Author: admin
-
বেকারদের এগিয়ে নিচ্ছেন হরিপুরের সিরাজ।
ভাতুরিয়া এলাকার সিরাজুল ইসলাম সিরাজ । একজন সফল উদ্যোক্তা হিসেবে ইতোমধ্যে জেলায় সুনাম ছড়িয়েছেন। উত্তরবঙ্গের সর্বশেষ জেলা ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলার ভারত সীমান্ত ঘেঁষা ভাতুরিয়া ইউনিয়নের অজগাঁওপাড়ায় বেড়ে ওঠা সিরাজ ২০১৪ সালে ফ্রিল্যান্সিং’র কাজ শুরু করেন।সিরাজ ২০০৪ সালে ম্যাট্রিক ও ২০০৭ সালে ইন্টারমিডিয়েট পাস করেন। এর রাজশাহী কলেজ থেকে সমাজবিজ্ঞানে অনার্স এবং ঢাকার তিতুমীর কলেজ থেকে মাস্টার্স সম্পন্ন করেন। তবে পড়াশোনায় তার কোন ঘটতি ছিলো না। ফ্রিল্যান্সিং শেখার খুবই ইচ্ছা ছিলো তার। তাই পড়াশোনার পাশাপাশি অনলাইনে ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ শিখতেন।সিরাজ জানায়, ২০১৪ সালে পড়াশোনার পাশাপাশি উপার্জনের পথ খোজছিলেন সে। সে সময় টিউশনির করার চেষ্টা করলেও সে কোন টিউশন পাইনি। এর সিরাজ সহপাঠীদের কাছে থেকে ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে জানতে পারেন। এ পেশায় প্রথমত তার শুরু হয় ব্লগিং দিয়ে। তার একটা সফটওয়্যার রিলেটেড ব্লগ ছিলো। এডসেন্স থেকে সে প্রথমে উপার্জন করেন ৮১ ডলার। এরপর সিরাজ ২০১৫ সালে Linkdin নামে একটি বায়ারের খোঁজ পাই। দীর্ঘ চার বছর কাজ করার পর কানাডিয়ান একটি কোম্পানির সাথে তার চুক্তিবদ্ধ হয়। দু’টিকোম্পানির সাথে সে কাজ করছে। বর্তমানে সিরাজের ২০জনের একটি টিম আছে। যে টিম দিয়ে সকল কাজ সম্পন্ন করেন। তার টিমের মাসিক আয় চার থেকে পাঁচ লক্ষ টাকা। শুধু ফ্রিল্যান্সিং নয়, পাশাপাশি তারা নিজেদের অর্থায়নে বিভিন্ন সেবামূলক কাজ এগিয়ে যায়।তবে সিরাজের বলেন, এই আধুনিকতার যুগে কেউ ঘরে বেকার বসে থাকুক এটা আমি চাই না। পড়াশোনার পাশাপাশি সবাই যেন দেশের রেমিটেন্স বাড়ানোর ভূমিকা রাখতে পারে এটিই আমার স্বপ্ন। আমি যদি সরকারের সুযোগ-সুবিধা পাই তাহলে আমার এই টিমটিকে অনেক বড় পরিসরে করার আশা রয়েছে। যেখানে কাজ করবে ঠাকুরগাঁওয়ের শত শত বেকার যুবক-যুবতী।ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার আখানগর এলাকার আরেক ফ্রিল্যান্সার রঘুনাথ সিংহ রায় বলেন, এটা একটা স্বাধীন পেশা। এখানে পরিশ্রম করলে অবশ্যই সফলতা আসবে। সিরাজ অনেক পরিশ্রম করেন। একজন দক্ষ উদ্যোক্তা। আমি নিজেই তার কাছ থেকে কাজ শিখেছি। এখন আমি বড় একটা কোম্পানিতে কাজ করছি। রহিমানপুর এলাকার মিজান প্রধান বলেন, কোন এক মাধ্যমে সিরাজের সাথে আমার পরিচয় হয়। সে আমাকে ফ্রিল্যান্সিং’র কাজ শেখান। আমি পূর্বে যে চাকরি করতাম সে চাকরি থেকে অব্যাহতি নিয়ে সিরাজের টিমে যুক্ত হয়। বর্তমানে অনলাইন জগত থেকে ভালো আয় করি।জেলার হরিপুর উপজেলার ভাতুরিয়া গ্রামের বাসিন্দা পলাশ বলেন, আমি তিন-চার বছর থেকে এই পেশায় নিয়োজিত আছি। এই পেশায় থেকে বর্তমানে আমি স্বাবলম্বী। ফ্রিল্যান্সিং’র ভালো দিক হচ্ছে যে এখানে সৎ ভাবে উপার্জন করা যায়। আমি এখানে উপার্জন করে সেই টাকা দিয়ে আমার পরিবারের খরচের পাশাপাশি ব্যবসা ও কৃষি কাজে ব্যয় করতে পারি।উদ্যোক্তা সিরাজুল ইসলাম সিরাজের অনলাইনে ফ্রিল্যান্সিং কাজে থেমে নেই নারীরাও। হরিপুর উপজেলার নারী ফ্রিল্যান্সার আসফিয়া সিদ্দিকী বলেন, আমি পড়াশোনার পাশাপাশি বর্তমানে অনলাইনে ল্যাপটপের মাধ্যমে আউটসোর্সিং এর কাজ করছি এবং নিজের পড়াশোনার খরচ করছি। আমি চাই আমার মত হরিপুর উপজেলাসহ গ্রামের অন্যান্য মেয়েরা আউটসোর্সিংয়ের কাজ করুক। কোন মেয়েরাই যেন পিছিয়ে না থাকে এই আধুনিক যুগে।শুধু আসফিয়া নয়, তার মতো পড়াশোনাসহ বিভিন্ন কাজের পাশাপাশি সমাজের প্রতিকূলতা পেরিয়ে আউটসোর্সিং এর কাজ করেন ইমন রেজা, আব্দুল্লাহ আল-আমিন, শেখ ফরিদ সুজন, রিয়াজুল ইসলাম রুবেল, নাঈম সিদ্দিকীসহ আরো অনেকেই। পড়াশোনার পাশাপাশি উদ্যোক্তা সিরাজের টিমে থেকে কাজ করে তারা আজ সকলেই স্বাবলম্বী।উদ্যোক্তা সিরাজুল ইসলাম সিরাজের বিষয়ে কথা হয় স্থানীয় চেয়ারম্যান শাহজাহান সরকারের সাথে, তিনি ঢাকা মেইলকে বলেন, সিরাজ দীর্ঘদিন যাবত আউটসোর্সিং এর কাজে জড়িত এবং ইউনিয়নের অন্যান্য ছেলে-মেয়েরাও তার সাথে কাজ করছে। আমি তাদের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই। তার এই কর্মকান্ড শুধু ভাতুরিয়া ইউনিয়ন নয়, হরিপুরের ছেলে-মেয়েরা যাতে কাজ করতে পারে তা ব্যবস্থা করে দিবো।ঠাকুরগাঁও বিসিকের উপ-ব্যবস্থাপক নুরেল হক বলেন, প্রত্যন্ত গ্রামের একজন উদ্যোক্তা সিরাজুল ইসলাম সিরাজ তিনি ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ করছেন। প্রতিনিয়ত সে তার কর্মীর সংখ্যা বাড়াচ্ছেন এবং তার মাধ্যমে অনেক মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। তার এই ফ্রিল্যান্সিং’র কাজকে আরো সম্প্রসারিত করতে তাকে সহযোগিতা করা হবে। -
উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহারের বিরুদ্ধে মিথ্যা মন্তব্য করার প্রতিবাদে রামপালে সমাবেশ।
বাগেরহাটের রামপালে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের বন,পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার(এম.পি)-কে নিয়ে মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন বক্তব্য প্রদান করায় এক প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১৩ এপ্রিল সকাল সাড়ে দশটার সময় রামপাল উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে উপজেলা পরিষদ চত্বরে এ প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাগেরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মোল্লা আঃ রউফ,রামপাল উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ মোজাফ্ফর হোসেন,রামপাল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান সেখ মোয়াজ্জেম হোসেন,উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব জামিল হাসান হাসান জামু, রামপাল উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মোসাঃ হোসনেয়ারা মিলি।
প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা বলেন যে, বিগত ৭ই এপ্রিল বাগেরহাট জেলা আওয়ামী লীগের জনৈক এক নেতা বেসরকারি টিভি চ্যানেল DBC টেলিভিশনের ইলেকশন এক্সপ্রেস নামক একটি অনুষ্ঠানের স্বাক্ষাৎকারে তিনি উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার-কে নিয়ে মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন মন্তব্য করেন। তারা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান এবং কটুক্তি কারীকে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কারের জন্য বাগেরহাট জেলা আওয়ামী লীগের প্রতি আহবান জানান।
প্রতিবাদ সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন রামপাল উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ(অবঃ)মোতাহার রহমান,উপজেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ আলহাজ্ব শেখ মোহাম্মদ আলী,বাইনতলা ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুল্লাহ ফকির,হুড়কা ইউপি চেয়ারম্যান তপন কুমার গোলদার,রাজনগর ইউপি চেয়ারম্যান মোসাঃ সুলতানা পারভীন,উজলকুড় ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান গাজী আক্তারুজ্জামান,ভোজপাতিয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব নূরুল আমিন,রামপাল সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান চেয়ারম্যান মোঃ বজলুর রহমান, গৌরম্ভা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান গাজী গিয়াস উদ্দিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা অতিন্দ্রনাথ হালদার দুলাল,অধ্যাপক (অবঃ)মোঃ আকবর আলী,বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ আঃ মান্নান, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি মোঃ ফরহাদ হোসেন,বাগেরহাট জেলা পরিষদ সদস্য ও উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ মনির আহমেদ প্রিন্সসহ উপজেলা আওয়ামী লীগ,বিভিন্ন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি,সাধারণ সম্পাদসহ সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
-
গোদাগাড়ীতে স্বামীর কাছে সন্তানের ভরণপোষণ দাবি-বিচার না পেয়ে মামলা ।
রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে ৩ লাখ ৯৫ হাজার টাকা ভরণপোষণের দাবিতে স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা করেছেন এক নারী । মামলা দায়ের করা নারীর নাম মুসলিমা বেগম(৩৮) মুসলিমা বলেন ১৫ বছর হলো আমার স্বামীর সাথে কোন সম্পর্ক নেই, কেন জানি না শুনেছি তালাক দিয়েছে,আমি জানি না, কোন তালাকের কাগজ আসেনি আমার কাছে । বিয়ের ৭বছর পর নিজের এক সন্তানের ভরণপোষণের দাবি করে রাজশাহীর আদালতে মামলা করেছেন তিনি ৷
ওই নারীর দাবি, ৭বছর আগে এক সন্তানসহ তাকে বাড়ি থেকে বের করে দেন তার স্বামী তার পর থেকে স্বামীর কোন খোঁজ নেই, রাজশাহীর গোদাগাড়ী থানার রামনগর, বোরাপুকুর,শিমুলতলা গ্রামে তার বাড়ি। তার এক সন্তান মেয়ে বেদেনাকে (১৭) নিয়েই চলছে তার জীবন যুদ্ধ । ২০০১ সালে বিয়ে হওয়ার পর থেকে ভালোই চলছিল সুখের সংসার মুসলিমা দম্পতির, বিয়ের দুই বছর পর, তাদের জীবনে আসে একটি কন্যা সন্তান, তখনই শুরু হয় অশান্তি, কারণ মেয়ে সন্তানটি হয় প্রতিবন্ধী,
তার পরে ছেড়ে চলে যান মুসলিমকে তার স্বামী আব্দুল মজিদ। আব্দুল মজিদ (৪৫) পিতা আব্দুল রাজ্জাক বাড়ি রাজশাহীর গোদাগাড়ী সাদ্দিপুর গ্রামে। প্রায় ৭বছর আগে মুসলিমাকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়। সেই থেকে তাদের কোনো ভরণপোষণ দেওয়া হয়নি । তবে তিনি ভরণপোষণ দেবেন না বলে জানালে মুসলিমা মামলা করেন। কারণ, ভরণপোষণ দেওয়ার মতো যথেষ্ট আর্থিক সক্ষমতা আছে আব্দুল মজিদের । মুসলিম বলেন আদালতে জজ আমার পক্ষে রায়ে ৩ লখ ৯৫ হাজার টাকা দিতে বলেন, প্রথম দফায় মাত্র ৫০ হাজার টাকা *দিয়েছে, আর বাকি ৩ লক্ষ ৪৫ হাজার টাকা দিচ্ছে না। হাজিরার তারিখ আসলে আমি কোর্টে আসলে ভয়-ভীতি দেখায় যেন আমি কোটে যেতে না পারি । তবে আব্দুল মজিদের এলাকার বাসিন্দারা বলেন, মজিদ একাধিক বিয়ে করেছে,শুনেছি তার ভাই একটা পুলিশে চাকুরী করে, তার প্রভাব দেখায়, আমরাও ভয়ে থাকি, তবে এই মেয়েটার সমাধান করতে দিচ্ছি না ওই পুলিশ আদর্শ লালচান, একটা সমধাণ করা দরকার, তার পাওনা দাওনা দিলেই ঝামেলা শেষ হয় । জানতে চাইলে মুসলিমা বেগম বলেন, আমার পৈতৃক ভিটা নেই সরকারি খাস জমিতে একটি টিনসেট বাড়িতে থাকি। মানুয়ের বাড়িতে কাজ করি, মাঠে কাজ করে সংসার চালায়। এ দিয়ে কোনো রকমে দিন কাটছে । আমার বয়স হয়েছে। এখন আর এভাবে চলতে পারছি না। সমাধানের চেষ্টা করেছি অনেকের হাত-পা ধরেছি সমাধান এর জন্য সমাধান পাইনি ,বাধ্য হয়ে আইনের আশ্রয় নিয়েছি ।
-
হরিপুরে পুলিশের উপর হামলা, আটক-৭।
ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুরে পুলিশের উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে এবং এঘটনায় পুলিশ ৭জনকে আটক করেছে।বুধবার (১২ এপ্রিল) বিকালে উপজেলার ভাতুরিয়া ইউনিয়নের দিলগাঁও গ্ৰামে এস আই রাশেদুল ইসলাম সঙ্গীয় ফোর্সসহ মাদক মামলার এজাহার নামীয় আসামি মাইনুদ্দিন ওরফে ছোটন (২৯) কে তার বাড়ি থেকে আটক করার সময় সে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টাকালে চেচামেচি করে স্থানীয়দের তাকে উদ্ধার করার জন্যে ডাকহাক দিলে এজাহার নামীয় ২৫ জন আসামিসহ আরও ৩০/৪০ স্থানীয় লোকজন পুলিশের উপর হামলা চালায় এবং আসামিকে ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে।এঘটনায় এস আই রাশেদুল ইসলাম ও পুলিশ সদস্য আব্দুর রশিদ আহত হয়।খবর পেয়ে হরিপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আহত পুলিশ সদস্যদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।এ ঘটনায় হরিপুর থানায় রাতেই ২৫ জনের নাম উল্লেখসহ ৪০/৫০ জন অঙ্গাতনামা আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে।পুলিশ অভিযান চালিয়ে দিলগাঁও গ্রাম থেকে এজাহার নামীয় ৭ আসামিকে আটক করে। আটককৃতরা হল দিলগাঁও গ্রামের মৃত মজিবর রহমানের ছেলে সোহাগ (৩০), খতিবের ছেলে দুলাল হোসেন (২৭), মৃত আব্দুল হামিদের ছেলে ফজিল উদ্দিন(৫০), ফজিল উদ্দিনের ছেলে মোকলেসুর রহমান(২৩), মৃত শফিউল্লাহর ছেলে আব্দুল্লাহ (৪৯), ফজিল উদ্দিনের ছেলে রুবেল ইসলাম (২৯) ও মৃত আফতাব উদ্দিনের ছেলে হামিদুর রহমান(৫২)।হরিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)তাজুল ইসলাম জানান, সরকারি কাজে বাধাদান, পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছে, চিরুনি অভিযান চালিয়ে এজাহার নামীয় ৭ আসামিকে আটক করে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। -
তাপদাহে কৃষকদের বোরো ধানের গোড়ায় পানি ধরে রাখার পরামর্শ।
সারা দেশের ন্যায় নীলফামারীর ডিমলায় চলছে তাপদাহ। যা আগামী কয়েকদিন থাকবে বলে পূর্বাভাস রয়েছে। এ সময় দিনের তাপমাত্রা ৩৫-৩৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস,এমনকি বেশিও বিরাজ করতে পারে।
উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানা যায়, ডিমলায় বোরো ধানের চাষাবাদ পর্যাপ্ত পরিমান হয়েছে। উপজেলার দশটি ইউনিয়নে বোরো ধানের চাষবাদ এর পাশাপাশি গম, ভুট্টা, মরিচ, পেঁয়াচ, পাট ইত্যাদি ফসলও চাষাবাদ হয়ে থাকে। ডিমলা কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে তাপদাহে কৃষকদের বিশেষ পরামর্শ প্রদান ও লিফলেট বিতরন করা হয়। তাপদাহ থেকে রক্ষার জন্য কৃষকের বোরো ধানের জমিতে পানি ধরে রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন উপজেলা কৃষি অফিস।
উপজেলার উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা বলেন, আবহাওয়া অনুকুল থাকায় ব্যাপক হারে বোরো ধানের চাষ হয়েছে। বোরো ধানের বাম্পার ফলন আশা করেছেন সংশ্লিষ্টরা। কৃষকদের ধান ক্ষেতে ধানের শিষ বের হতে শুরু করেছে,কোথাও ধানে ফুল এসেছে আবার কোথাও থোড় হয়েছে। বর্তমানে পোকা মাকড় ও রোগবালাই তেমন না থাকলেও তাপমাত্রা দিনদিন বাড়ছে। তামমাত্রা বেশি থাকলে ধানের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্খা যেমন রয়েছে। তেমনি এ অবস্থায় বোরো ধানের জমিতে পানি ধরে রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ধান গাছের গোড়ায় ২ থেকে ৩ ইঞ্চি পানি ধরে রাখার পরামর্শ প্রদান করছেন উপজেলা কৃষি অফিস।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবীদ সেকেন্দার আলী জানান, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর ও বাংলাদেশ ধান গবেষনা ইন্সটিটিউট এর সার্বিক তত্বাবধান ও নির্দেশনায় উপজেলায় কৃষিকর্মকর্তাগন বিভিন্ন ব্লকে উঠান বৈঠকের মাধ্যামে তাপদাহ ও ধানের ব্লাষ্ট রোগ দমনে কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে আসছে। বর্তমানে উপজেলায় তাপদাহে বোরো ধানের ক্ষয়ক্ষতির কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি ।
-
দলিত ও আদিবাসীদের সংবাদ প্রকাশে রাণীশংকৈলে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়।
রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও)প্রতিনিধি:
ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার দলিত ও আদিবাসীদের অনুকূলে সংবাদ প্রকাশের লক্ষ্যে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বুধবার (১২ এপ্রিল) সকালে রাণীশংকৈল প্রেস ক্লাব হলরুমে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।উন্নয়ন সংস্থা ইকো সোশাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (ইএসডিও)’র আয়োজনে ও হেকস্/ইপারের সহযোগিতায় সভায় রাণীশংকৈল প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফারুক আহম্মদের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন, প্রকল্পের উপজেলা ম্যানেজার খায়রুল ইসলাম , সাংবাদিক মোবারক আলী, আশরাফুল আলম, আনোয়ার হোসেন আকাশ, মো. বিপ্লব, বিজয় রায়, আবুল কালাম আজাদ, খুরশিদ আলম শাওন, আনোয়ার হোসেন জীবন, দলিত নেতা, আদিবাসী নেতা জেটা হেমব্রম, শিউলী বাসফোর, কান্ত পাহান, তেতোলা দাস, শ্রীমতি মুর্মু প্রমুখ।
আলোচনা সভায় উপজেলার দলিত আদিবাসীদের বিভিন্ন সমস্যা ও তার সমাধান বিষয়ে মতামত প্রকাশ করা হয়। তাদের সামাজিক, সাংস্কৃতিক অবস্থা এবং নাগরিক সম্পৃক্ততা উন্নত করা, স্থায়ীত্বশীর জীবিকায়নের মাধ্যমে অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতকরণ ও ভূমি ও প্রাকৃতিক সম্পদে সমান প্রবেশাধিকারের বিষয়ে আলোচনা করা হয়। আদিবাসীদের বিভিন্ন বিষয়ের উপরে সংবাদ প্রকশের জন্য সাংবাদিকদের আহবান জানানো হয়।
দলিত আদিবাসি কমিউনিটির বিভিন্ন সমস্যা ও উন্নয়ন মূলক কাযক্রমের উপর স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা ম্যানেজার খায়রুল আলম।
এসময় উপজেলায় কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিক, দলিত ও আদিবাসীর প্রতিনিধিবৃন্ধ ও ইএসডিও প্রেমদীপ প্রকল্পের উন্নয়নকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
-
রামপালে বাংলা নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসনের প্রস্তুতি সভা।
রামপাল(বাগেরহাট) প্রতিনিধিঃ
বাগেরহাটের রামপালে যথাযোগ্য মর্যাদায় বাঙালির প্রাণের উৎসব, বাংলা নববর্ষ ‘পহেলা বৈশাখ’-১৪৩০ প্রতি বছরের ন্যায় এবারও নতুন বছরকে বরণ করতে মঙ্গল শোভাযাত্রা উদযাপন উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসনের প্রস্তুতি মূলক সভা সম্পন্ন হয়েছে।
(১২ এপ্রিল ২০২৩) বুধবার সকাল ১১.৩০ টায় উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে এ প্রস্তুতি মূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়।
রামপাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজিবুল আলম’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রামপাল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সেখ মোয়াজ্জেম হোসেন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মোসাঃ হোসনেয়ারা মিলি, রামপাল কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মোঃ মজনুর রহমান, বাগেরহাট জেলা পরিষদ সদস্য ও উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ মনির আহমেদ প্রিন্স, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা অঞ্জন বিশ্বাস, রামপাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. রুহুল আমিন, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ মতিউর রহমান, উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মোঃ শাহিনুর রহমান, রামপাল সরকারি কলেজের প্রভাষক মোঃ মোস্তফা কামাল পলাশ, শেখ শাহ নেওয়াজসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকবৃন্দ প্রস্তুতি মূলক সভায় উপস্থিত ছিলেন।
-
হত্যার মামলা তুলে নিতে বাদীকে প্রাণনাশের হুমকি।
সবুজ সরকার,বেলকুচি(সিরাজগঞ্জ)প্রতিনিধি:
সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলায় ধুকুরিয়াবেড়া ইউনিয়নের পূর্ব শত্রুতার জের ধরে সাতলাঠি গ্রামের মৃত ইদ্রিস আলীর ছেলে চাঁন মিয়াকে হত্যা করার ঘটনায় মামলা করায় বাদীকে মামলা তুলে নিতে আসামিরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন। পাশা পাশি মামলা প্রত্যাহারের জন্য বাদীকে ও নিহতের আত্মীয় স্বজনকে ভয় ভীতি দেখানো ও চাপ দেয়া হচ্ছে৷ মামলার প্রধান আসামি হলেন ধুকুরিয়াবেড়া ইউনিয়নের সাতলাঠি গ্রামের জব্বার হোসেনের ছেলে তারেক হোসেন, মৃত আজিজুল হকের ছেলে সামছুল হক ও মৃত মোজাফ্ফর হোসেনের ছেলে আক্তার হোসেন। হুমকি দেয়ার কারনে গত ৭ এপ্রিল দুপুরে বেলকুচি থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন নিহত চাঁন মিয়ার বড় ভাই আব্দুস শুকুর আকন্দ।
জিডির অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে আব্দুস শুকুরের সহদর ছোট ভাই চাঁন মিয়া আকন্দকে হত্যা করা হয়। পরে বাদী হয়ে আব্দুর করিম হত্যার মামলা দায়ের করেন। হত্যা কান্ডে জড়িত থাকায় সাতলাঠি গ্রামের মৃত আজিজুল হকের ছেলে সামচুল ও জুব্বার হোসেনের ছেলে তারেক হোসেনসহ অনেকেক আসামি করা হয়। জামিনে বের হয়ে মামলা উঠানোর জন্য বিভিন্ন সময় হুমকী দামকি দিচ্ছেন। গত ১৭ মার্চে সকালে মামলার বাদী আব্দুর করিমের বাড়িতে গিয়ে মামলা উঠানোর জন্য বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদান করেন। এ ছাড়াও গত ৪ এপ্রিলে সন্ধ্যায় নিহতের বাড়িতে অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে এসে বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি ও পরিবারের লোকজনের উপর প্রাণনাশের হুমকি দেন।
এ বিষয়ে আব্দুস শুকুর আকন্দ বলেন, আসিরা শুধু মামলার বাদীকে নয়, চাঁন মিয়ার আত্মীয় স্বজনকে মামলা তুলে নেয়ার জন্য হত্যার হুমকি দিচ্ছেন৷ এ ঘটনার পর থেকে পরিবার ও স্বজন নিয়ে তারা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন৷ মূল আসামিরা গ্রেপ্তার না হওয়ায় আতঙ্কে আছেন৷
এ ব্যাপারে বেলকুচি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসেন বলেন, আসামিদের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ তুলবে এটাই স্বাভাবিক। মামলা তুলে নেয়ার হুমকির জিডির অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে৷
উল্লেখ্য, গত ১৮ ফ্রেব্রুয়ারি বুধবার রাত সাড়ে ৮ টার দিকে উপজেলার ধুকুরিয়াবেড়া ইউনিয়নের সাতলাঠি গ্রামের চাঁন মিয়ার বাড়িতে একই গ্রামের জব্বার হোসেনের ছেলে তারেক হোসেন, মৃত আজিজুল হকের ছেলে সামছুল হক ও মৃত মোজাফ্ফর হোসেনের ছেলে আক্তার হোসেনের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসীবাহিনী গিয়ে চাঁন মিয়াকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু বরণ করেন।
-
জীবন যুদ্ধে হার না মানা নারী উদ্দোক্তা রুবা আক্তার শিউলি।
হাবিবুল হাসান হাবিব, ডিমলা (নীলফামারী) প্রতিনিধিঃ
সংসার জীবন মানে যুদ্ধক্ষেত্র আর উদ্যোক্তা মানেই যোদ্ধা।সাহস আর কর্ম দক্ষতা না থাকলে যুদ্ধ ক্ষেত্র যেন মূল্যহীন তেমনি ব্যবসা শুরুর ক্ষেত্রে বড় সহায়ক হলো অর্থ। অর্থ না থাকলে স্বপ্ন যেন বৃথা। তাই যুদ্ধক্ষেত্র নারীদের জন্য একটা বড় চ্যালেঞ্জ |এই চ্যালেঞ্জকে মোকাবেলা করতে হলে প্রচুর অর্থ প্রয়োজন। একদিকে অর্থ সংকট অন্যদিকে ব্যাংক হতে ঋণ পাওয়া অনেক কঠিন, কিন্তু ব্যাংক থেকে ঋণ নিতে গেলে নানান সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।
ব্যবসা করতে হলে পুরুষের চেয়ে নারীদের সাহসী হতে হবে। তা না হলে সফল উদ্যোক্তা হওয়া যায় না বলে মনে করেন তিশা পোল্ট্রি এন্ড ডেইরী ফার্মসের স্বত্বাধিকারী রুবা আক্তার শিউলী। রুবা আক্তার শিউলী শুধু ডিমলা উপজেলার নয় নীলফামারী জেলারও একজন সফল নারী উদ্যোক্তা। অজর্ন করেছে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে উদ্যোক্তা হিসেবে বিভিন্ন সম্মাননা ক্রেস্ট এবং সার্টিফিকেট।
তার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, অর্থায়নই নারীদের ব্যবসার বড় বাধা। ব্যাংকগুলো সহজে ঋণ দেয় না,এ কারণে নানা ভোগান্তি পোহাতে হয় নারী উদ্যোক্তাদের। প্রথমে স্বামী সংসারের লোকজন এবং বাবা-মাসহ আশেপাশের লোকজন সবার কাছ থেকেই এ ব্যাপারে নানান কথা শুনতে হয়েছে। ২০০৫ সালে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হলেও ৯ বছরের মাথায় স্বামীর সংসারের হাল ধরতে হয় তাকে। ২০১৪ সালে সড়ক দূর্ঘটনায় হারাতে হয় পরিবারের এক সদস্যকে আর পঙ্গুত্ব ও স্মৃতি হারাতে হয় স্বামীকে। স্বামীর কর্ম সক্ষমতা থাকাকালে শ্বশুড় বাড়ীতে দুই মেয়েকে নিয়ে অনেকটা সুখে জীবন যাপন করছিল রুবা আক্তার শিউলি। উদ্দোক্তা হিসেবে শ্বশুড়বাড়ীর পক্ষ থেকে সাপোর্ট না থাকায়, স্বামীর পঙ্গুত্ব বরণের পর থেকে চালানো হয় তার উপর মানষিক অত্যাচার ও নির্যাতন।
২০১৪ সালে শ্বশুড়বাড়ীর লোকজনের অত্যাচারের কারণে দুই মেয়েকে নিয়ে পিত্রালয়ে অবস্থান নিতে বাধ্য হয়। পরবর্তীতে তিনি, নিজ উদ্যোগে শুরু করেন পড়াশুনা। বিবিএস পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করেন। সেখানে উর্ত্তিণ হন। পরবর্তীতে স্নাতকোত্তরের জন্য ভর্তি হন নীলফামারী সরকারী কলেজে। দুই মেয়ের জীবন গড়তে আবারও ফিরে আসেন স্বামীর বাড়ীতে। শত কষ্টের মাঝেও তিনি, স্বামী-সন্তান কে নিয়ে সংসার শুরু করেন। একদিকে স্বামীর দীর্ঘদিনের অসুস্থ্যতা অন্যদিকে সংসারের হাল ধরতে ২০১৯ সালে নারী উদ্যোক্তা ফরম পূরণ করেন সেখানে প্রশিক্ষণ গ্রহনের পরে ”পোল্ট্রি ফার্ম” শুরু করেন।
সূচনার দিকে কম মুরগী থাকলেও বর্তমানে সেখানে ১২ শতাধিক মুরগী রয়েছে তার ফার্মে। প্রতিদিনে আউটপুট হয় ১১০০-১০৫০টি ডিম । দেখ-ভালের জন্য রয়েছে তিনিসহ আরও একজন। পাশাপাশি শুরু করেছেন ডেইরী ফার্ম।২০২০ সালে সেই ফার্মে ১০ গাভী থাকলেও বর্তমানে রয়েছে উন্নত জাতের ৪টি গাভী। আর করোনাকালীন সময়ে ব্যবসায় লোকসান ও অর্থ সংকটে বিক্রি করতে হয় ৬টি গাভী। বর্তমানে বড় মেয়ে নুরে তাছসিন তিশা’র বয়স ১৫ বছর, সে একটি সরকারী বিদ্যালয়ে ১০ম শ্রেনীতে অধ্যয়নরত আর ছোট মেয়ে অতিশী হাসান ঐশি বয়স তার ১৪ বছর, সে রংপুরে তানজিমুল উম্মাহ নামে একটি একাডেমিতে ৮ম শ্রেণীতে অধ্যয়নরত। রুবা আক্তার শিউলী ফার্মের পাশাপাশি এরাকায় গড়ে উঠা প্যারাগন এগ্রো লিমিটেডের একজন ডিলারও বটে। সে যদি সরকারী বা কোনো সহায়তাকারী প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতা পাশে পায় তাহলে নিজের প্রতিষ্ঠানের উন্নতি ও নারী উদ্যোক্তা তৈরীতে অবদান রাখবে তিনি।
এ বিষয়ে ডিমলা প্রাণীসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালের কর্মকর্তা ডাঃ মদন কুমার রায় বলেন, বাংলাদেশে নারী উদ্যোক্তা খুব দুর্লভ বিষয়। ডিমলা উপজেলার ঝুনাগাছ চাপানী গ্রামের রুবা আক্তার শিউলী একজন নারী উদ্যোক্তা । সে ২০২৩ সালের প্রাণী পরিদর্শন মেলায় অংশ গ্রহন করেছিল। তার একটি লেয়ার ফার্ম আছে পাশাপাশি তিনি একটি ডেইরি ফার্ম দিতে আগ্রহী আমরা তাকে সকল ধরণের সহযোগিতা করবো। সে যেন একজন সফল নারী উদ্যোক্তা হতে পারে। -
বাঘায় ইফতারী রান্নার আগুনে বাড়ি পুড়ে ছাই।
মোস্তাফিজুর রহমান,বাঘা(রাজশাহী)প্রতিনিধিঃ
রাজশাহীর বাঘায় আগুনে পুড়ে দুই বাড়ি ৩ ছাগলের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (১০ এপ্রিল) বিকাল সাড়ে ৩ টার সময় উপজেলার বাউসা ইউনিয়নের দিঘা পশ্চিমপাড়া গ্রামে মন্টু আলী ও রাহেমা বেগমের বাড়িতে এই আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। এই আগুনে দুই বাড়িতে নগদ টাকা, জমির দলিল, আসবাবপত্র, চাল-ডাল, জামা-কাপড়, গম, ছাগলসহ ৩ লক্ষ টাকা ক্ষতি হয়েছে বলে বাড়ির মালিক দাবি করেন।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, উপজেলার বাউসা ইউনিয়নের দিঘা পশ্চিমপাড়া গ্রামে মন্টু আলীর স্ত্রী মেলেনা বেগম বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে বাড়ির ইফতারী রান্না শুরু করেন। রান্না করা অবস্থায় বাড়ির বাইরে যায় তিনি। এ সময় রান্না ঘরে আগুন লেগে যায়। পরে ৪ চালা শয়নঘর ও গরুর ঘরে আগুন লাগে। এতে গোয়ালে গরুর রশি কেটে দিলে প্রাণে বেঁচে গেলেও ৩টি ছাগল পুড়ে মারা যায়। এছাড়া ঘরের আসবাবপত্র, নগদ ৪৫ হাজার টাকা পুড়ে গেছে। দুই লক্ষ টাকা ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেন মন্টু আলী। পরে পাশে রাহেমার বাড়িতে আগুন ধরে। তার দুটি টিনের ছাপরা ঘর পুড়ে লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে বলেন দাবি করেন তিনি ।
এ বিষয়ে বাড়ির মন্টু আলী বলেন, স্থানীয়রা আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে করতে বাড়ির সকল আসবাবপত্র, গোয়াল ঘরে রাখা ৩টি ছাগল পুড়ে মারা গেছে।খবর পেয়ে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ্যাড.লায়ের উদ্দিন লাভলু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন আখতার ও বাউসা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ তুফান পরিদর্শন করেন। এ সময় ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারকে সহায়তা করেন।