Author: admin

  • গোদাগাড়িতে এমপি’র উদ্যোগে গ্রাম পুলিশের মাঝে ঈদ উপহার বিতরণ।

    গোদাগাড়িতে এমপি’র উদ্যোগে গ্রাম পুলিশের মাঝে ঈদ উপহার বিতরণ।

    রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে মডেল থানায় গ্রাম পুলিশের মাঝে ঈদ উপহার বিতরণ।মঙ্গলবার  ১৮এপ্রিল সকাল ১১ টার দিকে,এম পি আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধুরীর পক্ষ থেকে গোদাগাড়ী মডেল থানার আয়োজনে গোদাগাড়ী নয়টি ইউনিয়নের মোট ৮৩ জন গ্রাম পুলিশদের লুঙ্গি ও শাড়ী বিতরণ করা হয়।

    এ সময় অনুষ্ঠান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব মোঃ জাহাঙ্গীর আলম চেয়ারম্যান গোদাগাড়ী উপজেলা পরিষদ ও সভাপতি বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ গোদাগাড়ী উপজেলা,বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক,
    মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সুফিয়া খাতুন মিলি আরো উপস্থিত ছিলেন গোলাম কাউসার মাসুম সাংগঠনিক সম্পাদক গোদাগাড়ী উপজেলা যুবলীগ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
    এ সময় উপস্থিত ছিলেন মোঃ কামরুল ইসলাম ওসি গোদাগড়ী মডেল থানা ও অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

  • রামপালে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উদযাপনে আলোচনা সভা।

    রামপালে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উদযাপনে আলোচনা সভা।

    বাগেরহাটের রামপালে যথাযথ সম্মান, মর্যাদা ও শ্রদ্ধার সাথে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা বিষয়ক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    (১৭ এপ্রিল) সোমবার সকাল ১১.০০ টায় রামপাল উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সম্মেলন কক্ষে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

    রামপাল উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাজিবুল আলম’‌র সভাপতিত্বে ও প্রভাষক মোঃ মোস্তফা কামাল পলাশ’র সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে মুজিবনগর দিবস সম্পর্কে স্মৃতিচারণ করে বক্তব্য রাখেন রামপাল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সেখ মোয়াজ্জেম হোসেন।

    অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ নূরুল হক লিপন।

    অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সহকারী কমিশনার(ভূমি) শেখ সালাউদ্দিন দিপু, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সুকান্ত কুমার পাল, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষ্ণা রাণী মন্ডল, রামপাল কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মোঃ মজনুর রহমান, উপজেলা দূর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি মোঃ আকবর আলী, উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ গোলজার হোসেন, উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মোঃ শাহিনুর রহমান, উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ সাদীসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকবৃন্দ ও সুধীজন উপস্থিত ছিলেন।

  • গোদাগাড়ীতে চৈত্র্য সংক্রান্তি উপলক্ষ্যে ঐতিহ্যবাহী চরক পূজা অনুষ্ঠিত।

    গোদাগাড়ীতে চৈত্র্য সংক্রান্তি উপলক্ষ্যে ঐতিহ্যবাহী চরক পূজা অনুষ্ঠিত।

    রাজশাহী জেলার গোদাগাড়ী উপজেলায় প্রায় ৪০০ বছরের ঐতিহ্য নিয়ে এবারের চৈত্র্য সংক্রান্তি তিথীতে পূজা অর্চনার মধ্যে দিয়ে ভক্তদের মিলনমেলায় অনুষ্ঠিত হলো উপজেলার ৩ নং পাকড়ী ইউনিয়ন এর ঝাল পুকুর মন্দির কমিটির আয়োজনে ঐতিহ্যবাহী চরক মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    হাজার হাজার নর নারী ভক্তদের উপস্থিতিতে এবারের চরক পূজায় পুজারী বলেন, মা শীতলা ও বুড়ি মাতাকে সন্তোষ্ট করতে মূলত চরক পূজা করা হয়। আমার পিঠে বরশী গেঁথে চরকের মাধ্যমে চরকি ঘুরিয়ে সকল সাম্প্রদায়িক-অধর্মের বিনাশ, অসত্যকে বিতারিত করে শান্তির সনাতনী বার্তা প্রতিষ্ঠিত করাই হচ্ছে চরক পূজার পবিত্র মাহাত্ব্য। ঝাল পুকুর মন্দির কমিটির সভাপতি গণেশ মাহাতো জানান, আমাদের এই চড়ক পূজা যুগ যুগ ধরে আনুমানিক ৪০০ শত বছর থেকে গড়া উঠা ধর্মীয় ঐতিহ্যের প্রতিক হচ্ছে এই চরক মেলা।

    মূলত স্থানীয় ভক্তদের আর্থিক অনুদানে এই পূজা অর্চনা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। সরকারী অনুদান পেলে আমরা আরোও বৃহৎ পরিষরে চরক পূজা করতে পারবো। চরক পূজাকে কেন্দ্র করে নানা ধরনের দোকান পাট বসে যা মেলায় রুপান্তর হয়। এছাড়া অনেকে মনোবাসনা ও ভক্তি সহকারে মা শীতলা ও বুড়ি মাতার কাছে মানত করে ফল পায়।

  • ঠাকুরগাঁওয়ে ২’শ দুস্থ মানুষের মাঝে ঈদ উপহার বিতরণ।

    ঠাকুরগাঁওয়ে ২’শ দুস্থ মানুষের মাঝে ঈদ উপহার বিতরণ।

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় ঠাকুরগাঁওয়ে আশ্রয়ণ প্রকল্পের উপকারভোগী ২শ দুস্থ মানুষের মাঝে ঈদ উপহার হিসেবে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেছেন ঠাকুরগাঁও জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ মাজহারুল ইসলাম সুজন।

    শনিবার বিকেলে হরিপুর উপজেলার ভোপলাপুকুর আশ্রয়ণ প্রকল্পে এসব ঈদ উপহার বিতরণ করা হয়।

    ঈদ উপহারে ছিলেন- দশ কেজি চাল, এক কেজি ডাল,এক কেজি সেমাই কেজি,এক কেজি চিনি,এক লিটার সুয়াবিন তেল,দুই কেজি আলু,লবণ,মশলা। ঈদের আগে হাতে ঈদ উপহার পেয়ে খুশি সকলেই।

    খাদ্যসামগ্রী বিতরণে,হরিপুর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম পুষ্প, জেলা পরিষদের সদস্য আনিসুজ্জামান শান্ত, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এসএম আলমগীর,যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল ইসলাম,উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আমজাত আলী,ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি উমাকান্ত ভৌমিক,সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান মতি সহ আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

    আগামীতে এই ধারা অব্যাহত থাকবে বলে জানালেন ঠাকুরগাঁও জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ মাজহারুল ইসলাম সুজন।

  • শিক্ষার্থীদের পাশে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীকে পেয়ে সবাই খুশি।

    শিক্ষার্থীদের পাশে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীকে পেয়ে সবাই খুশি।

    রাজশাহীর বাঘায় শিক্ষার্থীদের ট্যাব, প্রতিবন্ধীদের হুইল চেয়ার, ট্রাই সাইকেল সহ  উপজেলার দু’টি ইউনিয়নে ১  হাজার গরীব ও অসহায় পরিবারের মাঝে রমজান ও ঈদুল ফিয়তর উপলক্ষে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।

    জনশুমারী ও গৃহগননা প্রকল্প’২০২১ এর ৩০৬ জন শিক্ষার্থীকে ট্যাব,প্রতিবন্ধী ও সেবা সাহায্য কেন্দ্রের উদ্যোগে ১০ টি হুইল চেয়ার,২টি ট্রাই সাইকেল ও প্রতিমন্ত্রীর নিজস্ব তহবিল থেকে  গরীব ও অসহায় পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।
    শনিবার  (১৫ এপ্রিল ) পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম এমপি এসব বিতরণ করেন। সকাল সাড়ে ১১ টায় উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে ,উপজেলা পরিষদ চত্বরে নির্বাহি অফিসার শারমিন আখতারের সভাপতিত্বে ট্যাব, হুইল চেয়ার- ট্রাই সাইকেল বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যকালে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে কোন খাদ্য ঘাটতি নেই । সরকার প্রধান প্রধান মন্ত্রী সেখ হাসিনা দেশের কল্যাণে কাজ করছে।  তার পরেও একটি গোষ্ঠী  দেশের দ্রব্যমূল্য সহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে অপপ্রচারে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। তাদের বিষয়ে সজাগ থাকার আহ্বান জানান প্রতিমন্ত্রী। ।
    উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আলফর রহমান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বাবুল, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শফিউল্লাহ সুলতান, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আফম হাসান, উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আশাদুজ্জামান, ওসি খায়রুল ইসলাম প্রমুখ।
    পরে দুপুর ৩টায় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর নিজস্ব তহবিল থেকে  উপজেলার পাকুড়িয়া ও মনিগ্রাম ইউনিয়নে ১  হাজার গরীব ও অসহায় পরিবারের মাঝে রমজান ও ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ৫ কেজি চাল, দুই কেজি তেল, আড়াই কেজি আলু, এক কেজি ডাল, এক কেজি চিনি, সেমাই ও দুধের প্যাকেট বিতরণ করেন। সেখানে দলীয় নের্তৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
  • দুই বাংলার মিলনমেলা,অশ্রুজলে ফিরে গেলেন দুই পারের স্বজনরা।

    দুই বাংলার মিলনমেলা,অশ্রুজলে ফিরে গেলেন দুই পারের স্বজনরা।

    ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল সীমান্তের জগদল ৩৭৩ ও ধর্মগড় ৩৭৪ হরিপুরের ৩৬৮ থেকে ৩৭১ পিলারের কাছে নাগরভিটা নদীর তীরে বসে দু’বাংলার লাখো মানুষের মিলন মেলা।
    এজন্য ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড়, দিনাজপুর, কাহারোল, রংপুর,বগুড়া এবং ভারতের কোচবিহার, আসাম, দার্জিলিং, শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়ি, কলকাতাসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে বাইসাইকেল, অটোরিকশা, মাইক্রো, মিনিবাসযোগে মানুষ সীমান্তে হাজির হয়। এরপর চলে প্রতীক্ষার প্রহর।
    স্থানীয়রা জানান, ভোর থেকে দুই দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষেরা এসে জড়ো হন সীমান্তে। দীর্ঘদিন বিচ্ছিন্ন থাকা মানুষজন একে অপরের সঙ্গে মিলিত হবার এ সুযোগ হাতছাড়া করতে চায়নি বলে ছুটে আসে স্বজনদের একনজর দেখার টানে।
    প্রতি বছর বৈশাখের প্রথম দিনে এ মিলন মেলা হয়ে থাকে।
    এই দিনটির জন্য সারা বছর দু’বাংলার মানুষ অপেক্ষা করে । মোবাইল ফোনের মাধ্যমে আগে থেকেই জানিয়ে দেয় স্বজনরা। কে কোথায় দেখা করবে। এই মিলন মেলায় দু’বাংলার লাখো মানুষ মিলিত হয়ে সেরে নেন স্বজনদের সঙ্গে দেখা সাক্ষাৎ ও কুশল বিনিময়ের পালা।
    রাণীশংকৈল উপজেলা চেয়ারম্যান শাহরিয়ার আজম মুন্না বলেন , ১৯৭৪ সালে পর উপজেলার সীমান্ত এলাকা পাক-ভারত বিভক্তির আগে ভারতের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার অধীনে ছিল। এ কারণে দেশ বিভাগের পর আত্মীয়স্বজনেরা দু’দেশে ছড়িয়ে পড়ে। তাই সারা বছর কেউ কারো সাথে দেখা করতে না পারায় এ দিনটির জন্য অপেক্ষা করে।
    বাংলাদেশ ও ভারতীয় বাসিন্দাদের মধ্যে কিছু সময় কথা বলার সুযোগ করে দেয় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরা। দুই দেশে বসবাসরত আত্মীয়-স্বজনদের একনজর দেখার জন্য হাজারো মানুষ উপস্থিত হয়। নাড়ির টানে বা মায়ার বন্ধনে দুই বাংলার বিভিন্ন জেলা থেকে ছুটে আসে লাখো মানুষ।
    শনিবার (১৫ এপ্রিল) সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, বাংলাদেশ ও ভারত সীমান্তে আত্মীয়-স্বজনদের ভিড়, দীর্ঘদিন দ‍ূরে থাকা, দেখা না হওয়ায় অনেকেই কান্নায় ভেঙে পড়েন। দু’পাড়ের স্বজনরা সকালে হাসিমুখে দেখা করতে এসে বিকালে বিদায় বেলায় দেখা না করে ফিরেছেন অশ্রুস্বজল চোখে কাঁন্নায়। চোখের পানিতে ভিজে গেল কাঁটাতারের এপার ওপার।
    রাণীশংকৈল উপজেলার স্হানীয়রা জানান,রমজান মাস হওয়াই দুই বাংলার সীমান্তে লাখো মানুষের মিলনমেলা করা সম্ভব  হয়নি। কাঁটাতারের বেড়ার ফাঁকে কথা বলা আর দেখা না করার আক্ষেপ অধরা রয়ে গেল  একবছর ধরে অপেক্ষারত ওপারে থাকা তাদের আত্মীয়স্বজনদের সাথে। এবার সীমান্তের কাঁটাতারের কাছে কোন মানুষজনকে ভীড়  জমাতে দেয়নি ভারতীয়  সীমান্ত রক্ষীবাহিনী ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) ।
    রাণীশংকৈল উপজেলা প্রশাসনের সূত্রে জানা যায়, প্রতি বছর বৈশাখের প্রথম দিনে
    কাঁটাতারের কাছে দুই সীমান্তে লাখো মানুষের সমাগমে ঐতিহ্যবাহী বাংলাদেশ-ভারত মিলনমেলা হয়ে থাকে । এবার রমজান মাসে বৈশাখ হওয়াই মিলনমেলা’র আয়োজন  করা হয়নি। কাটাতারের বেড়ার কাছে যাতে কেউ না ভীড়ে এবিষয়ে সতর্ক করে মাইকিং করা হয়। এতে কাঁটাতারের ওপারে থাকা আত্মীয়স্বজনরা মিলিত হতে পারনেনি।
    দিনাজপুরের কাহারোল থেকে আসা শ্রী সুদর্শন বলেন, ভারতে আমার ভাগ্নি থাকেন। অনেক খোঁজাখুজির পর নিজের আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে দেখা হওয়ার পর একটু বুকে জড়িয়ে ধরার ইচ্ছা পোষণ করলেও কাঁটাতারের বেড়ার কারণে সে ইচ্ছা আর পূরণ হয় না। তাদের সঙ্গে দুই বছর পর দেখা করতে এসেছে। এবার দেখা করতে দেয়া হয়নি।
    নীলফামারীর জলঢাকা থেকে ভারতে বসবাস করা ছেলেকে দেখতে এসেছিলেন বৃদ্ধা মধুবালা। তিনি কেঁদে কেঁদে জানালেন,টাকার অভাবে ভারতে যেতে পারি না, তাই খবর পেয়ে এলাম ছেলেকে দেখতে; না দেখেই ফিরে যাচ্ছি। প্রতি বছর যেন আমাদের মতো অভাবী মানুষদের জন্য সীমান্তে মিলনমেলার আয়োজন করা হয়।
    পঞ্চগড় থেকে আসা বাকলী রাণী (৫২), চন্দ চাঁদ রায় (৬১) আমল (৫০) সহ বিভিন্ন এলাকার অনেকে বলেন, সকাল থেকে আমরা আত্মীয়স্বজনদের সাথে দেখা করার জন্য অপেক্ষায় রয়েছি। দুপুর গড়িয়ে বেলা শেষের দিকে তারপরেও দেথা করতে পারছিনা। আত্মীয়রা ওপারে অপেক্ষায় রয়েছে কাঁটাতারের কাছে আসতে পারছেনা।  আগামী বছর দেখা করার অপেক্ষায় রইলাম ।
    রাণীশংকৈল জগদল ও ধর্মগড় ক্যাম্পে কর্মরত সীমান্ত বাহিনীরা জানান, এবার মিলনমেলা বন্ধ করে দিয়েছে ভারতীয় কতৃপক্ষ। কাঁটাতারের কাছে কোন বাংলাদেশীরা যেন না যায় সে বিষয়ে আমাদের অনুরোধ করেছেন তারা।
    এছাড়াও উপজেলাজুড়ে নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কাউকেই সীমান্তের কাটাতার বেড়ার কাছে না আসার জন্য সতর্ক করে মাইকিং করেন।
  • দেশ আজ একেবারে ধ্বংসের দারপ্রান্তে-মির্জা ফখরুল।

    দেশ আজ একেবারে ধ্বংসের দারপ্রান্তে-মির্জা ফখরুল।

    বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন,দেশ আজ একেবারে ধ্বংসের দারপ্রান্তে উপস্থিত হয়েছে,খাদের দিকে চলে গেছে,ধ্বংস হয়েছে, অর্থনীতি, শিক্ষাব্যবস্থা,স্বাস্থ্যব্যবস্থা। শুধু তাই নয় দেশের নির্বাচন ব্যবস্থাও ধ্বংস করে দিয়েছে এই আওয়ামী লীগ সরকার।

    শুক্রবার বিকেলে ঠাকুরগাঁও পাঠাগার চত্বরে কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের আয়োজনে ও ঠাকুরগাঁও স্বেচ্ছাসেবক দলের বাস্তবায়নে এক ইফতার মাহফিলে তিনি এ কথা বলেন।

    তিনি বলেন,এই সরকার মানুষকে বোকা বানিয়ে,প্রলোভন দেখিয়ে,উন্নয়নের কথা বলে দেশকে শাসন করছে। তারা উন্নয়ন কথা বলে দুর্নীতি করে।

    নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহব্বান জানিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন,আমাদের মনে রাখতে হবে আমরা এমন একটি ক্লান্তিলগ্নে আছি যে, আগামী দিনগুলোতে আমরা নিজেদেরকে সংগঠতি করে আন্দোলনের মধ্যে এই সরকারে পরাজিত করতে না পারি তাহলে এই জাতীর অস্তিত্ব থাকবেনা।

    ফখরুল আরো বলেন,আমরা ১০টি দাবি দিয়েছি,এর মধ্যে প্রথম দাবি এই সরকারে পদত্যাগ করতে হবে,সংসদ বিলুপ্ত করতে হবে,তত্বাবধায়ক সরকার গঠন করতে হবে। সেই সাথে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করে নির্বাচনের মধ্য দিয়ে দেশে জনগনের সরকার প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।

    তিনি আরো বলেন, দেশকে রক্ষা করার জন্য,বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করাবার জন্য,আমাদের নেতার তারকে রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য,আমাদের নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের জন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলনে ঝাপিয়ে পড়তে হবে।

    এসময় উপস্থিত ছিলেন-কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবকদলের সভাপতি এস এম জিলানি,সাধারণ সম্পাদক রাজীব আহসান, রংপুর বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল খালেক,ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির সভাপতি তৈমুর রহমান, রংপুর মহানগর বিএনপির আহবায়ক সামছুজ্জামান সামু সহ রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের নেতাকর্মীরা বক্তব্য দেন।

  • রামপালে যথাযোগ্য মর্যাদায় বাংলা নববর্ষ উদযাপন।

    রামপালে যথাযোগ্য মর্যাদায় বাংলা নববর্ষ উদযাপন।

    বছর ঘুরে আবার দরজায় হাজির হয়েছে পহেলা বৈশাখ। ঋতুরাজ বসন্তের উদাস হাওয়া বৈশাখের ঝড়ো হাওয়াকে স্বাগত জানিয়েছে। ‘এসো হে বৈশাখ,এসো এসো।’এই স্লোগান নিয়ে বাগেরহাটের রামপালে যথাযোগ্য মর্যাদায় বাঙালির প্রাণের উৎসব বাংলা নববর্ষ ‘১ লা বৈশাখ-১৪৩০’উদযাপন করা হয়েছে।
    বাংলা নববর্ষ ১৪৩০’জাঁকজমকপূর্ণভাবে উদযাপনের লক্ষ্যে উপজেলা প্রশাসন  ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করে।
    ১৪ এপ্রিল শুক্রবার সকাল ৯.৩০ টায় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের সম্মিলিত কন্ঠে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করা হয় তারপর সম্মিলিত কন্ঠে পহেলা বৈশাখের গান পরিবেশ করা হয় এরপর  উপজেলার বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা কর্মচারী,বিভিন্ন এনজিও প্রতিনিধিবৃন্দ,  উপজেলা ফায়ার স্টেশনের সদস্যবৃন্দ,আনসার বাহিনীর সদস্যবৃন্দ ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের নিয়ে র‌্যালী বের করা হয়।
     উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজিবুল আলম’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন  রামপাল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সেখ মোয়াজ্জেম হোসেন।
    অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সহকারি কমিশনার (ভূমি) শেখ সালাউদ্দিন দিপু,রামপাল থানার ওসি মোঃ সামসুদ্দীন , রামপাল থানার ওসি(তদন্ত) রাধেশ্যাম সরকার,উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষ্ণা রাণী মন্ডল,উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা অঞ্জন বিশ্বাস,ডা.স্বাগত দেবনাথ, উপজেলা প্রকৌশলী গোলজার হোসেন,উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ মতিউর রহমান,উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মোঃ শাহিনুর রহমান,উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা কানিজ শেফা,সরকারি রামপাল কলেজের প্রভাষক মোঃ মোস্তফা কামাল পলাশ,শেখ শাহ নেওয়াজসহ বিভিন্ন সুধীজন উপস্থিত ছিলেন।
  • কালের বিবর্তনে হারিয়ে যাচ্ছে ‘গরীবের এসি বাড়ি’।

    কালের বিবর্তনে হারিয়ে যাচ্ছে ‘গরীবের এসি বাড়ি’।

    আধুনিকতার ছোঁয়ায় হারিয়ে যেতে বসেছে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী মাটির বাড়ি। বছর কয়েক আগে কিছু ঘরের দেখা মিললেও এখন এ মাটির বাড়ির দেখা পাওয়া যেনো দুষ্কর ব্যাপার। মাটির ঘরের স্থান দখল নিয়েছে বর্তমানে নির্মিত ইট-পাথরের দালান। শীত-গ্রীষ্ম সব ঋতুতেই মাটির ঘর আরামদায়ক বাসস্থান। গ্রাম বাংলার চির ঐতিহ্যের নিদর্শন সবুজ শ্যামল ছায়া ঘেরা শান্তির নীড় ছিল মাটির ঘর। যা এক সময় গ্রামের মানুষের কাছে ‘গরীবের এসি বাড়ি’ নামে পরিচিত ছিলো।
    মানুষের অর্থনৈতিক সচ্ছলতা, প্রযুক্তির উন্নয়ন, রুচিবোধের পরিবর্তন, পারিবারিক নিরাপত্তা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে নিজেদের সুরক্ষার কারণে এখন আর কেউ মাটির ঘরে থাকতে চান না। সচ্ছল মানুষরা এখন ঝুঁকে পড়েছেন পাকা দালানের দিকে। তারপরও মানুষ যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে নগরায়ণের সাথে সাথে পাকা দালান কোঠা তৈরি করছেন। তাই আধুনিকতার ছোঁয়ায় আর সময়ের পরিবর্তনে গ্রাম বাংলা থেকে ঐতিহ্যবাহী মাটির তৈরি ঘর আজ প্রায় বিলুপ্তের পথে। মাটির ঘরের শান্তি ইট পাথরের দালান কোঠায় খুঁজে পাওয়া যায় না। তবে এখনকার সেই মাটির ঘরটি কাল হয়তো তার স্থান হবে ইতিহাসে অথবা যাদুঘরে। নতুন প্রজন্মের ছেলে-মেয়েদের কাছে শুধু নাটক, সিনেমা ও গল্প কাহিনী রয়ে যাবে।
    ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার কিছু প্রত্যন্ত অঞ্চল হিন্দু সম্প্রদায়, মালদহ সম্প্রদায় এবং স্থানীয় এলাকায় হাতে‌ গোনা কয়েকটি মাটির ঘর রয়েছে। তবে সেগুলোও আর হয়তো বেশি দিন থাকবে না।
    উপজেলার বাচোর ইউনিয়নের বাজেবকসা গ্রামের শিক্ষক উপেন চন্দ্র জানান, মাটির ঘর বসবাসের জন্য আরামদায়ক হলেও যুগের বিবর্তনে অধিকাংশ মানুষই মাটির ঘর ভেঙে অধিক নিরাপত্তা ও স্বল্প জায়গায় অনেক লোকের বসবাসের জন্য ইটের ঘরকে প্রথম পছন্দের তালিকা নিয়ে এসেছে। মাটির ঘর শীত গরম উভয় মৌসুমে বেশ আরামদায়ক। তবে বন্যা, ভূমিকম্প বা প্রবল ঝড় না হলে এসব ঘর শতাধিক বছর পর্যন্ত টিকে থাকে। এ সমস্ত ঘর বেশি বড় হয় না। মা, চাচি ও গৃহিণীরা তাদের নরম হাতের কোমল ছোঁয়ায় নিপুণ ভাবে কাঁদা দিয়ে লেপে মাটির ঘরের দেয়ালগুলোর সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে। এখন আর সেই মাটির ঘর চোখে পড়ে না বললেই চলে। তবে এখনো বাপ-দাদার স্মৃতি ধরে রাখতে অনেকেই দুই একটা মাটির ঘর টিকিয়ে রেখেছেন। আমাদের বাড়িও এখানো মাটির আছে। বাড়িতে পাকা ঘর তৈরী করতে চাইলেও বাবাকে বলে এভাবে রেখে দিয়েছি।
    উপজেলা ভাইস-চেয়ারম্যান সোহেল রানা বলেন, মানুষ এখন কর্মমূখী। মানুষের আয়-রোজগার বাড়ার কারণে মানুষ দিন দিন সৌখিন হয়ে উঠছে। বর্তমান সরকার যাদের ঘর নেই তাদের ঘরের ব্যবস্থা করেছে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করছে।
    এছাড়া এ উপজেলার অনেক মানুষ এখন বিভিন্ন দেশে গিয়ে অর্থনৈতিক ভাবে স্বচ্ছল হয়েছে। প্রবাসীরা ও স্বচ্ছল ব্যক্তিরা তাদের সামাজিক মর্যাদা বৃদ্ধি পাওয়ায় ও পরিবারের নিরাপত্তার কথা ভেবে মাটির ঘরে থাকতে চায় না। এ জন্য মাটির ঘর ভেঙে বিভিন্ন ধরনের ডিজাইন করে পাকা দালান কোঠা নির্মাণ করছেন। তবে এখন মাটির ঘরের সংখ্যা কমতে কমতে প্রায় বিলুপ্তির পথে। গ্রাম গঞ্জে ছাড়া এ মাটির বাড়ি নেই বললেই চলে।
  • বেকারদের এগিয়ে নিচ্ছেন হরিপুরের সিরাজ।

    বেকারদের এগিয়ে নিচ্ছেন হরিপুরের সিরাজ।

    ভাতুরিয়া এলাকার সিরাজুল ইসলাম সিরাজ । একজন সফল উদ্যোক্তা হিসেবে ইতোমধ্যে জেলায় সুনাম ছড়িয়েছেন। উত্তরবঙ্গের সর্বশেষ জেলা ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলার ভারত সীমান্ত ঘেঁষা ভাতুরিয়া ইউনিয়নের অজগাঁওপাড়ায় বেড়ে ওঠা সিরাজ ২০১৪ সালে ফ্রিল্যান্সিং’র কাজ শুরু করেন।
    সিরাজ ২০০৪ সালে ম্যাট্রিক ও ২০০৭ সালে ইন্টারমিডিয়েট পাস করেন। এর রাজশাহী কলেজ থেকে সমাজবিজ্ঞানে অনার্স এবং ঢাকার তিতুমীর কলেজ থেকে মাস্টার্স সম্পন্ন করেন। তবে  পড়াশোনায় তার কোন ঘটতি ছিলো না। ফ্রিল্যান্সিং শেখার খুবই ইচ্ছা ছিলো তার। তাই পড়াশোনার পাশাপাশি অনলাইনে ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ শিখতেন।
    সিরাজ জানায়, ২০১৪ সালে পড়াশোনার পাশাপাশি উপার্জনের পথ খোজছিলেন সে। সে সময় টিউশনির করার চেষ্টা করলেও সে কোন টিউশন পাইনি। এর সিরাজ সহপাঠীদের কাছে থেকে ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে জানতে পারেন। এ পেশায় প্রথমত  তার শুরু হয় ব্লগিং দিয়ে। তার একটা সফটওয়্যার রিলেটেড ব্লগ ছিলো। এডসেন্স থেকে সে প্রথমে উপার্জন করেন ৮১ ডলার। এরপর সিরাজ ২০১৫ সালে Linkdin নামে একটি বায়ারের খোঁজ পাই। দীর্ঘ চার বছর কাজ করার পর কানাডিয়ান একটি কোম্পানির সাথে তার চুক্তিবদ্ধ হয়। দু’টি
    কোম্পানির সাথে সে কাজ করছে। বর্তমানে সিরাজের ২০জনের একটি টিম আছে। যে টিম দিয়ে সকল কাজ সম্পন্ন করেন। তার টিমের মাসিক আয় চার থেকে পাঁচ লক্ষ টাকা। শুধু ফ্রিল্যান্সিং নয়, পাশাপাশি তারা নিজেদের অর্থায়নে বিভিন্ন সেবামূলক কাজ এগিয়ে যায়।
    তবে সিরাজের বলেন, এই আধুনিকতার যুগে কেউ ঘরে বেকার বসে থাকুক এটা আমি চাই না। পড়াশোনার পাশাপাশি সবাই যেন দেশের রেমিটেন্স বাড়ানোর ভূমিকা রাখতে পারে এটিই আমার স্বপ্ন। আমি যদি সরকারের সুযোগ-সুবিধা পাই তাহলে আমার এই টিমটিকে অনেক বড় পরিসরে করার আশা রয়েছে। যেখানে কাজ করবে ঠাকুরগাঁওয়ের শত শত বেকার যুবক-যুবতী।
    ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার আখানগর এলাকার আরেক ফ্রিল্যান্সার রঘুনাথ সিংহ রায় বলেন, এটা একটা স্বাধীন পেশা। এখানে পরিশ্রম করলে অবশ্যই সফলতা আসবে। সিরাজ অনেক পরিশ্রম করেন। একজন দক্ষ উদ্যোক্তা। আমি নিজেই তার কাছ থেকে কাজ শিখেছি। এখন আমি বড় একটা কোম্পানিতে কাজ করছি। রহিমানপুর এলাকার মিজান প্রধান বলেন, কোন এক মাধ্যমে সিরাজের  সাথে আমার পরিচয় হয়। সে আমাকে ফ্রিল্যান্সিং’র কাজ শেখান। আমি পূর্বে যে চাকরি করতাম সে চাকরি থেকে অব্যাহতি নিয়ে সিরাজের টিমে যুক্ত হয়। বর্তমানে অনলাইন জগত থেকে ভালো আয় করি।
    জেলার হরিপুর উপজেলার ভাতুরিয়া গ্রামের বাসিন্দা পলাশ বলেন, আমি তিন-চার বছর থেকে এই পেশায় নিয়োজিত আছি। এই পেশায় থেকে বর্তমানে আমি স্বাবলম্বী। ফ্রিল্যান্সিং’র ভালো দিক হচ্ছে যে এখানে সৎ ভাবে উপার্জন করা যায়। আমি এখানে উপার্জন করে সেই টাকা দিয়ে আমার পরিবারের খরচের পাশাপাশি ব্যবসা ও কৃষি কাজে ব্যয় করতে পারি।
    উদ্যোক্তা সিরাজুল ইসলাম সিরাজের অনলাইনে ফ্রিল্যান্সিং কাজে থেমে নেই নারীরাও। হরিপুর উপজেলার নারী ফ্রিল্যান্সার আসফিয়া সিদ্দিকী বলেন, আমি পড়াশোনার পাশাপাশি বর্তমানে অনলাইনে ল্যাপটপের মাধ্যমে আউটসোর্সিং এর কাজ করছি এবং নিজের পড়াশোনার খরচ করছি। আমি চাই আমার মত হরিপুর উপজেলাসহ গ্রামের অন্যান্য মেয়েরা আউটসোর্সিংয়ের কাজ করুক। কোন মেয়েরাই যেন পিছিয়ে না থাকে এই আধুনিক যুগে।
    শুধু আসফিয়া নয়, তার মতো পড়াশোনাসহ বিভিন্ন কাজের পাশাপাশি সমাজের প্রতিকূলতা পেরিয়ে আউটসোর্সিং এর কাজ করেন ইমন রেজা, আব্দুল্লাহ আল-আমিন, শেখ ফরিদ সুজন, রিয়াজুল ইসলাম রুবেল, নাঈম সিদ্দিকীসহ আরো অনেকেই। পড়াশোনার পাশাপাশি উদ্যোক্তা সিরাজের টিমে থেকে কাজ করে তারা আজ সকলেই স্বাবলম্বী।
    উদ্যোক্তা সিরাজুল ইসলাম সিরাজের বিষয়ে কথা হয় স্থানীয় চেয়ারম্যান শাহজাহান সরকারের সাথে, তিনি ঢাকা মেইলকে বলেন, সিরাজ দীর্ঘদিন যাবত আউটসোর্সিং এর কাজে জড়িত এবং ইউনিয়নের অন্যান্য ছেলে-মেয়েরাও তার সাথে কাজ করছে। আমি তাদের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই। তার এই কর্মকান্ড শুধু ভাতুরিয়া ইউনিয়ন নয়, হরিপুরের ছেলে-মেয়েরা যাতে কাজ করতে পারে তা  ব্যবস্থা করে দিবো।
    ঠাকুরগাঁও বিসিকের উপ-ব্যবস্থাপক নুরেল হক  বলেন, প্রত্যন্ত গ্রামের একজন উদ্যোক্তা সিরাজুল ইসলাম সিরাজ তিনি ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ করছেন। প্রতিনিয়ত সে তার কর্মীর সংখ্যা বাড়াচ্ছেন এবং তার মাধ্যমে অনেক মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। তার এই ফ্রিল্যান্সিং’র কাজকে আরো সম্প্রসারিত করতে তাকে সহযোগিতা করা হবে।