Author: admin
-
অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে দালাল সহ গ্রেফতার-৭।
মাধবপুর (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধিঃহবিগঞ্জের মাধবপুরে অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা কালে দালালসহ ৭ জনকে গ্রেফতার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে আটটায় সরাইল ব্যাটালিয়ন (২৫ বিজিবি) এর অধীনস্থ ধর্মঘর বিওপির একটি টহল দল উপজেলার ধর্মঘর ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী সস্তামোড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা কালে ২ দালালসহ ৭ জনকে গ্রেফতার করেন। ধৃত ব্যাক্তির হলো, নরসিংদী জেলার রায়পুর উপজেলার রাজপ্রাসাদ গ্রামের চান মিয়ার এর পুত্র মো: মনির (৪৫), ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার তীরকোনা গ্রামের সামু সরকার এর পুত্র ঘনুরঞ্জন সরকার(২৩), নাসিরনগর উপজেলার সিংহগ্রাম এর রাজকুমার দাস এর পুত্র রাম গোবিন্দ দাস(৩৭) ও তার ছোট ভাই ধর্মদাস(২৩), লালমোহন শাহাজী’র পুত্র সুশীল শাহাজী (২০), মাধবপুর উপজেলার সন্তোষপুর গ্রামের মো: কামাল মিয়া’র পুত্র মো: হৃদয় মিয়া (২৫) ও মৃত ওলি রহমান এর পুত্র মোঃ মোখলেছুর রহমান (৩০)। সরাইল ব্যাটালিয়ন (২৫ বিজিবি) এর অধিনায়ক লেঃ কর্নেল ফারাহ্ মোহাম্মদ ইমতিয়াজ, বিজিওএম, পিএসসি, সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, আটককৃত ব্যাক্তিদের মাধবপুর থানায় মামলা দায়ের পূর্বক হস্তান্তরের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। -
রামপালে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাসির উদ্দীন বরখাস্ত।
রামপাল(বাগেরহাট)প্রতিনিধিঃ বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার রামপাল সদর ইউনিয়নের পরিষদের চেয়ারম্যান নাসির উদ্দীন হাওলাদার-কে সাময়িক বরখাস্ত করেছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়।বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রামপাল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মারুফা বেগম নেলী।
গতকাল (২৩ ডিসেম্বর) স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব পলি কর স্বাক্ষরিত ৪৬.০০.০১০০.০০০.০১৭.২৭.০০০৩.২৩-১০০৭ নং স্মারকের এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানা যায়।
জানা গেছে, নাসির উদ্দীন হাওলাদার প্রথম বারের মত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দলীয় প্রতীক নৌকা নিয়ে নির্বাচিত হন। এছাড়া তিনি রামপাল উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক।
প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, মোঃ নাসির উদ্দিন হাওলাদার এর বিরুদ্ধে এডিপি’র অর্থ দ্বারা খেলার সরঞ্জামাদি ক্রয়ের ক্ষেত্রে বিভিন্ন স্কুলের ভূয়া প্রত্যয়নপত্র দিয়ে অর্থ আত্মসাতের চেষ্টা, পরিষদের কার্যক্রমে সদস্যদের বিরত রাখা, বাজেট পরিচালনার ক্ষেত্রে সভা আহবান না করা, ইউনিয়ন পরিষদের মাসিক সভা আহবান না করা, গ্রাম পুলিশের মাধ্যমে পরিষদের কার্যক্রম পরিচালনা, ইউনিয়ন পরিষদের প্রকল্প সদস্যদের সম্মতি গ্রহণ না করে তাদের নাম অন্তর্ভুক্ত করে গ্রাম পুলিশ দ্বারা পরিচালনা, সরকার কর্তৃক বরাদ্দকৃত সেলাই মেশিন, বাই সাইকেল, স্কুলব্যাগসহ অন্যান্য জিনিসপত্র গরীব, দুস্থ ও অসহায় মানুষের মাঝে বিতরণ না করে চেয়াম্যানের আত্মীয়দের মাঝে বিতরণ করা, এলজিএসপি’র বরাদ্দকৃত অর্থে গৃহিত প্রকল্প সদস্যদের অবহিত না করে গ্রাম পুলিশ হাছিবুর রহমান দ্বারা পরিচালনা করার অভিযোগের সত্যতা তদন্তে প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তার বিরুদ্ধে স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন, ২০০৯-এর ৩৪ (৪) (খ) ও (ঘ) ধারায় বর্ণিত অপরাধে একই আইনের ৩৪(১) ধারা অনুযায়ী উল্লিখিত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদ থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।
এর আগে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাসির উদ্দীনের বিরুদ্ধে রামপাল উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অনাস্থাপ্রস্তাব জমা দিয়েছিল একাধিক ইউপি সদস্য।
-
উত্তরাঞ্চলে প্রথম মধু প্রসেসিং প্ল্যান্ট চালু হচ্ছে উল্লাপাড়ায় পূরণ হচ্ছে মৌ চাষীদের দাবি।
উল্লাপাড়া (সিরাজগ) প্রতিনিধিঃ সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় চালু হচ্ছে মধু প্রসেসিং প্ল্যান্ট। উত্তর জনপদে এটাই হবে প্রথম মধু প্রসেসিং প্ল্যান্ট। আগামী বছরের জানুয়ারি মাসে এই প্ল্যান্টের কার্যক্রম শুরু হবে বলে জানিয়েছে উপজেলা কৃষি বিভাগ। আর এই প্ল্যান্ট চালু হবার সাথে সাথে পুরণ হতে যাচ্ছে এ অঞ্চলের মৌ চাষীদের দীর্ঘ দিনের দাবি। উপজেলার লাহিড়ী মোহনপুর বাজারে ইতোমধ্যে প্ল্যান্টের মূল ভবন নির্মান কাজ শেষ হয়েছে। বসানো হয়েছে মেশিনপত্র। উপজেলা পরিচালন ও উন্নয়ন প্রকল্পের (ইউজিডিপি) আওতায় এই প্রসেসিং প্ল্যান্ট স্থাপনে অর্থ দিয়েছে জাইকা। উল্লাপাড়া কৃষি বিভাগের তত্ত¡াবধানে উপজেলা মৌ চাষী সমবায় সমিতি এই প্ল্যান্টটি পরিচালনা করবে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশে সরিষা উৎপাদনে উপজেলা পর্যায়ে উল্লাপাড়ার স্থান প্রথম। প্রতিবছর এখানে গড়ে ২৮ থেকে ৩০ হাজার মেট্রিক টন সরিষা উৎপাদিত হয়। উল্লাপাড়া উপজেলায় ২৩ থেকে ২৪ হাজার হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ হয়। প্রতিবছর ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারি মাসের পুরো সময় সরিষা গাছে ফুল থাকে। ফলে এখানে স্থানীয় ও বাইরে থেকে আসা দেড় শতাধিক মৌ খামারি মধু আহরণের জন্য ৯ থেকে ১০ হাজার মৌ বাক্স সরিষার জমিতে ফেলেন। উল্লাপাড়ায় গত ১০ বছরে সরিষা মৌসুমে মধু উৎপাদনের পরিমান ১৮০ থেকে ২০০ মেট্রিক টন। এই মধুর স্থানীয় মূল্য ৪ থেকে ৫ কোটি টাকা। এখানে উৎপাদিত মধু খামারিরা দেশের বিভিন্ন বাজারে এবং ওষুধ কোম্পানিতে বিক্রি করে থাকেন। কিন্তু এ অঞ্চলে মধু প্রসেসিং প্ল্যান্ট না থাকায় প্রতিবছর মৌ খামারিদের বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। তাদেরকে বড় শহরে প্রসেসিং করাতে যেমন উৎপাদন ব্যয় বাড়ে তেমনই ঝামেলা পোহাতে হয় অনেক। আর এই কারণে দীর্ঘ দিন ধরে এ অঞ্চলের মৌ খামারিরা উল্লাপাড়ায় একটি মধু প্রসেসিং প্ল্যান্ট নির্মানের দাবি জানিয়ে আসছিলেন।
উল্লাপাড়া উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তা মোঃ আসয়াদ বিন খলিল রাহাত জানান, মৌ খামারিদের দাবির প্রেক্ষিতে উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় উপজেলা কৃষি বিভাগ চলন বিল অধ্যুষিত লাহিড়ী মোহনপুর বাজারে মধু প্রসেসিং প্ল্যান্ট নির্মানের উদ্যোগ নেয়। উত্তরাঞ্চলে এটাই হচ্ছে প্রথম মধু প্রসেসিং প্ল্যান্ট। ২০২২ সালে এই প্ল্যান্টের কাজ শুরু হয়। জাইকার অর্থায়নে ইতোমধ্যে প্ল্যান্টের মূল ভবন নির্মান শেষ হয়েছে। বসানো হয়েছে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি। সব মিলিয়ে ব্যয় হয়েছে ৪৬ লাখ টাকা। প্রতিদিন এই প্ল্যান্টে প্রাথমিকভাবে ১ মেট্রিক টন মধু প্রসেসিং করা সম্ভব হবে। মৌ খামারিদের নিকট থেকে এ জন্য খুব কম মূল্য নেওয়া হবে। এতে খামারিরা মধু উৎপাদনে যেমন আগ্রহী হবেন। পাশাপাশি তারা লাভবানও হবেন।
উপজেলা মৌ চাষী সমবায় সমিতির সভাপতি ব্রাদার্স মৌ খামারির মালিক মিজানুর রহমান শিহাব ও সাধারণ সম্পাদক সুমি মৌ খামারির মালিক ছোরমান আলী জানান, জানুয়ারিতে এই প্ল্যান্ট চালু হলে তারা এটি পরিচালনা করবেন। এতে মৌ চাষীরা অনেক উপকৃত হবে। সেই সাথে তাদের দীর্ঘ দিনের দাবি পূরণ হবে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুবর্ণা ইয়াসমিন সুমী জানান, জাইকার অর্থায়নে নির্মিত মধু প্রসেসিং প্ল্যান্টটি আগামী বছরের জানুয়ারি মাসে চালু করা হবে। এটি চালু হলে এ অঞ্চলের মৌ চাষীদের দীর্ঘ দিনের দাবি পূরণ হবে। সেই সাথে তাদের মধু উৎপাদন ও ব্যবসায় আসবে গতি। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে এই নতুন প্ল্যান্ট বিশেষ ভূমিকা রাখবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করনে।
-
প্রবাসী ছেলে সৌদির জেলে বন্দি সন্তানকে বাঁচাতে মায়ের আকুতি।
মাধবপুর (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি:হবিগঞ্জের মাধবপুরে শ্রমিক ভিসায় সৌদি গিয়ে ৩ বছর ধরে জেলবন্দী থাকা সন্তানকে ফেরত পাওয়ার আকুতি জানিয়েছে এক মা।ওই মায়ের নাম রিনা আক্তার।তিনি উপজেলার ছাতিয়াইন ইউপির মনিপুর গ্রামের বাসিন্দা।সৌদিআরবে জেলে আটক তার ছেলের নাম হুমায়ুন মিয়া।জানা যায়, ২০২১ সালে অভাবের তাড়নায় বৈধ ভিসা ও পাসপোর্ট নিয়ে সৌদিতে কাজ করেন হুমায়ুন।সেখানে সে একটি হয়রানি মামলার শিকার হন।পরে মামলার বাদির মাধ্যমে মামলার আপোষ-মীমাংসা হলেও সে জেল থেকে ছাড়া পাচ্ছে না।প্রয়োজনীয় সহযোগিতা মিলছে না বাংলাদেশের এম্বাসি থেকেও।হুমায়ুন মিয়া রিয়াদ শহরের এইসকেন ওয়ান আজিজিয়া জেলের ১৮ নং কক্ষে বন্দী রয়েছেন। সেখানে সে শারীরিক নির্যাতনেরও শিকার হচ্ছে। পাচ্ছে না এম্বাসির পক্ষ থেকে আইনি সহযোগিতাও।দেশে অবস্থানরত ভুক্তভোগী হুমায়ুনের মা রিনা আক্তার বলেন,আমার ছেলেটা ৩ বছর ধরে সৌদ্দি জেলে বন্দি। বেঁচে আছে কিনা মারা গেছে তাও জানিনা। সরকারের কাছে আমাদের প্রাণের দাবি আমার ছেলেটিকে যাতে উদ্ধার করে দেয়।ভক্তভোগী হুমায়ুনের স্ত্রী তানজিনা আক্তার জানান,বাবা ছাড়া আমার ৪ বছরের বাচ্চা মেয়েটিকে নিয়ে খুব কষ্ট করছি।আমরা খুব সমস্যার মধ্যে দিন পার করছি। সৌদিতে মিথ্যা মামলায় ফেঁসে গেছে সে। আমরা তার মুক্তি চাই।প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের ওয়েজ অনার্স বোর্ডের উপসহকারী পরিচালক মালেকা বেগমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, বিষয়টিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব বেশি। এরপরও প্রবাসীকে উদ্ধারে সাধ্যমত আমাদের চেষ্টা অব্যাহত হয়ে থাকবে।এদিকে ভুক্তভোগীর পরিবারের পক্ষ থেকে আইনি সহযোগিতা পেতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব ও জাতীয় মানবাধিক কমিশনের চেয়ারম্যানের কাছে লিখিত আবেদন করা হয়েছে। -
কালিয়াকৈরে নীট এশিয়া পোষাক কারখানায় আগুন।
কালিয়াকৈর(গাজীপুর)প্রতিনিধি:
গাজীপুরের কালিয়াকৈরে নীট এশিয়া লিমিটেড কারখানার ঝুটের গোডাউনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ৪ ইউনিয়ন করজ করছে।
সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) বিকেল ২:৪৫টায় উপজেলার সফিপুর বাজার এলাকায় অগ্নিকাণ্ডের এ ঘটনা ঘটে।
ফায়ার সার্ভিস ও কারখানা কতৃপক্ষ জানায়, সোমবার বিকেল ২:৪৫টায় নীট এশিয়া কারখানার ঝুটের গোডাউনে কালো ধোয়া দেখতে পায় কর্মরত শ্রমিকরা। মুহূর্তে আগুন ছড়িয়ে পড়ে ঝুটের পুরো গোডাউন টিতে।এ সময় কারখানাটির পাশে অবস্থিত লিজ ফ্যাশন লিমিটেড কারখানার ফায়ার সেফটি কর্মীরা খোঁজ পাইপ এর মাধ্যমে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। খবর পেয়ে কালিয়াকৈর ও কোনাবাড়ি ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট ঘটনাস্থলে চলে এসে ১ ঘন্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন ।
কালিয়াকৈর ফায়ার সার্ভিস এর স্টেশন অফিসার ইফতেখার হোসেন রায়হান চৌধুরী জানান, দুপুর ২ টা ৪৫ মিনিটে সফিপুরের নীট এশিয়া কারখানায় আগুন লাগে।খবর পেয়ে কালিয়াকৈর ও কোনাবাড়ি ফায়ার সার্ভিসে চারটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে এক ঘন্টা চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণ আনে।আগুন লাগা কিংবা ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনই বলা সম্ভব নয়।
-
শ্রীমঙ্গলে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড।
নিজস্ব প্রতিবেদক: মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে আজ সকালে তাপমাত্রা ১০.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। যা দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।সোমবার ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪ ইং, শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের সহকারী পর্যবেক্ষক বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আগামী ২ থেকে ৩ দিন তাপমাত্রা নিম্ন থাকতে পারে।জানা যায়, তাপমাত্রা নিচে নামার কারণে চায়ের রাজধানী খ্যাত শ্রীমঙ্গলে বাড়ছে শীতের তীব্রতা। এর পাশাপাশি বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। শীতের এই তীব্রতার ফলে নিম্নআয়ের ছিন্নমূল মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে।আরও জানা যায়, সন্ধ্যার পর কুয়াশার কারণে যানবাহন চলাচলে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে। সূর্য উঠলেও তেমন তাপ থাকে না সূর্যের আলোতে। তীব্র শীতের কারণে চা বাগান অধ্যুষিত এলাকায় বেশি দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। চা বাগানের নিম্ন আয়ের শ্রমিকেরা শীতের গরম কাপড়ের অভাবে বেশ কষ্ট পাচ্ছেন। সকাল ও সন্ধ্যা বেলা অনেককেই আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন বলে জানা যায়। -
সাদপন্থিদের মুখপাত্র মুয়াজ বিন নূরের বিরুদ্ধে করা মামলায় তিন দিনের রিমান্ড।
বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা মাঠে সংঘর্ষে তিন মুসল্লি নিহতের ঘটনায় তার বিরুদ্ধে মামলা হয়। সেই মামলায় রোববার সকালে এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। টঙ্গী পশ্চিম থানার ওসি ইসকান্দার হাবিবুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এরআগে গত শুক্রবার ভোররাতে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।পুলিশ জানিয়েছে, সকালে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতিতে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে মুয়াজকে এজলাসে নিয়ে আসা হয়। এ সময় পুলিশের পক্ষ থেকে সাতদিনের রিমান্ড চাওয়া হয়। তবে গাজীপুরের অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আলমগীর আল মামুন শুনানি শেষে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।রাজধানী উত্তরার ৭ নম্বর সেক্টরের নূর মোহাম্মদের ছেলে মুয়াজ। তিনি সাদপন্থিদের মুখপাত্র হিসেবে পরিচিত। জুবায়েরপন্থিদের দায়েরকৃত হত্যা মামলার ৫ নম্বর আসামি।পুলিশ আরও জানায়, টঙ্গী ইজতেমা মাঠে তিন মুসল্লির নিহতের ঘটনায় থানায় হত্যা মামলা হয়। এ মামলায় মুয়াজকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয়। তাকে শুক্রবার আদালতে হাজির করলে আদালত আজ রিমান্ড শুনানির দিন ধার্য করেছিল। -
সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে শ্রমিকের মৃত্যু।
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় ভারতীয় সীমান্তের জিরো লাইন থেকে ৩৬ বছর বয়সী চা শ্রমিক গোপাল বাক্তির (৩৬) গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রবিবার ২২ ডিসেম্বর ২০২৪ ইং, নিহতের লাশ উদ্ধার করা হয়।পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গোপাল বাক্তি শনিবার ২১ ডিসেম্বর ২০২৪ ইং, সকালে অন্যান্য শ্রমিকদের সঙ্গে পাথারিয়া পাহাড়ে বাঁশ কাটতে গিয়ে নিখোঁজ হন। পরে তার পরিবার এবং সহকর্মীরা তাকে খুঁজতে বের হন। রবিবার ভোরে খবর পাওয়া যায় যে, বিজিবি-৫২ ব্যাটালিয়নের বিওসি টিলা বিওপির আওতাধীন সীমান্ত পিলার ১৩৯১ ও ১৩৯২ এর মধ্যে জিরো লাইনে (গভীর জঙ্গলে) একটি লাশ পড়ে রয়েছে।স্থানীয়দের অভিযোগ, গোপাল অসাবধানতাবশত ভারতীয় সীমান্তের জিরো লাইনে চলে গেলে বিএসএফ (ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী) তাকে গুলি করে হত্যা করে এবং লাশটি সীমান্তে ফেলে দেয়। গোপালের সঙ্গে থাকা অন্যান্য শ্রমিকরা বিএসএফের গুলির ভয়ে পালিয়ে প্রাণে রক্ষা পান। বিজিবি পরে স্থানীয় থানা পুলিশকে খবর দেয় এবং নিহত গোপালের লাশ উদ্ধার করে থানায় হস্তান্তর করে।গোপাল বাক্তি বড়লেখা উপজেলার নিউ সমনবাগ চা বাগানের মোকাম সেকশনের সাবেক ইউপি সদস্য অকিল বাক্তির ছেলে। তার মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।বড়লেখা উপজেলার দক্ষিণভাগ দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ইমরান আহমদ বলেন, গোপাল বাক্তি ও তার সহকর্মীরা বাঁশ কাটতে পাহাড়ে গিয়েছিলেন। এ সময় বিএসএফ গুলি করে তাকে হত্যা করে এবং তার লাশ ফেলে রেখে যায়। তিনি আরো বলেন, বাকিরা গুলি দেখে ভয় পেয়ে পালিয়ে আসেন।বিজিবি-৫২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মেহেদী হাসান বলেন, খবর পাওয়ার পর বিজিবি সদস্যরা সীমান্ত পিলার ১৩৯১ ও ১৩৯২ এর মাঝে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রায় ২০০ গজ দূরে গোপালের লাশ উদ্ধার করেন। তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে, তবে প্রাথমিকভাবে মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি। লাশটি পরবর্তী আইনি কার্যক্রমের জন্য থানায় সোপর্দ করা হয়েছে বলে জানান তিনি। -
কালিয়াকৈরে চাঁদাবাজির দ্বন্দ্বে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে নিহত-১।
কালিয়াকৈর(গাজীপুর)প্রতিনিধিঃ
গাজীপুরের কালিয়াকৈরে চাঁদা উঠানো কে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আবুল কালাম(২৪)নামের এক যুবক নিহত হয়েছে ।নিহত কালাম টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুর উপজেলার মসদই গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে।বর্তমানে কালামের পরিবার উপজেলার কালাম পুর এলাকার খাজার ডেক নামক স্হানে ভাড়া থাকেন।
স্হানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে নিহত কালাম, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু সরকারী কলেজের কলেজ ছাত্রলীগ শাখার নেতা ছিলেন।স্হানীয় সন্ত্রাসী পিচ্চি আকাশের সাথে দীর্ঘদিন যাবৎ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাঁদা উঠানো ও আধিপত্য বিস্তার কে কেন্দ্র করে বিরোধ চলে আসছিলো।পিচ্চি আকাশ সম্প্রতি জেল থেকে জামিনে বের হয়ে এলাকায় আসেন। গত শনিবার রাত ৮ টার দিকে কালাম তার দল বল নিয়ে স্থানীয় “আল্লাহর দান” নামের একটি বেকারিতে চাঁদাবাজি করতে গেলে পিচ্চি আকাশ সংবাদ পেয়ে লাঠি ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে কালামের উপর হামলা চালায় একপর্যায়ে পিচ্চি আকাশের লোকজন পিটিয়ে কালামকে মারাত্মক আহত করেন। পরে স্থানীয়রা কালামকে উদ্ধার করে, প্রথমে কালিয়াকৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যান, সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাকে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর কুমুদিন হসপিটালে স্থানান্তর করেন। সেখানে কালাম মারা যান।
কালিয়াকৈর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) জাফর আলী খানের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন,এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কেউ লিখিত অভিযোগ থানায় জমা দেননি। তবে কালিয়াকৈর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। নিহতের পরিবার বা স্বজনেরা লিখিত অভিযোগ দিলে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।