Author: admin

  • তাড়াশে বেগম খালেদা জিয়ার ৭৭তম জন্ম দিন উপলক্ষে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল।

    তাড়াশে বেগম খালেদা জিয়ার ৭৭তম জন্ম দিন উপলক্ষে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল।

    তাড়াশে বেগম খালেদা জিয়ার ৭৭তম জন্ম দিন উপলক্ষে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল।


    সিরাজগঞ্জের তাড়াশে সাবেক প্রধানমন্ত্রী,বিএনপি’র চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ৭৭তম জন্ম দিন উপলক্ষে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৬ আগষ্ট মঙ্গলবার সকালে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) তাড়াশ উপজেলা শাখা ও অঙ্গ সংগঠনের উদ্যোগে মহুরী অফিস সংলগ্ন অস্থায়ী বিএনপির কার্যালয়ে উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি স.ম আফসার আলীর সভাপত্বিতে এ দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপি’র উপদেষ্টা শারিফুল ইসলাম আলম, সহ-সভাপতি দুলাল হোসেন, সাধারন সম্পাদক আমিনুর রহমান টুটুল, সাংগঠনিক সম্পাদক প্রভাষক সাইদুর রহমান, যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউর রহমান, তথ্য ও গবেষনা বিষয়ক সম্পাদক সাংবাদিক এম সানোয়ার হোসেন সাজুসহ, যুবদলের আহবায়ক শাহআলম ফকির, স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক সাইফুল খা,জাহিদুল ইসলামসহ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের সকল নেতৃবৃন্দ।

  • ভ্যানচালক বাবার স্বপ্নপূরণে উচ্চশিক্ষায় চীনে দুই ভাই।

    ভ্যানচালক বাবার স্বপ্নপূরণে উচ্চশিক্ষায় চীনে দুই ভাই।

    ভ্যানচালক বাবার স্বপ্নপূরণে উচ্চশিক্ষায় চীনে দুই ভাই !

    সন্তানদের উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করার ইচ্ছা ও সন্তানদের স্বপ্ন পূরণে প্রবল আক্ষেপে শেষ সম্বল ১বিঘা (৩৩ শতক) জমি বিক্রি করে দুই ছেলেকে একসাথে চীনে পাঠান ইঞ্জিনিয়ারিং পড়াতে। দীর্ঘদিন থেকে তিনবেলা খেয়ে না খেয়ে ভ্যান চালিয়ে সন্তানদের খরচ যোগান দিচ্ছেন ভ্যান চালক মকিম উদ্দীন।
    ভ্যানচালক মকিমউদ্দীন শিক্ষিত না হলেও সন্তানদের উচ্চশিক্ষা লাভে সুদূূর চীনে পাঠিয়েছেন। ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার দুওসুও ইউনিয়নের জোতপাড়া গ্রামের বাসিন্দা মকিমউদ্দীন।
    বড় ছেলে হবিবুর রহমান চীনের জিয়াংসু ইউনিভার্সিটিতে মেকানিক্যাল ডিজাইন অ্যান্ড ম্যানুফ্যাকচার অটোমেশন বিভাগ ও  ছোট ছেলে আবুল হাসিম মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে পড়াশোনা করছেন।
    ভ্যানচালক হলেও মকিমউদ্দীনেন দৃঢ়প্রতিজ্ঞা যেন এখন বাস্তবতার মুখ দেখছে। নিজে কঠোর পরিশ্রমে ভ্যান চালিয়ে দুই ছেলেকে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়াচ্ছেন সুদূর চীন দেশে। বর্তমানে একটি ব্যাটারিচালিত ভ্যানের আয়ে সন্তানদের পড়াশোনার খরচ ও সংসারের ভরণপোষণ করছেন তিনি।
    মকিমউদ্দীনের পরিবারে চার সন্তানের মধ্যে দুই ছেলে ও দুই মেয়ে। বড় দুই মেয়েকে বিয়ে দিয়েছেন কয়েক বছর আগে। কষ্টের সংসারে সন্তানদের পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ায় সমাজে এক আলাদা সম্মানের জায়গা তৈরি হয়েছে মকিমউদ্দীনের।
    স্থানীয়রা বলেন, বাবা কতটা কষ্টের উপার্জনে ছেলেদের পড়াশোনা করাচ্ছেন, তা বলার মতো নয়। আমাদেরও সন্তান আছে। সবাই এমন হয় না। তবে তারা আমাদের স্বপ্ন দেখার সুযোগ করে দিয়েছেন। কষ্ট ও পরিশ্রম করে সব কাজ করা যায়, তারই দৃষ্টান্ত প্রতিবেশী মকিমউদ্দীনের দুই ছেলে। তারা দিন আনে দিন খায়। তারা অনেক কষ্ট করে তাদের সন্তানদের পড়াশোনার খরচ চালিয়ে যাচ্ছেন। অনেক অভাবেও তারা সন্তানদের পড়াশোনা বন্ধ রাখেননি। বিষয়টি আসলে অনুপ্রাণিত হওয়ার মতো। আমরা আশা করছি, তারা দক্ষ প্রকৌশলী হয়ে এলাকা ও দেশসেবায় নিয়োজিত থাকবেন।
    মকিমউদ্দীনের স্ত্রী হুসনে আরা বেগম বলেন, ‘আমার দুই মেয়ে ও দুই ছেলে।মেয়ে দুটোকে অনেক কষ্ট করে বিয়ে দিয়েছি। পৈতৃক এক বিঘা আবাদি জমি ছিল। ছেলে দুটোর জন্য তা বিক্রি করতে হয়েছে। একমাত্র ভ্যানটি আমাদের সম্বল। বাবুর বাবার বয়স হয়েছে, তবুও প্রতিদিন ভ্যান নিয়ে বের হন। কোনোদিন তিনি বসে থাকেন না। আজ ছেলেরা  চীনে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়াশোনা করছে। প্রতি মাসে টাকা দিতে হয়। ছেলে দুটাও অনেক কষ্ট করে পড়াশোনা করে সেখানে। আমাদের যত কষ্টই হোক, আমরা তাদের উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত করাতে চাই।’
    আর বাবা মকিমউদ্দীন বলেন, ‘আমি ২৮ বছর ধরে পা দিয়ে ভ্যান চালিয়ে আসছি। পরে একটি ব্যাটারিচালিত ভ্যান কিনেছি। চালাচ্ছি পাঁচ বছর ধরে। অভাবের কারণে পড়াশোনা করতে পারিনি। তবে আমার ইচ্ছা ছিল আমার সন্তানদের পড়াশোনা করাব। আমার একমাত্র আয়ের পথ ভ্যান। যা হয় তার সবটুকু জমা করে ছেলেদের পাঠাই। আমরা স্বামী-স্ত্রী কখনো খাই, কখনো না খেয়ে থাকি। কাউকে বলা হয় না এ কষ্টের কথা। এভাবেই দিন কাটে।’
     মকিমউদ্দীনের বড় ছেলে হবিবুর রহমান চীনে থাকলেও কথা হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। তিনি বলেন, ‘আমরা এখানে ২০১৯ সালে ডিপ্লোমা করতে আসি। এখানে পড়াশোনা করতে আসার আগে বাবা তার শেষ সম্বল ৩৩ শতাংশ জমি বিক্রি করেছেন। আমার বাবা মাঝে মাঝেই ফোনে বলে, বাবা, আমার অনেক কষ্ট হচ্ছে। তোমাদের মানুষের মতো মানুষ হতে হবে। আমি আমার বাবাকে সান্ত্বনা দিই, বাবা,  চিন্তা করবেন না। আপনার স্বপ্ন পূরণে ভালোভাবে পড়াশোনা করি। ইনশাআল্লাহ খুব শিগগিরই আপনি একটা সুসংবাদ পাবেন। আমরা আমাদের মেধা দেশের জন্য কাজে লাগাতে চাই।’
    বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা চেয়ারম্যান আলী আসলাম বলেন, ভ্যান চালিয়ে ছেলেদের পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছেন মকিম উদ্দীন, যা দৃষ্টান্ত। উপজেলা প্রশাসন পরিবারের পাশে আছে। তাদের উচ্চশিক্ষার প্রয়োজনে তাদের সকল সুবিধা দেয়া হবে বলেও আশ্বস্ত করেন তিনি
    বালীয়াডাঙ্গী উপজেলার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা যোবায়ের হোসেন বলেন, বিষয়টি আসলেই অনুপ্রাণিত হওয়ার মত । ভ্যান চালিয়ে তিনি দুই ছেলেকে চীনে পড়াশোনা করান। এখান থেকে বুঝা যায় যদি মানুষের ইচ্ছা শক্তি ও পরিশ্রম করার মানসিকতা থাকে তবে সফলতার দিকে এগিয়ে যাওয়া যায়। এটি আমাদের জন্য আনন্দায়ক বিষয়ক। যদি কখনো তার প্রয়োজন হয় সহযোগিতার তবে উপজেলা প্রশাসন তাদের পাশে দাড়াবে।
  • তাড়াশ আ’লীগের উদ্যোগে জাতীয় শোক দিবস পালন।

    তাড়াশ আ’লীগের উদ্যোগে জাতীয় শোক দিবস পালন।

    তাড়াশ আ’লীগের উদ্যোগে জাতীয় শোক দিবস পালন।


    সিরাজগঞ্জের তাড়াশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর ৪৭ তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস ২০২২ পালন উপলক্ষে পতাকা উত্তোলন,আলোচনা সভা,পুষ্পস্তবক অর্পন ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৫ আগষ্ট সোমবার সকালে উপজেলা আওয়ামীলীগের উদ্যোগে উদ্যোগে বাঙালি জাতির মুক্তি আন্দোলনের মহানায়ক, স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর ৪৭ তম শাহাদত বার্ষিকী ও ১৫ আগষ্ট জাতীয শোক দিবস পালন উপলক্ষে এ সকল কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।

     

    উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ খন্দকার আব্দুস সামাদ এর সভাপতিত্বে এ সকল কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ৬৪ সিরাজগঞ্জ ৩ (তাড়াশ-রায়গঞ্জ-সলঙ্গা) আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা. মো. আব্দুল আজিজ।

     

    এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা ও সাবেক প্রেট্রোল বাংলার চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. হোসেন মুনসুর, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক শ্রী সঞ্জিত কুমার কর্মকার, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহিনুর রহমান লাবু, বীর মুক্তিযোদ্ধগন, উপজেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মনোয়ারা খাতুন মিনি,সাধারণ সম্পাদক সবিতা রানী, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও যুবলীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন খান, সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ আলী বিদ্যুৎ, মহিলা যুবলীগের সভাপাতি শায়লা পারভীন,সাধারণ সম্পাদক শারমীন খাতুন, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হাসান ইকবাল রুবেলসহ উপজেলা,ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের ও অঙ্গ সংগঠনের সকল পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।

  • দুই শিক্ষিকার দ্বন্দের বলি ২২ শিক্ষার্থী-তদন্ত কমিটি গঠন।

    দুই শিক্ষিকার দ্বন্দের বলি ২২ শিক্ষার্থী-তদন্ত কমিটি গঠন।

    দুই শিক্ষিকার দ্বন্দের বলি ২২ শিক্ষার্থী,তদন্ত কমিটি গঠন।


    নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলার মোমিনপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ২২ জন শিক্ষার্থীকে বিজ্ঞান ক্লাশে পড়া না পারার অজুহাতে গনহারে বেতাঘাত করার অভিযোগ উঠেছে সহকারী শিক্ষিকা জেবুন্নেসার বিরুদ্ধে।এনিয়ে শিক্ষার্থী ও অবিভাবকদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।এ ঘটনায় রোববার অভিযুক্ত ওই শিক্ষিকাকে কারন দর্শানোর নোর্টিশ দিয়েছে বিদ্যালয় কৃতপক্ষ।উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিদ্যালয় পরিদর্শনে গিয়ে বেতাঘাত করা শিক্ষার্থীদের অভিযোগ শুনে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।দুই শিক্ষিকার অন্তদ্বন্দে প্রতিশোধ নিতে এ ঘটনা ঘটছে কিনা না অন্য কোন কারনে হয়েছে তা খুজে বের করতে তদন্ত শুরু করেছে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তারা।কোনভাবেই প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের বেতাঘাত শারীরিক ও মানসিক শাস্তির মাধ্যমে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষা প্রদানের সুযোগ নাই বলছে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা।

    জানা যায়,গত বৃস্পতিবার (১১ আগষ্ট) নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলার মোমিনপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পঞ্চম শ্রেণির ৪৮ জন ছাত্র ছাত্রীর মধ্যে বিজ্ঞান ক্লাশে পড়া না পারায ২২ জন ছাত্রছাত্রীদের বেতাঘাত করে আহত করে সহকারী শিক্ষিকা জেবুন্নেসা।এ ঘটনায় ওই বিদ্যালয়ের আরেক সহকারী শিক্ষিকা মৌসুমি আকতার লিখিত অভিযোগ দেয় উপজেলা শিক্ষা কার্যালয়ে।অভিযোগ পেয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ফারুক উদ্দিনকে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন উপজেলা প্রশাসন।

     

    ইতিমধ্যে তদন্ত কমিটি তদন্তের কাজ শুরু করেছে শিক্ষা কর্মকর্তারা।এর আগে অভিযুক্ত সহকারী শিক্ষিকা জেবুন্নেসাকে কারন দর্শানোর নোর্টিশ দিয়েছে বিদ্যালয় কৃর্তপক্ষ।নোর্টিশে তিনদিনের মধ্যে তার জবাব দিতে বলা হয়েছে।কোমলমতি শিক্ষার্থীদের গনহারে ব্রেঞ্চের নিচে মাথা ঢুকিয়ে বেতাঘাত করায় ক্ষোভ বিরাজ করছে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের।এ ঘটনা জানতে রোববার বিদ্যালয় পরিদর্শনে যান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।

    মোমিনপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী,নাহিদ ও রাসেল বলেন,বিজ্ঞান ক্লাশে পড়া না পারায় জেবুন্নেসা ম্যাডাম ক্ষিপ্ত হয়ে আমাদের বেঞ্চের নিচে মাথা ঢুকিয়ে বেত দিয়ে বেদম পিটিয়েছে। প্রতিজনকে ৫ থেকে ৭ টা পর্যন্ত বেত্রাঘাত করেছে।

    অভিযুক্ত শিক্ষিকা জেবুন্নেসা বলেন,বিজ্ঞান ক্লাশে পড়া না পারায় তাদের বেতাঘাত করা হয়েছে।এ বিষয় সহকর্মী আরেক শিক্ষিকা মৌসুমি আখতার শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞান ক্লাশ না করার জন্য উসকানি দিয়েছে এবং বিভিন্ন স্থানে অভিযোগ করে আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে।

    আরেক শিক্ষিকা মোমিনপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী আরেক শিক্ষিকা মৌসুমি আকতার বলেন,আমার ফুটবল টিমের শিক্ষার্থীদের পিটিয়েছে জেবুন্নেসা।যাতে তারা বিরতির সময় ফুটবল খেলা প্রস্ততি নিতে না পারে।

    মোমিনপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খায়রুল আলম চৌধুরী বলেন,পড়া না পারায় পঞ্চম শ্রেনির বিজ্ঞান ক্লাশের ৪৮ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ২২ জন শিক্ষার্থীকে বেতাঘাত করেছে সহকারী শিক্ষিকা জেবুন্নেসা।এ ঘটনায় গত রোববার অভিযুক্ত সহকারী শিক্ষিকা জেবুন্নেসাকে কারন দর্শনোর নোর্টিশ দেওয়া হয়েছে।

    উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ ফারুক উদ্দিন জানান, কোনভাবেই প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের বেতাঘাত শারীরিক ও মানসিক শাস্তির মাধ্যমে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষা প্রদানের সুযোগ নাই। এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন হয়েছে।তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের সুপারিশ করা হবে বলেন।

    উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা শিক্ষা কমিটির সভাপতি মোঃ আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন,আমি উপজেলা শিক্ষা কমিটি সভাপতি,বিষয়টি আমি নিয়ে আমি মৌখিক অভিযোগে পেয়েছি। আমি শিক্ষা কর্মকতা ও জেলা প্রসাশককে জানিয়েছি। বিষয়টি প্রমানিত হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

  • উল্লাপাড়ার কৃতি শিল্পী আঁচল সাহার আত্মহত্যা।

    উল্লাপাড়ার কৃতি শিল্পী আঁচল সাহার আত্মহত্যা।

    উল্লাপাড়ার কৃতি শিল্পী আঁচল সাহার আত্মহত্যা।


    উল্লাপাড়ার সঙ্গীত অঙ্গনে প্রতিশ্রুতিশীল শিল্পী আঁচল সাহা মারা গেছেন। তিনি রোববার রাতে ঢাকার বসুন্ধরা এলাকায় একটি মহিলা হোস্টেলে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেন। আঁচল উল্লাপাড়ার ঝিকিড়া গ্রামের দীপক কুমার সাহার মেয়ে এবং ঢাকা ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ব বিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের ৩য় বর্ষের ছাত্রী। তার আত্মহত্যার কারণ জানা যায়নি।

    আচঁল সাহার মামা পলাশ সাহা জানান, আচঁল প্রায় তিন বছর ধরে ঢাকার বসুন্ধরা এলাকায় একটি মহিলা হোস্টেল থেকে পড়ালেখা করত। রোববার রাত ১০ টার দিকে তার হোস্টেলের এক সহপাঠী আমাদেরকে ফোন দিয়ে আঁচল খুবই অসুস্থ বলে জানায়। পরে পরিবারের লোকজন নিয়ে আমরা রাতেই ঢাকায় যাই। সেখানে গিয়ে জানতে পারি আঁচল আত্মহত্যা করেছে। তবে আত্মহত্যার কোন কারণ এখন পর্যন্ত আঁচলের পরিবার জানে না বলে উল্লেখ করেন তার মামা পলাশ সাহা। এই প্রতিবেদনে লেখার সময় আঁচল সাহার ময়না তদন্ত চলছিল।

    আঁচল সাহা একজন ভালো সঙ্গীত ও নৃত্য শিল্পী। তিনি ভালো কবিতা আবৃত্তি করতেন। উল্লাপাড়াসহ সিরাজগঞ্জের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে আঁচল নাচ গান পরিবেশন করতেন। শিশুবেলায় তিনি উল্লাপাড়ার কচিকাঁচার মেলা সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। পরে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সদস্য হিসেবে বিভিন্নস্থানে সঙ্গীত ও নাচ পরিবেশন করে প্রচুর খ্যাতি অর্জন করেন। ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষ্ঠানেও আঁচল নাচ গান করতেন। তার আকস্মিক মৃত্যুতে উল্লাপাড়ার সাংস্কৃতিক অঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। সোমবার রাতে ঘোষগাঁতি মহাশশ্মানে আঁচলের শেষ কৃত্য অনুষ্ঠিত হবে বলে তার পরিবার সূত্রে জানা গেছে।

    আঁচল সাহার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন, উল্লাপাড়া উদীচী শিল্পী গোষ্ঠীর সভাপতি ও পৌর মেয়র এস এম নজরুল ইসলাম, উল্লাপাড়া শিল্পকলা একাডেমির সংঙ্গীত শিক্ষক ওস্তাদ জিতেন বিশ্বাস, এসো গান শিখি’র পরিচালক সঙ্গীত শিল্পী রিলা চৌধুরী, রিমঝিম কচিকাঁচা মেলার পরিচালক মোঃ শাহাদত হোসেন, শিশু কেন্দ্রের সঙ্গীত পরিচালক মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম বিপু ও সাংবাদিক রাজু আহমেদ সাহান প্রমুখ।
    তারা বলেন, আচল সাহা’র মৃত্যুতে সাংস্কৃতিক অঙ্গনে শূণ্যতার সৃষ্টি হলো। উল্লাপাড়াবাসী একজন খ্যাতিমান প্রতিশ্রুতিশীল শিল্পীকে হারালো।

  • বন্যাকান্দি আলিম মাদ্রাসায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর শাহাদাৎ বার্ষিকী পালন।

    বন্যাকান্দি আলিম মাদ্রাসায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর শাহাদাৎ বার্ষিকী পালন।

    বন্যাকান্দি আলিম মাদ্রাসায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর শাহাদাৎ বার্ষিকী পালন।


    সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার পঞ্চক্রোশী ইউনিয়নে অবস্থিত বন্যাকান্দি আলিম মাদ্রাসায় নানা আয়োজনের মধ্যদিয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ৪৭ তম শাহাদাৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালন করা হয়েছে।

    এ উপলক্ষে সোমবার সকালে সোমবার সকালে জাতীয় পাতাকা ও কালো পতাকা উত্তোলন,কালো ব্যাচ ধারণ,কেরাত,হামদ-নাত,কবিতা আবৃত্তি, উপস্থিত বক্তব্য,রচনা প্রতিযোগিতা,পুরস্কার বিতরণ,দোয়া ও মিলাদ মাহফিল,আলোচনাসভা, তাবারক বিতরণ সহ নানা কর্মসূচীর আয়োজন করা হয়। পরে বিজয়ীদের মাঝে পুরুষ্কার বিতরণ করা হয়।

    জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বন্যাকান্দি আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মোঃ মিজানুর রহমান এর সভাপতিত্বে ও মাওলানা শিক্ষক মোঃ আব্দুল আলিম এর সঞ্চলনায় এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

    আলোচনা সভায় জাতীয় শোক দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে এতে বক্তব্য রাখেন অত্র মাদ্রাসার সহকারি শিক্ষক মোঃ মাহমুদুল হাসান,আলহাজ্ব মোঃ আব্দুল মজিদ মাস্টার, বন্যাকান্দি এন এম উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি মোঃ মতিয়ার রহমান মোল্লা,মোঃআব্দুল গফুর মন্টু,নির্বাহী কমিটির সদস্য মোঃ আজমল হক সরকার,নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক ইউপি সদস্য মোঃ আব্দুল হামিদ,পঞ্চক্রোশী ইউনিয়ন সেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি মোঃ রেজাউল করিম লিটন প্রমূখ। এ ছাড়া আওয়ামিলীগের অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন ।

    এছাড়াও উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠন এবং উল্লাপাড়ার সামাজিক সংগঠন সমুহ জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে নানা কর্মসূচী পালন করে।

  • সড়াতৈল স্কুলে নানা আয়োজনে জাতির পিতার শাহাদৎ বর্ষিকী পালিত।

    সড়াতৈল স্কুলে নানা আয়োজনে জাতির পিতার শাহাদৎ বর্ষিকী পালিত।

    সড়াতৈল স্কুলে নানা আয়োজনে জাতির পিতার শাহাদৎ বর্ষিকী পালিত।


    জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদৎ বার্ষিকী উপলক্ষে সোমবার উল্লাপাড়ার সড়াতৈল মুসলিম উচ্চ বিদ্যালয়ে চিত্রংকন, কবিতা আবৃত্তি, বিতর্ক প্রতিযোগিতা ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। সকালে স্কুলের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মান্নান তালুকদার শিক্ষার্থীদের মধ্যে অনুষ্ঠিত বিভিন্ন প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন। পরে স্কুল অঙ্গনে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা। স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি শহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান শিক্ষক আব্দুল মান্নান তালুকদার সহকারী প্রধান শিক্ষক হাফিজুর রহমান, ইউপি সদস্য সিরাজুল ইসলাম ও স্কুলের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষিকা মমতাজ সিদ্দিকা প্রমুখ বক্তব্য দেন। সভায় কৃতি শিক্ষার্থীদের মধ্যে পুরুষ্কার বিতরণ করা হয়।

  • উল্লাপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর ৪৭তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে  বৃক্ষ রোপণ সহ নানা কর্মসূচী পালন।

    উল্লাপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর ৪৭তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে  বৃক্ষ রোপণ সহ নানা কর্মসূচী পালন।

    উল্লাপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর ৪৭তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে  বৃক্ষ রোপণ সহ নানা কর্মসূচী পালন।


    জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭ তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে উল্লাপাড়া মহিলা দাখিল মাদ্রাসায় বৃক্ষরোপণ সহ নানা কর্মসূচী পালিত হয়েছে। সোমবার সকালে জাতীয় পাতাকা উত্তোলন, কালো ব্যাচ ধারণ, শিক্ষার্থীদের নিয়ে বৃক্ষরোপণ, কেরাত, হামদ-নাত, কবিতা আবৃত্তি, উপস্থিত বক্তব্য, রচনা প্রতিযোগিতা, পুরস্কার বিতরণ, দোয়া ও মিলাদ মাহফিল, আলোচনা সভা, খাবার বিতরণ সহ নানা কর্মসূচীর আয়োজন করা হয়।

    বঙ্গবন্ধুর শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবসে বেসরকারী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ব্রূরো উল্লাপাড়া মহিলা দাখিল মাদ্রাসা মাঠে শিক্ষার্থীদের নিয়ে এক বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন করে।

    এ উপলক্ষে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। জাতীয় শোক দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে এতে বক্তব্য রাখেন উল্লাপাড়া মহিলা দাখিল মাদ্রাসা শিক্ষার্থী মিতু খাতুন, ঋতু পারভীন, শিক্ষক সাইফুল ইসলাম, শাহাদাত হোসেন, রাজু আহমেদ সাহান, মোঃ মনিরুজ্জামান ও সুপার মোঃ ছোরমান আলী প্রমুখ।

    এছাড়াও উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠন এবং উল্লাপাড়ার সামাজিক সংগঠন সমুহ জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে নানা কর্মসূচী পালন করে।

  • লক্ষ্মীপুরে জোয়ারের পানিতে ডুবেছে উপকূলীয় এলাকা।

    লক্ষ্মীপুরে জোয়ারের পানিতে ডুবেছে উপকূলীয় এলাকা।

    লক্ষ্মীপুরে জোয়ারের পানিতে ডুবেছে উপকূলীয় এলাকা।


    মেঘনা নদীতে জোয়ারের কারণে স্বাভাবিক উচ্চতার চেয়ে দুই থেকে তিন ফুট পানি বেড়ে লক্ষ্মীপুরের উপকূলীয় এলাকা ডুবে গেছে। গত চার দিনে রামগতি ও কমলনগর উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এতে সাধারণ মানুষের জীবনে তৈরি হয়েছে নানা দুর্ভোগ।

    রবিবার (১৪ আগস্ট) দুপুর ২টা থেকে এই জোয়ার শুরু হয়। এতে রামগতি-কমলনগর উপজেলার নদীর তীর থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার দূরেও জোয়ারের স্রোত দেখা যায়।

    সরেজমিনে দেখা যায়, কোমরপানিতে সাঁতরে বিদ্যালয় থেকে বাড়ি ফিরেছে শিক্ষার্থীরা। জোয়ারের কারণে বিদ্যালয়ের পাঠদান ব্যাহত হয়েছে।

    কমলনগর উপজেলার চরফলকন ইউনিয়নের লুধুয়া বাগারহাট থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে ফলকন উচ্চবিদ্যালয়। জোয়ারের কারণে ছুটি পেয়ে কোমরপানিতে নেমে বিদ্যালয় থেকে বাড়ি ফিরতে হয়েছে শিক্ষার্থীদের। এর মধ্যে শিশু শিক্ষার্থীরা সাঁতরে বাড়ি ফিরেছে। এই ছাড়া আশপাশের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোয় পাঠদানে বিড়ম্বনায় পড়তে হয়েছে বলে জানা গেছে।
    অন্যদিকে রামগতি উপজেলার আলেকজান্ডার মাছঘাট এলাকায় জেলেরা ঘাটে ফিরেছেন। কিন্তু মাছ শিকারে ক্লান্ত শরীরে ঘাটে ফিরে তারা আরও বেশি বিপাকে পড়েছেন। কূলে উঠতে হয় বুক পরিমাণ পানি অতিক্রম করে। এই সময় মাথায় মাছভর্তি টুকরি নিয়ে জোয়ারের পানিতে তাদের দুর্ভোগে পড়তে হয়।

    স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, গত চার দিনের জোয়ারে রামগতি ও কমলনগর উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। জোয়ারের তীব্র স্রোতে ও ভাটার টানে অভ্যন্তরীণ সড়কগুলো ভেঙে ক্ষতবিক্ষত হয়ে পড়েছে। সড়কগুলো দিয়ে যাতায়াতে চরম বিপর্যয়ে পড়তে হচ্ছে। কেউ অসুস্থ হলে হাসপাতালে নেওয়ার মতো গাড়ি পাওয়া যাচ্ছে না সড়কের কারণে।
    খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কমলনগরের চরমার্টিন, চরকালকিনি, চরফলকন, পাটারিরহাট, সদরের চররমনী মোহন, রায়পুরে উত্তর চরবংশী, দক্ষিণ চরবংশী ও রামগতির চরআবদুল্লাহসহ প্রায় ১৩টি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। কমলনগরের চরফলকন উচ্চবিদ্যালয় ও চরকালকিনির মতিরহাট উচ্চবিদ্যালয় মাঠ জোয়ারে কোমর পরিমাণ পানিতে ডুবে গেছে। বাধ্য হয়ে ওই পানি অতিক্রম করেই বাড়িতে ফিরতে হয়েছে শিক্ষার্থীদের।

    সদর উপজেলা থেকে রামগতি উপজেলা পর্যন্ত প্রায় ৩৭ কিলোমিটার মেঘনা নদীর তীর রক্ষা বাঁধ নেই। গেল একনেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৩১ কিলোমিটার বাঁধ নির্মাণের জন্য প্রায় ৩ হাজার ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেন। জানুয়ারিতে প্রকল্পের কাজ শুরু হলেও দৃশ্যমান নয়।

    স্থানীয় ব্যক্তিরা অভিযোগ করে বলেন, ঠিকাদার কাজ রেখে পালিয়েছেন। ঠিকাদারদের সঙ্গে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারাও জড়িত। শুধু বালু-সংকট দেখিয়ে তারা কাজ করছেন না। তাদের কারণে প্রতিদিন কেউ না কেউ নদীভাঙনে নিঃস্ব হচ্ছেন। কাছাকাছি দূরত্বে চাঁদপুরে বালু পাওয়া না গেলে অন্যত্র থেকে আনার ব্যবস্থাও তারা করেন না। উপকূলীয় বাসিন্দাদের দুর্ভোগে রেখে তারা বিভিন্ন অজুহাত দিয়ে যাচ্ছেন।

    কমলনগরের চরকালকিনি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়াম্যান ছায়েফ উল্যা বলেন, তীব্র স্রোতে উপকূলে জোয়ারের পানি ঢুকেছে। এতে অভ্যন্তরীণ সড়কগুলো ভেঙে চলাচলের অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে। মানুষ খুব দুর্ভোগে রয়েছে।

    রামগতি উপজেলার চরআবদুল্লাহ ইউপির চেয়ারম্যান কামাল হোসেন মঞ্জুর বলেন, আমার ইউনিয়নটি মেঘনা নদীবেষ্টিত। প্রতিটি ভিটা জোয়ারের পানিতে ডুবে গেছে। মানুষের দুর্ভোগের অন্ত নেই। টানা জোয়ারের কারণে অনেক ঘরে চুলাও জ্বলেনি।

    কমলনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. কামরুজ্জামান বলেন, কয়েক দিন টানা জোয়ার হচ্ছে। এতে উপকূলীয় এলাকার বাসিন্দারা দুর্ভোগে রয়েছে। আমি সব সময় তাদের খোঁজ নিচ্ছি। এই ছাড়া বাঁধ নির্মাণকাজটিও বন্ধ রয়েছে। রোববার এমপি মহোদয় এলাকায় আসবেন। বিষয়টি নিয়ে কথা বলব।

    লক্ষ্মীপুর জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী ফারুক আহমেদ বলেন, স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে মেঘনায় প্রায় তিন ফুট পানি বেড়ে উপকূলীয় এলাকা প্লাবিত হয়েছে। বর্ষা মৌসুম হওয়ায় নদীতে তীব্র স্রোত রয়েছে। এতে বাঁধ নির্মাণকাজ করা সম্ভব হচ্ছে না। এই ছাড়া বালু সংকটও রয়েছে

  • ডিমলায় বেগুনের চারাসহ সবজীর চারা বিক্রি করে অমল চন্দ্র স্বাবলম্বী।

    ডিমলায় বেগুনের চারাসহ সবজীর চারা বিক্রি করে অমল চন্দ্র স্বাবলম্বী।

    ডিমলায় বেগুনের চারাসহ সবজীর চারা বিক্রি করে অমল চন্দ্র স্বাবলম্বী। 

    নীলফামারীর ডিমলায় বেগুনের চারা সহ সবজীর চারা বিক্রি করে ক্ষুদ্র কৃষক অমল চন্দ্র রায়  স্বাবলম্বী হয়েছে। উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়নের দক্ষিন সুন্দর খাতা গ্রামের কৃষক যদু নাথ রায় দীর্ঘ বছর  বিভিন্ন সবজী যেমন, বেগুন,টমেটা,ফুলকপি,বাঁধাকপি,মরিচের চারা উৎপাদন করে হাটে বাজারে বিক্রি করে আসত।  বর্তমানে যদুনাথ চন্দ্র রায় বৃদ্ধ হওয়ায় ছেলে অমল চন্দ্র রায় এ পেশায় জড়িত হয়েছে।

    ১৩ আগষ্ট ( রবিবার) সকালে সরে জমিনে দেখা যায়, অমল চন্দ্র বসত বাড়ির আশপাশে লাল শাক,মুলা শাকসহ বিভিন্ন সবজীর পাশাপাশি বেগুনের চারা বেডের মাধ্যমে তৈরি করে চারা উৎপাদন করে। এখন চারা রোপনের উপর্যুক্ত সময় তাই সকাল থেকে ছেলেকে নিয়ে বেগুনের  চারা বাজারে বিক্রির জন্য ৫০ টি ও ১০০ টি করে চারা আঠি বাঁধছে। ১০০ বেগুনের চারা বিক্রী হয় ৫০-৭০ টাকায়। ডিমলা উপজেলাসহ পার্শ্ববর্তী ডোমার, জলঢাকা, হাতিবান্ধা উপজেলার কৃষকরা বিভিন্ন স্থানীয়  হাট বাজার থেকে বেগুনের চারা তার কাছ থেকে ক্রয় করে জমিতে বপন করে । অমলের সাথে কথা বলে জানা যে, বাপ দাদার পেশা তাই করছি। বেগুনসহ অন্যান্য সবজীর চারা অনেকে তুলতে পারে না পরিশ্রম বেশি।  তাই প্রতি বছর পরিবারের সদস্যদের নিয়ে চারা উৎপাদন করে হাটে বাজারে বিক্রি করি যা আয় হয় তাই দিয়ে সংসার চালাতে হয়। দুর-দুরান্ত থেকে অনেক কৃষক এসেছে অমলের নিকট বেগুনের চারা ক্রয় করতে। কৃষক সিবু চন্দ্র বলেন অমলের চারাগুলো বাজারে অন্যান্য চারা থেকে অনেক ভাল। নিজ হাতে অমল বেগুনের চারাগুলো যত্ন করে তুলে। তার বেগুনের জাত খুবই ভাল, তাই আমি আমার নিজস্ব এক বিঘা (৩০ শতাংশ ) জমিতে বপনের জন্য এসেছি চারা ক্রয় করতে। আর অমলের বাবা যদু নাথ রায়ের সবজীর চারা বিক্রির নামডাক উপজেলার সর্বত্র।
    এবিষয়ে উপসহকারী কৃষি অফিসার শাহিনুর রহমান মুঠোফোনে বলেন, এবারের আবহাওয়া অনুকুল থাকায় কৃষকরা সবজী জাতীয় ফসল বেগুনের চাষ করতে পারে।  সবজী জাতীয় ফসল বেগুন চাষাবাদ করলে কৃষকরা বেগুন বিক্রি করে অর্থনৈতিক ভাবে লাভবান হবে। বর্তমান বাজারে বেগুনের চাহিদা ভাল। অমলের পাশাপাশি অন্যান্য কৃষকরাও নিজ উদ্দ্যোগে চারা উৎপাদন করে বেগুনা চাষাবাদ করতে পারে।