Author: admin

  • উল্লাপাড়ায় সন্ত্রাসীদের আগুনে বসতবাড়ি ও ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান দোকানঘর পুরে ছাই।

    উল্লাপাড়ায় সন্ত্রাসীদের আগুনে বসতবাড়ি ও ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান দোকানঘর পুরে ছাই।

    উল্লাপাড়া(সিরাজগঞ্জ)প্রতিনিধিঃ

    সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় সন্ত্রাসীদের পেট্রোলের আগুনে আওয়ামীলীগ নেতার ছোট ভাই আজিজুল হকের বসতবাড়ি ও ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান দোকান ঘর পুরে ছাই হয়ে গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার বড়পাঙ্গাসী ইউনিয়নের খাদুলি গ্রামের আজিজুল হকের বাড়িতে।

    সন্ত্রাসীদের আগুনে ব্যবসায়ীর বসতবাড়ি ও দুই লক্ষাধিক টাকার মালামালসহ দোকানঘর পুরে গেছে। এ বিষয়ে আজিজুল হক বাদী হয়ে উল্লাপাড়া মডেল থানায় মামলা করেছেন।

    মামলা সূত্রে জানা যায়,বড় পাঙ্গাসী ইউনিয়নের খাদুলি গ্রামের মৃত নওয়াব আলী মণ্ডলের ছেলে মোঃআজিজুল হকের সঙ্গে একই গ্রামের তোরাব আলী গং এর জমি ক্রয়-বিক্রয় নিয়ে বিরোধের সৃষ্টি হয়। বিরোধের একপর্যায়ে তোরাব আলীর ছেলে মোঃখোরশেদ আলী ( ৪০),মোঃ খলিল (৩০), আক্কাস আলীর ছেলে মোঃ এরশাদ আলী (৩৫),মোঃ আলতাফ হোসেনের ছেলে মোঃ আলাউদ্দিন (৩৬), মোঃ আনসার আলীর ছেলে মোঃ সাইফুল ইসলাম গং ১৯-১১-২০২২ ইং তারিখ বিকেল সাড়ে ৪ টার সময় আমার বসতবাড়ি সংলগ্ন ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান দোকানে এসে আমাকে সহ পরিবার পরিজনদের মারপিট ও প্রাণনাশের হুমকি সহ বাড়িঘর আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেবে বলে শাসিয়ে যায়।

    উল্লেখিত তারিখে মধ্যরাতে খোরশেদ,এরশাদ আলী,খলিল,আলাউদ্দিন,সাইফুলসহ বেশ ক’জন সন্ত্রাসী আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দোকান ঘরে পেট্রোল ঢেলে আগুন দিয়ে পালিয়ে যায়।এতে দোকান ও গোয়াল ঘরে পুরে যায়।

    বড় পাঙ্গাসী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেন বিএসসি জানান, আজিজুল হক প্রতিদিনের মতো দোকানঘর বন্ধ করে ঘুমিয়ে পড়েন। ঘটনার দিন মধ্যরাতে খোরশেদ আলী গংরা পেট্রোল ঢেলে আগুন লাগিয়ে পালিয়ে যায়। আগুন লাগার বিষয়টি আজিজুলের স্ত্রী আফরোজা খাতুন টের পেয়ে চিৎকার শুরু করেন।এ সময় প্রতিবেশীরা ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এতে আজিজুলের দোকানে থাকা মূল্যবান ফ্রিজ,টিভি, ফ্যান,নগদ টাকাসহ দোকানের দুই লক্ষাধিক টাকার মালামাল পুড়ে যায়। দোকানঘর সংলগ্ন গোয়াল ঘরের এককাংশ পুড়ে যায়।

    উল্লাপাড়া মডেল থানার উপ-পরিদর্শক মাসুদ রানা জানান এ ব্যাপারে আজিজুল হক বাদী হয়ে থানায় অভিযোগ দিয়েছে।পুরো ঘটনা তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

  • তাডাশে জে এস সি শিক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত।

    তাডাশে জে এস সি শিক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত।

    তাড়াশ প্রতিনিধি:

    সিরাজগঞ্জের তাড়াশে দিঘী সদগুনা এম. এ. আর নিম্ন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের জে এস সি শিক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    আজ ২৩ নভেম্বর বুধবার সকালে উপজেলার দিঘী সদগুনা এম. এ. আর নিম্ন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে ম্যানিজিং কমিটির সভাপতি ও মাগুড়া বিনোদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান ম্যাগনেট’র সভাপতিতে এ বিদায় অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এ উপস্থিত ছিলেন সদগুনা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মো. গোলাম মোস্ত্মফা, দিঘীসদগুনা এম. এ. আর নিম্ন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) মো.শহিদুল ইসলাম, সহকারী শিক্ষক মো.ইউসুব আলী,পরিচালনা কমিটির সদস্য রজব আলী, ইদ্রিস আলী, ছমের আলী, মো. সিরাজুল ইসলামসহ ম্যানিজিং কমিটির অন্যান্য সদস্য ও ছাত্রী অভিভাবক বৃন্দ।

    অনুষ্ঠান শেষে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

  • বেলকুচির ধূকুরিয়াবেড়াতে মাদকের আখড়া-এলাকাবাসীর ক্ষোভ প্রকাশ। 

    বেলকুচির ধূকুরিয়াবেড়াতে মাদকের আখড়া-এলাকাবাসীর ক্ষোভ প্রকাশ। 

     বেলকুচি (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি:

    হাত বাড়ালেই মেলে নানা প্রকার মাদক। মাদকের জালে জড়াচ্ছে উঠতি বয়সের যুব সমাজ। প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে চালাচ্ছে রমরমা মাদক ব্যবসা। এমন দৃশ্য একদিনের নয়, নিত্যদিনের।

    অভিযোগ বেলকুচি উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল নিরিবিলি পল্লী এলাকা হওয়ার সুবাদে অনেকেই এ কারবারে জড়িত। বড়দের পাশাপাশি মাদকের আগ্রাসনে গ্রাস করেছে উঠতি বয়সের যুবকদের। এছাড়াও বেলকুচি থানা থেকে ধুকুরিয়াবেড়া ইউনিয়নের লহ্মীপুর, পিরার চর লহ্মীপুর দুরুত্ব বেশি এবং পাশেই উল্লাপাড়া ও শাহজাদপুর থানা এলাকা হওয়ায় মাদকের ছোট বড় চালান এদিক দিয়েই সরবরাহ হয়ে থাকে। মানুষের আনাগোনা কম থাকায় মাদক ব্যবসায়ীদের দৌরাত্মা বাড়ছে।

    নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীরা জানান, এই এলাকায় এখন অনেকেই মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত। স্থানীয়রা ইঙ্গিত দিয়ে মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত কিছু ব্যক্তিবর্গের নামও প্রকাশ করেন, এদের মধ্যে ধুকুরিয়াবেড়া ইউনিয়নে লহ্মীপুর গ্রামের আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে সোহেল রানা, ফজর আলীর ছেলে নজরুল ইসলাম, জসিম সরকারের ছেলে আব্দুল হামিদ, নেফাজ আকন্দের ছেলে ছাইদুল ইসলাম, বহুদ আলীর ছেলে জেহাদুল ইসলামসহ আরও অনেকেই এখন মাদক ব্যবসার সাথে ওঁতপ্রোতভাবে জড়িত। আবার কেউ কেউ বলছেন, স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তিবর্গের ছত্রছায়ায় এরা মাদক ব্যবসা চালাচ্ছেন। এদের মধ্যে সোহেল রানার বাড়িতে ইতিপূর্বে সিভিলে প্রশাসন গেলে তাদেরকে হ্যাস্তন্যস্ত করলে স্থানীয় প্রশাসন এসে তাকে আটক করে বলে এমনও অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এদিকে আর একটি সূত্রে জানাযায়, বেলকুচি উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের আংশিক আজুগড়া চর ও জামাত মোড় এলাকার জামাত আলীর ছেলে সমেশ আলী, মোন্নাফের ছেলে আমির হামজা, শাহজাহানের ছেলে ইউসুফ আলী, সন্তোষ মোল্লার ছেলে আবু কালাম, শহিদ ব্যাপারীর ছেলে সাইদুল ইসলাম, দীর্ঘদিন ধরে মাদক ব্যবসা চালাচ্ছে। স্থানীয়রা আরও বলেন, প্রশাসনের অনেকেই জানে তবে থানা সদর থেকে প্রত্যন্ত অঞ্চল এবং প্রমানের অভাবে হয়তো সঠিক পদক্ষেপ নিতে পারছেনা। এলাকাবাসী ও বিভিন্ন সূত্রে জানাযায়, লহ্মীপুর গ্রামে চলছে অবাধে মাদক ব্যবসা। আর এসব মাদক ব্যবসায়ীদের বিচরণে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী। কেউ কিছু বললে তাদের ওপর নেমে আসে খড়গ। ভয়ে তাদের বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায়না। এসমস্ত মাদক ব্যবসায়ীদের তেমন দৃশ্যমান আয়ের উৎস না থাকলেও এরা রাতারাতি মাদক ব্যবসা করে জায়গা, জমি, ভবন রাতারাতি আঙুল ফুলে কলা গাছ হয়েছেন। এই এলাকায় মাদক কারবারিদের জমজমাট ব্যবসার নিরাপদ স্থান হওয়ায় নির্বিঘ্নে ইয়াবা, গাঁজা ও হেরোইনসহ বিভিন্ন ধরণের মাদক ব্যবসা চালাচ্ছেন। বিভিন্ন সূত্রে এবং সচেতন মহলের মাধ্যমে জানাযায়, এই সব এলাকায় বেশ কিছু মেয়ে মানুষ দিয়েও জমজমাট মাদক ব্যবসা করা হয়।
    নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক একজন সচেতন ব্যক্তি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এসব মাদক ব্যবসায়ীদের মাদক কারবার চলে, এমন খবর স্থানীয় প্রশাসনের কিছু লোক জানা সত্বেও তাদের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেয় না তা বোধগম্য নয়। এসব মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

    মাদক ব্যবসা বন্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে কি না এ বিষয়ে জানতে চাইলে, বেলকুচি থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তাজমিলুর রহমান প্রতিবেদকে বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। কোন মাদক ব্যবসায়ী ধরা পড়লে কোন প্রকার ছাড় দেয়া হবে না। মাদক ব্যবসায়ী যেই হোক না কেন, মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

  • টাকা ধার না পাওয়া মজনু সরকার হতে চান বড় শিল্পী।

    টাকা ধার না পাওয়া মজনু সরকার হতে চান বড় শিল্পী।

    রাজশাহী প্রতিনিধিঃ
    ২০১৫ সালের কথা, মজনু আলীর গান শুনে ভাল লাগে দোতারা বাদক তফিল বয়াতির। সাথে সাথে মজনু আলীর বাবার কাছে প্রস্তাব রাখে, তোমার সন্তানকে বাউল মজনু সরকার অথ্যাৎ বাউল শিল্পী বানাতে চাই। ঠিক তখন থেকেই বাবার মনের ভিতরে স্বপ্নের ছবি আঁকতে শুরু করে ছেলেকে বড় শিল্পী বানাবে। অনুমতি দেন ছেলেকে গান শিখাবার, গান শিখতে শুরু করলো। এ ভাবেই শুরু হয় বাউল মজনু সরকারের গানের জগতে পথ চলা।
    বাউল মজনু সরকার নিম্ন পরিবারের সন্তান, বাড়ি রাজশাহী জেলার বাঘা উপজেলার বাউসা ইউনিয়নের ধন্দহ পশ্চিম পাড়া গ্রামে। বাবা মুকুল আলী একজন কৃষক। মা রানি বেগম সবসময় বাড়ির কাজ নিয়েই ব্যাস্ত থাকেন।

    মজনু আলী ২০১৫ সালে বোয়ালীয়া পাড়া এমএস উচ্চ বিদ্যালয়ে ৬ষ্ট শ্রেণিতে পড়েন। সখের বসে স্কুলের সাংস্কিতিক অনুষ্ঠানে গান করে প্রথম স্থান অধিকার লাভ করে। গানের ভঙ্গিমা ভাল লাগে দোতারা বাদক তফিল বয়াতির।
    মজনু সরকারের প্রথম হাতে খরি তফিল বয়াতি। তার কাছে মাত্র ১৫ দিনে দোতারা শিখা সম্পূর্ণ করেন। ঠিক তখন প্রয়োজন হয় একটি দোতারার। বাবার কাছে আবদার, তার একটি দোতারা প্রয়োজন। বাবা বড় টেনশনে পড়লেন, দোতারা কি ভাবে ছেলেকে কিনে দিবে। বাবা যা ইনকাম করে তা দিন এনে দিন খেয়েই শেষ হয়ে যায়।
    ঠিক তখনি বাবা প্রিয়জনদের কাছে টাকা ধার চাইলো, কিন্তু কারো কাছে ধার না পাওয়াই সুদের উপর টাকা নিয়ে বাউল মজনু সরকারকে কিনে দেন একটি দোতারা। পরে স্থানীয় একটি একাডেমি “আবজাল সংগীত একাডেমী”তে অস্তাদ শ্রী গনেস চন্দ্র দাস এর কাছে হারমনিয়াম শিখেন, এটাউ সে ১৫ দিনে সম্পূর্ণ নিজের আয়ত্ত্বের ভিতরে নিয়ে আসেন। শুরু করেন বিভিন্ন স্থানে স্ট্রেজ পারফামেন্স।

    মজনু সরকার বর্তমান বাঘা শাহদৌলা সরকারী কলেজে অনার্স ফাস্ট ইয়ারে পড়ালিখা করার পাশা পাশি উত্তর পঙ্গের চেষ্ট বাউল শিল্পী আব্দুর রাজ্জাক বয়াতির কাছে পালা গান শিখছেন। আর এই গানের মাধ্যমে যা উপার্জন হয়, তা দিয়ে বাউল মজনু সরকারের নিজ পড়ালিখার খরচসহ তার বাবাকে নানা দিক থেকে সাহায্য করছেন। মজনু সরকার বর্তমান হারমোনিয়াম, দোতারা, বেহালা,উইকেলেলে সহ নানা রকাম যন্ত্রাংশ বাজাতে পারেন।

    মজনু সরকার বলেন, আমার বাবা একজন কৃষক। আমাকে অনেক কষ্ট করে আজ এ পর্যন্ত নিয়ে আসচ্ছে, বাবার স্বপ্ন আমি যেন অনেক বড় একজন শিল্পী হতে পারি। আপনারা সবাই দোয়া করবেন আমি যেন আমার বাবার স্বপ্ন পূরণ করতে পারি। আর কখনো যেন আমার জন্য আমার বাবাবে সুধের উপর টাকা ধার না নিতে হয়।

    বাবা মুকুল আলী বলেন, আমার একটি মাত্র সন্তান আমি আমার সন্তানকে বড় মাপের শিল্পী হিসেবে দেখতে চাই। আর এই শিল্পী বানানোর জন্য যত কষ্ট করতে হয় সকল কষ্ট মেনে নিতে আমি রাজি। আমি বিশ্বাষ করি আমার ছেলে যদি কখনো কনো বড় সুযোগ পাই তাহলে অবশ্যই সবার পরিচিতি লাভ করবে।

    মা রানী বেগম বলেন, আমার সন্তান অনেক কষ্ট করে পড়ালেখা করার পাশাপাশি গানকে ধরে রেখেছেন। বর্তমান সে তার নিজের খরচ সহ আমাদেরকেউ নানা রকম সাহায্য সহযোগীতা করেন। আমার ছেলের জন্য সবাই দোয়া করবেন, যেন আপনাদের প্রিয় একটি মানুষসহ বড় শিল্পী হতে পারে।

  • রাগ ভাঙল বৃদ্ধ বাবার,ফিরলেন বাড়ীতে।

    রাগ ভাঙল বৃদ্ধ বাবার,ফিরলেন বাড়ীতে।

    ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:

    ছেলে ও স্ত্রীর সাথে ঝগড়া করে রাগের মাথায় বাড়ী থেকে বের হয়ে আসেন কফিজুল ইসলাম নামে এক ষাটোর্ধ্ব বৃদ্ধ। এরপরে কনকনে ঠাণ্ডায় শীতের কাপড় ছাড়াই রাত্রিযাপন করছিলেন ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার চাড়োল ইউনিয়নের লাহিড়ী বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের বারান্দায়।

    গত শনিবার গভীর রাতে বাড়ী ফেরার সময় বৃদ্ধকে বারান্দায় এমন অবস্থায় দেখে এগিয়ে যান সরকারি শহীদ আকবর আলী কলেজের প্রভাষক মামুন কায়সার। বৃদ্ধকে সেখান থেকে বিদ্যালয়ের পাশেই তার নিজের বাড়ীতে নিয়ে যাওয়ার পর খাবার খাওয়ান। এরপরে শীতের কাপড় দিয়ে বাড়ীতে থাকার অনুরোধ করলেও ওই বৃদ্ধ রাতেই চলে যান বিদ্যালয়ের বারান্দায়।

    প্রভাষক মামুন কায়সার রবিবার সকালে ওই বৃদ্ধের ছবিতুলে পরিচয় এবং পরিবারের সন্ধান চেয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করলে নজরে আসে পাড়িয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দিকের। পরিচয় শনাক্ত করে ওই বৃদ্ধের ছেলে শাহিনুরসহ রবিবার রাতে উপস্থিত হন বিদ্যালয়ের বারান্দায়। বাবার রাগ ভাঙিয়ে বাবাকে বাড়িতে নিয়ে যান ছেলে।

    উপজেলার পাড়িয়া ইউনিয়নের সরমজানি গ্রামের বাড়ী ওই বৃদ্ধের। ছেলে শাহিনুর জানান, গত শুক্রবার সকালে বাড়ীতে ঝগড়া করে বাবা বের হয়ে আসেন। এরপরে আর বাড়ীতে ফিরেননি। আমরা খোঁজাখুজি করছিলাম, কিন্তু পায়নি। ঝগড়া করবে না এবং বাবার যত্ন নিবে বলে বাড়ীতে নিয়ে যান বাবাকে।

    প্রভাষক মামুন কায়সার বলেন, নিজের বাবা-মা নেই। তাই বাবা ও মায়ের অনুপস্থিতির বিষয়টা মাঝে মাঝেই হৃদয়ে নাড়া দেয়। আমি চেষ্টা করেছি বৃদ্ধ বাবার কষ্ট লাঘব করতে। বাবা ও ছেলের সম্পর্কের অবনতি ভবিষ্যতে আর না ঘটুক এমনটা প্রত্যাশা করেন তিনি।

    এদিকে ছাত্রলীগ নেতা আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, সন্ধ্যায় ফেসবুকে পোস্ট নজরে আসার পর বৃদ্ধ বাবার পরিচয় খুজে বের করি। এরপরে পাড়িয়া বাজার থেকে বের হওয়ার সময় তার ছেলে শাহিনুরকে নিয়ে যায় বাবার কাছে। বর্তমানে বৃদ্ধ বাবা বাড়ীতে রয়েছেন। আমি তাঁর ভালোমন্দ খোঁজ খবর রাখছি।

  • উল্লাপাড়ার নটাগাড়ী জলাবদ্ধ বিলকে মাছ চাষের উপযোগি করার দাবী এলাকাবাসী।

    উল্লাপাড়ার নটাগাড়ী জলাবদ্ধ বিলকে মাছ চাষের উপযোগি করার দাবী এলাকাবাসী।

    উল্লাপাড়া (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ

    সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার বাঙ্গালা ইউনিয়নের আটার পাখিয়া ও লটাগাড়ী জলাবদ্ধ বিল মাছ চাষে উপযোগী হলে সফলতা পাবে এলাকার কৃষক। বর্ষা মৌসুমে বিলের নিচু জমি ও ডোবায় পানি ঢুকে এই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। সরকারের মৎস্য বিভাগের সহযোগিতা পেলে বিলটিতে সমবায়ের ভিত্তিতে মাছ চাষের অভরাণ্য হতে পারে। এ থেকে কৃষক ব্যাপকভাবে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি লাভ করতে পারে। এই বিলে প্রায় ৫০০ বিঘা নিচু জমি ও মাছ চাষের ডোবা রয়েছে। পানি নিষ্কাশনের সুবিধা না থাকায় সামান্য বৃষ্টি ও বর্ষার পানিতে তলিয়ে যায় এখানকার ফসল।

    সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, বিলের বেশির ভাগ জায়গা ছোট ছোট ডোবায় ঘেরা এবং বাকী নিচু জমিগুলো এক ফসলি। তাতে বোরা ধানের চাষ হয়।জলাবদ্ধতার কারণে বোরো ধান ছাড়া অন্য ফসল চাষ করা যায় না। আবার বৃষ্টি হলে অনেক সময় ধান ঘরে তুলতে পারে না কৃষক। এতে জমির ধান পানিতে তলিয়ে যায়।

    বিনায়েকপুর গ্রামের কৃষক বিপু, আশরাফ, আফছার ও শরীফুল জানান, ওই বিলে আমাদের বেশ কয়েক বিঘা জমি রয়েছে। প্রায় ১০ বছর ধরে জলাবদ্ধ থাকায় বিলের জমিতে সঠিকভাবে ফসল উৎপাদন করতে পারছি না কৃষকেরা। বিলটিতে ধান চাষের পরিবর্তে মাছ চাষের উপযোগী করলে অধিক মুনাফায় লাভবান হবে এখানকার স্থানীয় কৃষক।

    বাঙ্গালা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সোহেল রানা এই প্রতিবেদককে বলেন, ‘পানি নিষ্কাশনের কোনো ব্যবস্থা না থাকায় প্রায় ১০ বছর ধরে জলাবদ্ধতার কারণে অনাবাদি থেকে যাচ্ছে বিলের জমি। বিষয়টি উর্ধতন কতৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। সরেজমিন পরিদর্শন করে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন তারা।

    উল্লাপাড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুবর্ণা ইয়াসমিন সুমি বলেন, বিলটির জমি এক ফসলি। তাও জলাবদ্ধতার কারণে অনেক বছর ফসল তলিয়ে যায়। বিলের সাথে সংশ্লিষ্ট কৃষকদের অন্য কোন পদ্ধতিতে লাভবান করা যায় কি-না ভেবে দেখা হচ্ছে।

    উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ বায়েজিদ আলম জানান, এলাকার কৃষকের বিষয়টি তদন্ত প্রয়োহনীয় ব্যবস্থা নিয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে জানানো হবে।

  • গোদাগাড়ীতে হেরোইনসহ দুই শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার।

    গোদাগাড়ীতে হেরোইনসহ দুই শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার।

    রাজশাহী(গোদাগাড়ী)প্রতিনিধিঃ

    রাজশাহীতে অভিযান চালিয়ে ২ কেজি হেরোইনসহ দুই মাদক ব্যাবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব ৫। অপর ১ জন মাইক্রোবাসের দরজা খুলে কৌশলে দ্রুত দৌড়ে পালিয়ে যায়। রবিবার দিবাগত রাত্রী সাড়ে চারটার সময় র‌্যাব-৫ এর রাজশাহীর সিপিএসসি মোল্লাপাড়া ক্যাম্পের একটি দল নগরীর আমচত্বর ওমরপুর এলাকার পাকা রাস্তার উপর চেকপোস্ট বসিয়ে এ অভিযান পরিচালনা করে।

    গ্রেপ্তারকৃতরা হলো, রাজশাহী গোদাগাড়ী উপজেলার কাদিপুর এলাকার শাজাহান আলীর ছেলে ওবায়দুর রহমান (২৮)।
    বগুড়া সদর থানাধীন নামাজগড় ডালপট্টি এলাকার মৃত নিমাইচন্দ্রর ছেলে শ্রী প্রদীপ কুমার (৪৫)। অপরজন হলো, পলাতক আসামির নাম মিজানুর রহমান (২৫)। সে রাজশাহী গোদাগাড়ী উপজেলার আচুয়াভাটা এলাকার মোঃ এনামুল হকের ছেলে।

    আসামীদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, তারা বগুড়া হতে মাইক্রোবাস নিয়ে রাজশাহী এসে হেরোইন সংগ্রহ করতো। রাজশাহীর গোদাগাড়ী হতে হেরোইন সংগ্রহ করে তারা জামালপুর ও ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে এ হেরোইন সরবরাহ করে থাকে এবং ইতিপূর্বে আরো কয়েকবার এ পন্থায় মাদক সরবরাহ করে আসছিল।

    ২০ নভেম্বর রবিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে র‌্যাব-৫ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল রিয়াজ শাহরিয়ার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। ঘটনা সূত্রে জানা যায়, রাতে তিনজন ব্যক্তি একটি মাইক্রোবাসে করে তিনটি কাগজের প্যাকেটে করে গোদাগাড়ী থানা এলাকা হতে আমচত্বর ওমরপুর হয়ে নওগাঁ রোডের দিকে যাচ্ছিলেন।

    এ সময় র‌্যাব সদস্যরা অভিযানে গেলে একজন মাইক্রোবাসের দরজা খুলে কৌশলে পালিয়ে যান। অন্য দুজন হেরোইনসহ র‌্যাবের হাতে ধরা পড়েন। এ ব্যাপারে তিনজনের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে শাহ মখদুম থানায় মামলা করা হয়েছে বলেও জানিয়েছে র‌্যাব।

  • তানোরে বালাইনাশক ব্যবসায়ীর ১ লাখ ২৬ হাজার টাকা জরিমানা।

    তানোরে বালাইনাশক ব্যবসায়ীর ১ লাখ ২৬ হাজার টাকা জরিমানা।

    তানোর প্রতিনিধিঃ

    দীর্ঘ এক বছর ধরে সার নিয়ে চলছে মহা কারসাজি। চলতি রোপা আমন, বর্তমানে আলু চাষের জন্য সারের দূর্ভিক্ষ শুরু হয়েছে। বরেন্দ্র অঞ্চল হিসেবে কৃষি ভান্ডার নামে খ্যাত রাজশাহীর তানোর উপজেলায় মহা সিন্ডিকেটের কবলে সার। যেভাবে হোক সার পাক কৃষকরা, বাহির থেকে, অন্য কোথা থেকে এনে বিক্রি হোক ঘোষনা পায় সার কীটনাশক ব্যবসায়ীরা। প্রতি নিয়ত দিনরাত আশপাশের জেলা উপজেলা থেকে বাড়তি দামে সার নিয়ে এসে দ্বিগুন দামে প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে পটাশ ডিএপি সার। আর এমন মহা সংকটের সময় খোড়া অজুহাতে তালন্দ বাজারে চৌধুরী ট্রেডার্স বা বালাইনাশক ব্যবসায়ী মনিরুলের ৭০ হাজার টাকা জরিমানা ও ৭০ বস্তা ডিএপি সার জব্দ করেন ভ্রাম্যমান আদালত। এমনকি জব্দকৃত সার পুনরায় মনিরুল অকশানে কিনে নেয়। এতে তার মোট ১ লাখ ২৬ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেছেন ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক সহকারী কমিশনার ভূমি এসিল্যান্ড আদিবা সিফাত। অথচ একই বাজারে প্রকাশ্যে বাহির থেকে সার এনে লাবনী ট্রেডার্সের মালিক গণেশ ও বিশ্বনাথ ট্রেডার্স মালিক কাজল দেদারসে বাড়তি দামে বিক্রি করলেও রহস্য জনক কারনে নিরব সংশ্লিষ্ট কৃষি দপ্তর বলেও স্থানীয় কৃষকদের অভিযোগ। গত ১৬ নভেম্বর বুধবার দুপুরের আগে ঘটে জরিমানা আদায়ের ঘটনাটি। ফলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের এমন দ্বিমুখী কর্মকান্ডে চরম বিব্রত।

    গত ১৬ নভেম্বর বুধবার বিকেলে সরেজমিনে দেখা যায়, তানোর পৌর এলাকার তালন্দ বাজারের বালাইনাশক ব্যবসায়ী মনিরুল দোকানে নিরবতা নিয়ে গালে হাত দিয়ে বসে আছেন। বেশকিছু স্থানীয় লোকজনও ছিলেন। অনেকেই বলেন সার নিয়ে মহা কারসাজি চলছে। যা দিবালোকের মত পরিস্কার। সরকারের বরাদ্দকৃত সার ন্যায্য দামে পেতে দিনের পর দিন ধরনা দিতে হচ্ছে। তাও চাহিদা মত সার মিলছে না। বাধ্য হয়ে সাব ডিলার ও বালাইনাশক ব্যবসায়ীরা আশপাশের জেলা উপজেলা থেকে বাড়তি দামে সার এনে বিক্রি করছেন। মাঝে বালাইনাশক ব্যবসায়ীদের সার বিক্রি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। সংশ্লিষ্ট কৃষি দপ্তর বাহির থেকে সার আনার অনুমতি দিয়েছেন বলেই তারা আনছেন এবং কৃষকরা পাচ্ছেন। সরকারী বরাদ্দের সারের আসায় থাকলে চাষাবাদ হবে না। আবার সার নিয়ে রয়েছে দলবাজি। শুধু সমস্যায় প্রান্তিক চাষীরা। যারা ৫০. ৭০ কিংবা ১০০. ২০০ এমনকি ৫০০, ১০০০ বিঘা জমিতে প্রজেক্ট করেন তাদের সারের কোন সমস্য নাই। যত মরন প্রান্তিক আলু চাষী যারা নিজের ২,৫ বা১০ বিঘা জমিতে আলু করবেন তাদেরই সারের সমস্য।

    গত ১৬ নভেম্বর বুধবার সন্ধ্যার পরে কেশরহাট থেকে একট্রলি সার আটক করে মালারমোড় নামক স্থানে। আটকের পর কৃষকরা মেমো দেখতে চাইলে কোন কিছুই দেখাতে পারেন নি। এমন অভিযোগের ভিত্তি সরেজমিনে এসে সত্যতা পেয়ে অতিরিক্ত কৃষি অফিসার কামরুল হাসানের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান অফিসারের সাথে কথা বলেন। তালন্দ বাজারে মেমো না থাকার কারনে ১ লাখ ২৬ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন, তাহলে এখানে হবে না কেন প্রশ্ন করা হলে কোন সদ উত্তর দিতে না পেরে অফিসারের সাথে কথা বলার পরামর্শ দেন। সার গুলো কেশরহাট এলাকার শফি নামের এক ব্যক্তির। তিনি পারিশো দূর্গাপুর এলাকায় ১০০ বিঘা আলুর প্রজেক্ট করছেন। শফি জানান বাড়তি দাম দিয়ে কেশরহাটের এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে নেওয়া হয়েছে। ন্যায্য মুল্যে লাইনে দাড়িয়ে দুএক বস্তা করে সার নিতে হবে। তাহলে কিভাবে চাষাবাদ হবে।

    গত ১৭ নভেম্বর বৃহস্পতিবার বিকেলের দিকে এক কৃষক জানান, তালন্দ বাজারের বিশ্বনাথ ট্রেডার্সের মালিক কাজলের বাড়িতে শতাধিক পটাশ সার রয়েছে। বাড়ি থেকেই বাড়তি দামে বিক্রি করছেন।

    জরিমানা দেওয়া বালাইনাশক ব্যবসায়ী মনিরুল জানান, আমি নিজেই আলু করি, এজন্য বাহির থেকে আনা হয়েছে। সবাই নিয়ে এসে বিক্রি করছে। কিছুই হল না আর আমাকে ৭০ হাজার টাকা জরিমানাও করা হল, আবার ৭০ বস্তা ডিএপি সার জব্দ করেন, আমিই পুনরায় অকশানে ৫৬ হাজার টাকা দিয়ে কিনে নিলাম। তানাহলে আলু করতে পারব না। কি বলার আছে, আমি প্রতিহিংসার স্বীকার। নতুন না দীর্ঘ দিন ধরে ব্যবসা করে আসছি। অনেকে অনুরোধ করার পরও শুনেন নি।

    বিসিআইসির এক ডিলার জানান, গত বুধবার কিংবা বৃহস্পতিবারে পটাশ সার আসার কথা ছিল। কিন্তু আগামী ২৭ নভেম্বরের আগে কোন পটাশ আসবে না।

    আবার পৌরসভার তিন নম্বর ওয়ার্ডের সাব ডিলার জসিম বাড়ি থেকে দেদারসে পটাশ সার বিক্রি করছেন

    অতিরিক্তি কৃষি অফিসার কামরুল হাসান জানান, ব্যবসায়ী মনিরুলের বিরুদ্ধে কৃষকরা অভিযোগ করেছিল এবং সেটার সত্যতা পাওয়া যায়।

    কৃষি অফিসার সাইফুল্লাহ আহম্মেদ জানান, কোন ব্যবসায়ী বেপরোয়া সিন্ডিকেট করে বাজার অস্থির করলে এবং অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    জেলা উপপরিচালক(ডিডি) মাজদার হোসেনকে বিষয়টি অবহিত করা হলে তিনি জানান, বিষয়টি গুরুত্বসহকারে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

  • তাড়াশে ঝুড়ি তৈরীতে ফেরিওয়ালা।

    তাড়াশে ঝুড়ি তৈরীতে ফেরিওয়ালা।

    তাড়াশ প্রতিনিধিঃ

    সিরাজগঞ্জের তাড়াশে শীতের শুরম্নতেই ঝুড়ি তৈরী করতে ফেরিওয়ালার ব্যস্ত্মতা বেড়েছে। ১৮ নভেম্বর শুক্রবার সকালে উপজেলার পৌর সভার সদরের পশ্চিম পাড়ায় ঝুড়ি তৈরী করতে ফেরিওয়ালা সোলায়মান হোসেনকে এমনটাই দেখা গেছে। সোলায়মান হোসেনের বাড়ী সলঙ্গা থানার হরিণচড়া গ্রামে। তিনি মেশিনের সাহায়ে্য বাড়ী বাড়ী গিয়ে ফেরি করে চাউল দিয়ে ঝুড়ি তৈরী করে দিচ্ছেন। ওই পাড়ার ছেলে ও মেয়েরা নিজ বাড়ী থেকে চাউল এনে ঝুড়ি বানিয়ে নিচ্ছেন। গরম গরম তৈরী ঝুড়ি খেতে ভালই মজাদার বলে ব্যক্ত করেছেন ঝুড়ির গ্রাহকরা।

    এ ব্যাপারে ঝুড়ি তৈরী ফেরিওয়ালা সোলায়মান হোসেন বলেন, বাড়ী বাড়ী গিয়ে মচমচে ও গরম ঝুড়ি তৈরী করে দিতে চেষ্টা করছি। তিনি বলেন ১ কেজি চাউলের ঝুড়ি তৈরী করতে ৫ থেকে ৬ মিনিট সময় লাগে। কেজি প্রতি ৪০ টাকা করে মুজুরী নেই। এতে আমার ১ ঘন্টায় প্রায় ৪শ টাকা আয় হয়। খরচ বাদে ২শ থেকে ২শ৫০ টাকা থাকে। মোট কথা মানুষের দ্বারে দ্বারে সেবা দিতেই এই কাজ করছি।

  • সিরাজগঞ্জে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান লতিফ বিশ্বাসকে সংবর্ধনা।

    সিরাজগঞ্জে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান লতিফ বিশ্বাসকে সংবর্ধনা।

    বেলকুচি (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি:

    সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে জেলা পরিষদে দ্বিতীয় বারের মত নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আব্দুল লতিফ বিশ্বাসকে সংবর্ধনা গন সংবর্ধনা প্রদান করা হয়েছে। তিনি শপথ গ্রহন শেষে শুক্রবার সকালে ঢাকা হতে বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম সংযোগ মহাসড়কে আসলে মোটর সাইকেল শোভাযাত্রা করে বেলকুচি উপজেলা আওয়ামীলীগের কার্যালয়ে আনা হয়। সেখানে উপজেলা আওয়ামীলীগের আয়োজনে ফুলের সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। সংর্বধনা শেষে চেয়াম্যান আলহাজ্ব আব্দুল লতিফ বিশ্বাস নেতাকর্মীদের নিয়ে বঙ্গবন্ধু স্কায়ারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এসময় সিরাজগঞ্জ ৫ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব আব্দুল মমিন মন্ডল, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক বেগম আশানুর বিশ্বাস সহ দলীয় নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

    এসময় জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সাবেক মন্ত্রী আলহাজ্ব আব্দুল লতিফ বিশ্বাস নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আমি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে উজ্জিবিত একজন মানুষ। যতদিন বেঁচে থাকবো তার নীতি আদর্শ নিয়ে মানুষ ও দেশের জন্য কাজ করে যাবো। জনগন আমাকে যে ভালবাসা দিয়েছে তাদের কাছে আমি চির ঋনি। আর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বার-বার আমাকে সম্মানের আসনে মর্যাদা দেয়ায় তার প্রতি চির কৃতজ্ঞ।