Author: admin

  • রাণীশংকৈলের ভরনিয়া মাদরাসায় পরিক্ষার্থী ৭ জন শিক্ষক-কর্মচারী ১৮ জন।

    রাণীশংকৈলের ভরনিয়া মাদরাসায় পরিক্ষার্থী ৭ জন শিক্ষক-কর্মচারী ১৮ জন।

    রাণীশংকৈলের ভরনিয়া মাদরাসায় পরিক্ষার্থী ৭ শিক্ষক-কর্মচারী ১৮ জন ! 

    সারা দেশের মতো ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার সব মাদরাসায় একযোগে শুরু হয়েছে অর্ধবার্ষিক পরীক্ষা। পরীক্ষায় মাদরাসায় সব ছাত্র-ছাত্রীদের অংশ নেওয়ার কথা থাকলেও সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় উপজেলার ভরনিয়া দাখিল মাদরাসায় পরীক্ষা দিচ্ছেন মাত্র ৭ জন শিক্ষার্থী।
    ভরনিয়া দাখিল মাদরাসা উপজেলা শহর থেকে মাদরাসার দূরত্ব প্রায় ১৬ কিলোমিটার। ১৯৬৪ সালে ভরনিয়া দাখিল মাদরাসাটি প্রতিষ্ঠা লাভ করে। আর এমপিওভূক্ত হয় ১৯৮৫ সালে। একসময় নামডাক থাকলেও প্রতিষ্ঠানটি এখন পরিণত হয়েছে ৭ শিক্ষার্থীর পাঠশালায়। শিক্ষক, কর্মচারীও আছেন ১৮ জন।
    নিয়মিত বেতনও নিচ্ছেন তারা। ইবতেদায়ি থেকে দাখিল পর্যন্ত রয়েছে দশটি শ্রেণি কক্ষ। কাগজ-কলমে শিক্ষার্থী রয়েছে ২৪৫ জন। কিন্তু বাস্তবে এর চিত্র সম্পূর্ণ ভিন্ন।
    অর্ধবার্ষিক পরীক্ষায় অংশ নেওয়া ৭ শিক্ষার্থীর মধ্যে রয়েছেন ৬ষ্ঠ শ্রেণির ১ জন, ৭ম শ্রেণির ১ জন এবং নবম শ্রেণির ৫ জন। পরীক্ষা চলাকালে দেখা গেছে, শিক্ষকরা অফিসে বসে আড্ডা মারছেন, আর ৭ পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দিচ্ছেন বই খুলে!
    এদিকে, শিক্ষার্থী না থাকলেও প্রতিষ্ঠানটি ৮৫ লাখ টাকা ব্যয়ে নতুন ভবন নির্মাণের বরাদ্দও পেয়েছে। মাদরাসার নামে ১৫ বিঘা আবাদি জমি থাকলেও সেগুলো দেওয়া হয়েছে বন্ধক!
    ভরনিয়া গ্রামের ইউসুফ আলী বলেন, ‘মাদরাসায় নতুন সুপার আসার পর থেকে মাদরাসার অবস্থা করুন। ছেলেমেয়েরা মেট্রিক পাস করতে পারে না, সব ফেল করে। প্রতিষ্ঠানের অনেক পুরানো গাছ ছিল, সেগুলো কেটে ফেলা হয়েছে। মাদারাসায় এখন কোনো ছাত্র-ছাত্রী নেই। মাদরাসার জমি আছে সেগুলোও বন্ধক দেওয়া হয়েছে।’
    একই গ্রামের বাবুল হোসেন বলেন, ‘শিক্ষকরা ঠিকভাবে ডিউটি পালন করে না, ছাত্রছাত্রীরা নিজেদের জীবন গড়াতে অন্য বিদ্যালয়ে চলে গেছে।’
    নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি বলেন, ‘যেখানে ছাত্র-ছাত্রী উপস্থিতি বাড়াতে কারও কোনো পদক্ষেপ নাই। সেখানে কর্মচারী নিয়োগে লাখ লাখ টাকার বাণিজ্য এবং মাদরাসার জন্য ৮৫ লাখ টাকা ব্যয়ে নতুন ভবন বরাদ্দ হয় কিভাবে ?’
    মাদরাসা ব্যবস্থাপনা কমিটির অভিভাবক সদস্য আব্দুল করিম বলেন, ‘কমিটির কোনো মিটিং হয় না। ছাত্র-ছাত্রী এখন ৬-৭ জন। শিক্ষকরা সময়মতো আসেন না।
    ৬০ জন শিক্ষার্থী উপবৃত্তি পায়। এই টাকা কোথায় যায়, কে পায় ? একদিন মাদরাসায় গিয়ে দেখি ৫ জন শিক্ষক এসেছে, এর মধ্যে একজন ঘুমাচ্ছে।’
    ভরনিয়া দাখিল মাদরাসার সুপার আতাউর রহমান বলেন, ‘ছাত্র-ছাত্রীদের আসার জন্য বলা হয়েছে। কিন্তু কাজ-কামের জন্য ছাত্ররা আসছে না। করোনার কারণে ছাত্র-ছাত্রীরা আসে নাই। শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি বাড়ানোর জন্য চেষ্টা করছি।’
    স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কাসেম বলেন, ‘স্থানীয় জনগণের অভিযোগের প্রেক্ষিতে প্রতিষ্ঠানে গিয়ে দেখি কোনো ছাত্র-ছাত্রী নেই। কয়েকজন শিক্ষক আছেন, সুপারও ছিল না। একটি ক্লাস রুমে প্রবেশ করে দেখি সেখানে ছাগল ও বাদুরের মল। যা আমাকে হতবাক করেছে। পড়ালেখাও হয় না, বিষয়টি আমি মাদরাসা ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাতে অবগত করেছি।’ এই পরিণতির জন্য তিনি শিক্ষকদের দায়িত্বহীনতাকে দায়ি করেন।
    রাণীশংকৈল উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা তৈয়ব আলী মাদারাসায় শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, ‘আমি যোগদান করার প্রায় এক মাস হলো। এসে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকসহ অন্যান্য শিক্ষকদের নিয়ে শিক্ষার মান উন্নয়নে মতবিনিময় করেছি। কিন্তু মাদরাসা পর্যায় তা করা সম্ভব হয়নি। তবে খুব তাড়াতাড়ি এই পরিস্থিতি উত্তরণের উপায় খোঁজা হবে। প্রতিষ্ঠানটি পরিদর্শন করে যদি অনিয়ম পাওয়া যায়. তাহলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
  • বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ঘরবাড়ি নির্মাণে প্রয়োজনীয় সামগ্রি প্রধানমন্ত্রী দিবেন : এমপি হানিফ।

    বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ঘরবাড়ি নির্মাণে প্রয়োজনীয় সামগ্রি প্রধানমন্ত্রী দিবেন : এমপি হানিফ।

    বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ঘরবাড়ি নির্মাণে প্রয়োজনীয় সামগ্রি প্রধানমন্ত্রী দিবেন : এমপি হানিফ।


    বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, কুষ্টিয়া-৩ আসনের সংসদ সদস্য মাহবুবউল আলম হানিফ এমপি বলেছেন, যত দিন বন্যার পানি কমবে না ততদিন বানবাসি মানুষদের খাদ্য দিবে এ সরকার। বন্যায় যাদের ঘর নষ্ঠ হয়েছে, ভেঙে গেছে তাদের ঘর পুনর্বাসন করার জন্য, পুনঃনির্মাণ করার জন্য যা যা লাগে তা করবেন আমাদের প্রধানমন্ত্রী।

    আপনারা হতাশ হবেন না, ভেঙে পড়বেন না। সোমবার দুপুর সোয়া দুইটার দিকে ওসমানীনগরের সাদিপুর উচ্চ বিদ্যালয় বন্যা আশ্রয় কেন্দ্র পরিদর্শনকালে তিনি উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।

    বানভাসিদের খোঁজ খবর নেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী তাকে পাঠিয়েছেন উল্লেখ করে এলাকাবাসীকে আশ্বস্থ করে বলেন তিনি, যতদিন পর্যন্ত পানি না নামে, আপনারা বাড়িতে না ফিরেন ততদিন পর্যন্ত আপনাদের খাবার সহায়তা দেয়া হবে, যাতে কেউ খাবারের জন্য কষ্ঠ না পান। এসময় উপস্থিত আশ্রয়কেন্দ্রের মানুষের মধ্যে ১০জনকে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়।

    অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দি। এসময় উপস্থিত ছিলেন সিলেট জেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী, সহ সভাপতি অধ্যক্ষ সুজাত আলী রফিক, সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন খান, দপ্তর সম্পাদক আখতারুজ্জামান চৌধুরী জগলু, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডাঃ শাকির আহমদ শাহিন, সদস্য ডাঃ নাজরা চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আতাউর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান চৌধুরী নাজলু, সহ-সভাপতি আবদাল মিয়া, চেয়ারম্যান গোলাম কিবরিয়া, আলাউর রহমান আলা, সাংগঠনিক সম্পাদক আনা মিয়া, লুৎফুর রহমান, সাদিপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাহেদ আহমদ মূছা, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি চঞ্চল পাল, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দিলদার আলী, কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক লিলুউর রহমান পংকি প্রমূখ।
    এদিকে মাহবুবউল আলম হানিফ উপস্থিত হওয়ার আগে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের কাছে এখন পর্যন্ত সরকারি ত্রাণ সহযোগিতা না পাওয়ার অভিযোগ করেন সাদিপুর ইউনিয়নের বাসিন্দারা।

  • তাড়াশে মাদকদ্রব্য অপব্যবহার রোধে রালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত।

    তাড়াশে মাদকদ্রব্য অপব্যবহার রোধে রালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত।

    তাড়াশে মাদকদ্রব্য অপব্যবহার রোধে রালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত।


    সিরাজগঞ্জের তাড়াশে মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচার বিরোধী আন্ত্মর্জাতিক দিবস উদযাপন উপলক্ষে রালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২৬ জুন শনিবার সকালে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে এবং স্থানীয় সরকার ও জাপান ইন্টারন্যাশনাল এজেন্সি (জ্যাইকার) অর্থায়নে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।

    উপজেলা নির্বাহীর অফিসার মেজবাউল বাউল করিমের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন খান।

    এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন থানা অফিসার ইনচার্জ শহিদুল ইসলাম, উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার নাগিব মাহফুজ, সমাজসেবা অফিসার একেএম মনিরম্নজ্জামান, আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা শুকুর মাহমুদ,জ্যাইকা প্রতিনিধি আব্দুলস্নাহ প্রমুখ।

  • ওসমানীনগরে জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে বিএনপি নেতার অপপ্রচারের অভিযোগ।

    ওসমানীনগরে জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে বিএনপি নেতার অপপ্রচারের অভিযোগ।

    ওসমানীনগরে জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে বিএনপি নেতার অপপ্রচারের অভিযোগ। 


    সিলেটের ওসমানীনগরে বন্যার্তদের আশ্রয়ের নামে জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে বিএনপি নেতার অপপ্রচারের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার উমরপুর ইউনিয়ন এলাকায় ঘটনা না ঘটে। বানবাসী কয়েকটি পরিবারকে আশ্রয় প্রদানের মাধ্যমে ভুইফুড় অনলাইন মিডিয়াকে ডেকে নিয়ে চার শতাধিক লোকজনকে আশ্রয় দিয়েছেন বলে ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন পরিষদকে জড়িয়ে বিএনপি নেতার অপপ্রচার নিয়ে জনপ্রতিনিধিসহ সচেতন মহলে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

    জানা গেছে,অবিরাম বৃষ্টি আর পাহাড়ি ঢলে ওসমানীনগরের উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের অধিকাংশ লোকজন বন্যাক্রান্ত হয়ে পড়লে উপজেলা বিএনপি নেতা উপজেলার উমরপুর ইউনিয়নে বিএনপির সমর্থিত প্রার্থী হিসাবে বিগত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দী হিজলশা গ্রামের আব্দুল হেকিম তাঁর নিজ বাড়ির ২য় তলায় কয়েকটি পরিবারকে আশ্রয় দিয়ে নিজ উদ্যোগে রান্না করা খাবারের আয়োজন করেন।

    এ বিষয়ে একাধিক নামধারী সাংবাদিকরা তাদের ভূইভুড় ফেইসবুক পেইজের লাইভে এসে আব্দুল হেকিমকে উমরপুর ইউনিয়নের জনতার চেয়ারম্যান আখ্যা দিয়ে হেকিমসহ তাঁর বাড়িতে আশ্রয় নেয়া একাধিক ব্যাক্তিদের সাক্ষাতকার গ্রহন করেন। ওই সাক্ষাতকারে দাবি করা হয় আব্দুল হেকিম চেয়ারম্যান না হয়ে তাঁর বাড়িতে চারশতাধিক লোকজনকে আশ্রয় দিয়ে তাদের খাবারসহ সার্বিক ব্যায় বহন করছেন অন্যদিকে বর্তমান ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও মেম্বাররা বানবাসী লোকজনকে ত্রানতো দূরের কথা পানিবন্দিদের ইউনিয়নের ভিতরে আশ্রয় দিতেও রাজি হচ্ছেন না। আশ্রয় নেয়ার জন্য কয়েকটি পরিবার ইউনিয়ন পরিষদে গেলে ইউনিয়নের চৌকিদার তাদের বের করে দিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের মেইন গেইট তালাবদ্ধ করে রেখেছে। তাই ইউনিয়ন পরিষদের পাশ্ববর্তী আব্দুল হেকিমের বাড়িতে বন্যার্তরা আশ্রয় নেয়ার পর থেকে তিনি আশ্রয়দাতা হিসাবে আশ্রিতদের যাবতীয় ব্যায়ভার তিনি বহন করছেন।

    বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারের পর খোঁজ-খবর নিয়ে অনেকেই জানতে পারেন, আব্দুল হেকিমের বাড়িতে চার শতাধিক লোজনকে আশ্রয় দেয়া হয়নি। তার অনুগত কয়েকটি পরিবারকে জায়গা দিয়ে নিজের জনবান্ধবতা বাড়াতে ফেইসবুক পেইজের লাইভে এসে উমরপুর ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন পরিষদকে জড়িয়ে নানা অপপ্রচার চালিয়েছেন।

    খবর পেয়ে স্থানীয় সাংবাদিকরা সড়েজমিনে গিয়ে দেখতে পান চারশতাধিক নয়, ১৫/২০টি পরিবারের ৪০/৫০জন লোক আব্দুল হাকিমের বাড়ির ২য় তলায় আশ্রয় নিয়েছেন। এবং আশ্রয়ের পর থেকে আব্দুল হেকিম নিজ অর্থায়নে তাদের খাবারের ব্যবস্থাসহ যাবতীয় ব্যায়বার বহন করছেন বলে আশ্রিতারা নিশ্চিত করেন। উমরপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সহ-সভাপতি ফখরম্নল ইসলাম খান ও যুবলীগ নেতা লিমন মিয়াসহ অনেকেই জানান, বিএনপি নেতা আব্দুল হেকিম সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার পাশাপাশি নিজেকে জনবান্ধব সাজাতে নিজের অনুগত ৩০/৪০জন লোকজনকে জড়ো করে ইউনিয়নের টানা দুইবারের সুনামধন্য চেয়ারম্যান গোলাম কিবরিয়া ও ইউনিয়ন পরিষদ তালাবদ্ধ বলে অপপ্রচার চালিয়েছেন।বন্যার্তদের আশ্রয়ের নামে বিএনপি নেতার এমন অপপ্রচারে জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

    বিষয়টির সুষ্ট তদন্ত্মপূর্বক ফেইসবুক পেইজের লাইভকারীসহ জড়িতদের বিরম্নদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য প্রশাসনের সংশিস্নষ্টদের আহব্বান জানান তারা। উমরপুর ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মাহফুজুল হক আখলুসহ একাধিক সদস্য বলেন,বর্তমান চেয়ারম্যান গোলাম কিবরিয়ার সার্বিক দিক নিদের্শনায় বন্যার শুরম্ন থেকে ইউনিয়ন এলাকায় ক্ষতিগ্রস্থ লোকজনের সার্বিক খোঁজখবর নিয়ে সবরখমের সহযোগিতা করার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছি। যাদের গৃহ পানিতে নিম্নজ্জিত হয়েছে তাদেরকে নিরাপদে আশ্রয়ন প্রকল্পে প্রেরনসহ ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে প্রতিদিন রান্না করা খাবার প্রদান করা হচ্ছে।

    ইউনিয়ন এলাকায় সরকারীভাবে কয়েকটি আশ্রয়ন কেন্দ্রে ব্যবস্থা করারপরও একটি চক্র সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার হীন উদ্দেশ্যে সস্ত্মা জনপ্রিয়তা খুঁরাতে পরিকল্পিতভাবে লোকজনকে জড়ো করে আশ্রয়ের নামে ইউনিয়ন পরিষদের অফিস কক্ষগুলোতে লোকজনের থাকার জায়গা দেয়ার অনৈতিক দাবি তুলে। এসময় সরকার কর্তৃক বিধি-নিষেধ থাকায় দ্বায়িত্বরত গ্রাম পুলিশ তাদের ইউনিয়নের অফিস কক্ষগুলোতে লোকজনকে জায়গা না দিয়ে আশ্রয়ন প্রকল্পের নিয়ে যাওয়ার অনুরোধ করেন।

    পরবর্তীতে ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন বিএনপি নেতা আব্দুল হেকিমের বাড়িতে জড়ো করে লাইভে এসে জনপ্রতিনিধিসহ ইউনিয়ন পরিষদে জড়িয়ে নানা অপপ্রচার চালানো হয়। যা খুবই দুঃখ জনক। তবে এ বিষয়ে বিএনপি নেতা আব্দুল হেকিম বলেন,কারো প্রতি আমার কোনো প্রতিহিংসা নেই। ইউনিয়নে সাধারণ জনগনের ভালবাসায় প্রবল বন্যায় ইউনিয়নের লোকজন যাতে ক্ষতির সম্মুখিন না হন এবং তাই মহান আলস্নাহ সানিধ্‌ধ্য লাভে নিজের প্রবাসের যাওয়ার ঠিকেট কেন্সেল করে ৪০/৪৫টি পরিবারকে নিজ বাড়িতে আশ্রয় দিয়ে তাদের সার্বিক সহযোগিতা করার চেষ্ঠা করছি।

    আমি প্রচারবিমুখ মানুষ সাংবাদিকের দিয়ে এসব প্রচার করাতেও চাইনি এরপরও স্থানীয় অনলাইন মিডিয়া এখানে এসে লাইভ করেছে। সেখানে আমি চেয়ারম্যান-মেম্বারকে জড়িয়ে কোনো বক্তব্য দেইনি। কারন চেয়ারম্যান মেম্বাররা উনাদের জায়গা থেকে ইউনিয়নের বানবাসী মানুষের জন্য যা পারেন করতেছেন। আমিও আমার অবস্থান থেকে ক্ষতিগ্রস্থ লোকজনের পাশে থাকার চেষ্ঠা করছি। উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ইউপি চেয়ারম্যান মো: গোলাম কিবরিয়া বলেন,আমি ব্যাক্তিগত কাজে সল্প সময়ের জন্য যুক্তরাজ্যে অবস্থান করেছিলাম।

    বন্যার পানি বৃদ্ধির খবর পেয়ে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও সদস্যগনের মাধ্যমে আমি সার্বক্ষনিক যোগাযোগ করে পানিবন্দি লোকজনকে নিরাপদ স্থানে নিয়ে এসে তাদের খাবারের ব্যবস্থা অব্যাহত রেখে তড়িগড়ি করে দেশে চলে এসেছি। কারন উমরপুর ইউনিয়নের সকল শ্রেনী পেশার লোকজনই আমার আপনজন,তাদের কল্যানই আমার মঙ্গল। কিন্তু একটি চক্র প্রতিহিংসা পরায়ন হয়ে বন্যার্তদের আশ্রয়ের নামে আমার বিরম্নদ্ধে অপপ্রচার চালিয়েছে যা খুবই কষ্টকর। তারপরও এসব বিষয়ে কারো প্রতি আমার কোনো ক্ষোভ বা হিংসা নেই। আসুন সকলে মিলে নিজ নিজ অবস্থান থেকে সম্মেলিতভাবে ইউনিয়নের ক্ষতিগ্রস্থ লোকজনের পাশে দাঁড়াই। ইউনিয়নের বানবাসী মানুষের ক্ষুতি পুষিয়ে নিতে সরকারের পাশাপাশি দেশে-বিদেশে অবস্থানরত সকলের সার্বিক সহযোগিতা কামানা করেন।

  • বাঁশখালী এস আলম পাওয়ার প্ল্যান্টে হাত-পা ঝলসে গেল শ্রমিকের।

    বাঁশখালী এস আলম পাওয়ার প্ল্যান্টে হাত-পা ঝলসে গেল শ্রমিকের।

    বাঁশখালী এস আলম পাওয়ার প্ল্যান্টে হাত-পা ঝলসে গেল শ্রমিকের।

    বড় ধরনের হতাহতের ঘটনায় কাজ শুরুর কয়েক বছরের মধ্যেই বেশ কয়েকবার খবরের শিরোনামে জায়গা করে নিয়েছে চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার গণ্ডামারা ইউনিয়নের এস আলম পাওয়ার প্ল্যান্ট (কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্প)।
    এবার সেই বহুল আলোচিত এস আলম পাওয়ার প্ল্যান্টেই আগুনে হাত-পা ঝলসে গেছে সাহাদাত হোসেন (২২) নামে কর্মরত এক শ্রমিকের।
    শনিবার (২৫ জুন) বিকেল সাড়ে তিনটায় প্রকল্প এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
    জানা যায়, কাজের একপর্যায়ে তারপিন তেলের ড্রাম বিস্ফোরিত হয়ে সাহাদাত হোসেনের দুই হাত ও পা ঝলসে যায়। পরে ঘটনাস্থল থেকে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
    ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে গণ্ডামারা পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ লিটন চাকমা বলেন, বিকেলে কয়েকজন শ্রমিক প্রকল্প এলাকায় গ্রান্ডিংয়ের কাজ করছিল। কাজের একপর্যায়ে তারপিন তেলের ড্রাম বিস্ফোরিত হয়ে সাহাদাত হোসেন নামে এক শ্রমিকের দুই হাত ও পা ঝলসে যায়।
    এ বিষয়ে জানতে গণ্ডামারা কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফারুক আহমদকে ফোন করা হলে তিনি ব্যস্ত আছেন বলে ফোন কেটে দেন।
    প্রসঙ্গত, মো. সাহাদাত হোসেন গণ্ডামারা ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার শাই-ফকির বাড়ির বাসিন্দা। তিনি ওই প্রকল্পে শ্রমিকের কাজ করতেন।
  • পদ্মা সেতু উদ্বোধন উপলক্ষে নন্দীগ্রামে আনন্দ শোভাযাত্রা।

    পদ্মা সেতু উদ্বোধন উপলক্ষে নন্দীগ্রামে আনন্দ শোভাযাত্রা।

    পদ্মা সেতু উদ্বোধন উপলক্ষে নন্দীগ্রামে আনন্দ শোভাযাত্রা।


    পদ্মা সেতু উদ্বোধন উপলক্ষে বগুড়ার নন্দীগ্রামে আনন্দ শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২৫ জুন) দুপুর ১২ টায় উপজেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে আনন্দ শোভাযাত্রা পৌর শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

    উক্ত আনন্দ শোভাযাত্রা শেষে উপজেলা পরিষদের সামনে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন রানা এলএলবি’র সভাপতিত্বে ও যুগ্ম-সাধারন সম্পাদক মুকুল হোসেনের সঞ্চানলয় বক্তব্য রাখেন,আ’লীগ নেতা রফিকুল ইসলাম,সরফুল হক,স্বপন চন্দ্র, আনন্দ কুমার, মামুনুর রশিদ,শেখ শামিম,ফারুক কামাল,বকুল হোসেন, আব্দুর রাজ্জাক,জুলফিকার আলী,কালিপদ রায়, মোজাম্মেল হক,মখলেছুর রহমান,মিজানুর রহমান,নিকুঞ্জু চন্দ্র, মোফাজ্জল হোসেন,কৃষকলীগের সভাপতি সফিকুল ইসলাম, সাধারন সম্পাদক সাঈদ রায়হান মানিক, স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি আবু সাঈদ,সাধারন সম্পাদক কামরুল হাসান সবুজ,শ্রমিকলীগের সভাপতি এনামুল হক, সাধারন সম্পাদক আরাফাত হোসেন,ছাত্রলীগের সভাপতি তুহিন আহম্মেদ,সাধারন সম্পাদক সম্পাদক শুভ আহমেদ, যুগ্ম-সম্পাদক আবু তৌহিদ রাজীব প্রমূখ।

  • ওসমানীনগরে ধীরগতিতে কমছে পানি, বাড়ছে দূর্ভোগ।

    ওসমানীনগরে ধীরগতিতে কমছে পানি, বাড়ছে দূর্ভোগ।

    ওসমানীনগরে ধীরগতিতে কমছে পানি, বাড়ছে দূর্ভোগ।


    সিলেটের ওসমানীনগরে বন্যার পানি ধীরগতিতে কমতে শুরম্ন করেছে। গত দুই দিনে কুশিয়ারা নদীর তীরবর্তী সাদিপুর এলাকায় প্রায় ৬ ইঞ্চি পানি কমছে। পানি কমায় আশ্রয়কেন্দ্র থাকা ও পানিবন্দিরা স্বস্থির নিঃশ্বাস ফেলছেন। বাড়ি ফিরার প্রস্থুতি নিচ্ছেন বানভাসিরা। তবে শনিবার পর্যন্ত্ম আশ্রয়কেন্দ্র থেকে কেউ বাড়িতে ফিরার তথ্য পায়নি উপজেলা কন্ট্রোলরুম। নিজ বাড়িতে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্থ আসবাবপত্রসহ বাড়ি ঘরের খোঁজ নিচ্ছেন অনেকই। দির্ঘ দিন পানিবন্দি থাকায় বেশির ভাগ কাঁচা বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।

    আশ্রয়কেন্দ্রে থাকা মজিদ মিয়া বলেন, পানি ধীরে কমছে। দুএকদির মধ্যে বাড়িতে যাবো। বাড়িতে গিয়েওবা কি করবো। ঘর তো আর আগের মতো নেই। থাকবো কোথায়!
    জানা গেছে, অতি বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল এবং কুশিয়ারা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের সব এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এতো করো আড়াই লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েন।

    বড়লো বন্যা আক্রান্ত্মের সংখ্যা ও বরাদ্দ:: উপজেলা প্রশাসনের তালিকায় বেড়েছে বন্যা আক্রান্ত্ম পরিবারের সংখ্যা। গত মঙ্গলবার ১ হাজার ৩১টি বন্যা আক্রান্ত্ম পরিবারের তালিকা করা হয়। বুধবার বিভিন্ন গনমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর পরদিন বৃহস্পতিবার ১৫শ৯৯টি পরিবারের ১ লক্ষ ২০ হাজার মানুষ বন্যাক্রান্ত্ম রয়েছে বলে জানানো হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রর সংখ্যা বেড়েছে ২৩টি। বর্তমানে মোট ৬৪টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। বেড়েছে ৭৪ মেট্রিকটন চাল বরাদ্দ। মোট ৯৮ মেট্রিকটন চাল ও নগদ ৪ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা সরকারি বরাদ্দ দেয়া হয় বলে উপজেলা প্রশাসন জানিয়েছে।

    পানিতে তলিয়েছে ২০ কমিউনিটি ক্লিনিক:: বন্যার পানিতে উপজেলায় ২৩টি কমিউনিটি ক্লিনিকের মধ্যে প্রায় ২০টি ক্লিনিকে এখনো পানি। ফলে স্বাস্থ্য সেবাও হুমকির মুখে রয়েছে। পানিবাহিত রোগ প্রতিরোধে গঠন করা হয়েছে ৮টি ভ্রাম্যমান মেডিকেল টিম।

    উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোজাহারম্নল ইসলাম জানান, কমিউনিটি ক্লিনিকে পানি থাকায় বন্যা আক্রান্ত্মদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে ভ্রাম্যমান ৮টি মেডিকেল টিম মাঠে রয়েছে। বন্যার পানিতে টিউবওয়েল তলিয়ে যাওয়ায় বিশুদ্ধ পানির সংকট কাটিয়ে উঠতে বন্যা আক্রান্ত্মদের মধ্যে পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট বিতরণ চলমান।

    খাদ্যা সামগ্রীর কৃত্রিম সংকট::বন্যাকে পূজি করে উপজেলার এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ীরা খাদ্য সামগ্রীর কৃত্রিম সংকট তৈরী করে জিনিসপত্রের দিগুণ মূল্য হাতিয়ে নিচ্ছেন। এক দোকানে গিয়ে এক সাথে কয়েক পদের পূন্য মিলছে না। ফলে বন্যা আক্রান্ত্ম মানুষের সহায়তায় ব্যক্তি বা সামাজিক সংগঠন এগিয়ে আসলেও বাধাগ্রস্থ হচ্ছেন। এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নীলিমা রায়হানা খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহনের কথা জানিয়েছে।

    পশু খাদ্য সংকট: বন্যার পানিতে ২হাজার ৯৫ হেক্টর ফসলি জমি পানিতে তলিয়ে গেছে। প্রাণী খাদ্যের বেশির ভাগ দোখান বন্ধ। ফলে দেখা দিয়েছে গবাদি পশুর খাদ্য সংকট। গরম্ন, ছাগল নিয়ে আশ্রয় কেন্দ্রে উঠেছেন মনোয়ারা বেগম। তিনি বলেন, আমাদের তো কেউ না কেউ খাবার দিচ্ছেন, কিন্তু গরম্ন ছাগলের খাবার কেউ দেয়না। বন্যা আসার পর ৪টি গরম্ন ও২টি ছাগল নিয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে আছি। প্রতিদিনই তাদের কচুরি পানা খাবার হিসাবে দিচ্ছি।

    ডাকাত আতঙ্ক:: বন্যার পানি বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে সাথে হাওয়র এলাকায় বৃদ্ধি পেয়েছে ডাকাত আতঙ্ক। প্রতি রাতেই উপজেলায় ডাকাত ডুকছে বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্ট্যাটাস দিয়ে সতর্ক থাকার কথা বলছেন অনেকেই। তাই উপজেলা জুড়ে ডাকাত আতঙ্ক সৃষ্টি হচ্ছে প্রতি রাতে। ডাকাতি প্রতিরোধে রাত জেগে গ্রাম পাহাড়া দিচ্ছেন গ্রামবাসী।

    ওসমানীনগর থানার অফিসার ইনচার্য (ওসি) এস এম মাইন উদ্দিন বলেন, এখন পর্যন্ত্ম উপজেলার কোথাও ডাকাতির ঘটনা ঘটেনি। ডাকাতি প্রতিরোধে পুলিশি টহল বৃদ্ধি করা হয়েছে।

    ক্ষতিগ্রস্থ ১’শ কিলোমিটার সড়ক::বন্যায় উপজেলার প্রায় সকল সড়কের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। যে সড়কে যান চলাচল করতো সেই সড়কের উপর দিয়ে চলছেন নৌকা। এখন পর্যন্ত্ম বন্যার পানি থাকায় এলজিইডির অধিনে প্রায় ২০ কিলোমিটার সড়কে যান বাহন চলাচলের অনুপযোগী রয়েছে। অতিবৃষ্টিতে পানি জমে থাকায় ৫শ কিলোমিটার সড়কের মধ্যে ১শ কিলোমিটার সড়ক ভেঙেছে এবং কার্পেটিং উঠে গেছে।

    উপজেলা এলজিউডি প্রকোশলী এস এম আল মামুন বলেন, বন্যার পানি থাকায় কয়েকটি সড়কে যান চালচল করছে না। বন্যায় উপজেলার প্রায় সকল সড়কের ÿয়ÿতি হয়েছে। পানি কমলে পরিদর্শন করে ক্ষতির পরিমান উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট প্রেরণ করবো।

  • সীমান্ত ট্রেনের ধাক্কায় ভটভটি দুমরে মুচরে দুরে ছিটকে পড়ে ট্রেনের ইঞ্জিন বিকল।

    সীমান্ত ট্রেনের ধাক্কায় ভটভটি দুমরে মুচরে দুরে ছিটকে পড়ে ট্রেনের ইঞ্জিন বিকল।

    সীমান্ত ট্রেনের ধাক্কায় ভটভটি দুমরে মুচরে দুরে ছিটকে পড়ে ট্রেনের ইঞ্জিন বিকল


    নাটোরের নলডাঙ্গায় চিলাহাটিগামী আন্তঃনগর সীমান্ত ট্রেনের ধাক্কায় ভটভটি দুমরে মুচরে চালক প্রাণে বেঁচে গেলেও কেউ হতাহত হয়নি। এতে সীমান্ত ট্রেনের ইঞ্জিন বিকল হয়ে আড়াই ঘন্টা ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

    শনিবার ভোর সাড়ে ৩ টার দিকে উপজেলার নলডাঙ্গা বাজারের রেলগেট পার হওয়ার সময় এ দৃর্ঘটনা ঘটে।

    স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,শনিবার রাত ৩টার দিকে
    নলডাঙ্গা বাজারের রেলগেটে ভটভটির সাথে ট্রেনের ধাক্কায় ভটভটি (শ্যালো গাড়ি) দুমরে মুচরে যায়। এতে কেউ হতাহত হয়নি। তবে ট্রেনের ইঞ্জিন বিকল হয়ে পরে। ভটভটিটি নাজিরপুর হতে হাপানিয়া-নলডাঙ্গা সড়ক দিয়ে মাছের পোনা নিতে মাধনগর যাচ্ছিল।

    মাধনগর রেলওয়ের কতব্যরত স্টেশন মাষ্টার মোঃ আব্দুল হামিদ জানান,শনিবার রাত সাড়ে ৩ টার দিকে উপজেলার নলডাঙ্গা রেলওরে ষ্টেশন সংলগ্ন রেলগেট দিয়ে একটি ভটভটি (শ্যালো গাড়ি) পার হচ্ছিল।এ সময় খুলনা হতে চিলাহাটি গামী সীমান্ত এক্মপ্রেস ট্রেন এসে ভটভটিকে ধাক্কা দেয়। এতে চালক প্রাণে রক্ষা পেলেও দুমরে মুচরে ৫০ গজ দুরে ছিটকে পড়ে ভটভটি।কিছুদুর গিয়ে ট্রেন বিকল হয়ে পড়ে।ফলে আড়াই ঘন্টা এই রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

    পরে ঈশ্বরদী হতে আরেকটি ইঞ্জিন এসে সীমান্ত ট্রেনকে মাধনগর রেলষ্টেশনে নিয়ে যায়।সেখান থেকে সীমান্ত ট্রেনের বিকল ইঞ্জিন বদলিয়ে মাধনগর থেকে ভোরে ট্রেন ছেড়ে যায়। এতে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়। পরে ইঞ্জিনটিকে মেরামতের জন্য পাঠানো হয়েছে।

  • সড়ক দুর্ঘটনায় শিক্ষার্থী নিহত,আহত মোটরসাইকেলের চালক ও আরোহী।

    সড়ক দুর্ঘটনায় শিক্ষার্থী নিহত,আহত মোটরসাইকেলের চালক ও আরোহী।

    সড়ক দুর্ঘটনায় শিক্ষার্থী নিহত,আহত মোটরসাইকেলের চালক ও আরোহী।

    ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে সড়ক দুর্ঘটনায় মুন্নি আকতার (১৩) নামে এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন আরও দুজন। আজ শনিবার সকালে বালিয়াডাঙ্গী-লাহিড়ী সড়কের গোয়ালকারী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
    নিহত শিক্ষার্থী ওই এলাকার সাদেকুল ইসলামের মেয়ে ও বালিয়াডাঙ্গী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। আহত দুজনের পরিচয় তাৎক্ষণিক পাওয়া যায়নি।
    এ বিষয়ে বালিয়াডাঙ্গী থানা পরিদর্শক (ওসি) খায়রুল আনাম ডন জানান, সকালে একটি মোটরসাইকেল লাহিড়ী থেকে বালিয়াডাঙ্গী আসার পথে পেছন থেকে শিক্ষার্থীকে ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলেই শিক্ষার্থী মারা যায়। এ দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল চালক ও আরোহী দুজন গুরুতর আহত হয়। এ সময় স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছেন।
  • সাবেক কাউন্সিলর অধ্যক্ষ শামসুজ্জামান হেলালী গ্রেফতার।

    সাবেক কাউন্সিলর অধ্যক্ষ শামসুজ্জামান হেলালী গ্রেফতার।

    সাবেক কাউন্সিলর অধ্যক্ষ শামসুজ্জামান হেলালী গ্রেফতার।

    বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চট্টগ্রাম মহানগরীর সাংগঠনিক সম্পাদক,সাবেক জনপ্রিয় কাউন্সিলর অধ্যক্ষ শামসুজ্জামান হেলালীকে গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও চট্টগ্রাম মহানগরী আমীর মুহাম্মদ শাহজাহান এবং মহানগরী সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মুহাম্মদ নুরুল আমীন।
    এক বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, ‘সরকার বিনা কারণে সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে একটি সামাজিক অনুষ্ঠান থেকে সাবেক জনপ্রিয় কাউন্সিলর শামসুজ্জামান হেলালীকে গ্রেফতার করেছে। সিলেটের ভয়াবহ বন্যায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে ছুটে যাওয়া ও নিজ এলাকা শুলকবহর ওয়ার্ডে পানিবন্দী মানুষের পাশে দাঁড়ানোই কি তার অপরাধ? নেতাকর্মীদের এভাবে গ্রেফতার-নির্যাতন করে জামায়াতে ইসলামীর অগ্রযাত্রা কি থামানো যাবে? মানুষের কল্যাণে কাজ করা কি বন্ধ করা যাবে? এ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই জামায়াতে ইসলামীকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য অবিরত জেল-জুলুম ও নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে।’
    নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, ‘সকল ষড়যন্ত্র এবং সরকারী জুলুম-নির্যাতন বুকে ধারণ করে জামায়াতে ইসলামী নিয়মতান্ত্রিক ও গণতান্ত্রিক উপায়ে শান্তিপূর্ণভাবে দলীয় কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে, মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে। জামায়াতের সকল তৎপরতা প্রকাশ্য ও নিয়মতান্ত্রিক। জামায়াত শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বিশ্বাসী। জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীদের গ্রেফতার সরকারের একটি রুটিনওয়ার্কে পরিণত হয়েছে।’
    নেতৃবৃন্দ বলেন, ‘সরকার তার অপকর্মের কারণে ক্রমেই কোণঠাসা হয়ে পড়ছে। সে কারণে তারা জামায়াতের ইসলামীর অগ্রযাত্রাকে সহ্য করতে পারছে না। দেশে এবং বিদেশে এই স্বৈরাচারী সরকারের বিরুদ্ধে সকল গণতান্ত্রিক শক্তি সোচ্চার হচ্ছেন।
    অবিলম্বে অধ্যক্ষ শামসুজ্জামান হেলালীসহ সারাদেশে আটক সকল নেতাকর্মীকে নিঃশর্ত মুক্তি দেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান নগর জামায়াত নেতৃবৃন্দ।