিংয়ের পর প্রতিবছর তা করতে হবে।
    স্থানীয় প্রশাসন এবং নেতাকর্মীদের ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রশাসন যেভাবে কাজ করেছে। আমাদের নেতাকর্মীরা আমাকে বন্যার ছবি পাঠিয়েছেন। আমি সেগুলো সঙ্গে সঙ্গে সেনাপ্রধানকে দিয়েছি। তাতে উদ্ধার কাজ সহজ হয়েছে।
    খাদ্য গুদাম রক্ষার জন্য প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘গুদামে যেন পানি না ঢোকে সে জন্য চারদিকে দেয়াল দিয়ে প্রস্তুত থাকতে হবে। সঙ্গে একটি পাম্প থাকবে। যেন পানি সরানো যায়। আবার খেয়াল রাখতে হবে খাদ্য যেন বের করা যায়।’
    এর আগে মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে হেলিকপ্টারযোগে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী। পরে সেখান থেকে সিলেট সার্কিট হাউজে যান।
    সিলেট সার্কিট হাউজে প্রধানমন্ত্রী বন্যা পরিস্থিতি পর্যালোচনা ও বন্যাদুর্গতদের পুনর্বাসন বিষয়ে এক ‘মতবিনিময় সভায়’ অংশ নিয়েছেন। সভায় প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী, স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তা ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা উপস্থিত রয়েছেন।
    এর আগে নেত্রকোনা, সুনামগঞ্জ ও সিলেট জেলার বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শন করতে সকাল ৮টায় তেজগাঁওয়ের পুরাতন বিমানবন্দর থেকে হেলিকপ্টারযোগে রওনা হন তিনি।
    প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দুটি হেলিকপ্টারে তার সফরসঙ্গী হিসেবে আছেন তথ্যমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী, পরিবেশমন্ত্রী, পানি সম্পদ উপমন্ত্রী, আওয়ামী লীগ নেতা জাহাঙ্গীর কবির নানক, মির্জা আজম, আহমদ হোসেন ও সুজিত রায় নন্দী, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সিনিয়র সচিব, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব, এসএসএফের মহাপরিচালক, প্রধানমন্ত্রীর সামরিক সচিব, একান্ত সচিব-১, ব্যক্তিগত চিকিৎসক, পিজিআরের কমাণ্ডার, এডিসি, প্রধানমন্ত্রীর প্রটোকল অফিসার-১, এসএসএফের ৪ জন, বিটিভির ক্যামেরাম্যান এবং মিডিয়া সদস্য ৪ জন।
  • নাগরপুরে কৃষক দলের নবগঠিত আহবায়ক কমিটির অনুমোদন।

    নাগরপুরে কৃষক দলের নবগঠিত আহবায়ক কমিটির অনুমোদন।

    নাগরপুরে কৃষক দলের নবগঠিত আহবায়ক কমিটির অনুমোদন।


    টাঙ্গাইলের নাগরপুরে উপজেলা কৃষক দলের নবগঠিত আহবায়ক কমিটির (আংশিক) অনুমোদন হয়েছে।

    ২০ জুন সোমবার মোঃহুমায়ুন কবিরকে আহবায়ক ও মোঃজাহিদ হাসান জাহিদ কে সদস্য সচিব সিঃযুগ্ম আহবায়ক মোঃবুলবুল আহমেদ ও যুগ্ম আহবায়ক রিপন আহমেদ শিশির, আব্দুল আওয়াল,দেলোয়ার হোসেন সেন্টু,রাশেদ শিকদারকে নাগরপুর উপজেলা কৃষক দলের আহবায়ক কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়।

    টাঙ্গাইল জেলা কৃষক দলের আহবায়ক দিপু হায়দার খান ও জেলা কৃষক দলের সদস্য সচিব শামীমুর রহমান খান স্বাক্ষরিত আংশিক কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়।

    আগামীর সাহসী আন্দোলন সংগ্রামে ঐক্য বদ্ধ হ’য়ে রাজপথে নেমে দাবি আদায় করার দৃঢ় বিশ্বাস করে জেলা কৃষক দলের নেতৃবৃন্দ কমিটির অনুমোদন করেন।

  • টেপাখড়িবাড়ী ইউনিয়নে এলজিএসপি-৩ অর্থায়নে এ্যামবুলেন্সের উদ্ধোধন।

    টেপাখড়িবাড়ী ইউনিয়নে এলজিএসপি-৩ অর্থায়নে এ্যামবুলেন্সের উদ্ধোধন।

    টেপাখড়িবাড়ী ইউনিয়নে এলজিএসপি-৩ অর্থায়নে এ্যামবুলেন্সের শুভ উদ্ধোধন।


    নীলফামারীর ডিমলায় টেপাখড়িবাড়ী ইউনিয়নে একটি নতুন এ্যামবুলেন্সের শুভ উদ্ধোধন করা হয়েছে। রবিবার ১৯ (জুন) বিকাল ৫ টায় উপজেলার টেপাখড়িবাড়ী ইউনিয়নবাসীর দোরগোড়ায় সেবা পৌছানোর জন্য ২০২১-২২ অর্থ বছরের (এলজিএসপি-৩) এর অর্থায়নে ক্রয়কৃত নতুন এ্যামবুলেন্সটির শুভ উদ্ধোধন করা হয়।

    এসময় উপস্থিত ছিলেন নীলফামারী জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট খন্দকার ইয়াসির আরেফিন,উপজেলা নির্বাহী অফিসার বেলায়েত হোসেন,সহকারী কমিশনার ভুমি ইবনুল আবেদীন,প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মেজবাহুর রহমান,উপ-সহকারী প্রকৌশলী ত্রান শাখা ফেরদৌস আলম,টেপাখড়িবাড়ী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ময়নুল হকসহ প্রমূখ। কয়েকদিনের টানা ভারি বৃষ্টিতে ও উজানের ঢলে তিস্তা নদীর পানি বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রভাবিত হওয়ায় ফলে টেপাখড়িবাড়ী ইউনিয়নের তেলীর বাজার সংলগ্ন স্বেচ্ছাসেবী স্বপন বাঁধের কিছু অংশ ভেঙ্গে আশপাশের বসত বাড়িতে পানি প্রবেশ করে।

    এসময় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পানি বন্দি মানুষের মাঝে ত্রান সহায়তা হিসাবে ২০ কেজি করে মোট ১৫০ জনের মাঝে (জিআর) চাউলসহ বিভিন্ন ক্লাবে ক্রীড়া সামগ্রী বিতরন করা হয়।

  • মৌলভীবাজারে পানিবন্দি এক লাখ ৬০ হাজার মানুষ। 

    মৌলভীবাজারে পানিবন্দি এক লাখ ৬০ হাজার মানুষ। 

    মৌলভীবাজারে পানিবন্দি এক লাখ ৬০ হাজার মানুষ। 

    মৌলভীবাজারে টানা বৃষ্টিপাত কারণে ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল এবং কুশিয়ারা নদী, মনু নদী, ধলাই নদী, ফানাই নদী, জুড়ী নদী, কন্ঠিনালা নদী, ও হাকালুকি হাওরের পানি বেড়ে মৌলভীবাজার জেলার ৭ টি উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে গেছে। এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। জেলার ১টি পৌর এলাকা এবং ১০টি ইউনিয়নের ২০০ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে জেলার এক লাখ ৬০ হাজার মানুষ বন্যাদুর্গত পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।
    মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে শনিবার (১৮ জুন) রাত ১২টায় এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অর্ণব মালাকার।
    বড়লেখা উপজেলায় বৃষ্টি কারণে পৌর এলাকার পাশাপাশি পাহাড়ধসে উত্তর শাহবাজপুর ইউনিয়নের আয়েশাবাগ চা বাগানে একজন নিহত ও সদর ইউনিয়নের কেছরিগুল গ্রামে একজন আহত হয়েছেন। বিদ্যুতের সাবস্টেশন ইতোমধ্যেই পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে।
    কুলাউড়া উপজেলায় অতি বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। নদ-নদীসহ হাকালুকি হাওরের পানি বেড়ে ভূকশিমইল, ভাটেরা, জয়চন্ডী, ব্রাহ্মণবাজার, কাদিপুর ও কুলাউড়া সদর ইউনিয়নের প্রায় সব এলাকা প্লাবিত হয়েছে।
    জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, কর্মধা ইউনিয়নের মহিষমারা গ্রামের ফানাই নদীর বাঁধ ভেঙে মহিষমারা, বাবনিয়া, হাশিমপুর, ভাতাইয়া ও পুরশাই গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এসব গ্রামের দুই হাজার পরিবার পানিবন্দি অবস্থায় আছে। গ্রামগুলোতে বিদ্যুৎ সংযোগ ও যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছে।
    জুড়ী উপজেলায় গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে ২৮টি গ্রামের প্রায় ১৬ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। এসব গ্রামের অধিকাংশ রাস্তাঘাট পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় চলাচলে দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে। এ পর্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ প্রায় ২৪টি পরিবারকে আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়া হয়েছে।
    এছাড়া জায়ফরনগর ইউনিয়নের গৌরীপুর ও সাগরনাল ইউনিয়নের কাশিনগর গোয়ালবাড়ি পশ্চিম শিলুয়া গ্রামে জুড়ী নদীর ভাঙন দেখা দিয়েছে। উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয়দের সহযোগিতায় বাঁধ মেরামত কাজ চলছে।
    এদিকে, মৌলভীবাজার সদর উপজেলায় ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে খলিলপুর, মনুমুখ, আখাইলকুড়া, কনকপুর, কামালপুর, চাঁদনীঘাট ইউনিয়নের অধিকাংশ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এখানে বন্যাদুর্গত মানুষের সংখ্যা সাত হাজার ৫০০ জন।
    রাজনগর উপজেলায় ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে চার ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে। এখানে বন্যাদুর্গত মানুষের সংখ্যা প্রায় ১০ হাজার।
    শ্রীমঙ্গল উপজেলায় ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে ৫ ইউনিয়নের ১২টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এই ইউনিয়নে বন্যাদুর্গত মানুষের সংখ্যা চার হাজার।
    কমলগঞ্জ উপজেলায় বৃষ্টি ও ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে ধলাই নদীর পাড় ভেঙে ৯টি ইউনিয়ন ও পৌর এলাকায় বন্যা দেখা দিয়েছে।
    জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অর্ণব মালাকার বলেছেন, বন্যাদুর্গতদের সরকারি সহায়তা দেওয়া হবে। রবিবার থেকে বিভিন্ন এলাকায় ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম শুরু হবে।
  • লক্ষ্মীপুরে মেয়ের জামাইয়ের বিরুদ্ধে শ্বাশুড়ির ঘরে আগুন লাগিয়ে দেয়ার অভিযোগ।

    লক্ষ্মীপুরে মেয়ের জামাইয়ের বিরুদ্ধে শ্বাশুড়ির ঘরে আগুন লাগিয়ে দেয়ার অভিযোগ।

    লক্ষ্মীপুরে মেয়ের জামাইয়ের বিরুদ্ধে শ্বাশুড়ির ঘরে আগুন লাগিয়ে দেয়ার অভিযোগ


    লক্ষ্মীপুর কমলনগর উপজেলাতে আবদুল মান্নান নামে এক প্রবাসীর বিরুদ্ধে তার বিধবা শ্বাশুড়ি শাহিদা বেগমের ঘর পেট্টোল দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। যৌতুকের টাকা না দেওয়ায় মান্নান ঘটনাটি ঘটিয়েছে বলে শনিবার (১৮ জুন) সকালে ভুক্তভোগী শাহিদা বেগম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

    এই ঘটনায় ১৫ জুন শাহিদার বাবা আলী হোসেন কমলনগর থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। পুলিশ বলছে, ঘটনাটি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    শাহিদা উপজেলার চরলরেন্স ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ড লরেন্স গ্রামের ভক্তেরপাড়া এলাকার বাসিন্দা। তার স্বামী দুলাল হোসেন মারা যাওয়ার পর থেকে ভক্তেরপাড়া গ্রামে বাবার বাড়িতে একটি টিনসেট ঘরে বসবাস করেন তিনি।

    অভিযোগ সূত্র জানায়, প্রায় ৫ বছর আগে একই ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা আবদুল খালেকের ছেলে মান্নানের সঙ্গে শাহিদার মেয়ে নুপুর আক্তারের বিয়ে হয়। তাদের সংসারে প্রতিবন্ধী একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। প্রায় ৩ বছর আবুধাবিতে প্রবাস জীবন ছিল মান্নানের। সেখানে থাকা অবস্থায় স্ত্রীর অশ্লীল ছবি দেওয়ার জন্য তিনি বায়না ধরেন। কিন্তু তার স্ত্রী দেয়নি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তিনি সংসার খরচ ও যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। পরে ছেলেকে নিয়ে নুপুর মায়ের বাড়িতে চলে আসে।

    একপর্যায়ে বাধ্য হয়ে তিনি অশ্লিল ছবি স্বামীর কাছে পাঠায়। কিন্তু মান্নান ছবিগুলো ইমোতে স্ত্রীর স্বজনদের কাছে পাঠিয়ে বিভিন্ন অভিযোগ তোলে। গত ৬ মাস আগে তিনি দেশে ফেরেন। এরপর থেকে স্ত্রীকে ১এক লাখ টাকা যৌতুক দেওয়ার জন্য চাপ দেয়। বিধবা মায়ের কাছে টাকা চাওয়া সম্ভব নয় বললে মান্নান ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন। মান্নান হুমকি দেয় নিজেরে ছেলেকে মেরে ফেলবে। ঘরে আগুন দিয়ে নুপুর ও তার মাকে হত্যার হুমকি দেন তিনি। এতে ১৪ জুন দিবাগত রাত ১টার দিকে পেট্রোল দিয়ে আগুন লাগিয়ে বিধবার ঘরে। পুরো ঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে প্রায় ৬ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়। এই ঘটনায় মান্নান ও তার সহযোগী বেলালের বিরুদ্ধে আলী হোসেন থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।

    শাহিদা বেগম জানান, ঘটনার দুইদিন আগেই মান্নান তাদেরকে পুড়িয়ে হত্যার হুমকি দিয়েছে। এই ভয়ে নিজ ঘর ছেড়ে মেয়ে ও নাতিকে নিয়ে তিনি বাবার ঘরে ঘুমাতে যান। মধ্যরাতেই পেট্টোল ঢেলে আগুন লাগিয়ে তার ঘর পুড়ে ছাই করে ফেলেছে। মান্নানই এই ঘটনা ঘটিয়েছে।

    শাহিদার বাবা আলী হোসেন বলেন, আমার ছেলেরা মান্নানকে বিদেশ নিয়েছিল। সেখান থেকে এসে সে নাতনিকে যৌতুকের জন্য চাপ দেয়। যৌতুকের টাকা না দেওয়ায় সে আমার মেয়ের ঘর পুড়ে ছাই করে দিয়েছে। আমার মেয়ে, নাতনি ওই ঘরে থাকলে আগুনে পুড়ে মারা যেত। আমি মান্নানের কঠোর শাস্তির দাবি জানাই।

    অপর অভিযুক্ত বেলালের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেও সম্ভব হয়নি। তবে স্থানীয় বাসিন্দা নজির আহম্মদ বলেন, বেলাল ও মান্নানকে একসঙ্গে দেখেছি। বাজার থেকে পেট্টোল কিনে তারাই আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে। আমরা এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।

    বক্তব্য জানতে আবদুল মান্নানকে ফোন দিলে তিনি দেখা করে কথা বলবেন বলে কল কেটে দেন। তার দেওয়া ঠিকানায় সাংবাদিকরা গিয়ে একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।

    এই ব্যাপারে কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সোলাইমান বলেন, রাতের অন্ধকারে ঘটনাটি ঘটানো হয়েছে। কে বা কারা ঘটনাটি ঘটিয়েছে, কেউ তা দেখেনি। ঘটনাটি তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।