Author: admin

  • ডিমলায় পঞ্চম শ্রেনীর ছাত্রীকে যৌন নিপীড়নের চেষ্টা, স্থানীয়দের মানববন্ধন

    ডিমলায় পঞ্চম শ্রেনীর ছাত্রীকে যৌন নিপীড়নের চেষ্টা, স্থানীয়দের মানববন্ধন

    ডিমলা (নীলফামারী) প্রতিনিধিঃ

    নীলফামারীর ডিমলায় পঞ্চম শ্রেনীর ছাত্রীকে যৌন নিপীড়নের চেষ্টায় দৃষ্টান্তমুলক বিচারের দাবীতে মানববন্ধন করেছে পূর্ব ছাতনাই ইউনিয়নের প্রাথমিক শিক্ষা পরিবার ও সুশিল সমাজ। সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারী) দুপুর ১২ টায় ছাতনাই কলোনী বাজারে আঃ মালেকের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করা হয়।

    এসময় বক্তব্য রাখের তালতলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জালাল উদ্দিন, আ,লীগ নেতা আব্দুস সাত্তার বুলু, গোলাম মোস্তফা, বীর মুক্তিযোদ্ধা হারুন অর রশিদ, আব্দুল লতিফ মিন্টু প্রধান শিক্ষক ছাতনাই কলোনী বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় সহ স্থানীয় জনসাধারন ও ছাত্র/ছাত্রীগন । পঞ্চম শ্রেনীর ভুক্তভোগী ছাত্রী তালতলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নিয়মিত ছাত্রী। স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া প্রতিযোগীতায় অংশ নেওয়ার জন্য ঐ শিক্ষার্থী নিজ বাড়ী হইতে বিদ্যালয়ে যায়। আত্মীয় পরিচয় দিয়ে বিদ্যালয় হইতে ফুসলিয়ে ও বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে শিক্ষার্থীকে আঃ মালেক তার নিজ বাড়ীতে ডেকে নিয়ে ঘরের দরজা বন্ধ করে যৌন নিপীড়নের চেষ্টা করেন ।

    সে সময় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী চিৎকার চেচামেচি করলে আঃ মালেক পালিয়ে যায়। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী কান্নাকাটি করে বিদ্যালয়ে গিয়ে প্রধান শিক্ষককে ঘটনাটি জানাইলে বিষয়টি জনসম্মুখে প্রকাশ পায় ।

    এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর বাবা ঘটনার পর আব্দুল মালেকের বিরুদ্ধে ডিমলা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। এ বিষয়ে ডিমলা থানার পুলিশ পরিদর্শক সংবাদকর্মীদের জানান, এ সংক্রান্ত বিষয়ে ডিমলা থানায় একটি মামলা হয়েছে। আসামী গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

  • গোদাগাড়ীতে ট্রাক ও মোটরসাইকেলের সংঘর্ষ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রের মৃত্যু।

    গোদাগাড়ীতে ট্রাক ও মোটরসাইকেলের সংঘর্ষ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রের মৃত্যু।

    রাজশাহী(গোদাগাড়ী)প্রতিনিধি।

    রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় দেওপাড়ায় ট্রাকচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রের মৃত্যু হয়েছেন। এ ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহীর দুই যাত্রী গুরুতর আহত হয়। রবিবার\১৯ ফেব্রুয়ারি উপজেলার দেওপাড়া ইউনিয়নের রাজাবাড়ী চাপাল এলাকায় রাজশাহী-চাঁপাইনবাবগঞ্জ মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

    নিহত শিক্ষার্থী হলেন রাজশাহী মহানগর মতিহার থানার বুধপাড়া গ্রামের আব্দুস সালামের ছেলে আবু সাঈদ ওসামা (২২) । নিহত শিক্ষার্থী রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র।

    এ বিষয়ে জানতে চাইলে গোদাগাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কামরুল ইসলাম জানান, রবিবার বিকেল রাজশাহী থেকে ছেড়ে আসা মোটরসাইকেলটি একটি ট্রাককে ওভারটেক করার সময় চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা অপর একটি ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলে তিনজন আহত হলে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা তিন জনকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক আবু সাঈদ ওসামাকে মৃত ঘোষণা করেন। মরদেহ রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে ।

  • তামিমের শখের পোষা পাখি যখন আয়ের উৎস !

    তামিমের শখের পোষা পাখি যখন আয়ের উৎস !

    রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও)প্রতিনিধি:

    দ্বিতল বাড়ির ছাদে টিনের ছাউনির ঘর। ঘরের চারপাশ কাঠ ও তারের নেট দিয়ে ঘেরা। খামারের ভেতর কবুতরের পাশাপাশি রয়েছে বিভিন্ন জাতের পাখি। পাখির কিচিরমিচিরে বাড়িটি সবসময় মুখরিত থাকে।

    বাসার কাছে আসতেই শোনা গেল পাখির কলরব। ছাঁদে গিয়ে আটকে গেল চোখ। সুন্দর পরিচ্ছন্নভাবে সাজানো পাখির খাঁচা।পাখিগুলোর মধ্যে কেউ উড়াউড়ি করছে। কেউবা বানাচ্ছে বাসা। মনোরম সব দৃশ্য দেখতে অনেকে আসছেন পাখির খামারে। পাখিপ্রেমীরা, কিনছেন পাখিও। খামারটি ছাত্রলীগ নেতা তামিমের। ‘পাখি তামিম’ নামে পরিচিত এই পাখিপ্রেমীর।

    তামিম হলেন ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল পৌরশহরের বাসিন্দা মো. মোকসেদ আলীর ছেলে। তিন ভাই দুই বোনদের মধ্যে সবার ছোট । ঢাকা  কলেজ থেকে অনার্স মাস্টার্স শেষ করেছেন তিনি।

    জানা যায়, পাখির প্রতি ভালোবাসা থেকেই ২০১৪ সালে অনার্সে পড়ার সময় ঢাকার কাঁটাবন একটি পাখির খামার থেকে প্রথম দুটি বাজরিগার পাখি নিয়ে বাসার ছাঁদে একটি খাচায় রাখেন তামিম। পরবর্তীতে সেই পাখি বাঁচ্চা দিলে সেটিকে বড় পরিসরে করার চিন্তা করেন তামিম। ২০১৮ সালের বগুড়া থেকে ১৮ জোড়া পাখি বাসায় কিনে নিয়ে এসে ছাঁদে তৈরী করেন একটি পাখির সেট। পরবর্তীতে পাখিগুলো ডিম দেয়া শুরু করলে ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে পাখির সংখ্যা।

    পাখির এই খামারটি করতে খরচ হয়েছে ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকার মতো। তার এই খামারে প্রতি মাসে খরচ হয় ৩ হাজার টাকা। তামিম তার এই পাখির খামার থেকে ৪ বছরে প্রায় লাখ-খানেক টাকার পাখি বিক্রি করেছেন। পাখিগুলোকে প্রতিদিন কাউন,ভাত,খিচুড়ি,কুসুম দানা,কাঁচা বুট,সবজি এসব খাবার হিসেবে দেওয়া হয়।

    বর্তমানে তার খামারে অনেক প্রজাতির কবুতর ও বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় ৬০ জোড়ার মত পাখি আছে। তারমধ্য নানা প্রজাতির অসংখ্য লাভবার্ড, কাকাতুয়া, ফন্স, ফেনসি, রেসার, বাজরিগার, ককাটিয়েল, গোল্ডিয়ান ফিঞ্চ, টেইল ফিঞ্চ, সিরাজী কবুতর অস্ট্রেলিয়ান ঘুঘু দেশি-বিদেশি কবুতরসহ বিভিন্ন পাখি।

    এই যাত্রা খুব সহজ ছিল না তামিমের জন্য। শুরুতেই তিনি পরিবারের বাধার মুখে পড়েছিলেন। তবে সব বাধা ডিঙিয়ে তিনি আজ সফল। শুধু নিজের সফলতার মধ্যেই সীমাবদ্ধ না থেকে উপজেলার আগ্রহী অনেক তরুণকেও পথ দেখাচ্ছেন তিনি।

    তামিম বলেন, ‘ছোট থেকেই পাখির প্রতি খুব মায়া তার। খাঁচার পোষা পাখি লাভবার্ডের সঙ্গে তার যাত্রা শুরু চার বছর আগে। প্রথমে শখ থাকলেও এখন তা আয়ের উৎসে পরিণত হয়েছে। এরপর বাণিজ্যিকভাবে কবুতর ও পাখি পালনের চিন্তা আসে।’পাখির খামারের পাশাপাশি নিজস্ব পুকুরে মাছ চাষ করেন ।

    তিনি আরও বলেন, ‘অনেক পরিশ্রম করে খামারটি গড়েছি। প্রথমে পরিবারের কেউ চাইত না যে কবুতর পালন করি। কিন্তু, এখন কেউ আর বাধা দেয় না।’

    তার মতে, ‘অনেকেই পাখি পালনে আগ্রহী হচ্ছেন। অনেকে আমার কাছ থেকে পাখি কিনছেন, পরামর্শ নিচ্ছেন। পরিশ্রম করলে সফলতা আসবেই। অনেকে শুধুই চাকরির পেছনে ছুটছেন। তাদের উচিত চাকরির পেছনে না ছুটে ভালো কোনো কাজে লেগে থাকা।’

    ছোট থেকেই পাখির প্রতি ভালোবাসা। সে ভালোবাসা থেকেই পাখির খামার করা। আমি প্রথম অল্প পরিসরে এই খামার করে থাকি। এক সময়ের শখ আজ আমার একটি ব্যবসায় পরিণত হয়েছে। আশা করি আগামীতে আরও বড় পরিসরে করব পাখির খামারটি।

    পাখি কিনতে এসেছেন আনারুল ইসলাম সহ বেশ কয়েকজন। তারা বলেন, শুনেছিলাম তামিম ভাইয়ের এই পাখির খামারে বাজরিগার পাখি আছে। তাই নিতে এসেছি। তবে তার পাখির খামারটি দেখে অনেক ভালো লাগলো। অনেক রকমের পাখি আছে এখানে।

    রাণীশংকৈল  উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহরিয়ার আজম মুন্না বলেন, ‘লেখাপড়ার পাশাপাশি কবুতর ও পাখি পালন করে তামিম স্বাবলম্বী হয়েছেন। তার মতো করে তরুণরা যদি লেখাপড়ার পাশাপাশি এভাবে গবাদি পশু-পাখি পালন শুরু করে, তাহলে দেশে বেকারত্ব কমবে।’

  • দেশ-বিদেশে-সুনাম কুড়াচ্ছে নলডাঙ্গার ঝুঁপদুয়ার গ্রামের কুমড়াবড়ি

    দেশ-বিদেশে-সুনাম কুড়াচ্ছে নলডাঙ্গার ঝুঁপদুয়ার গ্রামের কুমড়াবড়ি

    নলডাঙ্গা(নাটোর)প্রতিনিধিঃ

    নাটোরের এক ঐতিহ্যবাহী খাবারের নাম কুমড়াবড়ি। বিভিন্ন তরকারির সঙ্গে রান্না করে খাওয়ার প্রচলন বহু আগের। ভোজন রসিকদের খাবারে বাড়তি স্বাদ এনে দেয় কুমড়াবড়ি।

    ভোজন বিলাসী বাঙ্গালী। তরকারিতে কেমন করে স্বাদ আনতে হয় এই দিক দিয়ে বাঙ্গালী গৃহিনীদের জুড়ি মেলা ভার। নাটোরের ঐতিহ্যবাহী কুমড়ো বড়ি বানানোর ধুম পড়ে গেছে। গ্রামের বাড়িগুলোতে চলছে কুমড়া বড়ি বানানোর আয়োজন। শীতে নদী বা বিলের পানি শুকানোর সাথে সাথে প্রতিটি জায়গায় টেংরা, গুচি, বাইম, বোয়াল থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের মাছ পাওয়া যায়। আর এই সব মিঠা পানির মাছের সাথে কুমড়াবড়ির রান্না খাবারে এনে দেয় নতুনের স্বাদ। কুমড়াবড়ির তরকারির কথা শুনলেই জিভে চলে আসে জল।

    প্রত্যেক ঘরে ঘরে চলছে কলাই আর চালকুমড়া দিয়ে বড়ি বানানোর মহোৎসব। বর্তমানে নাটোরের গৃহবধূরা ব্যস্ত সময় পার করছেন ডালের তৈরি বড়ি বানাতে। সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয় বড়ি তৈরি প্রক্রিয়া। শীতের মধ্যে পাড়া মহল্লার গৃহিণীরা এ মজাদার খাবার তৈরিতে ব্যস্ত পার করছেন।

    সরেজমিনে দেখা যায়, নাটোরের নলডাঙ্গার ঝুঁপদুয়ারে তৈরি হচ্ছে কুমড়াবড়ি। যা বিভিন্ন হাটে-বাজারে বিক্রি হচ্ছে কুমড়া বড়ি। এছাড়াও শহরের বিভিন্ন দোকানে পাইকারী ও খুচরা বিক্রি হচ্ছে স্বাদের এই কুমড়া বড়ি। গ্রামে ধনী-গরীব নির্বিশেষে সব শ্রেণী-পোশার মানুষের নিত্য দিনের তরকারিতে ব্যবহার হয় কুমড়াবড়ি। যে কারনেই কুমড়াবড়ি বানানোর আয়োজনে নাটোর অন্যান্য জায়গার তুলনায় একটু বেশি। কুমড়াবড়ি বানাতে পাকা এবং পরিণত চালকুমড়া কুড়িয়ে তার সঙ্গে মাসকালাই কিংবা কাতিকালাই বেটে কালোজিরা ও পাঁচপোড়ন দিয়ে বিশেষ কায়দায় তৈরি করা হয় নাটোরের এই ঐতিহ্যবাহী কুমড়ো বড়ি। এখন অবশ্য চালকুমড়ারার বদলে পেঁপেও ব্যবহার করা হয়। কুমড়ো বড়ি তৈরিতে বেশ পরিশ্রম করতে হয়। তাছাড়াও কুমড়োবড়ি তৈরির পর যদি, তীব্র রোদ বা তাপ না থাকে অথবা আকাশ মেঘাছন্ন থাকে, তাহলে দীর্ঘ দিনের পরিশ্রম আর হাড়ভাঙ্গা খাটুনি সবই বৃথা যেতে পারে। কারণ বড়ি বানানোর পর, যত দ্রুত তা রোদে তাপে শুকানো যায়,বড়ি রোদে শুকিয়ে প্রস্তুত হতে ৮-১০ দিন লেগে যায়। সেখানকার বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গ্রামটিতে ৪০ ঘর লোকের বাস। এদের মধ্যে ৩৮টি পরিবারই হিন্দু সম্প্রদায়ের। এই হিন্দু সম্প্রদায়ের পরিবারগুলোই অনেক কাল ধরে কুমড়াবড়ি তৈরির সঙ্গে জড়িত। তাদের বানানো কুমড়াবড়ি স্বাদেও অতুলনীয়। এছাড়া নাটোরের কুমড়াবড়ি এখন যাচ্ছে দেশের বাইরেও। কারণ অনেক প্রবাসীরা দেশে এসে, প্রবাস জীবনে ফিরে যাবার সময় সঙ্গে নিয়ে যায়, মায়ের হাতের তৈরি কুমড়াবড়ি।

    কুমড়া এবং ডালের মিশ্রণে এটি তৈরি করত বলে এর নাম কুমড়াবড়ি। এক কালের শখের খাবার থেকে উৎপত্তি হওয়া কুমড়াবড়ি এখন শত শত মানুষের কর্মসংস্থান ও প্রান্তিক পর্যায়ের অর্থনীতিতে অবদান রাখছে। প্রতি কেজি কুমড়াবড়ি বিক্রি করছি ২৫০-৩০০ টাকা কেজি দরে। দেশ-বিদেশে-সুনাম কুড়াচ্ছে নাটোরের নলডাঙ্গার ঝুঁপদুয়ার গ্রামের কুমড়াবড়ি-যাচ্ছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। এই ব্যবসাটি টিকিয়ে রাখতে সরকারিভাবে সহযোগীতার দাবি করেছেন-স্থানীয় চেয়ারম্যান আশরাফুজ্জামান মিঠু ও কুমড়াবড়ি তৈরির কারিগররা।

  • ডিমলা সরকারী হাসপাতালে অপারেশন থিয়েটারের শুভ উদ্ভোধন।

    ডিমলা সরকারী হাসপাতালে অপারেশন থিয়েটারের শুভ উদ্ভোধন।

    ডিমলা (নীলফামারী) প্রতিনিধিঃ

    নীলফামারীর ডিমলায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অপারেশন থিয়েটারের শুভ উদ্ভোধন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারী) সকাল ১১ টায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আয়োজনে ডিমলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স অপারেশন থিয়েটারের আনুষ্ঠানিক উদ্ভোধন করেন সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আফতাব উদ্দিন সরকার। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেন।

    এ সময় উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ রাশেদুজ্জামান, আবাসিক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ কুঞ্জকলি, ডাঃ মোস্তাফিজুর রহমান, ডাঃ ইল্লিন বিনতী, অপারেশন থিয়েটার ইনচার্জ জয়া রায়। আনুষ্ঠানিক উদ্ভোধনের পর দুপুর ১২ টায় উপজেলার খগাখড়িবাড়ী ইউনিয়নের টুনিরহাট গ্রামের প্রসুতি তানিয়া আক্তারের সিজারের মাধ্যমে অপারেশন থিয়েটারের কার্যক্রম চালু করা হয়। পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ রাশেদুজ্জামান সংবাদকর্মীদের বলেন অস্ত্রোপাচারের পর নবজাতক ও প্রসুতি মা তানিয়া আক্তার সুস্থ্য আছেন বলে নিশ্চিত করেন।

    প্রসুতি তানিয়া আক্তারের বাবা তোজাম্মেল হক বলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স প্রতিষ্ঠার ৪২ বছর পর এই প্রথম ডিমলা সরকারী হাসপাতালে অপারেশন চালু হয়েছে। আমার মেয়ে সরকারী হাসপাতালে সিজারিয়ান অস্ত্রোপাচার করে একটি ফুটফুটে ছেলে সন্তান প্রসব করায় খুব খুশি। পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ রাশেদুজ্জামান বলেন অপারেশন থিয়েটার চালুর মাধ্যমে উপজেলার সকল প্রসুতি মায়েরা বিনামুল্যে নরমাল ও সিজারিয়ান ডেলিভারীর সুবিধা পাবেন।

    উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেন বলেন, সিজারিয়ান সেকশনের মধ্য দিয়ে ডিমলা উপজেলার স্বাস্থ্য খাতে এক নতুন দিগন্তের সুচনা হলো। আজ হতে ডিমলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সার্জারী শুরু হলো। আশা করি ডিমলা উপজেলার মানুষজন আর কস্ট করে রংপুর বা নীলফামারী যেতে হবে না। ডিমলাতেই সুচিকিৎসা পাবে।

  • উল্লাপাড়া মহিলা দাখিল মাদ্রাসার বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী।

    উল্লাপাড়া মহিলা দাখিল মাদ্রাসার বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী।

    উল্লাপাড়া (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি :

    সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ার ব্যতিক্রমধর্মী নারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান উল্লাপাড়া মহিলা দাখিল মাদ্রাসার বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা – ইসলামি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার দিনব্যাপী মাদরাসার খেলার মাঠে এ অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয়।

    মাদরাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো. আহসান আলী সরকারের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বার্ষিক ক্রীড়া অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন উল্লাপাড়ার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইশরাত জাহান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফা, উল্লাপাড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: নজরুল ইসলাম, উপজেলা একাডেমি সুপারভাইজার মোঃ মোসলেম উদ্দিন, উল্লাপাড়া পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোঃ রেজাউল করিম প্রমুখ।
    অনুষ্ঠানটির সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিলেন মাদ্রাসার সুপার মো. ছোরমান আলী। অনুষ্ঠান সঞ্চালন ও পরিচালনা করেন প্রতিষ্ঠনের শারীরিক শিক্ষক রাজু আহমেদ সাহান। পরিচালনা সহযোগিতায় ছিলেন মাদরাসার শিক্ষক ও কর্মচারি বিন্দু।

    এ সময় মাদরাসার শিক্ষার্থীরা কেরাত, হামদ-নাত, কবিতা আবৃত্তি, দৌড় প্রতিযোগিতা, বিস্কুট দৌড়, দড়ি লাফ, পাতিল ভাঙ্গা, বালিশ খেলা, চেয়ার খেলা, ডিসপ্লে, চমকপ্রদ ইভেন্ট যেমন খুশি তেমন সাজো সহ বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। অনুষ্ঠান শেষে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।

  • ঠাকুরগাঁওয়ে শিশুকে ধর্ষণ করে হত্যা, আটক-১।

    ঠাকুরগাঁওয়ে শিশুকে ধর্ষণ করে হত্যা, আটক-১।

    রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও)প্রতিনিধি:

    ঠাকুরগাঁওয়ে ফারহিয়া নামের এক পাঁচ বছরের শিশুকে ধর্ষণ করে পরে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে ধারণা করছে পুলিশ। এঘটনায় সন্দেহভাজন সফিকুল ইসলাম নামে এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। এছাড়াও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কয়েকটি সংস্থা কাজ করছে।

    মঙ্গলবার ভালবাসা দিবসের দিনে (১৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টায় ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা শুখানপুকুরী ইউনিয়নে লাউথুতি ডাঙ্গাপাড়া গ্রামে চাঞ্চল্যকর এ ঘটনা ঘটে।

    নিহত ফারহিয়া ওই গ্রামের ফজর আলীর তৃতীয় সন্তান। আর অভিযুক্ত সফিকুল ইসলাম (২০) একই এলাকার গিয়াসউদ্দিনের ছেলে।

    ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ভুল্লী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতিকুর রহমান আতিক বলেন, মঙ্গলবার সকাল ১০ টার দিকে ভূট্টা ক্ষেতে স্থানীয়রা ওই শিশুর মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে মেয়েটির লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল করা হয়েছে এবং ময়না তদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট এলে ঘটনাটি আরো বিস্তারিত জানা যাবে। তবে শিশুটির মরদেহে বিভিন্ন আলামত দেখে আমাদের প্রাথমিক ধারনা তাকে ধর্ষণ করে পরে হত্যা করা হয়েছে।এই ঘটনায় সন্দেহমূলক একজনকে আটক করেছি আমরা

    পরিবার ও স্বজনরা জানায়, সকালে শিশু কন্যাকে বাড়িতে রেখে মা-বাবা মাঠে কাজ করতে চলে যান। প্রতিবেশীদের মাধ্যমে খবর পান বাড়ির পাশেই সালামের  ভুট্রা-ক্ষেত্রে মেয়ের মরদেহ পড়ে আছে।
    পরে এলাকাবাসীরা শিশুকে উদ্ধার করে স্থানীয় ডাক্তারকে দেখালে ডাক্তার শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করেন এসময়  পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে। তবে স্বজনদের অভিযোগ সফিকুল নামে এক যুবক ফারিহাকে ধর্ষণ করে হত্যা করেছে।

    ঠাকুরগাঁও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মিথুন সরকার বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করেছে। ঘটনা উদঘাটনে পুলিশের কয়েকটি টিম কাজ করছে। আর সন্দেহভাজন হিসেবে সফিকুল ইসলাম নামে এক যুবককে আটক করা হয়েছে।

  • ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে ফুলের পসরা সাজিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

    ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে ফুলের পসরা সাজিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

    রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও)প্রতিনিধি:
    ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে বসন্তবরণ ও ভালোবাসা দিবসকে সামনে রেখে ফুল ব্যবসায়ীদের ব্যস্ততা বেড়েছে। দুটি বিশেষ দিন সামনে রেখে বাহারি ফুলের পসরা সাজিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
    দুদিনে বাগান মালিক ও ব্যবসায়ীরা লক্ষ লক্ষ টাকার ফুল বিক্রি করবেন এমনটাই আশা করছেন। অনেক ব্যবসায়ী ফুলে ক্যাপ পরিয়ে রেখেছেন। বিক্রির ২/৩ দিন আগে ক্যাপ খুলে তা বিক্রি করবেন।
    সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলা শহরের বিভিন্ন বাজার, সড়কের মোড় আবাসিক এলাকায় টাটকা ফুল নিয়ে বসেছেন মৌসুমী ফুল ব্যবসায়ীরা।
    জানা গেছে, বসন্তবরণ ও ভালোবাসা দিবসকে ঘিরে রাণীশংকৈলে ফুলের চাহিদা বেড়ে যায় কয়েকগুণ। সারা বছর টুকটাক করে ফুলের ব্যবসা চললেও ব্যবসা জমজমাট হয় পয়লা ফাল্গুন ও ভালোবাসা দিবসে।
    সব মিলিয়ে দেখা গেছে পাইকার, বাগান মালিক ও ব্যবসায়ীরা ফুল নিয়ে বাড়তি বিক্রি ও বাড়তি আয়ের জন্য ব্যস্ত রয়েছেন।
    কয়েক বছর আগেও ফুলের এমন কদর ছিল না। সময় পল্টানোর সঙ্গে সঙ্গে এখন সর্বত্রই ফুলের কদর বেড়েছে। ব্যবসায়ীরা লাল গোলাপ, রজনীগন্ধা, গাঁদা, কসমস, ডালিয়া, টিউলিপ, কালো গোলাপ, ঝুমকা লতা, গাজানিয়া, চন্দ্রমল্লিকাসহ বিভিন্ন ফুলের পসরা সাজিয়ে বসে আছেন।
    পহেলা ফাল্গুন, ভালোবাসা দিবস ছাড়াও সামনে রয়েছে একুশে ফেব্রুয়ারি। এই ৩টি দিবসকে সামনে রেখে বাগান মালিক ও ব্যবসায়ীদের দম ফেলার ফুসরত নেই।
    ফুল ব্যবসায়ী বাবু জানান, এবার বসন্তের প্রথম দিনই ভালোবাসা দিবস। এ কারণে ফুলের চাহিদা বেশি। বিক্রিও হচ্ছে ভালো দামে। বসন্ত ও ভালোবাসা দিবসে প্রতিটি গোলাপ মানভেদে ২০ থেকে ৩০ টাকায় বিক্রি হবে।
  • ইটভাটায় কাজ করে জিপিএ-৫ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি নিয়ে দুর্চিন্তায় মেধাবী ছাত্র রাজু।

    ইটভাটায় কাজ করে জিপিএ-৫ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি নিয়ে দুর্চিন্তায় মেধাবী ছাত্র রাজু।

    রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও)প্রতিনিধি:

    টাকার অভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি  অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে মেধাবী ছাত্রের।
    এই মেধাবী শিক্ষার্থী হলেন ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার নন্দুয়ার ইউনিয়নের সন্ধ্যারই খুটিয়াটুলি গ্রামের বাসিন্দা রাজু  হোসেন । তার স্বপ্ন আইন বিভাগে লেখাপড়া করার। কিন্তু এই স্বপ্নের পথে বাধা তাদের পরিবারের আর্থিক অবস্থা।

    এ বছর এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে মানবিক  বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ অর্জন করে। কিন্তু পারিবারিক অবস্থা খারাপ থাকার কারনে ভর্তি বা পড়ালেখা করা অসম্ভব হয়ে দাড়িয়েছে তার।

    বাবা আনোয়ার হোসেন পেশায় ভ্যানচালক ও মা নাজমা বেগম হিমাগারের শ্রমিক। পড়াশোনার খরচ চালাতে রাজু নিজেও ইট ভাটার ট্রলির শ্রমিকের কাজ করে।

    দুই ভাইয়ের মধ্যে বড় সে। বাড়ির পাশে মীরডাঙ্গী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসিতে জিপিএ-৪.২২ ও রাণীশংকৈল ডিগ্রি কলেজ থেকে মানবিক বিভাগে জিপিএ-৫ পেয়েছে রাজু হোসেন।

    রবিবার (১২ ফ্রেরুয়ারী ) দুপুরে অদম্য  মেধাবী ছাত্র রাজুর বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, তাদের মা বাবা বাড়ি উঠোনে বসে আছেন। ছেলের এইচএসসি পরীক্ষায় ভাল ফলে উত্তীর্ণ হওয়ায় চোখে মুখে হাসি থাকলেও দু:শ্চিন্তায় পড়েছেন ছেলের ভর্তির টাকা নিয়ে। কিভাবে জোগার করবেন ভর্তির টাকা। নিজের ভিটে-বাড়ি, জমিজমাও নাই যে বিক্রি করবেন।

    রাজুর বাবা আনোয়ার জানান, ছেলেটা ছোট থেকেই মেধাবী। যার কারণে ওর লেখাপড়ায় কোন ভাটা পড়ুক তা চাইনি। কষ্ট করেই পড়িয়ে যাচ্ছি। কিভাবে যে তার ভর্তি পরীক্ষা জোগার করবো কোন কুল কিনারা পাচ্ছি না। যদি কেউ সহযোগিতায় আসতেন, তাহলে তার স্বপ্ন পূরণ হতো।

    ফলাফল প্রকাশের পর আলাপকালে রাজু জানায়, কি করবো আমি বুঝতে পারছি না ? ছোট বেলা থেকেই কষ্ট করে আসছি। কখনও কখনও না খেয়ে স্কুলে গিয়েছি, কিন্ত বাদ দেইনি স্কুল ও কলেজের পড়াশোনা।  আমি এখন আইন নিভাগ পড়তে চাই। কিভাবে ভর্তি হবো, কিভাবে কী করবো এখন আর মাথায় কাজ করছে না।
    আমার স্বপ্নের মাঝে বাধা হয়ে দাড়িয়েছে আর্থিক অভাব অনটন। বেসরকারি এনজিও ‘আরডিআরএস, থেকে কিছু টাকা লোন করে রংপুরের একটি কোচিং সেন্টারে ভর্তি হয় পরিক্ষার জন্য। কিছু টাকা দিয়ে ভর্তি হলেও খাওয়াসহ অন্যান্য খরচ বহন না করতে পারায় আর কোচিং-এ যাওয়া হয়নি তার । এখন কোচিং চলছে ভর্তি হওয়ার, কিন্তু আমার সেই সামর্থ্য নাই যে ভর্তি হবো। আমি দেশের সকল বিত্তবানদের কাছে সহযোগিতা চাচ্ছি। আমাকে পড়ালেখা করার সুযোগ করে দিন।রাজুর মা নাজমা বেগম জানান ,’দুই ছেলে নিয়ে বহুকষ্টে জীবন চালিয়েছি।

    এক পর্যায়ে মানুষের বাসায় কাজ শুরু করি। হিমাগারের নারী শ্রমিক হিসবে কাজ করি। তার বাবা ভ্যান চালাই। অর্থের অভাবে এক ছেলের পড়াশোনা বন্ধ হয়ে গেছে। বড় ছেলে  রাজু  ইটভাটার ট্রলির শ্রমিক ও কখনো ভ্যান চালিয়ে পড়াশোনা চালিয়ে গেছেন। এত কষ্ট করে আমার ছেলে পড়াশোনা করে এইচএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়েছে। আমি অনেক খুশি হয়েছি। তবে এখন পড়াশোনা কীভাবে চালাবে সে চিন্তায় আছি’ বলেন নাজমা বেগম।

    রাণীশংকৈল ডিগ্রী কলেজের প্রভাষক সফিকুর ইসলাম আলম, ‘সে মাসে একদিন বা দুদিন কলেজে আসত। তার সংগ্রামের কথা সবাই জানি। সে আমাদের কলেজ থেকে জিপিএ ৫ পেয়েছেন এটা আমাদের গর্বের বিষয়। অনেক কষ্ট করে সে ভালো ফলাফল করেছে। তার ফলাফলে আমরা অনেক খুশি। গরিব অসহায় মেধাবী শিক্ষার্থীদের পাশে দানশীল ব্যক্তিদের এগিয়ে আসা জরুরি।

    এ বিষয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যান আব্দুল বারী বলেন, ‘রাজুর এই বিষয়টি আগে জানতাম না। জেনে খুশি হলাম। ব্যক্তিগতভাবে আমি আমার পক্ষ থেকে তার পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার জন্য সহযোগিতা করব ইনশাল্লাহ ।

    এ বিষয়ে রাণীশংকৈল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সোহেল সুলতান জুলকার নাইন কবির স্টিভ বলেন, বিষয়টি যেমনিভাবে কষ্টের তেমনি অনুপ্রেরণার।
    পড়াশোনার ইচ্ছাশক্তি থাকলে যে কোনো উপায়ে তা চালিয়ে যাওয়া সম্ভাব। রাজু তাই প্রমাণ করেছে। রাণীশংকৈল উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এবং আমার ব্যক্তিগত থেকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করা হবে।

  • রামপালে সড়ক দুর্ঘটনায় ২ পথচারী নিহত।

    রামপালে সড়ক দুর্ঘটনায় ২ পথচারী নিহত।

    রামপাল (বাগেরহাট) প্রতিনিধিঃ
    বাগেরহাটের রামপালে সড়ক দুর্ঘটনায় দুইজন পথচারী নিহত ও দুইজন মারাত্মক আহত হয়েছে।
    ১১ ফেব্রুয়ারী শনিবার বিকাল ৫.০০ টায় উপজেলার হুড়কা ইউনিয়নের খুলনা-মোংলা মহাসড়কের বাবুরবাড়ি এলাকায় এ সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে।
    জানা গেছে যে, মোংলা থেকে খুলনাগামী একটি প্রাইভেট কার আসে হঠাৎ বাবুর বাড়ি এলাকায় আসলে গাড়ির ড্রাইভার গাড়ির নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে এবং সেখানে থাকা কয়েকজন পথচারীর  গায়ে গাড়ি উঠে যায়। সেখানেই হুড়কা ইউনিয়নের ভেকটমারী গ্রামের মৃত পীযুষ কুমার মন্ডল’র পুত্র ভূষন মন্ডল(৫৫) ঘটনাস্থলেই মৃত্যুবরণ করেন এবং বাকী তিনজনকে স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে রামপাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ নিয়ে আসেন।  হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক একজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন খুলনা যাওয়ার পথিমধ্যে উপজেলার উজলকুড় ইউনিয়নের কদমদী গ্রামের মোকলেচ শেখ’র পুত্র মোঃ জিল্লুর রহমান(৬০) মৃত্যুবরণ করেন।
    এ সড়ক দুর্ঘটনার খবর পেয়ে কাটাখালী হাইওয়ে পুলিশ রামপাল থানায় এসে সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করে।
    পরিবারের কোন অভিযোগ না থাকায় রামপাল থানা পুলিশ পরিবারের কাছে লাশের দাফন ও সৎকার করার জন্য নিহতদের পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করে।
    এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বাকী আহত দুইজন রামপাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ ভর্তি আছে এবং সেখানে চিকিৎসা নিচ্ছেন।  তাদের শারিরীক অবস্থার আগের থেকে উন্নতি হয়েছে   বলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জানিয়েছেন।