Author: admin

  • মাধবপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় দুই মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু। 

    মাধবপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় দুই মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু। 

    মাধবপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় দুই মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু।


    ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার রতনপুর নামক স্থানে কাভার্ড ভ্যানের ধাক্কায় দুই মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। নিহতরা হলেন উপজেলার ছাতিয়াইন ইউনিয়নের এক্তারপুর গ্রামের মহিউদ্দিনের ছেলে আরিফ (১৯) ও ফরাশ উদ্দিনের ছেলে লিটন (২০)। দুর্ঘটনায় রনি নামে অপর একজন গুরুতর আহত হয়েছেন।

    শায়েস্তাগঞ্জ হাইওয়ে থানার ওসি সালেহ আহম্মেদ জানান, বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে মহাসড়কের রতনপুর ওভারব্রীজ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। মরদেহ শায়েস্তাগঞ্জ হাইওয়ে পুলিশ উদ্ধার করেছে। মোটরসাইকেলযোগে তিন যুবক মহাসড়কের উল্লেখিত এলাকা দিয়ে যাওয়ার সময় দ্রুতগতির একটি কাভার্ড ভ্যানের সঙ্গে ধাক্কা লেগে ঘটনাস্থলে আরিফ ও লিটন মারা যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় রনিকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

  • সৌদির হাফার আল বাতেনে মস্তাক আহমদ পলাশকে সংবর্ধনা।

    সৌদির হাফার আল বাতেনে মস্তাক আহমদ পলাশকে সংবর্ধনা।

    সৌদির হাফার আল বাতেনে মস্তাক আহমদ পলাশকে সংবর্ধনা।


    সৌদি আরবের হাফার আল বাতেনে কানাইঘাট প্রবাসী ফোরাম এর উদ্দ্যোগে কানাইঘাটের কৃতি সন্তান,সিলেট জেলা আওয়ামীলীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক ও বাংলাদেশ রেড- ক্রিসেন্ট সোসাইটির ব্যবস্থাপনা পর্ষদ সদস্য আলহাজ্ব মস্তাক আহমদ (পলাশ) পবিত্র হজ্ব পালনের উদ্দেশ্যে সৌদি আরব আগমন উপলক্ষে সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়।

    আব্দুল মজিদ এর সভাপতিত্বে ও মাসুদুর রহমান (টাইগার) এবং সুজন মাহমুদের পরিচালনায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আলহাজ্ব মস্তাক আহমদ পলাশ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খায়রুজ্জামান খায়ের, সভাপতি বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন, হাফার আল বাতেন সৌদি আরব, নূর নবী, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদ আন্তর্জাতিক কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিল,শেখ আশরাফ, সভাপতি ফ্রেন্ডস অব বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ, হাফার আল বাতেন সৌদি আরব,নজরুল ইসলাম,সভাপতি কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগ, হাফার আল বাতেন সৌদি আরব, প্রমুখ।

    এসময় মস্তাক আহমদ (পলাশ) বলেন শতাব্দীর ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের মুখে হাসি ফুটানো হউক আমাদের অঙ্গীকার। ভয়াবহ বন্যায় এ পর্যন্ত সিলেট ও সুনামগঞ্জের বিভিন্ন বিভিন্ন এলাকায় যারা পানিতে ডুবে ইন্তেকাল করেছেন আমরা মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের নিকট তাদের জন্য মাগফিরাত কামনা করছি।

    আল্লাহ পাক তাদেরকে শহীদ হিসেবে কবুল করুন। আমি নিহতদের পরিবার ও আত্মীয়বর্গের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি। সকল ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য আমরা মহান আল্লাহর নিকট দোয়া করি, তিনি যেন আমাদের সকল প্রকার বিপদ-আপদ দূর করে দেন এবং বন্যায় যে ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে তা কাটিয়ে উঠার তাওফিক দান করেন। কানাইঘাট প্রবাসী ফোরাম হাফার আল বাতেন এর সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান তিনি। অনুষ্ঠানের শেষে মস্তাক আহমদ (পলাশ) কে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা ক্রেষ্ট প্রদান করা হয়।

  • নওগাঁ বাঙ্গাবাড়িয়া মুক্তিযোদ্ধার বাড়ি ভাংচুর।

    নওগাঁ বাঙ্গাবাড়িয়া মুক্তিযোদ্ধার বাড়ি ভাংচুর।

    নওগাঁ বাঙ্গাবাড়িয়া মুক্তিযোদ্ধার বাড়ি ভাংচুর।


    নওগাঁ বাঙ্গাবাড়িয়া এক মুক্তিযোদ্ধার বাড়ি-ঘর ভাংচুর, লুটপাট অভিযোগ উঠেছে ভূক্তভোগি সূত্রে জানা যায়, নওগাঁ ভাঙ্গাবাড়িয়া সদর কলেজ পাড়ার বীর মুক্তিযোদ্ধা মৃত্যু খাজা মঈনুদ্দিন মিয়ার বাড়িতে সন্ত্রাসীর হামলা চালায়। ভুক্তভোগী আমবিয়া খাতুন সাথে কথা বলে জানা যায় জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে।

    তারই জের ধরে গত মঙ্গলবার সন্ধ্যা দিকে মো:মালেকের সন্ত্রাসীরা ৩০/৩৫ জনের একটি দল নিয়ে মো.বীর মুক্তিযোদ্দা মৃত্যু খাজা মঈনুদ্দিন মিয়ার বাড়িতে ঢুকে তার বসত ঘর ভাংচুর, লুটপাট করেছে।মো: মালেক পিতা,জলিল(৩০)শিপ্লব,(৩৮)পিতা মৃত্যু মক্কা ডাকাত,
    মো:সুমন(৩৪)পিতা,ওসুমন গংদের নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধার বাড়িতে ভাংচুর করেন।সাথে দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে বিরোধ।

    তারই জের ধরে একটি সন্ত্রাসী দল বীর মুক্তিযোদ্ধা মৃত্যু খাজা মঈনুদ্দিন মিয়ার বাড়িতে ঢুকে আতংক সৃষ্টি করে নওগাঁ সদর মডেল থানার ওসির সাথে কথা হলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নিবেন।

  • বাঁশখালীতে হাফেজ নারী গণধর্ষণ,ধর্ষকদের শাস্তির দাবীতে মানববন্ধন। 

    বাঁশখালীতে হাফেজ নারী গণধর্ষণ,ধর্ষকদের শাস্তির দাবীতে মানববন্ধন। 

    বাঁশখালীতে হাফেজ নারী গণধর্ষণ,ধর্ষকদের শাস্তির দাবীতে মানববন্ধন।

    চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে ওয়াজ শুনে ফেরার পথে অটোরিকশা চালকের সহযোগিতায় এক ‘হাফেজা’নারীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (১৬ মে) কালীপুরের বৈলছড়ীর সীমান্ত এলাকা বরকাটার গভীর জঙ্গলে এ ঘটনা ঘটে।
    জানা গেছে, শুক্রবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে হাফেজা ওই নারী মাহফিলের ওয়াজ শুনতে বাঁশখালী কালীপুরের পূর্ব পালেকগ্রাম এলাকায় যান। সেখান থেকে ওয়াজ শুনে বাড়ি ফেরার জন্য পূর্ব পরিচিত শহিদুল ইসলামের ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় ওঠেন। শহিদুল ওই নারীকে সহজে বাড়ি যাওয়া যাবে বলে ভেতরের রাস্তা দিয়ে কালিপুর বৈলছড়ীর সিমান্ত এলাকা বরকাটার গভীর জঙ্গলে নিয়ে যায়। এরপর সেখানে আগে থেকে ওৎপেতে থাকা মোক্তার, সরওয়ার, নুরুল আলমসহ কয়েকজন তাকে দিন থেকে রাত পর্যন্ত পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এরপর পালিয়ে যায় তারা।
    এ ঘটনায় বাঁশখালী থানা পুলিশ বৈলছড়ি এলাকায় অভিযান চালিয়ে মো. মোক্তার (৪০), মো. সরওয়ার (৩৫) ও মো. নুরুল আলমকে (৩৫)  আটক করে।
    ওদিন রাতে ভুক্তভোগী নারীর মা  বাদী হয়ে ৫ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাদের আদালতে পাঠানো হয়।
    এদিকে এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা হয়েছে। বুধবার (১৩ জুলাই) বিকেলে পরিবার পরিজন ও এলাকাবাসীর ব্যানারে অনুষ্ঠিত এ মানববন্ধন থেকে অনতিবিলম্বে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানানো হয়।
    মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন মাওলানা শফকত হোসেন চাটগামী, বাঁশখালী ইসলামী যুব কাফেলার সভাপতি মাওলানা জুনাঈদুর রশীদ শওকী, বৈলছড়ী দারুল উলূম মাদ্রাসার পরিচালক মাওলানা হাফেজ ইব্রাহিম, আলোর প্রভাতের চেয়ারম্যান মাওলানা আরিফুল্লাহ শাহী, যুব কাফেলার সেক্রেটারি মাওলানা তৈয়ব, হাফেজ হাসান মোস্তফা, হাফেজ তকী উসমান, হাফেজ মাওলানা তৌহিদুল্লাহ আমিন,মাওলানা আবদুর রহীম,মুহাম্মাদ শাহাবুদ্দীন প্রমুখ।
  • ঠাকুরগাঁওয়ে গুচ্ছগ্রাম থেকে তৃতীয় লিঙ্গের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার।

    ঠাকুরগাঁওয়ে গুচ্ছগ্রাম থেকে তৃতীয় লিঙ্গের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার।

    ঠাকুরগাঁওয়ে গুচ্ছগ্রাম থেকে তৃতীয় লিঙ্গের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার।


    ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার নারগুন ইউনিয়নের কহরপাড়ায় ঘর থেকে বৃষ্টি (৩৯) নামে এক তৃতীয় লিঙ্গের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

    বুধবার (১৩ জুলাই) বিকালে তৃতীয় লিঙ্গদের জন্য নির্মিত ‘উত্তরণ আশ্রয়ণ’ গুচ্ছগ্রামের বৃষ্টির শয়ন ঘরের ছাউনির সরের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচানো ও ঝুলন্ত অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

    সদর থানা পরিদর্শক (ওসি) কামাল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

    ওসি কামাল হোসেন বলেন, বুধবার বিকালে খবর পেয়ে দুপুরে পুলিশ গিয়ে তার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।

    আশ্রয়ণ প্রকল্পে বসবাসকারী তৃতীয় লিঙ্গের সদস্যদের বরাতে তিনি আরও বলেন, গতকাল মঙ্গলবার বৃষ্টির সঙ্গে তার এক বান্ধবীর বাকবিতণ্ডা হলে একপর্যায়ে বৃষ্টিকে চড়-থাপ্পড় মারা হয়। এতে মন খারাপ করে হয়তো তিনি আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে বলে জানিয়েছে সেখানকার অন্যান্য সদস্যরা। এমনিতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানালেও বৃষ্টির লাশ কাটা ছেঁড়া করা হলে মরদেহ তারা নেবে না বলে আপত্তি জানান তৃতীয় লিঙ্গের অন্যান্য সদস্যরা।

    ওসি বলেন, বর্তমানে এটি নিয়ে ধারণামূলক কোনো মন্তব্য করছি না। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে। ময়নাতদন্তের পরে সেখানকার তৃতীয় লিঙ্গেরা মরদেহ না নিয়ে গেলে আঞ্জুমান মফিদুলে লাশ দিয়ে দেওয়া হবে।

  • কোরবাণী

    কোরবাণী

    গতকাল কোরবাণীর ঈদ গেলো। বড় ধুম ধামের মধ্যে দিয়ে ঈদ কাটানো হলো। খুব আনন্দ ও মজা হলো। ঈদটি এমন পরিকল্পিত ভাবে জমজমাট হয়েছিলো যেনো এরকম ঈদ আর কখনও কাটেনি। আর সুন্দর ভাবে ঈদ কাটবেনা কেন? চাকুরী থেকে বড় ভাই এসেছে, বড় ভাইয়ের শালিকাও বেশ কিছু দিন ধরে এসেছে বাড়িতে। সব মিলে তৌহিদের ঈদ খুব আনন্দের সহিত কেটেছে। ভালো ও তরতাজা একটা  পশু কোরবাণী করা হয়েছে এর মাঝে দিনটি আনন্দের ব্যস্ততায়ই ছিলো। আজ ঈদের দ্বিতীয় দিন, সকাল বেলা মিষ্টি রোদে বসে বড় ভাইয়ের শালিকা নাছিমার সাথে রসময় গল্প করতেছে তৌহিদ। এসময় তৌহিদের বড় ভাই আকরাম হোসেন আস্তে আস্তে বাড়ীর বাহিরে গেলেন।
    কিছুক্ষণ হাটাহাটি করলেন এবং রিক্সায় চড়ে বাজারেও চলে গেলেন। বাজারে এদিক সেদিক ঘোরাঘুরি করতেই হঠাৎ তার বন্ধু আক্তারের সাথে সাক্ষাৎ হয়। আকরাম ও আক্তার ছোট বেলা হতে এক সাথে লেখাপড়া করেছে। এস,এস,সি ও এইচ,এস,সি একই সাথে পাশ করেছে। কর্ম জীবনে আকরাম কোম্পানীর চাকুরী করেন আর আক্তার সরকারী চাকুরী করেন। অনেক দিন পর দেখা সাক্ষাৎ হওয়ায় তাদের পূর্বের ও ভবিষ্যৎ এর আলোচনা তুলে ধরেন। অনেক আলোচনার পর  হঠাৎ আক্তার বললেন- কিরে আকরাম আমার ছোট ভাইকে বিয়ে করাতে হবে, ভাল একটি মেয়ে খুজে দেখিসতো।
    আকরামঃ তুই বিয়ে করলি মাত্র তিন বছর হলো, এখনি ছোট ভাইকে বিয়ে করাতে হবে? এ আলোচনা করতে করতেই আক্তারের ছোট ভাই অহিদ উপস্থিত হলেন। আক্তার বলল এইতো আমার ছোট ভাই এসেছে। অহিদের সাথে আকরাম কিছু কথা বলল। আকরাম মনে মনে ভাবলেন অহিদের সাথে নাছিমার বিয়ে দিলে সুন্দর মানাবে একে অপরের সাথে ফিট আছে। আকরাম বলল অহিদ তুমি এখন যাও। কিছুক্ষণ পরেই আকরাম আক্তারকে বলল, অহিদকে দিয়ে আমার শালিকা নাছিমার ভাল মানাবে। বেশ তোর শালিকাকেই দেখে আসি। তা তোর শালিকা এখন কোথায়? একথা বলল আক্তার। আকরাম বললেন বেশ কিছুদিন ধরে আমার বাড়ীতেই আছে। কারন শশুর ও শাশুরী বলেছেন ভাল সু পাত্র হলে বিয়ে দিতে, দায়িত্ব দিয়েছেন আমাকে। বেশ, তাহলে  তোর বাড়ীতেই চল একথা বলল আক্তার। আক্তারকে নিয়ে বাড়ীতে আসলেন এবং খাওয়ার টেবিলে বসলেন।
    এসময় আকরাম বললেন নাছিমা খাবার নিয়ে এসো। নাছিমা খাবার এনে তাদের খাওয়াতে লাগলেন। এর মাঝে আক্তার নাছিমাকে দেখে নিলেন। দেখতে খুবই সুন্দরী, সু-গঠনের, মিষ্টি মিষ্টি কথা, সু-সভ্য আচরন। এরকম মেয়ের সংখ্যা খুবই কম। তিনি ভাবলেন, অহিদকে দিয়ে ভালই মানাবে। এরকম লক্ষী বউ ঘরে গেলে সংসার আরো উজ্জ্বল হবে। এবার খাওয়া দাওয়া শেষ হলো। বাড়ী হতে আকরাম ও আক্তার বাহিরে গেলেন এবং হাটতে হাটতে কিছু দুরে গেলেন। আক্তার তার পছন্দের কথা জানালেন আকরামও মত দিলেন। উভয় পক্ষ থেকে বিয়ের স্বীকৃতি দিলেন। বিয়ের কথাবার্তা একেবারে পাকা আগামী কালই বিয়ে হবে। ইহা বলেই আকরাম তার বন্ধুকে বিদায় দিয়ে বাড়ী ফিরছিলেন। মনে মনে ভাবলেন, রাবেয়াকে ডেকে নাছিমার বিয়ের কথাগুলো সবার সামনে জানাবো এবং তৌহিদকে মিষ্টি আনতে পাঠাবে। সবাই মিলে মজা করে মিষ্টি খাবো। ইহা ভেবে খুশি মনে বাড়ীতে আসতেছেন। এদিকে তৌহিদ ও নাছিমা বাড়ীর আঙ্গীনার এককোণে বসে আলাপন করতেছে।
    তৌহিদঃ নাছিমা. তোমার আমার এ সম্পর্ক অনেক দিন হতেই চলে এসেছে এক মুহুর্তেও তোমাকে না দেখলে আমার জীবন একবারে মরুভুমি মনে হয়। আসলে সত্যি কথা বলতে কি, আমি তোমাকে ছাড়া বাঁচবোন।তোমাকে ছাড়া আমার বাঁচা সম্ভব না। তোমাকে ছাড়া যেনো কেমন অস্থির অস্থির লাগে। নাছিমাঃ আমিও তোমাকে ছাড়া যেনো কেমন অস্থির অস্থির লাগে।
    নাছিমাঃ আমিও তোমাকে ছাড়া বাঁচবোনা তৌহিদ। তাইতো আমার দেহ, মন, প্রাণ সবকিছু তোমাকে উজার করে দিয়েছি। চলো আমরা দুজন পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করি।
    তৌহিদঃ এটা আমার পক্ষে সম্ভব না।
    নাছিমাঃ তাহলে কি করবে?
    তৌহিদঃ চলো আমরা দুজন ভাবিকে বলে আমাদের বিয়ের ব্যবস্থা করি। তাছাড়া ভাবিতো আমাদের সব কিছু আগে থেকেই জানেন।
    নাছিমাঃ ঠিক আছে, আপাকে বললে ভালো হবে। আপা দুলাভাইকে বলবে এতেই আমাদের বিয়ে হবে। দুজন এমন ভাবে মুচকি হাসি দিলেন, যেনো পূর্ণিমা চাঁদের আলো সরাসরি কিরণ দিতেছে। আর জুটি বাধা কবুতরের মতো দুজন দুজনকে চুম্বন করলেন। তাদের ভালোবাসা দেখে আকাশ, বাতাস আনন্দের হাসি হাসতে লাগলো। গাছ, বৃক্ষ, তরুলতা তাদের প্রেমের জয়গান গাইতে লাগলো। ভ্রমর গুন গুন শব্দ তুলল পাখিগুলো গানে তাল মিলালো। বাগানের ফুলগুলি আনন্দের সহিত সু-ঘ্রাণ ছড়াতে লাগলো। যেনো প্রেমময় এক নতুন ভুবন সৃষ্টি হয়েছে। এদিকে আকরাম সাহেব বাড়ীতে ঢুকতেই তাদের আলাপন গুলি শুনতে পেলেন এবং দাঁড়িয়ে থেকে সব দেখে নিলেন, সব ঘটনা বুঝতে পারলেন। তিনি অবাক হলেন তাদের দুজনের গভীর প্রেম দেখে। এ কোন জগতের রহস্যময় প্রেম? এ প্রেম যেনো লাইলী মজনু, শিরি ফরহাদ এবং কি রাঁধা কৃঞ্চকেও হার মানাবে। কিন্তু কোন দিনও আকরামের কথা নড়চর হয়নি এবং হতেও দেবে না। আজ যদি বন্ধুকে দেওয়া কথা বর্খেলাপ হয়। তাহলে পৃথিবীতে বেঁচে থাকার চেয়ে মরে যাওয়াই অনেক ভালো। এদিকে পিতার মৃত্যুর পর ছোট ভাইকে কোলে পিঠে করে মানুষ করেছে। তাকে কোন দিন পিতার অভাব বুঝতে দেয়নি। কোন দিন তৌহিদ না খেয়ে ঘুমালে আকরামও খাননি এবং সারা রাত ঘুম হারাম হয়ে যেতো। তৌহিদের একটু অসুখ হলে আকরাম কেঁদে অস্থির হতো। তৌহিদের ভাবিও এর বিপরীত কিছু নয়। কিন্তু আজকে বন্ধুকে দেওয়া কথা রাখবে? না ভাইকে খুশি করবে? এনিয়ে আকরামের বুকের ভেতর ঝড়, তুফান বইতেছে। এসব ভাবতেই যেনো আকাশ ভেঙ্গে তার মাথায় পড়লো, পৃথিবীটা যেনো উলোট পালোট হয়ে গেলো।
    তিনি ছোট ভাইয়ের ব্যথায় ব্যথীত হয়ে দুচোখের পানিকে বাঁধ মানাতে পারলোনা। তার চোখের পানিতে আকাশ, বাতাস থমকে দাড়ালো, পাখির গান স্তব্দ হলো, পুথিবী নিরব হলো। বাগানের ফুল গুলো ঝরে গেলো। আকরাম সাহেব পকেট হতে রুমাল বাহির করে চোখের জল মুছে সাভাবিক হলেন। ততক্ষণে  বাড়ীর ভেতরে ঢুকলেন। নাছিমাকে বললেন এক গ্লাস পানি আনোতো? নাছিমা পানির জন্য ঘরে গেলো, তখন তৌহিদকে লক্ষ্য করে বললেন তৌহিদ পাঁচ বছর আগের পড়াগুলো স্মরন আছে?
    তৌহিদঃ কোন পড়া ভাইয়া?
    আকরামঃ এস,এস,সি পাশ করার পর ইসলাম শিক্ষা বই পড়নি। একটু ভাল করে অধ্যায় গুলো পড়ে এসো আমি প্রশ্ন করব।
    তৌহিদঃ ঠিক আছে ভাইয়া। ইহা বলেই তৌহিদ তার রুমে চলে গেলো। নাছিমা পানি এনে দিলো, একচুমুকে পানি পান করেই আকরাম তার রুমে গিয়ে দোলায়মান চেয়ারে বসে গভীর চিন্তায় মগ্ন হলেন। তিনি পূর্বের কথাগুলো ভেবে অধিক টেনশান করতেছেন। তিনি ভাবে একদিকে ভাইয়ের ব্যাথা অপর দিকে বন্ধুকে দেওয়া কথা, ভাবতেই অস্থির। আকরাম সাহেবের টেনশান দেখে তার স্ত্রী রাবেয়া এসে বলল কি ব্যাপার, তোমাকে আজকে অস্থির দেখাচ্ছে কেন? কি হয়েছে?
    আকরামঃ রাবেয়া, আল্লাহ আমাকে আজ কঠিন পরীক্ষায় ফেলেছেন। জানিনা এ পরীক্ষায় পাশ করবো নাকি ফেল করবো।
    রাবেয়াঃ তার মানে?সেটা তোমাকে পরে বলছি। ইহা বলেই তৌহিদকে ডাকলেন আকরাম এবং বললেন।
    আকরামঃ কি ইসলাম শিক্ষা পড়েছো?
    তৌহিদঃ জ্বি ভাইয়া।
    আকরামঃ কোন কোন অধ্যায় পড়েছো?
    তৌহিদঃ ভাইয়া সবগুলো অধ্যায় দেখেছি।
    আকরামঃ কোরবানীর অধ্যায় পড়েছো?
    তৌহিদঃ জ্বি ভাইয়া পড়েছি।
    আকরামঃ তাহলে তোমাকে আজ একটা কোরবাণী করতে হবে পারবে?
    তৌহিদঃ জ্বি ভাইয়া পারবো।
    আকরামঃ কোরবাণীর অর্থ জান তৌহিদ?
    তৌহিদঃ জ্বি ভাইয়া, কোরবাণীর অর্থ ত্যাগ করা। যাও আরো ভাল করে পড়ে এসো ভাল ভাবে উত্তর দিবে। তখনও তৌহিদ কিছু না বুঝে চলে গেলো। রাবেয়া বলল, কি ব্যাপার এসবের অর্থ কি? আকরাম গম্ভীর ভাবে বলল, আগামীকাল নাছিমার বিয়ে আমার বন্ধুর ভাইয়ের সাথে। আমি বন্ধুকে কথা দিয়েছি এবং এ বিয়ে হতেই হবে। রাবেয়া কি যেনো বলতে চেয়েও স্বামীর দিকে তাকিয়ে কিছু বলতে পারলো না। শুধু বলল তোমার যা ইচ্ছা তাই করো। আগামীকাল বরযাত্রী আসবে, বিয়ে হবে, তুমি তৌহিদকে একটু বুঝাবে নরম স্বরে বলল আকরাম। কিন্তু তৌহিদ দরজার বাহির থেকে সব শুনে ফেলেছে সব শুনে তৌহিদের বুকের বাধ ভেঙ্গে যাচ্ছে, তার কলিজা, জান, প্রাণ, ভালবাসার মানুষ নাছিমাকে ভুলে যেতে হবে। এ কথা ভাবতেই পুর্ণিমার চাঁদের চারিদিকে মেঘ জমে যায়। আকাশ বাতাস অযরে অশ্রু ঝরায়। গাছ, বৃক্ষ, তরুলতাও কেঁদে বুক ভাসায়। তখন তৌহিদ বুঝতে পারলেন কোরবানীর সঠিক অর্থ কি। কোরবাণীর সঠিক অর্থ খুশি মনে প্রিয় জিনিস ত্যাগ করা। আর তৌহিদকে তাই করতে হবে। তিনি এক অধ্যায়ে পড়েছিলেন যে,  পিতার আদেশে হযরত ঈসমাইল (আঃ) নিজের জীবন কোরবাণী করেছিলেন। আর আমার বড় ভাই আমার পিত্যৃ সমতুল্য। তার আদেশে আমার ভালোবাসা কোরবাণী করবো না? তাহলে আমি কেমন মানুষ হলাম? কেমন ছোট ভাই হলাম? কেমন প্রেমিক হলাম? দুচোখের জলে বক্ষ ভিজে যাচ্ছে, মুখ দিয়ে কথা আসতে চেয়েও ভিতরে আটকে পরে। তবুও ঘরে ঢুকে দুচোখ থেকে পানি ছেড়ে বললো ভাইয়া কোরবাণীর সঠিক অর্থ আমি বুঝে গেছি। কোরবাণীর সঠিক অর্থ খুশি মনে প্রিয় জিনিস ত্যাগ করা। আর আমি তোমার ইচ্ছায় তাই করবো। আমি নিজ হাতে কোরবাণী করবো। ইহা বলেই তৌহিদ হু-হু করে কেঁদে ওঠে এবং ভাইয়ের বুকে ঝাঁপিয়ে পরে। দুচোখের পানি ছেড়ে আকরাম বললো কেঁদোনা, এব্যাপারে আমি তোমার সহযোগিতা চাই। ঠিক আছে ভাইয়া তাই হবে বললো তৌহিদ। পরের দিন ধুমধাম করে বিয়ের অনুষ্ঠান চলেছে। বাড়ী ভর্তি মেহমান সবাই আনন্দ উল্লাস করতেছে। বাজার খরচ করে আনা হয়েছে আকরামের মন বেশি ভালোনা, তবুও তিনি অংশ গ্রহণ করতেছেন। তৌহিদ বুকের ভেতর দুঃখ, কষ্ট, যন্ত্রনা চাপা রেখে মুখে হাসি দেখাইয়া নিজ হাত দ্বারা বিয়ের আয়োজন করতেছে। তৌহিদের হাসি দেখে নাছিমা মনের আনন্দে গুন গুন করে গান গাইতেছে। তার ধারনা আজ তৌহিদের সাথেই বিয়ে হবে। কেউ জানলোনা তৌহিদের হাসির অন্তরালে কি লুকিয়ে আছে। এদিকে তৌহিদের মুখশধারী হাসি দেখে ভাই ভাবি দুজনই মনে কষ্ট অনুভব করতেছে। কষ্টে তাদের কলিজা ছিড়ে যাচ্ছে তবুও বিয়ের ধুমধাম চলছে। সঠিক সময়ে বর যাত্রী এসে হাজির। তাদের বসায়ে খাবার ব্যবস্থা করতেই হঠাৎ তৌহিদকে দেখে ডাকলেন অহিদ। ডাক শুনে কাছে এসে দেখতে পান বর সেজে আছে অহিদ।
    তৌহিদঃ কিরে অহিদ কেমন আছিস?
    অহিদঃ ভালো আছি, তুই কেমন আছিস?
    তৌহিদঃ আমিও ভালো আছি।
    এদিকে অহিদ ও তৌহিদ ছোট থেকে একই ক্লাশে লেখাপড়া করেছে, তাদের মধ্যে খুবই বন্ধুত্ব। তখন তৌহিদ মনে মনে ভাবতে লাগল, বেশ আমার প্রিয় মানুষ, আমার ভালোবাসার গোলাপ ফুলটি আমার বন্ধুর ফুলদানীতেই থাকবে স্বযত্নে। আমি খুব আনন্দিত।
    অহিদঃ কিরে তুই কি ভাবছিস তৌহিদ?
    তৌহিদঃ তুই কি ভাগ্যবান অহিদ, তাই—-।
    অহিদঃ মানে?
    তৌহিদঃ তুই আগে বিয়ে করলিতো তাই।
    অহিদঃ বেশ, তাহলে আমাদের বাসর ঘর তোর নিজ হাত দ্বারা সাজিয়ে দিবি, পারবিনা?
    তৌহিদঃ ঠিক আছে পারবো। ইহা বলেই তৌহিদ বাহিরে চলে গেলো। ততক্ষণে তৌহিদের চোখের পানি আর বাঁধ মানলোনা। নিমিষেই চোখের পানিতে বুক ভিজে গেলো এবং রুমাল দিয়ে মুছে ফেললো। এদিকে কাজী সাহেবের রেজিষ্ট্রারীর কাজ শেষ এবার কবুল বলার পালা। যখন কবুল বলার সময় নাছিমা শুনতে পারলো তার অন্যত্র বিয়ে হচ্ছে তখন নাছিমাকে বার বার কবুল বলার জন্য অনুরোধ করলেও কবুল বলতেছেনা নাছিমা।সে তৌহিদকে ছাড়া স্বামী হিসেবে অন্যকে মানতেই পারছেনা। তার প্রেম ভালোবাসাকে ভুলতেই পারছেনা। আর কি ভাবেই যেনো ভুলে যাবে তাদের ভালবাসার স্মৃতিময় দিনগুলি। আকরাম সাহেবের সাথে যেদিন রাবেয়ার বিয়ে হয়। সে দিনের প্রথম দর্শনেই তৌহিদ ও নাছিমার প্রেম হয়ে যায়। তাদের এমন প্রেম সৃষ্টি হয়েছে, একজন আরেকজনকে না দেখলে উদাসীন হয়ে যেতো। তাইতো নাছিমা প্রায়ই বোনের বাড়ী বেড়ানোর ছলোনায় তৌহিদদের বাড়ীতে এসে বেশ কিছু দিন করে থাকতো। তাদের দুজনের এমন গভীর প্রেম এক নিমিষেই নিঃশেষ হয়ে যাবে সে কথা ভাবতেই নাছিমার যেনো বুকের পাজর ভেঙ্গে যাচ্ছে। আর শিউরে উঠতেছে সমস্ত শরীর। তার ক্রঁন্দনে মাটিতে শায়ীত ধুলিকণা গুলোও হাহাকার করছে। তবুও আর কি করার? মেয়ে লোকের বুক ফাটে তবুও মুখ ফোটেনা। অধিক শোকাহত নাছিমা পাথরের মতো নিস্থল হয়ে রইলো। তৌহিদ বললো আমাদের প্রেম ছিলো একথা যেনো অহিদ কখনও না জানে। নাছিমা একেবারে চুপ করে রইলো। এসময় তৌহিদ কাছে গিয়ে ফিস ফিস করে বললো আমি বলছি তুমি কবুল বল। কয়েকবার তৌহিদ অনুরোধ করার পর দু চোখের জল ছেড়ে দিয়ে নাছিমা বললো কবুল। ইহা বলেই হু হু করে কেঁদে উঠলো নাছিমা। তিন কথাতেই নেমে আসলো নাছিমার জীবনের কালো অধ্যায়। নিঃশেষ হয়ে গেলো রঙ্গীন স্বপ্ন, ক্ষত বিক্ষত হয়ে গেলো মনের কল্পনা, ভেঙ্গে চুরমার হয়ে গেলো হৃদয়ের আল্পনা। এসময় শান্ত্বনা দিলো তৌহিদ। তখন বাহিরে এসে নাছিমা বললো একি হলো! চিকন স্বরে তৌহিদ বললো চুপ, স্ববে মাত্র কোরবাণীর ঈদ গেলো। জাননা কোরবাণীর অর্থ খুশি মনে প্রিয় জিনিস ত্যাগ করা, আর আমরাও তাই করেছি। আমরা দুজন হাসি মুখে কোরবানী করলাম। এবার অহিদ নতুন বৌ নিয়ে তাদের বাড়ীতে যাইতেছেন। সঙ্গে বার বার অনুরোধ করে তৌহিদকে নিলেন। যা কাজ তাই হলো, অহিদ ও নাছিমার বাসর ঘর নিজ হাত দ্বারা সাজাইলেন তৌহিদ। তাদের ফুল সজ্জায় সুন্দর করে ফুল দিয়ে লিখে দিলেন “কোরবাণী” আমার বন্ধুর জন্য। নাছিমা ও অহিদ বাসর ঘরে এসেই দেখতে পান সুন্দর করে লিখে রাখা সৌন্দর্যময় লেখা। অহিদ আনন্দের সহিত তৌহিদকে ধন্যবাদ জানালেন। কিন্তু নাছিমা ভালো করেই বুঝে নিলো এই লেখার অর্থ কি। একটু মুসকি হাসি দিয়েই বাহিরে চলে আসলেন তৌহিদ, কিন্তু কে জানে? সেই হাসির অন্তরালে কি লুকিয়ে আছে? মনে হয় আষাঢ়ের জোয়ারে ফুলে ওঠা পানির স্রোতে ভেসে যাচ্ছে তৌহিদের দু চোখ ও বুক। তার চোখের পানিতে বরফের পাহাড় গলে গলে পড়ছে। পাখি গান করেনা, ভ্রমর ফুলের কাছে আসেনা, বাগানে ফুল ফোটেনা। চাঁদ হাসেনা, সুর্য কিরণ দেয়না। সমস্ত পৃথিবী তার দুঃখে জর্জরিত। এমতাবস্থায় লেখকের চোখের পানি দিয়ে বুক ভেসে যাচ্ছে, ঝাঁপসা দেখাচ্ছে সব কিছু। কারন, পানিতে দুচোখ একাকার। আর পাঠকের অবস্থা কেমন তা আমি জানি না। যেনো দুঃখময় এক ভুবন। থামতেই যেনো চায় না হাতের কলমের ক্রঁন্দন, একি! সেউকি হারিয়েছে কোন প্রিয়জন? কাঁদ কাঁদ অবস্থায় কলম বলে আমার চলার আর নেইতো গতি, বিবেক আমায় ইশারা দেয় এখানেই টানি ইতি।
    লেখক

    মোঃ ফরিদুল ইসলাম (ফরিদ)। 

  • সিজারের রোগী রক্তক্ষরণে মৃত্যু মোট অংকের অর্থের বিনিময়ে রফাদফা।

    সিজারের রোগী রক্তক্ষরণে মৃত্যু মোট অংকের অর্থের বিনিময়ে রফাদফা।

    সিজারের রোগী রক্তক্ষরণে মৃত্যু মোট অংকের অর্থের বিনিময়ে রফাদফা।


    হবিগঞ্জের মাধবপুরে প্রাইম হাসপাতাল নামে একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে সিজার করতে গিয়ে ডাক্তারের অবহেলায় অতিরিক্ত রক্তক্ষরন হয়ে রোগীর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে স্বজনরা। এ ঘটনায় রোগীর স্বজনরা হাসপাতালে এসে প্রতিবাদ করলে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করে। পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মোট অংকের টাকার বিনিময়ে গোপনে মৃত্যুর বিষয়টি রফাদফা করেছে বলে একাধিক সুত্র জানিয়েছে।

    রোগীর স্বজনরা জানান, উপজেলার চৌমুহনী ইউনিয়নের সাহেবনগর গ্রামের হাবিবুর রহমানের স্ত্রী খাদিজা আক্তার গর্ভবতি হলে মঙ্গলবার দুপুরে তাকে মাধবপুর প্রাইম হাসপাতালে এনে ভর্তি করে। বিকেলে হাসপাতালের আবাসিক ডাক্তার শাহরীন হক খাদিজার সিজার করান। এতে খাদিজার একটি ফুটফুটে কন্যা সন্তানের জন্ম হয়।

    সিজারের পর থেকেই খাদিজার অতিরিক্ত রক্তক্ষরন হয়। অবস্থা খারাপ দেখে আজ (বুধবার) সকালে খাদিজাকে হাসপাতাল কতৃপক্ষ রোগীকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে প্রেরন করে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক খাদিজা কে মৃত ঘোষনা করেন। ঘটনার খবর পেয়ে বুধবার বিকেলে খাদিজার স্বজনরা হাসপাতালে মৃত্যুর প্রতিবাদ শুরু করে।

    এ সময় পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করে। এই প্রাইম হাসপাতালের বৈধ কাগজপত্র না থাকায় সম্প্রতি প্রশাসন হাসপাতালটিকে বন্ধ করে দিয়েছিল, কিছুদিনের মধ্যেই আবার চালু হয়। হবিগঞ্জের মাধবপুর চুনারুঘাট সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মহসীন আল মুরাদ জানান, এ ঘটনায় কেউ অভিযোগ করলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। হবিগঞ্জের সিভিল সার্জন ডাঃ মোহাম্মদ নুরুল হকের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, ওই হাসপাতালের অনুমোদন রয়েছে। তবে রোগীর মৃত্যুর ঘটনাটি উনার জানা নেই।

  • বাংলাদেশ প্রেসক্লাব নওগাঁ জেলা সভাপতি মাহবুব আলম রানার ঈদ শুভেচ্ছা।

    বাংলাদেশ প্রেসক্লাব নওগাঁ জেলা সভাপতি মাহবুব আলম রানার ঈদ শুভেচ্ছা।

    বাংলাদেশ প্রেসক্লাব নওগাঁ জেলা সভাপতি মাহবুব আলম রানার ঈদ শুভেচ্ছা।


    সাধনার মুসলিম জাতীর জন্য খুশির বার্তা নিয়ে আসে পবিত্র ঈদ-উল আযহা।আর সেই ঈদ উপলক্ষে বিশ্বের সকল মুসিল জাতীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন, বাংলাদেশ প্রেস ক্লাব নওগাঁ জেলা শাখার সভাপতি মাহবুব আলম রানা।

    তিনি এক শুভেচ্ছা বার্তায় বলেন। বছর ঘুরে খুশির বার্তা নিয়ে আমাদের মাঝে আসছে ঈদ-উল আযহা। এই ঈদ এর শুভেচ্ছা দেশ বিদেশের এবং নওগাঁ জেলার সহ সকল মুসলিম উম্মাহদের প্রতি আমার পক্ষ থেকে রইলো ঈদের শুভেচ্ছা।

    তিনি আরও বলেন ঈদ মোবারক’ হল একটি আরবি শব্দ যার অর্থ হল “আনন্দ উদ্‌যাপন কল্যাণময় হোক”। সমগ্র পৃথিবীর মুসলমানরা এই সম্বোধনটি প্রধানত ঈদ-দুল আযহা এবং ঈদ-দুল ফিতরের উৎসবগুলিতে ব্যবহার করে থাকেন শুভেচ্ছা বিনিময়ের জন্য। শুরু হয়ে যায় প্রিয়জনদের মধ্যে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময়ের এক মধুর পর্ব । শেষে খুশির বার্তা বহন করে নিয়ে আসে ঈদ-উল আযহা।

    সারা বিশ্বের মানুষের কাছে এটি ‘খুশির ঈদ’ হিসেবেই জনপ্রিয়তা লাভ করেছে । প্রত্যেক বছরই ধর্মপ্রাণ মুসলমানেরা এই পবিত্র দিনের জন্যই অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে থাকেন এবং তাদের মধ্যে এই উৎসব নিয়ে উৎসাহ এবং উদ্দীপনা থাকে অনাবিল। খুশির এই ইদ উপলক্ষে সবার প্রতি রইলো ঈদ মোবারক ও সুস্বাস্থ্য কামনা করেন, বাংলাদেশ প্রেস ক্লাব নওগাঁ জেলা শাখার সভাপতি মাহবুব আলম রানা।

  • কানাইঘাটে কাউন্সিলর জমির উদ্দীনের ঈদ উপহার বিতরণ।

    কানাইঘাটে কাউন্সিলর জমির উদ্দীনের ঈদ উপহার বিতরণ।

    কানাইঘাটে কাউন্সিলর জমির উদ্দীনের ঈদ উপহার বিতরণ।


    সিলেটের কানাইঘাট উপজেলা আওয়ামীলীগের অন্যতম সদস্য ও কানাইঘাট পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জমির উদ্দীন এর নিজ অর্থায়নে প্রতি বছরের ধারাবাহিকতায় এবারও ৭নং ওয়ার্ডের ১২০ টি দরিদ্র অসহায় শ্রমজীবী পরিবারের মধ্যে ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ করেন।

    এসময় তিনি বলেন পবিত্র ঈদুল আযহা প্রতিটি মুসলমানের জন্য একটি পবিত্র দিন।পবিত্র ঈদুল আযহা হচ্ছে ত্যাগের মহিমায় নিজেকে মহিমান্বিত করার দিন।আসুন,আমরা পবিত্র এই দিনের তাৎপর্যকে উপলব্ধি করে আমরা ত্যাগের মহীমায় উদ্বোদ্ধ হই।ত্যাগ করতে শিখি।ভোগে সুখ নয়,ত্যাগেই প্রকৃত সুখ।

    তিনি আরো বলেন সবাই সুস্থ সুন্দর থাকুন।পবিত্র ঈদ বহে আনুক দেশ ও জাতীর জন্য সুখ,শান্তি ও সমৃদ্ধি। আমার প্রিয় ৭ নং ওয়ার্ডবাসী সহ সমগ্র কানাইঘাট পৌরবাসীর জন্য আসুক অনাবিল সুখ ও সমৃদ্ধি।পরিশেষে দেশ বিদেশে অবস্থানরত সকল শুভাকাঙ্ক্ষীদের প্রতি পবিত্র ঈদ উল-আযহার শুভেচ্ছা জানান।

  • ওসমানীনগরে পিতাকে হত্যার অভিযোগে পুত্র গ্রেফতার।

    ওসমানীনগরে পিতাকে হত্যার অভিযোগে পুত্র গ্রেফতার।

    ওসমানীনগরে পিতাকে হত্যার অভিযোগে পুত্র গ্রেফতার।


    সিলেটের ওসমানীনগরে পিতাকে হত্যার অভিযোগে পুত্রকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবার রাত ১টার দিকে অভিযান পরিচালনা করে উপজেলার পশ্চিম রোকনপুরের একটি বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র থেকে হত্যাকারী জুবেদ মিয়া(২০) কে গ্রেফতার করা হয়। হত্যাকরী জুবেদ মিয়া বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধি বলে জানিয়েছে পুলিশ।

    নিহত লেবু মিয়া(৫০)উপজেলার পশ্চিম রোকনপুর গ্রামের মৃত আসিফ আলীর পুত্র। গ্রেফতারকৃত জুবেদ মিয়া একই গ্রামের লেবু মিয়ার পুত্র।

    জানা গেছে, উপজেলার তাজপুর ইউনিয়নের রোকনপুর গ্রামের লেবু মিয়া একই গ্রামের বকফুল নেছাকে বিয়ে করেন। ১০ বছর আগে পারিবারিক কলহে তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। তিন ছেলেকে নিয়ে স্বামীর ঘর ত্যাগ করেন বকফুল। সম্প্রতি বন্যায় একটি আশ্রয়কেন্দ্রে উঠেন লেবু মিয়ার বোন আয়তুন নেছা। গত ২জুলাই তার ৮ বছরের মেয়ে সায়মা আক্তার চাঁদনীকে(৮) বন্যার পানিতে ধাক্কাদিয়ে ফেলে দেয় জুবেদ মিয়া।

    বিষয়টি জেনে পরদিন লেবু মিয়া জুবেদকে শাসন করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে জুবেদ ৪ জুলাই দুপুরে লেবু মিয়ার বাড়িতে তাকে একা পেয়ে কোড়ালের হাতল দিয়ে এলাপাতাড়ি আঘাত করতে থাকে।

    এক পর্যায়ে লেবু মিয়াকে বাড়ির উঠানে বন্যার পানিত ফেলে চলে যায় সে। খবর পেয়ে লেবু মিয়ার ছোট বোন আলাতুন নেছা আহত অবস্থায় লেবু মিয়াকে উদ্ধার করলে জুবেদের মা বকফুল নেছা ও খালা মিলন বেগম সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকে কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। ওই দিনগত রাত ১০টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় লেবু মিয়ার মৃত্য হয়। পুলিশের কাছ থেকে লেবু মিয়ার মৃতু্যর বিষয়টি জানতে পেরে বৃহস্পতিবার লাশ বাড়িতে নিয়ে আসেন স্বজনরা।

    এই বিষয়ে শুক্রবার দিবাগত রাতে ওসমানীনগর থানায় জাবেদ মিয়াকে আসামী করে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন লেবু মিয়ার ছোট বোন আয়াতুন নেছা। মামলা দায়েরের পর ওই রাতেই জাবেদ মিয়াকে গ্রেফতার করে শনিবার দুপুরে আদালতে প্রেরণ করে ওসমানীনগর থানা পুলিশ।

    মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ওসমানীনগর থানার এস আই সবিনয় বৈদ্য বলেন, লেবু মিয়াকে হত্যার অভিযোগে তার পুত্র জুবেদ মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়েছে। স্থানীয় ভাবে জানতে পেরেছি জুবেদ বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধি। আসামীকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।