Author: admin

  • লক্ষ্মীপুরে দুই মোটরসাইকেল মূখোমুখি সংঘর্ষে বৃদ্ধ নিহত-আহত ২।

    লক্ষ্মীপুরে দুই মোটরসাইকেল মূখোমুখি সংঘর্ষে বৃদ্ধ নিহত-আহত ২।

    লক্ষ্মীপুরে দুই মোটরসাইকেল মূখোমুখি সংঘর্ষে বৃদ্ধ নিহত-আহত ২।


    লক্ষ্মীপুরে দুটি মোটরসাইকেলের মুখোমুখী সংঘর্ষে নুরুল আমিন হাওলাদার (৭৪) নামে এক বৃদ্ধ ঘটনাস্থলে মৃত্যুবরণ করেন। এই সময় নুরুল আমিনের নাতি রাহি (৮) ও অপর মোটরসাইকেল চালক মো, কামাল হোসেন (২৫) আহত হন।

    রোজ মঙ্গলবার (৯ আগস্ট) দুপুরে সদর উপজেলার ১৭ নং ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নের রিপজি মার্কেট সড়কের ছোট পোল (ব্রিজ) এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত নরুল আমিন ভবানীগঞ্জ গ্রামের ‘বড়-বাড়ির’ আবদুর শহীদের ছেলে ও পেশায় কৃষক। রাহী তার ছেলে ইব্রাহিম হোসেনের ছেলে। অপর আহত কামাল একই ইউনিয়নের চর উভুতি গ্রামের চকবাজার এলাকার আলমগীর হোসেনের ছেলে।

    স্থানীয় সূত্র জানায়, নুরুল আমিন তার নাতি রাহিকে নিয়ে মোটরসাইকেলযোগে চর উভূতি গ্রাম থেকে বাড়িতে ফিরছিলেন। ঘটনাস্থল পৌঁছলে বিপরীত দিক থেকে আসা কামাল তার দ্রুত গতির মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারায়। এতে নুরুল আমিনের মোটরসাইকেলের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। দুটি মোটরসাইকেলের সামনের অংশ ভেঙে যায়। দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত অবস্থায় নুরুল আমিন, রাহি ও কামালকে উদ্ধার করে স্থানীয়রা সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। হাসাপাতাল নিলে নুরুল আমিনকে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

    সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক আরমান হোসেন বলেন, হাসপাতাল আনার আগেই এক বৃদ্ধ নুরুল আমিন মারা যান। শিশুসহ আহত দুইজনকে হাসপাতালে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

    এই ব্যাপারে লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তফা কামালকে একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।

  • উল্লাপাড়ায় ভ্রাম্যমাণ ৪ জুয়ারি গ্রেপ্তার।

    উল্লাপাড়ায় ভ্রাম্যমাণ ৪ জুয়ারি গ্রেপ্তার।

    উল্লাপাড়ায় ভ্রাম্যমাণ ৪ জুয়ারি গ্রেপ্তার


    সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় ভ্রাম্যমাণ জুয়া খেলার সময় ৪ জুয়ারি কে আটক করেছে মডেল থানা পুলিশ। সোমবার সন্ধ্যায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার উধুনিয়া ইউনিয়নের দিঘলগ্রাম বিলে নৌকার উপর ভ্রাম্যমান এই জুয়া খেলার সময় পুলিশ অভিযান চালিয়ে ৪ জুয়ারি কে আটক করে। আটককৃতরা হলেন উল্লাপাড়ার গয়হাট্টা বাজার এলাকার জহুরুল ইসলামের ছেলে সামিউল ইসলাম সাগর (৩৫), গয়হাট্টা ফরিদপুর গ্রামের মৃত শাহজাহান আলীর ছেলে শামিম রেজা (৪০), গয়হাট্টা বাগলগাঁতী গ্রামের নাজিমুদ্দিন এর ছেলে আব্দুল হালিম (৪৫), চন্দ্রগাঁতী গ্রামের আরিফ উদ্দিনের ছেলে মোঃ জাহিদ (৪৪)।

    পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আটককৃতরা বর্ষা মৌসুমে চলনবিল এলাকায় নৌকা উপর ভ্রাম্যমাণ জুয়া বসিয়ে লাখ লাখ টাকার জুয়া খেলা পরিচালনা করেন। এই জুয়া খেলতে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে জুয়ারিরা হাইজ ও মাইক্রোবাস যোগে এই এলাকায় আসে।

    এ বিষয়ে উল্লাপাড়া মডেল থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম জানান, আটককৃতদের কাছ থেকে নগদ টাকা, ব্যবহৃত নৌকা এবং জুয়া খেলার সরঞ্জাদি জব্দ করা হয়েছে। মঙ্গলবার মামলা দায়ের করে আদালতের মাধ্যমে তাদেরকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।

  • পুলিশের গুলিতে নিহত মেয়ে-লোমহর্ষক বর্ণনা।

    পুলিশের গুলিতে নিহত মেয়ে-লোমহর্ষক বর্ণনা।

    পুলিশের গুলিতে নিহত মেয়ে-লোমহর্ষক বর্ণনা।

    কয়েকবার গুলির শব্দ, পরে দেখি মেয়ের রক্তাক্ত দেহ লুটিয়ে আছে মাটিতে। মাথার খুলি ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন অবস্থায়। এমন লোমহর্ষক বর্ণনা দিয়েছেন পুলিশের গুলিতে ৯ মাস বয়সী নিহত শিশু সুরাইয়ার বাবা বাদশাহ মিয়া।
    তিনি আক্ষেপ করে বলেন, ১৯৬৮ সালে ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়ে জমি-জায়গা সব হারিয়ে কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারি থেকে মা-বাবার সঙ্গে ছুটে এসে ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈলে। উপজেলার বাঁচোর ইউনিয়নের মীরডাঙ্গী দীঘি পাহাড় এলাকায় অন্যের জমিতে বসবাস করছেন। মাত্র তিন বছর বয়সে মা-বাবার সঙ্গে এখানে এসে বেড়ে উঠার পর অভাবের সংসারে হাল ধরেন তিনি। ঝালমুড়ি বিক্রেতার পেশা বেছে নেন তিনি। তিন বছর ধরে বৃদ্ধ বাবা আদম আলী শয্যাশয়ী। পাড়া-মহল্লায় ঝালমুড়ি বিক্রি করেই বৃদ্ধ মা-বাবা, স্ত্রী ও তিন সন্তানকে নিয়ে ভালোই চলছিল।
    হঠাৎ ২৭ জুলাই পুলিশের গুলিতে সুরাইয়ার মৃত্যু যেন বাদশাহ মিয়ার পরিবারে অন্ধকার নেমে আসে। ঘটনার ১৩ দিন পার হলেও সন্তান হারানোর শোক কাটিয়ে উঠতে পারছেন না পরিবারের সদস্যরা। পরিবারের সবচেয়ে ছোট সদস্য আদরের সন্তানকে হারিয়ে এখনো শোকে পাথর মা মিনারা বেগম। বাবা বাদশাহ মিয়া কিছুটা স্বাভাবিক হলেও মা মিনারা বেগম, দাদি জাহেদা খাতুন কাঁদতে কাঁদতে চোখের পানি শুকিয়ে ফেলেছে। চাপা কান্নায় এখানো দিন কাটছে তাদের।
    আদরের ছোট্ট বোনকে হারিয়ে মুহূর্তেই নিঃসঙ্গ ভাই মিরাজুল ইসলাম, বড় বোন সুমাইয়া আক্তার। মিরাজুল ইসলাম স্থানীয় এক হাইস্কুলে ষষ্ঠ শ্রেণিতে ও সুমাইয়া আক্তার মীরডাঙ্গী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী। আট মাস বয়সী সুরাইয়া আক্তার সবার ছোট। নন্দুয়ার ইউনিয়নের ভোটকেন্দ্রের ২০০ গজ দূরে তাদের বাড়ি হলেও পরিবারের ভোটকেন্দ্র বাঁচোর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডে।
    নিহত সুরাইয়ার মা মিনারা বেগম জানান, গেল ২৭ জুলাই বিকালে ভিএফ নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে শিশু সুরাইয়াকে কোলে নিয়ে তিনি ভোট দিতে যান। ভোট দেওয়া শেষে কেন্দ্র থেকে ৩০০ গজ দূরে ফুফু শাশুড়ির বাড়িতে স্বামীর জন্য মেয়েকে নিয়ে অপেক্ষা করছিলেন তিনি। ভোটের ফলাফলকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা বিরাজ করলেও পরে আবার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। এসময় পুলিশের একটি গাড়ি চলেও যায়।
    তিনি জানান, পরিস্থিতি স্বাভাবিক মনে করে মেয়েকে নিয়ে নিজ বাড়ির উদ্দেশ্যে যাওয়ার সময় ভোটকেন্দ্র থেকে পুলিশের পিকআপ বের হতে দেখেন তিনি। ভোটকেন্দ্র থেকে বেরিয়ে মসজিদের সামনের রাস্তায় দাঁড়ানো ছিল পিকআপটি। এর একটু সামনে পুলিশের আরেকটি গাড়ি দাঁড়ানো। গাড়ির আশেপাশে লাঠি হাতে দাঁড়ানো ছিল বিক্ষুব্ধ সমর্থকরা। ভোটের ফলাফল মানিনা এই দাবিতে একটি গাড়ি থামিয়ে আবারও উত্তেজনা শুরু হয়। এসময় মায়ের কোলে থাকা অবস্থায় সুরাইয়ার মাথায় গুলি লাগে। সন্তানের রক্তাক্ত মাথা দেখে মা মিনারা বেগম বেসামাল হয়ে ছোটাছুটি করেন। একপর্যায়ে জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি।
    নিহত সুরাইয়ার বাবা বাদশাহ মিয়া বলেন, ভোটের দিন বিকালে শিশু কন্যাকে নিয়ে আমরা ভিএফ নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দিতে যাই। ভোট শেষে স্ত্রীকে বলি আমার দেরি হবে তুমি চলে যাও। তখন সে পাশেই ফুফুর বাড়িতে যায়। এর কিছুক্ষণ পরই ভোট শেষ হলো। ফলাফলও দেওয়ার জন্য প্রস্তুত। হুট করে বলা হলো ফলাফল দেওয়া হবে ইউএনও অফিসে। কেন্দ্রে কেন দেওয়া হবে এ নিয়ে গন্ডগোল।
    তিনি বলেন, একপর্যায়ে ফলাফল ঘোষণা করা হয়, তালা মার্কা জয়ী হয়েছেন। এরপর খালেদুর রহমানের (মোরগ মার্কা) লোকজন এসে বলে তালা মার্কা কীভাবে জিতল? মোরগ জিতেছে। এ নিয়েই পুলিশ ও এজেন্টের সঙ্গে খালেদুরের সমর্থকরা হাতাহাতি করেন। পরে পুলিশ কেন্দ্র থেকে ৩০০ গজ দূরে আসলে মোরগ মার্কার সমর্থকরা রাস্তা আটকে পুলিশকে ভোটের ফলাফল নিয়ে যেতে বাধা দেয়। ইউপি সদস্য সমর্থকদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। গন্ডগোল দেখে ৪০০ গজ দূরে চলে যাই। এরপর পাঁচবার গুলির শব্দ পাই। পুলিশ গুলির পর গ্যাস ছুঁড়ে স্থান ত্যাগ করে।
    তিনি আরও বলেন, লোকজনের মুখে শুনতে পারি একজন মারা গেছে। কে মারা গেছে কেউ বলতে পারে না। তখন আমি সামনে গিয়ে দেখি আমার মেয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। মাথার একটা অংশ নাই। মেয়ের এই অবস্থা দেখে আমি জ্ঞান হারিয়ে ফেলি। ঘটনার ১২ দিনেও আমার মেয়েকে কে মারল জানতে পারলাম না। প্রশাসনের লোকজন এসে এখনো বিভিন্ন প্রশ্ন করছেন। ছোট্ট মেয়েকে ভোটের কারণে হারালাম, এমন ভোট আমরা চাই না। কোনো মায়ের বুক যেন আর খালি না হয় এটাই অনুরোধ।
    এ বিষয়ে রাণীশংকৈল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম জাহিদ ইকবাল জানান, নির্বাচনী সহিংসতায় অজ্ঞাতনামা ৮০০ জনকে আসামি করে থানায় পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এখনো তদন্ত চলছে।
    তবে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত দোষিদের আইনের আওতায় আনার আশ্বাস দিয়েছেন জেলা পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর হোসেন।
    প্রসঙ্গত, গত ২৭ জুলাই রাণীশংকৈল উপজেলার তিনটি ইউনিয়নে ভোট অনুষ্ঠিত হয়। শিশু সুরাইয়াকে নিয়ে মা মিনারা বেগম রাণীশংকৈল ভাংবাড়ি ভিএফ নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে ভোটের ফলাফল দেখতে যান। ভোটগ্রহণ শেষে ফলাফল ঘোষণাকে কেন্দ্র করে বাচোর ইউনিয়নের ভাংবাড়ি ভি.এফ নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে  পরাজিত ইউপি সদস্য সমর্থকদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংঘর্ষ হয়।
    পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ গুলি ছুড়লে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয় ৯ মাস বয়সী শিশু সুরাইয়া। সেদিনের সেই ঘটনায় পুলিশ ও প্রিসাইডিং অফিসার বাদী হয়ে তিনটি মামলা করে। মামলাগুলোয় ৮শ’ জনকে অজ্ঞাতনামা করে মামলা করা হয়।
  • শ্রীমঙ্গলে আদিবাসী দিবস পালন।

    শ্রীমঙ্গলে আদিবাসী দিবস পালন।

     শ্রীমঙ্গলে আদিবাসী দিবস পালন।

    আমরা আদিবাসী ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী নয়, আদিবাসীদের মাতৃভাষায় শিক্ষা পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন চাই, উপজাতি নয় আমরা আদিবাসী, সরকারি চাকুরীতে আদিবাসী কোটা পূনর্বহাল করতে হবে, উন্নয়নের নামে আদিবাসী উচ্ছেদ বন্ধ করে আদিবাসীদের সাংবিধানিক স্বীকৃতিসহ বিভিন্ন  দাবী নিয়ে
     শ্রীমঙ্গলে আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস  পালিত হয়েছে।
    মঙ্গলবার (৯ আগষ্ট) শ্রীমঙ্গল মহসিন অডিটোরিয়ামে বৃহত্তর সিলেট ত্রিপুরা উন্নয়ন পরিষদ এর আয়োজনে ” ঐতিহ্যগত বিদ্যা সংরক্ষণ ও বিকাশে আদিবাসী নারী সমাজের ভূমিকা ” শীর্ষক র‍্যালি, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
    বৃহত্তর সিলেট ত্রিপুরা উন্নয়ন পরিষদ এর সভাপতি জনক দেববর্মা এর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সুমন দেববর্মার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন শ্রীমঙ্গল উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ভানুলাল রায়, বিশেষ অতিথি হিসাবে ছিলেন উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান হাজী লিটন আহমেদ, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মিতালী দত্ত,সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) সভাপতি দীপেন্দ্র ভট্রাচার্য,সেন্ট জোসেফ গীর্জা’র পাল পুরোহিত  নিকোলাস বাড়ৈ সিএসসি,খাসি সোশ্যাল কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক  এলিসন সুঙ, উপজেলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি জহর তরফদার, খ্রীষ্টান এসোসিয়েশন শ্রীমঙ্গল উপজেলা শাখার সভাপতি ডমিনিক সরকার রনি, বৃহত্তর সিলেট ত্রিপুরা উন্নয়ন পরিষদের উপদেষ্টা চিত্তরঞ্জন দেববর্মাসহ আদিবাসী জনগোষ্ঠীর খাসি, ত্রিপুরা, গারো, সাঁওতাল, মুন্ডা ও চা জনগোষ্ঠী সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব এবং সুশীল সমাজের প্রতিনিধিবৃন্দ।
    প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপজেলা চেয়ারম্যান ভানু লাল রায় বলেন, আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবসে যে সকল দাবি তুলে ধরা হয়েছে সেগুলো পর্যালোচনা করে রাষ্ট্রের সুরক্ষা বজায় রেখে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করতে হবে। বর্তমান সরকার নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে নানামুখী কর্মসূচি হাতে নিয়েছে সরকার। আমরা সেগুলো বাস্তবায়ন করছি।
    আলোচনা সভা শেষে বিভিন্ন আদিবাসী সাংস্কৃতিক দলের নিজস্ব সংস্কৃতির গান ও নৃত্য অনুষ্ঠানকে প্রাণবন্ত করে তোলে।
  • তাড়াশে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিকে হুইল চেয়ার বিতরণ।

    তাড়াশে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিকে হুইল চেয়ার বিতরণ।

    তাড়াশে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিকে হুইল চেয়ার বিতরণ।

    সিরাজগঞ্জের তাড়াশে প্রতিবন্ধী পরিবারকে হুইল চেয়ার দিয়ে সহায়তা করলো ভিলেজ ভিশন বাংলাদেশ নামের স্থানীয় একটি সংগঠন। ওই পরিবারের পিতা পুত্র দুজনেই প্রতিবন্ধী ।

    উপজেলার বারুহাস ইউনিয়নের পেঙ্গুয়ারী গ্রামের জয়নাল আবেদীন (৭০) বস্তুল ইহাসাক উচ্চ বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ১৫ বছর আগে স্ট্রোক করে শারীরিক প্রতিবন্ধিতায় ভুগছেন আর ছেলে হৃদয় হোসেন (২৫) জন্মগত ভাবেই সেরিব্রাল পলসি (সিপি) শারীরিক প্রতিবন্ধিতা নিয়ে জন্ম গ্রহন করে বসবাস করছেন। একই পরিবারে ২জন প্রতিবন্ধী ব্যক্তি নিয়ে চলছে সংসারের দর্বিসহ জীবন। এমন পরিস্থিতিতে ভিলেজ ভিশন বাংলাদেশ এর নির্বাহী পরিচালক শরিফ খন্দকার ও ওই সংগঠনের ভলান্টিয়ারগন ওই পরিবারে গিয়ে পাশে দাড়ায়।

    মানবতার কাজে সবার পাশে এই শ্লোগান নিয়ে ছেলে হদয় হোসেনকে ১টি হুইল চেয়ার দেওয়ার ওয়াদা করেন। সেই প্রেক্ষাপটে ফেসবুক বন্ধুদের কাছে আবেদন করলে অর্থের যোগান হয়। হাউজ অব মান্নান চ্যারিটেবল ট্রাষ্ট’র তত্বাবধানে প্রচেষ্ঠা (সবার পাশে) এই চেয়ার প্রদান করেন।

    গতকাল ৮ আগষ্ট বিকালে ভিলেজ ভিশনের অর্থায়নে ওই পরিবারে গিয়ে হৃদয় হোসেন (সিপি শারীরিক) প্রতিবন্ধী ব্যক্তির হাতে হুইল চেয়ার তুলে দেন হাউজ অব মান্নান চ্যারিটেবল ট্রাষ্ট এর প্রচেষ্ঠা (সবার পাশে) এর পরিচালক পরিচালক শাহাবাজ খান সনি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ভিলেজ ভিশনের পরিচালক শরীফ খন্দকার, ডাক্তার রাজু আহমেদ,ভলান্টিয়ার সুলতান মাহমুদ, সাকিল আহমেদ,সিয়াম ।

     

  • ভ্রাম্যমান আদালতের ভয় দেখিয়ে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে।

    ভ্রাম্যমান আদালতের ভয় দেখিয়ে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে।

    ভ্রাম্যমান আদালতের ভয় দেখিয়ে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে।
    ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার  বড়পলাশবাড়ী ইউপি সদস্য আবু সালেহের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতে ৩ মাসের জেল ও জরিমানার ভয় দেখিয়ে সীমান্তের নদ থেকে বালু উত্তোলনকারীর আমির হামজা নামে এক ব্যক্তির নিকট থেকে ৬৫ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে।
    এ ঘটনায় ভুক্তভোগী আমির হামজা গত ৩১ জুলাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) বরাবর বিচার চেয়ে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। বিষয়টি তদন্তের জন্য গত ২ আগস্ট উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) যোবায়ের হোসেনের স্বাক্ষরিত একটি পত্রে বুধবার (১০ আগস্ট) শুনানিতে দুই পক্ষকে তাঁর কার্যালয়ে উপস্থিত হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
    জানা যায়, অভিযুক্ত ইউপি সদস্য আবু সালেহ উপজেলার বড় পলাশবাড়ী ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য এবং অভিযোগকারী আমি হামজা একই ইউনিয়নের কাশুয়া পশ্চিমপাড়া গ্রামের নুহু মোহাম্মদের ছেলে।
    অভিযোগকারী আমির হামজা জানান, ‘বাড়িতে ব্যবহারের জন্য গেল ১৭ জুলাই মেশিন চালিত পাওয়ার ট্রলিতে নাগর নদ থেকে বালু নিয়ে আসার সময় নাগরভিটা ক্যাম্পের বিজিবি সদস্যরা ট্রলিটি আটক করে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের জিম্মায় দেন এবং ইউএনওকে অবগত করেন। পরদিন ১৮ জুলাই ইউপি চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্য আবু সালেহ ও গ্রামপুলিশের মাধ্যমে চালকসহ ট্রলিটিকে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় হাজির করলে তিনি ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে চালক ও আমাকে পৃথকভাবে ১ হাজার টাকা করে দুজনকে দুই হাজার টাকা জরিমানা করেন। আমরা জরিমানার টাকা জমা করলে ট্রলি ও চালককে ছেড়ে দেন।’
    তিনি আরও জানান, ‘এ ঘটনার পর ১৮ জুলাই রাতে আমার বাড়িতে উপস্থিত হয়ে ইউপি সদস্য আবু সালেহ ভ্রাম্যমাণ আদালতে ৩ মাসের জেল থেকে বাঁচানোর জন্য খরচ হয়েছে বলে আমার নিকট ৮০ হাজার টাকা দাবি করে। আমি টাকা না দিলে ইউপি সদস্য ও তাঁর লোকজন মিলে পাওয়ার ট্রলিটি আমার বাড়ি থেকে জোরপূর্বক নিয়ে যায় এবং বিভিন্ন ধরনের হুমকি দেয়। এর পর নিরুপায় হয়ে দুই বারে ৬৫ হাজার টাকা দিয়ে ট্রলিটি ছাড়িয়েছি। অবশিষ্ট ১৫ হাজার টাকার জন্য চাপ প্রয়োগ করতে থাকলে আমি কৌশলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবগত করি। তিনি লিখিতভাবে জানানোর পরামর্শ দিলে লিখিতভাবে অভিযোগ করি।’
    তবে অভিযোগ অস্বীকার করে ইউপি সদস্য আবু সালেহ জানান, ‘ভ্রাম্যমাণ আদালতের জরিমানা থেকে রক্ষা পেতে তিনি নিজেই আমার নিকট এসেছিল। আমিসহ ইউএনও’র কার্যালয়ে সুপারিশ করতে গেলে ইউএনও আমাকে বের করে দিয়ে বিচারের রায় দেন। এর পরের কোনো ঘটনা আমি জানি না। আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে মিথ্যা অভিযোগ করেছেন। তাঁর  নিকট থেকে আমি কোনো টাকা নেইনি।’
    উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা যোবায়ের হোসেন জানান, ভ্রাম্যমাণ আদালতের ভয় দেখিয়ে টাকা আত্মসাতের ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ দপ্তরে জমা হয়েছে। আগামীকাল শুনানির জন্য দুই পক্ষকে ডাকা হয়েছে। শুনানিতে দোষ প্রমাণিত হলে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
  • নাগরপুরে নদীর পাড় ভাঙনে হুমকীর মুখে বসতবাড়ি-কবরস্থান।

    নাগরপুরে নদীর পাড় ভাঙনে হুমকীর মুখে বসতবাড়ি-কবরস্থান।

    নাগরপুরে নদীর পাড় ভাঙনে হুমকীর মুখে বসতবাড়ি-কবরস্থান।

    মোঃআব্দুল্লাহ খিজির,স্টাফ রিপোর্টার : টাঙ্গাইলের নাগরপুর সদর বাবনাপাড়া বেপারী পাড়া এলাকার একাংশ নোয়াই নদী বেষ্টিত হওয়ায় নদীর পাড় প্রবল স্রোতে কিছু কিছু জায়গায় ভেঙে যাওয়ায় প্রায় হাফ কিলোমিটার সড়ক ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত অবস্থায় রয়েছে এবং নদীর পাড় সংলগ্ন বসত-বাড়ি ও বেপারী পাড়া কবরস্থান ভাঙনের হুমকীতে রয়েছে। ভৌগলিক বিবেচনায় নাগরপুর উপজেলা পরিষদ ভবন এলাকা ও বাবনাপাড়া-বেপারী পাড়া এলাকার পাশ দিয়ে নোয়াই নদী বয়ে গেছে যা প্রতিবছর বন্যায় প্রবল স্রোত ধারণ করে এবং স্রোতে নদী পাড় বিভিন্ন স্থানে ভেঙে যায়। এতে পাড় সংলগ্ন সড়ক প্রায় বিলুপ্তির পথে রয়েছে। স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, এই নদীর পাড় সংলগ্ন সড়ক দিয়ে যদুনাথ স্কুল, উপজেলা, থানা সহ গুরুত্বপূর্ণ অন্তত ৫ টি এলাকায় সহজে যাতায়াত করা যায়। এই সড়ক রক্ষায় নদীর পাড়ে গাইড ওয়াল নির্মাণ ব্যাপক জরুরী।

    স্থানীয় বাসিন্দা মো: আমিরুল ইসলাম আমিন বলেন, বাবনাপাড়া বেপারী পাড়া নদীর পাড়ের এই সড়ক দিয়ে হাজার হাজার জনসাধারণ চলাচল করে। নদীর পাড় ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় সড়কে চলাচল ব্যাপক ঝুঁকিপূর্ণ। এই সড়কে একটি গাইড ওয়াল ব্যাপক প্রয়োজন। দ্রুত এই সড়ক সংস্কার করার এবং নদীর পাড় ও সড়ক রক্ষায় একটি গাইড ওয়াল নির্মাণের জোর দাবী জানাচ্ছি। আরেক বাসিন্দা মো: হাবিবুল হক জানায়, আমাদের বাড়ির পাশেই নোয়াই নদী। গাইড ওয়াল না থাকায় আমাদের সড়ক ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। অনেকবার সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে জানানো হলেও এখন পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। অতিদ্রুত পদক্ষেপ না নেয়া হলে আমাদের সড়ক ও বাড়ি-ঘর ভেঙে যাওয়ার আশংকা রয়েছে। উক্ত সড়ক দিয়ে প্রতিদিন চলাচলকারী বাসিন্দা শ্যামল বাকালী বলেন, আমরা এলাকায় প্রায় ৩০ টি হিন্দু পরিবার বসবাস করি। এই সড়কে চলাচলে ব্যাপক ঝুঁকিপূর্ণ। কেউ অসুস্থ হলে হাসপাতালে নেওয়া কষ্টসাধ্য ব্যাপার। কোনো যানবাহন চলাচল করতে পারে না এই সড়কে।

    নাগরপুর বাবনাপাড়া বেপারী পাড়া মসজিদ কমিটি সভাপতি মোঃ ফজলুল হক বলেন, আমাদের এই গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ব্যাপক ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে। নদীতে ভেঙে যাচ্ছে এবং একটি সেতু আছে সেটাও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। যদি নদীর পাড়ে সড়কের পাশে গাইড ওয়াল নির্মাণ না করা হয় তাহলে এখানে বাবনাপাড়া বেপারী পাড়া কবরস্থানের ওয়াল গেইট ভেঙে যাওয়ায় আশংকা রয়েছে। সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি দ্রুত সড়ক সংস্কার ও গাইড ওয়াল নির্মাণ করে নদীর ভাঙন থেকে আমাদের রক্ষা করার।

    নাগরপুর সদর ইউনিয়ন ২ নং ওয়ার্ড সদস্য (মেম্বার) মো: রহম আলী বলেন, বর্তমানে আমাদের কোনো বাজেট নাই। বাজেট হলে দ্রুত এই সড়ক সংস্কার ও গাইড ওয়াল নির্মাণ করা হবে।

    উল্লেখ্য, নাগরপুর সদর বাবনাপাড়া বেপারী পাড়া এলাকার এই সড়ক দিয়ে কেন্দ্রীয় মসজিদ, যদুনাথ স্কুল, উপজেলা পরিষদ, নঙিনাবাড়ি, মীর নগর এলাকায় সহজে যাতায়াত সাধিত হয়। গুরুত্ব বিবেচনায় উপজেলা পরিষদ কেন্দ্রীক প্রশাসনিক এলাকা হিসেবে এই এলাকা ব্যাপক পরিচিত ।

  • লক্ষ্মীপুরে বিষ প্রয়োগে পুকুরের মাছ নিধনের অভিযোগ।

    লক্ষ্মীপুরে বিষ প্রয়োগে পুকুরের মাছ নিধনের অভিযোগ।

    লক্ষ্মীপুরে বিষ প্রয়োগে পুকুরের মাছ নিধনের অভিযোগ।


    লক্ষ্মীপুর রামগঞ্জ উপজেলাতে ৪নং ইছাপুর ইউনিয়নের নুনিয়াপাড়া গ্রামের মিজি বাড়ির তথা নুনিয়াপাড়া জামে মসজিদ পুকুরটির মাছ মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) ভোর রাতে বিষ প্রয়োগ করে পুকুরের মাছ নিধনের অভিযোগ উঠেছে সাইফুল ইসলাম সুমন ও মোঃ মজিদের বিরুদ্ধে।

    স্থানীয় ও রামগঞ্জ থানার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ফজরের নামাজের অজু করতে উঠে বাড়ির কিছু মুরুব্বী সুমন বিষের বোতল হাতে পুকুরে বিষ ঢালতেছে। এমন সময় বাড়ির লোকজন এগিয়ে আসলে সে দ্রুত বিষ ডেলে বোতল হাতে নিয়ে পালিয়ে যায়। এনিয়ে এলাকায় চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।

    মুক্তভুগী ফরিদ হোসেন, সাইফুল ইসলাম, শিহাব হোসেন, ইমারত হোসেন, মো:দুলাল মিজি, সিরাজ মিজি, হোসেন মিজি জানান, ১৪২৪ বাংলা শন হইতে ৩০ই চৈত্র ১৪২৮ পর্যন্ত পুকুরের ইজারার মেয়াদ ছিল। এর পুকুরের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরে ইজারাদার পানি নিষ্কাশন করে আমাদেরকে পুকুর বুঝিয়ে দেয়। এর গত বৈশাখের ২ তারিখে আমরা পুকুরে মাছ চাষের উদ্দেশ্যে পোনা মাছ ছাড়ি। কিন্তু সাইফুল ইসলাম সুমন ও মজিব তাদেরকে পুনরায় পুকুর ইজারা দেওয়ার জন্য বাড়ির লোক ও মসজিদ কমিটিকে চাপ প্রয়োগ করে। আমরা দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় গতকয়েকদিন থেকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি ধমকি ও নানাধরনের মিথ্যা মামলার ভয় দেখিয়ে আসছে। এরই জের ধরে মঙ্গলবার, ভোর রাতে বিষ প্রয়োগ করে পুকুরের মাছ মেরে ফেলে।

    এই ব্যাপারে অভিযুক্ত সাইফুল ইসলাম সুমন বলেন, আমরা পুকুরের মেয়াদ এখনো শেষ হয়নি। তাই আমার পুকুরে কে বা কারা বিষ প্রয়োগ করে।

    এই ব্যাপারে রামগঞ্জ থানার (ওসি) এমদাদুল হক জানান, মাছ নিধরের ব্যাপারে অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে

  • আড়ানীর রেল লাইনের উপর দ্বিখন্ড যুবকের লাশ উদ্ধার।

    আড়ানীর রেল লাইনের উপর দ্বিখন্ড যুবকের লাশ উদ্ধার।

    আড়ানীর রেল লাইনের উপর দ্বিখন্ড যুবকের লাশ উদ্ধার।

    রাজশাহীর বাঘা উপজেলার আড়ানীর রেল লাইনের উপর দ্বিখন্ডিত মাহফুজুর রহমান মিশন (২৫) নামের এক যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) বেলা ১২টার দিকে আড়ানী রেল স্টেশনের পশ্চিম দিকে রেল লাইনের উপর থেকে ঈশ্বর্দী রেলওয়ে জিআরপি থানার পুলিশ এই লাশ উদ্ধার করে। মাহফুজুর রহমান মিশন উপজেলার নওটিকা গ্রামের মৃত গাজী রহমানের ছেলে।
    এ বিষয়ে মাহফুজুর রহমান মিশনের মা বলেন, আমার ছেলে রোববার বিকেলে বাড়ি থেকে পীরগাছা বাজারে নিজস্ব মোবাইল এজেন্ট ও ফ্ল্যাক্সিলোডের দোকানে যায়। প্রতিদিন রাত ৯-১০ টার দিকে দোকান থেকে বাড়িতে আসে। কিন্তু সে আর বাড়িতে আসেনি। তাকে বিভিন্নস্থানে খোঁজ করেও পাওয়া যায়নি। সোমবার রাত ৮টার দিকে মোবাইল ফোনে আমার সাথে শেষ কথা হয়। সে আমাকে বলে কে বা কারা চোখ মুখ বেধে রাখা হয়েছে। আমাকে বাঁচাও। তারপর ফোন কেটে যায়।
    পরের দিন মঙ্গলবার আড়ানী রেল স্টেশনের পশ্চিম দিকে রেল লাইনের উপর থেকে ঈশ্বর্দী রেলওয়ে জিআরপি থানার পুলিশ দ্বিখন্ডিত লাশ উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়না তদন্তের জন্য প্রেরণ করেন।
    মাহফুজুর রহমান মিশনের ছোট ভাই রাসেল হোসেন বলেন, আমার ভাই ঢাকায় আম ও লিচুর ব্যবসা করেন। টাকা লেনদেনের বিষয়ে মাঝে মধ্যে ঢাকায় যায়। এছাড়া এলাকায় কিছু ঋণ ছিল। পাওনিদাররা চাপ দেওয়ার কারনে টাকা দিতে না পেরে তাকে কৌশলে ডেকে নিয়ে হত্যা করে রেললাইনের উপর রাখা হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। এ বিষয়ে সুষ্ট তদন্ত করে হত্যাকারীদের বিচার দাবি করেন তিনি।
    এদিকে স্বামী মাহফুজুর রহমান মিশনের  মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর থেকে স্ত্রী তুসি খাতুন তিন বছরের কন্যা সন্তান মেহেরীনকে কোলে নিয়ে নিথরভাবে বসে আছে। কিছুই বলছেনা। মুখ দিয়ে কি যেন বলছেন, বুঝা যাচ্ছিলনা।
    এ বিষয়ে আড়ানী রেল স্টেশনের মাষ্টার সদরুল হোসেন বলেন, ঢাকা, খুলনা, দিনাজপুরসহ বিভিন্ন অঞ্চল থেকে প্রতিদিন রাজশাহীতে ২৪টি ট্রেন আপ ডাউন করে। কোন একটি ট্রেনের নিচে পড়ে এই যুবকের মৃত্যু হয়েছে। আমার পয়েন্টম্যান সকালে লাইন ক্লিয়ার দিতে গেলে দ্বিখন্ড লাশ দেখতে পায়। পরে ঈশ্বর্দী রেলওয়ে জিআরপি থানার পুলিশকে অবগত করি। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে দুপুরে লাশ উদ্ধার করে।
    এ বিষয়ে ঈশ্বর্দী রেলওয়ে জিআরপি থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) শফিকুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়না তদন্তের জন্য প্রেরণ করা হয়েছে। এ বিষয়ে একটি ইউডি মামলা দায়ের করা হয়েছে। তার কাছে একটি মোবাইল, মানি ব্যাগ, কিছু টাকা, তার ব্যক্তিগত প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পাওয়া গেছে। এছাড়া তার মোবাইলের কল লিষ্ট ডিলেট করা ছিল।
    উল্লেখ্য, ১২ জুলাই সকাল ৮টার দিকে উপজেলার আড়ানী রেলস্টেশনের পূর্ব দিকে রেললাইনের উপর অজ্ঞাত (২০) যুবকের দ্বিখন্ড লাশ উদ্ধার করে ঈশ্বর্দী রেলওয়ে জিআরপি থানার পুলিশ। ময়না তদন্ত শেষে ১৩ জুলাই একটি ইসলামি সংস্থা আঞ্জুমান মফিদুল ইসলামের উদ্দ্যোগে লাশ দাফন করা হয়। ৮ দিনেও তার পরিচয় সনাক্ত হয়নি। এধনের ঘটনা কেন ঘটছে, তাই এগুলো সুষ্ট তদন্ত করে আইনী ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য স্থানীয়রা দাবি করেন।
  • মাধবপুরে গাঁজা ও পিকআপসহ মাদক ব্যবসায়ী আটক।

    মাধবপুরে গাঁজা ও পিকআপসহ মাদক ব্যবসায়ী আটক।

    মাধবপুরে গাঁজা ও পিকআপসহ মাদক ব্যবসায়ী আটক।


    হবিগঞ্জের মাধবপুরে কমলপুর এলাকা থেকে ২৫ কেজি গাঁজা ও পিকাপ ভ্যানসহ শাকিল মিয়া (২৩) নামে এক মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।

    আটককৃত ব্যক্তিহল সিলেট জেলার বিশ্বনাথ উপজেলার পশ্চিম শাসরাম এলাকার কাচা মিয়ার পুত্র। বিজিবি হবিগঞ্জ ৫৫ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সামীউন্নবী চৌধুরী জানান,মঙ্গলবার ভোরে মনতলা বিওপির হাবিলদার সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে বিজিবির টহলদল কমলপুর- মনতলা সড়কের কমলপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে উল্লেখিত মাদক কারবারীকে গাঁজা ও পিকাপসহ আটক করে।

    আটককৃতের বিরুদ্ধে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মাধবপুর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।