Author: admin

  • অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে দালাল সহ গ্রেফতার-৭।

    অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে দালাল সহ গ্রেফতার-৭।

    মাধবপুর (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ
    হবিগঞ্জের মাধবপুরে অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা কালে দালালসহ ৭ জনকে গ্রেফতার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে  আটটায় সরাইল ব্যাটালিয়ন (২৫ বিজিবি) এর অধীনস্থ ধর্মঘর বিওপির একটি টহল দল উপজেলার ধর্মঘর ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী সস্তামোড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা কালে ২ দালালসহ ৭ জনকে গ্রেফতার করেন। ধৃত ব্যাক্তির হলো, নরসিংদী জেলার রায়পুর উপজেলার রাজপ্রাসাদ গ্রামের চান মিয়ার এর পুত্র মো: মনির (৪৫), ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার তীরকোনা গ্রামের সামু সরকার এর পুত্র ঘনুরঞ্জন সরকার(২৩), নাসিরনগর উপজেলার সিংহগ্রাম এর রাজকুমার দাস এর পুত্র রাম গোবিন্দ দাস(৩৭) ও তার ছোট ভাই ধর্মদাস(২৩), লালমোহন শাহাজী’র পুত্র সুশীল শাহাজী (২০), মাধবপুর উপজেলার সন্তোষপুর গ্রামের মো: কামাল মিয়া’র পুত্র মো: হৃদয় মিয়া (২৫) ও মৃত ওলি রহমান এর পুত্র মোঃ মোখলেছুর রহমান (৩০)। সরাইল ব্যাটালিয়ন (২৫ বিজিবি) এর অধিনায়ক লেঃ কর্নেল ফারাহ্ মোহাম্মদ ইমতিয়াজ, বিজিওএম, পিএসসি, সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, আটককৃত ব্যাক্তিদের মাধবপুর থানায় মামলা দায়ের পূর্বক হস্তান্তরের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
  • রামপালে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাসির উদ্দীন বরখাস্ত।

    রামপালে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাসির উদ্দীন বরখাস্ত।

    রামপাল(বাগেরহাট)প্রতিনিধিঃ বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার রামপাল সদর ইউনিয়নের পরিষদের চেয়ারম্যান নাসির উদ্দীন হাওলাদার-কে সাময়িক বরখাস্ত করেছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়।বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রামপাল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মারুফা বেগম নেলী।

    গতকাল (২৩ ডিসেম্বর) স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব পলি কর স্বাক্ষরিত ৪৬.০০.০১০০.০০০.০১৭.২৭.০০০৩.২৩-১০০৭ নং স্মারকের এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানা যায়।

    জানা গেছে, নাসির উদ্দীন হাওলাদার প্রথম বারের মত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দলীয় প্রতীক নৌকা নিয়ে নির্বাচিত হন। এছাড়া তিনি রামপাল উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক।

    প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, মোঃ নাসির উদ্দিন হাওলাদার এর বিরুদ্ধে এডিপি’র অর্থ দ্বারা খেলার সরঞ্জামাদি ক্রয়ের ক্ষেত্রে বিভিন্ন স্কুলের ভূয়া প্রত্যয়নপত্র দিয়ে অর্থ আত্মসাতের চেষ্টা, পরিষদের কার্যক্রমে সদস্যদের বিরত রাখা, বাজেট পরিচালনার ক্ষেত্রে সভা আহবান না করা, ইউনিয়ন পরিষদের মাসিক সভা আহবান না করা, গ্রাম পুলিশের মাধ্যমে পরিষদের কার্যক্রম পরিচালনা, ইউনিয়ন পরিষদের প্রকল্প সদস্যদের সম্মতি গ্রহণ না করে তাদের নাম অন্তর্ভুক্ত করে গ্রাম পুলিশ দ্বারা পরিচালনা, সরকার কর্তৃক বরাদ্দকৃত সেলাই মেশিন, বাই সাইকেল, স্কুলব্যাগসহ অন্যান্য জিনিসপত্র গরীব, দুস্থ ও অসহায় মানুষের মাঝে বিতরণ না করে চেয়াম্যানের আত্মীয়দের মাঝে বিতরণ করা, এলজিএসপি’র বরাদ্দকৃত অর্থে গৃহিত প্রকল্প সদস্যদের অবহিত না করে গ্রাম পুলিশ হাছিবুর রহমান দ্বারা পরিচালনা করার অভিযোগের সত্যতা তদন্তে প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তার বিরুদ্ধে স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন, ২০০৯-এর ৩৪ (৪) (খ) ও (ঘ) ধারায় বর্ণিত অপরাধে একই আইনের ৩৪(১) ধারা অনুযায়ী উল্লিখিত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদ থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।

    এর আগে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাসির উদ্দীনের বিরুদ্ধে রামপাল উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অনাস্থাপ্রস্তাব জমা দিয়েছিল একাধিক ইউপি সদস্য।

     

  • উত্তরাঞ্চলে প্রথম মধু প্রসেসিং প্ল্যান্ট চালু হচ্ছে উল্লাপাড়ায় পূরণ হচ্ছে মৌ চাষীদের দাবি।

    উত্তরাঞ্চলে প্রথম মধু প্রসেসিং প্ল্যান্ট চালু হচ্ছে উল্লাপাড়ায় পূরণ হচ্ছে মৌ চাষীদের দাবি।

    উল্লাপাড়া (সিরাজগ) প্রতিনিধিঃ সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় চালু হচ্ছে মধু প্রসেসিং প্ল্যান্ট। উত্তর জনপদে এটাই হবে প্রথম মধু প্রসেসিং প্ল্যান্ট। আগামী বছরের জানুয়ারি মাসে এই প্ল্যান্টের কার্যক্রম শুরু হবে বলে জানিয়েছে উপজেলা কৃষি বিভাগ। আর এই প্ল্যান্ট চালু হবার সাথে সাথে পুরণ হতে যাচ্ছে এ অঞ্চলের মৌ চাষীদের দীর্ঘ দিনের দাবি। উপজেলার লাহিড়ী মোহনপুর বাজারে ইতোমধ্যে প্ল্যান্টের মূল ভবন নির্মান কাজ শেষ হয়েছে। বসানো হয়েছে মেশিনপত্র। উপজেলা পরিচালন ও উন্নয়ন প্রকল্পের (ইউজিডিপি) আওতায় এই প্রসেসিং প্ল্যান্ট স্থাপনে অর্থ দিয়েছে জাইকা। উল্লাপাড়া কৃষি বিভাগের তত্ত¡াবধানে উপজেলা মৌ চাষী সমবায় সমিতি এই প্ল্যান্টটি পরিচালনা করবে।

    উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশে সরিষা উৎপাদনে উপজেলা পর্যায়ে উল্লাপাড়ার স্থান প্রথম। প্রতিবছর এখানে গড়ে ২৮ থেকে ৩০ হাজার মেট্রিক টন সরিষা উৎপাদিত হয়। উল্লাপাড়া উপজেলায় ২৩ থেকে ২৪ হাজার হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ হয়। প্রতিবছর ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারি মাসের পুরো সময় সরিষা গাছে ফুল থাকে। ফলে এখানে স্থানীয় ও বাইরে থেকে আসা দেড় শতাধিক মৌ খামারি মধু আহরণের জন্য ৯ থেকে ১০ হাজার মৌ বাক্স সরিষার জমিতে ফেলেন। উল্লাপাড়ায় গত ১০ বছরে সরিষা মৌসুমে মধু উৎপাদনের পরিমান ১৮০ থেকে ২০০ মেট্রিক টন। এই মধুর স্থানীয় মূল্য ৪ থেকে ৫ কোটি টাকা। এখানে উৎপাদিত মধু খামারিরা দেশের বিভিন্ন বাজারে এবং ওষুধ কোম্পানিতে বিক্রি করে থাকেন। কিন্তু এ অঞ্চলে মধু প্রসেসিং প্ল্যান্ট না থাকায় প্রতিবছর মৌ খামারিদের বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। তাদেরকে বড় শহরে প্রসেসিং করাতে যেমন উৎপাদন ব্যয় বাড়ে তেমনই ঝামেলা পোহাতে হয় অনেক। আর এই কারণে দীর্ঘ দিন ধরে এ অঞ্চলের মৌ খামারিরা উল্লাপাড়ায় একটি মধু প্রসেসিং প্ল্যান্ট নির্মানের দাবি জানিয়ে আসছিলেন।

    উল্লাপাড়া উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তা মোঃ আসয়াদ বিন খলিল রাহাত জানান, মৌ খামারিদের দাবির প্রেক্ষিতে উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় উপজেলা কৃষি বিভাগ চলন বিল অধ্যুষিত লাহিড়ী মোহনপুর বাজারে মধু প্রসেসিং প্ল্যান্ট নির্মানের উদ্যোগ নেয়। উত্তরাঞ্চলে এটাই হচ্ছে প্রথম মধু প্রসেসিং প্ল্যান্ট। ২০২২ সালে এই প্ল্যান্টের কাজ শুরু হয়। জাইকার অর্থায়নে ইতোমধ্যে প্ল্যান্টের মূল ভবন নির্মান শেষ হয়েছে। বসানো হয়েছে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি। সব মিলিয়ে ব্যয় হয়েছে ৪৬ লাখ টাকা। প্রতিদিন এই প্ল্যান্টে প্রাথমিকভাবে ১ মেট্রিক টন মধু প্রসেসিং করা সম্ভব হবে। মৌ খামারিদের নিকট থেকে এ জন্য খুব কম মূল্য নেওয়া হবে। এতে খামারিরা মধু উৎপাদনে যেমন আগ্রহী হবেন। পাশাপাশি তারা লাভবানও হবেন।

    উপজেলা মৌ চাষী সমবায় সমিতির সভাপতি ব্রাদার্স মৌ খামারির মালিক মিজানুর রহমান শিহাব ও সাধারণ সম্পাদক সুমি মৌ খামারির মালিক ছোরমান আলী জানান, জানুয়ারিতে এই প্ল্যান্ট চালু হলে তারা এটি পরিচালনা করবেন। এতে মৌ চাষীরা অনেক উপকৃত হবে। সেই সাথে তাদের দীর্ঘ দিনের দাবি পূরণ হবে।

    উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুবর্ণা ইয়াসমিন সুমী জানান, জাইকার অর্থায়নে নির্মিত মধু প্রসেসিং প্ল্যান্টটি আগামী বছরের জানুয়ারি মাসে চালু করা হবে। এটি চালু হলে এ অঞ্চলের মৌ চাষীদের দীর্ঘ দিনের দাবি পূরণ হবে। সেই সাথে তাদের মধু উৎপাদন ও ব্যবসায় আসবে গতি। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে এই নতুন প্ল্যান্ট বিশেষ ভূমিকা রাখবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করনে।

  • প্রবাসী ছেলে সৌদির জেলে বন্দি সন্তানকে বাঁচাতে মায়ের আকুতি।

    প্রবাসী ছেলে সৌদির জেলে বন্দি সন্তানকে বাঁচাতে মায়ের আকুতি।

    মাধবপুর (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি:
    হবিগঞ্জের মাধবপুরে শ্রমিক ভিসায় সৌদি গিয়ে ৩ বছর ধরে জেলবন্দী থাকা সন্তানকে ফেরত পাওয়ার আকুতি জানিয়েছে এক মা।ওই মায়ের নাম রিনা আক্তার।তিনি উপজেলার ছাতিয়াইন ইউপির মনিপুর গ্রামের বাসিন্দা।সৌদিআরবে জেলে আটক তার ছেলের নাম হুমায়ুন মিয়া।
    জানা যায়, ২০২১ সালে অভাবের তাড়নায় বৈধ ভিসা ও পাসপোর্ট নিয়ে সৌদিতে কাজ করেন হুমায়ুন।সেখানে সে একটি হয়রানি মামলার শিকার হন।পরে মামলার বাদির মাধ্যমে মামলার আপোষ-মীমাংসা হলেও সে জেল থেকে ছাড়া পাচ্ছে না।প্রয়োজনীয় সহযোগিতা মিলছে না বাংলাদেশের এম্বাসি থেকেও।হুমায়ুন মিয়া রিয়াদ শহরের এইসকেন ওয়ান আজিজিয়া জেলের ১৮ নং কক্ষে বন্দী রয়েছেন। সেখানে সে শারীরিক নির্যাতনেরও শিকার হচ্ছে। পাচ্ছে না এম্বাসির পক্ষ থেকে আইনি সহযোগিতাও।
    দেশে অবস্থানরত ভুক্তভোগী হুমায়ুনের মা রিনা আক্তার বলেন,আমার ছেলেটা ৩ বছর ধরে সৌদ্দি জেলে বন্দি। বেঁচে আছে কিনা মারা গেছে তাও জানিনা। সরকারের কাছে আমাদের প্রাণের দাবি আমার ছেলেটিকে যাতে উদ্ধার করে দেয়।
    ভক্তভোগী হুমায়ুনের স্ত্রী তানজিনা আক্তার জানান,বাবা ছাড়া আমার ৪ বছরের বাচ্চা মেয়েটিকে নিয়ে খুব কষ্ট করছি।আমরা খুব সমস্যার মধ্যে দিন পার করছি। সৌদিতে মিথ্যা মামলায় ফেঁসে গেছে সে। আমরা তার মুক্তি চাই।
    প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের  ওয়েজ অনার্স বোর্ডের উপসহকারী পরিচালক মালেকা বেগমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, বিষয়টিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব বেশি। এরপরও প্রবাসীকে উদ্ধারে সাধ্যমত আমাদের চেষ্টা অব্যাহত হয়ে থাকবে।
    এদিকে ভুক্তভোগীর পরিবারের পক্ষ থেকে আইনি সহযোগিতা পেতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব ও জাতীয় মানবাধিক কমিশনের চেয়ারম্যানের কাছে  লিখিত আবেদন করা হয়েছে।
  • কালিয়াকৈরে নীট এশিয়া পোষাক কারখানায় আগুন।

    কালিয়াকৈরে নীট এশিয়া পোষাক কারখানায় আগুন।

    কালিয়াকৈর(গাজীপুর)প্রতিনিধি:

    গাজীপুরের কালিয়াকৈরে নীট এশিয়া লিমিটেড কারখানার ঝুটের গোডাউনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ৪ ইউনিয়ন করজ করছে।

    সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) বিকেল ২:৪৫টায় উপজেলার সফিপুর বাজার এলাকায় অগ্নিকাণ্ডের এ ঘটনা ঘটে।

    ফায়ার সার্ভিস ও কারখানা কতৃপক্ষ জানায়, সোমবার বিকেল ২:৪৫টায় নীট এশিয়া কারখানার ঝুটের গোডাউনে কালো ধোয়া দেখতে পায় কর্মরত শ্রমিকরা। মুহূর্তে আগুন ছড়িয়ে পড়ে ঝুটের পুরো গোডাউন টিতে।এ সময় কারখানাটির পাশে অবস্থিত লিজ ফ্যাশন লিমিটেড কারখানার ফায়ার সেফটি কর্মীরা খোঁজ পাইপ এর মাধ্যমে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। খবর পেয়ে কালিয়াকৈর ও কোনাবাড়ি ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট ঘটনাস্থলে চলে এসে ১ ঘন্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন ।

    কালিয়াকৈর ফায়ার সার্ভিস এর স্টেশন অফিসার ইফতেখার হোসেন রায়হান চৌধুরী জানান, দুপুর ২ টা ৪৫ মিনিটে সফিপুরের নীট এশিয়া কারখানায় আগুন লাগে।খবর পেয়ে কালিয়াকৈর ও কোনাবাড়ি ফায়ার সার্ভিসে চারটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে এক ঘন্টা চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণ আনে।আগুন লাগা কিংবা ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনই বলা সম্ভব নয়।

  • শ্রীমঙ্গলে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড।

    শ্রীমঙ্গলে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড।

    নিজস্ব প্রতিবেদক: মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে আজ সকালে তাপমাত্রা ১০.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। যা দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।
    সোমবার ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪ ইং, শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের সহকারী পর্যবেক্ষক বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আগামী ২ থেকে ৩ দিন তাপমাত্রা নিম্ন থাকতে পারে।
    জানা যায়, তাপমাত্রা নিচে নামার কারণে চায়ের রাজধানী খ্যাত শ্রীমঙ্গলে বাড়ছে শীতের তীব্রতা। এর পাশাপাশি বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। শীতের এই তীব্রতার ফলে নিম্নআয়ের ছিন্নমূল মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে।
    আরও জানা যায়, সন্ধ্যার পর কুয়াশার কারণে যানবাহন চলাচলে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে। সূর্য উঠলেও তেমন তাপ থাকে না সূর্যের আলোতে। তীব্র শীতের কারণে চা বাগান অধ্যুষিত এলাকায় বেশি দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। চা বাগানের নিম্ন আয়ের শ্রমিকেরা শীতের গরম কাপড়ের অভাবে বেশ কষ্ট পাচ্ছেন। সকাল ও সন্ধ্যা বেলা অনেককেই আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন বলে জানা যায়।
  • সাদপন্থিদের মুখপাত্র মুয়াজ বিন নূরের বিরুদ্ধে করা মামলায় তিন দিনের রিমান্ড।

    সাদপন্থিদের মুখপাত্র মুয়াজ বিন নূরের বিরুদ্ধে করা মামলায় তিন দিনের রিমান্ড।

    বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা মাঠে সংঘর্ষে তিন মুসল্লি নিহতের ঘটনায় তার বিরুদ্ধে মামলা হয়। সেই মামলায় রোববার সকালে এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। টঙ্গী পশ্চিম থানার ওসি ইসকান্দার হাবিবুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এরআগে গত শুক্রবার ভোররাতে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
    পুলিশ জানিয়েছে, সকালে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতিতে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে মুয়াজকে এজলাসে নিয়ে আসা হয়। এ সময় পুলিশের পক্ষ থেকে সাতদিনের রিমান্ড চাওয়া হয়। তবে গাজীপুরের অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আলমগীর আল মামুন শুনানি শেষে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
    রাজধানী উত্তরার ৭ নম্বর সেক্টরের নূর মোহাম্মদের ছেলে মুয়াজ। তিনি সাদপন্থিদের মুখপাত্র হিসেবে পরিচিত। জুবায়েরপন্থিদের দায়েরকৃত হত্যা মামলার ৫ নম্বর আসামি।
    পুলিশ আরও জানায়, টঙ্গী ইজতেমা মাঠে তিন মুসল্লির নিহতের ঘটনায় থানায় হত্যা মামলা হয়। এ মামলায় মুয়াজকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয়। তাকে শুক্রবার আদালতে হাজির করলে আদালত আজ রিমান্ড শুনানির দিন ধার্য করেছিল।
  • সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে শ্রমিকের মৃত্যু।

    সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে শ্রমিকের মৃত্যু।

    নিজস্ব প্রতিবেদকঃ মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় ভারতীয় সীমান্তের জিরো লাইন থেকে ৩৬ বছর বয়সী চা শ্রমিক গোপাল বাক্তির (৩৬) গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রবিবার ২২ ডিসেম্বর ২০২৪ ইং, নিহতের লাশ উদ্ধার করা হয়।
    পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গোপাল বাক্তি শনিবার ২১ ডিসেম্বর ২০২৪ ইং, সকালে অন্যান্য শ্রমিকদের সঙ্গে পাথারিয়া পাহাড়ে বাঁশ কাটতে গিয়ে নিখোঁজ হন। পরে তার পরিবার এবং সহকর্মীরা তাকে খুঁজতে বের হন। রবিবার ভোরে খবর পাওয়া যায় যে, বিজিবি-৫২ ব্যাটালিয়নের বিওসি টিলা বিওপির আওতাধীন সীমান্ত পিলার ১৩৯১ ও ১৩৯২ এর মধ্যে জিরো লাইনে (গভীর জঙ্গলে) একটি লাশ পড়ে রয়েছে।
    স্থানীয়দের অভিযোগ, গোপাল অসাবধানতাবশত ভারতীয় সীমান্তের জিরো লাইনে চলে গেলে বিএসএফ (ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী) তাকে গুলি করে হত্যা করে এবং লাশটি সীমান্তে ফেলে দেয়। গোপালের সঙ্গে থাকা অন্যান্য শ্রমিকরা বিএসএফের গুলির ভয়ে পালিয়ে প্রাণে রক্ষা পান। বিজিবি পরে স্থানীয় থানা পুলিশকে খবর দেয় এবং নিহত গোপালের লাশ উদ্ধার করে থানায় হস্তান্তর করে।
    গোপাল বাক্তি বড়লেখা উপজেলার নিউ সমনবাগ চা বাগানের মোকাম সেকশনের সাবেক ইউপি সদস্য অকিল বাক্তির ছেলে। তার মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
    বড়লেখা উপজেলার দক্ষিণভাগ দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ইমরান আহমদ বলেন, গোপাল বাক্তি ও তার সহকর্মীরা বাঁশ কাটতে পাহাড়ে গিয়েছিলেন। এ সময় বিএসএফ গুলি করে তাকে হত্যা করে এবং তার লাশ ফেলে রেখে যায়। তিনি আরো বলেন, বাকিরা গুলি দেখে ভয় পেয়ে পালিয়ে আসেন।
    বিজিবি-৫২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মেহেদী হাসান বলেন, খবর পাওয়ার পর বিজিবি সদস্যরা সীমান্ত পিলার ১৩৯১ ও ১৩৯২ এর মাঝে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রায় ২০০ গজ দূরে গোপালের লাশ উদ্ধার করেন। তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে, তবে প্রাথমিকভাবে মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি। লাশটি পরবর্তী আইনি কার্যক্রমের জন্য থানায় সোপর্দ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
  • কালিয়াকৈরে চাঁদাবাজির দ্বন্দ্বে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে নিহত-১।

    কালিয়াকৈরে চাঁদাবাজির দ্বন্দ্বে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে নিহত-১।

    কালিয়াকৈর(গাজীপুর)প্রতিনিধিঃ

    গাজীপুরের কালিয়াকৈরে চাঁদা উঠানো কে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আবুল কালাম(২৪)নামের এক যুবক নিহত হয়েছে ।নিহত কালাম টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুর উপজেলার মসদই গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে।বর্তমানে কালামের পরিবার উপজেলার কালাম পুর এলাকার খাজার ডেক নামক স্হানে ভাড়া থাকেন।
    স্হানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে নিহত কালাম, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু সরকারী কলেজের কলেজ ছাত্রলীগ শাখার নেতা ছিলেন।স্হানীয় সন্ত্রাসী পিচ্চি আকাশের সাথে দীর্ঘদিন যাবৎ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাঁদা উঠানো ও আধিপত্য বিস্তার কে কেন্দ্র করে বিরোধ চলে আসছিলো।পিচ্চি আকাশ সম্প্রতি জেল থেকে জামিনে বের হয়ে এলাকায় আসেন। গত শনিবার রাত ৮ টার দিকে কালাম তার দল বল নিয়ে স্থানীয় “আল্লাহর দান” নামের একটি বেকারিতে চাঁদাবাজি করতে গেলে পিচ্চি আকাশ সংবাদ পেয়ে লাঠি ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে কালামের উপর হামলা চালায় একপর্যায়ে পিচ্চি আকাশের লোকজন পিটিয়ে কালামকে মারাত্মক আহত করেন। পরে স্থানীয়রা কালামকে উদ্ধার করে, প্রথমে কালিয়াকৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যান, সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাকে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর কুমুদিন হসপিটালে স্থানান্তর করেন। সেখানে কালাম মারা যান।
    কালিয়াকৈর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) জাফর আলী খানের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন,এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কেউ লিখিত অভিযোগ থানায় জমা দেননি। তবে কালিয়াকৈর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। নিহতের পরিবার বা স্বজনেরা লিখিত অভিযোগ দিলে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

  • আমি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করি, এই পরিবেশ সৃষ্টি করার জন্য: ডা. শফিকুর রহমান।

    আমি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করি, এই পরিবেশ সৃষ্টি করার জন্য: ডা. শফিকুর রহমান।

    নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বক্তব্যের শুরুতেই জুলাই আন্দোলনের বীর সৈনিকদের, আমি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করি, এই পরিবেশ সৃষ্টি করার জন্য, যে সমস্ত তরুণ তরুণী ছাত্রসমাজ, বুক পেতে জালিমের বুলেট বুকে রূপে নেওয়ার জন্য রাস্তায় দাঁড়িয়ে স্লোগান দিয়েছিল ‘বুকের ভেতর তুমুল ঝড়, বুক পেতেছি গুলি কর’- তাদের ক্ষোভটা ছিল সাড়ে ১৫টা বছর।
    শনিবার ২১ ডিসেম্বর ২০২৪ ইং, দুপুরে জামায়াতে ইসলামী মৌলভীবাজার জেলা শাখা’র আয়োজিত কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
    তিনি বলেন, প্যাসিস সরকার, জাতির ঘাড়ে, চেপে বসে, জাতির সকল অধিকার কেড়ে নিয়েছিল, দেশটাকে শ্মশান কিংবা গোরস্তানে পরিণত করেছিল। ওরা মাঝে মাঝে বলতো- এই দেশে নাকি অনাবিল শান্তি বিরাজ করছে। আমি চিৎকার দিয়ে বলতাম হা শান্তি তোমার স্থাপন করেছ কবরস্থানে শান্তি, কারণ কবরস্থানে কোন মানুষ জীবিত থাকে না, এইজন্যে তাদের হাসি কান্না শোনা যায় না। বাংলাদেশ থেকে তোমরা সমস্ত অধিকার হরণ করে, মানুষের সমস্ত অধিকার হত্যা করে, এরকমই তোমরা গুরুস্তানে পরিণত করেছ, এইজন্য হাসি কিংবা কান্নার শব্দ শোনা যায় না।
    মৌলভীবাজার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জেলা জামায়াতে ইসলামী’র আমির ইঞ্জিনিয়ার মোঃ শাহেদ আলীর সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি মোঃ ইয়ামির আলী, সহকারী সেক্রেটারি হারুনুর রশিদের যৌথ পরিচালনায় সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জোবায়ের, ঢাকা মহানগর উত্তরের আমির ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন, সিলেট মহানগর জামায়াতের আমির মোঃ ফখরুল ইসলাম ও সিলেট জেলা আমির মাওলানা হাবিুবুর রহমান প্রমুখ।
    আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেন, এই সাড়ে ১৫ বছর খুন-গুমের রাজ্য কায়েম করেছিল, তার জানান দিয়েছিল ক্ষমতায় আসার আগে, দুই বছর আগে, ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর স্পষ্ট দিবালোকে লগি-বৈঠা দিয়ে তান্ডব চালিয়ে আদম সন্তানদেরকে নির্মমভাবে হত্যা করে, তাদের লাশের ওপর দাঁড়িয়ে নাচানাচি ও ফালাফালি করেছিল। তখন তারা জাতিকে জানিয়ে দিয়েছিল আমরা ক্ষমতায় আসলে খুনের রাজনীতি করবো।
    তিনি বলেন, আমরা সেদিন আমাদের বুকের কান্না বাংলাদেশের জনগণের কাছে হয়ত বা পৌঁছাতে পারিনি। বহু কায়দা করে, পয়েন্ট মুখপেক একটি জঘন্য সরকারের হাত ধরে পিছনের দরজায় বোঝাপড়া করে নির্বাচনী ইঞ্জিনিয়ারিং করে তারা ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর যে নির্বাচন হয়েছিল। সেই নির্বাচনে তারা জয়লাভ করেছিল। ২০০৯ সালের ১০ জানুয়ারি থেকে ক্ষমতায় বসে, সেই খুনের নেশা বাস্তবায়নের কর্মসূচি তারা হাতে নেয়।
    তিনি আরও বলেন, সর্বপ্রথম তারা খুন করে আমাদের ৫৭ জন কমিটেড দেশপ্রেমিক চৌকষ সেনা অফিসারকে, বিডিআর সদর দপ্তর পিলখানায়। ২৫ এবং ২৬শে ফেব্রুয়ারি। ক্ষমতায় আসলো ১০ জানুয়ারি, দুইটা মাস ও যেতে না যেতে।খুনের রাজত্ব তারা কায়েম করা শুরু করে দিল। সেনাবাহিনীর মনোবল ভেঙ্গে দিন। বিডিআরকে ধ্বংস করে। সেই বাহিনীর সাড়ে ১৭ হাজার সদস্যকে চাকুরিচ্যুত করলো। সাড়ে ৮ হাজারকে সদস্যকে জেলে নিল। জেলের ভেতরে এ পর্যন্ত সাড়ে ৩’শর অধিক মারাই গেল। আমাদের গর্বের বাহিনী ধ্বংস হলো। ক্ষমতায় যাওয়ার সিঁড়ি হিসেবে তাদেরকে ব্যবহার করে চক্রান্ত করে তাদের ধ্বংস করে দিল। আমাদের গর্বিত এ বাহিনীর নাম বদলে বিজিবি রাখা হয়েছে। আগে ছিল আমাদের নামের সাথে বাংলাদেশের মিল, বাংলাদেশ রাইফেলস। আর এখন নাম দিয়েছে বর্ডারের চৌকিদার। লোগো বদলিয়েছে, ড্রেস বদলিয়েছে, নাম বদলিয়ে ফেলেছে। কারা এগুলা করলো, কারা হত্যাকারী ছিল, জাতিকে জানতে দেওয়া হলো না। লুকোচুরি করা হলো। রাতের অন্ধকারে বিদ্যুতের আলো নিভিয়ে দিয়ে, অন্ধকার করে খুনিদের পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ সুবিধা করে দেওয়া হলো। একটা বিশেষ দেশের প্লেন কেন এসেছিল ঢাকায়? এরপর হঠাৎ করে উধাও হয়ে গেল কীভাবে? তার জবাব স্বৈরাচারী সরকারা না দিলেও একদিন তাদেরকে দিতে হবে। আমরা সেই হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই।
    ডা. শফিকুর রহমান, বলেন, এরপর শুরু হলো তাদের তাণ্ডব। তাদের প্রথম লক্ষ্যবস্তু করলো জামায়াতে ইসলামীকে, যারা পরীক্ষিত দেশপ্রেমিক। যারা তাদের সততায় দেশবাসীকে মুগ্ধ করেছিল। দক্ষতার স্বাক্ষর রেখেছিলেন। দায়িত্বের পরতে পরতে সেই সমস্ত নেতাদের ঠান্ডা মাথায়, মিথ্যা অভিযোগ এনে, সাজানো কোর্ট, পাতানো সাক্ষী দিয়ে এবং ব্রাসেলস থেকে রায় এনে সেই সমস্ত নেতাদেরকে খুন করা হলো, ফাঁসি দেওয়া হলো, কাউকে কাউকে তিলে তিলে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়া হলো। তারা জেলের ভিতর ইন্তেকাল করলেন। আল্লাহ তাআ’লা তাদের সকলকে মর্যাদাবান শহীদি হিসেবে কবুল করুন।
    তিনি বলেন, আমরা তখন আমাদের সমস্ত বন্ধু রাজনৈতিক সংগঠনকে বলেছিলাম, এটি জামায়াতের ওপর আঘাত নয়। এটি বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের ওপর আঘাত। স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের এই বিশাল দেওয়াল ভেঙ্গে দিলে বাকিরা সবাই ভেসে যাবেন, কেউ টিকতে পারবেন না। আমাদের পাশে দাঁড়ান। ফ্যাসিজমকে সম্মিলিতভাবে আমরা মোকাবিলা করি। আফসোস আমরা কথাগুলো বোঝাইতে পারিনাই। সবাই মিলে একসঙ্গে সেই যুদ্ধটা করতে পারলাম না। তার পরের ইতিহাস আপনাদের সামনে পরিষ্কার। তারা আর কাউকে ছাড়লো না। এক এক করে সবাইকে ধরলো। বিএনপিকে ধরলো, হেফাজতকে ধরলো, আলেম ওলামাকে ধরলো, অন্যান্য দলকে ধরলো। কাউকে তারা ছাড় দিল না। এমনকি এই যে, সাংবাদিক বন্ধুরা আজকে এসেছেন নিউজ কাভার করতে, তাদেরকেও ধরলো। তাদেরকে খুন করলো, তাদেরকে আমাদের সঙ্গে গুম করলো। তাদের আয়না ঘরে পাঠালো, কাউকে কাউকে ভারতের ওপারে বর্ডারে নিয়ে ফেলে দিল। এভাবে তারা সারাটা দেশকে নরকে পরিণত করেছিল।
    এসময় তিনি বলেন, সাড়ে ১৫ বছর দফায় দফায় অনেক আন্দোলন সংগ্রাম আমরা করেছি। কিন্তু সেই আন্দোলনের পরিসমাপ্তি আমরা ঘটাতে পারিনি। স্বৈরাচারকে আমরা তাড়াতে পারিনি, ওদেরকে বিদায় করতে পারিনি। আমি গর্বিত আমাদের সন্তানেরা সেই কাজটি করেছে। আমি আমাদের সন্তানদেরকে ভালোবাসা উপহার দিচ্ছি, শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করছি, কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। জাতির পক্ষ থেকে তাদেরকে স্যালুট জানাচ্ছি। আল্লাহ তাআলার সাহায্যে একটা অসাধ্যকে তারা সাধন করেছে। এরকম সন্তান পেয়ে জাতি গর্বিত। ইনশাআল্লাহ আগামীর বাংলাদেশ আমরা তাদের হাতেই তুলে দেব ইনশাআল্লাহ।
    প্রিয় মৌলভীবাজার বাসীর উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ব্যাংক- বীমা- সেক্টর- কর্পোরেশণ- সবকিছু লুটেপুটে শেষ করে দিয়ে, এই দেশের মানুষের কষ্টের অর্জিত বঞ্চিত আমানত সবকিছু গিলে ফেলে, তারা নিজেরা পালানোর আগে সবকিছু বিদেশে পাচার করেছে।
    সবাইকে তিনি প্রশ্ন করেন, পালায় কারা। গুরুত্বপূর্ণ সন্ত্রাসী ও অপরাধীরা। যে দেশকে ভালোবাসে জনগণকে ভালোবাসে সে কখনো পালায় না। হা গাল বড়া বুড়ি দিয়েছিলেন, সেই চোর ডাকাতের লিডার। আমি অমুকের মেয়ে আমি পালাবো না। এইযে সব যুবকরা বলিতেছে আমাদের ভোট সে চুরি করেছিল। তিনটা নির্বাচন আজ যাদের বয়স ৩০ থেকে ৩২ বছর হয়েছে তারা একটা ভোটও দিতে পারেনি। তাদের সমস্ত ভোটকে জেনুসাইড করেছিল, গণহত্যা করেছিল। ভোটের গণহত্যা। এদের নৈতিক সাহস ছিল না দেশে থাকার। এ জন্য দেশ থেকে পালিয়ে গেছে। আর পালাতে গিয়ে কারও কারও অবস্থা এমন হয়েছিল যে, রসিক সিলেটবাসী তাদের কলাপাতায় শুয়ে দিয়েছিল। আপনারা রসিক না বেরসিক বুজতে পড়েনি। তাকে জিজ্ঞেস করেছে আপনি কেগো। বলে আমি শামসুদ্দিন চৌধুরী। কয় স্যার আপনি কি কালো মানিক। জিজি আমি কালো মানিক। আপনি কোথায় আছেন। সম্ভবত ভারতে আছি। কয় নাগো যাদু, আপনি যেতে পারেন নাই আটকা পড়ে গেছে। কি দুর্ভাগ্য  সুপ্রিম কোর্টের একজন বিচারপতি। তিনি এতটাই দলবাস ছিলেন, বিচারকের চেয়ারে বসে রাজনীতির হুংকারী দিতেন। আল্লাহ তাআ’লা ন্যায় বিচারক। আসল বিচার তো হবে হাশরের দিন। কিন্তু দুনিয়াও আল্লাহ তাআ’লা কিছু করেন। নাইলে দুনিয়ার ভারসাম্য রক্ষা হয়না। তাই সামান্য একটু আমরা দেখেছি মাত্র। আসল টা আল্লাহ তাআ’লা জিম্মায় রয়ে গেছে। এই সমস্ত খুনি সন্ত্রাসী সকল অপরাধী। এরা রাজনীতিবিদ নয়, এরা দুর্বৃত্ত। এই দুর্ভিদের বিচার বাংলার মাটিতে করতে হবে। প্রত্যেকটা অন্যায় অপরাধের বিচার করতে হবে। প্রিয় ভাইয়েরা, জাতিকে এরা ৫৩ বছর কায়দা কৌশলে ফ্যাসিজমের মাধ্যমে বিভিন্নভাবে দ্বিধাবিভক্ত করে রেখেছে। স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি, বিপক্ষের শক্তি, মেজরিটি শক্তি, মাইনরেটি শক্তি, কতভাবে যে এরা ভাগ করেছে এ জাতিকে। কারণ একটা জাতিকে যখন টুকরা টুকরা করা যায়। তখন তাদেরকে গোলাম বানানো সহজ হয়। এরা ধরে নিয়েছিল তারা দেশের মালিক। আর আমরা সবাই ভাড়াটিয়া। হা মালিকরাই দেশে আছে, ভাড়াটিয়া রাই পালিয়ে গেছে। তিনি বলেন, আমরা ৫ তারিখের এই বিশাল নেয়ামত আল্লাহর পক্ষ থেকে আল্লাহ উপহার এই জাতিকে। সাথে সাথে জাতিকে ও আমাদের সহকর্মীকে আহবান জানিয়েছিল। আমরা দেশকে ভালবাসি এদেশের মানুষকে ভালোবাসি। অতএব আমাদেরকে দায়িত্বশীলের পরিচয়।
    তিনি ভারতের উদ্দেশ্যে বলেন, প্রতিদেশী দেশকে বলতে চাই- আপনারা শান্তিতে থাকেন। আমাদেরকেও শান্তিতে থাকতে দেন। আপনাদের পাক ঘরে কী পাকাবেন আমরা জিজ্ঞেস করি না। আমাদের পাক ঘরে উঁকি মারার চেষ্টা করবেন না। নিজেরা আয়নায় চেহারা দেখুন। আমাদের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির সবক দিতে হবে না।
    জামায়াতে ইসলামীর আমির উল্লেখ করেন, যেখানে আমাদের শীর্ষ ১১ নেতাকে খুন করা হয়েছে, সবগুলো অফিস তালাবদ্ধ করে রাখা হয়েছে, আমাদের বাড়িঘর বুলডোজার দিয়ে গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, যেখানে নিবন্ধন কেড়ে নেওয়া হয়েছে, বেদিশা হয়ে শেষ পর্যন্ত নিষিদ্ধ পর্যন্ত করা হয়েছে। এত যন্ত্রণা বুকে নিয়ে বলেছি- আমরা দেশকে ভালোবাসি, মানুষকে ভালোবাসি।
    নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, চাইলে আমরা কিছু কিছু চাঁদাবাজি করতে পারতাম। কিছু দখল নিতে পারতাম। কিন্তু এটা আমাদের জন্য হারাম মনে করি। প্রিয় বাংলাদেশ গড়তে জামায়াতে ইসলামীর কর্মীদের আরও ধৈর্যের পরিচয় দিতে হবে। দিতে পারবেন ধৈর্যের পরিচয়? এসময় সবাই হাত তুলে সায় দেন।
    জামায়াতের আমির বলেন, আমরা একটা সাম্যের বাংলাদেশ গড়ে তুলবো। বৈষম্যকে নির্বাসনে পাঠাবো। আমরা মেধার স্বীকৃতি প্রদান করবো, পলিটক্রেসি নয়। মেরিটক্রেসির ভিত্তিতে জাতি গঠন করবো। যুবকদেরকে শিক্ষা দিয়ে বেকারের হাত বাড়াবো না, যুবকদের হাতকে কর্মীর হাতে পরিণত করবো।
    তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, মৌলভীবাজার জেলায় কোনো ভালো বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজ, ইঞ্জিনিয়ারিং এবং অ্যাগ্রিকালচার বিশ্ববিদ্যালয় নেই। কেন? মৌলভীবাজার কী অপরাধ করেছে? সাবেক অর্থমন্ত্রী এম সাইফুর রহমানের প্রতি ইঙ্গিত দিয়ে বলেন, এই জেলার কৃতি সন্তান একজন কৃতি অর্থনীতিবিদ ছিলেন। তিনি সারাদেশকে সমান চোখে দেখতেন। আগামীবার একনেকে যেন মৌলভীবাজারে কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বরাদ্দ দিয়ে অন্য কোনো উন্নয়নের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় সেই দাবি জানান।
    তিনি বলেন, বাংলাদেশ মৌলভীবাজারে সবচেয়ে বেশি চা বাগান। রাষ্ট্রীয় যথাযথ পর্যবেক্ষণ না থাকায় চা শিল্প ধ্বংস হওয়ার পথে। মালিক পক্ষ চায়ের যথাযথ মূল্য পান না। শ্রমিকরাও পারিশ্রমিক পান না।
    তিনি নেতাকর্মীদের চারটি বিষয় তুলে ধরেন- এর মধ্যে নিয়ত সহিহ করে জ্ঞানের রাজ্যে এগিয়ে গিয়ে সাহসী হয়ে কঠোর পরিশ্রম করার আহ্বান জানান। সব শেষে তিনি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান।
    উক্ত সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- হবিগঞ্জ জেলা আমির কাজী মাওলানা মুখলিছুর রহমান, মৌলভীবাজার জেলার সাবেক আমির ও কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরার সদস্য দেওয়ান সিরাজুল ইসলাম মতলিব ও মোঃ আবদুল মান্নান, মৌলভীবাজার জেলা বিএনপি’র আহবায়ক ফয়জুল কবির ময়ুন, খেলাফত মজলিস নেতা অধ্যাপক মাওলানা আবদুস সবুর, মৌলভীবাজার জেলা নায়েবে আমির মাওলানা আব্দুর রহমান, ছাত্রশিবির সিলেট মহানগর সভাপতি শরিফ মাহমুদ, পল্টন থানা জামায়তের আমির শাহীন আহমদ খান, জেলা কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা আমিনুল ইসলাম, ছাত্রশিবিরের মৌলভীবাজার জেলা সভাপতি হাফেজ আলম হোসাইন, জেলা শহর শাখার সভাপতি তারেক আজিজ, বড়লেখা উপজেলার সাবেক আমির মোঃ কমর উদ্দিন, মৌলভীবাজার পৌর আমির হাফেজ মাওলানা তাজুল ইসলাম, সদর উপজেলা আমির মো; ফখরুল ইসলাম, বড়লেখা উপজেলার আমির মোঃ এমদাদুল ইসলাম, রাজনগর উপজেলার আমির আবুর রাইয়ান শাহীন, কুলাউড়া উপজেলার আমির অধ্যাপক আব্দুল মুনতাজিম, জুড়ী উপজেলার আমির আব্দুল হাই হেলাল, শ্রীমঙ্গল উপজেলার আমির মাওলানা ইসমাঈল হোসেন ও কমলগঞ্জ উপজেলা আমির মোঃ মাসুক মিয়া। সমাবেশ শেষে জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান মৌলভীবাজার জেলার বিশিষ্টজন, সুধী ও পেশাজীবীসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।