Author: admin

  • রাজশাহীর গণসমাবেশ সফল করতে বাঘায় বিএনপি’র লিফলেট বিতরণ।

    রাজশাহীর গণসমাবেশ সফল করতে বাঘায় বিএনপি’র লিফলেট বিতরণ।

    বাঘা(রাজশাহী) প্রতিনিধিঃ

    আগামী ৩ ডিসেম্বর বিএনপির রাজশাহী বিভাগীয় গণসমাবেশ সফল করতে রাজশাহীর বাঘায় লিফলেট বিতরণ করেছে রাজশাহী জেলা যুবদল ও ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আনোয়ার হোসেন উজ্জল ।
    রোববার (২৭ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪ টার দিকে উপজেলা তেঁথুলিয়া বাজার এলাকায়সহ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে আনোয়ার হোসেন উজ্জলের নেতৃত্বে নেতারা এ লিফলেট বিতরণ করেন। নেতাকর্মীরা উপজেলার মীরগঞ্জ এলাকা হয়ে উপজেলা সদর পরে তেঁথুলিয়া, আড়ানী পৌর বাজার সড়কের মোড়ে মোড়ে পথচারী ও যানবাহনের যাত্রীদের হাতে লিফলেট তুলে দেন। বিভাগীয় সমাবেশে যোগদানের জন্য আহবায়ক জানানো হয় এ লিফলেটে।

    এছাড়াও দলের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা সড়কের মোড়ে মোড়ে দাঁড়িয়ে পথচারী ও যানবাহনের যাত্রীদের হাতে লিফলেট তুলে দেন। বিভাগীয় সমাবেশে যোগদানের জন্য অনুরোধ জানানো হয় লিফলেটে।
    লিফলেট বিতরণকালে উপস্থিত ছিলেন- সাবেক উপজেলা বিএনপির সভাপতি, জেলা বিএনপির আহŸায়ক কমিটির সদস্য সহকারি অধ্যপক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, আড়ানী পৌর বিএনপির সভাপতি সাবেক মেয়র নজরুল ইসলাম, আড়ানী পৌর বিএনপির আহবায়ক জাহিদুল ইসলাম, চারঘাট উপজেলার সাবেক সভাপতি সহকারি অধ্যাপক ইউনুছ আলী তালুকদার, চারঘাট পৌর বিএনপির সভাপতি কায়েম উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক মুরাদ পাশা, বাঘা উপজেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি ,সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মামুন, আড়ানী ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি সাবেক চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন,সাবেক উপজেলা বিএনপির প্রচার সম্পাদক আনোয়ার হোসেন পলাশ, সাবেক যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক প্রভাষক নবাব আলী, উপজেলা কৃষক দলের আহবায়ক কমিটির সদস্য সচিব মোমিনুল ইসলাম হিটলার, আব্দুল সালাম,জুয়েল প্রমুখ।

    লিফলেট বিতরণকালে বিএনপির নেতা আনোয়ার হোসেন উজ্জল বলেন, আগামী ৩ ডিসেম্বর বিএনপির রাজশাহীর বিভাগীয় গণসমাবেশে লক্ষ লক্ষ নেতাকর্মী যোগদানের কথা রয়েছে। ইতোমধ্যে বাস মালিকরা ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন। নেতাকর্মীরা প্রয়োজনে পাঁয়ে হেঁটে সমাবেশে যাবেন । কোনো প্রতিবন্ধকতা বাধাই সৃষ্টি করতে পারবে না।

  • সংবাদ সম্মেলন করে এমপি মমিন মন্ডলকে দুষলেন শ্রমিক লীগের নেতারা।

    সংবাদ সম্মেলন করে এমপি মমিন মন্ডলকে দুষলেন শ্রমিক লীগের নেতারা।

    বেলকুচি (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি:

    সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে বিষোদগারের প্রতিবাদে শ্রমিকলীগের সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার বিকেলে উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে উপজেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি সাহেব আলী ও সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ মিয়া বক্তব্য রাখেন। তারা বলেন, জাতীয় উপজেলা শ্রমিক লীগের কমিটি যোগ্য ও নিবেদিত নেতাকর্মীদের নিয়ে গঠনের পর গত ১১ নভেম্বর অনুমোদন হয়। এতে স্থানীয় এমপি মমিন মন্ডলের অনুগতরা স্থান না পাওয়ায় তিনি ক্ষুব্ধ হন। এ কারনে তিনি মদদ দিয়ে বৃহস্পতিবার বিকেলে আমাদের সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ী আখ্যা দিয়ে শ্রমিক লীগের কমিটির বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করান। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। আসলে এমপি মমিন মন্ডল দলের ভিতরে বিভাজন সৃষ্টির জন্যই এসব করাচ্ছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।

    তারা অভিযোগ করে আরো বলেন, কিছুদিন আগে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ বিশ্বাসকে দলীয় কার্যালয়ে সংবর্ধনা প্রদান অনুষ্ঠানে তাকে, দলের সাধারন সম্পাদক আশানুর বিশ্বাস কে ফুলের তোড়া দিয়ে বরণ এর সময় এমপি সাহেবকেও তোড়া দিতে গেলে তিনি আমাদের অপমান করেন। এমপি মমিন মন্ডল তখন বলেন, আমার অনুমতি ছাড়া কমিটি অনুমোদন দেয়ায় তোমাদের ফুলের তোড়া নেবনা।

    এ সময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা শ্রমিক লীগের সিনিয়র-সহ সভাপতি পাষান আলী সরকার, সহ-সভাপতি মাহমুদু মন্ডল, যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক বেলায়েত হোসেন, দপ্তর সম্পাদক রাসেল প্রামানিকসহশ্রমিকলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতা কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

  • এমপি ওমর ফারুক চৌধুরী মানেই তানোর গোদাগাড়ী।

    এমপি ওমর ফারুক চৌধুরী মানেই তানোর গোদাগাড়ী।

    তানোর প্রতিনিধিঃ

    এক সময়ের বিএনপির ঘাটি ছিল এলাকাটি, হয় তো নতুন প্রজন্মের অজানা, জাতীয় স্থানীয় পর্যায়ে ছিল তাদের রাজত্ব, নব্বই দশক থেকে টানা ১৬ বছরের রাজত্ব, ছিলেন কেবিনেট প্রভাবশালী মন্ত্রী, বলছিলাম প্রয়াত সাবেক সংস্থাপনপ্রতি মন্ত্রী, পরে ২০০১ সাল থেকে ২০০৬ সাল বা ওয়ান এলেভেনের আগ পর্যন্ত বিএনপির জয়জয় কর অবস্থা। তবে ২০০১ সালের জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামীলীগ থেকে প্রথমবারের মত নৌকা প্রতীকে এমপি ভোটের মাধ্যমে রাজনীতির আগাম বার্তা দিয়েছিলেন তানোর উপজেলার জমিদার শহীদ পরিবারের সন্তান তৎকালীন শিল্পপতি ওমর ফারুক চৌধুরী। নতুন প্রজন্ম যে রাজনীতি দেখছে ১৯৯১ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বিএনপির নেতাদের পুলিশি গার্ডে বাড়িতে আনা নেওয়া পাহারা দিতে হত। প্রয়াত মন্ত্রীর পাশের নেতারা একচেটিয়া রাজত্ব টেন্ডার বাজি টিয়ার কাবিখাসহ নানা প্রকল্প লুটে খেয়েছে। একেকজনও টাকার কুমির হয়ে গিয়েছিলেন। ওই সময়ের সুবিধা বাদীরা আর রাজনীতির মাঠে নেই। উপজেলা পর্যায়ে কোন কর্মসুচিও দিতে পারেন না দলটি। এখানো রয়ে গেছে প্রচন্ড লবিং গ্রুপিং। আর বর্তমান সংসদ ওমর ফারুক চৌধুরীর কর্মী বান্ধব নেতৃত্ব, জন সম্মুখে থাকা, নেতাকর্মী দের সাথে নিয়োমিত যোগাযোগ নানা উন্নয়ন মুলুক কর্মকান্ড, নেতাকর্মী সুধী তৈরী করে বিরোধীদের রাজনৈতিক ভাবে দূর্বল করে দেওয়া দালালি মাস্তানি করতে না দেওয়া অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা নৌকার পক্ষে অবিচল থাকা বিরোধীদের বিরুদ্ধে কথা বলা শ্রদ্ধা স্নেহ মায়া মমতা দিয়ে নবীন প্রবীনদের দলে আকৃষ্ট করা, দেশরত্নের নেতৃত্বে জীবন বাজি রেখে কাজ করা বিদ্রোহীদের সাথে আতাত না করা সহ ইত্যাদি ইত্যাদি বিষয়ে পরিস্কার সুস্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দেওয়ার কারনে নির্বাচনের আগে দলীয় ভাবে প্রচুর ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে দলকে মুজবুত করেছেন সেটা দিবা লোকের মত পরিস্কার।

    যতটুকু বিশ্লেষণ করে দেখা যায় রাজনীতির এক পরিপক্ষ নেতা ওমর ফারুক চৌধুরী বিগ ডিলার হিসেবে পরিচিত ক্লিন ইমেজের এমপি । আজ নতুন না বিগত ২০১৪ সালের নির্বাচনের সময় থেকে তার বিরুদ্ধে নিজ দলের কিছু কিনারাহীন নেতারা চালিয়ে যান ব্যাপক ষড়যন্ত্র,কিন্তু এই অবিচল মানুষটি সবকিছু রাজনৈতিক ভাবে ধর্য্যসহ কারে মোকাবিলা করে বটগাছের ছায়ার মত দলকে সুসংগঠিত করে যাচ্ছেন। ফলে তার নির্বাচনী রাজশাহী-১( তানোর- গোদাগাড়ী) আসনে তার বিকল্প দেখছেনা না তৃনমুল থেকে শুরু করে সিনিয়র নেতারা। এজন্য কোন কিছুতেই কর্নপাত না করে আগামী জাতীয় নির্বাচনের জন্য সকল ভেদাভেদ ভুলে এক হয়ে কাজ করার আহবান জানান নেতারা।
    এই প্রতিবেদক বেশকিছু বিরোধী নেতার সাথে কথা বললে,তারা একান্ত ভাবে বলেন এমপি ওমর ফারুক চৌধুরী বলেই তানোর গোদাগাড়ীতে মাস্তানি, টেন্ডার বাজি, দখলবাজি, ক্ষমতার অপব্যবহার, শোষন করা, আত্মসাৎ না করা ইত্যাদি ইত্যাদির মাঝেও বড় ব্যাপার তিনি অন্যায়কে প্রশ্রয় দেয় না এবং তিনি এমন এক এমপি তার সামনে কেউ অন্যায় দাবি করতেও পারেন না, আর করলেও উচিৎ জবাব দেন এটাই তার নিজ দলের সুবিধাবাদিরা মানতে পারেন না। তারা আরো বলেন বিগত বিএনপি জোট সরকারের সময় কিভাবে অত্যাচার অনাচার ক্ষমতার অপব্যবহার রাহাজানি, সন্ত্রাসী কর্মকান্ড থেকে শুরু করে যত প্রকার অবিচার সেটা করেছিল। কিন্তু ওমর ফারুক চৌধুরীর আমলে এমন একক ক্ষমতা নেই, তার দ্বার সবার জন্য উন্মুক্ত, নিজের কাজে নিজে যাও সঠিক হলে হবেই, এমন নজির অহরহ। যার কারনে অনেক বিরোধী হেবিওয়েট নেতারাও এমপির নেতৃত্বে তুষ্ট।

    আমার দেখা ফারুক চৌধুরী, বিগত ২০০১ সালে প্রথম বার জাতীয় নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে ভোট করেন তানোর উপজেলার কলমা ইউপি এলাকার জমিদার শহীদ পরিবারের সন্তান ওমর ফারুক চৌধুরী। যদিও ওই নির্বাচনে প্রয়াত হেবিওয়েট মন্ত্রী ব্যারিস্টার আমিনুল হকের কাছে পরাজিত হলে জনতা বুঝতে পেরেছিল আগামীর এমপি হবেন তানোরের কৃতি সন্তান ওমর ফারুক চৌধুরী।
    যার কারনে আপামর জনতার বিপুল ভোটে ২০০৮ সালে এমপি নির্বাচিত হন তিনি।

    জানা গেছে, এমপি ওমর ফারুক চৌধুরী প্রকৃতপক্ষে একজন ব্যবসায়ী। তার পিতাকে রাজশাহীর বাবলা বনে পাক হানাদার বাহিনী নির্বিচারে গুলি করে হত্যা করেন। তিনি রাজনীতিতে এসে এই এলাকায় আওয়ামীলীগের নব জাগরন সৃষ্টি করেছেন। যে কারনে রাজশাহীতে আওয়ামী লীগের জয়জয়কর অবস্থা। যে শহরে বাংলা ভাই অস্ত্র উচিয়ে শোডাউন করেছিল, সেই শহর গ্রাম গঞ্জে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার শক্তিকে প্রতিটি ঘরে ঘরে প্রতিষ্ঠিত করেছেন এমপি ওমর ফারুক চৌধুরী। তার রাজনৈতিক দক্ষতা সঠিক বিচক্ষন নেতৃত্বের কারনে দেশরত্ন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রথমে জেলা আওয়ামী লীগের সম্পাদক পরে সভাপতি করেন।
    তানোর পৌর আওয়ামী লীগের তরুন উদীয়মান সমাজ সেবক বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আবুল বাসার সুজন বলেন, রাজনীতিতে মত পার্থক্য থাকতে পারে কিন্তু দলের বিপক্ষে অবস্থান নেওয়া এটাকে দল করা বলে না। আর এমপি ভাই কোন সময়ের জন্য দলের হাইকমান্ডের বা দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে কখনো অবস্থান নেন নি। এটাই তার একটা বড় অপরাধ এবং অন্যায় কাজকে প্রশ্রয় দেয় না, দলকে পকেট বন্দী রাখে না। রাজশাহীতে আওয়ামীলীগের অতীতের কি অবস্থা ছিল আর এখন কি অবস্থা সেটা বিবেচনা করলে বুঝতে পারবে। তানোর গোদাগাড়ী বিএনপির ঘাটি, সেটাকে সুকৌশলে তিনি রাজনৈতিক ভাবেই মোকাবেলা করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা প্রতিষ্ঠিত করেছেন।

    উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক প্রভাষক আবুল কালাম আজাদ প্রদীপ সরকার জানান, তানোর গোদাগাড়ীতে এমপি ফারুক চৌধুরীর বিকল্প নেতা তৈরি হয় নি। তার রাজনৈতিক বিচক্ষনতার জন্য আজ ঘরে ঘরে আওয়ামী লীগ। তিনি এমন একজন নেতা যার দরজা ন্যায়ের জন্য খোলা, অন্যায়ের জন্য বন্ধ। এমপি শুধু নেতাই না তানোরের অহংকার। যারা তাকে নিয়ে অযথা ষড়যন্ত্র করছেন বা করেন তাদের ভাবা উচিত যে যারাই তার বিরুদ্ধে মিথ্যা ষড়যন্ত্র করেছেন তারাই রাজনৈতিক ভাবে জিরো টলারেন্সে হয়ে পড়ে রয়েছে। সুতরাং তিনি যতদিন সুস্থ থাকবেন আমাদের বিশ্বাস নেত্রী ততদিন তাকে টিকিট দিবেন। কারন নেত্রীও ভালো ভাবে জানেন এই এলাকায় শুধু মাত্র ওমর ফারুক চৌধুরীর জন্য আওয়ামীলীগ এক সুসংগঠিত দলে পরিনত হয়েছে।

    উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান উপজেলা যুবলীগ সভাপতি লুৎফর হায়দার রশিদ ময়না জানান, বিগত ২০০৯ সাল থেকে উপজেলা পরিষদ বিএনপির দখলে, তানোর পৌরসভা ২৬ বছর ধরে বিএনপি রাজত্ব করেছে। কিন্তু এমপির দিক নির্দেশনায় আজ উপজেলা পরিষদ, তানোর পৌরসভায় আওয়ামী লীগের দখলে। এটা সম্ভব হয়েছে একমাত্র ওমর ফারুক চৌধুরী এমপি বলেই। জাতীয় স্থানীয় নির্বাচন আসলেই তার বিরুদ্ধে চলে নানামুখী ষড়যন্ত্র। আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে এমপির বিরুদ্ধে চালানো হচ্ছে নানামুখী ষড়যন্ত্র। বিগত ২০১৮ সালের নির্বাচনে সেভেন স্টার গঠন করা হল, তারা এমন ভাবেই মিথ্যা রচনা সাজালেন যা ভাবাই কষ্টকর । কয়েকদিন আগে টিভিতে একটি প্রতিবেদন হয় আওয়ামী লীগের ১৪০ জন মন্ত্রী এমপির কপাল পুড়বে, ঝুকিতে রাজশাহী ও যশোর। এমন প্রতিবেদন হয়েছে মনে হচ্ছে ওমর ফারুক চৌধুরী নাই। তাদেরকে বলতে চায় ফারুক চৌধুরী তার মনোনায়ন নিয়ে ভাবেন না। তিনি এমন এক নেতা যতদিন ধরে রাজনীতি করছেন কখনো নৌকার বিরুদ্ধে অবস্থান নেন নি এবং হাজার হাজার নেতাকর্মীদের দোয়ায় আগামীতেও তিনিই মনোনায়ন পাবেন এবং পুনরায় এমপিও হবেন ইনশায়াল্লাহ। তার অপরাধ সত্যকে সত্য বলা, অন্যায়কে প্রশ্রয় না দেওয়া এবং নৌকার বিরোধিতা কারীদের অন্যায় কাজে সহায়তা না করা। এমপি দুই উপজেলার প্রায় সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার করেছেন, নিজের কোটি কোটি টাকা মুল্যের জায়গা দান করেছেন, যেখানে কারিগরি কালেজ হচ্ছে, রাস্তা ঘাট, ব্রীজ কার্লভাট, আধুনিক শিক্ষা ভবন থেকে শুরু করে তার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করেই যাচ্ছেন এবং যাবেন।

  • বেলকুচিতে নগদ অর্থ ও স্বর্ণালঙ্কার চুরি।

    বেলকুচিতে নগদ অর্থ ও স্বর্ণালঙ্কার চুরি।

    বেলকুচি (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি:

    সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার ধুকুরিয়াবেড়া ইউনিয়নের পিরারচর গ্রামে আলহাজ্ব মজিবর রহমানের (৮০) বাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটেছে। গত ২৪ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার) গভীর রাতে চোর দল ঘরে ঢুকে আলমারি ভেঙে ১২.৫ ভরি স্বর্ণ ও নগদ ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা চুরি হওয়ার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় মুজিবর রহমানের ছেলে মাহমুদুর রহমান আপেল গত ২৫ নভেম্বর (শুক্রবার) বেলকুচি থানায় মামলা দায়ের করেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

    মজিবর রহমানের ছেলে মাহমুদুর রহমান আপেল জানান, চাকরির সুবাদে আমরা তিন ভাই বেলকুচির বাহিরে থাকি। উপজেলার ধুকুরিয়াবেড়া ইউনিয়নের পিরার চর গ্রামের বাড়িতে বৃদ্ধ বাবা ও মা থাকে। গত বৃহস্পতিবার রাতে একদল চোর ৩টি রুমের আলমারি ভেঙে ফেলে। আলমারিতে থাকা ১২.৫ ভরি স্বর্ণ ও নগদ ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা চুরি করে নিয়ে পালিয়ে যায়।

    বেলকুচি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তাজমিলুর রহমান জানান, চুরির ঘটনায় সকালেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। আমরা চোরদের গ্রেফতার ও মালামাল উদ্ধারের কাজ চালাচ্ছি।

  • বালিয়াডাঙ্গীতে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে সাড়ে চারলাখ টাকা অনুদানের চেক বিতরণ।

    বালিয়াডাঙ্গীতে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে সাড়ে চারলাখ টাকা অনুদানের চেক বিতরণ।

    ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:
    ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ৯টি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে সাড়ে চারলাখ টাকা অনুদান প্রদান করা হয়েছে।
    শুক্রবার বিকাল ৫টা থেকে রাত ১০পর্যন্ত বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ধনতলা ইউনিয়নের লাহিড়ী ঠুমনিয়া,ধূকুরঝাড়ী সিন্দুর পিন্ডি,ঠুমনিয়া মাশানতলা, টাকাহারা, বানাঁগাও, জোতপাড়া,খচাবাড়ী,আনসারহাট,পূনিপুকুর, ফুটানীরহাট এলাকায় উপস্থিত হয়ে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর পরিচালনা কমিটির নিকট এসব অর্থ হস্তান্তর করেন ঠাকুরগাঁও জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ মাজহারুল ইসলাম।
    তিনি বলেন, ঠাকুরগাঁও ২ আসনের এমপি আলহাজ্ব মোঃ দবিরুল ইসলাম এমপির বিশেষ বরাদ্দ থেকে এসব অনুদানের টাকা প্রদান করা হয়েছে।
    অনুদান প্রদানেরর সময় উপস্থিত ছিলেন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী সহ সভাপতি সমর কুমার চ্যাটাজী নুপুর, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ দুলাল রব্বানী, সাধারণ সম্পাদক অমিকান্ত শাহ,সহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
    বরাদ্দ পাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলো ঠুমনিয়া মহিরউদ্দীন সমজিদ -৫০,০০০ হাজার টাকা,সিন্দুরপিন্ডি হরিবাসর ৫০,০০০ হাজার টাকা,ঠুমনিয়া মাশানতলা কালি মন্দির -৫০,০০০ হাজার টাকা,জোতপাড়া নলপানিয়া কালি মন্দির -৫০,০০০০, হাজার টাকা,খোচাবাড়ী রিকূয়েন্সী ক্লাব -৫০,০০০ হাজার টাকা, আনসার হাট হাফিজিয়া মাদ্রাসা -৫০,০০০ হাজার টাকা,পুনিপুকুর দুর্গা মন্ডপ -৫০০০০ হাজার টাকা, ফুটানি জামে মসজিদ। -৫০,০০০ হাজার টাকা।
  • লক্ষ্মীপুরে জামায়াতের শীর্ষ ৩ নেতার জামিন নামঞ্জুর-কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ।

    লক্ষ্মীপুরে জামায়াতের শীর্ষ ৩ নেতার জামিন নামঞ্জুর-কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ।

    লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধিঃ

    লক্ষ্মীপুরে সন্ত্রাস দমন আইনের মামলায় জামায়তের ৩ শীর্ষ নেতাকে লক্ষ্মীপুর জেল কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। তারা হলেন মাস্টার মো: রুহুল আমিন ভূঁইয়া , এ আর হাফিজ উল্যা ও মোহাম্মদ নুরুল হুদা। বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ রহিবুল ইসলাম তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

    লক্ষ্মীপুর জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলী (পিপি) জসিম উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আসামিরা আদালতে উপস্থিত হয়ে জামিন আবেদন করেছেন। বিচারক তাদের আবেন নামঞ্জুর করেছেন। তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এই মামলায় আরও ৫ জন কারাগারে আছে।

    গ্রেপ্তারকৃত রুহুল আমিনজেলা জায়ামাতের আমির, হাফিজ উল্যা সেক্রেটারী ও নুরুল হুদা জেলা কমিটির সিনিয়র নেতা।

    আদালত সূত্র জানায়, গত ২৪ সেপ্টেম্বর বিপুল শহরের দক্ষিণ তেমুহনী এলাকার সেমিপাকা ভাড়া বাসায় জামায়াতের ৪০-৫০ জন লোক ঘপ্টনাস্থলে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড ঘটানোর পাঁয়তারায় বৈঠক করছিলেন। এসময় ৫২০ টি জেহাদি বইসহ ২ জনকে আটক করে পুলিশ। বাকিরা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায়।

    পরদিন সদর মডেল থানার এসআই হাবিবুর রহমান বাদী হয়ে সন্ত্রাস দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করে। আটকদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়। ১০ অক্টোবর রাতে আরও তিন জামায়াত নেতাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এতে এই মামলায় আবদুর রহমান, নুর আলম লিটন, আবদুর রশিদ ও সক্রিয় শিবির সদস্য সুমন ও বেলাল হোসেন কারাগারে রয়েছেন।

    এই দিকে মামলার অন্যতম আসামি রুহুল আমিন, হাফিজ উল্যা ও নুরুল হুদা তখন উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়েছিলেন। জামিনের সময় শেষ হওয়ায় তারা লক্ষ্মীপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতে উপস্থিত হয়ে জামিন আবেদন করেন। আদালত তাদের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।

  • ডিমলায় থানা চত্বরে ওপেন হাউস ডে অনুষ্ঠিত।

    ডিমলায় থানা চত্বরে ওপেন হাউস ডে অনুষ্ঠিত।

    ডিমলা (নীলফামারী) প্রতিনিধিঃ

    নীলফামারীর ডিমলায় থানা চত্বরে ওপেন হাউস ডে অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বুধবার বিকেলে ডিমলা থানা চত্বরে ওপেন হাউস ডে অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে ডিমলা থানার অফিসার ইনচার্জ লাইছুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ডিমলা থানার পুলিশ পরিদর্শক বিশ্বদেব রায়। এতে গেস্ট অব অনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নীলফামারী -১ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আফতাব উদ্দিন সরকার। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নীলফামারী জেলার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আনোয়ারুল হক সরকার মিন্টু ও মুক্তিযোদ্ধা সামছুল হক, জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক, শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রী, রাজনৈতিক ব্যক্তি, কমিউনিটি পুলিশিং নেতাসহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ। এসময় নীলফামারী জেলার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান সর্বসাধারনের উদ্দেশ্যে বলেন পুলিশকে তথ্য দিয়ে সহযোগীতা করবেন। পুলিশ জনগনের সেবক হয়ে সব সময় পাশে থেকে কাজ করবে। মাদক, জুয়া, নারী নির্যাতন, বাল্যবিবাহ, চাঁদাবাজী, জাল জালিয়াতি ও জঙ্গিবিরোধী সমাজ গড়তে সর্বসাধারনের প্রতি আহবান জানান। পুলিশ জনগনের শত্রæ নয় বন্ধু । পুলিশকে তথ্য দিয়ে সহযোগীতা করে সঠিক সেবা নেওয়ার পরামর্শ প্রদান করেন।

  • আলোচিত শাকিল হত্যা মামলার আসামি দেলোয়ার হোসেনের জামিন। 

    আলোচিত শাকিল হত্যা মামলার আসামি দেলোয়ার হোসেনের জামিন। 

    ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ
    ঠাকুরগাঁওয়ের আলোচিত শাকিল হত্যা মামলার দুই নাম্বার  আসামি দেলোয়ার হোসেনকে জামিন দিয়েছে আদালত।
    বুধবার (২৩ নভেম্বর) দুপুরে ঠাকুরগাঁও জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মামুনুর রশীদ এই জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন।বিষয়টি বাদীপক্ষের আইনজীবি এ্যাড. সৈয়দ আলম নিশ্চিত করেছেন।
    তিনি বলেন, জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা ভানোর ইউনিয়নের মৎসজীবি লীগের সভাপতি শাকিল আহমেদ হত্যা মামলার প্রধান আসামি ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম ও দুই নাম্বার আসামী দেলোয়ার হোসেন জামিনের আবেদন করলে মহামান্য আদালত দেলোয়ার হোসেনের জামিন মঞ্জুর করেন আর প্রধান আসামী রফিকুল ইসলামের জামিন নামঞ্জুর করে পুনরায় জামিনের জন্য আগামী ৩০ নভেম্বর দিন ধার্য্য করেছেন।
    এদিকে দুই নাম্বার আসামীর জামিনে আতংকে রয়েছে শাকিলের পরিবার।
    এর আগে গত বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) প্রায় দুই শতাধিক লোকের শোডাউন নিয়ে আদালতে আত্মসমার্পন করে জামিন চাইতে গেলে জামিন না মঞ্জুর করে মামালার প্রধান আসামী রফিকুল ইসলামকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত। চেয়ারম্যানকে কারাগারে নেওয়ার সময় আদালতে উপস্থিত গণমাধ্যমকর্মীরা ছবি তুলতে গেলে সংবাদকর্মীদের উপর হামলার চেষ্টা করেন তার ভাড়াটে লোকজন।
    আদালত চত্বরে হত্যা মামলার প্রধান আসামীর দুইশতাধিক লোকের শোডাউন ও সাংবাদিকদের উপর হামলার চেষ্টায় ক্ষোভ প্রকাশ করে জেলার বিশিষ্টজনরা জানান, আদালত একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান। সেখানে একজন হত্যার মামলার প্রধান আসামীর সাথে এতো লোকজন কিভাবে শোডাউন দিয়ে আদালত চত্বরে কিভাবে প্রবেশ করল?
    আদালতের বারান্দায় সন্ত্রাসীদের এমন ঘটনা সত্যিই হতাশজনক। দায়িত্বরত পুলিশ-প্রশাসন এর দায় এড়াতে পারে না। সাংবাদিকদের সাথে সন্ত্রাসীরা কেন এমন মারমুখী আচরণ করল? অবশ্যই প্রশাসন এর জবাব দিবেন। আর বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন বলে জানান তারা।
    উল্লেখঃ গত ০৩ সেপ্টেম্বর তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ভানোর ইউনিয়নের হলদিবাড়ী বাজারে ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম ও যুবলীগ নেতা সাঈদ আলম দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে সাঈদ আলমের ভাই মৎসজীবিলীগ নেতা শাকিল আহমেদ মারা যায়। পরে বালিয়াডাঙ্গী থানায় ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলামসহ ২০ জনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন যুবলীগ নেতা সাঈদ আলম। সেই মামলায় আটজনকে গ্রেফতার করে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী।
  • বেলকুচিতে মাধ্যমিক পর্যায়ে ছাত্রীদের মাঝে বাইসাইকেল বিতরণ।

    বেলকুচিতে মাধ্যমিক পর্যায়ে ছাত্রীদের মাঝে বাইসাইকেল বিতরণ।

    বেলকুচি (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ

    সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের ৩টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৪৫ জন ছাত্রীকে এলজিএসপি-৩ এর আওতায় বাইসাইকেল এবং ৫ শতাধিক গর্ভবর্তী মায়েদের মাঝে স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।

    বৃহস্পতিবার সকালে ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে ইউপি চেয়ারম্যান আশিকুর রহমান লাজুক বিশ্বাসের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বিতরণ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সাবেক মন্ত্রী ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আব্দুল লতিফ বিশ্বাস।

    বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সিরাজগঞ্জের স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ তোফাজ্জল হোসেন। অন্যান্যের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি শিবানী সরকার, দৌলতপুর হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক তাপস কুমার মন্ডল।

    এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, দৌলতপুরের ইউপি প্যানেল চেয়ারম্যান সামছুল হক, আওয়ামীলীগ নেতা আব্দুল হামিদ মোল্লা, থানা স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা কামাল হোসেন, ইউপি সচিব এবিএম খায়রুজ্জামান লিটন, ইউপি সদস্য আনোয়ার হোসেন, আব্দুল মালেক, জিন্নত আলী সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

  • রাণীশংকৈলে ইএসডিও-এডুকো প্রকল্পের মুক্ত আলোচনা ও পরামর্শ সভা অনুষ্ঠিত।

    রাণীশংকৈলে ইএসডিও-এডুকো প্রকল্পের মুক্ত আলোচনা ও পরামর্শ সভা অনুষ্ঠিত।

    ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ
    ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার নেকমরদ বঙ্গবন্ধু ডিগ্রী কলেজ হলরুমে বুধবার ২৩ নভেম্বর ইএসডিও-এডুকো ফান্ডেড প্রোজেক্টের মাধ্যমে দিনব্যাপী মুক্ত আলোচনা ও পরামর্শ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
    এসময় সহকারী কমিশনার ভূমি ইন্দ্রজিৎ সাহার সভাপতিত্বে, প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শাহারিয়ার আজম মুন্না, চেয়ারম্যান উপজেলা পরিষদ রাণীশংকৈল, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মোছাঃ শেফালী বেগম, নেকমরদ বঙ্গবন্ধু ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ হেলাল উদ্দিন, উপজেলা শিক্ষা অফিসার রাহিম উদ্দিন, উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন ও সাংবাদিক প্রতিনিধিবৃন্দ।
    এছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন কমিউনিটি থেকে শিক্ষক, বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটি, অভিভাবক, শিক্ষার্থী, কিশোর-কিশোরী ও যুব প্রতিনিধি সহ মোট ১১০জন অতিথি উপস্থিত ছিলেন। এ সময় এডুকো বাংলাদেশ এবং ইএসডিও সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
    অতিথিবৃন্দ এবং অংশগ্রহণকারীদের আসনগ্রহণ এবং সভাপতির বক্তব্যের মাধ্যমে সেশন কার্যক্রম শুরু হয়।
    শুরুতে ইএসডিও প্রতিনিধি নির্মল মজুমদার এবং সহযোগী সংস্থা এডুকো বাংলাদেশ প্রতিনিধি তাহ্সিনা মোরসালিন ও রাফেজা আক্তার স্বাগত বক্তব্য রাখেন।
    আলোচনা ও পরামর্শ সভায় সংস্থা পরিচিতি ও অংশগ্রহণকারীদের মতামত গ্রহণ করা হয়।
    অতিথিবৃন্দ তাঁদের বক্তব্যে বলেন ইএসডিও-এডুকো বাংলাদেশ পরিচালিত কার্যক্রম সমূহ রাণীশংকৈল উপজেলায় সফলতার সাথে বাস্তবায়িত হয়েছে। প্রায় দুই বছর ধরে  উপজেলায় বাস্তবায়িত প্রকল্পের মাধ্যমে প্রাথমিক শিক্ষা এবং কিশোর-কিশোরী ও যুবদের নিয়ে ক্লাব কার্যক্রম অন্যতম। বিশেষ করে করোনা অতিমারীতে মোবাইল ফোনে শিক্ষার্থী, অভিভাবক, কিশোর-কিশোরী ও যুবদের সহযোগিতা, কমিউনিটি ভিত্তিক শিক্ষা সহায়তা কার্যক্রম পরিচালনা এবং অসহায়দের জন্য ভকেশনাল ও আইজিএ কার্যক্রম বিশেষ ভূমিকা রেখেছে।
    সমাপনী বক্তব্যে সভাপতি ইন্দ্রজীত সাহা, সহকারী কমিশনার ভূমি বলেন, রাণীশংকৈল এলাকার জনগণ ভাগ্যবান কারণ এখানে ইএসডিও এর মত প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। প্রকল্পগুলি সঠিকভাবে বাস্তবায়িত হলে ক্ষুদ্র নৃ-তাত্তিক জনগোষ্ঠীর শিশুরা শিক্ষায় অগ্রসর হবে, বাল্যবিবাহরোধ হবে, শিশুশ্রম বন্ধ হবে, যুবাদের আত্মকর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।
    উল্লেখ্য যে, গত ফেব্রুয়ারি ২০২১ সাল হতে  উপজেলায় এডুকো বাংলাদেশ এর সহায়তায় ইএসডিও কর্তৃক তিনটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে। প্রকল্প সমূহ উপজেলার সকল ইউনিয়ন এবং পৌরসভা এলাকার মোট ৪০ টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং সংশ্লিষ্ট কমিউনিটিতে বাস্তবায়িত হয়েছে। কমিউনিটি এবং উপজেলা পর্যায়ের প্রকল্প সহায়ক সরকারি বেসরকারি অংশীজনদের সাথে যৌথ পরিকল্পনা এবং পরামর্শের মাধ্যমে প্রকল্প কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছে।যা বাস্তবায়িত প্রকল্প উপকার ভোগী শিশু, কিশোর-কিশোরী এবং যুবদের উন্নয়নে কতটুকু ভূমিকা রেখেছে, পরবর্তীতে সময়ে এর প্রয়োজনীয়তা কতটুকু? এসব বিষয়ে সরাসরি উপকারভোগী এবং সেবা প্রদানকারীদের প্রশংসা, পরামর্শ ও অভিযোগ গ্রহণ এর মাধ্যমে প্রকল্পের পরিবর্ধন ও পরিমার্জন করতে সহায়ক হবে।