Author: admin

  • উল্লাপাড়ার সলপ কলেজের সভাপতি হলেন চৌধুরী ইকতিয়ার মমিন।

    উল্লাপাড়ার সলপ কলেজের সভাপতি হলেন চৌধুরী ইকতিয়ার মমিন।

    উল্লাপাড়ার সলপ কলেজের সভাপতি হলেন চৌধুরী ইকতিয়ার মমিন।


    সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার ঐতিহ্যবাহী সলপ ডিগ্রী কলেজ পরিচালনা কমিটির সভাপতি পদে নির্বাচিত হয়েছেন বাংলাদেশ সরকারের সাবেক রাস্ট্রদূত চৌধুরী ইকতিয়ার মমিন জিলু। তিনি কর্মজীবনে স্পেন সহ বিভিন্ন রাস্ট্রে বাংলাদেশ সরকারের পররাস্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি হিসেবে রাস্ট্রদূতের দায়িত্ব পালন করেছেন। গত ২ আগস্ট জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলরের পক্ষে কলেজ পরিদর্শক (ভারপ্রাপ্ত) ফাহিমা সুলতানা এই কলেজ পরিচালনা কমিটির অনুমোদন দেন।

    সলপ ডিগ্রী কলেজ পরিচালনা কমিটির অপর সদস্যরা হলেন, প্রতিষ্ঠাতা সদস্য সাবেক অধ্যক্ষ মোছাঃ হাছিনা খাতুন, দাতা সদস্য মোঃ আকবর আলী আকন্দ, বিদ্যোৎসাহী সদস্য মোঃ মাছুদুর রহমান, ছাত্র অভিভাবক সদস্য আকন্দ মনোয়ারুল ইসলাম, মোছাঃ খাদিজা খাতুন, শিক্ষক প্রতিনিধি হলেন, অর্থনীতি বিষয়ের শিক্ষক শাপলা খাতুন, রসায়ন বিষয়ের শিক্ষক মোঃ মনোয়ার হোসেন, শারীর চর্চা বিষয়ের শিক্ষক মোঃ আব্দুল মান্নান ও কমিটির সদস্য সচিব কলেজ অধ্যক্ষ মলয় কুমার ভুইত।

    আগামী ২ বছর এই নব নির্বাচিত পরিচালনা কমিটি কলেজ পরিচালনা করবেন বলে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মলয় কুমার ভূইত জানান।

  • উল্লাপাড়ায় স্বামীর সঙ্গে অভিমান করে বিষ পানে গৃহবধুর আত্মহত্যা। 

    উল্লাপাড়ায় স্বামীর সঙ্গে অভিমান করে বিষ পানে গৃহবধুর আত্মহত্যা। 

    উল্লাপাড়ায় স্বামীর সঙ্গে অভিমান করে বিষ পানে গৃহবধুর আত্মহত্যা। 


    সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় বরযাত্রী হয়ে বিয়ে বাড়ীতে যেতে না পেরে স্বামীর সঙ্গে অভিমান করে বিষ পানে রত্না খাতুন(৩২) নামের এক গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছে।ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার ভূতবাড়ীয়া গ্রামে।

    শুক্রবার রাত আনুমানিক ৮টার দিকে নিজ বাড়ীতে এ মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। গৃহবধূ রত্মা উপজেলার বড়হর ইউনিয়নের ভুতবাড়িয়া গ্রামের আব্দুল মোমেন এর স্ত্রী।

    উল্লাপাড়া মডেল থানার উপ পরিদর্শক সজীব হাসান জানান, পূর্ব থেকেই স্বামী স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিক কলহ ও ঝগড়া বিবাদ চলে আসছিল। ঘটনার দিন পাশের প্রতিবেশির বিয়েতে পারিবারিক দাওয়াত ছিল তাদের। স্ত্রী রত্নার সেই বিয়েতে যাবার কথা ছিল। কিন্তু মোমেন স্ত্রী রত্নাকে না নেওয়ায় স্বামীর উপর অভিমান করে রত্মা কীটনাশক খেয়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। পুলিশ রাতেই গৃহবধুর লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।

    রত্মার বাবা আব্দুল মজিদ বলেন, ‘আমার মেয়ে তাঁর স্বামীর সঙ্গে ভালোই ছিল। হঠাৎ কেন বিষ খেল, বুঝতে পারছি না।’

    উল্লাপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত ওসি) এনামুল হক বলেন, গৃহবধূর মৃত্যুর ঘটনায় ইউডি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য শুক্রবার দুপুরে লাশ সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

  • উল্লাপাড়ায় ভুয়া কাজী মাদ্রাসা শিক্ষক গ্রেফতার।

    উল্লাপাড়ায় ভুয়া কাজী মাদ্রাসা শিক্ষক গ্রেফতার।

    উল্লাপাড়ায় ভুয়া কাজী মাদ্রাসা শিক্ষক গ্রেফতার।


    সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় বিয়ের আসর থেকে বিবাহ নিবন্ধন কালে মোঃ আব্দুস সালাম (৪২) নামের এক ভুয়া কাজীকে গ্রেফতার করেছে উল্লাপাড়া মডেল থানা পুলিশ। শুক্রবার সন্ধ্যায় উপজেলার পশ্চিম মহেশপুর গ্রাম থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় তার কাছ থেকে বিবাহ নিবন্ধনের একটি বইও জব্দ করে পুলিশ। গ্রেফতার সালাম উপজেলার উধুনিয়া ইউনিয়নের ফাজিল নগর গ্রামের আসগর আলীর ছেলে ও বিনায়েকপুর দাখিল মাদ্রাসার মৌলভী পদের সহকারী শিক্ষক।

    থানার মামলা সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে উপজেলার উধুনিয়া ইউনিয়ন ও আশেপাশের বিভিন্ন এলাকায় সরকারের অনুমোদন ছাড়াই বিবাহ নিবন্ধনের নকল বালাম বই তৈরি করে বাল্য বিবাহ সহ নিকাহ নিবন্ধন করে আসছিলেন এই ভুয়া কাজী। গত শুক্রবার সন্ধ্যায় উপজেলার পশ্চিম মহেশপুর গ্রামে একটি বিবাহ রেজিষ্ট্রেশন করা কালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উল্লাপাড়া মডেল থানা পুলিশের একটি দল এই ভুয়া কাজীকে গ্রেফতার করে। এ সময় তার কাছ থেকে নকল নিকাহ্ রেজিস্ট্রার বই জব্দ করে পুলিশ। রাতেই পুলিশ বাদী হয়ে তার বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করে।

    মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) এনামুল হক জানান, শনিবার সকালে গ্রেফতার ভুয়া বিবাহ নিবন্ধনকারী কাজীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।

  • বড় ভাইয়ের নাম ও সনদ ব্যবহার করে ১৯ বছর যাবত ছোট ভাই পুলিশের এএসআই।

    বড় ভাইয়ের নাম ও সনদ ব্যবহার করে ১৯ বছর যাবত ছোট ভাই পুলিশের এএসআই।

    বড় ভাইয়ের নাম ও সনদ ব্যবহার করে ১৯ বছর যাবত ছোট ভাই পুলিশের এএসআই।

    (ছাতক সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ
    আলোচনা ও সমালোচনার উর্ধে থেকে জাল-জালিয়াতিসহ নানা অপরাধ কর্মকাণ্ড নির্মুলে সুনামের সাথে কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী। সেই বাহিনীর চোখে ধুলো দিয়ে ২০০৩ সালে অন্যন্ত পরিকল্পিত ভাবে সু-কৌশলে পুলিশে চাকুরী নিয়েছেন এক ব্যাক্তি। প্রায় ১৯ বছর ধরে তিনি পুলিশে চাকুরী করছেন। কনস্টেবল থেকে পদোন্নতি পেয়ে বর্তমানে তিনি এএসআই।এমন ঘটনায় এলাকায় বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

    পুলিশ সদর দপ্তরে দায়ের করা এক লিখিত অভিযোগ ও স্থানীয় লোকজনের সাথে আলাপ করে জানা যায়, সুনামগঞ্জ জেলার দোয়াবাজার উপজেলার বাংলাবাজার ইউনিয়নের ঝুমগাও ইসলামপুর গ্রামের মৃত মোক্তল হোসেন মজুমদারের ৫ পুত্র ও ৫ কন্যা সন্তান রয়েছে। তার প্রথম পুত্র বাবুর্চি রুস্তম মজুমদার, দ্বিতীয় পুত্র স্কুল শিক্ষক মিজান মজুমদার, তৃতীয় পুত্র পল্লী চিকিৎসক মোশাররফ হোসেন মজুমদার, পুলিশের এএসআই পদে চাকুরীরত চতুর্থ পুত্র মোবারক হোসেন মজুমদার ও পঞ্চম পুত্র শ্রমিক মোতালিব হোসেন মজুমদার।

    বর্তমানে তার তৃতীয় ও চতুর্থ দুই পুত্রের নাম এখন মোশাররফ হোসেন ও মোশারেফ হোসেন মজুমদার। ব্যবধান শুধু একটি বর্ণ ও বংশগত টাইটেলের। এদের মধ্যে বড় ভাই মোশাররফ হোসেন থেকে মোশারেফ হোসেন মজুমদার হয়েছেন। আর ছোট ভাই মোবারক হোসেন থেকে হয়েছেন মোশাররফ হোসেন। মোবারক মোশাররফ হোসেনের সনদ নিয়ে বড় ভাইয়ের নামে চাকুরী করছেন পুলিশে। ধারনা করা হচ্ছে ছোট ভাইয়ের চাকুরী সুরক্ষা দিতে বড় ভাই মোশাররফ তার নামের একটি বর্ন পরিবর্তন পূর্বক বংশগত টাইটেল যুক্ত করে মোশারেফ হোসেন মজুমদার নাম ধারণ করেছেন। যদিও বর্তমানে এনআইডির তথ্য অনুসারে মোবারক এখন পুলিশের এএসআই মোশাররফ আর মোশাররফ এখন মোশারেফ।
    জানা,যায় ২০১৭ সালে এনআইডি সংশোধন করে মোবারকের বড় ভাই মোশাররফ থেকে মোশারেফ করা হয়েছে। এনআইডি সংশোধনের পুর্বে ২০১৬ সালে মোশারেফ ভোটার তালিকা অনুযায়ী মোশাররফ ছিলেন। এমন কি তার স্ত্রী তাসলিমা বেগমের এনআইডিতে স্বামীর কলামে রয়েছে মোশাররফ, তার মাদরাসা পড়ুয়া মেয়ে ইসরাত জাহান জেনীর ভর্তি তথ্যেও বাবা মোশাররফ। এছাড়াও
    স্থানীয় হকনগর বাজার ব্যবসায়ী কমিটির তালিকা, সম্প্রতি ইউপি নির্বাচনে সদস্য পদপ্রার্থীর পোষ্টার ও উপজেলা সেচ্ছাসেবক দলের তালিকায় যুগ্ম আহবায়কসহ বিভিন্ন তালিকায় তিনি মোশাররফ নামই পাওয়া গেছে।
    এনআইডির তথ্য মতে মোবারক মোশাররফ হলেও ২০০০ সালে কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে দোয়ারাবাজারের বোগলা রুসমত আলী উচ্চ বিদ্যালয় (বর্তমানে কলেজ) থেকে ১৯৯৭-৯৮ শিক্ষাবর্ষে বিজ্ঞান বিভাগে এসএসসি পাশ করেন মোক্তল হোসেনের চতুর্থ পুত্র মোবারক হোসেন। যার রোল নম্বর ১০৮৮৬৬ ও রেজিস্ট্রেশন নম্বর ৩৩১০৮৬। সনদে জন্ম তারিখ ১২মার্চ ১৯৮২ইংরেজী।
    তার আপন বড় ভাই মোশাররফ হোসেন ১৯৯৮ সালে বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড ঢাকার অধীনে ভূটুয়া শ্রীপুর ইসলামিয়া আলিম মাদরাসা আনন্দপুর কুমিল্লা থেকে ১৯৯৬-৯৭ সালে দাখিল পাশ করেন। যার রোল নম্বর ১২২৫৭৮ ও রেজিষ্ট্রেশন নম্বর ৭৫২৫৯। সনদ অনুযায়ী তার জন্ম তারিখ ৩ জানুয়ারী ১৯৮৪ইংরেজী। বয়স অনুযায়ী মোবারক ছোট হলেও সনদ অনুযায়ী মোশাররফ মোবারকের দুই বছরের ছোট। দুই ভাইয়ের একই নামের ভয়ঙ্কর জাল-জালিয়াতির তদন্তে মাঠে রয়েছেন সহকারী পুলিশ সুপার (জগন্নাথপুর) সার্কেল শুভাশীষ ধর।
    আপন দুই ভাই এখন মোশাররফ এবং মোশারেফ মজুমদার। প্রশ্ন হল মোবারক নামের এসএসসি পাশ সনদের সেই ব্যক্তি এখন কোথায়? যদিও এএসআই মোশাররফের দাবী তার ডাক নাম মোবারক তাহলে এবং এই সনদও তার। প্রশ্ন হল সনদে থাকা নাম,ডাক নাম হয় কিভাবে।তিনি মোশাররফ হোসেন নামে পুলিশের চাকুরী করছেন কিন্তু এলাকায় মোবারকের বড় ভাই ডাক্তার মোশাররফ নামে পরিচিত।
    মোবারক ২০০১ সালে পুলিশে ভর্তি হলেও অনিবার্য কারনে ট্রেনিং এ অংশ নেননি। পরবর্তীতে তিনি পুলিশে ভর্তির সিদ্ধান্ত নিলে নিজ সনদে নির্ধারিত বয়স থেকে বেশি হওয়ায় এবং বড় ভাই মোশাররফের সনদে বয়স কম হওয়াতে তার সনদ ও নাম ব্যবহার করে ২০০৩ সালে মোশাররফ নামে পুলিশে যোগ দেন মোবারক। সে মৌলভীবাজার জেলা পুলিশের অধিনস্থ একটি পুলিশ ফাঁড়িতে এএসআই পদে কর্মরত রয়েছে। চাকুরীতে যোগদানের পর ২০০৭ সালে জাতীয় পরিচয়পত্র প্রনয়নের সময় নিজের ফিঙ্গার দিয়ে এনআইডিতে স্থায়ীভাবে তিনি মোবারক থেকে মোশাররফ বনে যান। এতে তার গ্রামের ঠিকানাও উল্লেখ না করে সিলের টিকানা ব্যবহার করেছে।
    প্রায় ১৮ বছর অতিবাহিত হলেও এলাকাবাসি তার নাম মোশাররফ বলে কখনও শুনেন নি। তাকে মোবারক ও তার বড় ভাইকে ডাক্তার মোশাররফ নামে চিনেন স্থানীয়রা। দফায় দফায় জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে বাংলা সিনেমাকে হার মানিয়েছেন ওই পুলিশ কর্মকর্তা।

    সরজমিন হকনগর বাজারে গেলে পুলিশ কর্মকর্তার বড় ভাই বর্তমান মোশারেফ হোসেন এর সাথে তার দোকানে দেখা হয়।তিনি মজুমদার ডেকোরেটার্স নামে অনেকটা খোলামেলা ভাবে করছেন ফার্মেসি ব্যাবসা।
    ডেকোরেটার্সের আড়ালে ফার্মেসীর ফার্মেসী ব্যাবসা বা ডাক্তারির কোনো সনদও নেই বলে জানান তিনি।
    স্থানীয় সংবাদকর্মীদের উপস্থিতি দেখে মুহুর্তের মধ্যে বাজার ও এলাকার লোকজন ভিড় করেন। সেখানে সরাসরি যা বল্লেন এলাকাবাসি তাতে মোশাররফের কোনো প্রতিবাদ লক্ষ্য করা যায়নি। বরং তার চোখে মুখে ছিল প্রচণ্ড চাপ।
    স্থানীয় ইউপি সদস্য আবদুল কাদির বর্তমান এনআইডির তথ্য অনুসারে তাদের পক্ষে সাফাই গাইতে গিয়ে মুখ ফুসকে প্রথমে পুলিশের নাম মোবারকই চলে আসে।এছাড়াও স্থানীয় অনেকে মোবারক আর মোশাররফ নামই বলেছেন। বাংলাবাজার ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান জসিম মাষ্টারও একই কথা বলেছেন।
    পাশাপাশি নাম প্রকাশে অনইচ্ছুক অনেকে জানিয়েছেন সিলেটে স্থানীয়দের মামলায় ঢুকিয়ে হয়রানি করতেন মোবারক।
    অভিযুক্ত এএসআই মোশাররফ হোসেন ওরফে মোবারক এসব অভিযোগের বিষয় অস্বীকার করলেও মোবারক নামের এসএসি সনদটি সটিক ও তার বলে স্বীকার করেছেন।
    অভিযোগ তদন্তকারী কর্মকর্তা সহকারী পুলিশ সুপার জগন্নাথপুর সার্কেল শুভাশীষ ধর বলেন,তদন্ত প্রায় শেষ পর্যায়ে কাগজপত্র যাচাইয়ের জন্য স্ব-স্ব প্রতিষ্ঠানে আবেদন করা হয়েছে। খুব শীগ্রই এর প্রতিবেদন দেওয়া হবে।

  • দেওয়ানগঞ্জে দেহ ব্যবস্যা ও মাদক কারবারিদের বিরুদ্ধে মানববন্ধন।

    দেওয়ানগঞ্জে দেহ ব্যবস্যা ও মাদক কারবারিদের বিরুদ্ধে মানববন্ধন।

    দেওয়ানগঞ্জে দেহ ব্যবস্যা ও মাদক কারবারিদের বিরুদ্ধে মানববন্ধন

    বৃহস্পতিবার ১১ আগষ্ট ২০২২ জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার সানন্দবাড়ী পিআইসি’র আওতাধীন ডাংধরা ইউনিয়নের হারুয়াবাড়ী আকন্দ পাড়া( কাজী পাড়া) গ্রামের শাহিদা, ফিরোজা, কারিনা ও মনোয়ারা এদের নেতৃত্বে তাদের বাড়িতে মিনি পতিতালয় (দেহ ব্যবস্যা) ও মাদক ব্যবসার অভিযোগ উঠেছে।

    বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টায় কাউনিয়ারচর বাজারে ১নং ডাংধরা ইউনিয়ন পরিষদের সামনে মানববন্ধন করে এলাকাবাসী। মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেন এলাকার কয়েক শত নারী পুরুষ। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন ডাংধরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজিজুর রহমান,০৭ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আনিসুর রহমান (বাপ্পি) ০৫ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আঃ রাজ্জাক প্রমূখ।
    নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মহিলা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এই এলাকায় এরা বিভিন্ন এলাকা ও ঢাকা থেকে সুন্দরী মেয়ে নিয়ে এসে এলাকার উঠতি বয়সের ছোট ছোট ছেলেদের ফুসলিয়ে নিয়ে নারী আসক্ত বানিয়ে টাকা হাতিয়ে নেয় এবং তাদের হাতে লাল রংয়ের বড়ি (ইয়াবা) দিয়ে মাদকাসক্ত বানায়।এরকম ঘটনার কারণে আমরা আমাদের ছেলে মেয়েদের ভালো যায়গায় বিয়ে দিতে পারিনা। বিয়ের সমন্ধ আসলে এসব ঘটনা শুনে লোকজন বলে আমরা খানকীপাড়ায় (পতিতা পল্লী) ছেলেও বিয়ে করাবোনা মেয়েও বিয়ে দিবোনা। এখন আমরা পরেছি চরম বিপদে। এ বিপদ থেকে আমরা এলাকাবাসী মুক্তি চাই, প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
    সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আনিসুর রহমান বাপ্পি বলেন- কিছুদিন আগে হারুয়াবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দেওয়ানগঞ্জ মডেল থানা ও সানন্দবাড়ী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের সমন্বয়ে বিট পুলিশিং আলোচনা করে এই চক্রকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছিল। অল্প কয়েকদিন থেমে থাকলেও এটা আবার পুরোদমে চালিয়ে যাচ্ছে তারা। আমি ইউপি সদস্য হিসেবে তাদের এই অনৈতিক কাজে বাঁধা দিলে মনোয়ারা তার শিশু কন্যা হত্যা করে আমাকে দোষী করে মামলা করার হুমকি দেয়,বিষয়টি আমি চেয়ারম্যান মহোদয় কে অবগত করেছি। আমি ও আমার এলাকার সাধারণ মানুষের মুক্তির জন্য এসব দেহ ব্যবসায়ী ও মাদক কারবারিদের আইনের আওতায় আনার জন্য প্রশাসনের সুদৃষ্টি জোড়ালো ভাবে কামনা করছি।
    ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজিজুর রহমান বলেন, আমি এর আগেও এমন ঘটনার কথা শুনেছি, হারুয়াবাড়ী আকন্দ পাড়া (কাজী পাড়ার) সাজু মিয়াকে শাহিদা গং মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করেছে, তাদের মিথ্যা মামলার ঘানি টানছে। এসব অন্যায় অনাচার বন্ধে আমি নিজে দেওয়ানগঞ্জ ও সানন্দবাড়ী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের সহায়তায় বিভিন্নভাবে এদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিয়েছি। আমি আবারও দেওয়ানগঞ্জ মডেল থানার নবাগত ওসি শ্যামল চন্দ্র ধর কে ও ইউএনও মহোদয় কে বিষয়টি জানিয়েছি, প্রয়োজনে আমি ডিসি মহোদয় কেও জানাবো, তার পরও যেন আমার এলাকায় এমন কোনো অনৈতিক কাজ ও মাদক কারবারি না হয়।
    আমি সানন্দবাড়ী অফিসার ইনচার্জ,দেওয়ানগঞ্জ মডেল থানা ওসি সহ ইউএনও স্যারের সর্বাত্মক সহযোগিতা কামনা করছি।
  • মুসলিম পাড়া সমাজ পরিচালনা কমিটির সভাপতি বেলাল হোসেন,সম্পাদক শহিদ উল্যাহ।

    মুসলিম পাড়া সমাজ পরিচালনা কমিটির সভাপতি বেলাল হোসেন,সম্পাদক শহিদ উল্যাহ।

    মুসলিম পাড়া সমাজ পরিচালনা কমিটির সভাপতি বেলাল হোসেন,সম্পাদক শহিদ উল্যাহ।

    দীর্ঘ প্রতীক্ষা শেষে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে মাটিরাঙ্গার মুসলিম পাড়া সমাজ পরিচালনা কমিটির নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে।

    বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) মুসলিম পাড়া আনসার ভিডিপি কার্যালয়ে সকাল ৯টা থেকে দুপুর সাড়ে ৩ টা পর্যন্ত এ ভোট গ্রহণ কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়।
    নির্বাচনে মোঃ বেলাল হোসেন (ছাতা প্রতীক) নিয়ে ৯৪ ভোট পেয়ে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন, তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোস্তফা মিয়া (চেয়ার প্রতীক) ৬৫ ভোট পেয়েছেন। একই সাথে (মোরগ প্রতীক) নিয়ে ১১০ ভোট পেয়ে শহিদ উল্যাহ সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী এম এ পারভেজ (ফুটবল প্রতীক) ৮৬ ভোট পেয়েছেন।
    এ ছাড়া মোঃ ইসমাইল হোসেন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সহ-সভাপতি ও মোঃ জুয়েল রানা কোষাধ্যক্ষ পদে নির্বাচিত হয়েছেন।
    নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করেন, আনসার ভিডিপির প্লাটুন কমান্ডার মোঃ রবিউল ইসলাম, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সাবেক সদস্য মহিউদ্দিন, মাটিরাঙ্গা পৌর যুবলীগের সহ-সভাপতি আরিফ হোসেন, মাটিরাঙ্গা থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক  ইব্রাহিম ও আনসার ভিডিপির সহকারী প্লাটুন কমান্ডার বাদশা মিয়া  এর নেতৃত্বে নির্বাচন পরিচালনায় সার্বিক সহযোগীতা করেন পুলিশ ও আনসার ভিডিপির একটি টিম।
  • উল্লাপাড়ায় মোমেনা আলী বিজ্ঞান স্কুল আন্ত:শ্রেণি ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত।

    উল্লাপাড়ায় মোমেনা আলী বিজ্ঞান স্কুল আন্ত:শ্রেণি ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত।

    উল্লাপাড়ায় মোমেনা আলী বিজ্ঞান স্কুল আন্ত:শ্রেণি ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত


    সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মোমেনা আলী বিজ্ঞান স্কুলের আন্ত:শ্রেণি ফুটবল প্রতিযোগিতা ২০২২ ইং অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার বেলা ১২ টায় স্কুল ক্যাম্পাসে এই আন্ত:শ্রেণি ফুটবল ফাইনাল প্রতিযোগিতায় অষ্টম শ্রেনীকে ২-১ গোলে পরাজিত করে দশম শ্রেনী চ্যাম্পিয়ান হওয়ার গৌরব অর্জন করে। অষ্টম শ্রেনীর পক্ষে ১ টি গোল করে আপন এবং দশম শ্রেনীর পক্ষে দুটি গোল করে সাগর ও অন্তর।

    এ সময় স্কুলের বিভিন্ন শ্রেনীর প্রায় এক হাজার শিক্ষার্থী উপস্থিত থেকে ফুটবল প্রতিযোগিতার ফাইনাল খেলা উপভোগ করে। প্রধান অতিথি হিসেবে আন্তঃফুটবল খেলার উদ্বোধন করেন উল্লাপাড়া বিজ্ঞান কলেজের অধ্যক্ষ আশরাফুল ইসলাম। এ সময় অন্যানোর মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মোমেনা আলী বিজ্ঞান স্কুলের প্রধান শিক্ষক রকিবুল ইসলাম, শিক্ষক জাহাঙ্গীর হোসেন, আম্বিয়া সুলতানা, সোহেল রানা, আব্দুল আলিম, আব্দুল মমিন ও আইয়ুব আলী প্রমূখ। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বলেন, ছাত্রছাত্রীদের দৈহিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলার ভূমিকা অপরিসীম। প্রতি বছর স্কুল শিক্ষার্থীদের মাঝে এর গুরুত্ব তুলে ধরার জন্য বিভিন্ন ধরনের প্রতিযোগিতার আয়োজন করা দরকার।

    খেলা শেষে চ্যাম্পিয়ান দলের পক্ষে পুরস্কার গ্রহন করে রোহান। ম্যান অফ দ্যা টুর্নামেন্ট হওয়ার গৌরব অর্জন করে দশম শ্রেনীর আরাফাত।

  • ঠাকুরগাঁওয়ে নারীসহ শীর্ষ দুই মাদক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার।

    ঠাকুরগাঁওয়ে নারীসহ শীর্ষ দুই মাদক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার।

    ঠাকুরগাঁওয়ে নারীসহ শীর্ষ দুই মাদক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার। 

    ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রুহিয়ায় একশ (১০০) বোতল ফেনসিডিল ও একশ (১০০) গ্রাম গাঁজা সহ দুই জন মাদক কারবারিকে আটক করেছে রুহিয়া থানা পুলিশ।
    বুধবার (১০ আগস্ট) দুপুরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ১৪ নং রাজাগাঁও ইউনিয়নের নামাজপড়া নামক এলাকা থেকে পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলার হামিদুল ইসলামের ছেলে দুলাল ইসলাম (২৮) কে ১০০ বোতল ফেনসিডিল সহ আটক করে পুলিশ।
    অন্যদিকে একই দিনে রুহিয়া থানার ঘনিবিষ্টপুর গ্রামের নয়ন ইসলামের স্ত্রী মেরিনা বেগম (২২) কে ১০০ গ্রাম গাঁজা সহ আটক করেছে পুলিশ।
    বিষয়টি নিশ্চিত করে রুহিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল রানা বলেন, রুহিয়া থানা পুলিশের একটি চৌকস টিম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ১০০ বোতল ফেনসিডিল সহ দুলাল ইসলাম এবং রুহিয়া ট্যাংলড়ি এলাকা থেকে ১০০ গ্রাম গাঁজা সহ মেরিনা বেগমকে আটক করা হয়। আসামিদের বিরুদ্ধে থানায় মাদক দ্রব্য আইনে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
    তাদের দুই জনকে আটক করে থানায় রাখা হয়েছে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে প্রেরণ করা হবে বলেও জানান তিনি।
  • উল্লাপাড়ায় মোহারমের সিন্নি রান্নাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে আহত-৭।

    উল্লাপাড়ায় মোহারমের সিন্নি রান্নাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে আহত-৭।

    উল্লাপাড়ায় মহারমের সিন্নি রান্নাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে আহত-৭।


    সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার সলপ ইউনিয়নের বড় জুমলা গ্রামে মোহারমের (আশুরা) দিন সিন্নি রান্নাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।এ ঘটনায় ৩ নারী ও ৪ জন পুরুষ আহত ও ঘরবাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে।

    জানা যায় বড়জুমলা গ্রামের মোঃ আউয়াল প্রামানিক নিজের বাড়িতে দীর্ঘদিন ধরে মোহারম মাসে তার পীরের নামে দোওয়া ও মিলাদ মাহফিল করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় এ বছর দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়।ইস্বানিত হয়ে গ্রামের কিছু অসাধু লোক দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠানে বাধা প্রয়োগ করে । এক পর্যায় গ্রামের কিছু অসাধু মাতবর মোঃ আউয়াল প্রামামিক ও তার পরিবারকে একঘরে (ঠেকি) করে রেখেছেন।

    এদিকে মোহারম উপলক্ষে আউয়াল প্রামানিক ৯ মোহারম গ্রামের ও পাশের গ্রামের কিছু লোকজনকে দোওয়া ও মিলাদ মাহফিলে দাওয়াত করেন। ১০ মহারম দুপুর থেকে শুরু হয় সিন্নি রান্নার প্রস্তুতি।

    এমতাবস্থায় ৯ অগোষ্ট (মহারমের দিন) বিকেল ৩ টার সময় গ্রামের কিছু অসাধু লোকজন আউয়ালের বাড়িতে এসে সিন্নি রান্নার সরঞ্জামাদি নষ্ট করে দেয় এবং তার পরিবারের লোকজন ও দাওয়াতে আসা আত্মীয় স্বজনের উপর অতর্কিত হামলা চালায়।

    এতে তার বাড়ি ঘর ভাংচুরসহ পরিবারের ৭ জন সদস্য আহত হয় এবং তাদেরকে স্থানীয় ক্লিনিকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে আউয়াল প্রামানিক বাদি হয়ে উল্লাপাড়া মডেল থানায় ৯ জনকে আসামী করে একটি অভিযোগ দায়ের করেন।

    এ বিষয় উল্লাপাড়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ( ওসি) মোঃ নজরুল ইসলাম বলেন উভয় পক্ষের অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত স্বাপেক্ষে ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।

  • রাণীশংকৈলে কেঁচো সার উৎপাদন করে স্বাবলম্বী কৃষাণীরা।

    রাণীশংকৈলে কেঁচো সার উৎপাদন করে স্বাবলম্বী কৃষাণীরা।

    রাণীশংকৈলে কেঁচো সার উৎপাদন করে স্বাবলম্বী কৃষাণীরা !


    ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে কেঁচো সার উৎপাদন করে বেকারত্ব দূর করার পাশাপাশি নিজের ভাগ্য বদল করেছেন
    অর্ধশতাধিক কৃষাণী।

    গুণগত মান ভালো হওয়ায় স্থানীয় কৃষক ও নিজেদের চাহিদা পূরণ করে এখন উপজেলার বিভিন্ন এলাকার কৃষকদের চাহিদা পূরণ করছে তাদের উৎপাদিত কেঁচো সার।

    প্রতিমাসে এই খামার থেকে তারা আয় করছেন লাখ টাকা। ফলে মাত্র এক বছরের মধ্যে  নিজেদের সফল খামারি হিসেবে গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছেন। পাশাপাশি আর্থিকভাবে স্বাবলম্বীও তারা।

    এদিকে কৃষাণীর  তৈরীকৃত কেঁচো সার দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে এলাকাতে। তা দেখে এখন উপজেলার অনেক যুবক ও নারীরা বিষমুক্ত এ জৈব সার উৎপাদনে ঝুঁকে পড়ছেন।

    জানা গেছে, ফসলের ক্ষেতে রাসায়নিক সার ব্যবহারে অতিরিক্ত ব্যায় করতে হয় কৃষকদের। আর এই ব্যায় কমিয়ে আনতে কেঁচো দিয়ে তৈরীকৃত সার উৎপাদন শুরু করেন  তারা। হাতের নাগালে ভালো মানের সার পাওয়ায় এখন কৃষকরা তা কিনে নিজ জমিতে প্রয়োগ করছেন। ফলে ফসলের উৎপাদনও বৃদ্ধি পেয়েছে।

    কৃষক মো. আশরাফ বলেন, ‘এ বছর কেঁচো সার দিয়ে ধান ও মরিচের আবাদ করেছি। ফলন অনেক ভালো।’

    অপর কৃষক লুতফর হোসেন বলেন, কৃষাণীদের উৎপাদিত সার দিয়ে ধান, ভুট্রা, মরিচ ও মুগডাল আবাদ করেছি। অন্য সারের তুলনায় অর্ধেক খরচ হয়েছে।’

    কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট এসোসিয়েশন (সিডিএ) দিনাজপুর এর আর্থিক সহায়তায় উপেজেলার গাংগুয়া গ্রামে জৈব কৃষি চর্চা নারী উন্নয়ন জনসংগঠনের ৩৬  জন নারীকে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে গত বছর এ প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়। এ সংগঠনের সহায়তায় গড়ে তোলা হয়েছে কেঁচো সার তৈরির শেড। বাড়ির কাজ শেষ করে অবসর সময়ে এটা নিয়েই ওই নারীদের ব্যস্ততাপূর্ন সময় কাটে। কারণ কেঁচো সার উৎপাদন ও বিপণনে তাদের সংসারে এনেছে স্বচ্ছলতা।

    জনসংগঠনের সদস্য হাজেরা জানান, সিডিএ’র সহযোগিতায় গত বছর আমরা ২০ হাউস তৈরি করি। এ শেড থেকে যে সার উৎপাদন হয় সেগুলো বিক্রি আমরা ১৫-১৮ টাকা কেজি দরে বিক্রি করি। এপর্যন্ত আমরা এই শেড থেকে লক্ষাধিক টাকার অধিক কেঁচো সার বিক্রি করেছি।

    আশরাফি নামের আরেক সদস্য জানান,
    ‘কেঁচো, গোবর, কচুরিপানা, কলাগাছ, খড়কুটা দিয়ে মাত্র ২৫-৩০ দিনের মধ্যেই তৈরী হচ্ছে কেঁচো বা জৈব সার। এলাকার বেশিরভাগ কৃষক এখন অন্য সারের পরিবর্তে ব্যবহার করছেন এই সার।’
    ‘রিং, কারেন্ট ও হাউজ পদ্ধতিতে এ সার উৎপাদন করছি। বিষমুক্ত নিরাপদ ফসল উৎপাদনে কেঁচো সারের কোন বিকল্প নেই

    পয়গাম আলী নামের এক সদস্য জানান, শেডের ভিতরে অর্থাৎ বাড়িতে কেঁচো সার উৎপাদন যেমন সহজ তেমনি এর চাহিদাও বেশি। এ কাজ থেকে বিনা ঝামেলায় অতিরিক্ত আয় হয়, পাশাপাশি নিজেদের জমিতেও ব্যবহার করছি এ সার। এর সারের ব্যবহারের চাহিদা দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।

    সিডিএ’র মহলবাড়ি ইউনিট ব্যবস্থাপক আহসান হাবিব বলেন, ‘উচ্ছিষ্ট, গোবর, তরকারির খোসাসহ আবর্জনা দিয়ে কেঁচোর মাধ্যমে প্রক্রিয়া করে আদর্শ ভার্মি কম্পোস্ট তৈরি করা হয়। এগুলো ফসলের জন্য খুবই উপকারী। গত বছর আমরা আমাদের এনজিও থেকে আর্থিকভাবে সহযোগিতা করে এই জনসংগঠনের সদস্যদের এ টিনের শেডে ২০টি হাউস তৈরি করে দিই। এখন তারা এখান থেকে সার উৎপাদনের মাধ্যমে স্থানীয় কৃষকদের মাঝে বিক্রি করে আর্থিকভাবে ভালোই স্বাবলম্বী হয়েছে।

    উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সঞ্জয় দেবনাথ বলেন, ‘কেঁচো সারটি ফসল উৎপাদনের জন্য অনেক ভালো। এ সার ব্যবহারের খরচও অনেক কম। এছাড়া সারটি দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।

    আমরা কৃষকদের জৈব সার ব্যবহারে এবং কৃষকদের রাসায়নিক সারের ব্যবহার কমিয়ে কম্পোস্ট সারের ব্যবহার বাড়াতে পরামর্শ দিয়ে থাকি।