Author: admin

  • ঠাকুরগাঁও হাসপাতালে শয্যার চেয়ে রোগীর সংখ্যা দুই গুণ।

    ঠাকুরগাঁও হাসপাতালে শয্যার চেয়ে রোগীর সংখ্যা দুই গুণ।

    ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:

    আড়াইশ শয্যার ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে বাড়ছে শিশুরোগীর সংখ্যা। গত চারদিনে দুই শতাধিক শিশু বিভিন্ন অসুখ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এসব রোগীর মধ্যে জ্বর, ঠান্ডাজনিত শ্বাসকষ্ট ও নিউমোনিয়া আক্রান্তের সংখ্যা বেশি। এক দিনেই হাসপাতালে ৪০/৫০ শিশুরোগী ভর্তি হচ্ছে। পুরো শিশু ওয়ার্ডে শয্যার চেয়ে রোগী দুই গুণ। শয্যা সংকটে হিমশিম রোগী ও স্বজনরা।

    ঠাকুরগাঁও সরকারি হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে বৃহস্পতিবার গিয়ে দেখা যায়, শিশু বিভাগে প্রচুর রোগী রয়েছে। শয্যা সংকটে হাসপাতালের করিডোর এবং বারান্দার মেঝেতে বিছানা পেতে চিকিৎসাসেবা নিচ্ছে রোগীরা। শিশু ওয়ার্ডেই রোগী আছে দুইশ’র বেশি। এক সপ্তাহ আগে এই ওয়ার্ডে রোগী আরও বেশি ছিল।  হাসপতালটি ২৫০ শয্যার কিন্তু দৈনিক ভর্তি থাকছেন ৪০০ থেকে প্রায় ৪৫০ জন রোগী।

    শিশু রোগীর মধ্যে এক মাস থেকে পাঁচ বছর বয়সির সংখ্যা বেশি। ঠান্ডাজনিত অসুখে আক্রান্ত হয়েছে হচ্ছে তারা। জানা যায়, ঠাকুরগাঁও জেলা শহরে হঠাৎ প্রচণ্ড শীত পড়ায় গত কয়েক দিনে বৃদ্ধসহ শিশুরা বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। হাসপাতালে এমন রোগীর সংখ্যা দুইশ’র বেশি। দেখা গেছে, রোগীর চাপে বিশেষ করে শিশু ওয়ার্ডের কোথাও ঠাঁই নেই। শিশু ওয়ার্ডের সবকটি বিছানা পরিপূর্ণ হয়ে মেঝেতেও রোগীদের জন্য বিছানা পাতা হয়েছে। এসব রোগী জ্বর, সর্দি, কাশি, শ্বাসকষ্ট, খিঁচুনি এবং নিউমোনিয়াসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে এসেছে। এ ছাড়া অনেক অভিভাবক প্রাথমিক চিকিৎসাসেবা শেষে শিশুদের নিয়ে বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন। একইভাবে চিকিৎসাসেবা নিচ্ছেন বয়স্করাও।

    ঠাকুরগাঁও আধুনিক হাসপাতালে পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলা থেকে ফারুক ইসলাম ও তার স্ত্রী এসেছেন ১৫ মাস বয়সী শিশুকে নিয়ে। ফারুক ইসলাম বলেন, ‘অতিরিক্ত ঠান্ডার কারণে বেশ কয়েকদিন থেকে বাচ্চাটা অসুস্থ তাই গত ১৫ জানুয়ারি এই হাসপাতালে তাকে ভর্তি করি। এখন সে কিছুটা সুস্থ্য।’

    ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার সালন্দর ইউনিয়ন থেকে অসুস্থতার জন্য শাহিনা তার  ১৫ দিন বয়সি কন্যা খাদিজাকে ভর্তি করান। তিনি বলেন, ‘আমি কাশ ও সর্দিতে আক্রান্ত ও আমার কন্যা নিউমোনিয়া আক্রান্ত। গত ১০ জানুয়ারিতে হাসপাতলে শিশু ওয়ার্ডে তাকে ভর্তি করি কিন্তু রোগির অতিরিক্ত চাপ থাকায় বেড পাইনি। তাই ফ্লোরে বিছানা করে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে।’

    দিনাজপুর জেলার বীরগঞ্জ উপজেলার গণপূত গ্রামের সাজেদুল করিম বলেন, আমার আড়াই মাসের ছেলে আবু বক্কর সিদ্দিক। ঠান্ডার কারণে সর্দি ও এলার্জি রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে দুইদিন থেকে ভর্তি আছি।

    ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার গড়েয়া ইউনিয়নের শাহানাজ পারভিন নামে এক গৃহবধু বলেন, ‘৩ দিন থেকে হাসপাতালে ভর্তি আমার ছেলেকে নিয়ে। আগে যদিও শুনেছি এখানকার বেখিয়ালির কথা। তবে এখন আগের থেকে এখানকার চিকিৎসা অনেক ভালো ও উন্নত হয়েছে। তার পরেও এখানে বেডের সমস্যা রয়েই গেছে। বেডের অভাবে অনেক রোগীকে মেঝেতে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে। যদি বেডের সংখ্যা বৃদ্ধি করা হতো তাহলে আমাদের জন্য আরো ভালো হতো।’

    হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ সিনিয়র কনসালটেন্ট ডাঃ সাজ্জাত হায়দার শাহিন বলেন, ‘ কয়েক দিনে হাসপাতালে শিশুরোগীর চাপ বেড়েছে।  আমাদের এখানে শিশু ওয়ার্ডে বেডের সংখ্যা ৪৫ জনের হলেও বর্তমানে প্রতিদিন দুই শতাধিক শিশু ভর্তি থাকছে। শীতের সময় বিশেষ করে শিশু ও নবজাতকের ঠিকমতো যত্ন না নেওয়ার ফলে এধরণের সমস্যা হয়ে থাকে।

    আধুনিক সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডাঃ নাঈম মোঃ মিনহাজ কৌশিক বলেন, ‘হাসপাতালের ধারণ ক্ষমতা ২৫০ জনের হলেও বর্তমানে প্রতিদিন প্রায় ৪৫০ জনের মত রোগী ভর্তি থাকছেন।  রোগীর সংখ্যা বেশি হওয়ায় ডাক্তার ও নার্সদের হিমশিম খেতে হচ্ছে জনবল সংকট থাকার কারনে। আগে ১০০ শয্যার হাসপতালে যে জনবল ছিল এখন এটি ২৫০ শয্যায় উন্নিত হলেও শুধু কিছু সংখ্যক আউটসোশিং জনবল বৃদ্ধি করার মধ্য দিয়ে এখানকার কার্যক্রম চলছে। সীমিত সামর্থের মধ্যেই আমরা সর্বোচ্চ সেবা দেওয়ার চেষ্টা করছি।

  • গোদাগাড়ীতে আলু গাছে টমেটোর জোড় কলমঃআলোড়ন সৃষ্টি করেছে কৃষক মনির।

    গোদাগাড়ীতে আলু গাছে টমেটোর জোড় কলমঃআলোড়ন সৃষ্টি করেছে কৃষক মনির।

    রাজশাহী(গোদাগাড়ী)প্রতিনিধিঃ

    রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে আলু গাছে টমেটোর জোড় কলম করে আলোঢ়ন সৃষ্টি করেছে কৃষক মনির। কৃষক মনিরের বাড়ি রাজশাহী শহরে হলেও গোদাগাড়ীর কৃষক হিসাবে তাকে সবাই চিনে। গোদাগাড়ী উপজেলার চৈতন্যপুর গ্রামে মনিরের কৃষি খামার। সে তার খামারে নতুন নতুন পদ্ধতির ব্যাবহার ও নতুন নতুন ফসল চাষবাদ করে। তার চাষবাদ দেখে নতুন নতুন চাষবাদে আগ্রহী হয়ে উঠে এ অঞ্চলের কৃষকরা। এবার সে খামারে জোড় কলম পদ্ধতি ব্যাবহার করে ৪০ টি আলু গাছে তেরী করেছে টমেটোর গাছ। আলুর গাছে টমেটোর গাছ তৈরী করে রিতীমতো আলোঢ়ন সৃষ্টি করেছে কৃষক মনির। দুরদুরান্ত থেকে তার এই জোড় কলম পদ্ধতির টমেটোর গাছ দেখতে আসছে কৃষকরা। শুধু তাই নয় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র ছাত্রীরা আসছে তার কৃষি খামারে আলু গাছে তৈরী করা টমেটোর গাছ দেখতে ও শিখতে।
    টমেটো এবং আলু উভয়ই একই গোত্রের দীর্ঘ রাত্রির উদ্ভিদ এ কারনে এদের মধ্যে জোড় কলম পদ্ধতি বেশ কার্যকর। উভয় গাছেই থাকে আল্কালয়েড নামক একপ্রকার উপাদান যা তাদের পোকামাকড় থেকে রক্ষা করে।
    জোড় কলমের সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে এটা সময় এবং স্থান সাশ্রয়ী । একই গাছে আলু এবং টমেটো উৎপাদনের ফলে অর্থনৈতিক ভাবে অধিক লাভবান হওয়া সম্ভব।
    আলু এবং টমেটো একই গাছে উৎপাদন করার ধারনা প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৭৭ সালে ম্যাক্স প্লাঙ্ক ইন্সটিটিউট অব ডেভেলপমেন্ট এ। যুক্তরাজ্যের গবেষকরা সম্প্রতি এই ধারণার সফল বাস্তবায়ন ঘটিয়েছেন। তারা একই গাছে উপরে টমেটো আর নিচে আলু ফলাতে সক্ষম হয়েছেন যাতে আলু ও টমেটোর স্বাদ অক্ষুন্ন থাকে। এই কাজের জন্য তারা জিন প্রকৌশল নয়, গ্রাফটিং বা জোড় কলমের আশ্রয় নিয়েছেন। টমেটোর সঙ্গে আলুর জোড় কলম পদ্ধতিতে আলু ও টমেটো একই গাছে উৎপাদন করা সম্ভব ।
    একটি প্রাপ্তবয়স্ক আলু গাছকে (যাকে স্টক বলা হয়) মাটি থেকে প্রায় ১ ইঞ্চি উপরে ভি শেপ করে কেটে নিয়ে উপরের অংশটি ফেলে দিতে হবে।
    অন্যদিকে একটি টমেটো গাছকে (যাকে সায়ান বলা হয়) মাটি থেকে ৬ থেকে ৭ ইঞ্চি কেটে আগাসহ উপরের অংশটি কেটে নিতে হবে। এ কাজের জন্য আলু গাছের সমান ব্যাস বিশিষ্ট টমেটো গাছ নিলে গ্রাফটিং বা জোড় কলম করার জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত হয়। তারপর টমেটো গাছের কাটা অংশটি আলু গাছের কাটা অংশটির উপর প্রতিস্থাপন কড়তে হবে। একে বলা হয় গ্রাফটিং বা জোড় কলম। গ্রাফটিং করা অংশটি গ্রাফটিং রেপিং টেপ দিয়ে ভালোভাবে পেঁচিয়ে দিতে হবে। প্রতিস্থাপিত অংশ থেকে নতুন পাতা গজানোর আগপর্যন্ত রেপিং টেপ খোলা যাবেনা।
    কৃষক মনিরের খামারে গিয়ে কথা হয় তার সাথে। সে বলেন টিভিতে আলু গাছে জোড় কলম পদ্ধতিতে টমেটোর গাছ তৈরী করা দেখে সে পরীক্ষা মুলক ভাবে ৪০ টি আলু গাছে জোড় কলম পদ্ধতিতে টমেটো গাছ তৈরী করেছে। এতে সে সফল হয়েছে।
    সে আরো বলেন, গোদাগাড়ী উপজেলা টমেটোর জন্য সারা বাংলাদেশে বিখ্যাত। দেশের সিংগভাগ টমেটো উৎপাদন হয় এ উপজেলায়। কিন্তু ডিসেম্বর মাসে কৃষকেরা টমেটোর তেমন দাম পাই না। তাই এ উপজেলার কৃষকরা টমেটোর ক্ষেত থেকে ডিসেম্বর অথবা জানুয়ারী মাসের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত টমেটো সংগ্রহ করে। তারপর টমেটোর গাছ কেটে বোরো ধানের আবাদ করে। জানুয়ারী মাসের মাঝামাঝিতে এ উপজেলায় আর টমেটো পাওয়া যায় না। এপ্রিল মে মাসে টমেটোর আবার বাজার মূল্য বৃদ্ধি পাই। তাই এপ্রিল মে মাসে টমেটোর বাজার ধরার জন্য অল্প পরিসারে হলেও এ পদ্ধতিকে কাজে লাগাতে চান সে।
    মনির বলেন, আলু গাছ ৪ থেকে ৫ ইঞ্চি লম্বা হলেই আলু গাছে টমেটোর জোড় কলম ভাল হচ্ছে। আলু গাছ বেশী বড় হলে জোড় কলম ভালো হচ্ছে না। জোড় কলম করার ৪ থেকে ৫ দিনের মাথায় টমেটোর কান্ড থেকে কুশি ছাড়তে শুরু করে। পতা সজিব ও সতেজ হলে পলিথিনের ব্যাগ খুলে ফেলতে হয়। পলেথিন ব্যাগ খুলতে সময় লাগে ৭ থেকে ১০ দিন। জোড় কলম করার ১৫ দিনের মাথায় টমেটোর ফুল আসতে শুরু করে। ১ থেকে দেড় মাসের মাথায় ফল টমেটোর গাছ থেকে ফল সংগ্রহ করা যায়।
    সে আরো বলেন, এ পদ্ধতি ব্যাবহার করে মাটির নিচে আলু এবং মাটির উপরে টমেটো। একই গাছ থেকে দুই রকম সবজি পাওয়া যাবে। এমনকি ৩ থেকে সাড়ে ৩ মাস টমেটো পাওয়া যাবে। কারন আলু লাগানোর পর ক্ষেত থেকে আলু তুলতে সময় লাগে ৩ থেকে সাড়ে ৩ মাস।
    এ পদ্ধতিতে টমেটোর গাছ আরো বৃদ্ধি করবেন কি না প্রশ্নের জবাবে কৃষক মনির বলেন, এবার পরীক্ষা মুলক ৪০ টি আলু গাছে টমেটোর জোড় কলম করেছি। আর বৃদ্ধি করার ইচ্ছে নেই।
    তবে সে বলেন, এর আগে তীত বেগুন গাছে টমেটোর জোড় কলম করে সফল হয়েছি। এবার মার্চ মাসে প্রায় ৪০০ টি তীত বেগুন গাছের সাথে টমেটোর জোড় কলম পদ্ধতিকে কাজে লাগিয়ে টমেটোর আবাদ করবো। এতে করে অসময়ে টমেটো পাওয়া যাবে এবং দামও ভালো পাবো।

  • কাল আসছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ উপলক্ষে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন।

    কাল আসছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ উপলক্ষে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন।

    মোঃ হাবিবুল হাসান হাবিব, ডিমলা( নীলফামারী) প্রতিনিধিঃ

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আসাদুজ্জামান খান কামালের দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প ডালিয়া তিস্তা ব্যারেজ এলাকায় আগমন উপলক্ষে সকল প্রস্তুতি সম্পূর্ণ। তিস্তা ব্যারেজ চত্বরকে ভিন্নভাবে সাজানো হয়েছে। চারদিকে সাজসাজ রব, পুরো ব্যারেজ এলাকা সেজে উঠেছে বিভিন্ন রঙ্গিন ব্যানার, ফেস্টুন ও আলোকসজ্জা দিয়ে। এর সবকিছুই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আসাদুজ্জামান খান কামালের আগমনকে ঘিরে। তাকে বরণ করে নিতেই এত আয়োজন। এছাড়াও তার আগমন উপলক্ষে নিরাপত্তা ব্যবস্থাসহ সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে রাপিড একশন ব্যাটেলিয়ন র্র্যাব-১৩।

    মঙ্গলবার (২৪শে জানুয়ারি) সকাল দশটায় দেশের উত্তরাঞ্চল ডালিয়া তিস্তা ব্যারেজ এলাকার হতদরিদ্র, অসহায় ছিন্নমূল মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র (কম্বল) বিতরণ উপলক্ষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আসাদুজ্জামান খান কামাল ডালিয়া তিস্তা ব্যারেজে আসবেন। এসময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থাকবেন।

    রাপিড একশন ব্যাটেলিয়ন (র্র্যাব- ১৩) সূত্রে জানা গেছে, এ উপলক্ষে সমগ্র তিস্তা ব্যারেজ এলাকা নতুন রূপে সাজানো হয়েছে। শুধু তাই নয়, যাতে আইন শৃংখলা পরিস্থিতির অবনতি না ঘটে সেজন্য তিনস্তর বিশিষ্ট নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হয়েছে পুরো তিস্তা বারেজ এলাকা।

    এ ব্যাপারে র‍্যাব১৩ এর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা মেজর মোঃ মইদুল ইসলাম বলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর তিস্তা ব্যারেজ এলাকায় সফর ও আগমন উপলক্ষে ডালিয়া তিস্তা ব্যারেজ এলাকাকে নতুন রূপে সাজানোর চেষ্টা করেছি। এছাড়া তিনস্তর বিশিষ্ট নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে । যাতে কোনো ধরনের আইনশৃংখলা পরিস্থিতির অবনতি না ঘটে। সেদিকে লক্ষ্য রাখা হয়েছে।

  • মাধবপুরে এডভোকেসী প্রশিক্ষণ কর্মশালা সমাপ্তি।

    মাধবপুরে এডভোকেসী প্রশিক্ষণ কর্মশালা সমাপ্তি।

    নাহিদ মিয়া, মাধবপুর (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ

    মাধবপুরে পিছিয়েপড়া জনগোষ্ঠীর ক্ষমতায়ন ও বাংলাদেশের উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় সক্রিয় অংশ গ্রহন প্রকল্পের এডভোকেসী নেটওয়ার্ক সদস্যদের জন্য মানবাধিকার, গণতন্ত্র, সুশাসন, নারীর ক্ষমতায়ন ও এডভোকেসী বিষয়ক ৩ দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ সমাপ্ত হয়েছে । শনিবার (২৩ জানুয়ারি) ২০২৩ ইং ওয়েব ফাউন্ডেশন এর আয়োজনে প্রশিক্ষণ কর্মশালা উপজেলা বি আর ডি বি হল রুমে সকাল ৯ ঘটিকায় এডভোকেসী নেটওয়ার্ক মাধবপুর কমিটির চেয়ারম্যান মোঃ শামসুদ্দিন তালুকদার এর সভাপতিত্বে অনুষ্টিত হয়। সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা মাধবপুর পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা মোঃ ফয়সল চৌধুরী ওয়েভ ফাউন্ডেশনের সিলেট বিভাগীয় সমন্বয়কারী শাহজাহান মিয়া ওয়েভ ফাউন্ডেশনের সিলেট বিভাগীয় সহকারী সমন্বয়কারী মোঃ জোবায়ের আহমদ। ওয়েভ ফাউন্ডেশন সিলেট অঞ্চলের বিভাগীয় ফেসিলিটেটর মোহাম্মাদ শাহজাহান মিয়ার সঞ্চালনায় অনুষ্টিত সমাপনী অনুষ্ঠানে ৩ দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ এর অনুভূতি ওয়েভ ফাউন্ডেশনের বিভিন্ন বিষয়াদি নিয়ে আলোনা করেন।

    প্রধান অতিথি মোঃ ফয়সল চৌধুরী বলেন পিছিয়েপড়া জনগোষ্ঠীদের ক্ষমতায়ন করতে হলে পূর্বান্হে তাদের পিছিয়েপড়ার কারন জানতে হবে।তাদের সমস্যা গুলো চিন্হিত করে উত্তোরনে কাজ করতে হবে।তাদের সঠিক পরিসংখ্যান ও তাদের আয়বর্ধক প্রশিক্ষক গ্রহনে উদ্বুদ্ধ করতে হবে।তিনি পিছিয়েপড়া জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে সকল প্রকার সহযোগীতার প্রদানের আশাবাদ ব্যক্ত করেন। সমাপনী দিনে প্রশিক্ষক হিসাবে ওয়েভ ফাউন্ডেশন এর সিলেট বিভাগীয় ফেসিলিটেটর মোহাম্মদ শাহজাহান মিয়া।প্রশিক্ষণে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার ২৫ জন সদস্য প্রশিক্ষণে অংশ গ্রহন করে।

  • বাঘায় মাথার যন্ত্রনা শেষ করতে আত্নহত্যা।

    বাঘায় মাথার যন্ত্রনা শেষ করতে আত্নহত্যা।

    বাঘা(রাজশাহী)প্রতিনিধি:

    রাজশাহীর বাঘায় মাথার যন্ত্রনা সহ্য করতে না পেরে রোববার (২২ জানুয়ারী) বিকাল ৩টায় বাড়ির পাশে আম গাছে রশিতে গলায় ফাঁস দিয়ে রেখা খাতুন (২৩) নামের এক নারী আত্নহত্যা করেছে।

    রেখা খাতুন উপজেলার বাউসা ইউনিয়নের বাউসা টাউরিপাড়া গ্রামের সেকেন্দার আলীর মেয়ে।

    রেখা খাতুনের মা মরিয়ম বেগম বলেন, আমার মেয়েকে ৮ বছর আগে পাবনা জেলার ঈশ্বরর্দী উপজেলার বিলগাছা গ্রামে পারিবারিকভাবে বিয়ে দেয়া হয়। বিয়ের আগে থেকে তার মাথার যন্ত্রনা ও শরীর জ্বালা-পোড়া করতো।
    এক সপ্তাহ আগে মেয়েকে স্বামীর বাড়ি থেকে আনা হয়েছে। সে কয়েক দিন থেকে মাথার যন্ত্রনা ও শরীর জ্বালা-পোড়া করছে বলে জানায়। এ রোগের বিষয়ে বিভিন্নস্থানে ডাক্তার দেখিয়েছি, কিন্তু কোন উন্নতি হয়নি। মাথার যন্ত্রণা ও শরীর জ্বালা-পোড়া সহ্য করতে না পেরে বাড়ির সকলের অজান্তে বাড়ির উত্তর পাশে সাবাজ আলীর আম বাগানের গাছের সাথে রশি দিয়ে আত্নহত্যা করে। জানা যায়, এর আগে কয়েকবার আত্নহত্যা চেষ্টা করেছে সে।

    স্থানীয় প্রতিবেশি আবু রায়হান বলেন, বিকালে মাঠের মধ্যে খেজুর গাছে পাত্র লাগানো জন্য যাওয়ার সময়ে দেখি গাছে একটি মেয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলছে। আমার চিৎকারে কিছু মানুষ এগিয়ে আসলে দেখা যায় রেখাকে। পরে পুলিশকে খবর দেওয়া হলে ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে ।

    এ বিষয়ে বাঘা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজ্জাদ হোসেন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

  • ডিমলায় কৃষকের সরিষা ক্ষেত নষ্ট, হাল চাষ করে বোরো ধান রোপন।

    ডিমলায় কৃষকের সরিষা ক্ষেত নষ্ট, হাল চাষ করে বোরো ধান রোপন।

    ডিমলা( নীলফামারী) প্রতিনিধিঃ

    নীলফামারীর ডিমলায় কৃষকের সরিষা ক্ষেত নষ্ট,হাল চাষ করে বোরো ধান রোপন। জানা যায়, সারাদেশে প্রান্তিক পর্যায়ে কৃষককে স্বাবলম্বী করার লক্ষ্যে চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরে কৃষি প্রণোদনার আওতায় মাঠ পর্যায়ের চাষীদের মাঝে পেঁয়াজ, ভুট্টা, টমেটো, সরিষা, গম, খেসারি, সূর্যমুখী ও বাদাম বীজ বিতরণ করা হয়েছে ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময় বিনামূল্যে। তালিকাভুক্ত চাষীদের প্রত্যেককে ২০ কেজি গম, ২৫০ গ্রাম পেঁয়াজ, আট কেজি খেসারি, ১০ কেজি ভুট্টা, দুই কেজি সরিষাসহ বিভিন্ন পরিমাণে বীজ দেওয়া হয়। এরই ধারাবাহিকতায় দেশে তেল জাতীয় শস্য উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে নীলফামারীর ডিমলা উপজেলায় খগাখরিবাড়ী ইউনিয়নের দোহল পাড়া মৌজার কামার পাড়া গ্রামে সরকারি প্রণোদনার বীজ নিয়ে সরিষা চাষ করে কপাল পুড়েছে প্রায় ৪৫/৫০ জন কৃষকের। কৃষি অফিসের বিতরণ করা সেই বীজে যৎসামান্য সরিষার গাছ হলেও কোন দানা নেই। মনের দুঃখে অনেকেই গো-খাদ্য হিসাবে ব্যবহার করছে সরিষার গাছ। সরিষা না হওয়ায় কোথাও পড়ে আছে ফাঁকা মাঠ। কেউ আবার সরিষা ক্ষেতে পানি ঢুকাচ্ছে ইরি ধান রোপনের জন্য। আর এতে চরম ক্ষতির মুখে পড়েছে ওই অঞ্চলের কৃষকরা। আবাদি জমিতে হাল চাষ করে সরিষা না হওয়ার কারণে অনেকেই এবার সরিষা চাষই করতে পারবেন না। এতে একদিকে তারা ফলন থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন অন্যদিকে জমি প্রস্তুত ও চাষের শুরুতে কৃষকদের বেশকিছু টাকা খরচ হয়ে গেছে। এতে অনেক অসচ্ছল কৃষক আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলো। বিঘ্নিত হলো তেল জাতীয় শস্য উৎপাদন। সরেজমিনে দেখা গেছে, কামার পাড়া গ্রামে বিস্তীর্ণ এলাকার বেশিরভাগ জমির অনেক জায়গায় একটিও চারা গজায়নি কোথাও আবার ২/১টি গাছ হলেও তাতে ফুল নেই কোথাও আবার ১/২ হাত পর পর ২/৩ টি গাছ। সরিষা চাষিরা বলছেন, মূলত সরকারি প্রণোদনার বীজেই এই সমস্যা হয়েছে। চাষীরা বলছেন, এসব বীজ মেয়াদোত্তীর্ণ ও অত্যন্ত নিম্নমানের। সরকারি বিপুল অর্থ ব্যয় করে এসব নিম্নমানের বীজ কিনে কৃষকদের মাঝে বিতরণ করা হচ্ছে। এতে সরকারি অর্থের ব্যাপক তছরুপ হচ্ছে আর ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কৃষক। কামার পাড়া এলাকার কৃষক শামসুল হক বলেন, ডিমলা কৃষি অফিস থেকে আমাকে এই বীজ দিয়েছিলো, আমি ক্ষেতে ছিঁটালে ১/২টা সরিষার গাছ হলেও বাকিগুলোর কোন গাছ হয়নি। সরিষা চাষি তরিকুল ইসলাম জানান, কৃষি প্রণোদনার আওতায় ডিমলা কৃষি অফিস থেকে আমাদের এই বীজ দেয়া হয়েছে। এই বীজে পরবর্তী বীজ তৈরি করার জন্য লাগিয়ে একটি গাছও ওঠেনি। আমার জমিটা পড়ে থাকবে, আমি খুবই ক্ষতিগ্রস্ত। তিনি অভিযোগ করেন, এ বছর আমাদের কারও সরিষা হবে না, আমরা ক্ষতিপূরণ চাই। একই এলাকার কৃষক আবুল কালাম বলেন, প্রণোদনার বীজ কোনো কাজে আসছে না। ২ বিঘা জমিতে সরিষার বীজ ফেলেছিলাম ২/১টা চারা বাদে কোন গাছ হয়নি। আমি গরিব মানুষ এর ক্ষতিপূরণ চাই। এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা (কৃষিবিদ) মোঃ সেকেন্দার আলী বলেন, সঠিক পরিচর্যা ও সময় মতো হয়তো সেই সরিষা চাষিরা বীজ রোপণ করেননি। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা কোন ক্ষতি পুরণ পাবে কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সরেজমিনে তদন্ত সাপেক্ষে বিষয়টি তিনি দেখবেন।

  • উল্লাপাড়ায় অটোরিক্সা ও নসিমনের সংঘর্ষে মাছ ব্যবসায়ী নিহত।

    উল্লাপাড়ায় অটোরিক্সা ও নসিমনের সংঘর্ষে মাছ ব্যবসায়ী নিহত।

    উল্লাপাড়া(সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ

    সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় অটোরিকশা ও নসিমনের সংঘর্ষে মাছ ব্যবসায়ী অন্তর হালদার(৩০) নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় অন্তত ৩ জন অটোরিকশার যাত্রী আহত হয়েছে।
    বুধবার সকালে উল্লাপাড়া-বাঙ্গালা আঞ্চলিক সড়কে উপজেলার রহিমপুর গ্রামের পাশে এই মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটানা ঘটেছে।নিহত অন্তর উল্লাপাড়া উপজেলার আদর্শ গ্রামের মৃত অনিল হলদারের ছেলে।

    নিহত অন্তরের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, সকাল ৮ টার দিকে অন্তর আরও ৪ জন যাত্রীর সঙ্গে সিএনজি চালিত অটোরিকশায় তাড়াশ উপজেলার মহিষলুটি বাজার থেকে মাছ কিনে বাড়ি ফিরছিলেন।পথে রহিমপুর গ্রামের পাশে অটোরিকশার পিছনে একটি নসিমন ধাক্কা দিলে চালকের পাশে বসা অন্তর হলদার রাস্তায় পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান। আহত হন আরও ৩ যাত্রী।
    আহতদেরকে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এক বছর আগে অন্তরের বাবা অনিল হলদারও একইভাবে মাছ নিয়ে ভ্যানরিকশায় বাড়ি ফেরার সময় দুর্ঘটনায় মারা যান বলে জানিয়েছে পরিবারের লোকজন।

    উল্লাপাড়া মডেল থানার ডিউটি অফিসার উপ-পরিদর্শক মোঃ সুমন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, অন্তরের মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করার পর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

  • সুবিধাবঞ্চিত শিশু-বৃদ্ধদের কল্যাণে অবকাঠামো নির্মাণ ও উন্নত শিক্ষার লক্ষ্যে চেক হস্তান্তর। 

    সুবিধাবঞ্চিত শিশু-বৃদ্ধদের কল্যাণে অবকাঠামো নির্মাণ ও উন্নত শিক্ষার লক্ষ্যে চেক হস্তান্তর। 

    বাঘা(রাজশাহী)প্রতিনিধিঃ

    রাজশাহীর বাঘায় সরেরহাট শিশু কল্যাণ সদন ও মমতাজ -আজিজ বৃদ্ধা নিকেতনে বসবাসরত সুবিধাবঞ্চিত শিশু এবং বয়স্ক ব্যক্তিদের জন্য অবকাঠামোগত নির্মাণ, আসবাবপত্র, উন্নত খাবার পরিবেশন সহ উন্নত শিক্ষার লক্ষ্যে ১৪ জানুয়ারী শনিবার একটি চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

    সেখানে এইচআরএম টেক্সটিল, জিএমবিএইচ, সরেরহাট কল্যাণী শিশু সদন ও মমতাজ-আজিজ বৃদ্ধা নিকেতনকে রোটারি ইন্টারন্যাশনাল(বাঁকা আরসি প্যারাডাইস)এর সহযোগিতায় ৫০,০০০হাজার ইউএস ডলার প্রদান করে।

    বাংলাদেশী টাকায় তার পরিমাণ দাঁড়ায় ৫৫ লক্ষ টাকার বেশি। সরেরহাট কল্যাণী শিশু সদনের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ডাক্তার শামসুদ্দিন সরকার ও মমতাজ-আজিজ বৃদ্ধা নিকেতনের প্রতিষ্ঠাতা সামসুন্নাহারের হাতে এই চেক তুলে দেওয়া হয়।

    উপজেলার সরেরহাট শিশু কল্যাণ সদন ও মমতাজ -আজিজ বৃদ্ধা নিকেতন প্রাঙ্গনে আয়োজিত চেক প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন- রাজশাহী বারিন্দ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম এমপির পিতা মো. সামসুদ্দিন। বিশেষ অতিথি ছিলেন এইচআরএম সোর্সিং লিমিটেড ও এইচআরএম টেক্্রটিল জিএমবিএইচ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফকরুল কবির রিপন, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মনিরুল হক।

    প্রতিষ্ঠানটির সভাপতি সাইদুর রহমানের সভাপতিত্বে ও জাহাঙ্গীর আলমের সঞ্চালনায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, ডাক্তার শামসুদ্দিন সরকার , বীর মুক্তিযোদ্ধা আজিজুল আলম, গড়গড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম, উপজেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি সুজিত কুমার পান্ডে বাকু। উপস্থিত ছিলেন, ডাক্তার শাসুদ্দিনের স্ত্রী মেহেরুন্নেসা, ইউপি সদস্য কামাল হোসেন,বাঘা প্রেস ক্লাবের সভাপতি আব্দুল লতিফ মিঞাসহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তি বর্গ।

    বক্তব্যেকালে ডাক্তার শমেস উদ্দিন সরকারকে বাবা আর মেহেরুন্নেছাকে মা সম্বোধন করে ফখরুল কবির রিপন বলেন, বিগত আট বছর ধরে ও মমতাজ আজিজ বৃদ্ধা নিকেতনে সহযোগিতা করে আসছে। ২০১৭ সাল থেকে এই মহান উদ্যোগে যোগদান করে এইচআরএম টেক্সটিল জিএমবিএইচ। সেই ধারাবাহিকতায় আবারো ৫০,০০০হাজার ইউএস ডলার প্রদান করেন।

    তিনি জানান, এইচআরএম সোর্সিং লিমিটেড বাংলাদেশের একটি সুপরিচিত এবং অন্যতম বৃহত্তম বায়িং হাউজ প্রতিষ্ঠান। এইচআরএম সোর্সিং লিমিটেডের সহযোগী অঙ্গ প্রতিষ্ঠান এইচআরএম টেক্সটিন জিএমবিএইচ স্টুড গার্ড ২০১৭ সাল থেকে জার্মানিতে পথচলা শুরু করে । যার মূল উদ্দেশ্য হলো জার্মানিতে বিশ্বমানের ফ্যাশনেবল কর্পোরেট পোশাক সামগ্রী বিপণন এবং ওয়ার্ক ওয়ার বিক্রয়কারী সংস্থা হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করা। কর্পোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতা এবং প্রতিষ্ঠাকালীন প্রতিশ্রুতি হিসাবে এইচআরএম সোর্সিং লিমিটেড বাংলাদেশ অসহায়দের পাশে থেকে সহযোগিতা করছে।

    মহৎ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি মোঃ শামসুদ্দিন বলেন, তিনি নিজে ও তার ছেলে প্রতিষ্ঠানটির উন্নয়ন কর্মকান্ডের সঙ্গে জড়িত থেকে সহযোগিতা করে আসছেন। অনুষ্ঠানের সভাপতি সাইদুর রহমান বলেন, প্রতিষ্ঠাকাল থেকেই শুভাকাঙ্খিদের সহযোগিতা পেয়ে আসছে। প্রথমত এতিমদের রক্ষায় প্রতিষ্ঠান চালাতে গিয়ে পৈতৃক সম্পত্তি বিক্রয় করতে হয়েছে ডাক্তার শামসুদ্দিনকে। প্রথম দিকে আয় বলতে ছিল মেহেরুন্নেসার সেলাই ফোঁড়া আর ডাক্তার শমেসের চিকিৎসা থেকে আসা কিছু অর্থ। শেষ সম্বল জায়গা জমি হারিয়ে শমেস-মেহেরুন্নেছা দম্পতি এখন বসবাস করছেন এতিম শিশু আর বয়স্কদের সাথে তার গড়া প্রতিষ্ঠানেই। এখানে যারা থাকেন তারা সকলেই ডাক্তার শমেসকে বাবা আর মেহেরুন্নেছ কে মা বলে ডাকেন।

    জানা যায়, ১৯৮৪ সালে সরেরহাট কল্যাণী শিশু সদন ও ২০১৭ সালে মমতাজ-আজিজ বৃদ্ধা নিকেতন প্রতিষ্ঠা করা হয়। প্রতিষ্ঠান দু’টি রাজশাহী শহর থেকে ৫০ কিলোমিটার পূর্বে পদ্মা নদীর তীর ঘেঁষে বাঘা উপজেলার গড়গড়ি ইউনিয়নের সরেরহাট গ্রামে অবস্থিত। এখানে ঠাঁই পেয়েছে ১৩০ জন এতিম শিশু ও ৪৪ জন বৃদ্ধ । বিষয়টি নিশ্চিত করে প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ডাক্তার শামসুদ্দিন জানান, এর মধ্যে সরকারি সহায়তা পায় ১০০ জন শিশু। তিনি জানান, প্রথমত ১২ শতাংশ জমি ক্রয় করে প্রতিষ্টান গড়ে তোলা হয়। বর্তমানে জমির পরিমান ৫২ শতাংশ ।

    এ সময় মেহেরুন্নেছা বলেন, আমার উদরে জন্ম নেওয়া সন্তানসহ প্রতিষ্ঠানের সকলেই আমার সন্তান। আমি তাদের মাঝেই বেঁচে থাকতে চাই।

  • বছরের অর্ধেক মাসেই পতিত থাকে হাজার হাজার বিঘা কৃষি জমি চাষাবাদ হয় একবার।

    বছরের অর্ধেক মাসেই পতিত থাকে হাজার হাজার বিঘা কৃষি জমি চাষাবাদ হয় একবার।

    ডিমলা (নীলফামারী) প্রতিনিধিঃ

    নীলফামারীর ডিমলায় বালাপাড়া ইউনিয়নের নিজ সুন্দর খাতা হইতে দক্ষিন সুন্দর খাতা পর্যন্ত প্রায় কয়েক হাজার বিঘা কৃষি জমি বর্ষা মৌসুমে পতিত থাকে। স্থানীয় কৃষকরা আমন ধান রোপন করতে পারে না। ফলে প্রতিনিয়ত ঐ এলাকার কৃষকেরা অভাব অনটনের মধ্যে মানবেতর জীবন যাপন করে। বর্ষার পানি শুকিয়ে যাওয়ায় কৃষকদের উৎসাহ উদ্দীপনার শেষ নেই। কেউ বোরো ধানের বীজতলার পরিচর্যা নিয়ে ব্যস্ত আবার কেউ পতিত জমির আইল (মাল্লি) ছাটাই ও সেচ পাম্প দিয়ে পানি তুলে যান্ত্রিক টিলার দিয়ে হাল চাষে ব্যস্ত। পতিত কৃষি জমিতে কৃষকের পরিশ্রমে ফলবে সোনালী ফসল বোরো ধান ।

    জানা যায়, বালাপাড়া ইউনিয়নের নিজ সুন্দর খাতা হইতে দক্ষিন সুন্দর খাতা পর্যন্ত প্রায় ৫ কিঃ মিঃ বুড়ি তিস্তার বাঁধটি দেশ স্বাধীনের পূর্বে নির্মিত। ১৯৮৮ সালের প্রাকৃতিক দূয্যোর্গ বন্যার পানিতে কচুবাড়ীর দলার বাঁধের অংশ প্রায় ৬০ মিটার ভেঙ্গে যায়। এলাকাবাসীর স্বেচ্ছাশ্রম ও জমির মালিকগনের নিজস্ব অর্থায়নে বাঁধটি এক সময় বাঁধা হলেও পুণরায় উজানের পানির ঢলে ভেঙ্গে য়ায়। তখন থেকে এ অবধি বাঁধটির ভাঙ্গা অংশ দিয়ে উজানের ঢল ও বুড়িতিস্তা নদীর পানি ঢুকে ভুট্টাসহ আমন ও বোরো মৌসুমে রোপনকৃত বিভিন্ন ফসলের ব্যাপক ক্ষতিসাধন হয়। ৬০ মিটার ভাঙ্গা বাঁধটি সংস্কারের অভাবে এলাকার কৃষকদের প্রায় কয়েক হাজার বিঘা জমি পতিত থাকে বর্ষা মৌসুমে চাষাবাদের অনুপযুক্ত। বাঁধটি মেরামত সহ বুড়িতিস্তা নদী খননের দাবী এলাকাবাসীর।

    স্থানীয় কৃষক পাষান আলী জানান, বুড়িতিস্তা নদীর পশ্চিম পার্শ্বের বাঁধটি কিছু অংশ অনেকে আগে বন্যায় ভেঙ্গে যায়, নদীর পানি ঢুকে আমাদের জমিগুলোতে বর্ষা মৌসুমে আমন ধান রোপন করতে পারি না। বোরো ধানের আবাদ ছাড়া কিছুই হয়না জমিগুলোতে “বছরের অর্ধেক মাসেই পতিত থাকে কৃষি জমি একবার হয় আবাদ, সে আবাদ দিয়ে কি আর সংসার চলে ”। জমির মালিক আব্দুল হামিদ জানান, বুড়িতিস্তা নদী খনন ও বাঁধটি সরকারী বরাদ্ধে মেরামত করা হলে পতিত জমিগুলোতে কৃষকেরা আমন-ইরি দুই ফসল উৎপাদিত করতে পারবে, তখন জমিগুলো এক ফসল থেকে দুই ফসলে রুপান্তরিত হবে । এতে এলাকার কৃষকরা উপকৃত হবে। বালাপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ জাহিদুল ইসলাম চৌধুরী জানান, জমিগুলো বৎসরে একবার পতিত থাকে শুধু বোরো ধান চাষ হয়। বোরো ধানের উপর আর নির্ভরশীল না থেকে আমন মৌসুমে যাতে পতিত জমিগুলোতে কৃষকেরা চাষাবাদ করতে পারে সে জন্য নীলফামারী-০১ মাননীয় সংসদ সদস্য বীরমুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মোঃ আফতাব উদ্দিন সরকারের কাছে দৃষ্টি আর্কষন করছি ।

    এ বিষয়ে ডিমলা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবীদ সেকেন্দার আলী বলেন, বাঁধটি মেরামত হলে জমিগুলো পতিত থাকবে না তখন আমন ধান রোপন করা সম্ভব। কৃষকেরা নিজেদের খাদ্য চাহিদা মিটেয়ে দেশের জনগনের খাদ্য চাহিদা পুরন করতে সক্ষম হবে এবং দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে সর্বাত্মক চেষ্টা করবে। সরে জমিনে দেখা যায়, বুড়িতিস্তা নদীর পূর্বপাশ ঘেষা কচুবাড়ীর দলার বাঁধটি সংস্কারের অভাবে মেরামত করা হয়নি। মেরামত না হওয়ায় নিজ সুন্দর খাতা, মধ্যম সুন্দর খাতা, দক্ষিন সুন্দর খাতা গ্রামের প্রায় হাজার হাজার বিঘা জমি আমন ধান রোপন করতে পারে না ফলে কৃষকদের জমিগুলো বর্ষা মৌসুমে পতিত থাকে। যার ফলে প্রতিনিয়ত কৃষকেরা অভাব অনটনের মধ্যে মানবেতর দিনাতিপাত করছে।

    পতিত জমিগুলোতে বোরো ধান চাষাবাদ করলেও বোরো ধানকাটা মৌসুমে বুড়িতিস্তা নদীর পানি বাঁধটির ভাঙ্গা অংশ দিয়ে প্রবাহিত হয়ে ফসলি জমিতে ঢুকে পড়ে। এতে বোরো ধান কাঁটা মৌসুমে চাষাবাদকৃত পাঁকা ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয় এবং বর্ষা মৌসুমে মধ্যম সুন্দর খাতা মাঝিয়ালীর ডাঙ্গা প্রাথমিক বিদ্যায়লয়টির মাঠ বন্যার পানিতে ডুবে যাওয়ার ফলে বিদ্যালয়টির ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক-শিক্ষিকাদের চরম দূর্ভোগ পোহাতে হয়। বাঁধটি বন্যায় ভেঙ্গে যাওয়ায় সুন্দর খাতা কচুবাড়ীর দলা হইতে খোকসারঘাট ব্রীজের উজানের কৃষি জমিগুলো বর্ষা মৌসুমে প্রতিবছর পতিত থাকে।

  • উল্লাপাড়ায় স্বেচ্ছাসেবক লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত।

    উল্লাপাড়ায় স্বেচ্ছাসেবক লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত।

    উল্লাপাড়া(সিরাজগঞ্জ)প্রতিনিধিঃ

    সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার সলপে উৎসবমুখর পরিবেশে উপজেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলার কৃষকগঞ্জ বাজারে সলপ ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ এই সম্মেলনের আয়োজন করে।

    সলপ ইউনিয়ন আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সম্মেলন উদ্বোধন করেন উল্লাপাড়া উপজেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি তরুণ নেতা মোঃ মোবারক হোসেন এবং অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আশিকুর রহমান আশিক সরকার।

    সলপ ইউনিয়ন আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি লিটন হোসেন বাবুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উল্লাপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ ফয়সাল কাদের রুমি।

    সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ গোলাম মোস্তফা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ হাফিজুর রহমান হাফিজ, উপজেলা আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক মীর আরিফুল ইসলাম উজ্জ্বল।

    এ সময় অন্যানোর মধ্যে বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগের নির্বাহী সদস্য পনির খাঁন, আ’লীগ নেতা মোঃ শরিফুল ইসলাম লিটন ও সলপ ইউনিয়ন আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সংগ্রামী সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইঞ্জিনিয়ার মশিউর রহমান স্বপন প্রমুখ।

    সম্মেলনে বক্তারা বলেন, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সংগঠনিক কাঠামোকে আরো শক্তিশালী ও সুদক্ষ করে গড়ে তুলতে হবে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সভাপতি জননেত্রী শেখ হাসিনা ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা মার্কার প্রার্থীকে আবারও ভোট দেওয়ার আহবান জানান বক্তারা। তারা আরও বলেন, সন্ত্রাস, নৈরাজ্য, জঙ্গিবাদী জামায়াত-বিএনপি’র বিরুদ্ধে আবারও ঐক্যবদ্ধভাবে দাঁড়াতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তিকে আবারও ক্ষমতায় এনে উন্নত দেশে রূপান্তরিত করতে হবে আমাদের মাতৃভূমিকে।

    সম্মেলনে সভাপতি পদে ৪ জন ও সাধারণ সম্পাদক পদে ২ জন প্রার্থী পতিদ্বন্দ্বিতা করে। উভয় পদে সমম্বয় না হওয়ার কারণে আগামী ৩ দিনের মধ্যে উপজেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ কমিটি ঘোষণা দিবেন বলে সম্মেলনের সমাপ্ত ঘোষণা করেন।