Author: admin

  • লজ্জায় সন্তানের দিকে তাকাতে পারছেন না ধর্ষণের শিকার মা।

    লজ্জায় সন্তানের দিকে তাকাতে পারছেন না ধর্ষণের শিকার মা।

                               ৷ ফলোআপ । 
    লজ্জায় সন্তানের দিকে তাকাতে পারছেন না ধর্ষণের শিকার মা।

    সাত বছরের শিশুপুত্রের সামনে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার এক নারী। তিনি দুই সন্তানের মা (৩২)।  পীরগঞ্জ উপজেলার শ্বশুরবাড়ি থেকে হরিপুরে বোনের বাড়িতে যাচ্ছিলেন তিনি। পথে কামারপুকুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ব্যাটারিচালিত একটি ইজিবাইকের চালক তাঁর কাছে গন্তব্যের কথা জানতে চান। তিনি গন্তব্যের কথা বললে তাঁকে তুলে নেন চালক।
    ওই সময়ে ইজিবাইকে আরও চারজন যাত্রী ছিলেন। কিছুদূর যাওয়ার পর তাঁরা ওই গৃহবধূ ও তাঁর ছেলেকে জোর করে বকুয়া ইউনিয়নের চাপধাবাজার এলাকার একটি আমবাগানে নিয়ে যান। ওই সময় গৃহবধূ ধস্তাধস্তি করলে ছেলের গলায় ছুরি ধরে হত্যার ভয় দেখিয়ে চুপ থাকতে বলা হয়। পরে সেখানে ওই গৃহবধূকে দল বেঁধে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
    চোখের সামনে এমন নৃশংস ঘটনা দেখেছে শিশুটি, চার দিন পেরিয়ে গেছে, এখনো ভয়ে সিঁটিয়ে থাকছে শিশুটি। আর লজ্জায় সন্তানের সামনে দাঁড়াতে পারছেন না ধর্ষণের শিকার হওয়া মা।
    শনিবার দুপুরে ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতালে ওই গৃহবধূর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়। পরে তাঁকে তাঁর বাবার বাড়ি বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় নিয়ে যান স্বজনেরা।
    আজ সোমবার সকালে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা পাড়িয়া ইউনিয়নের জিল্লুর পাড়া গ্রামে ধর্ষণের শিকার ওই নারীর বাড়িতে গিয়ে জানা যায় ঘটনার বিস্তারিত।
    তাঁর ভাই বলেন, ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর থেকে অনেকেই তাঁদের বাড়িতে আসছেন। এতে তাঁরা বিব্রত হচ্ছেন। তাঁর বোনও মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন।
    ঘটনার পর থেকে ওই গৃহবধূ কান্নাকাটি করছেন জানিয়ে তাঁর ভাই আরও বলেন, ধর্ষণ না করার জন্য হাত-পা ধরে নির্যাতনকারীদের কাছে অনুরোধ করেছিলেন তাঁর বোন। একপর্যায়ে ছেলের গলায় ছুরি ধরে তাঁকে চার-পাঁচজন মিলে ধর্ষণ করেন।
    গত শুক্রবার সন্ধ্যার পর এ ঘটনায় ওই দিন রাত ১২টার দিকে ওই গৃহবধূকে রাস্তার পাশে ফেলে পালিয়ে যাওয়ার সময় ফজলুর রহমান নামের এক তরুণকে আটক করেন স্থানীয় লোকজন। পরে তাঁরা ঘটনাটি জরুরি সেবা ৯৯৯-এ জানান। হরিপুর থানার পুলিশ এসে ওই গৃহবধূকে উদ্ধার করে। এরপর ফজলুর রহমানের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী রাতে অভিযান চালিয়ে রিসাদ ও আকাশ নামের দুজনকে আটক করা হয়।
    এ ঘটনায় ওই গৃহবধূ বাদী হয়ে গত শনিবার সকালে হরিপুর থানায় পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন ।
    মামলায় হরিপুর উপজেলার বকুয়া ইউনিয়নের চাপধা হাটপুকুর গ্রামের সলেমান আলীর ছেলে ফজলুর রহমান, চাপধা পিপলা গ্রামের করিমুল ইসলামের ছেলে রিসাদ, একই এলাকার গুচ্ছগ্রামের শাহজাহান আলীর ছেলে আকাশ, রকিম ও লস্করকে আসামি করা হয়েছে।
    ওই দিনই পুলিশ আটক তিনজনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায়।
    পরে রবিবার দিবাগত রাতে অভিযান চালিয়ে ভোরবেলা পালিয়ে থাকা রকিম ও লস্কর কে হরিপুর উপজেলার পশ্চিম বনগাঁও গ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
    গ্রেপ্তার আসামিরা হলেন—  হরিপুর উপজেলার বকুয়া ইউনিয়নের চাপধা হাটপুকুর গ্রামের সলেমান আলীর ছেলে ফজলুর রহমান, চাপধা পিপলা গ্রামের করিমুল ইসলামের ছেলে রিসাদ, একই এলাকার গুচ্ছগ্রামের শাহজাহান আলীর ছেলে আকাশ, রকিম ও লস্কর।
    মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হরিপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘অভিযুক্ত পাঁচ আসামির মধ্যে তিনজনকে ঘটনার রাতেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরে ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে ২২ ধারায় জবানবন্দিতে তাঁরা নিজেদের অপরাধ স্বীকার করেন। আদালতের নির্দেশক্রমে তাঁদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অন্য দুই আসামিকে রবিবার দিবাগত রাতে গ্রেপ্তার করা হয়  ।’ আজ সোমবার আটক দুইজনকে আদালতের মাধ‍্যমে কারাগারে পাঠানো হবে।
    ওই নারীর বর্তমান শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে ঠাকুরগাঁও ৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার রকিবুল আলম বলেন, ‘ভুক্তভোগী ওই নারী পরীক্ষার জন্য এসেছিলেন। নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। কয়েক দিনের মধ্যে রিপোর্ট দেওয়া হবে।’
    ধর্ষণ ও মারপিটের শিকার ওই নারীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
  • নলডাঙ্গায় শালিসি বৈঠকে ইউপি সদস্যকে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করলো যুবলীগকর্মীরা।

    নলডাঙ্গায় শালিসি বৈঠকে ইউপি সদস্যকে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করলো যুবলীগকর্মীরা।

    নলডাঙ্গায় শালিসি বৈঠকে ইউপি সদস্যকে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করলো যুবলীগকর্মীরা।


    নাটোরের নলডাঙ্গায় মালেক ব্যাপারী নামের এক ইউপি সদস্যকে শ্যালিসি বৈঠকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে ইউনিয়ন যুবলীগের কর্মীদের বিরুদ্ধে।

    সোমবার(২২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলার বাঁশিলা গ্রামে শ্যালিসি বৈঠকে এ ঘটনা ঘটে।আহত অবস্থায় ইউপি সদস্য কে স্থানীয়রা উদ্ধার করে নাটোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।খবর পেয়ে নলডাঙ্গা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করে।

    আহত ইউপি সদস্য আব্দুল মালেক ব্যাপারি (৪৭),তিনি উপজেলার বাঁশিলা গ্রামে বাসিন্দা ও মাধনগর ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নং ওর্য়াড সদস্য এবং মাধনগর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সদস্য।

    নলডাঙ্গা থানা পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পূর্ব বিরোধের জের ধরে উপজেলার মাধনগর ইউনিয়নের ৯ নং ওর্য়াড সদস্য মালেক ব্যাপারির বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দেয় ওর্য়াড যুবলীগের সাধারন সম্পাদক মাসুদ রানা।পরে দলীয়ভাবে দুই পক্ষকে বিষয়টি মিমাংসার উদ্দ্যোগ নেয়। এ বিষয়টি সোমবার বেলা ১০ টার দিকে মিমাংসার জন্য মাধনগর ইউনিয়ন যুবলীগের নেতাকর্মিরা বাঁশিলা গ্রামে শ্যালিসি বৈঠকে বসে। অভিযোগের বিষয়টি দুই পক্ষের মধ্যে আপোস মিমাংসা শেষে যুবলীগের ওর্যাড যুবলীগের সাধারন সম্পাদক মাসুদ রানার নেতৃত্বে যুবলীগের কর্মীরা ইউপি সদস্য মালেক ব্যাপারির উপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে চেয়ার দিয়ে মাথায় আঘাত করে।গুরুতর আহত অবস্থায় ইউপি সদস্য মালেককে নাটোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।এ ঘটনায় খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে এবং দুইজনকে যুবলীগ কর্মীকে আটক করে পুলিশ।

    নলডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম বলেন,পূর্ব বিরোধের জের ধরে বাঁশিলা গ্রামে দুই পক্ষ শ্যালিসি বৈঠক বসে।শ্যালিসে দুই পক্ষের মধ্যে আপোস মিমাংসা হয়।পরে ইউপি সদস্য মালেক ব্যাপারি উপর হামলা করে প্রতিপক্ষ।খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ পরিস্থিতি শান্ত করেন।এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুই জনকে আটক করা হয়েছে।

  • নন্দীগ্রামে শীর্ষ সন্ত্রাসী আখের আলীর গলাকাটা লাশ উদ্ধার।

    নন্দীগ্রামে শীর্ষ সন্ত্রাসী আখের আলীর গলাকাটা লাশ উদ্ধার।

    নন্দীগ্রামে শীর্ষ সন্ত্রাসী আখের আলীর গলাকাটা লাশ উদ্ধার।


    বগুড়ার নন্দীগ্রামে ধানক্ষেত থেকে বগুড়ার শীর্ষ সন্ত্রাসী ও বালু ব্যবসায়ী আখের আলীর (২৮) এর গলাকাটা লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত আখের আলী বগুড়া সদরের সাবগ্রাম চান্দপাড়া এলাকার মোয়াজ্জেম হোসেনের ছেলে। তার বিরুদ্ধে আপন বড় ভাই রাশেদ, যুবলীগ নেতা মানিক ও বালু ব্যবসায়ী সবুজ হত্যা মামলা, প্রস্তুতি ডাকাতি, ছিনতাইসহ আরো ৭-৮টি মামলা রয়েছে।

    সোমবার দুপুরে নন্দীগ্রাম পৌর এলাকার ওমরপুর কালিকাপুর এর মাঝামাঝি বগুড়া টু নাটোর মহাসড়কের পাশে ধানক্ষেত থেকে আখের আলীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ সময় পাশের জঙ্গল থেকে একটি মোবাইল ফোন, ১৫০সিসি কালো রঙের একটি পালসার মোটরসাইকেল (বগুড়া ল-১২-১৩৯৯) ও হেলমেড উদ্ধার করে পুলিশ।

    স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, সকাল ১০টার দিকে কৃষকেরা ধান চাষাবাদি জমির কাদা-পানিতে মরদেহ পড়ে থাকা অবস্থায় দেখেন। মুহূর্তে খবর ছড়িয়ে পড়লে শতশত উৎসুক জনতা ঘটনাস্থলে ভিড় করে। পরে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। মোবাইল ফোনের সুত্র ধরে নিহতের পরিচয় সনাক্ত করা হয়। হত্যার রহস্য উদঘাটনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন সহ হত্যাকান্ডের আলামত সংগ্রহ করেছেন পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, সিআইডির চৌকস টিম ও ক্রাইম ছিন সিরাজগঞ্জ।

    নন্দীগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, ধারনা করা হচ্ছে পরিকল্পিতভাবে তার ঘনিষ্ঠ কেউ ডেকে এনে গলাকেটে হত্যা করেছে। আখের আলীর নামে হত্যাসহ অসংখ্য মামলা রয়েছে। হত্যার সাথে জড়িতদের সনাক্ত করতে কাজ করছে পুলিশ।

  • শিক্ষার মানোন্নয়নে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে-এমপি তানভীর।

    শিক্ষার মানোন্নয়নে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে-এমপি তানভীর।

    শিক্ষার মানোন্নয়নে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে-এমপি তানভীর।


    সিরাজগঞ্জ – ৪ উল্লাপাড়া-সলঙ্গা আসনের এমপি তানভীর ইমাম বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা উন্নত বাংলাদেশ গড়তে কাজ করে যাচ্ছি। ২০৪১ সালের মধ্যে জ্ঞান নির্ভর উন্নত বাংলাদেশ গড়তে হলে সবার আগে শিক্ষার মানোন্নয়ন ঘটাতে হবে। ধনী দেশ, আর উন্নত দেশ এক কথা নয়। শিক্ষার উন্নয়ন ব্যতীত উন্নত দেশ গড়া সম্ভব নয়। শিক্ষার মানোন্নয়নে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।

    সোমবার দুপুরে উল্লাপাড়া সরকারি কলেজে ঝটিকা সফরে গিয়ে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষার মানোন্নয়ন ও মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

    তার আগে এমপি তানভীর ইমাম উল্লাপাড়া সরকারি কলেজে উপস্থিত হলে কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ আসাবুল হক সহ শিক্ষকগণ তাকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন।

    মতবিনিময় সভায় এ সময় উপস্থিত ছিলেন উল্লাপাড়া সরকারি কলেজের শিক্ষক শামীম হাসান, মো জাকির হোসেন, মোঃ সাইফুল ইসলাম, উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রীবলী ইসলাম কবিতা, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মীর আরিফুল ইসলাম উজ্জ্বল, আরিফ বিন হাবিব সহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

  • গোদাগাড়ীতে সোনালী আশা বট পাট চাষের সম্ভবনা।

    গোদাগাড়ীতে সোনালী আশা বট পাট চাষের সম্ভবনা।

    গোদাগাড়ীতে সোনালী আশা বট পাট চাষের সম্ভবনা।


    পাটের ন্যায় পরিবেশবান্ধব আঁশ জাতীয় ফসল বট পাট (বট কেনাফ) । রাজশাহী জেলার গোদাগাড়ী উপজেলায় চাষ হয়েছে সম্ভাবনাময় আঁশ ফসল বট পাট। হুবহু পাটের মতোই পাতা ঢেঁড়শের পাতার মত। পাটের চেয়ে এর ফলন বেশি। আঁশের রং ও খুবই সুন্দর। “কেনাফ” এই পাটের জাতটি আঞ্চলিক ভাষায় বট নাইলা বা বট পাট নামে পরিচিত। নোনা সহিষ্ণু। সেচের প্রয়োজন হয় না। এই পাট বীজ জমিতে বপন করার পর জমিতে কোন আগাছা নাশক দিতে হয় না। এমনকি জমিতে নিড়ানি দিতে হয় না। আগাছা পাটের সাথে প্রতিযোগীতা করে বেড়ে উঠতে পারে না। এতে কৃষকের উৎপাদন খরচ অন্য পাটের চেয়ে কম হয়।যে জমিতে বোরো আবাদ করা সম্ভব নয়, সাধারণত অনাবাদি থাকে; কিন্তু বৃষ্টিতে ফসলহানি হয়, সেই জমিতে এর চাষ করেও কৃষক আর্থিকভাবে লাভবান হতে পারে। এর নাম “কেনাফ”। কেনাফের উৎস আফ্রিকায়। বৈজ্ঞানিক নাম হিবিসকাস মালভেসি।

    উষ্ণমন্ডলীয় ও অবউষ্ণ দেশগুলোতে আঁশ উৎপাদনের জন্য ব্যাপক বিস্তৃতি লাভ করেছে। বর্তমানে বাংলাদেশের কিশোরগঞ্জ, ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল, জামালপুর, নরসিংদী, নেত্রকোনা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, সিরাজগঞ্জ, মাদারীপুর, শরিয়তপুর, গাজীপুর, চাঁদপুর ও গোপালগঞ্জ জেলায় বট পাটের ( কেনাফ ) চাষ হলেও। এই পাটের জাতটি মূলত নেত্রকোনা ও ময়মনসিংহ জেলায় চাষ হয় সবচেয়ে বেশি।

    গোদাগাড়ী উপজেলার দেওপাড়া ইউনিয়নের ফুলবাড়ী এলাকায় ১ বিঘা জমিতে বট পাট চাষ করেছে কৃষক আব্দুল করিম। কথা হয় তার সাথে। তিনি বলেন, গোদাগাড়ী উপজেলা কৃষি অফিসের উপ-সহকারী কৃষি অফিসার অতনু সরকার আমাকে এ পাটের বীজ সংগ্রহ করে দিয়েছে। তার কাছে বীজ পেয়েছি জৈষ্ঠ মাসে। বীজ পাওয়ার পর জৈষ্ঠ মাসেই জমিতে বীজ বপন করি। ছোট অবস্থায় জমিতে এ পাট দেখে এলাকার অনেকেই নানা ধরনের সমালোচনা করছিল। এখন জমিতে পাটের গাছ খুব ভালো হয়েছে। বর্তমানে পাট গাছ প্রায় ৭ থেকে ৮ ফিট লম্বা হয়েছে। বিঘা প্রতি ১০ – ১২ মন ফলন হবে বলে আশা করছি। আগে যারা সমালোচনা করছিল তারা এখন আমাকে বলছে আগামীতে তারাও এ পাটের চাষ করবে। আগামীতে এ অঞ্চলে বট পাটের চাষ বৃদ্ধি পাবে। তিনি আরো বলেন, এ পাট কেটে ওই জমিতে পেয়াজের চাষ করবো।

    মাটির স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সংরক্ষণে পাটের মতো কেনাফের গুরুত্বও অপরিসীম। কেনাফ ফসলের মূল মাটির ১০ থেকে ১২ ইঞ্চি বা তার বেশি গভীরে প্রবেশ করে মাটির উপরিস্তরে সৃষ্ট শক্ত ‘পস্নাউপ্যান’ ভেঙে দিয়ে এর নিচে তলিয়ে যাওয়া অজৈব খাদ্য উপাদান সংগ্রহ করে মাটির উপরের স্তরে মিশিয়ে দেয়। ফলে অন্যান্য অগভীরমূলী ফসলের পুষ্টি উপাদান গ্রহণ সহজ হয় এবং মাটির ভৌত অবস্থার উন্নয়ন ঘটে। মাটিতে পানি চলাচল সহজ ও স্বাভাবিক থাকে। এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, ১০০ দিন সময়ের মধ্যে প্রতি হেক্টর কেনাফ ফসল বাতাস থেকে প্রায় ১৪.৬৬ টন কার্বন-ডাই-অক্সাইড শোষণ করে এবং ১০.৬৬ টন অক্সিজেন নিঃসরণ করে বায়ুমন্ডলকে বিশুদ্ধ ও অক্সিজেন সমৃদ্ধ রাখে। কেনাফ আঁশ থেকে কাগজের পাল্প বা মন্ড তৈরি করে নিউজপ্রিন্ট মিলের কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহার, কেনাফ খড়ি হার্ডবোর্ড বা পার্টেক্স মিলের কাঁচামাল ও চারকোল তৈরিতে ব্যবহারযোগ্য।

    তা ছাড়া কেনাফ খড়ি জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার এবং বীজ থেকে ঔষধি গুণ সম্পন্ন তেল পাওয়া যায়। পৃথিবীর বহুদেশে কাগজের মন্ড ও উন্নতমানের কাগজ ছাড়াও বহু মূলবান দ্রব্যসামগ্রী কেনাফ থেকে উৎপাদিত হয়। কেনাফ আঁশ পৃথিবীর বহু দেশে শিল্পজাত দ্রব্য হিসেবে কাগজের মন্ড, বোর্ড, জিও টেক্সটাইল চট, কম্বল, পেস্নন পার্টস, মোটর কার পার্টস, কম্পিউটার পার্টস, কুটির শিল্পজাত দ্রব্য- শিকা, মাদুর, জায়নামাজ, টুপি, স্যান্ডেল এবং কাপড় চোপড় জাতীয় সোফার কভার, পর্দার কাপড়, বেডশিট, কুশন কভার, সাটিং সুটিং, পাঞ্জাবি, সোয়েটার ছাড়াও বিভিন্ন কাজে ইনটেরিয়র ইনস্যুলেটর হিসেবেও এটি ব্যবহৃত হচ্ছে। সাধারণত পাট গাছের পাতা জাগ দেওয়ার আগে ঝরিয়ে ফেলা দেওয়া হয়। কিন্তুু এই বট পাটের পাতা ফেলে না দিয়ে বিশেষ পদ্বতিতে গরু কে খাওয়ালে ৭ – ১০ দিনের মধ্যে ই চোখে পরার মত গো-স্বাস্থের উন্নতি হয়।

    গোদাগাড়ী উপজেলা কৃষি অফিসের উপ-সহকারী কৃষি অফিসার অতনু সরকার বলেন, এই পাটের বীজ আমি নিয়ে আসি এবং ঈশ্বরীপুর ব্লকের ফুলবাড়ি গ্রামের দুই জন চাষিকে দেই চাষ করার জন্য। এই পাটের জাতটি খরা সহনশীল। এই পাট বীজ জমিতে বপন করার পর জমিতে কোন আগাছা নাশক দিতে হয় না এমনকি জমি নিড়ানি দিতে হয় না। আগাছা পাটের সাথে প্রতিযোগীতা করে বেড়ে উঠতে পারে না। এতে কৃষকের উৎপাদন খরছ অন্য পাটের চেয়ে কম হয়। সাধারন পাটের আশেঁর রং এত সুন্দর হয়না এবং ফলন কম হয়। ফলে কৃষক বাজার মূল্য কম পায়। এই পাটের আঁশের ফলন, চাহিদা ও বাজার মূল্য অনেক বেশি। বটপাট এই এলাকায় আগামীতে ব্যাপক হারে চাষ হবে এবং কৃষক আর্থিকভাবে লাভবান হবে। সোনালী আঁশের সুদিন ফিরে আসবে।

  • ছেলেকে নিজের কিডনি দিতে চান মা, বাধা শুধু চিকিৎসা খরচ!

    ছেলেকে নিজের কিডনি দিতে চান মা, বাধা শুধু চিকিৎসা খরচ!

    ছেলেকে নিজের কিডনি দিতে চান মা, বাধা শুধু চিকিৎসা খরচ!


    ছাত্র হিসেবে মেধাবী। এলাকাজুড়ে রয়েছে বেশ সুনাম। সকল পরীক্ষায় রেখেছেন কৃতিত্বের স্বাক্ষর। বাবা মায়ের ইচ্ছে ছিল একমাত্র ছেলেকে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করবেন। কিন্তু সে আশা পূরণ  হওয়ার আগেই জীবনে নেমে আসে অন্ধকার কালো এক অধ্যায় ।

    রিফাত হাসান রিপন (২২) কৈশোরে বাবাকে হারিয়েছেন। বাবার মৃত্যুর পর অভাবের পরিবারে মা সংসারের হাল ধরেন। উচ্চশিক্ষা অর্জন করে দারিদ্র্যকে পরাজিত করার স্বপ্ন নিয়ে প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে রাজশাহী কলেজে ভর্তি হন। কিন্তু বিধি বাম। সহপাঠীরা যখন ক্লাসে ব্যস্ত, তখন রিপন মৃত্যুর ক্ষণ গুনছেন। তাঁর দুটি কিডনিই নষ্ট।

    ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈল উপজেলার লেহেম্বা ইউনিয়নের পকম্বা গ্রামে রিপনের বাড়ি। ছোটবেলা থেকেই পড়াশোনার প্রতি তাঁর প্রবল আগ্রহ। সেই আগ্রহ থেকেই উচ্চমাধ্যমিক শেষে ভর্তি হন রাজশাহী কলেজের পরিসংখ্যান বিভাগে। রিপন এখন সেই কলেজের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী।

    আত্মীয়স্বজন, রিফাতের বন্ধুবান্ধব কলেজের সহপাঠী ও প্রতিবেশীরা তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছেন। কিন্তু এই টাকা তাঁর চিকিৎসার জন্য খুবই নগণ্য।

    সরেজমিনে গিয়ে জানা যায় রিপনসহ পরিবারের সদস্য ৪ জন। মা বাবা ছোটবোনকে নিয়ে বেশ সুখেই কাটছিল তাদের জীবন। তবে সেই সুখ বেশি দিন স্থায়ী হয়নি তাদের। মাধ্যমিক পাস করতেই  বাবা ছেড়ে পরপারে চলে যান। এরপরে পরিবারে নেমে আসে দুর্দিন। ভিটেমাটি ছাড়া অল্প একটু আবাদি জমির আয়ে কোনমতে চলে তাদের তিন সদস্যদের সংসার।

    পরিবার সূত্র জানায়, ২০২০ সালের মার্চের দিকে জ্বর, বমি আর মাথাব্যথা দেখা দেয় রিপনের। পরীক্ষা করে জানা যায়, তার দুটি কিডনির কোনোটিই আর কাজ করছে না। রিপনের এ অবস্থায় দিশাহারা মা সহায়-সম্বল বিক্রি করে চিকিৎসা করাতে শুরু করেন। দিনাজপুর, রংপুর, রাজশাহীতে চিকিৎসা শেষে ঢাকা সেন্টার ফর কিডনি ডিজিজেস অ্যান্ড ইউরোলজি হাসপাতালে ভর্তি হন রিপন। সেখানের চিকিৎসক অধ্যাপক কামরুল ইসলাম রিপনকে কিডনি প্রতিস্থাপনের পরামর্শ দেন। এখন তাঁকে সপ্তাহে দুই দিন ডায়ালাইসিস করাতে হয়। ডায়ালাইসিস না করালে শুরু হয় তাঁর শ্বাসকষ্ট।

    অসুস্থ রিপন বলেন, বাবার ইচ্ছে ছিলো  আর মায়ের স্বপ্ন ছিল আমি উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হবো। সেই স্বপ্ন নিয়েই পড়াশোনা করছিলাম। নিজে স্বপ্ন বুনছিলাম বিসিএস ক্যাডার হয়ে দেশের জন্য কিছু করব।
    এখন সপ্তাহে দুদিন হাসপাতালে না গেলে শ্বাসকষ্টের সমস্যা হয়। তবুও স্বপ্ন দেখি বেঁচে থাকার।

    রিফাতের মা রিতা বেগম বলেন, স্বামী মারা যাওয়ার আট বছর হল। অনেক কষ্ট করে সংসার চালাতে হয় । আমাদের যা ছিল সবকিছু দিয়ে চিকিৎসা করিয়েছি।  চিকিৎসক যত দ্রুত সম্ভব ভারতে গিয়ে কিডনি প্রতিস্থাপন করতে বলেছেন। কিন্তু ভারতে গিয়ে কিডনি প্রতিস্থাপন করতে ২৮ থেকে ৩০ লাখ টাকা খরচ হবে। যা তাঁর পরিবারের পক্ষে জোগান দেওয়া কোনোভাবেই সম্ভব নয়। আত্মীয়স্বজন, রিফাতের বন্ধুবান্ধব ও প্রতিবেশীরা তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছেন। কিন্তু এই টাকা তাঁর চিকিৎসার জন্য খুবই নগণ্য। এ পরিস্থিতিতে ছেলেকে বাঁচাতে সবার কাছ থেকে সহযোগিতা আশা করছেন তিনি। রিতা বেগম আরও বলেন, ‘আপনারা পাশে দাঁড়ালে, ছেলেকে আমি আমার কিডনি  দেব।’ আমার সন্তানকে বাঁচাতে আপনারা শুধু চিকিৎসার খরচটা দেন।

    লেহেম্বা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল কালাম জানান পকম্বা গ্রামের রিপনের বিষয়টি অবগত রয়েছি। কিডনি প্রতিস্থাপন চিকিৎসা অনেক ব্যয়বহুল। ওই পরিবারের পক্ষে এই ব্যয়বহুল খরচ দিয়ে তার চিকিৎসা  করানো সম্ভব হবেনা। যদি সকলে এগিয়ে আসা যায় তবেই তাকে বাঁচানো সম্ভব।

    রিফাত হাসান রিপন বর্তমানে ঢাকা সেন্টার ফর কিডনি ডিজিজেস অ্যান্ড ইউরোলজি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁর চিকিৎসার জন্য সহযোগিতা করতে চাইলে মা রিতা বেগমের সাথে ০১৭৩১১০০৪৬৭০ নম্বরে যোগাযোগ করে সহযোগিতা করতে পারবেন।  বিকাশ ০১৭৯৩৯৬৮৯৪৭,
    রকেট নম্বর ০১৭৯৩৯৬৮৯৪৭২ (রিপন) ।
    ইসলামী ব্যাংক, রাণীশংকৈল শাখা হিসাব নং- ২০৫০৪১১০২০০৩২৫৬১০

  • ছাতকে ২১ শে আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহতদের স্মরনে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল।

    ছাতকে ২১ শে আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহতদের স্মরনে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল।

    ছাতকে ২১ শে আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহতদের স্মরনে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল।


    সুনামগঞ্জের ছাতকে উপজেলা আওয়ামিলীগ ও অঙ্গ সহ যোগী সংগঠনের উদ্যোগে ২১ শে আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহত দের স্মরনে এক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    ২১ আগস্ট রোববার সকালে উপজেলা সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ছাতক -দোয়ারার সংসদ সদস্য মুহিবুর রহমান মানিক। উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামিলীগের সম্মেলন প্রস্ততি কমিটির আহবায়ক ফজলুর রহমানের সভাপতিত্বে ও উপজেলা আওয়ামিলীগ নেতা আফজাল হোসেনের পরিচালনায় প্রধান বক্তাহিসাবে বক্তব্য রাখেন ছাতক পৌর সভার প্রতিস্টাতা মেয়র ও পৌর আওয়ামীলীগের সম্মেলন প্রস্ততি কমিটির আহবায়ক আলহাজ্ব আব্দুল ওয়াহিদ মজনু।

    বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামিলীগের যুগ্ম সম্পাদক সৈয়দ আহমদ, ইউপি চেয়ারম্যান গয়াছ আহমদ, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আবু শাহাদাত মোহাম্মদ লাহিন, লিপি বেগম, পৌর সভার প্যানেল মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের সম্মেলন প্রস্ততি কমিটির যুগ্ম আহবায়ক তাপস চৌধুরী, এডভোকেট আশিক আলী, বীর মুক্তিযোদ্ধা আমির আলী বাদশাহ, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মছব্বির আওয়ামী লীগ নেতা শামসুজ্জামান রাজা, ,ইসলাম পুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মুরাদ আহমদ, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ নেতা নাজমুল হোসেন, সিরাজুল ইসলাম, গিয়াস উদ্দিন, ফয়জুল বারি, ছাত্র লীগ নেতা অঞ্জুর আলম।এ সময় সভায় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা চান মিয়া চৌধুরী, ইউপি চেয়ারম্যান সুন্দর আলী, বিল্লাল আহমদ, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আফজাল আবেদিন আবুল, পৌর আওয়ামী লীগের সম্মেলন প্রস্ততি কমিটির সদস্য ও পেপার মিল উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ইশতিয়াক রহমান তানভীর, জেলা সেচ্চাসেবক লীগের সহ-সভাপতি বাবুল রায়, উপজেলা আওয়ামিলীগের সহ-সভাপতি আবু হানিফা সায়মন, উপজেলা যুব লীগ নেতা আঙ্গুর আলম প্রমূখ।

  • ছেলের গলায় ছুরি ঠেকিয়ে মাকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ,গ্রেপ্তার-৩।

    ছেলের গলায় ছুরি ঠেকিয়ে মাকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ,গ্রেপ্তার-৩।

    ছেলের গলায় ছুরি ঠেকিয়ে মাকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ,গ্রেপ্তার-৩।

    স্বামীর বন্ধুর বাড়ি থেকে বোনের বাড়িতে যাওয়ার পথে এক গৃহবধূকে অপহরণ করে গণধর্ষণ করা হয়েছে বলে থানায় অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী এক গৃহবধূ।
    শিশুসন্তানের গলায় ছুরি ঠেকিয়ে ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে এক নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
    শনিবার (২০ আগস্ট) হরিপুর থানায় ভুক্তভোগী ওই নারী বাদী হয়ে পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেন।
    এর আগে শুক্রবার (১৯ আগস্ট) বিকেলে রানীশংকৈল উপজেলার বকুয়া ইউনিয়নের চাপধা বাজার এলাকা একটি আমবাগানে এ ঘটনা ঘটে।
    মামলা সূত্রে জানা যায়, বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার দক্ষিণ পাড়িয়া এলাকার ওই নারী গত শুক্রবার (১৯ আগষ্ট) বিকেল সাড়ে চারটার দিকে তার সাত বছর বয়সী ছেলে মাসুমকে নিয়ে তিনি হরিপুর উপজেলার রুহিয়া এলাকায় স্বামীর বন্ধুর বাড়ি থেকে বোনের বাড়িতে যাওয়ার সময় রাণীশংকৈল উপজেলার কামারপুকুর অটো স্ট্যান্ড হইতে ধর্ষিত (২৮)কে অটোযোগে অপহরণ করে বকুয়া ইউনিয়নের চাপধা বাজারের পুর্ব উত্তর পাশে আনোয়ার মাস্টারের আম বাগানের ভিতরে নিয়ে যায়। বাগানে ভিতরে অপহরণকারীরা ওই গৃহবধূর ছেলে মাসুমের গলায় ছুড়ি ঠেকিয়ে জিম্মি করে তার মাকে পর্যায়ক্রমে গণধর্ষণ করে বিবস্ত্র করে।
    মামলার আসামিরা হলেনঃ হরিপুর উপজেলার বকুয়া ইউনিয়নের হাটপুকুর গ্রামের সলেমান আলীর ছেলে ফজলুর রহমান (২২), চাপধা পিপলা গ্রামের করিমুল ইসলামের ছেলে রিসাদ (২১), একই এলাকার গুচ্ছগ্রামের শাহজাহান আলীর ছেলে আকাশ (২২) এবং রকিম ও লসকর নামে অজ্ঞাত দুজন।
    পুলিশ জানায়, ভুক্তভোগী ওই নারী দুই সন্তানের মা। গত শুক্রবার বিকেলে হরিপুর উপজেলার রুহিয়া চাপধা এলাকার এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে রানীশংকৈল হয়ে বোনের বাড়িতে যাচ্ছিলেন। পথে রানীশংকৈল উপজেলার কামারপুকুর বাসস্ট্যান্ডে কয়েক যুবক অটোচালকের যোগসাজশে ওই নারীকে কৌশলে তুলে নিয়ে যায়।
    পরে বকুয়া ইউনিয়নের চাপধা বাজার এলাকার একটি আমবাগানের ভেতরে নিয়ে গিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে। এ সময় তার সঙ্গে থাকা সাত বছরের ছেলের গলায় ছুরি ধরে ভয়ভীতি দেখায় ধর্ষকরা। এরপর রাত ১২টার সময় ওই যুবকরা ভুক্তভোগী ওই নারীকে রাস্তার পাশে ফেলে পালিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয় লোকজন ফজলুর রহমান নামে একজনকে আটক করে ৯৯৯-এ ফোন দেন। পরে পুলিশ ওই নারীকে উদ্ধার করে।
    এরপর ধর্ষক ফজলুর রহমান ও ভিকটিমের ভাষ্যমতে হরিপুর থানা পুলিশ রাতেই অভিযান চালিয়ে রিসাদ ও আকাশকে আটক করে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ওই নারী বাদী হয়ে পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে শনিবার হরিপুর থানায় মামলা দায়ের করেন।
    পরে ওই ভুক্তভোগী নারীর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ।
    এ বিষয়ে হরিপুর থানার পরিদর্শক তদন্ত ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন জানান, অভিযুক্ত পাঁচ আসামির মধ্যে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পরে রাতে আদালতে বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে ২২ ধারায় জবানবন্দিতে তারা নিজেদের অপরাধ স্বীকার করেন। আদালতের নির্দেশক্রমে তাদের কারাগারের পাঠানো হয়েছে।
    এছাড়া অন্য দুই আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলে জানান পুলিশের ওই কর্মকর্তা।
    এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার রকিবুল আলম জানান, ভুক্তভোগী ওই নারী পরীক্ষার জন্য এসেছিলেন। কয়েক দিনের মধ্যে রিপোর্ট পাওয়া যাবে।
  • উল্লাপাড়ায় চুরি করে সরকারি রাস্তার গাছ কাটার অপরাধে গ্রেফতার ৬।

    উল্লাপাড়ায় চুরি করে সরকারি রাস্তার গাছ কাটার অপরাধে গ্রেফতার ৬।

    উল্লাপাড়ায় চুরি করে সরকারি রাস্তার গাছ কাটার অপরাধে গ্রেফতার ৬।


    সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় গ্রামীণ জনপদের বিভিন্ন সরকারি রাস্তার লাখ লাখ টাকার বিভিন্ন প্রজাতির গাছ রাতের আঁধারে চুরি করে কেটে নিচ্ছে উপজেলার একটি চোর সিন্ডিকেট চক্র।

    শনিবার গভীর রাতে উপজেলার পূর্ণিমাগাঁতী ইউনিয়নের উল্লাপাড়া – তাড়াশ সড়কের শিমলা ব্রীজের পূর্ব পাশ থেকে ইউক্যালেকটর সহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ কাটার সময় ধারালো অস্ত্র, গাছ বহন করা ট্রলিসহ ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। ঘটনার প্রেক্ষিতে উপজেলা বন কর্মকর্তা দেওয়ান শহিদুজ্জামান বাদী হয়ে উল্লাপাড়া মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে।

    গ্রেফতারকৃতরা হলো উপজেলার গয়হাট্রা একান্তপুর গ্রামের মৃত আনোয়ার হোসেনের ছেলে জহিরুল ইসলাম (৬২), পারকুল গ্রামের হাজী আকবর আলীর ছেলে আইনুল হক (৫০), বিনায়েকপুর গ্রামের হাজী ওছমান গণির ছেলে মুনছুর আলী (৪৫), একই গ্রামের লবা সেখের ছেলে নুরুল ইসলাম (৩৫), ফজল প্রামানিকের ছেলে বাবু প্রামানিক (৪০) ও হাছেন আলীর ছেলে আব্দুর রাজ্জাক (৪৫)।

    উল্লাপাড়া মডেল থানার উপ পরিদর্শক সাহেব গণি জানান, গ্রেফতার এই সিন্ডিকেটের সদস্যরা দীর্ঘদিন ধরে গ্রামীণ জনপদের বিভিন্ন রাস্তার গাছ চুরি করে কেটে আসছিল। রাতের আধারে গাছ কাটা অবস্থায় এলাকাবাসীর অভিযোগ পেয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

    উল্লাপাড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ নজরুল ইসলাম বলেন, উপজেলা বন বিভাগের কর্মকর্তার মামলার প্রেক্ষিতে গ্রেফতারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।

  • মৌলভীবাজারে স্বেচ্ছাসেবকদলের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন।

    মৌলভীবাজারে স্বেচ্ছাসেবকদলের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন।

    মৌলভীবাজারে স্বেচ্ছাসেবকদলের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন।

    বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের ৪২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে মৌলভীবাজাররে বর্ণাঢ্য র‌্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
    শুক্রবার ১৯ আগস্ট ২০২২ইং, বিকাল ০৪ টার সময় শহরের কুসুমবাগ আল আরাফা ব্যাংকের সামনে এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
    মৌলভীবাজার জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক জিএমএ মোক্তাদীর রাজু’র সভাপতিত্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
    এ সময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সাবেক সংসদ সদস্য ও মৌলভীবাজার জেলা বিএনপি সভাপতি এম নাসের রহমান।
    বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মৌলভীবাজার জেলা বিএনপি সহ সভাপতি মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন মাতুক, জেলা বিএনপি সহ সভাপতি মোঃ ফয়ছল আহমদ, জেলা বিএনপি সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ বকসি মিছবাউর রহমান, জেলা বিএনপি ১ম যুগ্ম সম্পাদক মোঃ ফখরুল ইসলাম, মৌলভীবাজার জেলা যুবদলের সভাপতি মোঃ জাকির হোসেন উজ্জ্বল, মৌলভীবাজার জেলা ছাত্র দলের সভাপতি মোঃ রুবেল আহমেদ, সদর উপজেলা বিএনপি সাধারণ সম্পাদক মোঃ মিজানুর রহমান নিজাম, পৌর বিএনপি সাধারণ সম্পাদক মোঃ ফরহাদ রশিদ, সহ জেলা বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতৃবৃন্দরা বক্তব্য রাখেন।
    মৌলভীবাজার জেলা বর্ণাঢ্য র‍্যালী ও আলোচনা সভায় অংশগ্রহণ করে, শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দল, বড়লেখা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দল, জুড়ি উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দল, কুলাউড়া উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দল, রাজনগর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দল, কমলগঞ্জ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দল, সহ সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের নেতৃবৃন্দরা অংশগ্রহণ করে। বর্ণাঢ্য র‍্যালীতে কয়েক হাজার নেতাকর্মীরা অংশগ্রহণ করে।
    আলোচনা সভা শেষে কুসুমবাগ থেকে বর্ণাঢ্য র‌্যালী বের হয়ে পশ্চিমবাজার হয়ে পুরাতন হাসপাতাল রোড হয়ে সেন্ট্রাল রোড হয়ে চৌমুহনী পদক্ষিণ করে শমসেরনগর রোডে গিয়ে সমাবেশের মাধ্যমে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে সমাপ্ত করা হয়।