Author: admin

  • ডিমলায় আমন ধানের বীজতলায় বিষ প্রয়োগ, ক্ষতিগ্রস্ত স্থানীয় কৃষক।

    ডিমলায় আমন ধানের বীজতলায় বিষ প্রয়োগ, ক্ষতিগ্রস্ত স্থানীয় কৃষক।

    ডিমলায় আমন ধানের বীজতলায় বিষ প্রয়োগ, ক্ষতিগ্রস্থ্য স্থানীয় কৃষক।


    নীলফামারীর ডিমলায় আমন ধানের চারায় বিষ প্রয়োগে ১৮ জন কৃষক ক্ষতিগ্রস্থ্য হয়েছে। রবিবার (১৮ জুলাই) দুপুরে সরে জমিনে দেখা যায়, উপজেলার ঝুনাগাছ চাপানী ইউনিয়নের সীমান্ত পাড়া (নওদাপাড়া) গ্রামের ১৮ জন কৃষকের প্রায় এক একর জমির আমন ধানের চারাগুলো হলুদ বিবর্ণ হয়ে খড়ের মত শুকিয়ে যাচ্ছে। বিষয়টি স্থানীয় কৃষকদের নজরে আসলে ক্ষতিগ্রস্থ্য কৃষকরা ডিমলা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। উপজেলা কৃষি অফিসের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা ও ডিমলা থানার পুলিশ ক্ষতিগ্রস্থ্য কৃষকের মাঠ পরিদর্শন করেছেন।

    ক্ষতিগ্রস্থ্য কৃষকরা হলেন সুশিল রায়, জগবন্ধু রায়, দিনাবন্ধু রায়, মধুসূদন রায়, ধুনিয়া রায়, বীরেন্দ্র নাথ রায়, ধনঞ্জয় রায়, সন্তোষ রায়, হরনাথ রায়, জগন্নাথ রায় সহ আরো অনেকে। কৃষক জগবন্ধু জানান, চলতি আমন মৌসুমে ধানের চারা রোপনকে সামনে রেখে নিজের ২০ শতক জায়গায় ধানের চারা রোপন করেছি। জমি রোপনের জন্য প্রস্তুত করব কিন্তু রোপনের আগ মুহুর্তে ধানের চারাগুলো লালচে হলুদ হয়ে মরে যাচ্ছে।

    ভূক্তভোগী কুষক সন্তোষ রায় বলেন, আমাদের এলাকার অনেক কৃষকের বীজতলা রাতের অন্ধকারে বিষ ছিটিয়ে নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। বীজতলা নষ্ট করে দেওয়া এ কেমন ধরনের শত্রুতা ? কৃষক বীরেন্দ্র নাথ রায় বলেন, আমরা সাধারন কৃষক ধানের উপর নির্ভশীল ভরা মৌসুমে বীজতলা নষ্ট করে দেয়ায় অন্ধকার দেখছি। নতুন করে বীজতলা তৈরী করে চারা রোপন করা সম্ভব নহে। এই বীজতলা থেকে প্রায় ৩০ একর জমি রোপন করা যেত। উপজেলা কৃষি অফিসের উপসহকারী কৃষিকর্মকর্তা গোলাম হোসেন জানান,ক্ষতিগ্রস্থ্য কৃষকদের মাঠ পরিদর্শন করা হয়েছে।

    সরে জমিনে দেখা যায় আগাছা দমনের ঔষুধ প্রয়োগের মাধ্যমে কৃষকের বীজতলা নষ্ট করে দেয়া হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ্য কৃষকদের তালিকা তৈরী করে উর্ধ্ধতন কর্তৃপক্ষকে পাঠানো হয়েছে। কৃষকদের ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে নানা পরামর্শ দিচ্ছি। সরকারী সহায়তা এলে ক্ষতিগ্রস্থ্য কৃষকদের সহায়তা করা হবে। ডিমলা থানার পুলিশ পরিদর্শক বিশ্বদেব রায় বলেন, ঘটনা পরিদর্শন করা হয়েছে। তদন্ত চলমান। ঘটনাটি খুবই দূঃখজনক ।

  • বেলকুচিতে প্রধান আসামিসহ ৪ জনকে বাদ দিয়ে চার্জশিট দাখিল-পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ।

    বেলকুচিতে প্রধান আসামিসহ ৪ জনকে বাদ দিয়ে চার্জশিট দাখিল-পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ।

    বেলকুচিতে প্রধান আসামিসহ ৪ জনকে বাদ দিয়ে চার্জশিট দাখিল-পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ।


    সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে নাবিন মন্ডলকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলার মামলায় এজাহারভুক্ত ১৩ আসামির মধ্যে প্রধান আসামিসহ চারজনকে বাদ দিয়েই আদালতে চার্জশিট দাখিল করার অভিযোগ উঠেছে বেলকুচি থানা পুলিশের বিরুদ্ধে। মামলায় প্রধান আসামী ঢাকার মন্ডল গ্রুপের জিএম ইঞ্জিনিয়ার আমিনুল ইসলাম ও বেলকুচি পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি আকতার হামিদসহ চারজনের নাম চার্জশিট থেকে বাদ দিতে অবশেষে আদালত বরাবর সুপারিশ পাঠিয়েছে পুলিশ। শাহাদত হোসেন মুন্না, ইয়াসিন আলী, সবুজ, হয়রত আলী, মাসুদ, সৌরভ, আলমাছ, আসাদুল ও সোলেয়মানসহ নয়জনকে অভিযুক্ত করে গত ৩০ জুন আদালতে চার্জশীট জমা দেয় পুলিশ। জমা প্রদানের পর থেকে চার্জশীট সুকৌশলে নজরবন্দী রাখায় দেখা সম্ভব হয়নি। ঈদের ছুটি শেষে কোর্ট ইন্সপেক্টর মোস্তফা কামাল রোববার অফিসে আসেন। অতপর দুপুরে তা দেখার সুযোগ মেলে। মুল চার আসামীই বাদ দেবার বিষয়টিও নিশ্চিত হন মামলার বাদী।

    বাদী নাবিন মন্ডল বলেন,গত ১০ জুন সন্ধ্যায় আমাকে মারপীটের ঘটনার পর রাতে আমার বাবা যখন বেলকুচি থানায় যান তখনই ওসি সাহেব ইঞ্জিনিয়ার আমিনুল, পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি আকতার হামিদ, সজিব আহম্মেদ ও হাকিম মন্ডলের নাম বাদ দেবার জন্য পিড়াপিড়ি করেন। বাবা রাজি না হওয়ায় মামলা নিতে গড়িমশি করে পুলিশ। ঘটনার চারদিন পর মামলা হলেও জখমের গ্রীভিয়াস সনদ আদালতে পৌঁছাতেও পুলিশের গড়িমশিতে ওই চারজন বাদে সকল আসামীই জামিন পান। তদন্তে এসে স্বাক্ষীর বক্তব্য ও আলামত গ্রহনেও নানা কৌশল ও টালবাহানা করে পুলিশ। পুলিশ শেষ পর্যন্ত ইঞ্জিনিয়ার আমিনুল ইসলামসহ মুল চারজনকে বাদ দিবে, তা আগে থেকেই আমরা আশঙ্কা করেছিলাম। আগামী ২৪ জুলাই এ মামলার পরবর্তী দিন ধার্য রয়েছে। আইনজীবির মাধ্যমে আমি নারাজি দেবার প্রক্রিয়া করবো।’

    বাদীর বাবা দৌলত মন্ডল বলেন,বেলকুচি থানা পুলিশ যে শুধু আমার ছেলের বেলায় এ ধরনের রহস্যজনক আচরণ করেছে তা নয়। আলহাজ সিদ্দিকী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মেহেদী মাসুদ এবং ভাঙ্গাবাড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জহুরুল ভুঁইয়া ও প্যানেল চেয়ারম্যান আব্দুল কাদের লাঞ্ছিতের ঘটনায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা অভিযুক্ত হলেও একই ধরনের নাটকীয়তার আশ্রয় নেন পুলিশ। আমার ছেলেকে মারপীটের এজাহারে স্বাক্ষী জামাল উদ্দিন বাপ্পী, রিপন চক্রবর্তী, রুবেল তালুকদার, অলিফ সরকার, মোখলেছুর রহমান রতন এবং চেয়ারম্যান মির্জা সোলেয়মান পত্নী স্বীকৃতি বেগমের নাম রয়েছে। তারা গত ৩০ জুন সুস্পষ্টভাবে সকলের উপস্থিতিতে স্বাক্ষ্য দিলেও রহস্যজনক ভাবে ওই সকল আসামিদের নাম বাদ দেয়া হয়েছে। বেলকুচি থানা পুলিশের এসব অনৈতিক ও গড়িমশির বিষয়ে পুলিশ সদর দপ্তরের আইজিপি মহোদয়ের কমপ্লেইন শাখায় অভিযোগ দেবার কথাও ভাবছি।

    বেলকুচি থানার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক নিয়ামুল কথা বলতে রাজি না হলেও। অন্যদিকে (ওসি) গোলাম মোস্তফা দাবি করেন,তদন্ত ও স্বাক্ষ্যগ্রহন শেষে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে। অভিযোগ প্রমানিত না হওয়ায় চার জনকে অব্যাহতির সুপারিশ করা হয়েছে। এছাড়া,নয়জনকে অভিযুক্ত করে তদন্ত প্রতিবেদনও আদালতে পাঠানো হয়েছে। আদালত আমলে নিতে পারেন, চুড়ান্তই সিদ্ধান্ত গ্রহন করতে পারেন।

    কোর্ট ইন্সপেক্টার মোস্তফা কামাল বলেন, সংক্ষুব্ধ হলে আদালতে বাদীর না-রাজি দেবারও উপযুক্ত বিধান রয়েছে।

  • পবিত্র হজ্ব পালন শেষে দেশে ফিরছেন মস্তাক আহমদ।

    পবিত্র হজ্ব পালন শেষে দেশে ফিরছেন মস্তাক আহমদ।

    পবিত্র হজ্ব পালন শেষে দেশে ফিরছেন মস্তাক আহমদ।


    পবিত্র হজ্ব পালন শেষে আজ দেশে ফিরছেন সিলেট জেলা আওয়ামীলীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক বাংলাদেশ রেড-ক্রিসেন্ট সোসাইটির ব্যবস্থাপনা পর্ষদ সদস্য আলহাজ্ব মস্তাক আহমদ পলাশ। গত ২৯ জুন রাতে সৌদি আরবের উদ্দেশ্যে দেশ ছেড়ে ছিলেন মস্তাক আহমদ পলাশ।
    তিনি সৌদি আরবের জেদ্দা বিমানবন্দর থেকে স্থানীয় সময় রাত ১২ টার (বাংলাদেশ সময় রাত ৩টার) ফ্লাইটে দেশের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হবেন মস্তাক আহমদ পলাশ।

    সোমবার বাংলাদেশ সময় সকাল ৯টায় ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবেন তিনি ও কিছু সময় সেখানে বিশ্রাম নিবেন বলে জানা যায় । ঢাকা থেকে আভ্যন্তরিন ফ্লাইটে সিলেটের এম এ জি ওসমানী বিমানবন্দরের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিবেন। দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন তিনি আল্লাহ যেন সহিসালামতে দেশে পৌঁছে দেন।

    এর আগে জানা যায় গত ২৯ জুন পবিত্র হজ্জ্ব পালনে সৌদি আরবে যান তিনি। হজ্বের আনুষ্টানিকতা শেষ করেই দেশটির অন্যতম প্রসিদ্ধ শহর হাফার আল বাতিনে অবস্থানরত প্রবাসীদের সাথে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। সৌদি এয়ারলাইন্সের আভ্যন্তরিন ফ্লাইটে বিমানবন্দরে পৌছলে ফুলে দিয়ে শুভেচ্ছা জানান সেখানকার নেতৃবৃন্দ। পরে হাফার আল বাতিনে অবস্থানরত নেৃতৃবৃন্দ অনুষ্টানের মাধ্যমে তাঁকে সংবর্ধনা প্রদান করেন।

    তিনি সেখানকার প্রবাসীদের বিভিন্ন সমস্যার কথা শুনেন এবং সে বিষয়ে তাদের সহযোগিতার আশ্বাস দেন। পরে তিনি চলে যান জেদ্দা প্রবাসীদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে। সেখানে ও অবস্থানরত প্রবাসী নেতৃবৃন্দরা বিভিন্ন ব্যানারে তাঁকে সংবর্ধনা প্রদান করেন। সৌদিআরবে অবস্থানকালে প্রবাসীদের ভালোবাসা এবং তাদের আতিথিয়তায় মুগ্ধ হলেন আলহাজ্ব মস্তাক আহমদ পলাশ।
    এ সময় প্রবাসী নেতৃবৃন্দের কাছে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

  • রাণীশংকৈলে ৩ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন-নৌকা প্রতিকে আ’লীগ,স্বতন্ত্রে বিএনপি।

    রাণীশংকৈলে ৩ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন-নৌকা প্রতিকে আ’লীগ,স্বতন্ত্রে বিএনপি।

    রাণীশংকৈলে ৩ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন-নৌকা প্রতিকে আ’লীগ,স্বতন্ত্রে বিএনপি।

    আসন্ন নির্বাচনে আনারস প্রতিকের একটি পোষ্টারে মনতাজ আলী নামে মুরব্বী ধরনের একজন মানুষের ছবি । তার পাশেই লেখা রয়েছে সভাপতি ৩নং হোসেনগাঁও ইউনিয়নের বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)।
    ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার ৩টি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নির্বাচনে ঠিক এভাবেই স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করেছেন বিএনপি’র মূল ধারার সংগঠনের নেতারা। অথচ বিএনপির নীতি-নির্ধারকরা বলছেন এ সরকারে অধীনে কোন নির্বাচনে বিএনপির কেউ অংশগ্রহণ করবে না। এদিকে তিনটি ইউনিয়নে বিএনপির মূল ধারার নেতারাই নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করেছেন। এতে প্রচার প্রচারণায় নামছেন বিএনপির ওর্য়াড পর্যায়ের নেতারাও।
    প্রতিকে নির্বাচন না করলেও স্বতন্ত্রে তারা নির্বাচনে কোমড় বেধেঁ নেমেছেন। অন্যদিকে দলীয় প্রতিকে নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করছেন আ’লীগের নেতারা।
    রাণীশংকৈল উপজেলা নির্বাচন অফিস ও দলীয় সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার তিনটি ইউনিয়নে আ.লীগের দলীয় প্রতিকে নির্বাচন করছেন ৩নং হোসেনগাঁও ইউনিয়নে, ইউনিয়ন যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান মতি, ৮নং নন্দুয়ার ইউনিয়নে ইউনিয়ন আ.লীগের যুগ্ন সম্পাদক আব্দুল বারী, ৫নং বাচোঁর ইউনিয়নে ইউনিয়ন আ.লীগের সম্পাদক জিতেন্দ্র নাথ রায়।
    অন্যদিকে ৩নং হোসেনগাঁও ইউনিয়ন আ.লীগ সভাপতি এম জি রব্বানী ঘোড়া প্রতিক নিয়ে স্বতন্ত্র (বিদ্রোহী) প্রার্থী হিসাবে নির্বাচন করছেন। দলীয় প্রতিকের বিরুদ্ধে নির্বাচন করায় তাকে সম্প্রতি দল থেকে বহিস্কার করেছে জেলা আ.লীগ।
    এদিকে বিএনপি দলীয় প্রতিকে অংশ গ্রহণ না করলেও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে চেয়ারম্যান পদে নেমেছেন কোমরবেঁধে।
    ৩নং হোসেনগাঁও ইউনিয়নে বিএনপির ইউনিয়ন শাখা সভাপতি মমতাজ আলী আনারস প্রতিকে ভোট করছেন। ৫নং বাচোঁর ইউনিয়নে বিএনপির ইউনিয়ন শাখা সভাপতি আবু জাহিদ ঘোড়া প্রতিকে এবং ৮নং নন্দুয়ার ইউনিয়নে বিএনপির ইউনিয়ন শাখা সভাপতি জমিরুল ইসলাম মোটরসাইকেল ও সাংগঠনিক সম্পাদক বাদশাহ আলম আনারস প্রতিকে তাদের সমর্থিত নেতাকর্মিদের নিয়ে ভোটের মাঠে রয়েছেন।
    অন্যদিকে ৩নং হোসেনগাঁও ইউনিয়নে স্বতন্ত্র হিসাবে চেয়ারম্যান পদে সুজন মুর্মূ চশমা প্রতিকে, ৮নং নন্দুয়ারে স্বতন্ত্র মাওলানা আলহাজ্ব শহিদুল্লাহ ঘোড়া প্রতিকে
    ৫নং বাচোঁর ইউনিয়নে জাতীয় পার্টি সমর্থিত আজিজুল ইসলাম মোটরসাইকেল ও আকতারুল ইসলাম ঘোড়া প্রতিকে নির্বাচন করছেন। এছাড়াও স্বতন্ত্র ভোট করছেন জৌতিষ চন্দ্র রায় চশমা প্রতিকে।
    সরেজমিনে প্রতিটি ইউনিয়নে ঘুরে দেখা যায়, বিএনপির ওর্য়াড পযায়ের নেতারা তাদের দলীয় প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণা চালাচ্ছেন। তারা বলছেন,স্থানীয় নির্বাচনে আমরা স্বতন্ত্র অংশ গ্রহণ করেছি। এখানে দলীয়ভাবে তো আর করিনি। স্থানীয় নির্বাচনে কোন দল নেই। আমাদের মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে, তাই আমরা কাজ করছি।
    হোসেনগাঁও ইউনিয়নের স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শান্ত বলেন, আমাদের স্থানীয় ভোটারদের মনোনীত প্রার্থী মনতাজ আলীর পক্ষে আমরা কাজ করছি। আমরা কোন দলীয় প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছি না। তাছাড়া দলীয়ভাবে যেহেতু বিএনপি নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করেনি। তাই আমরা পছন্দের প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছি।
    নন্দুয়ার ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও চেয়ারম্যান প্রার্থী জমিরুল ইসলাম বলেন, আমি গতবার দলীয় প্রতিকে নির্বাচন করে বিজয় লাভ করেছিলাম। এবার দল নির্বাচন করছে না। তবে স্থানীয় সমর্থকদের চাপের কারণে তাকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে নির্বাচন করতে হচ্ছে। এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, দলের তেমন কোন চাপ নেই।
    হোসেনগাঁও ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও চেয়ারম্যান প্রার্থী মনতাজ আলী বলেন, সাধারণ মানুষের চাহিদার কারণে তিনি ভোটে দাড়িয়েছেন। বিএনপির নেতাকর্মিদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষও তার জন্য প্রচারণায় অংশ গ্রহণ করছেন।
    বাচোঁর ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি ও চেয়ারম্যান প্রার্থী আবু জাহিদ বলেন, ভোটে অংশ গ্রহণ করেছি স্থানীয় কারণে এখানে দলের কোন হিসাবে নেই। দল এ বিষয়ে কোন সহায়তা তিনাকে করছেন না বলে তিনি জানিয়েছেন।
    নৌকা প্রতিকের হোসেনগাঁও ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থী মতিউর রহমান বলেন, বিএনপি নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করেছেন। তবে স্বতন্ত্রভাবে, তা যেভাবে নির্বাচন করছে করুক একটি অংশগ্রহণ মূলক সুষ্ঠ নির্বাচন হোক এটাই আমার চাওয়া।
    নৌকার নন্দুয়ার ইউনিয়নের আব্দুল বারী ও বাচোঁর ইউনিয়নের জিতেন্দ্র নাথ বলেন, বিএনপি মুখে বলে নির্বাচন করবো না । কিন্তু ইউনিয়ন পর্যায়ের মুল ধারার নেতারা স্বতন্ত্রে নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করেছে। তাদের দলীয় নেতাকর্মিরাও কাজ করছে। বিএনপি নির্বাচনে এসেছে ভোট করছে এটা আমাদের ভালো লাগছে। আমরা তাদের সাধূবাদ জানাই, এবং একটি অবাধ সুষ্ঠ ভোট অনুষ্ঠিত যেন হয় সেই জন্য তাদেরও সহায়তা চান নৌকার এ প্রার্থীরা।
    উপজেলা নির্বাচন অফিস সুত্রে জানা যায়, তিনটি ইউনিয়নে মোট ১৫ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী অংশ গ্রহণ করেছেন। এর মধ্যে আ.লীগের মনোনীত নৌকা প্রতিকের তিনজন, অন্য ১২ জন প্রার্থী স্বতন্ত্র হিসাবে নির্বাচন করছে।
    তিনটি ইউনিয়নে সাধারণ মহিলা আসনে মোট প্রার্থী ৪৫ জন এবং সাধারণ আসনে ৮৭ জন অংশ গ্রহণ করেছেন। তিনটি ইউনিয়নে মোট ভোটার ৬১ হাজার ১৪৮ জন। ভোট গ্রহণ হবে আগামী ২৭ জুলাই।
    উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক বকুল মজুমদার বলেন, কেউ দলীয়ভাবে নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করেনি। তবে দলের কেউ স্থানীয় কারণে ভোটে অংশ গ্রহণ করলে তার দায় দায়িত্ব সে নিবে। দল কোনভাবেই ওই প্রার্থীর কোন দায়িত্ব নেবে না। ওর্যাড পর্যায়ের নেতারা সক্রিয়ভাবে অংশ নিলেও তারা দলীয় ব্যানারে অংশ গ্রহণ করতে পারবে না। এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপির এ নেতা আরো বলেন, কেউ তার নির্বাচনী পোষ্টারে দলের পরিচয় লেখলে সেটির সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে ।
    উপজেলা আ.লীগের অন্যতম সদস্য তারেক আজিজ বলেন, বিএনপি দলীয়ভাবে অংশ গ্রহণ না করলেও স্বতন্ত্রভাবে দলবল নিয়ে ভোটের মাঠে রয়েছেন। এবং তারা বিএনপির প্রার্থী হিসাবে বিএনপি সমর্থকদেরও নিকটও ভোট প্রার্থনা করছেন। তাদের ওর্যাড পর্যায়ের  নেতারা কোমর বেধেঁ নির্বাচনে প্রচার প্রচারণা চালাচ্ছেন, এ জন্য তাদের সাধুবাদ জানাই। তবে দুর্নীতির কারণে জনগণের কাছে তারা প্রতারক হিসাবে চিহৃিত হয়েছে।
  • ওসমানীনগরে লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ জনজীবন,ক্ষুব্ধ গ্রাহকেরা।

    ওসমানীনগরে লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ জনজীবন,ক্ষুব্ধ গ্রাহকেরা।

    ওসমানীনগরে লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ জনজীবন,ক্ষুব্ধ গ্রাহকেরা।


    সিলেটের ওসমানীনগরে ভ্যাপসা গরমে লোডশেডিং হচ্ছে চরমে। লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জনজীবন। গত কয়েকদিন ধরে প্রচন্ড গরমের সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে লোডশেডিংও। ভ্যাপসা গরম ও ঘন ঘন বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে অস্বস্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।

    হঠাৎ করে কোনো ঘোষণা ছাড়াই ভ্যাপসা গরমে ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের কারণে গ্রাহকরা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছেন। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ৬ থেকে ৭ ঘণ্টা বিদ্যুৎ মিলছে ওসমানীনগরে। আবার ঘন্টায় ৪ থেকে ৫ বার লোডশেডিংও হচ্ছে। এমন অবস্থায় হাঁপিয়ে উঠছে গ্রাহকদের জনজীবন। বিদ্যুৎ অফিসে বার বার ফোন করেও কোনো সাড়া পায় না গ্রাহকরা। লোডশেডিংয়ে উদাসীন কর্মকর্তারা।

    জানা গেছে, শুক্রবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে সারা উপজেলা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। সকাল সাড়ে সাতটায় বিদ্যুতের দেখা পাওয়া গেলেও ভ্যাপসা গরমে নির্ঘোম রাত কাটয়েছেন অনেকেই। পরদিন শনিবার রাত ১১টার দিকে লোডশেডিং শুরু হয় উপজেলা জুড়ে। পরদিন সকাল ৮টায় মিলে বিদ্যুৎ। তাও আবার স্থায়ী নয়। ১০ থেকে ১৫ মিনিটের জন্য।

    এই ঘরমে এতো লম্বা লোডশেডিংয়ের কারণ জনতে গ্রহকরা কাশিকাপন পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের মোবাই নাম্বারে বার বার কলে দিলেও সংযোগ পান না। একই সাথে পুরো উপজেলায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন ভাবিয়ে তুলছে গ্রাহকদের। এমন পরিস্থিতিতে গ্রহকরা সামাজিক যোগযোগমাধ্যম ফেসবুকে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করছেন।

    খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কাশিকাপন পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার(ডিজিএম) মুজিবুর রহমান যোগদানের পর থেকে বিদ্যুৎ অফিসকে নিজের ইচ্ছা মতো পরিচালনা করছেন। ঘন্টা পর ঘন্টা লোডশেডিং এর পাশাপাশি সরকারী কর্মকর্তা, সাংবাদিক বা উপজেলার রাজনৈতিক কোন ব্যক্তির ফোন রিসিভ করেন না তিনি। দেশের সকল জায়গায় বিদ্যুৎ ঘাটতি কমাতে লোডশেডিংয়ের রুটিন করা হলেও ওসমানীনগরে কোন রুটিন বা নিয়ম মানা হচ্ছে না। এই গরমে দিন ছাড়াও সারা রাত ধরে লোডশেডিং হচ্ছে।

    অন্যদিকে, প্রচন্ড গরমের কারণে শিশু ও বৃদ্ধদের অনেকেই জ্বর, সর্দি, কাশি ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছেন। ফলে স্থানীয় হাসপাতালসহ চিতিৎসা কেন্দ্রে স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি সেবাগ্রহীতার ভিড় বাড়ছে। সব মিলিয়ে প্রচন্ড গরম ও লোডশেডিংয়ে উপজেলার সর্বত্রই জনজীবনে নেমে এসেছে চরম অস্বস্তি ও দুঃসহ যাতনা।

    উপজেলার কয়েকজন গ্রাহক জানান,দিনে ১০-১২ বার বিদ্যুৎ বিভ্রাট যেন স্বাভাবিক ব্যাপারে পরিণত হয়েছে। সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে ওসমানীনগরে সারা রাত লোডশেডিং হচ্ছে। অন্য এলাকায় রুটিন থাকলেও ওসমানীনগরে মনগড়া ভাবে লোডশেডিং করে গ্রাহকদের উসকিয়ে তুলছেন পল্লী বিদ্যুৎ সংশ্লিষ্টরা।

    ঘন ঘন লোডশেডিং এর কারণ জানতে রবিবার একাধিকবার কাশিকাপন পল্লী বিদ্যুৎ জোন অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার(ডিজিএস) মুজিবুর রহমানের মোবাইল ফেনে কল দিয়েও তিনি রিসিভ করেননি। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে তিনি অফিসেও নেই।

  • ঠাকুরগাঁওয়ে হরিজন সম্প্রদায়ের ৩৪টি পরিবার পেল নতুন বাড়ি।

    ঠাকুরগাঁওয়ে হরিজন সম্প্রদায়ের ৩৪টি পরিবার পেল নতুন বাড়ি।

    ঠাকুরগাঁওয়ে হরিজন সম্প্রদায়ের ৩৪টি পরিবার পেল নতুন বাড়ি


    দীর্ঘ ৫০ বছর পর ঠাকুরগাঁওয়ের হরিজন বাসফোর সম্প্রদায়ের ৩৪টি পরিবার পেল নতুন বাড়ি। মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অঙ্গীকার কোন পরিবার গৃহহীন থাকবে না প্রকল্পের আওতায় সদর উপজেলার নারগুন ইউপির কৃষ্ণপুরে এ বাসফোর পল্লীটি স্থাপন করা হয়। সেখানে উল্লেখিত ৩৪টি পরিবারের প্রায় ২শতাধিক সদস্য নিয়ে বসবাস শুরু করেছেন তারা। চলতি বছরের এপ্রিলের শেষের দিকে তাদেরকে বাড়িগুলি বুঝিয়ে দেন সদর উপজেলা প্রশাসন।

    জানা যায়, পৌর শহরের ফকিরপাড়ায় দীর্ঘদিন ধরে পরিচ্ছন্নকর্মীদের ভুইমালী ও বাসফোর ২ সম্প্রদায়ের মানুষজন বসবাস করে আসছিলেন। সেখানে প্রত্যেক বাড়ির একই ঘরে ৫/৬ জন সদস্য কষ্ট করে বসবাস করে আসছিলেন। এতে করে একই ঘরে স্বামী-স্ত্রী, বাবা-মা, ভাই-বোন, সন্তানদের নিয়ে খুবই কষ্টে মানবেতর জীবন যাপন করছিলেন তারা।

    সমস্ত পল্লীতে একটি মাত্র টিউবওয়েল ছিল। ঠিকমত পানিও খেতে পারতো না পরিবারের সদস্যরা। শৌচাগারও ছিল একটি মাত্র। সেখানে প্রত্যেক পরিবারের কলহ-বিবাদ লেগেই থাকতো। এ অবস্থায় ওই ২ সম্প্রদায়ের লোকজন তাদের কষ্টের কথা সদর উপজেলা প্রশাসনকে জানান।

    পরে সদর উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে জমি খোঁজার কাজ শুরু হয়। এক সময় সদর উপজেলার নারগুন ইউনিয়নের কৃষ্ণপুরে ওই ২ সম্প্রদায়ের জন্য জমির বন্দোবস্ত হলে সেখানে শুরু হয় নতুন পাকা ঘর ও রঙিন টিনের তৈরী বাড়ি নির্মাণের কাজ। কাজ শেষে চলতি বছরের এপ্রিলের শেষের দিকে ৩৪ টি বাসফোর সম্প্রদায়ের মানুষজনকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়।

    সেখানে ঘর ও নতুন বাড়ি পাওয়া রাজু বাসফোর বলেন, আমাদের নিজস্ব কোন বাড়ি-ঘর ছিল না। আগের বাসস্থলে আমরা অনেক কষ্ট করে জীবন কাটিয়েছি। প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া নতুন বাড়ি ও ঘর পেয়ে আমরা নতুন করে জীবন যাপনের স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছি। নতুন বাড়ি ও ঘরে উঠার পর থেকে আমাদের কষ্ট লাঘব হয়েছে, একারণে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই।

    নতুন বাড়ি ও ঘর পাওয়া সামারিয়া বাসফোর নামে এক নারী বলেন, জীবনে আমরা যে পরিমান কষ্ট করেছি তা বলার মত নয়। প্রধানমন্ত্রী আমাদের দিকে তাকিয়েছেন। বর্তমানে আমরা নিশ্চিন্তে এখানে বসবাস শুরু করেছি।

    এ ব্যাপারে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবু তাহের মো: সামসুজ্জামান বলেন, প্রায় ৩ মাস আগে বাসফোর সম্প্রদায়ের ৩৪টি পরিবারকে একটি করে নতুন বাড়ি প্রদান করা হয়। প্রধানমন্ত্রীর অঙ্গিকার কোন পরিবার গৃহহীন থাকবে না প্রকল্পের মাধ্যমে প্রত্যেক পরিবারকে ২ শতক করে জমি প্রদান করা হয়। এতে প্রত্যেক সদস্যকে ২ লাখ ৫৯ হাজার ৫শ টাকা খরচ করে নতুন বাড়ি নির্মাণ করে দেওয়া হয়েছে। এক সময় তারা খুবই কষ্ট করে জীবন যাপন করে আসছিলেন। সদর উপজেলা প্রশাসন তাদেরকে নতুন ঘর ও বাড়ি দিতে পেরে অত্যন্ত খুশি। তারাও অনেক খুশি। তারা নতুন এই আবাসস্থল পাওয়ার কারনে তাদের ভাগ্যের পরিবর্তন করতে পারবেন। নিশ্চিন্তে ও স্বাচ্ছন্দে বসবাসের ফলে তাদের নতুন জীবন শুরু হবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তিনি।

    জেলা প্রশাসক মো: মাহবুবুর রহমান জানান, সবচেয়ে পিছিয়ে পরা জনগোষ্ঠী হিসেবে বাসফোর সম্প্রদায়ের লোকজন দীর্ঘদিন ধরে শহরের পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা করে আসছেন। তাদের নিজস্ব বাড়ি-ঘর না থাকার কারনে তারা কষ্ট করে জীবন যাপন করছিলেন। এ কারনে তাদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া নতুন বাড়ির বন্দোবস্ত করা হয়।

  • লক্ষ্মীপুরের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মেঘনার চরে আটকা কনকচাপা ফেরি।

    লক্ষ্মীপুরের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মেঘনার চরে আটকা কনকচাপা ফেরি।

    লক্ষ্মীপুরের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মেঘনার চরে আটকা কনকচাপা ফেরি।


    লক্ষ্মীপুর জেলাতে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুটি মালবাহী ট্রাকসহ ফেরি কনকচাপা মেঘনা নদীর চরে উঠে আটকা পড়েছে। শনিবার (১৬ জুলাই) রাত ১১ টার দিকে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার মজুচৌধুরীর হাট ফেরিঘাট থেকে আধাকিলোমিটার দূরে এই ঘটনা ঘটে।

    রাত সাড়ে ১১ টার দিকে ফেরিতে থাকা বাবুর্চি আবদুল হালিম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি অন্যের পরিবর্তে বাবুর্চির দায়িত্ব পালন করছেন।

    জানা গেছে, দুটি মালবাহী ট্রাক নিয়ে ফেরি কনকচাপা মজুচৌধুরীর হাট ঘাট থেকে ভোলার ইলিশা ঘাটের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয়। ঘাট থেকে আধাকিলোমিটার দূরে পৌঁছলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেরিটি মেঘনা নদীর জেগে উঠা চরে উঠে আটকা পড়ে। একপর্যায়ে ফেরিটি একপাশ নদীর দিকে হেলে পড়ে। তাৎক্ষণিক ঘাট থেকে ফেরি কদম এনে আটকা পড়া কনকচাপাকে হেলান দিয়ে রাখা হয়েছে। তবে ফেরিতে কোন যাত্রী নেই।

    মজুচৌধুরীর হাট ফেরি ঘাটের প্রান্তিক সহকারী রেজাউল করিম রাজু বলেন, ঘটনাটি আমার জানা নেই। খবর নেওয়া হবে

  • মহাদেবপুরে ঈদ পুনর্মিলনীর নামে প্রকাশ্যে হাউজি খেলার অভিযোগ।

    মহাদেবপুরে ঈদ পুনর্মিলনীর নামে প্রকাশ্যে হাউজি খেলার অভিযোগ।

    মহাদেবপুরে ঈদ পুনর্মিলনীর নামে প্রকাশ্যে হাউজি খেলার অভিযোগ ।


    নওগাঁর মহাদেবপুরে প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াই ঈদ পুনর্মিলনীর নামে প্রকাশ্য দিবালোকে অবৈধ হাউজি চালানোর অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে। উপজেলা সদর থেকে মাত্র দুই কিলোমিটার দূরে উত্তরগ্রাম ইউনিয়নের শিবগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে ছামিয়ানা টাঙ্গিয়ে মঞ্চ তৈরি করে শুক্রবার (১৫ জুলাই) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত কয়েক ঘন্টার হাউজিতে আয়োজকরা কয়েক লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।

     

    প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, স্থানীয় প্রভাবশালীরা নওগাঁ, জয়পুরহাট, পাঁচবিবি, হিলি, বগুড়াসহ জেলার বিভিন্ন এলাকার পেশাদার জুয়ারীদের খবর দিয়ে ওই বিদ্যালয়ে একত্রিত করে বিশাল অংকের হাউজি বাম্পারের আয়োজন করে। বিকেল সাড়ে ৪টায় ১৫ রাউন্ড খেলা হবার পর পরবর্তী রাউন্ডের টিকিট বিক্রি করে খেলা না দিয়ে আয়োজকরা পালিয়ে যাবার চেষ্টা করে।

     

    এসময় সেখানে মারামারির সূত্রপাত ঘটে। জানতে চাইলে ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মতিন জানান, সকালে তিনি স্কুল গেটে স্থানীয়দের ঈদ পুনর্মিলনীর ব্যানার টাঙ্গাতে দেখেছেন। পরে কি হয়েছে তা তিনি জানেন না।

     

    আয়োজকরা স্কুল এলাকা ব্যবহারের জন্য তার কাছ থেকে কোন অনুমতি নেননি বলেও তিনি জানান। উত্তরগ্রাম ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি নজরুল ইসলাম জানান, তারা সেখানে পিকনিক খাচ্ছিলেন। প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া প্রকাশ্য দিবালোকে অবৈধ হাউজি চালানো সম্ভব কি-না এমন প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয় সচেতন মহল।

     

    এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিজানুর রহমান বলেন,স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে সেখানে থানা পুলিশ পাঠিয়ে হাউজি বন্ধ করা হয়েছে।

     

    মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আজম উদ্দিন মাহমুদ জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে সেখানে হাউজি চলার মত কোন আলামত পায়নি।

  • সিরাজগঞ্জ-৫ নির্বাচনী এলাকার বিএনপি নেতাকর্মীদের সমন্বয় সভা।

    সিরাজগঞ্জ-৫ নির্বাচনী এলাকার বিএনপি নেতাকর্মীদের সমন্বয় সভা।

    সিরাজগঞ্জ-৫ নির্বাচনী এলাকার বিএনপি নেতাকর্মীদের সমন্বয় সভা।


    সিরাজগঞ্জ-৫ নির্বাচনী এলাকার বেলকুচি,চৌহালী ও এনায়েতপুর থানা একত্রিত হয়ে কেন্দ্রীয় বিএনপি’র সহ-প্রচার সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খাঁন বেলকুচি উপজেলা বিএনপি’র আহবায়ক কমিটি গঠন করেন। প্রতিবাদে পদ বঞ্চিত ৩ থানার বিএনপি নেতাকর্মীদের সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    শনিবার সকালে শেরনগর গ্রামে বিএনপি নেতা গোলাম মওলা খাঁন বাবলুর বাসভবনে বেলকুচি উপজেলা বিএনপি’র সাবেক আহবায়ক আব্দুর রাজ্জাক মন্ডলের সভাপতিত্বে সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, জাতীয়তাবাদী তাঁতীদল কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম আহবায়ক আলহাজ্ব গোলাম মওলা খাঁন বাবলু।

    প্রধান বক্তা হিসাবে উপস্থিত ছিলেন চৌহালী উপজেলা বিএনপি’র আহবায়ক সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান জনাবা মাহফুজা খাতুন। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন চৌহালী উপজেলা বিএনপি’র সদস্য সচিব,জাহিদুল ইসলাম মোল্লা।

    বেলকুচি উপজেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি গোলাম আজমের পরিচালনায় সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বেলকুচি উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক অধ্যক্ষ আব্দুল মান্নান সরকার,এনায়েতপুর থানা বিএনপি’র সাবেক আহবায়ক ও জেলা বিএনপির উপদেষ্টা আলহাজ্ব সাইদুল ইসলাম,এনায়েতপুর থানা বিএনপি’র যুগ্ম আহবায়ক আলহাজ্ব মীর জাহাঙ্গীর হোসেন,বেলকুচি পৌর বিএনপি’র সাবেক সদস্য সচিব শফিকুল ইসলাম শফি, উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহবায়ক সাংবাদিক রেজাউল করিম,সাবেক যুগ্ম আহবায়ক আবু খালিদ রাজ্জাক,মোশারফ হোসেন,পৌর বিএনপি’র সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মনোয়ার হোসেন শামীম,সাবেক যুগ্ম আহবায়ক হাফিজুর রহমান,সাবেক ভি পি মোকলেছুর রহমান প্রমূখ।

    সভায় বক্তারা আলীম কর্তৃক সুপারিশকৃত গঠনতন্ত্র পরিপন্থী আহবায়ক কমিটির বাতিল করে দলকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে সকলকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধ কমিটি করার জন্য কেন্দ্রীয় বিএনপির’ হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়।

  • উল্লাপাড়ায় প্রকৌশলী দম্পতিকে নৌকা ডুবি করে হত্যার চেষ্টা থানায় অভিযোগ।

    উল্লাপাড়ায় প্রকৌশলী দম্পতিকে নৌকা ডুবি করে হত্যার চেষ্টা থানায় অভিযোগ।

    উল্লাপাড়ায় প্রকৌশলী দম্পতিকে নৌকা ডুবি করে হত্যার চেষ্টা থানায় অভিযোগ।


    সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় প্রকৌশলী দম্পতিকে নৌকা ডুবি করে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে।শুক্রবার উপজেলার উধুনিয়া ইউনিয়নের দিঘলগ্রাম নামক প্রত্যন্ত চলনবিল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় প্রকৌশলী’র দুই সহোদর ও এক ভাগিনা সহ ৩ জনকে আসামি করে থানায় জিডি মামলা করা হয়েছে।

    অভিযোগকারী প্রকৌশলীর স্ত্রী নার্গিস ফাতেমা জানান, শুক্রবার সকালে উপজেলার উধুনিয়া ইউনিয়নের দিঘলগ্রাম থেকে ডিঙি নৌকা যোগে তার প্রকৌশলী স্বামী মোঃ রেজাউল করিম ও তিনি থানা শহর উল্লাপাড়ায় আসছিলেন। পথিমধ্যে তার স্বামীর বড় ভাই গোলাম মোস্তফা বাবলু, দেবর মিজানুর রহমান ও ভাগিনা জেলহক পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে সন্ত্রাসী কায়দায় তাদের ডিঙ্গি নৌকার গতি রোধ করে এবং হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা চালায়। এ সময় তারা বিভিন্ন ভয়ভীতি ও হত্যার হুমকি প্রদর্শন করে চাঁদা দাবি করে প্রকৌশলী দম্পতির কাছে। নইলে মারপিট করিয়া ডিঙি নৌকা ডুবাইয়া দিয়া হত্যা করবে বলে হুমকি ও গালিগালাজ করতে থাকে হামলাকারীরা।

    এ সময় তাদের ডাক চিৎকারে আশেপাশের লোকজন নৌকা নিয়ে এগিয়ে এসে হামলাকারীদের হাত থেকে ভুক্তভুগিদের উদ্ধার করে।

    প্রকৌশলী রেজাউল করিম জানান, পারিবারিক কলহের জের ধরে তারা সন্ত্রাসী কায়দার অতর্কিত হামলার স্বীকার হলে এলাকাবাসী এগিয়ে এসে হামলাকারীদের হাত থেকে আমাদের উদ্ধার করে। পরে পুলিশের ৯৯৯ এ ফোন দিলে তারা আমাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেন।

    উল্লাপাড়া মডেল থানার সেকেন্ড অফিসার মাসুদ রানা জানান,এ ঘটনা তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।