Author: admin

  • এইচএসসি পরীক্ষায় মা পাশ, ফেল করেছে মেয়ে।

    এইচএসসি পরীক্ষায় মা পাশ, ফেল করেছে মেয়ে।

    ডিমলা (নীলফামারী) প্রতিনিধি-

    নীলফামারীর ডিমলায় মেয়ের সাথে এইচএসসি পরীক্ষা দিয়ে উত্তীর্ণ হয়েছেন মা মারুফ আক্তার । তবে ফেল করেছেন মেয়ে শাহী সিদ্দিকা । তিনি চলতি বছর শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব সরকারী মহাবিদ্যালয় থেকে কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের অধীনে পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পেয়েছেন জিপিএ ৪ দশমিক ৩৮ । আর মেয়ে শাহী একই কলেজ থেকে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে অকৃতকার্য হয়েছেন। বুধবার সকালে গণভবনে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় নিজ নিজ বোর্ডের ফলাফল প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দেন। মারুফার পাসের খবরে দারুণ খুশি পরিবারের সবাই। ভালো ফল করায় তাকে বাহবা দেন সহপাঠী ও কলেজের শিক্ষকরা। মারুফার বাবার বাড়ি উপজেলার নাউতারা গ্রামে। বিয়ে হয় একই উপজেলার খালিশা চাপানি ইউনিয়নের পুন্যাঝার গ্রামের সাইদুল ইসলামের সাথে। স্বামী পেশায় মাছ ব্যবসায়ী। ওই দম্পতির চার ছেলেমেয়ে। এর মধ্যে শাহী সিদ্দিকা বড়। দ্বিতীয় ছেলে দশম শ্রেণি, তৃতীয় ছেলে অষ্টম শ্রেণি ও ছোট মেয়ে পঞ্চম শ্রেণিতে পড়াশোনা করছে।

    মারুফা আক্তার আমারজমিনকে বলেন, বিয়ের ১৫ বছর পেরিয়ে গেছে। চার ছেলে-মেয়েকে মানুষ করতে গিয়ে নিজের পড়ালেখার সুযোগ হয়নি।

    এক পর্যায়ে স্বামীর উৎসাহে বড় মেয়ের সঙ্গে নবম শ্রেণীতে ভর্তি হয়ে নতুন করে পড়ালেখা শুরু করি। সমাজে আর দশটা মানুষের মতো যাতে নিজেকে একজন শিক্ষিত মানুষ হিসেবে পরিচয় দিতে পারি, সে কারণেই এই বয়সে কষ্ট করে লেখাপড়া করেছি। এইচএসসি পাশ করে কষ্ট স্বার্থক হয়েছে। ইচ্ছে আছে এখন দেশের ভালো কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার।তবে মেয়ে শাহী উত্তীর্ণ না হওয়ায় মন খারাপ । জানা গেছে, ২০০৩ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিলেন মারুফা। কিন্তু পরীক্ষার আগেই পরিবার থেকে তার বিয়ে দিয়ে দেয়।

    এরপর আর পরীক্ষা দিতে পারেননি । তারপর কেটে গেছে ১৫ বছর। একে একে জন্ম হয় দুই ছেলে ও দুই মেয়ের। কিন্তু বুকের ভেতরের লালন করা ইচ্ছা পূরণে নতুন করে শুরু করেন লেখাপড়া। এরপর ২০২০ সালে মেয়ের সঙ্গে এসএসসি পাশ করেন তিনি। এবার মেয়ের সঙ্গে এইচএসসি পরীক্ষা দিয়ে উত্তীর্ণ হলেন।

    মারুফা আক্তারের স্বামী সাইদুল ইসলাম গর্ব করে বলেন, আমার একটু কষ্ট হলেও আমি তার ইচ্ছের মর্যাদা দিয়েছি। বেশ আনন্দ অনুভব করছি।সে যতদূর পড়াশোনা করতে চায় পড়বে। আমার সহযোগিতা থাকবে তার প্রতি।

    তিনি যোগ করেন, মা ও মেয়ে এক সঙ্গে পাশ করলে আরও ভালো লাগতো। শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব সরকারি মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ হাফিজুর রহমান বলেন, মা মারুফা একজন উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।

  • গোদাগাটিতে গৃহবধুর লাশ উদ্ধার গ্রেফতার -২।

    গোদাগাটিতে গৃহবধুর লাশ উদ্ধার গ্রেফতার -২।

    গোদাগাড়ী (রাজশাহী)প্রতিনিধি।

    রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে এক গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু মাটি কাটা ইউনিয়ন বড়গাছী লাইনপাড়ায় ০৭/২/ ২০২৩ তাং এ ঘটনা ঘটে।
    মৃত-শরীফা খাতুন (২৫), পিতা মৃত-আঃ হাকিম, স্বামী মোঃ রজব আলী, সাং-বড়গাছী লাইনপাড়া, থানা-গোদাগাড়ী, জেলা-রাজশাহী।

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায় গত কয়েকদিন যাবত পারিবারিক দ্বন্দ্ব চলছিল স্বামী ও ননদ তাদের মধ্যে।
    অদ‍্য ০৭/২/২৩ তারিখ -শরীফা খাতুন (২৫)তার স্বামীর নিজ বাড়ীতে সকলের অজান্তে গোয়াল ঘরে বাঁশের বর্গার সাথে ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় ঝুলিতে থাকে। সন্ধ্যা আনুমানিক ৭:৩০ ঘটিকার সময় তার বাড়ির লোকজন খোঁজাখুঁজি এক পর্যায়ে -শরীফা খাতুন (২৫) ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান ।

    স্বামী এবং ননদ হাবিবা খাতুন প্রায় সময় তাকে মানসিক নির্যাতন করিত বলিয়া আশেপাশের লোকজনদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়।

    তিনি মানসিক নির্যাতনের কারণেই হয়তো নিজেকে শেষ করিয়া দেওয়ার জন‍্য আত্মহত্যা করিয়াছেন বলিয়া আশেপাশের লোকজন জানান।
    প্রেমতলী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ ঘটনাস্হলে গিয়া সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করিয়া মৃতদেহ ময়না তদন্তের জন্য নিয়া ময়না তদন্তর জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। এই বিষয়ে মামলা রুজু হয়েছে
    আত্মহত্যার পরচলার বলিয়া জানা যায়।

    এই বিষয়ে জানতে চাইলে গোদাগাড়ী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ কামরুল ইসলাম বলেন।
    তাদের মধ্যে বেশ কিছুদিন থেকে পারিবারিক দ্বন্দ্ব চলছিল।
    আত্মহত্যার পরচলায়, শরিফার স্বামী এবং ননদের বিরুদ্ধে মামলা হচ্ছে। শরিফার পরিবার বাদী হয়ে মামলা দিচ্ছে।
    আসামি দুইজনকে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে,
    লাশ ময়নাতদন্তের এর জন্য প্রেরণ করা হয়েছে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসলে আইনত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

  • বাঘায় অগ্নিকান্ডে এক গরুর মৃত্যু।

    বাঘায় অগ্নিকান্ডে এক গরুর মৃত্যু।

    বাঘা (রাজশাহী) প্রতিনিধিঃ
    রাজশাহীর বাঘায় দিনমজুর রবি বিশ্বাসের বাড়িতে অগ্নিকান্ডে একটি গরুর মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারী) দুপুরের বাঘা পৌরসভার কলিগ্রামে এই অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে।
    জানা যায়, বাঘা পৌরসভার কলিগ্রামের রবি বিশ্বাসের স্ত্রী রঙ্গিলা বেগম দুপুরের খাবার রান্না করছিল। চুলায় রান্না করা অবস্থায় বাড়ির বাইরে কাজে যায়। এ সময় অগ্নিকান্ড হয়। প্রথমে গরুর ঘরে পরে শয়ন কক্ষে আগুন ধরে। এতে গোয়ালে রাখা ৬০ হাজার টাকা মূল্যের একটি গরু পুড়ে যায়। এছাড়া ঘরের আসবাবপত্র পুড়ে এক লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেন রবি  বিশ্বাস ।
    এ বিষয়ে বাড়ির মালিক রবি বিশ্বাস বলেন, স্থানীয়রা আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে করতে বাড়ির সকল আসবাবপত্র, গোয়াল ঘরে রাখা একটি গরু পুড়ে মারা গেছে।
    বাঘা পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মনিরুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে বাড়ি পোড়া দেখেছি। বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনকে জানিয়েছি।
  • তাড়াশে প্রতিবন্ধী পরিবারে আনন্দের অশ্রম্ন।

    তাড়াশে প্রতিবন্ধী পরিবারে আনন্দের অশ্রম্ন।

    তাড়াশ(সিরাজগঞ্জ)প্রতিনিধি:

    সিরাজগঞ্জের তাড়াশে একই পরিবারের চার প্রতিবন্ধীর সংসারে ২ মাসের খাবার নিশ্চিত হলো এক স্বেচ্ছাসেবক সংগঠনের উদ্যোগে। ৬ ফেব্রম্নয়ারী সোমবার উপজেলার তালম ইউনিয়নের কলামুলা গ্রামের বিপিন কর্মকারের পরিবারের ৪জন প্রতিবন্ধী ব্যক্তির হাতে ( একজন নিখোঁজ) ২ মাসের বাজার পৌছে দেয় ভিলেজ ভিশন বাংলাদেশ।

    জানা গেছে, বিপিন কর্মকার বয়সের ভারে নূয়ে পড়া জীবন- জীবিকার তাগিদে শেষ বয়সে রানীরহাট বাজারে ঝাড়ুদারের কাজ করে সামান্য কিছু অর্থ ও আলু বেগুন শাকসবজ্বী সংগ্রহ করে পাঁচ জনের সংসার চালাতো। বিপিন কর্মকারের স্ত্রী বিশাকা রানী (৬০) এই বয়সে প্রতিবন্ধী তিন সন্ত্মানকে নিয়ে সংসারের সকল কাজ সামলানো তাঁর জন্য দূরহ কাজ। এ নিয়ে পত্র পত্রিকায় লেখা লেখি হলে প্রতিবন্ধী এই পরিবারের দুর্দশা লাঘবের জন্য ভিলেজ ভিশন বাংলাদেশের পরিচালক শরীফ খন্দকার সিরাজগঞ্জের সুখ পাখি নামক এক সামাজিক সংগঠনকে জানান। ওই সংগঠনের কর্মকর্তা হালিমা তুজ সাদিয়া ওই প্রতিবন্ধী পরিবারের ভিডিও পোস্ট করলে ফেসবুক বন্ধুরা সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়। সেই অর্থে তাদের হাতে ২ মাসের চাউল দুই বস্ত্মা, আটা ১০ কেজি,ডাউল দুই পদের,লবন,চিরা মুড়ি,৩ লিটার সয়াবিন তেল,সব ধরনের মশলস্না,সব ধরনের কাচা বাজার, মাছ, মুরগী,ডিম,হুইল পাউডার,সাবান,শ্যাম্পু,নারিকেল তেল, সরিষার তেল সহ হাতে নগদটাকা পৌছে দেওয়া হয়। ২ মাসের বাজার পেয়ে ওই প্রতিবন্ধী পরিবারের সদস্যদের আনন্দের অশ্রম্ন ঝরে।

    এই ব্যাপারে ভিলেজ ভিশন বাংলাদেশের পরিচালক শরীফ খন্দকার বলেন, পিছিয়ে পড়া সুবিধা বঞ্চিত মানুষের জন্য ভিলেজ ভিশন বাংলাদেশ অনেক কাজ করে আসছে। আজও এই পরিবারটার জন্য কিছু করতে পেরে আমরা আনন্দিত। ওই প্রতিবন্ধী পরিবারেও উৎসব মুখর আনন্দের বন্যা দিয়ে আমাদেরকে ও সুখ পাখি( সামাজিক সংগঠন সিরাজগঞ্জ)কে আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

  • মন্দিরের প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনায় অজ্ঞাতদের নামে মামলা।

    মন্দিরের প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনায় অজ্ঞাতদের নামে মামলা।

    রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও)প্রতিনিধি:

    ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার তিনটি ইউনিয়নে একরাতে ১৪টি মন্দিরের প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনায় অজ্ঞাতদের নামে মামলা হয়েছে।

    রোববার রাতে উপজেলার ধনতলা ইউনিয়নের পূজা উদ্‌যাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও সিন্দুরপিন্ডি মন্দির কমিটির সভাপতি জোতিময় সিংহ বাদী হয়ে
    অজ্ঞাতনামাদের নামে মামলাটি করেন বলে বালিয়াডাঙ্গি থানার ওসি খায়রুল আনাম ডন জানান।

    শনিবার রাত থেকে রোববার ভোর পর্যন্ত সময়ে উপজেলার ধনতলা, চাড়োল ও পাড়িয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

    এর মধ্যে ধনতলা ইউনিয়নে ৯টি, চাড়োল ইউনিয়নে ১টি এবং পাড়িয়া ইউনিয়নে ৪টি মন্দিরের প্রতিমা ভাঙচুর করা হয়েছে।

    মন্দিরের প্রতিমা ভাংচুর ছাড়াও সনাতনী সম্প্রদায়ের অন্যতম পবিত্র গ্রন্থ “গীতা” ছিড়ে ফেলা হয়। এই নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

    ধনতলা ইউনিয়নের সিন্দুরপিণ্ডি থেকে টাকাহারা পর্যন্ত ১টি হরিবাসর মন্দির, ১টি কৃষ্ণ ঠাকুর মন্দির, ৫টি মনসা মন্দির, ১টি লক্ষ্মী মন্দির ও ১টি কালী মন্দিরের প্রতিমা ভাঙচুর করেছে।

    এ ছাড়া চাড়োল ইউনিয়নে ১টি কালীমন্দির, পাড়িয়া ইউনিয়নে ১টি বুড়া-বুড়ি মন্দির, ১টি লক্ষ্মী মন্দির, ১টি আমাতি মন্দির এবং ১টি মাসানমাঠ মন্দিরের প্রতিমা ভাঙচুর করা হয়েছে।

    প্রতিমাগুলোর হাত-পা, মাথা ভেঙে চূর্ণ-বিচূর্ণ করে ফেলেছে। আবার কিছু প্রতিমা ভেঙে পুকুরের পানিতে ফেলে রেখেছে।

    মন্দিরের প্রতিমা ভাঙার খবর পেয়ে সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন ঠাকুরগাঁওয়ের জেলা প্রশাসক মো. মাহবুবুর রহমান, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন
    হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ ঠাকুরগাঁও জেলার সাধারণ সম্পাদক প্রবীর কুমার গুপ্ত বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা চেয়ারম্যান আলী আসলাম জুয়েলসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।

    সিন্দুরপিণ্ডি এলাকার বাসিন্দা কাশীনাথ সিংহ বলেন, “হঠাৎ করে কে বা কারা রাতের আঁধারে প্রতিমাগুলো ভাঙচুর করেছে। এতে আমরা আতঙ্কগ্রস্ত অবস্থায় আছি। যারা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত তাদেরকে দ্রুত গ্রেপ্তার করা হোক।”

    হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ ঠাকুরগাঁও জেলার সাধারণ সম্পাদক প্রবীর কুমার গুপ্ত জানান, গত শনিবার রাতের কোনো এক সময়ে তিনটি ইউনিয়নের ১৪টি মন্দিরের প্রতিমা ভাঙচুর করেছে দুর্বৃত্তরা। বেশির ভাগ প্রতিমাই রাস্তার পাশে স্থাপিত মন্দিরের। সেসব মন্দিরে কালী, সরস্বতী, লক্ষ্মী ও মনসার প্রতিমা ছিল। সেসব প্রতিমার মাথা, হাত, পাসহ বিভিন্ন অংশ ভেঙে দেওয়া হয়েছে। দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করতেই এমন ঘটনা ঘটানো হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।

    ধনতলা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান সমর চ্যাটার্জী পুতুল বলেন, এই এলাকায় এর আগে এ ধরনের ঘটনার নজির নেই। এখানে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষের সঙ্গে মুসলিমদের কোনো বিরোধ নেই। প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনায় কারা সম্পৃক্ত থাকতে পারে, তার কিছুই আন্দাজ করা যাচ্ছে না।

    এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আলী আসলাম জুয়েল বলেন, “যেসব মন্দিরের প্রতিমা ভাঙচুর করা হয়েছে এগুলো অনিরাপদহীনভাবে রাস্তার পাশে ছিল।”

    “প্রতিমা ভাঙচুরের এই ঘটনাটি আসলে দুঃখজনক। এ ধরনের ঘটনা যাতে ভবিষ্যতে না ঘটে এজন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে বলে আশা করি। এ ছাড়া সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।”

    পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে, তা এখনো চিহ্নিত করা যায়নি। পুলিশ এ ঘটনায় কাজ করছে। কোনো গোষ্ঠী এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার উদ্দেশে এসব মূর্তি ভাঙচুর করেছে কি না, এসব বিষয় মাথায় নিয়ে ঘটনা তদন্ত করা হচ্ছে। আশা করছি, শিগগিরই দোষী ব্যক্তিদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা যাবে।

    জেলা প্রশাসক মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, শান্তি ও সম্প্রীতির জনপদকে যারা অশান্ত করতে অপতৎপরতা চালাচ্ছে, তাদের শিগগিরই আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে।

  • বেলকুচিতে গলাকাটা যুবকের লাশ উদ্ধার।

    বেলকুচিতে গলাকাটা যুবকের লাশ উদ্ধার।

    বেলকুচি (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি:

    সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে এক যুবকের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। মঙ্গলবার সকালে উপজেলার বেলকুচি সদর ইউনিয়নের মুলকান্দি দশখাদা চর থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়।

    নিহত মনিরুল ইসলাম (২০) উপজেলার মুলকান্দি দশখাদা গ্রামের মৃত আব্দুর সালাম প্রমানিকের ছেলে। তিনি তার চাচা নুরআলম প্রমানিকের বাড়িতে বসবাস করতেন।

    স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,  সোমবার সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেননি। পরে বাড়ির লোকজন বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও তাকে পাননি। মঙ্গলবার সকালে মুলকান্দি চরের মধ্যে গলাকাটা লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে।

    বেলকুচি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসেন জানান, সকালে সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। তবে কী কারনে এ হত্যার ঘটনা ঘটেছে তা তদন্ত সাপেক্ষে জানা যাবে। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

  • নলডাঙ্গায় পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু।

    নলডাঙ্গায় পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু।

    নলডাঙ্গা(নাটোর)প্রতিনিধিঃ

    নাটোরের নলডাঙ্গায় ডোবার পানিতে ডুবে মোঃ ইউসুফ হোসেন(২) নামে একটি শিশুর মৃত্যু হয়েছে।

    রবিবার (০৫ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার পশ্চিম মাধনগর শেখপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। ইউসুফ ওই গ্রামের বাসিন্দা শাহিনুর হোসেনের ছেলে।

    জানা গেছে,সবার অজান্তে বাড়ি পাশের ডোবার পানিতে পড়ে ডুবে যায় ইউসুফ। পরে বাড়িতে শিশুটিকে না দেখে পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি শুরু করে। একপর্যায়ে ডোবা থেকে ইউসুফকে ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।

    ইউসুফকে মাধনগর উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা ওই শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করেন।

  • ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে পুরস্কার বিতরণ-উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার। 

    ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে পুরস্কার বিতরণ-উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার। 

    রামপাল (বাগেরহাট) প্রতিনিধিঃ
    বাগেরহাটের রামপালে  ভূঁইয়ারকান্দর মাধ্যমিক ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক  প্রতিযোগিতা, পুরস্কার বিতরণ,  নবীন বরণ এবং এস, এস, সি পরিক্ষায় জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে।
    ৪ ফেব্রুয়ারী শনিবার বিকাল ৪.০০ টায় বন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।
    অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ভূঁইয়ারকান্দর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক আলহাজ্ব মোঃ আবুল হোসেন।
    অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাগেরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মোল্লা আঃ রউফ, রামপাল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সেখ মোয়াজ্জেম হোসেন,    ভাইস চেয়ারম্যান নূরুল হক লিপন, রামপাল থানার ওসি মোঃ সামছুদ্দীন, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব জামিল হাসান জামু, বাগেরহাট জেলা পরিষদ সদস্য শেখ মনির আহমেদ প্রিন্স, উজলকুড় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি গাজী আক্তারুজ্জামান,  সাধারণ সম্পাদক হাওলাদার জুলফিকার আলী ভুট্টো, রামপাল উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ হাফিজুর রহমান ।
    ৪ দিন ব্যাপী ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন।
    একই সাথে উক্ত বিদ্যালয় থেকে যারা এস, এস, সি পরিক্ষায় জিপিএ- ৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছিল তাদেরকে ও সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
    উপজেলার ভূঁইয়ারকান্দর মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের যৌথ উদ্যেগে এ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
  • বাঘায় তিন দিনেও নিখোঁজ শিশুর সন্ধান মেলেনি।

    বাঘায় তিন দিনেও নিখোঁজ শিশুর সন্ধান মেলেনি।

    বাঘা (রাজশাহী) প্রতিনিধি
    রাজশাহীর বাঘায় ঈশা খাতুন নামের ৫ বছরের শিশুর তিন দিনেও সন্ধান পাওয়া যায়নি। শনিবার সকালে শিশুর পিতা  এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বাঘা প্রেস ক্লাবের গণমাধ্যককর্মীদের জানিয়েছেন। নিখোঁজ শিশু ঈশা খাতুন উপজেলার আড়ানী পৌরসভার রেল স্টেশন সংলগ্ন নুরনগর গ্রামের ইউসুফ আলীর মেয়ে।
    জানা যায়, আড়ানী রেল স্টেশন সংলগ্ন বাড়ির পাশে রাস্তার ধারে মা চম্পা বেগম ধুপিপিঠা বিক্রি করে। বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারী) রাত ৮টার দিকে মায়ের কাছে যায় ঈশা খাতুন। পরে আর বাড়িতে আসেনি। বিভিন্নস্থানে খোঁজ করে না পেয়ে তার পিতা ইউসুফ আলী বাদি হয়ে শুক্রবার বাঘা থানায় সাধারণ ডাইরী (জিডি) করেন।
    তার গায়ের রং উজ্জ্বল শ্যামলা, গায়ে ছিল জিন্স রংগের জ্যাকেট ও জিন্সের ফুল প্যান্ট। কপালের বাম পাশে দাগ রয়েছে।
    কোন সুহৃদয় ব্যক্তি তার সন্ধ্যান পেলে ০১৮১৭-১৬৬৯৮২ নম্বরে যোগাযোগ করার জন্য পরিবারের পক্ষে অনুরোধ জানিয়েছেন।
    বাঘা থানার ওসি সাজ্জাদ হোসেন বলেন, এ বিষয়ে একটি সাধারণ ডাইরী জিডি হয়েছে। তাকে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। বিভিন্ন থানায় ছবিসহ ম্যাসেজ দেওয়া হয়েছে।
  • শীতকালিন ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় বাঘার সিফাত জাতীয় পর্যায়ে তৃতীয়।

    শীতকালিন ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় বাঘার সিফাত জাতীয় পর্যায়ে তৃতীয়।

    বাঘা(রাজশাহী)প্রতিনিধিঃ
    বাংলাদেশ জাতীয় স্কুল, মাদরাসা ও কারিগরি ক্রীড়া সমিতির ৫১তম শীতকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ২০২৩ এর দীর্ঘ লম্ফ (মধ্যম বালক)  প্রতিযোগিতায়  জাতীয় পর্যায়ে ৩য় স্থান অধিকার লাভ করে মোঃ সিফাত আলী। শুক্রবার (৩ ফেব্রুয়ারী) যশোর ভ্যানুতে এই খেলা অনুষ্ঠিত হয়।
    যানা যায়, সারা বাংলাদেশ থেকে ৪ দলে ৮ জন প্রতিযোগী  প্রতিযোগিতা করে।  এদের আলাদা ভাবে নাম দেওয়া হয়, রাজশাহী বিভাগকে চাপা অঞ্চল, ঢাকা বিভাগকে পদ্মা, সিলেট বিভাগকে গোলাপ, খুলনা বিভাগকে বকুল। ৩০ জানুয়ারী সোমবার বাঘা উপজেলার ফতেপুর বাউসা উচ্চ বিদ্যালয়ের হয়ে  রাজশাহীতে বিভাগীয় ভাবে ২য় স্থান অধিকার লাভ করে (০১ ফেব্রুয়ারী) যশোর ভ্যানুতে খেলতে যায় বলে জানান উক্ত বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মাহতাব আলী।
    তিনি আরো বলেন, সিফাতের জীবনে নতুন একটি অভিজ্ঞতা অর্জন হলো। তার সাথে আমি ইউনিয়ন থেকে শুরু করে
    খেলার শেষ পর্যন্ত আছি। সিফাতের মন বল অনেক বড় ছিলো বলে সে এই জাইগাতে পৌঁছাতে পেরেছে।  আমি আশা করি সিফাত পরবর্তীতে যে কোন খেলাই আরো ভাল কিছু করবে। তার জন্য সব সময় শুভকামনা রইল।
    পিতা সানোয়ার আলী বলেন, আমার ছেলে জাতীয় পর্যায়ে খেলে পুরস্কার অর্জন করবে কখনো ভাবি নি৷ সে জাতীয় পর্যায়ে ৩য় স্থান লাভ করছে। আমি এতে অনেক আনন্দিত। আমার অনেক ইচ্ছে তাকে কোন ভাল  খেলার ক্লাবে ভর্তি করার। কিন্তু আমি দিন এনে দিন খাই। সেই সার্মথ্য আমার নেই।
    স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নুরুল হুদা বলেন, আমরা অত্যন্ত আনন্দিত সিফাত জাতীয় পর্যায়ে ৩য় হয়েছে।  সিফাত অর্থনীতির সাপোর্ট পেলে আরও অনেক দূর যাবে। আমি তার সাফল্য কামনা করছি।