Author: admin

  • লক্ষ্মীপুরে ভুল চিকিৎসায় উপশম হাসপাতালে প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ।

    লক্ষ্মীপুরে ভুল চিকিৎসায় উপশম হাসপাতালে প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ।

    লক্ষ্মীপুরে ভুল চিকিৎসায় উপশম হাসপাতালে প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ।


    লক্ষ্মীপুরে শহরের উপশম প্রাইভেট হাসপাতলে অপারেশন থিয়েটারে মুক্তা আক্তার নামে এক প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার (১৪ জুলাই) রাত ৯টার দিকে উপশম হাসপাতালে এই ঘটনা ঘটে।

    স্বজনদের অভিযোগ, রাত ৯টার দিকে মুক্তাকে সিজারের জন্য অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু কিছুক্ষণ পর মুক্তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে অন্যত্র রেফার করেন চিকিৎসক। এই ঘটনায় নিহতের স্বজনরা হাসপাতালের সামনে বিক্ষোভ করেছে।

    নিহত মুক্তা রায়পুর উপজেলার ৩নং চরমোহনা ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের চরমোহনা গ্রামের চৌকিদার বাড়ির কৃষক আমিনের ছেলে মো. সোহেলের স্ত্রী মুক্তা (২৫) রোগীর স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে প্রসব ব্যথা উঠলে মুক্তাকে গাইনি চিকিৎসক শংকর কুমার বসাকের তত্ত্বাবধানে উপশম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বিকেল ৩টার দিকে তার সিজারিয়ান অপারেশন করার কথা ছিল। কিন্তু ওই সময়ে সিজার না করে রাত ৯টার দিকে চিকিৎসক তাকে সিজারের জন্য অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যায়। কিছুক্ষণ পর তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে অন্যত্র রেফার করেন চিকিৎসক।

    নিহতের মা পারুল বেগম, বোন শান্তা বেগম ও স্বামী মো. সোহেল জানায়, মুক্তার অবস্থা অনেক ভালো ছিল। চিকিৎসক বলেছিল, তার সিজার করাতে হবে। এরপর তাকে অপারেশন থিয়েটারে নেওয়া হয়। সেখানে সিজারের জন্য ইঞ্জেকশন পুশ করলেই মুক্তা মারা যায়। কিন্তু চিকিৎসকসহ সংশ্লিষ্টরা তা গোপন করে মৃত অবস্থায় মুক্তাকে ঢাকায় পাঠানোর পরামর্শ দেয়।

    অভিযুক্ত চিকিৎসক শংকর কুমার বসাক মানিকগঞ্জের কর্নেল মালেক মেডিকেল কলেজের সহযোগী অধ্যাপক। তিনি উপশম হাসপাতালে প্রাইভেট রোগী দেখেন। তিনি বলেন, চিকিৎসায় কোনো ভুল হয়নি। সঠিক নিয়ম অনুসরণ করেই রোগীকে চিকিৎসা দিয়েছি। কিন্তু রোগীর অবস্থা আশঙ্কাজনক ছিল। এজন্য তাকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার জন্য বলা হয়।

    লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তফা কামাল বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করা হয়েছে। তদন্ত চলছে। তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে

  • মাধবপুরে জাগ্রত-জনতার কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে দরিদ্রদের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ।

    মাধবপুরে জাগ্রত-জনতার কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে দরিদ্রদের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ।

    মাধবপুরে জাগ্রত-জনতার কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে দরিদ্রদের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ।


    হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার এক্তিয়ারপুর গ্রামের শতাধিক অসহায় ও দরিদ্রদের মাঝে বন্যা পরবর্তী সময়ে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করার খবর পাওয়া গেছে। শুক্রবার বিকালে জাগ্রত ব্যবসায়ী ও জনতার কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে ত্রান বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জাগ্রত ব্যবসায়ী ও জনতার কেন্দ্রীয় কমিটির চেয়ারম্যান শিহাব রিফাত আলম।

    এসময় বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ই প্রেস ক্লাব কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী সদস্য ও সিলেট বিভাগের দায়িত্বে রত সাংবাদিক মাসুদ লস্কর এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ সহ অন্যান্য দের মাঝে উপস্থিত ছিলেন,ইফফাত জামান রুপা, জাগ্রত হিরু মাঈনুদ্দীন,মোঃ ফাহিম, আবদুল বাশার বাসেত,মোঃ মনির হোসেন, জাগ্রত হিরু আবুল হাসেম সুমন,নজরুল ইসলাম শান্ত স্হানীয় সাং বাদিক শাহাদাত ইসলাম মামুন,সার্বিক সহযোগিতা করেন এক্তিয়ারপুর গ্রামের উদিয়মান সংগঠক ডা,মোঃ শাহ আলম প্রমুখ।

    প্রধান অতিথির বক্তব্যে সংগঠনের চেয়ারম্যান বলেন, আমরা এ পর্যন্ত প্রায় কয়েক হাজার অনাহারী ও বন্যা কবলিত দূর্গতদের খাদ্য সামগ্রী দিয়ে সহায়তা করেছি। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মাসুদ লস্কর বলেন জাগ্রত ব্যবসায়ী ও জনতার ন্যায় ই প্রেস ক্লাবের অংগ সংগঠন ই প্রেস হেলথ কেয়ার বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদান ও ঔষধ বিতরণ করে আসছে।

    তিনি আরও বলেন এলাকার ধনাঢ্য ব্যাক্তি গন যদি নিজস্ব উদ্যোগে ত্রান বিতরণ করেন তাহলে দেশের এক জন ব্যাক্তি ও না খেয়ে মরবে না। সভাপতির বক্তব্যে ইফফাত জাহান রুপা সুশৃঙ্খল ভাবে ত্রান গ্রহন ও বিতরনে সহায়তা করায় এলাকাবাসীকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

  • রাণীশংকৈলে প্রচণ্ড দাবদাহে মানুষের নাভিশ্বাস, পুড়ছে মাঠের ফসল।

    রাণীশংকৈলে প্রচণ্ড দাবদাহে মানুষের নাভিশ্বাস, পুড়ছে মাঠের ফসল।

    রাণীশংকৈলে প্রচণ্ড দাবদাহে মানুষের নাভিশ্বাস,পুড়ছে খেতের ফসল।


    ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলসহ দেশের উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোতে টানা ১০/১২ দিন ধরে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। নীল আকাশে উড়ছে সাদা মেঘ, নেই বৃষ্টিপাত। প্রচণ্ড দাবদাহ আর সূর্যের প্রখর রোদে তপ্ত মাঠঘাট। আষাঢ়ের শেষেও দেখা নেই কাঙ্ক্ষিত বৃষ্টিপাতের।

    এতে নাভিশ্বাস উঠেছে সাধারণ মানুষের। ঘরে-বাইরে কোথাও স্বস্তি পাওয়া যাচ্ছে না গরমের কারণে। দাবদাহের ফলে অস্থির হয়ে উঠছে মানুষ। তীব্র রোদের কারণে রাস্তায় বের হলে গায়ে যেন লাগছে আগুনের হলকা। তারপরও জীবন-জীবিকার তাগিদে রোদে পুড়ে বাইরে কাজ করতে বাধ্য হচ্ছেন নির্মাণশ্রমিক আর ক্ষেতখামারে কৃষিশ্রমিকদের।

    এদিকে কাঙ্ক্ষিত বৃষ্টিপাত না হওয়ায় দাবদাহে পুড়ছে ক্ষেতের ফসল। যা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষকরা। তারা ফসল বাঁচাতে জমিতে অতিরিক্ত সেচ দিচ্ছেন।

    রাণীশংকৈল কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বৃহস্পতিবার (১৪ জুলাই) সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করে ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

    আগের দিন বুধবার যা ছিল ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ৬১ শতাংশ। এ অবস্থা আরও কয়েক দিন অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

    উপজেলার ভরনিয়া গ্রামের কৃষক সুশান্ত বর্মন বলেন, ‘সূর্যের তীব্রতা এতই বেশি যে, বেশিক্ষণ ক্ষেতে কাজ করা যাচ্ছে না। মনে হচ্ছে শরীরের চামড়া ঝলসে যাচ্ছে। ’ একই গ্রামের কৃষক গোলাম মোস্তাক বলেন, ‘গরমে আমার করল্লা ক্ষেতের গাছ ও পাতা ঝিমড়ে (কুঁকড়ে) পড়েছে। গাছের গোড়া পুড়ে যাচ্ছে। অতিরিক্ত সেচ দিয়েও মাটিতে পানি ধরে রাখা যাচ্ছে না। ’

    ভুক্তভোগী আরেক কৃষক রাতোর গ্রামের মহসিন আলী বলেন, ‘গত ২০ বছরেও এমন গরম দেখা মেলেনি। শ্যালো মেশিনের পানি কম উঠছে, এতে সেচে অতিরিক্ত খরচ গুনতে হচ্ছে। এরপরও ফসল ঘরে ওঠাতে পারব কি না জানি না। ’

    টানা দাবদাহ চলায় আমন ও সবজি ক্ষেতে সম্পূরক সেচ দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন
    উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সঞ্জয় দেবনাথ। তিনি বলেন, ‘কিছুদিনের মধ্যেই বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বৃষ্টি হলেই কেটে যাবে এ দুর্ভোগ। ’

    শুধু কৃষকরাই নয়, তীব্র গরমে কঠিন সময় পার করছে উপজেলার মানুষরা। বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশু, বৃদ্ধসহ সব বয়সের মানুষ। রাণীশংকৈল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে হাসপাতালে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত কয়েক দিনে গরমের কারণে জ্বর, সর্দি, কাশি, ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়াসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছে অনেকেই। এদের মধ্যে শিশু ও বৃদ্ধের সংখ্যা বেশি।

    রাণীশংকৈল উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার আব্দুস সামাদ চৌধুরী মুঠোফোনে বলেন, এ সময়ে শিশুসহ বয়োবৃদ্ধদের প্রয়োজন বাড়তি সচেতনতা। সিজনাল ফলমূল, ডাবের পানি ও স্যালাইন খেতে হবে। অতিরিক্ত আক্রান্ত হলে দ্রুত চিকিৎসক বা নিকটস্থ হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে। ’

  • আড়ানীতে ট্রেনে আগুন, প্রাণে রক্ষা পেলো ১ হাজার।

    আড়ানীতে ট্রেনে আগুন, প্রাণে রক্ষা পেলো ১ হাজার।

    আড়ানীতে ট্রেনে আগুন, প্রাণে রক্ষা পেলো ১ হাজার 

    ট্রেন ঠিকঠাক ভাবেই চলছিলো। কে জানত এই ঠিকঠাক চলাচল প্রাণ নাশের কারন হতে পারে। সবার নানা রকম  কাজ আশা ভরসা নিয়ে যাচ্ছিল ঢাকার উদ্দেশ্য।
    ট্রেনের নাম ধুমকেতু এক্সপ্রেস, ট্রেনের চাকার বিয়ারিং জাম হয়ে আগুন ধরে যায়। এতে ট্রেনের প্রায় ১ হাজার যাত্রী প্রানে রক্ষা পেয়েছেন। বগি পরিবর্তন করে তিন ঘন্টা পর ট্রেন চলাচল শুরু হয়। ঘটনাটি ঘটেছে রাজশাহীর বাঘা উপজেলার আড়ানীতে রেল স্টেশনে বৃহস্পতিবার রাত ১২টার দিকে। এতে হতাহতের কোন ঘটনা ঘটেনি।
    সংশ্লিষ্ট্র সূত্রে জানা গেছে, রাজশাহী থেকে রাত সাড়ে ১১টার দিকে ধুমকেতু এক্সপ্রেস ট্রেন ঢাকার উদ্দ্যেশে রওনা হয়। আড়ানী স্টেশনে রাত ১১ টা ৫৫ মিনিটে পৌছার কথা ছিল। কিন্তু ট্রেন কিছুটা বিলম্বের কারনে পৌছে রাত ১২টা ৯ মিনিটে। ট্রেনটিতে ১৬টি বগিতে প্রায় ১ হাজার যাত্রী ছিল। এরমধ্যে ৭৬০৩ নম্বরের এক্সটা-৩ বগির চাকার বিয়ারিং জাম হয়ে আগুন ধরে যায়। ট্রেন আড়ানী স্টেশনে পৌছার আগে চলন্ত অবস্থায় আগুন দেখতে পাই এক যাত্রী। তারপর কিছুক্ষনের মধ্যে ট্রেন স্টেশনে পৌছে এবং যাত্রীদের আগুন আগুন করে হইচই শুরু হয়। পরে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে আগুন নিয়ন্ত্রন করে। আগুন নিয়ন্ত্রনের পর ট্রেনের বগি পরিত্যক্ত ঘোষণা করে রেল কর্তৃপক্ষ। পরে রাজশাহী থেকে একটি বগি এনে রাত ৩টার দিকে ২ ঘন্টা ৫১ মিনিট বিলম্বের পর ট্রেন ঢাকার উদ্দেশ্যে ছাড়া হয়।
    এ বিষয়ে আড়ানী রেল স্টেশন মাষ্টার ময়েন উদ্দিন আজাদ বলেন, ধুমকেতু এক্সপ্রেস ট্রেনের চাকার বিয়ারিং জাম হয়ে ধোয়া হচ্ছিল। ট্রেন থামার পর নিয়ন্ত্রন করা হয়। বিষয়টি রাজশাহী রেলের উর্দ্ধতন কর্মকর্তা অসিম কুমার তালুকদার স্যারকে অবগত করে ট্রেনের বগি পরিবর্তন করা হয়। এতে প্রায় ২ ঘন্টা ৫১ মিনিট সময় লাগে। তবে হতাহতের কোন ঘটনা ঘটেনি।
  • লক্ষ্মীপুরের সড়ক দুর্ঘটনায় অজ্ঞাত নারীর মৃত্যু, স্বজনদের খুঁজছে পুলিশ।

    লক্ষ্মীপুরের সড়ক দুর্ঘটনায় অজ্ঞাত নারীর মৃত্যু, স্বজনদের খুঁজছে পুলিশ।

    লক্ষ্মীপুরের সড়ক দুর্ঘটনায় অজ্ঞাত নারীর মৃত্যু, স্বজনদের খুঁজছে পুলিশ


    লক্ষ্মীপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় অজ্ঞাত এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। তার বয়স আনুমানিক ২৫ থেকে ২৭ বছর। বৃহস্পতিবার ভোর সোয়া ৪টার দিকে জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। তার মৃতদেহ একই হাসপাতালের মর্গে রাখা আছে।

    বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত এখনো তার পরিবারের সন্ধান পাওয়া যায়নি। লক্ষীপুর থানা পুলিশ অজ্ঞাত ওই নারীর স্বজনদের খোঁজে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন।

    সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তফা কামাল এই তথ্য নিশ্চিত করে জানান, বুধবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে রায়পুর-লক্ষ্মীপুর মহাসড়কের রাখালিয়া বাজারের ওপর আনুমানিক ২৭ বছর বসয়ী অজ্ঞাতনামা এক নারী সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হন। পরে রায়পুর থানা পুলিশ তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে জেলা সদর হাসপাতালে পাঠায়। ভোররাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। মৃতদেহ হাসপাতালের মর্গে রাখা আছে।

    ওসি আরও জানান, মৃত নারীর নাম-ঠিকানা কিংবা আত্নীয়-স্বজনের নাম ঠিকানা সংগ্রহ করা সম্ভব হয়নি। যদি কোন স্ব-হৃদয়বান ব্যক্তি ওই নারীর আত্নীয়-স্বজনের সন্ধান পেয়ে থাকে তাহলে লক্ষ্মীপুর মডেল থানা পুলিশকে অবহিত করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। অফিসার ইনচার্জ (লক্ষ্মীপুর মডেল থানা) ০১৩২০-১১১৯৭৬ ও ডিউটি অফিসার (লক্ষ্মীপুর মডেল থানা) ০১৩২০-১১১৯৮১।

  • প্রথমে টাকা পরে মোবাইল, শেষে জীবন নেই রাজিবের তিন বন্ধু।

    প্রথমে টাকা পরে মোবাইল, শেষে জীবন নেই রাজিবের তিন বন্ধু।

    প্রথমে টাকা পরে মোবাইল, শেষে জীবন নেই রাজিবের তিন বন্ধু।

    রাজশাহীর বাঘায় টাকা ও মোবাইলের জন্য খুন হন সেই রাজিব হোসেন (১৫) নামের এক স্কুল ছাত্র। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বাঘা থানার পুলিশ বুধবার (১৩ জুলাই) রাতে তিনজনকে গ্রেফতার করে। এ হত্যার সাথে জড়িত সন্দেহে গ্রেফতারকৃতরা পুলিশের কাছে এমন তথ্য দিয়েছেন।
    জানা যায়,উপজেলার চকছাতারী গ্রামের আবদুর রাজ্জাকের ছেলে রাজিব হোসেন ৬ জুলাই দুপুরের খাবার খেয়ে বাড়ি থেকে বের হয়। তাকে বিভিন্নস্থানে খোঁজ করে পায়নি। ওইদিন বোন চায়না খাতুন বাদি হয়ে বাঘা থানায় একটি সাধারণ ডাইরী করেন। এই ডাইরী করার তিনদিন পর কলিগ্রামের পদ্মা নদী থেকে রাজিব হোসেনের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেন বাঘা থানার পুলিশ।
    রাজিব হোসেনের পিতা আবদুর রাজ্জাক লেবারের কাজ ও মা আফরোজা বেগম ঢাকায় গার্মেন্সে চাকুরি করেন। রাজিব বাড়িতে নানির কাছে থেকে বাঘা ইসালামী একাডেমী উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণিতে লেখাপাড়া করে।
    কিছুদনি আগে বাবা-মায়ের সাথে কথা বলার জন্য এন্ডয়েড রেডমি ১০ মোবাইল ফোন কিনে দেন। তারপর থেকে প্রতিনিয়ত রাজিব হোসেনের সাথে তিন বন্ধু কলিগ্রামের জামাল হোসেনের ছেলে পিয়াল হোসেন (১৫), মাহাবুর হোসেনের ছেলে সৈকত হোসেন (১৫) ও চকছাতারী গ্রামের ইউসুফ আলীর ছেলে সবুজ আলী (১৪) এখানে সেখানে ঘুরে বেড়াতেন।
    এক পর্যায়ে সিগারেটখাবে বলে রাজিব পকেট থেকে এক হাজার টাকার একটি নোট বের করে দেয়। তারপর থেকে ওই তিন বন্ধু রাজিবের টাকা ও মোবাইল ফোন কেড়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করে। এক পর্যায়ে কৌশলে সন্ধ্যার পর পদ্মা নদীর ধারে যায়। সেখানে গিয়ে রশি দিয়ে স্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। হত্যার পর মুখের মধ্যে রশি ঢুকিয়ে পদ্মা নদীতে ফেলে দেয়। বাড়ি থেকে নিঁখোজের তিনদিন পর ৮ জুলাই সকাল সাড়ে ১০টায় কলিগ্রামের পদ্মা নদী থেকে অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেন পুলিশ। তারা সবাই পরস্পর বন্ধু বলে জানা গেছে।
    এ বিষয়ে তার নানি সুরাজান বেগম বলেন, বাড়িতে কেউ থাকেনা। আমি মেয়ের বাড়িতে থাকি আর নাতি রাজিবকে দেখাশুনা করি। নাতি লেখাপড়াতে ভাল। কিন্তু কোন কোন সময়ে ফোন কিনার পর তার বন্ধুদের সাথে এখানে সেখানে বিকেল হলেই ঘুরতে যায়। অন্যদিনের মতো ৬ জুলাই দুপুরের খাবার খাওয়ার পর বাড়ি থেকে বের হয়। আর ফিরে আসেনা।
    এ বিষয়ে বাঘা থানার ওসি সাজ্জাদ হোসেন বলেন, রাজিবের কাছে প্রায় ২০ হাজার টাকা ছিল। এই টাকা অন্য বন্ধুরা দেখে পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয়েছে। এ হত্যার সাথে জড়িত সন্দেহে গ্রেফতারকৃত তিনজন শিশু আমাদের কাছে এমন তথ্য দিয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের তথ্য অনুযায়ী ফেলে দেওয়া ফোন নারায়নপুর বাজারের পুকুর থেকে ডুবুরি নামিয়ে বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টা পর্যন্ত উদ্ধারের চেষ্টা চলছিল।
  • তাড়াশের জিকেএস হাসপাতাল পরিদর্শন।

    তাড়াশের জিকেএস হাসপাতাল পরিদর্শন।

    তাড়াশের জিকেএস হাসপাতাল পরিদর্শন


    সিরাজগঞ্জের তাড়াশে ব্যক্তি উদ্যোগে নির্মিত জিকেএস হাসপাতাল পরিদর্শন করলেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস,ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ব বিভাগের অধ্যাপক, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিষয়ক উপ-কমিটির চেয়ারম্যান, সাবেক পেট্রো বাংলার চেয়ারম্যান, চলনবিলের কৃতি সন্ত্মান,তাড়াশের গৌরব অধ্যাপক ড. মোঃ হোসেন মনসুর। ১৩ জুলাই বুধবার সন্ধ্যায় চলনবিলের প্রানকেন্দ্র তাড়াশ পৌর শহরে অবস্থিত জিকেএস হাসপাতালের প্রত্যেকটি বিভাগ তিনি পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনকালে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীদের চিকিৎসার সার্বিক খোঁজ-খবর নেন।

    সেবার মান সন্ত্মোষজনক থাকায় কর্তব্যরত ডাক্তার, নার্স ও সংশিস্নষ্টদের প্রতি ধন্যবাদ জানান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ সভাপতি, বারম্নহাস ইউপি’র সাবেক চেয়ারম্যান মোক্তার হোসেন মুক্তা, নওগাঁ জিন্দানী কলেজ’র প্রভাষক নুরম্নজ্জামান তালুকদার, তাড়াশ সদর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ সভাপতি আলহাজ উদ্দিন,যুবলীগ নেতা সুমন রহমান, বজলুর রহমান, বারম্নহাস ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সদস্য মোঃ নাছিম, উপজেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শাহিনুর রহমানসহ অনেকে।

  • মাধবপুরে গাঁজাসহ শীর্ষ মাদক ব‍্যবসায়ী গ্রেফতার।

    মাধবপুরে গাঁজাসহ শীর্ষ মাদক ব‍্যবসায়ী গ্রেফতার।

    মাধবপুরে গাঁজাসহ শীর্ষ মাদক ব‍্যবসায়ী গ্রেফতার।


    হবিগঞ্জের মাধবপুর থানাধীন এলাকা হতে ৫১ কেজি গাঁজাসহ একজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৯।

    গোপন তথ্যের ভিত্তিতে র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)-৯ এর মাদক বিরোধী অভিযান চালিয়ে শায়েস্তাগঞ্জ ক্যাম্প, হবিগঞ্জ এর একটি আভিযানিক দল বুধবার (১৩ জুলাই) হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর থানাধীন এলাকা থেকে অভিযান পরিচালনা করে ৫১ কেজি গাঁজাসহ একজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত ব্যক্তি ব্রাহ্মনবাড়ীয়া জেলার নাসিরনগর থানার বড়ইরি এলাকার বাসিন্দা সখিচরণ সরকার এর ছেলে সুকুমার সরকার (৩১)।
    প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত মাদক ব্যবসায়ীর অবৈধ মাদক ব্যবসার সাথে সংশ্লিষ্টার প্রমাণ পাওয়া যায়। মাদকের বিরুদ্ধে সরকার ঘোষিত জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়নে র‌্যাব-৯ এর গোয়েন্দা তৎপরতা এবং চলমান অভিযান অব্যাহত থাকবে।

    পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করার লক্ষ্যে গ্রেফতারকৃত মাদক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা দায়ের পূর্বক আসামী ও জব্দকৃত আলামত মাধবপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

  • দাঁড়াশ সাপের “যুদ্ধ নাচ” দেখলো গ্রামবাসী।

    দাঁড়াশ সাপের “যুদ্ধ নাচ” দেখলো গ্রামবাসী।

    দাঁড়াশ সাপের “যুদ্ধ নাচ” দেখলো গ্রামবাসী।


    নিরীহ প্রজাতির নির্বিষ ও উপকারী সাপ দাঁড়াশ। এই সাপ প্রচুর পরিমাণে ইঁদুর খেয়ে ফসল রক্ষা করে বলে একে কৃষকের বন্ধু ও বলা হয়। পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলের সাপের মধ্যে লড়াই হয়। তবে বাংলাদেশসহ ভারতীয় উপমহাদেশে কেবল দাঁড়াশ সাপই ‘যুদ্ধ নাচ’ (কমব্যাট ড্যান্স) দেখায়। প্রতিদ্বন্দ্বী দুটি পুরুষ সাপের মধ্যে এ লড়াইয়ে এগুলো পরস্পরের দেহের অর্ধেক রশির মতো পেঁচিয়ে মাটির সমান্তরালে অথবা কিছুটা ওপরে থাকে।

    স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,দুটি দাঁড়াশ সাপের মধ্যে এমন মারামারি দেখা গেছে,পঞ্চগড়ের চূড়াকুটিতে। বুধবার দুপুরে সাপ দুটির এ বিরল “যুদ্ধ নাচ” দেখতে জড়ো হন অনেকে।
    বাগানে হঠাৎ করেই দুটি দাঁড়াশ সাপ মাথা উঁচিয়ে পরস্পরের সঙ্গে মারামারি শুরু করে। প্রায় ২ ঘণ্টা ধরে বিরল এ দৃশ্য উপভোগ করেন স্থানীয়রা। এসময় ভিডিওটি ধারন করেন,পরিবেশ কর্মী সহিদুল ইসলাম।

    সহিদুল ইসলাম বলেন, প্রায় সাত ফুট লম্বা দুটি দাঁড়াশ সাপ। সাপ দুটি মাটি থেকে প্রায় তিন ফুট উঁচুতে দাঁড়িয়ে একে অপরকে উপর্যুপরি আক্রমণ করতে থাকে। একটি স্ত্রী সাপের সঙ্গে যখন একাধিক পুরুষ সাপের মিলনের সম্ভাবনা তৈরি হয়,তখন ওই পুরুষ দুটি সাপ নিজেদের মধ্যে মারামারি করে। স্ত্রী সাপের সঙ্গ পেতে নিজেদের মধ্যে সেগুলো যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় সেগুলো মানুষকেও ভয় পায় না।

    দাঁড়াশ সাপের বৈজ্ঞানিক নাম Ptyas mucosa। ইংরেজি নাম ইন্ডিয়ান র‍্যাট স্নেক বা ওরিয়েন্টাল র‍্যাট স্নেক নামে পরিচিত। বিষহীন এই সাপ দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় পাওয়া যায়। এগুলোর দেহের রং হালকা বাদামি বা হলুদ বাদামি কিংবা জলপাই বাদামি। সাপটিকে গোখরা সাপ বলে ভ্রম হতে পারে। এ কারণে সাপটি মানুষের হাতে বেশি মারাও পড়ে। এগুলোর সাধারণত কোনো ফণা থাকে না এবং এগুলোর মাথা গোখরা সাপের মাথার তুলনায় বেশ সরু। লম্বায় ৫ থেকে সাড়ে ৬ ফুট, তবে কোনো কোনোটি ১২ ফুট পর্যন্ত লম্বা হতে পারে। দাঁড়াশ সাপ গাছ বেয়ে উঠতে দক্ষ। সাঁতার কাটতে,ডুব দিয়ে থাকতে ও দ্রুত ছুটতে পারে এগুলো। ধরা পড়ার পর কিছুটা মারমুখী দেখালেও পরে খুব সহজেই পোষ মেনে যায়। ইঁদুর, ছুঁচো, ব্যাঙ ইত্যাদি খেয়ে দাঁড়াশ সাপ জীবন ধারণ করে। শিকার ধরামাত্রই গিলতে শুরু করে।

  • আষাঢ় মাস শেষ হতে চললো বৃষ্টি নেই ডিমলায়।

    আষাঢ় মাস শেষ হতে চললো বৃষ্টি নেই ডিমলায়।

    আষাঢ় মাস শেষ হতে চললো বৃষ্টি নেই ডিমলায়


    আষাঢ় মাস শেষ চললেও আকাশের বৃষ্টি নেই নীলফামারী ডিমলা উপজেলা সহ আশপাশের অন্যান্য উপজেলায় । কদিন ধরে প্রখর রোদের তাপ আর ভ্যাপসা গরমে দূশ্চিন্তায় পড়েছে সাধারণ জনগন। এতে শিশু সহ বৃদ্ধ-বৃদ্ধারা বেশি অসুস্থ্য হয়ে পড়ছে। তাপ প্রবাহের কারনে সৃষ্ট ভ্যাপসা গরম ও গড় তাপমাত্রা বৃহস্পতিবার (১৪ জুলাই) দুপুরে এলাকা ভেদে ৩৮ ডিগ্রি পর্যন্ত উঠেছে। নদী-নালা খাল বিল শুকিয়ে গেছে। আকাশের বৃষ্টি না হলে বেশির ভাগ বিপদে পরবেন এ এলাকার কৃষকেরা।

    উপজেলার দুপাশ দিয়ে বয়ে গেছে তিস্তা নদী, বুড়িতিস্তা নদী, নাউতারা নদীসহ ছোট ছোট জলাশয়। প্রতিবছর আষাঢ় মাসে বর্ষায় ছোট বড় বয়ে যাওয়া নদীগুলো দু-কুল প্লাবিত করে আশপাশের জমিগুলোকে প্লাবিত করে। কিন্তু আষাঢ় শেষ হলেও নদ-নদীতে পানি নেই। উপজেলা কৃষকেরা প্রখর রোদের তাপ সহ্য করতে না পেরে আকাশের পানে তাকিয়ে আছে । একটু মেঘ দেখলেই আশাবাদী কিন্তু আকাশে বৃষ্টি নেই।